দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালের একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে বিজয়ী ব্যক্তিদের পদক প্রদান করেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
এবার দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক প্রদান করেছে সরকার। সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২২’ প্রদানের জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে।
এ বছর ভাষা আন্দোলন বিভাগে ২ জন, মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন, শিল্পকলা (শিল্প, সংগীত ও নৃত্য) বিভাগে ৭ জন , সমাজসেবা বিভাগে ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ২ জন, গবেষণায় ৪ জন, সাংবাদিকতায় ১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১ জন এবং শিক্ষায় ১ জন পুরস্কার পেয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর) পুরস্কার পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
সাংবাদিকতায় পেয়েছেন এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন। শিক্ষায় পেয়েছেন অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাস।
নৃত্যে পেয়েছেন জিনাত বরকতুল্লাহ। সংগীতে নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান। অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।
সমাজসেবা বিভাগে পেয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো। ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ।
গবেষণা বিভাগে পেয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক (টিম লিডার), ডা. শাহানাজ সুলতানা (টিম) ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (টিম)।
একুশে পদকের নীতিমালা অনুযায়ী, এককালীন ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয় নির্বাচিত প্রত্যেক বিজয়ীকে।
জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতির বিকাশসহ আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখছেন, তাঁদের সবার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার প্রতিবছর গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করে থাকে।
লেখা: রোদসী ডেস্ক