রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

আমরা গড়ি

আইনআমরা গড়িজীবনযাত্রাবাতিঘরবাংলাদেশ ও বিশ্ববিশেষ রচনাসাফল্য

স্বীকৃতি পেল মায়ের একক অভিভাবকত্ব

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৫, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

“কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী, পুরুষের তরবারি

প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয়লক্ষ্মী নারী”।

প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সভ্যতার উন্মেষ। নারীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, তাদের অবদান সব কিছু নিয়েই সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য রচনার। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? সমাজের মানদণ্ডে প্রাপ্য স্বীকৃতির ক্ষেত্রে নারীরা কী আসলেই মূল্যায়িত না এগুলো সবই ফাঁকা বুলি সেটাই মূখ্য বিষয়।

নারীর পরিচয় কি? বাবা, ভাই, স্বামী বা ছেলে ছাড়া কি আসলেই তার আর কোন পরিচয় নেই? ভূললে চলবেনা এই নারীর মাঝেই বাস করে এক স্নেহময়ী মায়ের জাত, একটি জাতির ভবিষ্যৎ সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালনের মাধ্যমে তাঁকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে মায়ের অবদান কোন অংশে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। শুধু তাই নয় দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক এমন অনেক পিতার অবর্তমানেও নিজের সমস্ত সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানের একক অভিভাবক হিসেবে যোগ্যতার সাথে মায়ের ভূমিকা পালনের অনেক নিদর্শনও রয়েছে। মায়ের অভিভাবকত্বের এই যাত্রা শুরু হয় মূলত সন্তানকে গর্ভ ধারণের পর থেকেই। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের পিতা-মাতার উভয়ের সম-মর্যাদা থাকলেও কিন্তু এতো কিছুর পরেও শিক্ষা ও চাকরি জীবনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাবার পরিচয়ই যেন মূখ্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা হয় উপেক্ষিত। কিন্তু আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকের নামের জায়গায় বাবার নাম ছাড়াও আইনগতভাবে শুধুমাত্র মায়ের নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার ( ২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ যুগান্তকারী রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার লিপি ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিত দাশগুপ্ত।

ঐতিহাসিক এই রায়ের পথ কিন্তু এতো সুগম ছিলোনা। এর পেছনের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের যেতে হবে পনের বছর পিছনে। ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৭ সালে এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে “বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের পড়ালেখা” শীর্ষক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে। প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরমে তথ্য পূরণের ক্ষেত্রে বাবার নাম পূরণ করতে পারেনি ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুনী। এর ফলশ্রুতিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সে তরুনীকে প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনরুপ স্বীকৃতি না দিয়ে দায়িত্বহীন বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুনী তার মায়ের একক ছত্রচ্ছায়ায় বড় হয়ে উঠে। পরবর্তিতে এই ঘটনার পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে মায়ের অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার দাবীতে, শুধু মায়ের নাম ব্যবহার করলে পরীক্ষার ফরম অপূর্ণ বিবেচিত হবে কেন; তা জানতে চেয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট রিট দায়ের করে। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত তখন রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা-মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয়, তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপরাগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদিন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ জুন মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আবেদন আকারে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে হাইকোর্ট রায় ঘোষনার জন্য এইদিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেন।

কালজয়ী এই রায়ের ফলে এখন থেকে বাবার নামের পাশাপাশি আরও দুটি অপশন যুক্ত হলো। এতে করে কেউ চাইলে বাবার পরিচয় ব্যবহার না করেও ফরম পূরনের সময় মা কিংবা আইনগতভাবে বৈধ অভিভাবকের নাম লিখতে পারবেন। এ যেন মায়ের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা লাভে এক বড় ধরনের সাফল্য সংযোজিত হলো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিআমরা গড়িপ্যারেন্টিংসচেতনতাসম্ভাবনা

সন্তানদের সৃজনশীলতা বিকাশের উপায়

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

যখন আমরা ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা সম্পর্কে কথা বলি, আমরা প্রায়শই মনে করি এটি এমন একটি প্রতিভা যার সাথে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। হয় তুমি স্বাভাবিকভাবেই একজন সৃজনশীল ব্যক্তি অথবা তুমি নও, এবং এটি অনেকাংশে সত্যও।  যদিও অভিভাবকারা অল্প বয়সেই তাদের সন্তানদের সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতাকে লালন করতে পারেন। তাদের সেভাবে বেড়ে উঠার জন্য শেখানো এবং উৎসাহিত করার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন। যদিও তুমি গ্যারান্টি দিতে পারো না যে, বাচ্চা পরবর্তী পিকাসো হবে, কিন্তু তাদের সৃজনশীল ভাবে চিন্তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম উপহার দিতে পারো। আর্ট প্রজেক্ট, বিল্ডিং ব্লক এবং কল্পনাপ্রসূত খেলার মতো ক্রিয়াকলাপগুলো বাচ্চাদের তাদের সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতা উন্নত করতে এবং তাদের কল্পনাকে আলোকিত করতে সাহায্য করতে পারে।

কেন সৃজনশীলতা গুরুত্বপূর্ণ?

এটি বাচ্চাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি মেজাজ এবং সুস্থতার উন্নতি করতে পারে। ব্রুকলিন কলেজের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আঁকাআঁকি শিশুদের শিশুদের শান্ত করতে সাহায্য করে। এবং তারা যখন একটি সৃজনশীল প্রকল্পে মনোনিবেশ করে, তখন তারা আরও বেশি সুখী বোধ করে।

 

সৃজনশীলতা বিকাশের উপায়

-সৃজনশীলতার বিকাশ মন থেকে শুরু হয়। এটি মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, সৃজনশীল চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ বিকাশ এবং নতুন ধারণা শিখতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে বাচ্চাদের মনে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা তৈরিতে সহায়তা করতে হবে। তাদের এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো যা তাদের মনে নতুন ভাবনার খোরাক সৃষ্টি করে। এছাড়াও, তাদের অনুসন্ধিৎসু মনে সেখানে কী আছে তা খুঁজে বের করতে, কল্পনা করতে সাহায্য করতে পারো। তাদের এমন জিনিস খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারো যা তাদের সৃজনশীলতার জন্য লঞ্চিং পয়েন্ট হিসেবে শুরু হবে।

-সৃজনশীলতা এমন কিছু নয় যার উদ্ভাবনের প্রয়োজন, এটি সবার মধ্যেই একটি মাত্রায় বিদ্যমান। আমাদের বাচ্চারা যখন স্রিজনশিলভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে শিখতে শুরু করে, তখন আমাদের উচিৎ তাদের এই প্রক্রিয়ায় উৎসাহিত করা এবং তাদের মনে করিয়ে দেয়া এটি জটিল নয়।

-বাচ্চাদের প্রশ্ন করা শিখাতে হবে। সাইকোলজি টুডে-র সাথে একটি নিবন্ধে গবেষক মেলিসা বার্কলে শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াতে তাদের জিজ্ঞাসা করতে শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

-বাচ্চারা নিরুৎসাহিত বোধ করতে পারে যখন তারা প্রথমবার কিছু চেষ্টা করে সফল না হয়। কিন্তু ভুল প্রায়ই আমাদের সাফল্যের চেয়ে বেশি শেখায় এবং সন্তানকে নতুন, সৃজনশীল সমাধান চেষ্টা করতে উৎসাহিত করতে পারে। তাই বাচ্চারা যখন নতুন কিছু শিখতে চায় বা করতে চায়, তাতে সফল হতে না পারলেও তাতে নিরুৎসাহিত না করে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে সাহায্য করতে পারো।

-ডেনিশ গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে প্রকৃতিতে বের হওয়া শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়- এটি সৃজনশীলতাকেও উন্নত করতে পারে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, বাইরে সময় কাটানো কৌতুহল বাড়াতে পারে, নমনীয় চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করতে পারে এবং রিচার্জ করতে সাহায্য করতে পারে। তুমি যখন বাচ্চাকে বসার ঘর থেকে গাছের ছায়ায় নিয়ে যাও তখন এটির পার্থক্যটি দেখ। সন্তানের মনকে সতেজ করতে এবং তাদের একটি ভাল মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করতে আশেপাশে হাঁটতে বেরিয়ে যাও।

-সৃজনশীলতা শেখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হল প্রতিক্রিয়া। বাচ্চারা তাদের কাজ সম্পর্কে তুমি কি ভাবছো তার ফিডব্যাক পেতে চায়। তাদের সমালোচকের প্রয়োজন নেই, তবে তারা জানতে চায় তোমার প্রিয় অংশ কি? তাই তোমার প্রিয় দিকটি চিহ্নিত করো এবং তা তাদের বর্ননা করো।

-একটি সত্যিই সহজ উপায় হল বাচ্চাদের নতুন জিনিস আবিষ্কার করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করা। যদি তারা কিছু লিখতে পছন্দ করে তবে তাদের একটি বই দাও যা লেখার বিভিন্ন শৈলী বর্ননা করে। অথবা তাদের একটি একটি ভিডিও ক্যামেরা দাও এবং তাদের স্পিলবার্গ-স্টাইলের কিছু শুট করতে দাও।

-একসাথে পড়ো। তুমি জানো কি পড়া তোমার সন্তানের কল্পনাশক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে পারে। প্রতিদিন একসাথে কিছু সময় একটি ছবি বা অধ্যায় পড়ার লক্ষ্য তৈরি করতে করো। যদি তোমার বইটিতে ছবি থাকে তবে একসাথে পড়ার আগে বাচ্চাকে ছবিটি কি সম্পর্কে তা অনুমান করতে বলো। এটি শিশুদের সমস্যা সমাধান অনুশীলনের পাশাপাশি পড়ার বোঝার অনুশীলন করতে সহায়তা করতে পারে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িগ্রুমিংজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

নতুন বছরের রেজ্যুলেশন করেছো কি?

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাসি-কান্না সবকিছুর মিশেলে আরেকটি বছর চলে গেলো। এসেছে নতুন বছর। আজ হলো ৩৬৫ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ফাঁকা পৃষ্ঠার শুরুর দিন। নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প পূরণে নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছো কি? নতুন বছরের তোমার সেট করা রেজ্যুলেশন পূরনের জন্য কিছু টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

নিউ ইয়ার রেজ্যুলেশন হল এমন একটি ঐতিহ্য যা পশ্চিমা বিশ্বে খুবই কমন। তবে এখন এই ধারণা বিশ্বব্যাপী সমান তালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্যালেন্ডার বছরের শুরুতে একজন ব্যক্তি তার মধ্যে ভাল অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার, একটি অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ পরিবর্তন করার, একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন বা অন্যথায় উন্নতি করার সংকল্প করে। নতুন বছরের রেজ্যুলেশনগুলো দীর্ঘকাল ধরে আমাদের জীবনে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে স্টক করার এমন এক উপায়, যা আমাদের পিছনের বছরটিকে থামাতে এবং প্রতিফলিত করার পাশাপাশি সামনের বছরের জন্য পরিকল্পনা করতে দেয়। এটি শরীর, মন এবং আত্মার উন্নতি ও নতুন বছরের জন্য তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলো সংগঠিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। কী থাকে এই রেজ্যুলেশনে? স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়াকে লক্ষ্য রেখে নতুন ডায়েট বা ওয়ার্কআউটের পরিকিল্পনা করা, তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টিভঙ্গি সেট করা, অথবা হতে পারে নতুন কোন বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করার চেষ্টা করা। লক্ষ্য যাই থাকুক না কেন নিজেকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করার জন্য রেজ্যুলেশনগুলো করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে,সমস্ত রেজ্যুলেশনের অর্ধেকেরও বেশি ব্যর্থ হয়ে যায় তা পূর্ণতা দেয়ার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে, জীবনকে উন্নত করার জন্য সঠিক রেজ্যুলেশনটি কীভাবে সনাক্ত করা যায় এবং কীভাবে এটিতে পৌঁছানো যায় যে সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হলঃ

-প্রথমেই যা তোমাকে ঠিক করতে হবে তা হলো তুমি কী চাও এবং তা কেন চাও? অর্থাৎ তোমার রেজ্যুলেশনটি হতে হবে একেবারে স্পেসিফিক। আমি ওজন কমাতে চাই, অস্পষ্টভাবে এটা বলার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তুমি একটি লক্ষ্য রাখতে চাওঃ কতটা ওজন কমাতে চাও এবং কতো সময়ের ব্যবধানে? এভাবে নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখা চাই।

-আমরা প্রায়ই এমন পরিকল্পনা সেট করি যেগুলোকে আমরা পরিচালনাযোগ্য মনে করি কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব এবং এটি অবাস্তব রেজ্যুলেশন যা তোমাকে বিভ্রান্ত করবে। খুব দ্রুত একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা তোমাকে হতাশ করে দিতে পারে অথবা তোমার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শুরুতেই একেবারে অনেক পরিবর্তন করার চেষ্টা না করাই ভালো। নিজেকে উৎসাহ দিতে এবং ছোট জয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করো।

-প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। এটি কি এমন একটি লক্ষ্য যা সত্যিই তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তুমি কি সঠিক কারণে এটি তৈরি করেছো? যদি তুমি সেই মুহূর্তে আত্ম-ঘৃণা বা অনুশোচনা বা তীব্র আবেগের অনুভূতি থেকে এটি করো তবে এটি সাধারণোত দীর্ঘস্থায়ী হয়না। কিন্তু তুমি যদি এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করো যেখানে তোমার জন্য কী ভালো তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছো, নিজের জীবনের কাঠামো পরিবর্তন করছো তবেই তা হবে পূরনের জন্য যথার্থ।

-রেজ্যুলেশন পুরণের লক্ষ্যে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করো। তোমার লক্ষ্য যদি থাকে চাকরি পরিবর্তন করার, তাহলে সেই রেজ্যুলেশনে পৌঁছানোর জন্য এই বছর ভিনভাবে কি করতে চাও? আরও নির্দিষ্টভাবে, এখন তোমার কোন অভ্যাস আছে যা তোমাকে সেই লক্ষ্যে থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে? হতে পারে তোমার প্রতি রাতে টিভি দেখতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোল করার সময় ২-৩ ঘন্টা নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে। তোমার বর্তমান রুটিন পুনরায় মূল্যায়ন করো এবং সময়কে কিভাবে ব্যয় করবে পেশাদার দক্ষতা শিখতে, কাজের তালিকা চেক করতে বা পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে তা ঠিক করে নাও।

-নিজেকে সর্বদা অনুপ্রাণিত রাখতে হবে। কাঙ্ক্ষিত রেজ্যুলেশনে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত থাকার জন্য, তোমাকে অনুপ্রাণিত করে এমন খাবার, কার্যকলাপ, বিষয়বস্তু, মিউজিকে নিজেকে নিমজ্জিত রাখো। তোমার অদি এবার লক্ষ্য থাকে নতুন কোন ভাষা রপ্ত করার, তবে প্রিয় মানুষদের নিয়ে সেই ভাষার ফিল্ম বা মিউজিক উপভোগ করতে পারো। যদি নতুন কোন দক্ষতা কোর্স করার সিদ্ধান্ত নাও তবে সেই ব্যাপারে ইউটিউবে ভিডিও দেখো, সফল ব্যক্তিদের কথা শুনো যা তোমাকে অনুপ্রাণিত ও উত্তেজিত রাখবে। মোট কথা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার সাথে সাথে নিজেকেও ইন্সপায়ার্ড করতে হবে।

-সর্বোপরি, নিজের প্রতি সদয় হও। যদি তুমি তোমার প্রত্যাশার কম হও তবে নিজেকে সহানুভূতি দেখাও। নিজের সাথে নিজে কথা বলো। তুমি যদি নিজের প্রত্যাশা পূরন না করার জন্য নিজেকে নিচু করে ফেলো বা খারাপ বোধ করো তবে হতাশা আর আত্মগ্লানি বাড়বে বৈ কমবে না। তাই নিজের প্রতি সদয় হও, নিজের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করো। মনে রাখবে রেজ্যুলেশনগুলো হল আমাদের সেরা হয়ে ওঠার সুচনা বিন্দু, এটি চূড়ান্ত গন্তব্য নয়।

তাই চলো আমরা এগিয়ে যাই এবং আমাদের লক্ষ্য নির্ধরণ করে, সেগুলোর দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে নতুন বছর শুরু করি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসম্ভাবনাসাফল্য

আলোয় ভুবন ভরা

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘুচিয়ে অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। গতকাল উদ্বোধন (২৮ ডিসেম্বর) হয়ে গেলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলের। সাথে সংযুক্ত হয়েছিলেন ছয় নারী চালক। এ স্বপ্নযাত্রায় চালকের আসনে আসীন হয়ে মরিয়ম আফিজা দেশের ইতিহাসের গর্বিত অংশ হিসেবে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়ে মরিয়ম আফিজার পরিচালনায় মেট্রোরেল উড়ে গিয়েছে আগারগাঁওয়ের দিকে। কে এই মরিয়ম আফিজা? লক্ষীপুরের মেয়ে আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে গতানুগতিক ধারায়  ক্যারিয়ারকে পরিচালিত না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানায় নিজেকে নিয়ে গেছেন। অনেকটা নিজ আগ্রহ বশতই এই পদে আবেদন করে গত বছরের ২ নভেম্বর পান ট্রেন অপারেটর হিসেবে নিয়োগ। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পর দেশের এই মেট্রোযুগে প্রবেশে নিজেকে শরীক করতে পেরেছেন।

শুধু মরিয়ম আফিজাই নন, এমন অনেকেই আছেন যারা সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ভেঙে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উবার চালক লিউজার কথা। আমাদের দেশে নারী উবার চালক?  তার উপর আবার রাতে-বিরেতে বের হওয়া? অত চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কিন্তু সমাজের সব বাধা-বিপত্তিকে পাশে ঠেলে তিনি সামনেই এগিয়ে গিয়েছেন। গল্পটি আবার হতে পারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তারের। কোন মেয়ে বডি বিল্ডিং করছে এমন দৃশ্য তো ভাবাই যায়না। কিন্তু সকল কটুবাক্যকে হটিয়ে আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বুকে দেশের পতাকা উড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি।

এবছরই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপে নারী ফুটবল দল দেখিয়ে দিয়েছে তাদের ক্ষমতা। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন বাংলার এই বাঘিনীদের দল। এই শিরোপা জেতা তাদের জন্য অতটা সুগম ছিলোনা। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই ফাইনাল খেলার সুযগ থাকলেও জয়ের স্বাদ নিতে ব্যর্থ হয় তারা। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এসে সেই আকাঙ্ক্ষিত জয় আনতে সক্ষম হয়।

নারীদের এমন শত শত সাফল্যগাঁথা গল্পও রয়েছে। যার পদে পদে থাকে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সব কিছু জয় করে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে। যে কোন সেক্টরেই হোক না কেন, সহযোগিতা, অনুকুল পরিবেশ এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকলে নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে। নারীর অধিকার মানে অন্যদের দাবিয়ে রেখে তাদেরকে উপরে তোলা নয়, বরং তাদেরকেও দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আমরা গড়িকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

সফল ব্যক্তিদের অনুকরণীয় অভ্যাস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

কিসে সফলতা আসে? সবার হয় আমি কেন জীবনের উত্থান-পতনে মুখ থুবড়ে পড়ি? সফলতার চাবিকাঠি কি? এমন এমন হাজারো প্রশ্ন আমাদের মাথায় সবসময় উঁকি মেরে থাকে। যখন একজন সাকসেসফুল ব্যক্তিকে দেখি তখন এইসব চিন্তা আমাদের মাঝে আরও বেশি হানা দেয়। কারণ আমরা যখন একজন সফল ব্যক্তিকে দেখি, তখন কেবল তার সর্বজনীন গৌরব দেখতে পাই কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর জন্য তাদের ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকারের চিত্র দেখতে পাইনা। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা, যারা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছেন কেউই সেখানে অতি সহজে বা দূর্ঘটনাক্রমে আসেননি। ভাগ্য ছাড়াও, সফল হতে হলে যেমন দরকার কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের তেমনি দরকার ভালো কিছুর অভ্যাস গড়ে তোলার। এই অভ্যাসগুলো কি এবং কিভাবে তা তোমার জীবনে কাজে লাগাতে হয় তা শেখা জরুরী। এমন কিছু অভ্যাসের ব্যাপারে আসো জেনে নিই।

অর্গানাইজেশন

যারা জীবনে সফল তাদের প্রায়শই উল্লেখ করা অভ্যাসগুলোর মধ্যে এটি হল একটি। অর্গানাইজেশনের মানে হল পরিকল্পনার পাশাপাশি অগ্রাধিকার ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা। এর মাধ্যমে সময় পরিকল্পনার সাথে পরিকল্পিত কার্যাবলীর সবকিছুই একটি ট্র্যাকের মধ্যে থাকে। এটি এক ধরনের টু-ডু লিস্ট করে রাখার মতো ব্যবস্থা। সংগঠিত আচরণের উদাহরণ হলোঃ

-কোন কাজ শুরু করার আগে নির্দেশাবলী বুঝা গেছে তা নিশ্চিতকরণ।

-দিন/কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স বা উপাদান প্রস্তুত আছে তার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা

-একটি পরিকল্পনা ও সে ব্যাপারে সংগঠিত চিন্তা আছে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা

সাফল্যের বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ করেছেন যে মস্তিষ্ক হল একটি লক্ষ্য নির্ধারণকারী অর্গানিজম। সফল ব্যক্তিরা জানেন যে, তারা যদি তাদের অবচেতন মনকে একটি লক্ষ্য দেন তবে তা অর্জনের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করবে। তারা উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করে যা বাস্তবসম্মত এবং পরিমাপযোগ্য উভয়ই, এবং তারা সেই লক্ষ্য পূরনের দিকে কাজ করার চেষ্টা করে।

 অধ্যবসায়

কঠিন চেষ্টা করা এবং হাল ছেড়ে না দেওয়া- খুবই কঠিন একটি কাজ। সফলতা পাওয়ার কোন শটকার্ট ওয়ে নেই। একমাত্র অধ্যবসায় পারে এই লক্ষ্যে পৌছুতে সাহায্য করতে। সাফল্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সময় মনে রাখতে হবে যে, যাই হোক না কেন অধ্যবসায় করে যেতে হবে। এর অনেকটাই নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং জীবন সম্পর্কে নিজ উপলব্ধির উপর নির্ভর করে। অধ্যবসায় এবং সাফল্য হলো একটি ম্যারাথনের মতো। সেই ম্যারাথনে তোমাকে দৌড়াতে হবে তবে সফলতা ধরা দিবে।

উপলব্ধি

কিছুই ভালো বা খারাপ নয়- জিনিসগুলো কেবল তুমি যেভাবে উপলব্ধি করো। রায়ান হলিডে তার  ‘দ্য অবস্ট্যাকল ইজ দ্য ওয়ে’ বইয়ে উপলব্ধির ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন ‘একটি হরিণের মস্তিষ্ক একে দৌড়াতে বলে কারণ জিনিসগুলো খারাপ। এটি সরাসরি একটা ট্র্যাকের মধ্যে চলে’। তোমার উপলব্ধি হলো কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করার এবং এটিকে খারাপ বা ভাল হিসেবে দেখছো কিনা এবং কীভাবে এটি পরিচালনা করবে তা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। তোমার মনোভাব এবং উপলব্ধি তোমাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তের দিকে নিয়ে যাবে।

অ্যাকশন গ্রহণ

সফল ব্যক্তিরা জানেন যে, নিজে যা জানে তার জন্য পৃথিবী মূল্য দেয়না; যা করে দেখানো হয় তাই মূল্য প্রদান করে। সংগঠিত করা, পরিকল্পনা করা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু কর্ম ছাড়া একটি পরিকল্পনা সম্ভাবনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইতিবাচক মনোভাব

অনেক সফল মানুষের মতে, একটি ইতিবাচক মনোভাব শুধুমাত্র সফল হওয়ার ফলাফল নয়- এটি সাফল্যের মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি। জোয়েল ব্রাউন অতি সফল ব্যক্তিদের জীবনে কৃতজ্ঞতা এবং ইতিবাচক মনোভাবকে অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন।

নেটওয়ার্কিং

সফল ব্যক্তিরা নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে অন্যদের সাথে আইডিয়া শেয়ারের মূল্য জানেন। একজন সফল ব্যক্তি অন্য সফল ব্যক্তিদের মাঝে নিজেকে ভিড়িয়ে রাখতে পছন্দ করে।

ভোরে উঠার অভ্যাস

আমরা ছোট বেলায় আর্লি রাইজিং এর রাইমস পড়েছি। যেখানে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার ব্যাপারে বলা হয়েছে। সফল ব্যক্তিদের মাঝেও এই অভ্যাস বিদ্যমান। তাদের মতে, সফল হওয়ার জন্য যে যত বেশি সময় দিতে পারে, সাফল্যের সম্ভাবনা তার তত বেশি। এই আর্লি রাইজারদের মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম রয়েছে। যেমন, ভার্জিন গ্রুপের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, ডিজনির সিইও রবার্ট ইগার এবং সাবেক ইয়াহু সিইও মারিসা মায়ার।

ভূল থেকে শিক্ষা নেয়া

পৃথিবীতে কেউই ভূলের উর্দ্ধে নয়। সাধারন মানুষের পাশাপাশি সফল ব্যক্তিদেরও ভূল করার চান্স থাকে। কিন্তু তারা এতে আশাহত না হয়ে বরং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নেয় এবং ভবিষ্যতে চলার পথে তার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে সজাগ থাকে।

নিজের উপর আত্মবিশ্বাস

সর্বোপরি বিলিভ ইউরসেলফ। তুমি যদি তোমার স্বপ্নের জীবন সফল করার পথে এগুতে চাও তাহলে তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, তুমি এটা ঘটাতে সক্ষম। নিজেকে বিশ্বাস করা মানে নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখা। যখন নিজের উপর বিশ্বাস করো, তা তখন আত্ম-সন্দেহ কাটিয়ে উঠতে এবং নতুন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আমরা গড়িএই সংখ্যায়খেলাধুলাসাফল্য

বাংলার বাঘিনী’দের জয়

করেছে Shaila Hasan সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২

শায়লা জাহান

হিমালয়কন্যা খ্যাত নেপালে ইতিহাস গড়েছেন বাংলার নারী ফুটবলাররা। সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল।

নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম, রণক্ষেত্র তৈরি।  বৃষ্টিস্নাত কর্দমাক্ত মাঠে একপাশে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল অন্যদিকে রয়েছে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বি স্বাগতিক নেপাল দল। বাংলাদেশের সময় বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হয়ে যায় সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের শিরোপা লড়াই। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও স্টেডিয়াম থেকে ধেয়ে আসা নেপালের সমর্থকদের হর্ষধনি কে উপেক্ষা করে ১৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার করেন প্রথম গোল। পরবর্তীতে ৪১ মিনিটে নেপালি দর্শকদের আবার স্তব্ধ করে দেন কৃষ্ণা। তাঁর দুর্দান্ত শটে গোলকিপার আনজিলার মাথার ওপর দিয়ে বল চলে যায় সোজা নেটের জালে। ফলাফল ২-০। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যান সাবিনা খাতুনরা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন আনতে মরিয়া হয়ে উঠে নেপাল দল। যার ধারাবাহিকতায় ৭০ মিনিটের মাথায় আনিতা বাসনেতের এক শটে বল উড়ে যায় বাংলাদেশের জালে। ম্যাচ পরিনত হয় ২-১ এ। এরপর চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। তবে খুব বেশি আর অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৭ মিনিটেই কৃষ্ণা রানী সরকারের সেই কাঙ্ক্ষিত গোল দিয়ে জয়ের ট্রফি ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

                                                                   

 

 

 

সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা অতটা সহজ ছিলোনা বাংলাদেশ দলের জন্য। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ বারের মধ্যে ৫বার শিরোপা জিতেছে ভারত। ২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত সাফের আয়োজনে ৬-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শিরোপা জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সাল। ফাইনালে উঠার পথে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারায় মালদ্বীপ ও পাকিস্তানকে। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ভুটানের সাথে। ৮-০ এক বিশাল ব্যবধানে ভুটানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারানো নেপালের বিপক্ষে জয়ী হওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো বটে, কিন্তু বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ দল দক্ষতা ও গোল কিপার রুপনা চাকমা’র সুনিপুণ রিসিভিং, টাইমিং  তাদের জয় আনতে সক্ষম হয়েছে। টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও।

                                                               

২০০৩ সালে ছেলেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর এটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্জন। আজ বুধবার (সেপ্টেম্বর, ২১)  দেশের আপামর ক্রীড়াপ্রেমীরা এই বীর ফুটবলারদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নিয়েছেন।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook