রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

গ্রুমিং

.অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাপ্যারেন্টিংসচেতনতাসমস্যা

সম্পর্কে ছন্দপতন, অতঃপর…

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২২, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

‘অবশেষে রাজা, রানী আর তাদের রাজকন্যা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো’। রুপকথার কাহিনীগুলোতে প্রায় সব গল্পেরই পরিসমাপ্তি ঘটে একটি সুখী পরিবারের বুনন ঘটিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা কখনোই রুপকথার কাহিনী নয়। এখানে সবার জীবনের গল্পেরও হ্যাপি এন্ডিংয়ের নিশ্চয়তা থাকেনা। মাঝে মাঝে সম্পর্কের দোলাচালে ঘটে ছন্দপতনের। কখনো ভেবে দেখেছো কী, জীবনের এই টানাপোড়েন ঘরের ছোট্ট সদস্যের উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলে? 

 

ছোট্ট আরীবা, যে কিনা ছিল স্কুলে সবচেয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট; হঠাৎ করেই মাসখানেক তার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ক্লাসে অমনোযোগী, চুপচাপ একদম। একা থাকতেই যেন পছন্দ করে সে। তাকে ঘিরে ডিভোর্স, ব্রোকেন ফ্যামেলি এমন খটমটে শব্দ শুনতে পায় সে। কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও আরো যেন বিষন্নতা ঘিরে ধরে তাকে। এটি একটি কল্পকাহিনী হলেও এমন ঘটনা আমাদের আশেপাশে অহরহ দেখা যাচ্ছে। বিবাহবিচ্ছেদ যেকোন পরিবারের জন্য একটি কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে পারে। একটি পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া মানে তার সাথে সম্পর্কিত অনেকগুলো স্বপ্নের মৃত্যু। সম্পর্কের হঠাৎ এই পরিবর্তন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর যেমন প্রভাব ফেলে তেমনি ঘরে যে বাচ্চারা আছে তাদের উপরও সমান প্রভাব ফেলে। কিন্তু কখনও কখনও, পিতামাতারা তাদের সন্তানদের উপর এই বিচ্ছেদের পরবর্তী প্রভাবগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেনা। দম্পতিদের জন্য তাদের সন্তানদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আত্মদর্শন এবং আলোচনা করা অপরিহার্য। সন্তানদের উপর কেমন প্রভাব পড়ে, আসো আমরা জেনে নিই।

খারাপ একাডেমিক পারফরম্যান্স

সম্পর্কের টানাপোড়েনের দরুন পরিবারের পরিবর্তনশীল গতিশীলতা তাদের বিভ্রান্ত করে তোলে। আর এই বিভ্রান্তিতা তাদের দৈনন্দিন ফোকাসে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলাফল পরে একাডেমিক পারফরম্যান্সে। শিশুরা যত বেশি বিভ্রান্ত হয়, তাদের স্কুলের কাজে মনোযোগ দিতে না পারার সম্ভাবনা তত বেশি।

আবেগীয় অনুভূতি

বিবাহবিচ্ছেদ একটি পরিবারের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবেগকে সামনে আনতে পারে এবং এর সাথে জড়িত শিশুরাও আলাদা নয়। উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, উদ্বেগ, ক্রোধ এমন আরও অনেক কিছুই এই পরিবর্তন থেকে আসতে পারে। ছোট বাচ্চাদের বয়স্কদের তুলনায় এটির প্রবণতা হয় বেশি কারণ তারা বাবা- মা উভয়ের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। একটি উদ্বিগ্ন শিশু তার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করবে এবং সকলধরনের ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে যা একসময়ে তার কাছে খুবই লোভনীয় বলে মনে হতো।

বিষন্নতা

পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট যন্ত্রণা এবং হৃদয়বিদারক অনুভূতি একটি শিশুকে বিষন্নতায় ফেলে দিতে পারে। বিষন্নতা একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং বিবাহবিচ্ছেদের সাক্ষী শিশুদের মধ্যে বিষন্নতা এবং সামাজিক প্রত্যাহারের ঘটনা বেশি থাকে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে শিশুদের মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ একটি অবদানকারী কারণ হতে পারে।

অপরাধবোধের অনুভূতি

আমেরিকান একাডেমি অফ চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি অনুসারে, অনেক শিশু তাদের পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদের পিছনে নিজেকে কারণ বলে মনে করে অপরাধবোধে ভোগে। এই অপরাধবোধ হতাশা, চাপ বাড়ায়; এতে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং দুঃস্বপ্নের মতো বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন

ছোট বাচ্চারা ঘন ঘন মুড সুইং এ ভুগতে পারে এবং এমনকি খিটখিটেও হতে পারে পরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সময়। তাদের রাগ অনুভূত কারণগুলোর বিস্তৃত পরিসরে পরিচালিত হতে পারে। বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়াকারী শিশুরা তাদের পিতামাতা, নিজেদের, তাদের বন্ধুবান্ধব এবং অন্যদের প্রতি রাগ প্রদর্শন করতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে তারা প্রত্যাহার মোডে চলে যায়। যেখানে তারা কারও সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেবে এবং অন্যের সাথে মেশার পরিবর্তে একা সময় কাটাতে পছন্দ করবে।

ধ্বংসাত্মক আচরণের ভূমিকা

শিশুরা যখন বিবাহবিচ্ছেদের মতো এই ট্রমার মধ্য দিয়ে যায়, তখন অমিমাংসিত দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তালাকপ্রাপ্ত পিতামাতার সাথে কিশোর-কিশোরীরা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তালাকপ্রাপ্ত বাবা-মায়ের কিশোর-কিশোরীরা আগে অ্যালকোহল পান করে এবং তাদের সমবয়সীদের তুলনায় বেশি অ্যালকোহল, গাঁজা, তামাক এবং মাদক সেবনের রিপোর্ট করে।

সন্তানের মানসিক চাপ কমানোর উপায়

বিবাহবিচ্ছেদের মতো এমন বিরুপ পরিস্থিতির সাথে শিশুরা কীভাবে সামঞ্জস্য করে তার জন্য পিতামাতারা একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এখানে কিছু কৌশল রয়েছে যা শিশুদের উপর মানসিক চাপ কমাতে পারেঃ

-বাবা-মায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বাচ্চাদের সহজেই ট্রমাটাইজড করে দেয়। প্রকাশ্য শত্রুতা, একে অপরের উপর চিৎকার করা, হুমকি দেয়া শিশুদের আচরণের সমস্যার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্তানের কথা মাথায় রেখেই এগুলো পরিহার করা উচিৎ।

-বাবা-মায়ের দ্বন্দ্বের মাঝখানে বাচ্চাদের রাখা এড়িয়ে চলতে হবে। তাদের দুজনের মাঝে একজনকে বেছে নেয়া বা এমন কোনো কথা না বলা যাতে সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাই সন্তানকে এত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ফেলার আগে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।

-বিবাহবিচ্ছেদ এমন এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা কোন সুফলতা বয়ে আনেনা। কিন্তু বিচ্ছেদের পরেও সন্তানের কথা চিন্তা করেই একটি সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা যেতে পারে। ইতিবাচক যোগাযোগ, পিতামাতা উভয়ের উষ্ণতা বাচ্চাদের উচ্চ আত্মসম্মান এবং একাডেমিক পারফরম্যান্স বিকাশে সহায়তা করে।

-পরিত্যাগের ভয় এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা অনেক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সন্তানকে ভালোবাসা, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করতে সাহায্য করা তার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কমাতে পারে।

-নিজের স্ট্রেস লেভেল কমানো তা সন্তানকে সাহায্য করার জন্য সহায়ক হতে পারে। সেজন্য স্ব-যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আর দরকার হলে পেশাদারের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংচলন বলনজীবনযাত্রাসচেতনতা

খাবার টেবিলের আদবকেতা

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

কোন ডিনার পার্টিতে আমন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছো অথবা বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছো, উপলক্ষ্য যাই হোক না কেন খাবার টেবিলের কিছু সাধারণ ম্যানার্স বা আচার-ব্যবহার রয়েছে যা সবাইকেই অনুসরণ করা উচিৎ। তোমার টেবিলের এই আদবকেতা আগত অতিথিদের উপর একটি দূর্দান্ত ছাপ রেখে যেতে পারে এবং এটি প্রত্যেককে তাদের খাবার উপভোগ করার সাথে সাথে খুশি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়তা করবে।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- ‘ম্যানার্স মেকথ ম্যান’। এর মানে হল যে তোমার আচার-ব্যবহার তোমাকে তৈরি করে। তুমি কে এবং তোমার সম্পর্কে কারও মতামত গঠন করতে সহায়তা করে। আচার-আচরণ হল তুমি কীভাবে নিজেকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করো এবং বিশেষ করে যখন তুমি খাচ্ছো। ডাইনিং শিষ্টাচারের ইতিহাস অনেক গভীরে প্রোথিত। অনেকের কাছে আনুষ্ঠানিক টেবিল সেটিংস হল একটি শিল্প ফর্ম এবং টেবিলের আচারগুলোকে হালকাভাবে নেয়া উচিৎ নয়। প্রাচীনতম পশ্চিমা খাবারের ঐতিহ্যগুলো প্রাচীন গ্রীকদের দ্বারা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অন্যদের সাথে খাওয়ার অভ্যাসকে আনন্দদায়ক করতে কয়েক শতাব্দী ধরে টেবিল শিষ্টাচার বিকশিত হয়েছে। টেবিল ম্যানার্স দেশ থেকে দেশে এবং সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে পরিবর্তিত হয়। তবে সাধারণ কিছু আদব-কায়দা আছে যা সবাইকে অনুসরণ করা উচিৎঃ

-খাবার খেতে বসার আগে হাত পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নাও। প্রয়োজনে হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ভালো করে ধৌত করে নাও। যদি কোন বাচ্চাকে টেবিলের আচার-আচরণ শেখাও, তাহলে তাদের হাত কতক্ষণ ধুতে হবে এবং কতটা স্ক্র্যাব করতে হবে তা বলার জন্য এটি একটি মোক্ষম সময়। তবে কিছু ফ্যান্সি রেস্তোরাঁয় হাত ধোয়ার জন্য পানির একটি আলাদা পাত্রের বন্দোবস্ত থাকে।

-পরিবেশন করা খাবার দেখতে যতই সুস্বাদু বা লোভনীয় হোক না কেন, সবাই বসে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো আচরণ। আনুষ্ঠানিক সেটিংসে, প্রথমে খাওয়া শুরু করার জন্য যিনি হোস্ট তার জন্য অপেক্ষা করা ভালো। আর যদি কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যাও, তবে প্রত্যেকে তাদের খাবার না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়।

তবে এই নিয়মেরও ব্যতিক্রম আছে। হোস্ট যদি খাবার পরিবেশনের তদারকিতে থাকেন এবং সবার খাওয়া আগেই নিশ্চিত করতে চান, তবে সেক্ষেত্রে শুরু করা দেয়া যেতে পারে।

-খাবার টেবিলে যাওয়ার আগে হাতের মুঠোফোনটি সাইলেন্ট বা ভাইব্রেটের উপর রাখো এবং এটি একটি পার্স বা পকেটে রাখতে পারো।

-টেবিলে থাকা নির্দিষ্ট ন্যাপকিনটি খুলে তোমার পুরো কোলের উপর মেলে রাখো। এটিকে মসৃণ করো যাতে তা সমতল হয়। এটি তোমার হাত বা চামুচ থেকে পড়ে যাওয়া যেকোন খাবার ধরে ফেলবে। এছাড়াও কোলে রাখার কারণে এটি সহজে নাগালের মধ্যে থাকে, তাই যখন প্রয়োজন খাবারের সময় ন্যাপকিন ব্যবহার করে হাত বা মুখ মুছতে পারো। যদি খাবার মাঝে তোমাকে টেবিল ছেড়ে যেতে হয়, তোমার রুমালটি চেয়ারে রাখো, টেবিলে নয়। এটি সংকেত দেবে যে তুমি ফিরে আসবে এবং তোমার খাবার শেষ হয়নি।

-মুখ বন্ধ করে খাবার চিবিয়ে খাওয়া শোভন দেখায়। যদি তুমি তোমার খাবার চিবিয়ে থাকো এবং কেউ এমন কিছু বললো যার উত্তর তুমি দিতে চাও; সেক্ষেত্রে খাবার গিলে ফেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। মুখ খোলা রেখে চিবানো বা মুখ পূর্ণ হয়ে গেলে কথা বলাকে অনেকে অশোভন মনে করে।

-টেবিলে হাতের কনুই রেখে খেতে খুব আরামদায়ক হতে পারে। বিশেষ করে তুমি যদি ক্লান্ত হয়ে থাকো। কিন্তু তুমি যদি একটি ডিনার পার্টিতে থাকো বা রেস্তোরাঁয় থাকো, তবে কনুই টেবিল থেকে দূরে রাখাই ভাল আচরণ। কনুই টেবিলে রাখা অনেক জায়গা নেয় এবং এটিকে খারাপ আচরণ মনে করা হয়। একটি হাত তোমার কোলে রাখতে পারো যখন এটি তুমি খাবার খেতে ব্যবহার করছোনা।

-তুমি যখন কোন আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ বা ফ্যান্সি কোন রেস্টুরেন্টে যাবে, সেখানে টেবিলে থাকা একাধিক কাঁটাচামচ, ছুরি দেখতে পাবে। তখন কোন চামচ, কাঁটা বা ছুরির ব্যবহার করতে হবে তা  নিয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে খাবারের কয়েকটি কোর্স হিসেবে কয়েকটি ভিন্ন চামচ এবং ফর্ক দিয়ে সেটিংস নিয়ে রাখো, যা সাধারণত বিভিন্ন আকারের হয়। আর যদি বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে একটি ডিনার পার্টিতে থাকো তবে সেখানে হয়তো একাধিক পাত্র নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।

-রেস্তোরাঁয় খাবারের সময় সঠিকভাবে চামুচ ব্যবহার করে নাও। ডান হাতে ছুরি এবং বাম হাতে কাঁটা চামচ ধরো। ছোট ছোট টুকরো করে খাবার মুখে নাও। খাবার শেষে চামচ আর ছুরি প্লেটের মাঝ বরাবর রেখে দাও।

-নিজের খাবার যদি নিজেকে নিয়ে পরিবেশন করতে হয় তবে খাবারগুলো চারপাশে রেখে দাও। একবার তুমি পর্যাপ্ত খাবার নেয়ার পর, ডানদিকে থাকা ব্যক্তির কাছে পাত্রটি তুলে দাও। পরবর্তীতে আরও খাবারের প্রয়োজন হলে এবং তা যদি নাগালের বাইরে থাকে তাহলে তা ভদ্রভাবে দিতে বলো। কখনও অন্যজনকে অতিক্রম করে খাবার নিতে যাবেনা।

-একটি ডিনার পার্টি শুধুমাত্র খাবার দাবারের জন্যই নয়। খাওয়ার খাওয়ার সময় আশেপাশে অন্যান্য অতিথিদের সাথে কথা বলতে ভুলবেনা এবং চলমান কথোপকথন মনোযোগ সহাকারে শুনে নিজেও সে বিষয়ে যোগদান করো। তবে কথা শুরু করার আগে মুখে থাকা খাবার চিবিয়ে গিলে ফেলতে ভুলবেনা।

-খাবারের মাঝে ঢেঁকুর, হাঁচি, কাশি আসা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখো এবং মুখ বন্ধ রাখো যাতে এটি জোরে না হয়।

-তুমি যদি পারিবারিক কোন নৈশভোজে থাকো তবে পরিষ্কারের জন্য হাত লাগাতে পারো। রান্নাঘরে আনতে প্লেট, ন্যাপকিন, চামচ সংগ্রহ করতে সাহায্য করো।

-খাবার শেষে হোস্টকে ধন্যবাদ দিতে ভূলবেনা। যদি কোন রেস্তোরাঁয় তোমাকে খাবার পরিবেশন করে দেয়া হয় তবে সার্ভারগুলোকেও ধন্যবাদ জানাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাপ্যারেন্টিংসচেতনতাসমস্যা

বয়স যখন দুই

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ৯, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

এমন কখনো খেয়াল করে দেখেছো কি বাসার যে ছোট্ট সদস্যটি রয়েছে, যে সদ্য কথা বলতে শিখেছে, আধো আধো বোলে ঘরকে মাতিয়ে রেখেছে সেই বাচ্চার রাগ, জেদে সবার অবস্থা নাজেহাল। একদিকে সে চায় তার সব কাজ সে নিজে নিজেই করতে আবার অন্যদিকে সেই প্রচেষ্টার বিফল ঘটলে হয়ে যায় হতাশ, পরবর্তীতে যা রুপ নেয় বদমেজাজে। শিশুর জীবনের এই টার্মকে বলে টেরিবল টু। অনেকেই এই শব্দটির সাথে পরিচিত না থাকলেও বাচ্চার এই আচরণগত পরিবর্তনের সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত।

টেরিবল টু বা ভয়ংকর দুই শব্দটি দীর্ঘকাল ধরে ২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বাবা মায়েরা যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করে তা বর্ণনা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সন্তানের মেজাজ এবং আচরণের দ্রুত পরিবর্তন এবং তাদের সাথে মোকাবেলা করার অসুবিধার কারণে একজন পিতামাতা এই বয়সটিকে ভয়ানক বলে মনে করতে পারে। এটি একটি শিশুর বিকাশের স্বাভাবিক পর্যায়কে বোঝায় যেখানে একটি শিশু নিয়মিতভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নির্ভরতা এবং স্বাধীনতার জন্য নতুনভাবে বেড়ে উঠার আকাঙ্ক্ষার মধ্যে বাউন্স করতে পারে। লক্ষণগুলো শিশুর মধ্যে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন এবং মেজাজ ক্ষুব্ধ হতে পারে। এক মিনিটে দেখা যাবে বাচ্চাটি পরম মমতায় তোমাকে আঁকড়ে ধরে থাকবে আবার পরের মিনিটেই দেখা যাবে সে বিপরীত দিকে দৌড়াচ্ছে। টেরিবল টু বলা হলেও এই ধরনের আচরণ প্রায়শই ১৮ মাস থেকে শুরু হয় এবং তা ৪ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

এটি কেন হয়?

২ বছর বয়সের আশেপাশে শিশুরা সাধারণত অনেক ধরনের বড় উন্নয়নমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই সময় তাদের মধ্যে নতুন সব ধরনের দক্ষতার বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। যেমন জাম্পিং, ক্লাইম্বিং, ব্লক স্ট্যাক করা, ক্রেয়ন বা মার্কার দিয়ে আঁকিবুঁকি করা ইত্যাদি। এই পর্যায়ে সে চাইবে স্বাভাবিকভাবেই নিজের একটা পরিবেশ অন্বেষণ করতে এবং নিজের মতো করে সব কিছু করতে। এটা সবই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত আচরণ। কিন্তু এই সময় তাদের মৌখিক, শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা ভালোভাবে বিকশিত না হওয়ায়, সন্তান পর্যাপ্তভাবে যোগাযোগ করতে বা কোনো কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তাদের চাহিদা এবং তা প্রকাশের অক্ষমতার জন্য তারা তখন এই ধরনের আচরণ করে থাকে।

লক্ষণ

সকল বাচ্চাই সমান নয় এবং সমভাবে তারা আচরণও করেনা। তাই এই টেরিবল টু’র লক্ষণগুলো বাচ্চা থেকে বাচ্চাদের মধ্যে আলাদা। তবে কিছু আচরণগত নিদর্শন রয়েছে যা পিতামাতাকে সংকেত দিতে পারে যে তাদের সন্তান এই জটিল বিকাশের পর্যায়ে থাকতে পারে। যেমনঃ

-ভাইবোন বা খেলার সাথীদের সাথে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঝগড়া করা

-রাগ হলে লাথি, থুতু বা কামড় দেয়া

-ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন যেমন এই হাসি তো এই কান্না

-মনোযোগ আকর্ষনের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করা, হাতের কাছে জিনিস ছুঁড়ে ফেলা

টেরিবল টু-এর সাথে আসা উত্তেজনা এবং অবাধ্যতা স্বাভাবিক যা সময়ের সাথে সাথে চলে যেতে পারে। কিন্তু তুমি যদি মনে করো যে আচরণগুলো বেশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং তা বাচ্চার খাওয়া, ঘুম বা ডে কেয়ারে যোগদান করাকে প্রভাবিত করছে, তখন একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে নিলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে তারা সন্তানের আচরণ সংশোধন করার জন্য টিপস দিতে পারেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন।

টেরিবল টু ম্যানেজের টিপস

সন্তান এবং নিজেকে এই ভয়াবহ টার্মটি পরিচালনার জন্য কিছু টিপস ফলো করতে পারোঃ

-বাচ্চার ঘুমের সময়সূচী রাখো। সন্তান যখন ক্লান্ত থাকে তখন এই ধরনের আচরণ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তার ঘুমের সময় যতটা সম্ভব সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার চেষ্টা করো। ভালো ঘুম ও বিশ্রাম তাদের মেজাজ স্থির রাখতে সাহায্য করবে।

-একই কথা খাবারের বেলায়ও প্রযোজ্য। বাচ্চারা যখন ক্ষুদার্ত অনুভব করে তখন বাইরে যাওয়া এড়াতে চেষ্টা করো। আর যদি খাবারের সময় সন্তানের সাথে বাইরে থাকতেই হয় তবে খাবার প্যাক করে সাথে নিয়ে রাখতে পারো।

-তুমি যে আচরণগুলো অনুমোদন করবে সেগুলোর প্রশংসা করো এবং যেগুলো থেকে বিরত রাখতে চাও সেগুলোকে উপেক্ষা করো।

-সন্তানের সামনে অহিংস আচরণ উপস্থাপন করতে চাইলে তাদের আঘাত করবেনা এবং তাদের উপর চেঁচামেচি করা এড়াতে হবে।

-তাদের কোন কিছু করতে পুননির্দেশ বা বিভ্রান্ত করো। বাচ্চা যখন উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করা শুরু করতে থাকে তখন তাদের মনোযোগ অন্য দিকে ডাইভার্ট করার জন্য মজার বা আকর্ষনীয় কিছু দেখানো বা করার নির্দেশ করো।

-বাচ্চার জন্য একটি নিরাপদ, শিশুরোধী পরিবেশ নিশ্চিত করো। ভঙ্গুর বা মূল্যবান বস্তু তার হাতের নাগালে থাকতে পারে এমন জায়গায় রাখবেনা।

-বাচ্চাকে সীমিত পছন্দ করার ব্যাপারে অফার করো। উদাহণস্বরুপ, সে কি খেতে চায় তা জিজ্ঞাসা না করে তাদের আপেল বা কমলা থেকে একটি বেছে নিতে বলতে পারো। এটি শিশুকে অনেক পছন্দের সাথে যোগ না করে নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি দেয়।

-সর্বোপরি নিজেকে শান্ত রাখো। এমন পরিস্থিতিতে যে কারোরই মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু নিজেও ধৈর্য্য হারা হয়ে গেলে এতে আরও বিপত্তি বাড়ে। তাই যখনই পরিস্থিতি তোমাকে রাগের প্রান্তে নিয়ে আসে, তখন কিছুক্ষন বসে থেকে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জন্য সময় নাও। এটি তোমাকে শান্ত করতে এবং সহানুভুতির সাথে সন্তানের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে।

সন্তান যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা গ্রহণ করে এবং তাকে বা তার ভালোবাসা এবং সম্মান দেখানোর মাধ্যমে, তুমি তোমার সন্তানকে এই কঠিন পর্যায়ে সাহায্য করতে পারবে এবং তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সহায়তা করতে পারবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবননারীপ্যারেন্টিংরোদসীর পছন্দসংগ্রামসমস্যাসুস্থ মন

একলা চলো রে

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ৩, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

মাতৃত্ব এমন এক অনুভূতি যার কোন তুলনা হয়না। কিন্তু মাতৃত্বের যাত্রা সবার জন্য সহজবোধ্য হয়না, আর তা যদি হয় সিঙ্গেল মাদারহুড; তখন পরিস্থিতি তো আরও কঠিন মনে হতে পারে। এমন অনেক দ্বন্দ্ব এবং চাপ রয়েছে যা একক মায়েদের মধ্য দিয়ে যায় যা অন্য পরিবারগুলো সরাসরি অনুভব করতে পারেনা। একক মায়েদের শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা অবিশ্বাস্যভাবে প্রশংসনীয়, তবে এর পেছনে তাদের ক্লান্তি অনুভব করাও বোধগম্য।

সুখী সমৃদ্ধময় একটি পারিবারিক জীবন কে না চায়। কিন্তু অনেক সময় বাস্তবতার খাতিরে আমাদের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যা কারোরই কাম্য হতে পারেনা। সিঙ্গেল প্যারেন্টস এমনই এক বিষয়। একক অভিভাবক হওয়ার পেছনে অনেক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ, পরিত্যাগ, বিধবা হওয়া, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, একক ব্যক্তি দ্বারা সন্তান জন্মাদান বা দত্তক নেয়া। সঙ্গীর সাথে অভিভাবকত্ব ইতিমধ্যেই অপ্রতিরোধ্য এবং চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সেখানে একক মা হওয়া সম্পূর্ণ অন্য এক অগ্নিপরীক্ষা। তাদের প্রতিনিয়ত জীবনে বেশকিছু অপ্রতিরোধ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যেমনঃ

আর্থিক চ্যালেঞ্জ

সন্তানের জীবনে একমাত্র উপার্জনকারী এবং যত্নশীল হওয়া অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং। একজন প্রাপ্তবয়স্ককে একাই ভার বহন করতে হয় যা সাধারণত দুজন বহন করে। এতে করে বিশাল এক দায়িত্ব এসে পড়ে। এই কষ্ট শুধুমাত্র আর্থিক নয়, এটি একটি মানসিক বোঝাও বটে এবং মা প্রায়ই তার বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট না দেওয়ার জন্য নিজেকে দোষী বোধ করেন।

মানসিক চ্যালেঞ্জ

বাস্তবতা হলো একক মা হওয়া মানে একাকী হয়ে যাওয়া। নিজেদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা শেয়ার করার মতো কোন সঙ্গী থাকেনা। উদ্বেগ, স্ট্রেস, আশাহীন বা মূল্যহীন বোধের মতো মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই একক মায়েদের জন্য সাধারণ।

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

একটি একক মায়ের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা অনেক বড় এক প্রতিবন্ধকতার কাজ করে। সিঙ্গেল মাদারহুডের সাথে সাথে সামাজিকভাবে যে অপবাদ আসে তা পুরানো এবং সেকেলে কিন্তু কোনভাবেই তা দূর করা যাবেনা। সমাজ এখনও মনে করে একজন একক বাবা শান্ত ও সাহসী এবং একক মা দরিদ্র ও ক্লান্ত।

সিদ্ধান্তের চাপ

অভিভাবকত্ব দায়িত্ব পালন করা কঠিন। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে এই দায়িত্ব আরও বেশি বেড়ে যায়। একজন সঙ্গীর সমর্থন ছাড়া একটি সন্তানের জীবনের অনেক বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একক মায়ের উপর সবকিছুই ছেড়ে দেয়া হয়। এটি অবিশ্বাস্যভাবে ভীতিজনক এবং প্রচুর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

অপরাধবোধ

সমস্ত একক মায়ের সংগ্রামের মধ্যে, এটির বিরুদ্ধে লড়াই করা সবচেয়ে কঠিন হতে পারে। তাদের মনে অপরাধবোধ আসার যেন শেষ নেই। নিজে যে আর্থিক জিনিসগুলো সরবরাহ করতে পারবেনা সে সম্পর্কে অপরাধবোধ, বাচ্চাদের থেকে দূরে কাটানো সময় সম্পর্কে অপরাধবোধ, পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যেগুলো করতে পারা যায়না সে সম্পর্কে অপরাধবোধ। সন্তানরা একক পিতামাতার সন্তান হিসেবে যেভাবেই বেড়ে উঠুক না কেন তা তাদের উপর কী প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও নিজেদের দায়ী বোধ মনে হয়।

একক মাতৃত্ব সহজ করার উপায়

একটি শিশুকে নিজের মতো করে বড় করা সহজ কাজ নয়, তবে তুমি একা নও। নিজের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ব্যক্তি হিসেবে উন্নতি করতে এবং মাতৃত্ব সহজ করার কিছু উপায় দেয়া হলঃ

-তুমি তোমার ধারণার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। একজন সঙ্গী ছাড়া সবচেয়ে কঠিন কাজ তুমি একাই করতে পারছো। যখন ক্লান্তি ও হতাশা মনে ধরে যাবে তখন নিজেকে ব্যর্থ মনে হবে। কিন্তু সেখান থেকে একবার পাশ কাটিয়ে উঠে যখন দেখবে দিন শেষে বাচ্চারা সুস্থ থাকে, সুখী হয় তাহলে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুতেই নেই।

-মাতৃত্বের কঠিন সময়ে পরিবার এবং বন্ধুদের উপর নির্ভর করতে সক্ষম হওয়া তোমার সুস্থতা রক্ষার জন্য অপরিহার্য। সাহায্য প্রয়োজন তা স্বীকার করা শক্তি প্রমাণ করে, দূর্বলতা নয়।

-নিজের জন্য সময় বের করা। যদিও এটা অর্জন করা কঠিন হতে পারে কিন্তু নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করা বার্নআউট এবং ক্লান্তি এড়াতে প্রয়োজনীয়। নিয়মিতভাবে মাইন্ডফুলনেস ভিত্তিক স্ব-যত্ন অভ্যাস অনুশীলন করতে হবে। এটি শারীরিক পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

-কীভাবে একজন একক মা সুখী হতে পারে? নিজেকে জীবনে অনুপ্রাণিত রাখতে নিজের জন্য স্মার্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। যদিও তোমার সন্তানের উপর ফোকাস করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে তোমার সমগ্র জীবনকে কেন্দ্র করে তাদের চারপাশে থাকতে পারবেনা। তাই নিজের জন্যও কিছু ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

-একাকীত্ব বোধ এমন এক জিনিস যা অনেকের ভিড়ে থেকেও নিজেকে নিঃসঙ্গ বোধ করিয়ে দেয়। এই একাকীত্ব বোধের সাথে লড়াই করতে হবে। ছবি আঁকা, বই পড়া, গান শোনা বা বন্ধুদের নিয়ে প্রিয় কোন মুভি দেখতে যাওয়ার মতো কাজ করা যেতে পারে।

তুমি তোমার জীবনের স্থপতি। মনে রাখবে প্রতিটি দিন নতুন করে তৈরি হয়। নিজেকে বিশ্বাস ও সম্মান করা তোমার সন্তানের জন্য একটি চরিত্র গঠনের পরিবেশ তৈরী করতে সাহায্য করে।

-ছবি সংগৃহীত

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িগ্রুমিংজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

নতুন বছরের রেজ্যুলেশন করেছো কি?

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাসি-কান্না সবকিছুর মিশেলে আরেকটি বছর চলে গেলো। এসেছে নতুন বছর। আজ হলো ৩৬৫ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ফাঁকা পৃষ্ঠার শুরুর দিন। নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প পূরণে নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছো কি? নতুন বছরের তোমার সেট করা রেজ্যুলেশন পূরনের জন্য কিছু টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

নিউ ইয়ার রেজ্যুলেশন হল এমন একটি ঐতিহ্য যা পশ্চিমা বিশ্বে খুবই কমন। তবে এখন এই ধারণা বিশ্বব্যাপী সমান তালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্যালেন্ডার বছরের শুরুতে একজন ব্যক্তি তার মধ্যে ভাল অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার, একটি অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ পরিবর্তন করার, একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন বা অন্যথায় উন্নতি করার সংকল্প করে। নতুন বছরের রেজ্যুলেশনগুলো দীর্ঘকাল ধরে আমাদের জীবনে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে স্টক করার এমন এক উপায়, যা আমাদের পিছনের বছরটিকে থামাতে এবং প্রতিফলিত করার পাশাপাশি সামনের বছরের জন্য পরিকল্পনা করতে দেয়। এটি শরীর, মন এবং আত্মার উন্নতি ও নতুন বছরের জন্য তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলো সংগঠিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। কী থাকে এই রেজ্যুলেশনে? স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়াকে লক্ষ্য রেখে নতুন ডায়েট বা ওয়ার্কআউটের পরিকিল্পনা করা, তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টিভঙ্গি সেট করা, অথবা হতে পারে নতুন কোন বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করার চেষ্টা করা। লক্ষ্য যাই থাকুক না কেন নিজেকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করার জন্য রেজ্যুলেশনগুলো করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে,সমস্ত রেজ্যুলেশনের অর্ধেকেরও বেশি ব্যর্থ হয়ে যায় তা পূর্ণতা দেয়ার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে, জীবনকে উন্নত করার জন্য সঠিক রেজ্যুলেশনটি কীভাবে সনাক্ত করা যায় এবং কীভাবে এটিতে পৌঁছানো যায় যে সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হলঃ

-প্রথমেই যা তোমাকে ঠিক করতে হবে তা হলো তুমি কী চাও এবং তা কেন চাও? অর্থাৎ তোমার রেজ্যুলেশনটি হতে হবে একেবারে স্পেসিফিক। আমি ওজন কমাতে চাই, অস্পষ্টভাবে এটা বলার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তুমি একটি লক্ষ্য রাখতে চাওঃ কতটা ওজন কমাতে চাও এবং কতো সময়ের ব্যবধানে? এভাবে নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখা চাই।

-আমরা প্রায়ই এমন পরিকল্পনা সেট করি যেগুলোকে আমরা পরিচালনাযোগ্য মনে করি কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব এবং এটি অবাস্তব রেজ্যুলেশন যা তোমাকে বিভ্রান্ত করবে। খুব দ্রুত একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা তোমাকে হতাশ করে দিতে পারে অথবা তোমার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শুরুতেই একেবারে অনেক পরিবর্তন করার চেষ্টা না করাই ভালো। নিজেকে উৎসাহ দিতে এবং ছোট জয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করো।

-প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। এটি কি এমন একটি লক্ষ্য যা সত্যিই তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তুমি কি সঠিক কারণে এটি তৈরি করেছো? যদি তুমি সেই মুহূর্তে আত্ম-ঘৃণা বা অনুশোচনা বা তীব্র আবেগের অনুভূতি থেকে এটি করো তবে এটি সাধারণোত দীর্ঘস্থায়ী হয়না। কিন্তু তুমি যদি এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করো যেখানে তোমার জন্য কী ভালো তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছো, নিজের জীবনের কাঠামো পরিবর্তন করছো তবেই তা হবে পূরনের জন্য যথার্থ।

-রেজ্যুলেশন পুরণের লক্ষ্যে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করো। তোমার লক্ষ্য যদি থাকে চাকরি পরিবর্তন করার, তাহলে সেই রেজ্যুলেশনে পৌঁছানোর জন্য এই বছর ভিনভাবে কি করতে চাও? আরও নির্দিষ্টভাবে, এখন তোমার কোন অভ্যাস আছে যা তোমাকে সেই লক্ষ্যে থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে? হতে পারে তোমার প্রতি রাতে টিভি দেখতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোল করার সময় ২-৩ ঘন্টা নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে। তোমার বর্তমান রুটিন পুনরায় মূল্যায়ন করো এবং সময়কে কিভাবে ব্যয় করবে পেশাদার দক্ষতা শিখতে, কাজের তালিকা চেক করতে বা পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে তা ঠিক করে নাও।

-নিজেকে সর্বদা অনুপ্রাণিত রাখতে হবে। কাঙ্ক্ষিত রেজ্যুলেশনে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত থাকার জন্য, তোমাকে অনুপ্রাণিত করে এমন খাবার, কার্যকলাপ, বিষয়বস্তু, মিউজিকে নিজেকে নিমজ্জিত রাখো। তোমার অদি এবার লক্ষ্য থাকে নতুন কোন ভাষা রপ্ত করার, তবে প্রিয় মানুষদের নিয়ে সেই ভাষার ফিল্ম বা মিউজিক উপভোগ করতে পারো। যদি নতুন কোন দক্ষতা কোর্স করার সিদ্ধান্ত নাও তবে সেই ব্যাপারে ইউটিউবে ভিডিও দেখো, সফল ব্যক্তিদের কথা শুনো যা তোমাকে অনুপ্রাণিত ও উত্তেজিত রাখবে। মোট কথা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার সাথে সাথে নিজেকেও ইন্সপায়ার্ড করতে হবে।

-সর্বোপরি, নিজের প্রতি সদয় হও। যদি তুমি তোমার প্রত্যাশার কম হও তবে নিজেকে সহানুভূতি দেখাও। নিজের সাথে নিজে কথা বলো। তুমি যদি নিজের প্রত্যাশা পূরন না করার জন্য নিজেকে নিচু করে ফেলো বা খারাপ বোধ করো তবে হতাশা আর আত্মগ্লানি বাড়বে বৈ কমবে না। তাই নিজের প্রতি সদয় হও, নিজের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করো। মনে রাখবে রেজ্যুলেশনগুলো হল আমাদের সেরা হয়ে ওঠার সুচনা বিন্দু, এটি চূড়ান্ত গন্তব্য নয়।

তাই চলো আমরা এগিয়ে যাই এবং আমাদের লক্ষ্য নির্ধরণ করে, সেগুলোর দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে নতুন বছর শুরু করি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসাফল্যসুস্থ মন

জীবনে বদলে দিতে পারে যে অভ্যাস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

অভ্যাস এবং রুটিন থাকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য দিক। তুমি একটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাও, আরও উৎপাদনশীল হতে চাও বা আরও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে চাও; অভ্যাসগুলো হল সেই ছোট ছোট পরিবর্তনের সমন্বয় যা সময়ের পালাক্রমে উল্লেখযোগ্য ফলাফল যোগ করতে পারে।

‘সফল ব্যক্তিরা কেবল শীর্ষে চলে যান না। সেখানে পৌঁছানোর জন্য জিনিসগুলো ঘটানোর জন্য প্রতিদিন ফোকাসড অ্যাকশন, ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা এবং প্রচুর শক্তি প্রয়োজন’। আমেরিকান লেখক এবং উদ্যোক্তা জ্যাক ক্যানফিল্ড এর উক্তি দ্বারা বোঝা যায় একটি সুখী এবং আরও উৎপাদনশীল জীবনের জন্য কতিপয় অভ্যাস গড়ে তোলা কত প্রয়োজনীয়। আমরা যা কিছু ভাবি, বলি এবং করি তা বছরের পর বছর ধরে আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকা অভ্যাসের ফল। তারা আমাদের জীবনের সাথে এতটাই অবিচ্ছেদ্য যে একটি গবেষণায় নির্ধারণ করা হয়েছে যে আমরা প্রতিদিন যা কিছু করি তার প্রায় ৪৫ শতাংশ আমাদের অভ্যাস দ্বারা চালিত হয়। তোমার মনোভাবই তোমার উচ্চতা নির্ধারণ করে। তাই পুরাতন অভ্যাসগুলো তোমাকে আটকে রাখতে দেবেনা এবং কিছু সহজ তবে প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলো তৈরি করা শুরু করে দাও।

ভোরে জেগে উঠো

ভোরবেলা হলো শান্তিপূর্ণ প্রতিফলন এবং পর্যাপ্ত উৎপাদনশীলতার একটি সময়; যেখানে পৃথিবী স্থির এবং ঘুমিয়ে আছে, যা তোমাকে তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলোতে ফোকাস করার অনেক সময় দেয়। হয়তো তুমি দৌড়ের জন্য যেতে চাও অথবা স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ উপভোগ করতে পছন্দ করো। একটি অর্থপূর্ণ সকালে এই ধরনের কার্যক্রম তোমাকে সুপারচার্জ বোধ করায়। এই অভ্যাস ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গের মতো নেতারা প্রতিদিন অনুশীলন করে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা একটি দৈনন্দিন রুটিনে সেট করবে যা তোমাকে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করতে পারে।

যা আছে তাতে ফোকাস করো

আমরা আমাদের সমস্যায় ডুবে অনেক সময় ব্যয় করি। কিন্তু সমস্যাগুলোও জীবনের একটি অংশ। তুমি যদি তোমার সমস্যাগুলো থেকে তোমার ফোকাসকে সরিয়ে নিতে চাও তবে তোমার যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হতে হবে। কৃতজ্ঞতা স্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্যের নিশ্চিত পথ। এটি আমাদের যা নেই তার চেয়ে আমাদের যা আছে তার দিকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে দেয়।

দিন নির্ধারণ করো

তোমার দিন নির্ধারণ করা অভ্যাসের এই তালিকায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন যা তোমার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। বিভ্রান্ত হওয়া এবং ফোকাস হারানো এড়াতে তুমি দিনের জন্য কী করছো তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, দিনের সময় নির্ধারণ করা তোমার অগ্রাধিকার সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে যাতে তুমি তোমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী তা সম্পন্ন করতে পারো।

প্রাণ খুলে হাসো

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সত্যিকারের হাসি হাসে তারা জীবনে সুখী হয়। এটি তোমাকে সময়ের সাথে সাথে মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার একটি সেরা অভ্যাস। আমাদের দেহের ফিজিওলজি আমাদের মনের মনস্তত্ত্বকে নির্দেশ করে। যখন আমাদের মাঝে হতাশা ও অসুখের অনুভূতি প্রকাশ হয়, তখন আমাদের মন সেই ইঙ্গিতগুলো গ্রহণ করে এবং তাদের সাথে চলে। যাইহোক, একবার আমরা সচেতনভাবে নিজেদেরকে সামঞ্জস্য করে আমাদের বাহ্যিক চেহারা পরিবর্তন করি, দেখবে আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিও তা অনুসরণ করে নিবে।

৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ

প্যারোটের নীতি বা ৮০/২০ নিয়ম মানে যে কোন পরিস্থিতিতে, ২০% কাজগুলো ৮০% ফলাফল দেয়। সুতরাং, তুমি সেই কাজগুলোতে তোমার বেশিরভাগ সময় এবং শক্তি বিনিয়োগ করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারো যা সবচেয়ে বড় প্রভাব তৈরি করবে। একবার তুমি সেই কাজগুলো শেষ করে ফেললে, তোমার করণিয় তালিকায় থাকা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলোতে ফোকাস করতে পারবে।

পড়, পড় এবং পড়

বই পড়া জ্ঞান অর্জন এবং সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। এটি মনোযোগকে উন্নত করে এবং ধ্যানের মতই মনে শান্ত প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ঘুমানোর আগে পড়া ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

ইতিবাচক মানুষের মাঝে থাকা

কার সাথে সময় কাটাচ্ছো তা সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। এমন সম্পর্কগুলো ছেড়ে দাও যা তোমাকে উপরে তোলার পরিবর্তে নীচে নিয়ে আসে। এমন লোকদের সাথে মিশো যারা সুখ ভাগ করে নিতে জানে। যেহেতু সুখ সংক্রামক, এটি তোমার জীবনে ইতিবাচকতা তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি।

প্রতিদিন ব্যায়াম করো

জীবনের সর্বোত্তম অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি হল প্রতিদিন ব্যায়াম করা। এটি ভারি ভারোত্তোলন বা ম্যারাথন দৌড়ানো নয়। রক্তের অক্সিজেন এবং শরীরে এন্ডোরফিন বাড়াতে হালকা কার্যকলাপের সাথে যুক্ত। তুমি যখন এই অভ্যাসটি শুরু করবে তখন কেবল শারীরিকভাবে ভাল বোধ করবেনা, আরও অনুপ্রাণিত বোধ করবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ হবে। ব্যায়াম ডোপামিনিন, অক্সিটোসিন এবং সেরোটোনিনকে সিস্টেমে ছেড়ে দেয়, যা কোন ঔষধের ব্যবহার ছাড়াই ভালো প্রভাব বিস্তার করে।

ভয় মোকাবেলা করো

আমরা অনেক সময় ভয়ে ডুবে থাকি। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই চিন্তিত এবং নার্ভাস থাকি যে বর্তমান মুহূর্ত উপভোগ করতে ভুলে যাই। জিনিসগুলোকে ভয় করা আমাদের মনে এতটাই গেঁথে গেছে যে এটি আমাদের অগ্রগতিকে বাধা দেয়। ভয় ভেঙে ফেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি যা তুমি বিকাশ করতে পারো।

নিজের জন্য সময় বের করা

এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের অধিকাংশই জীবনে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয় তা হল কিছুটা নিজস্ব সময় উপভোগ করা। প্রতিদিন এমন একটা ছোট কাজ করো যা করতে তুমি পছন্দ করো। এই কাজ করার মাধ্যমে, তোমার মনে শান্তি স্থাপন হবে যা তোমার মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্ম-সম্মানের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। হেডফোনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের মিউজিক শুনো না কেন, পার্কের মধ্যে হাঁটাহাঁটি, প্রিয় রাস্তা ধরে ড্রাইভ অথবা প্রিয় কোন সিনেমা দেখা- যাই করোনা কেন, নিশ্চিত হও যে সর্বদা নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে পারছো।

এই অভ্যাসগুলো বিকাশের জন্য দৃঢ় সংকল্প, ধৈর্য এবং অবিরাম প্রচেষ্টা প্রয়োজন। হতে পারে এটি মাত্র কয়েক সপ্তাহ বা এক বছরেরও বেশি সময় নিতে পারে। তবে হাল ছেড়োনা, জয় হবেই।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাসমস্যাস্বাস্থ্য

ভুলে যাওয়া রোধের উপায়

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

আধুনিকতার এই যুগে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সবকিছুরই বদল হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে আমাদের লাইফ স্টাইল। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও বেড়ে যাচ্ছে স্ট্রেস, মানসিক অস্থিরতা। যার প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। ছোট খাট জিনিস ভুলে যাওয়া খুবই নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার। কিন্তু এর পরিমান যখন বেড়ে যায় তখনই হয় বিপত্তি। ভুলে যাওয়া রোধ করতে এবং ব্রেনকে কর্মক্ষম রাখতে কি করণীয় আসো জেনে নিই।

হতে পারে তুমি একটি রুমে চলে গেছো এবং ভূলে গেছো কেন সেখানে গিয়েছিলে?  এবং অন্তত কয়েকবার তোমার চাবি বা চশমা এক জায়গায় রেখে পুরো ঘর খুঁজে তোলপাড় করে রেখেছ। দোকান থেকে অনেক কিছু কিনে আনলে কিন্তু দেখলে যেটাই বেশি প্রয়োজনীয় তাই ভূলে গেলে। কি পরিচিত লাগছে ঘটনাগুলো? এই ধরনের কাহিনীগুলো প্রায় সবারই জীবনে কমবেশি ঘটে থাকে। অনেকেই এই স্মৃতি ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত থাকে। তারা ভয় পায় যে আলঝেইমারের রোগের মতো গুরুতর অবস্থার দিকে যাচ্ছে কিনা। মাঝে মাঝে ভূলে যাওয়া জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, যা আমরা বড় হওয়ার সাথে সাথে আরো সাধারণ হয়ে উঠে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি অ্যালার্মিং কোন বিষয় হয়ে উঠেনা। আমাদের বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্ক সহ সারা শরীরে পরিবর্তন ঘটে। ফলস্বরুপ, লক্ষ্য করলে দেখবে যেকোন নতুন কিছু শিখতে আগের চেয়েও তোমার বেশি সময় লাগছে। সৌভাগ্যবশত স্নায়ুবিজ্ঞানীগণ আশ্বস্ত করেছে যে এইগুলো স্বাভাবিক এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস এবং অনুশীলনগুলো প্র্যাকটিসের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা যায়।

-যদি তুমি সবসময়ই কিছুনা কিছু ভুলে যাও, তবে এটি কমিয়ে আনার দুর্দান্ত উপায় হলো জিনিস যত্রতত্র না রেখে যথাস্থানে রাখা। হোক সেটা চাবি, মানিব্যাগ কিংবা রিমোট- এগুলো একই জায়গায় রাখা এবং বিশেষত এমন একটি জায়গায় রাখা যা তুমি নিয়মিত দেখ।

-টু ডু লিস্ট করে রাখা। প্রতিদিনকার কি কাজ করতে হবে তার প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করে রাখলে কাজ সম্পাদনে সুবিধা হবে।

-খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। সবুজ শাক, ইলিশ মাছ এসবে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই অনেকেই এসব খেয়ে বুদ্ধি তথা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপদেশ দেন।

-সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে একাগ্রতা বাড়ে। ফলে মনযোগী হতে সুবিধা হয়।

-ক্রসওয়ার্ড পাজল সলভ করো। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সাইকিয়াট্রিস এবং নিউরলজির অধ্যাপক দেবানন্দ এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক মুরালি ডোরাইস্বামি বলেন, তারা ৭৮ সপ্তাহ ধরে ১০৭ ভলেন্টিয়ারের উপর স্টাডি করে দেখেছ যে, যাদের নিয়মিত ক্রসওয়ার্ড পাজল করতে বলা হয়েছিল তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস বা অভাব পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে যাদের ভিডিও গেম খেলে একই পরিমাণ সময় ব্যয় করতে বলা হয়েছিল।

-আনন্দের জন্য পড়া শুরু করো। সাম্প্রতিক এক গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা নির্ধারণ করেছে যে এমন জ্ঞানীয় অভ্যাস আছে যা গেম খেলা এবং ক্রসওয়ার্ড পাজল ডুয়িংকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তারা দেখেছে যে আনন্দের সহকারে পড়া বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে।

-পর্যাপ্ত ঘুমানো। কীভাবে ওজন কমানো যায় থেকে শুরু করে কীভাবে মেজাজ উন্নত করা যায় সব কিছুর পরামর্শ দেওয়া নিবন্ধগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। এ থেকে বুঝা যায় ঘুম শরীর ও মন উন্নত করতে কতটা জরুরী। ঘুমের অভাব কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করে তা বিচার করার বিষয়গত ক্ষমতা আমরা হারিয়ে ফেলি- তাই আমরা জানি না আমাদের স্মৃতি কতটা খারাপ হয়। তাই এর একমাত্র উপায়? ঘুমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এই ধরনের টুকিটাকি ভূলে যাওয়া আমাদের জীবনের ব্যস্ততা, স্ট্রেসের পরিমানের উপর নির্ভর করে। একটি হেলদি লাইফ স্টাইল ফলো করা, সুষম খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা করা ইত্যাদির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে পরিস্থিতি যদি মনে হয় আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াই উত্তম।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গঅন্দরের ডায়েরিআয়নাঘরগ্রুমিংনারীরূপ ও ফ্যাশনরোদসীর পছন্দসচেতনতা

বিয়ের আগে ত্বকের যত্ন

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

যে কোন মানুষের জীবনে বিয়ের দিন হলো সবচেয়ে স্মরনীয় মুহূর্ত। এই বড় দিনের প্রস্তুতির জন্য মাসে পর মাস চলে বিভিন্ন প্ল্যান প্রোগ্রামের। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে নিজেকে সেরা দেখানোর সাজ পোশাক ছাড়াও ত্বকের যত্নেও সক্রিয় থাকতে হবে। বিয়ের দিনে তোমার ত্বক তোমার সামগ্রিক চেহারার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। তুমি যা খাও, সেই সাথে ত্বকে যা এপ্ল্যাই করো সবকিছুই কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে পার্থক্য করতে পারে। তাই নিজেকে গ্লোয়িং ও পরিপাটি দেখানোর জন্য বিয়ের অন্তত মাসখানেক আগে থেকেই কিছু নির্দেশনা ফলো করা উচিৎ।

প্রোপার ডায়েট ফলো করা

ত্বকের যত্ন বলতে স্কিনকে ফ্ললেস করার জন্য শুধুমাত্র বিভিন্ন পন্যের ব্যবহারকে বুঝায় না। তোমার বড় দিনে একেবারে ফিট এবং সুন্দর দেখাতে এর প্রথম ধাপ হলো উপযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তুমি যা খাও তাই তোমার মুখে প্রতিফলিত হয়। অতএব, একটি সুষম খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিৎ। ডায়েটেশিয়ানরা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের ভারসাম্য সহকারে পুষ্টিকর স্বাস্থ্যকর বাসায় তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

নিজেকে হাইড্রেট রাখা

আরেকটি স্কিনকেয়ারের নিয়ম সম্পর্কে কেউ অবধি আজ শুনে না এমন পাওয়া যাবেনা আর তা হল প্রচুর পানি পান করা। পানি পান করার গুরুত্ব কেমন তাতো আর বলার অপেক্ষা থাকেনা। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার পানি পানের নিশ্চয়তা করতে হবে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

ত্বক যদি বেশি সেনসেটিভ হয়ে থাকে এমতাবস্থায় অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। অনুষ্ঠানের জন্য যদি হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তবে ত্বকের যেকোন সমস্যার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া ভালো হবে। তিনি তোমাকে উপযুক্ত পরামর্শ দিবেন এবং একটি সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন সেট করতেও সাহায্য করবেন।

শরীরচর্চা করা

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে যেকোন ধরনের শরীরচর্চা করা ভালো। এতে দেহ ও মন থাকবে প্রশান্ত ও সতেজ। যোগব্যায়ামও এই ক্ষেত্রে ভালোই কাজে দিবে। এতে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে, দুশ্চিন্তা কমে যাবে এবং সেগুলো ত্বকের উপর ভালো প্রভাব পড়বে। এছাড়াও মুখের ত্বকের জন্য মুখের যোগ ব্যায়াম করা যেতে পারে। যা ত্বককে টানটান, লাবন্যময় এবং উজ্জ্বল করবে।

সানস্ক্রিনের ব্যবহার

বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটা সহ অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। কাজের প্রয়োজনে অনেক বারই ঘরের বাহিরে যেতে হয়। যখনই বাইরে যাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা মাস্ট। কী গরম, কী শীত সব ঋতুতেই এর ব্যবহার চাইই চাই। এটি শুধুমাত্র ত্বককে সুর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেনা বরং অন্যান্য ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকেও রক্ষা করা যা আমরা দেখতে পাইনা।

ফেসিয়াল করানো

হাতে সময় নিয়ে ফেসিয়াল করানো এটাই উপযুক্ত সময়। ফেসিয়ালগুলো ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং এটিকে ময়েশ্চারাইজ রাখে। পার্লারে পেশাদার কারো কাছ থেকে নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সঠিক ফেসিয়েল বেছে নাও। এটি তোমাকে বিয়ের দিনে তাজা এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে।

সিটিএম উপেক্ষা করা যাবেনা

সিটিএম অর্থাৎ ক্লিঞ্জিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং- এই প্রসেস স্কিনকেয়ার রুটিনে কখনোই উপেক্ষা করা যাবেনা। এর প্রত্যেকটি দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে স্ব স্ব কাজে স্কিনকে উন্নত করে। ক্লিনজিং  স্কিনের উপরিভাগের ময়লা অপসারণ করে, টোনিং পরবর্তী ধাপের জন্য ত্বককে প্রিপেয়ার করে এবং ময়েশ্চারাইজিং এর ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে নরম, কোমল হতে সাহায্য করে।

এক্সফোলিয়েট

এক্সফোলিয়েটিং খুবই দরকার। এটি এমন এক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ত্বকের সমস্ত মৃত কোষ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে এবং পরিষ্কার, উজ্জ্বল এবং চকচকে ত্বকের উপহার দিবে। এক্সফোলিয়েটিং অ্যাক্ট তোমার ত্বককে কোমল থেকে কোমলতর করে তুলবে।

ফেসমাস্ক ব্যবহার

যদিও বাজারে আজকাল অনেক ধরনের ফেসমাস্ক পাওয়া যায় সেখান থেকে ত্বকের উপযুক্ত মাস্ক এনে ব্যবহার করতে পার। অথবা আমাদের বাসায় হাতের কাছে যা আছে, তা হতে পারে যে কোন ফল অথবা সামান্য বেসন, চালের গুঁড়া বা মধু যে কোন কিছু দিয়েই হ্যান্ডমেড মাস্ক বানিয়ে তা অ্যাপ্লাই করতে পারো। আর এগুলোর নিয়মিত ব্যবহারে তার রেজাল্ট দেখে নিজেই চমকে যাবে।

ম্যানিকিউর এবং পেডিকিউর

তোমার হাত এবং পা বাইরের আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত। হাত এবং পায়ের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করার জন্য প্রতিদিন এগুলো ধুয়ে, ময়েশ্চারাইজ এবং অন্যান্য লোশন প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও বাড়িতে বসেও ম্যানিকিউর এবং পেডিকিউর করা যেতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম

স্কিন কেয়ারের আরেকটি নিয়ম যার ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়না তা হল সঠিক ঘুমের চক্র বজায় রাখা। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই দরকার তাও একটি নির্দিষ্ট রুটিন সময়ে। সঠিক এই ঘুমের চক্র শুধু তমার শরীরকে নিয়ন্ত্রিত করেনা বরং এটি কাজ করে যা সরাসরি ত্বককে প্রভাবিত করে।

মানসিক চাপ এড়ানো

বিয়ে এমন একটি বিষয় যা তোমার মানসিক অবস্থারও অনেক প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্ত মানসিক চাপ যা তোমার শরীর এবং মনকে ব্রেকআউট বা নিস্তেজ করে দেয়। তাই অযথা এই চাপ ঝেড়ে ফেলো। এক্ষেত্রে শরীর ও মনকে শান্ত করার জন্য এবং স্ট্রেস রিলিফ করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল মেডিটেশন করা।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিশেষ রচনাসচেতনতাসমস্যাসুস্থ মন

যদি ডাক শুনে কেউ না আসে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

জীবন মাঝে মাঝে অনেক চাপের হতে পারে। যখন তা আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যায় মনে হয় এই বুঝি ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। কিন্তু পরাজিত বোধ করে আশা ছেড়ে দিওনা। রাত যত দীর্ঘ হোক, ভোর হবেই।

কল্পনা করো তুমি এমন এক জায়গায় বাস করছো যেটি দীর্ঘ খরার সাথে লড়াই করছে। যেদিকেই তাকাও চারপাশ নির্জীব, ধুলোমাখা আর প্রাণহীন। যেন সেখানে কখনো বৃষ্টির ছোঁয়াও পড়েনি। দেখে মনে হতে পারে ফসল বা গাছ কখনো জন্মাবেনা। কিন্তু তুমি যদি দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকো তবে জানো যে দীর্ঘতম খরাও এক সময় বৃষ্টিপাতের দ্বারা ভেঙে যেতে পারে। জীবনেও আমরা সেই শুকনো, খরার মতো অনুভব করতে পারি। হয়তো তুমি এমন এক সম্পর্কের মাঝে আছো যা কঠিন হয়ে উঠেছে, কারো উপর হয়তো আশা রেখেছিলে এবং হতাশ হয়েছিলে। এক পর্যায়ে আবিষ্কার করলে এই মিথ্যে আশা তোমার জীবনকে শুষ্ক এবং কঠিন করে তুলেছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় বারংবার প্রাণান্তকর চেষ্টার পরেও আমরা আমাদের আরাধ্য জিনিস লাভ করতে পারিনি। এই অনুভূতি তখন আমাদের আশাহত করে দেয়। তখন হয়তো মনে হতে পারে সামনে আর কোন পথ নেই এবং সেই আশাহীনতার শুকনো জায়গায় নিজেকে একাকী পথিক মনে হবে। জীবনের এই কঠিন ক্রান্তিলগ্নে হতাশা ঝেড়ে ফেলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে আসো কিছু টিপস দেখে নিইঃ

জীবন ক্রমাগত পরিবর্তনশীল

হতাশার অনুভূতি মানে জীবন আরও ভাল হবে তা কল্পনা করতে না পারে। এই নিষ্পেশন অনুভূতি সবকিছুতে অন্ধকার নিক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সত্য যে, জীবন সবসময় পরিবর্তনশীল, পরিবর্তন আসলে অনিবার্য। আমরা যদি বিশ্বাস রাখি এবং ইতিবাচক ও গঠনমূলক কর্মের সাথে পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানাই, তাহলে হতাশার এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। কখনো কখনো আমাদের যা করতে হবে তা হল কেবল সময়কে অতিবাহিত করতে দেয়া এবং সমস্যাটিকে বাড়িয়ে তোলার প্রলোভনকে প্রতিরোধ করা। জীবনে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা সবসময়ই থাকে।

অতীতে পার করা কঠিন সময়গুলো স্মরন করা

একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দিয়ে চলার সময় ভয়, আত্ম-সন্দেহ এবং হতাশাবাদী  চিন্তা দ্বারা আঁকড়ে থাকা স্বাভাবিক। যা আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে একটি সহজ কিন্তু অনেক কার্যকরী কাজ হলো জীবনের এমন ঘটনাগুলোকে তালিকাবদ্ধ করা যা আমরা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে পার করেছি। পাশাপাশি এগুলো উতরে যখন সফল হওয়ার চিত্রগুলো লিপিবদ্ধ করবে তখন দেখবে নিজের এবং অজানা ভবিষ্যতের প্রতি নতুন বিশ্বাস খুঁজে পাবে, যা তোমাকে ভয়ের পরিবর্তে এক ভাললাগা নিয়ে আসতে পারে।

মনের কথা লিখো

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তুমি কেমন অনুভব করছো তা সম্পর্কে ডায়েরি লিখো, যা তোমার আবেগ এবং চিন্তাভাবনাগুলোকে গভীরভাবে খনন করতে সহায়তা করে। চিন্তা, আবেগ মাথায় ঘুরতে না দিয়ে তা শব্দের মধ্যে তুলে ধরো এবং এটি খুবই থেরাপিউটিক।

সবকিছুই খারাপভাবে না দেখা

চলমান ইস্যুতে জুম আউট করো এবং ফোকাস করো। সবকিছুই খারাপভাবে দেখা যা, আমাদের মনোযোগকে কেড়ে নেয় এবং এর ভেতরে কোন ইতিবাচক চিত্র যে থাকতে পারে তা দেখতে আমরা ব্যর্থ হই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সমস্যাগুলো আমাদের জীবনে যা কিছু চলছে তার একটি উপসেট মাত্র এবং দুশ্চিন্তা, ভয় এবং উদ্বেগকে মনকে ছাপিয়ে যেতে দিবে না। এমনকি তা যদি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র যেমন স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, কাজ, অর্থ এবং আবেগ বিপর্যস্থ হয়ে যায়, তবুও আমরা বেঁচে আছি এর অর্থ হলো পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা আছে।

উদ্দেশ্যমূলক কিছু খুঁজে নাও

আমাদের জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্যের অভাব রয়েছে বলে আমরা সহজেই হতাশা বোধ করি। এমতাবস্থায় যখন উদ্দেশ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলা হয় তখন তা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে। কথায় আছে, ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।’ তাই জীবনকে উদ্দেশ্যপূর্ন বোধ করার জন্য আমাদের সকলকে জীবনে কিছু বিশাল মিশন খুঁজে বের করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি

আমরা বর্তমানে এমন এক সময় পার করছি যেখানে আমাদের সবকিছু প্রযুক্তির কাছে আটকে আছে। আমাদের ভালো লাগা, খারাপ লাগা, বিষন্নবোধ সবকিছুতেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে সমাধান খুঁজতে যাই। কিন্তু সত্য হলো যে, যখন জীবনে ভালো অনুভব করবেনা তখন এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আরও খারাপ বোধ করতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এর কোন প্লাস পয়েন্ট নেই কিন্তু যখন জীবন থমকে যায় তখন সামাজিকতার অনেক খারাপ দিক নির্দেশ করেছে মিডিয়া যা মানসিক স্বাস্থ্যকে সাহায্য করেনা। এর মাধ্যমেঃ

-বিষন্নতার মাত্রা বেড়ে যায়

-অন্য মানুষের সাথে নিজের জীবনকে অন্যায়ভাবে তুলনা করতে উৎসাহিত করে

-ঈর্ষা বোধের সৃষ্টি করে

-আরও একাকী বোধ করে

সক্রিয় হও

শারীরিক কার্যকলাপ হতাশার অনুভূতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরেকটি দূর্দান্ত হাতিয়ার। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম হতাশার জন্য উপকারী হতে পারে এবং ফলস্বরুপ একটি ভালো মেজাজ তৈরি করতে পারে। এটি সকল নেতিবাচকতা ঝেড়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রদান করতে পারে। এই সক্রিয় হওয়া অনেক ধরনের হতে পারে। তা হতে পারে ব্যায়াম করা কিংবা খেলাধুলা করা, হতে পারে বাগান করাও।

কথা বলো

নিজের অনুভূতি সম্পর্কে কারো সাথে কথা বলা অবিশ্বাস্যভাবে সহায়ক হতে পারে। এটি কোন বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলা হোক না কেন, নিজ অনুভূতিগুলো সম্পর্কে কথা বলা তাদের বুক থেকে সরিয়ে নেয়ার একটি দূর্দান্ত উপায় হতে পারে। এই চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে, তারা তোমাকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কীভাবে এগিয়ে যাবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিতে সক্ষম হতে পারে।

এই তত্ত্বটি বিপরীতমুখী বলে মনে হতে পারে, তবে এটি সত্য যে জীবনের বেদনাদায়ক সময়গুলো ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য একটি প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে। বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং অসন্তোষ আমাদের শিক্ষা দেয় এবং আমাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেয়।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.গ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মেডিটেশনঃ স্ট্রেস কমানোর সহজতম উপায়

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৬, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

কর্মক্ষেত্র হোক কিংবা সাংসারিক জীবন, আমাদের সকলকেই নিয়মিত কিছু ধরনের চাপ মোকাবেলা করতে হয়। এই চাপকে উপেক্ষা করলে মানসিক এবং শারীরিক উভয় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সৌভাগ্যবশত এই ধরনের মানসিক চাপ কমানোর বিভিন্ন ওয়ে রয়েছে, যার মধ্যে আছে এমন পদ্ধতি যা গত কয়েক বছর ধরে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, আর তা হল মেডিটেশন। যদিও এর প্র্যাকটিস অনেক প্রাচীন, কিন্তু এখনও অনেক সংখ্যক মানুষ এর রিলাক্সিং ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি আনয়নের পাশাপাশি মানসিক চাপ উপশম করতে সক্ষম হয়েছে।

হাজার হাজার বছর ধরে অনুশীলন করা মেডিটেশন মূলত জীবনের পবিত্র এবং রহস্যময় শক্তিগুলোকে গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য বোঝানো হয়েছিল। আজকাল, ধ্যান সাধারণত শিথিলকরণ এবং চাপ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ধ্যানকে মনে করা হয় এক ধরনের মন-শরীরের পরিপূরক ওষুধ। ধ্যান একটি শিথিল অবস্থা এবং একটি প্রশান্ত মন তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, এটি ফোকাস এবং মনোযোগ তীক্ষ্ণ করতে, শরীর এবং শ্বাসের সাথে সংযোগ স্থাপন, কঠিন আবেগের গ্রহণযোগ্যতা বিকাশ এবং এমনকি চেতনা পরিবর্তন করার অনুশীলনকে অন্তর্ভূক্ত করতে পারে। নয় ধরনের জনপ্রিয় ধ্যান অনুশীলন রয়েছে। মননশীলতা, আধ্যাত্মিক, ফোকাসড বা নিবদ্ধ, মুভমেন্ট মেডিটেশন, মন্ত্র, প্রগ্রেসিভ, ভিজ্যুয়ালাইজেশন ইত্যাদি। সমস্ত ধ্যান শৈলী সবার জন্য সঠিক নয়। এই অনুশীলনের জন্য বিভিন্ন দক্ষতা এবং মানসিকতা প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে বুঝবে কোন অনুশীলন তোমার জন্য সঠিক? এই প্রসঙ্গে মেডিটেশন লেখিকা এবং নিউট্রিশনিস্ট মিরা ডেসি’র মতে, তাই বেছে নাও যা তোমাকে আরামদায়ক বোধ করে এবং যা অনুশীলন করতে তুমি উৎসাহিত হও।

প্রতিদিন ধ্যান করা উচিৎ?

গবেষণায় অনেক কারণ পাওয়া গেছে যে কেন ধ্যান আমাদের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভালো। এখানে বিজ্ঞান-সমর্থিত কিছু কারণ দেখনো হলঃ

-নিয়মিত ধ্যান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখেছেন যে, মেডিটেশন মস্তিষ্কের বাম দিকে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ বাড়ায়- যা তোমার ইমিউন সিস্টেমের জন্য দায়ী। এটাও পাওয়া গেছে যারা ধ্যান করে তাদের রক্তে অ্যান্টিবডির সংখ্যা বেশি থাকে, যা অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

-ক্রনিক পেইন বা মাথাব্যথা কমাতেও ধ্যান সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা মননশীলতা ধ্যান এবং ব্যথা উপশমের মধ্যে একটি লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছেন। যদিও এর পেছনে সঠিক কারণ এখনও অস্পষ্ট, তবে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত ধ্যানের পরামর্শ দেন।

-যদিও এটি কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা সম্মত হন যে চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়াম ছাড়াও ধ্যান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। যদিও ধ্যান সরাসরি রক্তচাপকে নাও কমাতে পারে, অভ্যাসটি স্ট্রেস এবং উদ্বেগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে- যা উভয়ই উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।

-ধ্যানের শক্তিশালী উদ্বেগ-বিরোধী সুবিধা রয়েছে। ধ্যান করার প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত সক্রিয় মনকে শান্ত করতে সহায়তা করা। ২০১৩ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ধ্যানের মাধ্যমে ৪০% উদ্বেগ কমানো সম্ভব।

-আমাদের অনেকেরই আমাদের আবেগ বুঝতে সমস্যা হয়। মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন আমাদের শেখায় যে কিভাবে আমাদের অনুভূতি এবং আবেগ সম্পর্কে সচেতন হতে হয় এবং কীভাবে সেগুলো আরও ভালোভাবে প্রক্রিয়া করা যায়।

মেডিটেশনের বৈশিষ্ট্য

ধ্যান করতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ধ্যানের মধ্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভূক্ত থাকতে পারে। কে কোন ধরনের ধ্যান করছে তার উপর ভিত্তি করে এই বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সব মেডিটেশনের কমন কিছু ফিচার রয়েছেঃ

মনোযোগ নিবদ্ধ

মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করা সাধারণত ধ্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মনোযোগ কেন্দ্রীভূ করার মাধ্যমে মনকে স্ট্রেস এবং উদ্বেগ সৃষ্টিকারী অনেক বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। একটি নির্দিষ্ট বস্তু, চিত্র এমনকি শ্বাস প্রশ্বাসের মত জিনিসগুলোতে এই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারো।

রিলাক্সড ব্রিথিং

এই কৌশলটি ফুসফুস প্রসারিত করতে ডায়াফ্রাম পেশী ব্যবহার করে গভীর, সমান গতির শ্বাস প্রশ্বাস জড়িত। উদ্দেশ্য হল তোমার শ্বাস প্রশ্বাস ধীর করা, আরও অক্সিজেন গ্রহণ করা এবং শ্বাস নেয়ার সময় কাঁধ, ঘাড় এবং উপরের বুকের পেশীগুলোর ব্যবহার কমানো যাতে আরও দক্ষতার সাথে শ্বাস নিতে পার।

একটি শান্ত সেটিং

ধ্যানের ক্ষেত্রে যদি শিক্ষানবিস হয়ে থাকো তবে চুপচাপ শান্ত পরিবেশই হবে ধ্যান অনুশীলনের জন্য আদর্শ জায়গা। সময়ের সাথে সাথে এক্সপার্ট হয়ে গেলে যে কোন জায়গায়, যে কোন পরিস্থিতিতে এর প্র্যাকটিসে সক্ষম হতে পারো।

আরামদায়ক পজিশন

তুমি মেডিটেশন করতে পারো বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে যেকোন অবস্থানে। তবে যে অবস্থানেই থেকে করোনা কেন তা যেন তোমার জন্য আরামদায়ক হয় তা নিশ্চিত করতে হবে তবেই তুমি ধ্যানে পূর্ণ মনোনিবেশ করতে পারবে।

সকল ধরনের হেলথ ইস্যুর জন্য মেডিটেশন একমাত্র জাদুকরী সমাধান নয়। অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের পাশাপাশি এটি তোমাকে ভালো থাকতে, খুশি রাখতে সাহায্য করবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • শীতের সাজকথন

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook