রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

কান পেতে রই

অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনরোমান্স রসায়নসচেতনতাসমস্যা

সংকটকালীন মধ্যবয়স

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১১, ২০২২

শায়লা জাহান

বয়স যখন ৪৫ থেকে ৬৫, জীবনের এই প্রান্তে এসে নিজ পরিচয় ও আত্মবিশ্বাসের মধ্যে একটি পরিবর্তন আসে; যা সংকটের মধ্য বয়স হিসেবে পরিচিত। আমাদের সমাজে তা বুড়ো বয়সের ভীমরতি বলে উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু আসলেই কি এমন কিছু? এসব কিছু নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

বেলাশেষে মুভিটির কথা মনে আছে? সংসার জীবনের এক পর্যায়ে এসে বিশ্বনাথ মজুমদার তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী আরতি দেবীকে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের মধ্যে কি প্রেম ছিল? না কি শুধুই অভ্যাস?’’ জীবনের এই দোরগোড়ায় এসে তাঁর কাছে মনে হল আমি কি পেলাম? রিল লাইফের এই বিশ্বনাথের মত মানুষের জীবনেও বয়সের এই পর্যায়ে এক ধরনের অনুভূতির উদ্রেক হয়। চাওয়া পাওয়ার মধ্যে হিসাব কষতে গিয়ে মনে জমে উঠে হতাশা আর অভিমান। সম্পর্কগুলোতেও কেমন যেন তাল কেটে যায়। আত্মবিশ্বাসের এই ঘাটতি এবং উদ্বেগ বা হতাশার অনুভূতিকে মনোবিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন মিডলাইফ ক্রাইসিস বা সংকটকালীন মধ্যবয়স। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন এটা আমার সাথে কখনোই ঘটবেনা। কিন্তু আজ না হোক কাল এই সংকটাবস্থা আঘাত হানতে পারে। হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে সম্পন্ন করা কাজ নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করছেন। পরিকল্পিত করা পরিকল্পনাগুলোর আর কোন অর্থ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ করেই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠছে। মানসিক অবস্থার এই টানাপোড়েন নারী ও পুরুষ উভয়ের জীবনে ঘটে থাকে। যদিও উভয়ের সংকটের ধরনে কিছুটা ভিন্নতা হতে পারে। এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩-১০ বছর এবং নারীর ক্ষেত্রে ২-৫ বছর স্থায়ী হতে পারে।

সংকটের কারন

মধ্যবয়সের এই সংকটের নিয়ামক হিসেবে থাকতে পারে-

-শারীরিক পরিবর্তন

-কাজ বা কর্মজীবন

-প্রিয়জনকে হারানো

-দাম্পত্য সংকট

লক্ষন

এই ক্রাইসিস সঠিকভাবে নির্নয় করা সম্ভব নয়। কারন একজনের কাছে যেটিকে সংকট হিসেবে চিহ্নিত হয় তা আরেকজনের কাছে বিবেচিত সংকটের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ নাও হতে পারে। তবে সম্ভাব্য কিছু লক্ষন রয়েছে-

-জীবনে যেসব বযাপারগুলো উপভোগ্য ছিল সেগুলোর প্রতি হঠাৎ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। এটি আগমনী মানসিক সংকটের লক্ষন হতে পারে। এই উদাসীন মনোভাব সংকটে আরো গভীর ও জটিল স্তর যুক্ত করে।

-নিজের জীবন ও জীবনযাত্রার গুনে-মানে সবসময় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা

-জীবনের সকল সোনালী সময় আগেই ঘটে গেছে এমন ধারনা পোষণ করা

-ক্রমাগত অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা

-স্বামি-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনও ভালোবাসায় ফাটল ধরা

-সবকিছুর উপর বিরক্ত ও একঘেয়েমি বোধ করা

প্রতিকার

আধুনিক কিছু গবেষণায় অনেকে মিডলাইফ ক্রাইসিসের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আদতে তা আছে কি নেই তা নিয়েও আছে অনেক মতানৈক্য। তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তিত শরীর ও মনকে ভালো রাখতে যা করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন-

-সবার আগে চাই শরীরের যত্ন। এই সময় হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সহ নানা রোগ বাসা বাঁধে। এজন্ন চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা।

-চলার পথে অনেক ঘটনাই জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য বিচক্ষণতার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অতীতকে ঝেড়ে ফেলে, বর্তমানকে নিয়ে ভবিষ্যতের লক্ষে যেতে হবে।

-গৎবাঁধা গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ না থেকে সৃজনশীল যে কোন কাজই টনিকের কাজ দেবে

-শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন-আত্তির প্রয়োজন হয়। পরিবারের পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মীদের সাথে আড্ডা দেয়া যায়

-এই সময় স্বামি-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিৎ। একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, পছন্দের কাজ করা যেতে পারে।

-সর্বোপরি নিজেকে ভালোবাসা। জীবন উপভোগ করার বিষয়টির সাথে বয়সের কোন সম্পর্ক নেই। বরং তা জড়িত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের উপর।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কান পেতে রইজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসুস্থ মন

আসক্তিময় আবেগ

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ৯, ২০২২

শায়লা জাহান

এডিকশান বা আসক্তি কথাটি বলতেই আমরা বুঝি এমন একটি শব্দ যা মাদক বা অ্যালকোহলের নির্ভরতার সাথে যুক্ত। এটি খাওয়া, জুয়া এমনকি যৌনতার সাথেও যুক্ত হতে পারে। কিন্তু আরো এক ধরনের আসক্তি আছে যা একেবারেই অভ্যন্তরীণ; আর তা হল মানসিক আসক্তি। আমাদের জীবনে আবেগের উত্থান-পতন ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এই আবেগের ঢেউ এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যা জীবনে বিপদরুপে ধরা দেয়।

আবেগ কি? একে কোন সংজ্ঞায়নে আবদ্ধ করা কঠিন। আবেগকে অনেকে অনুভূতির সমার্থক হিসেবে ধরে নেয়। যদিও অনুভূতির শারিরীক ও মানসিক দু দিকই আছে। আবেগ মূলত মানসিক। মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞায়, আবেগ মানব মস্তিষ্কের একধরনের সংকেত পদ্ধতি। রাগ,ভয়, হিংসা,আনন্দ  এসব দিয়ে মনের বিশেষ অবস্থাকে বুঝানোই হল আবেগ। এটি মানব জীবনের এক প্রয়োজনীয় দিক। আবেগ কাজের পিছনে শক্তি যোগায়, আচরনের ধরন ও প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন করে। কিন্তু এই আবেগ যখন আসক্তিতে রূপ নেয় তখনই এর চিত্র ভিন্ন হয়ে যায়। এই ধরনের মানসিক আসক্তি মাদক বা অ্যালকোহলের আসক্তির চেয়ে আলাদা। যাদের মধ্যে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় তাদের মনে হতে পারে যেন তারা তাদের অনুভূতির করুণায় বেঁচে থাকে এবং তখনই কিছু আচরনগত  প্রতিক্রিয়া দেখা যায়-

-অবিবেচনাপুর্ন সিদ্ধান্ত

-অনুপযুক্ত আচরন

-ত্রুটিপূর্ন স্ব-ব্যবস্থাপনা বা পরিকল্পনা

-সম্পর্কের ভঙ্গুরতা

-স্ট্রেস কমানোর জন্য ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের উপর নির্ভরতা

সমাধানের উপায়ঃ

মানসিক আসক্তি ভাঙ্গার উপায় হল নিজ আবেগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রন তৈরি করা। মানসিক স্থিতিস্থাপকতা অর্জন এবং মানসিক আসক্তি ভাঙ্গার কিছু পদ্ধতি আছে-

-প্রথমত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখ, ইচ্ছার প্রাধান্য দাও। এতে বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার মাত্রা কমে আসবে।

-নিজ সংবেদনশীল অভ্যাস গুলো সনাক্ত করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সময়ে নিজেকে পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং সবকিছুর উপর নিজের রিয়্যাকশনের প্যাটার্ন গুলো দেখতে হবে। একবার যদি এই আবেগপ্রবনতার কারনগুলো চিনতে পারা যায়, তবে খুব সহজেই তা নিয়ন্ত্রন করে  সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

-লক্ষ্য থাকতে হবে পরিবর্তিত আচরন মোকাবেলার জন্য নিজেকে তৈরি করা। যখনই কোন পরিস্থিতি তোমাকে পরাভূত করতে শুরু করে, উত্তেজিত না হয়ে নিজেকে শান্ত করার জন্য সময় দাও। চেষ্টা করতে হবে শরীর ও পেশীকে শিথিল রাখার জন্য। শরীর রিলাক্স হলে অনুভুতিতেও কিছুটা লাগাম আসবে।

-মাথায় নেগেটিভিটি না রেখে ইতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এটা হতে পারে টিভি দেখা, পছন্দের গান শোনা, ব্যায়াম বা ক্রসওয়ার্ড পাজল খেলা।

-সবচাইতে বড় ব্যাপার হল ক্ষতিকর মানুষগুলোর সংস্পর্শ থেকে সরে আসতে হবে। দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল ভালো। এতে মানসিকভাবে নিজে সুস্থ থাকা যাবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কান পেতে রইজীবনজীবনযাত্রাসচেতনতাসমস্যা

সাইবার বুলিংঃ জানতে হবে, রুখতে হবে

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ২, ২০২২

শায়লা জাহান

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে পুরো বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ঘরে বসেই  নিমিষেই দেশ বিদেশের সকল নিউজ জেনে আমরা আপডেট হচ্ছি। এতে একদিকে আমরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গেলেও অন্যদিকে এর ফলাফলস্বরুপ অন্যায় অবিচার বেড়েই চলেছে। যার বড় প্রমান সাইবার বুলিং বা সাইবার ক্রাইম।

আনিকা, একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলো। কয়দিন পরেই তার বিয়ে। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সে। হঠাৎ করেই তার কিছু আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই শুরু হয়ে যায় সাইবার বুলিং।  ফলাফল বিয়ে ক্যান্সেল, আর আনিকার আত্মহননের পথ বেছে নেয়া। ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও আনিকাদের এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটেই চলেছে। আর এসব কিছুই হচ্ছে মূলত প্রযুক্তির যথেচ্ছা ও লাগামহীন ব্যবহারের ফল।

অনলাইন ব্যবহারকারীদের জীবনে এক বিভীষিকাময় সমস্যার নাম হল সাইবার বুলিং। কি এই সাইবার বুলিং? পরিচয় লুকিয়ে রেখে যখন কেউ ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল স্পেসে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে আক্রমণ বা হয়রানি করে। এই ধরনের আচরন গুজব ছড়ানো, হুমকি, সেক্সুয়েল হ্যারেজমেন্ট, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, ঘৃণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে যারা এর শিকার হচ্ছেন তাদের শতকরা ৮০ ভাগই নারী। এর চাইতেও বেশি এলার্মিং ব্যাপার হল এদের বয়সের পরিধি ১৪ থেকে ২২ বছর। চলতি বছরেই ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষ সাইবার বুলিং এর স্বীকার হয়েছেন। অনলাইনে হয়রানি স্বীকারের কারনে অনেকেই হতাশায় ভোগে এবং অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শুধু আমাদের দেশেই নয় সারা বিশ্বেই এর বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে। ২০১২ সালের ১৭ জুন সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথম ‘স্টপ সাইবারবুলিং ডে’ উদযাপন করা হয়।

সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষার উপায়ঃ

-সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পরিচয় গোপন করা অনেক সহজ ব্যাপার। সেজন্য এসব প্ল্যাটফর্মে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। কারন যেকন ফেক প্রোফাইল হতে পারে অনেক বড় বিপদের কারন।

-নিজের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ফোন নাম্বার, মেইল আইডি, পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবেনা।

-নিজ আইডিতে প্রাইভেসি গার্ড দিয়ে রাখলে আপলোডকৃত কোন কিছুই অপরিচিত কেউ দেখতে পাবেনা।

-অনলাইন বা অন্য কোথায় কেউ হ্যারাজ করার চেষ্টা করলে সব কিছুর প্রমান নিয়ে রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

-এইসব ব্যাপারে মুখ লুকিয়ে না রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে সামনে বেরিয়ে আসতে হবে।

-গুজব এড়িয়ে যেতে হবে। জেনে বা না জেনে কোন কিছু যাচাই না করে শেয়ার করা থেকে বিরত  থাকতে হবে।

আমাদের দেশে ২০০৬ সালে প্রথম সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া সাইবার হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে হটলাইন ‘৯৯৯’ চালু করা হয়। এ বছরেই অক্টোবর মাসকে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস’ হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য হল ‘নিরাপদ অনলাইন কঠিন তো নয়, সতর্ক থাকলেই হয়’।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.এই সংখ্যায়কান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মন

বিয়ের প্রস্তুতি

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২১

বিয়ের মতো বিশেষ মুহূর্তে বর-কনের দিকেই সবার নজর থাকে। আর তাই এ সময়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর দেখাতে চাই বিয়ের আগে থেকেই বিশেষ পরিচর্যা।

বর্তমান বিয়েগুলোতে এর আয়োজনের অধিকাংশ চাপই এসে পড়ে বর-কনের ওপর। বিয়ের শপিং, অনুষ্ঠান আয়োজন, প্ল্যানিং ছাড়াও নতুন জীবনে প্রবেশের ভয়ভীতিসহ নানা চিন্তা এসে মাথায় ভর করে। তাই সব মিলিয়ে উভয়ের চোখেমুখেই থাকে ক্লান্তির ছাপ। মুখ ও শরীরের ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই সবকিছুর মধ্যেই নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ত্বকের যত্নের পাশাপাশি বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে ভালো কোনো বিউটি স্যালনে গিয়ে ঠিক করে নিতে হবে গ্রুম শিডিউল।

বিয়ের আগে প্রস্তুতি হিসেবে ঘরে বসেই নিয়মিত কিছু যত্ন নেওয়া যেতে পারে :

ত্বকের যত্ন 

  •  ত্বক সতেজ ও সুন্দর রাখতে হলে আর্দ্রতা রক্ষা করতে হয়। বিয়ের আগে শরীর এবং ত্বকের সুস্থতায় প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব পানি পান করো ও ফল খাও।
  • ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধুতে হবে। এরপর মুখ শুকিয়ে এলে আবার টোনার দিয়ে মুখ মুছে নাও। এরপর তোমার ত্বকের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিও।
  •  ত্বকের মরা কোষ ঝরানোর জন্য ২ টেবিল চামচ ওটমিল ও অ্যালোভেরার জেল, ২ চা-চামচ চিনি এবং ১ চা-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিলিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে তিন মিনিট পর ভেজা ও নরম হাতে ম্যাসাজ করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নাও। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার মরা চামড়ার কোষ ঝরানো যেতে পারে।


চুলের যত্ন
প্রতিদিন একটি করে ডিম মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে পারো। অথবা তিনটি অ্যালোভেরার পাতা থেকে ভালো করে জেল বের করে নিয়ে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নাও। সপ্তাহে একবার করে তিন মাস এভাবে পরিচর্যা করতে থাকো।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নারকেলের দুধ, পাতিলেবুর রস ও নিমপাতা বাটা মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখো। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলো। শেষে দুধ ও মধুর মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নাও।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল লাগিয়ে এ প্যাকটি ব্যবহার করো। এক চামচ নারকেল তেল, এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক চামচ ভিনেগার, এক চামচ শ্যাম্পু, একটা পাকা কলা ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখো ৪০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলো।

পেডিকিওর-মেনিকিওর
হাত-পায়ের নখগুলো পছন্দমতো শেপে কেটে নখে ক্রিম লাগিয়ে নাও। একটি পাত্রে গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত-পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখো। তারপর তোয়ালে দিয়ে হাত ও পা মুছে নাও।

আরও কিছু টুকিটাকি

  • নিজেকে রিল্যাক্স রাখতে ভালো কোনো স্পা থেকে বডি ম্যাসাজ বা অ্যারোমা থেরাপি নিয়ে নিতে পারো।
  • মনের চাপ কমাতে বিয়ের আগে থেকে বিভিন্ন রকম এক্সারসাইজ করতে পারো।
  • বিয়ের আগের দিন হাতে মেহেদি লাগাও। বিয়ের সাজের দিন পারলারে যাওয়ার আগে ফুল কিনে রাখো।
  • শাড়ি, গহনা, জুতাসহ সব জিনিস সঙ্গে নিয়ে নাও।

মানসিক প্রস্তুতি
বিয়ের পর অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাই বিয়ের আগে থেকে বাস্তবতার দিকেও নজর দিতে হবে। মা কিংবা কাছের অভিজ্ঞ কেউ কনেকে ইতিবাচকভাবে জীবনের বাস্তবতা বুঝিয়ে বলতে পারো। ছেলেমেয়ে দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। তা হলে দাম্পত্যজীবনে অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। নিজের, পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের সব দিক বিয়ের আগে পারস্পরিকভাবে আলোচনা করলে বোঝাপড়ার শুরুটা ভালো হবে। প্রতিটি পরিবারের আলাদা নিয়মকানুন, আচার-ব্যবহার থাকে। সেসব আগে থেকে জেনে নিতে পারলে পরে নতুন সদস্যের বুঝতে সহজ হয়। এসব ক্ষেত্রে শুধু মেয়েরাই মানিয়ে চলবে তা নয়, ছেলের পরিবারকেও  এ বিষয়ে বড় ভ‚মিকা পালন করতে হবে।

শাশুড়ি নিয়ে অনেক মেয়ের মনে চিন্তা থাকে। বিয়ের আগে সুযোগ থাকলে মেয়ের সঙ্গে ছেলের পরিবার কথা বলে নিতে পারে। তবে শুরুতেই মেয়েকে নেতিবাচক কোনো বিষয় বলা উচিত নয়। বিয়ের আগে এবং পরে আমাদের জীবনে বেশ বড় পরিবর্তন হয়। তাই এ সময়টি পরিবারের সবার সঙ্গে উপভোগ করো। সব মিলিয়ে বিয়ের আগের সময়টাতে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করো।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

ছবি: ওমর ফারুক টিটু

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কান পেতে রইজীবনতুমিই রোদসীদেহ ও মনবিশেষ রচনারোদসীর পছন্দ

বয়স বাড়ছে!

করেছে Sabiha Zaman মে ১৮, ২০২০

কর্মব্যস্ত জীবন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস এসব মিলেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ। বয়স বেড়ে চলার সঙ্গে এসব রোগভোগের প্রকোপও বাড়তে থাকে। এদিকে ব্যস্ততার জেরে আমরাও সময় থাকতে নজর দিতে পারি না বিভিন্ন সমস্যার দিকে। ফলে একটা সময়ের পর ছোট সমস্যা বড়সড় অসুখের আকার নেয়। তুমিও এমন ভুল করছ না তো?

  • একসময় খেতে ভালোবাসতে, আজকাল আর ততটা খেতে পারো না। এমন হলে ‘নাক’কে নির্দোষ ভাববে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নাকের স্নায়ুতে সমস্যা তৈরি হলে গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা কমে আসে। ফলে খাবারের স্বাদও আর ভালো লাগে না, খাওয়া কমে। এমন হলে কমিয়ে ফেলো অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। এতে নানা অসুখের সঙ্গে গন্ধ নেওয়ার শক্তিও হ্রাস পায়।
  • এমনিতে দেখতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু অফিসে একটানা কম্পিউটারে কাজের মাঝে বা অনেকক্ষণ মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই অনেকগুলো স্পট বা দাগ দেখতে পাও? কিংবা পানি বা দানার মতো কিছু চোখের চারপাশে ঘুরে বেড়া্চছে বলে মনে হয়? তাহলে বুঝবে সময় হয়েছে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার। নইলে বয়সের সঙ্গে রেটিনার সমস্যাও আসবে।
  • হাঁটুতে মাঝেমধ্যে খিঁচ লাগছে কিংবা ওপর-নিচ করতে গেলে হাঁটু ভাঁজ করতে কষ্ট হচ্ছে? এমনটা হলে প্রথম থেকেই অস্থি ও স্নায়ু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও। বিশেষ করে মেনোপজের পর মেয়েরা অবশ্যই হার্ডর যত্ন শুরু করে দাও। নইলে অস্টিওআর্র্থ্রাইটিস বা রিউম্যাটিকের ব্যথা শুরু হতে দেরি হবে না।
  • বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের প্রভাবেও নানা রোগের শিকার হতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম চুলের সমস্যা। একটা সময়ের পর চুল পাতলা হয়ে আসাই স্বাভাবিক। ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরনের কম ক্ষরণই এর জন্য দায়ী। চুল পাতলা হতে শুরু করলেই ঘরোয়া যত্ন নাও চুলের। সঙ্গে পরামর্শ নাও বিশেষজ্ঞদের। অকালে টাক পড়া থেকে বাঁচা তাহলে কঠিন হবে না।
  • আজকাল মুখের ভেতরটা প্রায়ই শুষ্ক লাগে, জিভ শুকিয়ে আসে? ডায়াবেটিস হলেও অনেকের এমন হয়। তবে অনেক সময়ই দেখা যায় অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হচ্ছে। মহিলাদের মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ কমায় মিউকাস মেমব্রেনগুলো তাদের আর্দ্রতা খুইয়ে ফেলে। এই সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নাও।
  • বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও কোলাজেনের ঘাটতি নখকে পাতলা ও ভঙ্গুর করে দেয়। ঘন ঘন নখ ভেঙে গেলে বুঝবে, ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটছে। তাই ডায়েটে যোগ করো ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার।
  • মাঝেমধ্যেই ঘুম ভাঙা কিংবা একবার ঘুম ভাঙলে ঘুম আর আসতে না চাওয়া, দুটোই বয়সজনিত সমস্যার অন্যতম। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি কম, ভুল জীবনশৈলী এগুলোই এর কারণ। এই সমস্যা বাড়াবাড়ির আকার নিলে তা স্নায়ুর অসুখ, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, ত্বকের নানা সমস্যা ডেকে আনে। কাজেই এমন সমস্যা এলে তা মেটাতে চিকিৎসকের সাহায্য নাও।
  • আগে অনেক কিছু মনে রাখতে পারতে। আজকাল আর পারছ না। এমন হলে জানবে তা বয়সজনিত কারণেই ঘটছে। মস্তিষ্কের কাজ করার প্রবণতা কমায় এমনটা হয়। অনেক সময় শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ না পেয়েও এমন প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাই মস্তিষ্ককে সচল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করো ও ডায়েটে রাখো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার।
  • সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, অল্পেই হাঁপিয়ে যাওয়া এগুলো সবই শরীরের কলকবজাগুলো পুরোনো হয়ে যাওয়ার ফল। তাই হার্টকে সচল রাখতে ও পেশিশক্তি বাড়াতে ডায়েটে যোগ করো দরকারি প্রোটিন। প্রয়োজনে তোমার শরীরে কতটুকু ব্যায়াম নিরাপদ, তা বিশেষজ্ঞদের থেকে জেনে সেইমতো শরীরচর্চা করো।
  • দাঁতের নানা সমস্যায় জেরবার হওয়ার সময়ও এটা। বয়স ৪০ পেরোলেই এ ধরনের সমস্যাগুলো হাজির হয়। তাই মাঝেমধ্যে দাঁতের অবস্থা বুঝে স্কেলিং বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাও। বছরে একবার কোনো সমস্যা না থাকলেও দাঁতের চেকআপ করিয়ে নাও।
  • পায়ের আঙুলগুলো বয়সের সঙ্গে হলুদ হয়ে এলে তাকে স্রেফ ক্যালসিয়ামের অভাব বলে ধরবে না। শ্বাসযন্ত্রে কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিলেও এমনটা হয়। তাই পায়ের নখ হলুদ হয়ে এলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণ নাও।

লেখা :  রোদসী ডেস্ক

ছবি : ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কর্মক্ষেত্রকান পেতে রইখেলাধুলা

ক্যারিয়ার যখন স্পোর্টস

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২০

প্রতিটি মানুষের ভালো লাগা, ইচ্ছগুলো আলাদা। আর এ ভালো লাগার কাজ করে পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউবা ব্যবসায়ী আর কেউ শিক্ষক, নয়তো ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমান সময়ে ছকে বাঁধা মনোভাব পরিবর্তন করে অনেকেই হতে চায় ভিন্ন কিছু যেমন, খেলোয়াড়, ডিজিটাল মার্কেটার, সাংবাদিক, ইমেন্ট প্ল্যানার ইত্যাদি পেশা।

অনেকের কাছেই খেলাধুলা স্বাস্থ্যকর বিনোদন বা সময় কাটানো নয়। বরং পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় স্পোর্টস বা খেলাকে। বর্তমান সময়ে স্পোর্টসে রয়েছে সম্মানজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্পোর্টস শুধু শখ নয়, বরং সময়ের সঙ্গে স্পোর্টস এখন ওদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার। যদি তোমার মনে সুপ্ত ইচ্ছে থাকে ক্যারিয়ার গড়বে স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডে, তবে বেশি না ভেবে নিজেকে তৈরি করো।

খেলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নাও। তবে এটি প্রচুর খ্যাতি এবং অর্থও দেয় আর বিশ্বভ্রমণের সুযোগ তো রয়েছেই। এ ছাড়া বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে আয় করার সুযোগ রয়েছে অনেক। আমাদের দেশে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা পণ্যদূত হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়।

 

বিভিন্ন খেলাকে তুমি ক্রীড়া ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারো যেমন : ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, ফুটবল, বাস্কেটবল, জিমন্যাস্টিকস, হকি, টেবিল টেনিস, রেসলিং, তিরন্দাজ, সাইক্লিং ইত্যাদি। ক্যারিয়ার বাছাই করতে গেলে কিছু বিষয় তোমার জানতে হবে, সেসব জানাব এখন।

বিকেএসপি

ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রীড়াশিক্ষা কেন্দ্র, যেটি সংক্ষেপে বিকেএসপি নামে পরিচিত। এখানে ১৭টি ক্রীড়া বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে। বিকেএসপির মূল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় উ”চমাধ্যমিক পর্যন্ত। তবে স্নাতক ও বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিতেও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় সপ্তম শ্রেণিতে। বিশেষ ক্রীড়া যোগ্যতাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের জন্য বয়স ও উচ্চতা শিথিল করা হয়।

 

পেশা হিসেবে ক্রিকেট

সময়ের ব্যবধানে ক্রিকেট শখ থেকে পেশায় রূপ নিয়েছে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর খ্যাতি আর অর্থ উপার্জনের সুযোগ। লাইফস্টাইল মিনিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ধনী ক্রিকেটারদের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, যার আয় ১১৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। তালিকার দ্বিতীয় বিরাট কোহলির আয় ৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের  বেতনকাঠামোর চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ’এ প্লাস’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ৪ লাখ টাকা করে,  ’এ’ শ্রেণিতে ৩ লাখ, ’বি’ শ্রেণির ক্রিকেটাররা ২ লাখ টাকা করে পাবেন। রুকি শ্রেণির ক্রিকেটারদের ১ লাখ টাকা করে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের আয়ও কম না।

 

’এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিকেটার হতে চাইলে এখন থেকেই অনুসরণ করতে হবে। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করতে পারো। এরপর ধীরে ধীরে কাজের সুযোগ বাড়তে থাকবে। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, আবাহনীসহ বিভিন্ন ক্লাব রয়েছে। এ ছাড়া তোমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দলে সঙ্গে যুক্ত হয়েও খেলা শুরু করতে পারো।

ফুটবলার হতে চাইলে :

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় খেলোয়ারদের মধ্যে রয়েছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, মোহামেদ সালাহ প্রমুখ। আমাদের দেশে জাতীয় দলের পাশাপাশি নারীরাও অনেক ভালো ফুটবল খেলে বিজয়ী হয়ে দেশে ফিরছেন।

 

ভালো খেলোয়াড় হতে হলে তোমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নিয়মিত করতে হবে অনুশীলন। পৃথিবীর নামীদামি খেলোয়াড়দের বিভিন্ন আক্রমণাত্মক শুট এবং তাদের খেলার কলাকৌশল ফলো করতে পারো। তুমি চাইলে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে পারো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিভিন্ন সময় ফুটবল প্রশিক্ষণ, ক্যাম্প এবং ট্যালেন্ট হান্টের আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ও স্থানীয় ক্লাব এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ফুটবল প্রশিক্ষণ, ক্যাম্প এবং প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিশ্বের সব দেশেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল অনেক বেশি। এবার নেপালে ১৩তম গেমসে সব ছাপিয়ে রেকর্ড ১৯টি সোনা পেয়েছে বাংলাদেশ আর সঙ্গে রেকর্ডসংখ্যক ৩৩টি রুপা ও ৯০টি ব্রোঞ্জ।

খেলোয়াড়দের সামাজিক মর্যাদাও অনেক বেশি। তাদের সবাই সম্মান করে তাদের অর্জনের জন্য। কারণ, তারা দেশের জন্য বয়ে আনেন সম্মান।

জনপ্রিয় মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস বিশ্বের ১০০ ধনী খেলোয়াড়ের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকার শীর্ষ ৫ খেলোয়াড়ের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন টেনিস খেলোয়াড় রজার ফেদেরার। সুইস এই তারকা ক্যারিয়ার-জীবনে ইতিমধ্যে ১২৪ মিলিয়ন ডলার প্রাইজ মানিই অর্জন করে ফেলেছেন। চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন বক্সিং তারকা ক্যানেলো আলভারেজ।

 

২০১৮ সালে তার আয় দাঁড়িয়েছে ৯৪ মিলিয়ন ডলার। সাবেক বার্সা তারকা নেইমার ২০১৮ সালে ১০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে আছেন তৃতীয় স্থানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০০ মিলিয়নের বেশি। শীর্ষ স্থানটি দখল করে আছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি, যার আয় ছিল ১২৭ মিলিয়ন ডলার। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত ও অর্থ উপার্জনকারী খেলোয়াড়।

তুমি যে পেশাতেই জীবন গড়তে চাও না কেন, তোমার ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতেই হবে। আর সঙ্গে হতে হবে পরিশ্রমী। তাহলে যেকোনো পেশাতেই সফলতার হাসি হাসবে তুমি।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

 

0

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কান পেতে রইজীবননারীসচেতনতা

বন্ধ্যাত্ব রোধের দাওয়াই

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২০

গর্ভসঞ্চার হচ্ছে না। ডাক্তার বলেছেন, সমস্যা রয়েছে কেবল ডিম্বাণুতে। এমন হলে কিছুদিন  ফার্টিলিটি ডায়েট করে দেখো কী হয়। তেমন কিছু নয়, দৈনন্দিন যে খাবার খাও, তাতে সামান্য রদবদল আনলেই হবে। ভাত-ডাল-রুটি-পাস্তা তো এমনিই খাছচিলে, সেগুলোকে হোল গ্রেনে বদলে ফেলো। অর্থাৎ লাল বা বাদামি চালের ভাত, খোসাওয়ালা ডাল, আটার রুটি, হোল গ্রেন পাস্তা-নুডলস ইত্যাদি খাও। অপকারী ফ্যাট ছেঁটে উপকারীদের দিকে মন দাও। মাছ-মাংস-ডিমের পাশাপাশি ডাল-রাজমা-ছোলা-দুধজাতীয় নিরামিষ প্রোটিন খাও। মাছ-মাংসও খাও। মাঝেমধ্যে এক-আধ স্কুপ আইসক্রিমও খেতে পারো।

ভাবছ, এত আরামের ডায়েটে কাজ হবে কি না! তাহলে শোনো,নার্সেস হেলথ স্টাডি নামের স্টাডিতে আট বছর ধরে আট হাজার বন্ধ্যা মহিলার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবে বিজ্ঞানীরা এই ডায়েট বানিয়েছেন। এবং তাতে কাজ হয়েছে আশাতীতভাবে। ফার্টিলিটি ডায়েট খেলে ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মানের উন্নতি হয়। আশঙ্কা কমে হাই কোলেস্টেরল-প্রেশার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোকজাতীয় অসুখ-বিসুখের। ওজন বশে থাকে। তবে ডাক্তার দেখানো যেন বন্ধ করে দেবে না। তাঁর কথামতো চলো, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও, ওষুধপথ্য খাও। সঙ্গে খাও এই ডায়েটও। চিকিৎসার ফলাফল অনেক ভালো হবে।

ট্রান্স ফ্যাট বাদ দাও, ডিম্বাণুর ক্ষতি করা থেকে শুরু করে হাইকোলেস্টেরল, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ওজন বাড়া ইত্যাদি সবকিছুর মূলে আছে তার হাত। অতএব যে কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেক্ড খাবার, বনস্পতি, মার্জারিন, ভাজাভুজি খাওয়ার আগে দুবার ভেবে দেখো।

মুফা ও পুফাসমৃদ্ধ খাবার খাও, ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা ঠেকায় এরা। কমায় শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহের আশঙ্কা। সবে মিলে উপকার হয় ডিম্বাণুর। অতএব বিভিন্ন সবজিজাত তেল যেমন সর্ষে, সূর্যমুখী, সয়াবিন, অলিভ ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ, অ্যাভোক্যাডো, ঠান্ডা পানির মাছ, বিশেষ করে স্যামন, সার্ডিন, ইলিশ খাবে মাপমতো। স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার যেমন ঘি-মাখন, ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাংস ইত্যাদি কম খাবে।

পর্যাপ্ত উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাও। মাছ-মাংস-ডিমের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে মটরশুঁটি, বিনস, সয়াবিন, টোফু, পনির, বাদাম, বীজ ছোলা, রাজমা ইত্যাদি। বেশ ভালো পরিমাণে। উপকারী কার্বোহাইড্রেট খাও, চট করে হজম হয়ে রক্তে মিশে যায় এমন কার্বোহাইড্রেটের (সরল) বদলে খাও ধীরগতিতে হজম হয় এমন কার্বোহাইড্রেট (জটিল) এতে রক্তের সুগার লেভেল ঠিক থাকে। ঠিক থাকে ইনসুলিনের কার্যকারিতা। আর তাতে ভালো থাকে ডিম্বাণুর মান। কাজেই হোল গ্রেন, শাকসবজি-ফল, বিনস ইত্যাদি খাবে। বাদ দাও সাদা চালের ভাত, ময়দা, চিনি, মিষ্টি, ফলের রস ইত্যাদি।

দুধ খেতে হবে মাখন না তুলে, অর্থাৎ স্কিমড দুধের বদলে খাও হোল মিল্ক, ফুল ফ্যাট ইয়োগার্ট, এমনকি মাঝেমধ্যে আইসক্রিমও। আরও খাও মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, বিশেষ করে ফলিক অ্যাসিড, দিনে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম করে। ডিম্বাণুর মান উন্নত করে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে এর ভূমিকা আছে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করো, যেমন হোল গ্রেন সিরিয়াল, পালং, বিনস, কুমড়ো, টমেটো, বিট ইত্যাদি খেলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কম থাকে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মিষ্টি স্বাদের ঠান্ডা পানীয় নয়, তার বদলে ঠান্ডা পানি খাও। চা-কফি এমনকি মদের অভ্যাস থাকলে সেটিও খেতে পারো মাত্রা রেখে। কিন্তু সফট ড্রিংক্স মোটে নয়। ডিম্বাণুর সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া ওজন খুব বেশি বা খুব কম থাকলে পিরিয়ডের গোলমাল হতে পারে। তার হাত হবে শুরু হতে পারে ডিম্বাণুর সমস্যা। কাজেই ওজন যথাসম্ভব ঠিক রাখার চেষ্টা করো। বিএমআই (ওজনের সূচক) ২০-২৪-এর মধ্যে থাকলে সবচেয়ে ভালো। সঠিক খাবার খেয়ে ও হালকা ব্যায়াম করে ধীরে ধীরে ওজন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করো। ব্যায়াম করতে হবে। তবে মাত্রা রেখে৷ দিনে ৪০-৪৫ মিনিট কি বড়জোর ঘণ্টাখানেক।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook