রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

চলন বলন

চলন বলনজীবনযাত্রা

কোন চুলে কোন সাজ

করেছে Suraiya Naznin মে ২, ২০২৩

রোদসী ডেস্ক

 

শুধু চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী নয়, হেয়ারস্টাইল বাছার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন চুলের ঘনত্বের দিকেও। সঠিক হেয়ারস্টাইল বাছতে পারলে যেমন চুলের যাবতীয় খুঁত আড়াল করতে পারবেন, তেমনই গোড়ায় গলদ থাকলে চুল সাজাতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। এছাড়া কপালের গঠনের দিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। সব দিক ভেবেচিন্তে তবেই হেয়ারস্টাইল বেছে নিন।

 

 

চুল লম্বা বা মাঝারি এবং ঘন হলে তা বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে হাই বা স্লিক পনিটেল, সাইড বান, আপডু, নানা ধরনের বিনুনি ট্রাই করতে পারেন। চুল খুলে রাখতে চাইলে হাফ আপডু ভাল অপশন। চুল স্ট্রেট করে ব্যাকব্রাশ করেও নিতে পারেন।

চুল ছোট ও ঘন হলে ওয়াটারফল ব্রেড, সামুরাই বান বা হাফ পনিটেল ট্রাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে চুলের টেক্সচার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভাল। হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ও এড়িয়ে চলুন।

চুল ছোট ও পাতলা হলে হেয়ার পাফ করে নিতে পারেন। ফ্রেঞ্চ বান, সাইড টুইস্টও দেখতে ভাল লাগবে। বিভিন্ন ধরনের হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ও ব্যবহার করতে পারেন। তাতেও চুলের খুঁত অনেকাংশে আড়াল করতে পারবেন।

 

চুল লম্বা ও পাতলা হলে ফিশটেল বা পাফি ব্রেডের মতো হেয়ারস্টাইল ট্রাই করতে পারেন। চুল খুলে রাখতে চাইলে ট্রাই করতে পারেন বিচ ওয়েভস। ক্লিক পনিটেল বা বানও পাতলা চুলে এড়িয়ে চলুন।

কোঁকড়া চুলে নানা ধরনের বান দেখতে ভাল লাগে। তবে চাইলে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা সামুরাই বানও ট্রাই করতে পারেন।

কপাল চওড়া বা উঁচু হলে হেয়ার পাফ বা ব্যাকব্রাশ না করাই ভাল। এতে কপাল আরও বড় দেখাবে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনযাত্রাদেশদেহ ও মনভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

মনের যত্নে বেড়ানো

করেছে Shaila Hasan মার্চ ২, ২০২৩

শরীরের শক্তি যেন মনই জোগায়। শরীরে বড় রোগ বাসা বাঁধলে, মনটাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ঘুরে আসা যেতে পারে কাছে-দূরে কোথাও।  রোগীদের জন্য তারা যে ওষুধগুলো নিয়মিত খাচ্ছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিচ্ছে কিনা। এছাড়া ডাক্তারের   প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি বা তার শর্ট মেডিকেল হিস্ট্রি সঙ্গে থাকা ভালো। লিখেছেন কনিকা রায়।

সুন্দরবন
পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল এই সুন্দরবন। এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির হরিণের অবাধ বিচরণ। এছাড়াও দর্শনীয়   স্থানগুলোর মধ্যে করমজল ফরেস্ট স্টেশন, কটকা, হিরণপয়েন্ট, কচিখালী, মান্দারবাড়ীয়া, দুবলার চর, তিনকোনাদ্বীপ,  মংলা বন্দর ইত্যাদি। ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের কিছু স্থান ঘুরে আসতে পারো।

জাফলং
জাফলংয়ের দর্শনীয় দিক হচ্ছে চা বাগান ও পাহাড় থেকে পাথর আহরণ। মারি নদী ও খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে জাফলংঅবস্থিত।  মারি নদীতে ভ্রমণের মাধ্যমে পাথর সংগ্রহের দৃশ্য আপনাকে সত্যিই আনন্দ দেবে। এখানে প্রচুর বনজ প্রাণীর বসবাস। এখানে  গেলে খাসিয়া উপজাতিদের জীবন ও জীবিকা চোখে পড়বে। এছাড়াও দেখতে পারবে জৈন্তাপুর রাজবাড়ি, শ্রীপুর এবং তামাবিল স্থলবন্দর।  মাগুরছড়াও পথেই পড়বে।

রাতারগুল
সিলেটের রাতারগুলে রয়েছে নানান প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। সিলেট-গোয়াইন ঘাটের সড়কের হরিপুরে বন  বিভাগের অধীনে বিশাল রাতারগুলে রয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য নৌকায় ঘুরে বন দেখার সুবর্ণ সুযোগ। লোভাছড়া গোয়াইনঘাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে  কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা লোভাছড়া রয়েছে চা বাগান আর লেকবেষ্টিত নানান সৌন্দর্যপূর্ণ  স্থাপনা।

শ্রীমঙ্গল
সিলেটের শ্রীমঙ্গল যাওয়ার আগে রয়েছে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া ইকোপার্ক। বিশাল এ বনে রয়েছে নানান প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও  বিলুপ্ত অনেক বন্যপ্রাণী। এছাড়া তুমি ঘুরে আসতে পারো কুলাউড়ার ভাটেরায় প্রস্তাবিত পর্যটন স্পট ‘অভয়আশ্রমে’। যেখান থেকে  উপভোগ করা যাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাকালুকির হাওর। দেখে আসতে পারো সুনামগঞ্জের শনিরহাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর,  দেখার হাওর,  ছাতকেরলাফার্জ সুরমা ও বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ অনেক অঞ্চল।

মাধবকুন্ড
মাধবকুন্ড দেশের বৃহত্তম একমাত্র প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। মাধবকুন্ড ইকোপার্ক, নয়নাভিরাম দৃশ্য ও নান্দনিক পিকনিক স্পট হিসেবে  দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে সুপরিচিত। সুবিশাল পর্বতগিরি, শ্যামল সবুজ বনরাজিবেষ্টিত ইকোপার্কে প্রবীণ, নবীন, নারী-পুরুষদের  উচ্ছ্বাস অট্টহাসি আর পাহাড়ি ঝরনার প্রবাহিত জলরাশির কলকল শব্দ স্বর্গীয় ইমেজের সৃষ্টি করে।

সেন্টমার্টিন
আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারকেল বৃক্ষের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে  মৃদু হাওয়ার কোমল স্পর্শ এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবালদ্বীপের সৌন্দর্য বর্ণনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। বালি, পাথর,  প্রবাল কিংবা জীববৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশকেন্দ্র সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলাশহর থেকে ১২০  কিলোমিটার দূরে সাগরবক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন।

হিমছড়ি
এখানকার সৈকতের চেয়েও আকর্ষণীয় হলো এর ভ্রমণ পথ। সৈকতলাগোয়া আকাশ ছোঁয়া পাহাড় এখানের অন্যতম আকর্ষণ।  হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনাও বেশ আকর্ষণীয়। কক্সবাজার সৈকত থেকে খোলা জিপ ছাড়ে হিমছড়ির উদ্দেশে।

ভ্রমণ হোক আনন্দদায়ক

মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাগে তালা মেরে চাবি হ্যান্ডব্যাগে রাখো। এ ব্যাগে জরুরি ডকুমেন্টসগুলোও রাখো। এছাড়া হ্যান্ডব্যাগে থাকবে  তোমার প্রতিদিনের ব্যবহারের ওষুধপত্র। প্রি-জার্নি লিস্ট করার সময় এগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

  • যাদের গ্লুকোমা আছে, তারা আই গ্লাস পরে ভ্রমণ করো।
    -চোখের ইমার্জেন্সি ড্রপ নিতে ভুলবেনা। চোখে যারা লেন্সপরো তারা ধুলাবালি থেকে বাঁচতে লেন্স ক্লিনার সঙ্গে নাও। অনেকে সানগ্ওলাস পরতে পারে।
  • ক্যাপ বা হ্যাট পরতে পারো সূর্যের আলো থেকে রক্ষার জন্য,  বিশেষ করে যেখানে এসি নেই।
  • বাস-কোস্টার বা ট্রেনের বাইরে যেন বাচ্চা বা কেউ হাতবামুখ না দেয় সেদিকে নজর রাখো।
  • সিটবেল্ট বেঁধে ভ্রমণ করা উত্তম। খুব ছোট বাচ্চার জন্য স্পেশাল কট ব্যবহার করা যায়।

এছাড়া বিদেশের কিছু কিছু জায়গায় যাওয়ার আগে ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস ও টাইফয়েডের ভ্যাকসিন নিয়ে নেয়াউচিত।  ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলারস গাইড থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

