রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
লেখক

Rodoshee Magazine

Rodoshee Magazine

দেহ ও মনসচেতনতাস্বাস্থ্য

ইঁদুরের উপদ্রবে মিলবে মুক্তি

করেছে Rodoshee Magazine জানুয়ারী ৩০, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

ইঁদুর মানেই আতঙ্ক আর উপদ্রবের অংশ। রোগ জীবণু ছড়ানোই হোক কিংবা বিষ্ঠা বিছিয়ে ময়লা করা আর গায়ের দুগর্ন্ধই হোক না কেন নিত্যকার দিনে রীতিমতো এক অন্তহীন যন্ত্রণা। তাই ইঁদুরের অত্যাচার থেকে দরকার মুক্তির।

ইঁদুরের কারণে যত ক্ষতি

ইঁদুরের কারণে যত ক্ষতি

ইঁদুরের কারণে যত ক্ষতি
ইঁদুরের কারণে জীবাণু ছড়ায়। ফলে নানা রোগবালাই লেগেই থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সুস্থ ইঁদুরও রোগ ছড়াতে সক্ষম! এমনকি একটি সুস্থ ইঁদুরের দেহ থেকে কমপক্ষে ২০ ধরণের রোগের জীবাণু ছড়ায় মানব দেহে!

খাবার নষ্ট করায় পাকা প্রত্যেকটি ইঁদুর। কারণ প্রতিটা ইঁদুর খাবার খেতে পারে মাত্র ৩০ গ্রাম। এরপরও প্রচুর খাবার খেতে চায় কিন্তু না পারায় ৫গুণ বেশি খাবার নষ্ট করে। এছাড়াও খাবারের উপর বিষ্ঠা ও মূত্র ত্যাগ করে দূষিত করে তোলে।

প্রাণীটি ছোট হলেও দ্রæত বংশবিস্তাওে বেশ পারঙ্গম। কারণ এদের প্রজনন ক্ষমতা অত্যাধিক। এরা দুই থেকে তিনমাসেই প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। ফলে একটি স্ত্রী ইঁদুর বছরে চারবারে কমপক্ষে ১২টি বাচ্চার জন্ম দেয়। ফলে একবার কোন ইঁদুর দম্পত্তি ঘরে ঢোকা মানেই মহাবিপদ।
ইঁদুর কাপড়, ক্যাবল, পাইপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কেটে বিশাল ক্ষতিসাধনে ব্যস্ত থাকে।

ইঁদুরের বসতি নির্মূল করা

ইঁদুরের বসতি নির্মূল করা

ইঁদুরের বসতি নির্মূল করা
ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রথমেই এর বসতি নির্মূল করতে হবে। আর ইঁদুর অন্ধকার জায়গায় বসতি গড়ে। আলমারির তলা, রান্নাঘর কিংবা গ্যারেজ এসব জায়গা অব্যবহৃত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় এগুলোকে আদর্শ জায়গা মেনে নিয়ে ঘর বানিয়ে থাকতে শুরু করে। তাই এসব জায়গা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখে দিতে হবে যাতে বাসা না বাঁধতে পারে। আর যদি বাসা বেঁধে ফেলে তবে নির্মূল করতে হবে দেখামাত্রই।

পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে রান্নাঘর

পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে রান্নাঘর

পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে রান্নাঘর
ইঁদুরের উদরপূর্তির অন্যতম জায়গা রান্নাঘর। আর খাবার না পেলে সহজেই ইঁদুর থেকে মুক্তি মিলবে। তাই রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোন খাবার থাকলে ভালোভাবে ঢেকে নিতে হবে। ময়লার ঝুড়ি অবশ্যই ঢাকনাসহ কেনা ভালো। কৌটায় রাখা শুকনো খাবারও পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ কৌটায় অনেকদিন খাবার রেখে দিলে একটা কটু গন্ধ তৈরি হয়। আর এই ধরণের গন্ধ ইঁদুরকে আকৃষ্ট করে। ফলে কৌটা কেটে হলেও সে খাবার খেতে চায়। এছাড়া পুরো রান্নাঘর প্রতিসপ্তাহে একবার নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

খাবার টেবিল পরিষ্কার রাখা

খাবার টেবিল পরিষ্কার রাখা

খাবার টেবিল পরিষ্কার রাখা
ইঁদুর প্রধানত রাতে খাবার খায়। আর রাতের খাবারের পর খাবার টেবিলে রাখা বাকি অংশ বেশি আকৃষ্ট করে। কারণ ইঁদুরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ উচ্ছিষ্ট খাবার। তাই কখনোই খাবার ফেলে রাখা ঠিক হবে না। উচ্ছিষ্ট খাবার পরিষ্কার করে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। তা না হলে সারারাত পঁেচ গিয়ে দুগর্ন্ধ ছড়াবে এবং ইঁদুরসহ তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকাও আকৃষ্ট হবে।

ঘরের ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে হবে

ঘরের ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে হবে

ঘরের ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে হবে
ইঁদুরের শরীর খুবই নমনীয়। ফলে যেকোন ছোট ছিদ্রদিয়েই সহজে ঢুকে যেতে পারে। তাই পানিনিষ্কাশনসহ বিভিন্ন কারণে যে ছোট ছিদ্রগুলো থাকে সেগুলো সূ² লোহার জালের বেষ্টনী দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে। এছাড়া দরজা ও জানালা দিয়েও ঘরে ঢুকতে পারে। তাই অপ্রয়োজনে দরজা ও জানালা খোলা রাখা ঠিক না।

ইঁদুর দমনে ঘরোয়া সমাধান

ইঁদুর দমনে ঘরোয়া সমাধান

ইঁদুর দমনে ঘরোয়া সমাধান
গোলমরিচের ঝাঁঝালো ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে নিশ্বাস নিতে পারে না ইঁদুর। তাই গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না।

তেজপাতা ইঁদুরের একেবারেই হজম হয় না। তাই ইঁদুরের উপদ্রব বেশি সেসব স্থানে তেজপাতা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রেখে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

ইঁদুর অভ্যাসবশত পেঁয়াজে কামড় দেয়। কিন্তু পেঁয়াজের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই কয়েকটুকরো পেঁয়াজ প্রতিরাতে রেখে দিলে কামড়ে খেতে গিয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
পিপারমিন্ট সবচেয়ে কার্যকরী ইঁদুর দমনের ক্ষেত্রে। এর তীব্রগন্ধ ইঁদুর কোনভাবেই নিতে পারে না। তাই পিপারমিন্ট অয়েল তুলাতে লাগিয়ে রেখে দিলে ইঁদুর পালাবে। যদি না থাকে তাহলে পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।

ইঁদুর দমনে প্রাকৃতিক ও প্রাচীন একটি উপায় হলো বেড়াল। কারণ ইঁদুর পোষা প্রাণীদের খাবার খেতে পছন্দ করে। তাই বেড়ালেরা খাবার হারানোর ভয়ে ইঁদুর তাড়িয়ে দেয়।
সর্বোপরি ইঁদুর হতে সমাধান পেতে পরিচ্ছন্ন থাকার বিকল্প নেই। পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
রূপ ও ফ্যাশনসচেতনতাস্বাস্থ্য

পাকা চুল টেনে তোলার ক্ষতি

করেছে Rodoshee Magazine জানুয়ারী ৩০, ২০২২

রোদসী ডেস্ক
বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরে। তবে কারো কারো চুল পেকে যায় অকালেই। তরুণ বয়সে মাথাভর্তি চুল সাদা হতে দেখে অস্বস্তি নিয়ে প্রায়ই চুল টানতে থাকে। কালোর আড়ালে থাকা পাকা চুল তুলেও ফেলে। কিন্তু এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চুল টেনে তুলে ফেলা কোন সমাধান নয় বরং ক্ষতি।

চুল পাকার কারণ

চুল পাকার কারণ

চুল পাকার কারণ
পিগমেন্ট সেল শরীরের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। এর থেকে মেলানিন নামের রঞ্জক কণিকা উৎপাদিত হয়। সেই মেলানিন চুলের রং কালোর জন্য দায়ী। আর এর উৎপাদন বন্ধের কারণেই কালো চুল সাদা বর্ণের রূপ নেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি নির্দিষ্ট চুলের গোড়ায় থাকা ফলিকলের মধ্যকার পিগমেন্ট কোষগুলো যত দিন বেঁচে থাকবে তত দিন চুল সাদা হবে না। দ্রæত চুল পাকার জন্য জিনগত কারণ অনেকটা দায়ী। সাধারণত মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে চুল পাকতে পারে। হজমের সমস্যা বা লিভারের সমস্যার ফলেও চুল অকালে পেকে যায়। এছাড়াও স্ট্রেস, কম ঘুম, অতিরিক্ত ধূমপান, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা, চুলে ভিটামিন ই, এ ও ডি এর অভাবে অকালে পাকতে পারে চুল।

কালো চুলের উপর প্রভাব

কালো চুলের উপর প্রভাব

কালো চুলের উপর প্রভাব
অনেকের ধারণা পাকা চুল তুললে অন্য চুলের উপর প্রভাব ফেলে অর্থাৎ অন্য চুলও পাকতে শুরু করে। ফলে পাকা চুল উপড়ে ফেলেন। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা চুলের গিপমেন্ট কোষ মারা গেলে তার পাশের চুলের কোষে এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে দু একটা সাদা চুল দেখলেই টেনে তোলার জন্য ব্যস্ত হওয়া ঠিক না।

বারবার টেনে তোলার ক্ষতিবারবার টেনে তোলার ক্ষতি
সাদা চুল বারংবার উপড়ে নিলে আবারও সেখানে সাদা চুলই গজায়। তাই টেনে তুললেও পাকা চুল থেকে নেই মুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি চুলের ফলিকল থেকে একটাই চুল গজানো সম্ভব। তাই যে চুলে পাক ধরেছে তার অর্থ হলো সেই চুলের ফলিকলের পিগমেন্ট কোষ মৃত। এরপর যতই সেখান থেকে চুল টেনে ফেলে দেবে সেখানে বারবারই সাদা চুলই গজাবে। বরং পাকা চুল টেনে তোলার কারণে সেই ফলিকলটি ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে একপর্যায়ে সেই ফলিকল থেকে চুল গজানোই বন্ধ হয়ে যাবে।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, চুলে কখনো না কখনো পাক ধরবেই। তাই সাদা চুলকে কালোর মতোই ভালোবেসে মাথায় রেখে দিতে হবে। তা না হলে বারবার চুল টেনে তোলার কারণে সেখানে ঘা দেখা দিতে পারে, স্থায়ীভাবে দাগ হয়ে যেতে পারে। এমনকি পাতলা হয়ে যেতে পারে চুলের ঘনত্ব। এছাড়াও অন্য চুলের তুলনায় চিকন ও মসৃণ হয়ে যেতে পারে। কারণ চুলের ফলিকল যখন পিগমেন্ট তৈরি করতে পারে না তখন সেখানে সেবামও উৎপাদন হয় কম।

অকালে চুল পাকা রোধে করণীয়

অকালে চুল পাকা রোধে করণীয়

অকালে চুল পাকা রোধে করণীয়
প্রতিরাতে চুলের গোড়ায় লেবুর রসের সাথে তেল ম্যাসাজ করে সকালে ধুয়ে নিতে হবে।
এক চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু নিয়মিত খেলেও অকালে চুল পাকা রোধ হতে পারে।

চুল অকালে পেকে যাওয়া ঠেকাতে নিয়মিত চুলের গোড়ায় পেঁয়াজবাটা ম্যাসাজ করে আধঘন্টা রেখে ধুয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
অকালে পেকে যাওয়া চুলে মেহেদীর ব্যবহার বেশ প্রাচীন। মেহেদীর সাথে শর্ষের তেল মিশিয়ে নিলেও মুক্তি মিলতে পারে।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনস্বাস্থ্য

বিয়ের আগে জরুরী স্বাস্থ্য পরীক্ষা

করেছে Rodoshee Magazine জানুয়ারী ২৫, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। অজান্তেই জীবনসঙ্গীর শরীরে থাকতে পারে নানা রোগের জীবানু। ফলে বিয়ের পরে নিজের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পাশাপাশি অনাগত সন্তান থাকবে হুমকির মুখে। তাই বিয়ের আগেই পাত্র-পাত্রীর দুজনেরই কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো। সংকোচ নয় সচেতনায় সুস্থ থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

 

শুক্রাণু পরীক্ষা

শুক্রাণু পরীক্ষা

শুক্রাণু পরীক্ষা
বিবাহিত জীবনে প্রায় সব দম্পতিরই সন্তানের প্রয়োজন হয়। কখনো একটি সন্তান কখনো একাধিক। তবে সন্তান ধারণে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি বিয়ের আগেই জেনে নেয়া ভালো। এক্ষেত্রে শুক্রাণু পরীক্ষাটি করিয়ে নিলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া পুরুষের বীর্যপাতজনিত বা পুরুষাঙ্গে কোনো সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে বিয়ের আগেই চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে।

গাইনোকলজিক্যাল পরীক্ষা

গাইনোকলজিক্যাল পরীক্ষা

গাইনোকলজিক্যাল পরীক্ষা
নারীর শরীরে বিশেষ করে জরায়ু, ইউরেটাস, ব্রেস্ট পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এই অঙ্গগুলোর কোন সমস্যা থাকলে পরে সন্তান জন্মদানে ঝুঁকি। তাই বিয়ের আগেই এই পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিতে হবে।

ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা

ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা

ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা
বর কনের অবশ্যই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে বøাড গ্রæপ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ সন্তানের পরবর্তী জীবনে বাবা মায়ের নেগেটিভ ও পজিটিভ বøাড গ্রæপের প্রভাব ফেলে। ঘটতে পারে বিপত্তি। এই আশঙ্কা আরো বেড়ে যায় দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময়। গর্ভেই সন্তান মারা যাওয়া, জন্মের পর জন্ডিস হওয়া এমনকি মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হতে পারে। যদিও এখন সন্তান জন্মানোর সময় মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে। তাই বিয়ের আগেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

হেপাটাইটিস পরীক্ষা

হেপাটাইটিস পরীক্ষা

হেপাটাইটিস পরীক্ষা

বিয়ের আগেই হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ঠিক আছে কিনা এ বিষয়টি জেনে নিতে হবে। তা না হলে সংক্রমিত হয়ে স্বামী ও সন্তানের শরীরে যেতে পারে। তাই পাত্রীর বিয়ের আগেই হেপাটাইটিস এ ও বি ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত।

কিডনি পরীক্ষা

কিডনি পরীক্ষা

কিডনি পরীক্ষা
কিডনিতে ইউরিয়ার পরিমান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ ইউরিয়া বেশি থাকলে সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইউরিয়া পরীক্ষা করি নিয়ে হবে যে কিডনিতে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা।

থাইরয়েড পরীক্ষা

থাইরয়েড পরীক্ষা

থাইরয়েড পরীক্ষা
সন্তান জন্মদানের সময় থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এছাড়া অ্যানিমিয়া আক্রান্ত পাত্রীরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই বিয়ের আগেই থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো।

সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর দাম্পত্য জীবনের জন্য বিয়ের আগেই এই জরুরী স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেয়া উচিত।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনরোদসীর পছন্দ

কেন হয় ব্রেস্ট ক্যান্সার?

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২১

নির্দিষ্ট কোন কারণ দেখাতে পারেননি গবেষক বা চিকিৎসকরা। এক নয় একাধিক কারণের কথা বলছেন তারা। জার্মানিতে বসবাসকারী নারী বিশেষজ্ঞ ড. শুভ্রা কুন্ডু জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা না গেলেও, একাধিক কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে৷ এই যেমন-

১. একাধারে অনেক দিন ধরে জন্ম নিরোধ বড়ি খেলে

২.মাসিক বন্ধ হওয়ার পরপরই নানা রকম হরমন নেওয়া শুরু করলে অথবা ‘রিক্স ফ্যাক্টর’ – যেমন মা বা মাসির মধ্যে কারুর স্তন ক্যান্সার থাকলে

৩.  অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা মহিলা – মানে যারা কখনো সন্তানকে স্তন্য পান করান নি – তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি হয়৷

প্রয়োজন সতর্কতা অবলম্বন

*২০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করাতে হবে

*৩০ বছর বয়সের মধ্যেই প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়া

* সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো

*ছোট থেকেই টাটকা শাক-সবজি ও ফল খাওয়া

* ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করা এবং সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ক্যান্সার সার্জন বা ‘অঙ্কোলজিস্ট’-এর শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি৷

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের কোনো বিকল্প নেই৷ বিকল্প নেই সচেতনতারও৷

তথ্যসূত্র : ডয়চে ভেলে

রোদসী/আরএস

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
প্যারেন্টিং

আয় ঘুম শিশুর চোখের পাতায়

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২১

রাত গভীর শিশুর চোখে ঘুম নেই, মা-বাবার কষ্টেরও শেষ নেই। অনেক মা-বাবার অভিযোগ,  সন্তানকে ঘুম পাড়ানো খুবই কঠিন। রাতে ঘুমায় না, দিনে ঘুমায় এই যখন অবস্থা মা-বাবাও জেগে থাকতে বাধ্য হোন।

কেন হয় এমন

মনোবিদদের মতে, ‘অনেক অভিভাবকই শিশুকে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ দেন না। ঘরে চড়া আলো বা টিভি, সাউন্ড সিস্টেমের আওয়াজ তাদের ঘুমের দফারফা করে। শিশুও না ঘুমিয়ে সেসবে মন দিতে শুরু করে। কাজেই সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর আগে তার ঘুমের পরিবেশ আনুন ঘরে।’

মনোবিদরা আরও মনে করেন, ‘ রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সন্তানকে ঘুম পাড়াতে গান বা গল্পের আশ্রয় নিন। গানের সুর, গল্পের গতি এসব শিশুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস ও থ্যালামাসকে প্রভাবিত করে। তাকে শান্ত করে। গান বা গল্প শুনতে শুনতে তাই ঘুমিয়ে পড়া অনেক শিশুরই অভ্যাস।’

আছে সহজ উপায়, শিশুর চোখে ঘুম আসবে

শিশুর ঘুমনোর একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করবে।

নিজেদের যত কাজই থাক, শিশুর ঘুমের সেই সময়ের হেরফের করবে না।

এতে শিশুর দেহঘড়ি ঠক থাকবে। কিছু দিন অভ্যাসের পর ওই নির্দিষ্ট সময় মেনেই তার ঘুম আসবে।

সন্তানকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে তুমি মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করো কি?   এই অভ্যাসের ইতি টানো। অনেক বাবা-মা সন্তানকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইলে গেম খেলতে দেন। জানো কী, এতে তার মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয় এবং ঘুম বাধা পায়। ঘুমানের আগে শিশুর প্রিয় কোনো খেলনা দিতে পারো, তার সংস্পর্শে এসে শিশু ঘুমোয় অনেক তাড়াতাড়ি। মনোবিদদের মতে, শিশু ঘুমানোর সময় পছন্দের বস্তু পেলে তার গন্ধে, স্পর্শে শিশুর মস্তিষ্কে চাপমুক্তির হরমোন ক্ষরণ করে, শিশু দ্রুত ঘুমোয়।

 

রোদসী/আরএস

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রা

প্রেমের লক্ষণ নিয়ে জ্যোতিষীর মতামত

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০১৯

যদি কোনো প্রেমিকার চুলের ক্লিপ হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই চুল থেকে খুলে পড়ে যায়, তাহলে নাকি বোঝায় অল্প দিনের মধ্যেই তার প্রেমে ভেঙে যাচ্ছে। শুধু পাশ্চাত্য লক্ষণশাস্ত্র অনুসারে ইউরোপের মানুষজনের মধ্যে বিভিন্ন রকম বিশ্বাস চালু আছে। তবে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই বিশ্বাসগুলি পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি  মানা হয়। এক কথায় বলতে গেলে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। তবে মিলিয়ে দেখা যাক-

যদি শরীরের ডানদিক কোনও কারণে কেঁপে ওঠে, তাহলে বুঝে নিও তোমার ভালবাসার জন তোমার কথাই ভাবছে।

পূর্ণিমা তিথি শুরু হবার রাত  থেকে সপ্তম দিনে যদি দুই জনের প্রথম দেখা হয়ে থাকে, তা হলে এটা অতি শুভ প্রেমের বন্ধন বোঝায়।

একটা মোমবাতি প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়ির দরজার সামনে জ্বালিয়ে প্রেমের ভবিষৎ জেনে নিতে পারো। যদি দেখা যায় মোমবাতির জ্বলন্ত শিখাটা তোমার দিকে আসছে বা তোমার বাড়ির দিকে আসছে, তাহলে বুঝে নেবে  প্রেমিক বা প্রেমিকাকে বিশ্বাস করা যায়, সে একজন বিশ্বস্ত মানুষ।

যদি কেউ জোনাকি ধরে মেরে ফেলে, তবে খুব শীঘ্রই চিরদিনের জন্যে তাদের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটবে।

যদি প্রেমিক অথবা প্রেমিকার মধ্যে কেউ একজন অপরজনকে রুমাল উপহার হিসেবে দেয়, তাহলে নিশ্চিত তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়ে প্রেমের বিচ্ছেদ ঘটবে। এমনটা জানান জ্যোতিষীরা।

ভাঙা ডিমের স্বপ্ন দেখলে বোঝায় তার প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে অল্প দিনের মধ্যে ঝগড়া হবে।

কোনও প্রেমিকা তার চিরুনি যদি ভুলক্রমে তার প্রেমিককে বহন করতে দিয়ে থাকে, তা হলে প্রেমিকা নিশ্চিত থাকতে পারে তার প্রেমিককে সে চিরদিনের জন্য হারাবে।

প্রেম করতে করতে কেউ যদি  সুগন্ধী  গাছের লতা ভুল করে ছিঁড়ে ফেলে, এতে বোঝায় তারা তাদের প্রেমে দুর্ভাগ্য ডেকে আনবে।

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়রোদসীর পছন্দ

ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্ট

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ৫, ২০১৯

ছুটি নেই নেই করেও কীভাবে যেন বছরের একটা সময় প্রায় সবারই ছুটি মিলে যায়। তবে সে ছুটি পাওয়ার পর কী করব কী করব করতে করতে পুরো ছুটিটাই মাটি হয়ে যায় অনেকের। কিংবা এমনও হয়, অনেক সময় বাড়ির বাচ্চাদের লম্বা একটা ছুটি মেলে কিন্তু বাবা-মায়ের কোনো ছুটি থাকে না। সে ক্ষেত্রে তোমার যেটা প্রয়োজন তা হলো ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্টের আওতায় আসা। লিখেছেন তাহমিনা সানি।

ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্ট। শব্দটা ভারী ভারী শোনালেও আসলে কিন্তু ব্যাপারটায় মজা আছে। খুব ভালো হয় যদি বাড়ির সবাই মিলে ছুটি কাটানোর প্ল্যান থাকে তাহলে ছুটি পর্ব শুরু হওয়ার আগেই একটু সময় নিয়ে একসঙ্গে বসা। ধাপে ধাপে শুরু করতে পারো পুরো ব্যাপারটা।

ছুটির প্ল্যানিং
বাসায় যদি স্কুলপড়–য়া বাচ্চা থাকে, তাহলে বছরান্তে কিছু নির্দিষ্ট ছুটি তো মিলেই যায়। যেমন শীতকালীন ছুটি কিংবা বছরের মাঝামাঝি গ্রীষ্মকালীন ছুটি। কলেজ বা ভার্সিটি পড়–য়া থাকলেও একেবারে ছুটি না থাকলেও সেমিস্টার ব্রেকে এক ছোট্ট ছুটি মিলেই যায়। তাই কর্মজীবী বাবা-মা হয়ে থাকলে সন্তানের সঙ্গে নিজের ছুটি মিলানোর চেষ্টা করো। এ ক্ষেত্রে তুমি তোমার অফিসের প্রাপ্য ছুটিগুলো জমিয়ে রাখো। পরে সন্তানের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ছুটি নিয়ে নাও। আর কোনো দিন যাবে কীভাবে ফিরবে, যাত্রাপথে কেমন সময় যাবে সেটাও ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নিতে পারো। তাহলে চমৎকার ছুটি উপভোগ শেষে তুমি নির্ঝঞ্ঝাটে কর্মস্থলে ফিরতে পারবে।

কোথায় কোথায় যাওয়া যায়
বেড়ানোর সময় একবার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে তখন কোথায় যাবে, সে চিন্তা করতে যাবে না যেন। সময়ের অপচয় তো হবেই। শেষে দুশ্চিন্তায় পেয়ে বসলে বেড়ানোর পুরো মজাটাই মাটি! তাই কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সে জায়গাটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নাও। জেনে নাও সেখানকার পরিবহনব্যবস্থা সম্পর্কে। ব্যাকপ্যাক ছোট রাখলে এ ক্ষেত্রে এক্সট্রা সুবিধা পাবে। খরচান্তে প্রাইভেটে না নিয়ে ভালো মানের পাবলিক পরিবহনগুলোতেও কিন্তু ভ্রমণের মজা নিতে নিতে পারো। এটা অর্থ সাশ্রয়ী তো বটেই, অ্যাডভেঞ্চারেরও একটা অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে মোটামুটি।

থাকা এবং খাওয়া
দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই যাও না কেন, কোথায় থাকবে এবং কোথায় খাবে এগুলো আগে থেকে জেনে রাখলে অর্থ এবং সময় দুটোই বাঁচবে। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি থাকে, হোটেল মোটেলের ভাড়া বেশি হয়, এই জিনিসটা অবশ্যই মাথায় রাখবে। যদি সম্ভব হয় ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে গেলে অনেক কিছুতেই খরচ কমে যাবে। যারা শিক্ষার্থী তারা ফুল সিজনে বেড়াতে না গিয়ে একটু আগে বা পরে গেলে ভালো করবে। তবে একেবারে অফ সিজনে না যাওয়াই ভালো।

বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে
বিদেশে ট্যুরের প্ল্যান থাকলে অবশ্যই কোথায় যাবে আর থাকবে তার একটা শর্ট লিস্ট করে ফেলো। আর যেখানে থাকবে, সেখান থেকে ভ্রমণ ডেস্টিনেশনটা কতদূর সেটাও কিন্তু একটা জরুরি বিষয়। কাঁধে ঝোলানোর একটা ছোট্ট ব্যাগে জরুরি কাগজপত্র, ভিসা কার্ড, চেঞ্জড কারেন্সি এসব আলাদা করে রাখতে পারো। যেন প্রয়োজনের সময় ঝট করে পেয়ে যেতে পারো। লাগেজ একেবারে হালকা রাখার চেষ্টা কর। ক্যামেরা আর প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলো দরকার হলে আলাদা আরেকটা হালকা ব্যাগে ভরে তারপর লাগেজে রাখো।
অর্থের পর্যাপ্ততা যেন থাকে, সেটাও আগে থেকে ঠিক করে রাখো। যে দেশ বা স্থানে যাবে, সে অনুযায়ী মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করে নাও। কিছু পরিমাণ ভাংতি অবশ্যই সঙ্গে রাখো। ট্যুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গিয়েছ, সেখানে আশপাশে ঘুরে লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খাবার খায়, সেখানে খাওয়াদাওয়া সারলে খরচটা অনেক কমে আসবে।

ব্যাকপ্যাক গোছানো
একটা ভারী ব্যাকপ্যাক তোমার ভ্রমণ আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। তাই ব্যাগ গোছানোর সময় খেয়াল রাখো একেবারে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন তোমার লিস্টে থাকে। টুথপেস্ট, ব্রাশ, আন্ডারওয়্যার, গামছা বা তোয়ালে, ক্যাপ, জুতা, বেল্ট ইত্যাদি ছাড়াও অনুষঙ্গিক আর কী কী প্রয়োজন হতে পারে, তার একটা লিস্ট করো। লিস্ট ধরে টিক চিহ্ন দিয়ে একটা একটা জিনিস ব্যাগে ঢোকাও। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে তার প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ, আবহাওয়া বুঝে পোশাক, হালকা খেলনা এসব নিতে একেবারেই কিন্তু ভোলা যাবে না।
যারা অ্যাডভেঞ্চার টাইপ ট্যুরে যাবে, তারা যে অনুযায়ী লং বুট বা গ্লাভসের মতো জিনিস, এক্সট্রা ব্যাটারি, টর্চলাইট, দড়ি, অ্যান্টি-মসকুইটো ক্রিম এসব সঙ্গে নিতে ভুলবে না।

বেড়াতে যাওয়ার সময় অন্য যেসব বিষয় খেয়াল রাখবে
বেড়াতে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটা ব্যাপারে আগে থেকে খেয়াল রাখলে অনেক কাজে দেয়। যেমন : নিকটস্থ থানা (পুলিশ), ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেক্স নাম্বার, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, আবাসিক হোটেল, ব্যাংক ইত্যাদি। কিংবা ধরো ওই এলাকা বা তার আশপাশে যদি পরিচিত বন্ধু বা স্থানীয় কেনো আত্মীয় কেউ থাকে তাহলে তার নাম্বার নেবে। তাহলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে হলেও পরিবেশ সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনে নিতে পারবে। এসব খোঁজখবর আগে থেকে রাখলে অনেক অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ভ্রমণ কিন্তু বিলাসিতা নয়। ভ্রমণ হলো একটা জ্ঞানের দুয়ার, যেটা খুলে যেতেই তুমি আবিষ্কার করবে তোমার চেনা দুনিয়ার একেবারেই ভিন্ন একটা রূপ। আর ভ্রমণ কোথায় করছ বা কোথায় থাকবে, খাবে এগুলো আগে থেকে একটু নিশ্চিত হয়ে নিলে তোমার যাত্রার পুরো সময়টা হবে একেবারে নিশ্চিন্ত। এ ক্ষেত্রে তাই ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্ট তোমাকে দেবে ঝামেলাবিহীন ভ্রমণের নিশ্চয়তা।

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়কর্মক্ষেত্ররোদসীর পছন্দ

পার্টটাইম জবের খোঁজে

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ৪, ২০১৯

একটা সময় ছিল যখন বিদেশেই পার্টটাইম চাকরির বেশ প্রচলন ছিল। ছুটির সময়গুলোতে ছাত্রদের বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে পার্টটাইম চাকরির ট্রেন্ড এখন আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। শুধু ছাত্ররা নয়, যারা কিনা একটি চাকরি করছ, তারও মূল চাকরির পাশাপাশি আরেকটি পার্টটাইম করতে পারবে নিশ্চিন্তে। তার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট আর একাগ্রতার জায়গাটিকে একটু শাণিত করলেই হয়ে যায়।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, বাড়তি আয়ের জন্য যে কাজ করা হয়, সেটাই পার্টটাইম জব। কিন্তু একটি বিষয় কিন্তু ভুলে যাও অনেকে, সেটি হলো এই পার্টটাইম জবটি তোমাকে আর্থিকভাবে ভরসা দেওয়ার পাশাপাশি তোমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা আর সিভির এক্সপেরিয়েন্স আইকনটির পাল্লাটিও কিন্তু ভারী করছে। আর আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি তো আছেই।

বয়স, ছাত্রাবস্থা কিংবা নিজের অর্জিত মূল চাকরিভেদে অনেক রকমের পার্টটাইম চাকরি আছে করার মতো। বাংলাদেশের অনলাইনগুলোতে তুমি সহজে এ ধরনের খোঁজ পেয়ে যাবে ক্লিক করলেই। মূলত পার্টটাইম জবের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে দুভাবে।
প্রথমত, সরাসরি বা পরিচিতদের রেফারেন্স। দ্বিতীয়ত, পত্রপত্রিকা ও অনলাইনে বিভিন্ন জবসাইটের মাধ্যমে। তোমাকে যেটা করতে হবে তা হলো চাকরির পত্রিকা ও অনলাইনে বিভিন্ন জবসাইটে নজর রাখা। তাহলেই যোগ্যতা অনুযায়ী সহজেই পেতে পারো কাক্সিক্ষত চাকরি।
পার্টটাইম জব অনেক ধরনের আছে, চাইলে তুমি পছন্দমতো বেছে নিতে পারো। যারা একটু ক্রিয়েটিভ কাজ পছন্দ করো, তারা ওয়েব ডিজাইনের দিকে ঝুঁকতে পারো। বর্তমানে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা। এসব চাহিদার মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার তৈরি ও উন্নয়ন, ওয়েবসাইট তৈরি ও ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপস, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম, ভিওআইপি অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রি-প্রেস, ডিজিটাল ডিজাইন, সাপোর্ট সেবা, কাস্টমাইজড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ও সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের কাজ।

এ ছাড়াও দারুণ আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং জব হলো সাংবাদিকতা। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে সাংবাদিকতা করতে পারো। যারা নবীন লেখক, তারা বিভাগীয় সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষানবিশ সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারো। এ ছাড়া বিভিন্ন পত্রিকার ফিচার পাতায় কাজ করেও উপার্জন করতে পারো বাড়তি টাকা। আর ঘুরেফিরে এখানে কিন্তু চলে আসছে লেখালেখি করার ব্যাপারটাই। চিন্তার উৎকর্ষ আর মস্তিষ্ক সঞ্চালনার দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে তোমার। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ থেকে তুমি আরও বড় চাকরি করার উৎসাহ পাবে।

উপস্থাপনার দিকটিও বেশ জনপ্রিয় এখন অনেকের কাছে। বর্তমানে অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থা অনেক নবীন মডেলকে সুযোগ করে দিচ্ছে তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এফএম রেডিওতে আরজে বা বেতারকেন্দ্রের চমৎকার শব্দশিল্পী হতে পারো। তাই সময় ও সুযোগ করে যোগ্যতা অনুযায়ী তুমি যোগ দিতে পারো এসব মিডিয়াভিত্তিক যে কোনো অ্যাকটিভিটিসে।

শিক্ষকতার সুযোগ আমাদের দেশেও অনেক। কারণ, দেশের প্রায় প্রতিটি শহরেই রয়েছে কোচিং সেন্টার, প্রশিক্ষণ একাডেমি, কিন্ডারগার্টেন, চাইল্ড কেয়ার হোম, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি সময় বের করতে পারলেই বাড়তি আয়ের দরজা খুলে যাবে। এটি ফুলটাইম চাকরির পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের আরেকটি দারুণ সুযোগ।

নির্মাণ ও প্রযোজনা হতে পারে অর্থ উপার্জনের আরেকটি দারুণ উৎস। কেননা বর্তমান প্রজন্ম নির্মাণ ও প্রযোজনার দিকে ঝুঁকছে বেশ। ছোট ছোট শর্টফিল্ম তৈরি বা ওয়েব সিরিজ তৈরি করা এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পড়াশোনার ফাঁকে ছুটির দিনগুলোতে হাত পাকানো যেতে পারে। যারা কিনা একটু বিত্তশালী পরিবারের সন্তান, তাদের জন্য প্রযোজনা করা সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে উঠতি ব্যবসায়ীরাও কিন্তু হালকা-পাতলা বিনিয়োগ করতে পারো। অনুষ্ঠান প্রচার হলে তুমি তোমার লভ্যাংশ পেয়ে যাবে। তবে বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করতে হবে নির্মাতাদের সঙ্গে।

বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য নির্মাণ করতে পারো নানা রকম অনুষ্ঠান। হতে পারো নাটক, চলচ্চিত্র, ম্যাগাজিন কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা। মূলত সরকারি ছুটির দিনগুলোতেই নির্মাণের কাজ হয়ে থাকে। তাই এ সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারো। ক্যারিয়ারে যোগ করতে পারো একটি নতুন অধ্যায়।

এখন কথা হলো, যারা পড়াশোনা করছ তারা একটি পার্টটাইম চাকরিই করো। বেশি করতে গেলে জীবনের এইমের মূল ফোকাস থেকে সরে যেতে পারো। আর যারা অলরেডি ফুলটাইম জব করছ কিন্তু একটু বাড়তি আয়ের জন্য মূল চাকরির পাশাপাশি আরেকটি পার্টটাইম জব করতে চাচ্ছো, তারাও কিন্তু সময়টাকে রুটিন করে ভাগ করে নেবে। যাতে করে একটি চাকরির জন্য অন্য একটি চাকরি বাধাগ্রস্ত না হয়। কিছু টাইম ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সেট করে রাখো আগে থেকে। যেমন একটু সকাল করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা, এতে দিনের অনেক সময় বাঁচে। কিংবা ছুটির দিনগুলো নষ্ট না করে মূল কাজের ফাঁকে অন্য কাজটি প্রতিদিন সামান্য করে এগিয়ে রাখা। দেখবে এভাবে কিন্তু দারুণ কাজে দেবে।

আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে, পার্টটাইম জবটি কত ছোট বা বড় সেটি কোনো কথা নয়, বরং জেনে রাখো এটি ব্যক্তি পরিচয় আর আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। রুটিন করে চলতে পারলে এটি যাপিত জীবনকে করবে আরেকটুকু সাবলীল, আরেকটু স্বচ্ছন্দ।
লেখা : তাহমিনা সানি

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়হেঁসেল

অফিস লাঞ্চ

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ৪, ২০১৯

অফিস লাঞ্চ অ্যারেঞ্জমেন্টে টপ প্রায়োরিটি থাকে সহজ এবং স্বাদের বিষয়টি। সব মেন্যুতে এই দুটি বিষয় মেলানো কষ্টকর। এরপর থেকে অফিস লাঞ্চ অ্যারেঞ্জমেন্টে ট্রাই করতে পারো ফাহা হোসাইন- এর দেয়া রেসিপিগুলো।

 

টমেটো রাইস
উপকরণ
সেদ্ধ ভাত দুই কাপ, জিরা এক টেবিল চামচ, লবঙ্গ ৬টি, দারুচিনি দুই টুকরা, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ, আদা-রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, এলাচি ২টি, পুদিনাপাতা ১২-১৫টি, মেথিপাতা ১/২ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, টমেটোকুচি ২টি, টমেটোর পেস্ট ১ টেবিল চামচ, ধনিয়া পাতা ১ চা-চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা-চামচ।

প্রণালি
প্রথমে একটি প্যানে তেল অথবা ঘি দিয়ে তাতে জিরা ভেজে নিতে হবে। এরপর এলাচি, দারুচিনি এবং লবঙ্গ দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মতো ভাজতে হবে। এখন পেঁয়াজকুচি দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য ভেজে নাও। যখন পেঁয়াজ বাদামি রঙের হয়ে যাবে, তখন কাঁচা মরিচ-আদা-রসুনবাটা, পুদিনাপাতা, মেথি পাতা দিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট ভেজে নিতে হবে। এরপর এতে মরিচগুঁড়া, জিরাগুঁড়া, টমেটোকুচি ও টমেটো পেস্ট দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। লবণ দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করবে, যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হচ্ছে। মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে এর সঙ্গে সেদ্ধ ভাত ভালো করে মিশিয়ে নেবে। ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করো মজাদার টমেটো রাইস।

এগ ফ্রাইড রাইস
উপকরণ
ডিম ৪টা, চিনিগুঁড়া চাল ২৫০ গ্রাম, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১/২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১/৩ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা-চামচ, ম্যাগি মসলা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কলি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সানফ্লাওয়ার তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি
প্রথমে চালের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি পানি দিয়ে বলক এলে তাতে চাল দিয়ে ৮০% সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে নাও। এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে ৪টি ডিম ফেটে সেই তেলে দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ঝুরি করে প্যান থেকে তুলে নাও। এবার সেই তেলে পেঁয়াজকুচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ, সয়া সস, ম্যাগি মসলা, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ কলি এবং পুদিনাপাতা দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে তাতে সেদ্ধ চাল দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে টস করো ১০ মিনিটের মতো, যাতে ১০০% চাল সেদ্ধ হয়ে যায়। এবার পরিবেশনযোগ্য হয়ে গেল।

চিকেন মোমো
উপকরণ
মুরগির বুকের মাংস ১/২ কাপ, রসুনবাটা ১/৩ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ চা-চামচ, ফিস সস ১/২ চা-চামচ, ময়দা ১/২ কাপ, লবণ (খামিরের জন্য) ১/৪ চা-চামচ।

প্রণালি
প্রথমে মুরগির বুকের মাংস কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নাও। এবার রসুনবাটা, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, ওয়েস্টার সস, ফিস সস দিয়ে ব্লেন্ডার করে নাও। এবার ময়দার সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে যতখানি পানি লাগে, তা যোগ করে রুটর খামিরের মতো খামির করে নাও। এবার ছোট ছোট রুটি বেলে নাও। এবার এতে ব্লেন্ড করে রাখা মাংসের পেস্ট থেকে অল্প অল্প দিয়ে পছন্দের আকারে মুড়িয়ে নাও। অন্যদিকে একটি পানি ভরা পাত্র চুলায় বসিয়ে তাতে বাঁশের স্টিমার দিয়ে রাখবে। পানি গরম হয়ে এলে এতে বানিয়ে রাখা মোমোগুলো দিয়ে ১০ মিনিট স্টিম করলেই হয়ে গেল চিকেন মোমো।

চকোলেট কাপ কেক উইথ ক্রাশড এলমন্ড
উপকরণ
ময়দা ১/২ কাপ, ডিম ৪টা, বাটার ৪ টেবিল চামচ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, আইসিং সুগার ৬ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১/২ কাপ, এলমন্ড স্পাইস ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি
প্রথমে ময়দা, ডিম, বাটার, কোকো পাউডার, আইসিং সুগার এবং প্রয়োজনমতো তরল দুধ দিয়ে পাতলা ডো করে নাও। এবার কাপ কেইক মোল্ডে পছন্দের পেপার দিয়ে তাতে পাতলা খামির ঢেলে তার ওপর এলমন্ড ছড়িয়ে দাও। এবার ৩৫০ ডিগ্রিতে ১০ মিনিট বেক করে চায়ের সঙ্গে উপভোগ করো।

কোরিয়ান্ডার রাইস

উপকরণ
ভাত ১ কাপ, কাজুবাদাম ১ টেবিল চামচ, গাজর ১ চা-চামচ, গ্রিন ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ, মটরশুঁটি ১/২ কাপ, পেঁয়াজ ২ টেবিল চামচ, চেরি টমেটো ৬/৭টা, থাই গ্রিন পেস্ট ২ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ,
শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ (কম-বেশি করা যাবে), লেবুর রস ২ চা-চামচ, মাখন ৩ টেবিল চামচ,
লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
ধনেপাতা ১ মুঠো, ধনেপাতা টালা ১ চা-চামচ, রসুনকুচি ১/২ কাপ, লেবু ২ টেবিল চামচ, থাই পাতা বা লেমন গ্রাস ২ স্টিক, লবণ অল্প, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৩/৪টা, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, এসব কিছু ব্লেন্ডারে খুব ভালোভাবে পিষে নাও।

প্রণালি
প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ টুকরা দাও। সঙ্গে দাও গ্রিন কারি পেস্ট। এবার একে একে সব সবজি ও রান্না করা ভাত, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ফ্রাইড রাইসের মতোই রান্না করো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে হয়ে যায় এই মজাদার রাইস। নামিয়ে চিকেন ফ্রাই কিংবা তোমার পছন্দমতো কারির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারো।

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
হেঁসেল

অফিস স্ন্যাকস

করেছে Rodoshee Magazine ফেব্রুয়ারী ৪, ২০১৯

সকাল হোক কিংবা বিকেল ছোট খিদেগুলো ফেলে দেয় বড় সমস্যায়। কি খাবো, কি খাবো না- এই দোটানায় না খেয়েও থাকতে হয়। অফিসের ছোট খিদের সহজ সমাধান দিয়েছেন আফরোজা নাজনীন সুমি।

এগ রোল
উপকরণ
ডিম ২টা, ময়দা ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো, তেল পরিমাণমতো, রান্না করা কিমা ১ কাপ, টেস্টিং সল্ট আধা কাপ।

প্রণালি
প্রথমেই ডিম, ময়দা, লবণ, টেস্টিং সল্ট ও পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নাও। এবার ননস্টিক প্যানে বানিয়ে রাখা গোলা ছেড়ে দিয়ে পাতলা প্যান কেকের মতো ভাজো। ভাজা প্যানকেকে কিমার পুর ভরে রোল বানিয়ে লবণ দিয়ে ফেটে রাখা ডিমে রোলগুলোকে মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে তুলে ফেলো। এবার পরিবেশন করো টমেটো সস দিয়ে মজাদার এগ রোল।

ডিম কিমা চপ

উপকরণ
চিকেন কিমা ১ কাপ, সেদ্ধ ডিমকুচি আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ-কুচি ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ ১/৪ চা-চামচ, গরম মসলাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, মাস্টার্ড পেস্ট আধা চা চামচ, সয়াসস ১/৪ চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১/৪ চা-চামচ, চিনি ১/৪ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, ডিম ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম্ব ২ টেবিল চামচ, টেম্পুরা পাউডার ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
প্রথমে চিকেন কিমা, ডিমকুচি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, সাদা গোলমরিচ, গরম মসলা, মাস্টার্ড পেস্ট, সয়াসস, চিলি ফ্লেক্স, চিনি, লেবুর রস, লবণ, টেম্পুরা, ব্রেডক্রাম্ব দিয়ে মেখে গোলাকার বানিয়ে নাও। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বানিয়ে রাখা গোলাকার চপগুলো ভেজে উঠিয়ে পরিবেশন করো চিলি সস দিয়ে।

পালং-চিকেন কাবাব

উপকরণ
আদাবাটা
১ চা-চামচ, পালংশাক ৫ আউন্স, ক্রিম চিজ ১ টেবিল চামচ, রসুনকুচি আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মোজেরেলা চিজ ১ কাপ, বোনলেস চিকেন ৪টা, ময়দা ১ কাপ, ডিম ৩টা, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, তেল পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ-কুচি ১ চা-চামচ।

প্রণালি
প্রথমেই একটি কড়াইয়ে গরম তেলে রসনকুচি ভেজে পালংশাক, লবণ, গোলমরিচগুঁড়া, কাঁচামরিচকুচি দিয়ে নেড়ে পানি শুকিয়ে মোজেরেলা চিজ ও ক্রিম চিজ দিয়ে নামিয়ে নাও। মুরগির টুকরা হাফ করে কেটে পকেটের মতো বানিয়ে নাও। এরপর চিকেন পকেটের মধ্যে পালংশাকের পুর মাংসের পকেটে ঢুকিয়ে ময়দায় ভালো করে গড়িয়ে নাও। এখন ডিমে চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে পরিবেশন করো টমেটো সস দিয়ে।

 

 

 

 

বিফ টেরিয়াকি সালাদ

উপকরণ
জুলিয়ান কাট গরুর মাংস ১ কাপ, ডিমের সাদা অংশ ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১/২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, মাস্টার্ড পেস্ট ১ চা-চামচ, আধা ভাঙা গোলমরিচ ১/৪ চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, সিসেমি অয়েল ১ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা-চামচ, তেল প্রয়োজনমতো, কাঁচামরিচ ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, মধু ১ চা-চামচ, তিল ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো, সবজি (শসা, গাজর, টমেটো) ১ কাপ।

প্রণালি
প্রথমেই গরুর মাংসে ডিমের সাদা অংশ, আদাবাটা, রসুন, সাদা গোলমরিচগুঁড়া, লেবুর রস, মাস্টার্ড পেস্ট, কর্নফ্লাওয়ার, সিসেমি অয়েল ও পাপরিকা দিয়ে ভালো করে মেখে মেরিনেট করে নাও। এবার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে মেখে রাখা মাংস ভাজতে থাকো। ভাজা হয়ে এলে ওপরে মধু আর তিল দিয়ে উঠিয়ে রাখো। এখন অন্য একটি পাত্রে কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে তার মধ্যে কাঁচামরিচ, চিলি সস, ধনেপাতা, গোলমরিচগুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে টস করে নাও। ব্যস, হয়ে গেল বিফ টেরিয়াকি সালাদ।

স্টাফড জুকিনি

উপকরণ
স্পাইস জুকিনি ১০ পিস, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, পাপরিকা গুঁড়া আধা চা-চামচ, আদাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, রসুনগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, ময়দা প্রয়োজনমতো, সেদ্ধ ডিম ১টা, টুথপিক প্রয়োজনমতো, মোজেরেলা চিজ ১০ পিস, মরিচগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, ব্রেডক্রাম্ব ১ কাপ, সস পরিবেশনের জন্য, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
প্রথমে ময়দার মধ্যে সাদা গোলমরিচগুঁড়া, পাপরিকা পাউডার, লবণ, আদাগুঁড়া, রসুনগুঁড়া দিয়ে ভালো করে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে আলাদা করে রাখো। এবার সেদ্ধ ডিমে লবণ, গোলমরিচগুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নাও। এখন জুকিনি স্পাইসে মোজেরেলা চিজ দিয়ে জুকিনি স্পাইস মুরিয়ে টুথ পিক দিয়ে আটকিয়ে প্রথমে ময়দায় মাখিয়ে তারপর ডিমে চুবিয়ে ও ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে নাও। ভাজা হয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

স্পাইসি চিকেন সালাদ

উপকরণ
মুরগির মাংস জুলিয়ান কাট ১ কাপ, গোলমরিচ ১/৪ চা-চামচ, পাপরিকা আধা চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি পরিমাণমতো, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, মাস্টার্ড পেস্ট ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, তেল পরিমাণমতো, সবজি (শসা, গাজর, টমেটো) ১ কাপ।
যেভাবে করবে প্রথমে মুরগির মাংসে লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস, কর্নফ্লাওয়ার, ডিমের সাদা অংশ, ধনেপাতাকুচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, মাস্টার্ড পেস্ট, সয়াসস, চিলি সস দিয়ে ভালো করে মেখে মেরিনেট করে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিতে হবে। এবার আলাদা একটা বাটিতে ভাজা মাংস ঢেলে টমেটো, গাজর, শসা, বাঁধাকপি, কাঁচামরিচ, চিলি ফ্লেক্স, লবণ, গোলমরিচগুঁড়া, লেবুর রস ও চিলি সস দিয়ে টস করে নিতে হবে। ব্যস, হয়ে গেল স্পাইসি চিকেন সালাদ।

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook