রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

দিবস সবিশেষ

এই সংখ্যায়দিবস সবিশেষ

প্রতিটি দিন বাংলার, বাঙালিয়ানার

করেছে Rodoshee এপ্রিল ১১, ২০১৭

লেখা : শারমিন শামস্

বৈশাখ কি রঙের নাম? বৈশাখ কি গন্ধ? বৈশাখ কি শুরু? কিসের শুরু? জীবনের? নতুন বছর মানে তো শুরুই। কেমন করে শুরু? আনন্দে? সবার বছর সুখে শুরু হয়? তাই কি হয়! কেউ কেউ তো আছেই, অশ্রুর ধারাপাতে যার পহেলা বৈশাখ কাটে। আপনজন চলে যায়, নতুন-পুরোনোর হিসাবের বাইরে। সংসারের দৈনন্দিনের হালখাতায় তার আর কিছু যায় আসে না। কত সংসার ভেঙে যায় বৈশাখেই। বৈশাখের ভেতরে তখন শুধু খররোদ, রং নেই কোনো, গন্ধহীন। এমন বৈশাখও তো আসে জীবনে, কোনো কোনো জীবনে। কত বৈশাখ অভাব-অনটনের, বেকারত্বের, দুশ্চিন্তার। কত বৈশাখ বিরহের। পাহাড়ের উপরে ছাইরঙা মেঘ উড়ে যায় মেঘদূত। সেসব বৈশাখের মেঘ। তবু বিরহ যার, সে শুধু মেঘটাকেই দেখে। বৈশাখকে ভুলে যায়। হায়! তুমি আমার জীবনে না এলে আমি এই মেঘ চিনতুম না গো!

বৈশাখ তো খরতার রূপও, শুধু নতুনের নয়। রুদ্র রুক্ষ খরতপ্ত। বৈশাখী বিকেলের মতো ঝা ঝা আমাদের নতুনের স্বপ্ন। উত্তাল, লড়াই লড়াই ঘ্রাণ, লড়াই করে সব জিতে ছিনিয়ে আনার বাসনা। তারুণ্য-বৈশাখ তো তরুণই, তরুণীই। বৈশাখ আগুনের হলকা।

আমি বৈশাখকে কবে চিনলাম। শৈশবে? যখন হুটহাট ঝড় হতো বিকেলের বারান্দায়। পদ্মাপারের ফ্ল্যাটবাড়ি ঢেকে যেত বালির সমুদ্রে। শো শো আওয়াজে বুঝতাম, উনি আসছেন। ডাকি আর নাই ডাকি, রুদ্রমূর্তি অতিথিনারায়ণ এসে পদধূলি দিলেন। এমনই সেই ধূলি, বাড়িসুদ্ধ লোকে মিলে ঝেঁটিয়েও বিদায় হয় না। কালবৈশাখী। হাহাকার অন্ধকার হয়ে বাতাসের ডুবসাঁতারের সঙ্গে যুগলসন্ধি করে। বেশ একখানা ব্যাপার বটে। তারপর প্রতিবেশীর বাড়ির কাঁচা আম কাসুন্দি আর লবণে মরিচে মেখে..উফ্ জিভ জ্বলে গেল, জলেও ভরে গেল। অমৃত! দুই ঘণ্টার তা-বের পর অতিথির দান অমৃত পেয়ে আমাদের মনখুশ। আহা কাঁচামিঠে আম। আহা ঝরাপাতা আমি তোমারই দলে!
তো সেই আম চাখতে চাখতে, ঝড়পরবর্তী লোডশেডিংয়েই তাহার সঙ্গে দেখা। সদ্য কৈশোর প্রেমে পাখা মেলে। এর নাম বৈশাখী ভালোবাসা। ঝড়ের পরে। কিন্তু বৈশাখ তো প্রেমের ঋতু নয়। প্রেম তো এসে চলে গেছে নীরবে, গত ফাল্গুনে। চৈত্রে তাহাকে মনে পড়ে পড়ে আমার গা ঝাড়া দিয়ে উঠবার কথা বৈশাখের দিনে- নতুন বছরে। প্রেম-অপ্রেম ব্যর্থতা পরাজয় সব ভুলে যাবার জন্যই না নতুন বছর আসে প্রতিবার। তাও কেন বৈশাখে আবারও সবকিছু ঘুরেফিরে আসে? জীবনের চক্রটা বৈশাখে এসে নতুন করে দম নেয় জোরে, তারপর ফের ছুটতে থাকে ছুটতে থাকে। এর নাম জীবন, চক্রে চক্রে বাধা। পুরোনোকেই নতুন করে ঘুরিয়ে-টুরিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণাকে গর্তে ফেলে জীবনটাকে আবার শাণিয়ে নিতে হয়। না হলে আর কিসের মনুষ্যজীবন। তাই বৈশাখ আসে, ঝড়ের মতো, প্রেমের মতো, তোমার মতো। তুমি কি বৈশাখ?

রমনার বটমূলে, ছায়ানটের আয়োজনে, রবিঠাকুরের সুরে ঝংকারে আমরা বৈশাখকে আদরে সাজাই। তার খোঁপায় বাঁধি ফুল। পরনে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি। আমার বাড়ি এসো বৈশাখ, বসতে দেব পিঁড়ে। পান্তা ইলিশের হুজুগে বাঙালিত্বও করব আমি। করলামই নাহয়। নাহয় কিনলুম একখানা বড়সড় ইলিশ। না হয় খেলুম পান্তায় মেখে। এই বাংলার লাখ লাখ মানুষ যা পালন করছে সাগ্রহে, একটি বাংলা বছরকে স্বাগত জানাতে, সে পালনে আমার ক্ষতি নেই কোনো। ক্লান্ত, বিধ্বস্ত জীবনে ক্ষণিক এই ইলিশ উৎসব আনন্দ দেয় যদি, হোক তবে আনন্দই হোক।
ভোর ভোর ঘুমভাঙা চোখে সেজেগুজে উৎসবের কাফেলা চলেছে চারুকলার দিকে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমাদের তরুণ শিল্পীরা কি রেখেছে এবার আমাদের অবাক করে দিতে, দেখা চাই। ওরা তো ঘুমায়নি কয়েক রাত। হাসিমুখে রাতজাগা চোখে এঁকেছে আমাদের জীবন, সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য আর বাঙালিত্বকে। আমাদের সত্তাকে। এই বিস্তৃত শোভাযাত্রা আমাদের নিয়ে যাবে আমাদের আত্মোপলব্ধির দিকে, আমাদের ঐক্যের দিকে, আমাদের সম্মিলিত শক্তির দিকে। এই বোধ যদি জেগে ওঠে ভোরের শোভাযাত্রায়, ছায়ানটের গানে, তরুণীর খোঁপায়, তরুণের পাঞ্জাবিতে, শিশুর ইলিশ ভাতের প্লেটে, যদি আমাদের প্রাণের গভীরে সারা দিনমান বাজে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’; যদি আমরা ফের যাত্রা করি শুরু- আমাদের আত্মার দিকে, আমাদের শিকড়ে- তবে জানব ভয় নেই। একদম ভয় নেই কোনো। বৈশাখ তুমি প্রেম দিও, দ্রোহ দিও, রুদ্রতপ্ত বিপ্লব দিও, ভালোবাসা আর অনুভব দিও। বৈশাখ তুমি সাহস, শক্তি আর আত্মবিশ্বাস দিও। যেন আমরা হালখাতাজুড়ে লিখে রাখি প্রতিবার, আমার প্রতিটি দিন বাংলার, বাঙালিয়ানার এবং আমার সবটুকু বাংলাদেশের। আর বাকি যা কিছু, বেদনা, বিমর্ষতা, পরাজয়ের স্মৃতি, যা কিছু অশ্রুবাষ্প আমার- সব সুদূরে মিলাক।

বৈশাখ, ঘরে এসো, তোমাকে আদরে আদরে বরণ করি। তুমি নতুনের দূত, তুমি পুরাতনের সান্তনা, তুমি উৎসব- তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা!

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়দিবস সবিশেষ

ভ্যালেন্টাইনের পোশাক হবে জোড়ায় জোড়ায়:

করেছে Rodoshee ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৭

লেখা: সুরাইয়া নাজনীন

ভালোবাসা দিবস মানে প্রিয়জনকে একটু অন্যভাবে কাছে পাওয়া। সময়ের দিকে তোয়াক্কা না করে দূরে কোথাও বেরিয়ে পড়া। কাটানো মুহূর্তকে ডায়েরির এক কোনায় জায়গা করে দেওয়া। আসছে ভ্যালেন্টাইন ডে! ভেবেছ কিছু? কীভাবে প্রিয়জনকে চমকে দেবে? তবে এবারের ভালোবাসা দিবসের পোশাক যদি হয় জোড়ায় জোড়ায়, কেমন হবে? তাহলে এবারের সংখ্যায় তোমাদের জন্য আমাদের এই বিশেষ আয়োজনটি দেখে নাও-

ফিউশনধর্মী বিভিন্ন কাটিংয়ে নকশার পোশাক তৈরি হয়েছে এবার। প্রিয়জনের সঙ্গে মিলিয়ে এবার সবাই পোশাক পরতে চাইছে। সে কারণে গর্জিয়াসভাবেই এসব পোশাকে একই রকমের এমব্রয়ডারি, ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, অ্যাপ্লিকসহ মিক্সড মিডিয়ার কাজ এসেছে। ভ্যালেন্টাইনকে সামনে রেখে যুগল পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই ডিজাইনাররা এসব পোশাক তৈরি করছেন। দেশীয় নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাশ্চাত্য কাটিংয়ের মিশ্রণেও তৈরি হচ্ছে ভিন্নধর্মী পোশাক।
সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি সবকিছুতেই থাকছে ফেব্রিক, ডিজাইন বা মোটিফের যুগল উপস্থাপনা। সালোয়ার-কামিজ আর কুর্তার প্যাটার্নে এবার থাকছে লং এবং গাউন স্টাইল, কিছু কাটিংয়ে থাকছে ঘের এবং বডি ফিটিংস।

বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘বিশ্বরঙ এবার ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন টাইপের কিছু পোশাক এনেছে। লাল রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ ও কুর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কাপল ড্রেসও স্পেশাল। ছেলে ও মেয়ের পোশাকে ম্যাচিং করে পোশাক ডিজাইন করেছি। এসব পোশাকে সুতি কাপড়ের কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়ার্ক, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, বাটিকসহ কারচুপি, হ্যান্ডিক্র্যাফট ও মেশিন এমব্রয়ডারির কাজ রয়েছে।’
ফড়িং-এর কর্ণধার বিদ্যুৎ আহমেদ বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস যেহেতু একটি রঙিন বিষয়, সেহেতু আমরা সেই রংকে অর্থাৎ লাল রং মাথায় রেখে সাজিয়েছি সম্ভার। শুধু যে লাল তা নয়, লালের পাশাপাশি অন্যান্য রঙের ধারাবাহিকতাও আনা হয়েছে। ফড়িং বরাবরই কাপল ড্রেসে জনপ্রিয়। তাই এবারও আমরা তার সংজ্ঞা ঠিক রেখেছি। কাপলদের জন্য ড্রেস করা হয়েছে কিন্তু সেগুলো হুবহু এক নয়। সেখানে কাজের কিংবা রঙের মিল রয়েছে এবং কাপড়গুলোও আমরা সেভাবেই সিলেক্ট করেছি। যেন অনেকের মধ্যে তারা হারিয়ে না যায়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা পোশাক ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি।’
একটি দিন মানে, ভ্যালেন্টাইনে প্রিয় মানুষটিকে চমকে দেওয়ার একটা বিষয় তো থাকেই। আর তা যদি হয় প্রেজেন্টেশন? সারা দিন একই রকম, একই রঙের পোশাক পরে পাশাপাশি থাকলেও তৈরি হবে আত্মার মেলবন্ধন। সে জন্যই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও প্রাধান্য দিয়েছে ফ্যাশনে উজ্জ্বল সব রং যেমন লাল, নীল আর লালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাইট কালার যা প্রকৃতির সঙ্গেও মিলিয়ে যাবে।
এবার বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা গেছে, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে রংবেরঙের পোশাক সাজানো হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ‘জুটি’ ড্রেস তো আছেই। যেমন শাড়ির সঙ্গে পাঞ্জাবি কিংবা পাঞ্জাবির সঙ্গে সালোয়ার কামিজের কম্বিনেশন। ভালোবাসার রং যেহেতু লাল তাই পোশাকের ডিজাইনে লাল রঙের প্রাধান্যই বেশি। আর ভালোবাসা দিবসের আগের দিন যেহেতু পহেলা ফাল্গুন, তাই এর সঙ্গে তারা ওই দিনের জন্যও পোশাক তৈরি করেছেন। তবে কোনো কোনো ফ্যাশন হাউস তাদের একটি পোশাকেই দুটোর সম্মিলন ঘটিয়েছে। মানে পোশাকটিতে ভালোবাসা ও ফাল্গুন- একসঙ্গে দুটোকেই পাবে।

ভালো দিবসের ফ্যাশন পসরা : আড়ং, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরঙ, বাংলার মেলা, প্রবর্তনা, নগরদোলা, নিপুণ, বিবিআনা, নিত্য উপহার, অন্যমেলা, এড্রয়েট, ফড়িং, ইন্ডিগো, এমপ্রেসসহ বেশ কিছু হাউসের আউটলেটে পাবে ভালোবাসা দিবসের চমৎকার সব পোশাক। এ ছাড়া আজিজ সুপার মার্কেটে বেশ কিছু দোকানেও পাবে এই স্পেশাল দিনের নানা রঙের পোশাক। সুতি কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক, সিকোয়েন্সের মিশেলে ফ্লোরাল ও ঐতিহ্যবাহী আলপনার মোটিফে তৈরি হয়েছে পোশাকগুলো। প্রতিটি পোশাকে উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেয়েছে। মেয়েদের জন্য রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি। ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি। এসব পোশাকের কাপড় বেশির ভাগই সুতি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook