রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

ভালো থাকার ভালো খাবার

অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

শীতকালীন সবজী সংরক্ষণ পদ্ধতি

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৯, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

ঋতুর পালাচক্রে শীতের আবহ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। আর কিছুদিন পরেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। শীতের কনকনে ঠাণ্ডা একদিকে জনজীবনে প্রভাব ফেললেও এই মরশুমে পাওয়া খেজুরের রস, টাটকা শাক-সব্জীর কোন তুলনাই হয়না। উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কলা-কৌশলের জন্য সারা বছরই কিছু সবজীর যোগান থাকলেও দামের দিক থেকে এগুলো অনেক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে থাকে। তাই এখনই সময় শীতকালীন সবজী সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। এই ব্যাপারে কিছু টিপস আসো জেনে নিই।

গাজর

সারা বছর রঙিন শাক-সব্জী খাওয়া শরীর ও আত্মার জন্য খুবই পুষ্টিকর। গাজর সবচেয়ে বহুমুখী অভিযোজিত সবজী। এগুলো স্যুপ, ফ্রাইড রাইস, সালাদ এবং ডেজার্টের একটি মূল উপাদান এবং তুমি এগুলো নাস্তা হিসেবে কাঁচা খেতে পারো। ভিটামিন এ-তে ভরপুর এই আইটেম যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারো তবে এর আয়ুষ্কাল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। এটি দ্রুত ভিজে ও নিস্তেজ হয়ে যায়। এর কিছু সহজ স্টোরেজ কৌশল রয়েছে যা তোমাকে গাজরের দীর্ঘায়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্ভাব্য খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনতে পারে।

-সমস্ত গাজর ফ্রিজে একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিৎ, হোক সেটা আস্ত, খোসা ছাড়ানো বা কাটা যাই হোক না কেন।

-আস্তভাবে গাজর রাখতে চাইলে তা কোনভাবে পানিতে ধোয়া যাবেনা, যদিনা তা ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকে। কারণ পানির সংস্পর্শে আসলে তা নষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এরপর এর মাথার কাছে সবুজ পাতা থাকলে তা ছেঁটে দিতে হবে। তা না হলে এটি মূল গাজর থেকে আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। সবশেষে পেপার টাওয়ালে মুড়ে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে দিতে হবে। ফ্রিজে রাখা এমন ফল থেকে দূরে রাখো যা ইথিলিন গ্যাস তৈরী করে।

-খোসা ছাড়ানো গাজরের প্রতিরক্ষামূলক বাইরের স্তর সরে গেলে তা শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই অবস্থায় যদি সংরক্ষণ করতে চাও তবে তা প্রতিরোধের জন্য তোমাকে আর্দ্রতা সরবরাহ করতে হবে। এইজন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে গাজর ধুয়ে তা পাত্রে পানি সহকারে রাখতে হবে। এমনভাবে পানি যোগ করতে হবে যাতে গাজরগুলো সম্পূর্নরুপে পানি দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। এইভাবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যাবে। তবে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে পর্যায়ক্রমে ৪-৫ দিন পর পর পানি পরিবর্তন করলে ভালো হয়।

টমেটো

টমেটোও সারা বছর পাওয়া গেলেও এই সময়ে এর স্বাদ থাকে অতুলনীয়। তরকারি রান্না থেকে শুরু করে, নাস্তা, সালাদ, সস তৈরিতে একে ছাড়া তো ভাবাই যায়না। ভিটামিন সি-তে ভরপুর একে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। অনেকেই টমেটোকে আস্তভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে। এতে কিন্তু পরবর্তীতে তা ব্যবহারের জন্য বের করে আনলে কাটতে সমস্যা হয়।

-প্রথমেই টমেটোগুলোকে আস্ত ভালোভাবে ধুয়ে, পুরো পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এর পর তা পছন্দ মত টুকরো করে কেটে থালায় এমনভাবে বিছিয়ে দিতে হবে যাতে একটার গায়ের সাথে অন্যটা না লেগে যায়। এভাবে ফ্রিজে ভালোভাবে ফ্রোজেন করে পরবর্তীতে তা কোন পাত্রে বা পলিথিনে রেখে দেয়া যাবে।

-এছাড়াও টমেটো পেস্ট করে তা প্রয়োজনমত ছোট ছোট কিউব আকারে রেখে বরফ করে সংরক্ষণ করা যায়। চাইলে টমেটো পাতলা স্লাইস করে কেটে কড়া রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়া করেও বায়ুরোধী পাত্রে অনেকদিন জমিয়ে রাখা যায়।

বাঁধাকপি

শীতের সবজীর কথা বললেই বাঁধাকপির প্রসঙ্গ আসবেই। এতে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফাইবার তো আছেই, সাথে আছে ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, কে সহ নানা উপাদান। বাঁধাকপি হিমায়িত করতে প্রথমে একে ব্লাঞ্চ করে নিতে হবে। এইজন্য প্রথমেই একে ভালোভাবে ধুয়ে কেটে নিতে হবে। কাটা টুকরোগুলোকে ফুটন্ত পানিতে প্রায় ৯০ সেকেন্ডের জন্য ব্লাঞ্চ করে নাও। তারপর তা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে পুরোপুরি শুকিয়ে নাও। এভাবে ডিপ ফ্রিজে অনেকদিন রেখে দিতে পারবে।

ফুলকপি, ব্রকলি

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য ব্রকলি ও ফুলকপি দুটোই বেশি জরুরী। এ দুটোই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। নিয়মিত এগুলো খেলে বিপাক বৃদ্ধি পায়। সংরক্ষণের জন্য এগুলো টুকরো করে পানিতে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি ঝরিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে ঢুকিয়ে রাখলেই হবে।

শিম

তরকারি ও ভাজি হিসেবে খাওয়া এই সবজী। শিমের বিচি চাইলে অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। বিচি জিপার ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা যায়। আবার এগুলো রোদে ভালো করে শুকিয়ে বক্সে ভরে দীর্ঘদিন রাখতে পারবে।

ধনেপাতা

ফ্রেশ ফ্রেশ ধনেপাতার যোগে তরকারীর স্বাদ বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। ধনেপাতা বেছে তা পেপার টাওয়ালে জড়িয়ে বক্সে রাখা যায়। আবার চাইলে তা ধুয়ে কুচি করে রোদে ছড়িয়ে দিলে শুকিয়ে যাবে। তারপর তা গুঁড়ো করেও অনেকদিন রেখে দেয়া যাবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিদেশভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

বয়স? সে তো শুধুই একটি সংখ্যা!

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

বর্তমানে পুরো দুনিয়ায় কোরিয়ান ড্রামা, মুভি, মিউজিক এবং টিভি শো’র ক্রেজ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেখে মানুষ বিস্মিত হয়। অনন্য সাংস্কৃতিক দিক ছাড়াও তারা নিখুঁত ত্বক এবং ফিট শরীরের জন্য সুপরিচিত। কোরিয়ান মহিলাদের বিশেষ করে একটি দর্শনীয়ভাবে ফিট ব্যক্তিত্ব রয়েছে যা সারা বিশ্বের সকলকে কৌতুহলী এবং বিস্ময়কর করে তুলেছে। কখনও মনে জেগেছে কি, তাদের দেখতে এমন কী করে হয়? কিইবা তাদের রহস্য? আসো একসাথে আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিই।

এশিয়ান সংস্কৃতিতে খাবারের অনেক কদর রয়েছে। এমনই একটি এশিয়ান দেশ যেখানে মানুষ খেতে খুবই ভালোবাসে তা হল কোরিয়া। শুনতে অদ্ভূত শোনালেও এটাই বাস্তব সত্য। ফুলকোর্স ভারী খাবার খাওয়া সত্ত্বেও, তাদের শরীর ফিট এবং স্লিম থাকে যা অনেকের জন্য স্বপ্ন। কোরিয়ান খাবার এবং জীবনধারা ওজন বজায় রাখতে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের খাবার এবং ডায়েট সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট এবং কঠোর। যে খাবার গ্রহণ করে তাতে ভারসাম্যতা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাট থেকে প্রোটিন পর্যন্ত গ্রহণ করে। তারা ওজন বাড়ায় না কারণ সবকিছুই সুষম অনুপাতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের ব্যাপারে কিছু জেনে নিইঃ

শাকসবজি প্রাধান খাদ্য

অ্যাপেটাইজার, মেইন কোর্স, স্ন্যাকস অথবা যে কোন ঐতিহ্যগত কোরিয়ান খাবার উপভোগ করতে যাও না কেন, প্রথমেই টেবিলে বিস্তৃত পরিসরে শাকসবজির উপস্থিতি দেখতে পাবে। কোরিয়ান লোকেরা তাদের শাকসবজি পছন্দ করে, যা তাদের স্লিম এবং ফিট থাকার পিছনে অন্যতম প্রাধান কারণ। প্রদত্ত যে বেশিরভাগ শাকসবজি আঁশযুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি যা ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। শাকসবজিতে থাকা ফাইবার তৃপ্তি বোধ করতে সাহায্য করে ও অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো খাবারের অন্তর্ভুক্তি

তাদের সমস্ত খাবারের সাথে একটি সাইট ডিশ থাকে, যা সাধারণত গাঁজন করা খাবারের একটি সিরিজ। কিমচি, সেই গাঁজনযুক্ত মশলাদার বাঁধাকপি যা বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জাতীয় খাবারগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত এবং তা হজমেরও উন্নতি করে। এটি রোগক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও কাজ করে। অনেক ধরনের কিমচি রয়েছে এবং সবকিছুই বাঁধাকপি থেকে তৈরি হয়না। মূলা, শসা সহ প্রায় যেকোন সবজি দিয়েই হয়ে উঠতে পারে কিমচি।

সামুদ্রিক খাবার

কোরিয়াকে তিন দিকে সাগর ঘিরে রেখেছে। সামুদ্রিক খাবার কোরিয়ার অন্যতম প্রধান খাবার। তাদের দুর্দান্ত চুল, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল সামুদ্রিক খাবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা। গ্রিলড ম্যাকেরেল, স্কুইড, অক্টোপাস তাদের অনেক প্রিয় আইটেম। চর্বিযুক্ত মাছ ব্যতীত, যা স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত; সামুদ্রিক শৈবাল একটি সাধারণ কোরিয়ান খাদ্য আইটেম যা তারা স্যুপ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে অন্তর্ভুক্ত করে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য দূর্দান্ত এবং তোমাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্নতা অনুভব করে।

ঘরে তৈরি খাবারের প্রাধান্য

কোরিয়ান মহিলাদের ফিট শরীরের পিছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তাদের খাবারের পছন্দগুলো। তুমি যখন ওজন কমাতে মনোস্থির করো সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ফাস্টফুড- এগুলো শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে দায়ী নয়, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। কোরিয়ানরা বাইরের পরিবর্তে ঘরের খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের শরীরের জন্য ভাল খাবার সম্পর্কে তারা সচেতন এবং সেই অনুযায়ী তারা সেভাবে খাবার নির্বাচন করে থাকে।

চিনি কম, উপকারিতা বেশি

কোরিয়ান খাবার বেশিরভাগই মশলাদার এবং টক। তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ভারী মিষ্টি অন্তর্ভূক্ত করেনা, তাদের মিষ্টান্নগুলো ফলের রস, এক বাটি তাজা ফল বা মিষ্টি ভাতের পানীয়ের মতো হালকা। এগুলো শরীরের ওজন বাড়ায় না। বিখ্যাত কোরিয়ান ডেজার্টগুলোর মধ্যে পাটবিংসু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এটি চাঁচা বরফ দিয়ে তৈরি এবং এতে কোন কৃত্রিম রঙ নেই। এটি স্বাস্থ্যকর করতে তারা এতে প্রচুর ফল ব্যবহার করে।

সোডা কে না

তারা কোক এবং সোডা তেমন খায়না, তার পরিবর্তে প্রচুর চা খায়। বার্লি চা, যাতে অনেক কিছুই আছে। এটির স্বাদ অদ্ভুত তবে এটি একটি চিনিহীন চা। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি ঘুমের অভ্যাস উন্নত করতে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনেও কাজ করে।

হাঁটা, হাঁটা এবং হাঁটা

বেশিরভাগ কোরিয়ানরা হাঁটা পছন্দ করে। তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পাবলিক পরিবহণের পরিবর্তে তাদের পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে। একটি সক্রিয় জীবনধারা নেতৃত্ব দেওয়া বেশিরভাগ কোরিয়ান মহিলাদের সুস্থ রাখে এবং তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাদের জন্য দিনে ১০,০০০ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করা কোন বড় ব্যাপার নয়। আমরা সবাই জানি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন এটি আমাদের শরীরের ওজন এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

সালাদ তাজা রাখার উপায়

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা। দেহ ফিট রাখার পাশাপাশি ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখতে এর উপকারিতা অনস্বীকার্য। পুষ্টিকর, মসৃণ এবং তাজা সবজীর সমারোহে এক বাটি সালাদ নিজেদের পাতে পেতে কেনা চায়? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেখা যায় যে, সালাদ তৈরীর জন্য সবজীর প্রয়োজন দেখা দেয় সেগুলোর সতেজতা অনেকক্ষণ ব্যাপী থাকেনা। কখনও খেয়াল করে দেখেছো কি কীভাবে প্রো শেফরা তাদের সবজী সতেজ রাখতে পারে? সালাদ তথা শাকসবজি সংরক্ষণ করার কিছু টিপস শেয়ার করা হলো যাতে তারা বেশি সময় ধরে ফ্রেশ থাকতে পারে।

-তুমি যদি প্রথমেই গোড়ায় হালকা পচন ধরা সবজীর কোন বান্ডিল নির্বাচন করে নাও তবে শুরুতেই তোমার সবকিছু পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে। তাই যখনই এমন কিছু কেনাকেটা করতে যাবে, তা হোক কোন লেটুস অথবা মিক্সড সালাদ ব্যাগ; ভালোভাবে পরীক্ষা করে বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

-সবুজ শাকসবজি আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আর্দ্রতার সৃষ্টি করে, ফলশ্রুতিতে এটি দ্রুত সতেজতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে তোমার সবজীর ব্যাগের সাথে কাগজের টাওয়ালে জড়িয়ে রাখা প্রাথমিকভাবে একটি অপরিহার্য সালাদ সংরক্ষণের কৌশল হিসেবে সম্মত। এই সহজ পদক্ষেপটি আর্দ্রতা দূর করতে এবং নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।

-সালাদ তৈরীতে লেটুস অনেক ব্যবহৃত হয়। লেটুসের আয়ু বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি হল প্রথমে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করা এবং তারপরে শুকিয়ে রাখা। তাই যখনই এগুলো কিনে আনা হয় তা প্যাকেজিং থেকে সরিয়ে সালাদ স্পিনারের মধ্যে ঘুরিয়ে নাও। অথবা কিচেন টাওয়াল দিয়ে চেপে চেপে এর গায়ের অতিরিক্ত আর্দ্রতা মুছে শুকিয়ে রাখতে হবে। তারপর তা বায়ুরোধী প্লাস্টিকের স্টোরেজ কন্টেইনারে সংরক্ষণ করতে হবে।

-ফল এবং শাকসবজি ফ্রিজের নির্দেশিত নীচের ড্রয়ারে রাখো কারণ এগুলো আসলে গ্যাস এবং আর্দ্রতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা নষ্ট হওয়াকে ত্বরান্বিত করে। ধ্বংসাত্মক ইথিলিনকে পালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য উচ্চ আর্দ্রতা নির্বাচন করো।

-খাবার পরিবেশনের আগেই যদি সালাদ ড্রেসিং করে তৈরি করে রেখে দাও তবে তা এর জীবনকালকে ছোট করবে নিশ্চিত। এক্ষেত্রে, পরিবেশন করার আগে পর্যন্ত ড্রেসিং আলাদা করে রেখে দাও। আরেকটি বিকল্প হলো, মেসন জারে ড্রেসিংটি একেবারে নীচে স্তরে রাখা, মাঝখানে টপিংস এবং উপরে সবুজ শাক্সবজী রেখে বাটিতে ঢেলে রাখতে পারো এবং পরিবেশনের ঠিক আগে শুধু মিশিয়ে নিলেই হবে।

-বিভিন্ন সালাদের উপকরণগুলোর জীবনকাল বিভিন্ন থাকে। কোনটি দীর্ঘস্থায়ী, কোনটি নয় তা জানতে হবে। বেশিরভাগ সবজি যেমন গাজর, মরিচ, পেঁয়াজ, মূলা, শসা এবং টমেটো এগুলো সংরক্ষণ করা সহজ এবং এগুলোর যোগে অনেকক্ষণ তাজা থাকতে পারে। অন্যদিকে, অ্যাভোকাডো, আপেল এবং অন্যান্য ফল যা কেটে ফেলার পর অতি দ্রুত বাদামী হয়ে যায়; তা সালাদে এড করতে চাইলে অনেক আগে না কেটে সাথে সাথে যোগ করা ভালো।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

দেরীতে খেলে, বাড়ে ওজন?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে রাত বেড়েই যাচ্ছে। দিনের শেষে স্ট্রেস কম করার সময় বিছানায় বসে হালকা পাতলা কিছু খাওয়ার শখ চেপেছে। কিন্তু মাথার ভেতর থেকে কেউ বলে চলেছে যে রাতে দেরী করে খাওয়া তোমার জন্য খারাপ। এটি একটি সাধারণ বিশ্বাস যে রাতে দেরী করে খেলে ওজন বাড়বে। প্রশ্ন হলো, রাতে খাওয়ার ফলে কি সত্যিই ওজন বাড়বে? ব্যাপারটি কি আদৌ সত্যি নাকি মিথ? আসো উত্তর খুঁজে নিই।

দেরী করে খেলে, ওজন বাড়ে- এই পৌরাণিক কাহিনীটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। এবং এই ব্যাপারে অনেকেই বলে এসেছে যে তাদের গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাসই তাদের ওজন বাড়ানোর পেছনে দায়ী। বলা হয়ে থাকে যে, রাতে আমাদের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এর ফলস্বরুপ আমরা রাতে যা খাই তা দিনের বেলায় খাওয়া ক্যালোরির চেয়ে সহজে চর্বিতে পরিণত হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের শরীর দিনের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা খাবার ভিন্নভাবে প্রক্রিয়া করেনা। মূলত আমরা সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করি এবং দিনে কতটা ব্যায়াম করি তাই আমাদের ওজনকে প্রভাবিত করে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে ওজন কম বা বেশি হওয়ার যদি কোন সম্ভাবনা না থাকে, তবে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী? এর সহজ উত্তর হলো অভ্যাস। অনেকেরই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে এবং রাতে স্ন্যাকস হিসেবে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নেয়, যার সবই আমাদের অভ্যাস এবং এটিই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেট নাইট খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাজে অভ্যাসের মধ্যে রয়েছেঃ

-সকলেরই প্রতিদিনকার চলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণের চাহিদা রয়েছে। তুমি যদি দিনের বেলায় তোমার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পুরোটাই পূর্ণ করে ফেলো এবং তারপরে লেট-নাইট স্ন্যাকসের দিকে হাত বাড়াও, তবে তোমার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয়ে যাবে। যা ওজন বৃদ্ধিতে দায়ী।

-আমাদের বেশিরভাগেরই দিনের বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করার প্রবণতা থাকে। সারাদিনকার খাদ্য তালিকায় আমরা তাই যোগ করি যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এই লেট-নাইট স্ন্যাকসের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্ডি, চিপস বা আইসক্রিমের মতো খাবারগুলো গ্রহণ করার টেন্ডেসি থাকে। এইগুলোর পরিবর্তে সঠিক কিছু নির্বাচন করতে আমরা সবসময়ই ব্যর্থ হই।

-আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল সামনে নিয়ে বসা। দিনের শেষে, টিভির সামনে বসে আরাম করা বা মোবাইল টেপা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন টিভির সামনে খাবার খাও, তখন তা তোমার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।

রাতে খাওয়ার টিপস

যদিও এটা বিতর্কিত বিষয়, কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর আগে ছোট কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন। তুমি যখন খারাপ অভ্যাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, তখন এটি তোমাকে ঘুমাতে সাহায্য করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে রাতে কীভাবে খাবে তার কিছু টিপস দেয়া হলোঃ

পরিকল্পনা করা

পরিকল্পনা ছাড়া প্রতি রাতে স্ন্যাকস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনানুযায়ী ক্যালোরি  অতিক্রম করতে না চাইলে এবং লেট নাইট স্ন্যাকস নিতে চাইলে প্রতিদিনের ক্যালোরি গণনায় পর্যাপ্ত ক্যালোরি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করো। দিনের বেলায় সেই হিসেবে খাবার গ্রহণ করো।

ডেজার্ট এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

এই লেট নাইট খাবারের ক্রেভিংস সবার মধ্যেই কম বেশি থাকে। কিন্তু তুমি যদি এই সময় নিজেকে কোন মিষ্টি খাবার বা চিপসের মাধ্যমে পূর্ণ করো, তবে সেই সেই ক্রেভিংস আরো বাড়বে। এই ক্যালোরিতে ভরপুর খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়া আরও সহজ করে তোলে।

কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার

বিছানায় যাবার আগে যদি কিছু নিতেই হয় তবে নিশ্চিত করো যে তাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে যা তোমাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, রাতে তাড়াতাড়ি না খেলেও ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেয়া উত্তম। সেই খাবার অবশ্যই হতে হবে পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনাও যেমন থাকবেনা তেমনি দেহ ও মনও থাকবে সুস্থ।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ডিম ফ্রিজে রাখছো কী?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের খাওয়া দাওয়ার এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডিম। কি সকালের নাস্তায় হোক, কিংবা দুপুরের খাবার; ডিম হল সবচেয়ে বহুমুখী কিন্তু ঝামেলা মুক্ত খাবার। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছো কি ডিম সংরক্ষণের সঠিক উপায় কী? হয়তো মনে আসতেই পারে এই আবার নতুন কি? ডিম কিনো আর ফ্রিজে রেখে দাও। কিন্তু কিছু দেশে এটা বিশ্বাস করা হয় যে ডিম কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ঠিক না কারণ এটি ডিমের স্বাদকে প্রভাবিত করতে পারে, যেখানে অন্যান্য জায়গায় বলা হয় ডিমের শেলফ লাইফ বাড়ানোর সঠিক উপায় হল তাদের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা। আসলেই কোনটি দরকার? ডিমের সতেজতা ধরে রাখার সঠিক উপায় সম্পর্কে আসো জেনে নিই।

অনেকেই সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় প্যান্ট্রিতে ডিম সংরক্ষণ করে, অন্যরা ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করে। এমতাবস্থায় আমি কি করবো? এর উত্তরটি খুবই সহজ। কারণ তুমি কোথায় থাকবে, তাপমাত্রা এবং কীভাবে ডিম প্রস্তুত বা পরিষ্কার করবে তার উপর সম্পূর্ণরুপে নির্ভর করে কীভাবে ডিম সংরক্ষণ করবে। পরিষ্কার করার পাশাপাশি অঞ্চলের তাপমাত্রা ডিম সংরক্ষণে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে এবং এই সহজ পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে সংরক্ষণ করার আগে ডিম পরীক্ষা করতে পার।

বছরের পর বছর ধরে এটা বিতর্কের বিষয় ছিল যে সংরক্ষণ করার সর্বোত্তম উপায় কী কারণ এটি খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত। ডিম সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ডিমের খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হল সালমোনেলা নামে পরিচিত একটি ব্যাক্টেরিয়া। সালমোনেলা হল এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা অনেক উষ্ণ রক্তের প্রানীর অন্ত্রে বাস করে। পশুর অন্ত্রের ট্র্যাক্টের মধ্যে থাকা অবস্থায় এটি সম্পূর্ণ নিরাপাদ কিন্তু এটি খাদ্য সরবরাহে প্রবেশ করলে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। সালমোনেলা প্রাদুর্ভাবের উৎস হলো আলফালফা স্প্রাউট, পিনাট বাটার, মুরগির মাংস এবং ডিম। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭% সালমোনেলা প্রাদুর্ভাবের জন্য ডিম দায়ী ছিল। এইজন্য আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশ ফ্রিজে ডিম রাখাকে নিরাপদ মনে করে। এতে করে এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়না, শুধুমাত্র বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও ডিম ফ্রিজে থাকলে ডিমের খোসা ভেদ করে ব্যাকটেরিয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করা জটিল হয়ে পড়ে। তবে ডিম জীবাণুমুক্ত করা থাকলেই এই হিমায়িত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা উচিৎ।

কিছু দেশে ডিম পরিষ্কার করা হয়, ফ্রিজে রাখা হয় এবং পরে পাঠানো হয়। আদর্শভাবে যখন ডিম ফ্রিজে রাখা হয় তখন তাদের সতেজতা ধরে রাখতে ফ্রিজ্র রাখা অপরিহার্য। ফ্রিজে ডিম বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে ব্যাকটেরিয়া দূষণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সুতরাং ডিম কোথায় রাখলে ভালো হবে তা মূলত নির্ভর করে ডিম সংগ্রহের এবং কীভাবে সেগুলোকে সংরক্ষন করা হয়েছে তার উপর। তবে প্রোপার স্যানিটাইজেশনের পরে সেগুলোকে যদি ফ্রিজে রাখা না হয় তবে সেগুলোকে সাধারণ ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখতে পারো।

অন্যান্য অসুবিধা

ফ্রিজে রাখা এর কিছু সুবিধা থাকলেও এর অসুবিধাও রয়েছে।। যেমনঃ

ডিম ফ্রিজের স্বাদ শুষে নিতে পারে

ডিম তোমার ফ্রিজের অন্যান্য খাবার থেকে গন্ধ শোষণ করতে পারে। যেমন তাজা কাটা পেঁয়াজ। তাদের কার্টনে ডিম সংরক্ষণ করা এবং বায়ুরোধী পাত্রে তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার সিল করা এই ঘতনাতি প্রতিরোধ করতে পারে।

ফ্রিজের দরজায় সংরক্ষণ করা উচিৎ নয়

অনেকেই তাদের ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখেন। তুমি যখনই তোমার ফ্রিজ খোলো তখন এটি তাদের তাপমাত্রার ওঠানামা করতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং ডিমের প্রতিরক্ষামূলক ঝিল্লিকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতএব ফ্রিজে রাখলেও তা পেছনে একটি শেলফে রাখা ভাল।

ঠাণ্ডা ডিম বেক করার জন্য সেরা নয়

শেষ অবধি কিছু শেফ দাবি করেন যে ঘরের তাপমাত্রা ডিম বেক করার জন্য সেরা। যেমন কেউ কেউ ব্যবহার করার আগে রেফ্রিজারেটেড ডিমগুলোকে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দেয়ার পরামর্শ দেয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, ডিম ফ্রিজে রাখা প্রয়োজনীয় কিনা তা নির্ভর করে তোমার অবস্থানের উপর, যেহেতু সালমোনেলার চিকিৎসা দেশ অনুসারে পরিবর্তিত হয়। তুমি যদি ফ্রিজে ডিম রাখতে চাও তবে একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঢাকনা বন্ধ করে কোন তাকে রাখো। এভবে রাখলে সঠিক তাপমাত্রায় প্নেকদিন সংরক্ষণ করা যাবে। আর যদি তা হয় রান্না করা ডিম, তবে তা ভূলেও কখনও তিন থেকে চারদিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেনা। এতে ডিমের গুন নষ্ট হয়ে যায় । এতে এর থেকে কোন উপকার তো আশা করা যাবেনা উলটো পেটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ভাজা তেলের পুনরায় ব্যবহার

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বাঙ্গালি মাত্রই ভোজনবিলাসী। নিত্যনতুন রান্না করতে এবং তার টেস্ট আস্বাদন করতে এদের জুড়ি নেই। আর যখনই রান্নার বিষয় আসে, তখন তেল এর ব্যবহারের প্রসঙ্গ আসবেই। রান্নার একটি অপরিহার্য অংশ তেল কারণ এটি স্বাদ বাড়াতে বা খাবারকে একটি নির্দিষ্ট টেক্সচার দিতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছি কি একই তেল বারবার ব্যবহার করলে তার কী হয় এবং তা আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে? আসো এই প্রসঙ্গে জেনে নিই।

আমরা যারা ভোজন রসিক আছি তাদের কাছে মচমচে এবং খাস্তা ভাজা ভাজা খাবারের আবেদন অন্যরকম। কি চিকেন ফ্রাই বা পাকোড়া অথবা পুরি, মুখরোচক এই খাবারগুলো পছন্দ না এমন মানুষ হাতে গোনা। কিন্তু এত এত ভাজা খাবারের একটি বড় অসুবিধা হল এটিতে ভোজ্য তেলের অপচয় হতে পারে। তাই আমরা মাঝে মাঝে রান্নার জন্য এটিকে পুনরায় ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ হই। কিন্তু দেখা গেছে যে একই তেল বারবার ব্যবহারে সাধারণ সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর পরিণতি ঘটাতে পারে। এই ধরনের তেল রিইউজের ফলে স্বাস্থ্যের কি ধরনের ঝুঁকি করতে পারে তা জেনে নিই।

ফ্রি র‍্যাডিকেলস

ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো শরীরের সুস্থ কোষগুলোর সাথে নিজেদেরকে সংযুক্ত করে এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। একই তেল বারবার পুনঃব্যবহারের ফলে ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি হয়। ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রদাহ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তেল পুনঃব্যবহারের ফলে এথোরোস্ক্লেরোসিস হতে পারে যা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যা ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে।

ত্বকের সমস্যা

অবশিষ্ট তেল দ্বারা উৎপাদিত ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো ত্বককেও প্রভাবিত করে কারণ এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে গতি দেয়।

এইচএনই

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ক্যানোলা, ভুট্টা, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের মতো তেলগুলোকে পুনরায় গরম করা হলে ৪-হাইড্রক্সি-ট্রান্স-২-নোনেনাল (এইচএনই) নামক একটি বিষ তৈরি হয়। জরিপটি ইঙ্গিত করে যে রান্নার তেল থেকে এইচএনই যুক্ত খাবারের ব্যবহার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক, পারকিনসন রোগ, আলঝেইমার রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। একবার শরীরে শোষিত হলে, এইচএনই মৌলিক সেলুলার প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে ডিএনএ, আরএনএ এবং প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে।

খাদ্যে বিষক্রিয়া

অনেক সময় ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের আগে সঠিকভাবে ছেঁকে ফেলা হয়না এবং ফলস্বরুপ এতে অবশিষ্ট খাদ্য কণা থাকে। যদি একই তেল ফ্রিজে রাখা না হয়, তবে এটি সিওস্ট্রিডিয়াম বাউটলিনাম ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে যা ফলস্বরুপ বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে যা জীবন হুমকি খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের নিয়ম

এখন প্রশ্ন হল ভাজা তেল পুনরায় ব্যবহার করা যাবে কিনা? এর জবাবে বলা যায় হ্যাঁ, ভাজা তেল রিইউজ করা যাবে। তবে তা পুনঃব্যবহারের আগে তোমাকে কিছু রুলস ফলো করতে হবে।

-রান্না শুরু করার আগে তোমাকে ভালোমানের তেল নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি তেলের একটি নির্দিষ্ট স্মোকিং পয়েন্ট আছে। যেহেতু ভাজা উচ্চ তাপমাত্রায় ঘটে, তাই উচ্চ স্মোকিং পয়েন্ট সহ তেল ব্যবহার করো যা সহজে ভেঙে যাবেনা। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানোলা, চিনাবাদাম বা উদ্ভিজ্জ তেল। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল না ব্যবহার করাই ভালো।

-তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইয়ের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। সাবধানে তাপমাত্রা বজায় রাখা খাবারকে খুব বেশি তেলে চিপচিপে রাখা বা বাইরে থেকে ব্লিজড হওয়া এবং ভেতরে কাঁচা থাকা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেনা। আর তেল অতিরিক্ত গরম গরম হলে তা ভেঙে যেতে শুরু করবে। কীভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করবে? একটি থার্মমিটার কিনো যা উচ্চ তাপ পরিচালনা করতে পারে। এবং এর সাহায্যে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে রেখে কাজ করতে পারবে।

-তেলে কোন কিছু ভাজা শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট তেলগুলো ঠান্ডা হতে দাও। যখন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন অন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে উপরের তেলটুকু সরিয়ে নাও। লক্ষ্য রাখতে হবে যে তাতে আগে ভাজার কোন খাবারের উচ্ছিষ্ট যাতে না আসে।

-যে পাত্রে এক্সট্রা তেলগুলো সনগ্রক্ষণ করতে চাও তার উপরে একটি সূক্ষ্ম জাল ছাঁকনি বা চিজক্লথ রাখো এবং তেল ছেঁকে নাও।

-সংরক্ষিত তেলটি একটি শীতল, শুকনো জায়গায় রেখে দাও।

এখন যেহেতু আমরা জানি তেল পুনরায় গরম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার জন্য ভাজা, রান্না ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান তেলের সঠিক অনুমান করাই উত্তম।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.ঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

কোনটি ভালো- সানফ্লাওয়ার অয়েল বনাম অলিভ অয়েল

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

শরীরকে সুস্থ ও কর্মচাঞ্চল্য রাখতে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ জরুরী। দৈনন্দিন খাবারে তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কিছুই শ্যালো ফ্রাই হোক কিংবা রান্না, তেল তো চাইই চাই। সচেতনতার এই যুগে আজকাল অনেকেই অন্যান্য যেকোন তেল থেকে অলিভ অয়েল অথবা সূর্যমুখী তেল বেশি পছন্দ করছে। এই দুটি তেলই হল মূলত স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ তেল এবং উভয় তেলেরই নিজস্ব স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সূর্যমুখী তেল বনাম জলপাই তেল- রান্নার জন্য কোনটি বেশি ভালো হবে? অনেকেই কেনার সময় এই দুটি আইটেমের তুলনা করে, দুটির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। যদিও এদের মধ্যে অনেক মিল আছে, তবে তাদের কিছু মূল পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে। এছাড়াও, এই তেলগুলো কী পরিমাণে ব্যবহার করা ভালো এবং কোন প্রতিকূল প্রভাব থাকলে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব ব্যাপার নিয়েই আজ আমরা জানবো।

সূর্যমুখী তেল বনাম অলিভ অয়েল

যখন রান্নার জন্য তেল কেনার কথা বিবেচনা করা হয় তখন কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজনঃ তেলটি কী স্বাস্থ্যের উপকারিতা করে? এর ফ্লেভার কেমন (যদি থাকে)? তেলের স্মোক পয়েন্ট ইত্যাদি। এই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রেখে আসো আমরা এই দুটি তেলের তুলনা করে দেখি কোনটি আমদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ফ্যাট

উভয় তেলই উদ্ভিদ-ভিত্তিক এবং প্রতি টেবিল চামচে প্রায় ১২০ ক্যালোরি থাকে। উভয়ই পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো  কোলেস্টেরল প্রমোট করার সময় খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

-সূর্যমুখী তেলে প্রায় ৬৫% লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যেখানে অলিভ অয়েলে থাকে মাত্র ১০%। এটিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্নায়বিক ফাংশন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়।

-অলিভ অয়েলে আছে ওলিক অ্যাসিড। এটি হল একটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের অনকোজিনকে দমন করতে পরিচিত। সুতরাং, পরের বার যখন তোমার সালাদে অলিভ অয়েল যোগ করবে মনে রাখবে যে এটি তোমাকে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখছে। প্রমান আছে যে, ওলিক অ্যাসিড কোষকে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে রক্ষা করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যুকে উন্নীত করতে পারে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় গ্রহণ করা উচিৎ কারণ এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলের গঠন হ্রাস করে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশ ঘটাতে পারে। ভিটামিন ই রক্তনালী সংক্রান্ত জটিলতা যেমন ধমনীতে বাধা, বুকের ব্যথা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

-সূর্যমুখী তেল ভিটামিন ই এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি পাওয়া গেছে যে, এই তেলে পাওয়া ভিটামিন ই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং কোলন কযান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।

-এতেও ভিটামিন ই এর একটি ভালো অনুপাতও রয়েছে। ক্যানোলা, কর্ন বা সয়াবিনের মতো অন্যান্য তেলে পাওয়া ভিটামিন ই গামা-টোকোফেরল আকারে পাওয়া যায়, যা ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অলিভ অয়েল এবং সূর্যমুখী তেল উভয়ই আলফা-টোকোফেরল আকারে ভিটামিন ই ধারণ করে যার তেমন কোন বিরুপ প্রভাব নেই।

ভিটামিন কে

ভিটামিন কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পুষ্টি যা রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় কাজ করে এবং অত্যধিক রক্তপাত বন্ধ করে। এটি হাড়কে শক্তিশাল করে এবং বয়স্ক মহিলাদের অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারে। সূর্যমুখীর তেল থেকেও অলিভ অয়েলে বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। প্রতি টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে ৮ মাইক্রোগ্রামের বেশি ভিটামিন কে রয়েছে যেখানে সূর্যমুখী তেলে থাকে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম।

ফ্লেভার

অলিভ অয়েল এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের বিভিন্ন স্বাদের প্রোফাইল রয়েছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল সবচেয়ে কম প্রসেস করা অলিভ অয়েল। জলপাই তেলের গন্ধ নির্ভর করে যে ধরনের জলপাই একটি বেস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেলের একটি হালকা, সামান্য বাদামের স্বাদ রয়েছে যা এটি যে উদ্ভিদ থেকে এসেছে তার স্মরণ করিয়ে দেয়। এই তেল অলিভ অয়েলের চেয়ে স্বাদে বেশি নিরপেক্ষ এবং এমন রেসিপি যেখানে তুমি তেলের স্বাদ নিতে চাওনা তার জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে, তুমি যদি সেই ক্ল্যাসিক, তাজা স্বাদ পেতে চাও তবে অবশ্যই অলিভ অয়েল হবে বেস্ট চয়েস।

স্মোক পয়েন্ট

যদিও অলিভ অয়েলকে কখনও কখনও নিম্ন স্মোক পয়েন্ট হিসেবে বর্ননা করা হয়, উচ্চ মানের এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পায় ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। যেহেতু বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইং ৩৫০ এবং ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে ঘটে, এটি সাধারণত বাসায় ডিপ ফ্রাই এবং অন্যান্য উচ্চ তাপে রান্নার পরিস্থিতির জন্য যথেষ্ট। সেই হিসেবে সূর্যমুখী তেল কিছুটা উচ্চ স্মোক পয়েন্ট অফার করে, প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে বেশিরভাগ বাসার রান্নার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে এত বেশি তাপের প্রয়োজন হয়না।

কোনটি নির্বাচন করা উচিৎ?

সূর্যমুখী ও অলিভ অয়েল উভয়েরই কিছু মিল রয়েছে, তবে স্বতন্ত্র কিছু পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত করে তোলে। অলিভ অয়েল স্বাদ এবং গন্ধে জয়লাভ করে এবং এটি ভাজা সহ বিভিন্ন রান্নার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য হাতে রাখা একটি বহুমুখী তেল। অন্যদিকে, সূর্যমুখী তেলের হালকা স্বাদ এবং উচ্চ স্মোক পয়েন্ট এটিকে একটি ভালো পছন্দ করে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে যে, বর্ধিত সময়ের জন্য উচ্চ তাপের সংস্পর্শে সূর্যমুখী তেল উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত অ্যালডিহাইড ধোঁয়া নির্গত করে। ভিটামিন কে কন্টেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মিনারেলের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যমুখী তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই এটা বলাই যেতে পারে যে ডেইলি ব্যবহারের জন্য অলিভ অয়েল আদর্শ।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.দেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যকর হজমে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

গবেষণায় দেখা গেছে একটি সুস্থ অন্ত্র এমনকি কিছু ক্যান্সার এবং অটোইমিউন রোগও প্রতিরোধ করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপুর্ণ কারণ তারা শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে। ডায়েটারি ফাইবার হল এক ধরণের কার্বোহাইড্রেট যা উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবারগুলোতে পাওয়া যায়, যা অন্যান্য শর্করাগুলির মতো আমাদের দেহের এনজাইম দ্বারা হজম হতে পারেনা। ডায়েটারি ফাইবার খাওয়া হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করার একটি সহজ উপায়। এটি আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখতে পারে, আমাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমায়। দুই ধরনের ফাইবার রয়েছে- দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয়। দ্রবনীয় ফাইবার হজমের সময় পানি শোষণ করে একটি জেল জাতীয় উপাদান তৈরি করে যা হজমকে ধীর করে দেয়। আর অদ্রবণীয় ফাইবারগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয়না এবং হজমের সময় তুলনামূলকভাবে অক্ষত থাকে। এটি ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নারী এবং পুরুষদের দিনে যথাক্রমে ২৫ গ্রাম এবং ৩৮ গ্রাম ফাইবার গ্রহন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। আর যাদের বয়স ৫০ উপর, তাদের জন্য এর পরিমান যথাক্রমে ২১ গ্রাম এবং ৩০ গ্রাম হওয়া উচিৎ। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের সঠিক গঠন পরিমাপ করা বেশ কঠিন হতে পারে কারণ এটি কিভাবে হজম এবং শোষিত হয় তার উপর নির্ভর করে। নিচে ফাইবার সমৃদ্ধ কিছু খাদ্য আইটেম দেয়া হলঃ

ওটস

এটি দ্রবণীয় ফাইবার, যার প্রতি ৩৫ গ্রাম অংশে মোটামুটিভাবে ২.৬ গ্রাম থাকে। প্রাতরাশের জন্য ওভারনাইট ওটস হতে পারে পারফেক্ট খাবার। এছাড়াও স্মুথি বা প্যানকেকের ব্যাটারে ময়দার পরিবর্তে ওটস ব্যবহার করা যেতে পারে।

মটরশুঁটি

মটরশুঁটি একটি জনপ্রিয় সবজী। এগুলো বেশ পুষ্টিকর এবং এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি একটি দ্রবণীয় ফাইবার। সবুজ মটর প্রতি ১০০ গ্রাম প্রায় ৪.৪ গ্রাম ধারণ করে।

আপেল

আপেলের ব্যাপারে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে। যদিও এটা কথার কথাই, তবে ফলটি তোমার ফাইবার গ্রহণের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। একটি আপেলের সাইজের উপর নির্ভর করে প্রায় ৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। সর্বদা হাতের কাছে আপেল আছে তা নিশ্চিত করো যা তোমাকে হঠাৎ ক্ষুধা হ্রাস থেকে সাহায্য করতে পারে।

ব্রকলি

এর ক্রুসিফেরাস প্রকৃতি- অর্থাৎ এটি ফুলকপি, বাধাকপির মতো ব্রাসিকা বংশ থেকে এসেছে। এতে ফাইবার ছাড়াও আরও অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্রকলির প্রতি কাপে ৫ গ্রাম ফাইবার ইতিবাচকভাবে ব্যাকটেরিয়াকে সমর্থন করতে পারে এবং অন্ত্রকে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে সাহায্য করতে পারে।

পপকর্ন

পপকর্ন? অবাক লাগছে? এক কাপ পপকর্নে এক গ্রাম ফাইবার থাকে, তবে তা অবশ্যই হতে হবে ন্যাচারাল। মাখনে কোটেড করা না। একে স্ন্যাক ফুডসের রাজা বলা হয়।

ড্রাইড ফ্রুটস

ডুমুর, খেজুরের মতো শুকনো ফল ফাইবার গ্রহণকে নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং যারা মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে লড়াই করছে তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়। সরবিটল নামক চিনি, যা এই ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় তা অন্ত্রকে আরও আরাম দিতে পারে। তবে এটি পরিমিত খাওয়া ভালো না হয় ক্র্যাম্পিং বা ডায়রিয়া হতে পারে।

আলু

মিষ্টি আলু, লাল আলু, বেগুনি আলু এমনকি সাধারণ পুরাতন সাদা আলু সবই ফাইবারের ভালো উৎস। চামড়া সহ একটি ছোট আলু প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার সরবরাহ করতে পারে। তবে তেলে ভাজা না হলে বেশি ভালো হয়.

বাদাম

বাদামের পুষ্টিগুনের ব্যাপারে বলে তো শেষ করা যাবেনা। এটি শুধুমাত্র প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিত উৎস নয়- সূর্যমুখীর বীজ এবং বাদাম প্রতিটিতে ৩ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে। শুধু বাদামই নয়, বাদামের মাখনও ফাইবার প্যাক করতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

ব্রাঞ্চে কি খাবো?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

কর্মজীবীদের সকালে অফিসের তাড়া নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ক্লাসের তাড়া লেগেই থাকে। যার ফলাফল সকালে শুধুমাত্র চা বা কফিতে একটুখানি চুমুক দেয়া নয়তো খালি পেটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া। আমরা সকলেই জানি সকালের নাস্তা শরীরের জন্য কতটা জরুরী। অধিকক্ষন খালি পেটে থাকা শারীরিক অনেক সমস্যার সূত্রপাত ঘটায়। এমতাবস্থায় ব্রাঞ্চ হতে পারে পারফেক্ট সমাধান। আজকের লেখা সাজানো হয়েছে ব্রাঞ্চের খুঁটিনাটি সব কিছু নিয়েই।

ব্রাঞ্চকে বলা হয় অ্যালার্ম ক্লক ছাড়া ব্রেকফাস্ট। এটি হল এমন একটি খাবার যা সাধারণত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে খাওয়া হয়। সকালের ব্রেকফাস্ট ও দুপুরের লাঞ্চ শব্দদ্বয়কে একত্রে ব্রাঞ্চ বলা হয়। একটি ব্রাঞ্চ সাধারণত প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবারের উপাদানগুলোকে একত্রিত করে। ব্রাঞ্চ শব্দটির প্রথম উপস্থিতি পাওয়া যায় ১৮৯৬ সালে, পাঞ্চ ম্যাগাজিনে এবং ১৯৩০- এর দশকের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ধারনা করা হয় যে, এর জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ উচ্চ শ্রেণীতে। অনেক উচ্চ শ্রেণীর বাড়িতে রবিবারে তাদের সার্ভেন্টসদের আংশিক বা পুরো দিন ছুটি দেয়া হয়, তাই কর্মীরা সকালে বুফে স্টাইলের খাবার তৈরি করে রাখে যা তাদের নিয়োগকর্তারা বাকি দিন খেতে পারতো। যদিও আজকাল এই ব্রাঞ্চ টার্মটি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এটি একটি প্রিয় সপ্তাহান্তের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে যেখানে, সুস্বাদু খাবার উপভোগের পাশাপাশি বন্ধু ও পরিবারের সাথে একত্রে দূর্দান্ত সময় পার করা যায়। অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেগুলো সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার ছাড়াও ব্রাঞ্চ পরিবেশন করে থাকে।

কী খাবো?

ব্রাঞ্চ যেহেতু মোটামোটি একটা সময় গ্যাপের পরেই খাওয়া হয় তাই কিছুটা ভারি খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর। খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন ও খনিজের সংমিশ্রণ থাকতে হবে। মেন্যু সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সবজীর মিশেলে খিচুড়ি অথবা রুটি সাথে সবজী-ডিম থাকতে পারে। পাশাপাশি ফলও অন্তর্ভুক্ত থাকলে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। মোট কথা দুপুরে খাবার হিসেবে আমরা যা খাই তাই এখানে এড করা যাবে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন গুরুপাক না হয়ে যায়। এগুলো ছাড়াও জনপ্রিয় এবং সহজসাধ্য এমন কিছু ব্রাঞ্চের আইটেম হলঃ

ডিম এবং ভেজিটেবল

আমরা জানি প্রোটিন শক্তিশালী পেশী এবং হাড় গঠন এবং তা বজায় রাখার জন্য কাজ করে। আর ডিম হলো প্রোটিনের একটি ভাল উৎস। অন্যদিকে শাকসবজি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ফাইবার প্রদান করে যা অসংখ্য শারীরিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। কিছু স্ক্র্যাম্বল ডিমের সাথে ফ্রেশ ভেগিজ যোগ করে মজাদার ও পুষ্টিকর আইটেম তৈরি করে ব্রাঞ্চে খাওয়া যেতে পারে।

স্যান্ডউইচ

প্রাতঃরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজনের সংমিশ্রণে যে ব্রাঞ্চ তা বিবেচনা করে স্যান্ডউইচ হতে পারে একটি চমৎকার বিকল্প। এর রেসিপিতে আরও পুষ্টি বাড়ানোর কিছু উপায়ের মধ্যে রয়েছেঃ

-ফাইবার যোগ করার জন্য সাদা রুটির পরিবর্তে শস্য রুটি ব্যবহার করা যেতে পারে

-চর্বিহীন প্রোটিন ব্যবহার করা

-লাইট বা হালকা মেয়ো এবং কম চর্বিযুক্ত চিজ ব্যবহার করা

-প্রচুর ভেগিজ অন্তর্ভুক্ত করা

প্যানকেক এবং স্ক্র্যাম্বল ডিম

কিছু সুস্বাদু প্যানকেক যোগ করা ছাড়া কোন ব্রাঞ্চ মেনু সম্পূর্ণ হয়? নরমালি প্যানকেকগুলোতে প্রোটিন এবং ফাইবার কম থাকে, এইক্ষেত্রে ফাইবার বাড়ানোর নিমিত্তে এগুলোর তৈরিতে অর্ধেক গোটা গমের আটা বা অন্য কোন গোটা শস্যের আটা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রোটিন যোগ করতে সাথে নেয়া যেতে পারে কিছু স্ক্র্যাম্বল করা ডিম। ডিম ছাড়া প্রোটিন এড করতে চাইলে প্যানকেক তৈরির সময় সাথে দই বা কটেজ চিজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওটস

গোটা শস্যের ক্ষেত্রে ওটস একটি পাওয়ার হাউস। প্রতি ১/২ কাপ পরিবেশনে ৪ গ্রাম ফাইবার সরবরাহ করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো ফাইবার গ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। ওটস বিভিন্ন ফল, দুধ এবং বাদাম সহযোগে তৈরি হয়ে অনেক উপাদেয় খাবারে পরিণত হয়।

ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ফ্রেঞ্চ টোস্ট এর মাউথ ওয়াটারিং টেস্টের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাঞ্চ আইটেমগুলোর মধ্যে একটি। ফাইবারের কন্টেন্ট বাড়ানোর জন্য এতে সাদা রুটির পরিবর্তে গোটা শস্য বা গমের রুটি বেছে নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও এটি বানানোর জন্য প্রোটিন বুস্ট করার জন্য কিছু টিপস আছেঃ

-ব্যাটারে কিছু প্রোটিন পাউডার যোগ করা যেতে পারে

-আল্ট্রা-ফিল্টার করা দুধ ব্যবহার করা অর্থাৎ যা কিছু পানি এবং ল্যাকটোজ (দুধের চিনি) অপসারণ করতে ফিল্টার করা হয়েছে

-চিয়া সীডের মতো উচ্চ প্রোটিন টপিং যোগ করা

ফল এবং সবজী

যদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট অনুসরণ করে থাকো তবে ফল এবং সবজী হলো বেস্ট চয়েস। এগুলো ডায়েটে প্রচুর পরিমানে যোগ করে ক্ষুধা রোধের পাশাপাশি ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু তারা ভিটামিন এবং খনিজের মতো গুরুত্বপূর্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে লোড হয়। আর ক্যালোরির ঘাটতি বজায় রাখার সময় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ নিশ্চিত করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.দেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

জাদুকরী পানীয় ডিটক্স ওয়াটার

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে হাইড্রেটেড থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই মনে করে পানিতে অতিরিক্ত উপাদান যোগ করলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বাড়ে। ফলাফল, যাকে ডিটক্স ওয়াটার বলা হয়। এই ডিটক্স ওয়াটার এর অনুমিত স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে অনেক হাইপ রয়েছে।  কী এই ডিটক্স ওয়াটার? এর গুণাগুণ কী? এইসব নিয়েই আজ আমরা জানবো।

অনেকেরই ধারণা ডিটক্স ওয়াটার শুধুমাত্র ওজন কমাতেই কাজ করে, এ ধারণা কিন্তু পুরোপুরি সঠিক নয়। শরীর সুস্থ রাখতে এবং সঠিকভাবে ডিটক্সিন করতেই এই পানীয়ের কথা বলা হয়ে থাকে। ডিটক্স ড্রিংকগুলোতে সাধারণত ফল, শাকসবজি, ভেষজ বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর সাথে পানির কিছু সংমিশ্রণ থাকে যা শরীরের সিস্টেম থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর করে শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে পরিচিত। প্রতিদিন আমরা পরিবেশগত দূষণকারী, কীটনাশক এবং কৃত্রিম রাসায়নিকের সংস্পর্শে থাকি। এগুলোর পাশাপাশি প্রচুর প্রক্রিয়াজাত খাবারও খেয়ে থাকি। ডিটক্স ড্রিংকগুলো এই প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকারক টক্সিনগুলোকে ফ্ল্যাশ করে সাহায্য করতে পারে যা গ্যাস থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, ব্রণ এবং ক্লান্তি পর্যন্ত সমস্ত কিছুর দিকে পরিচালিত করে। শুধু তাই নয় এই পানীয় লিভার পরিষ্কার করার, পাচনতন্ত্রকে সাপোর্ট করার এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি করার অন্যতম সহজ উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও ওজন কমাতে, শক্তি বাড়াতে এবং প্রদাহ কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তবে এই সুবিধাগুলো তখনই পাওয়া যাবে যখন সঠিক উপাদানগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে।

ডিটক্স ওয়াটার অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বেস্ট উপাদান কী কী?

ডিটক্স শব্দটি শুনলেই কিছু জটিল উপাদানগুলোর একটি জটিল সংমিশ্রণের কথাই মনে আসে। আদতে, ডিটক্স পানীয় তার চেয়ে অনেক সহজ। এর উপাদানগুলো সব কিছুই হাতের কাছেই পাওয়া যাবে, তাই এটি যেকোন সময়েই বাসায় চটজলদি বানিয়ে নেয়া যাবে। এর মূল উপাদানগুলো হল-

লেবু

লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি মূল ভিটামিন, পুষ্টি এবং দ্রবনীয় ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, কিডনি, পাথর, হজমের সমস্যা এবং এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

আদা

আদা হল ডিটক্স বেভারেজের আরেকটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু উপাদান। একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , আদার প্রধান বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ হল জিঞ্জেরল। এই পদার্থটি আদার অনেক ঔষধি গুণের জন দায়ী। রক্তে শর্করা কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং বদহজমের চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত হয়।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার এড না করে আমরা ডিটক্স পানীয় উপাদানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে পারিনা। প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানকারী এই ভিনেগারে আছে প্রচুর পরিমানে ভিতামিন, খনিজ এবং এনজাইম যা অন্ত্রের জন্য ভাল ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণ, পিএইচ ভারসাম্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , স্বাস্থ্যকর হজম আরও অনেক কিছুকে সমর্থন করে।

পুদিনা

পেপারমিন্ট এবং স্পিয়ারমিন্ট সহ এক ডজনেরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির পুদিনা রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং পানীয়তে জনপ্রিয়। তোমার ডিটক্স পানীয়তে পুদিনা যোগ করলে তা আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফোলেটের মত অতিরিক্ত পুষ্টি যোগ করতে পারে।

তরমুজ

৯২% পানি দিয়ে তৈরি, তরমুজ যে কোনো ডিটক্স পানিয়তে যোগ করার জন্য একটি দূর্দান্ত কম-ক্যালোরি উপাদান। যেকোন পানীয়তে একটি হালকা, সতেজ মিষ্টি যোগ করার পাশাপাশি, রসালো তরমুজ তোমাকে হাইড্রেটেড থাকতে, ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং হার্টের উন্নতিতেও সাহায্য করতে পারে। এটিতে ভিটামিন এ, সি, বি১, বি৫ এবং বি৬ এর পাশাপাশি পটাশিয়াম এবং ম্যাগ্নেসিয়াম রয়েছে-যা একটি সুস্থ শরীর এবং মনের চাবিকাঠি।

শসা

পানীয়ের জন্য শসা হল আরেকটি কম-ক্যালোরি, পুষ্টি এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ উপাদান। আশ্চর্যজনকভাবে শসাতে তরমুজের চেয়েও বেশি পানি থাকে। শসা ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ সরবরাহ করে, সেইসাথে শরীরকে প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করে। ফাইবার একটি ডিটক্সিফায়ার হিসেবে বিষেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শরীরের বর্জ্য ফ্ল্যাশ করার জন্য দায়ী। একটি সতেজ, সবুজ এবং সামান্য তিক্ত স্বাদের সাথে শসা ডিটক্স পানীয়ের রেসিপিতে একীভূত করার জন্য নিখুঁত উপাদান।

কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই পানীয় শরীরে ভালোই কাজে দেয়। এই পানিতে পুষ্টি পাওয়া যাবে কোন ধরনের ক্যালোরি যোগ হওয়া ছাড়াই।  যে কোন সময়েই পান করা যায় এই পানীয়। তবে আদা, লেবু- এসবে যাদের গ্যাসের প্রবলেম হওয়ার সম্ভাবনা আছে তারা তা এড়িয়ে গেলেই ভালো হয়। এছাড়াও অন্যান্য কোন শারীরিক প্রবলেম থাকলে তা বিবেচনা করেই বুঝে উপাদান নির্বাচন করতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook