বইমেলার বই – স্টোরিজ অফ ইয়োর লাইফ এন্ড আদার্স (সাই-ফাই গল্প সংকলন)

করেছে Wazedur Rahman

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে সাই-ফাই জনরার ভিন্ন স্বাদের কিছু গল্প নিয়ে এক সংকলনের কথা।

সাইন্স ফিকশন বা সাই-ফাই জনরা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় ধারা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলা হয় যাকে। বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সূত্রের সাহায্যে কাল্পনিক গল্পের আবহ তৈরি করে পাঠকদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বিস্তার ঘটানোই মূলত এই ধারার মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় এই জনরাটি সম্প্রতিকালে আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর সেটা নেটফ্লিক্সের ব্ল্যাকমিরর সিরিজের জনপ্রিয়তাই বলে দেয়।

তবে সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের দেশে সাইন্স ফিকশন বা সাই-ফাই জনরা খুব বেশি একটা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারেনি। যেখানে মারশিয়ান বইতে মঙ্গলে আটকা পড়ে প্রধান চরিত্র সেখানে আমাদের চিন্তাধারা এখনো গৎবাঁধা সেই আদিকালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেই আটকে আছে। আর এরকম গৎবাঁধা চিন্তাধারা থেকে পাঠকদের মুক্তি দিতে তিনজন জনপ্রিয় তরুণ অনুবাদক আফসার ব্রাদার্সের ব্যানারের মেলায় নিয়ে এলো স্টোরিজ অফ ইয়োর লাইফ এন্ড আদার্স বইটি।

বর্তমান সময়ের কল্পবিজ্ঞান পাঠকেরা যেকজন নতুন লেখকের নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন টেড শিয়াং। লেখালেখির জন্য অসংখ্য পুরষ্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এই সংকলনটি তারই কিছু উপন্যাসিকা আর গল্প নিয়ে। ভিনগ্রহের প্রাণীদের সাথে প্রথম যোগাযোগটা হবে কোন ভাষায়? আর সেই যোগাযোগ যদি বদলে দেয় সময় সম্পর্কে আপনার সমন্বিত ধারণা? মহাবিশ্বে কি আসলেও মানুষ বাদে অন্য কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই? আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না, নাকি তারা ইচ্ছেকৃতভাবে যোগাযোগ করছে না? 

কেমন হবে যদি আপনি বুঝতে পারেন যে গণিতের প্রায় সকল সূত্রই অসঙ্গত? কেমন হবে যদি বিজ্ঞানের একটি শাখার মাধ্যমে জড়বস্তুর নাম দিয়ে তাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করা যায়? কেমন হবে যদি মস্তিষ্কের অদ্ভুত একটি চিকিৎসার ফলে আপনি হয়ে ওঠেন অনেক বুদ্ধিমান? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবেন টেড শিয়াংয়ের গল্পগুলোতে। ঠিক উত্তরও পাবেন না, তবে নতুন করে চিন্তা করতে শিখবেন। দেরী করছেন কেন? পড়া শুরু করুন, স্টোরিস অফ ইয়োর লাইফ… অ্যান্ড আদার্স। সাথেও এও জেনে রাখুন, অস্কারজয়ী এরাইভ্যাল মুভিটা কিন্তু এই গল্পটা থেকেই নেয়া।

বই: স্টোরিজ অফ ইয়োর লাইফ এন্ড আদার্স ।। লেখক: টেড শিয়াং ।। অনুবাদক: তানজীম রহমান । সালমান হক । লুৎফুল কায়সার
প্রকাশনী: আফসার ব্রাদার্স ।। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩২ ।। মলাট মূল্য: ৩২০ টাকা

 

লেখা ও ছবিসূত্র: রোদসী ডেস্ক 

 

০ মন্তব্য করো
0

You may also like

তোমার মন্তব্য লেখো

20 − 8 =