ছোটবেলায় ঈদে সালামি ছিল না, আনন্দ ছিল

করেছে Suraiya Naznin

আনিসুল হক:

আমার ছোটবেলা কেটেছে রংপুরে। ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে, বগুড়ার সোনাতলা পিটিআইতে। মার্চ মাসে মিছিলে যেতাম, স্লোগান দিতাম, ‘ভুট্টোর পেটে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ একটা বাঁশঝাড়ে গিয়ে বাঁশ কেটে এনে ছোট্ট লাঠি কতগুলো বানিয়েছিলাম আমরা, আমাদের ভাইবোনেরা। তারপর তো শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। আমরা এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে পালিয়ে বেড়াতে লাগলাম। যুদ্ধের মধ্যেও ঈদ এসেছিল। সেই ঈদের কিছুই মনে নেই, শুধু একটা কথা ভাসা-ভাসা মনে পড়ছে, ঈদের চাঁদ দেখা না দেখা নিয়ে তর্ক উঠেছিল। গ্রামের মানুষ রেডিওর কথা বিশ্বাস না করে নিজের চোখে চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

১৯৭২ সালে আমরা রংপুরে চলে আসি। সেবারের ঈদের কথা আমার মনে পড়ে। স্কুলের দেয়ালে বোমার শেল আটকে ছিল। সেই অংশটা আমরা বের করে এনেছিলাম। তারপর মাঠের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে সেই গোলার অংশটা রাখা হলো। প্রচ- শব্দে বিস্ফোরণ হলো। আজ ভাবলেও আমার গা কাঁটা দিয়ে ওঠে। কী ভীষণ বিপদই না সেদিন হতে পারত।

আমাদের এক বন্ধু, রংপুর জিলা স্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়েছি, তার নাম দীপু। তিনি এ রকম একটা গোলাকার চাকা পেয়েছিলেন, সেটা দিয়ে গাড়ি বানানোর জন্য মাঝখানে পেরেক পুঁততে গেলে হাতুড়িতে বাড়ি দিয়েছিলেন। সেটা বিস্ফোরিত হয়, তার হাতের কটা আঙুল আর একটা চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই ছিল আমাদের ছোটবেলার পরিস্থিতি। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ। আরেকটা গল্প বলে ঈদের সালামির প্রসঙ্গে আসি।

১৯৭৯ সাল। আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোল। আমি ফার্স্ট হলাম। সেদিন ছিল ছুটির দিন। আমার প্যান্টটা তাই ধুতে দেওয়া হয়েছে। আমি লুঙ্গি পরে পিটিআইয়ের মাঠে খেলছিলাম। রংপুর জিলা স্কুলের হেড স্যার একজন পিয়ন আংকেলকে পাঠিয়ে দিয়েছেন আমাকে ধরে আনার জন্য। সাইকেলে করে পিয়ন আংকেল এলেন। আমি তখনো মাঠে খেলছি। তিনি বললেন, ‘সাইকেলে ওঠেন। হেড স্যার ডাকে।’
আমি বললাম, আমি লুঙ্গি পরে আছি। আমার প্যান্ট ধুতে দেওয়া হয়েছে। লুঙ্গি পরে আমি স্কুলে যেতে পারব না।

পিয়ন আংকেল বললেন, ‘স্যারের অর্ডার, আনিসুলকে ধরে আনো। আমি আপনাকে ধরে নিয়ে যাবই।’

অগত্যা লুঙ্গি পরা অবস্থাতেই আমি স্কুলে হেড স্যারের রুমে গেলাম। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, ‘তুমি বৃত্তিতে ফার্স্ট হয়েছ। তোমাকে আমি দোয়া করি। তোমাকে প্রেসিডেন্ট ডেকে পাঠিয়েছেন। দোয়া করি, আজ তোমাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডেকে পাঠিয়েছেন, একদিন যেন তোমাকে পৃথিবীর প্রেসিডেন্ট ডেকে পাঠান।’

আমি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। প্যান্টটা পরে বঙ্গভবনে যেতে হবে। কাজেই আমি পায়জামার ওপরে শার্ট পরে ঢাকা শহরে এলাম।

মানে ক্লাস নাইনে আমার প্যান্ট ছিল মাত্র একটা। পরে বৃত্তির টাকা পেয়ে আরেকটা প্যান্ট আমি তৈরি করাতে পেরেছিলাম।

তার মানে এই নয় যে আমরা গরিব ছিলাম। তার মানে এই যে তখন সারা দেশের জেলা শহরগুলোর মধ্যবিত্তের সবারই এই রকমই ছিল জীবনযাপনের মান। আমাদের কোনো অভাববোধ ছিল না। কিš‘ প্রাচুর্য বলতে কিছুই ছিল না। একেবারে রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার মতো। রবীন্দ্রনাথ জীবনস্মৃতিতে লিখেছেন :

‘জানিয়ে রাখি আমাদের চাল ছিল গরিবের মতো। গাড়িঘোড়ার বালাই ছিল না বললেই হয়। বাইরে কোণের দিকে তেঁতুলগাছের তলায় ছিল চালাঘরে একটা পাল্কিগাড়ি আর একটা বুড়ো ঘোড়া। পরনের কাপড় ছিল নেহাত সাদাসিধে। অনেক সময় লেগেছিল পায়ে মোজা উঠতে। যখন ব্রজেশ্বরের ফর্দ এড়িয়ে জলপানের বরাদ্দ হল পাউরুটি আর কলাপাতামোড়া মাখন, মনে হল আকাশ যেন হাতে নাগাল পাওয়া গেল। সাবেক কালের বড়োমানুষির ভগ্নদশা সহজেই মেনে নেবার তালিম চলছিল।’

রবীন্দ্রনাথ জমিদারের ছেলে ছিলেন। তাঁর ছোটবেলার জীবনেই বাহুল্য বলতে কিছু ছিল না। আমরা জমিদারের ছেলে ছিলাম না। আব্বা ছিলেন পিটিআইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট। সরকারি চাকরি। আমরা নিজেরা বাগান করতাম, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি নিজেদের বাগানে হতো। বাড়িতে গরু ছিল। তিন সের দুধ দিত দুটো গরু। গোটা কুড়ি মুরগি, গোটা ছয়েক হাঁস ছিল। ডিম আসত দেদার। সেসব খেয়ে আমাদের দিন যেত ভালোমতোই। তবে একটা নাবিস্কো পাইন অ্যাপেল ক্রিমের বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে কোনো অতিথি বাসায় এলে সেই বিস্কুট খাওয়া ছিল মহাভোজ।

কাজেই আমাদের ছোটবেলায় ঈদে কেউ আমাদের সালামি দিত না। আমরাও কাউকে কদমবুসি করতাম না। মুন্সিপাড়ায় ছিল আমাদের মামাবাড়ি। ওখানে গিয়ে দেখি মামাতো ভাইবোনেরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে এবং বড়রা তাদের সিকিটা আধুলিটা দেন। এখনকার ছেলেমেয়েরা সিকি আধুলি কী বুঝবে কি না, আমার সন্দেহ আছে। ১০ পয়সায় একটা লাল রঙের আইসক্রিম পাওয়া যেত। চার আনা বা সিকিতে পাওয়া যেত মালাই আইসক্রিম। ১০ পয়সা দিয়ে জোড়া পাপড় কিনে খেতে পারতাম। রাস্তার ফেরিওয়ালার কাছ থেকে তিলের খাজা বা শনপাপড়ি কিনে খেতে আট আনা বা আধুলির দরকার পড়ত।

প্রত্যেক ঈদে তাই নতুন জামা পাওয়ার প্রশ্নই ছিল না। কোনো ঈদে হয়তো শার্ট পেলাম। পরের ঈদে আর কিছু না। তারপরের ঈদে বাটার স্যান্ডেল শু। তার পরের বছর একটা প্যান্ট।

তবে আমাদের পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। ঈদের আগে সেসব বের করে ধুয়ে মাড় দেওয়া হতো। আমাদের কাজ ছিল সেসব ইস্ত্রি করে রাখা। ইস্ত্রি ছিল দুই ধরনের। একটা শক্ত লোহার ইস্ত্রি। সেটা চুলার আগুনে ধরে গরম করতে হতো। আরেকটা ইস্ত্রির ছিল গহ্বর ভরা পেট। সেই পেটে কাঠের কয়লা ভরতে হতো। এরপর আগুন উসকে দেওয়ার জন্য হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতাম। বাঁশের চোঙ দিয়ে ফুঁ দিতাম। এই পায়জামা-পাঞ্জাবি ইস্ত্রি করাটা ছিল বিশাল আনন্দের কাজ। তারপর স্যান্ডেল বা জুতা কালি করা। নিজেদের জুতা স্যান্ডেল নিজেরাই বুরুশ করতাম। তারপর সেগুলো রোদে মেলে ধরতে হতো।

আমাদের বাসায় সেমাই বানানোর মেশিন ছিল। সেটা দেখতে ছোটখাটো টিউবওয়েলের মতো। এক দিক দিয়ে পানি মেশানো আটার ছোট ছোট গুলি ভরে ওপরের হাতল ঘোরাতে হতো। নিচে ছিল ফুটো ফুটো পাত। সেটা দিয়ে সেমাই বের হতো। সেই সেমাই আমরা শুকাতে দিতাম মাদুরে। ছাদের ওপরে সেমাই শুকাতে দিয়ে পাখি তাড়ানোর জন্য বিশাল পাটকাঠি নিয়ে আমি বসে থাকতাম। সময়টা উপভোগ্য করে তোলার জন্য একটা কাগজের চোঙ বাঁশের লাঠির ডগায় বেঁধে মাইক হিসেবে চালাতাম। একটা দিয়াশলাইয়ের বাক্স হতো আমার মাউথপিস। সেই মাউথপিস মুখের কাছে ধরে আমি নিজে নিজে রেডিওর অনুষ্ঠান প্রচার করতাম। কবিতা আবৃত্তিই ছিল প্রধান অনুষ্ঠান। কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামি কবিতাগুলো বই দেখে পাতার পর পাতা আবৃত্তি করতাম। তাতে রোজা থাকার কষ্ট কমত। দিনটা পার হয়ে যেত দ্রুত।

ঈদ মানেই ছিল আনন্দ। ঈদের চাঁদ দেখার জন্য বিকেল তিনটা থেকে আমরা পিটিআইয়ের ছাদে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। সূর্য ডোবার আগেই চাঁদ দেখা গেল। কী আনন্দ! ছেলেরা মিছিল বের করত, আজ আমাদের কিসের খুশি, ঈদের খুশি ঈদের খুশি। ১৯৭৮ সালের আগে রংপুরে টিভি ছিল না। সম্প্রচার কেন্দ্র হলো ১৯৭৮-এ। তারপর সাদাকালো টিভি রংপুরে আসতে লাগল। কাজেই তার আগে ঈদের আগের রাতে রেডিওতেই আমরা শুনতাম সেই গানটা, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ এমনকি আমজাদ হোসেনের বিখ্যাত জব্বর আলীর ঈদের নাটক প্রথমে প্রচারিত হয়েছিল রেডিওতে। তার একটা সংলাপ আজও মনে আছে, জব্বর আলীর মেয়ে বলছে, ‘বাবা, ঈদে আমাকে ম্যাক্সি কিনে দিতে হবে।’ জব্বর আলী বলছে, ‘ট্যাক্সি, আমি তোকে ট্যাক্সি কিনে দিতে পারব না।’

আমরা অবশ্যই ঈদসংখ্যা কিনতাম। বিচিত্রা, রোববার, সন্ধানী। উপন্যাসগুলোর কোনো কোনোটাতে যৌনতা থাকত। এমনকি হাসান আজিজুল হকের লেখা ‘পাতালে হাসপাতালে’ গল্পে ‘রাত্রে স্ত্রী সহবাসে সে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছিল’ এই বাক্য পড়ে আমি নিষিদ্ধ জিনিস পড়ার আনন্দ লাভ করেছিলাম। যৌনতা থাকত আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দীনের গল্পে। আমাদের শৈশবে ঈদের আরেকটা বিনোদন ছিল সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। প্রচন্ড ভিড় হতো। ওই সময় সৈনিকদের জন্য আলাদা কাউন্টার ছিল। আমি সেই কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কোনো সৈনিক আংকেল টিকিট কাটতে এলে আমি তাঁকে অনুরোধ করতাম, আমাকে একটা টিকিট কেটে দেবেন? আমার চেহারার মধ্যে একটা গো বেচারি ভাব তখনো ছিল। সহজেই তাঁরা রাজি হতেন। আমি নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ঈদের সিনেমা দেখতাম রংপুরের লক্ষ্মী টকিজে বা ওরিয়েন্টাল প্রেক্ষাগৃহে। আগের দুদিন মাইকিং করে সিনেমার গান আর নাম জানিয়ে যাওয়া হতো। কাজেই সিনেমা না দেখে পারা যায়?

এরপর এল টেলিভিশনের যুগ। ঈদ মানেই টেলিভিশনে ঈদের নাটক আর আনন্দমেলা। আনন্দমেলাগুলো খুব আনন্দময় হতো। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, জুয়েল আইচ, আফজাল হোসেন, আনিসুল হকÑ এঁরা সব আশ্চর্য আনন্দময় আনন্দমেলা করেছিলেন। পরে করেছিলেন হানিফ সংকেত। ঈদের নাটক ভালো করতেন হুমায়ূন আহমেদ। উফ। ঈদের নাটকগুলো দেখে হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরে যেত।

তারপর বড় হয়ে গেলাম। আমার ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা আমাকে ঈদে সালাম করতে লাগল। আমিও সাধ্যমতো তাদের বকশিশ দিতে শুরু করলাম। বিয়ের পরে খালু হলাম। ভাগনে-ভাগ্নিরা এলে আমি সালামি দিই। সে তারা সালাম করুক আর না করুক। ইদানীং তো অনেক নতুন নিয়মকানুন শোনা যাচ্ছে। কদমবুসি করতে হয় না। আমার আম্মা অবশ্য আমাকে শিখিয়েছিলেন, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করার সময় মাথা উঁচু রাখতে হবে।

বড় হয়েই আমি আম্মাকে সালাম করতাম। শ্বশুর-শাশুড়িকে সালাম করতাম। আম্মা মারা গেছেন। শ্বশুর সাহেবও মারা গেছেন বেশ ক’বছর আগে। এখন শাশুড়িকে সালাম করি। অফিসেও আমার জুনিয়র সহকর্মী মেয়েরা আগে আমার কাছ থেকে ঈদের সালামি আদায় করত। তার ছবিও ফেসবুকে দিত। এখন আমাদের অফিসও বড় হয়ে গেছে। আমরা এখন দূরে দূরে বসি। সালাম করে সালামি আদায় করবে, এমন মানুষেরা আর আমার ফ্লোরে বসেও না।

নিজের একমাত্র মেয়ে থাকে বিদেশে। ঈদে আসবে না। হয়তো ফোন করবে। ভিডিও কলে দেখা হবে। কথা হবে।

আমরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে যাচ্ছি। আগে আম্মা যখন বেঁচে ছিলেন এবং রংপুরে ছিলেন, আমরা পাঁচ ভাইবোন দারা পুত্র পরিবার নিয়ে রংপুর যেতাম। বাড়িতে চাঁদের হাট যেন লেগে যেত। সন্ধ্যার সময় বাচ্চারা নিজেরাই আনন্দমেলা করত। এখন আম্মাই নাই। রংপুরে কেউ থাকে না।

ঈদ আসলে ছোটবেলাতেই আনন্দের ছিল। এখন বড় হয়ে গেছি। এখন ঈদে আনন্দর চেয়ে দায়িত্বই বোধ করি বেশি। আর করোনার দুই বছরে তো ঈদেও আমরা বন্দী ছিলাম।
এবারের ঈদ হয়তো মুক্তি এনে দেবে।
করোনার বন্দিত্ব থেকে মুক্তি।

মধ্যখানে কিছুদিন আমারও ঈদ মানে ছিল টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য ঈদের নাটক লেখা। প্রথম দিকে সেই সব নাটক ভালো হলো নাকি মন্দ হলো, তাই নিয়ে টেনশন করতাম। তারপর এত চ্যানেল আর এত নাটক প্রচারিত হতে লাগল যে নিজের নাটকও নিজে দেখা হয়ে উঠত না। এখন আর ঈদের নাটক লেখার সময় পাই না। আগ্রহও পাই না।

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা দিয়ে এই লেখা শেষ করি, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ/ তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ/ দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ।’
আমরা যদি ঠিকভাবে জাকাত দিই, দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকার কথা নয়। বিলাসব্যসনের প্রতিযোগিতা না করে আমরা কি সুচিন্তিতভাবে গরিব-আত্মীয়স্বজনকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সহযোগিতা করতে পারি না?

 

 

০ মন্তব্য করো
0

You may also like

তোমার মন্তব্য লেখো

11 − 10 =