সাংবাদিকের টাকা মেরে দিল পাগল!

করেছে Sabiha Zaman

হোসেন শহীদ মজনু 

আজ দুপুরে আমার ফেসবুক ইনবক্সে জুনিয়র এক সাংবাদিক ভাইয়ের কথোপকথন! পড়ে দেখুন; সচেতন হওয়ার সুযোগ মিলতে পারে! হুবহু তুলে ধরলাম।
: ভাই, কাল কাঁটাবন থেকে আসার সময় এক পাগল আমাকে জাদু করে ২৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছে! বাসায় আসার সময়।

– ki bolen! Kivabe?

: কাঁটাবন মার্কেট থেকে নিচে নামার পর ওই পাগলের সঙ্গে দেখা। জাস্ট প্রেসের অপজিটে। সে বলে, ভাত খাওয়ার টাকা দে। ১০ টাকা দিলাম। নিল না। বলল, খাব না। টাকা নেব না। জটাধারী পাগল। এরপর হেঁটে হেঁটে কিছুটা দূর গেল আমার সঙ্গে। বলে কে কে আছে। বাবা-মায়ের যত্ন করি কি না? পাগল দেখে ঘৃণা করিস না।

– Er por

: এরপর সোনালী ব্যাংকের ওখানে পাগলটা বসে পড়ল। এরপর বলে রাস্তা থেকে এক চিমটি ধুলো নে। এক চিমটি ধুলো নিলাম।

– Eto natok! ER pore?

: ধুলো নেওয়ার পর তার হাতে দিলাম এবং ওই ধুলো আমার হাতে ফেরত দিল। ফুটপাতের ধুলো! এরপর বলে; এই পাগলকে বিশ্বাস করলে ধুলোটা মুখে দে। আমি ফুটপাতের ধুলোটা মুখে দিলাম। দেখি ধুলো না। মিষ্টি! চিনির মতো ধুলোগুলো গলে গেল! নিজের হাত, চোখকে অবিশ্বাস করি কেমনে?

– Ki bolen?

: এরপর বললাম; ধুলো তো মিষ্টি লাগে! বলল, সুবহানাল্লাহ বল।
এরপর বলল এক টুকরো খোয়া নে। এক টুকরো খোয়া নিলাম। খোয়াটা তার হাতে দিলাম। বলল এটা কী, আমি বললাম খোয়া। বলল, হৃদয় দিয়ে দেখলে কী? আমি বললাম; মাটি। বলল; এই পাগল যদি তোকে খেতে বলে খাবি? আমি বললাম; খাব।
এরপর ওই ইটের টুকরো আমার হাতে দিয়ে বলল, মুখে দে। মুখে দেওয়ার পর দেখলাম; ওইটা লাল আঙুর হয়ে গেল! বলল গিলে ফেল, খেয়ে ফেল। খেলাম।
এরপর বলে যে; তোর এই পাগল বাবাকে একটা সাদা কাপড় কিনে দিবি? কাফনের কাপড়। বললাম নেন। বলল; কয় টাকা আছে? দিলাম খুচরো টাকাগুলো। বলে, আর নাই? বললাম, আর নাই! সে বলল; তোর কাছে আরও টাকা আছে। কত টাকা আছে জানি। আমি বললাম; গুনি নাই। বলে, ২৭ হাজার টাকা আছে।
এরপর বলে টাকাগুলো সব আমার হাতে দে। দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পর টাকাগুলো মুঠোর মধ্যে নিল। এরপর আমার চোখের সামনে ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। বলল, বাসায় চলে যা। পেছনে তাকাবি না। বাসায় গিয়ে যদি দেখিস বেশি টাকা, তাহলে কিছু টাকা গরিব মিসকিনকে দিবি।
এ সময় দেখলাম; পাগলের হাতে চারটা আংটি ছিল! ওখান থেকে একটা আংটি আমাকে দিল।
আমি বললাম; সব টাকা তো দিয়ে দিলাম। গাড়ি ভাড়া তো নেই। তখন পকেট থেকে ১০ টাকা ফেরত দিল। সেই ১০ টাকা; কোঁচকানো ছিল। যে টাকা আমি তাকে দিয়েছিলাম! কিন্তু ফেরত দিয়েছিল আমাকে!
এখন প্রশ্ন হলো আমার ফেরত দেওয়া ১০ টাকা তার পকেটে গেল কী করে?

– Eto miracle!

: এরপর বাসায় গিয়ে ব্যাগ খুলে দেখি খুচরো টাকাগুলো ১০০ টাকা, ২০ টাকা, ১০ টাকা ঠিকই আছে! ইব্রাহিম ভাইয়ের টাকাগুলো নেই! আপনি ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন সেটাও নেই! গব মিলিয়ে মিরাকল পাগল ২৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছে! আর আমার হাতে সম্বল এখন একটা আংটি।

– Bah! Angti hate vaggo khulbe!

: কী জানি? আংটিতে তো বিশ্বাস করি না। তবে বলেছে দুনিয়ার কাউকে আংটি দিবি না। একমাত্র তোর মা চাইলে দিতে পারবি।

– wait and see, hipnotism kina?

: ভাই আমার সেন্স কিন্তু শতভাগ ছিল। ফুটপাতের ধুলো যখন খাওয়ার সময় মিষ্টি লাগে, ইটের টুকরো যখন চেরি ফল হয়ে যায়। তখন পাগলকে অবিশ্বাস করি কেমনে? আর সব তো আমার হাতে! দুই-এক হাজার টাকা হলে অসুবিধা ছিল না; কতগুলো টাকা?

– Setai

: ভাই ওই পাগলকে দেখলে চিনতে পারব। আশপাশের সিসি ক্যামেরা থাকলেও লোকেট করা যাবে। পেলে এমন মাইর দেব!
এবার সাংবাদিক ছোট ভাইয়ের কাছে বললাম; নাম-পরিচয় ঊহ্য রেখে পুরো গল্পটা স্ট্যাটাস আকারে ফেসবুকে দিয়ে দিই?
সে বলল দেন; মানুষ সচেতন হবে।

এরপর দেখেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর কী হলো!

Monoj Dey

গল্প হিসেবে দারুণ। কিন্তু বাস্তবে কতটুকু সম্ভব?

Mozaffor Hossain

Dosto, erokom ghotona amar 1999 te ghotechea. Really Miracle. Till I can’t believe. And after some time I did not find that Paghol!

Taslima Akter

সাংবাদিকও এত মগা হয়?

আবুল হাসান হৃদয়
গল্প পড়ে আমার চোখের সামনে আলমগীরের মুখখান ভাসছে কেন ভাই?

Masum Awal

বাসায় গিয়ে বেশি টাকা দেখার ইচ্ছেটা হজম করলেই হতো ভাই। ইশরে এত্তগুলা টাকা!

Ujjala Sarkar

একদম

Sami Rizvy

Bhai Ei da kono kotha…!!!

Fatima Tamanna

গল্পটা কিন্তু চমৎকার। মজা পেলাম!

Zafor Ahmad

সাংবাদিকের খাতায় নাম লেখাল কীভাবে? এবং এখনো সে সাংবাদিক পরিচয় দেয়?

Hossain Shohid Majnu

চৈতন্যের মাঝেও অবচেতন কাজ করে! বর্ণনাটা চৈতন্যে পাওয়া, কাজটা করেছেন নিঃসন্দেহে অবচৈতন্যে! সম্মোহনী শক্তির ভয়াল থাবায় পড়লে বুঝতেন; সেই ঘোর লাগায় অন্যের ক্রীড়নক হওয়া ছাড়া কারও বিকল্প থাকে না! আবারও বলি, এ ঘটনায় পতিত হওয়া বা আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে পেশা মুখ্য তো নয়…See More

Kamrunnahar Amy

ইয়াল্লা!! ধুলো খেয়ে গলে গেল!!!

Mk Jabed

সচেতন না হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ ধোঁকা ও প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। এটি আমাদের সমাজের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা…!

লেখক: কবি ও গল্পকার, বার্তা সম্পাদক; দৈনিক যুগান্তর

ছবি: সংগৃহীত। 

০ মন্তব্য করো
0

You may also like

তোমার মন্তব্য লেখো

one × four =