লিজা নাজনীন-
আত্মিক অনুভূতি থেকে ভালোবাসার জন্ম। হৃদয়ের চিরন্তন আবেগ থেকে বিখ্যাতদের ভালোবাসার জন্য জীবন দিতেও দেখা গেছে। ইতিহাসের সোনালি পাতায় আজও সেসব গল্প অমর হয়ে আছে। আগের দিনে প্রেমের প্রতীক্ষাতেও ছিল ধৈর্যেরই পরীক্ষা। এখন অবশ্য সেই অপেক্ষা কিংবা প্রতীক্ষার বদল হয়েছে অনেক। হয়েছে অনুভূতির যোগ-বিয়োগ
কবি জীবনানন্দ দাশ ভালোবাসার বিশ্লেষণ নিয়ে বলেছেন-
‘তবু তোমাকে ভালোবেসে
মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে
বুঝেছি অকূলে জেগে রয়
ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে
যেখানেই রাখি এ হৃদয়’
ভালোবাসার অপেক্ষা নিয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন,
‘অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।’
ওবেলায় যেমন ছিল ভালোবাসা-
সেকালের প্রেম ছিল আলো-আঁধারির দীর্ঘশ্বাসে ভরা। প্রেম একটি ধোঁয়া মাত্র যা সৃষ্টি হয় দীর্ঘশ্বাস থেকে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’-এর একেবারে গোড়ায় এ কথা বলেছিলেন স্বয়ং শেক্সপিয়ার। রোমিও আর জুলিয়েটের মতো প্রথম প্রেমের নজির বিশ্বসাহিত্যে খুব কমই আছে। প্রথম প্রেম। শব্দবন্ধটা শুনলেই একটা চমৎকার ঘুমভাঙা সকাল, একটা পাটভাঙা জামার খসখসে মিঠে গন্ধ, একটা হাতে লেখা চিঠির সারপ্রাইজ। প্রথম প্রেম ভাবলেই একখানা অপার্থিব মুখ, যার দিকে তাকিয়ে থাকাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য, দুটো আশ্চর্য হাত, যার মুঠোর ভেতরে পৃথিবীর সেরা নিশ্চয়তা লুকানো আর একটা অলীক কণ্ঠস্বর, কেবল যেটার জন্যই আমার নামটা রাখা হয়েছিল কখনো। এই ছিল তখনকার প্রেম।
উত্তম-সুচিত্রার হিট জুটির সিনেমা মানেই এই ধুলার ছদ্মবেশে গোলাপি আবির মার্কা প্রেম যা হাতের মুঠোয় ঝিনুকের মতো পড়ে থাকে। প্রেম নিয়ে লেখেননি এমন কবি মেলা ভার, প্রেমের ছবি আঁকেননি এমন চিত্রকরও দুর্লভ। শিল্পীদের একটা সুবিধা আছে, তারা যেটুকু আড়াল করার, সেটুকু লুকিয়ে রেখে বাকিটা প্রকাশ করে ফেলতে পারে। এতে শ্যামও থাকল, কুলও গেল না। কিন্তু বাকিদের কষ্ট বোধ হয় আরও বেশি। আগেকার দিনে তারা প্রেমে দাগা খেলে কিছুদিন দেবদাসের কালাশৌচ পালন করত। নয়তো ধর্মযাজক বা সমাজসংস্কারী হয়ে যেত। কেউ কেউ বিয়ে করতেন না। কেউবা আবার সন্ন্যাস নিতেন। কী মহিমা প্রেমের!
আসলে প্রেমের মহিমা ট্র্যাজেডিতে। ট্র্যাজেডি। মানুষ তো আজীবন ট্র্যাজেডিকেই সেলিব্রেট করেছে। কী শিল্পে, কী জীবনে। যা জীবনে সফল, স্মৃতিতে বা শিল্পে তার দাম মেলেনি। পথ যেখানে আলাদা হয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকেই তো রাস্তা শুরু। আমরা কে না জানি মার্গারিটের কথা। আইওয়াহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় এক বছর থাকার সুবাদে সেই ফরাসি তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল দুর্দান্ত যুবক সুনীলের। সে কথা সুনীলই পরে লিখেছেন বহু জায়গায়। পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন তারা। কিন্তু একসঙ্গে থাকা হয়নি বাস্তবিক কারণে।
থাকা হয়নি মানুষ দুটোর। কিন্তু ভালোবাসাটা ছিল। আর এই বিচ্ছেদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন কবিতা ও উপন্যাস ‘সোনালী দুঃখ’। সেই সুনীলই যখন ‘প্রথম আলো’ লিখছেন, তখন তার পাতায় পাতায় উঠে আসছে কাদম্বরী দেবীর প্রতি রবি ঠাকুরের অন্ধ মুগ্ধতা আর নির্ভরতার কথা। বৌঠানের অকালপ্রয়াণের পর রবির হাজারো লেখায় তার ছায়া ফিরে ফিরে আসার কথা। তারপরও রবীন্দ্রনাথ ভালোবেসেছেন, আর সেটাই স্বাভাবিক। কিš‘ অত গভীর ছায়া আর কোনো সম্পর্ক ফেলতে পেরেছে কি? সম্ভবত পারেনি। তিনিও সারাজীবন বিচ্ছেদের উৎসবে মেতেছেন।
চিঠির স্পর্শে
ওবেলার প্রেমে বড় মধুময় সময় ছিল চিঠি। আর চিঠিতে মুখফুটে না বলা কথাগুলো প্রেয়সী লিখে ফেলত। সামনে এলেই লজ্জায় লাল। শুধু মুচকি হাসির আবডালে ভালোবাসা প্রকাশের সময় ছিল ওবেলার সময়টা। মুখ ফুটে সরাসরি প্রেমের আবেদন জানানোর সাহস না করে চিঠির মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করে অপেক্ষার প্রহর গোনা হতো প্রত্যুত্তরের। এতে নানা ধরনের মুখরোচক ও আবেগময় লেখা থাকত। প্রেমের চিঠি আদান-প্রদানের সময় বন্ধু বা বান্ধবীর প্রতিবেশী বা সমমনা বন্ধুবান্ধব অথবা বাড়ির ছোট ছোট কিশোর-কিশোরীকে ব্যবহার করা হতো এবং এ কাজের জন্য তাদের নানান ধরনের পুরস্কারেও ভূষিত করা হতো।
প্রেমিক বা প্রেমিকা চিঠি পেয়ে সাড়া দিলে তখনি চিঠির উত্তর দিয়ে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে প্রেমের প্রথম পর্ব শুরু হতো। আবার অনেকে প্রেম প্রত্যাখ্যান করলে চিঠি ছিঁড়ে বা পুড়িয়ে ফেলত। বাহকের কাছ থেকে যেকোনোভাবে জায়গামতো না গিয়ে অভিভাবক বা মুরব্বি কারও হাতে চিঠি গেলে বিচার-আচার কিংবা ঝগড়াঝাঁটি-মারামারিও হতো। অনেকেই নিজে চিঠি লেখার বা লেখানোর পরও বারবার পাঠ করে শুনতেন বা শোনাতেন যাতে কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ না থাকে।
সময়ের বিবর্তনে আজ চিঠি বিলুপ্তপ্রায়। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা একটা চিঠি পড়ে বোঝা যায়, চিঠি কত আবেগময়, জীবন্ত হতে পারে। কবিকে তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস একটি পত্র লিখেছিলেন। কুমিল্লা থেকে কবি চলে যাওয়ার কিছুদিন পর। বিয়ের পরপরই চরম আপন ভাবা ভালোবাসার মানুষ ছেড়ে কেউ যায়? কবি নজরুল যে বাঁধনহারা। শিকল ছেঁড়া বিদ্রোহী। সেই চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন পনেরো বছর! চিঠির শুরু এভাবে হয়েছিল
কল্যাণীয়াসু,
তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘনসিক্ত প্রভাতে। মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল। পনেরো বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি এক বারিধারায় প্লাবন নেমেছিল তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো। এই আষাঢ় আমায় কল্পনার স্বর্গলোক থেকে টেনে ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার অনন্ত ¯্রােতে। যাক, তোমার অনুযোগের অভিযোগের উত্তর দিই। তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা সত্য। লোকের মুখে শোনা কথা দিয়ে যদি আমার মূর্তির কল্পনা করে থাকো, তাহলে আমায় ভুল বুঝবে, আর তা মিথ্যা।
তোমার ওপর আমি কোনো ‘জিঘাংসা’ পোষণ করি না এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি।
কী অদ্ভুত শব্দচয়ণ। মনে হয় যেন বুকের ভেতর থেকে কথাগুলো টেনে টেনে বের করে কবি গাঁথছেন চিঠি নামের এক ফুলমালা। কবি চলে আসার কারণ লিখতে অন্তর্যামীকে নিয়ে আসেন। তিনিই যে কবির ভেতরটা দেখেন।
আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কী অসীম বেদনা! কিš‘ সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি তা দিয়ে তোমায় কোনো দিন দগ্ধ করতে চাইনি।
কবি তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাকে প্রজ্বলিত ব্যথার আগুনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। দীর্ঘ পনেরো বছর কবি সে আগুনে নিজে পুড়ছেন। নার্গিসকে পোড়াতে চাননি। আগুন তার হৃদয় পুড়িয়ে তাকে নিখাদ সোনা বানিয়েছে। সাফল্য এনে দিয়েছে। নজরুল নির্দ্বিধায় সে সত্যকে স্বীকার করে লিখেছেন, তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না আমি ধূমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্ব প্রথম ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজও স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। অন্তরের সে আগুন- বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি।
দীর্ঘ পনেরো বছর আগের স্মৃতিচারণা বর্ণনায় কবি লেখেন, হঠাৎ মনে পড়ে গেল পনেরো বছর আগের কথা। তোমার জ্বর হয়েছিল, বহু সাধনার পর আমার তৃষিত দুটি তোমার শুভ্র ললাট স্পর্শ করতে পেরেছিল; তোমার তপ্ত ললাটের স্পর্শ যেন আজও অনুভব করতে পারি। তুমি কি চেয়ে দেখেছিলে? আমার চোখে ছিল জল, হাতে সেবা করার আকুলস্পৃহা, অন্তরে শ্রীবিধাতার চরণে তোমার আরোগ্যলাভের জন্য করুণ মিনতি। মনে হয় যেন কালকের কথা। মহাকাল যে স্মৃতি মুছে ফেলতে পারল না। কী উদগ্র অতৃপ্তি, কী দুর্দমনীয় প্রেমের জোয়ারই সেদিন এসেছিল। সারা দিন রাত আমার চোখে ঘুম ছিল না।
এত ভালোবাসার পরেও কবি তার আপন পথের, গন্তব্যের দিকে ছুটবেন সবকিছু মাড়িয়ে। অনুরোধ, প্রার্থনা ও কৈফিয়ত দিলেন, যাক আজ চলেছি জীবনের অস্তমান দিনের শেষে রশ্মি ধরে ভাটার ¯্রােতে, তোমার ক্ষমতা নেই সে পথ থেকে ফেরানোর। আর তার চেষ্টা করো না। তোমাকে লেখা এই আমার প্রথম ও শেষ চিঠি হোক। যেখানেই থাকি বিশ্বাস করো আমার অক্ষয় আশীর্বাদকবচ তোমায় ঘিরে থাকবে। তুমি সুখী হও, শান্তি পাও এই প্রার্থনা। আমায় যত মন্দ বলে বিশ্বাস করো, আমি তত মন্দ নই এই আমার শেষ কৈফিয়ত।
চিঠি নিয়ে যদি গবেষণা হয়, তো কবি নজরুলের এই চিঠি জীবন্ত প্রেমময়ী চিঠি হবে।
এবেলার ভালোবাসা যেমন-
বর্তমান যুগে অপেক্ষার জন্য কেউ তোয়াক্কা করে না। কম সময়ে সবকিছু হাতের নাগালে এসে হাজির হবে সেই চিন্তার দৌড়। বর্তমানে ঘরে বসেই ভালোবাসার সব স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প খরচে চ্যাটিং করা যায় এবং উভয় উভয়ের আলাপ সরাসরি শোনার পাশাপাশি দেখতেও পারে ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরের পর্দায়। ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাৎচিত করা যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট, ই-মেইল, ভয়েস মেইল, চ্যাটিং, ফোন ও মোবাইলের যুগে আজ তা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।
জাদুঘরের বন্ধ খাঁচার দিকে ক্রমেই ধাবমান আর ইতিহাসের পাতায় বন্দী হওয়ার মতো অবস্থা। ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপস চ্যাট, এসএমএস, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্লাশ মেসেজ, অডিও মেসেজ, টেলিকানেকশন ও মোবাইলের জয়জয়কারে দেশ-বিদেশের স্বজনদের সঙ্গে পত্র যোগাযোগ এখন সেকেলে মডেলে পরিণত হয়েছে। এখন হয়ে গেছে এই চাইলাম ভালোবাসলাম, আবার হুটহাট ব্রেকআপ করে ফেললাম…এখন আবার অনেকে ব্রেকআপ পার্টিও দেওয়া হয়। সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে বিজয়ের হাসি দেয়। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে নিজের ভালোবাসার মানুষকে কমপ্লিমেন্ট দিয়ে প্রেমের ঘোষণা করছেন সেলিব্রিটিরা। চোখে চোখ, হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট মেলানোর জন্য যারা লোকলজ্জার তোয়াক্কা করে না, তাদের বলা হয় পিডিএ (পাবলিক ডিসপ্লে অব অ্যাফেকশন) যুগল।
ডিজিটাল ভালোবাসা-
এই যুগের ভালোবাসা ভিন্ন সুতোয় বোনা। বিশেষ করে, বর্তমান জেনারেশন তাদের মনের মানুষ খোঁজার ব্যাপারে অনেক বেশি স্বাবলম্বী, অনেক বেশি স্বাধীন। তাদের অনেকেই অনলাইন ডেটিংয়ে বিশ্বাসী, যেটা কিনা ফেস টু ফেস রোমান্সের পরিবর্তে স্ক্রিন টু স্ক্রিন রোমান্সকে হাইলাইট করে। সেটা কী রকম?
বর্তমান সময়ে পশ্চিমা জগতের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যে বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে , তা হলো অনলাইন ডেটিং বা অনস্ক্রিন রোমান্স। আমেরিকার কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা শুধু বন্ধু-বান্ধবী খোঁজার উদ্দেশ্যে অনলাইন ডেটিং সাইটগুলো ব্যবহার করে। অন্যদিকে ত্রিশোর্ধ্ব বয়সীরা বা মধ্যবয়সীরা তাদের মনের মানুষ খোঁজার লক্ষ্যে এটিতে সাইনআপ করে। ডেটিং সাইটগুলোর প্রায় ৫৪ শতাংশ রেজিস্টার্ড সদস্যরা বিশ্বাস করে।
আমেরিকার ২০ শতাংশ বিয়ে হয়ে থাকে এই অনলাইন ডেটিংয়ের মাধ্যমে। যারা অনলাইনে প্রেম করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের হার তুলনামূলক কম। কারণ, এই ডেটিং সাইটগুলো অনেক রকম ম্যাচিং অ্যালগরিদমের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে সদস্যদের জন্য তালিকা তৈরি করে, যাতে কপোত-কপোতীরা তাদের সমমানসিকতার বন্ধু-বান্ধবীদের খুব সহজেই বেছে নিতে পারে।
নিজের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য আর ছবি দিয়ে একটি প্রোফাইল খুলতে হয়। তারপর এই সাইটগুলো একের পর এক ওই সব তথ্যের সঙ্গে ম্যাচ করে সম্ভাব্য প্রেমিক-প্রেমিকার সন্ধান দিতে থাকে। পরবর্তী সময়ে এই বাছাইকৃত তালিকা থেকে ছেলেমেয়েরা তাদের পছন্দের মানুষের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট চালিয়ে যায়। এরপর যদি কাউকে ভালো লেগে যায় বা সত্যি কোনো সম্ভাবনা থেকে থাকে, তাহলে একদিন সামনাসামনি দেখা করা হয়। আরও দূর অগ্রসর হলে গভীর প্রেম, অতঃপর বিয়ে। এভাবেই প্রযুক্তির বদলের সঙ্গে সঙ্গে হ”েছ ভালোবাসারও ভার্চ্যুয়াল পরিবর্তন।