তার সম্পর্কে বলা হয়, সঠিক সময়ে, সঠিক দেশে, সঠিক মেধা নিয়ে জন্মেছিলেন। বলা হচ্ছে, ফ্যাশন ডিজাইনার মেরি কোয়ান্টের কথা। যিনি ফ্যাশনের দুনিয়ায় যোগ করেছিলেন নতুন মাত্রা। বদলে দিয়েছিলেন, পোশাকের ধরণ। পোশাকে নতুনত্ব যোগ করে, জয় করে নিয়েছিলেন নতুন প্রজন্মের মন।
মেরি কোয়ান্ট লন্ডনের চেলসি কিংস রোড়ে ‘বাজার’ নামে একটি বুটিকস হাউস পরিচালনা করতেন। বুটিকস হাউসের পোশাকগুলো ছিল তার নিজের ডিজাইনের। সেই কাজের ধারাবাহিকতায়, ৬০-এর দশকে মিনি স্কার্ট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন তিনি। এটি প্রথমত আঞ্চলিক ফ্যাশন হিসেবে পরিচিতি পায়, পরে অন্যতম আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে পরিণত হয়।

১৯৬৫ সাল : ফ্যাশন ডিজাইনার মেরি কোয়ান্ট ও তার বর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। (Photo by Keystone/Getty Images)
ওয়াইড লেগড টাউজার এবং স্যুটের ডিজাইনও করেছিলেন মেরি কোয়ান্ট। পোশাকে বিভিন্ন রংয়ের ব্যবহার করে নন্দিত একজন হয়ে ওঠেন।
ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের পোশাক ডিজাইনের অর্ডার পেয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ফ্যাশনে ডিজাইনে অবদান রেখে অর্জন করেছিলেন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা।
তার অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে, ইংল্যান্ডের সম্মানসূচক পদক রয়াল ডিজাইনার ফর ইন্ডাসট্রি (আরডিই) পুরস্কার । এই পুরস্কারপ্রাপ্তরা তাদের নামের আগে আরডিই লিখতে পারতেন। মেরি কোয়ান্টের আরও অর্জনের মধ্যে রয়েছে, ডিবিই, এফসিএসডি পুরস্কার।
পোশাকের পাশাপাশি জুতা ও ফার্নিচার ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি । মেরি কোয়ান্ট ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ফ্যাশন সচেতন। জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন অ্যালেকজান্ডার পোল্যান্ডকে। দুজন মিলেই শুরু করেছিলেন বুটিকস’র দোকান।
ব্যক্তি জীবনে মেরি কোয়ান্ট এক সন্তানের জননী। ‘আপনি কখন থেকে সুখী?’ এমন প্রশ্নের জবাবে মেরি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি আমার সন্তান হবার পর থেকে সুখী’। মেরি কোয়ান্ট সর্বোচ্চ শক্তি মানতেন সৃষ্টিকর্তাকে।
বিখ্যাত উক্তি : “Fashion is not frivolous. It is a part of being alive today.” – Mary Quant
রক্ষণশীলতার জবাবে মিনি স্কার্ট
১৯৬৫ সালের ৩০ অক্টোবর, মিনি স্কার্ট সদৃশ একটি সাদা পোষাক পরিধান করেন তারকা ব্যক্তিত্ব জঁ শ্রিম্পটন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন কাপ কার্নিভালের প্রথম দিন, ডার্বি দিবসে এই পোশাক পরে তিনি সম্মুখে আসেন। এ সম্মন্ধে শ্রিম্পটনের ভাষ্য ছিলো, তিনি সমাজের রক্ষণশীলতা ভাঙার একটি সাহসিক প্রয়াস হিসেবে এই স্কার্ট পরিধান করেন। যদিও শ্রিম্পটনের ভাষ্য তখন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
উৎস : ভোগ, গার্ডিয়ান, উইকিপিডিয়া, গ্লোভারঅল.কম
লেখা : স্বরলিপি
রোদসী/আরএস
সংশ্লিষ্ট লেখা : গতানুগতিক নারী নন উইনফ্রে