রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

বিশেষ রচনা

আইনআমরা গড়িজীবনযাত্রাবাতিঘরবাংলাদেশ ও বিশ্ববিশেষ রচনাসাফল্য

স্বীকৃতি পেল মায়ের একক অভিভাবকত্ব

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৫, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

“কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী, পুরুষের তরবারি

প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয়লক্ষ্মী নারী”।

প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সভ্যতার উন্মেষ। নারীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, তাদের অবদান সব কিছু নিয়েই সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য রচনার। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? সমাজের মানদণ্ডে প্রাপ্য স্বীকৃতির ক্ষেত্রে নারীরা কী আসলেই মূল্যায়িত না এগুলো সবই ফাঁকা বুলি সেটাই মূখ্য বিষয়।

নারীর পরিচয় কি? বাবা, ভাই, স্বামী বা ছেলে ছাড়া কি আসলেই তার আর কোন পরিচয় নেই? ভূললে চলবেনা এই নারীর মাঝেই বাস করে এক স্নেহময়ী মায়ের জাত, একটি জাতির ভবিষ্যৎ সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালনের মাধ্যমে তাঁকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে মায়ের অবদান কোন অংশে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। শুধু তাই নয় দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক এমন অনেক পিতার অবর্তমানেও নিজের সমস্ত সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানের একক অভিভাবক হিসেবে যোগ্যতার সাথে মায়ের ভূমিকা পালনের অনেক নিদর্শনও রয়েছে। মায়ের অভিভাবকত্বের এই যাত্রা শুরু হয় মূলত সন্তানকে গর্ভ ধারণের পর থেকেই। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের পিতা-মাতার উভয়ের সম-মর্যাদা থাকলেও কিন্তু এতো কিছুর পরেও শিক্ষা ও চাকরি জীবনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাবার পরিচয়ই যেন মূখ্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা হয় উপেক্ষিত। কিন্তু আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকের নামের জায়গায় বাবার নাম ছাড়াও আইনগতভাবে শুধুমাত্র মায়ের নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার ( ২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ যুগান্তকারী রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার লিপি ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিত দাশগুপ্ত।

ঐতিহাসিক এই রায়ের পথ কিন্তু এতো সুগম ছিলোনা। এর পেছনের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের যেতে হবে পনের বছর পিছনে। ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৭ সালে এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে “বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের পড়ালেখা” শীর্ষক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে। প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরমে তথ্য পূরণের ক্ষেত্রে বাবার নাম পূরণ করতে পারেনি ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুনী। এর ফলশ্রুতিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সে তরুনীকে প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনরুপ স্বীকৃতি না দিয়ে দায়িত্বহীন বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুনী তার মায়ের একক ছত্রচ্ছায়ায় বড় হয়ে উঠে। পরবর্তিতে এই ঘটনার পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে মায়ের অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার দাবীতে, শুধু মায়ের নাম ব্যবহার করলে পরীক্ষার ফরম অপূর্ণ বিবেচিত হবে কেন; তা জানতে চেয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট রিট দায়ের করে। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত তখন রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা-মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয়, তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপরাগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদিন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ জুন মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আবেদন আকারে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে হাইকোর্ট রায় ঘোষনার জন্য এইদিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেন।

কালজয়ী এই রায়ের ফলে এখন থেকে বাবার নামের পাশাপাশি আরও দুটি অপশন যুক্ত হলো। এতে করে কেউ চাইলে বাবার পরিচয় ব্যবহার না করেও ফরম পূরনের সময় মা কিংবা আইনগতভাবে বৈধ অভিভাবকের নাম লিখতে পারবেন। এ যেন মায়ের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা লাভে এক বড় ধরনের সাফল্য সংযোজিত হলো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঢালিউডবিনোদনবিশেষ রচনাশিল্প-সংস্কৃতিসিনেমা

শুভ জন্মদিন নায়ক রাজ

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৩, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

সাদা পর্দা থেকে শুরু করে রঙিন পর্দা, সব ধাপেই সমভাবে তিনি দেখিয়েছিলেন তার অসাধারণ অভিনয়ের নৈপুন্যতা। সাধারণ এক মানুষ থেকে হয়ে উঠেছিলেন নায়ক রাজ। বলা হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়ক রাজ্জাকের কথা। আজ (২৩ জানুয়ারি) এই মহান নায়কের জন্মদিন। অন্তর্ধানের এতো বছর পরেও তিনি আজো বেঁচে আছেন তাঁর সকল ভক্তের স্মৃতির মণিকোঠায়।

ষাট দশক থেকে শুরু করে প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রাজত্ব করা দাপুটে অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক, যিনি নায়ক রাজ্জাক হিসেবে পরিচিত; ১৯৪২ সালের আজকের দিনে কলকাতার নাকতলায় জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর অভিনয়ের হাতেখড়ি হয় সপ্তম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে। সরস্বতী পূজা চলাকালীন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য তাঁকে মনোনীত করেন। পরবর্তীতে কলেজ জীবনে ‘রতন লাল বাঙ্গালি’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর সিনে-জগতে প্রবেশ ঘটে। ১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। আভিনয়ের ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ঘরোয়া নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হোন। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ’১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরি স্টেশন’ সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। নায়ক রাজ্জাকের অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ঘুরে যায় ১৯৬৬ সালে পৌরাণিক কাহিনীধর্মী ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে লখিন্দর চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটি মাইলফলক হয়ে আছে। মূলত সেই থেকেই তাঁর ক্রমান্বয়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছানোর যাত্রা শুরু হয়ে যায়।

 

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার জীবন

বিভিন্ন ঘরানার ছবিতে বহুমুখী চরিত্রে সাবলীলভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন এই শক্তিমান অভিনেতা। পৌরাণিক চরিত্র বেহুলার স্বামী লখিন্দর হিসেবে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তেমনি এর পরবর্তীতে লোককাহিনীধর্মী ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’ ছবিতে শাহজাদার চরিত্রেও অভিনয় করে হয়েছিলেন প্রশংসিত। রোমান্টিকধর্মী ছবিতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। নারায়ণ ঘোষ মিতার রোমান্টিক ঘরানার ‘নীল আকাশের নিচে’ ছবিতে মামুন চরিত্রে অভিনয় করেন। রাজনৈতিক-ব্যঙ্গধর্মী ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবিতে তাঁকে দেখা যায় পরাধীন দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে। এছাড়াও তাঁর অভিনীত অন্যান্য ছবি ছিলো ‘সংসার’, ‘মনের মত বউ’, ‘আবির্ভাব’, ‘পীচ ঢালা পথ’, ‘ওরা এগার জন’, ‘ছুটির ঘন্টা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সহ মোট ৩০০ টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

জুটি প্রথা

নায়ক রাজ রাজ্জাক অনেক স্বনামধন্য অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয়ের মাধ্যমে দারুন জুটি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। সুদর্শন রাজ্জাক এবং লাস্যময়ী কবরী জুটি আজো জনমনে দাগ কেটে আছে। ‘তুমি যে আমার কবিতা’,  কিংবা ‘সে যে কেন এলোনা,কিছু ভালো লাগেনা’ এই জুটির গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ‘পীচ ঢালা পথ’ ছবির মাধ্যমে জুটি হয়ে আসেন ববিতার সাথে। সফলতার ধারাবাহিকতায় ববিতার বিপরীতে পরবর্তীতে তাঁকে দেখা যায় ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘মানুষের মন’, ‘প্রিয়তমা’-র মতো জনপ্রিয় ছবিগুলোতে। আরেক গুণী অভিনেত্রী শাবানার বিপরীতে তিনি সর্বাধিক ৪০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

সাফল্য ও পুরস্কারপ্রাপ্তি

১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে পেয়েছিলেন আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রদান করেন। এছাড়াও বাচসাস পুরষ্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার সহ অসংখ্য পুরষ্কার তাঁর ঝুলিতে রয়েছে।

ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার জীবনে সফল, সকলের পছন্দের এই মানুষটি ২০১৭ সালের ২১শে আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেছেন চিরতরে। বাংলার চলচ্চিত্র গগণে যতদিন সূর্য উদিত হবে, চিত্রনায়ক রাজ্জাকের নাম জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়দিবস সবিশেষবাংলাদেশ ও বিশ্ববিশেষ রচনাশিল্প-সংস্কৃতি

আনন্দের ফেরিওয়ালা সান্তা ক্লজ

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বছর ঘুরে ডিসেম্বর মাসে চারদিকে বড়দিনের এক সাজ সাজ রব পড়ে যায়। বড়দিন বা ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। তবে এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা না গেলেও, মূলত এই দিনে বিশ্বব্যাপী বেশ আড়ম্বরভাবে ক্রিসমাস ডে পালিত হয়। সবকিছু ছাপিয়ে ক্রিসমাস মরসুমে, শিশুদের কাছে সান্তা ক্লজের চেয়ে বেশি আইকনিক আর কোন চিত্র নেই। কিন্তু কে এই সান্তা? ঠিক কোথা থেকে তার সূচনা হয়েছিল এবং কীভাবে তিনি বছরের পর বছর ধরে একটি আইকনিক ক্রিসমাস ব্যক্তিত্ব হিসেবে টিকে আছেন? আসো জেনে নিই।

সান্তা ক্লজ পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটি কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি সেইন্ট নিকোলাস, ফাদার খ্রিষ্টমাস বা সাধারণভাবে সান্তা নামে পরিচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি খ্রিষ্টমাস ইভ বা ২৪ ডিসেম্বর তারিখের সন্ধ্যায় এবং মধ্যরাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে উপহার দিয়ে যান। বলা হয়, সান্তা ক্লজ হলো বড়দিনের জাদুগর, যিনি সুখ এবং আনন্দ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে যান। প্রতি বছরের এই দিনে শিশু কিশোররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে কখন উপহারের ঝোলা নিয়ে সান্তা ক্লজ হাজির হবে। রহস্যময়ী এই সান্তা ক্লজ নিয়ে আরো কিছু তথ্য জেনে নিই।

-আমরা সান্তাকে সেই চরিত্র হিসেবেই সবচেয়ে ভালো জানি যিনি ক্রিসমাস ইভে উপহার প্রদান করেন। কিন্তু তার উৎস কল্পকাহিনী থেকেও অনেক দূরে। সান্তার গল্পটি ২৮০ খ্রিষ্টাব্দের সময়কালের। সেন্ট নিকোলাস একজন সন্ন্যাসী ছিলেন যিনি দরিদ্র ও অসুস্থদের সাহায্য করার জন্য গ্রামাঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন। একটি গল্পে দাবী করা হয়েছে যে তিনি তিনজন দরিদ্র বোনের জন্য যৌতুক প্রদানের জন্য তার সম্পদ ব্যবহার করেছিলেন, তাদের বাবার দ্বারা বিক্রি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি শিশু এবং নাবিকদের একজন রক্ষক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন এবং রেনেসাঁর মাধ্যমে তিনি ইউরোপের সবচেয়ে সাধুদের মধ্যে ছিলেন।

-সান্তা ক্লজ নাম নেদারল্যান্ডস থেকে এসেছে। যখন নেদারল্যান্ডের লোকেরা নিউ ওয়ার্ল্ড উপনিবেশে স্থানান্তরিত হয়েছিল, তারা তাদের সাথে নিয়ে এসেছিল সিস্টারক্লাসের কিংবদন্তি। ১৭০০ এর দশকের শেষের দিকে, উদার সিস্টারক্লাসের গল্প আমেরিকান পপ সংস্কৃতিতে পৌঁছেছিল যখন ডাচ পরিবারগুলো সাধুর মৃত্যুকে সম্মান জানাতে একত্রিত হয়েছিলো এবং সময়ের সাথে, নামটি সান্তা ক্লজে পরিণত হয়েছিল।

-ক্রিসমাস মানেই উৎসবের দিন, সান্তা ক্লজ থেকে উপহার পাওয়ার দিন। কিন্তু তুমি জানো কি আমেরিকার প্রথম দিকে, ক্রিসমাস এমন উৎসবের ছুটি ছিলোনা যা আমরা আজকে জানি এবং ভালোবাসি। এটি নিউ ইংল্যান্ডে পরিহার করা হয়েছিল। তখন ছিলোনা এমন কোন উৎসবমুখর পরিবেশ, না ছিলো উপহারের ডালি নিয়ে আসা কোন প্রফুল্ল ব্যক্তিত্বের আগমণ। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে কবিতা এবং গল্পের একটি স্ট্রিং সেন্ট নিককে একটি মেকওভার দিয়ে এবং পারিবারিক ও একত্রিকতার থিমগুলোতে ফোকাস করার মাধ্যমে এর নতুন সংজ্ঞা দেয়।

-সান্তা ক্লজ বললেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে গোলাকার ভুঁড়ি ওয়ালা লাল স্যুট পরা এক অবয়বের। কিন্তু প্রথম দিকে কিন্তু তাকে এভাবে চিত্রিত করা হয়নি। ১৮০৯ সালে লেখক ওয়াশিংটন আরভিং তার বই “নিকারবকার’স হিস্ট্রি অব নিউ ইয়র্ক”-এ সান্তার চিত্রকে আকার দিতে সাহায্য করেছিলেন। উপন্যাসে, তিনি সেন্ট নিকোলাসকে ওয়াগনের ছাদে উড়ে যাওয়া একজন পাইপ-ধূমপানকারী স্লিম ফিগার হিসেবে বর্ননা করেছেন। অন্যদিকে, সান্তা ক্লজকে প্রথমে বিভিন্ন রঙের স্যুটে চিত্রিত করা হয়েছে। কখনও কখনও সে স্লেজের পরিবর্তে ঝাড়ুতে চড়েছে।

-সান্তা এবং তার এলভস চমৎকার তালিকায় বাচ্চাদের উপহার প্রস্তুত করতে এবং বিতরণ করতে কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু কথিত আছে যে, যারা এই তালিকায় থাকেনা, খারাপ আচরণ করা শিশুদের উপহার নেয়ার স্টকিংসে কয়লার টুকরো রেখে আসে।

-বলা হয় যে সান্তার যে বাহন রয়েছে, সেই স্লেজ হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগামী যান। বড়দিনের প্রাক্কালে, সুন্দর তালিকায় থাকা সমস্ত বাচ্চাদের উপহার দেয়ার জন্য সান্তাকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে হবে। বিশ্বে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন শিশু রয়েছে। তাই সান্তার স্লেজকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮০০ মাইল গতিতে চলতে হবে।

-সান্তার রয়েছে নয়টি হরিন, যারা তার স্লেজ উড়াতে সাহায্য করে যাতে সে উপহার দিতে পারে। সান্তার হরিণকে বলা হয় ড্যাশার, নর্তকী, প্রাণসার, ভিক্সেন, ধূমকেতু, কিউপিড,ডোনার, ব্লিটজেন এবং রুডলফ।

-সান্তা উত্তর মেরুতে থাকে নাকি ফিনল্যান্ডে থাকে তা মানুষ ঠিক করতে পারেনা। তবে উত্তর মেরুকে সান্তার বাড়ি হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিলো। কেন? উত্তরটি সহজ। তার স্লেজ চালানোর জন্য যে রেইনডিয়ার আছে তাদের বাঁচিয়ে রাখা। রেইনডিয়ারগুলোর শীতল জলবায়ুতে বসবাস করার প্রবণতা রয়েছে; তারা মাইনাস ৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো কম হিমায়িত তাপমাত্রায় বেঁচে থাকার জন্য বিবর্তিত হয়েছে। এটি কেবল বোঝায় যে, সান্তা এমন একটি স্থানে বাস করবে যেখানে ঠাণ্ডা আবহাওয়া তার সাহায্যকারীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।

-অনেক সময় সান্তাকে হো হো হো শব্দ করতে শোনা যায়। এই হো হো হো হল সান্তার আনন্দ এবং উল্লাস প্রকাশের উপায়। যদি সে হা হা হা বলে, লোকেরা মনে করতে পারে সে তাদের দেখে হাসছিল।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিশেষ রচনাসচেতনতাসমস্যাসুস্থ মন

যদি ডাক শুনে কেউ না আসে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

জীবন মাঝে মাঝে অনেক চাপের হতে পারে। যখন তা আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যায় মনে হয় এই বুঝি ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। কিন্তু পরাজিত বোধ করে আশা ছেড়ে দিওনা। রাত যত দীর্ঘ হোক, ভোর হবেই।

কল্পনা করো তুমি এমন এক জায়গায় বাস করছো যেটি দীর্ঘ খরার সাথে লড়াই করছে। যেদিকেই তাকাও চারপাশ নির্জীব, ধুলোমাখা আর প্রাণহীন। যেন সেখানে কখনো বৃষ্টির ছোঁয়াও পড়েনি। দেখে মনে হতে পারে ফসল বা গাছ কখনো জন্মাবেনা। কিন্তু তুমি যদি দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকো তবে জানো যে দীর্ঘতম খরাও এক সময় বৃষ্টিপাতের দ্বারা ভেঙে যেতে পারে। জীবনেও আমরা সেই শুকনো, খরার মতো অনুভব করতে পারি। হয়তো তুমি এমন এক সম্পর্কের মাঝে আছো যা কঠিন হয়ে উঠেছে, কারো উপর হয়তো আশা রেখেছিলে এবং হতাশ হয়েছিলে। এক পর্যায়ে আবিষ্কার করলে এই মিথ্যে আশা তোমার জীবনকে শুষ্ক এবং কঠিন করে তুলেছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় বারংবার প্রাণান্তকর চেষ্টার পরেও আমরা আমাদের আরাধ্য জিনিস লাভ করতে পারিনি। এই অনুভূতি তখন আমাদের আশাহত করে দেয়। তখন হয়তো মনে হতে পারে সামনে আর কোন পথ নেই এবং সেই আশাহীনতার শুকনো জায়গায় নিজেকে একাকী পথিক মনে হবে। জীবনের এই কঠিন ক্রান্তিলগ্নে হতাশা ঝেড়ে ফেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে আসো কিছু টিপস দেখে নিইঃ

জীবন ক্রমাগত পরিবর্তনশীল

হতাশার অনুভূতি মানে জীবন আরও ভাল হবে তা কল্পনা করতে না পারে। এই নিষ্পেশন অনুভূতি সবকিছুতে অন্ধকার নিক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সত্য যে, জীবন সবসময় পরিবর্তনশীল, পরিবর্তন আসলে অনিবার্য। আমরা যদি বিশ্বাস রাখি এবং ইতিবাচক ও গঠনমূলক কর্মের সাথে পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানাই, তাহলে হতাশার এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। কখনো কখনো আমাদের যা করতে হবে তা হল কেবল সময়কে অতিবাহিত করতে দেয়া এবং সমস্যাটিকে বাড়িয়ে তোলার প্রলোভনকে প্রতিরোধ করা। জীবনে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে।

অতীতে পার করা কঠিন সময়গুলো স্মরন করা

একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দিয়ে চলার সময় ভয়, আত্ম-সন্দেহ এবং হতাশাবাদী  চিন্তা দ্বারা আঁকড়ে থাকা স্বাভাবিক। যা আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে একটি সহজ কিন্তু অনেক কার্যকরী কাজ হলো জীবনের এমন ঘটনাগুলোকে তালিকাবদ্ধ করা যা আমরা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে পার করেছি। পাশাপাশি এগুলো উতরে যখন সফল হওয়ার চিত্রগুলো লিপিবদ্ধ করবে তখন দেখবে নিজের এবং অজানা ভবিষ্যতের প্রতি নতুন বিশ্বাস খুঁজে পাবে, যা তোমাকে ভয়ের পরিবর্তে এক ভাললাগা নিয়ে আসতে পারে।

মনের কথা লিখো

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তুমি কেমন অনুভব করছো তা সম্পর্কে ডায়েরি লিখো, যা তোমার আবেগ এবং চিন্তাভাবনাগুলোকে গভীরভাবে খনন করতে সহায়তা করে। চিন্তা, আবেগ মাথায় ঘুরতে না দিয়ে তা শব্দের মধ্যে তুলে ধরো এবং এটি খুবই থেরাপিউটিক।

সবকিছুই খারাপভাবে না দেখা

চলমান ইস্যুতে জুম আউট করো এবং ফোকাস করো। সবকিছুই খারাপভাবে দেখা যা, আমাদের মনোযোগকে কেড়ে নেয় এবং এর ভেতরে কোন ইতিবাচক চিত্র যে থাকতে পারে তা দেখতে আমরা ব্যর্থ হই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সমস্যাগুলো আমাদের জীবনে যা কিছু চলছে তার একটি উপসেট মাত্র এবং দুশ্চিন্তা, ভয় এবং উদ্বেগকে মনকে ছাপিয়ে যেতে দিবে না। এমনকি তা যদি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র যেমন স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, কাজ, অর্থ এবং আবেগ বিপর্যস্থ হয়ে যায়, তবুও আমরা বেঁচে আছি এর অর্থ হলো পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে।

উদ্দেশ্যমূলক কিছু খুঁজে নাও

আমাদের জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্যের অভাব রয়েছে বলে আমরা সহজেই হতাশা বোধ করি। এমতাবস্থায় যখন উদ্দেশ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলা হয় তখন তা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে। কথায় আছে, ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।’ তাই জীবনকে উদ্দেশ্যপূর্ন বোধ করার জন্য আমাদের সকলকে জীবনে কিছু বিশাল মিশন খুঁজে বের করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি

আমরা বর্তমানে এমন এক সময় পার করছি যেখানে আমাদের সবকিছু প্রযুক্তির কাছে আটকে আছে। আমাদের ভালো লাগা, খারাপ লাগা, বিষন্নবোধ সবকিছুতেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে সমাধান খুঁজতে যাই। কিন্তু সত্য হলো যে, যখন জীবনে ভালো অনুভব করবেনা তখন এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আরও খারাপ বোধ করতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এর কোন প্লাস পয়েন্ট নেই কিন্তু যখন জীবন থমকে যায় তখন সামাজিকতার অনেক খারাপ দিক নির্দেশ করেছে মিডিয়া যা মানসিক স্বাস্থ্যকে সাহায্য করেনা। এর মাধ্যমেঃ

-বিষন্নতার মাত্রা বেড়ে যায়

-অন্য মানুষের সাথে নিজের জীবনকে অন্যায়ভাবে তুলনা করতে উৎসাহিত করে

-ঈর্ষা বোধের সৃষ্টি করে

-আরও একাকী বোধ করে

সক্রিয় হও

শারীরিক কার্যকলাপ হতাশার অনুভূতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরেকটি দূর্দান্ত হাতিয়ার। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম হতাশার জন্য উপকারী হতে পারে এবং ফলস্বরুপ একটি ভালো মেজাজ তৈরি করতে পারে। এটি সকল নেতিবাচকতা ঝেড়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রদান করতে পারে। এই সক্রিয় হওয়া অনেক ধরনের হতে পারে। তা হতে পারে ব্যায়াম করা কিংবা খেলাধুলা করা, হতে পারে বাগান করাও।

কথা বলো

নিজের অনুভূতি সম্পর্কে কারো সাথে কথা বলা অবিশ্বাস্যভাবে সহায়ক হতে পারে। এটি কোন বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলা হোক না কেন, নিজ অনুভূতিগুলো সম্পর্কে কথা বলা তাদের বুক থেকে সরিয়ে নেয়ার একটি দূর্দান্ত উপায় হতে পারে। এই চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে, তারা তোমাকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কীভাবে এগিয়ে যাবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিতে সক্ষম হতে পারে।

এই তত্ত্বটি বিপরীতমুখী বলে মনে হতে পারে, তবে এটি সত্য যে জীবনের বেদনাদায়ক সময়গুলো ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য একটি প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে। বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং অসন্তোষ আমাদের শিক্ষা দেয় এবং আমাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেয়।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনপ্যারেন্টিংবিশেষ রচনা

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনঃ মাতৃত্ব যখন বিষাদময়

করেছে Shaila Hasan সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহান

প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা!! সে আবার কি জিনিস?? যত্তসব আদিখ্যেতা। আসলেই কি তাই?? লোকচক্ষুর অন্তরালে ঢেকে যাওয়া সদ্য মা হওয়া নারীর মানসিক সুস্থতা নিয়েই আজকের আয়োজন।

একটি নতুন প্রানের সঞ্চার, যাতে মিশে থাকে আবেগ, উত্তেজনা, আনন্দ। সাথে কিছুটা ভয় এবং উদ্বেগও। তবে এর সাথে বয়ে আসে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা কেউ কখনো আশা করতেও পারেনা; আর তা হল বিষন্নতা বা হতাশা। অধিকাংশ নতুন মায়েরাই বাচ্চা প্রসবের পর এই অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়, যাকে বলা হয় “পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন’’ বা “প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা’’। শুনতে অবাক লাগলেও এই পরিস্থিতি পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি নব্য মায়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। শারীরিক, মানসিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের জটিল সমন্বয় ঘটে এই পোস্টপার্টম ডিপ্রেশনে। বাচ্চা হওয়ার পর সাধারণত ৩-৫ দিনের পর এর লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০-১৪ দিনের মধ্যে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এর লক্ষনগুলো সময়ের সাথে  যখন বাড়তে থাকে তখনই তা রুপ নেয় বিপদজনক অবস্থার।

পোস্টপার্টম ডিপ্রেশনের কারনঃ

১) সন্তানের জন্মের পর শরীরে বেশ কিছু হরমোনাল পরিবর্তন দেখা যায়, যা পোস্টপার্টম ডিপ্রেশন ঘটাতে পারে।

২) পরিবারের কারো এমন অতীতে বিষন্নতার ইতিহাস থাকলে

৩) অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপরিকল্পিত গর্ভধারন হলে

৪) দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে

৫) পারিবারিক চাপ থাকলে

                                                               

সাধারন লক্ষনঃ

১) মুড সুইং হওয়া

২) ঘুম না হওয়া

৩) কাজে অনীহা

৩) ক্ষুধামন্দা

৪) মনোযোগ ব্যাহত হওয়া।

এগুলোকে সাধারন লক্ষন বলার কারন হলো কম-বেশি সবার ক্ষেত্রেই এসব পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এই ডিপ্রেশন যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় অনেকসময় তাতে সুইসাইডের মত ঘটনাও ঘটে যায়।

প্রতিকারঃ

১) এইক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে পরিবার। বাচ্চা হওয়ার মানে শুধু  একটি নতুন প্রানের জন্ম নয় সাথে একটি নতুন মায়েরও জন্ম হওয়া। তাই নতুন বাচ্চার পাশাপাশি মায়েরও দরকার পর্যাপ্ত দেখাশোনার।

২) পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম

৩) নিজেকে চাপমুক্ত রাখা

৪) পজেটিভ থাকা

৫) প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে কাউন্সেলিং করা

                                                                         

সকলেরই শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতারও দরকার। আর এই প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা ব্যাপারটির জন্য দরকার বেশি বেশি সচেতনতা। কারন একটি সুস্থ মা মানেই একটি সুস্থ সন্তান।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঢালিউডবিনোদনবিশেষ রচনাসিনেমা

বাংলা সিনেমার হাওয়াবদল

করেছে Shaila Hasan সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
শায়লা জাহান
জৌলুসপুর্ন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঘটেছে অনেক উত্থান-পতন। একসময় সোনালি যুগ পাড়ি দেওয়া বিনোদন পাড়াতেও পড়েছিল দূর্দিনের ছায়া। কালক্রমে বাংলা সিনেমার জোয়ারে কি কিছুটা হাওয়া বদল হয়েছে? এইসব কিছু নিয়েই এই আয়োজন–
১৯৫০ এর দশকে সবাক চলচ্চিত্র নির্মানের মাধ্যমেই মূলত এই দেশে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এক হিসেবে দেখা গেছে ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০টির মত আর ২০০৪ সালেই ঢাকাতে বছরে গড়ে প্রায় ১০০টির মত ছবি মুক্তি পায়। এ হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে নিছক ছোট ভাবাটাই ভূল হবে। এদেশের চলচ্চিত্রের ঝুলিতে যেমন “তিতাস একটি নদীর নাম”, “সুজন সখী”, “গোলাপী এখন ট্রেনে”, “সারেং বৌ”, “দুখাই” এর মত জননন্দিত সিনেমা আছে তেমনি “মাটির ময়না”, “শ্যামল ছায়া’’, “নিরন্তর”, “ডুব”, “গেরিলা’র মতও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত ছবি।
কিন্তু সেসব এখন সুদূর অতীত। মাঝে মাঝে ২-১টি সিনেমা ভালো নির্মাণ হচ্ছে না তা না, কিন্তু নিম্নমানের নির্মান শৈলী, যুগোপযোগী গল্প ও চিত্রনাট্যের অভাব, তারকাশুন্যতা, ফিল্ম পলিটিক্স সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে এই খরার সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে কমে যায় সিনেমা হলের সংখ্যা। এর মাঝে পুরো বিশ্বে থাবা হানে করোনা ভাইরাস। যার তান্ডবে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন অনেকটাই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। কিছু কিছু সময়ে চলচ্চিত্র নির্মান ও প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট কাজ হলেও পুরোটা সময়ে মূলত সবধরনের কর্মকান্ড বন্ধই থাকে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে বিগত দুই বছর সিনেমার বাজারে মন্দাবস্থা চললেও এই বছরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। দুই ঈদকে ঘিরে মুক্তি পায় বেশ কিছু ছবি। ঈদুল ফিতর-এ মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খানের “গলুই” ও “বিদ্রোহী’’। এছাড়াও ছিল সিয়ামের “শান”। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত হয়েছিল ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো ঘিরে।
 অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ ,এই মূলমন্ত্র নিয়েই অনন্ত হাজির হয়েছিলেন তাঁর ১০০ কোটি বাজেটের ছবি “দিনঃ দ্য ডে’ নিয়ে। ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার এই ছবি প্রায় শতাধিক হলে মুক্তি পেয়েছিল। বিশাল বাজেট ও আন্তর্জাতিক লোকেশনে চিত্রিত হওয়া সিনেমাটি দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও তার পুরোপুরি সফল হতে ব্যর্থ হয়েছে। অল্প বাজেট এবং বড় কোন তারকাবিহীন ঈদের আরেকটি ছবি ছিল “পরান’। রায়হান রাফি পরিচালিত ছবিটি ২০১৯ সালে শুটিং হলেও করোনার জন্য এই বছর মুক্তি পায়। শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম এবং ইয়াশ রোহান অভিনীত ত্রিভূজ প্রেমের গল্প নিয়ে আবর্তিত এই ছবিটি মুক্তির পর পরই ভালোই প্রশংসিত হয়।
এক ভিন্ন ঘরানা নিয়ে ২৯ জুলাই মুক্তি পায় “হাওয়া’ মুভিটি। রিলিজের আগেই অপেক্ষা আর সাদা সাদা কালা কালা গানে বুঁদ হয়েছিল পুরো দেশ। শিল্পীদের অসাধারন অভিনয় এবং শক্তিশালী সিনেমাটোগ্রাফীই মূলত মিস্ট্রি ফিকশন নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি দর্শকদের আবার হলমুখী করে।
আলোচনা সমালোচনা যাই হোক বাংলা সিনেমার হাওয়ায় কিছুটা পালাবদল ঘটেছে তা বলতেই হয়। গল্পে যেমন ভিন্নতা এসেছে তেমনি প্রযুক্তিগত ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। ইদানীংকালের মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর ট্রেলার দেখলেই বোঝা যায়। ছবির কালার গ্রেডিং, গানের চিত্রায়ন, ক্যামেরার কাজ সবকিছুতেই দক্ষতার প্রমান পাওয়া গেছে। আর সামনেই অপেক্ষা করছে “মুজিব: একটি জাতির রুপকার”, “অপারেশন সুন্দরবন” এর মত বিগ বাজেটের মুভি। এই ধারাবাহিকতায় চললে বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসতে বেশিদিন আর লাগবেনা।
০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আড্ডাজীবনযাত্রাবিশেষ রচনাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

উদ্বোধন হলো এসপ্রেসো হাউজের সিগনেচার আউটলেট

করেছে Suraiya Naznin জুন ২৭, ২০২২

রোদসী ডেস্ক:

হসপিটালিটি পার্টনার্স এর ব্র্যান্ড ইতালিয়ান রেষ্টুরেন্ট এসপ্রেসো হাউজ এর সিগনেচার আউটলেট এর শুভ উদ্বোধন হয়েছে গত ২৪ জুন শুক্রবার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুষ্টিবিদ জেনিফার বিনতে হক, ড. নাফিস ইমতিয়াজ চৌধুরী, রোদসীর সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিনা ইয়াসমীন, মিউজিশিয়ান ইমরান রাব্বানী, মডেল ফাহিম উল হক, জনপ্রিয় শিশুশিল্পী মানহা মেহজাবিন মান্যতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব ও এসপ্রেসো হাউজের সংশ্লিষ্ট সবাই।

 

বনানীর ১৭ নম্বার রোডে অথেনটিক ইতালিয়ান খাবার, বেকারি, পেষ্ট্রি ও কলম্বিয়ান ১০০% আরাবিকা কফির স্বাদ নিশ্চিত করবে এই রেষ্টুরেন্ট। পুষ্টিবিদ জেনিফার বিনতে হক বলেন, সবাই বাইরে খেতে ভালবাসে ডায়েট এ থাকা অবস্থায় বাইরে অবশ্যই পরিমান মত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবেন, এই রেষ্টুরেন্টকে রাখা যাবে হেলদি লাইফস্টাইল টপ লিস্টে।

এসপ্রেসো হাউজ এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব শওকত হোসেন রনি জানান, বাংলাদেশে ইতালিয়ান খাবারের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ফুডলাভারদের জন্য পরিপূর্ন স্বাদ নিয়ে এসেছে এসপ্রেসো হাউজ। আমাদের পিজ্জা তৈরি করা হচ্ছে ইষ্ট ছাড়া। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে বিশেষ মেনু। আমরা খাবারের মান ১০০% নিশ্চিত করছি।

 


ব্র্যান্ড ম্যনেজার ইয়ারা তুলি জানান ঢাকার লাইফস্টাইল রেষ্টুরেন্ট কেবল খাবার জায়গা নয়, কর্পোরেট মিটিং,বন্ধুদেও সাথে আড্ডা, প্রিয়জন ও পরিবার এর সাথে ভাল থাবার খাওয়ার পাশাপাশি সবাই সুন্দর শান্তিপূর্ন পরিবেশ খুঁজে থাকেন। পরিবেশ ও আতিথেয়তা সব মিলিয়ে কাস্টমার স্যাটিফেকশন এর জন্য প্রস্তুত এসপ্রেসো হাউজ। প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ থেকে রাত ১.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকবে রেষ্টুরেন্ট।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
বিশেষ রচনাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

এসপ্রেসো হাউজ এর সিগনেচার আউটলেট উদ্বোধন

করেছে Suraiya Naznin জুন ২৩, ২০২২

রোদসী ডেস্ক:

হসপিটালিটি পার্টনার্স এর ব্র্যান্ড ইতালিয়ান রেষ্টুরেন্ট এসপ্রেসো হাউজ এর সিগনেচার আউটলেট এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বিকেল ৩টায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার পুলিশ ইফতেখায়রুল ইসলাম, পুষ্টিবিদ জেনিফার বিনতে হক, চিত্রশিল্পি আহমেদ নওয়াজ, বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার তুতলি রহমান, রোদসীর সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিনা ইয়াসমীন, চিত্রনায়ক সম্রাট, মডেল আনোয়ারুল শামীম, তাহমিদ ও নিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব ও এসপ্রেসো হাউজ সংশ্লিষ্ট সবাই।

বনানীর ১৭ নাম্বার রোডে অথেনটিক ইতালিয়ান খাবার, বেকারি, পেষ্ট্রি ও কলম্বিয়ান ১০০% আরাবিকা কফির স্বাদ নিশ্চিত করবে এই রেষ্টুরেন্ট। পুষ্টিবিদ জেনিফার বিনতে হক বলেন, সবাই বাইরে খেতে ভালবাসে ডায়েট এ থাকা অবস্থায় বাইরে অবশ্যই পরিমান মত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবেন, এই রেষ্টুরেন্টকে রাখা যাবে হেলদি লাইফস্টাইল টপ লিস্টে।

এসপ্রেসো হাউজ এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব শওকত হোসেন রনি জানান, বাংলাদেশে ইতালিয়ান খাবারের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ফুডলাভারদের জন্য পরিপূর্ন স্বাদ নিয়ে এসেছে এসপ্রেসো হাউজ।
আমাদের পিজ্জা তৈরি করা হচ্ছে ইষ্ট ছাড়া। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে বিশেষ মেনু। আমরা খাবারের মান ১০০% নিশ্চিত করছি। রেষ্টুরেন্ট এর পরিবেশ ও আতিথেয়তা সব মিলিয়ে কাস্টমার স্যাটিফেকশন এর জন্য প্রস্তুত এসপ্রেসো হাউজ। প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ থেকে রাত ১.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকবে রেষ্টুরেন্ট।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়জীবনযাত্রানারীপ্যারেন্টিংবিশেষ রচনাসংগ্রাম

কাজে ফেরা মাতৃত্বের পর

করেছে Suraiya Naznin মে ৩০, ২০২২

রেহনুমা তারান্নুম

অনেকেরই ম্যাটারনিটি লিভ থেকে ফিরে মনে হয় ‘একেবারে নতুন করে শুরু করছি!’ আবার বাড়িতে ছোট্ট শিশুটিকে রেখে এলে তার জন্যও মন কেমন করে। আসে ইমোশনাল ব্যাঘাত। তবে সমস্যা যা-ই হোক না কেন, স্ট্রেসড হবে না। কারণ, মাতৃত্ব কেবল নিজের জন্য নয়, উন্নত জাতির জন্যও!

মা হওয়ার পরে একটা লম্বা সময় কাজের জগৎ থেকে দূরে থাকলে অভ্যাসটা চলে যায়, এমনটাই মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। অবশ্য বিষয়টা যে খুব ভুল, তা-ও নয়! মা হওয়ার ঝক্কি তো কম নয়। তাই তিন মাস বা তারও বেশি পাওয়া ছুটিটা শুয়ে-বসে উপভোগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। ফলে ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফিরলে যে রিফ্রেশড ব্যাপারটা আসে, এ ক্ষেত্রে তা একেবারেই অসম্ভব। রোজকার ডেডলাইনের চাপ, অফিস মিটিং, এদিক-ওদিক ছোটাছুটি এসব কিছুই এত দিন অনুপস্থিত ছিল।

 


তাই অনেকেরই ম্যাটারনিটি লিভ থেকে ফিরে মনে হয় ‘একেবারে নতুন করে শুরু করছি!’ আবার বাড়িতে ছোট্ট শিশুটিকে একলা ফেলে রেখে এলে তার জন্যও মন কেমন করে। ফলে মন দিয়ে কাজ করবে, সেখানেও কিছুটা ইমোশনাল ব্যাঘাত। তবে সমস্যা যা-ই হোক না কেন, স্ট্রেসড হবে না। পুরোনো অভ্যাসে ফিরতে একটু সময় লাগুক না! তা নিয়ে ভেবে মাথা খারাপ করার কিছু নেই।

বস ও সহকর্মীদের সঙ্গে একবার গোড়াতেই কথা বলে নাও। আগামী তিন-চার মাসে কী প্রজেক্ট আসতে পারে, ও তাতে তুমি কীভাবে কন্ট্রিবিউট করবে, সে ব্যাপারে মোটামুটি জেনে গেলে সুবিধা হয়। প্রথমেই খুব বড় প্রজেক্টে হাত দেবে না। ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে পারো। কয়েক দিন পর ছন্দ ফিরে পেলে আবার পুরোদমে কাজ করবে। প্রথম প্রথম অফিসের কাজ খুব হেকটিক মনে হলে অফিসের বাইরে নিজেকে প্যাম্পার করো।

 

ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া, নিজেকে উপহার দেওয়া ইত্যাদি অফিস স্ট্রেস অনেকটা কমিয়ে দেবে। টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব জরুরি। সন্তানকে বাড়িতে কারও নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে রেখে আসো। বারবার যদি বাড়িতে ফোন করতে হয়, বা সন্তান ঠিকমতো খাচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে টেনশন করতে হয়, তাহলে কাজে ব্যাঘাত ঘটবেই। তুমি চাকরি করছ বলেই যে সন্তানের দেখভাল ঠিকমতো করতে পারছ না, এ রকম ধারণা মনের মধ্যে রাখবে না। বেবিসিটার রাখার আগে তার স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। এ ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করতে পারলে, অফিসে পুরোপুরি মন দিতে পারবে। কাজের ফাঁকে এক-আধবার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে নাও। তবে সন্তান পালনের অজুহাতে কাজে ফাঁকি দেওয়া বা দেদার অফিস ছুটি নেওয়া মোটেও কাজের কথা নয়। কাজের জগৎটা প্রফেশনাল জায়গা। সংসারের সঙ্গে অফিসের সঠিক ভারসাম্যটাই জরুরি।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
বিশেষ রচনারূপ ও ফ্যাশন

শাড়ি বুঝে শাড়ির যত্ন

করেছে Suraiya Naznin মে ২৩, ২০২২

আফসানা সুমী

শাড়িরা একসময় থাকে শখের সঙ্গী। আমরা মেয়েরা কিশোরী বয়সে একটা-দুইটা শাড়ি কিনি বা মায়ের শাড়িটা পরি এভাবেই সম্পর্কটার শুরু। তারপর এই শাড়িরাই একসময় সবচেয়ে প্রিয় সখী হয়ে যায় আমাদের। আমরা শাড়ি জমাই, কারণে-অকারণে শাড়ি সংগ্রহ করি। নানান রঙের, নানার কারুকাজের শাড়িরা প্রিয় আলমারিতে বসবাস করতে শুরু করে একই ছাদের নিচে আমাদের সঙ্গে।

প্রিয় এই সখীদের যত্ন নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়! তাদের কেউ অভিমানী, কেউ রাজকীয় ভাবভঙ্গি নিয়ে থাকে। নানান ঘরানার যত্ন নিয়েই কথা বলি চলো-

 

জামদানি
জামদানিগুলো যেন বড্ড অভিমানী, খুব আদর চাই, মাঝেমধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে হয়, রোদ-ছায়ার লুকোচুরি খেলতে হয়। নইলে দীর্ঘ ব্যবধানের পর শাড়ি বের করলে দেখা যায় ফেঁসে গেছে শাড়ি। তাই যা করবে-

১. জামদানি শাড়ি ভাঁজ করে না রেখে রোল করে রাখবে
২. মাঝেমধ্যে বের করে রোদে দেবে
৩. জামদানি শাড়ি মাঝেমধ্যে পরলে শাড়ির আয়ু বাড়ে, রেখে দিলেই ক্ষতি।
৪. হ্যান্ডওয়াশ বা ড্রাইওয়াশ নয়, জামদানি কাটা ওয়াশ করতে হয়।

 

 

মসলিন
রানিদের পোশাক মসলিন। এর আভিজাত্যে ইংল্যান্ডের রানি এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে নিয়মিত পরিধান করতেন। তো এই শাড়ির মনমর্জিও কিন্তু রাজকীয়। যা করবে-

১. মসলিন শাড়ি ভাঁজ করে না রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখো
২. মাঝেমধ্যে ভাঁজ বদলে দিলে ভালো
৩. শাড়ি চাপাচাপি করে রাখবে না, মসলিনের সুতার ক্ষতি হয় সে ক্ষেত্রে।
৪. মসলিন ড্রাইওয়াশ করতে হয়।

 

সিল্ক
সিল্ক মানেই রেশম রেশম একটা অনুভূতি। সিল্কের শাড়িরা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া একদম পছন্দ করে না। তাই যা করতে হবে-
১. মাঝে রোদে দেবে
২. হ্যাঙ্গারে রাখা যাবে, তবে অনেক শাড়ির সঙ্গে চাপাচাপি করে রাখলে ফেঁসে যাবে।
৩. ড্রাইওয়াশ করাই ভালো। সঙ্গে হালকা তাপে আয়রন করতে হবে। সিল্ক শাড়ি তাপ মোটেই পছন্দ করে না।

 

সুতি
সুতি শাড়িরা তো সবচেয়ে প্রিয় সখী হয় মেয়েদের। একেবারে ছেলেবেলার পুতুল খেলার সাথি যেমন। তাদের সঙ্গে গলায় গলায় ভাব বলে যত্নে অবহেলা করলে কিন্তু হবে না। তাদেরও চাই ভালোবাসা। কী করবে-

১. সুতি শাড়ি পরার পর সঙ্গে সঙ্গে ভাঁজ করে রেখে না দিয়ে মেলে দিতে হবে বাতাসে
২. কড়া রোদে শাড়ি শুকাতে দেওয়া যাবে না, রং জ্বলে যাবে।
৩. সুতি শাড়ি আয়রন করার সময় ওপরে পাতলা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

 

 

হাতে আঁকা শাড়ি
নানান ঘরানার সুতায় বোনা শাড়িকে রাঙিয়ে তোলে শিল্পীরা আপন রঙে। সেই শাড়ি মসলিন হোক বা সুতি, একটু ভিন্ন যত্ন দাবি রাখে বৈকি।

১. হাতে আঁকা শাড়ি ড্রাইওয়াশ করাই শ্রেয়।
২. শাড়ি অবশ্যই উল্টো করে রোদে দিতে হবে।
৩. আয়রন করার সময় উল্টো পিঠে পাতলা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
৪. শাড়ি মেলে রাখতে হবে মাঝেমধ্যে, যাতে বাতাস লাগে।
৫. কখনোই কড়া রোদে দেওয়া যাবে না।

 

মণিপুরি শাড়ি
ক্লজেটে মণিপুরি শাড়িরা হলো সুখের স্মৃতির মতো মায়াবী সখী। তাদের যত্নে যা করবে-

১. কয়েকবার পরার পর মণিপুরি শাড়ির মাড় চলে যায়। জামদানির কাটা ওয়াশ যেমন জামদানি তাঁতিরাই ভালো জানেন, তেমনি মণিপুরি শাড়িতে আবার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এর তাঁতিরাই যথার্থ। দায়িত্বটা তাদেরই দেবে।

২. পানিতে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না ধোয়াই উত্তম। ড্রাইওয়াশ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো।

কাতান বা বেনারসি
কাতান ও বেনারসি হলো শাড়ির রাজ্যে সেই বন্ধু, যারা শুধু বিয়ের দাওয়াত দিলেই আসে। বেশি ভাব-ভালোবাসা তাদের পছন্দ নয়। এই শাড়িগুলো তুলনামূলক ভারী হয়। সব শাড়ির সঙ্গে না রেখে অনায়াসে ভাঁজ করে আলাদা বাস্কেটে সংরক্ষণ করতে হবে। শাড়ি ধোয়া, আয়রনের দায়িত্ব পুরোপুরি লন্ড্রিতে, নিজে করতে যাবে না একদমই।

সব শাড়ির সুরক্ষায় দুটি জরুরি কথা-
১. শাড়ির আলমারি কখনোই স্যাঁতসেঁতে বা ড্যাম্বজ দেয়ালে রাখবে না। এতে শাড়িতে ফাঙ্গাস পড়ে, শাড়ি নষ্ট হয়।
২. শাড়ির ফাঁকে ফাঁকে শুকনো নিমপাতা রাখলে তা শাড়িকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

প্রিয় সখীদের যত্ন আত্তি করলে দেখবে তারা হাসিখুশি থাকবে সব সময়। নতুনের মতো উজ্জ্বলতা ছড়াবে! সখ্য দৃঢ় আর দীর্ঘস্থায়ী হবে। তখন যেকোনো দিন যেকোনো শাড়ি অঙ্গে জড়িয়ে হয়ে উঠবেন প্রজাপতি, থাকবে না কোনো বারণ।

ছবি: আফসানা সুমী
পোশাক: গুটিপোকা

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook