রোদসী ডেস্ক
প্রতিটি নারীর জীবনে প্রেগনেন্সির সময়টা খুবই সংবেদনশীল। এই সময় অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কি করবো আর কিই বা করবো না। নানা রকম প্রশ্নের দ্বীধায় কাটে অনেকটা সময়। তবে যেকোন কিছুই এসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। তবে যারা বাবা হচ্ছেন তাদেরও কারও কারও জানা থাকে না এসময় যৌনমিলন আসলেই সম্ভব কিনা। ছোট ছোট জানার ভুলের কারণে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে দেখা নেয়া যাক গাইনোকোলজিস্টের মতামত-
আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনিকলজিস্টস-এর মতে,
প্রেগনেন্সির সময়ে যৌনমিলন এমনিতে নিরাপদ, যদি না এর কোনও বিপরীত প্রতিক্রিয়া সেই যুগলের উপর দেখা যায়। একজন প্রেগনেন্ট নারীর ইন্টারকোর্স এড়িয়ে চলা উচিত যদি তার আগে প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি হয়ে থাকে। যদি তার সার্ভিক্সে কোনও সমস্যা থাকে বা এর আগে অ্যাবরশন হয়ে গিয়ে থাকে, ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা স্পটিংয়ের সমস্যায় ভোগেন—তাহলেও ইন্টারকোর্স এড়িয়ে চলতে হবে।
অনেকেরই প্লাসেন্টা প্রাভিয়া বলে একটি অসুখ হয়। এতে প্লাসেন্টা জরায়ুর মুখ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড লিক করতে থাকে। তবে এই সমস্যাগুলোর কোনওটাই যদি না থাকে, তাহলে প্রেগনেন্সির সময়েও যৌনমিলন করা সম্ভব হবে। ডেলিভারির দু’সপ্তাহ আগে পর্যন্ত পার্টনারের সঙ্গে মিলিত হতে পারো। তবে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে অবশ্যই। আর কিছু বিষয়ে সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। হবু মায়ের তলপেটে যেন কোনওভাবেই চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
সন্তান জন্মের তিন সপ্তাহ পরে আবার ইন্টারকোর্স শুরু করা যেতে পারে। তবে যদি সিজ়ারিয়ান সার্জারি হয় বা এপিসিয়োটোমি (পেরিনিয়াম কেটে আবার স্টিচ করা) হয়, তাহলে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ওই বিশেষ জায়গায় যাতে চাপ না পড়ে, তার জন্য কয়েটাল পজ়িশন একটু বদলাতে হতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর স্বাচ্ছন্দ্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতস্থান পুরো শুকিয়ে গেলে তারপরেই ইন্টারকোর্স করা ভাল। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো শুধুমাত্র স্ত্রীর নয় স্বামীরও নজর দিতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত