রোদসী ডেস্ক : যদি ভাবো, নিজে জ্বলে পুড়ে বাড়িতে বিদ্যুতের যোগান দিয়েই কয়লার গুণের খতিয়ান খতম, তা হলে কিন্তু বেজায় ভুল ভাবছো। রূপ-লাবণ্য ধরে রাখতেও কয়লার জুড়ি মেলা ভার।
কোনও এক সময় রূপচর্চার বাজারে কয়লার হেব্বি দর ছিল। মাঝের সময়ে এটা-ওটা-সেটার দাপটে কয়লা ব্যাক বেঞ্চার হয়ে গেলেও নিজ ক্যারিশমাতেই আবার সে সামনের সারিতে চলে এসেছে। এক গাদা কেমিক্যাল প্রোডাক্টের মিথ্যে দাপটে যদি তোমার ত্বক পালাবার পথ খোঁজে, তা হলে চোখ বন্ধ করে কয়লার শরণাপন্ন হও। এক মাস টানা চারকোল দেওয়া প্রোডাক্ট ব্যবহার করে দেখো, আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই চমকে যেতে বাধ্য।
নিজের ওজনের থেকে ১০০ থেকে ২০০ গুণ বেশি ওজনের ময়লা ত্বক থেকে শোষণ করতে পারে এক একটা চারকোল কণা। গায়ের দুর্গন্ধ তাড়াতেও ভারী কার্যকরী এটি। ব্রণের অব্যর্থ দাওয়াইও। সময় তো আটকানো যায় না, কিন্তু চারকোলের গুণে চামড়ায বয়সের ছাপ পড়ে না। কয়লার কণা অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের কোষের ক্ষতি আটকে দেয়। শরীর থেকে টক্সিন এবং ক্ষতিকর রাসয়ানিক পদার্থ দূর করে। ডাক্তার এবং রূপ বিশেষজ্ঞরা তাই আজকাল প্রায়শই এমন ক্রিম, ফেস ওয়াশ বা ফেস প্যাক ব্যবহার করতে বলেন, যাতে চারকোল থাকে। চারকোল চামড়ার কুঁচকে যাওয়া আটকে দেয়। বলিরেখা পড়তে দেয় না।
এই মুহূর্তে যে বিভিন্ন প্রোডাক্টে কয়লার দাপুটে উপস্থিতি, তার একটা খুদে তালিকা :
ফেসওয়াশ : এখন একটার পর একটা ফেসওয়াশে শুধুই চারকোলের ছড়াছড়ি। সব ধরনের ত্বকে অ্যাকনে আর পিগমেন্টেশন আটকাতে সবার পছন্দের লিস্টে এখন এক নম্বরে কয়লার কণা মেশানো ফেসওয়াশই।
টুথপেস্ট : টুথপেস্টে চারকোল থাকলে তোমার মাড়ি নিয়ে নিশ্চিত থাকো। দূর হবে দাঁতের হলদেটে ছাপও।
সাবান : স্নানের সময় নিয়মিত চারকোল দেওয়া সাবান ব্যবহার করো। ত্বকের বহু সমস্যা, র্যাশ বিনা আয়াসেই চলে যাবে। এমন কী দু্র্গন্ধের জন্য আর কারও নাক সিঁটকানিও সহ্য করতে হবে না।
তা হলে আর দেরি কেন? জীবনে নিয়ে এসো কয়লার ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’। এবং হয়ে উঠো আরও সুন্দর।
রোদসী/আরএস