নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একটি অলাভজনক সংস্থা ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডাব্লিউইও)। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন। উদ্যোক্তা হয়ে যেমন দরকার ফেসবুক গ্রুপের মতো নানা প্ল্যাটফর্ম, তেমনি দরকার উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমও। যেটা নানা রকম দরকারি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছে এই সংগঠন।
উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট নাজমা মাসুদ বলেন, যখন নেট দুনিয়া এত সাড়া ফেলেনি, তখন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি উদ্যোক্তা হব। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। পরে দেখলাম নারীদের অনেক বাধা চলার পথে। কিন্তু তাদের মেধা আছে, আছে ইচ্ছা, আগ্রহও। তখন আমি ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’ তৈরির উদ্যোগ নিই। নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কারিগরি শিক্ষা এবং মানসিক শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব হয়, হচ্ছে। দেশ-বিদেশে নানা রকম মেলার আয়োজন করা হয় উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন থেকে। আমি সব সময় সর্বদা সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে চাই।
নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’। এবার বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে ১৩ মার্চ পূর্বাচল ক্লাবে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ডব্লিউইও’। সমাজের নানা স্তরে চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করা নারীদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’। এতে নারীদের সম্মান অনেকাংশে বেড়ে যায়। সম্মাননা পুরস্কার শুধু একটি বস্তুই নয়, এটা সামনে চলার পথের জাগরণের ক্যানভাসও।
লেখা: সুরাইয়া নাজনীন