শায়লা জাহান
চারপাশের ঝলমলে আলোয় বাসা থেকে বের হলেন। হঠাৎ করেই আকাশের কোণে কালো মেঘের আনাগোনা। ফলাফল ঝুম বৃষ্টি। এইরকম অনাকাঙ্খিত বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সবাইকে।
আকাশে সাদা মেঘ ভেসে যাচ্ছে, বাতাসে শুভ্র কাশফুল হেলেদুলে খেলছে। চিত্রটা হওয়া উচিৎ ছিল এমন। কিন্তু বাস্তবচিত্র তার পুরোপুরি ভিন্ন। এবার বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টির দেখা না মিললেও শরতের এই সময়টাতে প্রায়ই বৃষ্টি লেগেই আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় এমন হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে হয় সবাইকে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে ভিজে অথবা হঠাৎ গরমে ঘেমে অনেকেই আবার সর্দি-জ্বরে ভোগেন। এমন প্যাচপ্যাচে আবহাওয়ায় নিতে হবে কিছু বাড়তি সতর্কতাঃ
-যেহেতু এখন বৃষ্টি আসার কোন আগাম সংকেত নেই তাই সাথে সবসময় ছাতা বা রেইনকোট রাখতে হবে। ভেজা রেইনকোট কখনো রোদে শুকাবেনা। নরমাল বাতাসে এটি ছড়িয়ে দিতে হবে।
-যদি বৃষ্টিতে ভিজেই যেতে হয় তবে যতদ্রুত সম্ভব হাল্কা গরম পানিতে গোসল সেরে নিতে হবে। এতে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে
-ভেজা মোজা বা অন্তর্বাস খুলে ফেলতে হবে
-ভেজা কাপড় সাথে সাথে চেঞ্জের অপশন না থাকলে শুকনা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে যতটুকু সম্ভব মুছে ফেলতে হবে। ভেজা কাপড় দীর্ঘক্ষন পড়ে থাকলে ফ্লু সংক্রমণ ঘটতে পারে
-চুল ভিজে গেলে সম্ভব হলে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। চুল ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষন থাকলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এই জন্য মাথায় স্কার্ফ বা ক্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
-জরুরী কাগজপত্র, মানিব্যাগ পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাগজপত্র নিরাপদ রাখতে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। মানিব্যাগ ভেজার সম্ভাবনা থাকলে আগে থেকেই ছোট পলিব্যাগ নিয়ে রাখা যায়
-ইলেকট্রনিক সামগ্রী যেমন মোবাইল,ঘড়ি, ল্যাপটপ সাবধানে রাখতে হবে। আর সেগুলো কোনভাবে যদি ভিজেও যায় তবে দ্রুত ব্যাটারি সংযোগ খুলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
-গোসলের সময় অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করলে ভালো। এটি জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করবে
– এই সময় হালকা জ্বর-সর্দি দেখা গেলে ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। গরম স্যুপ খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যাবে।
-ঘরে ঘরে চোখ উঠার প্রকোপ এই সময় বেড়েই চলেছে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। হাল্কা কুসুম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে। চোখে কালো চশমা পরে রাখতে হবে। আর যদি বেশিদিন এই চোখ উঠা থাকে তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
– এই গরম এই ঠান্ডায় শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশি বেশি করে পানি, শাক-সবজী, ফলমূল খেতে হবে।
-ছবি সংগৃহীত