বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

করেছে Shaila Hasan

‘কুড়িতে বুড়ি’- এই টার্মটির সাথে পরিচিত নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কথাটি শুনতে হাস্যকর মনে হলেও, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সাথে সাথে এইসময় ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু এজিং সাইন দেখা যায়, যা বেশ বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে। যদিও বর্তমানে মানুষ এখন অনেক সচেতন। ভাল জীবনধারা এবং ত্বকের যত্নের অভ্যাস এই বয়স থেকেই অনুশীলন করার মাধ্যমে অকালে ত্বকে পড়া এই বার্ধক্য কমিয়ে এনে আগামী বছরগুলোতে হয়ে উঠতে পারবে ঝলমলে। আর এইসব আয়োজন নিয়েই হাজির হয়েছি আমি শায়লা জাহান। 

অনেক কিছুই আমাদের ত্বকের বয়স বাড়াতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তার মধ্যে কিছু বিষয়ে আমাদের কিছুই করার থাকেনা, আর কিছু বিষয়কে আমরা প্রভাবিত করতে পারি। প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের সকলেরই ধীরে ধীরে বয়স বেড়েই যায়। বয়স বাড়ার সাথে মুখের আগের সেই তারুন্যতা, লাবন্যতা হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু অকাল বার্ধক্য হল যখন বার্ধক্যের সাধারণ প্রভাবগুলো তাড়াতাড়ি ঘটে। এতে তোমার শরীর প্রকৃত বয়সের চেয়ে বড় দেখায়। বলিরেখা, বয়সের দাগ, শুষ্কতা, চুল পড়া বা পাকা চুল ইত্যাদি অকাল বার্ধক্যের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এই অবস্থাটি সময়ের আগেই এবং দ্রুত ঘটে থাকে। এর পেছনে জড়িয়ে আছে পরিবেশগত এবং জীবনধারা ব্যবস্থার কারণ। কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই অবস্থাকে রোধ করতে পারি।

অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধের উপায়

বয়সের আগেই যদি ত্বকে এজিং সাইনের দেখা মেলে, তা নির্দেশ দেয় যে কিছু কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করার এবং নিজের যত্ন নেয়ার এখনই সময়। এইক্ষেত্রে নীচের কিছু সহজ টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে, যা একে থামাতে এবং আরও খারাপ হওয়া থেকে রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

-সূর্য আমাদের ত্বকের অকালে বার্ধক্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে। কোথাও অবকাশ যাপনে যাওয়া হোক কিংবা কাজে বের হতে হোক, সূর্য থেকে সুরক্ষা পাওয়া অপরিহার্য। চোখকে ঢাকার জন্য ইউভি সুরক্ষা সহ সানগ্লাস পরিধান করা যেতে পারে। পাশাপাশি কাপড় দ্বারা অনাবৃত শরীরের অংশগুলোতে ভাল করে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।

-অভ্যাসবশত আমরা কিছু কিছু মুখের অভিব্যক্তি করে থাকি যা অজ্ঞনতাবশত আমরা বারংবার করে থাকি। এমন অভ্যাস থাকলে তা এখনই এড়িয়ে চলতে হবে। এইধরনের মুখের অভিব্যক্তি অন্তর্নিহিত পেশীগুলোকে সংকুচিত করে এবং তা পুনরাবৃত্তি করার জন্য লাইনগুলো স্থায়ী হয়ে যায়।

-স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যচার্ট অনুসরণ করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়া এই ধরনের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। চিনি বা অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যও এই অকাল বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

-পরিমিত ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও এটি ত্বককে আরও তারুন্যময় এনে দিতে পারে।

-ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ময়লা, মেকআপ, ঘাম এবং অন্যান্য পদার্থ দূর করতে প্রতিদিন নিয়ম করে স্কিন ক্লিন রাখা মাস্ট। সুগন্ধি বা উচ্চ পিএইচ যুক্ত কঠোর ত্বকের পণ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। শুষ্কতা দূর করতে ত্বকে প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করতে হবে।

-রাতারাতি ত্বক ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর ভাইরাল প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও এন্টি এজিং এর কোন কিছু ব্যবহার করতে চাইলেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া না ব্যবহার করাই উত্তম।

-জীবন থেকে স্ট্রেস লেভেল কমাতে হবে। যে স্ট্রেস কমাতে ব্যর্থ হবে তার জন্য স্বাস্থ্যকর স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল যেমন ধ্যান বা ব্যায়ামের অনুসন্ধান করো।

০ মন্তব্য করো
0

You may also like

তোমার মন্তব্য লেখো

7 − seven =