রোগীদের নিরাপদ জার্নি
প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে তারা যে ওষুধগুলো নিয়মিত খাচ্ছে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে নিচ্ছে কিনা। এছাড়া ডাক্তারের  প্রেসক্রিপশনের ফটোকপি বা তার শর্ট মেডিকেলহিস্ট্রি সঙ্গে থাকা ভালো। কোনো অসুবিধা হলে আশপাশের মানুষ এ কাগজ পড়ে  রোগীকে  উপকার করতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ, বাত রোগের ওষুধ, অ্যাজমা বা অ্যালার্জির ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেনা।

ইনহেলার, ইনস্যুলিন ইত্যাদিও সঙ্গে রাখবে। ডায়াবেটিস রোগীরা লজেন্স, সুগারকিউব নেবে। প্রেগন্যান্ট যারা তাদের প্রথম ছয় মাস জার্নি  করা মোটামুটি নিরাপদ। যাদের অ্যাবরশনের ইতিহাস আছে তাদের গর্ভাবস্থায় জার্নি করা উচিত নয়। বিশেষ করে শেষ তিনমাস যে  কোনো গর্ভবতীর জার্নি নিষেধ। যে কোনো ধরনের জার্নিতে তারা প্রচুর পানি খাবে। প্লেনে জার্নি করলে ঘনঘন পা ম্যাসাজ করতে হবে,  নাহলে পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বা ডিভিটি হতেপারে। তারা পায়ে রক্ত জমা প্রতিরোধকারী মোজা পরতেপারো। যাদের ওজন বেশি তারাও এ কাজটি করতে পারো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনযাত্রাদেশবিদেশভ্রমণ ফাইলরোমান্স রসায়ন

কাছে-দূরে হানিমুনে…

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩

বিয়ে মানেই নানা আয়োজন, হাজারটা আনুষ্ঠানিকতা, এটা-ওটা আরও কত-কী! এসব ঝক্কি-ঝামেলা চুকিয়ে একটু নিরিবিলিতে প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্য আর নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়াটা পোক্ত করে নিতে নবদম্পতি বেরিয়ে পড়ে মধুচন্দ্রিমায় বা হানিমুনে। আর এইসব আয়োজন নিয়েই লিখেছেন সুমন্ত গুপ্ত।

অনেক কিছুর মতোই সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের বেড়াতে যাওয়ার এই সংস্কৃতি এ দেশে আসে ব্রিটিশদের হাত ধরে। ১৯ শতকের শেষভাগে ভারতীয় উপমহাদেশের হানিমুনের প্রচলন হলেও দীর্ঘদিন এটি ছিল আমাদের এলিট শ্রেণির মুঠোবন্দি। যুগের হাওয়া সেই কপাট ভেঙে মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে এই রীতিকে। মধুচন্দ্রিমা এখন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন বিয়ে-পরবর্তী গোছানো জীবনের অনুষঙ্গ। আর্থিক সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে প্রেয়সীর হাতে হাত রেখে দু-চারটা দিন কোথায় কাটাবেন, দেশে না বিদেশে? আমাদের এই সুজলা-সুফলা, শ্যামল-সুন্দর বাংলাদেশেই রয়েছে অনেক অনেক সুন্দর জায়গা। দেশের ভেতর যদি ঘুরতে যেতে চান, তাহলে মনস্থির করে ফেলুন ঠিক কোন ধরনের জায়গায় যেতে চান। যদি পাহাড় পছন্দ হয়, তাহলে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সিলেটের সবুজে ঘেরা পাহাড়গুলো; সমুদ্র চান, তাহলে কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্টমার্টিন। আর যদি চান জঙ্গল, তাহলে সুন্দরবন, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়াসহ দেশের গোটা বিশেক জঙ্গল। এ ছাড়া যেতে পারেন ময়মনসিংহের বিরিশিরি, বান্দরবানের বগা লেকের সিয়াম দিদিমণির পান্থশালা বা মিলনছড়ির বিলাসী অতিথিশালায়। রাঙামাটির নগর দর্শন না করে পাবলাখালীর জঙ্গল। ভোলার শেষপ্রান্তের মনপুরা দ্বীপ বা ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। কিংবা নিঝুম দ্বীপও খারাপ হয় না মধুচন্দ্রিমার জন্য।

ঝিনুক ফোটা সাগরবেলায়

মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য পছন্দের এক্কেবারে ওপরে থাকে সমুদ্র। তা দেশেই হোক বা দেশের বাইরে। আর এ ব্যাপারে আমরা পৃথিবীতে সবচেয়ে এগিয়ে। কারণ, আমাদেরই আছে এ ধরিত্রীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। ভিড় এড়িয়ে একটু নিরিবিলিতে যারা অপূর্ব সুন্দর এ সৈকতে ঘুরতে চান, তাদের জন্য ঋজু খাল ঘেঁষে গড়ে ওঠা মারমেইড ইকো রিসোর্ট পারফেক্ট। পাশেই ইনানি বিচ, টেকনাফের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ইসলামগঞ্জ-শাপলাপুর গ্রামের অনিন্দ্যসুন্দর সৈকত। ইনানি পেরিয়ে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফ যাওয়ার পথের সি বিচগুলো এখনো বাণিজ্যিক হয়ে ওঠেনি। নিরাপত্তার ব্যাপারে একটু সাবধান থাকলেই সমুদ্র আর বালিয়াড়ির দুটোই বেশ প্রাকৃতিকভাবে উপভোগ করা যায়। টেকনাফ পেরিয়ে নারকেল জিঞ্জিরা বা সেন্টমার্টিন দ্বীপও হতে পারে আপনার মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য। সেন্টমার্টিনের যাত্রায় আপনাকে সঙ্গ দেবে ঝাঁক ঝাঁক গাঙচিল। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। দ্বীপটিতে নারকেলগাছের আধিপত্যের কারণে একে নারকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়। পানির স্বচ্ছতায় সাগরতলার প্রবাল আর শৈবালগুচ্ছ আপনাদের মুগ্ধ করবেই। সেন্টমার্টিনের জেটির উত্তর প্রান্তে কিছু রিসোর্ট ও হোটেল গড়ে উঠেছে, সেগুলোর যে কোনোটিতে উঠতে পারেন।

মেঘ-পাহাড়ের মিতালি

পাহাড় যাকে একবার ডাকে, সে বারবার পাহাড়ে ছুটে যায়- কথাটা স্যার এডমন্ড হিলারির। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির পাহাড়গুলো আকাশছোঁয়া না হলেও মেঘছোঁয়া। শীতে উপত্যকায় জমে থাকা কুয়াশা আর তার ওপর সূর্যোদয় দেখার অনুভূতি অতুলনীয়। বান্দরবান থেকে খুব সহজেই ঘুরে আসা যায় নীলাচল, নীলগিরি, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির। একটু এগোলেই থানচির তিন্দু, নাফাখুম, অমিয়াখুম, আলীকদম। বান্দরবান শহরের পাশের সাঙ্গু নদে নৌকা নিয়ে দিন পার করে দেওয়া যায়। কটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন বগা লেকের ‘বম’ অথবা ‘মুরং’ পাড়ায়। পাহাড়ের ওপরের লেকের ধারে আদিবাসীদের আতিথেয়তা মন্দ লাগবে না।

খাগড়াছড়িতে আলুটিলা, রিসাং ঝরনা, দেবতাপুকুর, নিউজিল্যান্ডপাড়ায় তো যাবেনই। একটু এগিয়ে দীঘিনালা পেরোলেই দেশের কমলার আঁধার বলে খ্যাত ফ্রুটসভ্যালি রাঙামাটির ‘সাজেক’ উপত্যকা। বেশ কটা ভালোমানের রিসোর্ট তৈরি হয়েছে সেখানে। রাঙামাটিও এখান থেকে কাছাকাছি দূরত্বে। আশপাশে আরও আছে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, কর্ণফুলী পেপার মিল ও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাঙামাটি শহরে এসে কাপ্তাই আর কর্ণফুলীর শীতকালীন মন্থর স্রোতে ভাসাতে পারেন নৌকায়। শহর থেকে শুভলং ঝরনায় যাওয়া যায় নৌপথে। চারদিকে পাহাড়, নৌকায় করে স্বচ্ছ পানির ওপর দিয়ে ছুটে চলা। মাঝেমধ্যে দু-একটি বক ও নাম না জানা পাখির ওড়াউড়ি। কখনো দেখবেন লেকের পানিতে ঝপ করে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে পার হচ্ছে গুইসাপ। দুধারে উঁচু পাহাড়ের মাঝ দিয়ে নৌকা চলার সময় দূর পাহাড় থেকে আদিবাসী গ্রামগুলোকে ছবির মতো মনে হবে। সঙ্গে বোনাস মনোরম পরিবেশ ও নির্জনে সঙ্গীসহ আপনি। মধুচন্দ্রিমার কল্পনায় এমন জায়গাই তো মানানসই। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিÑ তিন জেলাতেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল। এছাড়া বান্দরবানে মিলনছড়ি রিসোর্ট, সেনাবাহিনীর নীলগিরি রিসোর্ট, সাকুরা রিসোর্টসহ আরও বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট রয়েছে।

চায়ের দেশে

সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজারে ঘোরাঘুরির জন্য আদর্শ সময় বর্ষা হলেও শীতকাল এখানে উপভোগ্য। হালকা শীতে ধূমায়িত চায়ের কাপ হাতে শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্টের বারান্দায় প্রিয়জনকে নিয়ে বসে থাকা রোমান্টিক নিশ্চয়ই। যে সময়ই আসুন না কেন, চারদিকে সবুজের সমারোহে দৃষ্টি জুড়িয়ে যাবে। এছাড়া আছে মাধবুন্ড ঝরনা, জাফলং, জৈন্তা, খাসিয়াপল্লি। এ সময় সিলেটে এলে অন্যতম আকর্ষণ ভোলাগঞ্জ,  রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পানথুমাই, লক্ষণছড়া মিস করবেন না নিশ্চয়ই। শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ টি-রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিসোর্ট বুকিং দিতে হয় বেশ আগে। সেখানে ঠাঁই না মিললে রয়েছে শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট, মৌলভীবাজারে দুসাই রিসোর্ট, সিলেট লালাখালের পাশে নাজিমগড় রিসোর্ট, রাতারগুলের পাশে ইকো রিসোর্ট বনলতাসহ ভালো মানের আরও অনেক হোটেল-মোটেল। চাইলে থাকতে পারেন শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হবিগঞ্জের রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেস্টহাউসেও। বন বিভাগের পাশাপাশি নিসর্গ কটেজও আছে বেশকিছু।বর্ষাকাল সিলেটের হাওর আর বিলে ঘোরাঘুরির মূল সময় হলেও এ শীতে অতিথি পাখিদের সঙ্গে ভ্রমণে পাবেন এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

ম্যানগ্রোভ বনে

সুন্দরবন মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য হিসেবে মন্দ নয়। নিসর্গ উপভোগ, লঞ্চ থেকে নেমে নৌকায় সূর্যোদয় দেখা, কুমির, বানর, হরিণ, সাপ, হাজারো পাখি দেখার আনন্দই আলাদা। সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ আর বাগেরহাটের মোংলা এ জন্য আদর্শ। মোংলায় পর্যটনের পশুর হোটেলে রাত কাটিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন করমজল, হারবেরিয়ার মতো জায়গাগুলো। খুলনা-মোংলা হয়ে সুন্দরবন যাওয়া যায়; মোংলা থেকে কিছুদূর গেলে কচিখালী হয়ে যাওয়া যায় কটকা পর্যন্ত। আবার সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ দিয়ে যাওয়া যায় সুন্দরবনের অনেক গভীরে জামতলা পর্যন্ত। দূরের গন্তব্য কটকা আর হিরণ পয়েন্ট। সাতক্ষীরায় বর্ষা রিসোর্ট আর এনজিওগুলোর রেস্টহাউসে রাত কাটিয়ে গভীর অরণ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন অনায়াসে। তবে এখানে বেড়াতে অবশ্যই কোনো ট্রাভেল এজেন্সির (ভ্রমণ সংস্থা) সঙ্গে যেতে হবে।

দেশের বাইরে হানিমুন

শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা এশিয়ার অন্যতম হানিমুন স্পট। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সমুদ্রসৈকত, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আপনাকে করবে মুগ্ধ। জীবনকে খুঁজে পাবেন নতুন করে। কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দর এই দেশটি থেকে।

থাইল্যান্ড

এশিয়ার মধ্যে বিশ্বসেরা হানিমুন স্পটের তালিকায় প্রথমেই আসে থাইল্যান্ডের নাম। এশিয়ার অন্যতম রোমান্টিক সমুদ্রসৈকত ‘পাতায়া’ থাইল্যান্ডে অবস্থিত। যেখানে রাতের গভীরতার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আলোর ঝলকানি। তালে তালে চলে সংগীতের মূর্ছনা। পাতায়ায় আছে অসংখ্য কোরাল দ্বীপ। এর একটি দ্বীপ কোলহার্ন। চারদিকে অসীম জলরাশির মধ্য দিয়ে ছুটে চলে স্টুক্রবা ড্রাইভ, সার্ফিং এবং ফিশিং।

মালদ্বীপ

এশিয়ায় আরেকটি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ছোট হলেও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক ওপরে দ্বীপটি। প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন। দেশটির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম মিলে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ছোট ছোট দ্বীপ। আর এই দ্বীপগুলোকে নিয়ে সৃষ্ট মালদ্বীপ।

মালয়েশিয়া

এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র মালয়েশিয়া। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। দেশজুড়ে রয়েছে বিস্তৃত পাহাড়। পাহাড়ের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে আধুনিক শহর। না শীত না গরম চমৎকার একটা আবহাওয়া বিদ্যমান মালয়েশিয়ায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও প্রাচুর্যে ভরা শহর পেনাং। ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ হিসেবে পরিচিত। পেনাং এশিয়ার বিখ্যাত দ্বীপ। যেখানে অসংখ্য রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, ডিপার্টমেন্ট স্টোর ও সমুদ্রসৈকত রয়েছে। এশিয়ার একটি ছিমছাম গোছানো দেশ মালয়েশিয়া। প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ঘুরতে যান। এদের পছন্দের ভ্রমণ গন্তব্যের তালিকায় মালয়েশিয়ার নাম প্রথম তিনটি দেশের মধ্যেই থাকে। এখানে মাত্র একটিই ঋতু বর্ষা। তাই প্রায় প্রতিদিন কমবেশি বৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে পাহাড়ি রাস্তা আর বন-জঙ্গল। মালয়েশিয়া গিয়ে লাঙ্কাউই না গেলে হয়তো পুরো খরচই বৃথা। কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সমুদ্রসৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। ক্যাবল কার, ঝরনার ধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ইত্যাদি রয়েছে এখানে। হানিমুনটা তাই এখানেই সেরে আসতে পারেন।

গোয়া

নবদম্পতিদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভারতের গোয়া অসাধারণ। এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা। আরব সাগরের সৈকতে প্রিয়জনকে নিয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন গোয়া থেকে।

নৈনিতাল নবদম্পতিদের বেড়ানোর জন্য সেরা এক স্থান। পর্বতের জন্য বিখ্যাত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সব সময় মিশে থাকে একটা প্রেমের গন্ধ। নৈনিতাল ঠান্ডা জলের লেক, কেনাকাটার জন্য জমজমাট বাজার, হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটতে নির্জন পাহাড়ি রাস্তা, আর কী চাই?

বলে রাখা ভালো… 

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার বিশেষ কয়েকটি দিন স্মরণীয় করে রাখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন সব দম্পতিই। তবে পরিকল্পনা তো আর বিয়ের পরের জন্য ফেলে রাখলে চলে না। প্রথম কারণ অবশ্যই ছুটি সীমিত। অফিস ও সংসার জীবনে পুরোপুরি সময় দেওয়ার আগে দুজনে একান্তে বেরিয়ে আসা চাই-ই। বিয়ের প্রস্তুতিতে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, হানিমুন প্ল্যানিংটা দুজনে মিলে করলেই ভালো। ছক কষে নিন আপনার হানিমুন পরিকল্পনা। হানিমুন প্ল্যান করার প্রথম শর্তই হলো মনের কথা শোনা। আপনার পাহাড় ভালো লাগে, তাই ধুম করে পাহাড়ে হানিমুন ঠিক করে নিলেন, এমনটা হলে চলবে না। তার চেয়ে দুজনের মনের কথায় সায় দিন। বেটার হাফের কাছে মতামত নিন।কোথায় যাওয়া যায়। দুজনের পছন্দ যদি মিলে যায়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনি রিল্যাক্সিং হলিডের পক্ষপাতী, কিন্তু আপনার সঙ্গীর পছন্দ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর, তাই এমন সমস্যা হলে দুজনে মিলে ভালোমতো বুঝে প্ল্যান করুন। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের মতামত জোর করে চাপিয়ে দিলে কিন্তু সারাজীবন কথা শুনে যেতে হবে। ইন্টারনেট ঘেঁটে অজানা জায়গায় সারপ্রাইজ ট্রিপে না যাওয়াই ভালো। জায়গাটা খুব পছন্দ হলেও আগে বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্টের কাছ থেকে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে তারপর যান। যদি একটু অন্য ধরনের হানিমুনের প্ল্যান করতে চান, তাহলে ক্রুজ খুব ভালো অপশন। নানা ধরনের বাজেটে ফিট করে যাওয়া ক্রুজ রয়েছে। ক্রুজে বেড়াতে গেলে জায়গা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আরাম-বিলাসের প্রচুর সুযোগও থাকে। এ ছাড়া জঙ্গল, পাহাড় বা সমুদ্রের কাছাকাছি রিসোর্টেও আরাম এবং অ্যাডভেঞ্চারের অনেক সুযোগ পাবেন। স্পা, সুইমিংপুল, বোর্ড গেমসের সঙ্গে সঙ্গে মাউন্টেন হাইকিং, বিচ অ্যাকটিভিটিজ বা সাফারিও এনজয় করতে পারেন। আর যা-ই হোক, মধুর স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরা নিয়ে যেতে কখনো ভুলবেন না। জায়গা যখন ঠিক, তখন টুক করে ছকে ফেলুন হানিমুন বাজেট। হানিমুনের জন্য যেখানে যাবেন, সেই জায়গা সম্পর্কে একটু জেনে নিন। জেনে নিন দেশে এবং দেশের বাইরে নানা ধরনের হানিমুন প্যাকেজ সম্পর্কে। দেশের সীমানা পেরিয়ে যদি যেতে চান হানিমুনে, তাহলে প্রথমেই চেক করে নিন দুজনের পাসপোর্ট আপডেট আছে কি না। তারপরই কেটে নিন পছন্দসই এয়ারলাইনসের টিকিট। হোটেল বুকিং টু টিকিট কেনা শেষ। লিস্ট বানিয়ে নিন কী কী নেবেন। কোন স্যুটকেস নিয়ে যাবেন, হানিমুনের জন্য কী কেনার আছে তা কিনুন। লাগেজ হতে হবে হালকা। সঙ্গে নেওয়ার জন্য পোশাক-আশাক আর দরকারি জিনিসের স্মার্ট একটা তালিকা করুন। কত দিন থাকবেন, কী কী করবেন, হানিমুন ডেস্টিনেশনের আবহাওয়া হিসেবে জামাকাপড়, জুতা এসবের তালিকা বানান। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু ওষুধ নিতে ভুলবেন না।  ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে সবকিছু আরেকবার ঝালাই করে নিন। হোটেলগুলোর ঠিকানা, যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার কারও কন্ট্যাক্ট নম্বর এসব ফোনবুক ছাড়াও ডায়েরিতে আলাদাভাবে লিখে রাখুন। ব্যাংক এবং এয়ারলাইনসের যাবতীয় কাজ সেরে ফেলুন। দেশের কোনো লোকেশন হলে আর সেটা যদি বাসে অথবা ট্রেনে যাওয়া হয়, তবে টিকিট করে ফেলুন। শেষ সময়ের কিছু কেনাকাটা দরকার হলে করে নিন। আর মনে রাখবেন, হানিমুন যেন ক্লান্তিকরভাবে শেষ না হয়। যথাসম্ভব সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার ঘড়ির সঙ্গে চেষ্টা করবেন ঘুমের সময় মিলিয়ে নিতে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংচলন বলনজীবনযাত্রাসচেতনতা

খাবার টেবিলের আদবকেতা

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

কোন ডিনার পার্টিতে আমন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছো অথবা বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছো, উপলক্ষ্য যাই হোক না কেন খাবার টেবিলের কিছু সাধারণ ম্যানার্স বা আচার-ব্যবহার রয়েছে যা সবাইকেই অনুসরণ করা উচিৎ। তোমার টেবিলের এই আদবকেতা আগত অতিথিদের উপর একটি দূর্দান্ত ছাপ রেখে যেতে পারে এবং এটি প্রত্যেককে তাদের খাবার উপভোগ করার সাথে সাথে খুশি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সহায়তা করবে।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- ‘ম্যানার্স মেকথ ম্যান’। এর মানে হল যে তোমার আচার-ব্যবহার তোমাকে তৈরি করে। তুমি কে এবং তোমার সম্পর্কে কারও মতামত গঠন করতে সহায়তা করে। আচার-আচরণ হল তুমি কীভাবে নিজেকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করো এবং বিশেষ করে যখন তুমি খাচ্ছো। ডাইনিং শিষ্টাচারের ইতিহাস অনেক গভীরে প্রোথিত। অনেকের কাছে আনুষ্ঠানিক টেবিল সেটিংস হল একটি শিল্প ফর্ম এবং টেবিলের আচারগুলোকে হালকাভাবে নেয়া উচিৎ নয়। প্রাচীনতম পশ্চিমা খাবারের ঐতিহ্যগুলো প্রাচীন গ্রীকদের দ্বারা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অন্যদের সাথে খাওয়ার অভ্যাসকে আনন্দদায়ক করতে কয়েক শতাব্দী ধরে টেবিল শিষ্টাচার বিকশিত হয়েছে। টেবিল ম্যানার্স দেশ থেকে দেশে এবং সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে পরিবর্তিত হয়। তবে সাধারণ কিছু আদব-কায়দা আছে যা সবাইকে অনুসরণ করা উচিৎঃ

-খাবার খেতে বসার আগে হাত পরিষ্কার আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নাও। প্রয়োজনে হাত সাবান এবং পানি দিয়ে ভালো করে ধৌত করে নাও। যদি কোন বাচ্চাকে টেবিলের আচার-আচরণ শেখাও, তাহলে তাদের হাত কতক্ষণ ধুতে হবে এবং কতটা স্ক্র্যাব করতে হবে তা বলার জন্য এটি একটি মোক্ষম সময়। তবে কিছু ফ্যান্সি রেস্তোরাঁয় হাত ধোয়ার জন্য পানির একটি আলাদা পাত্রের বন্দোবস্ত থাকে।

-পরিবেশন করা খাবার দেখতে যতই সুস্বাদু বা লোভনীয় হোক না কেন, সবাই বসে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো আচরণ। আনুষ্ঠানিক সেটিংসে, প্রথমে খাওয়া শুরু করার জন্য যিনি হোস্ট তার জন্য অপেক্ষা করা ভালো। আর যদি কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যাও, তবে প্রত্যেকে তাদের খাবার না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়।

তবে এই নিয়মেরও ব্যতিক্রম আছে। হোস্ট যদি খাবার পরিবেশনের তদারকিতে থাকেন এবং সবার খাওয়া আগেই নিশ্চিত করতে চান, তবে সেক্ষেত্রে শুরু করা দেয়া যেতে পারে।

-খাবার টেবিলে যাওয়ার আগে হাতের মুঠোফোনটি সাইলেন্ট বা ভাইব্রেটের উপর রাখো এবং এটি একটি পার্স বা পকেটে রাখতে পারো।

-টেবিলে থাকা নির্দিষ্ট ন্যাপকিনটি খুলে তোমার পুরো কোলের উপর মেলে রাখো। এটিকে মসৃণ করো যাতে তা সমতল হয়। এটি তোমার হাত বা চামুচ থেকে পড়ে যাওয়া যেকোন খাবার ধরে ফেলবে। এছাড়াও কোলে রাখার কারণে এটি সহজে নাগালের মধ্যে থাকে, তাই যখন প্রয়োজন খাবারের সময় ন্যাপকিন ব্যবহার করে হাত বা মুখ মুছতে পারো। যদি খাবার মাঝে তোমাকে টেবিল ছেড়ে যেতে হয়, তোমার রুমালটি চেয়ারে রাখো, টেবিলে নয়। এটি সংকেত দেবে যে তুমি ফিরে আসবে এবং তোমার খাবার শেষ হয়নি।

-মুখ বন্ধ করে খাবার চিবিয়ে খাওয়া শোভন দেখায়। যদি তুমি তোমার খাবার চিবিয়ে থাকো এবং কেউ এমন কিছু বললো যার উত্তর তুমি দিতে চাও; সেক্ষেত্রে খাবার গিলে ফেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করো। মুখ খোলা রেখে চিবানো বা মুখ পূর্ণ হয়ে গেলে কথা বলাকে অনেকে অশোভন মনে করে।

-টেবিলে হাতের কনুই রেখে খেতে খুব আরামদায়ক হতে পারে। বিশেষ করে তুমি যদি ক্লান্ত হয়ে থাকো। কিন্তু তুমি যদি একটি ডিনার পার্টিতে থাকো বা রেস্তোরাঁয় থাকো, তবে কনুই টেবিল থেকে দূরে রাখাই ভাল আচরণ। কনুই টেবিলে রাখা অনেক জায়গা নেয় এবং এটিকে খারাপ আচরণ মনে করা হয়। একটি হাত তোমার কোলে রাখতে পারো যখন এটি তুমি খাবার খেতে ব্যবহার করছোনা।

-তুমি যখন কোন আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ বা ফ্যান্সি কোন রেস্টুরেন্টে যাবে, সেখানে টেবিলে থাকা একাধিক কাঁটাচামচ, ছুরি দেখতে পাবে। তখন কোন চামচ, কাঁটা বা ছুরির ব্যবহার করতে হবে তা  নিয়ে বেশ বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে খাবারের কয়েকটি কোর্স হিসেবে কয়েকটি ভিন্ন চামচ এবং ফর্ক দিয়ে সেটিংস নিয়ে রাখো, যা সাধারণত বিভিন্ন আকারের হয়। আর যদি বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে একটি ডিনার পার্টিতে থাকো তবে সেখানে হয়তো একাধিক পাত্র নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।

-রেস্তোরাঁয় খাবারের সময় সঠিকভাবে চামুচ ব্যবহার করে নাও। ডান হাতে ছুরি এবং বাম হাতে কাঁটা চামচ ধরো। ছোট ছোট টুকরো করে খাবার মুখে নাও। খাবার শেষে চামচ আর ছুরি প্লেটের মাঝ বরাবর রেখে দাও।

-নিজের খাবার যদি নিজেকে নিয়ে পরিবেশন করতে হয় তবে খাবারগুলো চারপাশে রেখে দাও। একবার তুমি পর্যাপ্ত খাবার নেয়ার পর, ডানদিকে থাকা ব্যক্তির কাছে পাত্রটি তুলে দাও। পরবর্তীতে আরও খাবারের প্রয়োজন হলে এবং তা যদি নাগালের বাইরে থাকে তাহলে তা ভদ্রভাবে দিতে বলো। কখনও অন্যজনকে অতিক্রম করে খাবার নিতে যাবেনা।

-একটি ডিনার পার্টি শুধুমাত্র খাবার দাবারের জন্যই নয়। খাওয়ার খাওয়ার সময় আশেপাশে অন্যান্য অতিথিদের সাথে কথা বলতে ভুলবেনা এবং চলমান কথোপকথন মনোযোগ সহাকারে শুনে নিজেও সে বিষয়ে যোগদান করো। তবে কথা শুরু করার আগে মুখে থাকা খাবার চিবিয়ে গিলে ফেলতে ভুলবেনা।

-খাবারের মাঝে ঢেঁকুর, হাঁচি, কাশি আসা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখো এবং মুখ বন্ধ রাখো যাতে এটি জোরে না হয়।

-তুমি যদি পারিবারিক কোন নৈশভোজে থাকো তবে পরিষ্কারের জন্য হাত লাগাতে পারো। রান্নাঘরে আনতে প্লেট, ন্যাপকিন, চামচ সংগ্রহ করতে সাহায্য করো।

-খাবার শেষে হোস্টকে ধন্যবাদ দিতে ভূলবেনা। যদি কোন রেস্তোরাঁয় তোমাকে খাবার পরিবেশন করে দেয়া হয় তবে সার্ভারগুলোকেও ধন্যবাদ জানাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিদেশভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

বয়স? সে তো শুধুই একটি সংখ্যা!

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

বর্তমানে পুরো দুনিয়ায় কোরিয়ান ড্রামা, মুভি, মিউজিক এবং টিভি শো’র ক্রেজ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেখে মানুষ বিস্মিত হয়। অনন্য সাংস্কৃতিক দিক ছাড়াও তারা নিখুঁত ত্বক এবং ফিট শরীরের জন্য সুপরিচিত। কোরিয়ান মহিলাদের বিশেষ করে একটি দর্শনীয়ভাবে ফিট ব্যক্তিত্ব রয়েছে যা সারা বিশ্বের সকলকে কৌতুহলী এবং বিস্ময়কর করে তুলেছে। কখনও মনে জেগেছে কি, তাদের দেখতে এমন কী করে হয়? কিইবা তাদের রহস্য? আসো একসাথে আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিই।

এশিয়ান সংস্কৃতিতে খাবারের অনেক কদর রয়েছে। এমনই একটি এশিয়ান দেশ যেখানে মানুষ খেতে খুবই ভালোবাসে তা হল কোরিয়া। শুনতে অদ্ভূত শোনালেও এটাই বাস্তব সত্য। ফুলকোর্স ভারী খাবার খাওয়া সত্ত্বেও, তাদের শরীর ফিট এবং স্লিম থাকে যা অনেকের জন্য স্বপ্ন। কোরিয়ান খাবার এবং জীবনধারা ওজন বজায় রাখতে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের খাবার এবং ডায়েট সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট এবং কঠোর। যে খাবার গ্রহণ করে তাতে ভারসাম্যতা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাট থেকে প্রোটিন পর্যন্ত গ্রহণ করে। তারা ওজন বাড়ায় না কারণ সবকিছুই সুষম অনুপাতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের ব্যাপারে কিছু জেনে নিইঃ

শাকসবজি প্রাধান খাদ্য

অ্যাপেটাইজার, মেইন কোর্স, স্ন্যাকস অথবা যে কোন ঐতিহ্যগত কোরিয়ান খাবার উপভোগ করতে যাও না কেন, প্রথমেই টেবিলে বিস্তৃত পরিসরে শাকসবজির উপস্থিতি দেখতে পাবে। কোরিয়ান লোকেরা তাদের শাকসবজি পছন্দ করে, যা তাদের স্লিম এবং ফিট থাকার পিছনে অন্যতম প্রাধান কারণ। প্রদত্ত যে বেশিরভাগ শাকসবজি আঁশযুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি যা ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। শাকসবজিতে থাকা ফাইবার তৃপ্তি বোধ করতে সাহায্য করে ও অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো খাবারের অন্তর্ভুক্তি

তাদের সমস্ত খাবারের সাথে একটি সাইট ডিশ থাকে, যা সাধারণত গাঁজন করা খাবারের একটি সিরিজ। কিমচি, সেই গাঁজনযুক্ত মশলাদার বাঁধাকপি যা বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জাতীয় খাবারগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত এবং তা হজমেরও উন্নতি করে। এটি রোগক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও কাজ করে। অনেক ধরনের কিমচি রয়েছে এবং সবকিছুই বাঁধাকপি থেকে তৈরি হয়না। মূলা, শসা সহ প্রায় যেকোন সবজি দিয়েই হয়ে উঠতে পারে কিমচি।

সামুদ্রিক খাবার

কোরিয়াকে তিন দিকে সাগর ঘিরে রেখেছে। সামুদ্রিক খাবার কোরিয়ার অন্যতম প্রধান খাবার। তাদের দুর্দান্ত চুল, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল সামুদ্রিক খাবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা। গ্রিলড ম্যাকেরেল, স্কুইড, অক্টোপাস তাদের অনেক প্রিয় আইটেম। চর্বিযুক্ত মাছ ব্যতীত, যা স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত; সামুদ্রিক শৈবাল একটি সাধারণ কোরিয়ান খাদ্য আইটেম যা তারা স্যুপ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে অন্তর্ভুক্ত করে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য দূর্দান্ত এবং তোমাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্নতা অনুভব করে।

ঘরে তৈরি খাবারের প্রাধান্য

কোরিয়ান মহিলাদের ফিট শরীরের পিছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তাদের খাবারের পছন্দগুলো। তুমি যখন ওজন কমাতে মনোস্থির করো সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ফাস্টফুড- এগুলো শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে দায়ী নয়, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। কোরিয়ানরা বাইরের পরিবর্তে ঘরের খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের শরীরের জন্য ভাল খাবার সম্পর্কে তারা সচেতন এবং সেই অনুযায়ী তারা সেভাবে খাবার নির্বাচন করে থাকে।

চিনি কম, উপকারিতা বেশি

কোরিয়ান খাবার বেশিরভাগই মশলাদার এবং টক। তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ভারী মিষ্টি অন্তর্ভূক্ত করেনা, তাদের মিষ্টান্নগুলো ফলের রস, এক বাটি তাজা ফল বা মিষ্টি ভাতের পানীয়ের মতো হালকা। এগুলো শরীরের ওজন বাড়ায় না। বিখ্যাত কোরিয়ান ডেজার্টগুলোর মধ্যে পাটবিংসু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এটি চাঁচা বরফ দিয়ে তৈরি এবং এতে কোন কৃত্রিম রঙ নেই। এটি স্বাস্থ্যকর করতে তারা এতে প্রচুর ফল ব্যবহার করে।

সোডা কে না

তারা কোক এবং সোডা তেমন খায়না, তার পরিবর্তে প্রচুর চা খায়। বার্লি চা, যাতে অনেক কিছুই আছে। এটির স্বাদ অদ্ভুত তবে এটি একটি চিনিহীন চা। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি ঘুমের অভ্যাস উন্নত করতে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনেও কাজ করে।

হাঁটা, হাঁটা এবং হাঁটা

বেশিরভাগ কোরিয়ানরা হাঁটা পছন্দ করে। তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পাবলিক পরিবহণের পরিবর্তে তাদের পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে। একটি সক্রিয় জীবনধারা নেতৃত্ব দেওয়া বেশিরভাগ কোরিয়ান মহিলাদের সুস্থ রাখে এবং তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাদের জন্য দিনে ১০,০০০ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করা কোন বড় ব্যাপার নয়। আমরা সবাই জানি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন এটি আমাদের শরীরের ওজন এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি? জেনে নাও এখনই

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ৩, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

ব্যাক পেইন বর্তমানে সবচেয়ে সাধারণ শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। গবেষণায় দেখা যায় যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৮জন তাদের জীবনের কোন না কোন সময়ে এই ব্যথার মুখোমুখি হয়। এটি একটি নিস্তেজ, অবিরাম ব্যথা থেকে হঠাৎ তীক্ষ্ম ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। যে কোন বয়সে, যে কোন পরিস্থিতিতে এর যন্ত্রণা শুরু হতে পারে; যা স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রতি পদে পদে বাধার সৃষ্টি করে। কারণ ও উপসর্গের উপর  নির্ভর করে এর চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়।

মূলত মেরুদন্ড বা স্পাইন সম্পর্কিত ব্যথাকেই আমারা ব্যাক পেইন বলে থাকি। ব্যাক পেইন কেন হয়? এর নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। মানুষের পিঠ পেশী, লিগামেন্ট, টেন্ডন, ডিস্ক এবং হাড়ের একটি জটিল কাঠামোর সমন্বয়ে গঠিত, যা শরীরকে সমর্থন করার জন্য একসাথে কাজ করে এবং আমাদের চারপাশে চলাফেরা করতে সক্ষম করে। এই উপাদানগুলোর যেকোন একটির সমস্যা হলে ব্যাক পেইন হতে পারে। কখনও কখনও এটি হঠাৎ আসতে পারে- দূর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া বা ভারী কিছু তোলার কারণে বা মেরুদন্ডে বয়স-সম্পর্কিত অবক্ষয়জনিত পরিবর্তনের কারণে এটি ধীরে ধীরে বিকাশ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, প্রদাহজনিত ব্যাধি বা অন্যান্য চিকিৎসার কারণে এই ব্যথা হয়ে থাকে। আবার আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপও এইক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকে, ঘাড় সামনের দিকে চাপিয়ে গাড়ি চালানো বা কম্পিউটার ব্যবহার করা, এমন বেডে শোয়া যা শরীরের জন্য উপযুক্ত নয় ইত্যাদি। এটি সাধারণত শুরুতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে লোকাল পেইন থেকে শুরু করে পুরো পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কখনও কখনও ব্যথা পিঠ থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে যেমন নিতম্ব, পা বা পেটে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথার তীব্রতা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য পরিবর্তিত হয়।

ঘরোয়া প্রতিকার

হঠাৎ বা তীব্র ব্যথা ডাক্তার বা শারীরিক থেরাপিস্ট দ্বারা পরীক্ষা করা উচিৎ। কিন্তু কখনও কখনও তুমি নিজেই এই বিরক্তিকর ব্যথা এবং অস্বস্তি দূর করতে ঘরোয়াভাবে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারো।

ভালো ঘুম

ব্যাক পেইন দেখা দিলে তা ঘুমের জন্য কঠিন হতে পারে। এটি একটি দুষ্টচক্র হতে পারে কারণ যখন তুমি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারবেনা তা ব্যথার মাত্রা অসহনীয় করে তোলে। এক্ষেত্রে পাশ ফিরে শুতে পারো যাতে মেরুদন্ড একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে পারে এবং পিঠের উপর চাপ কমাতে হাঁটুর মধ্যে বালিশ রাখতে পারো। এছাড়াও ম্যাট্রেসও এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আরামদায়ক শক্ত ম্যাট্রেস নির্বাচন করতে ভূলবেনা।

সঠিক ভঙ্গি

সঠিক ভঙ্গিমার অভাবেও ব্যথার উদ্রেক হতে পারে, বিশেষ করে যদি তোমাকে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থেকে কাজ করতে হয়। স্ক্রিনের সামনে কাজ করতে হলে তা টেবিল বা ডেস্কে এমনভাবে রাখো যাতে বাহুর সমভাবে অবস্থান থাকে এবং পর্দার শীর্ষে চোখ সমান থাকে। অযথা কীবোর্ডের উপর ঝুঁকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম

শক্তিশালী পেশী, বিশেষ করে পেটের মাসল পিঠকে সর্থন করতে সাহায্য করে। শক্তি এবং নমনীয়তা উভয়ই ব্যথা উপশমে এবং এটি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে। যোগব্যায়াম, পাইলেটস এবং তাই চি হলো পেটের কোর এবং নিতম্বের চারপাশের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার কয়েকটি উপায়। বয়স্ক ব্যক্তিরাও ইয়োগার কিছু স্টেপ ফলো করেও উপকার পেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরানো পিঠের উপর লোড হালকা করে।ওজন কামানো ব্যথায় দারুন কাজ করে কারণ এটি মেরুদন্ডে যান্ত্রিক শক্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। যদি মাত্রাতিরিক্ত ওজন হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ডায়েট এবং ব্যায়ামের পরিকল্পনা করে নিতে পারো।

আইস এবং হিট থেরাপি

বেদনাদায়ক জায়গায় বরফের নিয়মিত প্রয়োগ আঘাত থেকে ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিবার ২০ মিনিট পর্যন্ত এটি দিনে কয়েকবার চেষ্টা করো। ত্বকের সুরক্ষার জন্য একটি পাতলা কাপড়ে বরফের প্যাকটি মুড়িয়ে রাখো। কয়েক দিন পর, হিটে স্যুইচ করো। পেশী শিথিল করতে এবং আক্রান্ত স্থানে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করার জন্য একটি হিটিং প্যাড প্রয়োগ করো। এছাড়া শিথিলায়নের জন্য উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করতে পারো। পোড়া এবং টিস্যুর ক্ষতি এড়াতে কখনোই হিটিং প্যাড নিয়ে ঘুমাবেনা।

সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ

আমরা যা খাই তা থেকে ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া ভালো। কিন্তু যদি কোন প্রকার সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন দেখা দেয় তবে ডাক্তারের পরামর্শে তা নেয়া ভালো। উদাহরণস্বরূপ, অনেকেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায় না, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি সূর্যালোকের এক্সপোজারের অভাব থেকে বা শরীর খাবার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারেনা বলে ঘটতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পেশী দূর্বলতা এবং ক্র্যাম্প হতে পারে। এক্ষেত্রে যথাযথ সাপ্লিমেন্ট গ্রহনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রামনের মত ঘর

ঘর পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু টিপস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

মানুষ অভ্যাসের দাস। তোমার অভ্যাস নির্ধারণ করে ঘর পরিষ্কার কিংবা অগোছালো কিনা। এটি পরিষ্কার করার জন্য প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। ছোট ছোট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই তোমার ঘর থাকবে পরিষ্কার ও সুসংগঠিত।

বলা হয়, যখন তোমার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে তখন তুমি খুশি অনুপ্রাণিত এবং সুস্থ বোধ করো। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে একটি পরিপাটি ও গোছানো ঘর মুহুর্তেই আমাদের মন প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। যদিও ঘর পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখা একটি খুব বড় কাজ। একটি সুশৃঙ্খল বাড়ির গভীর পরিচ্ছন্নতার পেছনে অজস্র সময় এবং শ্রম জড়িত থাকতে পারে,  কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করাটা উপভোগ করেনা এবং প্রতিদিন তা নিয়মানুযায়ী পুনরাবৃত্তি করাও চাট্টিখানি কথা নয়। তাহলে এখন উপায়? এক্ষেত্রে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। নিশ্চিত থাকো, যত বেশি এগুলো তুমি অনুসরণ করবে, এটি তত সহজ হবে।

চলো শুরু করি!

তোমার বিছানা গোছাও

অনেকের কাছেই বিছানা গুছানো সময়ের অপচয় মনে হয়, যেহেতু আবার সেই বিছানায় ফিরে আসবে। কিন্তু এটি সত্যিই একটি বড় পার্থক্য করে যে ঘরটি কতটা পরিপাটি দেখায় মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছানো একটি সফল এবং সংগঠিত জীবনের সাথে সরাসরি জড়িত। তোমার দিনটি নিখুঁতভাবে শুরু করতে, বিছানা তৈরি করা থেকে শুরু করো। প্রতিবার দিনের বেলায় সুন্দরভাবে তৈরি বিছানা দেখতে এবং রাতে সেই পরিপাটি বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিতে অনেক ভালো লাগবে। এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, যারা তাদের বিছানা তৈরি করে তাদের নিয়মিত রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা ১৯% বেশি। প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাও, যা তোমার ঘরকে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ লুক দিবে।

কখনোই খালি হাতে রুম ছাড়বেনা

ঘরের রুমগুলোতে যে মেসি বা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় তার পরিত্রাণের জন্য এটি হল সর্বোত্তম উপায়। এই অভ্যাসের বড় সুবিধা হলো এটি কোনও অতিরিক্ত সময় নেয় না। ভেবে দেখো, আমরা অনেক সময় এমন অনেক জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে পেয়ে থাকি; যেখানে এটি অন্তর্ভূক্ত নয়। সিঁড়িতে জুতা, বাথরুমে খেলনা, নোংরা রান্নাঘরের তোয়ালে যা ওয়াশিং মেশিনে যেতে হবে। সুতরাং কখনই একটি ঘর খালি হাতে না ছাড়ার অভ্যাসের অর্থ হল তুমি যখনই যেই রুমেই যাওনা কেন সেখানকার জিনিসপত্র তার সঠিক গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। সবকিছুই যথাস্থানে থাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঘর সহজেই পরিপাটি থাকবে।

প্রতিদিন থালাবাসন ধোয়া

রাতে সিঙ্কে থালাবাসন জমিয়ে রাখা অস্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয়, নিয়মিতভাবে থালা বাসন ধোয়া রান্নাঘরকে সব সময় পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই সারারাত সিঙ্কের কাছে এঁটো থালা বাসনের লোড না রেখে সন্ধ্যায় বা রাতেই সব পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এইসব কাজ ভাগ করে দিলে সহজেই সবকিছুর সমাধা হয়ে যায়।

১ মিনিটের নিয়ম

এই অভ্যাসের অর্থ হলো মূলত যে কোনও কিছু যা এক মিনিটেরও কম সময়ে করা যায়, সে সব কাজ করা দিয়ে শুরু করতে পারো। এই কাজ সম্পাদন অতি দ্রুত হয়ে যায়, তাই এতে বিরক্তবোধের সৃষ্টি হবেনা।

প্রতিদিনকার লন্ড্রি সামলানো

প্রতিদিনই আমাদের টুকটাক কাপড় ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটি একটি অনিবার্য কাজ। কাপড় ধোয়ার এই কাজটি যদি ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করে ফেলা যায় তবে উইকেন্ডে এটি কোন একচেটিয়া স্তূপের সৃষ্টি করবেনা।

রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা

কুটা-বাছা, রান্না করা এসব কাজে রান্নাঘরে অনেক এলোমেলো অবস্থার সৃষ্টি হয়। রান্নার সময় মশলার কৌটা, ঢাকনা, চামুচ এগুলো ব্যবহারের পর যত্রতত্র না রেখে কাউন্টার টপে রেখে দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি প্লেট, বাটি সব ধুয়ে ফেলতে হবে। ময়লা আবর্জনা পরে ফেলে দিব বলে না জমিয়ে রেখে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলতে হবে। সবকিছুর শেষে চুলার আশপাশ, সিঙ্ক সব ধুয়ে মুছে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অপসারণ

আমাদের প্রায় সবার কাছেই এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। এটি কেবল পরিবেশের জন্নইখারাপ নয়, আমাদের মঙ্গলের জন্যও দূর্দান্ত নয়। কারণ এই সমস্ত জিনিসগুলো সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলতা এবং অব্যবস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে। অতএব, ক্রমাগত ডিক্লাটার করার অভ্যাস হল তোমার ঘরকে পরিষ্কার ও সংগঠিত রাখার আরেকটি শক্তিশালী অভ্যাস। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে পারোঃ

-এটি কি ব্যবহার করবে?

-তোমার এটির প্রয়োজন আছে?

-তুমি কি এটি পছন্দ করো?

যদি উত্তর হ্যাঁ না পাও তবে সেক্ষেত্রে তা অপসারণ করো।

উপভোগ্য করে তোলো

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজটি আমাদের কাছে অনেক ক্লান্তিকর মনে হয়। তাই পরিষ্কার করা যতটা সম্ভব আনন্দদায়ক করা আমাদের ভাল পরিষ্কারের অভ্যাস বজায় রাখতে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে। এটি করার একটি উপায় হল যাকে কাপলিং বা পেয়ারিং বলা হয়। অর্থাৎ, তুমি এমন কিছুর সাথে একটি উপভোগ্য কাজ জুটাও যা তুমি নিজে করার চেষ্টা করেছো। ক্লিনিং এর যখন কাজটি করবে তখন পাশাপাশি তোমার প্রিয় কোন মিউজিক ছেড়ে দিতে পারো। অথবা টিভিতে তোমার প্রিয় কোন শো দেখতে দেখতে কাজ করতে পারো। দেখবে সব নিমিষেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটাচলন বলনজীবনযাত্রাবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

স্নিকার পায়ে বিয়ের কনে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বিয়ের মতো এমন স্পেশাল দিনে বর-কনের সাজ পোশাকও হওয়া চাই স্পেশাল। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নবদম্পতি আড়ম্বরপূর্ণ চেহারায় নিজেদের উপস্থাপন করে থাকে। কিন্তু সময়ের পালাবদলের সাথে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সাজ পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন ঐতিহ্যগত ধারণা পাল্টে গেছে তেমনি পদযুগলে ফ্যান্সি হিলের পরিবর্তে ঠাই পাচ্ছে স্নিকারের। যা বর্তমানে ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।  

বলি-অভিনেতা রাজকুমার রাও যখন পত্রলেখাকে হাঁটু গেড়ে আঙটি পরিয়ে দিয়েছিলো তখন নেট দুনিয়ায় তাদের বিয়ে নিয়ে যতটা না চর্চিত হয়েছিলো, তার বেশি সাড়া ফেলেছিলো সাদা আউটফিটের সাথে পত্রলেখার পায়ের স্নিকার নিয়ে। অন্যদিকে ফ্যাশন ডিভা হিসেবে খ্যাত সোনম কাপুরের রিসিপশন পার্টিতে তার বোন রিয়া কাপুর এবং বর আনন্দ আহুজা জাঁকজমক পোশাকের সাথে হাজির হয়েছিলেন স্নিকার পায়ে দিয়ে। এবার আমাদের দেশের দিকে একটু তাকানো যাক। মাসখানেক আগেই হয়ে গেলো গায়ক প্রীতম ও অভিনেত্রী শেহতাজের বিয়ের অনুষ্ঠান। শ্রীমঙ্গলের মনোরম পরিবেশে কনের বেশে শেহতাজকে দেখা যায় ঝলমলে গোলাপি লেহেঙ্গায়, পায়ে গলানো ছিল স্নিকার। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলের কাছেই আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে ফ্যাশনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের প্রাধান্য পাচ্ছে তা হল ‘কমফোর্ট’। যেটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ পাওয়া যাচ্ছে তাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সাজ-পোশাকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক এবং নূন্যতম দেখার পাশাপাশি ফুটওয়্যারে লক্ষ্যণীয় এমন পছন্দ ব্রাইডাল জগতে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। বরের সাথে আগে থেকেই স্নিকারের যোগসূত্র থাকলেও, কনের পায়ে এর নতুন সংযোজন দেখা যাচ্ছে।

স্নিকার এখন কেবল জিনস আর টি-শার্টে আর আবদ্ধ নেই, অনায়াসে বিয়ের পোশাকের সঙ্গীও হয়ে উঠেছে। পশ্চিমা বিশ্বে বিয়েতে সাদা গাউনের সাথে পায়ে স্নিকার পরার চল তেমন নতুন কিছু নয়। এমন অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় রয়েছেন যারা তাদের বিশেষ দিনেও বিয়ের সাজ পোশাকের সাথে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্নিকারকেই। বিয়ের পোশাক তা হোক গাউন, লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি- পোশাক ও নিজের স্বাচ্ছন্দ্য এবং রুচির সাথে তাল মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় সব স্নিকার বেছে নেয়ার অপশন রয়েছে। বিয়ের দিনে তোমার সাজপোশাকে চকচকে একটি স্প্ল্যাশ যোগ করতে চাও? এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারো গ্লিটারি বা পার্ল ওয়েডিং স্নিকার। ক্ল্যাসি লুক চাও? সেক্ষেত্রে লেস যুক্ত স্নিকার নাও। অথবা যদি একদমই ইউনিক কিছু চাও, তবে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করেও নিতে পারো। নকশার বৈচিত্র্যতার পাশাপাশি নানা রঙের মিশেলও পাবে। মেয়েদের জন্য সাদার পাশাপাশি গোলাপি, লাল ইত্যাদি রঙের প্রাধান্যও রয়েছে।

পারফেক্ট জুতা জোড়া নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় আছে যেমন; টেকসই উপকরণ,সাপোর্ট এবং আরামদায়কতা- এগুলো অবশ্যই বিবেচনা করে রাখবে। বিয়ের ভেন্যু বা লোকেশানও এক্ষেত্রে মাথায় রাখবে। সেখানকার পরিবেশ সবকিছুর উপর বিবেচনা করে নিজের জন্য বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.চলন বলনজীবনযাত্রাবাংলাদেশ ও বিশ্ব

কেক স্ম্যাশ- কেন বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

বাচ্চার প্রথম জন্মদিনে তার জন্য আয়োজন করা অনুষ্ঠানে কেকের স্ম্যাশ করা ছবি দেখেছো কি? অথবা নবদম্পতি একে অপরের হাতে হাত রেখে কেক কেটে তা পরে স্ম্যাশ করার চিত্র তো অবশ্যই দেখেছো। আমাদের দেশে যদিও এই ট্রেন্ড তেমন চালু নেই কিন্তু ইন্টারনেটের এই যুগে বাইরের দেশে চালু হওয়া এই ট্রেন্ড তো অহরহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভেবে দেখেছো কি গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া এই ঐতিহ্য কোথা থেকে এসেছে এবং এর উৎপত্তিই বা কোথায়? আসো এই ব্যাপারে জেনে নিই।

সাধারণত স্ম্যাশ করা কেকটি হল একটি ছোট কেক, যা মূল কেকের একটি অনুলিপি মাত্র। এর ব্যাপ্তি প্রায় ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পরিসীমা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত এক স্তরের কেক এবং প্রধান কেকের চেয়ে কম সজ্জিত হয়ে থাকে কারণ এটি শুধুমাত্র স্ম্যাশ করার খাতিরেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিগত ছয় থেকে আট বছরে, কেক স্ম্যাশ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি জন্মদিন উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই ঐতিহ্যের উৎপত্তি কোথায়? এই ব্যাপারে দুই ধরনের তত্ত্ব আছেঃ

প্রথম তত্ত্বটি হল যে এটি মেক্সিকান ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। তারা এটি উদযাপন করে যাকে বলা হয় মর্ডিডা। মর্ডিডা হল একটি ঐতিহ্য যখন প্রথম জন্মদিনের ছেলে বা মেয়ের মুখ কেকের দিকে ঢেলে দেয়া হয় কেক কাটার জন্য। চারপাশে সবাই গান গায়, মর্ডিডা! মর্ডিডা! মর্ডিডা! স্প্যানিশ ভাষায় এর অর্থ কামড়। কেকের মধ্যে উদযাপনকারীর মুখ ঢেলে দেওয়ার কাজটি মূলত বাচ্চার মা বা বাবাই করে থাকেন। সাধারণত মোমবাতি নিভিয়ে ফেলার পরে বাচ্চার পিছনে থেকে এসে এই কাজটি করে সবাই তখন চিয়ার্স করে এবং প্রচুর ছবি তোলা হয়।

দ্বিতীয় তত্ত্বটি বিয়ের দিনে বর এবং কনের ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এই ঐতিহ্য একে অপরের মুখে কেক ভাঙার বা একে অপ্রকে ভদ্রভাবে খাওয়ানোর বিকল্প সরবরাহ করে। যদি বিয়েতে দম্পতি সুন্দর ভাবে কেক কাটে এবং কোন ধরনের কেক ছুঁড়াছুঁড়ি না হয়, এটিকে একটি পরিবারকে একসাথে ভাগ করে নেওয়ার পারস্পরিক ইচ্ছা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। যদি তারা একে অপরের মুখে ছুঁড়ে ফেলে, তবে এর অর্থ নেওয়া হয় যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষটি প্রভবশালী এবং মহিলাটি তার বশীভূত। এমনও গুজব রয়েছে যে যদি বিয়েতে কেক ছুঁড়ে দেওয়া হয় তবে এই দম্পতির শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাবে। যাইহোক, কেক ভাংগা এখনও একটি খুব জনপ্রিয় বিনোদন, অনেকেই এটিকে মজাদার মনে করে।

এই কেক স্ম্যাশ করার এই ধরণ, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। প্রথম জন্মদিনের কেক স্ম্যাশ এখন ফটোগ্রাফারদের কাছে একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে নেতিবাচক কিছুনা দেখে শুধুমাত্র কিছুটা সময় মজার করার জন্যই বিশ্বব্যাপী এই রীতি পালন করে আসছে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

অফিসের কর্মব্যস্ততা ও ডেডলাইনের চাপে নাভিশ্বাস উঠছে? অথবা ঘরের একঘেয়েমি রুটিনময় জীবন বিস্বাদময় লাগছে? এতসব হাজারো সমস্যার মাঝে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কোথাও ঘুরে আসা হতে পারে চমৎকার সমাধান। হোক সেটা একাকী ভ্রমণ বা দলগত, বাড়ির কাছাকাছি কোথাও বা দেশের বাইরে; ট্রাভেল সবসময় লাইফে থেরাপির মত কাজ করে। আর এই অজানার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার আগে ব্যাগ প্যাক করা থেকে শুরু করে প্রি-ট্র্যাভেল যে টিপস রয়েছে তা নিয়েই লিখাটি সাজানো হয়েছে।

বছরের যেকোন দিনই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত থাকলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালে ভ্রমণের উৎসব লেগে থাকে। মানব জীবনে ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তোমাকে জীবন ও সত্তার একটি নতুন দ্বার খুলে দিবে। অনেক মানুষ এবং স্থানগুলোর সাথে নতুন সংযোগ অনুভব এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে। ভ্রমণ এমন একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে যা তোমাকে মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো ট্রিপে যাবার আগে অগ্রিম পরিকল্পনা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ি প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে কোন ধরনের স্ট্রেস ছাড়াই নিরাপদে এবং আনন্দদায়কভাবে সময় কাটানো যাবে। ভ্রমণ প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করার নিমিত্তে থাকছে কিছু টিপস।

কোথায় যাব

ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রি-প্ল্যান করতে হবে যে কোথায় যাওয়া হবে? সময়, কস্টিং, পরিবেশ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবকিছু বিবেচনা করে স্থান নির্বাচন করতে হবে। সিলেক্ট হয়ে গেলে আগে থেকেই সেই জায়গার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে রাখতে হবে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতালিকা করে রাখতে হবে। এইসব খোঁজখবর আগে থেকে করে রাখলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় সাথে  যেটুকু সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া হয় তার পুরোটাই কাজে লাগানো যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্ল্যান যদি হয় দেশের বাহিরে যাওয়া তবে দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন, পাসপোর্ট, ভিসা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি বার বার চেক করে সাথে রাখো। প্রয়োজনে এক্সট্রা কপি করেও রাখা যায়। এছাড়াও, মোবাইল বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি যা নেয়া হবে সেগুলো চার্জিং ব্যবস্থা এবং ব্যাকআপের জন্য এক্সট্রা চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখতে হবে।

প্যাকিং তালিকা তৈরি

একটি প্যাকিং তালিকার তৈরি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও এটা কিন্তু অনেক শ্রম ও সময় বাঁচিয়ে দেয়। অনেক সময় ব্যাগ প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আমরা ভূলে যাই। যার দরুন পরবর্তীতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই ক্ষেত্রে যদি আগে থেকেই তালিকা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে তবে তা চেক করে ব্যাগে জিনিসপত্র নেয়া সুবিধাজনক হবে। তাই খুব বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় বা চাহিদামাফিক জিনিসগুলোর লিস্ট করে নাও।

বড় আকারের ব্যাগ পরিহার

ভ্রমণের মূল আকর্ষণই হলো সকল ঝুট-ঝামেলা, ব্যস্ততা পিছনে ফেলে রিল্যাক্স কিছু সময় ব্যয় করা। ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং স্থায়িত্ব মোতাবেক সাথের জিনিসপত্রও তেমনভাবে বাছাই করা প্রয়োজন। আনন্দমুহুর্ত কে মাটি করতে ভারী আকারের লাগেজই যথেষ্ঠ। দেশ হোক আর দেশের বাইরেই হোক, ভারী লাগেজ নিয়ে টানাটানি করার পরিবর্তে মাঝারি আকারের ব্যাগ ব্যবহার করলে ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ব্যাকপ্যাক নিয়ে চলাচল করলে।

সঠিক পোশাক নির্বাচন

বেড়াতে কোথায় যাচ্ছি সেই স্থান এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। কাপড় গোছানোর ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ভারী কাজের পরিবর্তে হালকা উপাদানে তৈরি পোশাক এবং আরামদায়ক পোশাক বেছে নিতে পারো। এতে ব্যাগে জায়গা কম লাগবে এবং ভারীও কম হবে। এছাড়াও সাথে থাকবে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যেমন, অন্তর্বাস, রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, টুপি বা ক্যাপ। জুতার ক্ষেত্রে হাই হিল টাইপের না নিয়ে ফ্ল্যাট বা স্নিকার টাইপের জুতা নির্বাচন করলে ভালো।

প্রসাধনী

টুকিটাকি প্রসাধনীর কিছু জিনিসপত্র সাথে তো থাকবেই। ফেসওয়াশ, লোশন, শ্যাম্পু, সানস্ক্রিন ইত্যাদি নিত্য ব্যবহার্য প্রোডাক্ট বড় বোতলে না নিয়ে কতদিন থাকবো তার উপর ভিত্তি করে  ছোট ছোট ট্রাভেল কিটে ভরে নেয়া যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র

অসুস্থতা এমন এক জিনিস যার\ আকস্মিক আবির্ভাবে যেকোন আনন্দদায়ক প্ল্যান মাটি হয়ে যেতে পারে। এইজন্য সবসময় এর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কোন ওষুধ চললে তা আগে থেকেই রিজার্ভ করে রাখতে হবে। এছাড়াও খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, এন্টিসেপ্টিক মলম, বমি, বদ হজমের ওষুধ, এলার্জিসহ এমন ইমার্জেন্সি ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনে হাতের কাছে সব পাওয়া যায়।

তাহলে আর দেরি কিসের জন্য? প্রি-ট্র্যাভেল চেকলিস্টটি মিলিয়ে নিয়ে তৈরি হয়ে যাও আর ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook