রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

গার্ডেনিং

অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যা

শীতের বাগানের যত্নআত্তি

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

হিম হিম শীতে উষ্ণতার পরশে শরীরে এক ধরনের আলস্যতা দেখা দেয়। আমাদের কাজের গতিও অনেকটা শ্লথ হয়ে আসে। ঠিক আমাদের মতোই প্রকৃতির এই বিমূর্ত চেহারার সাথে আমাদের শখের বাগানের কার্যকলাপেও অনিবার্য ধীরগতি আসে। প্রিয় গাছের পাতার রঙ ফ্যাকাসে হয়ে আসে বা তাদের পাতা ঝরে যেতে পারে। বাগানের এই ধীরতায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে কিছুই করতে হবেনা। এই সময়ে যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করি তবে শীত শেষে যে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটবে, তখন একটি সুন্দর বাগান রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে কীভাবে বাগানের যত্ন নেয়া যাবে তার কিছু টিপস শেয়ার করছি।

রোগাক্রান্ত গাছপালা পরিষ্কার

যদিও অনেক পুরোনো এবং মরা গাছ পচে মাটিতে মিশে পরবর্তীতে পুষ্টি যোগানের কাজ করে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে এগুলোতেও কিছু কিছু রোগ, কীটপতঙ্গ এবং ছত্রাক আশ্রয় করতে পারে। এই মরসুমে যদি গাছের ক্রমবর্ধমান রোগের কোন লক্ষণ লক্ষ্য করে থাকো তবে সেগুলো এখনই অপসারণ করে ফেলতে হবে। আর বাকিগুলো মাটির সুরক্ষা প্রদানের জন্য ছেড়ে দাও।

মালচিং করা

কিছু গাছ আছে যেগুলো হার্ডি প্রকৃতির, সেগুলোকে শীতের জন্য প্রস্তুত করতে খুব বেশি প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবেনা। কিন্তু এমন অনেক গাছ আছে বিশেষ করে নতুন গাছ, যাদের এখনও মাটি ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য শিকড় নেই; সেসব গাছের জন্য প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া ক্ষতি করতে পারে। এর প্রতিকার করতে, গাছের চারপাশে কাটা পাটা, খড় বা অন্যান্য মালচের একটি ৬ ইঞ্চি পুরু স্তর যোগ করো। এটি মাটির তাপমাত্রা মাঝারি করতে সাহায্য করবে। কখনও কখনও গাছের মৃত পাতাগুলো তার মুকুট এবং শিকড়গুলোকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তাই শীতের জন্য বাগান প্রস্তুত করার সময়, পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত তাদের জায়গায় রেখে দাও।

বসন্তের জন্য মাটি সংশোধন

মাটি সংশোধনের এই কাজটি বেশিরভাগ লোকেরা বসন্তের জন্য তুলে রাখে। কিন্তু সার এবং কম্পোস্টের মতো মাটির সংশোধন বা হাড় গুঁড়া, কেল্প এবং রক ফসফেটের মতো জৈব সার যুক্ত এখনই করা যেতে পারে। শীতের আগেই এই সময়ে পুষ্টি যোগ করার অর্থ হল তা মাটিকে সমৃদ্ধ করার এবং জৈবিকভাবে সক্রিয় হওয়ার অনেক সময় পাবে। একবার মাটি সংশোধনের কাজ করলে, তাতে মালচিং করে দিতে পার অথবা কভার দিয়ে রাখতে পারো। এতে তীব্র শীতে এর মূলে কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। নতুন রপণের আগে বসন্তের শুরুতে মালচ সরিয়ে ফেললেই হবে।

টেন্ডার বাল্ব খনন

কিছু গ্রীষ্মকালীন জনপ্রিয় ব্লুমার গাছ রয়েছে যেমন গ্লাডিওলাস, ক্যানাস, ডালিয়াস যেগুলো টেন্ডার বাল্ব নামে পরিচিত। এই গাছগুলো প্রচন্ড শীতে বেঁচে থাকেনা। তবে তুমি যদি এই গাছগুলোকে আরও এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে চাও তবে সেগুলোকে ঠান্ডা আবহাওয়ার বাইরে রাখতে হবে। এগুলো সংরক্ষণের জন্য আলতো করে বাল্ব বা কন্দগুলো খনন করে নিতে হবে। পাতাগুলো কেটে ফেলে মাটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে পানি দিয়ে ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, নয়তো এগুলে পচে যেতে পারে। এক সপ্তাহ এগুলোকে খোলা জায়গায় ফেলে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে তারপর তা সংরক্ষণ করে রাখলেই হবে।

পানি দেয়া

শীতকালে গাছে অতিরিক্ত আনি না দেয়াই ভালো। মাটি সহজেই শুকায় না বলে শিকড় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে তাই বলে মাটি একদম খটখটে শুকনোও হলে চলবেনা। তাই পানি দেয়ার সময় মাটি চেক করে তারপর প্রয়োগ করতে হবে। ঘরের টবে পানি দেয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা যায়। এতে বাড়তি পানি নষ্ট হবেনা।

ছাটাইকরণ

শীতের শুরুতে বা শীতের সময় গাছে ছাঁটাই না করাই ভালো। এই সময় গাছ খুব ধীরগতিতে বাড়ে। তবে শীত বেশি হলে অনেক গাছ মরে যেতে পারে। এমন হলে খানিকটা ছেটে দেয়া যেতে পারে, যাকে বলা হয় প্রুনিং।  শীত কমে গেলে নতুন পাতা গজিয়ে সতেজ হয়ে উঠবে শখের গাছটি।

কীটনাশক স্প্রে

শীতে মাটির ছত্রাকজনিত রোগ খুব বেশি পরিমানে বাড়ে। তাই শুরুতেই ছত্রাক্রোধী কীটনাশক গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে দিতে হবে। গাছের পাতাতেও কীটনাশক স্প্রে করা যেতে পারে। মাসে দুইবার কীটনাশক ব্যবহার করা উচিৎ।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যা

শীতের নজরকাড়া ফুলের সমাহার

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

সময়ের পালাবদলে এক একটি ঋতু তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয়। চারদিকের হিম হিম ভাব নিয়ে শীত ঋতুর আগমন ঘটে। হিমেল হাওয়া সাথে খেজুরের রস, ফ্রেশ সবজী সবকিছুর জন্যই এই ঋতু অনেকের কাছেই প্রিয়। তবে এ সময়ে সবচেয়ে আবেদনময় হয়ে উঠে যা তা হোল রুক্ষ পরিবেশে জেগে উঠা শীতের সব নজরকাড়া ফুলগুলো। শিশির ভেদ করে জানান দেয় তাদের রুপের বাহার। ঘরের এক চিলতে বারান্দায় বা আঙিনায় যারা বাগান করতে ভালোবাসে তাদের জন্য শীতকাল হাজির হয় নানা রঙবেরঙের ফুলের ডালি নিয়ে। অল্প জায়গায় লাগানো যায় এমন কিছু শীতের ফুল নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের লেখাটি।

গাঁদা

বাগান আলোকিত করার জন্য যে  বাহারি ফুলের উপস্থিতি বেশি দেখতে পাওয়া যায় তা হলো গাঁদা। এটি মূলত বিদেশি ফুল। এর আদি নিবাস মেক্সিকোতে। ভারত ও বাংলাদেশে গাঁদার পাঁচটি জাত রয়েছে। বড় ইনকা গাঁদা, ছোট চায়না গাঁদা, রক্ত গাঁদা, দেশি গাঁদা এবং জাম্বো গাঁদা। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এর বীজ দ্রুত অঙ্কুরিত হয় এবং প্রায় ৮ সপ্তাহের মধ্যে ফুল ফোটে। এজন্য নতুন বাগানীদের জন্য বাগান প্রকল্প করার ক্ষেত্রে এই গাছ হতে পারে আদর্শ।

ডালিয়া

শীত মৌসুমের আরেকটি জনপ্রিয় ফুল হচ্ছে ডালিয়া। এদের চমৎকার বিন্যাস ও সৌন্দর্য সহজেই সকলকে মুগ্ধ করে। সুদূর মেক্সিকো থেকে আগত এটি একক ও যুগ্ম উভয় ধরনের ফুল রয়েছে। কোনটা একরঙা আবার কোনটায় একাধিক রঙের মিশেল থাকে। ডালিয়া মূলত কিছুটা বড় আকারের হলেও ছোট সাইজের ডালিয়াও পাওয়া যায়।

চন্দ্রমল্লিকা

চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি প্রতিশব্দ ক্রিস্যানথিমাম, ক্রিসস অর্থ ‘সোনা’ এবং এনথিমাম অর্থ ‘ফুল’। এর আদি নিবাস চীন হলেও এটি জাপানের জাতীয় ফুল। নানা রঙবেরঙের এবং শতাধিক প্রজাতির দেখতে পাওয়া যায় এই ফুলের। বিভিন্ন রঙের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে। একদম ছোট সাইজ থেকে শুরু করে মাঝারি সাইজ পর্যন্ত হয়।

কসমস

এই ফুলকে মেক্সিকান এষ্টার বলেও ডাকা হয়। ভিক্টোরিয়ান সময়ে শ্লীলতার প্রতীক ছিল কসমস। ৯০ থেকে ১২০ সেমি লম্বা ও চিকন ডাঁটার উপর স্বল্প পাপড়ি বিশিষ্ট এই ফুলটি গোলাপির বিভিন্ন শেড, বেগুনি, ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এর বিভিন্ন জাত এবং রঙের জন্য এটি শীতকালীন আবহাওয়ায় উদ্যানগুলোতে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে জনপ্রিয়।

পিটুনিয়া

শীতকালীন শখের বাগান যার অনুপস্থিতিতে পূর্নতা পায়না তা হল শীত বাগানের রানী পিটুনিয়া। আফ্রিকা ও আর্জেন্টিনার ফুল হলেও আমাদের দেশে শীত মৌসুমে এটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডবল পিটুনিয়া, যেটা থোকায় থোকায় ফুল দেয়; যদিও এই প্রজাতি কিছুটা কমই ফোটে। আরেকটি হল অনেকটা চোঙ আকৃতির, যা মোটামোটি পুরো মরসুম জুড়ে ভরে থাকে। এই ফুল গাছের যত্নের উপর ভিত্তি করে গাছে ফুলের সংখ্যা এবং আকৃতি স্থির হয়।

এসব ফুল গাছ ছাড়াও জিনিয়া, কৃষ্ণকলি, গ্যাজানিয়া এমন আরও অনেক গাছ বাগানে শোভা বর্ধনের জন্য ব্যবহার করা যায়। ওয়েল ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহকারে মাটি প্রস্তুত এবং সঠিক নিয়মে পানি ও পরিচর্যার মাধ্যমে বাগানকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলা যায়।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যা

বাথরুমে সবুজের ছোঁয়া

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

সবুজ দিয়ে ঘর সাজাতে বারান্দা ছাড়াও প্রথমে আমরা যে স্থানগুলো নির্বাচন করি তা হলো বেডরুম, ড্রয়িং রুম বা লিভিং রুম। আমরা প্রায়শই বাথরুমে প্রচুর গাছপালা দেখতে পাইনা, কারন সেখানকার পরিবেশ কিছুটা ওয়াইল্ডকার্ডের মতো। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা,সুর্যালোকের স্বলতা বা আধিক্যতা এই সব নিয়ামক প্রভাবিত করে। সৌভাগ্যবশত এমন কিছু প্ল্যান্টস আছে যা এই পরিবেশেও ভালোভাবে টিকে থাকে।  

বাথরুমে প্ল্যান্টস যোগ করা একটি আলঙ্কারিক মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কিছু উদ্ভিদের বায়ু বিশুদ্ধ করার গুণও রয়েছে। তবে সমস্ত গাছপালা যে এই স্থানের জন্য উপযুক্ত তা কিন্তু নয়, এক্ষেত্রে এর জন্য উপযুক্ত বিকল্পগুলো নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। কোন ক্যাটাগরির গাছ এই খাতে পড়ে? বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমের জন্য সেরা হল ক্রান্তীয় প্রকৃতির গাছপালা। এই স্থানটি বাসার অন্যান্য স্থানগুলোর তুলনায় কিছুটা আলাদা। শাওয়ার থেকে আসা আর্দ্রতা, জানালার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পাওয়া সূর্যালোক সবকিছু এখানে ভিন্ন থাকে। এইজন্য বাথরুমে গাছ যোগ করার আগে তাদের মাটি, আলো এবং পানির চাহিদা সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নিলে ভালো হয়। বাথরুম সাজাতে এমন কিছু গাছের ধারনা দেয়া হল-

সাকুলেন্টস

নাম দেখেই চমকে উঠলে? সাকুলেন্টস, যে কিনা এত নাজুক প্রকৃতির সেটা আবার বাথরুমে? সাকুলেন্টের মধ্যে এমন কিছু প্রজাতি আছে যা বাথরুমে ভালো কাজ করে। আমাদের খুব পরিচিত অ্যালোভেরা এবং এলিফেন্ট বুশের মত সাকুলেন্টগুলো বাথরুমের জন্য দূর্দান্ত। খুবই কম যত্ন এবং কম পানির মধ্যে এগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। অ্যাালোভেরা উজ্জ্বল আলো পছন্দ করে। তাই তা ভেন্টিলেটরের কাছে হ্যাংগিং টবে ঝুলিয়ে দিতে পারো।

পোথোস

যেহেতু, পোথোসগুলো মাঝারি থেকে কম, পরোক্ষ আলো পছন্দ করে, তাই এটি বাথরুমের শেলফ বা কাউন্টারে রাখার জন্য উপযুক্ত। যদিও পোথোতে অতিরিক্ত আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়না, তবে এটি একটি বাথরুমের জন্য একটি দূর্দান্ত বাছাই কারণ এটি নিম্ন আলোর মাত্রা এবং অতিরিক্ত পানি সহনশীল।

এয়ার প্ল্যান্ট

এয়ার প্ল্যান্ট বাথরুমে সংযোজন করা একটি চমৎকার লুক দিবে। বাথরুমে যে আর্দ্রতা বজায় থাকে, তা এয়ার প্ল্যান্টের জন্য পারফেক্ট। এছাড়াও, প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তারা তোমার সৃজনশীলতার জন্য আরও জায়গা ছেড়ে দেয়, কারণ তাদের প্ল্যান্টার বা কোন ধরনের পাত্রের প্রয়োজন হয়না। পানি এবং পুষ্টি শোষণ করার জন্য এরা শিকড় ব্যবহার করার পরিবর্তে, বায়ু থেকে উভয়ই শোষণ করে। এরা উজ্জ্বল,পরোক্ষ আলো এবং উচ্চ আর্দ্রতা সহ এমন পরিবেশে সুন্দর বেড়ে উঠে। তাই তোমার বাথরুমে যদি বড় রৌদ্রোজ্জ্বল জানালা থাকে, তবেই এই প্ল্যান্টস এড করতে পারো।

ফার্ণ

ফার্ণ প্রজাতির গাছগুলো খুব বেশি আর্দ্রতার মধ্যে ভালো বেড়ে উঠে। বাথরুম এমনিতেই আর্দ্রতাপূর্ণ স্থান, যার কারনে এই গাছ সেখানে সহজেই বেড়ে উঠবে।

স্নেক প্ল্যান্ট

স্নেক প্ল্যান্ট এমন এক গাছ যাকে সহজে মেরে ফেলা প্রায় অসম্ভব। এটি বাথরুমের জন্য দূর্দান্ত, নন-ফিনিকি একটি বিকল্প। এটি উজ্জল আলোতে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তবে কম আলোও সহ্য করতে পারে। এর উৎপত্তি পশ্চিম আফ্রিকায়, তাই এটি মরুভূমির মতো পরিস্থিতিতেও পরিচালনা করতে পারে। এর পানির রিকোয়ারমেন্টও কম থাকে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

স্পাইডার প্ল্যান্ট হল আরেকটি নো-ফাস বিকল্প। তারা কম আলো বা উজ্জ্বল আলো সহ্য করতে পারে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে নেই, এতে স্পাইডার প্ল্যান্টস ঝলসে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তারা একটু আর্দ্রতা পছন্দ করে, তাই শাওয়ারের জায়গা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট।

ক্যালাথিয়া

বেশিরভাগ ক্যালাথিয়া আর্দ্র পরিবেশে বেড়ে উঠে, তাই এটি তোমার বাথরুমকে সুন্দর করার জন্য একটি দুর্দান্ত চয়েস। এবং এটি যেহেতু মাঝারি, পরোক্ষ আলো উপভোগ করে, তাই বাথরুমের জানালা কতটুকু ছোট বা গাছটি জানালা থেকে বেশি দূরে রাখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। কম আলোতে সহনশীল বলে এই গাছ সবারই পছন্দের।

অর্কিড

রঙবেরঙের অর্কিডও বাথরুমের শোভা বাড়াতে পারে। বাথরুমের ভেন্টিলেটরের পাশে অর্কিড রাখো অর্থাৎ যেখান দিয়ে পরোক্ষভাবে আলো আসে।

প্ল্যান্টস নির্বাচনের আগে বিবেচ্য বিষয়

বাথরুমে গাছপালা দিয়ে সাজানোর আগে এই চেকলিস্টটি মাথায় রাখতে হবে-

-উচ্চ আর্দ্রতায় সমৃদ্ধ এবং আর্দ্রতা সহ্য করতে পারে এমন গাছগুলো বেছে নিতে হবে।

-নিশ্চিত করতে হবে বাথরুমে একটি জানালা আছে যা থেকে প্রাকৃতিক আলো আসার পথ আছে। বাথরুমে যদি জানালা না থাকে, তাহলে একটি জীবন্ত উদ্ভিদ সম্ভবত সেরা ধারণা হবেনা। একটি প্ল্যান্টকে কিছু সময়ের জন্য হয়তোবা আলো থেকে দূরে রাখা যাবে তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। আলো উদ্ভিদের জন্য খাদ্য এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন।

-যেখান থেকে পানি সরাসরি আঘাত করার চান্স থাকে সেখান থেকে গাছপালা দূরে রাখতে হবে।

-ড্রেনেজ ছিদ্রযুক্ত প্ল্যান্টার বেছে নিতে হবে বা এপিটাফের মতো এয়ার প্ল্যান্টারের সাথে যাও যার জন্য এক্সট্রা প্ল্যান্টারের প্রয়োজন হয়না।

এইসব বিষয় মাথায় রেখে তোমার পছন্দের গাছটি বেছে নাও আর বাড়িয়ে তুলো। হ্যাপি গার্ডেনিং।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যা

সহজেই জন্মানো যায় যেসব ভেষজ

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ১০, ২০২২

শায়লা জাহান

 

শহরের ইট-কাঠ-পাথরের দেয়ালে একটুখানি সবুজ চোখের প্রশান্তির সাথে সাথে মনও ভরিয়ে দেয়। ছাদে পর্যাপ্ত জায়গা না পেলেও রুমের সাথে লাগোয়া বারান্দায়ও ভরিয়ে দেয়া যায় সবুজ দিয়ে। বিভিন্ন গাছ লাগানোর পাশাপাশি যেসব সুগন্ধী পাতা আমরা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি, চাইলে তাও চাষ করা যাবে তোমার ছোট্ট ব্যালকনিতে। সহজেই চাষ করা যায় এমন কিছু ভেষজ উদ্ভিদের ব্যাপারে আমরা আজ জানবো।

তুমি যদি গার্ডেনিং এর ব্যাপারে নতুন হও অথবা অভিজ্ঞ হও এবং তোমার কালেকশান বাড়াতে চাও; তবে হার্বস বা ভেষজ উদ্ভিদ এইক্ষেত্রে একটি পারফেক্ট চয়েস হবে। যখন সঠিক পরিমানে সূর্যালোক, পর্যাপ্ত পানি এবং মাঝে মাঝে সার প্রয়োগ করা হয় তখন ভেষজগুলো তোমাকে রান্নাযোগ্য ও ঔষধি গুণসম্পন্ন তরতাজা প্রচুর ফলন উপহার দিবে। এই ভেষজ উদ্ভিদগুলো রান্নার জগতে একটি পার্থক্য তৈরি করে এবং বাগান থেকে সরাসরি আমরা যা পাই তা বাজার থেকে কিনে আনারগুলোর থেকে অধিকতর তাজা এবং অর্গানিক এর নিশ্চয়তা প্রদান করে। এমন কিছু সহজসাধ্য হার্বস এর উদাহরন দেয়া হল-

তুলসী

তুলসী বীজ থেকে জন্মানো সহজ এবং এটি ভূমধ্যসাগরীয় রন্ধনপ্রণালীতে একটি জনপ্রিয় ভেষজ। রোপনের জন্য নিখুঁত স্থান নির্বাচন করার সময়, এমন জায়গা বেছে নাও যেখানে ভালো নিষ্কাশন এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক ব্যবস্থা আছে। তুলসী গাছ এমন এক গাছ যেটা যত বেশি কাটা হবে, ততই এটি বাড়বে। ইতালীয় সস বা ফ্রেশ পেস্টো বানাতে এগুলো যোগ করা যেতে পারে।

পুদিনা

ভিয়েতনামী পুদিনা, স্পিয়ারমিন্ট এবং পেপারমিন্ট সহ প্রায় দুই ডজন প্রজাতি এবং সাত হাজারেরও বেশি জাত রয়েছে পুদিনার, যা তাদের স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সামান্য পরিবর্তিত হয়। সব ধরনের পুদিনার বিস্তৃত, সবুজ পাতা থাকে যা থেঁতলে একটি বিশেষ, স্বতন্ত্র মেন্থল-ভিত্তিক সুগন্ধ বের হয়। পেট ঠান্ডা রাখতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে এটি বেশ কার্যকরী। এই বহুবর্ষজীবী ভেষজ পাত্র সহ আদ্র, ছায়াময় জায়গায় ভালো জন্মে। এটি যেকোন ফাঁকা জায়গা পেলে অপ্রতিরোধ্যভাবে বেড়ে উঠার প্রবণতা রয়েছে। আর এর এই বৈশিষ্ট্যের কারনে ঘরের অভ্যন্তরে সহজেই জন্মানোর জন্য এটি একটি দূর্দান্ত ভেষজ।

ধনেপাতা

রান্নার স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তুলতে যার কোন তুলনাই হয়না তা হল ধনেপাতা। আমাদের বেশিরভাগ রান্নায় এই ধনেপাতা ছাড়া যেন অসম্পুর্ন রয়েই যায়। রান্নার পাশাপাশি এর চাটনিও বেশ মুখরোচক। ধনেপাতা চাইলে পুদিনার মত চাষ করা যায় আবার মাটিতে এর বীজ ছড়িয়ে দিলেও সহজেই জন্মানো যায়।

লেমনগ্রাস

লেমনগ্রাস হল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ভেষজ যা সাইট্রাস স্বাদের জন্য পরিচিত। এটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়। হালকা লেমন ফ্লেভারের জন্য এর কোমল অঙ্কুর ও পাতাগুলো রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকার স্যুপ তৈরিতে এর প্রয়োজন পড়ে। লেমনগ্রাস বা থাইপাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সহজলভ্য এই গাছটি প্রতিদিন নূন্যতম ৬-৮ ঘন্টা সূর্যের আলো পেলেই ভালোভাবে বেড়ে উঠবে।

পার্সলে

পার্সলে একটি বহু কার্যকরী ইতালীয় ভেষজ, যা সমতল পাতা এবং কোঁকড়ানো এই দুই ধরনের জাত দেখতে পাওয়া যায়। উভয় জাতই বীজ বা চারা থেকে এবং আর্দ্র মাটি সহ আধা-ছায়াযুক্ত জায়গায় জন্মানো সহজ। একে সসের সাথে বা রঙ ও সতেজতা যোগ করার নিমিত্তে গার্নিশ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অরিগানো

হালকা, ওয়েল-ড্রেনড মাটি এবং সামান্য সার পেলে অরিগানো ভালো বেড়ে উঠে। এটি রান্নায় এবং পিজ্জায় ব্যবহৃত অতিপ্রচলিত একটি মসলা। অরিগানো পাতা রান্নায় স্বাদ যোগ করতে ব্যবহার করা হয়। তবে টাটকা পাতার চেয়ে এর শুকনো পাতা ব্যবহারে স্বাদ বেশি পাওয়া যায়।

পেঁয়াজ পাতা

অন্যান্য ভেষজের মত এটিও বেশ উপকারী। সালাদ, সজীতে এমনকি রান্নায় এই পাতা মেশালে বেশ লাগে। এই পেঁয়াজ পাতা চাইলেই সহজেই বাসায় চাষ করা যায়। কিছু পেঁয়াজ শেকড়সহ মাটিতে পুটে দিলেই হয়ে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যেই রোপন করা সেই পেঁয়াজ থেকেই নতুন পাতা উঁকি মারবে।

ঘরের ভেতর হোক বা বাহির, কিছু ভেষজ উদ্ভিদ যোগে নিজের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাগানে এক নতুন লুক এনে দেয়। সামগ্রিকভাবে, বেশিরভাগ প্রকারের বৃদ্ধিই সহজ। তাদের মধ্যে কিছু ঘরের ভেতরে ভালো বৃদ্ধি পায়, কিছু বাইরে ভালো বৃদ্ধি পায়। তবে সঠিক পরিমানে সূর্যালোক, পানির ব্যবস্থা এবং পরিমিত সার পেলে এগুলো ভালো ভাবে বেড়ে উঠে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যামনের মত ঘর

মনের প্রশান্তি দিবে ভার্টিকেল গার্ডেন

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২, ২০২২

শায়লা জাহান

 

তুমি কি জানো যে খুব সহজেই ব্যালকনিতে একটি ভার্টিকেল বা উলম্ব বাগান তৈরি করতে পারো? এমন একটি বাগান করার জন্য অনেক বড় বারান্দা বা স্থানের প্রয়োজন হয়না। জীবনে যদি আরও সবুজ যোগ করার প্রয়োজন হয়, তবেই ছোট ব্যালকনি থেকেই শুরু করতে পারো। আর এইসব কিছু নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন।  

গাছ আমরা কে না ভালোবাসি। সবুজে ঘেরা চারপাশ, যা চোখের শান্তির পাশাপাশি মনকেও এক প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এই শহরে এভাবে মনের মত করে বাগান করা অনেকেরই হয়ে উঠেনা। তাই সময় এবং স্থান সংকুলানের কথা চিন্তা করে ভার্টিকেল গার্ডেন হতে পারে বেস্ট চয়েস। ছোট্ট ব্যালকুনি বা বারান্দায় সূর্যের আলো বাতাসের সুযোগ থাকলে তৈরি করে নিতে পারো এই সবুজ প্রাকৃতিক দৃষ্টি নন্দন দেওয়াল। নূন্যতম পরিমান প্রচেষ্টার বিপরীতে সর্বাধিক রিটার্ন পাওয়া যায় এই ধরনের বাগানে। একদম সিম্পল থেকে শুরু করে জটিল পর্যায়ের এই ক্রিয়েটিভ কাজ এক সুন্দর ও মনোরম সবুজে পরিবেষ্টিত লুক দিবে।

এই ভার্টিকেল বাগানে কি গ্রো করা যায় তা গবেষণা করার আগে বিবেচনা করা প্রথম জিনিসটি হল তোমার বারান্দায় এই ধরনের বাগানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আছে কিনা। স্থান বা আকার নির্বিশেষে সবুজের বৃদ্ধির জন্য কিছু জিনিস বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন-

-গাছের কতটা সূর্যালোক লাগবে তা নির্ভর করে এর ধরন এবং প্রজাতির উপর। কিছু গাছ সরাসরি সূর্যালোক পছন্দ করে, যেখানে অন্যরা ছায়ায় বৃদ্ধি পায়। তোমার বারান্দায় কেমন সূর্যের তাপ আসে এবং গাছপালা পূর্ব বা পশ্চিমমূখী হওয়া প্রয়োজন কিনা তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ন।

-বৃষ্টি, অত্যাধিক হাওয়া, রোদ-এই উপাদানগুলোর উপস্থিতি বারান্দায় কেমন এবং এগুলো মোকাবেলায় গাছগুলো সক্ষম কিনা, তাও মাথায় রাখতে হবে। কারন অনেক সময় যদি দেখো বারান্দায় প্রচুর বাতাস আছে, তাহলে গাছও বাতাসের দ্বারা প্রভাবিত হবে। কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যেগুলো চরম ঠান্ডা বা গরমে বাঁচতে পারেনা। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি হলে সেক্ষেত্রে গাছগুলোকে কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে নতুবা ভিতরে নিয়ে যেতে হতে পারে।

-যেহেতু এই ধরনের বাগানে গাছগুলোকে সরাসরি মাটিতে রোপন করা হয়না, তাই মূলের আকারের পাশাপাশি গাছের আকারের উপরও গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। কিছু গাছপালা বেশ বড় হতে পারে এবং বড় পাত্রের প্রয়োজন হতে পারে। যদি এমন হয় তবে সেই গাছগুলো এই রকম উলম্ব বাগানের জন্য পারফেক্ট নয়।

-এই ধরনের বাগানের জন্য যে স্থানটি নির্বাচন করা হবে তার আকারের উপর নির্ভর করে এটি বর্ধিত করতে হবে। এর স্থাপন এবং বাগানটি লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সেভাবে জায়গা রাখতে হবে।

বারান্দায় ভার্টিকেল বাগান স্থাপন করার জন্য কী দরকার?

উপরে উল্লেখিত বিবেচিত বিষয়গুলো যদি সব হয়ে যায় তাহলে বলা যায় তমার বারান্দাটি একম ভার্টিকেল গার্ডেনের জন্য উপযুক্ত স্থান। এখন এটি স্থাপনের জন্য যা যা দরকার-

-তোমার বারান্দার এমন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে প্রচুর উলম্ব জায়গা রয়েছে, যাতে গাছপালা গুলো সঙ্কুচিত হওয়ার চান্স না থাকে। এছাড়াও গাছের বৃদ্ধির জন্য জায়গাটিতে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের চলাচল ঘটে।

-উলম্ব বাগান স্থাপন করার আগে, গাছপালাগুলো যেখানে উন্মুক্ত হবে সেখানকার পরিবেশ বিবেচনা করো। বৃষ্টি কি বারান্দায় আসে? কত ঘন ঘন বৃষ্টি হয়? জলবায়ু কতটা গরম বা ঠান্ডা? এইসব প্রশ্নের উত্তরের উপর নির্ভর করবে বাগানটি কোথায় স্থাপন করবে। ছোট জায়গায় যেহেতু গাছে পানি দেয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম রাখা হয়না। তাই বৃষ্টির সময় খেয়াল রাখতে হবে পানি দেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা বা গাছগুলোতে পানি জমে আছে কিনা। আবার যদি সরাসরি একটানা রোদের তাপ পায় তা থেকে বাঁচতে শামিয়ানা টানানো হতে পারে।

-এই বাগানে গাছপালাগুলো যেহেতু লম্বালম্বিভাবে স্থাপন করা হয়, তাই অতিরিক্ত ওজন এড়ানোর জন্য এতে মাটির পরিমান অনেক কম থাকে। এখানে সাধারনত ব্যবহৃত হয় কোকপিট, জৈব সার এবং অল্প পরিমানে মাটি। মাটির পরিমান কম থাকার দরুন গাছে ক্ষতিকর পোকামাকড় তৈরি হওয়ার চান্স কম থাকে।

-মাটির কম ব্যবহারে পোকামাকড় কম হলেও বারান্দার অবস্থানের উপরও কিন্তু কীটপতঙ্গ হওয়া নির্ভর করে। তুমি যদি নিচতলায় থাকো তবে কীটপতঙ্গ সহজেই ব্যালকনিতে প্রবেশ করতে পারবে। আবার যদি উঁচু জায়গায় থাকো সেক্ষেত্রে  কিছুটা কম হবে। এইজন্য বাগ প্রতিরোধক মজুদ করে রাখতে হবে।

গাছ নির্বাচন

এই ভার্টিকেল গার্ডেনে এডিবল এবং নন-এডিবল দুত ধরনেরই গাছ লাগানো যেতে পারে। উলম্বভাবে শাকসবজি বাড়ানো যায়। ডাল এবং মটরশুঁটি খুব সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। টমেটো রোপন করা যেতে পারে। কিছু প্রজাতির স্কোয়াশ আছে যা উলম্বভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও অন্যান্য শাকসবজি যেমন, লেটুস, ব্রকোলি, লালশাক, পালংশাক, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি দিয়েও এই বাগান সাজানো যায়। আর নন-এডিবল যেমন, মানিপ্ল্যান্ট, ফার্ণ, স্পাইডার প্ল্যান্ট, ড্রাসিনা, রিও ইত্যাদি  গাছ দিয়েও মনের মত করে সাজানো যেতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যামনের মত ঘর

ঘরের কোনে এক টুকরো সবুজ

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১২, ২০২২

শায়লা জাহান

ঘর সাজাতে কে না ভালোবাসে? ক্যানভাস, আর্টিফিসিয়াল ফুল, ওয়ালপেপার, লাইট ইত্যাদির ভিড়ে উপকরন যদি হয় সবুজ, সতেজ গাছ তাহলে তো আর কথাই নেই। ঘরের কোনে এক টুকরো সবুজ ঘরকে করে তুলবে স্নিগ্ধ ও প্রানবন্ত।

ইট পাথরের এই ব্যস্তনগরীতে কারোরই দুদন্ড সময় নেই। একটু প্রান ভরে নিশ্বাস নেয়ার জন্য, প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার কোন উপায় নেই। কিন্তু এমন অনেক গাছ যার জন্য ছাদ বা বড় ব্যালকনির প্রয়োজন পড়েনা। ইনডোর প্ল্যান্টস ঘরের কোন এক কোণে, টেবিলের উপরে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। এগুলো ব্যক্তির মুড বুস্ট করতে সাহায্য করে, সৃজনশীলতা বাড়াতে পারে, স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে সর্বোপরি প্রাকৃতিকভাবে বায়ু দূষণকারী ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। অন্দর সজ্জায় কিছুটা সবুজ যোগ করতে এই গাছগুলো হল আদর্শ-

স্নেক প্ল্যান্ট

এর আরেকটি মজার নাম আছে, মাদার-ইন-লস টাং। এই লো ম্যান্টেনেন্স এর গাছটি নাসা কর্তৃক প্রদত্ত বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদের তালিকায় রয়েছে। দিনে এবং রাতে উওভয় সময়েই এটি ঘরের ভেতরের বায়ু ফিল্টার করে।

হার্ট লিফ ফিলোডেনড্রন

নাসার শীর্ষ ১০ তালিকার মধ্যে রয়েছে ফিলোডেনড্রন যা একটি জনপ্রিয় হাউসপ্ল্যান্ট। এর হার্ট শেপের পাতাগুলো একটি বৈচিত্র্যময় লুক দেয় এবং এটি ফর্মালডিহাইড শোষনে বিশেষভাবে কার্যকর। তবে এই গাছটি পোষা প্রানী এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে কারন এর পাতা খাওয়া বিষাক্ত।

ইংলিশ আইভি

আরেকটি সুন্দর উদ্ভিদ যা নাসার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, ইংলিশ আইভি ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জাইলিন এবং টলুইন শোষনে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শুধুমাত্র বায়ুকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করেনা, গবেষনায় দেখা গেছে এটি অ্যালার্জির লক্ষণগুলো উন্নত করতেও সক্ষম।

পথোস

হার্ট লিফ ফিলোডেনড্রনের মতই নান্দনিক এই পথোস ঘর সাজাতে সবচেয়ে সহজলভ্য। ফর্মালডিহাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং বেনজিন ফিল্টার করতে কার্যকর। এটি অনেক সহনশীল উদ্ভিদ তাই একে ‘দ্য কিউবিকল প্ল্যান্ট’ ডাকনাম দেয়া হয়েছে। বাতাস বিশুদ্ধ করা ছাড়াও এটি ঘরের ভেতর দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

হ্যাংগিং প্ল্যান্টার হিসেবে স্পাইডার প্ল্যান্ট আদর্শ। এই উদ্ভিদটি বেনজিন, ফর্মালডিহাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং জাইলিনের মত দূষণকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর। প্রাথমিক বৃদ্ধির সময় এই গাছগুলোকে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যালোক থেকে দূরে রাখতে হবে এবং পরিমিত পানি দিতে হবে।

রাবার প্ল্যান্ট

আকর্ষনীয় সবুজ পাতা সমৃদ্ধ এবং কম রক্ষণাবেক্ষণকারী এই গাছটি একটি শক্তিশালী টক্সিন নির্মূলকারী এবং বায়ু পরিশোধক। এই গাছের প্রচুর পাতা প্রচুর পরিমানে দূষিত পদার্থগুলো আটকাতে সক্ষম। সীমিত পরিমানে পানি এবং মাঝারি থেকে কম আলোতে এরা সুন্দর বেড়ে উঠে।

এরিকা পাম

সুপারি গাছ সদৃশ এরিকা পাম হল একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ, যা যেকোন অভ্যন্তরীণ পরিবেশে এস্থেটিক লুক দেয়। এটি ক্ষতিকারক টক্সিন যেমন, বেনজিন, ফর্মালডিহাইড এবং ট্রাইক্লোরোইথিলিন অপসারণ করে। গবেষনায় দেখা গেছে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারনে এটি অন্যতম। উজ্জ্বল পরোক্ষ আলো এবং মাটির আর্দ্র ভাব এর উপযোগি।

টিপস

গাছপালা দিয়ে ঘর সাজানোর সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

-সব গাছের প্রকৃতি একইধরনের হয়না। কিছু কম আলো পছন্দ করে তো আবার কিছু উজ্জ্বল আলোতে সুন্দর বেড়ে উঠে। তাই গাছের ধরন বুঝে সেভাবেই সেট করতে হবে।

-একই উচ্চতার গাছ সব একসাথে না রেখে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্থ এবং উচ্চতার গাছ একসাথে সজানো যেতে পারে

-গাছের পাশাপাশি পট নির্বাচন করা যেতে পারে। সেটের মত সাজানোর জন্য একই রকম ফিনিশ এবং কালারের টব ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা কালারফুল পট বাছাই করা যেতে পারে

-যেখানেই গাছ লাগানো হোক না কেন এর ড্রেনেজ সিস্টেম যাতে ভালো থাকে। ইনডোর প্ল্যান্টসের গোড়ায় পানি জমে পচে যাওয়া একটি কমন সমস্যা।

-ইনডোরস প্ল্যান্ট হলেও মাঝে মাঝে এদের রুমের বাইরে বারান্দায় এনে রাখতে হবে যাতে খোলা আলো-বাতাস পায়।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংজীবন

সবুজে সাজানো অন্দর

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১৮, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

শহুরে জীবন থেকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। খোলা উঠোন কিংবা প্রশস্ত ছাদও নেই সবুজের আশা মেটানোর। কারণ নগরজীবনে ভাড়ায় পাওয়া ছোট্ট ঘরটিই অনেক ব্যয়বহুল। তাই সবুজের ছোঁয়া পেতে ঘরের অন্দরই ভরসা। চার দেয়ালের ভেতরেই ইনডোর প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে সবুজের ছোঁয়ায় পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর একটি পরিবেশ।

অন্দরের প্রবেশপথে
ঘরে ঢুকতেই সবুজের ছোঁয়া পেলে সজীব হয়ে উঠবে মন । তাই ঘরের প্রবেশপথেই কয়েকটি
স্নেক প্ল্যান্ট বা সাবেরিয়া রাখতে পারেন। গারো সবুজ রঙের গাছের পাতাগুলো দেখতে অনেক মত তরবারির মতো। পটিং মেশানো উপাদানে মাটি ছাড়াই একে লাগানো যায়। পানি দেবারও খুব একটা প্রয়োজন নেই। জলীয় বাষ্প শুষে নিয়ে ব্যাকটেরিয়া দূর করে বাতাসকে শুদ্ধ রাখতে এর তুলনা নেই ।

ঘরের টেবিলে
অর্কিডের বিশেষ প্রজাতির স্পাইডার প্লান্ট বেশি লম্বা না হওয়ায় টেবিলেই রেখে দিতে পারেন। চোখ জুড়ানো এই গাছটি সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছোয় না বলেই ঘরে সবুজ পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি শৌখিন মানুষের জন্য এই গাছ উপযুক্ত । গাছটির চিকন চিকন লম্বা পাতা গুলিতে মাঝে মাঝে বিশুদ্ধ পানি স্প্রে করে দিলেই ঘরের তাপমাত্রা শোষণ করে ঠান্ডা রাখে এই গাছ ।

কর্নারে ঝুলিয়ে

ঘরের কোনটি ফাঁকা না রেখে সাজিয়ে রাখুন সবুজে। জ্যানেট ক্রেগ নামের ইনডোর প্লান্টটি কম আলো এবং অল্প পানি মানিয়ে যায় সব পরিবেশেই। এই গাছ ঘরের বাতাস থাকা বেনজেন, ফরমালডিহাইড, ট্রাইক্লোরোইথিলিন ও জাইলিন দূর করে।

ঘরে দামি ফার্নিচার কিংবা চমৎকার লাইটিং থাকলেও একটি ছোট্ট সবুজ গাছ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। পরিবেশ রাখে সতেজ। তাই ঘরের অন্দর তুলন সবুজে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গার্ডেনিংভালো থাকার ভালো খাবার

  গোলমরিচের গুণাগুণ

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ২০, ২০২০

কেবল স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেও খাবারে গোলমরিচ দিতে পারো একেবারে নিশ্চিন্তে। শরীরের অনেক দরকারি গুণই এতে পাক্কা । খাবারে একটুখানি গোলমরিচের গুঁড়ো পড়লেই অনেক বিস্বাদ খাবারও খেয়ে ফেলা যায়। বিশেষ করে স্যুপ হোক বা ডিম সেদ্ধ, ওপরে একটু ছড়িয়ে নিলে খাওয়ার স্বাদই বেড়ে যায়। আবার কোনো চায়নিজ রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও নুডলসের সঙ্গে একটু গোলমরিচ না হলে চলে না। কিন্তু শুধুই কি স্বাদ বাড়াতে সক্ষম গোলমরিচ? তা কিন্তু নয়। গোলমরিচে এমন কিছু রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মহৌষধির মতো কাজ করে। তাই কেবল স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেও খাবারে গোলমরিচ দাও।

সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে গোলমরিচ অত্যন্ত কার্যকরী, কিন্তু তা ছাড়াও গোলমরিচের বেশ কিছু উপকার রয়েছে। কোনো কোনো অসুখে মহৌষধির মতো কাজে লাগে গোলমরিচ তা কি জানো?

ত্বকের রোগ থাকলে তার চিকিৎসায় কাজে লাগে গোলমরিচ। গোলমরিচ গুঁড়ো করে, স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারো। এতে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বকে সহজে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালন হয়। পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতেও সাহায্য করে গোলমরিচ। গোটা মরিচের খোসা অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ফলে গোলমরিচ দিয়ে খাবার বানাও। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরবে সহজেই।

গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। কারণ, এটি পেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়। হজম ঠিক থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাকে এড়ানো যায়। হজমের সমস্যা থেকে অনেক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ফলে সেগুলো এড়ানো যায়।
যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করে তাদের জন্য গোলমরিচ খুবই উপকারী। গোলমরিচ তেলের গন্ধ নিয়মিত সেবন করো। অথবা সরাসরিভাবে গোলমরিচ খেলেও ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমবে অনেকটাই।

দাঁতে ক্যাভিটি বা ব্যথা থাকলে মুখে গোলমরিচ রাখতে পারো। ব্যথা নিরাময় করতে গোলমরিচ সাহায্য করে।
নাক বন্ধ থাকা, হাঁপানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতেও গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার। এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ গোলমরিচ এবং দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে খেলে শ্লেষ্মা দূর হবে। গলাব্যথা কমবে।
গোলমরিচ খেলে শরীর গরম হয়ে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন কমতে থাকে। ফলে ত্বক ভালো থাকে ও ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গার্ডেনিং

ছাদে যখন শখের বাগান

করেছে Sabiha Zaman মার্চ ১৮, ২০২০

বেশ কিছুদিন আগে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাজধানীর একটি পুর-নোটিশে ঘোষণা করা হয়েছিল যে বাড়ির ছাদের বাগানকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে সরকার। আর যারা ছাদে বাগান করবে, প্রতিটি বাড়িপিছু বছরের ট্যাক্সের একটা নির্দিষ্ট শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে সবুজায়নে ছাদে বাগান করার গুরুত্ব ঠিক কতটা, সেটা বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, এখন যেভাবে চারপাশে দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে প্রতিটি ছাদে লাগানো সবুজ সেই দূষণের মাত্রাও যে কিছুটা কমাবে, তাতে আর সন্দেহ কী!

শহরজুড়ে ছাদে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে। শহরে বাড়ির সামনের মাটি প্রায় পাওয়া যায় না বললেই চলে। তার ওপর ফ্ল্যাটগুলোতে গাছ লাগানোর আর উপায়ও নেই। এ অবস্থায় ফ্ল্যাটের বারান্দায় কিচেন গার্ডেন কিংবা ছাদের বাগানই ভরসা। আর আজকাল একটু লক্ষ করে দেখবে, বড় বড় রেসিডেন্সিয়াল প্রজেক্টগুলোতে ছাদে বাগান করার ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে। এতে আকৃষ্ট হয় সাধারণ মানুষ। গাছ, পাখি, পানি, নদী- এসব সাধারণ দুচোখে বড্ড প্রিয়। আর তাই আমাদের এই শহরেও কিন্তু ছাদের বাগান বাড়ছে ক্রমে।

ছাদে বাগান করা যদিও খুব একটা সহজ কাজ নয়। বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আগে ছাদটিকে গাছ লাগানো কিংবা বাগান করার মতো উপযোগী করে নেওয়াটা দরকার। ছাদে বাগান করার সময় সবচেয়ে আগে রুফ ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেওয়াও জরুরি। একে ”ছাদের চিকিৎসা” বলা যেতে পারে।

ছাদের মধ্যে বেশ কয়েকভাবে বাগান করা যায়। ছোট টবগুলোয় একটু সমস্যা হয়, কারণ গাছ খুব একটা বাড়ে না। তাই সিমেন্টের বড় টব কিনে বা বানিয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়াও বড় প্লাস্টিকের ড্রামেও লাগানো যায় গাছ। তবে যেখানেই গাছ লাগাও না কেন, এগুলোর মধ্যে একেবারে নিচে কয়েকটা ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। এবার কিছু পাথরের টুকরো টবের একেবারে নিচে দিতে হবে। তারপর এক ধাপ মাটি। মাটির উপরে সার। জৈব সার হলেই সবচেয়ে ভালো। তারপর আবার মাটি। এভাবেই টব প্রস্তুত করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হলো কী কী গাছ পুঁতবে ছাদের গাছের টবে? খুব নরম প্রকৃতির গাছ না পোঁতাই ভালো। কারণ, ছাদের রোদে লড়াই করতে হবে গাছগুলোকে। সে ক্ষেত্রে বড় গাছের বনসাই, কলমের ফল কিংবা ফুলের গাছ লাগানোই সবচেয়ে ভালো। নানা ধরনের গাছ ছাদে লাগাতে দেখেছি, এমনকি কলাগাছ, আমগাছ, নারকেলগাছও ছাদের টবে লাগাতে দেখেছি। সুতরাং ছাদে ঠিকঠাক গাছ লাগানোর জায়গাটা প্রস্তুত হলেই মন ভালো করা সব ধরনের গাছই লাগিয়ে দিতে পারো ছাদে।

ছাদের ওপরে ছোট পিলার করে মেঝে ঢালাই করে, চারপাশে ফুট দেড়-দুইয়ের মতো পাঁচিল দিয়ে তার মধ্যে সার মেশানো মাটি ফেলা হলো। এই মাটির মধ্যে কোরিয়ান ঘাস বিছিয়ে দেওয়া হলো কার্পেটের মতো। নিয়মিত পানি আর যত্নে খুব সুন্দর হয়ে উঠবে এই ছাদের উদ্যান। চারপাশে নানা বড় বড় টবে গাছ থাকল। ছোট ছোট গার্ডেন চেয়ার রাখতে পারো, আবার ঘাসের কার্পেটের ওপরেও আরাম করে বসতে পারো। ছাদের পাঁচিল ঘেঁষে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। গরমের দিনের সন্ধে বা রাতে, আর শীতের দুপুর কিংবা বিকেলবেলা অসাধারণ অনুভূতিতে কেটে যাবে সময়।

লেখা : রোকেয়া ইসলাম

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গার্ডেনিংসচেতনতা

পেতে চাইলে সুন্দর পৃথিবী

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ১৬, ২০২০

বর্তমান বিশ্বে পরিবেশদূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কথা কমবেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর প্রতিকার বা প্রতিরোধ নিয়ে ভাবি কজন? বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কিংবা জলবায়ুদূষণের মতো খটোমটো বিষয় নিয়ে কাজ করা বুঝি শুধুই উন্নয়নকর্মীদের কাজ! কিন্তু আমরা কি জানি আমাদের প্রত্যেকের হাতেই আছে প্রিয় পৃথিবীকে এর ভয়াবহ হুমকি থেকে রক্ষা করার হাতিয়ার? কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপই পৃথিবীকে সুন্দর এবং বাসযোগ্য করে তুলতে পারে। চলো একবার চোখ বুলিয়ে নিই কী কী করা যেতে পারে-

গাছ লাগানো

গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা কমবেশি আমরা সবাই জানি, একটা সুস্থ-সবল বৃক্ষ বছরে ৪৮ পাউন্ডের মতো কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে, যেখানে ৪০ বছর বয়সে এটি শোষণ করে ফেলে প্রায় ১ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, যা কিনা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। তবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মানেই যে আয়োজন করে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে নেমে পড়তে হবে মাটির খোঁজে, তা কিন্তু নয়! আর যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায়, শহুরে দালানকোঠার ভিড়ে তার সুযোগই বা কোথায়! তাই বলে কি থেমে থাকবে গাছ লাগানো? একদমই না! পৃথিবীর পরিচর্যায় একটু হাত লাগাতে আর চোখটাকে একটু প্রশান্তি দিতে বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদের কোণেই তৈরি করে ফেলতে পারো এক টুকরো সবুজের বাগান।

ঘরের কোণে লাগানোর এই গাছগুলোর জন্য সূর্যালোক প্রয়োজন হয় না, শুধু নিয়মিত পানি দিলেই চলে। ঘরে লাগানোর জন্য লতাঝাউ, বাঁশপাতা, চায়নিজ বট, স্পটেড পাতাবাহার, স্প্রিং পাতাবাহার, চায়নিজ পাম, পিনাচ, শেওড়া, সাফেলেরা, ওয়াটার বনসাই, টাইমফুল, ক্যাকটাস ইত্যাদি বেছে নিতে পারো। বারান্দায় ঝুলিয়ে দিতে পারো মানিপ্ল্যান্ট, অপরাজিতা বা কুঞ্জলতা। এই গাছগুলোর দাম পড়বে ৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া ছাদে লাগাতে পারো বিভিন্ন ফল বা লেবু কিংবা মরিচগাছ ও বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ, যেমন হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, রঙ্গন, গন্ধরাজ, কামিনী ইত্যাদি লাগাতে পারো। এগুলো যেমন তোমার ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে, তেমনি পরিবেশ রক্ষা করতেও সাহায্য করবে।

বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে অপসারণ করা

পরিবেশ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বর্জ্যগুলো অপসারণ করা। প্রতিদিন হরহামেশাই চিপসের প্যাকেট, কলার খোসা, কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল, উচ্ছিষ্ট খাবার কিংবা নিজের অজান্তেই থুতু কিংবা পানের পিক রাস্তায় আমরা ফেলে থাকি। বিষয়গুলো খুব ছোট হলেও তারা পরিবেশের ক্ষতি করে আসছে। একটি প্লাস্টিকের বোতল পৃথিবীতে প্রায় ৪৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। এরা জমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয়, নগরজীবনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায়, শেষ পর্যন্ত জমা হতে পারে সাগরে যেখানে তারা সামুদ্রিক পানির জীবন হুমকির মুখে ফেলে। এ তো গেল কেবল একটি উদাহরণ। এমন হাজারো সমস্যা তৈরি হয় যেখানে সেখানে বর্জ্য পদার্থ ফেললে। তা ছাড়া একটি সুন্দর মনের জন্য চাই সুন্দর পরিবেশ। আর সেই পরিবেশ যদি হয় অপরিষ্কার, তাহলে তোমার দিনটি মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

শক্তির অপচয় কমানো

ঘরকন্নার একটা বিশেষ গুণ হলো সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা। জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার এবং তা থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ কিন্তু আজীবনের জন্য নয়! একসময় জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে আর সেই সঙ্গে মানবসমাজ পড়বে হুমকির মুখে। শুধু তাই কি? জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গত বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড আর সালফার ডাই অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে, যা বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিবেশের তাপমাত্রা। তাই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অপচয় রোধ করাটা জরুরি। অযথা লাইট-ফ্যান চালানো থেকে বিরত থাকতে পারো। গ্যাসের চুলাটা অকারণেই জ্বলছে? নিভিয়ে ফেলো। ভালো একটা কাজের জন্য দু-একটা ম্যাচের কাঠি বেশি খরচ হলে ক্ষতি কী! ঘরের গিন্নি হিসেবে যেমন বাসার খরচটা সামলে চলো, তেমনি অযথা বিদ্যুৎ আর গ্যাস বিলের হিসাব থেকে বেঁচে যাক খরচের খাতাটাও!

খাবারের বেলায়ও যত্নশীল

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ! কখনো চিন্তা করেছ, যে খাবারটা খাচ্ছো তা কোথা থেকে, কীভাবে আসে? আমাদের এক বেলার খাবার আমাদের ডাইনিংয়ে এসে পৌঁছাতে গড়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল যাত্রা করতে হয়! এ ছাড়া এর উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ, শিপিং, প্যাকেজিং তো আছেই! প্রতিটি ধাপেই রয়েছে কার্বনের চোখ রাঙানি। তাই খাবারটা নষ্ট করো না! খাবারের তালিকা থেকে পারলে আজই বাদ দাও মাংসজাতীয় আইটেমগুলো। কারণ, বৈশ্বিক কার্বন উৎপাদনের ১৪ থেকে ৫০ ভাগই আসে পশুপালন থেকে। এতে সুস্থ থাকবে তুমি, তোমার পরিবার আর সুস্থ থাকবে তোমার চারপাশের পরিবেশটাও!

 

মোটরচালিত গাড়ির জায়গায় সাইকেল

যাত্রাপথে অনেক নারীই আজকাল বেছে নিচ্ছে সাইকেল। মোটরগাড়ি বা কারের কালো ধোঁয়ায় মিশে থাকে বিষাক্ত সব অক্সাইডস যা ওজোনস্তরের ক্ষতির জন্য দায়ী। তাই শেখা না থাকলে শিখে নিতে পারো সাইকেল চালানোটা। আজকাল প্রচুর সংগঠন মেয়েদের সাইকেল চালানো শিখিয়ে থাকে। একদম পারতপক্ষে বেছে নিতে পারো পাবলিক বাস কিংবা রাইড শেয়ারিংয়ের অপশনগুলো। এতে রাস্তার ট্রাফিক জ্যামটাকে যেমন হালকা করে দিতে পারছ, তেমনি পরিবেশটাকেও দিতে পারছ স্বস্তি!

 

লেখা: লেনা আলফি

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook