রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

গ্রুমিং

অন্যান্যগ্রুমিংজীবনযাত্রাসচেতনতাস্বাস্থ্য

যে অভ্যাসে ভুঁড়ি বাড়ে

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২

পেটের মেদ বাড়া দৃষ্টিকটু তো বটেই! স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। একবার ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই বিপদ। তা কমানো মুশকিল হয়ে যায়। পেটের এই মেদ বাড়ার পেছনে রয়েছে অভ্যাসের প্রভাব। নিত্যদিনের সুঅভ্যাসই ঝরাতে পারে পেটের বাড়তি মেদ।

ট্রান্স ফ্যাট পরিত্যাগ করা

শরীরের জন্য সঠিক ফ্যাট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলোর মধ্যে একটি হলো ট্রান্স ফ্যাট। এটি পেটের চর্বিই নয়, পুরো শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যেমন কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ অনেক রোগের বাসা বাঁধতে পারে এই ট্রান্স ফ্যাটের কারণে। বেকারি এবং প্যাকেটজাত পণ্যে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকায় এই খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে হবে। খেতে হবে প্রচুর ফাইবার এবং দানাদার শস্য জাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার।

Fibre Vegetables And Fruits, HD Png Download , Transparent Png Image -  PNGitem

 

অলসতা কমাতে হবে

আরাম প্রিয়দের ভুঁড়ি বাড়বেই। তবে মেদ ঝরাতে হলে অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। মেদ কমাতে সকালে উঠেই হালকা ব্যায়াম করে নিলে শরীরের ফ্যাট বার্ন করার পাশাপাশি দিনের শুরুটা হয় চমৎকার। তারপর সারাদিনে কম দুরত্বের রাস্তা হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে আর বিকেলে শরীরচর্চায় মনোযোগী হতে হবে। এমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে অলসতাও কাটে আর কমে পেটের বাড়তি মেদ।

Is exercise in a hot room good for you? | The Star

চিনিযুক্ত খাবার পরিহার

চিনিযুক্ত খাবাওে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। কারণ চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট শরীরচর্চায় বার্ন করা কঠিন হওয়ায় চর্বি হিসেবে জমা হয়ে মেদ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনির বদলে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করতে হবে।

You Should Never Drink Soda Before Exercising. Here's Why

অ্যালকোহল গ্রহণ বন্ধ করা

 

ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্য দায়ী হতে পারে অ্যালকোহল। কারণ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলো শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করলেও থাকেনা কোন পুষ্টি। ফলে পেটে জমে বাড়তি মেদ আর বাড়ায় ওজন। তাই অ্যালকোহলের বদলে পানি পানের অভ্যাস করা জরুরী। পানি শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। তবে হঠাৎ অ্যালকোহল ত্যাগ করা কঠিন। ধীরে ধীরে অ্যালকোহল গ্রহণ কমিয়ে দিতে হবে। তারপর নির্মেদ ও ঝরঝরে শরীর পেতে একেবারে অ্যালকোহল গ্রহণ করা বন্ধ করে দিতে হবে ।

পেটে বাড়তি মেদ জমতে দেয়া যাবে না কোনভাবেই। স্বাস্থ্য ও ওজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে খাদ্যাভ্যাস। তাই পরিমিত খাদ্যভাস, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আর সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হওয়ার বিকল্প নেই।

Say no to drinking alcohol and stay healthy – Mysuru Today

লেখা :  রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংদেহ ও মন

তাৎক্ষণিক ত্বকের উজ্জ্বলতা

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

মুখের ত্বক খুবই নমনীয়। কম ঘুম, দুষিত বাতাস, তেল-মসলাযুক্ত খাবারের প্রভাবে হারিয়ে যায় ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। সেই উজ্জ্বলতা তাৎক্ষণিক ফিরেও পাওয়া যায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতেই মিলবে উজ্জ্বল ত্বক

ঘরেই তৈরি করা যাবে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাৎক্ষনিক উজ্জ্বলতা পেতে অনুউজ্জ্বল ত্বকের জন্য কয়েকটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে হবে।

লেবুর রসকে প্রাকৃতিক ব্লিচ বলা হয়ে থাকে। লেবু ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ট্যানও দূর করে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। তবে লেবুর রস সরাসরি ত্বকের উপর লাগালে ক্ষতি হতে পারে। কারণ মুখের ত্বক বেশ নমনীয়। ফলে ত্বক আরো নমনীয় হয়ে যায়। তীব্র জ্বালাপোড়াও হতে পারে। তাই সরাসরি লেবুর রস না লাগিয়ে দুধ, বেসন বা আটার সাথে লেবুর রসের প্যাক লাগিয়ে নিতে হবে। সব ধরনের ত্বকেই মানিয়ে যায় এই ফেসপ্যাক। তবে লেবুর রস ব্যবহার করার পর ভালোমানের ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে শুষ্কতা থেকে বাঁচবে ত্বক।

তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পেতে বরফ, দই এবং চিনির মিশ্রণ বানিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিয়ে এক ফালি কাটা কমলা নিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

 

দুধ আর দইয়ে এনজাইম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এর সাথে মধু মিশিয়ে নিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে হবে। কারণ মধু করে প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকে লাগানো ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে। মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে ত্বক নরম ও তুলতুলে থাকবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এই ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিলে সকালে পাওয়া যাবে উজ্জ্বল ত্বক।

টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ত্বকে বাড়াবে উজ্জ্বলতা। এছাড়াও লাইকোপিন বুড়িয়ে যাওয়া থেকে মুক্তি দেবে। ফেস প্যাক বানাতে টমোটোর সাথে ওটমিল মিশিয়ে আধ ঘণ্টা পর প্যাকটা ধুয়ে নিয়েই ত্বক হবে ঝকঝকে। এর পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের বিকল্প নেই। কারণ চন্দনে থাকা টাইরোসিনেস মেলানিনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিতে পারে। চন্দনের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকের ব্যবহাওে উজ্জ্বল হয়ে উঠে ত্বক। তবে যাদের এলার্জি আছে তাদের ব্যবহার না করাই ভালো।

কাঁচা হলুদে ত্বকের উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এই প্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এক চা-চামচ বাটা কাঁচা হলুদের সাথে চার চামচ বেসন আর পরিমাণমতো দুধ মিলিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে এবং গলায় লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে শুকানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা মিলবে।

 

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্যান্যকেনাকাটাগ্রুমিংচলন বলনজীবনযাত্রানারীসচেতনতা

বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহারে যত ভুল

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২২

 

বিউটি ব্লেন্ডার বা মেকআপ স্পঞ্জ ব্যবহৃত হয় লিক্যুইড মেকআপ প্রোডাক্ট, যেমন – ফাউন্ডেশন, কনসিলার, প্রাইমার, ইত্যাদি সমানভাবে ত্বকে মিশিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। তাই মেকআপের ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতিতে স্পঞ্জ ব্যবহার। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

শুকনো বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার নয়

শুকনো বিউটি ব্লেন্ডার ত্বকের উপর ব্যবহার করা উচিত নয়। সব সময় বিউটি ব্লেন্ডার-টি পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে এক্সট্রা পানি টুকু চিপে নিতে হবে। বিউটি ব্লেন্ডার শুকনো অবস্থায় ব্যবহার করলে এটি অনেকটা ফাউন্ডেশন শুষে নেবে এবং ভালোভাবে ব্লেন্ডিংও করবে না। তবে পানি যেন অতিরিক্ত না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

সরাসরি ত্বকের উপর প্রয়োগ নয়

ফাউন্ডেশন সরাসরি বিউটি ব্লেন্ডারের উপর ঢেলে নিয়ে এরপরে ত্বকে না লাগিয়ে প্রথমে হাতের তালু দিয়ে অল্প একটু ঢেলে আংগুলের সাহায্যে পুরো ফেসে ডট ডট করে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ভেজা স্পঞ্জটি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

আলতো স্পর্শ প্রয়োজন

Use A Beauty Blender Makeup Sponge In Different Ways

ত্বকের উপর ফাউন্ডেশন ডট ডট করে লাগানোর পর ব্লেড করার সময় অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত নয়। বেশি চেপে চেপে ব্লেন্ড করতে গেলে ফাউন্ডেশন সরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আলতো স্পর্শে বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। এটাকে ড্যাবিং মোশনও বলে।

 

ব্লেন্ড করায় তাড়াহুড়ো নয়

মেকআপ একটি শিল্প। তাই বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে সাজার সময় তাড়াহুড়ো করা কখনোই উচিত নয়। তাহলে পুরো সাজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তবেই নিখুঁত মেকআপ পাওয়া যাবে। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ব্লেন্ড করতে হবে।

 

ব্লেন্ড করা শেখা

বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে ফাউন্ডেশন ছাড়াও কনসিলার, লুজ পাউডারসহ লিকুইড মেকআপের সরঞ্জামই ব্লেড করা সম্ভব। তাই প্রথমেই এর ব্যবহার করা শিখে নিতে হবে। তারপর নিয়মিত চর্চা করে যেতে হবে। তা না হলে কখনোই পারফেক্ট লুক পাওয়া যাবে না।

 

সঠিক স্পঞ্জ বাছাই

The 5 Best Beauty Blender Dupes (All on Amazon!) | Beauty Blender Dupe

সব সময় ডিম্বাকৃতির মেকআপ স্পঞ্জ নিতে হবে। কারণ এই আকৃতির ব্লেন্ডার ব্যবহার করলে মেকআপ ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায়। স্পঞ্জের গোলাকার অংশ দিয়ে কপাল ও গালের মেকআপ ব্লেন্ড করতে হবে। স্পঞ্জের সরু প্রান্ত চোখের নীচে, ঠোঁটের কাছে ও নাকের পাশের মেকআপ ব্লেন্ড করে নেয়া যায়। এর সঠিক ব্যবহারে ত্বকে মেকআপ সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হবে।

 

অপরিচ্ছন্ন স্পঞ্জ নয়

Acne, Mold, And More: All The Drawbacks To Using Beauty Blenders

বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুয়ে শুকানোর আগ পর্যন্ত আলো বা বাতাসের সংস্পর্শে রেখে দিতে হবে। শুকানোর পর বক্সে ভরে রেখে দিতে হবে। প্রতিবার না হলেও অন্তত দুইবার ব্যবহারের পর অবশ্যই পরিস্কার করতে হবে। তা না হলে ত্বকে অ্যালার্জি ও ব্রণ হতে পারে।

 

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মনরূপ ও ফ্যাশনসমস্যাস্বাস্থ্য

বয়সের আগেই বলিরেখা নয়

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১৭, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

বয়স বাড়লে বদলায় ত্বক। বলিরেখা পড়ে।  বুড়িয়ে যাওয়ার ছাপ স্পষ্ট হয়। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বলিরেখা। তবে কখনো কখনো বয়সের আগেই পড়ে বলিরেখা। জীবনের এই বদলের হাওয়ায় বলিরেখা থেকে বাঁচতে নিতে হবে যত্ন। মুখের ত্বকে কিংবা ঠোঁটের কোণে ভাঁজ পড়তে দেয়া যাবে না কোনভাবেই। বদলাতে হবে খাদ্যভাস। ত্বকের সঙ্গে খাবারের বেশ যোগ রয়েছে। ঘুম এবং নিয়মিত শরীরচর্চায়ও মুক্তি মিলবে বলিরেখা থেকে।

 

রূপবিশেষজ্ঞদের মতে,  কোলাজেন নামে একটি প্রোটিন ত্বক টানটান রাখে। বয়স বাড়লে এর পরিমান কমে ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু হয়। সাধারণত বয়স ত্রিশের পর থেকে ত্বকে বলিরেখার সংখ্যা বাড়লেও যাদের শুষ্ক ত্বক, দিনের বেশিরভাগ সময় রোদে পুড়ে, নিন্মমানের প্রসাধনীর ব্যবহার এসব ত্বকের আদ্রতা কমিয়ে দিয়ে বয়সের আগেই বলিরেখা দেখা দেয়। শরীরের একেক অংশের ত্বক একেক রকম হলেও মুখের ত্বক খুব সংবেদনশীর হওয়ায় খাবারের পাশাপাশি করতে হবে ত্বকের পরিচর্চা।

 

 

সুঅভ্যাস গঠন

ত্বক পরিচর্চা ও খাবারের পাশাপাশি ভালো অভ্যাস গঠন করতে হবে। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলতে হবে। চেহারা কুচকে না রেখে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে রাখতে হবে।

বাইরে গেলে ত্বক ধুলোময়লা থেকে এড়াতে মাস্ক পড়তে হবে আর রোদে গেলে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। অ্যালকোহল, সিগারেট ও সোডা পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়।  পরিমিত পানি পান করতে হবে।

 

ভালোমানের প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া চড়া মেকআপের ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। এর ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ত্বক শুষ্ক কওে যা সূক্ষ্ম বলিরেখার জন্য দায়ী। থাকতে হবে চিন্তামুক্ত। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। বালিশের প্রতি নজড় দিতে হবে যাতে মুখের ত্বকে চেপে দাগ না পড়ে।

 

নিয়মিত পরিচর্চা

বয়সের আগেই বলিরেখা থেকে বাঁচতে ত্বকে পরিচর্চা করতে হবে নিয়মিত। আর এই প্রতিদিনের ত্বকচর্চার উপাদান রয়েছে ঘরেই।

ডিম ও লেবু হতে পারে উত্তম সমাধান। কারণ ডিমে থাকা প্রোটিন ত্বকে টান টান ভাব আনে এবং লেবুর রস ত্বকের ছোপ দাগ কমায়। তাই ডিমের সাদা অংশ লেবুর রসে মিশিয়ে ত্বকে আধঘন্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে।

জলপাইয়ের তেল ত্বক প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত অলিভ ওয়েল বা জলপাই তেল মুখে রাখিয়ে রাখা ভালো।

কলায় পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি, সি ও ই থাকায় বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। আর  চিনি মৃত ও শুষ্ক কোষ দূর করে। তাই কলা আর চিনি চটকে নিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিলেও উপকার পাওয়া যায়।

মধু ত্বকের লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূও করতে সহায়তা করে। তাই মুখে মধু লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

খাদ্যাভাসের বদল চাই

ত্বকে বয়সের আগে বলিরেখা না চাইলে অবশ্যই খাদ্যভাসের বদল আনতে হবে। কোলাজেন তৈরি করে এমন খাবার খেতে হবে।

প্রতিদিন  গোটা কয়েক বাদাম রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। সেটা হতে পারে পাস্তাবাদাম, চীনাবাদাম, কাঠবাদাম। কারণ বাদামে থাকা ভিটামিন কোলাজেন তৈরি করে।

সবুজ শাকসবজি কোলাজেন তৈরির অন্যতম উপাদান। কারণ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর খনিজ উপাদান।

টমেটো সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। কারণ প্রচুর লাইকোপিন থাকে টমেটোতে। তাই টমেটোর চাটনি, সালাদ কিংবা তরকারি রেধেঁ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

গাজরে প্রচুর ভিটামিন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকেও কোলাজেন পুনরুৎপাদন করে। তাই খাবারের সঙ্গে কয়েকটা গাজরের টুকরো রেখে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

ছবি: ইন্টারনেট

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মন

রুক্ষ দিনেও মিষ্টি হাসি

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১২, ২০২২

সুরাইয়া নাজনীন

 

রুক্ষতায় পরিপূর্ণ চারদিক। সবকিছু টানছে। কিন্তু এ সময় নিজেকে সতেজ-স্নিগ্ধ তো রাখতেই হবে। তবে এ সময় ঠোঁট ফাটে অনেকের। তাই ঠোঁটের সঠিক যত্ন নিয়ে মিষ্টি হাসিতে জীবন আনন্দময় করে নাও। আগেভাগেই জানতে হবে একগাল মিষ্টি হাসির রহস্যÑঠোঁটের যত্ন ঠিকভাবে নেবে, পরামর্শ দিয়েছেন রেড এর কর্ণধার আফরোজা পারভীন।

 

 

  • গোসলের আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।

 

  • এ সময় ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে গ্লিসারিন।

 

  • কিছুক্ষণ পরপর চপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপজেলও ব্যবহার করা যায়।

 

  • লিপস্টিক ব্যবহারের পর অবশ্যই তার ওপর লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে।

 

  • ঠোঁটের কোমলতার জন্য চপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।

 

  • কখনোই নিজে নিজে চামড়া ওঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে।
  • প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।

 

  • ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।

 

  • ঠোঁট পরিষ্কার রাখতে সাদা রঙের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারো।

 

  • সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবে না।

 

  • সূর্যমুখীর তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ভালো। এটি দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারো। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবে না।

 

  • ঠোঁটের লিপস্টিক তুলতে তুলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষতে হবে।
  • হাতের তালুতে সরিষার তেল এবং সামান্য ঘি আঙুলে ডগায় করে আলতোভাবে ঠোঁটে মেখে রাখো। সকালে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়ালেই টের পাবে ঠোঁটের এই যত্নের সুফল।

 

  • নিয়মিত কয়েক দিন কাঠবাদামের তেল ঠোঁটে মাখলে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হতে পারে।

 

  • গোলাপ ফুলের পাপড়ি বেটে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ২০ মিনিট ঠোঁটে লাগিয়ে রাখো, ঠোঁটের গোলাপি ভাব ফুটে উঠবে।

 

  • মধুর সঙ্গে পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার নরম কাপড় বা তুলা দিয়ে ধীরে ধীরে ঠোঁট মুছে নিতে হবে। কারণ, ঠোঁটের চামড়া নরম হয়ে থাকে, এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে এবং ঠোঁট গোলাপি হয়ে উঠবে।

 

  • কাঁচা দুধ তুলায় ভিজিয়ে আলতোভাবে কিছুক্ষণ ধরে ঘষলে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হতে পারে।

 

  • চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ওপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে ঠোঁটের রং হালকা করতে সাহায্য করে। দুই চামচ মাখনের সঙ্গে তিন চামচ চিনি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই স্ক্র্যাব ব্যবহারে ঠোঁটের রং হালকা হবে।

 

 

  • প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে পরিচিত লেবু। তাই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতেও লেবু দারুণ কার্যকর। এক চামচ লেবুর রস, সামান্য নারকেল তেল ও দুই চামচ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। চাইলে আরও খানিকটা চিনি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

 

  • এই স্ক্র্যাব ঠোঁটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। নরম এবং ছোট একটি টুথব্রাশ দিয়েও ঘষে নেওয়া যেতে পারে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরএই সংখ্যায়গ্রুমিংজীবনবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

বিয়ের গয়নার চলতি ট্রেন্ড

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

বিয়ের সাজে পোশাকের পর আসে গয়নার কথা। গয়না ছাড়া বিয়ের সাজ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। আকদ হোক বা বড় আয়োজনের বিয়ে, গয়নায় বউয়ের সাজের পূর্ণতা আসে। একটা সময় ছিল যখন বিয়ের গয়না মানেই ছিল ভারী গয়না। কিন্তু এখন আর সে যুগ নেই। বেশির ভাগ কনেই বিয়েতে হালকা গয়না পরতে চায়। হালকা নকশার ট্রেন্ডি গয়নায় বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে ফ্যাশনসচেতন কনেদের কাছে। বিয়ের গয়নার চলতি ট্রেন্ড নিয়ে রোদসীর আজকের আয়োজন। লিখেছেন সাবিহা জামান-

বর্তমানে বিয়ের গয়নার ট্রেন্ড নিয়ে কথা বলেন অনলাইন শপ ‘তন্দ্রাবিলাশ’-এর অনিয়া অনি। তিনি বলেন, বিয়েতে এখন শুধু সোনার গয়নাই পরে না বউয়েরা। এখন অনেকেই পাকিস্তানি কনেদের মতো সাজে। মুলতানি আর কুন্দন গয়না বর্তমান ট্রেন্ডে খুব চলছে। অনি আরও বলেন, ‘আগে একটা সময় ছিল যখন আমরা বিয়ের শপিং করতে শপেই যেতাম। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর ধরে অনলাইন শপ থেকেও এখন কনেরা বিয়ের শপিং করছেন। এর অন্যতম কারণ অনলাইন শপগুলোতে ট্রেন্ড মাথায় রেখে আনকমন গয়না আনে।’

সোনার গয়না
আসলে বিয়েতে সোনার গয়নার আবেদন সব সময় রয়েছে। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি বিয়েতে সোনার গয়না ছাড়া যেন পূর্ণতা পায় না। তবে আগের মতো এখন আর ভারী সোনার গয়নার যুগ নেই। বাজেট আর নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে সবাই হালকা ওজনের গয়নাই বেছে নেয়। আজকাল শুধু সোনা দিয়েই বিয়ের গয়না তৈরি হয় না। সোনার সঙ্গে মুক্তা, কুন্দন, পাথরের মিশেলে চমৎকার গয়নার সাজে কনেরা সাজছে। সলিড গোল্ডের পাশাপাশি পুঁতি, মুক্তা, স্টোন ও কুন্দনের মিশেলে তৈরি হচ্ছে বিয়ের গয়না। চলতি ট্রেন্ডে রুবি ও মিনাকারির কাজের সঙ্গে জারকান স্টোনের গয়নায় সাজছে বিয়ের কনে। কনেদের পছন্দের তালিকায় রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
বিয়ের গয়নার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ কনেই ২২ ও ২৪ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করছেন। রেডিমেড কিংবা পছন্দ অনুযায়ী বানিয়ে নিতে পারো তোমার বিয়ের সোনার গয়না।

মডেল: তাসনিয়া ফারিন। জুয়েলারি: তন্দ্রাবিলাশ

রুপা
বিয়েতে কেবল যে স্বর্ণ বা হীরার অলংকার পরতে হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। এই একবিংশ শতাব্দীতে আমরা কোনো নিয়ম বা প্রথায় আবদ্ধ না থেকে নিজের যেটা ভালো লাগে সে গয়নায় বিয়েতে সাজতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এখন বিয়েতে অনেকেই রুপার গয়নায় রুপালি সাজে সাজছে। বিশেষ করে হলুদের দিন রুপার গয়নার প্রচলন দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া রুপার ওপরে গোল্ড প্লেটের গয়না বেশ জনপ্রিয়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনে রুপার গয়না গড়িয়ে নিচ্ছেন কনেরা।

হীরার গয়না
প্রায় সব মেয়েই চায় হীরার কোনো গয়না তার থাকুক। এখন অনেকেই বিয়েতে সোনা আর হীরার মিশেলে গয়না বেছে নিচ্ছে। অনেকে আবার প্লাটিনামের সঙ্গে হীরার জুড়ি মিলিয়ে বিয়েতে পরছে। হীরা মূলত আভিজাত্যের প্রতীক আর বিয়ের দিন কনের সাজে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে হীরার গয়নার জুড়ি মেলা ভার। হীরার গয়না বলতে কিন্তু আমরা প্রায় সব সময় একটি ভুল করে থাকি। আমরা ধরেই নিই হীরা কেবল উচ্চবিত্তের নাগালে। কিন্তু এখন মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেও হীরা পাওয়া যায়। বিয়ের মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন সময় হীরার ওপরে বিভিন্ন ছাড় দিয়ে থাকে জুয়েলারি শপগুলো।

আমাদের দেশে দুই ধরনের হীরা পাওয়া যায়, যার একটি বোম্বে কাট আর অন্যটি বেলজিয়াম কাট। বোম্বে কাটের দাম কম থাকায় এর সস্তা চাহিদাও বেশি। হীরার গয়না ক্যারেট হিসাব করে হয়। যে হীরা যত বেশি ক্যারেট, এর দামও বেশি। হীরা কেনার সময় হলমার্কের লোগো দেখে কিনতে হবে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ডায়মন্ড গ্যালারি, ভেনাস ডায়াগোল্ড, অলংকার নিকেতন, নিউ জড়োয়া হাউসÑ এসব জুয়েলারি শপে বিয়ে আসলেই ভিড় পড়ে যায়।

ছবি: রেড

পাকিস্তানি আর ভারতীয় গয়নার চলন

হুহু করে বেড়েই চলেছে বিয়েতে পাকিস্তানি আর ভারতীয় গয়নার চল। অনেক কনেই বিয়ের বিশেষ দিনে সাজছে পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় গয়না দিয়ে। বিয়ের জন্য কুন্দন আর জয়পুরি গয়না এখন অনেক কনেই রাখছে পছন্দের তালিকায়। আর এ দুই গয়নাই আসে ভারত থেকে। কুন্দনের গয়নার জন্য ভারত জনপ্রিয়। ভারী গয়না যাদের পছন্দ, তারা অনেকেই ঝুঁকছে কুন্দনের গয়নার দিকে। আর যারা হালকার ভেতরে গয়না চায়, তারা জয়পুরি গয়নাগুলো পছন্দ করে।

পাকিস্তানি গয়নার কদর দিন দিন বাড়ছে। এখন অনেক কনেই পাকিস্তানি পোশাক আর গয়নায় ভিন্নভাবে সাজতে চায়। পাকিস্তানি কাটাই আর মুলতানি গয়নাগুলো ব্রাইডাল সেট হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে। কাটাই গয়না পুরোটাই হাতে কাজ করা হয়। তাই দেখতে বেশ লাগে। তবে আমাদের দেশের কাটাই থেকে পাকিস্তানি কাটাই বেশ আলাদা। তাই কনেরা বিয়েতে পাকিস্তানি কাটাই রাখে পছন্দের শীর্ষে। আর এ কাটাইগুলো ওজনে হালকা আর গোল্ড পলিশ করা থাকে বলে সোনার মতোই মনে হয়। মুলতানি গয়নাগুলোও অনেক জনপ্রিয় এখন। বিয়েতে ইউনিক লুক দিতে মুলতানি জুয়েলারির তুলনা নেই।

 

‘তন্দ্রাবিলাশ’-এর অনিয়া অনি

 

 

 

 

 

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আয়নাঘরগ্রুমিংজীবনযাত্রারূপ ও ফ্যাশন

শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন

করেছে Sabiha Zaman নভেম্বর ৭, ২০২১

হালকা ঠাণ্ডা যেন শীতের জানান দিচ্ছে। নিজের অবস্থান জানান দিতে শীত যেন বদ্ধ পরিকর। বেশ আরামদায় আবহ তৈরি হয় শীতের আগমনের শুরুতে। শীতের হিমহিম ছোঁয়া বেশ ভালো লাগলেও আমাদের ত্বকের জন্য বাড়তি চিন্তার বিষয়। আর শুষ্ক ত্বকে আবহাওয়ার পরিবর্তনে এ সময়ে ত্বকে কিছু সমস্যা তৈরি হয় অনেক বেশি। শীত যত বাড়তে থাকে, ত্বকের সমস্যা ততই বাড়বে। তাই শীতের শুরু থেকেই নিতে হবে ত্বকের যত্ন।  শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিয়ে লিখেছেন সাবিহা জামান_

শীতকালীন শুষ্ক ত্বকের যত্ন

  • শুষ্ক ত্বক যাতে আরো শুষ্ক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী।
  • ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। মুখের যত্ন নিতে ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • সাধারণ সাবানে ক্ষার থাকে যা শুষ্ক ত্বক আরো নাজুক করে দেয়। এজন্য ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠাণ্ডার ভয়ে অনেকেই শীটে পানি কম খায়। যদি এ অভ্যাস থেকে তবে বাদ দাও এজ থেকেই। কারণ পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে শীতেও।  
  • অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে, তাই অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।  
  • হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন নিতে এ সময় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে হাতের তালু ও পায়ে এতে অনেকটা মসৃণ হয়ে যাবে ত্বক। 
  • ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট ফেটে যায়। কখনো  অনেকের অভ্যাস আছে জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো, যেটি করা উচিত নয়। প্রতিদিন নিয়ম করে কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ঠোঁটে ভাব দিতে হবে। তারপর ভেসলিন বা গ্লিসারিন নিতে হবে। 

ছবি: ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়গ্রুমিংদেহ ও মনসচেতনতাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মন এবং মেডিটেশন

করেছে Sabiha Zaman অক্টোবর ২৭, ২০২১

রেহনুমা তারান্নুম

জীবন সুন্দর। তবে অনেকে অল্পতেই হতাশায় পড়ে। ভাবতে থাকে এই জীবন রেখে কী হবে? আমি তো কিছুই পেলাম না! কী হবে? হাবিজাবি এই সব দুশ্চিন্তায় প্রচণ্ড খারাপ সময় কাটাতে থাকে। কিন্তু একটিবার ভেবে দেখো তো! যে জীবনে সব পেয়েছে, সে-ও কি শতভাগ সুখী? হয়তো নয়! কারণ সুখ আপেক্ষিক। তুমি চাইলেই আনন্দ বইয়ে দিতে পারো নিজের জীবনে। কীভাবে? সময় দাও নিজেকে। বারবার প্রশ্ন করো। তুমি আসলে কী চাও। তবে মনকে সুস্থ রাখতে, ভালো রাখতে মেডিটেশন কিন্তু খুব ভালো উপায়। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলেন-

জীবন গতিশীল। সুখ-দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না নিয়েই আমাদের জীবন। হঠাৎ যখন প্রচণ্ড আনন্দ, হতাশা যখন ধেয়ে আসে, তখন দৈনন্দিন জীবনের গতি থমকে যায়। তবে সারা দিনের এই ক্লান্তি, হতাশা, মলিনতাকে পেছনে ফেলে পৌঁছে যেতে পারো সুস্থ-শান্ত পরিবেশে। শুধু সঠিক ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুমই যথেষ্ট নয়। যদি নিয়ম করে রোজ সকালে বা সন্ধ্যায় সামান্য সময় দিতে পারো নিজের মনের সঠিক বিশ্রামের জন্য, তবে সাফল্য-সুখ-শান্তি ও সুস্বাস্থ্য থাকবে সমপরিমাণে।
কেউ যদি নিয়মিত মেডিটেশন করে, তাহলে সে সুস্থ সফল সুখী জীবনের অধিকারী হবেই এবং সে অনেকগুলো সমস্যা থেকেও দূরে সরে আসবে। যেমন ঘুম, দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন, উদ্যোগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এ ছাড়া নানা ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থেকেও রেহাই পাবে।


করোনার সময় মানুষ নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা, একাকিত্বে মানুষ বেশি ভুগছে। অনেকে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। বলা যায়, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ওষুধ তৈরি হয়নি, যা দিয়ে মানসিক শক্তি বাড়ানো যায়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। এমনকি মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের জিনও পরিবর্তিত হয়, যার ফলে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেকোনো ধরনের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা বাড়ানো যায়। সুতরাং বলা যায়, মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর যাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি থাকে, যা এই করোনার সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

মেডিটেশনের আগে

* সুতির আরামদায়ক যেকোনো পোশাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী।
*পরিষ্কার পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে করতে পারো মেডিটেশন।
*ট্রাউজার বা ট্রাক স্যুটও চলবে।
*যেকোনো ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পারো।
*শরীরে যেকোনো অলংকার না রাখাই ভালো।

যেভাবে করতে হবে মেডিটেশন

মেডিটেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সহজ হলো ব্রিদিং মেডিটেশন। দিনে যদি দুই থেকে তিনবার ১০-১৫ মিনিট সময় বের করতে পারো, তাহলেই ব্রিদিং মেডিটেশন করা সম্ভব। সাধারণত মেডিটেশন করতে হয় পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।

দুই হাত থাকবে দুধারে, ধ্যানমুদ্রায়। কোমর, কাঁধ, মাথা একটি সরলরেখায় থাকবে। শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ। এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষণ অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করো। দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে। বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে। একটি শান্ত জায়গা খুঁজে নাও, যেখানে তুমি আরামে বসতে পারবে। দুই পা একটির ওপর আরেকটি তুলে ক্রুশ করে বসো। তবে পিঠ ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে তুমি যেকোনো পজিশনে বসতে পারো। পিঠ সোজা করে না বসলে ঘুম পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। দুচোখ আধো বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করো। স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নাও। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে না। বোঝার চেষ্টা করো কীভাবে হাওয়া নাকের ভেতর দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে যাচ্ছে। কীভাবে ফুসফুসে হাওয়া ভরছে আর তোমার বুক ওঠা-নামা করছে। একইভাবে যখন শ্বাস ছাড়ছ, সেই ব্যাপারটাও অনুভব করার চেষ্টা করো। কীভাবে হাওয়া তোমার নাকের ভেতর দিয়ে আবার তোমার শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝাও মেডিটেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া ছাড়া আর কোনো কিছুর ওপরই মনোযোগ দেবে না।

 

মনে রাখতে হবে

সারা দিনের কাজের চাপের কারণে তোমার মনে হতেই পারে যে মেডিটেশন তোমাকে আরও ব্যস্ত করে তুলেছে। তবে বাস্তব চিত্রটা একটু অন্য রকম। মেডিটেশন আসলে ভাবনার প্রতি আমাদের সচেতনতা বাড়ায়। মেডিটেশন করার সময় যতবার মন অন্যদিকে যাবে, ততবার শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করবে। যত দিন যাবে, দেখবে যে তোমার মনঃসংযোগ বাড়বে এবং তুমি আরও বেশি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবে।

সুস্থ সফল সুখী জীবনের জন্য মেডিটেশন

মনকে শান্ত ও সুস্থ রাখতে মেডিটেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর চর্চা সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ খুবই কম জানে। ফলে মানুষের মধ্যে আগ্রহও কম। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করে। মেডিটেশন হচ্ছে মনের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিটেশনের তিনটি প্রধান সুফল উল্লেখ করেছে। এক. হার্টরেট স্বাভাবিক থাকা, দুই. মেন্টাল স্ট্রেস কমে যায় এবং তিন. উচ্চ রক্তচাপ কমে ও হার্ট নিয়ন্ত্রিত থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হৃদ্্রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা এর দুই বা তিন মাস আগে কোনো না কোনো সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক বিষয়ে মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, মানসিকভাবে ভালো থাকলে হৃদ্্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

সুস্থতা জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করবে। চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে। তাই নিজেকে সুস্থ এবং প্রাণোচ্ছল রাখতে নিয়মিত ইয়োগা এবং মেডিটেশন শুরু করতে হবে। চিন্তা করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তবে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ নিমেষেই কেড়ে নেয় মনের সুখ-শান্তি। যা জন্ম দেয় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগ। তাই ভালো থাকতে দুশ্চিন্তামুক্ত ও মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। না, কাজটি খুব কঠিন নয়। নিয়মিত ইয়োগা, মেডিটেশন, ব্যায়ামের মতো কিছু সু-অভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিক চাপমুক্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারো। হেমন্তের শীতের আমেজে চাঙা থাকতেও জাদুর মতো কাজ করবে ইয়োগা ও বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম।
হিম হিম শীতে শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখতে, কর্মচাঞ্চল্য ধরে রাখতে, রোগবালাই দূরে রাখতে এবং মনকে ফুরফুরে রাখতে টনিকের মতো কাজ করে ব্যায়াম। সঙ্গে শীতটাকেও করে তোলে উপভোগ্য। তাই বলে শুধু যে ব্যায়ামাগারে গিয়েই ব্যায়াম করতে হবে তা কিন্তু নয়, হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটাÑ এগুলো সবই শরীরচর্চার মধ্যে পড়ে। তাই সময় এবং সুযোগমতো করতে পারো এর যেকোনোটি।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখো। আর এ সময়টা ব্যয় করো একদমই নিজের মতো করে। এ সময় গান শুনে, বই পড়ে, সিনেমা দেখে কিংবা ভালো লাগার যেকোনো কিছু করে সময় কাটাতে পারো। এ ছাড়া সম্ভব হলে প্রতিদিন খোলা আকাশের নিচে সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটাও।
একটানা কাজ না করে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নাও। আর লম্বা কাজের পর আয়েশ করে কিছুটা সময় বিশ্রাম নাও এবং প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাও।

ছবি: ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়গ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাপার্শ্ব রচনাবিশেষ রচনা

মনের যত্নে সাজ

করেছে Sabiha Zaman অক্টোবর ২১, ২০২১

সুরাইয়া নাজনীন

আমরা মনের যত্নে কী করি? আদৌ কি জানি মনের যত্ন নিতে কী করা দরকার। অবশ্য একেকজন একেকভাবে ভাবে এ বিষয়ে। তবে হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়া মনটাকে ভালো করতে মনের মতো করে সাজা যেতে পারে। সাজলে মন কিন্তু ভালো হবেই। তবে জবরজং সাজলে ভালো মনও খারাপ হতে পারে। মন ভালো করতে সাজের কী ক্যারিশমা, তা জানালেন বিউটি এক্সপার্ট আফরোজা পারভীন

রঙের ভেলায়
সাজে রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে খুশি সেখানে রং ব্যবহার করলেই হবে না। জানতে হবে এর সঠিক ব্যবহার। মন খারাপ নিয়ে যদি ডার্ক কালারের মেকআপ করা হয়, তাহলে মনের ওপর আরও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বললেন আফরোজা। হালকা পিংক শেড কিংবা গোল্ডেন শেডের মেকআপ নিলে দেখতেও ভালো লাগবে, আবার মনও ভালো হবে। চোখে হালকা কাজল দিয়ে হালকা শেডেই সেজে নিতে পারো। এ সময় স্মোকি করার দরকার নেই। এতে সময় বেশি লাগবে, মনের ওপর অন্য রকম চাপ পড়তে পারে। গাল ভরে ব্লাশন নেওয়ার কোনো দরকার নেই। আঙুল দিয়েই একটু বুলিয়ে নিতে পারো। এতে মুচকি হাসলেই তোমাকে দারুণ, মনটাও চনমনে হয়ে উঠবে।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন
মন ভালো তো শরীর ভালো বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করেন। আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন শরীরের পাশাপাশি মনকে উৎফুল্ল রাখা। কারণ, আমাদের মন ভালো মানে শরীর ভালো। যেকোনো কাজের উৎসাহটা পাই আমাদের মন থেকে। তাই মন ভালো রাখার দায়িত্বটাও আমাদেরই। তাই যেকোনো কাজই মনোযোগ দিয়ে করলে তা আর পাঁচটা কাজের থেকে ভালোভাবে শেষ হয়।
তবে প্রশ্ন জাগতে পারে যে করোনাকালীন দেহবন্দী মনকে কীভাবে ভালো রাখব? আসল কথা হলো, নিজেকে ঘরে আবদ্ধ করেও মন ভালো রাখা যায়। আর সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন নিজেকে পরিপাটি বা গুছিয়ে রাখা। কারণ, যখন আমরা বাড়িতেও নিজেকে পরিপাটি করে রাখব, তখন আমাদের মনও সতেজ থাকবে।
ঘরে বসে সাজ। মানেটা খুবই সোজা। যেহেতু সাজটাও একটা কাজ, আর তুমি যখন সাজতে ভালোবাসো এবং তা খুব মনোযোগ দিয়েই করছ, তাহলে আর দেরি কেন। এবার ঘরে বসেই শুরু করে দাও সাজের মাঝে কাজ। আমরা সবাই সাজতে পারি, কিন্তু অন্যদের থেকে নিজেদের একটু আলাদাভাবে যে উপস্থাপন করতে পারে, তাকে সবাই অনুকরণ করে। এই ঘরবন্দী সময়কে নষ্ট না করে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাহলে পছন্দের কাজটা দিয়েই না হয় শুরু করে দিতে পারো। আর উপভোগ করে নাও নিজের সৃজনশীল কাজ।

সাজ কি শুধুই রূপসজ্জা?
না, একদমই না। সাজসজ্জার অনেক ধরন আছে, যার মধ্যে রূপসজ্জাটাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। নিজেকে পরিপাটি রাখতে যেমন সাজসজ্জা করো, তেমনি ঘরটাকেও সাজিয়ে রাখো। ব্যস্ততার জন্য ঘরের সাজে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এখন সে ঘরটাকে মনের মতো সাজাতে পারো। পছন্দের শোপিস কিনতে শপিং মলে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইন শপ থেকে আনিয়ে নিতে পারো পছন্দের শোপিস। আর অলংকিত করতে পারো সাধের ঘর। বাগানের শখ থাকলে করে নিতে পারো। এত দিন সময়ের অভাবে করতে পারছিলে না, তা এখন সাজিয়ে ফেলতে পারো মনের মতো করে। পছন্দের বইয়ের আলমারিটা জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। সময়ের অভাবে হাত দেওয়া হয়নি বইয়ের আলমারিতে। এখন পছন্দের বই দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারো আলমারিটা। অনেকেই ছবি আঁকতে পছন্দ করে। এত দিন হয়তো সময় মেলানো কঠিন ছিল। বর্তমান সময়টা ঘরে বসেই কাটাতে হয়। তাই জাগিয়ে তোলো সৃজনশীলতাকে। এঁকে ফেলো মনের শতরঞ্জি। অনেক দিন ধরে পছন্দের বারান্দাটা সাজাতে পারোনি। চাইলে এখন বারান্দাটাকে সাজাতে পারো একটু অন্য ধাঁচে।

মন ভালো তো শরীর ভালো
মন ভালো থাকলেই ভালো থাকবে শরীর। শরীরের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকের উচিত মনকে আগে ভালো রাখা। কারণ, আমাদের মন ভালো থাকলেই শরীর ভালো থাকে। যেকোনো কাজে আমরা দারুণ উৎসাহ পাই যখন আমাদের মন ভালো থাকে। তাই যে কাজটা আমরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে না করে মনোযোগ দিয়ে করি, তা আর পাঁচটা কাজের থেকে ভালোভাবে শেষ হয়। তবে বলতেই পারো যে এই করোনাকালে নিজেকে ঘরবন্দী রেখে মন কীভাবে ভালো রাখব? হ্যাঁ, আমি বলব এই সময়ে নিজেকে ঘরবন্দী করেও নিজের মন ভালো রাখা যায়। আর তার জন্য চাই নিজেকে সব সময় সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা। কারণ যখন আমরা বাড়িতেও নিজেকে পরিপাটি করে রাখব, তখন আমাদের মনও সতেজ থাকবে।

এখন যদি একটু লক্ষ করি তাহলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে এখন অনেক বিউটি ব্লগার কাজ করছেন এবং তারা তাদের ভিডিও টিউটোরিয়ালের মধ্যে সাজসজ্জাকে এক অন্য রকম ধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। আগে যেমন কোনো বিয়ে বা কারও জন্মদিন কোনো অথবা যেকোনো অনুষ্ঠানের কথা শোনামাত্র মাথায় আসত কোন পারলারে সাজব! কিন্তু এখন আর পারলার থেকে সাজার ঝামেলা নেই। কারণ, বিউটি ব্লগারদের ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেই সাজের কাজটা কোনো ঝামেলা ছাড়া বাড়িতেই সেরে ফেলা যায়।

ছবি: ইন্টারনেট

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়গ্রুমিংরূপ ও ফ্যাশনসমস্যা

ফেটে যাওয়া চুল

করেছে Sabiha Zaman অক্টোবর ১৮, ২০২১

বড় হোক বা ছোট, চুল থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর। সুন্দর চুল মানে কেবল বড় চুল নয়, ছোট স্বাস্থ্যকর চুলও কিন্তু সৌন্দর্য বহন করে। কিন্তু আমাদের চুলের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে চুলের আগা ফেটে যাওয়া। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোগটির নাম ট্রাইকোসিজিয়া। রোদসীর এবারের আয়োজনে থাকছে ফেটে যাওয়া চুল নিয়ে। লিখেছেন সাবিহা জামান-

চুলের আগা ফাটার কারণ
চুলের আগা ফাটার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে এর প্রধান কারণ হলো অযত্ন। সঠিক যত্নের অভাবেই চুল নষ্ট হয়ে যায়। ফলাফল হিসেবে চুলের বিভিন্ন অংশ ও আগার অংশ ফেটে যেতে শুরু হয়। চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার, তাপ প্রয়োগ (রিবন্ডিং, কার্লিং) চুলের আগা ফাটার জন্য দায়ী। শুধু তাই নয়, আমাদের শারীরিক অপুষ্টির কারণেও চুলের আগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।

ফাটা রোধে করণীয়
চুলের আগা ফাটার উপদ্রবে খুব অল্প সময়েই চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আগা ফাটার কারণে চুলের বৃদ্ধি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের ধারণা, চুলের আগা ফাটা রোধে ট্রিম করাই যথেষ্ট। যেটি একেবারেই ভুল ধারণা। চুলের আগা একবার ফেটে গেলে তা স্বাভাবিক রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই চুলের যে অংশটুকু ফেটে গেছে, সেই অংশ কেটে ফেলতে হয়। তারপর নিতে হয় প্রতিরোধব্যবস্থা। এ অংশ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনায় যাব এখন।

নিয়মিত তেল
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আমরা নিয়মিত চুলে তেল লাগাতে সময় পাই না। যার ফলস্বরূপ দেখা দেয় চুলের আগা ফাটা। আর এর জন্য সবচেয়ে কার্যকর সমাধান তেল। আমাদের চুলে পুষ্টির জোগান দেয় তেল। তাই নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে। খুব ভালোভাবে মাথার ত্বকে মালিশ করে চুলে তেল দেবে। সপ্তাহে তিন দিন তেল লাগানো উচিত। এতে চুল পুষ্টি পায়।
আমরা সাধারণত নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকলেও জলপাই তেল, বাদাম তেল বা তিলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যে তেলই ব্যবহার করো না কেন, তা যেন ভালো মানের হয় সেদিকে নজর দেবে।

ক্যাস্টর অয়েল
চুলের যত্নে খুব উপকারী ক্যাস্টর অয়েল। এই তেল চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি জোগায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের চুলকানি, চুলের শুষ্কভাব ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে থাকে এটি।
ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের জন্য প্রথমেই ২ চা-চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ২-৩ চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নাও। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করে তেল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখো। ১-২ ঘণ্টা এভাবে রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নাও। এভাবে সপ্তাহে দুবার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে পার্থক্য নিজেই দেখবে।

হানি হেয়ার মাস্ক
মধু চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে রাখতে সাহায্য করে। হানি হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে চুলে আর্দ্রতা ও পুষ্টি ফিরে আসে। সঙ্গে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হয়ে যায়।
হানি হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য ২-৩ চা চামচ মধু, এক চা-চামচ নারকেল তেল ও ৩ চা-চামচ দুধ নিতে হবে। এরপর সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে চুলের আগায় ভালোভাবে লাগিয়ে নাও। চুলের গোড়াতেও এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারবে। এভাবে ১-২ ঘণ্টা রাখার পরপর ভালো ব্র্যান্ডের হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নাও। সপ্তাহে এক থেকে দুবার ব্যবহার করতে পারো হানি হেয়ার মাস্ক।


ডিম ও মধু
চুলের যত্নে ডিম ও মধু ব্যবহার নতুন নয়। এ উপাদানগুলো চুলের আগা ফাটায় খুব ভালো উপকারে আসে। ব্যবহার পদ্ধতিও অনেক সহজ। এর জন্য ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে ১ টেবিল চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে নাও। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর খুব ভালোভাবে শাম্পু করে চুল ধুয়ে নাও। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে এই হেয়ার ট্রিটমেন্ট।
জবা ফুল
চুল ফাটা প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখে জবা ফুল। এই ফুলের রস চুল নরম ও মসৃণ রাখে। ব্যবহারের জন্য প্রথমে বাটিতে তেল নিয়ে চার থেকে পাঁচটি জবা ফুল গরম করো। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে সংরক্ষণ করতে হবে। তেল ম্যাসাজ করে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে নাও। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারো এটি। প্রথমবার ব্যবহার থেকেই চুল হবে সিল্কি। জবা ফুলের রসে রয়েছে পুষ্টিকর উপাদান, যা চুলের আগা ফাটা দূর করে। এ ছাড়াও খুশকি ও চুল পড়া রোধ করতেও বেশ উপকারে আসে জবা ফুল।

টক দই
চুল ফেটে যাওয়া রোধ করতে চমৎকার উপকরণ হচ্ছে টক দই। এটি ব্যবহার করলেও চুল ফেটে যাওয়াসহ চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। এ জন্য চুল অনুযায়ী পরিমাণমতো টক দই নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ম্যাসাজ করো। সঙ্গে সামান্য তেল মিশিয়ে নিতে পারো, যা চুল ময়েশ্চারাইজ করবে।

অ্যালোভেরা
মূলত রুক্ষ শুষ্ক হলেই ফাটতে শুরু করে চুল। অ্যালোভেরা চুলের রুক্ষতা দূর করে ময়েশ্চারাইজ করে ফলে চুলের আগা ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ করে। প্রথমে একটি অ্যালোভেরার শাঁস ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নাও। ভালোভাবে মিশে ফেলে চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নাও। ১ ঘণ্টা পর খুব ভালোভাবে শাম্পু করে নাও।

যেসব থেকে বিরত থাকবে

  • আমরা অনেকেই একটু পরপরই চুল আঁচড়াই। কিন্তু এটি চুলের জন্য ভালো নয়। তাই ঘন ঘন আঁচড়াবে না।
  •  গোসল করে চুল শুকানোর জন্য গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুলে বাড়ি দেওয়ার অভ্যাস থাকলে এটা বাদ দাও।
  • চুলে ঘন ঘন হেয়ার ড্রায়ার ও অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করবে না।
  •  রাতে খোলা চুলে ঘুমাবে না। বরং হালকা বেণি বা হাতখোঁপা করে ঘুমাবে।

ছবি : সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook