রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
লেখক

Rubayea Binte Masud Bashory

Rubayea Binte Masud Bashory

তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

‘নিজের অধিকার নিজে বুঝে নাও’

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory মার্চ ৩, ২০২২

 

নারী জাগরণ মানেই হলো নিজের অধিকার নিজেকে বুঝে নেওয়া। আগে বুঝতে হবে আমার অধিকারটা কী? তারপর আসবে মূল্যায়নের জায়গা। নিজের জায়গাটি শক্ত করতে না পারলে কেউ সেই মূল্যায়নটা দিতে আসবে না। তাই সেই জায়গাটিও নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। সেটা ঘরে হোক আর বাইরে। বললেন আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যান্ড রিসার্চের কনসালট্যান্ট তাসনিম করিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুরাইয়া নাজনীন

জীবনের শুরুটা কীভাবে?

তাসনিম করিম : আমার বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তবে বাবা ব্যাংকার হওয়ায় পরিবারের সাথে বিভিন্ন জায়গাতেই থাকতে হয়েছে। ঢাকাতেই আমার পড়াশোনা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ থেকে এম বি এ শেষ করি। তখনকার সময়ে আই বি এ তে নারীর সংখ্যা তেমন চোখে পড়ার মতো ছিলো না। পড়াশোনার মাঝেই আমার বিয়ে হয়। এম বি এ শেষ করে আমি লন্ডনে যাই, আমার হাজবেন্ড তখন সেখানে এম আর সি পি করছেন। সেখানে গিয়ে আমি কো-অপারটিভ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর উপর পড়ালেখা করি। পড়ালেখা শেষে আমরা দুজনেই দেশে ফিরে আসি এবং চট্টগ্রাম স্যাটেল করি। আমি কিছুদিনের জন্য ইস্পাহানিতে জয়েন করি। এর পর তৎকালীন রেকিট এন্ড কোলম্যান এ ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করি। মার্কেটিং শেখার শুরুটা মূলত রেকিট থেকেই। এর পর লিভার ব্রাদার্স এ মার্কেট রিসার্চ ম্যানেজার এ জয়েন করি। লিভার ব্রাদার্স এ আমার প্রচুর শেখার সুযোগ ছিলো। এরই মধ্যে লিভার ব্রাদার্স ঢাকায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলো। যেহেতু আমার মেয়ে বেশ ছোট ছিলো, আমি তখন ঢাকায় আসিনি। কারণ, আমার কাছে আমার ফ্যামিলি প্রায়োরিটি ছিলো। এরপর কিছুদিনের জন্য কানাডায় ছিলাম, আমার ছোট মেয়ে সেখানেই হয়। এই সময় আমার ক্যারিয়ারের প্রায় এক বছর গ্যাপ ছিলো। তারপর আবার দেশে ফেরা, আমার হাজবেন্ড নিজেই একটি অলাভজনক হাসপাতালের সাথে জড়িত ছিলো। ইনফ্যাক্ট পরিবারের সবাই জড়িত। এই প্রজেক্টটি একটি ডাচ্ ফান্ডের তত্বাবধানে চলছিলো। ওই সময়ে আমি এই প্রজেক্টার সাথে জড়িত হয়ে পড়ি। এই সময়টা আমার গ্রামের নারীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। তখনই আমি লক্ষ্য করেছিলাম গ্রামের নারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও নারীর ক্ষমতায়ন জাগ্রত হচ্ছিলো।

আবুল খায়ের গ্রুপে জয়েন করার গল্পটি জানতে চাই

তাসনিম করিম : আমি হসপিটালে কাজ করতে করতে আবুল খায়ের গ্রুপে কাজ করার সুযোগ আসে। যেহেতু আমার পক্ষে ফুলটাইম সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না, তাই আমি কনসালটেন্ট হিসেবে যোগদান করি। সেই শুরু তারপর আস্তে আস্তে দায়িত্ব বাড়তে থাকলো। পরে আমি ফুড ডিভিশনের ব্রান্ড এন্ড রিসার্চ (মার্কেটিং) এ দায়িত্ব পালন করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আবুল খায়ের গ্রুপ নারীবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান বলা চলে। যেটা না বললেই নয়, যখন আমি এখানে জয়েন করি তখন এই কোম্পানিতে আমি একাই নারী। সবকিছু সামলিয়ে কাজ এগিয়ে নেওয়াটা সহজ ছিলো না, যদি এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট আমাকে পুরোপুরি সাপোর্ট না করতো।

আপনি এই পর্যন্ত আসতে কতটা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে?

তাসনিম করিম: চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই ছিলো। একে তো নারী তার উপর আমি কাজ করেছিলাম মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। মাল্টিন্যাশনাল এবং দেশীয় কোম্পানির মধ্যে কাজের ধারা ভিন্ন। আমি বলবো দেশিয় কোম্পানিতে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। কিন্তুু নিজেকে একবার প্রুফ করতে পারলে আস্থা অর্জন করাটা অনেক সহজ।

কাজের ক্ষেত্রে জেন্ডার কি প্রভাব ফেলে?

তাসনিম করিম: কাজের ক্ষেত্রে আমি নিজে যদি ক্যাপাবল হই তাহলে জেন্ডার কোনো ব্যাপার নয়। ক্যারিয়ার করতে চাইলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। এখানে জরুরী বিষয়টা হলো নিজেকে প্রস্তুত করা এবং কনফিডেন্ট থাকা।

নারী জাগরণের সংঞ্জা কি আপনার কাছে?

তাসনিম করিম: নারীর নিজেকে বুঝতে হবে তার অধিকার। তারপর আসবে তার মূল্যায়নের জায়গা। সেজন্য নারীর নিজের প্রস্তুতি নিজেকেই নিতে হবে। এখানে কেউ তাকে এটা করে দিবে না। সে ঘরে হোক আর বাহিরে হোক।

ব্যালেন্সটা কতটুকু জরুরী?

তাসনিম করিম: আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট এখনো বলে, নারীদের জন্য ব্যালেন্স করাটা অত্যন্ত জরুরী। একটা পর্যায় সবার প্রধান প্রত্যাশার জায়গায় এটা হয়ে যায়, যে নারীকে কি কি দায়িত্ব নিতে হবে। বিয়ের আগে মেয়েদের দায়িত্ব তেমন কিছুই থাকে না। দায়িত্ব, ব্যালেন্স সবকিছু শুরু হয় বিয়ের পর থেকেই। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া। পুরো সংসারের দায়িত্ব একটু একটু করে বুঝে নেওয়া। তারপর আাসে সন্তান হওয়ার একটি চ্যাপ্টার। নারী জীবনের এই অধ্যায়গুলো একটি থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবকিছু ম্যানেজ করে চলতে পারাটাই একেক জনের গুণাবলী। প্রত্যেকটি সেক্টরেই প্রায়োরিটি সেট করে নিতে হবে। এখানে ব্যালেন্স করাটা খুবই জরুরী। আমি বার বার বলতে চাই আগে নিজেকে প্রস্তুত করো, ক্যাপাবল হও সবক্ষেত্রে।

নারীর জন্য সময়ের ফ্লেক্সিবিলিটি

তাসনিম করিম: মেয়েদের ক্ষেত্রে সময়ের ফ্লেক্সিবিলিটিটা বাড়লে তাদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি ভালো হয়। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান।

পারিবারিক সহযোগিতা

তাসনিম করিম: এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আমি বলবো। পারিবারিক সহযোগিতা না থাকলে একজন নারী শত মেধাবী হলেও সে কাজের জায়গাটা ধরে রাখতে পারে না। তাই পরিবার যদি নারীকে নারী হিসেবে না ভেবে একজন মানুষ হিসেবে তার প্রতি আন্তরিক হয় তবে নারীর উঠে আসাটা খুব সহজ।

নারীর প্রতি গৎবাধা দৃষ্টিভঙ্গির কি পরিবর্তন হয়েছে?

তাসনিম করিম: শহরগুলোতে অনেকটাই পরিবর্তন হতে দেখা যাচ্ছে। নারী নিজের কাজ নিজে করা শিখেছে। বড় বড় সমস্যা মোকাবেলা করার সাহসও অর্জন করছে নারীরা। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো পরিবর্তন দরকার। এই পরিবর্তনের সামিল সবাইকেই হতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

জীবনে কখনো শো অফ করিনি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory মার্চ ৩, ২০২২

রাইসিন গাজী। পাকিস্তানের পেশোয়ারে তার জন্ম। তখন অবশ্য দেশভাগ হয়নি। জীবনের অনেক কিছু তিনি তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে বন্দী করেছেন। মানবিক মানুষ হিসেবে রাইসিন গাজী বিবেকের কাছে অনেক হিসাব-নিকাশ এখনো মেলাতে পারেননি। তিনি পেশাগত জীবনে একজন শিক্ষক। তার গল্প উঠে এল রোদসীর নারী দিবস সংখ্যায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুরাইয়া নাজনীন

 

জীবন নিয়ে বলুন-

রাইসিন গাজী- তখন সময়টা ১৯৭৫ সাল। আমার পড়াশোনা ভারতেশ্বরী হোমস থেকে। আমি ওখান থেকেই এসএসসি পাস করি। তারপর কাজ আমাকে তাড়া করে ফেরে জীবনের প্রয়োজনে। আমি একটি এনজিওতে চাকরি নিই। তার দু-তিন বছরের মাথায় আমার সন্তান হলো। কিন্তু জীবনটা ঠিক থমকে গেল। শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে আমাকে কোনো সহযোগিতা করা হলো না। কিন্তু পড়াশোনাটা চালিয়ে গেলাম। আমার মেয়ের যখন ছয় বছর বয়স, তখন আমি আলাদা হয়ে গেলাম। ওই তখন থেকেই আমাদের একা পথচলা। আমি সে সময় নারায়ণগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিজের নাম লেখালাম। আমার বয়স তখন ২২ বছর। একা মেয়েকে নিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে আমাকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হলো। আমি হাঁপিয়ে উঠছিলাম। পরে ধানমন্ডিতে আমার বোনের বাসায় চলে গেলাম, আর ওখান থেকেই প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ গিয়ে শিক্ষকতা করতাম। তখন পরিবহন সুবিধা ততটা ভালো ছিল না। তাই আর ওটা নিয়মিত করতে পারিনি। কিন্তু ঘরে বসেই আমি শুরু করলাম স্টুডেন্ট পড়ানো। প্রচুর পরিমাণ স্টুডেন্ট হয়ে গেল কদিনেই। শুধু ইংলিশ পড়াতাম। যেহেতু আমার হাতেখড়ি পাকিস্তানের স্কুলে, তাই ইংরেজির উচ্চারণসহ সবকিছু খুব ভালো রপ্ত ছিল।

পাওয়া না পাওয়ার গল্পগুলো জানতে চাই

রাইসিন গাজী : আমি অতি ক্ষুদ্র একজন মানুষ। তবে কারও বিপদে আমি ঘুমিয়ে থেকেছি তেমন রেকর্ড নেই। এই যে যখন রোহিঙ্গা আসা শুরু হলো, তখন আমি একাই ছুটে গেছি দেখতে যে কী অবস্থা ওখানে। খুব সামান্য পরিমাণ সাহায্য নিয়ে গিয়েছিলাম। যেতেই তা নেই হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন হোটেলের লাউঞ্জে বসে ভাবছি কী করা যায়। ভাবতে ভাবতে একজন ফ্রেঞ্চ লেডি সেখানে এলেন। হাসি দিয়ে আমার সঙ্গে মতবিনিময় হলো। দু-একটা কথা বলতে বলতে তিনি বললেন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন? আমি খুবই অবাক হই। বললাম কী করতে হবে? তিনি বললেন কিছুই না, আপনি দোভাষীর কাজ করবেন। আমি এদিক-ওদিক না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। অনেকটা দিন তাদের সঙ্গে কাজ করা হয়েছিল। আমাকে অনেক ইউরো মুদ্রায় সম্মানী দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় প্রয়োজনটা আমার থেকে রোহিঙ্গাদের বেশি ছিল, তাই পুরোটাই আমি ওদের দিয়ে আসি। এর থেকে আমি যে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি, কোটি টাকাতেও তার হিসাব করা যাবে না।

শুরুতে করোনার সময় নিয়ে কথা হচ্ছিল, সে সম্পর্কে জানতে চাই

রাইসিন গাজী : যখন করোনা বলে কোনো একটি মহামারি পুরো বিশ্বে ছেয়ে গেল, তখন সবাই আতঙ্কে। সুরক্ষাসামগ্রীগুলো গায়েব হতে থাকল বাজার থেকে। আমার চিন্তা সব সময়, মানুষের জন্য কিছু করব, আমার যা কিছু আছে তার থেকেই কিছু করতে হবে। আমি মাস্ক দেওয়া শুরু করলাম। প্রায় ৯০ হাজার পিস মাস্ক দিলাম, লেবার থেকে শুরু করে পুলিশ, পথচারী সবাইকে। তবে কয়েক দিন দেওয়ার পর লক্ষ্য করলাম ওদের খাবার দরকার। তখন চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, তেল দেওয়া শুরু করলাম। কয়েক দিন যাওয়ার পর আমিও কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। পরে শুধু চাল আর ডাল দিয়ে দীর্ঘদিন চালিয়েছি। আবার দেখলাম মানুষের বিপদের সীমা-পরিসীমা নেই। কারও কারও আর্থিক সহযোগিতা এত প্রয়োজন তাদের পাশে দাঁড়ালাম। দূরের নানা জেলা থেকে আমার কাছে এসেছে সাহায্যের জন্য। কয়েকটি পরিবারকে ভ্যান কিনে দিলাম। পরে দেখা গেল পুলিশে মেইন রাস্তায় ভ্যান চালাতে দিচ্ছে না। পরে আমি তাদের বললাম আপনারা আলু, পেঁয়াজের ব্যবসা করেন। তখন আবার টাকা দিলাম ব্যবসার জন্য, তারা একপর্যায়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো। একটা সময় বলল আমাদের আর সাহায্যের প্রয়োজন নেই। আমরা এখন চলতে পারি। এ কথা শুনে আমার মনটা প্রাপ্তিতে ভরে গেল।

ব্যক্তিগতভাবে আপনি অনেক সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন, করছেন কিন্তু কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হননি কেন?

রাইসিন গাজী : আমি যতটুকু করেছি, নিজের বিবেক থেকে করেছি। একজন মানুষ হিসেবে যতটুকু আমার দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে এবং হয় সেই জায়গা থেকেই আমি কাজ করি। জীবনে যত কাজ করেছি তার প্রমাণ কিংবা ছবি রাখা হলে তা আজ একটা ঘরে জায়গা ধরত না, কিন্তু আমি কোনো দিন কোনো ছবি তুলে রাখিনি। মানুষের পাশে দাঁড়ালে মনের যে আত্মতৃপ্তি, ওটাই আমি অনুভব করি আর ওটাই আমার সব থেকে পড় পাওয়া। সংগঠনের ব্যানারে কাজ করলে তখন আলাদা হিসাব-নিকাশ চলে আসে। কিন্তু ওসবে আমি কখনো যেতে চাইনি। আমার স্বল্প আয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি যতটুকু পারি, ততটুকুই আমার প্রাপ্তি। এখনো রাত-বিরাতে কারও কোনো প্রয়োজন হলে ঠিক আমার বাসাটাতেই সবাই নক করে। এটা আমার অর্জন বলে আমি মনে করি।

আপনার সন্তানকে নিয়ে অনেক যুদ্ধজীবন পার করতে হয়েছে, বলবেন কি কিছু তা নিয়ে?

রাইসিন গাজী : আমি মনে করি, আমার মেয়ে পৃথিবীর সেরা সন্তান। ও ঠিক আমার মতো করেই ভাবে। আমি ওকে নারী হিসেবে মানুষ করিনি, ওকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছি। ওর যতখানি ইচ্ছা ঠিক ততখানি আমি পূরণ করেছি। তবে ও আমাকে খুব বোঝে। আমার মেয়ের নাম মিনান। ওর গল্প বলতে গেলে হয়তো সময় ফুরাবে না। মিনান এখন একজন নারী স্কেটার। সে স্কেটিংয়ের ক্লাব পরিচালনা করে। অনেক ছোট ছোট শিশুকে স্কেটিং করা শেখায়। ছোট্ট একটি জুতা দিয়ে যে আকাশ ছোঁয়া যায়, মিনান তা প্রমাণ করেছে। আমাদের পরিবারে তিনজন সদস্য মিনান, আমি ও তার স্বামী। অনেক সহযোগী মানসিকতার মানুষ মিনানের স্বামী। আমরা যেকোনো কাজ করার আগে তিনজন মিলে মিটিং করি। তারপর সেটা খুব সুন্দর ও সহজভাবে তা পরিচালনা করি। এভাবেই জীবন চলছে তো বেশ।

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
কেনাকাটাজীবনযাত্রা

স্মৃতির স্বর্ণালি দিনগুলো

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory মার্চ ৩, ২০২২

সময়কে পেছনে ফেলে আমরা ক্রমেই ছুটে চলেছি। অতীতে আমরা ফেলে আসি সেই হাসি, কান্না, বন্ধন আর বিচ্ছেদের অসংখ্য স্মৃতি। মাঝেমধ্যে হঠাৎ কখনো এসে ধরা দেয় সেই অতীত মুহূর্তগুলো। টেনে আনে পেছনের সময়গুলোতে। সেই স্মৃতিকে রঙিন অবয়ব দিতে পারে ছবি। অ্যালবামের কোনায় কোনায় সেই স্মৃতিমাখা মুহূর্তের কথা মনে করে আবেগপ্রবণ হয়েছেন অনেকে। আবার সেই ছবি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কতই-না আফসোস করতে হয়েছে। জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো একটু সচেতন হলেই নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায়। এ জন্য ভালো মানের ডিজিটাল স্টুডিও থেকে ছবি প্রিন্ট করতে হবে। ছবি কতটুকু কাটতে হবে বা কীভাবে এডিট করতে হবে, সেটা আগে থেকেই বুঝিয়ে দিতে হবে। গ্লসি কাগজের চেয়ে ভালো মানের ম্যাট কাগজে প্রিন্ট করলে ছবি অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। এ ছাড়া অনেকে মেটাল প্রিন্টও করে থাকে। এতে দাম কিছুটা বেশি পড়ে। ঢাকার অনেক স্টুডিওতে আংশিক নষ্ট হয়ে যাওয়া ছবি ভালো করা যায়। এমনকি তারা সাদা-কালো ছবি রঙিন করে দিতে পারে। ছবি খোলা অবস্থায়, স্যাঁতসেঁতে স্থানে বা ধুলাবালির মধ্যে রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য ছবিকে বছরে অন্তত একবার হালকা রোদে রাখা ভালো। রুচি অনুযায়ী ছবি বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা যায়।

অ্যালবাম :

একসঙ্গে অনেক ছবি সংরক্ষণ করতে অ্যালবামের বিকল্প নেই। অ্যালবাম দুই ধরনের হয়Ñ পকেট এবং পেস্টিং। আজকাল পেস্টিং অ্যালবামের চাহিদাই বেশি। দামে কিছুটা বেশি হলেও এখানে নিজের মতো করে বিভিন্ন সাইজের ছবি সোজা বা বাঁকাভাবে বসিয়ে সাজানো যায়। তবে পেস্টিংয়ে একবার ছবি বসালে আর বদলানো ঠিক নয়। এতে ওপরের প্লাস্টিক পেপার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজাতে হবে। তবে পকেট অ্যালবামের সুবিধা হলো এখানে ছবি চাইলে পরিবর্তন করা যায়। তবে এখানে অ্যালবামে নির্ধারিত সাইজের ছবিই রাখা যায়।
ছবি ভালোভাবে শুকানোর পর অ্যালবামে রাখতে হবে। অ্যালবামটি এমন স্থানে রাখতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আসে এবং পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত থাকে। অ্যালবাম অবশ্যই পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। নিউমার্কেটের অ্যালবাম বিক্রেতা মো. সামছুল আলম বলেন, বিয়ে, জš§দিন, পিকনিক ইত্যাদি বিভিন্ন উৎসব অনুযায়ী অ্যালবাম কভারের ভিন্নতা রয়েছে। এ ছাড়া অনেক অ্যালবামে ওপেনিং টিউন সেট করা থাকে। নিউমার্কেটসহ যে কোনো গিফট শপে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের অ্যালবামটি।

Unique Wedding Photo Album Ideas That You Should Share With Your  Photographer! | Wedding Planning and Ideas | Wedding Blog

 

ফটোফ্রেম :

ছবি সংরক্ষণ করার জন্য ফটোফ্রেম অন্যতম একটি মাধ্যম। দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের ও সাইজের ফটোফ্রেম পাওয়া যায়। কোনোটা হয়তো দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে হয়, কোনোটা টেবিলে আবার কোনোটায় দুটি সুবিধাই আছে। আজকাল ফটোফ্রেমে একের অধিক ছবিও রাখা যায়। চাইলে নিজের পছন্দমতো ফ্রেমে ছবি বাঁধাই করেও রাখা যায়। এলিফ্যান্ট রোডের রাজু গ্লাস হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, ছবি বাঁধাই করতে চাইলে ভালো কাগজে ছবি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করতে হবে। ছবি কাচ দিয়ে বাঁধাই করাই ভালো।

Affordable frames for hanging art at home - Curbed

কম্পিউটারে ছবি সংরক্ষণ :

আধুনিক যুগে একসঙ্গে অনেক ছবি সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় কম্পিউটার। শেল্্টেক্্ সিয়েরার ডিজিটাল ফটোগ্রাফির ম্যানেজার মো. মোকসেদুল মোমিন জানান, কম্পিউটারে ছবি রাখতে চাইলে ছবি তোলার তারিখ, উপলক্ষ ও লোকেশনের নাম দিয়ে সংরক্ষণ করলে সহজেই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি কম্পিউটারে না রাখাই ভালো। কম্পিউটার মেরামত করার আগে সংরক্ষিত ছবিগুলো ডিস্ক করে নিতে হবে বা অন্য কোনো হার্ডডিস্কে ট্রান্সফার করতে হবে। এতে ছবি ডিলিট হয়ে গেলেও ভয় থাকবে না।

jAlbum 16.1 - Download for PC Free

ফটোবুক :

ছবির অ্যালবামের মতো হলেও ফটোবুকের বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রতিটি পাতায় বিভিন্ন আকারে ছবি চিরস্থায়ী অবস্থায় বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে প্রিন্ট করা থাকে। ফলে ছবিগুলো আর্দ্রতাবিরোধী এবং এর রং-ও নষ্ট হয় না। বিয়ে-জš§দিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি ক্যাটালগসহ ইচ্ছেমতো রাখা যায়। প্রিন্ট ছবি, পেনড্রাইভ, সিডি/ডিভিডি, মেমোরি কার্ড, নেগেটিভ থেকে ছবি ফটোবুকে প্রিন্ট করা যায়। সাধারণ একটি বুকে ২০০ থেকে ৩০০টি ছবি রাখা যায়। এখানে ছবি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

Photo Book Ideas - Find 30 Inspiring Ideas │Blurb Blog

লেখা : সুরাইয়া নাজনীন

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
স্বাস্থ্যহেঁসেল

প্রাকৃতিক খাবারে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory মার্চ ৩, ২০২২

মুখরোচক লাগলেই আমরা হুটহাট খাবার খেয়ে ফেলি। কিন্তু একটিবার ভাবি না ওই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কি না। এখন মহামারির এই সময়ে অনেকগুলো সচেতনতার মধ্যে প্রধান সচেতনতা হলো সঠিক খাবার খাওয়া। তবে এ-ও বিবেচনায় আনতে হবে কোন কোন খাবারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। সে বিষয়ে পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদÑ ফারজানা রহমান কান্তা

প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর খাবারগুলো-

রসুন :

রসুন যে শুধু খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করে তা নয়, বরং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ফলে সর্দি-কাশির হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়। ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ানাশক গুণ থাকে রসুনে।

জেনে নিন রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা কি

আদা :

ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় এ উপাদান। আদা আক্ষরিক অর্থেই একটি সুপারফুড। আদা ইনফ্লেমেশন কমায় ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি বমিভাব কমাতেও সাহায্য করে।

10 Benefits Of Ginger - Health Benefits Of Ginger

চিয়া বীজ :

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব বীজের তুলনায় চিয়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাওয়া যায়।

গ্রিন টি ও মাচা টি :

মাচা টি আসলে গ্রিন টির গুঁড়া। আবার কফির বিকল্পও বটে। ভিটামিন, মিনারেল, ট্রেস এলিমেন্ট, মুক্ত র‌্যাডিক্যালসমৃদ্ধ। গ্রিন টি ও মাচা টি সর্দি, কাশির সঙ্গে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

The association between green tea consumption and SARS-CoV-2 infection  among Japanese

ভিটামিন সি :

শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি মানবদেহের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

Foods High in Vitamin C: 15 Great Sources

আমলকী:

কয়েক শতাব্দীজুড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপাদান হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমলকী। এতে আছে ভিটামিন সির প্রাচুর্য, যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই শ্বেত রক্তকণিকা অসংখ্য জীবাণুর সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি আমলকী জোগায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

কমলা :

Navel Oranges and Ruby Red Grapefruit - Hale Groves, shipping fresh Florida  citr

এতেও আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জোর বাড়ায়। কোষকে সংক্রামক ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ইমিউন সেল’ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি।

পেয়ারা:

ভিটামিন সি তো আছেই, পাশাপাশি সর্বোচ্চ পুষ্টিকর ফলের তালিকায় প্রথম সারির সদস্য পেয়ারা। কমলায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তার থেকে চার গুণ বেশি থাকে পেয়ারায়।

হলুদ :

‘কারকিউমিন’ হলো হলুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর অস্ত্র। কারকিউমিন প্রদাহনাশক গুণসম্পন্ন। ভাইরাসের আক্রমণে শরীরে যে ক্ষতি হয়, তা আসলে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টিকারী ‘মলিকিউল’-এর কারণে হয়। আর সেই মলিকিউল ধ্বংস করাই হলো ‘কারকিউমিন’-এর কাজ। এ ছাড়া ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতিও কমায় এ উপাদান।

 

তুলসী :

ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তুলসী একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ। খালি পেটে দুই থেকে তিনটি সতেজ তুলসী পাতা খেতে পারলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।

What Is Tulsi Good For?

গোলমরিচ :

ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ উপাদানসমৃদ্ধ এ গোলমরিচ। আরও রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে প্রাকৃতিকভাবে তা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

প্রোটিন :

প্রোটিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বাড়ায়, রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এ মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখতে উন্নত মানের প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল থেকে পাওয়া যাবে প্রোটিন।

6 foods to make a part of your daily high-protein diet - Times of India

ভিটামিন বি১২ :

শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার ও ডিমে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি রয়েছে সামুদ্রিক মাছে, শাকসবজি, ডিমে। এ ছাড়া দিনের কিছুটা সময় রোদে কাটানো উচিত।

The Verdict on Getting Enough Vitamin D Through Food — Eat This Not That

জিঙ্ক :

শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। বাদাম, শিম, দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।

 

ফারজানা রহমান কান্তা

ফারজানা রহমান কান্তা
ডায়েট ও ওবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট
প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড
রিলিফ মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

হাই হিলে যত ক্ষতি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২

ফাশন সচেতন নারীদের হাই হিল বেশ পছন্দ। শরীরের গড়ন চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলে এই উঁচু জুতো। নিমিষেই স্টাইলিশ লুক এনে দেয় হাই হিল। পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকই হোক বাঙালির প্রিয় শাড়ীই হোক হাই হিলে আবেদনময়ী দেখায়। তবে নিয়মিত হাই হিল পরাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।

হাই হিল পরলে যা হয়

ফ্যাশনেবল আর ট্রেন্ডি দেখাতে হাই হিলের জুড়ি না থাকলেও এর কারণে শরীরের নানা ধরণের ক্ষতি হতে পারে।

High Heels Girls Profile Picture for facebook - Best Social Media Profiles
বেঁকে যেতে পারে মেরুদ-
প্রতিনিয়ত হাই হিল পরলে মেরুদ-ের আকৃতি পাল্টে বেঁকে যেতে পারে এমন একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত হাই হিল পরলে মেরুদ- ও নিতম্বের মাঝের জায়গাতে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় মেরুদ-, শ্রোণি ও পায়ের পেশিতে ব্যথা শুরু হয় এবং একসময় তা স্থায়ী হয়ে যায়।

রক্তনালী সংকোচন
হাই হিলের ধরণ সাধারণত একটু আঁটসাঁট ও চোখা আকৃতির হয়। আর এর কারণেই এটি দেখতে ফ্যাশনেবল মনে হয়। কিন্তু এটি দীর্ঘক্ষণ পায়ে থাকলে রক্তনালীগুলোতে রক্তপ্রবাহ অনেকাংশে কমে যায়। এর ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। অনেকক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির ফলে রক্তনালী ছিঁড়েও যেতে পারে!

হাঁটু ও পায়ের ভীষণ ক্ষতি হয়

নিয়মিত হাই হিল পরলে হাঁটুতে চাপ পড়ে। এক গবেষণায় জানা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার উঁচু হিলের জুতোতেই হাঁটুতে অন্তত ২৩ শতাংশ চাপ বেড়ে যায়। এতে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা হাড় ক্ষয় রোগ হতে পারে। কারণ উচ্চতা বাড়ার জন্য হাঁটার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতিও বদলে যায়। ফলে পা একদম সোজা থাকে। তাই হাঁটুতে প্রচুর চাপ পড়ে এবং জয়েন্ট পেইন শুরু হয়। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব অর্থোপেডিক সার্জন এর তথ্যমতে, এই জয়েন্ট পেইনই ধীরে ধীরে আর্থাইটিসে রূপ নেয়। হাই হিল পরলে হাঁটার সময় এটি পেলভিসকে প্রভাবিত করে ফলে কোমরের উপর প্রচুর চাপ পরে। যা পরবর্তীতে ব্যাকপেইনে রূপ নেয়। অনেক সময় এই ব্যাক পেইন আবার অস্টিপোরোসিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও হাই হিলের আকৃতি ও গঠন আলাদা হওয়ায় কয়েকদিন পরলেই পায়ের তলা অথবা গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে । গোড়ালির কাছের মাংসপেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে শরীরে অস্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যহীনতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

Understanding the dangers of high heels - NZ Herald

হাড়ের বড় ক্ষতি হয়
নিয়মিত হাই হিল পরার কারণে পায়ের হাড় নাজুক হয়ে যাওয়ায় চিড় ধরতে পারে, এমনকি কখনো কখনো তা ভেঙেও যেতে পারে।

ফোসকা পড়া
হাই হিল পরলে পায়ের চামড়ার সাথে হিলের ঘর্ষণ ও আঁটসাঁট হওয়ার ফলে কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই পায়ে ফোসকা পড়ে যেতে পারে। যেটি খুবই অস্বস্তিকর ও অনাকঙ্খিত।

পরামর্শ

International Dance Shoes | Heels | Take a look at our range of heels for  Ballroom & Latin Dance Shoes Online

হিলের উচ্চতা ২ ইঞ্চির মধ্যে রাখতে হবে। অল্প কয়েক ঘন্টার জন্য হিল জুতা পরতে হবে।
বেশি সরু হিল এড়িয়ে চলা ভালো। একটু চওড়া হিলের জুতা পড়লে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
জুতার ভেতর নরম ইনসোল ব্যবহার করুন, এতে হাঁটুতে চাপ কম পড়বে।
কাজের ফাঁকে বা বসে থাকার সময় জুতা খুলে রাখা ভালো। এসময় পায়ের হালকা ব্যায়াম করে নেয়াও ভালো।

সতর্কতা

Plantar Fasciitis: আপনার গোড়ালির ব্যথার কারণ 'প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস' নয়  তো? জেনে নিন
দীর্ঘদিন হাই হিল পরার অভ্যাসের কারণে প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস এবং একিলিস টেন্ডনাইটিস রোগ হয়। এছাড়াও মর্টন’স নিউরোমা নামের একটি স্নায়বিক রোগও হতে পারে! তাই হাই হিলের কারণে পায়ের ব্যথা স্থায়ী হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরী।

 

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

হঠাৎ প্রশোর কমে গলেে যা খতেে হবে

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবকি থাকা খুবই জরুর।ি তাই হঠাৎ রক্তচাপ অত্যধকি বড়েে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া স্বাস্থ্যরে জন্য অত্যন্ত ক্ষতকির।

Signs and Symptoms of Low Blood Pressure - ActiveBeat

প্রশোর কমে গলেে যা হয়

র্দীঘক্ষণ না খয়েে থাকাসহ নানা কারণে কমে যতেে পারে প্রশোর। এর ফলে দখো দয়ে বশে কছিু লক্ষণ যমেন- মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দখো এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতোও সমস্যা হতে পার। তাই হঠাৎই প্রশোর কমে গলেে ভয় না পয়েে বরং কীভাবে এর সমাধানরে উপায় জানা উচতি।

যা করণীয়

হঠাৎই প্রশোর কমে গলেে সমাধানরে সঠকি সদ্ধিান্ত নতিে হবে । তাহলইে সমস্যা থকেে উতরানো হবে সহজ। শরীর থাকবে সুস্থ।

প্রশোর কমে যাওয়ার লক্ষণ পলেইে দ্রুত লবণ পানি খয়েে নতিে হব। কারণ লবণ দ্রুত ব্লাড প্রশোর বাড়াতে পার।

How much salt does it really take to harm your heart?

প্রশোর লো হলে ডাবরে পানি থাকলে খয়েে নতিে হব। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রশোর স্বাভাবকি করবে মুর্হূতইে।

Benefits Of Coconut Water: Why Coconut Water Is A Great Hangover Cure |  VOGUE | Vogue India

রোজা বা উপবাস রাখলে এ সমস্যা বশেি দখো দয়ে। এমন ক্ষত্রেে লক্ষণ দখোমাত্র দ্রুত খাবার খয়েে নতিে হব।

সাধারণত ডায়রয়িা ও বমি হলে এ সমস্যা দখো দয়ে। এমন অবস্থাতওে ওআরএস খুবই র্কাযকরী।

এক টুকরো চকলটেও ব্লাড প্রশোর নয়িন্ত্রণে রাখতে পার।ে কারণ এর মধ্যে ফ্ল্যাভানয়ডে নামক এক ধরনরে উপাদান থাক। যা মুর্হূতইে বাড়াতে পারে প্রশোর।

Chocolate Wallpaper HD for Android - APK Download

তবে প্রশোর কমে যাওয়ার র্দীঘদনি ধরে ভুগলে অবশ্যই চকিৎিসকরে পরার্মশ নতিে হব।
সূত্র: হলেথলাইন

লেখা :রোদসী ডস্কে

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
রূপ ও ফ্যাশন

মেছতা থেকে মিলবে মুক্তি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২২

বাদামি বর্ণের ছোট ছোট দাগে মুখ ঢেকে গেলে সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে। তাই ত্বকের সৌন্দর্যে ত্বক রাখতে হবে মেছতা ম্ক্তু। আর এসব দাগছোপ থেকে মুক্তি পেতে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন ।

ঘরোয়া উপায়ে যত্ন

ত্বকে দাগ দেখা দিতে শুরু করলেই বোঝা যাবে এগুলো মেছতার পূর্ব লক্ষণ। তাই তখনই প্রয়োজন বাড়তি যত্ন । আর ঘরোয়া উপায়েই মুক্তি মিলবে মেছতা থেকে।

Which is more healthy curd or yogurt?

 

মেছতা দূর করতে টক দই খুবই কার্যকরী। ত্বকে টক দই লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। এটি মেছতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে দেয়।

You've Been Using a Lemon Juicer All Wrong - How to Juice a Lemon

লেবুর রস সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। নিয়মিত লেবুর রস সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলে ত্বকের দাগ কমে যায়।

ত্বকের যত্নে আমন্ড বেশ কার্যকরী। তাই মেছতার উপর ২ থেকে ৩ ফোঁটা কুসুম গরম অল্প আমন্ড অয়েল নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ঘণ্টা খানেক রেখে ধুয়ে নিলে মেছতা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি মিলবে।

SWEET ALMOND OIL | Eazycolours

মনে রাখা ভালো

ত্বকের দাগ বা মেছতা কমাতে লেজার করা অনেকক্ষেত্রেই ঠিক না। কারণ অনেকেই সঠিক নিয়ম মেনে লেজার করে না। ফলে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

রোদে গেলে অবশ্যই রোদ চশমার পাশাপাশি ছাতা রাখতে হবে। যাতে ত্বকে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।

ত্বকে দাগ দেখা দিলেই যত্ন নেয়া শুরু করা ভালো। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ছোট্ট অবহেলায় মেছতায় ঢেকে যেতে পারে পুরো মুখ।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
রূপ ও ফ্যাশন

মেকআপ ছাড়াই সুন্দর

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

প্রসাধনী ছাড়াই সুন্দর দেখাবে ত্বক। এজন্য নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া, শরীরচর্চায় মনোযোগী হওয়া, খাদ্যভাস ও ঘুমসহ সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে হবে।

নিয়ম মেনে সুন্দর ত্বক

Asian woman smiling with hand touching face for beauty and skin care  concepts Stock Photo | Adobe Stock

 

মেকআপ ছাড়াই সুন্দর ত্বক পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে-

পরিমিত ঘুম

lung problems: Before you doze off: Sleeping more than 11 hours or less  than 4 hours can cause incurable lung disease - The Economic Times

ঘুমের প্রভাব ত্বকের উপর পড়ে। তাই প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। শরীর ঠিকমতো বিশ্রাম পেলেই হজম ভাল হয় এবং ত্বক দেখায় উজ্জ্বল। আর কম ঘুমে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়,ব্রণসহ ,নানা রকম র‌্যাশ বের হয়। যার ফলে সেগুলো ঢাকতে প্রসাধনীর প্রয়োজন পড়ে।

প্রতিদিন গোসল

Cold Shower Vs. Hot Shower: Which Is The Better Option? – SkinKraft

শীতকালেও দিনে একবার আর গরম আবহাওয়ায় দিনে দু’বার সাবান মেখে গোসল করতেই হবে। এছাড়াও গোসলের সময় সপ্তাহে একদিন মুখ ও সারা দেহে স্ক্রাবিং করলে তবেই পরিচ্ছন্ন থাকবে ত্বক।

সকালে লেবুপানি

9 Health Benefits of Drinking Lemon Water While Breastfeeding - Bunaboy
সকালে উঠেই একটি পাতিলেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দূর করে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

অতিতেলযুক্ত খাবার পরিত্যাগ

পুষ্টিকর খাবার সুন্দর ত্বকের জন্য জরুরী। তাই ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই ভাল থাকবে ত্বক।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
রূপ ও ফ্যাশন

ত্বকের উজ্জ্বলতায় চকলেট

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

ত্বকের যত্নে চকলেটের বেশ কার্যকরী। এটি সহজেই ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বক রাখে বলিরেখা মুক্ত।

ত্বকে চকলেটের উপকারিতা

চকোলেটে ফাইটোকেমিক্যালের মতো পলিফেনল রয়েছে। আর এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য হওয়ায় ত্বকের কোমলভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ডার্ক চকলেট তৈরি করা হয় কোকো বীজ থেকে। এটিতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি ফল হওয়ায় সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এতে থাকা ফ্লেভ্যানলস ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।

Walter Matter

চকলেট স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায়। আর স্ট্রেস হরমোনের কারণেই ত্বকের শুষ্কতা এবং রিংকেলের জন্য দায়ী। তাই নিয়মিত চকলেটের ফেসপ্যাক ব্যবহাওে বয়সের বলিরেখা কমে গিয়ে বয়স আটকিয়ে রাখে।

এছাড়াও চকলেটে থাকা পলিফেনলস ত্বকের যে কোন প্রদাহ এমনকি এলার্জি নিরাময় করতেও সক্ষম।

ঘরোয়া উপায়ে চকলেট ফেসপ্যাক

5 DIY Dark Chocolate Face Masks For Radiant Skin! | India.com

ঘরেই চকলেটের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। চকলেট ক্লিনজার ব্যবহারে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার হয় পাশাপাশি ত্বক আরও বেশি কোমল ও সতেজ হয়ে উঠে। এটি তৈরিতে ডার্ক কোকো পাউডার ও দুধের সঙ্গে ভালো কোন একটি ক্লিনজার মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে।

চকলেটের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করলেও তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে চকলেট গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটির এক টুকরো কেটে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে গলে যাওয়ার পর চকোলেটের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এ ফেসপ্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ দূর করায় উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

সর্তকতা

ত্বকের যত্নে চকোলেট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।

মেয়াদহীন চকলেট ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বকে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে।

চকলেট তৈরি ফেসপ্যাক খুব বেশিদিন ফ্রিজে রাখা ঠিক না। কারণ চকলেট বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে এর উপর একটি সাদা আবরণ পড়ে যা ব্যবহারে ত্বকের লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে গিয়ে ব্রণসহ আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
হেঁসেল

পোড়া খাবারের স্বাদ ফেরানোর উপায়

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

রান্না করার সময় প্রায়ই চুলার আঁচ কমানোর কথা বেমালুম ভুলে যায় অনেকেই। ফলে কড়াইয়ের তলানিতে তেলযুক্ত মসলা লেগে থাকে। আর আগুনে ঝলসানো খাবারে পোড়া গন্ধ তো থাকেই, পাশাপাশি বিস্বাদ হয়ে যায়। তাই রান্না করা খাবারের পোড়া গন্ধ দূর করে স্বাদ ফেরানোরও উপায় আছে।

স্বাদ ফেরানোর উপায়

পোড়া খাবারের স্বাদ ফেরাতে হলে সর্বপ্রথমেই পাত্র বদলে নিতে হবে। কারণ কড়াইয়ের নিচে মসলা পুড়ে গিয়ে সেটা থেকে পোড়া গন্ধ আসে। তাই পাত্র বদলে নিয়ে সামান্য ভিনেগার মেশালেই পোড়া গন্ধ দূর হয়।

Is White Vinegar Or Apple Cider Vinegar Better For Cleaning?

যদি মাংসে পোড়া লাগে তাহলে মাংসের টুকরোগুলো প্রথমে তুলে নিতে হবে। সেখানে মসলার মধ্যে ফালি ফালি করে কাটা মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে দিতে হবে। এরপর যতক্ষণ কুমড়ো সেদ্ধ না হবে ততক্ষণ চুলায় বসিয়ে রাখতে হবে। তারপর আঁচ বন্ধ করে নিয়ে দশ মিনিট রেখে কুমড়োর টুকরো বের করে নিলেই পোড়া গন্ধ তো দূর হবেই স্বাদও ফেরানো যাবে।

All About Pumpkins: Nutrition, Benefits, Recipes, Side Effects, and More |  Everyday Health

মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি আলুও খাবারের পোড়া গন্ধ দূর করে। তাই কিছু তরকারিতে আগে থেকেই আলু দেয়া থাকে তাহলে সেই খাবার পুড়লেও খুব একটা গন্ধ থাকে না। তবে যদি আলু না থাকে তাহলে ফালি ফালি করে গোটা কয়েক আলু সেই পোড়া তরকারিতে দিয়ে আধঘন্টার মতো হালকা আঁচে বসিয়ে রাখতে হবে। তারপর আলুটা উঠিয়ে নিতে হবে।

2,081 Cubed Potatoes Stock Photos, Pictures & Royalty-Free Images - iStock

 

এছাড়াও তরকারিতে পোড়া লাগলে কড়াই বা প্যানে অল্প তেল নিয়ে তাতে পোড়া গন্ধের খাবার কিছুক্ষণ নেড়ে নিলেও দূর হবে গন্ধ আর খাবার হবে সুস্বাদু।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook