রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
লেখক

Wazedur Rahman

Wazedur Rahman

পাঠকের রান্নাহেঁসেল

পালং-চিকেন কাবাব

করেছে Wazedur Rahman মে ১৯, ২০২০

উপকরণ:

আদা বাটা : ১ চা চামচ, পালংশাক : ৫ আউন্স, ক্রিম চিজ : ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি : আধা চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া : ১ টেবিল চামচ, মোজেরেলা চিজ : ১ কাপ, বোনলেস চিকেন : ৪টা, ময়দা : ১ কাপ, ডিম : ৩ টা, ব্রেড ক্রাম : ১ কাপ, তেল : পরিমানমত, কাঁচামরিচ কুচি : ১ চা চামচ।

প্রণালী:

প্রথমেই একটি কড়াইতে গরম তেলে রসন কুচি ভেজে পালংশাক, লবন, গোলমরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নেড়ে পানি শুকিয়ে মোজেরেলা চিজ ও ক্রিম চিজ দিয়ে নামিয়ে নাও। মুরগির টুকরা হাফ করে কেটে পকেটেরমত বানিয়ে নিতে হবে। এরপর চিকেন পকেটের মধ্যে পালং শাকের পুর মাংসের পকেটে ঢুকিয়ে ময়দায় ভাল করে গড়িয়ে নাও। এখন ডিমে চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে গরম তেলে ভেজে উঠিয়ে পরিবেশন করো টমেটো সস দিয়ে।

রেসিপি ও ছবি: আফরোজা নাজনীন সুমি 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

চিকেন হায়দরাবাদি

করেছে Wazedur Rahman মে ১৮, ২০২০

ঈদ উৎসবে বাড়িতে চাঁদের হাট জমবে এ তো স্বাভাবিক। এ সময় মেহমানদারিতে পোলাও না হলে ঠিক জমে না। গড়পড়তা চিন্তার বাইরে একটু বুদ্ধি খাটালেই পোলাও প্রেজেন্টেশনে ভিন্নতা আনা খুব কঠিন কিছু নয়।

উপকরণ

বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, দেশি মুরগি ১ কেজি, টক দই ২৫০ গ্রাম, গোটা পেঁয়াজ ৪টা, গোটা রসুন ২টা, আদাবাটা ১/২ চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, গরম মসলা ১/২ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ ২ চা-চামচ, সরিষার তেল ৬ টেবিল চামচ, খাবারের লাল রং ২ ফোঁটা।

প্রণালি

প্রথমে মুরগির মাংস বড় বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর মুরগির টুকরোগুলো টক দই, আদাবাটা, লেবুর রস, মরিচের গুঁড়া, গরম মসলা এবং লাল রং একসঙ্গে ভালোমতো মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখতে হবে দুই ঘণ্টার জন্য। এবার একটা প্যানে সরিষার তেল গরম করে তাতে গোটা পেঁয়াজ ২ টুকরো করে এবং রসুন ও আড়াআড়ি করে মাঝ বরাবর ২ টুকরো করে সরিষার তেলে দিয়ে একটু পোড়া পোড়া হওয়ার অপেক্ষা করো।

হয়ে এলে এতে মেরিনেট করা রাখা মুরগিগুলো দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এবার এতে বাসমতী চাল ধুয়ে দিয়ে দাও। এর সঙ্গে মুরগি মেরিনেট করে রাখা বাকি মসলাটুকু, গোটা কাঁচামরিচ এবং ৮০০ গ্রাম পানি দিয়ে বলক ওঠার অপেক্ষা করো। পানি শুকিয়ে এলে দমে রাখো ৩০ মিনিট, গরম গরম পরিবেশন করো।

রেসিপি ও ছবি: ফাহা হোসাইন  

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ফটো ফিচার

ছবিতে করোনার লকডাউনে বিশ্বব্যাপী রমজান পরিস্থিতি

করেছে Wazedur Rahman মে ১৭, ২০২০

বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। লকডাউনে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। থেমে গেছে সকল কলকারাখানা আর গাড়ির চাকা। মানুষ এখন গৃহবন্দী অবস্থায়। এমনকি বছরের পবিত্রতম এই রমজান মাসেও ঘরবন্দী অবস্থায়ই দিন কাটাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। কেমন চলছে পুরো বিশ্ব এই রমজানে? ছবিতে পুরো বিশ্বজুড়ে করোনার লকডাউনে বিশ্বব্যাপী রমজান পরিস্থিতির ছবি দেখে আসি – 

REUTERS/Mike Segar

নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র। নিউ জার্সির প্যাটারসনের প্যাসাসিক কাউন্টির ইসলামিক সেন্টারের ভিতরে রমজানের এক মধ্যদুপুরে এক রোজাদার ব্যক্তি সেজদায়রত শূন্য মসজিদে। 

REUTERS/Khalil Ashawi

আলেপ্পো, সিরিয়া। আতারিব শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের একদল স্বেচ্ছাসেবী ইফতার আয়োজনের ব্যবস্থা করে দেয়; তাদের খাবার গ্রহণের একাংশ। 

Saudi Press Agency/Handout via REUTERS

মক্কা, সৌদি আরব। মক্কার কাবা শরীফের সামনে একজন সৌদি রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তা পাহারায়রত। করোনাভাইরাসের কারণে রমজানে মক্কা বন্ধ করে রেখেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

REUTERS/Parwiz

জালালাবাদ, আফগানিস্তান। জালালাবাদের এক মসজিদে আফগান ছেলেরা কোরআন পড়ছে তাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। 

REUTERS/Omar Sobhani

কাবুল, আফগানিস্তান। কাবুলের এক মসজিদে বসে কোরআন তেলাওয়াত করছেন একজন মুসল্লী।

WANA (West Asia News Agency)/Ali Khara via REUTERS

তেহরান, ইরান। রমজানের দিনগুলোতে গরীব লোকেদের ইফতারের আয়োজন সাজিয়ে দিতে সাহায্য করছে এক বাচ্চা। 

REUTERS/Wolfgang Rattay

উপার্তাল, জার্মানি। এক বাংলাদেশি প্রবাসী তার দুই সন্তান এবং নিজের জন্য মসজিদ থেকে বাসা ডেলিভারির আওতায় থাকা ইফতারের প্যাকেজ গ্রহণ করছেন। 

REUTERS/Akhtar Soomro

করাচি, পাকিস্তান। করাচির এক সড়কে ডিভাইডারে বসে দিনমজুর এক ব্যক্তি রোজা ভাঙছে। 

REUTERS/Muhammad Hamed

রুশিফা, জর্ডান। রাশিফা শহরে মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক এক দুস্থ পরিবারকে ইফতার প্যাকেট দেয়ার একটি মুহূর্ত। 

REUTERS/Mohammad Ponir Hossain

ঢাকা, বাংলাদেশ। ঢাকার তারা মসজিদে এক মুসল্লী বসে কোরআন তেলাওয়াত করছে। 

REUTERS/Dinuka Liyanawatte

কলম্বো, শ্রীলংকা। নিজের বাড়ির ছাদে বসে এক ছেলে ইফতারের অপেক্ষায় বসে থাকার আগের মুহূর্ত। 

REUTERS/Dinuka Liyanawatte

কলম্বো, শ্রীলংকা। কলম্বোতে একটি পরিবার নিজেদের বাড়ির ছাদে ইফতার সম্পন্ন করছে। 

REUTERS/Anushree Fadnavis

দিল্লী, ইন্ডিয়া। পুরনো সরকারী কোয়ার্টের বাসিন্দাদের ইফতার আয়োজনের একটি দৃশ্য। 

REUTERS/Mohamed Abd El Ghany

কায়রো, মিশর। কায়রোতে পরিবারের সঙ্গে জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করার পর ছেলেটি কোরআন তেলাওয়াত করছে। 

REUTERS/Jorge Silva

ব্যাংকক, থাইল্যান্ড। ব্যাংককের এক মসজিদে রমজানের প্রথম দিনে এক ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে এসেছেন ফেসমাস্ক পরে। 

Antara Foto/Wahdi Septiawan/via REUTERS

জাম্বি, ইন্দোনেশিয়া। জাম্বির এক জনশূন্য মসজিদে এক মুসল্লীর নামাজ আদায়ের দৃশ্য।  

Aamir Qureshi /AFP via Getty Images

ইসলামাবাদ, পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এক মসজিদে স্থাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায়ের দৃশ্য। 

Aamir Qureshi /AFP via Getty Images

ইস্তাম্বুল, তুরষ্ক। রমজান শুরুর আগেই লকডাউন ঘোষণা করা হলেও রমজানের প্রথম দিনে মসজিদে এরকম গুটিকতেক ধর্মপ্রাণ লোকের দেখা মিলে। 

Jaafar Ashtiyeh/AFP/Getty

নাবলুস, ফিলিস্তিন। নাবলুসের আল নাসির মসজিদের কাছেই থাকা এক বাড়ির বাসিন্দা কোরআন তেলাওয়াত করছে নিজের বারান্দায় বসে।

Anadolu Agency/Getty Images

অ্যাথেন্স, গ্রীস। গ্রীসের এক পরিবার গৃহবন্দী অবস্থায় জামাতে নামাজ আদায় করছে। 

Rehman Asad/Barcroft Media/Getty Images

ঢাকা, বাংলাদেশ। ঢাকার বাইতুল মুকাররম জাতীয় জামে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায়ের দৃশ্য। 

Anas Alkharboutli/picture alliance/Getty Images

আতারিব, সিরিয়া। ধ্বংস প্রায় এক ভবনের সামনে বসে সিরিয়ানদের ইফতারের দৃশ্য। 

Prakash Mathema/AFP via Getty Images

কাঠমুন্ডু, নেপাল। এক মুসল্লী নেপালের এক জামে মসজিদ নামজ আদায় শেষে দোয়ায়রত। 

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়প্রধান রচনা

ক্যারিয়ার গোল

করেছে Wazedur Rahman মে ১৭, ২০২০

ক্যারিয়ার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত যত আর্লি নেওয়া যায়, ততই ভালো। আমাদের দেশে অনেকেরই এটা বুঝতে বুঝতে দেরি হয়ে যায় যে সে ভবিষ্যতে কী হতে চায়। এমনকি অনার্স-মাস্টার্স শেষ করার পরও অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে যে এখন সে কী করবে।

ক্যারিয়ার বলতে এখানে বোঝানো হয় যে কোনো একটা কাজ বা পেশা, যাতে কিছু আয় হবে। কিন্তু ক্যারিয়ার আদতে এমন কিছু না। ক্যারিয়ার হচ্ছে সফলতার উদ্দেশ্যে যাত্রা, স্বপ্নের পথে যাত্রা। মানে আমি যে পেশাটায় নিয়োজিত আছি সেখানে আরাম পাচ্ছি, সুখ পাচ্ছি, স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যদি আমি কমফোর্টই ফিল না করি, তাহলে টাকা দিয়ে আমি করব কী!

বিদেশে ক্যারিয়ার গঠনে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হেল্প করে। ছাত্রছাত্রীদের কোন দিকে আগ্রহ এটা বুঝতে পেরে বাবা-মা বা স্কুলশিক্ষকেরা খুব অল্প বয়সেই বাচ্চাদের তার শখ-স্বপ্ন ও আগ্রহের জায়গাগুলোতে চালিত করেন। কিন্তু আমাদের দেশে এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

অনেকেই মনে করেন, ভারতবর্ষে শিক্ষার যাত্রাটাই শুরু হয়েছে কিছু কর্মসংস্থান তৈরির জন্য! এ দেশে কর্ম অনেকটা বোঝার মতো। কিন্তু কাজও যে আনন্দময় হতে পারে এবং তাতে ব্যক্তি ও দেশের মঙ্গল হতে পারে, এমন নজির খুব বেশি নেই। ক্যারিয়ার হতে হবে এমন, যাতে নিজের মঙ্গল হয়, দেশ ও দশেরও উপকার হয়। তা না হলে অসংখ্য শ্রম অকারণে বৃথা যাবে।

যেখানে পৌঁছাতে চাও

তুমি কোথায় পৌঁছাতে চাও, এটা তোমাকেই আগে বুঝতে হবে। সত্যিই এটা আর কেউ বুঝবে না। কিন্তু বুঝতে পারলেও এই সিদ্ধান্ত নিতে তোমার দেরি হতে পারে যে সত্যিই তুমি এ পথে চলতে চাও কি না! কারণ, তোমার পরিবার হয়তো অন্য রকম কিছু চাইতে পারে। সাধারণত আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো ক্যারিয়ার বলতে বোঝে কেবল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, ব্যবসায়ীসহ আরও কিছু নির্দিষ্ট আদি পেশা, যার মাধ্যমে ভালো আয় হয় কিন্তু গত ২০-৩০ বছরে যে ক্যারিয়ার ফিল্ডের অনেক কিছুই বদলে গেছে এ বিষয়ে বাবা-মায়ের খুব ভালো ধারণা নেই।

তোমরা যারা আমির খান অভিনীত ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিটি দেখেছ তারা খুব ভালো করেই জানো বাবা-মায়েরা এখনো কেমন করে ছেলেমেয়েদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকে। কিন্তু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী না হয়েও তুমি শুধু একজন আর্টিস্ট বা লেখক হয়েও মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারো। যদি তুমি চাও তোমার স্বপ্নের পথে যেতে, যে কোনো পেশাতেই তুমি সফলতার চূড়ায় উঠতে পারো। বিষয়টা হচ্ছে আগে তোমাকে চাইতে হবে, নিজের কাজটার প্রতি হানড্রেড পারসেন্ট পেশন্যান্ট থাকতে হবে।

তা না হলে যত বড় পেশাই হোক, তুমি ছিটকে পড়ে যাবে। এমন উদাহরণ চোখের সামনে আছে, আত্মীয়স্বজন বা ক্ষমতাবান কাউকে ধরে খুব বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু যোগ্যতার কারণে সেখানে আর টিকতে পারেনি। নিজেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছে মান বাঁচাতে। তাই তুমি কোথায় পৌঁছাতে চাও এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য তুমি কতটুকু তৈরি, সেটা তুমিই সবচেয়ে ভালো জানো।

 

ক্যারিয়ারে সফলতা কী?

ক্যারিয়ারে সফলতা কী? প্রশ্নটা একটু জটিল। সফলতা বলতে আমরা আসলে কী বুঝি? ধরো, তোমার এক বন্ধু বিরাট ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি দিয়ে এর মধ্যেই কোটিপতি হয়ে গেছে। কিন্তু তার এক মুহূর্তের অবসর নেই। দিন-রাত ছুটছে। ভোরবেলা সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, ফেরে গভীর রাতে। প্রিয়জনের সান্নিধ্যও পায় না ঠিকমতো। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে পারে না মাসে একবারও। বন্ধুরা ফোন করলেই বলে, ‘ব্যস্ত রে, রাখি, পরে কথা বলব।’ এমন লোককে আর যা-ই হোক সফল বলা যায় না। তার হয়তো অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে, কর্মক্ষেত্রে সে সফলও, কিন্তু ব্যক্তিজীবনে কি আসলেই সে সফল?

আবার ধরো, তোমার এক বন্ধু একটা পত্রিকায় বা টিভি চ্যানেলে কাজ করে। মাসিক বেতন ধরো তার মাত্র ৩০-৪০ হাজার টাকা। একটু টানাটানি আছে। তারপরও এ দিয়ে ভালোই চালিয়ে নেয়। নিয়মিত গান শুনে, সিনেমা দেখে, বই কেনে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়। নিজের অলস-অবসর সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করে। তাহলে কাকে তুমি সবচেয়ে বেশি সফল বলবে? আসলেই সফলতার সংজ্ঞা বোঝাটা একটু কঠিন। এ নিয়ে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের দারুণ একটা কথা আছে। তিনি বলেছিলেন,

চোর-বাটপারও অনেক সময় সফল হয়ে যেতে পারে। আমাদের দেশের সফল লোকদের মধ্যে ৮০ ভাগই তো দুর্বৃত্ত। এমন জিনিস নিয়ে পাগল হওয়ার আর কী আছে? সবচেয়ে বড় যা জিনিস সাফল্য নয়, সার্থকতা।

তাই তো। শেষ পর্যন্ত দিন শেষে আমি শান্তিমতো ঘুমাতে যেতে পারছি কি না, আর আমি আমার স্বপ্নের পথে স্থির আছি কি না, সেটাই হচ্ছে আসল কথা।

বাংলাদেশে সফল ক্যারিয়ার হিসেবে যে পেশাগুলোকে আইডেন্টিফাই করা হয়

তারপরও কিছু পেশা আছে, যা আর্থিক নিরাপত্তা দেয়, সামাজিক সম্মানও দেয়। এ রকম কিছু পেশার মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার ছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশে এমন কিছু নতুন পেশার উদ্ভব হয়েছে, যেখানে খুব সহজেই আর্থিক সচ্ছলতা ও সামাজিক সম্মানও আসতে পারে। যেমন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। এগুলোর পাশাপাশি নানা রকম ক্রিয়েটিভ কাজ তো আছেই। চাইলেই এখন কেউ শুধু ফটোগ্রাফি করে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এখন খুবই আকর্ষণীয় একটি পেশা। এর সঙ্গে মেকআপ আর্টিস্ট, স্টাইলিস্ট, ক্যারিয়ার গ্রুমিং, করপোরেট ট্রেইনার, মোটিভেশনাল স্পিকার, ফ্যাশন ডিজাইনিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট তো আছেই। তুমি চাইলে ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলে তথ্যচিত্র নির্মাণ করে কিংবা মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলে কিংবা নানা মজার মজার ভিডিও আপলোড করেও এখন টাকা কামাতে পারো। মোট কথা টাকা কামানোর একটা অসংখ্য পথ আছে এবং তা তুমি করতে পারবে তোমার শখ, স্বাধীনতা বজায় রেখেই।

তোমার শুধু দরকার হবে ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন। এসব করতে, শিখতে খুব বেশি টাকাপয়সারও প্রয়োজন হয় না। তা তুমি করতে পারবে কিছু ধারদেনা করেই। গুগল সার্চ দিয়েই তুমি জেনে নিতে পারবে কীভাবে কী করতে চাও। আর বন্ধুদেরও হেল্প পাবে। আর এসবও যদি না পারো, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ-বিজিবিতেও প্রচুর লোক নেয় প্রতিবছর। এগুলো যে কোনো দেশেরই সম্মানজনক ও নিরাপদ পেশা। নিজের পছন্দমতো কোথাও ঢুকে পড়ো। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দরকার শুধু দক্ষতার আর পথযাত্রার।

 

যারা উচ্চমর্যাদার পেশা ছেড়েছিলেন

সত্যি বলতে নিজের পছন্দমতো পেশা বেছে নেওয়াটা সহজ কথা নয়। সবার এ সৌভাগ্যটা হয় না। খুব অল্প কিছু মানুষই এ বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। আসলে সৌভাগ্যবান না, তারা সাহসী ও পরিশ্রমী। তারা নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে শিখেছেন। অনেক সময় আর্থিক-সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা নিজের পছন্দকে বিসর্জন দিই। আবার এমন বিরল দৃষ্টান্ত আছে, যারা নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেক উচ্চমর্যাদার পেশা ছেড়েছেন।

যেমন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যকার হাসান ফেরদৌস। তিনি আর্মি অফিসার ছিলেন। নাটক লেখার জন্য সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে কলম হাতে তুলে নিলেন এবং সফল হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাংলাদেশের সফল নাট্যকারের খ্যাতি ধরে রেখেছেন। নাটক-সিনেমা বানানোর জন্য এবং সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে যুক্ত থাকার জন্য হুমায়ূন আহমেদও একসময় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তত দিনে তিনি অবশ্য সাহিত্যজগতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিলেন। তাও শেষ বয়সে এসে এমন সম্মানজনক একটি চাকরি ছেড়ে দেওয়া সহজ কথা না।

তার চেয়েও বড় উদাহরণ কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি একটা স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। সেই ষাটের দশকে। তখনো আমেরিকা এক স্বপ্নের দেশ, আর ভারতীয় কিংবা উপমহাদেশের লোকদের জন্য সেখানে যাওয়াটা সহজ কথা নয়। সুনীল সেখানে গিয়ে সারা জীবনেরই থাকা-খাওয়া এবং চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভাবলেন, আমেরিকা থেকে তিনি কী করবেন? তিনি তো লিখবেন, আর তাকে লিখতে হবে বাংলাতেই। নিতান্তই শূন্য হাতে তিনি নিজের দেশে ফিরে এলেন। তারপর তার উত্থান আর কারও জানার বাকি নেই। তিন-চার দশক ধরে তিনি বাংলা সাহিত্য শাসন করে গেছেন। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে।

রবীন্দ্রনাথ লন্ডনে পড়তে গিয়েও ব্যারিস্টার না হয়ে ফিরে এসেছিলেন। তাতে তার সফলতা কেউ আটকাতে পারেনি।

আজকের প্রযুক্তি জগতের দুই মহান দিকপাল মার্ক জাকারবার্গ এবং বিল গেটসও প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় ছিলেন বিরাট ফাঁকিবাজ। কিন্তু আজকের পৃথিবীর তারাই সবচেয়ে সফলতম ব্যক্তি। আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে স্কুল ফাঁকি দিলেই কেউ রবীন্দ্রনাথ হয়ে যায়, বরং আমি বলতে চাচ্ছি যে নিজের কাজটা ভালোবাসা দিয়ে করলে যে কোনো উপায়েই মানুষ সফল হতে পারে। কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারে না।

 

বাবা-মায়েরা আরেকটু সচেতন হতে পারো

আমাদের সমাজে পরিবার, পিতা-মাতা এখনো সন্তানবান্ধব নয়, বরং তারা খুব কর্তৃত্বপরায়ণ। বেশির ভাগ বাবা-মা’ই সন্তানদের নিজের ইচ্ছা ও খেয়ালখুশিমতো চালাতে চায়। তারা মনে করে এটা তারা সন্তানদের ভালোর জন্যই করছে। তাতে সন্তান হয়তো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিতও হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই সন্তান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীও হয়ে ওঠে। এটা বোঝা যায় অনেক পরে, যখন সন্তান স্বাভাবিকভাবে আর কারও সঙ্গে চলতে-ফিরতে পারে না।

পড়াশোনা থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার পর্যন্ত বাবা-মায়েরা তাদের অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেন। তারা শুধু মানুষের কাছ থেকে শুনেছে এটা করলে ভালো হবে, ওটা পড়লে ভালো হবে, ওই চাকরিটা ভালো। ব্যস, এতটুকু জেনেই তারা সন্তানের ওপর জোর করে সেই বোঝা চাপিয়ে দেয়। খুব অল্প বাবা-মা’ই সন্তানের ইচ্ছা ও স্বপ্নকে মূল্য দেয়।

এখন বিসিএস বা সরকারি চাকরির জন্য অনেক বাবা-মা’ই সন্তানদের চাপ দিয়ে থাকে। কিন্তু সন্তানের হয়তো কোনো সৃষ্টিশীল পেশায় আগ্রহ, বেতনের চেয়ে, সামাজিক স্ট্যাটাসের চেয়ে সে বেশি প্রাধান্য দিতে চায় নিজের ইচ্ছা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে। কিন্তু বাবা-মা তার ইচ্ছাকে কোনো গুরুত্বই দিল না। উল্টো বলবে, এটা কোনো কাজ হলো, এসব করলে মানুষকে মুখ দেখাব কী করে! ও দেখো কত বড় জব করে, তোমার খালাতো ভাইকে দেখো ব্যাংকের অফিসার, তোমার মামাতো বোন ডাক্তার, আর তুমি এসব করবে! এতেই সন্তানের মনটা মরে যায়।

বরং সন্তান যা-ই করতে চায়, তাতেই যদি উৎসাহ দেওয়া যায় তাহলে সেখানে ভালো করার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর পরিবার থেকেই যদি সে উৎসাহ না পায়, তখন আসলে খুব বেশি দূর আর এগোনো যায় না। আজকালকার আধুনিক বাবা-মায়েরা অবশ্য সন্তানের ইচ্ছাকে অনেক মূল্য দেয়। তবে সন্তানের ইচ্ছাকে মূল্য দেওয়ার জন্য সেই সব বাবা-মাকে কতখানি সুশিক্ষিত হতে হবে, সেটা বলাই বাহুল্য।

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, তাহলে কাউকে ঠেকানো যায় না। এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে পৃথিবীজুড়েই। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মার কথা আমরা জানি। তিনি চীনের শীর্ষ ধনী। লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিলেন না। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে বারবার ফেল করে তিনি বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন। সেখানেও কৃতকার্য না হওয়ায় লেখাপড়ার পাট জীবনের তরে চুকিয়ে দেন।

 

বহু চাকরির আবেদন করে ব্যর্থ হন। চীনে যখন প্রথম কেএফসি আসে, সেখানেও তিনি আবেদন করেন। ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনকে নেওয়া হয়, একমাত্র যে ব্যক্তিটিকে নেওয়া হয়নি তিনি জ্যাক মা। তাও তিনি আশা ছাড়েননি। এখন বিশে^র অন্যতম ধনী ব্যক্তি। এখন তিনি হাসতে হাসতে নিজের ব্যর্থতার কথা বলে বেড়ান।

এমন উদাহরণ আছে, জনপ্রিয় প্রযুুক্তিবিদ অ্যাপেল ইনকরপোরেশন ও পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবসকে নিয়েও। তার আসল বাবা-মা এত গরিব ছিলেন যে তাকে ছোটবেলায় দত্তক দিতে বাধ্য হন। হাইস্কুল শেষ করার পর তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন। ক্যালিগ্রাফিসহ কিছু কোর্স শিখেছিলেন। আর ছিল কম্পিউটারের প্রতি প্রচুর আগ্রহ। পরে বন্ধু রোনাল্ড ওয়েনকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান অ্যাপেল গড়ে তোলেন। কিন্তু একসময় ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এই প্রতিষ্ঠান তাকে ছেড়ে দিতে হয়। নিজের হাতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে তিনি হতাশায় বিমর্ষ হয়ে যান।

পরবর্তী সময়ে সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে আবার উঠে দাঁড়ান। গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান নেক্সট ইনকরপোরেটেড। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে অসংখ্য সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তার আশা-জাগানিয়া বক্তব্যগুলো পৃথিবীজুড়েই অনেক জনপ্রিয়। তার কথাগুলো এখন বাণী চিরন্তনীর মতো স্মরণীয়। তার জনপ্রিয় উক্তিগুলোর মধ্যে আছে,

আপনাকেও পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে, এমন চিন্তাই কেবল কোনো কিছু হারানোর দুশ্চিন্তা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। আপনার জীবনের একটি বড় অংশজুড়েই থাকবে আপনার কর্ম এবং যে কাজটি নিজের কাছে সেরা বলে মনে হয় সেই কাজটি করতে পারাই হলো আত্মতুষ্টির একমাত্র উপায়। কবরস্থানে সবচেয়ে ধনী হয়ে থাকার ব্যাপারটি আমার কাছে তেমন কিছুই মনে হয় না…রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এটা ভেবে ঘুমানো উচিত যে আমরা দারুণ কিছু করতে পেরেছি…এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।

সুতরাং তুমি কী হতে চা-ও সেটাই হচ্ছে বড় ব্যাপার। যদি তোমার লক্ষ্য অটুট থাকে, তোমাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। একটা কথা আছে, যদি তুমি কিছু চাও তাহলে অবশ্যই পাবে, আর যদি না পাও তাহলে ধরে নিও তুমি আসলে মন থেকে ওটা চাওনি।

আবার এ কথাও সত্য, আমরা সবাই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নই। ইচ্ছা করলেই আমরা বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি না। তারা তো লাখ, কোটিতে একজন-দুজন। আমরা বেশির ভাগ মানুষই তো খুব গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। কোনো রকমে একটা কাজকর্ম করে একটু ঘুরেফিরে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। এত সফল আমরা সবাই হতেও চাই না। চেষ্টা করলে সেটা করা কঠিন কিছু না। এ কথা সত্য ভয়ংকর প্রতিযোগিতার এই পৃথিবী।

দিন দিন সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। আবার এ কথাও সত্য, প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর্মক্ষেত্র, নানা সুযোগ-সুবিধাও। আমাদের যা করতে হবে তা হচ্ছে কোনো একটা কাজে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে অন্য পথ খুঁজতে হবে। নিজের আগ্রহের সবগুলো জায়গায় টোকা দিয়ে দেখতে হবে। একটা কথা আছে, তুমি টোকা দাও, দরজা খুলে যাবে। হাঁটো, পথ পাবে।

আজকাল অনেকেই একটা নির্দিষ্ট বিশ^বিদ্যালয়ে বা নির্দিষ্ট সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। যেন ওই একটা মাত্র সাবজেক্ট বা বিশ্বিবদ্যালয়েই তার জীবন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পায়নি বলে তিন দিন হতাশায় ভাত খায়নি এমন ছেলে আমি চোখের সামনে দেখেছি। অথচ ডাক্তার হতে চাইলে দেশে এখন অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সে শেষ পর্যন্ত একটা প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ডেন্টালে ভর্তি হয়েছিল এবং এখন সে সফল।

আমার আরেক বন্ধু ইংরেজি সাহিত্যে পড়ত জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের একটা কলেজে। এ নিয়ে তার মনে খুব সংকোচ ছিল। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ে সে কী করবে? যেখানে বড় বড় বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাস করে নাকি ছেলেমেয়েরা বেকার থাকে বলে সে শুনেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার সে এখন একটা বিদেশি ফার্মে কাজ করে। কয়েকবার বিদেশে গিয়ে ঘুরে এসেছে। শেষ পর্যন্ত সে পড়াশোনাটাকে নিয়েছিল প্রেম হিসেবে, যা-ই পড়ত বুঝে পড়ত, আগ্রহের জায়গা থেকেই সে ইংরেজি সাহিত্য বুঝতে চেষ্টা করেছিল। এখন সে সফল।

কেউ যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে দক্ষ হয় তাকে ঠেকিয়ে রাখার মতো শক্তি এই পৃথিবীতে কারও নেই। আজকাল তো একটু ভালো ইংরেজি জানলে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় একটু ভালো হলে বিদেশে পড়তে যাওয়াটাও কোনো ব্যাপার না। প্রচুর ছেলেমেয়ে এখন প্রতিবছর লন্ডন, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছে। বিদেশে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ পড়াশোনার মাধ্যমেই।

শেষ করি অসামান্য একটা গল্প দিয়ে। এক পাথুরে পাহাড়ের ওপরে বড় একটা গাছ বেড়ে উঠেছে। এটা দেখে উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা তো বিস্মিত, আরে এখানে এই গাছটা এত বড় হলো কী করে! এখানে তো পানির কোনো উৎস নেই। পানি ছাড়া তো এই গাছ বাঁচার কথা না। আর তো এ রকম কোনো গাছ নেই আশপাশে। বিজ্ঞানীরা ভাবলেন, গাছটা যখন এত বড় হয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই কোথাও পানির উৎস আছে। তারা গাছটার গোড়া থেকে খুঁড়তে শুরু করলেন। অনেক দূর খোঁড়ার পর দেখেন শিকড়ের মূলটা বাঁকা হয়ে অন্যদিকে চলে গেছে। তারা সেদিকেও খুঁড়লেন এবং কী আশ্চর্য, সেদিক দিয়ে পানির একটা শীর্ণ ধারা বয়ে যাচ্ছে।

গাছ যদি নিজের পথ খুঁজে নিতে পারে, তুমি তো মানুষ। তুমি এত ভয় পাও কেন!

লেখা: কামরুল আহসান 
ছবি: সংগ্রহীত 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

ডিম কিমা চপ

করেছে Wazedur Rahman মে ১৪, ২০২০

উপকরণ:

চিকেন কিমা: ১ কাপ, সেদ্ধ ডিম কুচি: আধা কাপ, পেঁযাজ কুচি: ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি: ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি: ১ চা চামচ, সাদা গোলরিচ: ১/৪ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া: ১/৪ চা চামচ, মাষ্টার্ড পেষ্ট: আধা চা চামচ, সয়াসস: ১/৪ চা চামচ, চিলি ফ্লেক্স:১/৪ চা চামচ, চিনি:১/৪ চা চামচ, লেবুর রস: ১ চা চামচ, ডিম: ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম: ২ টেবিল চামচ, টেম্পুরা পাউডার: ১ টেবিল চামচ, লবণ: স্বাদমত।

প্রণালী:

প্রথমে চিকেন কিমা, ডিম কুচি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, সাদা গোলমরিচ, গরম মসলা, মাষ্টার্ড পেষ্ট, সয়াসস, চিলি ফ্লেক্স, চিনি, লেবুর রস, লবণ, টেম্পুরা, ব্রেডক্রাম দিয়ে মেখে গোলাকার বানিয়ে নিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে বানিয়ে রাখা গোলাকার চপগুলো ভেজে উঠিয়ে পরিবেশন করুন চিলি সস দিয়ে।

রেসিপি ও ছবি: আফরোজা নাজনীন সুমি  

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

এগ রোল

করেছে Wazedur Rahman মে ১৩, ২০২০

উপকরণ:

ডিম : ২টা, ময়দা : ১কাপ, লবণ : স্বাদমত, পানি : পরিমানমত, তেল : পরিমানমত, রান্না করা কিমা : ১ কাপ, টেষ্টিং সল্ট : আধা কাপ।

প্রণালী:

প্রথমেই ডিম ,ময়দা লবন, টেষ্টিং সল্ট ও পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নিতে হবে। এবার ননষ্টিক প্যানে বানিয়ে রাখা গোলা ছেড়ে দিয়ে পাতলা প্যান কেকের মত ভেজে নাও। ভাজা প্যানকেকে কিমার পুর ভরে রোল বানিয়ে লবন দিয়ে ফেটে রাখা ডিমে রোলগুলোকে মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে তুলে ফেলো। এবার পরিবেশন করতে পারো টমেটোসস দিয়ে মজাদার এগ রোল।

রেসিপি ও ছবি: আফরোজা নাজনীন সুমি 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কর্মক্ষেত্র

চাকরির প্রথম দিনে

করেছে Wazedur Rahman মে ১১, ২০২০

ব্যাটে-বলে মিললে চাকরি জুটে যায় ভাগ্যের গোলপোস্টে। কিন্তু এটা পাওয়ার পর টিকিয়ে রাখতে গেলে দরকার পড়ে বাড়তি ক্যারিশমা। তাই চাকরির প্রথম দিন থেকেই হতে হয় সচেতন। প্রথম দিন অফিসে গেলে সবকিছু গোলমাল মনে হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।

প্রথমত শারীরিক ও মানসিকভাবে থাকতে হবে ফুরফুরে। তাই আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। আর অবশ্যই সময়মতো অফিসে পৌঁছাবে। অফিসে প্রথম দিন হয়তো তেমন কোনো কাজ দেওয়া হবে না। তাই বলে গা এলিয়ে দেবে না।

চাকরির প্রথম দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন, একটা সময়। অনেকে ভাবতে পারো আজ সবে প্রথম দিন, আস্তে আস্তে সব ঠিক করে নেব। এটা ঠিক নয়।

প্রথম দিনেই তোমার কাজ বুঝে নেওয়ার সময় শান্ত হয়ে শুনতে হবে তোমার ঊর্ধ্বতন কী বলছেন, কিছু না বুঝলে কিংবা কিছু জানার থাকলে পরে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। তবে কথা বলার দরকার না হলে তেমন কথা বলা উচিত নয়। এতে করে প্রথম দিনেই তোমার প্রতি সহকর্মীদের একটা খারাপ দৃষ্টি চলে আসতে পারে।

চাকরির প্রথম দিন প্রত্যেক মানুষের জন্য গুরুত্বের বার্তা বয়ে আনে। আর সংকোচবোধ করা খুবই স্বাভাবিক। আবার বেশি বোঝাও ভালো না। তাই নিজের কাজ বুঝে নিয়ে কম কথা বলাই ভালো। আগে অফিসের হাওয়া বুঝে নিতে হবে। কারণ, চাকরির জায়গায় রাজনীতি কম হয় না।

কার সঙ্গে কার সম্পর্ক কেমন সেগুলো না জেনে, না বুঝে একটা কথা বলে দিলে দেখা যাবে প্রথম দিন থেকেই তুমি কারও চোখের বিষ হয়ে গেলে! সে জন্য একটু সংযত থাকতে হবে।

নিজের যোগ্যতা প্রথম দিনেই প্রমাণ করার দরকার নেই। সময় অফুরন্ত তোমার হাতে। তাই একটু ধীরে ধীরে এগোও না! দেখবে কৌশলী হলে সবার কাছেই গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে।

অফিসে প্রথম দিন যাওয়ার পর রাজ্যের কাজ আর মিটিং-সিটিং দেখে ঘাবড়ে যাবে না। প্রয়োজনে কিছু না বুঝতে পারলে তার নোট নিয়ে নিও। তারপর আস্তে আস্তে সমাধানের চেষ্টা করতে পারবে।

চোখ-কান খোলা রাখবে। নতুন সমকর্মীদের সঙ্গে খুশিমনে কথা বলো, শুভেচ্ছা বিনিময় করো। অন্যদের সম্পর্কে আগ্রহ দেখাও। প্রশ্ন করো। তবে যেন তা বিরক্তিকর হয়ে না ওঠে। এতে সহজে তাদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।

আত্মবিশ্বাসে যেন ঘাটতি না থাকে

এ বিষয়ে একজন কর্মজীবী কী বলেন জেনে নেওয়া যেতে পারে। চাকরির প্রথম দিনের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাংকে কর্মরত ছবি রানী পাল বলেন,

প্রথম দিন অফিসে গিয়ে ঘাবড়ে যাওয়া চলবে না। সবাই তাহলে বোকা, দুর্বল ভেবে নেবে। আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখতে হবে। বিচলিত বোধ করলে নিজেকে মনে মনে বলো, আজ তো আর কোনো চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে যাচ্ছো না। বরং যোগ্য বলেই অন্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে তোমাকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যেন ভুল না হয়

অনেক সময় দুশ্চিন্তা মনকে দুর্বল করে দেয়। হয়তো বস ডাকতে পারে, স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করো। যেগুলো জানা নেই, আগ বাড়িয়ে সেগুলো বলার দরকার নেই। এতে তোমার সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে।

এ ছাড়া যেসব কাজ দেওয়া হবে, সেগুলো নোট করে রাখতে পারো। এতে কাজগুলো ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না। প্রথম দিন সবার সঙ্গে মুখে হাসি রেখে কথা বলতে হবে। গম্ভীর মুখে থাকবে না।

পোশাক প্রসঙ্গে

অফিসে ড্রেস কোড থাকলে তা অবশ্যই তোমাকে মানতে হবে। অফিসে ড্রেস কোড আছে কি না, তা আগেভাগে জেনে নাও। সহকর্মীরা কেমন পোশাক পরছে বা পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করতে পারো।
পরিষ্কার ও ইস্ত্রি করে পোশাক পরিধান করবে।
গাঢ় রঙের প্যান্ট ও হালকা রঙের শার্ট ছেলেদের জন্য হতে পারে ভালো কম্বিনেশন। এ ছাড়া স্ট্রাইপ, চেক বা হালকা সলিড রঙের শার্টও বেছে নিতে পারো।
মেয়েরা পরতে পারো মানানসই রং ও নকশার শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ। অনেক মেয়ে অফিসে শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। সে ক্ষেত্রে সাবলীল পোশাক হতে পারে সালোয়ার-কামিজ, জিনস-ফতুয়া।
অফিসে এমন পোশাক চাই, যা তোমার সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে ধারণা দেবে তুমি প্রফেশনাল, বিচক্ষণ ও রুচিশীল। অফিসে যতটা সম্ভব মার্জিত, রুচিসম্মত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করাই ভালো।

লেখা: সুরাইয়া নাজনীন 
ছবি: সংগ্রহীত 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

কোরিয়ান্ডার রাইস

করেছে Wazedur Rahman মে ১০, ২০২০

উপকরণ

ভাত ১ কাপ, কাজুবাদাম ১ টেবিল চামচ, গাজর ১ চা-চামচ, গ্রিন ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ, মটরশুঁটি ১/২ কাপ, পেঁয়াজ ২ টেবিল চামচ, চেরি টমেটো ৬/৭টা, থাই গ্রিন পেস্ট ২ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ,
শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ (কম-বেশি করা যাবে), লেবুর রস ২ চা-চামচ, মাখন ৩ টেবিল চামচ,
লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি

ধনেপাতা ১ মুঠো, ধনেপাতা টালা ১ চা-চামচ, রসুনকুচি ১/২ কাপ, লেবু ২ টেবিল চামচ, থাই পাতা বা লেমন গ্রাস ২ স্টিক, লবণ অল্প, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৩/৪টা, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, এসব কিছু ব্লেন্ডারে খুব ভালোভাবে পিষে নাও।

প্রণালি

প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ টুকরা দাও। সঙ্গে দাও গ্রিন কারি পেস্ট। এবার একে একে সব সবজি ও রান্না করা ভাত, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ফ্রাইড রাইসের মতোই রান্না করো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে হয়ে যায় এই মজাদার রাইস। নামিয়ে চিকেন ফ্রাই কিংবা তোমার পছন্দমতো কারির সঙ্গে পরিবেশন করতে পারো।

লেখা ও ছবি: ফাহা হোসাইন 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

এগ ফ্রাইড রাইস

করেছে Wazedur Rahman মে ৭, ২০২০

উপকরণ

ডিম ৪টা, চিনিগুঁড়া চাল ২৫০ গ্রাম, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১/২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ১/৩ চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা-চামচ, ম্যাগি মসলা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কলি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সানফ্লাওয়ার তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি

প্রথমে চালের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি পানি দিয়ে বলক এলে তাতে চাল দিয়ে ৮০% সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে নাও। এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে ৪টি ডিম ফেটে সেই তেলে দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ঝুরি করে প্যান থেকে তুলে নাও।

এবার সেই তেলে পেঁয়াজকুচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ, সয়া সস, ম্যাগি মসলা, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ কলি এবং পুদিনাপাতা দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে তাতে সেদ্ধ চাল দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে টস করো ১০ মিনিটের মতো, যাতে ১০০% চাল সেদ্ধ হয়ে যায়। এবার পরিবেশনযোগ্য হয়ে গেল।

লেখা ও ছবি: ফাহা হোসাইন 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
পাঠকের রান্নাহেঁসেল

চকোলেট কাপ কেক উইথ ক্রাশড এলমন্ড

করেছে Wazedur Rahman মে ৬, ২০২০

উপকরণ

ময়দা ১/২ কাপ, ডিম ৪টা, বাটার ৪ টেবিল চামচ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, আইসিং সুগার ৬ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১/২ কাপ, এলমন্ড স্পাইস ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি

প্রথমে ময়দা, ডিম, বাটার, কোকো পাউডার, আইসিং সুগার এবং প্রয়োজনমতো তরল দুধ দিয়ে পাতলা ডো করে নাও। এবার কাপ কেইক মোল্ডে পছন্দের পেপার দিয়ে তাতে পাতলা খামির ঢেলে তার ওপর এলমন্ড ছড়িয়ে দাও। এবার ৩৫০ ডিগ্রিতে ১০ মিনিট বেক করে চায়ের সঙ্গে উপভোগ করো।

লেখা ও ছবি: ফাহা হোসাইন 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook