রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

জীবনযাত্রা

চলন বলনজীবনযাত্রা

কোন চুলে কোন সাজ

করেছে Suraiya Naznin মে ২, ২০২৩

রোদসী ডেস্ক

 

শুধু চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী নয়, হেয়ারস্টাইল বাছার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন চুলের ঘনত্বের দিকেও। সঠিক হেয়ারস্টাইল বাছতে পারলে যেমন চুলের যাবতীয় খুঁত আড়াল করতে পারবেন, তেমনই গোড়ায় গলদ থাকলে চুল সাজাতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। এছাড়া কপালের গঠনের দিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। সব দিক ভেবেচিন্তে তবেই হেয়ারস্টাইল বেছে নিন।

 

 

চুল লম্বা বা মাঝারি এবং ঘন হলে তা বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে হাই বা স্লিক পনিটেল, সাইড বান, আপডু, নানা ধরনের বিনুনি ট্রাই করতে পারেন। চুল খুলে রাখতে চাইলে হাফ আপডু ভাল অপশন। চুল স্ট্রেট করে ব্যাকব্রাশ করেও নিতে পারেন।

চুল ছোট ও ঘন হলে ওয়াটারফল ব্রেড, সামুরাই বান বা হাফ পনিটেল ট্রাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে চুলের টেক্সচার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভাল। হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ও এড়িয়ে চলুন।

চুল ছোট ও পাতলা হলে হেয়ার পাফ করে নিতে পারেন। ফ্রেঞ্চ বান, সাইড টুইস্টও দেখতে ভাল লাগবে। বিভিন্ন ধরনের হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ও ব্যবহার করতে পারেন। তাতেও চুলের খুঁত অনেকাংশে আড়াল করতে পারবেন।

 

চুল লম্বা ও পাতলা হলে ফিশটেল বা পাফি ব্রেডের মতো হেয়ারস্টাইল ট্রাই করতে পারেন। চুল খুলে রাখতে চাইলে ট্রাই করতে পারেন বিচ ওয়েভস। ক্লিক পনিটেল বা বানও পাতলা চুলে এড়িয়ে চলুন।

কোঁকড়া চুলে নানা ধরনের বান দেখতে ভাল লাগে। তবে চাইলে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা সামুরাই বানও ট্রাই করতে পারেন।

কপাল চওড়া বা উঁচু হলে হেয়ার পাফ বা ব্যাকব্রাশ না করাই ভাল। এতে কপাল আরও বড় দেখাবে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.কান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদিবস সবিশেষদেহ ও মনবাতিঘরবিশেষ রচনাসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়- লাইভ আলোচনা

করেছে Shaila Hasan মার্চ ৫, ২০২৩

সুরাইয়া নাজনীন:

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন করা হয়। ২০২২-২০২৪ সাল পর্যন্ত এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “close the care gap” অর্থাৎ‘ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য দূর করি’। ‘ক্যান্সারমানেইমৃত্যু নয়’ এই বিষয় ধরে রোদসী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে  ফেসবুক লাইভ আলোচনা। রোদসীর সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিনা ইয়াসমীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। দুজন চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম ও সহকারী অধ্যাপক ডা.তন্নিমা অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফার্মাসিস্ট স্বাগতা সরকার লোপা-

সাবিনা ইয়াসমীন: ক্যান্সার মানেই কি মৃত্যু? আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ধরে নেয়া হয় ক্যান্সার হলেই সব শেষ- এ  ধারণা নিয়ে কিছু বলুন?

রওশন আরা বেগম: ক্যান্সার হলেই যে মৃত্যু নিশ্চিত তেমনটি নয়।আর মৃত্যুর কথা তো আমরা কেউ বলতে পারিনা। দেখতে  হবে ক্যান্সারের স্টেজ কোন পর্যায়ে আছে। স্টেজ ১ হলে ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে আবার ২ হলে ৭০ শতাংশ আবার স্টেজ ৩ হলে ৫০  শতাংশ। এটা আসলে নির্ভর করে রোগীর শারীরিক কন্ডিশনের ওপর। স্টেজ বেশি হলে সারভাইবাল কমে যায়।তবে মৃত্যু  অবধারিত এমনটি নয়।

সাবিনা ইয়াসমীন: ক্যান্সার হলে একজন মানুষ কীভাবে বুঝবে?

তন্নিমা অধিকারী: ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ আছে সেগুলো দেখে আঁচ করা যেতেপারে।  যেমন কিছু কিছু ক্ষত হলে অনেক সময় সারতে চায়না, তিন-চারসপ্তাহ ধরে থাকে। আবার শরীরের কোনো কোনো জায়গায় চাকা কিংবা পিন্ডের মতো দেখা দিলে আবার তা যদি খুব দ্রুত  বেড়ে যায় তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। অস্বাভাবিক রক্তপাতও চিন্তার বিষয় হতে পারে। যেমন প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে, মাসিকের সঙ্গে অস্বাভাবিক রক্ত গেলে, স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশার পর রক্ত গেলে। আবার শরীরে আঁচিলের সংখ্যা বেড়ে  গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার। কিন্তু বলে রাখা ভালো এসব লক্ষণ দেখা দিলেই যে ক্যান্সার হয়েছে তেমনটি ভাবারও কারণ নেই। একজন চিকিৎসকই বলতে পারবেন কী কারণে এসব লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।

সাবিনা ইয়াসমীন: ক্যান্সারের ধরন অনুযায়ী কি এর ভয়াবহতা নির্ভর করে?

রওশন আরা বেগম: ক্যান্সারের স্টেজ ভেদে এর ভয়াবহতা নির্ভর করে। আবার চিকিৎসাও ভিন্ন হয়ে যায়। অনেক সময় শুরুর দিকে ধরা পড়েনা সেজন্য উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। কিছু ক্যান্সার আছে কেমো সেনসিটিভ সেগুলো কেমোথেরাপি দিলে ভালো হয়ে যায়, আবার কিছু ক্যান্সারের জন্য রেডিওথেরাপি দরকার হয়।

সাবিনা ইয়াসমীন: ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কি নারী-পুরুষের কোনো প্রভাব আছে?

তন্নিমা অধিকারী:  হ্যাঁ, ব্রেস্ট, জরায়ু আর ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকে নারীরা। ব্রেস্ট ক্যান্সারপুরুষেরও হয় তবে তা ১  শতাংশের মতো। প্রোস্টেড ক্যান্সার পুরুষের হয়। আমাদের দেশে অতিমাত্রায় পান-জর্দা খাওয়ার কারণে মুখের ক্যান্সার বেশি হয়। আবার ধূমপানের ফলে ফুসফুস ক্যান্সার নারী-পুরুষ উভয়েরই হয়।

সাবিনা ইয়াসমীন: ক্যান্সার কিংবা বড় কোনো রোগ হলে আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই কিন্তু  এক্ষেত্রে একজন ফার্মাসিস্টও বড় ভুমিকা পালন করতে পারে সেটা কীভাবে?

স্বাগতা সরকার লোপা: রোগী এবং চিকিৎসকের মধ্যকার একটা ভুমিকা পালন করে ফার্মাসিস্টরা। অনেক সময় ক্যান্সারের  মেডিসিনে অনেক রকম পার্শ্ব ¦প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা কাউন্সেলিং করে থাকেন। ওষুধের ডোজের ক্ষেত্রেও ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসকরাই প্রেসক্রাইব করে থাকেন, সেই মোতাবেক ফার্মাসিস্টরা রোগীর কাউন্সেলিংয়ের কাজটা করেন। যেমন কেমোথেরাপি বেশ ব্যয়বহুল আমরা সেক্ষেত্রে অ্যাড মিক্সিং করি।

সাবিনা ইয়াসমীন: নারীরা কোন বয়স থেকে সচেতন তার চিন্তাটা করবে?

রওশন আরা বেগম: আসলে সচেতনতার কোনো বয়স নেই। আমরা স্কুল-কলেজে গিয়েও সচেতন তার বিষয়টি নিশ্চিত করি। তারা  যেন জানতে পারে কীভাবে ব্রেস্ট চেক করতে হয়। কখনই বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে রুটিন মাফিক নিয়ম করে ৩০ বছর  থেকেই সচেতন হওয়া খুব দরকার। বিশেষ করে মাসিক শেষ হওয়ার পর ব্রেস্ট চেক করতে হয়।তাছাড়া আর একটু নিশ্চিত হওয়ার ভায়া  টেস্ট করাটাও জরুরি।

সাবিনা ইয়াসমীন: আপনার দৃষ্টিতে আমাদের দেশের মানুষ কতটুকু সচেতন?

তন্নিমা অধিকারী: আগের তুলনায় মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তবে তা শহরকেন্দ্রিক। কিন্তু সমগ্র বাংলাদেশ  তো আর শহরকেন্দ্রিক নয়। তবে একটা জিনিস জেনে রাখা ভালো দেশের প্রত্যেকটা উপজেলাতে ভায়া টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।  সেটা সিস্টাররাই করতে পারেন। কিন্তু প্রান্তিক মানুষের জানা এবং জানানো ভীষণ প্রয়োজন। এখানে সরকার এবং গণমাধ্যমের বেশ ভূমিকা রয়েছে।তবে আরও একটা জিনিস আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমাদের লাইফস্টাইলের পরিবর্তন করতে হবে।  এখন আমরা স্যানিটারি লাইফ লিড করি। যেমন – সারাদিন বসে কাজকর্ম করা,  হাঁটাচলা, ব্যায়াম খুব কম হয়,  এগুলো বাড়াতে হবে। খাওয়া-দাওয়ায় শাকসবজি সতেজ জিনিস বেশি খেতে হবে। ফাস্টফুড বাদ দিতেহবে।

সাবিনা ইয়াসমীন: অনেকেই ধারণা করেন কেমোথেরাপি দিলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়, রোগীর জন্য ধারণ করাও খুব কষ্টসাধ্য। এ বিষয়ে কিছু বলুন

স্বাগতা সরকার লোপা: আজকাল শুধু নয়, ক্যান্সারের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি, সার্জারি, টার্গেটেড থেরাপিও দেয়া হয়। তবে কেমোথেরাপি দিলেই যে রোগীর খারাপ কিছু হবে তেমনটি নয়। কোন রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা কার্যকর এটা চিকিৎসকরা সঠিকভাবেই প্রেসক্রাইব করেন। তবে ওই যে আমি আবার বলব, ক্যান্সার কোন স্টেজে ধরা পড়ল সেটার ওপরই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। শেষের দিকে ধরা পড়লে কেমোতেও কাজ হয় না তখন পেলিয়েটিভ ট্রিটমেন্ট দিতে হয়।

সাবিনা ইয়াসমীন:  রোদসী লাইভে ক্যান্সার বিষয়ক অনেক কথাই উঠে এসেছে। প্রত্যাশা রাখি শ্রোতা, পাঠক সবাই উপকৃত হবেন এই লাইভের মাধ্যমে। রোদসী লাইভে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

অতিথি বৃন্দ: রোদসীকে ধন্যবাদ। সব শ্রোতা ও পাঠকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

  • অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম

         এমবিবিএস, এমপিএইচ, এমফিল, ডিএমইউ, এফসিপিএস (রেডিওথেরাপি)

         অধ্যাপক, রেডিওথেরাপি বিভাগ।

          জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা।

  • ডা তন্নিমা অধিকারী

         এফসিপিএস (রেডিওথেরাপি)

         সহকারী অধ্যাপক

         রেডিওথেরাপি বিভাগ

          ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  • স্বাগতা সরকার লোপা

          ডেপুটি ম্যানেজার

          ফার্মেসি

          এভার কেয়ার হসপিটাল, ঢাকা।  

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনযাত্রাদেশদেহ ও মনভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

মনের যত্নে বেড়ানো

করেছে Shaila Hasan মার্চ ২, ২০২৩

শরীরের শক্তি যেন মনই জোগায়। শরীরে বড় রোগ বাসা বাঁধলে, মনটাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ঘুরে আসা যেতে পারে কাছে-দূরে কোথাও।  রোগীদের জন্য তারা যে ওষুধগুলো নিয়মিত খাচ্ছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিচ্ছে কিনা। এছাড়া ডাক্তারের   প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি বা তার শর্ট মেডিকেল হিস্ট্রি সঙ্গে থাকা ভালো। লিখেছেন কনিকা রায়।

সুন্দরবন
পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল এই সুন্দরবন। এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির হরিণের অবাধ বিচরণ। এছাড়াও দর্শনীয়   স্থানগুলোর মধ্যে করমজল ফরেস্ট স্টেশন, কটকা, হিরণপয়েন্ট, কচিখালী, মান্দারবাড়ীয়া, দুবলার চর, তিনকোনাদ্বীপ,  মংলা বন্দর ইত্যাদি। ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের কিছু স্থান ঘুরে আসতে পারো।

জাফলং
জাফলংয়ের দর্শনীয় দিক হচ্ছে চা বাগান ও পাহাড় থেকে পাথর আহরণ। মারি নদী ও খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে জাফলংঅবস্থিত।  মারি নদীতে ভ্রমণের মাধ্যমে পাথর সংগ্রহের দৃশ্য আপনাকে সত্যিই আনন্দ দেবে। এখানে প্রচুর বনজ প্রাণীর বসবাস। এখানে  গেলে খাসিয়া উপজাতিদের জীবন ও জীবিকা চোখে পড়বে। এছাড়াও দেখতে পারবে জৈন্তাপুর রাজবাড়ি, শ্রীপুর এবং তামাবিল স্থলবন্দর।  মাগুরছড়াও পথেই পড়বে।

রাতারগুল
সিলেটের রাতারগুলে রয়েছে নানান প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। সিলেট-গোয়াইন ঘাটের সড়কের হরিপুরে বন  বিভাগের অধীনে বিশাল রাতারগুলে রয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নৌকায় ঘুরে বন দেখার সুবর্ণ সুযোগ। লোভাছড়া গোয়াইনঘাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে  কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা লোভাছড়া রয়েছে চা বাগান আর লেকবেষ্টিত নানান সৌন্দর্যপূর্ণ  স্থাপনা।

শ্রীমঙ্গল
সিলেটের শ্রীমঙ্গল যাওয়ার আগে রয়েছে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া ইকোপার্ক। বিশাল এ বনে রয়েছে নানান প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও  বিলুপ্ত অনেক বন্যপ্রাণী। এছাড়া তুমি ঘুরে আসতে পারো কুলাউড়ার ভাটেরায় প্রস্তাবিত পর্যটন স্পট ‘অভয়আশ্রমে’। যেখান থেকে  উপভোগ করা যাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাকালুকির হাওর। দেখে আসতে পারো সুনামগঞ্জের শনিরহাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর,  দেখার হাওর,  ছাতকেরলাফার্জ সুরমা ও বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ অনেক অঞ্চল।

মাধবকুন্ড
মাধবকুন্ড দেশের বৃহত্তম একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। মাধবকুন্ড ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য ও নান্দনিক পিকনিক স্পট হিসেবে  দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে সুপরিচিত। সুবিশাল পর্বতগিরি, শ্যামল সবুজ বনরাজিবেষ্টিত ইকোপার্কে প্রবীণ, নবীন, নারী-পুরুষদের  উচ্ছ্বাস অট্টহাসি আর পাহাড়ি ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কলকল শব্দ স্বর্গীয় ইমেজের সৃষ্টি করে।

সেন্টমার্টিন
আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারকেল বৃক্ষের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে  মৃদু হাওয়ার কোমল স্পর্শ এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপের সৌন্দর্য বর্ণনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। বালি, পাথর,  প্রবাল কিংবা জীববৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশকেন্দ্র সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলাশহর থেকে ১২০  কিলোমিটার দূরে সাগরবক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন।

হিমছড়ি
এখানকার সৈকতের চেয়েও আকর্ষণীয় হলো এর ভ্রমণ পথ। সৈকতলাগোয়া আকাশ ছোঁয়া পাহাড় এখানের অন্যতম আকর্ষণ।  হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনাও বেশ আকর্ষণীয়। কক্সবাজার সৈকত থেকে খোলা জিপ ছাড়ে হিমছড়ির উদ্দেশে।

ভ্রমণ হোক আনন্দদায়ক

মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাগে তালা মেরে চাবি হ্যান্ডব্যাগে রাখো। এ ব্যাগে জরুরি ডকুমেন্টসগুলোও রাখো। এছাড়া হ্যান্ডব্যাগে থাকবে  তোমার প্রতিদিনের ব্যবহারের ওষুধপত্র। প্রি-জার্নি লিস্ট করার সময় এগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

  • যাদের গ্লুকোমা আছে, তারা আই গ্লাস পরে ভ্রমণ করো।
    -চোখের ইমার্জেন্সি ড্রপ নিতে ভুলবেনা। চোখে যারা লেন্সপরো তারা ধুলাবালি থেকে বাঁচতে লেন্স ক্লিনার সঙ্গে নাও। অনেকে সানগ্ওলাস পরতে পারে।
  • ক্যাপ বা হ্যাট পরতে পারো সূর্যের আলো থেকে রক্ষার জন্য,  বিশেষ করে যেখানে এসি নেই।
  • বাস-কোস্টার বা ট্রেনের বাইরে যেন বাচ্চা বা কেউ হাতবামুখ না দেয় সেদিকে নজর রাখো।
  • সিটবেল্ট বেঁধে ভ্রমণ করা উত্তম। খুব ছোট বাচ্চার জন্য স্পেশাল কট ব্যবহার করা যায়।

এছাড়া বিদেশের কিছু কিছু জায়গায় যাওয়ার আগে ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস ও টাইফয়েডের ভ্যাকসিন নিয়ে নেয়াউচিত।  ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলারস গাইড থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

রোগীদের নিরাপদ জার্নি
প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে তারা যে ওষুধগুলো নিয়মিত খাচ্ছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিচ্ছে কিনা। এছাড়া ডাক্তারের  প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি বা তার শর্ট মেডিকেলহিস্ট্রি সঙ্গে থাকা ভালো। কোনো অসুবিধা হলে আশপাশের মানুষ এ কাগজ পড়ে  রোগীকে  উপকার করতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ, বাত রোগের ওষুধ, অ্যাজমা বা অ্যালার্জির ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেনা।

ইনহেলার, ইনস্যুলিন ইত্যাদিও সঙ্গে রাখবে। ডায়াবেটিস রোগীরা লজেন্স, সুগারকিউব নেবে। প্রেগন্যান্ট যারা তাদের প্রথম ছয় মাস জার্নি  করা মোটামুটি নিরাপদ। যাদের অ্যাবরশনের ইতিহাস আছে তাদের গর্ভাবস্থায় জার্নি করা উচিত নয়। বিশেষ করে শেষ তিনমাস যে  কোনো গর্ভবতীর জার্নি নিষেধ। যে কোনো ধরনের জার্নিতে তারা প্রচুর পানি খাবে। প্লেনে জার্নি করলে ঘনঘন পা ম্যাসাজ করতে হবে,  নাহলে পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বা ডিভিটি হতেপারে। তারা পায়ে রক্ত জমা প্রতিরোধকারী মোজা পরতেপারো। যাদের ওজন বেশি তারাও এ কাজটি করতে পারো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.কান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিশেষ রচনাসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

দেশেই সম্ভব ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা

করেছে Shaila Hasan মার্চ ২, ২০২৩

সাধারণ মানুষের ধারণা ক্যান্সার মানেই মরণ-ব্যাধি। বাস্তবে তা কিন্তু নয়। সঠিকসময়ে, নির্ভুল ডায়াগনোসিস ও উপযুক্ত  চিকিৎসায় অনেক ক্যান্সারই সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব। লিখেছেন অধ্যাপক ডা. মো.সালাহউদ্দীন শাহ।

সারাবিশ্বেরমতো ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশেও উদযাপন করা হয়েছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। ক্যান্সার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়। গ্লোবোক্যান ২০২০-এর প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২০ সালে সারা পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি ৯০   লাখের মতো মানুষের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছিল। এরমধ্যে নন হজকিন ও হজকিনলিম্ফোমা, লিউকেমিয়া, মায়েলোমাসহ রক্তের  বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখেরও বেশি মানুষ। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এক বছরে নতুন প্রায় দেড় লাখের মতো মানুষের ক্যান্সার শনাক্ত হয়। যার মধ্যে সাত হাজারের বেশি লোক রক্তের বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এবছর এই  দিনটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ক্লোজ দ্যা কেয়ার গ্যাপ”  অর্থাৎ ক্যান্সার চিকিৎসা সেবায় কোনো ফাঁক রাখা যাবেনা। প্রতিটি মানুষই সমানভাবে এই  চিকিৎসা সেবা পাওয়ারঅধিকার রাখে। আর এভাবেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্যান্সারকে জয় করবএবং ক্যান্সার মুক্ত  পৃথিবী গড়ে তুলব।

ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের জানা থাকা দরকারঃ

– সারা পৃথিবীতে যত মানুষ মৃত্যুবরণ করে, ক্যান্সার হলো তার ২য় বৃহত্তম কারণ।

– প্রতি বছর প্রায় ১০ মিলিয়নের মতো মানুষ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করে।

–  শতকরা ৪০ শতাংশেরও বেশি ক্যান্সারজনিত মৃত্যুকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি-  শুধু কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে। যেমন ধূমপান ও মদ্যপান পরিত্যাগ করতে হবে। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।   নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

– ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি নিয়মিত ক্যান্সারের কিছু রুটিন স্ক্রিনিং টেস্টের  মাধ্যমে। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় সম্ভব হয়ত সঠিক চিকিৎসা নেয়া যাবে।

– স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশ অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশেরও বেশি।

– ক্যান্সার প্রতিরোধের সঠিক পরিকল্পনা, প্রাথমিক ভাবে ক্যান্সার নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে  আমরা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি।

– ক্যান্সার চিকিৎসায় পৃথিবী ব্যাপী বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ১.১৬ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারলে এই অর্থ স্বল্প  ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যেত।

ক্যান্সার কী?

মানুষের শরীরে যে কোষগুলো রয়েছে সেগুলো অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক ভাবে যখন বৃদ্ধি পায় তখন কোষভেদে শরীরের বিভিন্ন জায়গায়  এই কোষগুলো লাম্প বা পিন্ড তৈরি করে যাকে টিউমার বলে। আর রক্তের ক্ষেত্রে রক্তের   কোষগুলো সংখ্যায় অপরিপক্বভাবে বৃদ্ধি পায়। এই ক্যান্সার কোষগুলো রক্ত ও লসিকা বা লিমফেটিক সিস্টেমের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে   ছড়িয়ে পড়ে। কখনও টিউমার গুলো হরমোন তৈরি করে যা শরীরের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত করে।

ক্যান্সারের ধরনগুলো সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা যায়ঃ

-বিনাইন

-টিউমার

-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং

-প্রি-ক্যান্সারাস অবস্থা।

বিনাইন টিউমার সাধারণত জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়না। কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং পারিপার্শ্বিক টিস্যুতে  ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে মৃত্যু ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। প্রি-ক্যান্সারাস অবস্থা পরবর্তীতে ক্যান্সার হতে পারে। কাজেই প্রি-ক্যান্সারাস অবস্থাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।

ক্যান্সারের ধরনগুলো কে আমরা সাধারণত পাঁচ ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমনঃ

-কার্সিনোমা

-সারকোমা

-লিম্ফোমা

-মাইলোমা এবং

-লিউকেমিয়া।

নন হজকিন ও হজকিনলিম্ফোমা, লিউকেমিয়া, মায়েলোমা রক্তের ক্যান্সারের অন্তর্গত। রোগের ঝুঁকি অনেকটাই নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন ও পর্যায়ের ওপর। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি রোগনির্ণয় সম্ভব হয় তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তের  ক্যান্সার নিরাময় করা যায়।

ক্যান্সার হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্যান্সার আমরা কিছু অভ্যাস, খাদ্যাভ্যাস ও   জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে পারি। ক্যান্সারের কিছু কারণ রয়েছে যা আমরা পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারি  যেমনঃ

– মদ্যপান পরিত্যাগ

– শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

– সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ

– নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করা

–  ধূমপান পরিত্যাগ করা

–  অনিয়ন্ত্রিত ভাবে আয়োনাইজিং রেডিয়েশন ব্যবহার করা

– পেশাগত কারণে কেমিক্যাল ডাইয়ের সংস্পর্শে আসা যেমনঃ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করেন

– বিভিন্ন ধরনের ইনফেশনের জন্যও ক্যান্সার হতে পারে যেমনঃ হেপাটাইটিস বি, সি ও এইচ আই ভি ভাইরাসজনিত ইনফেকশন

ক্যান্সার হওয়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে যা কিনা পরিবর্তন করা যায়- বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের কিছু জেনেটিকপরিবর্তন  ঘটে  ফলে পরবর্তীতে ক্যান্সার দেখা দেয়।

– ক্যান্সার উৎপাদনকারী কার্সিনোজেন যা মানবশরীরের জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যান্সার তৈরি করে।

– কিছু মানুষ দুর্ভাগ্যক্রমে জেনেটিক ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে ফলে পরবর্তীতে যা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আবার শরীরের  দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণেও ক্যান্সার হতেপারে।

ক্যান্সার হলে শরীরে কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে?

ক্যান্সারের প্রকারভেদে শরীরের উপসর্গও ভিন্ন ভিন্ন হতেপারেঃ

– হঠাৎ করে শরীরে অস্বাভাবিক লাম্প বা পিন্ড দেখা দিতে পারে

– কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঢোক গিলতে অসুবিধা- এমন সমস্যাও ক্যান্সারের প্রাথমিক কারণ হতে পারে

– আবার হঠাৎ করে বাথরুমের ধরণ পরিবর্তন হতে পারে

– শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হতেপারে

– হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমা শুরু হতে পারে

– অবসাদ, দুর্বলতা, মাংসে ও হাড়ের মধ্যে কখনও কখনও ব্যথা দেখা দিতে পারে

– শরীরে নতুন নতুন মোল অথবা মোলের ধরন পরিবর্তন হতে পারে

– হঠাৎ করে প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে

– অস্বাভাবিক ভাবে স্তনের পরিবর্তন হওয়া

– খাওয়ার রুচি না থাকা ও হজমে অসুবিধা হওয়া

– শরীরের কোথাও ঘা হয়েছে কিন্তু শুকাচ্ছে না

– রাত্রে অস্বাভাবিকভাবে শরীর ঘেমে যাওয়া

ক্যান্সার প্রতিরোধ

এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্যান্সার আমরা প্রতিরোধ করতে পারি- বিষয়ক ক্যান্সার গুলো কমিয়ে আনার মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার নির্ণয়ের মাধ্যমে আমরা অনেক ক্যান্সার নির্মূল করতেপারি যেমনঃ Colorectal Cancer, Breast Cancer, Cervical Cancer, Oval Cancer  জাতীয়ভাবে আমরা Vaccination, testing and screening  সম্পর্কে জনগনকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে পারি।

ক্যান্সার নির্ণয়:

  • রুটিন রক্ত পরীক্ষা, ক্যান্সার  screening test, অস্বাভাবিক পিন্ড বা Tumar এর Biopsy করে ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারি।
  • Bone Marrow Examination, Immunohistochemistry, Cytochemistry, cytogenetic, Molecular Test, Next generation Sequencing, DET- CT Scan
  • USG, X-ray, CT-Scan, MRI

এসব পরীক্ষা ক্যান্সারের ধরন ভেদে যথাসময়ে করতে পারলে ক্যান্সার নির্ণয় সহজ হবে। ক্যান্সার   রোগের আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই সম্ভব। সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, হরমোনথেরাপি, জিনথেরাপি এসব চিকিৎসা ব্যবস্থার   মাধ্যমে আমরা ক্যান্সার নির্মূল করতে পারি। প্যালিয়েটিভ কেয়ার- অনিরাময়যোগ্য ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি নতুন সংযোজন। রক্তের   ক্যান্সারের আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই হচ্ছে। তবে এ রোগের আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা বিস্তরভাবে দেয়ার জন্য   জাতীয় গবেষণা ও চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

অধ্যাপক ডা. মো.সালাহউদ্দীন শাহ

চেয়ারম্যান, হেমাটোলজি বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

মোবাইল: ০১৯২২১১৭৬৭০

ই-মেইল: ংযধয.ভপঢ়ং@মসধরষ.পড়স, ংযধযথফৎ@নংসসঁ.বফঁ.নফ

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্যান্যজীবনজীবনযাত্রাবাংলাদেশ ও বিশ্ব

জন্মদিনে মোমবাতি নেভানো হয় কেন?

করেছে Shaila Hasan মার্চ ১, ২০২৩

অপরাহ উইনফ্রে একটি কথা বলেছেন, “তুমি তোমার জীবনের যত বেশি প্রশংসা এবং উদযাপন করবে, জীবনে উদযাপন করার মতো আরও বেশি কিছু আছে”। বেশিরভাগ মানুষের কাছে জীবনে উদযাপনের জন্য সবচেয়ে প্রতীক্ষার একটি দিন থাকে, আর তা হল তার জন্মদিন। কি শিশু, কি বুড়ো; সময়ের সাথে সাথে আনন্দের ছটা কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও জন্মদিনের সেই আবেগ, উত্তেজনা কিছুটা হলেও থেকেই যায়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছো কি, জন্মদিনের সাথে পালিত যে রীতি রয়েছে, কোথা থেকে আবির্ভাব হলো তাদের? এই ব্যাপারে লিখেছেন শায়লা জাহান।

ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নিভিয়ে, কেক কাটা; আর চারপাশে করতালি দিয়ে হ্যাপি বার্থডে গান গেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো আমাদের কাছে একটি চিরাচরিত ও পরিচিত রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জন্মদিন কেক ও মোমবাতি ছাড়া যেন সম্পূর্নই হয়না এবং এই আচারটি এমন একটি জিনিস যা সারা বিশ্বে প্রচলিত। কেক কাটা ছাড়াও, জন্মদিনের কেকে মোমবাতি লাগানো রীতি প্রায় কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। ছোটবেলা থেকেই আমরা এই মোমবাতিটি নিভিয়ে তারপর কেক কাটতাম। আমরা কেন তা নিভিয়ে দিই এবং এর অর্থই বা কী? যদিও এই আচারের সঠিক উৎস এবং  তাৎপর্য অজানা, তবে এর একাধিক তত্ত্ব রয়েছে যা এই ঐতিহ্যকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। আসো আমরা তা অনুসন্ধান করি।

জন্মদিনের কেকগুলোতে মোমবাতি রাখার ঐতিহ্য গ্রীকদের থেকে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়। এই তত্ত্ব দাবী করে যে, প্রতি চান্দ্র মাসের ষষ্ঠ দিনে দেবী আর্টেমিসের জন্মকে সম্মান জানাতে তারা মোমবাতি ব্যবহার করতো। তাঁরা চাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বৃত্তাকার কেক বেক করত এবং প্রতিফলিত চাঁদের আলোকে উপস্থাপন করার জন্য তাতে মোমবাতি যুক্ত করা হত। এরপর সবাই মিলে প্রার্থনা করে ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নিভিয়ে দেয়া হত। পৌত্তলিকদের কাছ থেকে আরেকটি তত্ত্ব এসেছে, যারা বলেছিল যে জন্মদিনের মোমবাতি গুলোর একটি প্রতীকী শক্তি ছিল। পূর্ববর্তী সময়ে বিশ্বাস করা হত যে খারাপ আত্মারা তাদের জন্মদিনে লোকেদের সাথে দেখা করে এবং জন্মদিনের ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য, মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল এবং তাকে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার দ্বারা ঘিরে রাখা হয়েছিল যাতে সে মন্দ আত্মাদের থেকে রক্ষা পায়।

কেকের উপর মোমবাতি রাখা জার্মানির একটি বিখ্যাত ঐতিহ্যও ছিল। যেখানে ধর্মীয় কারণে, লোকেরা “জীবনের আলো” প্রতীক হিসেবে কেকের কেন্দ্রে একটি বড় মোমবাতি রেখে তার চারপাশে ছোট ছোট  মোমবাতি দিয়ে সাজাত। কারো মতে, নিভে যাওয়া মোমবাতি থেকে নির্গত ধোঁয়া আকাশে আধিপত্যকারী দেবতাদের কাছে তাদের আন্তরিক ইচ্ছা এবং প্রার্থনা বহন করবে, অন্যরা বিশ্বাস করতো যে ধোঁয়া মন্দ প্রানীদের তাড়িয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, ১৮৮১ সালে সুইজারল্যান্ডে মোমবাতি নিভানোর ঐতিহ্যের একটি রেফারেন্সও নথিভুক্ত করা হয়েছিলো।

এই ঐতিহ্যের পেছনে যেই তত্ত্ব থাকুক না কেন, আধুনিক সময়ে এই রীতিকে আরও বেশি আকর্ষনীয় ও অর্থবহুল করা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, জন্মদিন উদযাপনকারীকে অবশ্যই মোমবাতি নেভানোর আগে একটি নীরব শুভেচ্ছা জানাতে হবে। তারপর ফুঁ দিয়ে একসাথে মোমবাতি নেভাতে হবে। যদি একেবারেই সব বাতি নিভে যায় তবে মনে করা হয় যে, তার ইচ্ছা মঞ্জুর করা হবে এবং সেই ব্যক্তি সারা বছর সৌভাগ্য উপভোগ করবেন।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাপ্যারেন্টিংসচেতনতা

শিশুদের স্ক্রীন আসক্তি কমানোর উপায়

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩

শায়লা জাহান:

পাঠ্যবইয়ে পড়া সুফিয়া কামালের “আজিকার শিশু” ছড়াটির কথা মনে আছে? তাতে তিনি বলেছেন-

“আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা/ তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা/ আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি/ তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগণ জুড়ি।“ আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশ ও জাতির উন্নতির কল্পে তাদের মাঝেই লুকায়িত হয়ে আছে হাজারো সম্ভাবনার জীয়নকাঠি। যে বয়সে তাদের মাঝে সৃজনশীল প্রতিভা বিকশিত হওয়ার কথা, সে বয়সেই এসে তারা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের উপর চরমভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে; যা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই বটে।

কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন এবং দূরত্ব শিক্ষার মডেলগুলোর কারণে, অনেক শিশুর মাঝেই দিনে আরও বেশি স্ক্রীন টাইম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এই কারণেই দিনের বাকি সময়ে ইলেকট্রনিক্সের ব্যবহার কমানো আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আপডেট থাকার জন্য এগুলো সংস্কৃতির একটি অংশ হলেও, শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, স্থূলতা হ্রাস সহ আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা সম্পর্ক রয়েছে এই স্ক্রীন সময় কমানোর সাথে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, করোনার সময় আমরা সবাই বাইরের কাজ, হোম স্কুলিং, বাড়ির কাজ এবং শিশু যত্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করার সময় বেবিসিটার হিসেবে এইসব ডিভাইসের উপর নির্ভর করেছি। মহামারী চলাকালীন এগুলো অপরিহার্য ছিল, কিন্তু এখন আমাদের বাচ্চাদের স্ক্রীন ব্যবহার ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে কিনা তা দেখার সময় এসেছে। আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের একটি গ্রহণযোগ্য স্ক্রীন সময়ের জন্য সুপারিশগুলো হলঃ

-২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য স্ক্রীন টাইম নেই

-২ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য প্রতিদিন এক ঘন্টা

-কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন দুই ঘন্টা

কিন্তু বাস্তবতা হলো ৮৫% শিশু এই পরিমানকে ছাড়িয়ে যায় যা তাদের সুস্থতা এবং বিকাশকে প্রভাবিত করছে।

স্ক্রীন আসক্তির প্রভাব

বাচ্চাদের জন্য, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্ক্রীন টাইমের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মাঝে তারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেঃ

-অন্যান্য কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা

-মনোযোগ দিতে অক্ষমতা

-সামাজিকীকরণে সমস্যা

-ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা

-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া

-স্থূলতা বৃদ্ধি পাওয়া

-মানসিক ও অন্যান্য শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়া

মুক্তির উপায়

নিজের স্ক্রীন টাইম সীমিতকরণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্দার আসক্তিতে আক্রান্ত বাচ্চাদের সাহায্য করার প্রথম ধাপ হল নিজেদের দিকে তাকানো। কারো আচরণকে প্রভাবিত করার সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হল সেই আচরণগুলোকে মডেল করা। আমরা বড়রাই অনেক সময় কাজ থেকে ফিরে মোবাইল নিয়ে বসে পড়ি। সন্তানকে হয়তো কোন কাজে ব্যস্ত রেখে বা খেলতে দিয়ে নিজেরাই ঘন্টার পর ঘন্টা ডিভাইস নিয়ে পরে থাকি। তাই প্রথমেই আমাদের এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

শিশুর হাতে ফোন না দেয়া

আমরা বড়রা প্রায়শই যা করি তা হলো বাচ্চা যখন কান্না করে তাদের শান্ত হতে অথবা খাওয়ানোর সময় স্মার্টফোনটি তাদের হাতে তুলে দিই। এতে কাজ হলেও, পারতপক্ষে আমরাই কিন্তু বিপদ ডেকে আনছি। শিশুর হাতে ডিভাইস তুলে দেয়া মানে তাদের ভেতর এটার অভ্যাস গড়ে তোলা, যা মোটেই ঠিক নয়। তাই এইসময়গুলোতে তাকে এসব না দিয়ে গল্প শুনিয়ে কিংবা তার পছন্দের ছড়া বা গান শুনিয়ে তার মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যেতে হবে।

স্ক্রীন এবং স্ক্রীন-মুক্ত সময় সেট করা

বর্তমানে বাচ্চাদেরকে পুরোপুরিভাবে এর থেকে দূরে রাখা সম্ভবপর হয়ে উঠেনা। তাই প্রতিদিন একটি সময় ঠিক করে নাও, যখন যাবতীয় সব ধরনের স্ক্রীন টাইমের জন্য বিরাট নো থাকবে। এই সময়টিতে বাচ্চাদের যে কোন ধরনের এক্টিভিটিসে উৎসাহ দিতে হবে। এছাড়াও সে সময়টিতে স্কুলের পড়া, হোম ওয়ার্ক, ঘরের রুটিন ওয়ার্কগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভারাসাম্য আনয়নের জন্য সবকিছুর মাঝেই একটি সীমা থাকা নিশ্চিত করো।

সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেয়া

বাচ্চারা মাত্রই কল্পনাবিলাসী। এই ইমাজিনেশন পাওয়ারের মাধ্যমে তারা অনেক কিছুই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। কিন্তু অত্যাধিক স্ক্রীন টাইম তাদের এই সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে বাঁধা দেয়। তাই তাদের সৃজনশীল কাজের প্রতি বেশি বেশি উৎসাহ দিতে হবে। সে যা করতে ভালোবাসে- এই যেমন ছবি আঁকা, ক্রাফটিংয়ের কাজ করা বা বিশেষ কোন খেলা, সবকিছুতে তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে বা সেই সংক্রান্ত বিশেষ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অংশ করিয়ে দিতে হবে।

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা

যে কোন বয়সী মানুষের জন্য বই হতে পারে সর্বোত্তম বন্ধু। বাচ্চাদের হাতে গ্যাজেট তুলে না দিয়ে বই তুলে দাও। তাদের মাঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলো। প্রয়োজনে তাদের লাইব্রেরিতে নিয়ে যাও, যেখানে অনেক বইয়ের মাঝে সে নিজেকে খুঁজে পাবে। ঘরেও পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সেই সহায়ক পরিবেশ করে তোলো।

সময় দেয়া

ব্যস্ত এই জীবনে আমরা সবাই ছুটে চলেছি। কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও বাচ্চাদের সময় দেয়া একেবারেই ভুললে চলবেনা। কারণ তোমার এই শূন্যতা তাদের মাঝে এই স্ক্রীনে আসক্তি করে দিতে যথেষ্ট। কর্মজীবী হলে, ঘরে ফিরে নিজে ডিভাইসে বুঁদ না হয়ে সন্তানদের সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটাও। উইকেন্ডে তাদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া খুবই জরুরী। এছাড়াও ঘরোয়া কাজেও তাদের সহযোগিতা নিতে পারো। ছোট-খাটো কাজ সমাধা করতে পারলে তাতে প্রশংসা করো। এতে দেখবে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তাদের অনেকটুকুই কমে যাবে।

প্রতিটি শিশুই অনুকরণপ্রিয়। ছোট থেকেই তারা থাকে দলা পাকানো মাটির মতো। তাদের তুমি যেভাবে গড়বে, সেভাবেই কিন্তু সে বেড়ে উঠবে। তাই প্রথম থেকেই তাদের প্রতি বিশেষ কেয়ার করা খুবই জরুরী। কবি সুফিয়া কামাল যথার্থই বলেছেন, “তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল পাখি-ডাকা রাঙা ভোর/ জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে বাঁধি প্রীতিডোর’’।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রারোদসীর পছন্দরোমান্সরোমান্স রসায়ন

মধুচন্দ্রিমায় বিয়ে

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩

বিয়ে মানেই নতুন স্বপ্ন। হাজার বছর ভালো থাকার ব্রত। তবে সেই ভালো থাকা, সুন্দর থাকা যদি হয় বিয়ের দিন থেকেই! বিয়ের দিন বর-কনের মনে থাকে নানা সংশয়। কিন্তু প্রকৃতি তা এক তুড়িতে উড়িয়ে দিতে পারে। যদি হয় স্বপ্নের জায়গায় বিয়ের স্থান নির্বাচন। লিখেছেন সায়মা ইসলাম।

অনেকেই ভাবে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং খরচসাপেক্ষ। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই ভয় পায় এ ধরনের পরিকল্পনা করতে। আবার রয়েছে কিছু ঝক্কিও। তবে একটু সময় নিয়ে, ভেবে পরিকল্পনা করলে যেতে হবে না বিদেশে; যা দেশেই সম্ভব। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। শুধু তারকারা নয়, সাধারণ মানুষও এখন আত্মীয়স্বজন, জাঁকজমক ছেড়ে চাইছে সুন্দর কোনো লোকেশনে শুধু কাছের মানুষদের নিয়ে ছিমছাম পরিসরে বিয়ে করতে। তবে বর-কনের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে সেই লোকেশন ঠিক করতে।

বিচ ওয়েডিং

যদি সমুদ্রতটের একরাশ বালিয়াড়িতে সাজাতে চাও নিজের বিয়ের আসর, তবে অবশ্যই বেছে নিতে পারো নিজের দেশেরই সমুদ্রতট। তবে কক্সবাজার পর্যটকদের সমাগম বেশি হওয়ায় বিয়ের জন্য বেছে নেওয়া উচিত বছরের এমন একটা সময়, যখন পর্যটক সমাগম হয় কম। এ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক কুয়াকাটা কিংবা অন্য কোথাও। পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় বিছানো সমুদ্রতটের ফাঁকা জায়গাজুড়ে সাজাতে পারো বিয়ের আসর।

প্যালেস ওয়েডিং

বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় তারকারা এখন অনেকেই বিয়ের জন্য বেছে নিচ্ছেন রাজস্থান বা আগ্রার বিভিন্ন প্রাসাদ। পিছিয়ে নেই হায়দরাবাদের ফলকনামা প্যালেস হোটেলও। ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রাসাদকে পরিণত করা হয়েছে হোটেলে। যেখানে বিয়ের থিমও হয় রাজকীয়। অর্থাৎ, বিয়ের সাজ থেকে আবহ, খাবারের তালিকা সবকিছুতেই থাকবে রাজঐতিহ্যের ছোঁয়া। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার রাজবাড়ি, মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, ঝাড়গ্রাম প্রাসাদ (মেদিনীপুর),  ভুটান হাউস প্যালেসেও হতে পারে বিয়ের আসর।

মাউন্টেন ওয়েডিং

বসন্তের পর সবারই যেন বিয়ের জন্য সব থেকে পছন্দের ঋতু শীত। অনেকেই চায় ঠান্ডায় বিয়ে করতে। আর বিয়ে যদি করা যায় হিমালয়ের কোলে, তাহলে তো কথাই নেই। ঝকঝকে আকাশে বিয়ের ছবি যেমন সুন্দর হবে, তেমনই সুন্দর আবহাওয়ায়, হিমেল পরিবেশও বিয়ের অনুষ্ঠানও হবে মনোরম। পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, কার্সিয়ঙ, সন্দাকফু, লাভা, ডুয়ার্স, পেডং, সামসিং হয়ে উঠতে পারে অসাধারণ ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। বিচ ও প্যালেস ওয়েডিংয়ের পাশাপাশি জনপ্রিয়তায় ক্রমেই ওপরে উঠে আসছে মাউন্টেন ওয়েডিং।

ফরেস্ট ওয়েডিং

ভালোবাসায় পরিপূর্ণ জীবন শুরু করার জন্য জঙ্গলে বিয়ের থেকে ভালো কিছুই হতে পারে না। সবুজ, পাখির কলরবের মাঝে জঙ্গল সেজে উঠবে বিয়ের জন্য। রাঙামাটি, বান্দরবান, সিলেট, কাছের সবুজ ছায়া রিসোর্টগুলোতেও পরিকল্পনা করতে পারে বিয়ের। তবে বনের পশুপাখিকে বিরক্ত না করেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা শ্রেয়। দিনের বেলা সুন্দরবনের লঞ্চেও হতে পারে বিয়ের অনুষ্ঠান।

ভিলেজ ওয়েডিং

অনেকেই চায় বিয়ে করতে গ্রাম্য পরিবেশে। তাই বাড়ির কাছের সুন্দর গ্রামগুলোকে সাজিয়ে ফেলা যায় বিয়ের জন্য। আবার ঝক্কি মনে না হলে নিজ গ্রামকেও ওয়েডিং ডেস্টিনেশনের জন্য ভাবা যায়। সে ক্ষেত্রে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাম্য পরিবেশে অনায়াসে পরিকল্পনা করা যেতে পারে বিয়ের।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাজীবনযাত্রামনের মত ঘররোদসীর পছন্দ

ঘর সাজুক ফাগুনের ছোঁয়ায়  

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩

নির্জীব ও নিষ্প্রাণ প্রকৃতি অবশেষে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেছে। রুক্ষ পরিবেশে প্রাণ দোলানো মাতাল করা বাতাস আর কোকিলের কুহুতানে প্রাণের সঞ্চার নিয়ে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটেছে। রঙ, রস ও রূপে ভরা ফাল্গুনের সৌন্দর্য শুধু ব্যক্তির মনেই নয়, ছড়িয়ে পড়ুক ঘরের অন্দর সজ্জায়ও। আইডিয়া শেয়ার করেছেন শায়লা জাহান। 

বাঙ্গালি স্বভাবতই উৎসব প্রিয় জাতি। আর তা যদি হয় ফাল্গুনকে বরণ করার প্রস্তুতি, তাহলে তো কথাই নেই। ঘরের একঘেয়েমি সাজসজ্জায় নাভিশ্বাস উঠে গেছে? শীতের ছায়াময় দিনগুলো এবং হাইবারনেশনকে পিছনে ফেলে, বসন্তের সাজসজ্জার ধারণাগুলোকে ফোকাসে এনে ঘরকে আরও জীবন্ত আর আকর্ষনীয় করার উপযুক্ত সময় এখনই। প্রতিটি ঘরে শ্বাস নিতে দেয়া থেকে শুরু করে সাজ-সজ্জার পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘরকে সতেজ করার নিমিত্তে কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হলো।

দ্বার খোল

প্রথম এবং সর্বাগ্রে, ঘরকে সতেজ করার সর্বোত্তম উপায় হল ঘরে তাজা বাতাসকে আমন্ত্রণ জানানো। এই দ্বার খোলার মানে হলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের পথ উন্মুক্ত করে দেয়া। এই সঞ্চালনের মাধ্যমে স্থবির, জীবাণুযুক্ত, পুনর্ব্যবহৃত বায়ু বের হয়ে যায়। বাতাসে এখনও হালকা ঠাণ্ডা ভাব থাকলেও, কিছুটা সময় বাতাস চলাচলে ঘরের প্রতিটি কোণ সতেজ ও ফ্রেশ ভাব আসবেই।

ডিক্লাটার

ঘরকে পরিষ্কার বা সাজসজ্জা করার আগে, শীতকালীন আইটেমগুলোকে তাদের নিজ নিজ জায়গায় সরিয়ে দিতে ভুলবেনা। শীতের কাপড় থেকে শুরু করে শীতকালীন প্রসাধনী সবকিছুরই পুনর্বিন্যাস করতে হবে। ডিক্লাটার বা সংগঠিত করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করো যে, এটি রাখার মতো আইটেম কিনা, যদি না হয় তবে তুলে রাখো।

নানান রঙের খেলা

বসন্ত মানেই রঙের খেলা। বসন্ত হল আউটডোরে পুনর্জন্ম এবং পুনর্নবীকরণের সময়, তাই এটি অভ্যন্তরেও অনুকরণ করার চেষ্টা করো। ঘর আপডেট করার সাথে সাথে রঙগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাথরুমের তোয়ালে থেকে শুরু করে ছোট কর্নার রাগ থেকে সাজসজ্জা এবং আনুষঙ্গিক সবকিছুর জন্য উজ্জ্বল, প্রফুল্ল রঙ নির্বাচন করো। গোলাপী, ফ্যাকাশে নীল, লিলাক এবং নরম সবুজের মতো প্যাস্টেল টোনগুলো বসন্তের সাথে যুক্ত। এগুলো একটি প্রাণবন্ত পপ নজর কেড়ে নিতে পারে এবং স্থানটিকে আরও জীবন্ত করে তুলতে পারে। ঘরের পর্দার ক্ষেত্রে রঙ নিয়ে খেলতে পারো। ঘরের অন্যান্য সবকিছু লাইট বা অনুজ্জ্বল রেখে কিছুটা বোল্ড কালারের পর্দা বেছে নিতে পারো। আর পার্থক্য? নিজেই পরখ করে নাও।

নরম গৃহসজ্জা সামগ্রীর পরিবর্তন

একটি দ্রুত, সহজ এবং সস্তা উপায়ে তোমার একটি ঘরকে বসন্তের জন্য সতেজ এবং রঙিন বোধ করতে পারো, তা হল তোমার স্থানকে নতুন নরম আসবাবপত্র যেমন- বালিশ, কুশন, রাগ দিয়ে স্টাইল করা।হোক সেটা তোমার সোফা কিংবা বিছানার, শুধুমাত্র কুশন বা থ্রো বালিশের কভার গুলো পরিবর্তন করে দাও, দেখবে পুরো লুকটাই চেঞ্জ হয়ে যাবে। বসন্তের ভাইভ আনার জন্য শীতকালীন থ্রো বালিশগুলোকে অদলবদল করে দাও। এর পরিবর্তে নিয়ে আসো ফ্লোরাল প্রিন্ট, সবুজ, হলুদ, পিঙ্কের মতো উজ্জ্বল কালারগুলো। টেক্সটাইল অদলবদল কড়া একটি ঘরকে একেবারে নতুন মনে করার একটি দূর্দান্ত উপায় হতে পারে এটি।

তাজা ফুলের যোগ

যেকোন ঘর আপডেট করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাজা ফুল যোগ করা। তোমার যদি ইতিমধ্যে একটি বাগান থাকে, তবে এই টিপসটি তোমার জন্য খুবই সহজলভ্য হবে। তাজা কাটা ফুল ব্যবহার করা বসন্তের জন্য সাজানোর একটি সুন্দর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের উপায়। ড্যাফোডিল এবং টিউলিপের গুচ্ছ থেকে শুরু করে গোলাপ, রজনীগন্ধা ফুল সহজেই যেকোন স্থান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারো। শোভা বর্ধনের পাশাপাশি একটি মিষ্টি সুরভেও ভরে উঠবে তোমার ঘরটি।

ওয়ালপেপারের ব্যবহার

বসন্তের সাজসজ্জার রিফ্রেশের জন্য, ওয়ালপেপারের আইডিয়াগুলো তাৎক্ষণিক প্যাটার্ণ এবং রঙ যোগ করে দিতে সক্ষম। প্রথম বিকল্প হিসেবে ফ্লোরাল রুমের সাজসজ্জার দিকে যাওয়া যেতে পারে। প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত ওয়ালপেপার হল বসন্তের জন্য বায়োফিলিক চেহারা অর্জনের একটি দূর্দান্ত উপায়। ঋতুর জন্য উপযুক্ত একটি বোটানিক্যাল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে প্যাস্টেল গোলাপী এবং পিপারমিন্ট সবুজের সূক্ষ্ম শেড সহ ওয়ালপেপার বেছে নিতে পারো।

ঘন রাগের বিদায়

শীতের ঠান্ডায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে ঘন রাগের ব্যবহার প্রতিটি ঘরেই করা হয়। তবে এখন তাদের বিদায় জানানোর পালা। এর পরিবর্তে নিয়ে আসো পাতলা টেক্সচার এবং কালারফুল রাগ। এই আলংকারিক অনুষঙ্গ ঘরের আরও চমক বাড়াবে।

সবুজাভাব আনয়ন

ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে ইনডোর প্ল্যান্টসের কোন তুলনা হয়না। শীতের রুক্ষ বাতাস এবং বিবর্ণ আলো গাছপালাকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই নিস্তেজ হাউসপ্ল্যান্টের স্থানে নতুন সবুজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো। তবে কেনার আগে, সঠিক আলোর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী গাছপালা বেছে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে নাও যাতে তা পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

হালকা কাপড়ের ব্যবহার

বসন্তের জন্য স্থান আপডেট করার আরেকটি সহজ উপায় হল টেক্সটাইলগুলোকে হালকা ওজনের কাপড়ের সাথে অদলবদল করা। ভারী উল বা পশমের কম্বলের পরিবর্তে কটন বা লিনেনের মতো হালকা কাপড়ের তৈরি প্রতিস্থাপন করতে পারো। সাদা এবং ফ্যাকাশে গোলাপী লেয়ারিং তোমার প্লেসকে নিরপেক্ষ রেখে রঙের পপ যোগ করার উপায় করে দিতে পারে।

আসবাবপত্র পুনরায় সাজানো

ঘরকে সতেজ দেখার আরেকটি উপায় হল আসবাবপত্রের পুনর্বিন্যাস করা। তুমি যদি বেডরুমের একই লেআউটে ক্লান্ত হয়ে পড়ো, তবে বিছানাটি একটি ভিন্ন দেয়ালের বিপরীতে রাখো। বসার ঘরের সোফা, আর্মচেয়ার এবং কর্নার টেবিল একটি নতুন অবস্থানে স্থানান্তর করো।

মৃদু বাতাস এবং প্রস্ফুটিত কুঁড়ির ঘ্রাণ উপভোগ করো। প্রতিটি ঋতুর সাথে বাড়ির সজ্জাকে পরিবর্তন করতে ভূলবেনা। প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে অভ্যন্তরীন পরিবর্তন ঘরকে করে তুলবে আরও আরামদায়ক ও আকর্ষনীয়।

-ছবি সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনযাত্রাদেশবিদেশভ্রমণ ফাইলরোমান্স রসায়ন

কাছে-দূরে হানিমুনে…

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩

বিয়ে মানেই নানা আয়োজন, হাজারটা আনুষ্ঠানিকতা, এটা-ওটা আরও কত-কী! এসব ঝক্কি-ঝামেলা চুকিয়ে একটু নিরিবিলিতে প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্য আর নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়াটা পোক্ত করে নিতে নবদম্পতি বেরিয়ে পড়ে মধুচন্দ্রিমায় বা হানিমুনে। আর এইসব আয়োজন নিয়েই লিখেছেন সুমন্ত গুপ্ত।

অনেক কিছুর মতোই সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের বেড়াতে যাওয়ার এই সংস্কৃতি এ দেশে আসে ব্রিটিশদের হাত ধরে। ১৯ শতকের শেষভাগে ভারতীয় উপমহাদেশের হানিমুনের প্রচলন হলেও দীর্ঘদিন এটি ছিল আমাদের এলিট শ্রেণির মুঠোবন্দি। যুগের হাওয়া সেই কপাট ভেঙে মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে এই রীতিকে। মধুচন্দ্রিমা এখন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন বিয়ে-পরবর্তী গোছানো জীবনের অনুষঙ্গ। আর্থিক সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে প্রেয়সীর হাতে হাত রেখে দু-চারটা দিন কোথায় কাটাবেন, দেশে না বিদেশে? আমাদের এই সুজলা-সুফলা, শ্যামল-সুন্দর বাংলাদেশেই রয়েছে অনেক অনেক সুন্দর জায়গা। দেশের ভেতর যদি ঘুরতে যেতে চান, তাহলে মনস্থির করে ফেলুন ঠিক কোন ধরনের জায়গায় যেতে চান। যদি পাহাড় পছন্দ হয়, তাহলে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সিলেটের সবুজে ঘেরা পাহাড়গুলো; সমুদ্র চান, তাহলে কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্টমার্টিন। আর যদি চান জঙ্গল, তাহলে সুন্দরবন, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়াসহ দেশের গোটা বিশেক জঙ্গল। এ ছাড়া যেতে পারেন ময়মনসিংহের বিরিশিরি, বান্দরবানের বগা লেকের সিয়াম দিদিমণির পান্থশালা বা মিলনছড়ির বিলাসী অতিথিশালায়। রাঙামাটির নগর দর্শন না করে পাবলাখালীর জঙ্গল। ভোলার শেষপ্রান্তের মনপুরা দ্বীপ বা ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। কিংবা নিঝুম দ্বীপও খারাপ হয় না মধুচন্দ্রিমার জন্য।

ঝিনুক ফোটা সাগরবেলায়

মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য পছন্দের এক্কেবারে ওপরে থাকে সমুদ্র। তা দেশেই হোক বা দেশের বাইরে। আর এ ব্যাপারে আমরা পৃথিবীতে সবচেয়ে এগিয়ে। কারণ, আমাদেরই আছে এ ধরিত্রীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। ভিড় এড়িয়ে একটু নিরিবিলিতে যারা অপূর্ব সুন্দর এ সৈকতে ঘুরতে চান, তাদের জন্য ঋজু খাল ঘেঁষে গড়ে ওঠা মারমেইড ইকো রিসোর্ট পারফেক্ট। পাশেই ইনানি বিচ, টেকনাফের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ইসলামগঞ্জ-শাপলাপুর গ্রামের অনিন্দ্যসুন্দর সৈকত। ইনানি পেরিয়ে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফ যাওয়ার পথের সি বিচগুলো এখনো বাণিজ্যিক হয়ে ওঠেনি। নিরাপত্তার ব্যাপারে একটু সাবধান থাকলেই সমুদ্র আর বালিয়াড়ির দুটোই বেশ প্রাকৃতিকভাবে উপভোগ করা যায়। টেকনাফ পেরিয়ে নারকেল জিঞ্জিরা বা সেন্টমার্টিন দ্বীপও হতে পারে আপনার মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য। সেন্টমার্টিনের যাত্রায় আপনাকে সঙ্গ দেবে ঝাঁক ঝাঁক গাঙচিল। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপটিতে নারকেলগাছের আধিপত্যের কারণে একে নারকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়। পানির স্বচ্ছতায় সাগরতলার প্রবাল আর শৈবালগুচ্ছ আপনাদের মুগ্ধ করবেই। সেন্টমার্টিনের জেটির উত্তর প্রান্তে কিছু রিসোর্ট ও হোটেল গড়ে উঠেছে, সেগুলোর যে কোনোটিতে উঠতে পারেন।

মেঘ-পাহাড়ের মিতালি

পাহাড় যাকে একবার ডাকে, সে বারবার পাহাড়ে ছুটে যায়- কথাটা স্যার এডমন্ড হিলারির। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির পাহাড়গুলো আকাশছোঁয়া না হলেও মেঘছোঁয়া। শীতে উপত্যকায় জমে থাকা কুয়াশা আর তার ওপর সূর্যোদয় দেখার অনুভূতি অতুলনীয়। বান্দরবান থেকে খুব সহজেই ঘুরে আসা যায় নীলাচল, নীলগিরি, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির। একটু এগোলেই থানচির তিন্দু, নাফাখুম, অমিয়াখুম, আলীকদম। বান্দরবান শহরের পাশের সাঙ্গু নদে নৌকা নিয়ে দিন পার করে দেওয়া যায়। কটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন বগা লেকের ‘বম’ অথবা ‘মুরং’ পাড়ায়। পাহাড়ের ওপরের লেকের ধারে আদিবাসীদের আতিথেয়তা মন্দ লাগবে না।

খাগড়াছড়িতে আলুটিলা, রিসাং ঝরনা, দেবতাপুকুর, নিউজিল্যান্ডপাড়ায় তো যাবেনই। একটু এগিয়ে দীঘিনালা পেরোলেই দেশের কমলার আঁধার বলে খ্যাত ফ্রুটসভ্যালি রাঙামাটির ‘সাজেক’ উপত্যকা। বেশ কটা ভালোমানের রিসোর্ট তৈরি হয়েছে সেখানে। রাঙামাটিও এখান থেকে কাছাকাছি দূরত্বে। আশপাশে আরও আছে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কর্ণফুলী পেপার মিল ও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাঙামাটি শহরে এসে কাপ্তাই আর কর্ণফুলীর শীতকালীন মন্থর স্রোতে ভাসাতে পারেন নৌকায়। শহর থেকে শুভলং ঝরনায় যাওয়া যায় নৌপথে। চারদিকে পাহাড়, নৌকায় করে স্বচ্ছ পানির ওপর দিয়ে ছুটে চলা। মাঝেমধ্যে দু-একটি বক ও নাম না জানা পাখির ওড়াউড়ি। কখনো দেখবেন লেকের পানিতে ঝপ করে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পার হচ্ছে গুইসাপ। দুধারে উঁচু পাহাড়ের মাঝ দিয়ে নৌকা চলার সময় দূর পাহাড় থেকে আদিবাসী গ্রামগুলোকে ছবির মতো মনে হবে। সঙ্গে বোনাস মনোরম পরিবেশ ও নির্জনে সঙ্গীসহ আপনি। মধুচন্দ্রিমার কল্পনায় এমন জায়গাই তো মানানসই। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিÑ তিন জেলাতেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল। এছাড়া বান্দরবানে মিলনছড়ি রিসোর্ট, সেনাবাহিনীর নীলগিরি রিসোর্ট, সাকুরা রিসোর্টসহ আরও বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট রয়েছে।

চায়ের দেশে

সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজারে ঘোরাঘুরির জন্য আদর্শ সময় বর্ষা হলেও শীতকাল এখানে উপভোগ্য। হালকা শীতে ধূমায়িত চায়ের কাপ হাতে শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্টের বারান্দায় প্রিয়জনকে নিয়ে বসে থাকা রোমান্টিক নিশ্চয়ই। যে সময়ই আসুন না কেন, চারদিকে সবুজের সমারোহে দৃষ্টি জুড়িয়ে যাবে। এছাড়া আছে মাধবুন্ড ঝরনা, জাফলং, জৈন্তা, খাসিয়াপল্লি। এ সময় সিলেটে এলে অন্যতম আকর্ষণ ভোলাগঞ্জ,  রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পানথুমাই, লক্ষণছড়া মিস করবেন না নিশ্চয়ই। শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ টি-রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসোর্ট বুকিং দিতে হয় বেশ আগে। সেখানে ঠাঁই না মিললে রয়েছে শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট, মৌলভীবাজারে দুসাই রিসোর্ট, সিলেট লালাখালের পাশে নাজিমগড় রিসোর্ট, রাতারগুলের পাশে ইকো রিসোর্ট বনলতাসহ ভালো মানের আরও অনেক হোটেল-মোটেল। চাইলে থাকতে পারেন শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হবিগঞ্জের রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেস্টহাউসেও। বন বিভাগের পাশাপাশি নিসর্গ কটেজও আছে বেশকিছু।বর্ষাকাল সিলেটের হাওর আর বিলে ঘোরাঘুরির মূল সময় হলেও এ শীতে অতিথি পাখিদের সঙ্গে ভ্রমণে পাবেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

ম্যানগ্রোভ বনে

সুন্দরবন মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য হিসেবে মন্দ নয়। নিসর্গ উপভোগ, লঞ্চ থেকে নেমে নৌকায় সূর্যোদয় দেখা, কুমির, বানর, হরিণ, সাপ, হাজারো পাখি দেখার আনন্দই আলাদা। সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ আর বাগেরহাটের মোংলা এ জন্য আদর্শ। মোংলায় পর্যটনের পশুর হোটেলে রাত কাটিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন করমজল, হারবেরিয়ার মতো জায়গাগুলো। খুলনা-মোংলা হয়ে সুন্দরবন যাওয়া যায়; মোংলা থেকে কিছুদূর গেলে কচিখালী হয়ে যাওয়া যায় কটকা পর্যন্ত। আবার সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ দিয়ে যাওয়া যায় সুন্দরবনের অনেক গভীরে জামতলা পর্যন্ত। দূরের গন্তব্য কটকা আর হিরণ পয়েন্ট। সাতক্ষীরায় বর্ষা রিসোর্ট আর এনজিওগুলোর রেস্টহাউসে রাত কাটিয়ে গভীর অরণ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন অনায়াসে। তবে এখানে বেড়াতে অবশ্যই কোনো ট্রাভেল এজেন্সির (ভ্রমণ সংস্থা) সঙ্গে যেতে হবে।

দেশের বাইরে হানিমুন

শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা এশিয়ার অন্যতম হানিমুন স্পট। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সমুদ্রসৈকত, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আপনাকে করবে মুগ্ধ। জীবনকে খুঁজে পাবেন নতুন করে। কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দর এই দেশটি থেকে।

থাইল্যান্ড

এশিয়ার মধ্যে বিশ্বসেরা হানিমুন স্পটের তালিকায় প্রথমেই আসে থাইল্যান্ডের নাম। এশিয়ার অন্যতম রোমান্টিক সমুদ্রসৈকত ‘পাতায়া’ থাইল্যান্ডে অবস্থিত। যেখানে রাতের গভীরতার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আলোর ঝলকানি। তালে তালে চলে সংগীতের মূর্ছনা। পাতায়ায় আছে অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। এর একটি দ্বীপ কোলহার্ন। চারদিকে অসীম জলরাশির মধ্য দিয়ে ছুটে চলে স্টুক্রবা ড্রাইভ, সার্ফিং এবং ফিশিং।

মালদ্বীপ

এশিয়ায় আরেকটি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ছোট হলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক ওপরে দ্বীপটি। প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। দেশটির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম মিলে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ছোট ছোট দ্বীপ। আর এই দ্বীপগুলোকে নিয়ে সৃষ্ট মালদ্বীপ।

মালয়েশিয়া

এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র মালয়েশিয়া। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। দেশজুড়ে রয়েছে বিস্তৃত পাহাড়। পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে আধুনিক শহর। না শীত না গরম চমৎকার একটা আবহাওয়া বিদ্যমান মালয়েশিয়ায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও প্রাচুর্যে ভরা শহর পেনাং। ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ হিসেবে পরিচিত। পেনাং এশিয়ার বিখ্যাত দ্বীপ। যেখানে অসংখ্য রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও সমুদ্রসৈকত রয়েছে। এশিয়ার একটি ছিমছাম গোছানো দেশ মালয়েশিয়া। প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ঘুরতে যান। এদের পছন্দের ভ্রমণ গন্তব্যের তালিকায় মালয়েশিয়ার নাম প্রথম তিনটি দেশের মধ্যেই থাকে। এখানে মাত্র একটিই ঋতু বর্ষা। তাই প্রায় প্রতিদিন কমবেশি বৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে পাহাড়ি রাস্তা আর বন-জঙ্গল। মালয়েশিয়া গিয়ে লাঙ্কাউই না গেলে হয়তো পুরো খরচই বৃথা। কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। ক্যাবল কার, ঝরনার ধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইত্যাদি রয়েছে এখানে। হানিমুনটা তাই এখানেই সেরে আসতে পারেন।

গোয়া

নবদম্পতিদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভারতের গোয়া অসাধারণ। এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা। আরব সাগরের সৈকতে প্রিয়জনকে নিয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন গোয়া থেকে।

নৈনিতাল নবদম্পতিদের বেড়ানোর জন্য সেরা এক স্থান। পর্বতের জন্য বিখ্যাত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সব সময় মিশে থাকে একটা প্রেমের গন্ধ। নৈনিতাল ঠান্ডা জলের লেক, কেনাকাটার জন্য জমজমাট বাজার, হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটতে নির্জন পাহাড়ি রাস্তা, আর কী চাই?

বলে রাখা ভালো… 

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার বিশেষ কয়েকটি দিন স্মরণীয় করে রাখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন সব দম্পতিই। তবে পরিকল্পনা তো আর বিয়ের পরের জন্য ফেলে রাখলে চলে না। প্রথম কারণ অবশ্যই ছুটি সীমিত। অফিস ও সংসার জীবনে পুরোপুরি সময় দেওয়ার আগে দুজনে একান্তে বেরিয়ে আসা চাই-ই। বিয়ের প্রস্তুতিতে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, হানিমুন প্ল্যানিংটা দুজনে মিলে করলেই ভালো। ছক কষে নিন আপনার হানিমুন পরিকল্পনা। হানিমুন প্ল্যান করার প্রথম শর্তই হলো মনের কথা শোনা। আপনার পাহাড় ভালো লাগে, তাই ধুম করে পাহাড়ে হানিমুন ঠিক করে নিলেন, এমনটা হলে চলবে না। তার চেয়ে দুজনের মনের কথায় সায় দিন। বেটার হাফের কাছে মতামত নিন।কোথায় যাওয়া যায়। দুজনের পছন্দ যদি মিলে যায়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনি রিল্যাক্সিং হলিডের পক্ষপাতী, কিন্তু আপনার সঙ্গীর পছন্দ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর, তাই এমন সমস্যা হলে দুজনে মিলে ভালোমতো বুঝে প্ল্যান করুন। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের মতামত জোর করে চাপিয়ে দিলে কিন্তু সারাজীবন কথা শুনে যেতে হবে। ইন্টারনেট ঘেঁটে অজানা জায়গায় সারপ্রাইজ ট্রিপে না যাওয়াই ভালো। জায়গাটা খুব পছন্দ হলেও আগে বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্টের কাছ থেকে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে তারপর যান। যদি একটু অন্য ধরনের হানিমুনের প্ল্যান করতে চান, তাহলে ক্রুজ খুব ভালো অপশন। নানা ধরনের বাজেটে ফিট করে যাওয়া ক্রুজ রয়েছে। ক্রুজে বেড়াতে গেলে জায়গা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আরাম-বিলাসের প্রচুর সুযোগও থাকে। এ ছাড়া জঙ্গল, পাহাড় বা সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্টেও আরাম এবং অ্যাডভেঞ্চারের অনেক সুযোগ পাবেন। স্পা, সুইমিংপুল, বোর্ড গেমসের সঙ্গে সঙ্গে মাউন্টেন হাইকিং, বিচ অ্যাকটিভিটিজ বা সাফারিও এনজয় করতে পারেন। আর যা-ই হোক, মধুর স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরা নিয়ে যেতে কখনো ভুলবেন না। জায়গা যখন ঠিক, তখন টুক করে ছকে ফেলুন হানিমুন বাজেট। হানিমুনের জন্য যেখানে যাবেন, সেই জায়গা সম্পর্কে একটু জেনে নিন। জেনে নিন দেশে এবং দেশের বাইরে নানা ধরনের হানিমুন প্যাকেজ সম্পর্কে। দেশের সীমানা পেরিয়ে যদি যেতে চান হানিমুনে, তাহলে প্রথমেই চেক করে নিন দুজনের পাসপোর্ট আপডেট আছে কি না। তারপরই কেটে নিন পছন্দসই এয়ারলাইনসের টিকিট। হোটেল বুকিং টু টিকিট কেনা শেষ। লিস্ট বানিয়ে নিন কী কী নেবেন। কোন স্যুটকেস নিয়ে যাবেন, হানিমুনের জন্য কী কেনার আছে তা কিনুন। লাগেজ হতে হবে হালকা। সঙ্গে নেওয়ার জন্য পোশাক-আশাক আর দরকারি জিনিসের স্মার্ট একটা তালিকা করুন। কত দিন থাকবেন, কী কী করবেন, হানিমুন ডেস্টিনেশনের আবহাওয়া হিসেবে জামাকাপড়, জুতা এসবের তালিকা বানান। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ নিতে ভুলবেন না।  ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে সবকিছু আরেকবার ঝালাই করে নিন। হোটেলগুলোর ঠিকানা, যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার কারও কন্ট্যাক্ট নম্বর এসব ফোনবুক ছাড়াও ডায়েরিতে আলাদাভাবে লিখে রাখুন। ব্যাংক এবং এয়ারলাইনসের যাবতীয় কাজ সেরে ফেলুন। দেশের কোনো লোকেশন হলে আর সেটা যদি বাসে অথবা ট্রেনে যাওয়া হয়, তবে টিকিট করে ফেলুন। শেষ সময়ের কিছু কেনাকাটা দরকার হলে করে নিন। আর মনে রাখবেন, হানিমুন যেন ক্লান্তিকরভাবে শেষ না হয়। যথাসম্ভব সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার ঘড়ির সঙ্গে চেষ্টা করবেন ঘুমের সময় মিলিয়ে নিতে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটাজীবনযাত্রানারীবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

বিয়েতে আজও অমলিন বেনারসি

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৩

বিয়ে, ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু এর গভীরতা বিশাল। এটি হলো একটি নতুন জীবনের শুরু, পরিবারের শুরু এবং সারাজীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকারনামা। আর এই স্পেশাল মুহূর্তের সবকিছুই হওয়া চাই স্পেশাল। সবাই চায় বিয়ের দিনের সাজপোশাকটা এমন হোক, যা তার অনন্য বৈশিষ্ট্যের পরিপূরক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে শাড়ি ছাড়া নববধূর সাজ যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। আর প্রসঙ্গ যদি হয় বিয়ের শাড়ির, সে ক্ষেত্রে বেনারসি শাড়ি সবসময়ই বিয়ের ফ্যাশনে আধিপত্য বিস্তার করে আছে এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত দিক দিয়ে এর স্থান কখনোই হারায় না। এই বেনারসি শাড়ির টুকিটাকি নিয়েই লিখেছেন শায়লা জাহান। 

বেনারসি শাড়ি প্রাচীন ভারতীয় একটি শহর বেনারস বা বারানসিতে তৈরি একপ্রকার শাড়ি, যা এর সোনা এবং রুপার জরি, সূক্ষ্ম রেশম এবং আকর্ষণীয় সুচিকর্মের জন্য খ্যাতি লাভ করেছে। শাড়িগুলো সূক্ষ্ম রেশম তন্তুর তৈরি এবং জটিল নকশায় সজ্জিত ও নকশাকাটার কারণে তুলনামূলকভাবে ভারী ওজনের হয়ে থাকে। এর অনন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে সোনার কাজ, ঘন বুনন, পুঙ্খানুপুঙ্খ নকশা, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস, আঁচল এবং জালি কাজ। নকশা এবং বিন্যাসের জটিলতার ওপর নির্ভর করে একটি বেনারসি শাড়ি সম্পূর্ণ হতে ১৫ দিন থেকে এক মাস এবং কখনো কখনো ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। বিয়ের পোশাকের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফ্যাশন, ট্রেন্ডের অনেক ভিন্নতা এলেও বেনারসির আবেদন কখনো ফুরায়নি। এই শাড়ির জমকালো চেহারার সঙ্গে নববধূর সাজের যে রাজকীয় ভাব প্রকাশ পায়, সেটার চেয়ে প্রশংসার আর কী হতে পারে। আজকাল দক্ষ কারিগর এবং তাঁতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য বেনারসি শাড়িগুলো আরও সহজলভ্য এবং বিয়ের কনের পোশাকে একটি পছন্দসই সংযোজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নববধূর জন্য কেমন রঙের বেনারসি যথার্থ?

বিয়ের কনে মানেই আমাদের মাথায় আসে ‘লাল টুকটুকে বউ’। তবে বিয়ের দিন আজকাল নানা রঙের শাড়ি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলে। তবে অনেকেই সেই চিরাচরিত লাল পরেন। সবার মনোযোগ আকর্ষণ এবং ব্রাইডাল ওয়্যারের ক্ষেত্রে লাল হলো সব রঙের রাজা। এই রং শাড়ির প্রিন্টকে আরও শাইন এবং সমৃদ্ধ করে তোলে। গোলাপি রংও এই বিশেষ দিনের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এটি নববধূর মধ্যে একটা গর্জিয়াস লুক আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে গোলাপি রঙের যেকোনো শেড বা বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে বিয়ের শাড়ি নির্বাচন করা যেতে পারে। যদি কিছুটা ইউনিক লুক ক্রিয়েট করার ইচ্ছা থাকে, তবে শুভ্র সাদা বা সবুজ রঙের দিকে যাওয়া যেতে পারে। সবুজ রঙের ক্ষেত্রে ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানের সময়ের ওপর নির্ভর করে হালকা বা গাঢ় উভয় শেডেই পরা যেতে পারে। সবুজ রং ও লাল রঙের মতোই কাপড়ের পুরোটাজুড়ে প্রিন্টকে উজ্জ্বল করে তোলে। মনে রাখতে হবে যে সব মানুষের স্কিন কমপ্লেকশন কিন্তু আলাদা। তাই যে রংই বাছাই করা হোক না কেন, সেই শাড়ির রং যেন আমাদের ত্বকের রংকে আরও বেশি করে হাইলাইট করে।

অথেনটিক বেনারসি চেনার উপায়

খাঁটি বেনারসি শাড়িগুলো দক্ষ কারিগরদের দ্বারা পরম যত্নে তৈরি করা হয়। প্রতিটি বেনারসি শাড়ি আলাদা এবং এটি কীভাবে হস্তশিল্পে তৈরি হয়েছিল, তার একটি গল্প বহন করে। আর সেই সূক্ষ্ম, অথেনটিক শাড়ি খুঁজে পাওয়ার কিছু টিপস হলো :

-খাঁটি বেনারসি শাড়িগুলো উচ্চ মানের সিল্ক এবং আসল সোনা এবং রুপার জরি থেকে তৈরি করা হয়। এই ধরনের তাঁত বয়ন সময়সাপেক্ষ এবং অত্যন্ত জটিল। আর এটিই শাড়িকে অনন্যতা দেয় এবং দামেও কিছুটা উচ্চমানের হয়। কম দামে অনেকেই সাধারণ শাড়িকে বেনারসি বলে চালিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে সস্তা বিকল্পগুলো থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

-শুধু শাড়ির বিপরীত দিকটি পরীক্ষা করেও এর আসলতা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তাঁতে বোনা বেনারসি শাড়ি সবসময় পাটা এবং তাঁতের গ্রিডের ভেতরে ভাসমান থাকবে। মেশিনে বোনা শাড়ি হবে মসৃণ ফিনিশিং।

Ñএর জটিল কারুকার্যের জন্য এক একটি বেনারসি তৈরি হতে অনেক সময় লেগে যায়। উন্নত মানের সুতা ও সিল্ক দিয়ে তৈরি এই বেনারসির আসল শাড়ির কাজ হবে নিখুঁত ও রং হবে পাকা।

-আসল বেনারসি শাড়িতে আমরু, আম্বি এবং ডোমকের মতো মোগল মোটিফ, সেই সঙ্গে কলগা এবং বেলের মতো সূক্ষ্ম ফুল ও পাতার মোটিফ থাকবে, যা নকল নয়।

-শাড়ির আঁচলে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা, সাধারণ সিল্কের একটি প্যাচ থাকবে। যা শুধু আসল বেনারসি শাড়িতেই থাকবে।

বেনারসি শাড়ির যত্ন-আত্তি

শখের বেনারসি শাড়ি কেনার আগেও যেমন সতর্ক থাকতে হয়, তেমনি এর যত্নের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। কখনো যদি এটি ধোয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে তা বাসায় ধোয়া যাবেনা। লন্ড্রিতে ড্রাই ওয়াশ করাই এর একমাত্র সমাধান। আর আলমারিতে অনেক শাড়ির সঙ্গে গাদাগাদি করে এটা রাখতে যাবেনা। এতে ঘষা লেগে এর সুতার কাজ উঠে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সবচেয়ে ভালো হয় অন্য সুতি কাপড়ের ভেতরে শাড়িটি মুড়িয়ে রেখে দিলে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook