রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
লেখক

Shaila Hasan

Shaila Hasan

অন্দরের ডায়েরিআমরা গড়িপ্যারেন্টিংসচেতনতাসম্ভাবনা

সন্তানদের সৃজনশীলতা বিকাশের উপায়

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

যখন আমরা ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা সম্পর্কে কথা বলি, আমরা প্রায়শই মনে করি এটি এমন একটি প্রতিভা যার সাথে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। হয় তুমি স্বাভাবিকভাবেই একজন সৃজনশীল ব্যক্তি অথবা তুমি নও, এবং এটি অনেকাংশে সত্যও।  যদিও অভিভাবকারা অল্প বয়সেই তাদের সন্তানদের সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতাকে লালন করতে পারেন। তাদের সেভাবে বেড়ে উঠার জন্য শেখানো এবং উৎসাহিত করার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন। যদিও তুমি গ্যারান্টি দিতে পারো না যে, বাচ্চা পরবর্তী পিকাসো হবে, কিন্তু তাদের সৃজনশীল ভাবে চিন্তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম উপহার দিতে পারো। আর্ট প্রজেক্ট, বিল্ডিং ব্লক এবং কল্পনাপ্রসূত খেলার মতো ক্রিয়াকলাপগুলো বাচ্চাদের তাদের সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতা উন্নত করতে এবং তাদের কল্পনাকে আলোকিত করতে সাহায্য করতে পারে।

কেন সৃজনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ?

এটি বাচ্চাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি মেজাজ এবং সুস্থতার উন্নতি করতে পারে। ব্রুকলিন কলেজের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আঁকাআঁকি শিশুদের শিশুদের শান্ত করতে সাহায্য করে। এবং তারা যখন একটি সৃজনশীল প্রকল্পে মনোনিবেশ করে, তখন তারা আরও বেশি সুখী বোধ করে।

 

সৃজনশীলতা বিকাশের উপায়

-সৃজনশীলতার বিকাশ মন থেকে শুরু হয়। এটি মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, সৃজনশীল চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ বিকাশ এবং নতুন ধারণা শিখতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে বাচ্চাদের মনে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা তৈরিতে সহায়তা করতে হবে। তাদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো যা তাদের মনে নতুন ভাবনার খোরাক সৃষ্টি করে। এছাড়াও, তাদের অনুসন্ধিৎসু মনে সেখানে কী আছে তা খুঁজে বের করতে, কল্পনা করতে সাহায্য করতে পারো। তাদের এমন জিনিস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারো যা তাদের সৃজনশীলতার জন্য লঞ্চিং পয়েন্ট হিসেবে শুরু হবে।

-সৃজনশীলতা এমন কিছু নয় যার উদ্ভাবনের প্রয়োজন, এটি সবার মধ্যেই একটি মাত্রায় বিদ্যমান। আমাদের বাচ্চারা যখন স্রিজনশিলভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে শিখতে শুরু করে, তখন আমাদের উচিৎ তাদের এই প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করা এবং তাদের মনে করিয়ে দেয়া এটি জটিল নয়।

-বাচ্চাদের প্রশ্ন করা শিখাতে হবে। সাইকোলজি টুডে-র সাথে একটি নিবন্ধে গবেষক মেলিসা বার্কলে শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াতে তাদের জিজ্ঞাসা করতে শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

-বাচ্চারা নিরুৎসাহিত বোধ করতে পারে যখন তারা প্রথমবার কিছু চেষ্টা করে সফল না হয়। কিন্তু ভুল প্রায়ই আমাদের সাফল্যের চেয়ে বেশি শেখায় এবং সন্তানকে নতুন, সৃজনশীল সমাধান চেষ্টা করতে উৎসাহিত করতে পারে। তাই বাচ্চারা যখন নতুন কিছু শিখতে চায় বা করতে চায়, তাতে সফল হতে না পারলেও তাতে নিরুৎসাহিত না করে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে সাহায্য করতে পারো।

-ডেনিশ গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে প্রকৃতিতে বের হওয়া শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়- এটি সৃজনশীলতাকেও উন্নত করতে পারে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাইরে সময় কাটানো কৌতুহল বাড়াতে পারে, নমনীয় চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করতে পারে এবং রিচার্জ করতে সাহায্য করতে পারে। তুমি যখন বাচ্চাকে বসার ঘর থেকে গাছের ছায়ায় নিয়ে যাও তখন এটির পার্থক্যটি দেখ। সন্তানের মনকে সতেজ করতে এবং তাদের একটি ভাল মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করতে আশেপাশে হাঁটতে বেরিয়ে যাও।

-সৃজনশীলতা শেখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হল প্রতিক্রিয়া। বাচ্চারা তাদের কাজ সম্পর্কে তুমি কি ভাবছো তার ফিডব্যাক পেতে চায়। তাদের সমালোচকের প্রয়োজন নেই, তবে তারা জানতে চায় তোমার প্রিয় অংশ কি? তাই তোমার প্রিয় দিকটি চিহ্নিত করো এবং তা তাদের বর্ননা করো।

-একটি সত্যিই সহজ উপায় হল বাচ্চাদের নতুন জিনিস আবিষ্কার করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করা। যদি তারা কিছু লিখতে পছন্দ করে তবে তাদের একটি বই দাও যা লেখার বিভিন্ন শৈলী বর্ননা করে। অথবা তাদের একটি একটি ভিডিও ক্যামেরা দাও এবং তাদের স্পিলবার্গ-স্টাইলের কিছু শুট করতে দাও।

-একসাথে পড়ো। তুমি জানো কি পড়া তোমার সন্তানের কল্পনাশক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে পারে। প্রতিদিন একসাথে কিছু সময় একটি ছবি বা অধ্যায় পড়ার লক্ষ্য তৈরি করতে করো। যদি তোমার বইটিতে ছবি থাকে তবে একসাথে পড়ার আগে বাচ্চাকে ছবিটি কি সম্পর্কে তা অনুমান করতে বলো। এটি শিশুদের সমস্যা সমাধান অনুশীলনের পাশাপাশি পড়ার বোঝার অনুশীলন করতে সহায়তা করতে পারে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িগ্রুমিংজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

নতুন বছরের রেজ্যুলেশন করেছো কি?

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাসি-কান্না সবকিছুর মিশেলে আরেকটি বছর চলে গেলো। এসেছে নতুন বছর। আজ হলো ৩৬৫ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ফাঁকা পৃষ্ঠার শুরুর দিন। নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প পূরণে নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছো কি? নতুন বছরের তোমার সেট করা রেজ্যুলেশন পূরনের জন্য কিছু টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

নিউ ইয়ার রেজ্যুলেশন হল এমন একটি ঐতিহ্য যা পশ্চিমা বিশ্বে খুবই কমন। তবে এখন এই ধারণা বিশ্বব্যাপী সমান তালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্যালেন্ডার বছরের শুরুতে একজন ব্যক্তি তার মধ্যে ভাল অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার, একটি অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ পরিবর্তন করার, একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন বা অন্যথায় উন্নতি করার সংকল্প করে। নতুন বছরের রেজ্যুলেশনগুলো দীর্ঘকাল ধরে আমাদের জীবনে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে স্টক করার এমন এক উপায়, যা আমাদের পিছনের বছরটিকে থামাতে এবং প্রতিফলিত করার পাশাপাশি সামনের বছরের জন্য পরিকল্পনা করতে দেয়। এটি শরীর, মন এবং আত্মার উন্নতি ও নতুন বছরের জন্য তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলো সংগঠিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। কী থাকে এই রেজ্যুলেশনে? স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়াকে লক্ষ্য রেখে নতুন ডায়েট বা ওয়ার্কআউটের পরিকিল্পনা করা, তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টিভঙ্গি সেট করা, অথবা হতে পারে নতুন কোন বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করার চেষ্টা করা। লক্ষ্য যাই থাকুক না কেন নিজেকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করার জন্য রেজ্যুলেশনগুলো করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে,সমস্ত রেজ্যুলেশনের অর্ধেকেরও বেশি ব্যর্থ হয়ে যায় তা পূর্ণতা দেয়ার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে, জীবনকে উন্নত করার জন্য সঠিক রেজ্যুলেশনটি কীভাবে সনাক্ত করা যায় এবং কীভাবে এটিতে পৌঁছানো যায় যে সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হলঃ

-প্রথমেই যা তোমাকে ঠিক করতে হবে তা হলো তুমি কী চাও এবং তা কেন চাও? অর্থাৎ তোমার রেজ্যুলেশনটি হতে হবে একেবারে স্পেসিফিক। আমি ওজন কমাতে চাই, অস্পষ্টভাবে এটা বলার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তুমি একটি লক্ষ্য রাখতে চাওঃ কতটা ওজন কমাতে চাও এবং কতো সময়ের ব্যবধানে? এভাবে নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখা চাই।

-আমরা প্রায়ই এমন পরিকল্পনা সেট করি যেগুলোকে আমরা পরিচালনাযোগ্য মনে করি কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব এবং এটি অবাস্তব রেজ্যুলেশন যা তোমাকে বিভ্রান্ত করবে। খুব দ্রুত একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা তোমাকে হতাশ করে দিতে পারে অথবা তোমার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শুরুতেই একেবারে অনেক পরিবর্তন করার চেষ্টা না করাই ভালো। নিজেকে উৎসাহ দিতে এবং ছোট জয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করো।

-প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। এটি কি এমন একটি লক্ষ্য যা সত্যিই তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তুমি কি সঠিক কারণে এটি তৈরি করেছো? যদি তুমি সেই মুহূর্তে আত্ম-ঘৃণা বা অনুশোচনা বা তীব্র আবেগের অনুভূতি থেকে এটি করো তবে এটি সাধারণোত দীর্ঘস্থায়ী হয়না। কিন্তু তুমি যদি এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করো যেখানে তোমার জন্য কী ভালো তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছো, নিজের জীবনের কাঠামো পরিবর্তন করছো তবেই তা হবে পূরনের জন্য যথার্থ।

-রেজ্যুলেশন পুরণের লক্ষ্যে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করো। তোমার লক্ষ্য যদি থাকে চাকরি পরিবর্তন করার, তাহলে সেই রেজ্যুলেশনে পৌঁছানোর জন্য এই বছর ভিনভাবে কি করতে চাও? আরও নির্দিষ্টভাবে, এখন তোমার কোন অভ্যাস আছে যা তোমাকে সেই লক্ষ্যে থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে? হতে পারে তোমার প্রতি রাতে টিভি দেখতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোল করার সময় ২-৩ ঘন্টা নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে। তোমার বর্তমান রুটিন পুনরায় মূল্যায়ন করো এবং সময়কে কিভাবে ব্যয় করবে পেশাদার দক্ষতা শিখতে, কাজের তালিকা চেক করতে বা পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে তা ঠিক করে নাও।

-নিজেকে সর্বদা অনুপ্রাণিত রাখতে হবে। কাঙ্ক্ষিত রেজ্যুলেশনে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত থাকার জন্য, তোমাকে অনুপ্রাণিত করে এমন খাবার, কার্যকলাপ, বিষয়বস্তু, মিউজিকে নিজেকে নিমজ্জিত রাখো। তোমার অদি এবার লক্ষ্য থাকে নতুন কোন ভাষা রপ্ত করার, তবে প্রিয় মানুষদের নিয়ে সেই ভাষার ফিল্ম বা মিউজিক উপভোগ করতে পারো। যদি নতুন কোন দক্ষতা কোর্স করার সিদ্ধান্ত নাও তবে সেই ব্যাপারে ইউটিউবে ভিডিও দেখো, সফল ব্যক্তিদের কথা শুনো যা তোমাকে অনুপ্রাণিত ও উত্তেজিত রাখবে। মোট কথা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার সাথে সাথে নিজেকেও ইন্সপায়ার্ড করতে হবে।

-সর্বোপরি, নিজের প্রতি সদয় হও। যদি তুমি তোমার প্রত্যাশার কম হও তবে নিজেকে সহানুভূতি দেখাও। নিজের সাথে নিজে কথা বলো। তুমি যদি নিজের প্রত্যাশা পূরন না করার জন্য নিজেকে নিচু করে ফেলো বা খারাপ বোধ করো তবে হতাশা আর আত্মগ্লানি বাড়বে বৈ কমবে না। তাই নিজের প্রতি সদয় হও, নিজের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করো। মনে রাখবে রেজ্যুলেশনগুলো হল আমাদের সেরা হয়ে ওঠার সুচনা বিন্দু, এটি চূড়ান্ত গন্তব্য নয়।

তাই চলো আমরা এগিয়ে যাই এবং আমাদের লক্ষ্য নির্ধরণ করে, সেগুলোর দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে নতুন বছর শুরু করি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

সালাদ তাজা রাখার উপায়

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা। দেহ ফিট রাখার পাশাপাশি ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখতে এর উপকারিতা অনস্বীকার্য। পুষ্টিকর, মসৃণ এবং তাজা সবজীর সমারোহে এক বাটি সালাদ নিজেদের পাতে পেতে কেনা চায়? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেখা যায় যে, সালাদ তৈরীর জন্য সবজীর প্রয়োজন দেখা দেয় সেগুলোর সতেজতা অনেকক্ষণ ব্যাপী থাকেনা। কখনও খেয়াল করে দেখেছো কি কীভাবে প্রো শেফরা তাদের সবজী সতেজ রাখতে পারে? সালাদ তথা শাকসবজি সংরক্ষণ করার কিছু টিপস শেয়ার করা হলো যাতে তারা বেশি সময় ধরে ফ্রেশ থাকতে পারে।

-তুমি যদি প্রথমেই গোড়ায় হালকা পচন ধরা সবজীর কোন বান্ডিল নির্বাচন করে নাও তবে শুরুতেই তোমার সবকিছু পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে। তাই যখনই এমন কিছু কেনাকেটা করতে যাবে, তা হোক কোন লেটুস অথবা মিক্সড সালাদ ব্যাগ; ভালোভাবে পরীক্ষা করে বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

-সবুজ শাকসবজি আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আর্দ্রতার সৃষ্টি করে, ফলশ্রুতিতে এটি দ্রুত সতেজতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে তোমার সবজীর ব্যাগের সাথে কাগজের টাওয়ালে জড়িয়ে রাখা প্রাথমিকভাবে একটি অপরিহার্য সালাদ সংরক্ষণের কৌশল হিসেবে সম্মত। এই সহজ পদক্ষেপটি আর্দ্রতা দূর করতে এবং নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।

-সালাদ তৈরীতে লেটুস অনেক ব্যবহৃত হয়। লেটুসের আয়ু বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি হল প্রথমে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করা এবং তারপরে শুকিয়ে রাখা। তাই যখনই এগুলো কিনে আনা হয় তা প্যাকেজিং থেকে সরিয়ে সালাদ স্পিনারের মধ্যে ঘুরিয়ে নাও। অথবা কিচেন টাওয়াল দিয়ে চেপে চেপে এর গায়ের অতিরিক্ত আর্দ্রতা মুছে শুকিয়ে রাখতে হবে। তারপর তা বায়ুরোধী প্লাস্টিকের স্টোরেজ কন্টেইনারে সংরক্ষণ করতে হবে।

-ফল এবং শাকসবজি ফ্রিজের নির্দেশিত নীচের ড্রয়ারে রাখো কারণ এগুলো আসলে গ্যাস এবং আর্দ্রতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা নষ্ট হওয়াকে ত্বরান্বিত করে। ধ্বংসাত্মক ইথিলিনকে পালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য উচ্চ আর্দ্রতা নির্বাচন করো।

-খাবার পরিবেশনের আগেই যদি সালাদ ড্রেসিং করে তৈরি করে রেখে দাও তবে তা এর জীবনকালকে ছোট করবে নিশ্চিত। এক্ষেত্রে, পরিবেশন করার আগে পর্যন্ত ড্রেসিং আলাদা করে রেখে দাও। আরেকটি বিকল্প হলো, মেসন জারে ড্রেসিংটি একেবারে নীচে স্তরে রাখা, মাঝখানে টপিংস এবং উপরে সবুজ শাক্সবজী রেখে বাটিতে ঢেলে রাখতে পারো এবং পরিবেশনের ঠিক আগে শুধু মিশিয়ে নিলেই হবে।

-বিভিন্ন সালাদের উপকরণগুলোর জীবনকাল বিভিন্ন থাকে। কোনটি দীর্ঘস্থায়ী, কোনটি নয় তা জানতে হবে। বেশিরভাগ সবজি যেমন গাজর, মরিচ, পেঁয়াজ, মূলা, শসা এবং টমেটো এগুলো সংরক্ষণ করা সহজ এবং এগুলোর যোগে অনেকক্ষণ তাজা থাকতে পারে। অন্যদিকে, অ্যাভোকাডো, আপেল এবং অন্যান্য ফল যা কেটে ফেলার পর অতি দ্রুত বাদামী হয়ে যায়; তা সালাদে এড করতে চাইলে অনেক আগে না কেটে সাথে সাথে যোগ করা ভালো।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসম্ভাবনাসাফল্য

আলোয় ভুবন ভরা

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘুচিয়ে অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। গতকাল উদ্বোধন (২৮ ডিসেম্বর) হয়ে গেলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলের। সাথে সংযুক্ত হয়েছিলেন ছয় নারী চালক। এ স্বপ্নযাত্রায় চালকের আসনে আসীন হয়ে মরিয়ম আফিজা দেশের ইতিহাসের গর্বিত অংশ হিসেবে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়ে মরিয়ম আফিজার পরিচালনায় মেট্রোরেল উড়ে গিয়েছে আগারগাঁওয়ের দিকে। কে এই মরিয়ম আফিজা? লক্ষীপুরের মেয়ে আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে গতানুগতিক ধারায়  ক্যারিয়ারকে পরিচালিত না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানায় নিজেকে নিয়ে গেছেন। অনেকটা নিজ আগ্রহ বশতই এই পদে আবেদন করে গত বছরের ২ নভেম্বর পান ট্রেন অপারেটর হিসেবে নিয়োগ। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পর দেশের এই মেট্রোযুগে প্রবেশে নিজেকে শরীক করতে পেরেছেন।

শুধু মরিয়ম আফিজাই নন, এমন অনেকেই আছেন যারা সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ভেঙে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উবার চালক লিউজার কথা। আমাদের দেশে নারী উবার চালক?  তার উপর আবার রাতে-বিরেতে বের হওয়া? অত চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কিন্তু সমাজের সব বাধা-বিপত্তিকে পাশে ঠেলে তিনি সামনেই এগিয়ে গিয়েছেন। গল্পটি আবার হতে পারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তারের। কোন মেয়ে বডি বিল্ডিং করছে এমন দৃশ্য তো ভাবাই যায়না। কিন্তু সকল কটুবাক্যকে হটিয়ে আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বুকে দেশের পতাকা উড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি।

এবছরই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপে নারী ফুটবল দল দেখিয়ে দিয়েছে তাদের ক্ষমতা। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন বাংলার এই বাঘিনীদের দল। এই শিরোপা জেতা তাদের জন্য অতটা সুগম ছিলোনা। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই ফাইনাল খেলার সুযগ থাকলেও জয়ের স্বাদ নিতে ব্যর্থ হয় তারা। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এসে সেই আকাঙ্ক্ষিত জয় আনতে সক্ষম হয়।

নারীদের এমন শত শত সাফল্যগাঁথা গল্পও রয়েছে। যার পদে পদে থাকে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সব কিছু জয় করে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে। যে কোন সেক্টরেই হোক না কেন, সহযোগিতা, অনুকুল পরিবেশ এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকলে নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে। নারীর অধিকার মানে অন্যদের দাবিয়ে রেখে তাদেরকে উপরে তোলা নয়, বরং তাদেরকেও দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসাফল্যসুস্থ মন

জীবনে বদলে দিতে পারে যে অভ্যাস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

অভ্যাস এবং রুটিন থাকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য দিক। তুমি একটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাও, আরও উৎপাদনশীল হতে চাও বা আরও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে চাও; অভ্যাসগুলো হল সেই ছোট ছোট পরিবর্তনের সমন্বয় যা সময়ের পালাক্রমে উল্লেখযোগ্য ফলাফল যোগ করতে পারে।

‘সফল ব্যক্তিরা কেবল শীর্ষে চলে যান না। সেখানে পৌঁছানোর জন্য জিনিসগুলো ঘটানোর জন্য প্রতিদিন ফোকাসড অ্যাকশন, ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা এবং প্রচুর শক্তি প্রয়োজন’। আমেরিকান লেখক এবং উদ্যোক্তা জ্যাক ক্যানফিল্ড এর উক্তি দ্বারা বোঝা যায় একটি সুখী এবং আরও উৎপাদনশীল জীবনের জন্য কতিপয় অভ্যাস গড়ে তোলা কত প্রয়োজনীয়। আমরা যা কিছু ভাবি, বলি এবং করি তা বছরের পর বছর ধরে আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকা অভ্যাসের ফল। তারা আমাদের জীবনের সাথে এতটাই অবিচ্ছেদ্য যে একটি গবেষণায় নির্ধারণ করা হয়েছে যে আমরা প্রতিদিন যা কিছু করি তার প্রায় ৪৫ শতাংশ আমাদের অভ্যাস দ্বারা চালিত হয়। তোমার মনোভাবই তোমার উচ্চতা নির্ধারণ করে। তাই পুরাতন অভ্যাসগুলো তোমাকে আটকে রাখতে দেবেনা এবং কিছু সহজ তবে প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলো তৈরি করা শুরু করে দাও।

ভোরে জেগে উঠো

ভোরবেলা হলো শান্তিপূর্ণ প্রতিফলন এবং পর্যাপ্ত উৎপাদনশীলতার একটি সময়; যেখানে পৃথিবী স্থির এবং ঘুমিয়ে আছে, যা তোমাকে তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলোতে ফোকাস করার অনেক সময় দেয়। হয়তো তুমি দৌড়ের জন্য যেতে চাও অথবা স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ উপভোগ করতে পছন্দ করো। একটি অর্থপূর্ণ সকালে এই ধরনের কার্যক্রম তোমাকে সুপারচার্জ বোধ করায়। এই অভ্যাস ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গের মতো নেতারা প্রতিদিন অনুশীলন করে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা একটি দৈনন্দিন রুটিনে সেট করবে যা তোমাকে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করতে পারে।

যা আছে তাতে ফোকাস করো

আমরা আমাদের সমস্যায় ডুবে অনেক সময় ব্যয় করি। কিন্তু সমস্যাগুলোও জীবনের একটি অংশ। তুমি যদি তোমার সমস্যাগুলো থেকে তোমার ফোকাসকে সরিয়ে নিতে চাও তবে তোমার যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হতে হবে। কৃতজ্ঞতা স্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্যের নিশ্চিত পথ। এটি আমাদের যা নেই তার চেয়ে আমাদের যা আছে তার দিকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে দেয়।

দিন নির্ধারণ করো

তোমার দিন নির্ধারণ করা অভ্যাসের এই তালিকায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন যা তোমার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। বিভ্রান্ত হওয়া এবং ফোকাস হারানো এড়াতে তুমি দিনের জন্য কী করছো তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, দিনের সময় নির্ধারণ করা তোমার অগ্রাধিকার সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে যাতে তুমি তোমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী তা সম্পন্ন করতে পারো।

প্রাণ খুলে হাসো

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সত্যিকারের হাসি হাসে তারা জীবনে সুখী হয়। এটি তোমাকে সময়ের সাথে সাথে মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার একটি সেরা অভ্যাস। আমাদের দেহের ফিজিওলজি আমাদের মনের মনস্তত্ত্বকে নির্দেশ করে। যখন আমাদের মাঝে হতাশা ও অসুখের অনুভূতি প্রকাশ হয়, তখন আমাদের মন সেই ইঙ্গিতগুলো গ্রহণ করে এবং তাদের সাথে চলে। যাইহোক, একবার আমরা সচেতনভাবে নিজেদেরকে সামঞ্জস্য করে আমাদের বাহ্যিক চেহারা পরিবর্তন করি, দেখবে আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিও তা অনুসরণ করে নিবে।

৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ

প্যারোটের নীতি বা ৮০/২০ নিয়ম মানে যে কোন পরিস্থিতিতে, ২০% কাজগুলো ৮০% ফলাফল দেয়। সুতরাং, তুমি সেই কাজগুলোতে তোমার বেশিরভাগ সময় এবং শক্তি বিনিয়োগ করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারো যা সবচেয়ে বড় প্রভাব তৈরি করবে। একবার তুমি সেই কাজগুলো শেষ করে ফেললে, তোমার করণিয় তালিকায় থাকা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলোতে ফোকাস করতে পারবে।

পড়, পড় এবং পড়

বই পড়া জ্ঞান অর্জন এবং সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। এটি মনোযোগকে উন্নত করে এবং ধ্যানের মতই মনে শান্ত প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ঘুমানোর আগে পড়া ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

ইতিবাচক মানুষের মাঝে থাকা

কার সাথে সময় কাটাচ্ছো তা সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। এমন সম্পর্কগুলো ছেড়ে দাও যা তোমাকে উপরে তোলার পরিবর্তে নীচে নিয়ে আসে। এমন লোকদের সাথে মিশো যারা সুখ ভাগ করে নিতে জানে। যেহেতু সুখ সংক্রামক, এটি তোমার জীবনে ইতিবাচকতা তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি।

প্রতিদিন ব্যায়াম করো

জীবনের সর্বোত্তম অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি হল প্রতিদিন ব্যায়াম করা। এটি ভারি ভারোত্তোলন বা ম্যারাথন দৌড়ানো নয়। রক্তের অক্সিজেন এবং শরীরে এন্ডোরফিন বাড়াতে হালকা কার্যকলাপের সাথে যুক্ত। তুমি যখন এই অভ্যাসটি শুরু করবে তখন কেবল শারীরিকভাবে ভাল বোধ করবেনা, আরও অনুপ্রাণিত বোধ করবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ হবে। ব্যায়াম ডোপামিনিন, অক্সিটোসিন এবং সেরোটোনিনকে সিস্টেমে ছেড়ে দেয়, যা কোন ঔষধের ব্যবহার ছাড়াই ভালো প্রভাব বিস্তার করে।

ভয় মোকাবেলা করো

আমরা অনেক সময় ভয়ে ডুবে থাকি। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই চিন্তিত এবং নার্ভাস থাকি যে বর্তমান মুহূর্ত উপভোগ করতে ভুলে যাই। জিনিসগুলোকে ভয় করা আমাদের মনে এতটাই গেঁথে গেছে যে এটি আমাদের অগ্রগতিকে বাধা দেয়। ভয় ভেঙে ফেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি যা তুমি বিকাশ করতে পারো।

নিজের জন্য সময় বের করা

এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের অধিকাংশই জীবনে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয় তা হল কিছুটা নিজস্ব সময় উপভোগ করা। প্রতিদিন এমন একটা ছোট কাজ করো যা করতে তুমি পছন্দ করো। এই কাজ করার মাধ্যমে, তোমার মনে শান্তি স্থাপন হবে যা তোমার মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্ম-সম্মানের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। হেডফোনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের মিউজিক শুনো না কেন, পার্কের মধ্যে হাঁটাহাঁটি, প্রিয় রাস্তা ধরে ড্রাইভ অথবা প্রিয় কোন সিনেমা দেখা- যাই করোনা কেন, নিশ্চিত হও যে সর্বদা নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে পারছো।

এই অভ্যাসগুলো বিকাশের জন্য দৃঢ় সংকল্প, ধৈর্য এবং অবিরাম প্রচেষ্টা প্রয়োজন। হতে পারে এটি মাত্র কয়েক সপ্তাহ বা এক বছরেরও বেশি সময় নিতে পারে। তবে হাল ছেড়োনা, জয় হবেই।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রামনের মত ঘর

ঘর পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু টিপস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

মানুষ অভ্যাসের দাস। তোমার অভ্যাস নির্ধারণ করে ঘর পরিষ্কার কিংবা অগোছালো কিনা। এটি পরিষ্কার করার জন্য প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। ছোট ছোট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই তোমার ঘর থাকবে পরিষ্কার ও সুসংগঠিত।

বলা হয়, যখন তোমার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে তখন তুমি খুশি অনুপ্রাণিত এবং সুস্থ বোধ করো। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে একটি পরিপাটি ও গোছানো ঘর মুহুর্তেই আমাদের মন প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। যদিও ঘর পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখা একটি খুব বড় কাজ। একটি সুশৃঙ্খল বাড়ির গভীর পরিচ্ছন্নতার পেছনে অজস্র সময় এবং শ্রম জড়িত থাকতে পারে,  কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করাটা উপভোগ করেনা এবং প্রতিদিন তা নিয়মানুযায়ী পুনরাবৃত্তি করাও চাট্টিখানি কথা নয়। তাহলে এখন উপায়? এক্ষেত্রে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। নিশ্চিত থাকো, যত বেশি এগুলো তুমি অনুসরণ করবে, এটি তত সহজ হবে।

চলো শুরু করি!

তোমার বিছানা গোছাও

অনেকের কাছেই বিছানা গুছানো সময়ের অপচয় মনে হয়, যেহেতু আবার সেই বিছানায় ফিরে আসবে। কিন্তু এটি সত্যিই একটি বড় পার্থক্য করে যে ঘরটি কতটা পরিপাটি দেখায় মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছানো একটি সফল এবং সংগঠিত জীবনের সাথে সরাসরি জড়িত। তোমার দিনটি নিখুঁতভাবে শুরু করতে, বিছানা তৈরি করা থেকে শুরু করো। প্রতিবার দিনের বেলায় সুন্দরভাবে তৈরি বিছানা দেখতে এবং রাতে সেই পরিপাটি বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিতে অনেক ভালো লাগবে। এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, যারা তাদের বিছানা তৈরি করে তাদের নিয়মিত রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা ১৯% বেশি। প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাও, যা তোমার ঘরকে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ লুক দিবে।

কখনোই খালি হাতে রুম ছাড়বেনা

ঘরের রুমগুলোতে যে মেসি বা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় তার পরিত্রাণের জন্য এটি হল সর্বোত্তম উপায়। এই অভ্যাসের বড় সুবিধা হলো এটি কোনও অতিরিক্ত সময় নেয় না। ভেবে দেখো, আমরা অনেক সময় এমন অনেক জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে পেয়ে থাকি; যেখানে এটি অন্তর্ভূক্ত নয়। সিঁড়িতে জুতা, বাথরুমে খেলনা, নোংরা রান্নাঘরের তোয়ালে যা ওয়াশিং মেশিনে যেতে হবে। সুতরাং কখনই একটি ঘর খালি হাতে না ছাড়ার অভ্যাসের অর্থ হল তুমি যখনই যেই রুমেই যাওনা কেন সেখানকার জিনিসপত্র তার সঠিক গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। সবকিছুই যথাস্থানে থাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঘর সহজেই পরিপাটি থাকবে।

প্রতিদিন থালাবাসন ধোয়া

রাতে সিঙ্কে থালাবাসন জমিয়ে রাখা অস্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয়, নিয়মিতভাবে থালা বাসন ধোয়া রান্নাঘরকে সব সময় পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই সারারাত সিঙ্কের কাছে এঁটো থালা বাসনের লোড না রেখে সন্ধ্যায় বা রাতেই সব পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এইসব কাজ ভাগ করে দিলে সহজেই সবকিছুর সমাধা হয়ে যায়।

১ মিনিটের নিয়ম

এই অভ্যাসের অর্থ হলো মূলত যে কোনও কিছু যা এক মিনিটেরও কম সময়ে করা যায়, সে সব কাজ করা দিয়ে শুরু করতে পারো। এই কাজ সম্পাদন অতি দ্রুত হয়ে যায়, তাই এতে বিরক্তবোধের সৃষ্টি হবেনা।

প্রতিদিনকার লন্ড্রি সামলানো

প্রতিদিনই আমাদের টুকটাক কাপড় ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটি একটি অনিবার্য কাজ। কাপড় ধোয়ার এই কাজটি যদি ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করে ফেলা যায় তবে উইকেন্ডে এটি কোন একচেটিয়া স্তূপের সৃষ্টি করবেনা।

রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা

কুটা-বাছা, রান্না করা এসব কাজে রান্নাঘরে অনেক এলোমেলো অবস্থার সৃষ্টি হয়। রান্নার সময় মশলার কৌটা, ঢাকনা, চামুচ এগুলো ব্যবহারের পর যত্রতত্র না রেখে কাউন্টার টপে রেখে দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি প্লেট, বাটি সব ধুয়ে ফেলতে হবে। ময়লা আবর্জনা পরে ফেলে দিব বলে না জমিয়ে রেখে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলতে হবে। সবকিছুর শেষে চুলার আশপাশ, সিঙ্ক সব ধুয়ে মুছে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অপসারণ

আমাদের প্রায় সবার কাছেই এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। এটি কেবল পরিবেশের জন্নইখারাপ নয়, আমাদের মঙ্গলের জন্যও দূর্দান্ত নয়। কারণ এই সমস্ত জিনিসগুলো সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলতা এবং অব্যবস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে। অতএব, ক্রমাগত ডিক্লাটার করার অভ্যাস হল তোমার ঘরকে পরিষ্কার ও সংগঠিত রাখার আরেকটি শক্তিশালী অভ্যাস। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে পারোঃ

-এটি কি ব্যবহার করবে?

-তোমার এটির প্রয়োজন আছে?

-তুমি কি এটি পছন্দ করো?

যদি উত্তর হ্যাঁ না পাও তবে সেক্ষেত্রে তা অপসারণ করো।

উপভোগ্য করে তোলো

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজটি আমাদের কাছে অনেক ক্লান্তিকর মনে হয়। তাই পরিষ্কার করা যতটা সম্ভব আনন্দদায়ক করা আমাদের ভাল পরিষ্কারের অভ্যাস বজায় রাখতে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে। এটি করার একটি উপায় হল যাকে কাপলিং বা পেয়ারিং বলা হয়। অর্থাৎ, তুমি এমন কিছুর সাথে একটি উপভোগ্য কাজ জুটাও যা তুমি নিজে করার চেষ্টা করেছো। ক্লিনিং এর যখন কাজটি করবে তখন পাশাপাশি তোমার প্রিয় কোন মিউজিক ছেড়ে দিতে পারো। অথবা টিভিতে তোমার প্রিয় কোন শো দেখতে দেখতে কাজ করতে পারো। দেখবে সব নিমিষেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটাচলন বলনজীবনযাত্রাবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

স্নিকার পায়ে বিয়ের কনে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বিয়ের মতো এমন স্পেশাল দিনে বর-কনের সাজ পোশাকও হওয়া চাই স্পেশাল। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নবদম্পতি আড়ম্বরপূর্ণ চেহারায় নিজেদের উপস্থাপন করে থাকে। কিন্তু সময়ের পালাবদলের সাথে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সাজ পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন ঐতিহ্যগত ধারণা পাল্টে গেছে তেমনি পদযুগলে ফ্যান্সি হিলের পরিবর্তে ঠাই পাচ্ছে স্নিকারের। যা বর্তমানে ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।  

বলি-অভিনেতা রাজকুমার রাও যখন পত্রলেখাকে হাঁটু গেড়ে আঙটি পরিয়ে দিয়েছিলো তখন নেট দুনিয়ায় তাদের বিয়ে নিয়ে যতটা না চর্চিত হয়েছিলো, তার বেশি সাড়া ফেলেছিলো সাদা আউটফিটের সাথে পত্রলেখার পায়ের স্নিকার নিয়ে। অন্যদিকে ফ্যাশন ডিভা হিসেবে খ্যাত সোনম কাপুরের রিসিপশন পার্টিতে তার বোন রিয়া কাপুর এবং বর আনন্দ আহুজা জাঁকজমক পোশাকের সাথে হাজির হয়েছিলেন স্নিকার পায়ে দিয়ে। এবার আমাদের দেশের দিকে একটু তাকানো যাক। মাসখানেক আগেই হয়ে গেলো গায়ক প্রীতম ও অভিনেত্রী শেহতাজের বিয়ের অনুষ্ঠান। শ্রীমঙ্গলের মনোরম পরিবেশে কনের বেশে শেহতাজকে দেখা যায় ঝলমলে গোলাপি লেহেঙ্গায়, পায়ে গলানো ছিল স্নিকার। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলের কাছেই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে ফ্যাশনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের প্রাধান্য পাচ্ছে তা হল ‘কমফোর্ট’। যেটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ পাওয়া যাচ্ছে তাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাজ-পোশাকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং নূন্যতম দেখার পাশাপাশি ফুটওয়্যারে লক্ষ্যণীয় এমন পছন্দ ব্রাইডাল জগতে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। বরের সাথে আগে থেকেই স্নিকারের যোগসূত্র থাকলেও, কনের পায়ে এর নতুন সংযোজন দেখা যাচ্ছে।

স্নিকার এখন কেবল জিনস আর টি-শার্টে আর আবদ্ধ নেই, অনায়াসে বিয়ের পোশাকের সঙ্গীও হয়ে উঠেছে। পশ্চিমা বিশ্বে বিয়েতে সাদা গাউনের সাথে পায়ে স্নিকার পরার চল তেমন নতুন কিছু নয়। এমন অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা তাদের বিশেষ দিনেও বিয়ের সাজ পোশাকের সাথে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্নিকারকেই। বিয়ের পোশাক তা হোক গাউন, লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি- পোশাক ও নিজের স্বাচ্ছন্দ্য এবং রুচির সাথে তাল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় সব স্নিকার বেছে নেয়ার অপশন রয়েছে। বিয়ের দিনে তোমার সাজপোশাকে চকচকে একটি স্প্ল্যাশ যোগ করতে চাও? এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারো গ্লিটারি বা পার্ল ওয়েডিং স্নিকার। ক্ল্যাসি লুক চাও? সেক্ষেত্রে লেস যুক্ত স্নিকার নাও। অথবা যদি একদমই ইউনিক কিছু চাও, তবে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করেও নিতে পারো। নকশার বৈচিত্র্যতার পাশাপাশি নানা রঙের মিশেলও পাবে। মেয়েদের জন্য সাদার পাশাপাশি গোলাপি, লাল ইত্যাদি রঙের প্রাধান্যও রয়েছে।

পারফেক্ট জুতা জোড়া নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় আছে যেমন; টেকসই উপকরণ,সাপোর্ট এবং আরামদায়কতা- এগুলো অবশ্যই বিবেচনা করে রাখবে। বিয়ের ভেন্যু বা লোকেশানও এক্ষেত্রে মাথায় রাখবে। সেখানকার পরিবেশ সবকিছুর উপর বিবেচনা করে নিজের জন্য বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

চোখের ক্লান্তি, নিমিষেই মিলবে শ্রান্তি

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

আধুনিক জীবন চলার পথ সুগম করার সকল উপকরণ সবসময় আমাদের চোখের জন্য সদয় হয়না। অনেক ডিভাইস, যেমন কম্পিউটার, ফোন এবং ট্যাবলেট থেকে নির্গত নীল আলো আমাদের চোখের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। যা চোখের ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টি এবং মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে। এই ক্লান্তি দূর করার এবং চোখ শিথিল করার উপায় জানতে লেখাটি পড়তে পারো।

আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ হচ্ছে সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। দৈনন্দিন জীবনে চোখের উপরেই পড়ে সবরকমের চাপ। আধুনিকায়নের এই যুগে বেশির ভাগ কাজের জন্য আমাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর নির্ভর থাকতে হয়। এছাড়াও সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল শিক্ষার প্রয়োজনে বাচ্চারা স্ক্রিনের সামনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় কাটাতে পারে। সবকিছু ডিজিটালাইজড হওয়ার কারণে একদিকে যেমন সময় ও শ্রম সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে এসব কিছুই আমাদের চোখের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলছে। আমাদের চোখ অনেক সূক্ষ্ম পেশী দ্বারা গঠিত। শরীরের অন্যান্য পেশীগুলোর মতো, যখন আমরা আমাদের চোখের পেশীগুলো অনুশীলন করি, তখন তাদেরও বিশ্রাম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চোখকে বিশ্রাম দেয়া, পুরো শরীরকে শিথিল করতেও সাহায্য করতে পারে। চোখের বিশ্রাম ব্যায়াম প্রতিদিন সঞ্চালিত করা উচিৎ কারণ চোখের ফিটনেস পুরো জীবনকালের ভালো দৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চোখ শিথিলকরণের কিছু কৌশল জেনে নিইঃ

চোখ শিথিলকরণ

এর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আলো বন্ধ করে দেয়া। হাতে যদি সময় থাকে, তবে কয়েক মিনিট চুপচাপ বসে থাকো কিংবা শুয়ে পড়ো। চোখ বন্ধ করে শ্বাসের দিকে মনোনিবেশ করো। শান্ত শ্বাস মুখের পেশী শিথিল করতে সাহায্য করবে এবং চোখ বন্ধ করলে চোখের চাপ কমবে।

হাতের তালুর ব্যবহার

চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এই কৌশলটিকে চক্ষু চিকিৎসক উইলিয়াম বেটস এর ‘দ্য বেটস মেথড’ নামক একটি বিকল্প থেরাপির সাথে যুক্ত করেছেন। হাতের তালু অপটিক স্নায়ু শিথিল করতে পারে এবং একই সাথে চোখকে আলো থেকে বিরতি দিতে পারে। হাত একসাথে ঘষে তাদের উষ্ণ করতে হবে। তারপর তা চোখের বলের উপর চাপ না দিয়ে বন্ধ চোখের উপর কাপ করে রাখো। ধারণা করা হয় যে এটি চোখকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে।

লাইট এবং ডিভাইস স্ক্রীনে সামঞ্জস্য

বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ধরনের আলো রিকয়ারমেন্ট করে। তুমি যখন টিভি দেখবে, তখন ঘরকে হালকা ভাবে আলোকিত রাখা চোখের জন্য ভালো। যখন কিছু পড়বে, তখন আলোটি তোমার পিছনে রাখো এবং চোখের বাইরে পৃষ্ঠার দিকে নির্দেশ করো। ডিজিটান স্ক্রিনে, চারপাশের আলোর স্তরের সাথে মেলে উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করো। পাশাপাশি স্ক্রিনের বৈসাদৃশ্য সামঞ্জস্য করো, যাতে চোখকে দেখতে চাপ দিতে না হয়।

স্ক্রিন ব্রেক নাও

একটানা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করে নিয়মিত স্ক্রিন ব্রেক নেওয়া উচিৎ। আইস্ট্রেন এবং শুষ্ক চোখের ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণের সুপারিশ করে। প্রতি ২০ মিনিটের স্ক্রিন টাইম পরে, প্রায় ২০ সেকেন্ডের জন্য প্রায় ২০ ফুট দূরত্বে তাকাও; এটি তোমার চোখ শিথিল করবে এবং তাদের বিরতি দেবে।

উষ্ণ ওয়াশক্লথ প্রয়োগ

তোমার ক্লান্ত, ব্যথাযুক্ত চোখের উপর গরম পানিতে একটি ওয়াশক্লথ ভিজিয়ে তা ৫-১০ মিনিটের মতো প্রয়োগ করে দেখতে পারো। এর দ্বারাঃ

-আর্দ্রতা যোগ করে

-ব্যথা কমায়

-রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়

-পেশীর খিঁচুনি শিথিল করে

কম্পিউটার সেটআপ পরিবর্তন

নিশ্চিত করতে হবে যে, স্ক্রিনটি তোমার মুখ থেকে প্রায় বাহুর দৈর্ঘ্য ২০-২৬ ইঞ্চি দূরে রয়েছে। পর্দার কেন্দ্রটি চোখের স্তরের সামান্য নিচে (৪-৫ ইঞ্চি) হওয়া উচিৎ। যারা ল্যাপটপ বা আই প্যাডে কাজ করে, তা কোলে রেখে কাজ করলে ঘাড় নুইয়ে দেখতে হয়। এর ফলে অনেক সমস্যা হতে পারে। উত্তম হয় এগুলোকে যদি ডেস্কটপের মতো করে ব্যবহার করা যায়। টেবিলে রেখে অথবা বই বা অন্যকিছু দিয়ে এর উচ্চতা বাড়িয়ে নাও।

টি ব্যাগের ব্যবহার

টি ব্যাগ গরম পানীয়ের চেয়ে ভালো কাজে দেয়। এগুলো চোখের জন্য একটি আরাদায়ক ঠান্ডা সংকোচ হিসেবে কাজ করে। টি ব্যাগ ব্যবহারের পর তা ফেলে না দিয়ে ফ্রিজে একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে দাও। একবার এগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে চোখকে প্রশমিত করতে এবং চোখের ফোলা ভাব কমাতে তা চোখের পাতায় রাখো।

চোখের ব্যায়াম করো

চোখের চারপাশে যে পেশী আছে, তারা একটি ওয়ার্কআউট থেকেও উপকৃত হতে পারে। তোমার আঙুল তোমার চোখ থেকে কয়েক ইঞ্চি ধরে রাখো এবং এটিতে ফোকাস করো। তারপর দূরত্বের দিকে ফোকাস করো, তারপর আবার আঙুলের দিকে ফিরে যাও। এইভাবে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করো। এছাড়াও, আরেকটা করতে পারো; চোখ বন্ধ করে, সেগুলোকে সিলিঙয়ের দিকে রোল তারপর মেঝেতে নাও। ডানদিকে তাকাও, তারপর বামে। এই ব্যায়ামগুলো চোখের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চোখ অনেক সংবেদনশীল এক অঙ্গ। বেশি সমস্যা দেখা দিলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াই সবচেয়ে উত্তম। তারপরে, চোখকে বিশ্রাম দিতে এবং তাদের চাপ এড়াতে এই টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারো।

–ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

দেরীতে খেলে, বাড়ে ওজন?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে রাত বেড়েই যাচ্ছে। দিনের শেষে স্ট্রেস কম করার সময় বিছানায় বসে হালকা পাতলা কিছু খাওয়ার শখ চেপেছে। কিন্তু মাথার ভেতর থেকে কেউ বলে চলেছে যে রাতে দেরী করে খাওয়া তোমার জন্য খারাপ। এটি একটি সাধারণ বিশ্বাস যে রাতে দেরী করে খেলে ওজন বাড়বে। প্রশ্ন হলো, রাতে খাওয়ার ফলে কি সত্যিই ওজন বাড়বে? ব্যাপারটি কি আদৌ সত্যি নাকি মিথ? আসো উত্তর খুঁজে নিই।

দেরী করে খেলে, ওজন বাড়ে- এই পৌরাণিক কাহিনীটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। এবং এই ব্যাপারে অনেকেই বলে এসেছে যে তাদের গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাসই তাদের ওজন বাড়ানোর পেছনে দায়ী। বলা হয়ে থাকে যে, রাতে আমাদের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এর ফলস্বরুপ আমরা রাতে যা খাই তা দিনের বেলায় খাওয়া ক্যালোরির চেয়ে সহজে চর্বিতে পরিণত হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের শরীর দিনের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা খাবার ভিন্নভাবে প্রক্রিয়া করেনা। মূলত আমরা সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করি এবং দিনে কতটা ব্যায়াম করি তাই আমাদের ওজনকে প্রভাবিত করে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে ওজন কম বা বেশি হওয়ার যদি কোন সম্ভাবনা না থাকে, তবে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী? এর সহজ উত্তর হলো অভ্যাস। অনেকেরই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে এবং রাতে স্ন্যাকস হিসেবে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নেয়, যার সবই আমাদের অভ্যাস এবং এটিই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেট নাইট খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাজে অভ্যাসের মধ্যে রয়েছেঃ

-সকলেরই প্রতিদিনকার চলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণের চাহিদা রয়েছে। তুমি যদি দিনের বেলায় তোমার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পুরোটাই পূর্ণ করে ফেলো এবং তারপরে লেট-নাইট স্ন্যাকসের দিকে হাত বাড়াও, তবে তোমার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয়ে যাবে। যা ওজন বৃদ্ধিতে দায়ী।

-আমাদের বেশিরভাগেরই দিনের বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করার প্রবণতা থাকে। সারাদিনকার খাদ্য তালিকায় আমরা তাই যোগ করি যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এই লেট-নাইট স্ন্যাকসের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্ডি, চিপস বা আইসক্রিমের মতো খাবারগুলো গ্রহণ করার টেন্ডেসি থাকে। এইগুলোর পরিবর্তে সঠিক কিছু নির্বাচন করতে আমরা সবসময়ই ব্যর্থ হই।

-আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল সামনে নিয়ে বসা। দিনের শেষে, টিভির সামনে বসে আরাম করা বা মোবাইল টেপা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন টিভির সামনে খাবার খাও, তখন তা তোমার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।

রাতে খাওয়ার টিপস

যদিও এটা বিতর্কিত বিষয়, কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর আগে ছোট কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন। তুমি যখন খারাপ অভ্যাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, তখন এটি তোমাকে ঘুমাতে সাহায্য করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে রাতে কীভাবে খাবে তার কিছু টিপস দেয়া হলোঃ

পরিকল্পনা করা

পরিকল্পনা ছাড়া প্রতি রাতে স্ন্যাকস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনানুযায়ী ক্যালোরি  অতিক্রম করতে না চাইলে এবং লেট নাইট স্ন্যাকস নিতে চাইলে প্রতিদিনের ক্যালোরি গণনায় পর্যাপ্ত ক্যালোরি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করো। দিনের বেলায় সেই হিসেবে খাবার গ্রহণ করো।

ডেজার্ট এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

এই লেট নাইট খাবারের ক্রেভিংস সবার মধ্যেই কম বেশি থাকে। কিন্তু তুমি যদি এই সময় নিজেকে কোন মিষ্টি খাবার বা চিপসের মাধ্যমে পূর্ণ করো, তবে সেই সেই ক্রেভিংস আরো বাড়বে। এই ক্যালোরিতে ভরপুর খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়া আরও সহজ করে তোলে।

কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার

বিছানায় যাবার আগে যদি কিছু নিতেই হয় তবে নিশ্চিত করো যে তাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে যা তোমাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, রাতে তাড়াতাড়ি না খেলেও ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেয়া উত্তম। সেই খাবার অবশ্যই হতে হবে পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনাও যেমন থাকবেনা তেমনি দেহ ও মনও থাকবে সুস্থ।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগ্যাজেটপ্রযুক্তিসচেতনতা

স্মার্টফোন পরিষ্কার করার সহজ উপায়

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

স্মার্টফোন, বর্তমানে এমন এক ডিভাইস যা ছাড়া আমাদের একদমই চলেনা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মাটফোনের কার্যকারিতা স্মুথলি চলার জন্য প্রয়োজন এর সঠিক পরিষ্কার করার উপায়। আর এসব কিছু জানতেই লেখাটি পড়ে নাও।

বলা হয়ে থাকে যে, আমাদের হাতের ফোন টয়লেটের সিটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি নোংরা। সত্যিই কি তাই? হ্যাঁ, এটা সত্য যে ফোনে টয়লেট সিটের চেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, এই কারণেই সারাদিনে একাধিকবার ত্বক স্পর্শ করে এমন ডিভাইসটিকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা উচিৎ। তার উপর বোনাস হিসেবে, ফোন পরিষ্কার করাও এটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিষ্কার কত ঘন ঘন করা উচিৎ? আদর্শগতভাবে, পরিষ্কার করার নির্দেশাবলীর জন্য তোমার ফোনের ম্যানুয়াল অনুসরণ করে দিনে অন্তত একবার ফোন পরিষ্কার করা উচিৎ। কীভাবে তোমার মুঠোফোনটিকে জীবাণুমুক্ত করা যায় তার কিছু সাধারণ উপায়গুলো দেখানো হলঃ

জীবাণুমুক্ত ওয়াইপ বা সঠিক অ্যালকোহল-ভিত্তিক দ্রবণ ব্যবহার

তুমি যদি পাবলিক ডোর হ্যান্ডেল বা সুপার শপের কার্ট স্পর্শ করার পরে ফোনটি স্পর্শ করো, তাহলে সর্বপ্রথম তোমার মাথায় আসবে একে অ্যালকোহল দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করা। কিন্তু এটা করবেনা। স্ট্রেইট অ্যালকোহল ওলিওফোবিক এবং হাইড্রোফোবিক আবরণগুলোকে ছিনিয়ে নিতে পারে যা তেল এবং পানিকে ফোনের ডিসপ্লে এবং অন্যান্য পোর্টের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

অনেকেই অ্যালকোহল এবং পানির মিশ্রণ তৈরি করার পরামর্শ দেয়, তবে এক্ষেত্রে সঠিক ঘনত্ব আনয়ন গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে নিরাপদ হলো ফোনের স্ক্রীন পরিষ্কার করার জন্য ৭০% আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলযুক্ত জীবাণুনাশক ওয়াইপ ব্যবহার করা। এছাড়াও ননব্রেসিভ বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক জীবাণুনাশক সরাসরি একটি নরম লিন্ট-মুক্ত কাপড়ে স্প্রে করে ডিভাইসটি মুছে ফেলতে হবে।

আঙুলের ছাপ পরিষ্কার

ফোনে আঙুলের ছাপের দাগ প্রতিরোধ করা কঠিন কারণ আমাদের ত্বক ক্রমাগত তেল তৈরি করে। এতে যখনই মোবাইল ব্যবহার করা হয় তাতে এটি সমস্ত আঙুলের ছাপ পেতে বাধ্য। মোবাইল স্ক্রীন পরিষ্কার করার সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা। কিন্তু স্ক্রীনে যদি জেদী দাগ বসে এমতাবস্থায় মাইক্রোফাইবার কাপড়কে কিছুটা ভিজিয়ে তারপর স্ক্রীনটি মুছে ফেলো। এই পদ্ধতিটি ফোনের পিছনে এবং পাশেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্কচ টেপের ব্যবহার

আমাদের ফোনের ছোট ছোট পোর্টে অনেক সময় ধূলা-বালি আটকে যেতে পারে। বালি এবং লিন্ট অপসারণের সর্বোত্তম উপায় হল স্কচ টেপ। তুমি এটিকে ক্রিজ এবং স্পিকার বরাবর রাখতে পারো এবং এটিকে রোল আপ করে আস্তে আস্তে পোর্টগুলোতে রাখতে পারো। টেপের আঠালোতা ফোনে আটকে থাকতে পারে এমন লিন্ট বা বালি বের করে দেবে। ছোট স্পিকারের ছিদ্রগুলোর জন্য যেখানে টেপ পৌঁছাতে পারেনা, সেক্ষত্রে একটি টুথপিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

নরম, স্বচ্ছ, সুতির কাপড়

অনেক সময় আমাদের মুখে মেকআপ করা অবস্থায় কল করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তখন অনুমান করো যে মুখের ফাউন্ডেশনটি কিসের সাথে লেগে থাকবে? এসব ক্ষেত্রে মোবাইল স্ক্রীনের পরিষ্কারের জন্য নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও স্যাঁতস্যাঁতে মাইক্রোফাইবার কাপড়ও ব্যবহার করতে পারো। কাপড়ে সরাসরি পানি না ঢেলে তার স্থলে স্প্রে বোতল ব্যবহার করো। মনে রাখবে পানি যত কম, তত ভালো।

ওয়াটারপ্রুফ ফোন পরিষ্কার করবো কীভাবে?

তোমার ফোন যদি আইপি৬৭ এবং তার উপরে রেট দেয়া পানি-প্রতিরোধী ফোন হয়ে থাকে, তবে তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা যেতে পারে। এছাড়াও একটি স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা কাপড় ব্যবহার করা আরো ভালো ধারণা। তারপরে একটি শুকনো, নরম কাপড় দিয়ে পানি ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। সব স্পিকার, পোর্টগুলো শুকিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এর পোর্টগুলো ভালোভাবে না শুকালে তাতে চার্জ করতে পারবেনা।

যেসব জিনিস ফোন থেকে দূরে রাখবে

এমন কিছু আইটেম আছে যা ফোন পরিষ্কার করতে কখনই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। যেমনঃ

-কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে যাতে সুগন্ধি এবং ইথাইল অ্যালকোহলের ন্যায় উপাদান থাকে। তাই ফোনের স্ক্রীন থেকে স্যানিটাইজার বন্ধ রাখাই ভালো।

-উইন্ডো ক্লিনার, যা ঘরের আয়না এবং জানালা পরিষ্কার করতে অনেক কার্যকর; এগুলোও ফোন পরিষ্কারের প্রশ্নে বিরাট-নো।

-যেকোন হার্শ ক্লিনার যা উপরের আবরণ ছিঁড়ে ফেলতে পারে এবং ফোনে স্ক্র্যাচের জন্য আরো ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।

-মেকআপ রিমুভারে ক্যামিকেল থাকতে পারে যা ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের জন্য কঠোর হতে পারে। রিমুভারের পরিবর্তে সামান্য পানি এবং নরম কাপড় ব্যবহার করাই শ্রেয়।

-অনেক সময় ফোনের অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করতে খুব হালকা মিশ্রিত ভিনেগার ব্যবহার করতে পারা গেলেও এর স্ক্রিনের জন্য একদমই না।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook