রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

ভ্রমণ ফাইল

.অন্দরের ডায়েরিঘুরে বেড়াইচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

চলোনা ঘুরে আসি অজানাতে

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

অফিসের কর্মব্যস্ততা ও ডেডলাইনের চাপে নাভিশ্বাস উঠছে? অথবা ঘরের একঘেয়েমি রুটিনময় জীবন বিস্বাদময় লাগছে? এতসব হাজারো সমস্যার মাঝে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কোথাও ঘুরে আসা হতে পারে চমৎকার সমাধান। হোক সেটা একাকী ভ্রমণ বা দলগত, বাড়ির কাছাকাছি কোথাও বা দেশের বাইরে; ট্রাভেল সবসময় লাইফে থেরাপির মত কাজ করে। আর এই অজানার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার আগে ব্যাগ প্যাক করা থেকে শুরু করে প্রি-ট্র্যাভেল যে টিপস রয়েছে তা নিয়েই লিখাটি সাজানো হয়েছে।

বছরের যেকোন দিনই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত থাকলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালে ভ্রমণের উৎসব লেগে থাকে। মানব জীবনে ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তোমাকে জীবন ও সত্তার একটি নতুন দ্বার খুলে দিবে। অনেক মানুষ এবং স্থানগুলোর সাথে নতুন সংযোগ অনুভব এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গি প্রশস্ত করতে সহায়তা করবে। ভ্রমণ এমন একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে যা তোমাকে মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো ট্রিপে যাবার আগে অগ্রিম পরিকল্পনা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ি প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে কোন ধরনের স্ট্রেস ছাড়াই নিরাপদে এবং আনন্দদায়কভাবে সময় কাটানো যাবে। ভ্রমণ প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করার নিমিত্তে থাকছে কিছু টিপস।

কোথায় যাব

ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রি-প্ল্যান করতে হবে যে কোথায় যাওয়া হবে? সময়, কস্টিং, পরিবেশ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবকিছু বিবেচনা করে স্থান নির্বাচন করতে হবে। সিলেক্ট হয়ে গেলে আগে থেকেই সেই জায়গার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে রাখতে হবে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতালিকা করে রাখতে হবে। এইসব খোঁজখবর আগে থেকে করে রাখলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় সাথে  যেটুকু সময় হাতে নিয়ে বের হওয়া হয় তার পুরোটাই কাজে লাগানো যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্ল্যান যদি হয় দেশের বাহিরে যাওয়া তবে দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন, পাসপোর্ট, ভিসা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি বার বার চেক করে সাথে রাখো। প্রয়োজনে এক্সট্রা কপি করেও রাখা যায়। এছাড়াও, মোবাইল বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকস যন্ত্রপাতি যা নেয়া হবে সেগুলো চার্জিং ব্যবস্থা এবং ব্যাকআপের জন্য এক্সট্রা চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখতে হবে।

প্যাকিং তালিকা তৈরি

একটি প্যাকিং তালিকার তৈরি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও এটা কিন্তু অনেক শ্রম ও সময় বাঁচিয়ে দেয়। অনেক সময় ব্যাগ প্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আমরা ভূলে যাই। যার দরুন পরবর্তীতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই ক্ষেত্রে যদি আগে থেকেই তালিকা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে তবে তা চেক করে ব্যাগে জিনিসপত্র নেয়া সুবিধাজনক হবে। তাই খুব বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় বা চাহিদামাফিক জিনিসগুলোর লিস্ট করে নাও।

বড় আকারের ব্যাগ পরিহার

ভ্রমণের মূল আকর্ষণই হলো সকল ঝুট-ঝামেলা, ব্যস্ততা পিছনে ফেলে রিল্যাক্স কিছু সময় ব্যয় করা। ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং স্থায়িত্ব মোতাবেক সাথের জিনিসপত্রও তেমনভাবে বাছাই করা প্রয়োজন। আনন্দমুহুর্ত কে মাটি করতে ভারী আকারের লাগেজই যথেষ্ঠ। দেশ হোক আর দেশের বাইরেই হোক, ভারী লাগেজ নিয়ে টানাটানি করার পরিবর্তে মাঝারি আকারের ব্যাগ ব্যবহার করলে ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় ব্যাকপ্যাক নিয়ে চলাচল করলে।

সঠিক পোশাক নির্বাচন

বেড়াতে কোথায় যাচ্ছি সেই স্থান এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। কাপড় গোছানোর ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ভারী কাজের পরিবর্তে হালকা উপাদানে তৈরি পোশাক এবং আরামদায়ক পোশাক বেছে নিতে পারো। এতে ব্যাগে জায়গা কম লাগবে এবং ভারীও কম হবে। এছাড়াও সাথে থাকবে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যেমন, অন্তর্বাস, রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, টুপি বা ক্যাপ। জুতার ক্ষেত্রে হাই হিল টাইপের না নিয়ে ফ্ল্যাট বা স্নিকার টাইপের জুতা নির্বাচন করলে ভালো।

প্রসাধনী

টুকিটাকি প্রসাধনীর কিছু জিনিসপত্র সাথে তো থাকবেই। ফেসওয়াশ, লোশন, শ্যাম্পু, সানস্ক্রিন ইত্যাদি নিত্য ব্যবহার্য প্রোডাক্ট বড় বোতলে না নিয়ে কতদিন থাকবো তার উপর ভিত্তি করে  ছোট ছোট ট্রাভেল কিটে ভরে নেয়া যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র

অসুস্থতা এমন এক জিনিস যার\ আকস্মিক আবির্ভাবে যেকোন আনন্দদায়ক প্ল্যান মাটি হয়ে যেতে পারে। এইজন্য সবসময় এর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভাল। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কোন ওষুধ চললে তা আগে থেকেই রিজার্ভ করে রাখতে হবে। এছাড়াও খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল, এন্টিসেপ্টিক মলম, বমি, বদ হজমের ওষুধ, এলার্জিসহ এমন ইমার্জেন্সি ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনে হাতের কাছে সব পাওয়া যায়।

তাহলে আর দেরি কিসের জন্য? প্রি-ট্র্যাভেল চেকলিস্টটি মিলিয়ে নিয়ে তৈরি হয়ে যাও আর ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইবিদেশভ্রমণ ফাইল

রোমাঞ্চকর মাউন্টেন ফ্লাইট

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

আল আমিন রনি

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয়। মন্ত্রমুগ্ধকর হিমালয় পর্বতমালা নিজ চোখে দেখার স্বপ্ন পৃথিবীর সকল প্রকৃতিপ্রেমীর। তবে হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়া জয় করতে পেরেছেন হাতে গোনা কয়েকজন এভারেস্টজয়ী। যারা পর্বতে আরোহণ করতে পারবেন না, তাদের জন্য হিমালয় দেখার আদর্শ উপায় ‘মাউন্টেন ফ্লাইট’।

মাউন্টেন ফ্লাইট কাঠমান্ডু থেকে উড্ডয়ন করা একটি বিশেষ ধরনের পর্বত ফ্লাইট, যা ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমালয় এবং সংলগ্ন পর্বতচূড়াসমূহ প্রদক্ষিণ করে। এক ঘণ্টার এই যাত্রায় মাউন্টেন ফ্লাইট দেবে তুষার ঢাকা পর্বত চূড়াসমূহ উপভোগের রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি।

বিশেষ এই ট্রিপ হিমালয় অঞ্চলের পর্বতমালা, হিমবাহ এবং উপত্যকাগুলোর ওপর দিয়ে নিয়ে যাবে। হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং অন্নপূর্ণা পর্বতসমূহ দর্শনের বিরল সাক্ষী।

কখন যেতে হবে
পর্বতমালার দর্শনীয় চূড়াসমূহ পর্যবেক্ষণের সেরা সময় হলো শীতকালÑ সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। কারণ বছরের এই সময়ে হিমালয়ের চূড়াগুলো চমৎকার তুষার পরিধান করে। পাশাপাশি হ্রদ এবং হিমবাহগুলো হিমালয় থেকে স্বচ্ছ জলে সমানভাবে আলোকিত হয়।

এয়ারলাইনস
মাউন্টেন ফ্লাইটের জন্য বেশ কিছু বিশেষায়িত এয়ারলাইনস রয়েছে। এর মধ্যে সিমরিক, ইয়েতি, বুদ্ধা এবং শ্রী এয়ারলাইনস অন্যতম। আমরা সিমরিক এয়ারে ভ্রমণ করেছিলাম।

উড্ডয়নের সময়
হিমালয়ের অপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ভোর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কাঠমান্ডুতে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে হোটেল পিকআপের সময় সকাল ৫টা এবং বিমান ৬টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়।

তবে বিশেষ এই ফ্লাইট দিনের আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল। যদি আবহাওয়া বিমান উড্ডয়নের জন্য উপযোগী না হয়, তাহলে পরবর্তী দিনের জন্য ফ্লাইট পুনর্নির্ধারণ হতে পারে।

খরচ
পর্যটকদের জন্য মাউন্টেন ফ্লাইটে জনপ্রতি খরচ ১৮৯ মার্কিন ডলার। তবে স্থানীয় এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এর মূল্য ৯৯ মার্কিন ডলার।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে রাখতে ভুলবে না। গরম কাপড় এখানকার জন্য আদর্শ। আর হিমালয়ের অভূতপূর্ব দৃশ্য ধারণ করতে সঙ্গে রাখো ভালো রেজল্যুশনের ক্যামেরা বা ভিডিও ডিভাইস। তবে এখানে ধূমপান এবং বড় ব্যাগ বা লাগেজ রাখার অনুমতি নেই।

এভারেস্ট অভিজ্ঞতা

মাউন্টেন ফ্লাইট শুধু হিমালয় শৃঙ্গ উপভোগের রোমাঞ্চকর অনুভূতিই প্রদান করে না বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেপালের ভূগোল সম্পর্কে ও স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করে।

মাউন্টেন ফ্লাইটে সফল আরোহণকারী প্রত্যেকের জন্য এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় বিশেষ সার্টিফিকেট : অ খওঋঊঞওগঊ অডঅজউ ঞঙ ঝঊঊ গঙটঘঞ অঠঊজঊঝঞ!

