রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

ভালো থাকার ভালো খাবার

জীবনবিশেষ রচনাভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

সুস্বাস্থ্য রমজানে

করেছে Suraiya Naznin এপ্রিল ২৬, ২০২২

নাজমুল হুদা খান

রমজানে শরীরের রক্তকণিকাসহ বিবিধ ধাতব পদার্থে পরিবর্তন ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে শরীরের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। রোজার সময় রক্তের সুগার, চর্বি, রেচনক্রিয়ায় নিঃসৃত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্রোলাইটসমূহেও প্রভাবিত করে। এ ছাড়া শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ, মস্তিষ্ক ও হার্টের বিভিন্ন অসুখও নিয়ন্ত্রণে রাখে-

 

 

রমজান সংযম, সহিষ্ণুতা, আত্মত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস। এ মাসে মুসলিম সম্প্রদায় আল্লাহর নির্দেশনা পালন, নৈকট্য লাভ ও আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য মাসব্যাপী রোজা পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আত্মা ও মানসিক পরিশুদ্ধতা লাভ, ত্যাগের মহিমায় গড়ে ওঠার প্রত্যয়ী অনুশীলন যেমন সাধিত হয়; ঠিক তেমনি মানবদেহের বিভিন্ন তন্ত্রে বহুবিধ ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয় বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে। রোজার সময় শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে অভিযোজন ঘটে। শরীরের তরল অংশের ভারসাম্য রক্ষার্থে রেচনতন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র এবং খাদ্য, পরিপাকতন্ত্র প্রভৃতিসহ সংশ্লিষ্ট হরমোন, এনজাইমসমূহে পরিবর্তন সাধিত হয়, যা মানবদেহকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। রমজানে শরীরের রক্তকণিকাসহ বিবিধ ধাতব পদার্থে পরিবর্তন ঘটে, যা পরে শরীরের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। রোজার সময় রক্তের সুগার, চর্বি, রেচনক্রিয়ায় নিঃসৃত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্রোলাইটসসমূহেও প্রভাবিত করে। এ ছাড়া শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ, মস্তিষ্ক ও হার্টের বিভিন্ন অসুখও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে যেসব শারীরিক অসুস্থতা রোজা রাখার কারণে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসব ক্ষেত্রে রোজা না রাখার বিধান রয়েছে।

 


আমাদের দেশে রমজানের শুরুতেই নানা রকম খাবারদাবারের ধুম পড়ে যায়। রোজার সময়ের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল এবং চিরায়ত খাদ্যাভ্যাস আমাদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা খাদ্য পরিস্থিতি, বাজার, এমনকি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়।
রোজার সময় ১২-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়াদাওয়া থেকে নিবৃত থাকতে হয় সত্যি; তবে ইফতার, রাতের খাবার, সেহিরসহ তিনবেলাই খাবার আমরা গ্রহণ করে থাকি। সুতরাং শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রেখে খাবার ও মেনু নির্বাচন করলে একদিকে দৈহিক ও মানসিক কষ্ট ছাড়াই যেমন রোজা রাখা যায়, তেমনি পুরো মাসই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

ইফতার : সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে একসঙ্গে অনেক খাবার গ্রহণের প্রবণতা থাকে আমাদের। ইফতারিতে আমাদের মূলত নজর থাকে মুখরোচক খাবার : পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, শিঙাড়া, সমুচা, মোগলাই, ফুচকা, চটপটিসহ নানা ধরনের ভাজাপোড়া, টক ও ঝাল খাবারের দিকে; যা সহজেই পেটফাঁপা, বদহজম, বমি বমি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। তাই ইফতারের সময় খেজুর, নানা ধরনের দেশীয় ফল, নাশপাতি, আঙুর, সফেদা, ডালিম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, দই, চিড়া, গুড়, মধু ইত্যাদিও থাকতে পারে ইফতারের মেনুতে। শরীরের সহজাত পানির ঘাটতি পূরণেও বাজারে নানা রকম পানীয় সহজলভ্য। এদের বেশির ভাগই নানা ধরনের রং, ঘ্রাণজাত সামগ্রীর মিশ্রণে তৈরি; যা শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করে। তাই পানির ঘাটতি পূরণে সাধারণ পানি, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, ডাবের পানি, তরমুজ, বাঙ্গি, মাল্টা, আনারস, খেজুর, আনারের জুস ইত্যাদি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। মোটকথা আমাদের মনে রাখতে হবে, ইফতারের খাবার হতে হবে নরম, সহজে হজমযোগ্য, পুষ্টিকর, অতিরিক্ত তেল ও নানা ধরনের মসলাবর্জিত।

 

রমজানে রাতের খাবার : ইফতারের পর এশা ও তারাবিহর পরপরই আমাদের রাতের খাবার গ্রহণের প্রস্তুিত শুরু। খাবারের বিরতিটা স্বল্প হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষুধা না-ও পেতে পারে। তাই রাতের খাবারটা হালকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। খাবারের পর থেকে সেহ্রির সময়ের ব্যবধানটিও খুব একটা বেশি নয় এবং বেশির ভাগ সময়টা ঘুমেই কেটে যায়। তাই রাতের খাবারে অল্প পরিমাণ ভাত, ভর্তা, শাকসবজি, মাছ ও পাতলা ডালই হতে পারে উৎকৃষ্ট মেনু। মাছের পরিবর্তে মাংসও থাকতে পারে। ভাতের পরিবর্তে রুটি বা খিচুড়িও খাওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, রাতের খাবার পরিমাণে বেশি হলে বদহজম, পেট ফেঁপে থাকা, অ্যাসিডিটি ও ঘুমের ব্যাঘাত ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেহরি : সারা দিন অর্থাৎ ১২ থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে এই ভেবে আমাদের সেহরি কিছুটা সেহরি খাওয়ার প্রবণতা থাকে; আবার অনেকে সেহরিতে কিছু খান না; কেউ কেউ হালকা পানীয়, ডিম বা ফল খেয়ে সেহরি সেরে ফেলেন। এসব ক্ষেত্রে অনেকের ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টিই কাজ করে থাকে। সেহরি অতিরিক্ত কিংবা কিছু না খাওয়া দুটিই সঠিক পন্থা নয়। সেহরিতে সুস্বাস্থ্য, পুষ্টিকর এবং পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। সেহরিতে মেনুতে ভাত, সবজি, সালাদ, ডিম বা মুরগির মাংস ইত্যাদির সঙ্গে এক গ্লাস দুধ কিংবা খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এ সময়ও ঝাল, তৈল চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। তা না হলে সারা দিন বদহজম, পেট ফেঁপে থাকাজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোজায় বর্জনীয় : রোজার ইফতারের তালিকায় আমাদের ঘরে ঘরে ভাজা পোড়া, ফাস্ট ফুড, হালিম, ফুচকা, চটপটিসহ নানা ধরনের ঝাল, অতিরিক্ত তেল ও মসলাজাতীয় খাবার থাকে। রোজা রাখার ফলে আমাদের শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন প্রক্রিয়া বিশেষভাবে খাদ্য ও পরিপাকতন্ত্র এবং রেচনতন্ত্রের কার্যক্রমে যে পরিশুদ্ধতার সুযোগ থাকে এসব খাবারে তা ব্যাহত হয় এবং রোজাকে কষ্টকর করে তোলে। রোজায় চিনি, চিনিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, চা কিংবা কফি না খাওয়া শরীরের পক্ষে ইতিবাচক। কারণ, চিনিজাতীয় খাবার কোষে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়; কফি শরীর থেকে আরও পানি শুষে নেয়। ফলে রেচনতন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যতা বিনষ্ট করে।

শরীরকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা ইবাদতেরই একটা অংশ। আত্মসংযমের এই রমজান মাসে শরীরকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর, উপাদেয়, সহজে হজমযোগ্য খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় পান করার বিষয়ে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।

 

লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খান, এমফিল, এমপিএইচ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
সহকারী পরিচালক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
কুর্মিটোলা, ঢাকা।

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

করোনাকালে জরুরি যেসব খাদ্যাভ্যাস

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

দিন যত যাচ্ছে, অমিক্রন বেড়ে চলেছে ততটাই। বলতে গেলে ঘরে ঘরেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। নিজে সচেতন থাকাটাই জরুরি এ সময়ে। তবে করোনাকালে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাটা খুব দরকার। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ ফারজানা রহমান কান্তা

রোগমুক্ত থাকার প্রধান উপায় হলো সুষম খাদ্য। এখন প্রতিদিন সুষম ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। সেটি যেন সম্পূর্ণ রূপে সেদ্ধ হয়, কারণ কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাবারেই প্যাথোজেন বেশি বাসা বাঁধে। দীর্ঘক্ষণের কাটা ফল ও সালাদ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। ফল খাওয়ার আগে তা আপেল সিডার ভিনেগার বা উষ্ণ গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে ভালো। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ কাটাতে জরুরি। এ-জাতীয় খাবারের তালিকায় রাখতেই হবে কলা, তিল, সানফ্লাওয়ার সিড, কুমড়ার বীজ, ব্রকলি, বেবিকর্ন ইত্যাদি। তবে শরীরে পটাশিয়াম যাতে বেড়ে না যায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

 

ঘরবন্দী সময়ে বেশি পদ রান্না না করে একটাই এমন পদ রান্না করতে হবে, যার মধ্যে সব পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে। তাই মাছের ঝাল বা কষা মাংসের পরিবর্তে বেছে নিতে হবে সবজি দিয়ে মাছের ঝোল। সারা দিনে প্রচুর পানি খেতে হবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। দিনে একটি ডাবের পানি খেতে পারো। পাশাপাশি দিনে দুবার করে লেবুর পানিও খেতে পারো, পানিতে পুদিনাপাতা, শসা ইত্যাদি দিয়ে খেলে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পাবে। প্রতিদিন খাবারে টক দই রাখার চেষ্টা করতে হবে, যাতে রয়েছে উপকারী প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া, পেটের গোলযোগ রুখতে এর জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনে একবার হলেও উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ইমিউনিটি বুস্টিং ওয়াটার খেতে হবে, যা তৈরি করা যাবে খুব সহজে, রান্নাঘরের সহজলভ্য জিনিস দিয়েই। যেমন হলুদ, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচি, লং, তেজপাতা, আদার রস, তুলসী পাতা ইত্যাদি দিয়ে। যাদের জরুরি কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে, সারা দিনে একটা করে সাইট্রাস ফল খেলে, সঙ্গে খান প্রচুর পানি ও সালাদ।

বাদ দিতে হবে যেসব খাবার
কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, টোব্যাকো (জর্দা, তামাক, সাদাপাতা, খয়ের) যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাধা দিয়ে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, অস্বাস্থ্যকর সব ধরনের খাবার।

 

প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর খাবারগুলো
রসুন : রসুন যে শুধু খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করে তা নয়, বরং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ফলে সর্দি-কাশির হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়। ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ানাশক গুণ থাকে রসুনে।

আদা : ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই উপাদান। আদা আক্ষরিক অর্থেই একটি সুপারফুড। আদা ইনফ্লেমেশন কমায় ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি বমি ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

চিয়া বীজ : ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব বীজের তুলনায় চিয়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে উদ্ভিজ প্রোটিন পাওয়া যায়।

গ্রিন টি ও মাচা টি : মাচা টি আসলে গ্রিন টির গুঁড়া। আবার কফির বিকল্পও বটে। ভিটামিন, মিনারেল, ট্রেস এলিমেন্ট, মুক্ত র‌্যাডিক্যালসমৃদ্ধ। গ্রিন টি ও মাচা টি সর্দি, কাশির সঙ্গে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন সি : শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আমলকী : কয়েক শতাব্দীজুড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপাদান হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমলকী। এতে আছে ভিটামিন সির প্রাচুর্য, যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই শ্বেত রক্তকণিকা অসংখ্য জীবাণুর সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি আমলকী জোগায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

কমলা : এতেও আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জোর বাড়ায়। কোষকে সংক্রামক ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ইমিউন সেল’ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি।

পেয়ারা : ভিটামিন সি তো আছেই, পাশাপাশি সর্বোচ্চ পুষ্টিকর ফলের তালিকায় প্রথম সারির সদস্য পেয়ারা। কমলায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তার থেকে চার গুণ বেশি থাকে পেয়ারায়।

হলুদ : ‘কারকিউমিন’ হলো হলুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর অস্ত্র। ‘কারকিউমিন’ প্রদাহনাশক গুণসম্পন্ন। ভাইরাসের আক্রমণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা আসলে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টিকারী ‘মলিকিউল’-এর কারণে হয়। আর সেই ‘মলিকিউল’ ধ্বংস করাই হলো ‘কারকিউমিন’-এর কাজ। এ ছাড়া ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতিও কমায় এ উপাদান।

তুলসী : ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তুলসী একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ। খালি পেটে দুই থেকে তিনটি সতেজ তুলসী পাতা খেতে পারলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।

গোলমরিচ : ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ উপাদানসমৃদ্ধ এই গোলমরিচ। আরও রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে প্রাকৃতিকভাবে তা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

প্রোটিন : প্রোটিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বাড়ায়, রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এই মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখতে উন্নত মানের প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল থেকে পাওয়া যাবে প্রোটিন।

ভিটামিন বি১২ : শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার ও ডিমে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি রয়েছে সামুদ্রিক মাছে, শাকসবজি, ডিমে। এ ছাড়া দিনের কিছুটা সময় রোদে কাটানো উচিত।

জিঙ্ক : শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। বাদাম, শিম, দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।

 

ফারজানা রহমান কান্তা
ডায়েট ও অবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট
ডায়েট ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট, প্রেসক্রিপ্সন পয়েন্ট লিমিটেড

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
ভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

ঘরে ঘরে সিজনাল ফ্লু

করেছে Suraiya Naznin ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

ডা. লুনা পারভীন

সব বাবা-মায়ের একই অভিযোগ, বাচ্চার জ্বর কেন কমছে না, কাশি কেন কমছে না, বাচ্চা কিছু খাচ্ছে না, ওজন কমে যাচ্ছে। ফ্লু এবং কোভিড-১৯-এর উপসর্গ একই রকম হওয়ায় ফ্লুর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কও দেখা যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। করোনাভাইরাসের মতো এই রোগেও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং এর উপসর্গও সর্দি-জ্বরের উপসর্গের মতোই।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯ ভাগ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়, যাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হয়ে থাকে।

সিজনাল ভাইরাস জ্বর বা ফ্লু-

কী কী হয়?

ক্স টানা জ্বর ৩ থেকে ৫ দিন থাকবে
ক্স সহজে কমবে না
ক্স ওষুধ দিলে সাময়িক কমে আবার বেড়ে যাবে
ক্স বেশি জ্বরে বমি হতে পারে।
ক্স কাশি সহজে কমবে না
ক্স নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া বা নাক বন্ধ থাকা
ক্স বুকে ঘরঘর শব্দ হওয়া বা কাশতে কাশতে বমি করা
ক্স খেতে না পারা বা ওজন কমে যাওয়া।

কী কী করবে?

ঘরোয়া চিকিৎসায়

ক্স বাচ্চার গা মুছে দেবে, ঘাম জমতে দেবে না, গোসল দেবে।
ক্স ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যেন থাকে, ঘর ভ্যাপসা গরম হয়ে যেন না থাকে।
ক্স প্রচুর পানি, তরল, স্যুপ জাউ শরবত ডাবের পানি খাওয়াবে।
ক্স নাক পরিষ্কার রাখবে এবং নাকের ড্রপ দিয়ে নাক খোলা রাখার চেষ্টা করবে
ক্স আদা লেবু চা, মধু, মসলা চা, তুলসী পাতার রস বয়স অনুযায়ী খাওয়াবে।
ক্স একটু বড় বাচ্চাদের বালিশে হেলান দিয়ে বসিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে বলবে যেন শ্বাসকষ্ট কমে
ক্স বাচ্চার আশপাশে কেউ ধূমপান করবে না। চুলার ধোঁয়া, কয়েলের ধোঁয়া, ধুলাবালি, গোসলের পানি ঘাটা বন্ধ করতে হবে।
ক্স হঠাৎ করে গরম থেকে ঠান্ডা বা ঠান্ডা এসি থেকে বাইরের গরমে যাওয়া যাবে না। হুট করে আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা খাবার খাওয়াবে না।
ক্স যা খাচ্ছে তাই বমি করা, পেটব্যথা, তীব্র মাথা ও চোখব্যথা, দাঁতের মাড়ি, হাত-পায়ের তালু লাল হয়ে যাওয়া, পায়খানা, পেশাব বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া ডেঙ্গুর লক্ষণ। এমন হলে নিকট হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

ওষুধপত্র
ক্স অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ক্স জ্বর ১০০ বা এর বেশি হলে জ্বরের সিরাপ ছয় ঘণ্টা পরপর খাওয়াবে। ১০২ বা বেশি হলে, পায়খানার রাস্তায় সাপোজিটরি দেবে, একটা দেওয়ার ৮ ঘণ্টার আগে আরেকটা দিতে পারবে না তবে ৪ ঘণ্টা পর সিরাপ খাওয়াতে পারবে।
ক্স নাকের ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার রাখবে।
ক্স বেশি শ্বাসকষ্ট বা কাশি হলে নেবুলাইজ করবে।
ক্স মুখে খেতে না পারলে, প্রস্রাব কমে গেলে, নিশ্বাস ঘনঘন নিলে, শ্বাসকষ্ট হলে, খিঁচুনি হলে নিকট হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

 

ডা. লুনা পারভীন
শিশু বিশেষজ্ঞ, বহির্বিভাগ
ঢাকা শিশু হাসপাতাল

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীদেহ ও মনবিনোদনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মধুমিতার ফিটনেস রহস্য

করেছে Suraiya Naznin ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

রোদসী ডেস্ক-

পর্দায় তিনি পাখি নামে পরিচিত। তবে বাস্তবেও তিনি পাখির মতোই। তাকে নিয়ে সবার খুব আগ্রহ। ফিটনেস কিভাবে ধরে রাখেন তিনি। তবে কী খাওয়া-দাওয়া একেবারেই করেন না? আজ বলবো মধুমিতার ফিটনেস চার্ট নিয়ে-

 


মধুমিতার অভিনয়ে মুগ্ধ অনেকেই। কী খেয়ে সারা ক্ষণ এত প্রাণবন্ত থাকেন তাদের প্রিয় নায়িকা, তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই মধুমিতার অনুরাগীদের মধ্যে।

মধুমিতার রোজকার খাদ্যাভ্যাসের তালিকা-

সকাল

শ্যুটিং না থাকলে মধুমিতা খানিক বেলায় উঠতেই পছন্দ করেন। ঘুম থেকে ওঠার পর গ্রিন টি-র কাপে চুমুক দেন। সঙ্গে থাকে তাঁর পছন্দের বিস্কুট।

প্রাতরাশ

বিশেষ ভারী কোনও খাবার মধুমিতার সকালের খাবারে থাকে না। দু’টি ডিম সেদ্ধ এবং মৌসুমী দু’-একটি ফলই তার খাবারে বরাদ্দ।

দুপুরের খাবারে

বাড়িতে থাকলে মধুমিতার দুপুরের খাবারে থাকে অল্প পরিমাণ ভাত, বেশ খানিকটা সব্জি আর মাছ। শ্যুটিংয়ে থাকলে মধুমিতা দুপুরে খান বেকড চিকেন, কখনও বা বেকড ফিশ। মাঝে মাঝে ছাতুর শরবতও খেয়ে থাকেন তিনি।

সন্ধ্যের খাবারে

মধুমিতা একেবারেই খাদ্যরসিক নন। ছোট থেকেই খাবারের প্রতি তার ভীষণ অনীহা। তবে ফুচকা খেতে ভীষণ ভালবাসেন। সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন ফুচকা খেতে। ফুচকা ছাড়াও আরও একটি খাবার মধুমিতার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তা হল ‘ডায়নামাইট চিকেন’। মধুমিতার কাছে আসলে ওটা ‘চিলি চিকেন’। কারণ ওটাতে চিকেন আর লঙ্কা ছাড়া আর কিছুই থাকে না।

নৈশভোজে

ঘড়ির কাঁটা ৮টায় পৌঁছনোর আগেই মধুমিতা তাঁর রাতের খাওয়া সেরে নেন। নৈশভোজে বিশেষ কোনও বিধিনিষেধ তাঁর নেই। ভাত, রুটি হোক বা বাড়িতে তৈরি বিরিয়ানি, রাত ৮টার আগে কিছু একটা খেয়ে নেন তিনি।

 

শরীরচর্চা

নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটাতে পছন্দ করেন না তিনি। জিমের বদলে ঘাম ঝরাতে বাবার সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলতেই বেশি পছন্দ করেন মধুমিতা। অভিনয়ের প্রয়োজনে মার্শাল আর্টেরও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মধুমিতার মতে, ওজন কমানোর জন্য যে সব সময়ে ব্যায়াম, যোগ অথবা জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং কেউ যদি নাচ করতে বা সাঁতার কাটতে ভালবাসেন, সেটাই নিয়ম করে করা উচিত।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

সকালে যা খাওয়া উচিত

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ২৪, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

সুস্থ শরীর পেতে খাবার খুব গুরুত্ব রাখে। বিশেষ করে সকালের খাবার। কারণ রাতের খাবারের পর থাকে দীর্ঘসময়ের বিরতি। এই বিরতির পর পেট খালি থাকা অবস্থায় সঠিক খাবার খেলে সারাদিনের হজম প্রক্রিয়া যেমন ঠিক থাকে তেমনি সতেজ রাখাবে দিনভর। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে সবচেয়ে অবহেলা করা হয় সকালের খাবারেই। তাই সুন্দর জীবনের জন্য সকালের জন্য সময় বের করে নিতে হবে।

 

শুকনো নয় ভেজানো বাদাম
বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। সকালে এই খাবার খেলে পুষ্টি জোগাবে আর বাড়াবে মুখের রুচি। তবে শুকনো বাদামের চেয়ে ভেজানো বাদামের পুষ্টিগুণ বেশি। কারণ বাদাম পানিতে ভেজালে পুষ্টিগুণ বাড়ে। কারণ কাঠ বাদামে ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। এছাড়া এর বাদামি আবরণে ট্যানিন নামক উপাদান যা পুষ্টি শোষণ করে নেয়। আর ভেজা বাদামের খোসা খুলে গিয়ে পুষ্টি বের হয়। আর কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-থ্রি, ওমেগা-ছিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই গোটা কয়েক কাঠ কিংবা কাজু বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিলে খালি পেটে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

পানির সঙ্গে মধু
মধুর রয়েছে ঔষধি গুণ। সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। একচামচ মধু ঠান্ডা ও কাশির সমস্যা কমায়। এর অ্যান্টিসেপ্টিক গুণের কারণে পাকস্থলীর মিউকাসের নিঃসরন ঘটায় ফলে জ্বালাপোড়া মুক্ত করে। এটি শরীরের ভেতর বিশেষ করে যকৃৎ পরিষ্কার রাখে। সকালে পানির সাথে মধুপানে ওজনও কমায়।

সেদ্ধ ডিম
ডিমে পর্যাপ্ত পুষ্টি থাকে। সবভাবে ডিম খাওয়া যায়। তবে সকালে খালি পেটে একটি সেদ্ধ ডিম শরীরে সারাদিনের ভালো পরিমাণের ক্যালরি যোগায়। এছাড়া এটি ফ্যাটও দ্রুত ঝরায়। কারণ শরীরে ক্যালরির তেমন একটা চাহিদা থাকে না।

 

গোটা কয়েক খেজুর
খেজুরে দ্রবণীয় আঁশ প্রচুর পরিমানে থাকা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো । ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যেও সম্যস্যা হয় দূর। তাই দিনের শুরুটা গোটা কয়েক খেজুর দিয়ে শুরু করা যায়। ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে পাকস্থলীকে কম খাবারে উদ্ধুদ্ধ করায় মুটিয়ে যাওয়া রোধ করে। এটি রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চারের পাশাপাশি হৃৎপিন্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এর প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম যা হাড়কে মজবুত করে। দ্রুত শক্তি জোগায়। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।

প্রতিসকালে একটি আপেল
আপেল ভীষণ উপাদেয় একটি খাবার। আপেলে থাকা সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার শরীর থেকে ক্ষতিকরাক টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর প্রোবায়োটিক উপাদানে পেকটিন থাকায় অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে অর্থ্যাৎ পেট ব্যথা, পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে। তাই প্রতি সকালে একটি করে আপেল খাদ্যতালিকায় রাখলে বেশ উপকারী।

এক কোয়া রসুন
রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি ভাইরাল গুণ সমৃদ্ধও। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেয়ে নিলে ত্বক সুন্দর থাকার পাশাপাশি মিলবে আরও অনেক উপকার।

 

জেনে নিই
ভরপেট নয় সকালে খেতে হবে হালকা নাশতা। আর ঘুম থেকে উঠেই খেতে বসে ঘন্টা দুয়েক পর খেতে হবে। কারণ ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর জাগ্রত হতে কিছুটা সময় নেয়। কোনভাবেই মুচমুচে খাবার খাওয়া ঠিক নয় কারণ এতে পেট ফেঁপে গিয়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে। কোমল পানীয়ও ত্যাগ করতে হবে তা না হলে খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। এছাড়া সকালের খালি পেটে লেবু গ্যাসট্রিক হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় প্রবলভাবে। তাই লেবুজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.এই সংখ্যায়ভালো থাকার ভালো খাবার

রমজানে কী খাব কী খাব না

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ১৫, ২০২১

দেখতে দেখতে রমজান চলে এল। এবার গরম থাকবে ভীষণ। সে জন্য খাবারে সচেতন থাকতে হবে অনেক বেশি। করোনা পরিস্থিতি এখনো অনুকূলে আসেনি। আবার বাড়ছে ভয়াবহতা। রমজানের খাবার পরিকল্পনায় এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে। তবে কী খাবে আর কী খাবে না, তা নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে।

রমজান মাসে সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অত্যধিক চিনিযুক্ত খাবার ও অতিমাত্রায় তেল-চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। অবশ্যই অতিভোজন থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে তুমি এক মাসে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে, তা সারাতে অনেক মাস লেগে যাবে। রমজানেও আমরা সুষম খাদ্য (ব্যালান্সড ডায়েট) গ্রহণ করতে ভুলব না। সুষম খাদ্য বলতে এমন এক ধরনের খাদ্যকে বোঝায়, যাতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান সঠিক মাত্রায় বিদ্যমান থাকবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও পানি। রমজান মাসে ভাত, মাছ, সবজি, ফলমূল ইত্যাদি বাদ দিয়ে যদি পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি, কাচ্চি, ভাজাপোড়া খাবার, মিষ্টি, খিচুড়ি, ফিরনি, পায়েস ও মন্ডা-মিঠাই ইত্যাদি খাদ্যের প্রতি বেশি ঝুঁকে যাই, তবে শাকসবজি, ফলমূল, ভাত-রুটি ও ফাইবারজাতীয় খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কমে গিয়ে, সুষম খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে। তার মানে এই নয়, রমজানে আমরা ইফতারের মজাদার খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকব।

তবে এসব মজাদার খাদ্য অবশ্যই স্বল্প মাত্রায় গ্রহণ করব এবং রাতের খাবার ও সেহেরীতে প্রয়োজনীয় শাকসবজি, ফলমূল, মাছ-ভাত অবশ্যই গ্রহণ করব। দুধ-দধিও পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে। এ মাসে রোজা রাখার ফলে অনেকেই কাজকর্ম কমিয়ে, ঘুমের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেলে এবং অনেকেই নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলে। এটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। রোজার সময় প্রত্যেককে তার কর্মতৎপরতা বজায় রেখে রোজা পালন করতে হবে। তবে হাঁটা ও ব্যায়ামের সময়সূচি পরিবর্তন করে নিতে পারো। ছাদে বা একটু বড় বারান্দায় বিকেলে হাঁটাহাঁটি ও হালকা ব্যায়াম করতে পারো। তবে শরীর অত্যধিক ঘেমে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, এমন ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে।

ইফতারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত যেসব খাবার
যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে, যেমন পানি, জুস, শরবত, খেজুর, কলা, পেঁপে, শসা, ক্ষীরা, কাঁচা ছোলা, ভেজা চিড়া, খিচুড়ি, পায়েস, মিষ্টি, হালিম, কাঁচা ফলমূল ইত্যাদি।
রোজার সময় প্রতিদিনের খাবারের তালিকা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তবে পানি বেশি করে খাওয়া উচিত।
রাতে ও সাহ্্রির সময় বেশি করে পানি, ভাত, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম একটু ঝোল কওে খেতে পারো। তবে বেশি মসলা ও তেল-কষানো তরকারি খাওয়া উচিত নয়। ইফতারে স্যুপজাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।
শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ভাজাপোড়া, শুকনো খাবার ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে খেলেও কম খাওয়া উচিত। কারণ, এ-জাতীয় খাবার বুকে জ্বালাপোড়া, বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি করে।

রোজা রেখে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে দূরে থাকো। বেশি পরিশ্রমের ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পরিমাণমতো খাবে। রোজায় যেসব খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়, সেসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
ইফতারে খেজুর তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং পানি দেহকে রিহাইড্রেট করে।
পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। কেননা, সাত-আট ঘণ্টার কম ঘুম তোমার রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে।
সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে পানি কম খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ইফতারের সময় থেকে সাহ্রির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি খাবে।

রোজায় ধূমপান থেকে দূরে থাকো এবং ধূমপান না করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চা-কফি পান না করাই মঙ্গল। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। চা-কফির স্থলে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করো। যারা ডায়েট করে, রোজায় খাবারের পরিমাণ সীমিত বলে তাদের ডায়েট করার প্রয়োজন নেই। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করতে হবে। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।


প্রতিদিন যারা ব্যায়াম করে, তারা রোজায় ব্যায়ামের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে সকালে ব্যায়াম না করে ইফতারের কিছুক্ষণ পর আধা ঘণ্টা করতে পারো। রাতে বা সাহ্রির সময় নিয়মিত হাঁটাচলা ভালো।
ইফতার, সাহ্ররি ও ইফতারের পরবর্তী সময়ে প্রচুর বিশুদ্ধ পানি খাওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশেষজ্ঞরা অন্তত ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি খাওয়ার কথা বলে থাকেন। সুতরাং ইফতারের আগেই পানি পরিশোধনকারী মেশিনে যথেষ্ট পরিমাণ পানি জমিয়ে রাখতে হবে। একবারে খুব বেশি পানি পান না করে, অল্প অল্প করে বারবার খাও। নয়তো অস্বস্তি বোধ হতে পারে। অনেকেই আছে, যারা শুধু পানি খেতে পছন্দ করে না, তারা পানির সঙ্গে লেবু কিংবা বিভিন্ন ফ্লেভার মিশিয়ে খেতে পারো। আরও কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলো জিরো-ক্যালরি ভিটামিন অথবা ফ্রুট ওয়াটার।

ফল এবং সবজি তোমাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করবে। অনেকেই আছে, যারা সঠিক খাবার ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবে রমজানের প্রথম দিনগুলোয় কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হয়।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

এই গরমে

করেছে Sabiha Zaman মে ১৭, ২০২০

দিনের পর দিন তাপমাত্রার গ্রাফ শুধু ঊর্ধ্বমুখীই হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসের জন্য হাহাকার। বৈশাখের এই দিনগুলোতে নিজেকে ফিট রাখতে একটু কৌশলী হতেই হবে।

এমন প্রচণ্ড গরমে কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পেটের সমস্যা এর অন্যতম। তাই গরমের দিনে একটু বুঝেশুনেই খাওয়াদাওয়া করতে হবে। তেলে বা ঘিয়ে ভাজা খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া ভালো। এগুলো হজমে সমস্যা করে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। মাংস কম খেয়ে পাতে বেশি করে নিতে হবে মাছ। সকালে খাওয়া যেতে পারে রুটি, সবজির মতো হালকা খাবার। দুপুর ও রাতের খাদ্যতালিকায় খিচুড়ি, পোলাও বাদ দিয়ে সাদা ভাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। কর্মজীবী মানুষের জন্য এই তীব্র গরম বেশ বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। একদিকে চলাফেরার কষ্ট, অন্যদিকে আছে পছন্দসই খাবারের সংস্থান। কর্মজীবীদের অনেকেই ‘স্ট্রিট ফুড’ বা ‘জাংক ফুডের’ ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাস্তাঘাটের এসব খাবার খোলা পরিবেশে তৈরি হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি থাকে। দেখা যায়, সকালে বানানো খাবার বিক্রি হয় রাতেও। এই দীর্ঘ সময়ে পচনশীল এসব খাবারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এতে করে খাদ্য পরিপাকেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাস্তার ধারের খাবার যারা বেশি খায়, তাদের সারা বছরই পেটের পীড়া থাকে। এসব খাদ্যে বিষক্রিয়াও হয়। এ জন্য এসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। তবে যারা নিরুপায়, তাদের গরম খাবার বেছে খেতে হবে। ঠান্ডা, বাসি খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। প্রচণ্ড গরমে অবধারিতভাবেই শরীর ঘামে।

এতে করে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও ইলেকট্রোলাইট চলে যায়। ফলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানি ও ইলেকট্রোলাইটের অভাব পূরণ করতে পানীয় পানের বিকল্প নেই। তাই বলে রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া শরবত খাওয়া যাবে না। কারণ, এসব পানির বিশুদ্ধতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি শরবত বানানোও হয় অস্থাস্থ্যকরভাবে। এতে করে ভাইরাল হেপাটাইটিসের সংক্রমণ হতে পারে।

যদি সম্ভব হয়, তবে ঘরে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখতে হবে। পরিমিত পরিমাণে স্যালাইনও খাওয়া যেতে পারে। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে বুঝেশুনে স্যালাইন খেতে হবে। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি পানীয়র চেয়ে ডাবের পানি, লেবু, বেলসহ বিভিন্ন ফলের শরবত খাওয়া ভালো।

যেমন পোশাক
ছোট আর হালকা-পাতলা পোশাক পরলেই যে গরমকে বশ করা যাবে, তেমনটা কিন্তু নয়। গরমে আরও একটু ফুরফুরে হতে বেছে নাও সঠিক কাপড় ও টেক্সচার।

 যদি মনে করো, ডেনিমের প্যান্টটি তোমাকে গরমে স্বস্তি দেবে, তবে ভুল ভাবছ। পোশাকের ছোট আকারের জন্য হয়তো খোলামেলা হতে পারবে, কিন্তু তাতে গরম লাগা কমবে না। গরমে সত্যি সত্যি ঠান্ডা থাকতে চাইলে বেছে নাও লিলেন বা সুতির প্যান্ট।
 জুতা বাছার ক্ষেত্রে বেছে নাও রঙিন হাওয়াই স্যান্ডেল বা ফ্লিপফ্লপ। খোলামেলা হওয়ায় আরাম পাবে এতে। কিন্তু সস্তার হাওয়াই পরবে না। ঘামে ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


 ওয়ান পিস ডেনিমকে ‘না’ বলো। ডেনিম বা জিনস জিনিসটিকে আলমারিতে তুলে রাখো। গরমের জন্য ডেনিম নয়। ডেনিম শীতের সময়ের জন্য। গরমে ডেনিম পরে নিজেকে কষ্ট দেবে না।
 মোজার ক্ষেত্রেও চুজি হতে হবে। হালকা সুতির মোজা বেছে নাও। সাদা হলে সবচেয়ে ভালো।
 ফুলহাতা পোশাক পরতে পারো। এতে হাতে ট্যান পড়বে না। তবে শিফন বা সিল্কের ফুল স্লিভ এড়িয়ে চলাই ভালো। পিওর কটন বা লিলেন পোশাকের দিকে ঝুঁকে যাও এই গরমে।

কিছু পরামর্শ
 বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে অবশ্যই একটা ছাতা রাখতে হবে। শুধু রাখলেই হবে না, রাস্তায় বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাতা মেলে মাথায় ধরতে হবে।
 রোদে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আমাদের আবহাওয়ায় সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ ৩০-এর ওপর হলে বেশি ভালো হয়।
 এই সময়, বিশেষ করে মেয়েরা প্রসাধনী কম ব্যবহার করবে। বেশি প্রসাধনী মুখের ওপর ভারি আবরণ তৈরি করে। আর তখনই গরমও বেশি লাগে।

 বাচ্চাদের শরীরেও খুব বেশি পাউডার না দেওয়াই ভালো। তবে শরীর বারবার মুছে দাও। ঠান্ডার সমস্যা না থাকলে দিনে দুবার অন্তত গোসল করাতে পারো।
 গরমের দিনে বেশি মসলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। মসলাদার খাবার শরীরকে বেশি গরম করে রাখে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক
ছবি : ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.গ্রুমিংচলন বলনজীবনযাত্রাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

ডায়েটে এই ভুল কখনোই নয়

করেছে Sabiha Zaman মে ৬, ২০২০

ডায়েট করতে ফাইট দিতে হয় নিজের সঙ্গে। তার মানে এই নয়, ভুলভাল আর না খেয়ে থাকার মহড়া। নিজেকে ফিট আর হিট দেখাতে ডায়েট করতে হবে সঠিক পথে।

জীবনে এক-দুবার ডায়েট আমরা অনেকেই করেছি। ওভারওয়েট যাদের তারা তো বছরের বেশির ভাগ সময় এই ডায়েট, সেই ডায়েট ফলো করতে করতেই কাটিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়। কোনো কারণে ওজন একটু বেড়ে গেল তো শুরু হয় বিশেষ অভিযান। এক সপ্তাহে ৫-১০ কেজি ওজন কমানোর ভয়াবহ ক্রাশ ডায়েট!


এর ফলাফল? শুরু হয় চুল পড়া। মুখ আর শরীরের ত্বক কুঁচকে নির্জীব হয়ে যাওয়াসহ গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটির মতো ঝুট-ঝামেলা। তখন আবার শুরু হয় মাথায় ক্যাস্টর অয়েল আর মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম মাখা আর ফেসিয়ালের হিড়িক। স্কিন আর হেয়ারকেয়ার তোমার ত্বক আর চুলের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখতে করা যায়। তার ওপরে, এটা খুবই ধৈর্যের কাজ। এখন একটু বলো তো, তুমি যদি ফুড হ্যাবিট কন্ট্রোল না করে ৮-১০ কেজি ওজন বাড়িয়ে তারপর চরম অধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আবার ১ সপ্তাহে ১০ কেজি ওজন কমানোর চেষ্টা করো, তাহলে কেমন হয়?
প্রথমত, এই চক্করে তোমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কোনো খাবার না পেয়ে নির্জীব হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, মাথার চুল উঠতে শুরু করে। তৃতীয়ত, শরীরের চামড়ার জৌলুশ হারাতে থাকে। তোমরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে ওজন কমানোর কসরত করে চলেছ, তাদের জন্যই এই ফিচার। দেখে নাও ডায়েটের কোন ভুলগুলো আজীবনের জন্য তোমার স্বাস্থ্য আর সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে।

শর্করা একদম বাদ দিও না যেন
শর্করা আমাদের দেহের সবচেয়ে দরকারি খাদ্যের একটি। তোমার যদি নিয়মিত ভাত বা রুটি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে ক্রাশ ডায়েটের চক্করে এক দিনেই সব খাওয়া বাদ দেবে না যেন। তাতে হঠাৎ করেই দুর্বল লাগবে। ব্লাডপ্রেশারে ওঠা-নামাও হতে পারে। ডায়েটে গেলে রোজ এক কাপ লাল চালের ভাত বা দুটি লাল আটার রুটি খাও।
চিনিও দরকারি
না না, চামচ ভর্তি করে চিনি খেতে বলছি না। আমাদের মস্তিষ্ক পুরোপুরি গ্লকোজের ফুয়েলে চলে। গ্লুকোজ আমরা পাই চিনি বা অন্য কোনো শর্করার সোর্স থেকে। মস্তিষ্ক যাতে ঠিকমতো কাজ করতে পারে আবার ডায়েট প্ল্যানও যাতে ধ্বংস না হয়, সে জন্য বিভিন্ন ফল, মধু ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখো।

খেয়ে হবে বারবার
এই বদভ্যাস অনেকেরই আছে। এক বেলা না খেয়ে মনে করে নিশ্চয়ই ওজন এক কেজি কমে গেছে! কিন্তু তুমি যত কম খাবে, শরীর তত বেশি ফ্যাট জমা করবে। তোমার না খেয়ে থাকার অভ্যাসের জন্য শরীর বুঝতে পারবে না যে পরে সে আবার কখন খাবার পাবে। সঙ্গে সঙ্গে কমবে মেটাবলিজম। যে কারণে অনেক ডায়েট করেও ওজন কমাতে পারবে না। মেটাবলিজম হার ঠিক রাখার জন্য সারা দিনের খাবার সমান ভাগ করে ৬ ভাগে খাও। ২-৩ ঘণ্টার বেশি কিছু না খেয়ে থাকবে না।


কথার ফাঁদে পা নয়

অনেকেই স্লিমফাস্ট, স্লিমক্যাল আর বিভিন্ন স্লিমিং টি আর ক্যাপসুল খেয়ে ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে ১০-১৫ কেজি ওজন কমানোর স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এসবের বেশির ভাগই হয় কোনো ধরনের লাক্সাটিভ (যা বারবার মলত্যাগে বাধ্য করে)। এতে তোমার শরীর তুমি যা খাও তা থেকে দরকারি পুষ্টি পায় না। এতে করে খুব দ্রুত চুল পড়তে থাকে আর স্কিন নষ্ট হয়ে যায়। লং টার্ম সাইড ইফেক্টে বন্ধ্যত্ব আর কিডনি ফেইলিওর হওয়া খুবই কমন। তাই আরেকবার ভেবে দেখো, এক সপ্তাহে ওজন কমানোর জন্য তুমি কি তোমার কিডনি দিতে পারবে? জানি ফিল্মি শোনাচ্ছে কিন্তু যারা কিছু না জেনে মনের আনন্দে টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাচ্ছো, তাদের আর কোনোভাবে কিছু বোঝানো যায় না।

ডায়েট প্ল্যান খেয়াল করে
অনেকে আছে ফেসবুকে বা যেখানে যে ডায়েট প্ল্যান পায় সঙ্গে সঙ্গে সেটা ফলো করা শুরু করে। মনে রাখবে, একেকজনের শরীর একেক ধরনের। তোমার শরীরে কী সমস্যা? এই প্রশ্ন যতজনকে করবে, সবাই কি একই উত্তর দেবে? ‘অমুকের কাছে শুনে এই ডায়েট করছি’ বা ‘তমুকে বলেছে এটায় নাকি কাজ হয়’ এসব চিন্তা একদম বাদ। তোমার মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে, কোনো ডায়েটেশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট বা ডাক্তারের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলে সঠিক সিদ্ধান্ত নাও। গুগল করেও ডায়েট প্ল্যান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।


লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনপ্যারেন্টিংভালো থাকার ভালো খাবারসুস্থ মন

শিশু কিছু খেতে চায় না

করেছে Wazedur Rahman মে ৩, ২০২০

একটি শিশুকে তিলে তিলে বড় করতে হলে বাবা-মাকে কত দায়িত্বই যে পালন করতে হয়, তা হিসাব করে শেষ করা যাবে না। শুধু দায়িত্ব পালনেই শেষ নয়, রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণাও ভোগ করতে হয় কখনো কখনো। আর এই মানসিক যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপারগুলোর মধ্যে একেবারে অন্যতম হচ্ছে শিশুর খেতে না চাওয়ার বায়না। ডা. তানজিনা আল্-মিজান।

শিশু কিছু খেতে চায় না এই সমস্যাটি যেন এখন একেবারে নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাবা-মায়ের এই নালিশ এখন খুবই চেনা। কিন্তু বাচ্চা কিছু খেতে চাচ্ছে না অথবা খায় না এই সমস্যাটির সমাধান করার আগে জানতে হবে তার কারণ। অর্থাৎ তার কোনো শারীরিক সমস্যার জন্য খেতে চাচ্ছে না নাকি বাবা-মায়ের অতিরিক্ত সচেতনতার ফলাফল এই না খেতে চাওয়া।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে প্রত্যেক বাচ্চাই আলাদা। অনেকে একেবারে বেশি পরিমাণ খেতে পারে, অনেকে আবার বারবার অল্প পরিমাণ খেতে পারে। তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা করে বাচ্চা কতটা খাবে, সেটা ঠিক করা বন্ধ করতে হবে।

কোনো বাবা-মায়ের যদি মনে হয় বাচ্চা কম খাচ্ছে বা কিছু খেতে চাচ্ছে না, তাহলে অবশ্যই শিশু ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তবে কিছু বিষয় লক্ষ করতে হবে। যেমন, বাচ্চাদের বয়সের সঙ্গে ওজনের একটা সামঞ্জস্য থাকতে হয়। যদি সেটা ঠিক থাকে তাহলে অযথা চিন্তা করার দরকার নেই। আবার বাচ্চার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উচ্চতা, স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা এবং বাচ্চা প্লে ফুল কি না সেটাও খুবই জরুরি বিষয়। এগুলো যদি ঠিক থাকে, তবে বুঝতে হবে বাচ্চার শারীরিক সমস্যা নেই এবং তার খাবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

 

আমাদের দেশের মানুষজন খুব সহজেই কৃমির দ্বারা আক্রান্ত হয়। কাজেই নির্দিষ্ট সময় পরপর ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটিতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, বাচ্চারা মাঠে ধুলাবালিতে খেলাধুলা করে। কাজেই বাচ্চাদের কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কৃমির আক্রমণের কারণে শিশুর খাবারে অরুচি হয়।

আবার কৃমি হলে বাচ্চাদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং খাদ্যের অরুচির জন্য শিশুদের ভিটামিনের অভাবও হয়। এই আয়রন ও ভিটামিনের অভাব হলে বাচ্চাদের মেজাজ খিটখিটে হয় এবং শিশু কিছু খেতে চায় না। বিরক্ত করে।

শিশুর পেট যখন দীর্ঘ সময় খালি থাকবে অথবা এটা-সেটা খাবে, তখন পেটে গ্যাস তৈরি হবে। ফলে বাচ্চা খেতে চাইবে না। এই ডিজিটাল যুগে বাচ্চাদের জাংক ফুড আসক্তি এখন তুঙ্গে। আর এই জাংক ফুড অর্থাৎ চিপস, বার্গার, চকলেট এগুলো ক্ষুধামন্দা করার অন্যতম চাবি। কাজেই এগুলো থেকে বাচ্চাদের যত দূর সম্ভব দূরে রাখতে হবে।

আরেকটি ব্যাপারে খুব গুরুত্ব দিতে হবে, আর সেটি হলো বাচ্চার খাদ্য রুটিন। প্রতিদিন পোলাও দিলেও কিন্তু আমাদের ভালো লাগবে না। অর্থাৎ একই খাবার প্রতিদিন দিলে সে বিরক্ত হতে বাধ্য। বাচ্চার খাবারের একটি প্ল্যান করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। বাচ্চাদের রোজ একধরনের খাবার না দিয়ে মাঝেমধ্যে একটু বদলে দিতে হবে। ব্রেকফাস্ট সারা দিনের সবচেয়ে জরুরি খাবার। মনে রাখতে হবে বাচ্চার ব্রেকফাস্ট যেন হেভি ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট এগুলো যেন সকালের নাশতায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

বিকেলে একদিন সবজির স্যুপ দিলে অন্য দিন বিস্কুট দিলেই বাচ্চার খাবারের ইচ্ছা তৈরি হবে অর্থাৎ মনোটোনাস ভাব যেন না আসে। উইনিংয়ের সময় অর্থাৎ ছয় মাস পার হলেই কিন্তু মনে রাখতে হবে, তখন বাচ্চা আর দুই ঘণ্টা পরপর খাবে না। কারণ, তখন সে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারও খাচ্ছে। কাজেই তখন যদি বাবা-মা দুই ঘণ্টা অন্তর বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে শিশু কিন্তু খেতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। এই সময় বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় বাড়াতে হবে এবং বাড়ির খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চার খাবার মানেই একেবারে ট্যালটালে বা সেদ্ধ খাবার বানাতে হবে তার মানে নেই। বাড়িতে তৈরি পরিষ্কারভাবে তৈরি হলেই যথেষ্ট।

বাচ্চাদের সব সময় আলাদা করে খেতে দিতে হবে এমন নয়। বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে খেতে দিলে বাচ্চারা ভালো খায়। সব সময় বাচ্চাকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খেতে দিলে বাচ্চা খেতে চাইবে না। বাচ্চা কোনো খাবার খেতে না চাইলে জোর না করে তখন খাওয়ানো বন্ধ রেখে কিছুক্ষণ পর খাওয়ালে বরং সে খাবে।

অনেক সময় সে কি খেতে চায় এসব তার কাছে শুনে নিয়েই মেনু তৈরি করা যেতে পারে। বাচ্চা মেইন মিলের পূর্বে কোনো স্ন্যাকস যেন না খায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আস্তে আস্তে বড়দের ফিডিং প্যাটার্নেই বাচ্চাদের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভালো।

এই দিকগুলো খেয়াল করতে পারলে শিশু কিছু খেতে চায় না এই অতিপরিচিত সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই হবে। যদি এরপরও সমস্যা মনে হয় তবে শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোনোভাবেই শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা করা যাবে না।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাভালো থাকার ভালো খাবার

এনার্জি ড্রিংকে বিপদ

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ২৭, ২০২০

পানিতে অরুচি এলে সঙ্গে থাকা পানীয়র বোতলটিই ভরসা জোগাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। আর এতেই বিপদ দেখছেন চিকিৎসকেরা।
গরমে শরীর নাজেহাল। শক্তিক্ষয় রুখে চাঙা হতে হাতের কাছে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরছে এনার্জি ড্রিংককে। শীতল হতে কেউ কেউ মিশিয়ে নিচ্ছে বরফ, আবার কেউবা দিনে দু-তিনবার বরফটরফ ছাড়াই চুমুক দিচ্ছে এনার্জি ড্রিংকে। ক্লান্তি কমে কিছুটা শক্তিও আসছে বটে। এ অভ্যাসের দাস একা এ দেশ নয়, বরং গোটা বিশ্বেই ছবিটা কমবেশি একই। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-ও এই পানীয়জনিত বিপদ সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন। তবে শুধু ছোটরা নয়, সব বয়সের জন্যই এই পানীয় ক্ষতিকর।
কেন বিপদ

 

পুষ্টিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, একটি ৩৩০ গ্রাম এনার্জি ড্রিংকের বোতলে প্রায় ১০ শতাংশজুড়ে থাকে সুগার ও ক্যাফিন। এর জেরে ওবেসিটি, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও মানসিক অস্থিরতার সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ সব ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু ভয়ের কারণ।

নতুন সমীক্ষা বাড়াচ্ছে ভয়
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর নতুন সমীক্ষা শঙ্কা জাগানোর জন্য যথেষ্ট। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩৪ জন সুস্থ মানুষের ওপর তিন দিন গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন এক লিটার বা তার বেশি এই ধরনের পানীয় যারা খায়, তাদের রক্তচাপ সুস্থ মানুষের থেকে বেড়ে যায়। একই সঙ্গে হৃৎস্পন্দনের গতিও স্বাভাবিক থাকে না।

প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির অধ্যাপক সচিন এ শাহ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ‘শুধু ক্যাফিন নয়, এই ধরনের পানীয়তে টাওরিন (একধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড), গ্লুকুরোনোল্যাকটোন জাতীয় বহুবিধ উপাদান থাকে। এই পানীয়গুলো যত কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল।’

 

এ প্রসঙ্গে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর কুমারের মতে, ‘এনার্জি ড্রিংক থেকে শরীরে অতিরিক্ত চিনি প্রবেশ করে। এ ধরনের পানীয়তে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপার্টেম মজুত থাকে, যা ডায়াবেটিস ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তার সঙ্গে প্রিজারভেটিভ যুক্ত থাকার দরুন শরীরে বাসা বাঁধে নানা চর্মরোগের জীবাণু, লিভারের ওপরেও সরাসরি কুপ্রভাব বিস্তার করে এসব উপাদান। তাই পানি, ডাবের পানি, লবণ-মধুর পানি, লেবু-মধু পানি এসব খেয়েই গরমে চাঙা থাকতে পারো।’

তার মতে, এনার্জি ড্রিংক হিসাবে অনেকে ঠান্ডা পানীয়তেও চুমুক মারে। সেটাও খুব ক্ষতিকর। এতেও অতিরিক্ত চিনি থাকে। তা ছাড়াও এরা শরীরে পানির চাহিদা তৈরি করে শরীরকে শুষ্ক করে দেয়। তাই এনার্জি ড্রিংক, ঠান্ডা পানীয় সবই এড়িয়ে চলো।

বাংলাদেশের বাজারে দেদার বিক্রি হওয়া বেশ কিছু এনার্জি ড্রিংক ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে নরওয়ে ও ডেনমার্কের মতো দেশ। ব্রিটেনে শিশুদের কাছে এ ধরনের পানীয় বিক্রি রীতিমতো নিষিদ্ধ।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook