ডার্ক সার্কেল?

করেছে Suraiya Naznin

নদী ইসলাম-

ডার্ক সার্কেলের সমস্যা আড়াল করতে হাইলাইটার খুবই কার্যকর। চিকবোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও চোখে পড়বে না এবং গ্ল্যামারাস দেখতে লাগবে।

‘ডার্ক সার্কেল’ কথাটা খুব ছোট শোনালেও বিষয়টা কিš‘ একেবারেই ছোট নয়। যতই সুন্দর করে সাজগোজ করো না কেন, চোখের নিচে সামান্য ডার্ক সার্কেল পুরো লুকটাই মাটি করে দিতে পারে। পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিনই বাকি। বাড়িতে বসে আন্ডার আই ক্রিম মেখে যতই যত্ন করো না কেন, কাছে আসা উৎসবের আগে ডার্ক সার্কেলকে নির্মূল করা একেবারেই সম্ভব নয়। তাই দরকার চটজলদি উপায়।

 

মেকআপ করার আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুলে ত্বকে রক্ত চলাচলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে মুখের অথবা চোখের নিচের ফোলাভাবও কমে যায়। এরপর পুরো মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। চোখের নিচের অংশে আই ক্রিম অথবা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারো। এর ফলে চোখের চারপাশের ত্বকের শুষ্কতা কমবে এবং মেকআপও ভালো করে বসবে।

মেকআপের শুরুতেই মুখে এবং চোখের নিচের অংশে প্রাইমার লাগাও। এতে ত্বক টানটান থাকে এবং মেকআপ অনেকক্ষণ ভালো থাকবে। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার লাগাবে। ত্বক নিষ্প্রাণ ও অনুজ্জ্বল হলে ইলিউমিনেটিং প্রাইমার ভালো। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ম্যাট প্রাইমার ব্যবহার করতে পারো। অনেকের ত্বক একটু লালচে ধরনের হয়। তাদের এমন প্রাইমার বেছে নিতে হবে, যাতে সামান্য গ্রিন টিন্ট আছে। এতে ত্বকের লালচে ভাব অনেকটা কমে যাবে। এরপর ফাউন্ডেশন লাগাও। তবে মেকআপ করার সময় এমন ফাউন্ডেশন নেবে, যা স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই হবে। কখনোই নিজের কমপ্লিকশনের থেকে হালকা শেডের ফাউন্ডেশন নেবে না।

এরপর কনসিলারের পালা। কনসিলার সব সময় স্কিনটোনের থেকে হালকা শেডের নেবে। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল অংশে কনসিলার লাগিয়ে মেকআপ ব্রাশ অথবা স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নেবে। খেয়াল রাখবে, কনসিলার যেন স্কিনের সঙ্গে সমানভাবে মিশে যায়। কনসিলার যাতে অনেকটা সময় থাকে, তার জন্য পাউডার ব্রাশ দিয়ে চোখের নিচের অংশে কনসিলার লাগানোর পর কমপ্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে নেবে। এতে চোখের নিচের ফোলাভাব অনেকটা কম দেখাবে এবং কনসিলারও অনেকক্ষণ থাকবে। এরপর পুরো মুখে কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নেবে।

দিনের বেলা বাইরে বেরলে খুব ডার্ক আইশ্যাডো না লাগানোই ভালো। হালকা পিচ, পিঙ্ক অথবা ব্রাউন আইশ্যাডো ভালো লাগবে। আইশ্যাডো লাগানোর পর চোখের কোনার অংশে সাদা অথবা বেজ আইশ্যাডো লাগিয়ে নেবে। এর সঙ্গে সরু করে আইলাইনার পরতে পারো। মাসকারা অবশ্যই লাগাবে। এতে চোখ উজ্জ্বল ও বড় দেখতে লাগে। ডার্ক সার্কেলের সমস্যা আড়াল করতে হাইলাইটার খুবই কার্যকর। চিকবোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগিয়ে নেবে। এতে ডার্ক সার্কলের সমস্যাও চোখে পড়বে না এবং গ্ল্যামারাস দেখাবে।

সবশেষে কমপ্লিট লুকের জন্য চাই লিপস্টিকের টাচ। দিনের বেলা বের হলে লিপস্টিকের হালকা শেড ব্যবহার করতে পারো। রাতে ডার্ক শেড চলতেই পারে। তবে কী রঙের পোশাক পরছ, সেদিকে একটু খেয়াল রাখবে। মেকআপ ছাড়াও ডার্ক সার্কলের সমস্যা দূর করতে নিয়ম করে ত্বকের একটু যত্ন নিতে হবে। দিনের বেলায় বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবে। চোখের পাতায়ও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবে না। কারণ, চোখের চারপাশের অংশ খুবই সেনসিটিভ হয়, তাই এই অংশের ত্বক সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সহজেই ট্যানও পড়ে যায়

০ মন্তব্য করো
0

You may also like

তোমার মন্তব্য লেখো

20 + 7 =