আরও কিছু জেনে রাখি
হিমালয় কোনো একক শ্রেণি বা মালা নয়, বরঞ্চ একটি ধারাবাহিক শ্রেণি, একে অন্যের প্রায় সমান্তরাল ধারায় লম্বা দূরত্ব স্থাপন করেছে। আবার কোথাও দুটি ধারা একসঙ্গে মিশে গেছে। এরই মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য উপত্যকা, অধিত্যকা আর বালিয়াড়ি।

সমভূমি থেকে সারিবদ্ধ অনুচ্চ পাহাড়ের ভিত ধরে উচ্চ থেকে আরও উচ্চে উঠে গেছে হিমালয়ের শ্রেণি আর তার অভ্রভেদী চূড়াশৃঙ্গ, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুবিখ্যাত মাউন্ট এভারেস্ট, মাউন্ট ক২, কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়া আরও অনেক পর্বত।

এর মধ্যে কিছু পর্বতমালার গতি প্রধান হিমালয় বলয়ের অনুপ্রস্থ বা আড়াআড়ি। এগুলো হচ্ছে আসাম রেঞ্জ, মণিপুর রেঞ্জ, আরাকান ইয়োমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পেগু ইয়োমা ইত্যাদি। হিমালয় ও অন্যান্য মধ্য এশীয় পর্বত পৃথিবীর ছাদ অর্থাৎ পামির মালভূমি থেকে উত্থিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে গেছে। পামির মালভূমি থেকে হিমালয় ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক বেষ্টন করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত হয়েছে।

 

এই পর্বতশ্রেণির পূর্বাঞ্চল পশ্চিমাঞ্চলের তুলনায় সংকুচিত এবং পরস্পরের খুব কাছাকাছি। এর ফলে আচমকা এগুলো সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে গেছে। এ কারণেই এগুলোর তুষার আবৃত শৃঙ্গগুলো, যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দৃশ্যমান। হিমালয়ের প্রধান প্রধান শ্রেণিমালা আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের সীমান্ত মধ্যবর্তী প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার স্থানজুড়ে বিরাজমান।

ছবি: লেখক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
খেলাধুলাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

খেলাচ্ছলেই ব্যায়াম

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১২, ২০২২

রেহনুমা তারান্নুম

 

মুটিয়ে যাওয়ার পর একটা সময় সবাই ভাবে, না! এখন থেকে ব্যায়াম করতেই হবে। কিন্তু সেই সময়টি যেন আর হয়ে ওঠে না। অনেকে মনে করে, ব্যায়ামের এত প্রস্তুতি, থাক কদিন যাক। তবে ব্যায়াম যদি হয় খেলাচ্ছলে। তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না ! সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই শরীর আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার। বিগত ১২ মাসের লাভ-ক্ষতির অঙ্ক করতে বসে যদি দেখো বেশ কিছুটা মেদ শরীরে জমেছে, তবে মোটেই মেজাজ থাকবে না আর। তা ছাড়া অতিমারির জন্য অনেকটা সময় বাড়িতে থেকে কাজ করতে হয়েছে।

 

বাইরে নিয়মিত গেলে যে শারীরিক পরিশ্রমটা হয় সেটাও হয়নি। খাবারেও হয়েছে বড়সড় অনিয়ম। ফলে ছিপছিপে শরীরে ক্যালরি বেড়ে যদি নিজেকে বেঢপ মনে করো, তবে হাতের কাছেই আছে সমস্যার সমাধানও। সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই দেহ আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার, কমবে ক্যালরি, উপরন্তু বাড়বে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।

 

সাইক্লিং

সাইকেল চালানো তোমার হাঁটুকে শক্তিশালী করার জন্য দুর্দান্ত একটি ব্যায়াম। বিশেষ করে তোমার যদি দৌড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটুতে ব্যথা হয় বা অতিরিক্ত মেদের ফলে হাঁটুতে চাপ পড়ে, তবে সাইকেল চালালে পেতে পারো প্রভূত উপকার। বহু জিমেও তাই এই ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে শরীরচর্চা করানো হয় এখন। ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের অনেকটা সাহায্য করতে পারে। ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের অনেকটা সাহায্য করতে পারে।

 

জগিং

রোজ নিয়ম করে কিছুক্ষণ জগিং করলে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পাবে না। এতে খুব দ্রুত সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন হয় আর ক্যালরিও ঝরে যায়। প্রত্যেক দিন সময় না পেলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নিয়ম করে খানিকক্ষণ জগিং করতে হবে। সঙ্গে অবশ্য ভাজাভুজি বাদ রেখে সুষম খাদ্য খাওয়াও জরুরি।

 

সাঁতার

আমরা একটু সচেতন হয়ে খেয়াল করলে দেখব যে যারা নিয়মিত সাঁতার কাটে, তাদের শরীরে মেদের আধিক্য প্রায় নেই। জলে ভেসে থাকতে গেলে ওজনদার আকৃতি নিয়ে কিন্তু মুশকিলই হয়। তা ছাড়া সাঁতারের সময় শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞদের মতো এমনটাই। শীতকালে ঠান্ডার ভয়ে পানিতে নামতে না চাইলে এমন সুইমিংপুলের সন্ধান করতে পারো, যেখানে পুলের পানিতে থাকে নাতিশীতোষ্ণ।

 

দড়ি লাফানো

দড়ি লাফানো বা আরেকটু চেনা ভাষায় বললে লাফদড়ি খেলার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু অনেকেই জানি না যে ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের কতখানি কাজে লাগতে পারে। ঘণ্টায় ৬০০ থেকে প্রায় ৯০০ ক্যালরি শরীর থেকে বাদ দিয়ে দিতে সক্ষম এই কসরতটি। তা ছাড়া এটি হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে, যা হাড়ের ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি

সবচেয়ে সহজ যে উপায়ে ওজন কমতে পারে তা হলো সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা। অনেকে একে শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে ধরতে চায় না। কিন্তু যারা কোনো না কোনো বহুতলে থাকে কিংবা চাকরিসূত্রে যাতায়াত করে, তারা খুব ভালো জানে লিফট না চললে সিঁড়ি ব্যবহার করার সময়ে কতখানি ধকল যায়। মেদ কমার পাশাপাশি এভাবে পায়ের পেশি শক্ত হয়, আঙুলের যন্ত্রণা কমে, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম হয় এবং কোমরের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন হয় যথাযথভাবে।

ছবি: সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গএই সংখ্যায়চলন বলনজীবনভ্রমণ ফাইলরোদসীর পছন্দ

ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ২০, ২০২১

গোলাম কিবরিয়া:  বিয়ে মানেই প্রতিটি মানুষের কাছে বিশেষ কিছু। তাই এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সবারই চেষ্টা থাকে বিশেষ কিছু করার। যুগে যুগে মানুষের জীবনাচারে যেমন বৈচিত্র্য আসে, তেমনি পরিবর্তন আসে সামাজিক বিভিন্ন আয়োজনের ট্রেন্ডেও। আবার পুরোনো অনেক ট্রেন্ড নতুন রঙে নতুন ঢঙে হাজির হয়। বিয়ের আয়োজনের পালেও তাই লেগেছে নতুন হাওয়া। বিয়ের নতুন ট্রেন্ড ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। যদিও এ ট্রেন্ড একেবারেই নতুন নয়। এ যেন পুরোনোকে নতুন রঙে হাওয়া দেওয়া।
আদি যুগ থেকেই বিয়ের আয়োজন মানেই ছিল খোলা আকাশের নিচে আশপাশে রঙিন কাগজ টানিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বিয়ের আয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তন এলেও নতুন করে ভিন্ন রূপে এ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হতে চলেছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু দূরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে প্রিয়জনদের নিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং আয়োজন স্মরণীয় করে তোলে মুহূর্তগুলো। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে।
বিভিন্ন সেলিব্রিটি প্রায়ই নিজেদের বিয়ের জন্য ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করছে। কারণ, খোলা আকাশের নিচে খোলামেলা একটা ভেন্যু যতটা সুন্দর করে সাজানো যায়, বদ্ধ ছাদের নিচে ততটা সুন্দর করে সাজানো যায় না। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ইউরোপ-আমেরিকায় অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। নিজেদের চেনা শহরের বাইরে গিয়ে সমুদ্র, পাহাড় বা জঙ্গলঘেরা প্রকৃতির মধ্যে আয়োজন হচ্ছে বিয়ে। এ ছাড়া কোনো ঐতিহাসিক স্থান বা রিসোর্ট ভাড়া নিয়েও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার চল এবার দেশের মধ্যে বেড়েছে।
নিজের মনমতো সবকিছু করা যায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে। সবকিছুই অনেক ইউনিক আর গর্জিয়াস করা যায়। তাই তোমার স্বপ্নের বিয়ের আয়োজনটাকে সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে, সবকিছুতে কিছুটা ভিন্নতা আনতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করতেই পারো।
প্রিয় পাঠক, এখন ভাবছ সবই তো বুঝলাম কিন্তু ডেস্টিনেশন ওয়েডিংটা করব কোথায়?

পছন্দের তালিকায় রিসোর্ট
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রাখতে পারো শহরের কাছাকাছি পছন্দের কোনো রিসোর্টে। প্রতিনিয়তই একের পর এক গড়ে উঠছে নান্দনিক রিসোর্ট। অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এসব রিসোর্টে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে অতিথিদের শান্তি খুঁজে দেওয়াই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বিয়ের দিন সকালে অথবা আগের দিন নিমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রাখা গাড়ি চলে যাবে রিসোর্টে। সেখানে বিয়ের সব আয়োজনের দায়িত্ব কোনো দক্ষ ওয়েডিং প্ল্যানারকে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারো। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট আছে, যেখানে অনায়াসে মনমতো বিয়ের আয়োজন করা যেতে পারে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকার আশপাশে ও ঢাকার বাইরে এমন কিছু নান্দনিক রিসোর্ট হলো :
ছুটি রিসোর্ট জয়দেবপুর, পদ্মা রিসোর্ট মুন্সিগঞ্জ, মাওয়া রিসোর্ট মুন্সিগঞ্জ, যমুনা রিসোর্ট টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা রিসোর্ট টাঙ্গাইল, সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট নারায়ণগঞ্জ, হেরিটেজ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা নরসিংদী, সাইরু হিল রিসোর্ট, অরুনিমা রিসোর্ট নড়াইল, ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা গাজীপুর, জল জঙ্গলের কাব্য পূবাইল, আরশিনগর হলিডে রিসোর্ট, মেঘবাড়ি হলিডে রিসোর্ট বান্দরবান, সাহেববাড়ি রিসোর্ট গাজীপুর, সীগাল রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট গাজীপুর, গ্রীন ভিউ রিসোর্ট মৈনারটেক, পাকশী রিসোর্ট পাবনাসহ রয়েছে অসংখ্য রিসোর্ট। রিসোর্ট ছাড়াও বড় তারকা হোটেল ও বাংলোবাড়ি ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ভেন্যু হতে পারে।

পাহাড় নয়তো সমুদ্রে
কী ভাবছ? বিয়ে করতে পাহাড় বা সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে হবে! নাহ পাঠক, এমন কিছুই নয়। বিয়ে আয়োজনকে আরেকটু ভিন্ন রূপ দিতে তুমিও চাইলে ঢাকার বাইরে পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক স্থান কিংবা সমুদ্রের কাছাকাছি কোনো স্থানকে বেছে নিতে পারো। কক্সবাজার কিংবা সেন্ট মার্টিনে অসংখ্য নান্দনিক সাজে সজ্জিত রিসোর্ট কটেজ রয়েছে। নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচে মানুষের আনাগোনা কম থাকে। পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় ফাঁকা জায়গাজুড়ে সাজাতে পারো বিয়ের আসর। তালিকায় আরও রাখতে পারো কুয়াকাটা সৈকত ও কক্সবাজারে শামলাপুর সৈকত। চাইলেই অতিথিদের নিয়ে মনমতো আয়োজন সেরে নিতে পারো, সেখানে অবস্থিত রিসোর্ট বা কটেজে। বান্দরবানের নীলগিরি, নীলাচল ও রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে পারে পাহাড়ঘেরা সবুজের মধ্যে তোমার ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। ভাবো তো একবার, তোমার বিয়ের আয়োজন হচ্ছে পাহাড়ঘেরা কোনো পরিবেশে নয়তো সমুদ্রের পাশে। এ যেন স্বপ্নের জগতেই হারিয়ে যাওয়া।

ঘন অরণ্যে
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ জীবন শুরু হবে সবুজে ঘেরা ঘন অরণ্যে। পাখির কলরবের মাঝে জঙ্গল সেজে উঠবে তোমার বিয়ের জন্য। নওগাঁর আলতাদীঘি, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে বিয়ের। দিনের বেলা সুন্দরবনের লঞ্চেও হতে পারে বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বনের পশুপাখিকে বিরক্ত না করেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা শ্রেয়।


ভিলেজ ওয়েডিং
চাইলে নিজ গ্রামের বাড়িতেও বেশ ধুমধাম করে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করা যেতে পারে। বছরের পর বছর পড়ে থাকা ফাঁকা বাড়িটা আলোকসজ্জা আর আতশবাজিতে মেতে উঠবে। গ্রামের শেওলাধরা পুকুরঘাটে গায়েহলুদের ছোট্ট আসর বসবে। অনেকের নিজ গ্রামের বাড়িতে তেমন জায়গা না-ও থাকতে পারে। তবে তাতেও চিন্তা নেই। জয়রামপুর কৃষি পর্যটন গ্রাম, চারিপাড়া পর্যটন গ্রামসহ ইকো ট্যুরিজমের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক পর্যটন গ্রাম গড়ে উঠেছে। সেসব গ্রামে হতে পারে তোমার ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। খোলামেলা উঠানে শীতলপাটিতে বসে সূচনা হবে নতুন এক অধ্যায়। ছবির মতো সুন্দর এ মুহূর্তগুলো বাকি জীবন স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে।

থাকো নির্ভার
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিকল্পনা খুব সহজ কথা নয়। অনুষ্ঠান অনুযায়ী ভেন্যু, খাবারের মেন্যু ঠিক করা, বর-কনের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের পোশাক কেনা, নিমন্ত্রণপত্র ছাপানো, স্টেজ সাজানো, তত্ত্ব গোছানো, ছবি ভিডিও আরও কত-কী! যারা একটু সুন্দরভাবে এসব করতে চাও অথচ নিজেদের অত সময় নেই, তারা ভেন্যু ঠিক করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আর ওয়েডিং প্ল্যানারের সাহায্য নিতে পারো। এ ছাড়া ভ্রমণ, রিসোর্ট বুকিং, টিকেটিংয়ে সহায়তা নিতে পারো ট্যুর অপারেটর অথবা অনলাইন ট্রাভেল গ্রুপগুলোর কাছ থেকে।

বাজেট নিয়ে ভাবনা?
বাড়ি তৈরি, গাড়ি ক্রয়, ব্যবসার জন্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক ধরনের ঋণ দেয় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো। তবে এসব ছাড়াও এখন বিয়ে করার জন্য ঋণ দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এ ধরনের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকগুরো বিয়ের জন্য লোন সুবিধা দিয়ে থাকে।
শুরু হয়ে গেছে বিয়ের মৌসুম। তাই জীবনসঙ্গীকে নিয়ে আর দেরি না করে পছন্দসই ওয়েডিং ডেস্টিনেশন খুঁজে নাও। নতুন পথচলা হোক আনন্দের, শুভকামনা।

ছবি: সজীব মিয়া ও নুসরাত জাহান রিজভি 

 

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ঘুরে বেড়াইদেশভ্রমণ ফাইলসম্ভাবনাসাফল্য

‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ডেস্টিনেশন হতে পারে’

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

প্রতিবছরই আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে পর্যটনশিল্প। পর্যটকেরা পালা করে ঘুরে বেড়ায় দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। দিন দিন বেড়েই চলেছে ট্রাভেলের প্রতি মানুষের বাড়তি আকর্ষণ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাই কাজ করছে সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্প নিয়ে। ট্রাভেল বাংলাদেশ এমনই একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি বাংলাদেশের ট্রাভেল ও ট্যুরিজমের নানান তথ্য দিয়ে আমাদের পর্যটন খাতে ভূমিকা রাখছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করে থাকছে রোদসীর বিশেষ আয়োজন। পর্যটন শিল্পের নানান দিক নিয়ে ট্রাভেল বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও আহসান রনি কথা বলেন রোদসীর সঙ্গে। লিখেছেন সাবিহা জামান

ট্রাভেল বাংলাদেশ কীভাবে কাজ শুরু কওে, এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহসান রনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসতাম। যত বড় হতে থাকি, ভ্রমণের প্রতি ভালোলাগা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হই এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়। বিভিন্ন দেশে গিয়ে ওই দেশসমূহে ভ্রমণ নিয়ে দারুণ দারুণ সব উদ্যোগ দেখি এবং বাংলাদেশের ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতার সাথে তুলনা করতে গিয়ে দেখি বাংলাদেশে ভ্রমণ নিয়ে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। তথ্য থেকে শুরু করে ইনোভেটিভ ট্যুর, এ দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা, খাবার, স্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, প্রকৃতি, অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ে নানা এক্সপেরিয়েন্সের সুযোগ দিতেই ট্রাভেল বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম শুরু করি। শুরুতে শুধুমাত্র তথ্য নিয়ে কাজ করতে থাকি। দেশের ৬৪ জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, দর্শনীয় স্থান, খাবার, থাকার স্থানবিষয়ক তথ্য নিয়ে ট্রাভেল বাংলাদেশের ওয়েবসাইট শুরু করি এবং সময়ের সাথে এটি হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণবিষয়ক তথ্যবহুল ওয়েবসাইট।’

আহসানর রনি আরও বলেন, ‘শুরুতে তথ্য সংগ্রহ, রিসার্চসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ট্রাভেল বাংলাদেশ থেমে থাকেনি। ক্রমে ক্রমে নতুন নতুন ইনোভেশন নিয়ে কাজ হয়েছে এবং পচুর মানুষ ও প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে আমাদের উদ্যোগটি দিনে দিনে বড় হয়েছে। ট্রাভেল বাংলাদেশের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ওয়েবসাইট, ভিডিও, ট্যুর মার্কেট, এক্সপেরিয়েন্স, ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর জন্য প্রমোশনাল সেবা; সবগুলোই ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভ্রমণবিষয়ক নানা সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। ট্রাভেল বাংলাদেশকে আমরা একটি সমস্যার সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। করোনার কারণে পুরো ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে; আমরাও হয়েছি। কিন্তু আমরা এই সমস্যার কীভাবে সমাধান সম্ভব এবং সমস্যার সমাধানে কী কী করা সম্ভব, তার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি।’

ট্যুর আয়োজন করার বিষয় নিয়েও কথা বলেন ট্রাভেল বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও আহসান রনি। তিনি জানান, ‘আমরা সরাসরি ট্যুরের আয়োজন করি না। আমাদের ট্যুর মার্কেট নামে একটি পার্ট আছে, সেখানে বাংলাদেশের সেরা সেরা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সাথে আমাদের পার্টনারশিপ আছে। দেশের সেরা ট্যুর কোম্পানিগুলোর ট্যুরগুলো আমাদের মাধ্যমে বুক করা যায়। এটি ট্যুর প্যাকেজের একটি ই-কমার্স সাইট বলতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের “এক্সপেরিয়েন্স” নামে একটি সেবা আছে। এই সেবার আওতায় আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসব, খাবারবিষয়ক নানা অভিজ্ঞতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে উপভোগ করার সুযোগ। এগুলোকে একধরনের ট্যুরও বলা যেতে পারে। তবে গতানুগতিক ট্যুরের চেয়ে আমরা এই আয়োজনে অভিজ্ঞতা অর্জনকেই প্রাধান্য দিই।’
নারীদের জন্য তাদের আয়োজনের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে রনি বলেন, ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ নারীদের আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। আমাদের ওয়েবসাইটে নানান তথ্য রয়েছে, যেখানে নারীদের ভ্রমণ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। ভ্রমণের সময় নারীদের নিরাপত্তাকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি।’

করোনাকালীন বিভিন্ন সমস্যা ও বর্তমান অবস্থা নিয়েও রোদসীর সঙ্গে কথা বলেন রনি। রনি বলেন, ‘করোনাকালে সারা পৃথিবীর প্রতিটি ট্রাভেল কোম্পানিই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিও এর ব্যতিক্রম নয় এবং ট্রাভেলবিষয়ক কোম্পানি হিসেবে আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। তবে ট্রাভেল বাংলাদেশের ইনোভেশন প্রক্রিয়া করোনার সময়ে থেমে থাকেনি। আমরা আমাদের কার্যক্রম দারুণভাবে পরিচালনা করে গিয়েছি। আমাদের ট্যুর মার্কেট দারুণভাবে যাত্রা শুরু করেছে, বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা এক্সপেরিয়েন্স বিষয়টিকে নিয়ে এসেছি এবং নতুন নতুন এক্সপেরিয়েন্স লঞ্চ করেছি। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে আবার যেহেতু ভ্রমণ শুরু হয়েছে, আমরাও চেষ্টা করছি আমাদের সব সার্ভিস আবার ফিরিয়ে আনতে। বিশেষ করে বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানি যেহেতু করোনা-পরবর্তী এই সময়ে তাদের প্ল্যাটফর্মটিকে আরও বেশি মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়, তাই আমরা তাদের জন্য বিশেষ প্রমোশনাল প্যাকেজ চালু করেছি এবং আমরা দারুণ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি সেপ্টেম্বর থেকে আমরা আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারব।’
বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প নিয়ে নিজের প্রত্যাশার বিষয়ে বলতে গিয়ে রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প নিয়ে অনেক অনেক নতুন উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টর নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রত্যাশা অনেক।

বাংলাদেশের যে যে প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যগত সম্পদ আছে, সেগুলোকে যদি আমরা যথাযথ ব্যবহার করতে পারি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে পারি, তাহলে শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। পর্যটন সেক্টর নিয়ে অনেক তরুণ এগিয়ে আসছে, ফলে সামনের দিনগুলোতে দারুণ আরও অনেক উদ্যোগ আমরা দেখতে পাব, তা বলাই যেতে পারে। সরকার থেকেও পর্যটন সেক্টরে দারুণ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগগুলোকে সরকার যদি আরও বেশি সহায়তা প্রদান করে এবং আন্তর্জাতিক নানা পর্যটন প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশেও ইনভেস্টমেন্টের সুযোগকে আরও সহজ করে দেয়, তাহলে বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টরটি আন্তর্জাতিক মানের একটি পর্যটন ডেস্টিনেশন হতে পারে। তবে শুরুতে যদি এ দেশের পর্যটন সেক্টরকে সরকারি সহায়তায় বা বেসরকারি উদ্যোগে আরও বেশি প্রফেশনাল করা সম্ভব হয়, তাহলে পর্যটন সেক্টর আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ঘুরে বেড়াইদেশভ্রমণ ফাইল

‘পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারি পদক্ষেপ’

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

সুরাইয়া নাজনীন
‘ভ্রমণ মানুষকে বিনয়ী করে তোলে। সে জানতে পারে দুনিয়ার তুলনায় সে কত ক্ষুদ্র।’ বিখ্যাত মনীষী গুস্তাভ ফ্লুবেয়ার ভ্রমণ সম্পর্কে এমনটাই ধারণা করেন। তবে ভ্রমণ মানুষকে ঋদ্ধ করে। ভ্রমণ কেন্দ্রের গল্প একশ বার শোনার চেয়ে একবার ঘুরে আসাই শ্রেয়। প্রকৃতি মানুষের নিঃস্বার্থ বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, যদি সে প্রকৃতিকে বোঝে। বিশাল আকাশ থেকে অতল সমুদ্রপানে একটিবার দাঁড়ালে নিজেকে বারবার খুঁজে ফেরা যায়। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে রয়েছে এমন সব নয়নাভিরাম জায়গা, যা একটিবার দেখলে মন ভরবে না। সাজেক তার মধ্যে অন্যতম। এমনই একটি জায়গা, যেখান থেকে আকাশের সবটুকু সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়।

কখনো তীব্র শীত। আবার মুহূর্তেই বৃষ্টি। চোখের পলকেই চারপাশ ঘোমটা টানে সাদাকালো মেঘে। এ যেন মেঘের উপত্যকা। সেখানে গেলে মনে হবে এটি মেঘেদের রাজ্য। নিজেকে মনে হয় ওই মেঘের রাজ্যের বাসিন্দা। হয়তো মনের অজান্তেই খুঁজতে থাকবে সাদা মেঘের পরী। মন, প্রাণ, দেহ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা আর অনুভূতিতে।

সাজেকের রিসোর্টগুলোও অপরূপ সুন্দর। যেন মেঘেদের রাজ্য ছোট ছোট প্রাসাদ। রিসোর্টের খোলা বারান্দাগুলো থেকে বকসাদা মেঘেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায়। তেমনই এক রিসোর্ট মোনঘর। কথা হলো মোনঘর রিসোর্টের ম্যানেজিং পার্টনার এ টি এম জাবিদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানালেন মোনঘরের নানা বিষয় নিয়ে, সাজেকের বহিরাগত প্রাকৃতিক আকর্ষণে ঘেরা অপ্রতিরোধ্য সবুজের ওপর ছড়িয়ে পড়া রুইলুই পাড়ায় হেলিপ্যাডের কাছাকাছি অবস্থিত আমাদের মোনঘর রিসোর্ট। সাজেক বিরল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আড়ম্বরপূর্ণ সুখের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করার এক জায়গা। এবং শহর জীবনের আড্ডা থেকে দূরে বিরল নীরবতায় শোষিত হওয়ার উপযুক্ত জায়গা মোনঘর রিসোর্ট।

যদি বলি কেন যাবে মোনঘর রিসোর্টে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোনঘর রিসোর্ট সাজেকের একটি সুসজ্জিত রিসোর্ট এবং ব্যক্তিগত প্রাকৃতিক বহিরাঙ্গন। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটাতে এবং পাহাড়কে খুব কাছ থেকে দেখা ছাড়াও এখানে পাবে অনুপ্রাণিত সবুজ বনের পাশাপাশি ঘন মেঘের একটি আড়ম্বরপূর্ণ বাসভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত নিখুঁত অবস্থান। এখানের প্যানোরামিক দৃশ্য এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাচীন দৃশ্য তোমার বারান্দা এবং কক্ষ থেকেই উপভোগ করতে পারবে।

কী কী সেখানে?
মোনঘর রিসোর্টে রয়েছে সাতটি কক্ষ, যার প্রতিটির সঙ্গে রয়েছে ব্যক্তিগত ব্যালকনি এবং বাথরুম। সুসজ্জিত প্রতিটি রুমে দুটি করে ডাবল বেড, যেখানে চারজন থাকতে পারে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রয়েছে মনোমুগ্ধকর ক্যানভাস। বারান্দাই রয়েছে একটি আকর্ষণীয় বসার বেঞ্চ এবং সবুজ কৃত্রিম ঘাস, যেখানে বসলে মনে হবে তুমি বসে আছ পাহাড়ের মাঝে। এখানে তুমি কাটাতে পারবে অফুরন্ত সময় মেঘ আর পাহাড়ের খেলা দেখতে দেখতে।

সুবিধা রয়েছে আরও
এ টি এম জাবিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে বুকিং করলেই পাচ্ছেন কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট এবং সকল অতিথির জন্য রয়েছে বারবিকিউ করার সুবিধা। রিসোর্টের সামনে রয়েছে ফ্রি পার্কিং সুবিধা। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এবং পানির সুবিধা রয়েছে। তা ছাড়া সুদক্ষ ম্যানেজার, যারা সব সময় থাকবে আপনাদের সাহায্য এবং নিরাপত্তার জন্য।’

ভাড়া
সাজেকে ভাড়া নিয়ে অনেকের কাছে রয়েছে বিভ্রান্তিকর খবর। অনেকেই ভাবে গলাকাটা দাম রাখা হয়। মোনঘর রিসোর্ট এখানে ব্যতিক্রম ভূমিকা পালন করছে। রুমের ভাড়া সব সময় এক এবং সব রুমেই সেই ভাড়ার তালিকা দেওয়া, যেন কোনোভাবেই কেউ প্রতারণা করতে না পারে। সঙ্গে প্রতিটি অতিথি রুম অনুযায়ী পাবে সারপ্রাইজ ক্যাশব্যাক।


লক্ষ্য যেমন
যেসব অতিথি সাজেকে বেড়াতে আসে, তাদের একটি আনন্দময় এবং সুন্দর ভ্রমণ উপহার দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।

২৭ সেপ্টেম্বর পর্যটন দিবসকে উল্লেখ করে পর্যটনশিল্প নিয়ে এ টি এম জাবিদুর রহমান বলেন, ‘পর্যটনশিল্পকে আমরা যথেষ্ট লাভজনক ও দ্রুত প্রসারণশীল শিল্প হিসেবে বিবেচনা করতেই পারি, অনেক ক্ষেত্রেই এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে আমার ধারণা। তবে এই সময়ে যখন আমাদের দেশ তথা পুরো বিশ্ব মহামারিতে ভুগছে, ভেঙেছে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নকাঠামো। এ পরিস্থিতিতে পর্যটন খাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে সরকার ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সব পর্যটককে ভ্রমণশিল্পে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।’
যোগাযোগ
মোনঘর রিসোর্ট সাজেক, রুইলুই পাড়া, সাজেক, রাঙামাটি ৪৫০০ রাঙামাটি, চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ, ০১৮৪৪২১৭৩১০, ০১৮৪৪২১৭৩০১
ফেসবুক: www.facebook.com/monghorsajek

ইনস্টাগ্রাম: www.instagram.com/monghorsajek
ইউটিউব:  https://cutt.ly/dWq4LuY
ওয়েবসাইট: www.monghorsajek.com

এ টি এম জাবিদুর রহমান ছোট থেকেই ভ্রমণবিলাসী। তাই তো ব্যক্তিগত জীবনেও এর প্রতিচ্ছবি রেখে গেছেন। তিনি মানুষকে প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন নানা অনুষঙ্গ। স্বপ্নপাড়ি তারই একটি প্রতিচ্ছবি। তিনি ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য ভাবেন। মনের খোরাক জোগাতে স্বপ্নপাড়ি দারুণভাবে কাজ করে।
ভ্রমণকে সবার মাঝে সহজ ও সরল করে তুলতেই স্বপ্নপাড়ির সৃষ্টি। স্বপ্নপাড়ি একটি ট্রাভ্রেল গ্রুপ, যা প্রকৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে ছোট-বড় সবার মাঝে। এই সময়ে যেখানে আমরা সবাই প্রযুক্তির হাতে বন্দি প্রায়, স্বপ্নপাড়ি তখন আমাদের বের করে আনছে ঘরের বাইরে, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে সমৃদ্ধ, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির সঙ্গে। আমাদের নিজেদের দেশ যে কতটা নজরকাড়া, তা এখনো আমাদের অনেকেরই অজানা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।’

বরাবরই ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সান্নিধ্য পাওয়া ও তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনাকে সহজ-সুলভ করে তোলাই আমাদের চেষ্টা। অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যারা শুধু সুপরিকল্পিত ও নিরাপদ গাইডলাইনের অভাবে প্রকৃতিকে কাছ থেকে অবলোকন করতে পারেন না, স্বপ্নপাড়ি দিনরাত তাদের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নতুন নতুন ভ্রমণযোগ্য স্থান খুঁজে তা সবার সামনে নিয়ে আসা ও সেখানে যেতে উৎসাহ প্রদান করে চলেছে। ছাত্রছাত্রীরা যারা সচ্ছলতার অভাবে ভ্রমণ করতে পারে না, তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

স্বপ্নপাড়ির লক্ষ্য
* খরচে সবচেয়ে কম
* মানে সবচেয়ে বেশি
* সেবায় সবচেয়ে আগে


সেবাসমূহ
* করপোরেট প্যাকেজ
* ফ্যামিলি প্যাকেজ
* স্টুডেন্ট প্যাকেজ
* সাপ্তাহিক ট্যুর প্যাকেজ
* শিক্ষা সফর
* হোটেল বুকিং
* বাস, ট্রেন, শিপ ও এয়ার টিকেটিং

স্বপ্নপাড়িই কেন?
তোমার ভ্রমণ পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে স্বপ্নপাড়ি বদ্ধপরিকর। সুপরিকল্পিত গাইডলাইন ও দূরদর্শী চিন্তা। আমাদের আছে অভিজ্ঞ হোস্ট, যিনি যেকোনো সময়ে যেকোনো সমস্যার সহজ সমাধান দিতে সর্বদা সচেষ্ট।

যোগাযোগ
স্বপ্নপাড়ি
প্লট# চ-২, ফ্লাট# ১ম ফ্লোর,
উত্তর বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২।
০১৮৪৪২১৭৩০৬

ফেসবুক  :   www.facebook.com/shopnoparibd

ইনস্টাগ্রাম : www.instagram.com/shopnoparitours

ওয়েবসাইট : www.shopnopari.com

ছবি:   মোনঘর রিসোর্ট ও স্বপ্নপাড়ি রিসোর্ট সৌজন্য

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়জীবনযাত্রাভ্রমণ ফাইলসচেতনতা

মানসিক বিকাশে শিশুর ভ্রমণ

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

কনিতা, রাবিতা ও বাসিতাহ্ সহোদর তিন বোন। পিতার মতো ওরাও ভ্রমণপিপাসু। মাঝেমধ্যেই শর্ট কিংবা লং ট্যুরে যেতেই হবে। বিশেষ করে রাবিতা কয়েক দিন যেতে না যেতেই ভ্রমণে যাওয়ার বায়না ধরে। আমিও তিন কন্যা বলতে অজ্ঞান। তা ছাড়া এমনিতেই আমি শিশুদের একটু বেশিই ভালোবাসি। তাই ওদের আবদার আমি উপেক্ষা করতে পারি না। বর্তমান নগরজীবনে ঢাকার আকাশ উঁচু উঁচু দালানে ঢেকে গেছে। চারপাশে ইট, কাঠ আর কংক্রিটের আস্তরণ, সবুজের দেখা মেলা ভার। বুকভরা নিঃশ্বাস, শিশুসুলভ দৌড়ঝাঁপ সে তো আজ কল্পনার রাজ্য। দু-চারটি পার্ক, উদ্যান যা-ও আছে, তা-ও আবার বিকৃত মানুষের পদভারে পূর্ণ। যতটুকু সম্বল বারান্দার গ্রিল, সেখানেও আবার বখাটেদের উৎপাত। তাই শিশুদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাকে ছুটে যেতে হয় দূরে কিংবা বহুদূরে। যেখানে কোমল প্রকৃতি তার আপন গৌরবে উজ্জ্বল।


এবার ওদের বায়না ক্যাপ্টেন কক্স-এর বিস্ময়কর ভৌগোলিক প্রকৃতি কক্সবাজার। ইতিপূর্বে কনিতা, রাবিতা গিয়েছিল কিন্তু আড়াই বছরের বাসিতাহ্ এই প্রথম। তাই আর সবার চেয়ে ওর উচ্ছ্বাসের পরিমাণটাও একটু বেশি। এবারের ট্যুরে শিশু থাকায় তাই দুই দিনের বদলে চার দিনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ বাস জার্নি শেষে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে গিয়ে পৌঁছালাম বক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ে। বাস থেকে নেমে সোজা হোটেলে। বিচে যাওয়ার জন্য শিশুদের যেন তর সহ্য হচ্ছিল না। দুপুরের লাঞ্চ শেষে একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শিশুদের উচ্ছ্বাসের কারণে তা আর হলো না। বের হয়ে গেলাম দরিয়া নগরের পানে। স্বল্প দূরত্বের দরিয়া নগর পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে জনপ্রতি বিশ টাকার টিকিট কিনে প্রবেশ করলাম। ‘দে-ছুটের’ বন্ধুদের নিয়ে আমি এর আগেও এসেছিলাম। গাইড হলো কিশোরী মেয়ে বিউটি, লাইফ পার্টনার কুলসুম ও আমার মেয়েদের অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্রিফসহ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাল। অন্ধকার গুহায় শিশুরা বেশ মজা পেল। তবে এবার কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা লক্ষ করা গেল, আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা দরিয়া নগর পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্যবর্ধনে আরও যত্নবান হবে। প্রকৃতির দানকে পুঁজি করে শুধু বাণিজ্যিক চিন্তাধারায় মগ্ন হলে সময়-সুযোগমতো প্রকৃতিও বৈরী আচরণ করতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল, এবার সোজা লাবণী বিচ পয়েন্টে। ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের সঙ্গে ওরা তিন বোনও লাফিয়ে উঠল। আমার তিন কন্যা যেন ঠিক এই মুহূর্তের জন্যই অধীর আগ্রহে ছিল। অনেকটা সময় মজা করে টুকিটাকি শপিং করে বার-বি-কিউ পর্ব শুরু হলো। পরের দিন সকালে সমুদ্রস্নান। কলাতলী বেলাভূমি তুলনামূলক নিরিবিলি, তাপমাত্রা সহ্যের মধ্যে। কনিতার বায়না, আব্বু তুমিও আমাদের সঙ্গে সমুদ্রে নামবে। ওদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে নেমে পড়লাম নোনা জলে। কনিষ্ঠ শিশু বাসিতাহ্র সেকি আনন্দ! বাসিতাহ্র খিলখিল হাসি ভ্রমণের সার্থকতা বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় হৈ-হুল্লোড় করে ফিরলাম হোটেল লবিতে। আশ্চর্য বিষয় যাদের জন্য চার দিনের সময় নিয়ে এলাম, তাদের মধ্যে মাশা আল্লাহ কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই। লাঞ্চের পর কানা রাজার গুহা আর ইনানী ঘুরব। সবাই ঝটপট রেডি, হাস্যোজ্জ্বল ড্রাইভার রতনের মাইক্রোও রেডি। ভদ্র ছেলে, তাই কক্স ভ্রমণে বরাবর ওকেই ডাকি। প্রথমেই পাটুয়ার টেকে কানা রাজার গুহার দিকে ছুটছি।

আমারও প্রথম দেখা হবে। হিমছড়িতে খানিকটা সময় ব্রেক, কুলসুমের বায়না খোসা জড়ানো তেঁতুল আর পাহাড়ি বরই নিতে হবে। তেঁতুলের স্বাদ নিতে নিতে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাটুয়ার টেক এসে পৌঁছালাম। যতটা উচ্ছ্বাস নিয়ে এসেছি, তার চেয়ে বেশি বিমর্ষ হয়েছি প্রকৃতির দান কানা রাজার গুহা দেখে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গুহার মুখ পাহাড় ধসে আটকে গেছে। আফসোস, প্রকৃতির কৃপাকে সদ্ব্যবহার করতে জানি না। পাটুয়ার টেকের সারিবদ্ধ সুপারিগাছগুলো মনে অন্য রকম দোলা দেয়। গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা ইনানী বিচে। ততক্ষণে জোয়ার শুরু। যতখানি পাথর জেগে আছে, সেখানেই পর্যটকদের ফটোসেশন। ইতিমধ্যে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে রবিতার নীল জলে ডুব, সঙ্গে কনিতা ও বাসিতাহ্র শৈবালের সঙ্গে লুটোপুটি।

ভ্রমণে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়, মানসিক উৎকর্ষের পাশাপাশি শিশুকে দায়িত্বশীল হতে শেখায়। চার দেয়ালের বন্দিত্ব সোনামণির মনকে সংকীর্ণ করে তোলে। অবারিত সবুজ খোলা প্রান্তর শিশুকে প্রাণবন্ত করে তোলে। যত্রতত্র নগরায়ণের সভ্যতায় হারিয়ে যাচ্ছে আজ সবুজ, নদী, খাল, হাওর, বাঁওড়। যতটুকু টিকে আছে, তা-ও আবার বিষাক্ত। যেমন ঢাকার সৌন্দর্য বুড়িগঙ্গা নদী আজ প্রায় মৃত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যেন কারও কিছু করার নেই। সচেতনতার বড় অভাব। সবাই ছুটছি তো ছুটছি স্বীয় স্বার্থে। চারপাশে তাকানোর সুযোগ নেই। এমনকি কোমলমতি শিশুদের পাঠশালাও আজ বাণিজ্যিক। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। যতটুকু সময় আছে, তাতেই অনেক কিছু করা সম্ভব। প্রয়োজন একটু সুস্থ মানসিকতার। আসুন আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সচেতন হই। গড়ে তুলি আগামীর প্রাকৃতিক প্রাচুর্যময় সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। বাতাসে সিসামুক্ত বুকভরা নিঃশ্বাস নিয়ে যেন বলতে পারে ‘আমার সোনার বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি, ভালোবাসি দেশকে মায়ের মতো।’ অনেক পিতা-মাতাই আছে, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুখের আশায় শুধু অর্থের পিছু ছুটছে। অথচ সন্তান একাকিত্বে ভোগে।

অভিভাবকদের যথেষ্ট পরিমাণ সঙ্গ, আদর, সোহাগের অভাবে তাদের মেজাজ-মর্জি বিগড়ে যাচ্ছে। বিষণ্নতা একসময় তাদের অপ্রতিরোধ্য করে তোলে। ডুবে থাকে ভার্চ্যুয়াল জগতে, হয়ে ওঠে আত্মকেন্দ্রিক। ছোট্ট সোনামণিদের প্রতি অবিচার করার ফলে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য আয় করা অর্থই অনর্থ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন আমরা মাঝেমধ্যেই বাড়ির ছোট্ট সোনামণিদের নিয়ে ছুটে যাই দূরে, বহুদূরে। যেথায় নয়নজুড়ানো প্রকৃতি তাদের আপন করে নেবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে অনুপ্রাণিত হবে।
সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে যা-ই হোক, সবাই যেন থাকে স্নেহধন্য হয়ে।

ছবি: লেখক ও সংগৃহীত

 

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ভ্রমণ ফাইল

ভ্রমণের উপযোগী পোশাক

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

একঘেয়ে জীবনে বদল আনতে চাই ব্রেক। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু ছুটির দেখা মিললে বেরিয়ে আসা যায় দূরে কোথাও। ভ্রমণে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, সবার আগে প্রয়োজন ভ্রমণের প্রস্তুতি। এ জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে হবে। নয়তো তোমার ভ্রমণের আনন্দ পুরোটাই মাটি হয়ে যাবে। ভ্রমণের সময় তুমি কী ধরনের পোশাক পরছ, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কেমন হবে ভ্রমণের পোশাক, তা নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছেন শশী-

কাপড়ের ধরন
খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা কোথাও ভ্রমণের সময় আলমারির সবচেয়ে ভালো পোশাকগুলো বাছাই করি। কিন্তু সেই পোশাক ভ্রমণে আমাকে আরাম দেবে কি না, সেটা ভুলে যাই। ফলস্বরূপ অনেক সময় জমকালো আর ভারী পোশাক পরে ঠিকমতো ভ্রমণের আনন্দ নেওয়া হয় না। তাই ভ্রমণের পোশাক নির্বাচনের সময় মনে রাখবে, আরামের সঙ্গে আপস নয়। এমন পোশাক নির্বাচন করো, যা পরে আরামসে সহজ-সাবলীল থাকা যায়, সহজে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।
ঘোরাঘুরির সময় একটু হইহুল্লোড়, ছোটাছুটি হবে না, তা কি হয়। তাই খেয়াল রাখো তোমার পোশাকটি যাতে শরীর থেকে ঘাম শোষণ করে নিতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় সঙ্গে সুতি, লিনেন ফেব্রিকসকে প্রাধান্য দিলে। ঘোরাঘুরির সময়ে একদম আঁটসাঁট পোশাক পরিহার না করাই ভালো। কারণ, এসব কাপড়ে হাঁটাচলায় কষ্ট হয়। তাই ভালো হয় ঢিলেঢালা হালকা পোশাক। তবে অতিরিক্ত ঢিলেঢালা নয়, মানানসই পোশাক পরতে হবে, যা তোমাকে দেবে আরাম আর স্বস্তি।

মানানসই পোশাক
আরামকে প্রাধান্য দিয়ে কোন ধরনের পোশাক নিতে হবে, আশা করছি সে ধারণা পেয়ে গেছো। এবার আসছি কোন জাতীয় পোশাক সঙ্গী করতে পারো সেটা নিয়ে। আগেই বলেছি আরামদায়ক পোশাক নিতে হবে। তুমি চাইলে যেকোনো পোশাক পরেই ঘুরতে পারো। তবে এমন কোনো পোশাক নির্বাচন করা উচিত নয়, যেটায় তোমার হাঁটাচলায় সমস্যা তৈরি করে। টি-শার্ট, ফতুয়া, কামিজ, কুর্তি, টপস, শার্ট পরতে পারো ভ্রমণের সময়ে। এসব পোশাক পরলে স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করতে পারবে। এসব পোশাক পরে পাহাড়ি বা দুর্গম এলাকায় বেড়াতে গেলেও কোনো সমস্যা হবে না চলাফেরায়।
বাঙালির ঐতিহ্য শাড়ি। দেশের বাইরে গেলে শাড়ি নিতে ভুলবে না। শাড়িতে ছবি তুললে অনেক ভালো ছবি আসে। এ জন্য শাড়ি নিতে পারো। তবে এটা ঠিক, শাড়ি পরে বেশিক্ষণ চলাফেরা করা অসুবিধা হয়। আর অনেকেই শাড়ি পরতে পারে না। তাই ভ্রমণের পোশাকের তালিকা থেকে শাড়ি বাদ দাও, যদি অভ্যাস না থাকে।

আবহাওয়া
ঘোরাঘুরি করার আগে বিবেচনা করে নাও যেখানে যাচ্ছ সেখানকার আবহাওয়া কেমন। আবহাওয়াভেদে নিয়ে নাও পোশাক। দেশের ভেতরেও কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্য বিবেচনা করতে হবে। এই যেমন ঢাকায় সাধারণত যে তাপমাত্রা, সিলেটে কিন্তু তার চেয়ে অনেক কম তাপমাত্রা। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে নেট ঘেঁটে জেনে নাও যেখানে যাবে সেখাকার আবহাওয়া কেমন। ঠান্ডা থাকলে সঙ্গে রাখো গরম জামাকাপড়। ঠান্ডার তীব্রতা বেশি থাকলে একটু ভারী পোশাক নেওয়াই ভালো। আর গরমের সময় কোথাও গেলে ফ্যাশনেবল সুতি পোশাক রাখতে পারো।

পোশাকের রং
পোশাকের ধরনের পাশাপাশি রং নিয়েও ভাবতে হবে যখন বাক্স-পেটরা গোছাও। ভারী, রংচঙা, জবরজং কাপড় না নেওয়াই ভালো। বাদামি, কালো ও খাকি রঙের প্যান্ট, পালাজো, স্কার্ট সঙ্গে রাখতে ভুলো না। কারণ, এ রংগুলো অন্য প্রায় সব রঙের টি-শার্ট বা শার্টের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ওড়না বা স্কার্ফ পরলে সাদা, কালো, মেরুন অথবা নীল বেছে নিতে পারো। কারণ এ রঙের স্কার্ফগুলো খুব ভালোভাবে মানিয়ে যায় অন্য রঙের সঙ্গে। বেড়াতে গেলে ছবি তোলা হবেই। তাই কমলা, লাল, নীল, মেরুন ও সবুজ এ রঙের পোশাক সঙ্গে রাখতে পারো। এগুলোয় ছবি ভালো আসে।

ছবি : সংগৃহীত
তথ্য সুত্র: ওপরাহ ডেইলি

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইবিদেশভ্রমণ ফাইল

নীল সাগরের উপাখ্যান

করেছে Wazedur Rahman এপ্রিল ১২, ২০২০

মালদ্বীপ! আহা, নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্ফটিক স্বচ্ছ বিস্তীর্ণ নীলাভ জলরাশি আর তার বুকে জেগে থাকা শ্বেতশুভ্র বালুকা আর সমুদ্রের টানে হেলে পড়া নারিকেল বীথিকাপূর্ণ একেকটি ছোট্ট ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জ। এই নীল-সাদার অপূর্ব কাব্যে কার না হারায় মন?

দেশ পরিচিতি

শ্রীলঙ্কা থেকে আনুমানিক ৪০০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ১ হাজার ১৯২টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। যার মধ্যে ২০০টি বাসযোগ্য। পানি অত্যন্ত পরিষ্কার। নীল বর্ণের পানি। দেশটির আয়তন ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। সর্বমোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার। মুদ্রার নাম হলো মালদিভিয়ান রুপিয়া। খুব ভালো মানের পরিবহনব্যবস্থা ও প্রশস্ত রাস্তা। যানজট একদম নেই। হাঁটার জন্য আলাদা ফুটপাত রয়েছে। মানুষের গায়ের রং বাংলাদেশের মানুষের মতোই।

অনেকাংশেই ছেলেদের চুল বড় বড় ও দাড়ি বড় বড়। সবাই ইংরেজি বুঝতে পারে ও বলতে পারে। এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে হলে ফেরি ছাড়া উপায় নেই। আয়তন কম হওয়ায় তুমি একটি মাত্র হোটেলে থেকেই পুরো মালদ্বীপ ঘুরে দেখতে পারবে। তুমি ডিসকভারি চ্যানেলে সামুদ্রিক যে সৌন্দর্য দেখেছ তা নিজ চোখে দেখতে চাইলে মালদ্বীপে তোমাকে স্বাগত।

ইতিহাস

মালদ্বীপের ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুবই প্রাচীন। সংস্কৃত শব্দ দ্বীপমালা শব্দ থেকেই মালদ্বীপ। আবার কারও কারও মতে, মালদ্বীপ হচ্ছে দ্বীপরাজ্য। কারও কারও ভাষায় এটি মহলদ্বীপ। মহল অর্থ প্রাসাদ। দ্বাদশ শতক থেকেই মালদ্বীপে মুসলিম শাসন। ১১৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ইবনে বতুতা মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছিলেন।

১১৫৩-১৯৫৩ অবধি (৮০০ বছর) ৯২ জন সুলতান নিরবচ্ছিন্নভাবে শাসন করেন দ্বীপটি। বিভিন্ন সময়ে পর্তুগিজ ও ব্রিটিশরা পর্যটক হিসেবে, কখনো কখনো বাণিজ্য কুঠি স্থাপন, কখনো ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য এখানে আসে। ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই মালদ্বীপ ব্রিটিশদের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৬৮ সালে সালতানাতে মালদ্বীপ থেকে রিপাবলিক মালদ্বীপে পরিণত হয়।

যা যা লাগবে

  • পাসপোর্ট (ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
  • বিমান টিকিট (অবশ্যই রিটার্ন টিকিটসহ)
  • হোটেল বুকিং (যে কয় দিন থাকবে সব দিনের জন্য, এক দিনের জন্য করলে জবাবদিহি করতে হয়)
  • পর্যাপ্ত ডলার (১০০০ ডলার বা তার বেশি)
  • চাকরি বা ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স রিটার্ন ইত্যাদি)
  • ভিসা লাগে না। তুমি সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট আসার পর অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবে।

এগুলোর একটিও যদি বাদ যায় তাহলে তোমাকে ইমিগ্রেশন থেকে ফেরতও যেতে হতে পারে। তাই খুব যত্নসহকারে সব জিনিস সঙ্গে রাখবে। কাগজের ফটোকপি সঙ্গে রাখবে প্রমাণ হিসেবে।

খরচ কেমন

এটি বলা আসলেই মুশকিল। কারণ, একেকজন একেক টাইপের খরচ করে। তবে মনে রাখবে যে, একজন হলে খরচ বেশি পড়ে। দুজন হলে কিছুটা সাশ্রয় হয়। যেমন হোটেল রুম ভাড়া দুজনের জন্যও, একজনের জন্যও সমান। তবে জেনে রাখা ভালো যে মালদ্বীপ তুমি এক রাতে লাখ টাকা সহজেই খরচ করতে পারবে। কারণ, অনেক অনেক আইল্যান্ড আর লাক্সারি সব রিসোর্ট, যা প্রতিদিন ২০০০ ডলার বা তারও বেশি আছে।

তোমাকে হিসাব করে করে বের করতে হবে কোনটা সাশ্রয়ী। তুমি যদি রিসোর্টে রাতে থাকতে চাও, তাহলে অহেতুক খরচ অনেক বেশি। একটা হোটেলে থাকবে ও রিসোর্টে শুধু ডে পাস প্যাকেজ নিয়ে যাবে, তাহলে খরচও কম হবে আর দেখতে পারবে সবকিছু।

বিমান টিকিট

জনপ্রতি শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস রিটার্ন ফ্লাইটসহ ৪০ হাজার টাকার মতো। কমবেশি হতে পারে।

হোটেল বুকিং

দুজনের থাকার জন্য প্রতি রাতের খরচ ৬৬ ডলার অন এভারেজ। ব্রেকফাস্টসহ। তো সব মিলিয়ে তুমি যদি জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা (বিমান ভাড়া) ও প্রতিদিনের জন্য ১০০ ডলার বাজেট রাখো তাহলে বেশ ভালোমতোই থাকতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে মনে রাখবে, যত বেশি রাইড ও রিসোর্ট নেবে ততই খরচ বাড়বে যার কোনো শেষ নেই। সেটা তোমার ওপর নির্ভর করে।

 

আরও একটা কথা বলে নেওয়া ভালো যে, এখানে এসে আসল সৌন্দর্য হলো রিসোর্ট ভ্রমণে, যা অনেক ব্যয়বহুল। যদি সর্বমোট জনপ্রতি দেড় লাখ ও কাপলদের জন্য দুই লাখ টাকার নিচে তোমার বাজেট থাকে, তাহলে অন্য দেশের কথা ভাবো। মালদ্বীপ একটি বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট হওয়ার খরচ অনেক বেশি। তবে অনেক সুন্দর একটি দেশ।

ডলার

নগদ ডলার তুমি এজেন্সি থেকে এনডোর্স করিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশে এয়ারপোর্ট থেকে। অথবা ক্রেডিট কার্ডও এনডোর্স করিয়ে নিতে পারবে ব্যাংক থেকে। তুমি চাইলে বিভিন্ন ব্যাংকের ট্রাভেল কার্ড নিতে পারো। তবে মনে রাখবে, ক্যাশ এর প্রাধান্য বেশি দেয় ইমিগ্রেশনে। তাই ক্রেডিট কার্ড নিলেও অন্তত ৫০০ ডলার ক্যাশ নিতে ভুলবে না।

 

খাবারদাবার

তুমি যদি সি ফুড ও মাছ পছন্দ করো তাহলে তো তোমার জন্য স্বর্গতুল্য হবে। নানান রকম মাছ পাওয়া যায়। তা ছাড়া খাবারদাবারও বেশ ভালো। বাংলাদেশিদের কোনো সমস্যা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দামও হাতের নাগালের মধ্যে। তবে বাংলাদেশ থেকে একটু বেশি।

হানিমুন হিসেবে মালদ্বীপ

এককথায় দারুণ। তুমি যদি হানিমুনে আসো তাহলে ইমিগ্রেশনে বেশ ছাড় পাবে। কারণ, সদ্য বিবাহিতরা তো আর এখানে থাকতে আসবে না। তারা ঘুরে আবার চলে যাবে। তাই এটি একটা প্লাস পয়েন্ট। আর তুমি যদি ভিসা ছাড়া কোনো দেশে ঘুরে ইউরোপের ফিল পেতে চাও, তাহলে মালদ্বীপ অত্যন্ত উপযুক্ত একটি জায়গা।

 

দেশটি ছোট হলেও উন্নত ব্যবস্থা তোমাকে মুগ্ধ করবে। তুমি যদি হুলেমাল নামক স্থানের বিচ প্যালেস নামক হোটেলে থাকো তাহলে বাংলাদেশি আতিথেয়তায় থাকতে পারবে। বউ নিয়ে সন্ধ্যাবেলা ফ্রিতে সাগরপারে আড্ডা দিতে পারবে। আহা কি যে অনুভূতি!

লেখা: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘুরে বেড়াইদেশবিদেশভ্রমণ ফাইল

বিদেশ ভ্রমণের খুঁটিনাটি

করেছে Wazedur Rahman এপ্রিল ৫, ২০২০

দেশের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার মজা যেমন অনেক বেশি, তেমন ঝক্কিও। তারপর যদি সেটা হয় ঈদের মৌসুম, তাহলে তো কথাই নেই। আরও হ্যাপা যুক্ত হয় নিজেরা সব ব্যবস্থাপনা করলে। তবে কয়েকটা বিশেষ ব্যাপার খুব মন দিয়ে মিলিয়ে নিলে কিছুটা স্বস্তি তো মেলেই।

সমুদ্রসৈকতে স্টাইল মিটার

সি-বিচে বেড়াতে গেলে আগেই ব্যাগে গুছিয়ে নিতে পারো বড় হ্যাট আর শেডস। কয়েক ধরনের শেডস থাকলে পোশাকের সঙ্গে তা ম্যাচিং করে পরতেই পারো। স্টাইলও হবে, রোদ থেকেও রেহাই। অ্যাকসেসরিজ বলতে হালকা আর ট্রেন্ডি অ্যাঙ্কলেট, টো রিং, ড্যাংলারস পরতে পারো। তবে মেটালের অ্যাকসেসরিজ জলের কাছে না নেওয়াই ভালো।

সি বিচ মানেই মন ভালো করা একরাশ হালকা ফুরফুরে হাওয়া। তাই পোশাকও যেন হয় ঢিলেঢালা। লং ম্যাক্সি ড্রেস, প্রিন্টেড শর্ট লেংথ জাম্প সুট, কিমোনো, কাপ্তান…খুশিমতো বেছে নিতে পারো। তবে প্রতিটি ড্রেস ক্যারি করার মতো আত্মবিশ্বাস থাকে যেন। সাহস থাকলে মোনোকিনি বা বিকিনিও পরতে পারো। সুতির শর্টস বা ডেনিম শর্টসের সঙ্গে বডি হাগিং ট্যাঙ্ক টপ বা স্প্যাগেটি ম্যাচ করাও।

রাতের পার্টির জন্য চেনা শর্টস-টপেই নতুন টুইস্ট দাও। নিয়ন রঙের টপের সঙ্গে সিকুইনড বা এমবেলিশড শর্টস পরো।
ভাববে না, ছেলেদের জন্য কোনো মাথাব্যথা নেই। লিলেন শার্ট, ফ্লোরাল প্রিন্টেড শার্ট, সঙ্গে চিনোস সমুদ্রসৈকতে ছেলেদের জন্য আদর্শ পোশাক। শর্টস অবশ্যই পরতে পারো। তবে অনেক হোটেলে ছেলেদের শর্টস পরে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই সেই ঝক্কি এড়াতে একটু লম্বা ঝুলের ট্রাউজার্স সঙ্গে রাখতে পারো।

জুতো: সি বিচে ফ্লিপফ্লপের বিকল্প নেই। রাতের পার্টির জন্য ক্যারি করতে পারো গ্ল্যাডিয়েটর।

পাহাড়ে স্টাইল চেক

পাহাড়ি জায়গায় বেড়াতে গেলে জিনস সঙ্গে রাখতেই হবে। ঠান্ডাও প্রতিরোধ করে, আবার হাঁটাচলায় সুবিধাও হয়। ট্রেঞ্চকোট, বম্বার জ্যাকেট শীতের জন্য জরুরি। আবার স্টাইলের জন্যও পারফেক্ট। বিভিন্ন রঙের স্কার্ফ বা মাফলার সঙ্গে রাখবে। তাহলে সেগুলো ব্যান্ডানা বা খুশিমতো হেডগিয়ার করে পরতে পারবে। গ্লাভস অবশ্যই সঙ্গে রাখবে।

শীতের পোশাকের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে আলাদা করার প্রশ্ন নেই। মেয়েরা ডার্ক শেডের লিপস্টিক আর কাজল ক্যারি করতে পারো। আলাদা করে অ্যাকসেসরিজ দেখানোর তো সুযোগ থাকে না। তবে সোয়েটারের সঙ্গে ম্যাচিং করে স্টাইলিশ নেকপিস পরতে পারো।

জুতো: পাহাড়ে ওঠার জন্য ভালো জুতো খুব জরুরি। ভালো ব্র্যান্ডের কনভার্স ব্যবহার করবে। বরফে হাঁটার জন্য স্পেশাল জুতোও পাওয়া যায়।

জঙ্গলের গাইড বুক

জঙ্গলে পরার জন্য এমন ম্যাটেরিয়ালের পোশাক বাছবে যা আর্দ্রতা শুষে নেয়। মাথা ঢেকে জঙ্গলে ঘোরাই ভালো। সে ক্ষেত্রে টুপি সব সময় আদর্শ না-ও হতে পারে। ব্যান্ডানা বা অন্য কোনো হেডগিয়ার পরতে পারো। জোঁক যাতে না ধরে, তার জন্য জোঁক-প্রতিরোধী মোজা পরবে। তাই বলে সব জঙ্গলে যে ঘুরতে গেলে সেটা লাগবে, এমন নয়। শীতকালে জঙ্গলে সাফারির সময়ে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কথা মাথায় রাখবে।

জুতো: ওয়াকিং বুটস জঙ্গলের জন্য মাস্ট। তবে আগে থেকে পরে সড়গড় হয়ে যাওয়া ভালো। বুটস পরে গেটার্স পরলে আরও ভালো। তাহলে হাঁটুর নিচ থেকে বুটসের ওপরের অংশও ঢাকা থাকবে।

মনে রাখবে, যেখানে বেড়াতে যাচ্ছ, সেখানকার আবহাওয়া বুঝে যদি পোশাক না পরো, তবে বেড়ানোর অর্ধেক মজাই মাটি। কোনো রকম বিড়ম্বনা এড়াতে আগেভাগেই শপিং সেরে ফেলো।

নজর থাকুক গ্ল্যামার ও কমফোর্টে

কেমন পোশাক পরবে ঘুরতে গিয়ে? সঙ্গে রাখো সানগ্লাস ও ছাতা। বেড়াতে যাবে বলে ট্রলিব্যাগ তো গুছিয়ে ফেলেছ। কিন্তু জামা-জুতোর শপিং কি ঠিকমতো করেছ? পোশাক নির্বাচন কিন্তু শুধু স্টাইলের জন্য নয়। পোশাকের একদিকে আছে যেমন কমফোর্টের প্রশ্ন, অন্যদিকে জায়গা বুঝে পোশাক পরার তাগিদও। শীতের জায়গায় বেড়াতে গিয়ে নিশ্চয়ই শর্ট স্কার্ট পরে ঘুরবে না। তাই যেখানে যেমন, সেখানে তেমন। সমুদ্রসৈকত, পাহাড় বা জঙ্গল যেখানেই যাও, জায়গা বুঝে পোশাক বাছবে। এবং তার সঙ্গে মানানসই জুতো।

বেড়াতে গিয়ে রূপচর্চা

সমুদ্র বা পাহাড়, যেখানেই যাও সানস্ক্রিন মাস্ট। কয়েকটি ডি-ট্যান শিট মাস্ক সঙ্গে রাখতে পারো। যে কোনো জায়গায় নানা শেডের লিপস্টিক সঙ্গে রাখো। শীতের জায়গায় হ্যান্ডক্রিম আর ময়শ্চারাইজার ক্যারি করবে।

  • সবচেয়ে জরুরি টাকাপয়সা। দেশে বা এয়ারপোর্টে বা বিদেশে পৌঁছে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করা যায়। তবে ইন্টারনেটের সাহায্যে বর্তমান এক্সচেঞ্জ রেট বা বিনিময় মূল্যটি নিজে জেনে নেবে।
  • প্লাস্টিক মানির যুগে প্রচুর টাকা সঙ্গে না নিয়ে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড রাখা যায়। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলো কাজ করে কি না, তা রওনা হওয়ার আগে জেনে নেবে। না হলে খুব সহজ পদ্ধতিতেই তা সক্রিয় করিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে কার্ডে সরাসরি পেমেন্ট করলে অতিরিক্ত চার্জ কিন্তু কাটবে।
  • পাসপোর্ট কখনো কাছছাড়া করা যাবে না। অবশ্য ভিনদেশে বন্ধু থাকলে তার জিম্মায় রাখতে পারো। তবে রাস্তাঘাটে বিপদে পড়লে ওটাই ভরসা। পাসপোর্টের প্রথম ও শেষ পাতা এবং ভিসার পাতার ফটোকপি সঙ্গে রাখলে ভালো। হোটেল এবং অন্যত্র তা জমা দিতে হতে পারে।
  • নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ সংস্থা কিংবা সম্ভব হলে নিজেরা ভিসা করাবে। হোটেল ও ফ্লাইট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও সে কথা প্রযোজ্য। বিদেশে পৌঁছানোর পরে যদি দেখা যায় ভিসা বা বুকিংয়ের কাগজ জাল, তখন কিছু করার থাকে না।
  • যে দেশে যাচ্ছ, তার ভিসার জন্য স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক কি না, তা আগে থেকে দেখে রাখবে। দরকারমতো কাজটা সেরে নেবে।
  • যেখানে বেড়াতে যাচ্ছ, সেই জায়গা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য নিজে জেনে রাখবে। তাতে সব দিক থেকেই সুবিধা। এ ব্যাপারে গাইডবুক ছাড়াও সহায়ক হতে পারে বিভিন্ন ব্লগ। দল বেঁধে বেড়াতে গেলে কাউকে অন্ধ অনুসরণ করা উচিত নয়।
  • ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ের খরচ বিপুল। তাই গন্তব্য দেশে পৌঁছে সেখানকার সিমকার্ড নিয়ে নেওয়াই ভালো। তা ছাড়া প্রায় সব হোটেলেই ওয়াই-ফাই থাকে। হোয়াটসঅ্যাপেই কল সেরে নিতে পারো।
  • যে দেশে বেড়াতে যাচ্ছ, সে দেশে যে অ্যাপগুলো লাগতে পারে, সেগুলো আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখবে। যেমন ক্যাবসংক্রান্ত অ্যাপ, গুগল ম্যাপ বা গুগল ট্রান্সলেট।
  • মাল্টিপল অ্যাডাপ্টার সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। বিশ্বের একেক দেশে প্লাগের ধরন একেক রকম। অ্যাডাপ্টার না থাকলে কোনো প্লাগপয়েন্টই হয়তো ব্যবহার করতে পারবে না।
  • মালপত্র হিসাব করে নেবে। ফ্লাইটে লাগেজ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা আছেই। আর একগাদা লটবহর নিয়ে চলাফেরা করাও অসুবিধার কারণ হতে পারে।
  • সবচেয়ে জরুরি, প্ল্যানিংয়ের পরে বা ব্যাগ গোছানোর আগে চেকলিস্ট তৈরি করে ফেলা। মনে রাখা দরকার, বিদেশে গিয়ে যদি কখনো পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে ঠিক কোন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। প্রথমেই দেখা করতে হবে দূতাবাসে। সেখানে বৈধ ভ্রমণ নথি হিসেবে দেওয়া হয় একটি ইমার্জেন্সি সার্টিফিকেট বা আপৎকালীন শংসাপত্র। তার সাহায্যে সেই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করা যায়। এবং সেটা দেখিয়েই নতুন পাসপোর্ট জোগাড় করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে, এই সার্টিফিকেটে মাত্র একবারই দেশে ফেরার সুযোগ পাবে।

লেখা: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook