রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
লেখক

Tania Akter

Tania Akter

টেলিভিশনশিল্প-সংস্কৃতিসমস্যা

মিডিয়ায় নারীর উপস্থাপন

করেছে Tania Akter মার্চ ৬, ২০২২

নারীর জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পেশাগুলোর মধ্যে সাংবাদিকতা অন্যতম হলেও বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়। মাত্র কয়েক বছর আগেও পরিবার নিরাপত্তার অভাবের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরুৎসাহিত করত। এখন নারী প্রথা ভেঙে হয়ে উঠেছেন দক্ষ সাংবাদিক।

 

বর্তমানে রিপোর্টিংয়ের তুলনায় এবং সাহসী সাংবাদিকতার জায়গাগুলোতে নারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। সংবাদপাঠ কিংবা উপস্থাপনায় যে পরিমাণ নারী দেখা যায়, মূলধারার সাংবাদিকতায় তা হাতে গোনামাত্র। ভিশন ৫০-৫০ অর্জন কিংবা সমতার বাংলাদেশ সবার কাম্য। তাই গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ ও নারীকে উপস্থাপনের দিকে মনোযোগ দেওয়া সময়ের দাবি।
মানুষের জীবনে যোগাযোগের চাহিদার কারণে বর্তমানে যোগাযোগ শিল্প রূপ নিয়েছে। তথ্য বিনোদনের পাশাপাশি একেকটি জাতির ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি, দর্শন সবকিছুই তুলে ধরছে গণমাধ্যম এতটা শক্তিশালী যে, যে তথ্য দিচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে সভ্যতা।

সমাজের প্রতিফলক হয়ে নির্মাণ করছে জেন্ডার সংস্কৃতি।গণমাধ্যমে জেন্ডার উপস্থাপন বিষয়ে বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন ১৯৯৫-এর সুপারিশগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপ নিলেও গত ২৭ বছরে বাংলাদেশের সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মাধ্যম এবং বিজ্ঞাপনে সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন আশানুরূপ নয়।
সংবাদপত্র হলো সমাজের দর্পণ।

 

 

 

১৯৯৫-২০২২-এ বাংলাদেশের সংবাদপত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি। নারী নির্যাতনকে একপ্রকার বিনোদন হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়। ১৯৯৯ সালের বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের ‘বাংলাদেশের সংবাদপত্রে নারী নির্যাতনের চিত্র: যৌতুক, ধর্ষণ ও অ্যাসিড নিক্ষেপ’ গবেষণায় দেখা যায়, সংবাদপত্রে ধর্ষণসংক্রান্ত খবর বেশি।
আগে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে বিষয়টি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সপ্তাহে একদিন বিশেষ নারী পাতা ছাপিয়ে সংবাদপত্র যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে নারী আলাদা কিছু। নারীর অর্জন এসব পাতায় যাওয়ার অজুহাতে মূল খবরেও থাকছে না নারী।বিনোদন পাতায় শোবিজের নায়িকাদের অশ্লীল ছবিকে পুঁজি করতে প্রথম পাতার এক কোণে দেওয়া হয় সেই ছবি। বেগম পত্রিকা, অনন্যা এসব পত্রিকার সম্পাদক নারী হওয়ার কারণেই হয়তো নারীর ক্ষমতায়নভিত্তিক প্রচার বেশি। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঠকের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে প্রিন্ট কমিয়ে পত্রিকাগুলো অনলাইনেই খবর দিচ্ছে। রয়েছে প্রচুর অনলাইন পত্রিকা কিন্তু নিউজ পড়লেই বোঝা যায় ঘাটতি আছে জার্নালিজম এথিকসের।

ইলেকট্রনিক মাধ্যম 

টেলিভিশন :
চ্যানেল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই টেলিভিশনের সংবাদে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের দেশে নারী সংবাদ উপস্থাপিকাদের অতিরিক্ত মেকআপ ও সাজসজ্জায় উপস্থাপন করা হয়। নারীরা সংবাদ পড়লেও নারীকে নিয়ে সংবাদ খুব কম থাকে।
টিভিতে প্রচারিত নাটক, সিরিয়াল ডেইলি সোপে ভালো নারী মন্দ নারীর অবয়ব তৈরি করে দিচ্ছে মিডিয়া। বাস্তব ক্রাইমভিত্তিক নাটক জনপ্রিয়তা শীর্ষে থেকে মানুষের অজান্তে ক্রাইমের দিকেই আকৃষ্ট করছে। পরকীয়া, পারিবারিক কলহের পেছনে টিভিতে দেখা বিষয়গুলো ভূমিকা রাখে।

চলচ্চিত্র : ১৯৯৫-২০২১-এর মধ্যে ২০১০ সাল পর্যন্তই রাজত্ব করেছে অশ্লীলতা। নায়িকাকে ধর্ষণের চেষ্টা আর নায়কের বোনকে ধর্ষণ করার দৃশ্য না থাকলে যেন সিনেমা হয় না। এসব সিনেমা পুরুষকে ধর্ষণে উৎসাহ দেয়। মেয়েরা রান্নাবান্না করলেই ভালো মেয়ে, মন্দরা ক্লাবে যায়, মদ খায় অথচ নায়ককে বিরহে মদ খেতে দেখা যায়। গোটা কয়েক সিনেমা ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ সিনেমাই সমাজে নারীর প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে দর্শকের মনে নেগেটিভ বীজ বোনে।

৩. অনলাইন প্লাটফর্ম : অনলাইনে কোনো আইন না থাকায় সংবাদসহ যার যে রকম খুশি ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করছে। সম্প্রতি অনলাইন সংবাদের পুরোটাজুড়ে ছিল পরীমনি। এ ছাড়া এরা বিভিন্ন অভিনয়শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক জগৎকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করে। নুসরাত মা হলেন কিন্তু তার ব্যক্তিস্বাধীনতাকে খর্ব করেই প্রচারিত হয় মুখরোচক সংবাদ। সব সমস্যার সমাধান ফ্রিতে ইউটিউবে পেয়ে ডায়েট করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া যায়।


টিকটকের নেশায় ঘর ছাড়ছে কিশোরীরা। ওয়েব সিরিজের নামে অবাধে প্রাপ্তবয়স্কদের দৃশ্য দেখে ফেলছে শিশু-কিশোরেরাও। এ ক্ষেত্রে সরকার যথাযথ উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠবে নারীকে ভোগ্যপণ্য ও দাসী মনে করার মানসিকতা নিয়ে। অতি সম্প্রতি ধর্ষণ ও হত্যার সংবাদগুলো পর্নোগ্রাফি ও বিকৃত রুচির প্র্যাকটিসই প্রকাশ করে।

লেখক: সায়মা রহমান তুলি, গবেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি হোক ইতিবাচক

করেছে Tania Akter মার্চ ৩, ২০২২

দেশসেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটিতে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রথম সারির সংবাদ পাঠিকা হিসেবেও রয়েছে সুনাম। নারী উদ্যোক্তাদের দিচ্ছেন প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ সব কাজই একাগ্রচিত্তে করে যাচ্ছেন ফারজানা নাহিদ। সমাজে নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সর্বক্ষেত্রেই জয়লাভ করা যায়, এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি। এবারের রোদসীর বিশ্ব নারী দিবসের বিশেষ আয়োজনে তার সঙ্গে আলাপচারিতায় ছিলেন তানিয়া আক্তার

শুভ্র সাজে ফারজানা নাহিদ

শৈশবে কী হতে চেয়েছিলেন?
ফারজানা নাহিদ : কখনোই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করিনি। জীবনে চলার পথে প্রতিটি ধাপেই মনোযোগ আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। এখনো নিখুঁত জীবনের আশায় না থেকে জীবন যেভাবেই ধরা দিক না কেন, সেই অসম্পূর্ণতাকে নিজের মেধা আর দক্ষতায় পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত হয়ে কেমন অনুভূতি হয়?
ফারজানা নাহিদ : ভীষণ ভালোলাগার একটি পেশা শিক্ষকতা। নিজের মেধা, দক্ষতা আর জীবনে অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারার আনন্দ অতুলনীয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে চার বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছি। প্রতিবছরই নতুন নতুন মুখ শ্রেণিকক্ষ আলোকিত করে। তাদের শুধু পড়ানোর সঙ্গেই আমি জড়িত নই। তাদের জীবনচলার পথকে আরও সুগম করতে বছর দুয়েক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্টার্টআপ নেক্সটের (এনএসইউএসএন) পরিচালক হিসেবে কাজও করেছি। কারণ, এই তরুণ মুখগুলোই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের শ্রেণিকক্ষের বাইরেও অনেক শিখতে হবে। সেই সুবিধা দিতেই স্টার্টআপের সঠিক ধারণা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছি। এখনো নিয়মিত তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে থাকি। সরাসরি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো সমাধানের অনুভূতি অন্য রকম। তাই এই পেশার প্রতি বেশ ভালোলাগা কাজ করে।

প্রশিক্ষক ফারজানা নাহিদ

 

শিক্ষক কিংবা সংবাদ পাঠিকা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হয়?

ফারজানা নাহিদ : শিক্ষকতা এমন একটি দায়িত্ব, প্রথমেই এটাকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে নিতে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের নানা রকম বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের উত্তর দেওয়ার মতো ধারণা থাকলে সেই শিক্ষকের প্রতি আস্থা বাড়ে। ধৈর্য নিয়ে শিক্ষার্থীর কথা বা প্রশ্ন শোনার গুণ থাকতে হবে। নতুন প্রজন্মের জীবনযাপনের বিষয়েও ধারণা রাখতে হবে। আর নিয়মিত শিখে যেতে হবে। কারণ, প্রতিবছরই বিশ্ব বদলাচ্ছে। শিক্ষকতা পেশায় গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ এবং বানানের প্রতি সচেতন থাকা। যারা শিক্ষকতায় আসতে চায়, তাদের এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষকতার মতোই সংবাদ পাঠিকার জায়গাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। আমি ছাত্রাবস্থাতেই অর্থাৎ ২০০৪ সালে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে সংবাদ চ্যানেল এনটিভিতে যোগ দিয়েছি। জ্যেষ্ঠ সংবাদ পাঠিকা হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছি এনটিভিতেই। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমাকে এটাই শেখায় যে এই পেশায় আসতে হলে অবশ্যই বাচনভঙ্গি ভালো হতে হবে। বানান ও উচ্চারণ আয়ত্তে রাখতে হবে। সংবাদ উপস্থাপনের স্বকীয়তা তৈরি করতে হলে নিয়মিত সংবাদ দেখতে হবে। প্রতিনিয়ত বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হবে। আত্মবিশ্বাস আর সাহসের সঙ্গে অনুভূতি সামলে নিয়ে সংবাদ উপস্থাপনের অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

সংবাদ পাঠের সময়

জীবনে কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?
ফারজানা নাহিদ : জীবনে কাজ করতে গিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হইনি। কারণ, আমার পারিবারিক আবহ বেশ অনুকূলে ছিল। তবে প্রাকৃতিকভাবে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি। আমার বাবা এবং জীবনচলার সঙ্গীকে হারিয়েছি অকালেই। আমার জীবনের অনুপ্রেরণা ছিলেন সেই দুজন। সেই প্রিয় মানুষদের সঙ্গ জীবনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের একমাত্র মেয়েটি এখনো ছোট। বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমিই তার বাবা এবং মা। এই একা অভিভাবকত্ব বেশ কঠিন। তবু জীবনের বাঁকে বাঁকে কিছু বদল তো থাকেই। সেগুলো মেনে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।

ফারজানা নাহিদ 

বিশ্ব নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিলিভ ইকুয়াল। আমাদের সমাজে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই

ফারজানা নাহিদ : নারী-পুরুষের সমতার ব্যাপারটি আসলে বিশ্বাসের বিষয়। কারণ, প্রথমত নারীরা মানুষ। আর মানুষ হিসেবে সমান সুযোগ অবশ্যই একজন নারীর থাকা উচিত। লিঙ্গবৈষম্য করার বিষয়টি জেন্ডারভিত্তিক নয়, এটি মানসিকতাভিত্তিক। এই মানসিকতায় নারী ও পুরুষ উভয়েই হতে পারে।  নারীদের দুর্বল মনে করার কোনোই কারণ নেই। যদি নারীরা মানসিকভাবে দুর্বল হতো, তাহলে সংসার, চাকরি সব ধরনের কাজ গুছিয়ে করাটা সম্ভব হতো না। আর নারীদের শারীরিক গঠনও দুর্বল মনে করার কোনো কারণ নেই। শারীরিকভাবে দুর্বল হলে গর্ভধারণের মতো জটিল প্রক্রিয়া, মাতৃত্ব অর্থাৎ প্রজনন প্রক্রিয়া সামলানো সম্ভব হতো না। কখনই  আমরা পুরুষের ওপরে নয়, বরং সঙ্গে দাঁড়ানোর সুযোগ চাই। আমরা যদিও নিজের দক্ষতা দিয়ে পাশাপাশি দাঁড়াতে পারব কিন্তু প্রথমেই আমাদের অবহেলিত করা হয় নারী হয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে। ফলে আমরা সেই সুযোগটাই হারাচ্ছি যুগ যুগ ধরে। তাই সমতার লড়াইয়ে প্রথমে মানসিকতা পরির্বতন করে নারীকে মানুষ হিসেবে যে সুযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো দিতে হবে।

সিটিআলো ওমেন এন্টারপ্রেনিয়োর সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামে মডিউল ডিজাইনার ও ট্রেইনার হিসেবে ক্রেস্ট গ্রহন

 

সমাজে টিকে থাকার জন্য নারীদের কোন বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার

ফারজানা নাহিদ : নারীদের সমাজে টিকে থাকতে হলে প্রথমেই স্বাবলম্বী হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অর্থনৈতিক মুক্তি নারীর জন্য অনেক দুয়ার খুলে দেয়। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াটাও জরুরি। কারণ, আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব হবে না। এই আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি নারীর নিজেরই তৈরি করতে হবে। কেউ এসে সে জায়গাটি তৈরি করে দেবে, সেটি প্রত্যাশা করাও ঠিক নয়। আর সেই জায়গাটি তৈরি হবে শিক্ষাগত যোগ্যতায়। কারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে জীবন ও জীবিকার পথ অনেক সুগম হয়ে ওঠে। তাই আত্মবিশ্বাস আর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। আর অর্থনৈতিক মুক্তি নারীকে সমাজে ভালো অবস্থানে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালযের প্রাঙ্গনে ফারজানা নাহিদ

নারীর প্রতি কেমন দৃষ্টিভঙ্গি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন?

ফারজানা নাহিদ : নারীদের স্বাভাবিক মানুষের মতো চলা এবং বলার স্বাধীনতা দিলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। এর জন্য বিশেষ দিবস, বাসে নারী আসনসংখ্যা ইত্যাদি থাকা ঠিক নয়। এগুলো নারীর চলার পথকে আরও সংকুচিত করে ফেলে বলে আমার মনে হয়। নারীকে বাসে বসতে না দিয়ে বরং তাকে মানসিক বা যৌন নিপীড়ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অফিস বা বাসায় পুরুষের পাশাপাশি সব কাজে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। নারীদের মানুষ হিসেবে দেখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। নারীদের মানুষ হিসেবে দেখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আর নারীর প্রতি প্রতিদিনের এ স্বাভাবিক আচরণই ধীরে ধীরে সমাজকে বদলে দেবে।

সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
ফারজানা নাহিদ : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

১ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

অনলাইন ব্যবসায় ভিন্নতা জরুরী

করেছে Tania Akter মার্চ ৩, ২০২২

অনলাইনে আধুনিক ধাঁচের জুয়েলারি নিয়ে কাজ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা মুমু তাবাচ্ছুম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অর্জিত জ্ঞান নিয়ে বাস্তবে কাজ করছেন।  ভার্চুয়াল জগতেও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে মন জয় করেছেন অসংখ্য গ্রাহকের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- তানিয়া আক্তার

 

উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছের শুরুটা বলুন

মুমু তাবাচ্ছুম: শৈশব কেটেছে ময়মনসিংহে। কৈশোরে পা দিয়েই পরিবারসহ থাকছি নগরীর উত্তরাতে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি) থেকে বিবিএ (সাধারণ) নিয়ে স্নাতক শেষ করেছি মাসখানেক হলো। উদোক্তা হওয়ার ইচ্ছেটা স্নাতকে পড়ার সময়ই তৈরি হয়। এর পেছনে বিবিএ নিয়ে পড়ার ভূমিকাটাই বেশি ছিলো। কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছি বিজ্ঞান বিভাগে। কিন্তু স্নাতকে ব্যবসায় শিক্ষার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। আগ্রহ আর পরিবেশ যখন অনুকূলে থাকায় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নটা তৈরি হয়।

 

 

 

শাড়িতে ঝলমলে মুমু তাবাচ্ছুম

 প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অর্জিত জ্ঞান কী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জরুরী?

মুমু তাবাচ্ছুম: উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অর্জিত জ্ঞান জরুরী না। তবে শুধু প্র্যাকটিক্যাল নলেজ নিয়ে ব্যবসা করার চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা সাথে থাকলে কাজের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। এখন তো ইউটিউবেও অনেক কনন্টেন্ট রয়েছে। এছাড়াও অনেক আর্টিকেল থেকেও অনেক শেখা যায়।

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অর্জিত জ্ঞান কিভাবে কাজে লাগতে পারে?

মুমু তাবাচ্ছুম: বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিখানো হতো যে একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে হলে প্রথমে একটা কমপেটেটিভ অ্যাডভান্টেজ দরকার হয়। শুধু ব্যবসার জন্যই না দক্ষতা ও অর্জনের ভিত্তিতে ব্যক্তিকেও এটা দিয়ে বিচার করা যায়। এই বিষয়টি ভালোভাবে জানার কারণে নিজেকে এই পেশায় কিভাবে উপস্থাপন করবো সে বিষয়ে একটা ধারণা পেয়েছি। তখন ভাবলাম যে আমাকে যদি কোন করপোরেশন নেয় তাহলে অন্যদের থেকে আমার ভিন্নতাটা কোথায়? তখন অনলাইন ব্লুমিং চলছে। সময় নষ্ট না করে স্নাতক প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই উদ্যোক্তার যাত্রা শুরু করে দিয়ে।

’রে বাই লাইজু’ এর গয়না

 

তারপর নিজের কাজকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে স্নাতক শেষ হতে না হতেই ৩০ হাজারের মতো সদস্যের দীর্ঘ পরিবারের সাথে যুক্ত থাকতে পারেছি। আমার কাজের ভিন্নতাই আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। আর এই গুণগুলো আমি পেয়েছি আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর এর অনবদ্য পরিবেশ থেকে।

 

এই পথচলার শুরু কোন কাজটি দিয়ে?

মুমু তাবাচ্ছুম: আমার প্রথম অনলাইন কাজ শুরু হয় ‘ইন  মাই রুম’ দিয়ে। তবে একা নয় সাথে আরও দুই থেকে তিনজন মিলে এই পেইজ শুরু করি। সেটা একবছরের মতো ছিলো। এছাড়া মার্চেন্ডাইজারের ব্যবসাও ছিলো। স্নাতক প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সময় থেকেই যেহেতু এই উদ্যোক্তার যাত্রা শুরু করেছি তাই দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝিতে একা কিছু করার ইচ্ছে জাগে। ‘রে বাই লাইজু’ দিয়ে আমার একার কাজ শুরু। আধুনিক ধাঁচের জুয়েলারির পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে বিশ্বস্ততা অর্জন করার পর মানুষের মুখে মুখে আমার পেইজের সুনাম বয়ে বেড়ায়। কারণ মানুষ যখন বুঝতে পারে এই পেইজের প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ভালো তখন অন্যদের কাছে এর প্রশংসা করে। এভাবেই  গ্রাহকের একটি বিশাল পরিবার তৈরি হয়েছে।

স্নিগ্ধ সাজে মুমু তাবাচ্ছুম

 

 

‘রে বাই লাইজু’ নামকরনের বিষয়ে বলুন?

মুমু তাবাচ্ছুম: এই উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হলেন আমার মা। আমার মায়ের নাম উম্মে লাইজু। তিনিও একজন উদ্যোক্তা। তার নামেই আমার এই উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু। আমার বাবা সরকারি চাকুরীজীবি। তাই তিনি প্রথমে না বুঝতে পারলেও পরে ভালো লাগতে শুরু করেছে। এখন আমার কাজের অবস্থান দেখে তারা বেশ আনন্দিত।

কাজ করতে গিয়ে কোন ধরণের বাধার সমুক্ষিন হতে হচ্ছে?

মুমু তাবাচ্ছুম:  রে বাই লাইজু’ দিয়ে কাজ শুরুর প্রথম দিকে কঠিন ছিল। কারণ অনেক অর্থের বিনিয়োগের দরকার ছিলো। আর পুরো বিনিয়োগ একা করতে হয়েছে। এটা আসলেই বেশ কঠিন। দায়িত্বের জায়গাটাতেও একা সামলাতে হয়েছে। প্রথম আমি নিজেই সব কাজ করতাম। এখন কর্মী নিয়োগ করেছি। বিশেষ করে নারীদের সুযোগ দিয়েছি। অর্থ বিনিয়োগের বাইরেও এই অনলাইন ব্যবসায় আরেকটা বাধা হলো গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করা। শুরুতে কেউ বিশ্বাস করতে চাইতো না।

’রে বাই লাইজু’ এর গয়না

 

তাই পুরোপুরি ক্যাশ অন ডেলিভারি দিতে হতো। অনেক সময়   গ্রাহকদের কাছ থেকে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কারণ আমার পণ্যগুলো চায়না বেজড। আর এমন অনেকেই একই ধরণের ব্যবসা করছে।  তাই এই ভীড়ের মধ্যে নিজেকে আলাদা করতে পারা একটা বড় বাধা ছিলো। যেহেতু বিজনেস নিয়ে পড়েছি তাই অনেক থিওরি জানা ছিলো। সেগুলো মেনে বাস্তবজীবনে কাজ করেছি। তাই এই বাধা কাবু করতে পারে। আর গ্রাহকের রুচি অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে পারা একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জিং অন্যদিকে আনন্দ পাওয়া যায়। আর এই কাজে আনন্দ পেয়েছি বলেই সমস্যা এলেও সমাধান করে এগিয়ে যাচিছ।

 

’রে বাই লাইজু’ এর গয়না

 

রে বাই লাইজু’ এর অবস্থান ভবিষ্যতে কোথায় দেখতে চান?

মুমু তাবাচ্ছুম: আমার টার্গেট ছিলো যে রে বাই লাইজু ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি হবে। কারণ চায়না বেডজ জুয়েলারির অনলাইন ব্যবসা অনেকেই করছে। সেখানে আমার ভিন্নতাটা যেন থাকে সেভাবেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। এক্ষেত্রে প্রথম দিকে ইমর্পোট করতাম। যেহেতু আধুনিক ধাঁচের জুয়েলারি নিয়ে ব্যবসাটি করছি আর এর ট্রেন্ড সারা বিশ্বেই খুব দ্রুত পরিবতন হয়। সেই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলছি। অনেক বছরের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকায়  কিছু জুয়েলারি নিজের পছন্দমতো ডিজাইনও করিয়ে আনতে পারছি। যা অন্য অনেকেই তা পারছে না।

’রে বাই লাইজু’ এর গয়না

 

 

ফলে আমার পেইজের পণ্যগুলো অন্যদের থেকে বেশ ভিন্ন। এই ভিন্নতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। এছাড়াও অফলাইনেও নিয়ে আসতে চাই। তবে খুব বেশি ইচ্ছে নেই । কারণ ভবিষ্যতের পৃথিবীতে অফলাইন বিজনেস আরো কমে আসবে। তাই অনলাইনে থাকার ইচ্ছেটাই বেশি। আগামী পাঁচ বছরে এই উদ্যোক্তার জায়গাটিতে নেত্রীস্থানীয় অবস্থানে নিজেকে দেখতে চাই।

সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

মুমু তাবাচ্ছুম: রোদসীকেও অনেক ধন্যবাদ

গয়নার ফটোগ্রাফার: মাশিয়াত বিনতে রহমান

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

ব্যাংকিং পেশায় নারীদের বিচরণ বাড়ছে

করেছে Tania Akter মার্চ ৩, ২০২২

পেশা হিসেবে ব্যাংকিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত থাকার সময়েই নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। কাজ করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। স্বপ্ন দেখেন ব্যাংকিং পেশায় নারীদের পথ আরও সুগম করার। তিনি মধুমতি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশনের ফাহমিদা সাকি। বিশ্ব দিবসে রোদসীর আয়োজনে তার মুখোমুখি হয়েছেন তানিয়া আক্তার

ছবি: শাড়ির সাজে ফাহমিদা সাকি

পেশাগত জীবন নিয়ে ইচ্ছার শুরুটা জানতে চাই

ফাহমিদা সাকি : কর্মজীবী দম্পতির সন্তান আমি। মা অবসর নিয়েছেন কাস্টমসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে। ছোটবেলায় মাকে দেখতাম সুন্দর করে সেজে অফিসে যাচ্ছে। খুব স্মার্ট দেখাত। সেই দৃশ্যটাই আমার পেশাগত জীবনের অনুপ্রেরণা। পারিবারিক আবহ এমন হওয়ায় আমারও স্বপ্ন ছিল পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে উপযোগী করে গড়ে তোলা।

পেশা হিসেবে ব্যাংকিংকেই কেন বেছে নেওয়া?

ফাহমিদা সাকি : ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষের দিকে একটি ব্যাংক থেকে অফার আসে। তখন প্রতিটি ব্যাংকেই কমপক্ষে ৩০ ভাগ নারী থাকতে হবে, এমন পদ্ধতি ছিল। পাকিস্তানের একটি জাতীয় ব্যাংকে যোগদান করি। সেই ব্যাংকে যোগদানকারী প্রথম নারীটিই ছিলাম আমি। ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করা এমন একজন নারীকেই খুঁজছিল সেই ব্যাংকটি। কাজের ধরনও এমন ছিল যে দেশের বাইরের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা। যেহেতু আমার তখনো স্নাতকোত্তরের ফলাফল আসেনি। সেই সময়টায় খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করতাম। তখন এমন একটি অফার পেয়ে চেষ্টা করতে বলেছে অনেকেই। কারণ, শিক্ষকতা পেশা আমাকে এতটা আকর্ষণ করত না। তাই সিভি নিয়ে গেলাম ব্যাংকে। যেহেতু ব্যাংকিং পেশায় কোনো অভিজ্ঞতাই আমার ছিল না, তাই গল্পের ছলে অনেকক্ষণ কথা হলো। সপ্তাহখানেক কাজ করতে বলল। তারপর সিদ্ধান্ত জানাবে এমনটাই জানাল। তিন দিনের শেষে সিইও এসে আমায় দেখতে চাইলেন। কাজ দেখে তার এতটাই ভালো লেগেছে যে সেদিনই নিয়োগপত্র দিয়ে দিলেন। সেই থেকেই শুরু কর্মজীবনের পথচলা।

ছবি: সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময়

নারী হওয়ায় পেশাগত কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন?

ফাহমিদা সাকি : অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পেশাগত জীবনে প্রবেশের আগেই একজন সন্তান ছিল আমার। সেই সময়টায় ধরে নেওয়া হতো বিবাহিত বা সন্তান থাকার পর কর্মজীবন সামলাতে পারবে না নারীরা। যদিও এখনো আছে এ ধারণা। তারপরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অথচ নারীরা সব সামলে নিয়ে সব পারে। আর সন্তানধারণ করা তো প্রাকৃতিক বিষয়। সেটাকে অসুস্থতা ভাবা ঠিক নয়। নারীদের নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তখনো ছিল, এখনো আছে। ‘মেয়েমানুষ’ এমন একগুচ্ছ শব্দ সমাজের এমন নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগে বেশি ছিল, তারপর দীর্ঘদিনের চর্চায় নারীরা সব সামলে নিতে অভ্যস্ত হওয়ায় এখন কিছুটা কমেছে কিন্তু বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।

নারীর অবস্থান টিকিয়ে রাখতে হলে একজন নারীর মধ্যে কী কী বিষয় থাকা উচিত?

ফাহমিদা সাকি : প্রথমে তো শিক্ষা। এটি থাকতেই হবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তারপর নিজেকে দাঁড় করানো। একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। এ ছাড়া এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিজ ভালোভাবে রপ্ত করা। কারণ, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলেই হবে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সব ধরনের গুণাবলি রপ্ত করার চেষ্টাই একজনকে তার অবস্থানে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে।

নির্দিষ্ট কোন বাধাটির মুখোমুখি হন নারীরা?

ফাহমিদা সাকি : নারীদের জীবনসঙ্গী সাপোর্টিভ না হলে সবচেয়ে বড় সমস্যাটির মুখোমুখি হতে হয়। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আর নির্দিষ্ট কোনো বাধা সাধারণত থাকে না। কর্মক্ষেত্র চায় কাজ। আর কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সবাই সমান।
ছবি: ফাহমিদা সাকির অফিস

 

কর্মক্ষেত্রে নারীরা বড় অবস্থানে গেলে অনেক নেতিবাচক কথা শোনায়। এ ক্ষেত্রে আপনার মতামতটা শুনতে চাই।

ফাহমিদা সাকি : নারীরা বড় অবস্থানে গেলে তার সহকর্মীরা নেতিবাচক কথা শোনায়, এমনটা অনেক আগে হতো। এখন তেমনটা হয় না বলা চলে। আমি নিজেও আমার অধীনে কাজ করা নারীদের এমনভাবেই যোগ্য করে গড়ে তুলি। তাদের এ বিষয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকি। নারীরা নারীদের বন্ধু হয়ে উঠতে পারে না অনেক সময়। কিন্তু আমি ওদের এ বিষয়গুলো এড়িয়ে আগে কাজের জায়গায় যোগ্য হওয়ার জন্য বলে থাকি।

কর্মজীবন এবং ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য নিয়ে আসেন কীভাবে?

ফাহমিদা সাকি : আমি যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করেছি, তখন বিবাহিত ছিলাম। সন্তানও ছিল। তাই আমার ওপরও নানা ধরনের পারিবারিক চাপ ছিল। আমার অফিস টাইম ছিল ৯টা ৫টার ছকে বাঁধা। তারপর পরিবারে ফেরা। সেখানে সবাই কী খাবে, সেটা নির্ধারণ করে রান্না করা। এমন অনেক ধরনের কাজ পরিবারে থাকে, সেগুলো করেছি। তবে এটাকে আমি উপভোগ করেছি। কখনোই অভিশাপ হিসেবে ভাবিনি। কারণ, সংসারজীবনটাও উপভোগ্য করে তোলা যায়। তারপরে যখন কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ আরও বাড়ল, তখন আমি একজন হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে একজনকে নিলাম। কারণ, তখন অফিসে সময়টা বেশি দিতে হবে। এভাবে কর্মজীবন এবং ব্যক্তিজীবন আলাদাভাবে উপভোগ করেছি। তাই জীবনে ভারসাম্য এসেছে।

ছবি: পারিবারিক পরিমন্ডলে  ফাহমিদা সাকি

সমাজের পিছিয়ে থাকা নারীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

ফাহমিদা সাকি : নারীদের এখন অনেক সুযোগ। প্রযুক্তি আরও সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে। নারীরা যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো জায়গা থেকেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারে । এখন উচ্চশিক্ষিত নারীদের আক্ষেপও কমে গেছে। তারা তাদের অর্জিত শিক্ষা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারছে। অনেক নারী উদ্যোক্তা হচ্ছে। এভাবে সব পেশাতেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তাই সমাজে পিছিয়ে আছে, এমন নারীরা প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে চাইলেই নিজের সুবিধামতো কাজ করে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম খুঁজে নিতে পারে। শুধু ইচ্ছা থাকাটাই জরুরি। আত্মবিশ্বাস আর আগ্রহ থাকলেই একজন নারী এগিয়ে যেতে পারে।

পারিবারিক সহযোগিতা কেমন পেয়ে থাকেন?

ফাহমিদা সাকি : আমি পরিবারের বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। আমার সন্তানেরা বোঝে যে মায়ের কাজ আছে। সেভাবেই তারা মেনে নিয়েছে। সন্তানেরাও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে আনন্দ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। ফলে দিনের বেলায় মায়ের অভাবটা কিছুটা পূরণ হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার চর্চার মাধ্যমে তারাও স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠে। যারা কর্মজীবী নারী, তাদেরও সন্তানের বিষয়ে এত আবেগপ্রবণ না হয়ে মানসিকভাবে পরিপক্ব হতে হবে।
ছবি: বিজয় দিবসে ফাহমিদা সাকি

কারণ, এখন কিছুটা কষ্ট হলেও যখন সন্তানেরা বড় হয়ে যাবে, তখন সুখটা পাওয়া যাবে। সন্তান নাকি কাজ, এমন দ্বিধায় থেকে অনেকেই সন্তানের পাশেই থেকে যান। কিন্তু সন্তান একসময় বড় হয়ে যায়, তখন মায়েরা একাকী হয়ে পড়ে। তাই আবেগ সামলে নিয়ে কাজ করতে থাকলে একসময় সন্তানরো সময়ের প্রয়োজনে পাশে না থাকলেও নিজের একটা সামাজিক পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। এই সামাজিক পরিচিতিটা সব বয়সী নারীর জন্য খুব দরকার। আমিও মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম বলেই আজ এ অবস্থানে আসতে পেরেছি। আর আমি অবশ্যই ভাগ্যবান যে এমন সাপোর্টিভ পরিবার পেয়েছি, যারা প্রতিমুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রোদসীর পাঠকদের উদ্দেশে কিছু বলুন

ফাহমিদা সাকি : নারী-পুরুষের বিভেদ ভাঙতে হবে। যদিও এখন অনেকটা এগিয়ে গেছে দেশ। নারীরা পাইলট হচ্ছে, স্পিকার হচ্ছে, এমনকি বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি গণতান্ত্রিক দেশও চালাচ্ছেন একজন নারী! অথচ ব্যাংকিং সেক্টরেও কোনো নারী ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিল না। গত বছর সেই ঘাটতিও পূরণ হয়ে গেছে। সুতরাং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে এ বিভেদের দেয়াল ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে।

রোদসীকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

ফাহমিদা সাকি : আপনাদেরও অনেক ধন্যবাদ।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনা

সৃজনশীলতায় নারী-পুরুষের ভেদাভেদ নেই

করেছে Tania Akter মার্চ ৩, ২০২২

একাধারে প্রকাশক, প্রুফ রিডার ও গ্রাফিক ডিজাইনার আলেয়া বেগম আলো। এই সমাজে সৃজনশীল কাজে পুরুষের অংশগ্রহণ বেশি হলেও এই কাজগুলোতেই নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

রোদসীর নারী দিবসের আয়োজনে তার সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন তানিয়া আক্তার

 

ছবি: সৃজনশীল ভাবনায় মগ্ন আলেয়া বেগম আলো

সৃজনশীল কাজে যুক্ত হলেন কীভাবে?

আলেয়া বেগম আলো : শৈশব থেকেই যে কোনো সৃজনশীল কাজ আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করত। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার অবসরে যাওয়া এবং পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে দায়িত্বের গুরুভার আমাকে সৃজনশীল কাজের সুযোগ করে দেয়। তারপর জীবিকার মাধ্যম হয়ে ওঠে প্রকাশনা, প্রুফ রিডিং আর গ্রাফিক ডিজাইনিংসহ সৃজনশীলতার নানা শাখায়। একাদশে পড়ার সময়ই একটা অ্যাড ফার্মে যোগ দিই। নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি ছোট ভাইবোনের পড়াশোনাসহ পরিবারের দায়িত্ব ছিল। আমি আমার বাবা-মায়ের অনেক প্রত্যাশিত সন্তান। কারণ, তাদের বিয়ের ১০ বছর পর কোল আলো করে আমার আগমন ঘটে এই পৃথিবীতে। তাই এই পৃথিবীতে পরিবার আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সব সময়ই চাইতাম সৃজনশীল কোন কাজগুলো আয়ত্তে নিয়ে এলে জীবিকার পথ সুগম হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হব। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখে থাকতে পারব। সেই ইচ্ছাই আমার শেখার প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। অ্যাড ফার্মে কাজ করার সময়ই নিজের উদ্যোগে গ্রাফিক ডিজাইনিং শিখে নিই।

ছবি: কচি পাতা প্রকাশনীর প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিন

পরবর্তী সময়ে ‘প্রেসক্রিপশন’ নামের একটি ম্যাগাজিনে প্রধান গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে দায়িত্ব পাই। পাশাপাশি বাবা বাসার ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স করে দেয়। এরপর প্রিন্টিং, ডিজাইন, অ্যাড তৈরি এসব দক্ষতা দিয়ে নিজের অ্যাড ফার্ম করি পাতা ক্রিয়েশন নামে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানেও চাকরি করি। সেখানে প্রেসের কাজ, বাইন্ডিংয়ের কাজ এসব টেকনিক্যাল বিষয় শিখে নিই। বাংলা একাডেমির সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হয় এসব বিষয় জানতে পারি। এরপর আমার বোন এবং আমি মিলে কচি পাতা নামে শিশু-কিশোরদের জন্য একটা ম্যাগাজিন করি। এই দক্ষতাগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে শেখার সুযোগ হয়নি। মানুষের সঙ্গে মেশার সহজাত গুণের কারণে একেবারে মাঠপর্যায়ে এ কাজগুলো ধীরে ধীরে আয়ত্ত করে নিয়েছি। এই গুণগুলোই আমাকে প্রকাশক, প্রুফ রিডার ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে তৈরি করেছে। এভাবেই এই সৃজনশীল জগতে যাত্রা।

প্রকাশনায় কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?

আলেয়া বেগম আলো : আমার প্রকাশনাশিল্পে যাত্রা ২০১২ সালে। তবে আমার প্রথম বই বের হয় পাতা ক্রিয়েশন থেকে। তারপর যখন বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তখন আলাদা প্রকাশনী করি। তাই পাতা ক্রিয়েশন থেকে শুধুই অ্যাড ফার্মের কাজ করা হয়। ম্যাগাজিন হিসেবে আছে কচি পাতা এবং প্রকাশনার কাজ শুরু করি পাতা প্রকাশনীর মাধ্যমে। পাতা প্রকাশনীর যাত্রার দীর্ঘ সময় পর ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমির স্টল পাই। এই দীর্ঘ যাত্রার একটাই কারণ। আমি সব কাজ গুছিয়ে করতে পছন্দ করি। আর প্রকাশনাশিল্পে গোছানো এবং নির্ভুল থাকা খুবই জরুরি।

ছবি: বইয়ের মেলায় প্রকাশকের আনন্দ

 

 

এখানে প্রতিটি ধাপ খুব সতর্কতা নিয়ে এগোতে হয়। যেমন প্রথমে একটা লেখা পাওয়ার পর কম্পোজ করতে হয়। খুব যত্ন নিয়ে লেখাগুলো কম্পোজের পর সময় নিয়ে কয়েকবার প্রুফ দেখতে হয়। এরপর ডিজাইনিংয়ের ধাপ। সেই নির্ভুল লেখাটির সঙ্গে কোন ধরনের ছবি যাবে বা শিশুদের বইয়ে লেখার সঙ্গে কোন ধরনের ইলাস্ট্রেশন যাবে, এগুলো ঠিক করা। প্রচ্ছদ করতে হয়। আমি নিজেও প্রচ্ছদ করি। আমার করা প্রচ্ছদের সংখ্যা শতাধিক। এরপর এটা প্লেট হয়। সেটি ছাপার কাজ শুরু হয়। ছাপার সময় আমার পছন্দ অনুযায়ী রং ঠিক আছে কি না, এগুলো দেখতে হয়। ছাপা শেষ হলে লেমিনেশন করতে হয়। এর গুণাগুণ যেন ঠিক থাকে, অর্থাৎ বাতাস যেন না ঢোকে বা কোনোভাবে যেন নষ্ট না হয়ে যায়, এগুলো দেখতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অ্যাম্বুশ বা ফাইল করার দরকার হয়। এসব শেষে বাইন্ডিংয়ে যায়। এভাবে আরও কিছু ধাপ যত্ন ও সতর্কতা নিয়ে শেষ করতে হয়। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লেখা নির্ভুল হতে হবে। প্রতিটি প্রক্রিয়া বেশ ভালোভাবে গুছিয়ে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

 

 

কাজে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কোন কোন ক্ষেত্রে?

আলেয়া বেগম আলো : সামাজিক নানা অনুশাসনই নারীদের প্রধান বাধা। কোনো একটা কাজের প্রসঙ্গ এলেই নারী এটা করতে পারবে না বলার প্রবণতা সবচেয়ে ক্ষতিকর। আমারও সেসব বাধা এসেছে। যেহেতু আমি এমন সব সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেসব ক্ষেত্রে একমাত্র পুরুষেরাই উপযুক্ত এমনটা ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু আমি মনে করি সৃজনশীল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের তো কোনো ভেদাভেদ নেই। কাজ তো কাজই। সেখানে কেন এত লিঙ্গবৈষম্য? এ ছাড়া পুরুষের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে নারীরা। কারণ, আমরা মায়ের জাত। সন্তান গর্ভধারণের মতো প্রাকৃতিক শক্তিও রয়েছে। আমার দুটো সন্তান। একা মানুষ করছি। ঘরে-বাইরে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছি। তবু এখনো আমাদের সমাজ নারীদের সাফল্য মানতে নারাজ। এ ছাড়া একই কাজ শেষ হতে পুরুষেরও দেরি হয়। কিন্তু নারী রাতে দেরি করে ফিরলে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। এই যে সামাজিকভাবে পুরুষের তুলনায় নারীরা দুর্বল, অযোগ্য এসব ধারণাগত বিশ্বাসই সারা জীবন ভুগিয়েছে বেশি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে সব ক্ষেত্রেই প্রতিনিয়ত প্রমাণ করতে হয়েছে যে আমিও পারি।

 

ছবি: বসন্তের সাজে আলেয়া বেগম আলো

সমাজে সমতার লড়াইয়ে নারীদের কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া উচিত?

আলেয়া বেগম আলো : নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনে কাজে লাগে, এমন দক্ষতাও শিখতে হবে। কারণ, এগুলো ছাড়া স্বাবলম্বী হওয়া কঠিন। সুন্দর জীবন পেতেও খুব দরকার হয়। আর এর মধ্যে সামাজিক নানা অনুশাসনের বাধা আসবে। সেগুলো অতিক্রমের জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে নারীরাও পুরুষের চেয়ে অনেক ভালো করতে পারে। এর উদাহরণ আমাদের সমাজে রয়েছে। তাই সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিলেই সমতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে।

সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

আলেয়া বেগম আলো : আপনাকেও ধন্যবাদ

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
শিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতিসাফল্য

এবার একুশে পদক পেলেন যারা

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালের একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে বিজয়ী ব্যক্তিদের পদক প্রদান করেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

এবার দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক প্রদান করেছে সরকার। সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২২’ প্রদানের জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে।

এ বছর ভাষা আন্দোলন বিভাগে ২ জন, মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন, শিল্পকলা (শিল্প, সংগীত ও নৃত্য) বিভাগে ৭ জন , সমাজসেবা বিভাগে ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ২ জন, গবেষণায় ৪ জন, সাংবাদিকতায় ১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১ জন এবং শিক্ষায় ১ জন পুরস্কার পেয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর) পুরস্কার পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।

সাংবাদিকতায় পেয়েছেন এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন। শিক্ষায় পেয়েছেন অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাস।

নৃত্যে পেয়েছেন জিনাত বরকতুল্লাহ। সংগীতে নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান। অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।

সমাজসেবা বিভাগে পেয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো। ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ।

গবেষণা বিভাগে পেয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক (টিম লিডার), ডা. শাহানাজ সুলতানা (টিম) ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (টিম)।

 

একুশে পদকের নীতিমালা অনুযায়ী, এককালীন ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয় নির্বাচিত প্রত্যেক বিজয়ীকে।

 

জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতির বিকাশসহ আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখছেন, তাঁদের সবার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার প্রতিবছর গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করে থাকে।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কবিতাশিল্প ও সাহিত্য

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি কাজী রোজী আর নেই

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

রোদসী ডেস্ক
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি (৭৩) মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাজী রোজীর মেয়ে সুমী সিকান্দার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুমী সিকান্দার গণমাধ্যমকে জানান, আজ কাজী রোজীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে তার সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে মিরপুরে দাফন করা হতে পারে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজী রোজীকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। মাল্টি অর্গান সমস্যার কারণে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। এছাড়া তিনি করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত ছিলেন। তিনি আইসিইউতে আইসোলেশনে ছিলেন।

উল্লেখ্য, কবি কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও এমএ পাশ করেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। এরপর রাজনীতিতে আসেন। তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালে একুশে পদক পান।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাসম্ভাবনাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

বর্তমানে ব্যস্তময় পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। কারণ মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। অথচ বেশির ভাগ রোগীই জানে না সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই মানসিক রোগের লক্ষণ জানা, চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া ও প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ভারসাম্য থাকবে।
রোদসীর এবারের আড্ডায় মুখোমুখি হয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম

রোদসী : মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি সম্পর্কে বলুন

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, সার্কিট ও চ্যানেল আছে। এগুলোর ভেতর বিভিন্ন সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া বংশগত, সামাজিক ও পারিবারিক কারণেও মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। রক্তপাত হয়। রক্তনালি চিকন হয়ে ব্লক হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সে অংশটা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্ট্রোক, প্যারালাইসিস এমনকি কেউ কেউ অন্ধও হয়ে যায়। এটা হয় মূলত মানসিক স্বাস্থ্যের কাঠামো অনেক দুর্বল অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ যারা মানসিকভাবে অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যায়, চাপ নিতে পারে না, বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, সহজে কোনো কথা ভুলতে না পারা এসব বিষয়ে মনের ওপর চাপ তৈরি হয়েই মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো হয়।

রোদসী : মানসিক অবসাদ বোঝার উপায় কী?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : জীবনে আনন্দ পাওয়ার কারণে আমরা বেঁেচ থাকি। কিন্তু এই আনন্দ যখন চলে যেতে শুরু করে, তখন কোন কাজ, কথা বা কোন স্থানে আনন্দ পাওয়া যায় তখন ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। নেতিবাচক নানা চিন্তা আসতে থাকে। অতীত উজ্জ্বল থাকলেও সব ব্যর্থ মনে হয়। বর্তমানে সব ঠিক থাকলেও মনে হতে থাকে কিছুই ভালো লাগছে না। ভবিষ্যতেও কোনো আশার আলো দেখে না। এত কষ্ট, এত দুঃখ অথচ বেঁচে কেন আছে এমন প্রশ্ন আসতে থাকা এসব লক্ষণে স্পষ্ট হয় সে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত।

রোদসী : অবসাদগ্রস্ত রোগীদের ভাবনাগুলো কেমন হয়?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত থাকলে শারীরিক জটিলতাসহ আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ মানসিক অবসাদের গুরুতর অবস্থায় যখন কেউ পৌঁছায়, তখন তার মনে হতে থাকে বেঁচে থাকা অর্থহীন। মৃত্যু মানেই মুক্তি। সব অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমন অনেক রোগীর স্বজনেরা জানায় মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তারা খুবই প্রফুল্ল থাকে। দেখে মনে হয় সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে! এই রোগীদের বেঁচে থাকার সামর্থ্য থাকে না, আবার চেষ্টাও থাকে না। এটা হলো গুরুতর মানসিক অবসাদ। আর এক ধরনের মানসিক অবসাদ রয়েছে, যা বেশির ভাগ মানুষেরাই আক্রান্ত। তাদের ভাবনাগুলো বেশির ভাগ আর্থিক ও পারিবারিক দায়িত্বের বিষয় নিয়ে থাকে। এটি এতটা গভীর না হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

রোদসী : মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার ওষুধের কোনো চিকিৎসা রয়েছে কি?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : অবশ্যই মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো মানের চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাগুলো নিলে শতভাগ সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু প্রচারের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের থেরাপিও দিতে হয়। তবে দুটো থেরাপি দিতে হবে সিবিটি বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি আরেকটি হলো ইন্টার পার্সোনাল থেরাপি বা আইপিটি। ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

রোদসী : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকা কতটা?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। কারণ, গুরুতর মানসিক অবস্থার বাইরে যারা সাধারণভাবে অবসাদগ্রস্ত, তাদের যে সময়টা ভালো লাগছে না সেই মুহূর্তেই এটি চিহ্নিত করতে হবে যে কেন ভালো লাগছে না। নিজের পাশাপাশি নিকটজনের ভূমিকা বেশি। তাদের প্রিয়জনদের মনের খোঁজ রাখতে হবে। কারণ, এক দিনেই কেউ রোগী হয়ে যায় না। তাদের ডাক্তারের কাছে না নিলেও চলে। তাই পরিবারের বা প্রিয়জনদের যারা আবেগের দিক থেকে দুর্বল, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। হতাশার গর্তে পড়তে দেওয়া যাবে না। ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল দিতে হবে। পরিবারে অভিভাবকেরা সন্তানের লালন-পালনের সঠিক কারণ না জানা ভয়াবহ ক্ষতি হয়। শুধু আর্থিকভাবে সহায়তা দিলেই হবে না, তার মানসিক অবস্থা জেনে সঠিক জীবনের দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

রোদসী : শিক্ষাব্যবস্থায় মানসিক বিষয় থাকাটা কতটা জরুরি?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই এই বিষয়ে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য জরুরি কিছু টিপস প্রায়োগিক ভাষায় লেখার মাধ্যমে কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। আমাদের মনোবিদদের সংগঠন এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে যাচ্ছি।

রোদসী : সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নারীবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

স্নিগ্ধ সাজে প্রেয়সী

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

সবুজ ঘাসে মৃদু হাওয়ায় প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে যাওয়া। চোখে চোখে কথা হবে। সেই চোখে মিষ্টতা ফুটে উঠবে কাজলের আভায়। চুলেরা হাওয়া হাওয়ায় ভালোবাসার কথা বলবে। সাজটা এমনই হওয়া চাই ভালোবাসা দিবসে। এ সময় দিনের শুরুটা রোদ গরম আর বিকেলে হিমেল হাওয়া। প্রকৃতির অদ্ভুত খেলা বুঝে সাজটা সেভাবেই করতে হবে। রূপ বিশেষজ্ঞরাও এসব বিষয় মাথায় রেখে পরামর্শ দেন। তবে এবার করোনার বিষয়টা মাথায় রেখে সাজগোজের ধরন হওয়া উচিত।

 

 

সাজের শুরুতে মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দিনের বেলায় ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো হয়। লাগাতে চাইলে ঘরের জানালা খুলে দিয়ে দিনের আলোতে খুব হালকা করে লাগাতে হবে। এরপর লাগাতে পারো আই লাইনার এবং কাজল। দিনের বেলায় লিকুইড আই লাইনার না লাগিয়ে পেনসিল আই লাইনার লাগানো উচিত বলে জানালেন হারমনি স্পার রূপ বিশেষজ্ঞ ও কর্ণধার রাহিমা সুলতানা।

 

রাহিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘যাদের ছোট চোখ, তাদের চোখের নিচের কাজল একটু মোটা করে দিতে হবে এবং অবশ্যই চোখের ওপরে আই লাইনার দিবে একদম চিকন করে। এতে করে চোখটা বড় দেখাবে। যারা একটু ডার্ক, তারা কালো লাইনার ব্যবহার না করে গাঢ় নীল রং ও ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনের বেলা চোখে আর কিছু না সাজানোটাই ভালো হবে। তবে রাতে চোখের ওপরে শেড ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্মোকি আইটা বেশ ভালো লাগবে। এ ছাড়া নীল, ব্রোঞ্জ, অ্যান্টিক টাইপের কালার ব্যবহার করতে পারো। একটু লক্ষ রাখতে হবে, যাদের গায়ের রং ডার্ক, তারা কখনোই হালকা রঙের কোনো শেড ব্যবহার না করাই ভালো।’

লিপস্টিকের কালারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিয়ে তারপর লিপস্টিক লাগাতে পারো। অথবা লিপস্টিক লাগিয়ে একটি ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে চেপে আবার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আরও বেশি ন্যাচারাল লুক আসবে। তবে যাদের বয়স কম, তাদের লিপস্টিকের বদলে ন্যাচারাল শেডের লিপ গ্লস লাগালে বেশি ভালো লাগবে। তবে চোখের সাজ যদি গাঢ় হয়, তবে ঠোঁটে অবশ্যই হালকা শেডের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগবে বললেন রাহিমা সুলতানা।

 

চুলের সাজ নিয়ে রেডের রূপ বিশেষজ্ঞ ও কর্ণধার আফরোজা পারভীন বলেন, ‘হালকা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্লো ডাই বা আয়রন করে চুল ছেড়ে রাখা যেতে পারে। আর চুলের এক পাশে দিতে পারো তাজা কোনো ফুল। আবার খোলা চুলে করতে পারো ওয়েভ কার্ল, স্পাইরাল। চাইলে কপাল ঘেঁষে চিকন বেণি করে নেওয়া যায়। পনিটেইল, ফ্রে বেণিও ভালো লাগবে। যারা শাড়ি পরবে, তারা হাতখোঁপা করে নিলে ভালো লাগবে। হরেক রকম চুলের কাঁটা গুঁজে খোঁপায় করে তুলতে পারো নতুন ছন্দ। খেয়াল রাখবে, চুল যেন সব সময় পরিষ্কার ও টিপটপ দেখায়। থ্রি পিস পরলে ভারী গয়না না পরাই ভালো। হালকা কিছু পরলেই ভালো লাগবে। আর কানের দুল বড় হলে গলায় কোনো তেমন হালকা কিছু পরলে ভালো লাগবে।’

ভ্যালেন্টাইনস দিবসের আগের পরামর্শ

রূপ বিশেষজ্ঞ ফারজানা আলম ভ্যালেন্টাইনস দিবসের আগের পরামর্শ দিয়েছেন। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আগের দিন মাস্ক ব্যবহার করো। মধুর সঙ্গে লেবু ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো।
পাকা পেঁপে, লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করো। ২০ মিনিট মুখে রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো। লেবু ত্বক পরিষ্কার করবে, পেঁপে নরম করবে, ডিমের সাদা অংশ ত্বককে টানটান করবে। মুখ যদি চুলকায় তাহলে ভয় পাবে না। মিশ্রণটি ব্যবহারে এই আবহাওয়াতেও তোমার ত্বক থাকবে নরম ও কোমল।

সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং করো। একটি ডিম ও দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাও ৩০ মিনিট অপেক্ষা করো। এরপর উষ্ণ গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলো। দেখবে ভালোবাসা দিবসে তোমার চুল ঝলমলে হয়ে উঠেছে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে যদি চুল না কেটে চুলের স্টাইলে কিছুটা ভিন্নতা আনতে চাও, তবে হেয়ার কালার করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। মুখের পাশের চুলে অল্প কিছু হালকা রঙের হাইলাইট করে নিলে তোমাকে আরও অনেক বেশি উজ্জ্বল ও ফরসা দেখাবে।

হৃদয় দোলে প্রেয়সীর চুলে

এলো চুলে যদি ভালোবাসা দিবসের সারা দিন কাটাতে হয় তাহলে আগে থেকেই চুলের বিশেষ যত্ন-আত্তি করতে হবে।
সোজাসাপটা খোলা চুলে দেওয়া যায় নানা বৈচিত্র্য। এ ছাড়া নানা রকম বেণি, এলোমেলো স্টাইল, কার্ল, সোজা সবই এখন চলছে। তাই চুল বাঁধতে পারেও ইচ্ছেমতো। তবে নিজের সঙ্গে যা মানানসই, সেই স্টাইলকেই প্রাধান্য দাও। মাঝারি চুলে ইচ্ছেমতো স্টাইল করা যায়। এখন ছোট চুলের স্টাইলেও এসেছে অনেক বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ ব্যান্ড দিয়েও সাজে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। কার্ল করলেও ভালো দেখাবে। চুল খোলা রাখলে একদম সোজাসাপটা ছেড়ে না রেখে ব্লো ড্রাই করে নাও। কিংবা রোলার স্টাইলার দিয়ে হালকা কুঁকড়ে নাও। পুরো চুল স্পাইরালও করতে পারো। ওপরের দিকে সোজা রেখে নিচের দিকে কোঁকড়া করে রাখতে পারো। লম্বা চুলে বেণির শোভা দেখতে দারুণ লাগে।সবার চেহারার গড়ন এক নয়। এ জন্য চুলের সাজও একেক জনের একেক রকম করতে হয়। তাই চুলের সাজের বেলায় কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ না করে আগে নিজেকে বোঝো, নিজের চেহারার গড়নকে বোঝো, তারপর তোমার কাছে যেটা ভালো লাগে, সেভাবেই চুলের সাজ করো।

লম্বাটে শেপের মুখে ফ্ল্যাট আয়রন ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকবে। কারণ, এতে তোমাদের মুখটা আরও লম্বা দেখাবে। ফ্রন্ট লেয়ার করে পেছনে স্টেপ কাট করতে পারো অথবা পার্টিতে যাওয়ার সময় কার্ল করতে পারো। চুল টেনে বাঁধবে না। লম্বাটে মুখের গড়ন যাদের, তারা এমন হেয়ার স্টাইল করো, যাতে চুল ঘন লাগে। শর্ট লেয়ারসও ভালো লাগবে। বব ফ্রিঞ্জ কাট বা কার্লি ববও ভালো মানাবে। এ শেপের মুখে ছোট চুলের কাটই ভালো মানাবে। লম্বা চুল বা ওয়ান লেংথ হেয়ার মানাবে না।

স্কয়ার শেপে চিবুকের অংশটা বেশি প্রশস্ত হয়। যদি তোমার চুল ছোট হয়ে থাকে তাহলে চুল পেছন থেকে গোল করে কাটো, পারলে কার্ল করো। আর লম্বা চুলে ব্যাংস কেটে নাটকীয় লুক দিতে পারো, যাতে করে সবার নজর শুধু তোমার কপালের অংশে থাকবে। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়ত কারও মুখের জন্য সবচেয়ে ভালো।
গোলাকার শেপ এ গড়নের মেয়েরা ব্যাককম্ব করে সাজ করলে চেহারা কিছুটা ওভাল শেপ দেখাবে। এতে করে তাদের দেখতে সুন্দর লাগবে। যদি ব্যাংস করতে চাও, তবে চোখের নিচ পর্যন্ত লম্বা করে কাটবে। যদি তোমার চুল ছোট হয়, তাহলে লেয়ারস করতে পারো। এর ফলে তোমার চেহারা কিছুটা লম্বা দেখাবে। আর চুল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কানের দুই পাশের অংশ একটু চাপা দেখায়। মাথার ওপরের ও সামনের অংশের চুল অপেক্ষাকৃত বড় ও খাড়া রাখতে হবে। গোলাকার মুখের জন্য এমন চুলের কাট করো, যা তোমার গাল ঢেকে দেয়।

লেখা:সুরাইয়া নাজনীন

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইবিদেশভ্রমণ ফাইল

রোমাঞ্চকর মাউন্টেন ফ্লাইট

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

আল আমিন রনি

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয়। মন্ত্রমুগ্ধকর হিমালয় পর্বতমালা নিজ চোখে দেখার স্বপ্ন পৃথিবীর সকল প্রকৃতিপ্রেমীর। তবে হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়া জয় করতে পেরেছেন হাতে গোনা কয়েকজন এভারেস্টজয়ী। যারা পর্বতে আরোহণ করতে পারবেন না, তাদের জন্য হিমালয় দেখার আদর্শ উপায় ‘মাউন্টেন ফ্লাইট’।

মাউন্টেন ফ্লাইট কাঠমান্ডু থেকে উড্ডয়ন করা একটি বিশেষ ধরনের পর্বত ফ্লাইট, যা ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমালয় এবং সংলগ্ন পর্বতচূড়াসমূহ প্রদক্ষিণ করে। এক ঘণ্টার এই যাত্রায় মাউন্টেন ফ্লাইট দেবে তুষার ঢাকা পর্বত চূড়াসমূহ উপভোগের রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি।

বিশেষ এই ট্রিপ হিমালয় অঞ্চলের পর্বতমালা, হিমবাহ এবং উপত্যকাগুলোর ওপর দিয়ে নিয়ে যাবে। হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং অন্নপূর্ণা পর্বতসমূহ দর্শনের বিরল সাক্ষী।

কখন যেতে হবে
পর্বতমালার দর্শনীয় চূড়াসমূহ পর্যবেক্ষণের সেরা সময় হলো শীতকালÑ সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। কারণ বছরের এই সময়ে হিমালয়ের চূড়াগুলো চমৎকার তুষার পরিধান করে। পাশাপাশি হ্রদ এবং হিমবাহগুলো হিমালয় থেকে স্বচ্ছ জলে সমানভাবে আলোকিত হয়।

এয়ারলাইনস
মাউন্টেন ফ্লাইটের জন্য বেশ কিছু বিশেষায়িত এয়ারলাইনস রয়েছে। এর মধ্যে সিমরিক, ইয়েতি, বুদ্ধা এবং শ্রী এয়ারলাইনস অন্যতম। আমরা সিমরিক এয়ারে ভ্রমণ করেছিলাম।

উড্ডয়নের সময়
হিমালয়ের অপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ভোর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কাঠমান্ডুতে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে হোটেল পিকআপের সময় সকাল ৫টা এবং বিমান ৬টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

তবে বিশেষ এই ফ্লাইট দিনের আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। যদি আবহাওয়া বিমান উড্ডয়নের জন্য উপযোগী না হয়, তাহলে পরবর্তী দিনের জন্য ফ্লাইট পুনর্নির্ধারণ হতে পারে।

খরচ
পর্যটকদের জন্য মাউন্টেন ফ্লাইটে জনপ্রতি খরচ ১৮৯ মার্কিন ডলার। তবে স্থানীয় এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এর মূল্য ৯৯ মার্কিন ডলার।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে রাখতে ভুলবে না। গরম কাপড় এখানকার জন্য আদর্শ। আর হিমালয়ের অভূতপূর্ব দৃশ্য ধারণ করতে সঙ্গে রাখো ভালো রেজল্যুশনের ক্যামেরা বা ভিডিও ডিভাইস। তবে এখানে ধূমপান এবং বড় ব্যাগ বা লাগেজ রাখার অনুমতি নেই।

এভারেস্ট অভিজ্ঞতা

মাউন্টেন ফ্লাইট শুধু হিমালয় শৃঙ্গ উপভোগের রোমাঞ্চকর অনুভূতিই প্রদান করে না বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেপালের ভূগোল সম্পর্কে ও স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করে।

মাউন্টেন ফ্লাইটে সফল আরোহণকারী প্রত্যেকের জন্য এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় বিশেষ সার্টিফিকেট : অ খওঋঊঞওগঊ অডঅজউ ঞঙ ঝঊঊ গঙটঘঞ অঠঊজঊঝঞ!

আরও কিছু জেনে রাখি
হিমালয় কোনো একক শ্রেণি বা মালা নয়, বরঞ্চ একটি ধারাবাহিক শ্রেণি, একে অন্যের প্রায় সমান্তরাল ধারায় লম্বা দূরত্ব স্থাপন করেছে। আবার কোথাও দুটি ধারা একসঙ্গে মিশে গেছে। এরই মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য উপত্যকা, অধিত্যকা আর বালিয়াড়ি।

সমভূমি থেকে সারিবদ্ধ অনুচ্চ পাহাড়ের ভিত ধরে উচ্চ থেকে আরও উচ্চে উঠে গেছে হিমালয়ের শ্রেণি আর তার অভ্রভেদী চূড়াশৃঙ্গ, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুবিখ্যাত মাউন্ট এভারেস্ট, মাউন্ট ক২, কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়া আরও অনেক পর্বত।

এর মধ্যে কিছু পর্বতমালার গতি প্রধান হিমালয় বলয়ের অনুপ্রস্থ বা আড়াআড়ি। এগুলো হচ্ছে আসাম রেঞ্জ, মণিপুর রেঞ্জ, আরাকান ইয়োমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পেগু ইয়োমা ইত্যাদি। হিমালয় ও অন্যান্য মধ্য এশীয় পর্বত পৃথিবীর ছাদ অর্থাৎ পামির মালভূমি থেকে উত্থিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে গেছে। পামির মালভূমি থেকে হিমালয় ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক বেষ্টন করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে।

 

এই পর্বতশ্রেণির পূর্বাঞ্চল পশ্চিমাঞ্চলের তুলনায় সংকুচিত এবং পরস্পরের খুব কাছাকাছি। এর ফলে আচমকা এগুলো সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে গেছে। এ কারণেই এগুলোর তুষার আবৃত শৃঙ্গগুলো, যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দৃশ্যমান। হিমালয়ের প্রধান প্রধান শ্রেণিমালা আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের সীমান্ত মধ্যবর্তী প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার স্থানজুড়ে বিরাজমান।

ছবি: লেখক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook