ঝালে স্বাদ বাড়ে। তবে অতি ঝালে দেহের ক্ষতি। ত্বকও বুড়িয়ে যায়। শিশুদের বিপাকক্রিয়ায় বাধাগ্রস্থ করে বেশি। তাই অতিঝালের অভ্যাস ত্যাগ করা ভালো। এছাড়া অনাকাঙ্খিত কারণে তরকারিতে ঝালের পরিমান বেশি হয়ে গেলেও কমানোর উপায় রয়েছে।
অতিঝাল কমবে যেভাবে
রসনা বিলাসে অতিঝাল কমবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে রন্ধণশৈলীতে পরিবর্তন না এনেও রান্নার মাঝামাঝিতেই কৌশলগুলো প্রয়োগ করা যায়।
রান্নার মাঝে স্বাদ পরখ করার সময় ঝালের পরিমান বেশি হলে একটি কাঁচা পেঁপে কয়েকটি টুকরা করে তরকারির মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। এর কিছু সময় পেরিয়ে গেলে আবার পরখ করে দেখতে হবে তরকারির ঝাল কমেছে কী না। যদি না কমে কয়েকটুকরো ছেড়ে দিতে হবে। এভাবেই ঝাল কমে যাবে।
রান্নায় বেশি মরিচের গুঁড়া পড়ে গেলে পাতি লেবুর রস কমিয়ে দেবে অতিঝাল। রান্নার সময় অতিঝালের স্বাদ পেলেই একটি লেবু দুভাগ করে চেপে রস ঝরিয়ে তরকারিতে মিশিয়ে দিতে হবে। ঝাল কমানোর পাশাপাশি লেবুর সুগন্ধিও যুক্ত হবে।
অতিঝালে আলু হতে পারে উত্তম সমাধান। তরকারি বা মাংসের ঝোলে ঝাল বেশি হয়ে গেলে কাঁচা আলু ফালি করে কেটে ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিবে। কয়েক টুকরো আলু ঝাল কমিয়ে দেবে অনেকটাই। তবে কিছুক্ষণ পর কাঁচা আলুর টুকরোগুলো তুলে নিতে হবে।
টক দই মাংসের ঝাল কমিয়ে দিতে পারে নিমিষেই। ঝাল বেশি হয়ে গেলেই সামান্য ফেটিয়ে ঝোলের মধ্যে দই ঢেলে দিয়ে মাংস আরো কিছু সময় ফুটিয়ে নিলেই ঝাল কমে যাবে।
তরকারিতে অল্প পরিমাণে সয়াসস দিলেও ঝাল কমে যায়। তবে রান্নার স্বাদ বুঝে সয়াসসের ব্যবহার করা ভালো।
লেখা : রোদসী ডেস্ক