২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী। দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে চতুর্থ পর্ব।
নোবেল প্রাইজের গোল্ড মেডেল।
১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া শুরু হয়। মার্কিন নাগরিক এলিনর অস্ট্রম প্রথম নারী যিনি পুরুষদের একচেটিয়া আধিপত্য খর্ব করে ২০০৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী তিনজন।
ফরাসি নাগরিকদের মধ্যে প্রথম নারী যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিনি হচ্ছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালের নোবেল পুরষ্কারে অর্থনীতিতে নোবেল পান মোট তিনজন। এস্থার দুফেলো, তার স্বামী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাইকেল ক্রেমার।
স্বামী এবং গবেষণা উপদেষ্টা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বাঙালিয়ানা সাজে এস্থার দুফেলো।
নোবেল পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি সম্পর্কে এস্থারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“সত্যি বলতে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। এত কম বয়সে নোবেল পাওয়া সম্ভব তা এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।”
নোবেল প্রাইজ নেয়ার মুহূর্তে।
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরষ্কার দেয়ার প্রথা চালু হবার পর থেকে এখন অবধি ৫২ জন নারী এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এস্থার দুফেলো তাদের একজন।
প্রাইজ নিয়ে এস্থার দুফেলো।
প্রাইজ নিয়ে সম্মানে ঝুঁকে পড়েন এস্থার দুফেলো।
পাঠকদের স্বার্থে নোবেল প্রাপ্তির পর এস্থারের বক্তব্যের ভিডিওটি দেয়া হলো –
চলবে…!!
লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ
ছবি: সংগ্রহীত