রোদসী ডেস্ক
বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। অজান্তেই জীবনসঙ্গীর শরীরে থাকতে পারে নানা রোগের জীবানু। ফলে বিয়ের পরে নিজের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি অনাগত সন্তান থাকবে হুমকির মুখে। তাই বিয়ের আগেই পাত্র-পাত্রীর দুজনেরই কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো। সংকোচ নয় সচেতনায় সুস্থ থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
শুক্রাণু পরীক্ষা
বিবাহিত জীবনে প্রায় সব দম্পতিরই সন্তানের প্রয়োজন হয়। কখনো একটি সন্তান কখনো একাধিক। তবে সন্তান ধারণে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি বিয়ের আগেই জেনে নেয়া ভালো। এক্ষেত্রে শুক্রাণু পরীক্ষাটি করিয়ে নিলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া পুরুষের বীর্যপাতজনিত বা পুরুষাঙ্গে কোনো সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে বিয়ের আগেই চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে।
গাইনোকলজিক্যাল পরীক্ষা
নারীর শরীরে বিশেষ করে জরায়ু, ইউরেটাস, ব্রেস্ট পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এই অঙ্গগুলোর কোন সমস্যা থাকলে পরে সন্তান জন্মদানে ঝুঁকি। তাই বিয়ের আগেই এই পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিতে হবে।
ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা
বর কনের অবশ্যই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে বøাড গ্রæপ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ সন্তানের পরবর্তী জীবনে বাবা মায়ের নেগেটিভ ও পজিটিভ বøাড গ্রæপের প্রভাব ফেলে। ঘটতে পারে বিপত্তি। এই আশঙ্কা আরো বেড়ে যায় দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময়। গর্ভেই সন্তান মারা যাওয়া, জন্মের পর জন্ডিস হওয়া এমনকি মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হতে পারে। যদিও এখন সন্তান জন্মানোর সময় মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে। তাই বিয়ের আগেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
হেপাটাইটিস পরীক্ষা
বিয়ের আগেই হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ঠিক আছে কিনা এ বিষয়টি জেনে নিতে হবে। তা না হলে সংক্রমিত হয়ে স্বামী ও সন্তানের শরীরে যেতে পারে। তাই পাত্রীর বিয়ের আগেই হেপাটাইটিস এ ও বি ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত।
কিডনি পরীক্ষা
কিডনিতে ইউরিয়ার পরিমান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ ইউরিয়া বেশি থাকলে সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইউরিয়া পরীক্ষা করি নিয়ে হবে যে কিডনিতে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা।
থাইরয়েড পরীক্ষা
সন্তান জন্মদানের সময় থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এছাড়া অ্যানিমিয়া আক্রান্ত পাত্রীরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই বিয়ের আগেই থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো।
সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর দাম্পত্য জীবনের জন্য বিয়ের আগেই এই জরুরী স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেয়া উচিত।