রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

চলন বলন

গ্রুমিংচলন বলনজীবনযাত্রাসচেতনতা

খাবার টেবিলের আদবকেতা

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

কোন ডিনার পার্টিতে আমন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছো অথবা বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছো, উপলক্ষ্য যাই হোক না কেন খাবার টেবিলের কিছু সাধারণ ম্যানার্স বা আচার-ব্যবহার রয়েছে যা সবাইকেই অনুসরণ করা উচিৎ। তোমার টেবিলের এই আদবকেতা আগত অতিথিদের উপর একটি দূর্দান্ত ছাপ রেখে যেতে পারে এবং এটি প্রত্যেককে তাদের খাবার উপভোগ করার সাথে সাথে খুশি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়তা করবে।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- ‘ম্যানার্স মেকথ ম্যান’। এর মানে হল যে তোমার আচার-ব্যবহার তোমাকে তৈরি করে। তুমি কে এবং তোমার সম্পর্কে কারও মতামত গঠন করতে সহায়তা করে। আচার-আচরণ হল তুমি কীভাবে নিজেকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করো এবং বিশেষ করে যখন তুমি খাচ্ছো। ডাইনিং শিষ্টাচারের ইতিহাস অনেক গভীরে প্রোথিত। অনেকের কাছে আনুষ্ঠানিক টেবিল সেটিংস হল একটি শিল্প ফর্ম এবং টেবিলের আচারগুলোকে হালকাভাবে নেয়া উচিৎ নয়। প্রাচীনতম পশ্চিমা খাবারের ঐতিহ্যগুলো প্রাচীন গ্রীকদের দ্বারা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অন্যদের সাথে খাওয়ার অভ্যাসকে আনন্দদায়ক করতে কয়েক শতাব্দী ধরে টেবিল শিষ্টাচার বিকশিত হয়েছে। টেবিল ম্যানার্স দেশ থেকে দেশে এবং সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে পরিবর্তিত হয়। তবে সাধারণ কিছু আদব-কায়দা আছে যা সবাইকে অনুসরণ করা উচিৎঃ

-খাবার খেতে বসার আগে হাত পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নাও। প্রয়োজনে হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ভালো করে ধৌত করে নাও। যদি কোন বাচ্চাকে টেবিলের আচার-আচরণ শেখাও, তাহলে তাদের হাত কতক্ষণ ধুতে হবে এবং কতটা স্ক্র্যাব করতে হবে তা বলার জন্য এটি একটি মোক্ষম সময়। তবে কিছু ফ্যান্সি রেস্তোরাঁয় হাত ধোয়ার জন্য পানির একটি আলাদা পাত্রের বন্দোবস্ত থাকে।

-পরিবেশন করা খাবার দেখতে যতই সুস্বাদু বা লোভনীয় হোক না কেন, সবাই বসে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো আচরণ। আনুষ্ঠানিক সেটিংসে, প্রথমে খাওয়া শুরু করার জন্য যিনি হোস্ট তার জন্য অপেক্ষা করা ভালো। আর যদি কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যাও, তবে প্রত্যেকে তাদের খাবার না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়।

তবে এই নিয়মেরও ব্যতিক্রম আছে। হোস্ট যদি খাবার পরিবেশনের তদারকিতে থাকেন এবং সবার খাওয়া আগেই নিশ্চিত করতে চান, তবে সেক্ষেত্রে শুরু করা দেয়া যেতে পারে।

-খাবার টেবিলে যাওয়ার আগে হাতের মুঠোফোনটি সাইলেন্ট বা ভাইব্রেটের উপর রাখো এবং এটি একটি পার্স বা পকেটে রাখতে পারো।

-টেবিলে থাকা নির্দিষ্ট ন্যাপকিনটি খুলে তোমার পুরো কোলের উপর মেলে রাখো। এটিকে মসৃণ করো যাতে তা সমতল হয়। এটি তোমার হাত বা চামুচ থেকে পড়ে যাওয়া যেকোন খাবার ধরে ফেলবে। এছাড়াও কোলে রাখার কারণে এটি সহজে নাগালের মধ্যে থাকে, তাই যখন প্রয়োজন খাবারের সময় ন্যাপকিন ব্যবহার করে হাত বা মুখ মুছতে পারো। যদি খাবার মাঝে তোমাকে টেবিল ছেড়ে যেতে হয়, তোমার রুমালটি চেয়ারে রাখো, টেবিলে নয়। এটি সংকেত দেবে যে তুমি ফিরে আসবে এবং তোমার খাবার শেষ হয়নি।

-মুখ বন্ধ করে খাবার চিবিয়ে খাওয়া শোভন দেখায়। যদি তুমি তোমার খাবার চিবিয়ে থাকো এবং কেউ এমন কিছু বললো যার উত্তর তুমি দিতে চাও; সেক্ষেত্রে খাবার গিলে ফেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। মুখ খোলা রেখে চিবানো বা মুখ পূর্ণ হয়ে গেলে কথা বলাকে অনেকে অশোভন মনে করে।

-টেবিলে হাতের কনুই রেখে খেতে খুব আরামদায়ক হতে পারে। বিশেষ করে তুমি যদি ক্লান্ত হয়ে থাকো। কিন্তু তুমি যদি একটি ডিনার পার্টিতে থাকো বা রেস্তোরাঁয় থাকো, তবে কনুই টেবিল থেকে দূরে রাখাই ভাল আচরণ। কনুই টেবিলে রাখা অনেক জায়গা নেয় এবং এটিকে খারাপ আচরণ মনে করা হয়। একটি হাত তোমার কোলে রাখতে পারো যখন এটি তুমি খাবার খেতে ব্যবহার করছোনা।

-তুমি যখন কোন আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ বা ফ্যান্সি কোন রেস্টুরেন্টে যাবে, সেখানে টেবিলে থাকা একাধিক কাঁটাচামচ, ছুরি দেখতে পাবে। তখন কোন চামচ, কাঁটা বা ছুরির ব্যবহার করতে হবে তা  নিয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে খাবারের কয়েকটি কোর্স হিসেবে কয়েকটি ভিন্ন চামচ এবং ফর্ক দিয়ে সেটিংস নিয়ে রাখো, যা সাধারণত বিভিন্ন আকারের হয়। আর যদি বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে একটি ডিনার পার্টিতে থাকো তবে সেখানে হয়তো একাধিক পাত্র নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।

-রেস্তোরাঁয় খাবারের সময় সঠিকভাবে চামুচ ব্যবহার করে নাও। ডান হাতে ছুরি এবং বাম হাতে কাঁটা চামচ ধরো। ছোট ছোট টুকরো করে খাবার মুখে নাও। খাবার শেষে চামচ আর ছুরি প্লেটের মাঝ বরাবর রেখে দাও।

-নিজের খাবার যদি নিজেকে নিয়ে পরিবেশন করতে হয় তবে খাবারগুলো চারপাশে রেখে দাও। একবার তুমি পর্যাপ্ত খাবার নেয়ার পর, ডানদিকে থাকা ব্যক্তির কাছে পাত্রটি তুলে দাও। পরবর্তীতে আরও খাবারের প্রয়োজন হলে এবং তা যদি নাগালের বাইরে থাকে তাহলে তা ভদ্রভাবে দিতে বলো। কখনও অন্যজনকে অতিক্রম করে খাবার নিতে যাবেনা।

-একটি ডিনার পার্টি শুধুমাত্র খাবার দাবারের জন্যই নয়। খাওয়ার খাওয়ার সময় আশেপাশে অন্যান্য অতিথিদের সাথে কথা বলতে ভুলবেনা এবং চলমান কথোপকথন মনোযোগ সহাকারে শুনে নিজেও সে বিষয়ে যোগদান করো। তবে কথা শুরু করার আগে মুখে থাকা খাবার চিবিয়ে গিলে ফেলতে ভুলবেনা।

-খাবারের মাঝে ঢেঁকুর, হাঁচি, কাশি আসা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখো এবং মুখ বন্ধ রাখো যাতে এটি জোরে না হয়।

-তুমি যদি পারিবারিক কোন নৈশভোজে থাকো তবে পরিষ্কারের জন্য হাত লাগাতে পারো। রান্নাঘরে আনতে প্লেট, ন্যাপকিন, চামচ সংগ্রহ করতে সাহায্য করো।

-খাবার শেষে হোস্টকে ধন্যবাদ দিতে ভূলবেনা। যদি কোন রেস্তোরাঁয় তোমাকে খাবার পরিবেশন করে দেয়া হয় তবে সার্ভারগুলোকেও ধন্যবাদ জানাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিদেশভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

বয়স? সে তো শুধুই একটি সংখ্যা!

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

বর্তমানে পুরো দুনিয়ায় কোরিয়ান ড্রামা, মুভি, মিউজিক এবং টিভি শো’র ক্রেজ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেখে মানুষ বিস্মিত হয়। অনন্য সাংস্কৃতিক দিক ছাড়াও তারা নিখুঁত ত্বক এবং ফিট শরীরের জন্য সুপরিচিত। কোরিয়ান মহিলাদের বিশেষ করে একটি দর্শনীয়ভাবে ফিট ব্যক্তিত্ব রয়েছে যা সারা বিশ্বের সকলকে কৌতুহলী এবং বিস্ময়কর করে তুলেছে। কখনও মনে জেগেছে কি, তাদের দেখতে এমন কী করে হয়? কিইবা তাদের রহস্য? আসো একসাথে আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিই।

এশিয়ান সংস্কৃতিতে খাবারের অনেক কদর রয়েছে। এমনই একটি এশিয়ান দেশ যেখানে মানুষ খেতে খুবই ভালোবাসে তা হল কোরিয়া। শুনতে অদ্ভূত শোনালেও এটাই বাস্তব সত্য। ফুলকোর্স ভারী খাবার খাওয়া সত্ত্বেও, তাদের শরীর ফিট এবং স্লিম থাকে যা অনেকের জন্য স্বপ্ন। কোরিয়ান খাবার এবং জীবনধারা ওজন বজায় রাখতে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের খাবার এবং ডায়েট সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট এবং কঠোর। যে খাবার গ্রহণ করে তাতে ভারসাম্যতা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাট থেকে প্রোটিন পর্যন্ত গ্রহণ করে। তারা ওজন বাড়ায় না কারণ সবকিছুই সুষম অনুপাতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের ব্যাপারে কিছু জেনে নিইঃ

শাকসবজি প্রাধান খাদ্য

অ্যাপেটাইজার, মেইন কোর্স, স্ন্যাকস অথবা যে কোন ঐতিহ্যগত কোরিয়ান খাবার উপভোগ করতে যাও না কেন, প্রথমেই টেবিলে বিস্তৃত পরিসরে শাকসবজির উপস্থিতি দেখতে পাবে। কোরিয়ান লোকেরা তাদের শাকসবজি পছন্দ করে, যা তাদের স্লিম এবং ফিট থাকার পিছনে অন্যতম প্রাধান কারণ। প্রদত্ত যে বেশিরভাগ শাকসবজি আঁশযুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি যা ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। শাকসবজিতে থাকা ফাইবার তৃপ্তি বোধ করতে সাহায্য করে ও অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো খাবারের অন্তর্ভুক্তি

তাদের সমস্ত খাবারের সাথে একটি সাইট ডিশ থাকে, যা সাধারণত গাঁজন করা খাবারের একটি সিরিজ। কিমচি, সেই গাঁজনযুক্ত মশলাদার বাঁধাকপি যা বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জাতীয় খাবারগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত এবং তা হজমেরও উন্নতি করে। এটি রোগক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও কাজ করে। অনেক ধরনের কিমচি রয়েছে এবং সবকিছুই বাঁধাকপি থেকে তৈরি হয়না। মূলা, শসা সহ প্রায় যেকোন সবজি দিয়েই হয়ে উঠতে পারে কিমচি।

সামুদ্রিক খাবার

কোরিয়াকে তিন দিকে সাগর ঘিরে রেখেছে। সামুদ্রিক খাবার কোরিয়ার অন্যতম প্রধান খাবার। তাদের দুর্দান্ত চুল, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল সামুদ্রিক খাবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা। গ্রিলড ম্যাকেরেল, স্কুইড, অক্টোপাস তাদের অনেক প্রিয় আইটেম। চর্বিযুক্ত মাছ ব্যতীত, যা স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত; সামুদ্রিক শৈবাল একটি সাধারণ কোরিয়ান খাদ্য আইটেম যা তারা স্যুপ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে অন্তর্ভুক্ত করে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য দূর্দান্ত এবং তোমাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্নতা অনুভব করে।

ঘরে তৈরি খাবারের প্রাধান্য

কোরিয়ান মহিলাদের ফিট শরীরের পিছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তাদের খাবারের পছন্দগুলো। তুমি যখন ওজন কমাতে মনোস্থির করো সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ফাস্টফুড- এগুলো শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে দায়ী নয়, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। কোরিয়ানরা বাইরের পরিবর্তে ঘরের খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের শরীরের জন্য ভাল খাবার সম্পর্কে তারা সচেতন এবং সেই অনুযায়ী তারা সেভাবে খাবার নির্বাচন করে থাকে।

চিনি কম, উপকারিতা বেশি

কোরিয়ান খাবার বেশিরভাগই মশলাদার এবং টক। তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ভারী মিষ্টি অন্তর্ভূক্ত করেনা, তাদের মিষ্টান্নগুলো ফলের রস, এক বাটি তাজা ফল বা মিষ্টি ভাতের পানীয়ের মতো হালকা। এগুলো শরীরের ওজন বাড়ায় না। বিখ্যাত কোরিয়ান ডেজার্টগুলোর মধ্যে পাটবিংসু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এটি চাঁচা বরফ দিয়ে তৈরি এবং এতে কোন কৃত্রিম রঙ নেই। এটি স্বাস্থ্যকর করতে তারা এতে প্রচুর ফল ব্যবহার করে।

সোডা কে না

তারা কোক এবং সোডা তেমন খায়না, তার পরিবর্তে প্রচুর চা খায়। বার্লি চা, যাতে অনেক কিছুই আছে। এটির স্বাদ অদ্ভুত তবে এটি একটি চিনিহীন চা। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি ঘুমের অভ্যাস উন্নত করতে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনেও কাজ করে।

হাঁটা, হাঁটা এবং হাঁটা

বেশিরভাগ কোরিয়ানরা হাঁটা পছন্দ করে। তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পাবলিক পরিবহণের পরিবর্তে তাদের পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে। একটি সক্রিয় জীবনধারা নেতৃত্ব দেওয়া বেশিরভাগ কোরিয়ান মহিলাদের সুস্থ রাখে এবং তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাদের জন্য দিনে ১০,০০০ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করা কোন বড় ব্যাপার নয়। আমরা সবাই জানি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন এটি আমাদের শরীরের ওজন এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি? জেনে নাও এখনই

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ৩, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

ব্যাক পেইন বর্তমানে সবচেয়ে সাধারণ শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। গবেষণায় দেখা যায় যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৮জন তাদের জীবনের কোন না কোন সময়ে এই ব্যথার মুখোমুখি হয়। এটি একটি নিস্তেজ, অবিরাম ব্যথা থেকে হঠাৎ তীক্ষ্ম ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। যে কোন বয়সে, যে কোন পরিস্থিতিতে এর যন্ত্রণা শুরু হতে পারে; যা স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রতি পদে পদে বাধার সৃষ্টি করে। কারণ ও উপসর্গের উপর  নির্ভর করে এর চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়।

মূলত মেরুদন্ড বা স্পাইন সম্পর্কিত ব্যথাকেই আমারা ব্যাক পেইন বলে থাকি। ব্যাক পেইন কেন হয়? এর নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। মানুষের পিঠ পেশী, লিগামেন্ট, টেন্ডন, ডিস্ক এবং হাড়ের একটি জটিল কাঠামোর সমন্বয়ে গঠিত, যা শরীরকে সমর্থন করার জন্য একসাথে কাজ করে এবং আমাদের চারপাশে চলাফেরা করতে সক্ষম করে। এই উপাদানগুলোর যেকোন একটির সমস্যা হলে ব্যাক পেইন হতে পারে। কখনও কখনও এটি হঠাৎ আসতে পারে- দূর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া বা ভারী কিছু তোলার কারণে বা মেরুদন্ডে বয়স-সম্পর্কিত অবক্ষয়জনিত পরিবর্তনের কারণে এটি ধীরে ধীরে বিকাশ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, প্রদাহজনিত ব্যাধি বা অন্যান্য চিকিৎসার কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে। আবার আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপও এইক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকে, ঘাড় সামনের দিকে চাপিয়ে গাড়ি চালানো বা কম্পিউটার ব্যবহার করা, এমন বেডে শোয়া যা শরীরের জন্য উপযুক্ত নয় ইত্যাদি। এটি সাধারণত শুরুতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে লোকাল পেইন থেকে শুরু করে পুরো পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কখনও কখনও ব্যথা পিঠ থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে যেমন নিতম্ব, পা বা পেটে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথার তীব্রতা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য পরিবর্তিত হয়।

ঘরোয়া প্রতিকার

হঠাৎ বা তীব্র ব্যথা ডাক্তার বা শারীরিক থেরাপিস্ট দ্বারা পরীক্ষা করা উচিৎ। কিন্তু কখনও কখনও তুমি নিজেই এই বিরক্তিকর ব্যথা এবং অস্বস্তি দূর করতে ঘরোয়াভাবে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারো।

ভালো ঘুম

ব্যাক পেইন দেখা দিলে তা ঘুমের জন্য কঠিন হতে পারে। এটি একটি দুষ্টচক্র হতে পারে কারণ যখন তুমি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারবেনা তা ব্যথার মাত্রা অসহনীয় করে তোলে। এক্ষেত্রে পাশ ফিরে শুতে পারো যাতে মেরুদন্ড একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে পারে এবং পিঠের উপর চাপ কমাতে হাঁটুর মধ্যে বালিশ রাখতে পারো। এছাড়াও ম্যাট্রেসও এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আরামদায়ক শক্ত ম্যাট্রেস নির্বাচন করতে ভূলবেনা।

সঠিক ভঙ্গি

সঠিক ভঙ্গিমার অভাবেও ব্যথার উদ্রেক হতে পারে, বিশেষ করে যদি তোমাকে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থেকে কাজ করতে হয়। স্ক্রিনের সামনে কাজ করতে হলে তা টেবিল বা ডেস্কে এমনভাবে রাখো যাতে বাহুর সমভাবে অবস্থান থাকে এবং পর্দার শীর্ষে চোখ সমান থাকে। অযথা কীবোর্ডের উপর ঝুঁকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম

শক্তিশালী পেশী, বিশেষ করে পেটের মাসল পিঠকে সর্থন করতে সাহায্য করে। শক্তি এবং নমনীয়তা উভয়ই ব্যথা উপশমে এবং এটি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে। যোগব্যায়াম, পাইলেটস এবং তাই চি হলো পেটের কোর এবং নিতম্বের চারপাশের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার কয়েকটি উপায়। বয়স্ক ব্যক্তিরাও ইয়োগার কিছু স্টেপ ফলো করেও উপকার পেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরানো পিঠের উপর লোড হালকা করে।ওজন কামানো ব্যথায় দারুন কাজ করে কারণ এটি মেরুদন্ডে যান্ত্রিক শক্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদি মাত্রাতিরিক্ত ওজন হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ডায়েট এবং ব্যায়ামের পরিকল্পনা করে নিতে পারো।

আইস এবং হিট থেরাপি

বেদনাদায়ক জায়গায় বরফের নিয়মিত প্রয়োগ আঘাত থেকে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিবার ২০ মিনিট পর্যন্ত এটি দিনে কয়েকবার চেষ্টা করো। ত্বকের সুরক্ষার জন্য একটি পাতলা কাপড়ে বরফের প্যাকটি মুড়িয়ে রাখো। কয়েক দিন পর, হিটে স্যুইচ করো। পেশী শিথিল করতে এবং আক্রান্ত স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করার জন্য একটি হিটিং প্যাড প্রয়োগ করো। এছাড়া শিথিলায়নের জন্য উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে পারো। পোড়া এবং টিস্যুর ক্ষতি এড়াতে কখনোই হিটিং প্যাড নিয়ে ঘুমাবেনা।

সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ

আমরা যা খাই তা থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া ভালো। কিন্তু যদি কোন প্রকার সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন দেখা দেয় তবে ডাক্তারের পরামর্শে তা নেয়া ভালো। উদাহরণস্বরূপ, অনেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায় না, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি সূর্যালোকের এক্সপোজারের অভাব থেকে বা শরীর খাবার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারেনা বলে ঘটতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পেশী দূর্বলতা এবং ক্র্যাম্প হতে পারে। এক্ষেত্রে যথাযথ সাপ্লিমেন্ট গ্রহনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রামনের মত ঘর

ঘর পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু টিপস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

মানুষ অভ্যাসের দাস। তোমার অভ্যাস নির্ধারণ করে ঘর পরিষ্কার কিংবা অগোছালো কিনা। এটি পরিষ্কার করার জন্য প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। ছোট ছোট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই তোমার ঘর থাকবে পরিষ্কার ও সুসংগঠিত।

বলা হয়, যখন তোমার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে তখন তুমি খুশি অনুপ্রাণিত এবং সুস্থ বোধ করো। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে একটি পরিপাটি ও গোছানো ঘর মুহুর্তেই আমাদের মন প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। যদিও ঘর পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখা একটি খুব বড় কাজ। একটি সুশৃঙ্খল বাড়ির গভীর পরিচ্ছন্নতার পেছনে অজস্র সময় এবং শ্রম জড়িত থাকতে পারে,  কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করাটা উপভোগ করেনা এবং প্রতিদিন তা নিয়মানুযায়ী পুনরাবৃত্তি করাও চাট্টিখানি কথা নয়। তাহলে এখন উপায়? এক্ষেত্রে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। নিশ্চিত থাকো, যত বেশি এগুলো তুমি অনুসরণ করবে, এটি তত সহজ হবে।

চলো শুরু করি!

তোমার বিছানা গোছাও

অনেকের কাছেই বিছানা গুছানো সময়ের অপচয় মনে হয়, যেহেতু আবার সেই বিছানায় ফিরে আসবে। কিন্তু এটি সত্যিই একটি বড় পার্থক্য করে যে ঘরটি কতটা পরিপাটি দেখায় মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছানো একটি সফল এবং সংগঠিত জীবনের সাথে সরাসরি জড়িত। তোমার দিনটি নিখুঁতভাবে শুরু করতে, বিছানা তৈরি করা থেকে শুরু করো। প্রতিবার দিনের বেলায় সুন্দরভাবে তৈরি বিছানা দেখতে এবং রাতে সেই পরিপাটি বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিতে অনেক ভালো লাগবে। এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, যারা তাদের বিছানা তৈরি করে তাদের নিয়মিত রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা ১৯% বেশি। প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাও, যা তোমার ঘরকে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ লুক দিবে।

কখনোই খালি হাতে রুম ছাড়বেনা

ঘরের রুমগুলোতে যে মেসি বা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় তার পরিত্রাণের জন্য এটি হল সর্বোত্তম উপায়। এই অভ্যাসের বড় সুবিধা হলো এটি কোনও অতিরিক্ত সময় নেয় না। ভেবে দেখো, আমরা অনেক সময় এমন অনেক জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে পেয়ে থাকি; যেখানে এটি অন্তর্ভূক্ত নয়। সিঁড়িতে জুতা, বাথরুমে খেলনা, নোংরা রান্নাঘরের তোয়ালে যা ওয়াশিং মেশিনে যেতে হবে। সুতরাং কখনই একটি ঘর খালি হাতে না ছাড়ার অভ্যাসের অর্থ হল তুমি যখনই যেই রুমেই যাওনা কেন সেখানকার জিনিসপত্র তার সঠিক গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। সবকিছুই যথাস্থানে থাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঘর সহজেই পরিপাটি থাকবে।

প্রতিদিন থালাবাসন ধোয়া

রাতে সিঙ্কে থালাবাসন জমিয়ে রাখা অস্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয়, নিয়মিতভাবে থালা বাসন ধোয়া রান্নাঘরকে সব সময় পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই সারারাত সিঙ্কের কাছে এঁটো থালা বাসনের লোড না রেখে সন্ধ্যায় বা রাতেই সব পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এইসব কাজ ভাগ করে দিলে সহজেই সবকিছুর সমাধা হয়ে যায়।

১ মিনিটের নিয়ম

এই অভ্যাসের অর্থ হলো মূলত যে কোনও কিছু যা এক মিনিটেরও কম সময়ে করা যায়, সে সব কাজ করা দিয়ে শুরু করতে পারো। এই কাজ সম্পাদন অতি দ্রুত হয়ে যায়, তাই এতে বিরক্তবোধের সৃষ্টি হবেনা।

প্রতিদিনকার লন্ড্রি সামলানো

প্রতিদিনই আমাদের টুকটাক কাপড় ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটি একটি অনিবার্য কাজ। কাপড় ধোয়ার এই কাজটি যদি ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করে ফেলা যায় তবে উইকেন্ডে এটি কোন একচেটিয়া স্তূপের সৃষ্টি করবেনা।

রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা

কুটা-বাছা, রান্না করা এসব কাজে রান্নাঘরে অনেক এলোমেলো অবস্থার সৃষ্টি হয়। রান্নার সময় মশলার কৌটা, ঢাকনা, চামুচ এগুলো ব্যবহারের পর যত্রতত্র না রেখে কাউন্টার টপে রেখে দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি প্লেট, বাটি সব ধুয়ে ফেলতে হবে। ময়লা আবর্জনা পরে ফেলে দিব বলে না জমিয়ে রেখে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলতে হবে। সবকিছুর শেষে চুলার আশপাশ, সিঙ্ক সব ধুয়ে মুছে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অপসারণ

আমাদের প্রায় সবার কাছেই এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। এটি কেবল পরিবেশের জন্নইখারাপ নয়, আমাদের মঙ্গলের জন্যও দূর্দান্ত নয়। কারণ এই সমস্ত জিনিসগুলো সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলতা এবং অব্যবস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে। অতএব, ক্রমাগত ডিক্লাটার করার অভ্যাস হল তোমার ঘরকে পরিষ্কার ও সংগঠিত রাখার আরেকটি শক্তিশালী অভ্যাস। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে পারোঃ

-এটি কি ব্যবহার করবে?

-তোমার এটির প্রয়োজন আছে?

-তুমি কি এটি পছন্দ করো?

যদি উত্তর হ্যাঁ না পাও তবে সেক্ষেত্রে তা অপসারণ করো।

উপভোগ্য করে তোলো

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজটি আমাদের কাছে অনেক ক্লান্তিকর মনে হয়। তাই পরিষ্কার করা যতটা সম্ভব আনন্দদায়ক করা আমাদের ভাল পরিষ্কারের অভ্যাস বজায় রাখতে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে। এটি করার একটি উপায় হল যাকে কাপলিং বা পেয়ারিং বলা হয়। অর্থাৎ, তুমি এমন কিছুর সাথে একটি উপভোগ্য কাজ জুটাও যা তুমি নিজে করার চেষ্টা করেছো। ক্লিনিং এর যখন কাজটি করবে তখন পাশাপাশি তোমার প্রিয় কোন মিউজিক ছেড়ে দিতে পারো। অথবা টিভিতে তোমার প্রিয় কোন শো দেখতে দেখতে কাজ করতে পারো। দেখবে সব নিমিষেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটাচলন বলনজীবনযাত্রাবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

স্নিকার পায়ে বিয়ের কনে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বিয়ের মতো এমন স্পেশাল দিনে বর-কনের সাজ পোশাকও হওয়া চাই স্পেশাল। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নবদম্পতি আড়ম্বরপূর্ণ চেহারায় নিজেদের উপস্থাপন করে থাকে। কিন্তু সময়ের পালাবদলের সাথে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সাজ পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন ঐতিহ্যগত ধারণা পাল্টে গেছে তেমনি পদযুগলে ফ্যান্সি হিলের পরিবর্তে ঠাই পাচ্ছে স্নিকারের। যা বর্তমানে ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।  

বলি-অভিনেতা রাজকুমার রাও যখন পত্রলেখাকে হাঁটু গেড়ে আঙটি পরিয়ে দিয়েছিলো তখন নেট দুনিয়ায় তাদের বিয়ে নিয়ে যতটা না চর্চিত হয়েছিলো, তার বেশি সাড়া ফেলেছিলো সাদা আউটফিটের সাথে পত্রলেখার পায়ের স্নিকার নিয়ে। অন্যদিকে ফ্যাশন ডিভা হিসেবে খ্যাত সোনম কাপুরের রিসিপশন পার্টিতে তার বোন রিয়া কাপুর এবং বর আনন্দ আহুজা জাঁকজমক পোশাকের সাথে হাজির হয়েছিলেন স্নিকার পায়ে দিয়ে। এবার আমাদের দেশের দিকে একটু তাকানো যাক। মাসখানেক আগেই হয়ে গেলো গায়ক প্রীতম ও অভিনেত্রী শেহতাজের বিয়ের অনুষ্ঠান। শ্রীমঙ্গলের মনোরম পরিবেশে কনের বেশে শেহতাজকে দেখা যায় ঝলমলে গোলাপি লেহেঙ্গায়, পায়ে গলানো ছিল স্নিকার। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলের কাছেই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে ফ্যাশনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের প্রাধান্য পাচ্ছে তা হল ‘কমফোর্ট’। যেটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ পাওয়া যাচ্ছে তাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাজ-পোশাকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং নূন্যতম দেখার পাশাপাশি ফুটওয়্যারে লক্ষ্যণীয় এমন পছন্দ ব্রাইডাল জগতে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। বরের সাথে আগে থেকেই স্নিকারের যোগসূত্র থাকলেও, কনের পায়ে এর নতুন সংযোজন দেখা যাচ্ছে।

স্নিকার এখন কেবল জিনস আর টি-শার্টে আর আবদ্ধ নেই, অনায়াসে বিয়ের পোশাকের সঙ্গীও হয়ে উঠেছে। পশ্চিমা বিশ্বে বিয়েতে সাদা গাউনের সাথে পায়ে স্নিকার পরার চল তেমন নতুন কিছু নয়। এমন অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা তাদের বিশেষ দিনেও বিয়ের সাজ পোশাকের সাথে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্নিকারকেই। বিয়ের পোশাক তা হোক গাউন, লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি- পোশাক ও নিজের স্বাচ্ছন্দ্য এবং রুচির সাথে তাল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় সব স্নিকার বেছে নেয়ার অপশন রয়েছে। বিয়ের দিনে তোমার সাজপোশাকে চকচকে একটি স্প্ল্যাশ যোগ করতে চাও? এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারো গ্লিটারি বা পার্ল ওয়েডিং স্নিকার। ক্ল্যাসি লুক চাও? সেক্ষেত্রে লেস যুক্ত স্নিকার নাও। অথবা যদি একদমই ইউনিক কিছু চাও, তবে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করেও নিতে পারো। নকশার বৈচিত্র্যতার পাশাপাশি নানা রঙের মিশেলও পাবে। মেয়েদের জন্য সাদার পাশাপাশি গোলাপি, লাল ইত্যাদি রঙের প্রাধান্যও রয়েছে।

পারফেক্ট জুতা জোড়া নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় আছে যেমন; টেকসই উপকরণ,সাপোর্ট এবং আরামদায়কতা- এগুলো অবশ্যই বিবেচনা করে রাখবে। বিয়ের ভেন্যু বা লোকেশানও এক্ষেত্রে মাথায় রাখবে। সেখানকার পরিবেশ সবকিছুর উপর বিবেচনা করে নিজের জন্য বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.চলন বলনজীবনযাত্রাবাংলাদেশ ও বিশ্ব

কেক স্ম্যাশ- কেন বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

বাচ্চার প্রথম জন্মদিনে তার জন্য আয়োজন করা অনুষ্ঠানে কেকের স্ম্যাশ করা ছবি দেখেছো কি? অথবা নবদম্পতি একে অপরের হাতে হাত রেখে কেক কেটে তা পরে স্ম্যাশ করার চিত্র তো অবশ্যই দেখেছো। আমাদের দেশে যদিও এই ট্রেন্ড তেমন চালু নেই কিন্তু ইন্টারনেটের এই যুগে বাইরের দেশে চালু হওয়া এই ট্রেন্ড তো অহরহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভেবে দেখেছো কি গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া এই ঐতিহ্য কোথা থেকে এসেছে এবং এর উৎপত্তিই বা কোথায়? আসো এই ব্যাপারে জেনে নিই।

সাধারণত স্ম্যাশ করা কেকটি হল একটি ছোট কেক, যা মূল কেকের একটি অনুলিপি মাত্র। এর ব্যাপ্তি প্রায় ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পরিসীমা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত এক স্তরের কেক এবং প্রধান কেকের চেয়ে কম সজ্জিত হয়ে থাকে কারণ এটি শুধুমাত্র স্ম্যাশ করার খাতিরেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিগত ছয় থেকে আট বছরে, কেক স্ম্যাশ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি জন্মদিন উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই ঐতিহ্যের উৎপত্তি কোথায়? এই ব্যাপারে দুই ধরনের তত্ত্ব আছেঃ

প্রথম তত্ত্বটি হল যে এটি মেক্সিকান ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। তারা এটি উদযাপন করে যাকে বলা হয় মর্ডিডা। মর্ডিডা হল একটি ঐতিহ্য যখন প্রথম জন্মদিনের ছেলে বা মেয়ের মুখ কেকের দিকে ঢেলে দেয়া হয় কেক কাটার জন্য। চারপাশে সবাই গান গায়, মর্ডিডা! মর্ডিডা! মর্ডিডা! স্প্যানিশ ভাষায় এর অর্থ কামড়। কেকের মধ্যে উদযাপনকারীর মুখ ঢেলে দেওয়ার কাজটি মূলত বাচ্চার মা বা বাবাই করে থাকেন। সাধারণত মোমবাতি নিভিয়ে ফেলার পরে বাচ্চার পিছনে থেকে এসে এই কাজটি করে সবাই তখন চিয়ার্স করে এবং প্রচুর ছবি তোলা হয়।

দ্বিতীয় তত্ত্বটি বিয়ের দিনে বর এবং কনের ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এই ঐতিহ্য একে অপরের মুখে কেক ভাঙার বা একে অপ্রকে ভদ্রভাবে খাওয়ানোর বিকল্প সরবরাহ করে। যদি বিয়েতে দম্পতি সুন্দর ভাবে কেক কাটে এবং কোন ধরনের কেক ছুঁড়াছুঁড়ি না হয়, এটিকে একটি পরিবারকে একসাথে ভাগ করে নেওয়ার পারস্পরিক ইচ্ছা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। যদি তারা একে অপরের মুখে ছুঁড়ে ফেলে, তবে এর অর্থ নেওয়া হয় যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষটি প্রভবশালী এবং মহিলাটি তার বশীভূত। এমনও গুজব রয়েছে যে যদি বিয়েতে কেক ছুঁড়ে দেওয়া হয় তবে এই দম্পতির শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাবে। যাইহোক, কেক ভাংগা এখনও একটি খুব জনপ্রিয় বিনোদন, অনেকেই এটিকে মজাদার মনে করে।

এই কেক স্ম্যাশ করার এই ধরণ, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। প্রথম জন্মদিনের কেক স্ম্যাশ এখন ফটোগ্রাফারদের কাছে একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে নেতিবাচক কিছুনা দেখে শুধুমাত্র কিছুটা সময় মজার করার জন্যই বিশ্বব্যাপী এই রীতি পালন করে আসছে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

অফিসের কর্মব্যস্ততা ও ডেডলাইনের চাপে নাভিশ্বাস উঠছে? অথবা ঘরের একঘেয়েমি রুটিনময় জীবন বিস্বাদময় লাগছে? এতসব হাজারো সমস্যার মাঝে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কোথাও ঘুরে আসা হতে পারে চমৎকার সমাধান। হোক সেটা একাকী ভ্রমণ বা দলগত, বাড়ির কাছাকাছি কোথাও বা দেশের বাইরে; ট্রাভেল সবসময় লাইফে থেরাপির মত কাজ করে। আর এই অজানার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার আগে ব্যাগ প্যাক করা থেকে শুরু করে প্রি-ট্র্যাভেল যে টিপস রয়েছে তা নিয়েই লিখাটি সাজানো হয়েছে।

বছরের যেকোন দিনই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত থাকলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালে ভ্রমণের উৎসব লেগে থাকে। মানব জীবনে ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তোমাকে জীবন ও সত্তার একটি নতুন দ্বার খুলে দিবে। অনেক মানুষ এবং স্থানগুলোর সাথে নতুন সংযোগ অনুভব এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে। ভ্রমণ এমন একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে যা তোমাকে মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো ট্রিপে যাবার আগে অগ্রিম পরিকল্পনা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ি প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে কোন ধরনের স্ট্রেস ছাড়াই নিরাপদে এবং আনন্দদায়কভাবে সময় কাটানো যাবে। ভ্রমণ প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করার নিমিত্তে থাকছে কিছু টিপস।

কোথায় যাব

ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রি-প্ল্যান করতে হবে যে কোথায় যাওয়া হবে? সময়, কস্টিং, পরিবেশ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবকিছু বিবেচনা করে স্থান নির্বাচন করতে হবে। সিলেক্ট হয়ে গেলে আগে থেকেই সেই জায়গার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে রাখতে হবে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতালিকা করে রাখতে হবে। এইসব খোঁজখবর আগে থেকে করে রাখলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় সাথে  যেটুকু সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া হয় তার পুরোটাই কাজে লাগানো যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্ল্যান যদি হয় দেশের বাহিরে যাওয়া তবে দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন, পাসপোর্ট, ভিসা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি বার বার চেক করে সাথে রাখো। প্রয়োজনে এক্সট্রা কপি করেও রাখা যায়। এছাড়াও, মোবাইল বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি যা নেয়া হবে সেগুলো চার্জিং ব্যবস্থা এবং ব্যাকআপের জন্য এক্সট্রা চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখতে হবে।

প্যাকিং তালিকা তৈরি

একটি প্যাকিং তালিকার তৈরি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও এটা কিন্তু অনেক শ্রম ও সময় বাঁচিয়ে দেয়। অনেক সময় ব্যাগ প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আমরা ভূলে যাই। যার দরুন পরবর্তীতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই ক্ষেত্রে যদি আগে থেকেই তালিকা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে তবে তা চেক করে ব্যাগে জিনিসপত্র নেয়া সুবিধাজনক হবে। তাই খুব বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় বা চাহিদামাফিক জিনিসগুলোর লিস্ট করে নাও।

বড় আকারের ব্যাগ পরিহার

ভ্রমণের মূল আকর্ষণই হলো সকল ঝুট-ঝামেলা, ব্যস্ততা পিছনে ফেলে রিল্যাক্স কিছু সময় ব্যয় করা। ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং স্থায়িত্ব মোতাবেক সাথের জিনিসপত্রও তেমনভাবে বাছাই করা প্রয়োজন। আনন্দমুহুর্ত কে মাটি করতে ভারী আকারের লাগেজই যথেষ্ঠ। দেশ হোক আর দেশের বাইরেই হোক, ভারী লাগেজ নিয়ে টানাটানি করার পরিবর্তে মাঝারি আকারের ব্যাগ ব্যবহার করলে ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ব্যাকপ্যাক নিয়ে চলাচল করলে।

সঠিক পোশাক নির্বাচন

বেড়াতে কোথায় যাচ্ছি সেই স্থান এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। কাপড় গোছানোর ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ভারী কাজের পরিবর্তে হালকা উপাদানে তৈরি পোশাক এবং আরামদায়ক পোশাক বেছে নিতে পারো। এতে ব্যাগে জায়গা কম লাগবে এবং ভারীও কম হবে। এছাড়াও সাথে থাকবে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যেমন, অন্তর্বাস, রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, টুপি বা ক্যাপ। জুতার ক্ষেত্রে হাই হিল টাইপের না নিয়ে ফ্ল্যাট বা স্নিকার টাইপের জুতা নির্বাচন করলে ভালো।

প্রসাধনী

টুকিটাকি প্রসাধনীর কিছু জিনিসপত্র সাথে তো থাকবেই। ফেসওয়াশ, লোশন, শ্যাম্পু, সানস্ক্রিন ইত্যাদি নিত্য ব্যবহার্য প্রোডাক্ট বড় বোতলে না নিয়ে কতদিন থাকবো তার উপর ভিত্তি করে  ছোট ছোট ট্রাভেল কিটে ভরে নেয়া যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র

অসুস্থতা এমন এক জিনিস যার\ আকস্মিক আবির্ভাবে যেকোন আনন্দদায়ক প্ল্যান মাটি হয়ে যেতে পারে। এইজন্য সবসময় এর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কোন ওষুধ চললে তা আগে থেকেই রিজার্ভ করে রাখতে হবে। এছাড়াও খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, এন্টিসেপ্টিক মলম, বমি, বদ হজমের ওষুধ, এলার্জিসহ এমন ইমার্জেন্সি ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনে হাতের কাছে সব পাওয়া যায়।

তাহলে আর দেরি কিসের জন্য? প্রি-ট্র্যাভেল চেকলিস্টটি মিলিয়ে নিয়ে তৈরি হয়ে যাও আর ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

ব্রাঞ্চে কি খাবো?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

কর্মজীবীদের সকালে অফিসের তাড়া নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ক্লাসের তাড়া লেগেই থাকে। যার ফলাফল সকালে শুধুমাত্র চা বা কফিতে একটুখানি চুমুক দেয়া নয়তো খালি পেটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া। আমরা সকলেই জানি সকালের নাস্তা শরীরের জন্য কতটা জরুরী। অধিকক্ষন খালি পেটে থাকা শারীরিক অনেক সমস্যার সূত্রপাত ঘটায়। এমতাবস্থায় ব্রাঞ্চ হতে পারে পারফেক্ট সমাধান। আজকের লেখা সাজানো হয়েছে ব্রাঞ্চের খুঁটিনাটি সব কিছু নিয়েই।

ব্রাঞ্চকে বলা হয় অ্যালার্ম ক্লক ছাড়া ব্রেকফাস্ট। এটি হল এমন একটি খাবার যা সাধারণত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে খাওয়া হয়। সকালের ব্রেকফাস্ট ও দুপুরের লাঞ্চ শব্দদ্বয়কে একত্রে ব্রাঞ্চ বলা হয়। একটি ব্রাঞ্চ সাধারণত প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবারের উপাদানগুলোকে একত্রিত করে। ব্রাঞ্চ শব্দটির প্রথম উপস্থিতি পাওয়া যায় ১৮৯৬ সালে, পাঞ্চ ম্যাগাজিনে এবং ১৯৩০- এর দশকের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ধারনা করা হয় যে, এর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ উচ্চ শ্রেণীতে। অনেক উচ্চ শ্রেণীর বাড়িতে রবিবারে তাদের সার্ভেন্টসদের আংশিক বা পুরো দিন ছুটি দেয়া হয়, তাই কর্মীরা সকালে বুফে স্টাইলের খাবার তৈরি করে রাখে যা তাদের নিয়োগকর্তারা বাকি দিন খেতে পারতো। যদিও আজকাল এই ব্রাঞ্চ টার্মটি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এটি একটি প্রিয় সপ্তাহান্তের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে যেখানে, সুস্বাদু খাবার উপভোগের পাশাপাশি বন্ধু ও পরিবারের সাথে একত্রে দূর্দান্ত সময় পার করা যায়। অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেগুলো সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার ছাড়াও ব্রাঞ্চ পরিবেশন করে থাকে।

কী খাবো?

ব্রাঞ্চ যেহেতু মোটামোটি একটা সময় গ্যাপের পরেই খাওয়া হয় তাই কিছুটা ভারি খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর। খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন ও খনিজের সংমিশ্রণ থাকতে হবে। মেন্যু সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সবজীর মিশেলে খিচুড়ি অথবা রুটি সাথে সবজী-ডিম থাকতে পারে। পাশাপাশি ফলও অন্তর্ভুক্ত থাকলে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। মোট কথা দুপুরে খাবার হিসেবে আমরা যা খাই তাই এখানে এড করা যাবে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন গুরুপাক না হয়ে যায়। এগুলো ছাড়াও জনপ্রিয় এবং সহজসাধ্য এমন কিছু ব্রাঞ্চের আইটেম হলঃ

ডিম এবং ভেজিটেবল

আমরা জানি প্রোটিন শক্তিশালী পেশী এবং হাড় গঠন এবং তা বজায় রাখার জন্য কাজ করে। আর ডিম হলো প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। অন্যদিকে শাকসবজি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ফাইবার প্রদান করে যা অসংখ্য শারীরিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। কিছু স্ক্র্যাম্বল ডিমের সাথে ফ্রেশ ভেগিজ যোগ করে মজাদার ও পুষ্টিকর আইটেম তৈরি করে ব্রাঞ্চে খাওয়া যেতে পারে।

স্যান্ডউইচ

প্রাতঃরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজনের সংমিশ্রণে যে ব্রাঞ্চ তা বিবেচনা করে স্যান্ডউইচ হতে পারে একটি চমৎকার বিকল্প। এর রেসিপিতে আরও পুষ্টি বাড়ানোর কিছু উপায়ের মধ্যে রয়েছেঃ

-ফাইবার যোগ করার জন্য সাদা রুটির পরিবর্তে শস্য রুটি ব্যবহার করা যেতে পারে

-চর্বিহীন প্রোটিন ব্যবহার করা

-লাইট বা হালকা মেয়ো এবং কম চর্বিযুক্ত চিজ ব্যবহার করা

-প্রচুর ভেগিজ অন্তর্ভুক্ত করা

প্যানকেক এবং স্ক্র্যাম্বল ডিম

কিছু সুস্বাদু প্যানকেক যোগ করা ছাড়া কোন ব্রাঞ্চ মেনু সম্পূর্ণ হয়? নরমালি প্যানকেকগুলোতে প্রোটিন এবং ফাইবার কম থাকে, এইক্ষেত্রে ফাইবার বাড়ানোর নিমিত্তে এগুলোর তৈরিতে অর্ধেক গোটা গমের আটা বা অন্য কোন গোটা শস্যের আটা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রোটিন যোগ করতে সাথে নেয়া যেতে পারে কিছু স্ক্র্যাম্বল করা ডিম। ডিম ছাড়া প্রোটিন এড করতে চাইলে প্যানকেক তৈরির সময় সাথে দই বা কটেজ চিজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওটস

গোটা শস্যের ক্ষেত্রে ওটস একটি পাওয়ার হাউস। প্রতি ১/২ কাপ পরিবেশনে ৪ গ্রাম ফাইবার সরবরাহ করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো ফাইবার গ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। ওটস বিভিন্ন ফল, দুধ এবং বাদাম সহযোগে তৈরি হয়ে অনেক উপাদেয় খাবারে পরিণত হয়।

ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ফ্রেঞ্চ টোস্ট এর মাউথ ওয়াটারিং টেস্টের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাঞ্চ আইটেমগুলোর মধ্যে একটি। ফাইবারের কন্টেন্ট বাড়ানোর জন্য এতে সাদা রুটির পরিবর্তে গোটা শস্য বা গমের রুটি বেছে নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও এটি বানানোর জন্য প্রোটিন বুস্ট করার জন্য কিছু টিপস আছেঃ

-ব্যাটারে কিছু প্রোটিন পাউডার যোগ করা যেতে পারে

-আল্ট্রা-ফিল্টার করা দুধ ব্যবহার করা অর্থাৎ যা কিছু পানি এবং ল্যাকটোজ (দুধের চিনি) অপসারণ করতে ফিল্টার করা হয়েছে

-চিয়া সীডের মতো উচ্চ প্রোটিন টপিং যোগ করা

ফল এবং সবজী

যদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট অনুসরণ করে থাকো তবে ফল এবং সবজী হলো বেস্ট চয়েস। এগুলো ডায়েটে প্রচুর পরিমানে যোগ করে ক্ষুধা রোধের পাশাপাশি ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু তারা ভিটামিন এবং খনিজের মতো গুরুত্বপূর্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে লোড হয়। আর ক্যালোরির ঘাটতি বজায় রাখার সময় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ নিশ্চিত করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসমস্যাসুস্থ মন

নার্সিসিজমঃ ভালো না খারাপ লক্ষণ?

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

নার্সিসিজম যাকে আমরা মোটা দাগে আত্মপ্রেম বলে থাকি, কমবেশি সকলেরই এই ব্যাপারে হালকা ধারণা আছে। যদিও এই শব্দটির মিনিং কিছুটা নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আসলেই নার্সিসিজম ভাব থাকা কী খারাপ লক্ষণ? নার্সিসিস্ট ব্যক্তি কী আসলেই স্বার্থপরতার দেয়ালে আবদ্ধ? এইসব ব্যাপারেই আজ জানবো আমরা।

আত্মপ্রেম বা নার্সিসিজম হল একটি স্ব-কেন্দ্রিক ব্যত্তিত্বের শৈলী যা মূলত আত্মমগ্নতা, নিজের গুন সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ধারণা পোষণ করা, নিজের প্রতি নিজেই অতিরিক্ত মুগ্ধ থাকা এবং সর্বোপরি, নিজের জীবনে অন্য কাউকে অতটা গুরুত্ব না দেয়া বুঝায়। যদিও সীমিত পরিসরে নার্সিসিজম সাধারণ জীবনের একটি অংশ। মানুষ সর্বক্ষেত্রেই নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। এর স্বাস্থ্যকর মাত্রা বিদ্যমান থাকলেও, নার্সিসিজমের আরও চরম মাত্রা রয়েছে, বিশেষ করে যারা আত্মমগ্ন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়, অথবা যাদের নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের মতো প্যাথলজিকাল মানসিক রোগ রয়েছে। এর নামের পেছনে অনেক চমকপ্রদ কাহিনী লুকিয়ে আছে। নার্সিসিজম শব্দটি এসেছে রোমান কবি ওভিডের মেটামরফোসেস থেকে। পৌরাণিক গল্প বলে, নার্সিসাস নামে এক সুদর্শন যুবক যে কিনা অনেকের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিত। ইকো নামের এক দেবীর প্রেম নিবেদন যখন সে প্রত্যাখ্যান করে, তখন ইকো তাঁকে অভিশাপ দেয় যে একসময় সে তার নিজের রুপের দেমাগে নিজেই কাবু হবে। ব্যাপারটিও সত্যি ফলে গেল। একদিন সে পানি খেতে যেয়ে পুকুরে নিজের ছায়া দেখে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যায়। এভাবেই তাকিয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন। আর এভাবেই সে মারা যায়। অত্যধিক স্বার্থপরতার ধারণাটি ইতিহাস জুড়ে স্বীকৃত। ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে নার্সিসিজমকে মনস্তাত্ত্বিক পরিভাষায় সংজ্ঞায়িত করা শুরু হয়। সেই সময় থেকে মূলত, নার্সিসিজম শব্দটি মনোবিজ্ঞানের অর্থে একটি উল্লেখযোগ্য ভিন্নতা নিয়ে এসেছে।

নার্সিসিজমের প্রকারভেদ

দুটি ভিন্ন ধরনের নার্সিসিজম আছে যেগুলো নার্সিসিস্টিক আচরণের আওতায় পড়তে পারে। এই দুই ধরনেরই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে তবে এগুলো বিভিন্ন শৈশব অভিজ্ঞতা থেকে আসে। দুই ধরনের মানুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে আচরণ করবে তাও নির্দেশ করে।

গ্র্যান্ডিওজ নার্সিসিজম

শৈশবকালে এই আচরণের লোকদের সাথে সম্ভবত এমন আচরণ করা হয়েছিল যেন তারা উচ্চতর এবং অন্যদের উপরে। তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে এই প্রত্যাশাগুলো তাদের অনুসরণ করতে পারে। গ্র্যান্ডিজ নার্সিসিজম যাদের আছে তারা আক্রমণাত্মক, প্রভাবশালী এবং তাদের গুরুত্বকে অতিরঞ্জিত করে।

দুর্বল নার্সিসিজম

এই আচরণ সাধারণত শৈশব অবহেলা বা অপব্যবহারের ফলাফল। এই আচরনের লোকেরা অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়। নার্সিসিস্টিক আচরণ তাদের অপর্যাপ্ততার অনুভূতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তারা বিরক্ত বা উদ্বিগ্ন বোধ করে যখন অন্যরা তাদের সাথে এমন আচরণ করেনা যেন তারা বিশেষ।

নার্সিসিজমের লক্ষণ

আত্মপ্রেম একটা সহজাত প্রবৃত্তি। প্রত্যেকেরই ভেতর সময়ে সময়ে নার্সিসিস্টিক প্রবণতা থাকে। এই প্রবণতাগুলো তখনই ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে পরিণত হয় যখন এটি ব্যক্তির কাজ করার এবং অন্যদের সাথে জড়িত হওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। নার্সিসিস্টিক আচরণের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দেখে সনাক্ত করা যাবে-

-নার্সিসিস্টের জগৎ ঘিরে থাকে ভাল-খারাপ, উচ্চতর-নিকৃষ্ট এবং সঠিক-ভুল সম্পর্কে। একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীবিন্যাস আছে, যেখানে নার্সিসিস্ট শীর্ষে থাকে এবং সেখানেই সে নিরাপদ বোধ করে। তাদের হতে হবে সেরা, সবচেয়ে সঠিক এবং সবচেয়ে যোগ্য।

-এই বৈশিষ্ট্য অধিকারীদের যতই প্রশংসা করা হোক না কেন কিংবা তাদের ভালোবাসো তা বলা হোক না কেন, তারা কখনোই এটি যথেষ্ট বলে মনে করেনা। কারণ গভীরভাবে তারা বিশ্বাস করতে চায়না যে কেউ তাদের ভালোবাসতে পারে। তাদের সমস্ত আত্মমগ্নতা, বড় বড়াই করা সত্ত্বেও, নার্সিসিস্টরা নিজেদের আসলে খুব অনিরাপদ মনে করে, অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের যতই দেয়া হোক না কেন, তারা সবসময় আরও বেশি চায়।

-যদিও নার্সিসিস্টরা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু যদি কোন কাজ পরিকল্পনা অনুসারে বা নিখুঁত না হয়ে থাকে এবং সেখানে সমালোচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে তারা কখনই ফলাফলের জন্য দায় ভার নিতে চায়না। সমস্ত দোষ এবং দায়িত্ব অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়। প্রায়শই নার্সিসিস্ট এমন ব্যক্তিকে দোষারোপ করে থাকে যে তার জীবনে সবচেয়ে আবেগগতভাবে ঘনিষ্ঠ, সবচেয়ে সংযুক্ত এবং অনুগত।

-এদের অন্যদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর ক্ষমতা কম। তারা স্বার্থপর এবং স্ব-সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতা এবং সাধারণত অন্যরা আসলে কী অনুভব করছে তা বুঝতে অক্ষম। তারা খুব কমই ক্ষমাপ্রার্থী, অনুতপ্ত বা দোষী। সহানুভূতির এই অভাব সত্যিকারের সম্পর্ক এবং নার্সিসিস্টদের সাথে মানসিক সংযোগকে কঠিন বা অসম্ভব করে তোলে।

-নার্সিসিস্টের ব্যক্তিত্ব ভাল এবং খারাপ অংশে বিভক্ত। কোন নেতিবাচক চিন্তা বা আচরণ অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়, যেখানে তারা ইতিবাচক এবং ভাল সবকিছুর জন্য কৃতিত্ব নেয়।

-নার্সিসিস্টের সমগ্র জীবন ভয় দ্বারা ঘিরে থাকে। তারা ক্রমাগত উপহাস, প্রত্যাখ্যান বা ভুল হওয়ার ভয় পায়।

হেলদি নার্সিসিস্ট আদৌ আছে কী?

নার্সিসিজম হল একটি জনপ্রিয় শব্দ যা প্রায়শই খারাপ কিছুর সাথে দেখা হয়। এর পাশে হেলদি বা পজেটিভ নার্সিসিজম? কিছুটা ভুল নাম বলে মনে হচ্ছে? আত্মকেন্দ্রীক, সহানুভূতির অভাবের মতো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নার্সিসিজমের এমন কোন পজেটিভ  দিক সত্যিই থাকতে পারে? নার্সিসিজম হল তুমি অন্যদের সাথে নিজেকে কীভাবে দেখো। পজেটিভ নার্সিসিজম তখনই সম্ভব হয় যখন তুমি তোমার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো ইতিবাচক পর্যায়ে থাকে এবং তা প্রকাশে কোন সীমা অতিক্রম না করে। সুস্থ নার্সিসিজমের ধারণাটি প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে, যদিও গবেষকরা এখনও এটি সম্পর্কে একমত হতে পারেনি। সিগমুন্ড ফ্রয়েড সর্বপ্রথম এটিকে মানুষের মানসিকতার একটি স্বাভাবিক অংশ হিসাবে দেখিয়েছিলেন যদিনা একে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সামনে চলার জন্য অনুপ্রেরণা পেতে, কাজে প্রশান্তি পেতে আত্মপ্রেম থাকা ভালো, তবে তা হতে হবে পজেটিভ ওয়েতে। যদি নিজের আচরণগুলো পজেটিভ না নেগেটিভ তা ব্যাপারে যদি নিশ্চিত না হও তবে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। এতে নিজেকে আরও ভালোভাবে জানতে এবং নিঃস্বার্থ আচরণের একটি সুস্থ ভারসাম্য গড়ে তুলতে সাহায্য হতে পারে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্যাজেটঘরকন্যাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রা

গিজার ব্যবহারে সতর্কতা

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ১০, ২০২২

শায়লা জাহান

 

এখনও পুরোপুরি শীত না পড়লেও ভোরের দিকে হালকা শীতল বাতাস এর আগমনীর কিছুটা জানান দিয়ে যাচ্ছে। আর আসন্ন এই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে অন্যান্য অনেক প্রস্তুতির সাথে সাথে একটি গিজারেরও প্রয়োজন হয়। ইনস্ট্যান্ট গারম পানি পেতে এটা যেমন সুবিধা দেয়, তেমনি নিরাপত্তার খাতিরে এর ব্যবহারেও মেনে চলতে হয় কিছু সতর্কতার।

গিজার যা ওয়াটার হিটার নামেও পরিচিত, শীতের ঋতুতে বাথরুমের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বাইরের হিমশীতল ঠান্ডা থেকে বাঁচতে একটি বেস্ট ওয়ে হল উষ্ণ পানিতে আরামদায়ক গোসল করা। আরামের পাশাপাশি এই গরম পানিতে গোসল করার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বলা হয় যে, হট শাওয়ার ঘা এবং ব্যথা পেশীতে ত্রাণ প্রদান করতে পারে, আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে পারে। একটি গিজারের অনেক সুবিধা রয়েছে যা পরিবারের সকলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ করতে পারে।

গিজারের প্রকারভেদ

গরম করার পদ্ধতি অনুযায়ী তিন ধরনের গিজার রয়েছে-

গ্যাস গিজার

এতে এলপিজি বা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে পানি গরম করা গয়। একটি গ্যাস গিজার সাধারনত একটি বড় ট্র্যাঙ্কের সাথে আসে যাতে পানি থাকে এবং নিচে একটি গ্যাস বার্নার থাকে। যেহেতু এতে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তাই গিজারে বিদ্যুত খরচ কার্যত শূন্য, কিন্তু এটি খুব বেশি শক্তি সাশ্রয়ী নয়। নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঝুকিজনক বলে বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে।

ইলেকট্রিক গিজার

বর্তমানে দেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত গিজারগুলোর মধ্যে বৈদ্যুতিক গিজার একটি। এই ধরনের গিজার বিদ্যুত ব্যবহার করে এবং গিজার বিদ্যুতের খরচের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত শক্তি সাশ্রয়ী। অন্যান্য গিজারের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় পানি গরম করে এবং দ্রুত কাজ করে। এই কারনে, বৈদ্যুতিক গিজার ছোট বাথরুমের জন্য উপযুক্ত।

সৌর চালিত গিজার

এতে পানি গরম করার জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করা হয়। এগুলো পানি গরম করার জন্য বেশ লাভজনক এবং বিদ্যুৎ খরচ ৭০% পর্যন্ত কমনো যেতে পারে। তবে এর অসুবিধা হল, যেহেতু এতে সূর্যের আলো শোষণ করে পরবর্তীতে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়, তাই এর প্যানেলগুলো ইনস্টলেশন এমনভাবে করতে হয় যেখানে সারাদিনের সূর্যের আলো পেতে সক্ষম হবে। আবার বর্ষা বা শীত ঋতুতে যেমন সূর্যালোক পাওয়া যায়না তখন পানি গরম করাও কঠিন হতে পারে।

স্টোরেজ অনুসারে গিজার আবার দুই ধরনের-

ট্যাঙ্ক গিজার

নাম অনুযায়ী, এই ধরনের গিজারে পানি সঞ্চয়ের জন্য বড় ট্যাঙ্ক থাকে। পানি গরম করা হয়,  তারপর ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয় এবং ট্যাঙ্কের ভেতরে পানির তাপমাত্রা বজায় রাখা হয়। যেহেতু স্টোরেজ ট্যাঙ্কের ভেতরে পানির তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয়, তাই এই গিজারের বিদ্যুৎ খরচ সবচেয়ে কার্যকর নয়।

ট্যাঙ্ক-লেস গিজার

এই গিজারগুলো তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক ওয়াটার হিটার নামেও পরিচিত। এতে পানি সঞ্চয়ের জন্য কোন ট্যাঙ্ক থাকেনা, যখন প্রয়োজন তখনই পানি গরম করে সরবরাহ করতে পারে। এটি এমন এক ধরনের গিজার যা ছোট বাথরুমের জন্য উপযুক্ত।

গিজারের সুরক্ষা টিপস

স্বস্তিতে গোসল করতে পারা এবং আরও অনেক সুবিধার পাশাপাশি, এটি নিরাপদে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্নের প্রয়োজন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে এই ওয়াটার হিটার সুরক্ষা টিপস দেয়া হল।

সঠিক আকার নির্বাচন

এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ওয়াটার হিটারটি বাসার জন্য সঠিক আকারের। খুব বড় বা খুব ছোট থাকা নিরাপত্তাগত বিপদ হতে পারে এবং তা সামগ্রিক আরামকে প্রভাবিত করতে পারে।

তাপের ক্ষতি রোধ

অন্তরক দ্বারা তাপ ক্ষতি রোধ করতে এবং ইউনিট রক্ষা করতে পারা যায়। অতিরিক্ত পুরু নিরোধক নির্বাচন করলে তা পানিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য গরম রাখবে, এবং এতে অর্থ সাশ্রয় হবে।

সঠিক তাপমাত্রা সেট

নিরাপত্তা এবং আরামের জন্য, গরম পানির হিটারের তাপমাত্রা ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে সেট করা ঠিক নয়।

ভালোভাবে বন্ধ করা

ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। আগুনের বিপদ হ্রাস করতে এর ১৮’’ এর মধ্যে যে কোন দাহ্য পদার্থ আনা ঠিক হবেনা।

কিডস ফ্রি জোন

এর নব এবং বাটন রয়েছে যা বাচ্চাদের আগ্রহের বিষয়বস্তু হতে পারে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখা উচিৎ।

সেফটি রিলিফ ভালভ পরীক্ষা করা

অতিরিক্ত চাপ এবং উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষেত্রে গিজার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বছরে অন্তত একবার এক্সপার্টদের দ্বারা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেয়া উচিৎ।

পেশাগত রক্ষণাবেক্ষণ

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে হিটার বহু বছর ধরে সার্ভিস দিতে পারে। যখনই মনে হবে যে এর কিছুটা চেক করা দরকার তা উপক্ষা না করে পেশাগত কারো কাছে চেক করে নিতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook