রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

ভালো থাকার ভালো খাবার

পাঠকের রান্নাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

কেক বেকিংয়ের সাধারণ কিছু ভুল

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩

শখের বশে ঘরে বসে টুকিটাকি বেকিংয়ের প্রচেষ্টা করেনি এমন কাউকে পাওয়া দুষ্কর। কেক, বিস্কুট এমন মুখরোচক আইটেম আমাদের সকলেরই প্রিয়। আর তা যদি করা হয় ঘরোয়া পরিবেশে তাহলে তো আর কথাই নেই। কাপকেক, কেক, পাউন্ড কেক, কুকিজ- এগুলোর রেসিপি দেখতে সবই সহজ মনে হলেও, অধিকাংশই সফলতার মুখ দেখতে ব্যর্থ হয়। আজ জানবো কীভাবে সাধারণ কিছু ভুল এড়িয়ে একটি পারফেক্ট পাউন্ড কেক তৈরি করা যায়। লিখেছেন শায়লা জাহান। 

পাউন্ড কেক হল ব্যান্ডট প্যানে তৈরি একটি সুস্বাদু কেক যার কারণে কেকটিকে প্রায়শই পাউন্ড কেক বা ব্যান্ডট কেক বলা হয়। ময়দা, চিনি, মাখন এবং ডিম- এই সহজলভ্য ৪টি প্রধান উপাদান থেকে এটি তৈরি করা হয়। যদিও এর অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে, কিন্তু সেগুলো হল এর মৌলিক উপাদান। এতো সহজ উপাদানের সমন্বয়ে পাউন্ড কেক তৈরি করতে গেলেও আমাদের কমন কিছু সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। এই হয়ত দেখা যায় ভেতরে শক্ত বা কাঁচা থেকে যাচ্ছে, নতুবা কেক কিছুটা ফুলে আবার চুপসে যাচ্ছে। শখের কেকের যাতে এই বেহাল অবস্থা না হয় সে জন্য নিচের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারো।

সঠিক পরিমাপ

বেকিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে যেটা প্রয়োজন তা হল উল্লেখিত উপাদানগুলোর পরিমাপ সঠিকভাবে নেয়া। আমরা অনেক সময় হাতের আন্দাজেই উপাদানগুলো নিয়ে থাকি, যা একেবারেই ভুল। কেকের উপাদানগুলো পরিমাপ করার সময়, সঠিক নির্ভূলতার জন্য একটি পরিমাপের কাপ বা স্কেল ব্যবহার করা উচিৎ। শুকনো আইটেমগুলোর জন্য পরিমাপ কাপ বা চামুচ ব্যবহার করো। উপাদানগুলো কাপে নিয়ে ছুরি বা চামুচের সাহায্যে কাপের শীর্ষটি সমতল করে নাও। ময়দা, চিনি, ক্রিম ইত্যাদির মতো উপাদানগুলো পরিমাপ করতে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ফুড স্কেল ব্যবহারের আগে স্কেলটি প্রথমেই শূন্য করে দাও। তারপর বাটিটি স্কেলের উপরে রেখে, তাতে উপাদান রেখে পরিমাপ করে নিতে পারো। এটির ব্যবহার ভুলের সুযোগ কমিয়ে দেয়।

চিনি

চিনি কিন্তু তিন প্রকারের পাওয়া যায়। দানাদার, ক্যাস্টর এবং গুঁড়ো চিনি। সহজে মিশে যেতে পারে বলে ছোট দানার চিনি ব্যবহার করা উচিৎ। বিকল্প হিসেবে চিনিকে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নেয়া যেতে পারে। দানাদার চিনি এবং গুঁড়ো চিনি কিন্তু মিষ্টতার দিক দিয়ে পার্থক্য আছে। তাই ব্যবহারের আগে সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাটার

কেক তৈরির নিমিত্তে যে বাটার ব্যবহার করছো তার গুণমান যাচাই করে দেখো। কিছু অফ ব্র্যান্ড বা সস্তা মাখনে অনেক বেশি পানি বা তরল চর্বি থাকে, সেগুলো কিন্তু বেকিংয়ে ভালো ফল দিবেনা। এরপর যেটার দিকে তাকাতে হবে তা হল মাখনটিকে ঠিকভাবে বীট করা হচ্ছে কীনা? একে ততক্ষন পর্যন্ত বীট করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বাটারটি একটি স্টিক সদৃশ হয়ে যায়।

উপাদানগুলোর ওভারমিক্স করা

কেকের উপাদানগুলোকে ওভারমিক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হ্যাঁ, তোমাকে একবার বলা হয়েছে বাটারকে ভালোভাবে বীট করতে। কিন্তু যখন তুমি ব্যাটারে ডিম যোগ করবে, শুধুমাত্র সব উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশাতে যতটুকু নাড়তে হয় ততটুকুই মিক্স করবে ব্যস। কারন অতিরিক্ত মিক্সিং ব্যাটারে বাতাস যোগ করতে পারে যা শুষ্কতা সৃষ্টি করতে পারে। এটি গ্লুটেনকেও সক্রিয় করে, যা কেকের টেক্সচারকে প্রভাবিত করে। খুব বেশি মেশানো এটিকে শক্ত এবং রবারি করে তুলবে।

ঘরের তাপমাত্রার উপাদান

উপাদান যেমন মাখন, ডিম, যেকোন ভেজা উপাদান (দুধ, ক্রিম, বাটারমিল্ক, টক ক্রিম) ইত্যাদি ব্যবহারের আগেই ঘরের তাপমাত্রায় আনতে হবে। ফ্রিজে থাকলে অন্তত একঘন্টা আগে বের করে রাখতে হবে। এগুলো যদি ঠান্ডা অবস্থায় নেয়া হয় তবে দেখা যা তা ব্যাটারে ভালোভাবে মিশবেনা নতুবা পিন্ড তৈরি করতে পারে।

সঠিক কেক প্যান

তোমার কেক রেসিপিটি যে আকারের প্যানের জন্য যথার্থ হবে সেটাই নির্বাচন করে নাও। ভুল আকারের প্যান ব্যবহার করার ফলে সমস্যা হতে পারে। যেমন- ব্যাটার প্যানে ফিট হচ্ছেনা, প্যান থেকে ব্যাটার উপচে পড়ছে বা কেক চারপাশে সমানভাবে বেক হচ্ছেনা। আরেকটি জিনিস লক্ষ্য রাখবে, প্যানে ব্যাটার এমনভাবে ঢালবে, যাতে প্যানের উপর থেকে প্রায় ইঞ্চি খানেক জায়গা খালি থাকে। এই খালি জায়গায় কেকটি বেক করার সময় উঠতে পারে। যদি প্যানের আকার নিয়ে কিছুটা কনফিউশন কাজ করে, সেক্ষেত্রে ব্যাটার ছিটকে পড়া এড়াতে বড় প্যান নির্বাচন করে নাও।

তেল গ্রীস করা

নির্বাচিত প্যানে কেকের ব্যাটার ঢালার আগে, প্যানটিতে ভালোভাবে তেল গ্রীস করে নাও। গ্রীস না করলে বেক করার পর কেকটি প্যান থেকে ভালোভাবে বের করা সম্ভব হবেনা। বেকিং স্প্রে করে এই গ্রীস করতে পারো। তবে সবচেয়ে ভালো হয় ময়দা এবং তেল পদ্ধতি। এর জন্য প্রথমে প্যানের ভেতর ভালোভাবে তেলের একটি সমান স্তর দিতে হবে। তারপর তার উপর হালকা এবং সমানভাবে ময়দা দিয়ে ঢেকে দাও। শেষে প্যানটি উপুড় করে হালকা ঝাঁকালে বাড়তি ময়দা  ঝরে পড়বে।

ওভেনের তাপমাত্রা

রেসিপিতে যা বলা হয়েছে তার থেকে ১৫ ডিগ্রি বেশি তোমার ওভেনকে প্রিহিট করে নাও এবং তারপর যখন কেকটি রাখবে তখন এটি সঠিক তাপমাত্রায় কমিয়ে দাও। কেক বেক করার সময় ওভেনের দরজা বারবার খুলবেনা। বারবার এর দরজা খুলাতে এটি প্রচুর পরিমাণে তাপ হারায়। এতে কেক চুপসে যেতে পারে।

কুলিং

কেকটিকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য একটি কুলিং র‍্যাকে ঠাণ্ডা হতে দাও। ঠাণ্ডা হলে তারপর উল্টে কেকটি বের করে নাও। আইসিং সুগার, ফল, ক্রিম অথবা চকলেট দিয়ে পছন্দমত ডেকোরেশন করে নাও আর উপভোগ করো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবাররোদসীর পছন্দসচেতনতাস্বাস্থ্য

বিয়ের আগে ফিট থাকতে

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩

রেহনুমা তারান্নুম:

নারী হোক বা পুরুষ, যেকোনো মানুষের জীবনে বিয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ মুহূর্ত। আর বিয়ের দিনের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বর ও কনে।বিয়ের আগে বর-কনের চিন্তা একটু বেশি করতে হয়। খাবারদাবার, পোশাক, গহনা থেকে শুরু করে আরও কত-কী। বিয়ের দিন-তারিখ নির্ধারণ হলেই শুরু হয় বর-কনের নানা রকম দায়িত্ব। এই সময় বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বাড়তি চিন্তায় অনেকেই নিজের খাবারদাবার বা ডায়েটের কথা ভুলে যায়। আবার কেউ নিজেকে তাড়াতাড়ি স্লিম দেখাতে গিয়ে একেবারেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেয়। যেটা মোটেও করা উচিত নয়।

বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে যদি হাতে কিছু সময় থাকে, তবে সেই সময়ের মধ্যেই নিজের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে নিজেকে করতে পারো ফিট এবং সুন্দর। বিয়ের এই সময়টাতে বর-কনের মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা করলে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়তে পারে। ত্বক সুন্দর রাখতে তাই দুশ্চিন্তা কম করতে হবে এবং তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। প্রচুর পানি পান করে ত্বককে ডিহাইড্রেট রাখতে হবে। সবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। এতে ত্বক সজীব দেখাবে।

এছাড়া বিয়ের সময়টাতে অতিরিক্ত চিন্তার কারণে খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে শরীরে ক্যালরি কম সঞ্চয় হয়। তাই বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন সকালে একমুঠো যেকোনো ধরনের বাদাম খেলে পুষ্টিও পাওয়া যাবে। সঙ্গে ক্যালরিও সঠিক মাত্রায় শরীর গ্রহণ করতে পারবে।

-বিয়ের আগে বর ও কনের অবশ্যই একটা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের নিয়ম করা উচিত। বাইরের খাবার বা ভাজাপোড়া খেয়ে যেন পেটের পীড়া না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এই সময় ডায়েট চার্টে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং সবজি ও ফল রাখতে হবে। শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এমন খাবার ও রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

-বিয়ের আগে যদি হাতে একমাস সময় থাকে, তবে একমাস আগে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করো। একমাসে মাঝেমধ্যে একদিন বেশি খেয়ে ফেললেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। ভাত ও রুটির পরিমাণ একটু কমিয়ে দাও এবং সালাদ ও সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাও। ব্যায়াম করার সময় একটু বাড়িয়ে দাও।

-নিজের পছন্দমতো সবজি দিয়ে তৈরি জুস খেতে পারো। ডায়েট সঠিক রাখতে গেলে গাজর, বিট রুট এবং টমেটো সব থেকে ভালো অপশন। এসময় স্কিন গ্লোর জন্যও এটি বেশ উপকারী। বাইরে খাওয়াদাওয়া করলে সঙ্গে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করো। ডুবোতেলে ভাজা খাবার থেকে বিরত থাকো।

-সারাদিন বাইরে থাকতে হলে ড্রাই ফ্রুটস সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে। সেগুলো হেলদি স্ন্যাকস হিসেবে ভালো হবে। জাংক ফুড খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। বাইরের কোনো খাবার খেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করো। সারাদিনে খুব বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।

-চিয়া সিডের পানি প্রতিদিন পান করার চেষ্টা করো। চিয়া সিড ওমেগা থ্রির সব থেকে ভালো উৎস, এটি অল্প পরিমাণে ফ্যাট যেমন আয়ত্তে রাখে, তেমনই স্কিনের সঙ্গে শক্তি বাড়াতে কাজ করে।

-খেতে ভালো লাগলে এক বাটি পাকা পেঁপে প্রতিদিন খেতে পারো। এটি দেহের কোষগুলোকে পুষ্টি প্রদান করে এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে খাবার হজমেও সহায়তা করে।

-টক দই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম দুটিই দারুণভাবে সরবরাহ করে। সে কারণে টক দই প্রতিদিন খেতে হবে।

-রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করো।

-যদি ওজন কমানোর ডায়েট করতে চাও, তাহলে অবশ্যই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। স্টার্চযুক্ত সবজি যেমন, আলু, ভুট্টা, মিষ্টি আলু কখনোই খাবে না। দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বদলে চিনি ছাড়া চা বা গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করো। এ ছাড়া রাতে কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি বাদ দিয়ে সবজি ও প্রোটিনজাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ তালিকায় রাখো। পর্যাপ্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করো এবং অবশ্যই দিনে অন্তত ৩০ মিনিট রাখো শরীরচর্চার জন্য।

বিয়ের এক সপ্তাহ আগে খাও এই খাবারগুলো

তুমি ছেলে হও আর মেয়ে হও, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বিয়ে জীবনে একবারই হয়। বিয়ে মানেই নতুন সঙ্গীর হাত ধরে নতুন জীবনে প্রবেশ। এই সময় সবারই টেনশন, স্ট্রেস, উত্তেজনা বেশি থাকে। বিয়ের মাস তিনেক আগে থেকে সবাই ডায়েট চার্ট মেনে চলো, নিয়মিত শরীরচর্চাও করো।

এর মধ্যে অনেক খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও বিয়ের আগের এক সপ্তাহের টেনশন, স্ট্রেসের কথা মাথায় রেখে তা ডায়েট চার্টের বাইরে রাখার পরামর্শ দেন ডায়েটিশিয়ান ও মনোবিদেরা। জেনে নাও কোন খাবারগুলো রয়েছে এর মধ্যে।

০১. চুইংগাম:

বিয়ের ছবিতে সেলফি আদর্শ। সেলফি ফেস তৈরির জন্য অনেক ট্রেনারই চুইংগাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যত চুইংগাম খাবে, তত শরীরে হাওয়া ঢুকে পেট ফাঁপবে। তাই বিয়ের এক সপ্তাহ আগে থেকে চুইংগাম বন্ধ করো।

০২. ড্রাই ফ্রুট:

শুকনো ফল অবশ্যই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডায়েট চার্টে অবশ্যই রাখা উচিত। কিন্তু এর মধ্যে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। বিয়ের এক সপ্তাহ আগের টেনশনে ড্রাই ফ্রুট ওজন বাড়াতে পারে।

০৩. কপি:

বাঁধাকপি, ফুলকপি ও ব্রকলিজাতীয় সবজির মধ্যে সেলুলোজের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা হজমের সমস্যা করতে পারে। বরং শসাজাতীয় সবজি এই সময় বেশি করে খাও।

০৪. কফি:

এই সময় নিয়ম করে সময় মেনে ঘুমের খুব প্রয়োজন। স্ট্রেস কাটাতে তাই কফির ওপর নির্ভর করবে না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়বে। বেশি কফি খেলে অ্যাসিডিটিও হতে পারে।

০৬. কার্বনেটেড ড্রিংক :

অনেকেই ভাবে, ডায়েট সফট ড্রিংক এই সময় খাওয়া যায়। কিন্তু বিয়ের আগে সবাই ডায়েট চার্ট মেনে চলে। সফট ড্রিংকের মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। পেটের মধ্যেও বুদবুদ কাটে সফট ড্রিংক। ওজনও বাড়বে, স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হবে।

০৭. জাংকফুড:

এ ব্যাপারে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। এই সময় স্ট্রেস বেশি থাকে। পিজা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ মুড ভালো করবে ঠিকই, কিন্তু হজমের সমস্যায় পড়বে।

০৮. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার:

ভারতীয় মায়েরা মনে করে, বিয়ের আগে রোজ দুধ খাওয়া প্রয়োজন। এতে কমজোরি যেমন কাটবে, তেমনই রংও ফরসা হবে। কিন্তু ডায়েটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন, এই সময় অনেক রকম টেনশন থাকে। দুধ থেকে হজমে সমস্যা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবারে ওজন বাড়ার প্রবণতাও দেখা যায়।

বিয়ের এক মাস আগে থেকেই নানা জায়গায় আইবুড়ো ভাত খাওয়া শুরু হয়ে যায়। সেই সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। একইসঙ্গে পেটও ভালো রাখা প্রয়োজন। এরপর আসে বিয়ের আগের দিন। সেদিন দুপুরে বাড়িতে আইবুড়ো ভাত খাওয়া হয়। তাই খাবারের দিকে যথেষ্ট লক্ষ রাখা উচিত। দুপুরের খাবারকে তুমি না বলতে পারবে না। কিন্তু সারাদিনের ডায়েট তো তোমার হাতেই থাকে।

অত্যন্ত তৈলাক্ত খাবার খাবে না

শরীর সুস্থ রাখার প্রধান শর্তই স্বাস্থ্যকর ডায়েট। তাই বিয়ের আগের দিন ডায়েটে তেল ঝাল মসলা দেওয়া খাবারকে বাদ দাও। বিয়ের আগের রাতে এমনিই ঠিকঠাক ঘুম হয় না। তার ওপর ওদিন যদি এসব খাবার খাও, তাহলে তোমার শরীর খারাপ কে আটকায় বলো দেখি। বিয়ের দিন ভালো থাকতে হলে বিয়ের আগেরদিনও তোমাকে সুস্থ থাকতে হবে।

কফি ও কোল্ড ড্রিংক খাবে না

কফি খেতে অনেকেই ভালোবাসে। শীতকালে আবার বাঙালি বাড়িতে কফি খাওয়ার একটা প্রচলন আছে। কিন্তু তুমি তোমার ডায়েট থেকে কফি বাদ দাও ওইদিনের জন্য। কারণ, কফি তোমার শরীরকে ডি-হাইড্রেটেড করে দিতে পারে। কোল্ড ড্রিংকও শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই তুমি ফলের রস বা গ্রিন টি খেতে পারো।

দুধের প্রোডাক্ট

অনেকের চিকিৎসকই তাঁর ডায়েট থেকে দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিয়ে দেন। আমার নিজেরই সেসব খাওয়া বারণ। আমি টক দই, দুধ চা কিছুই খাই না। কিন্তু যারা খেতে ভালোবাসে, তারাও বিয়ের দিনের কথা মাথায় রেখে আগের দিন এসব খাবে না। কারণ, দুধ হজম হতে সময় নেয়। তাই ঠিকঠাক ঘুম না হওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পর্যাপ্ত ফল খাবে

পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল খেলে তোমার শরীর এমনিই ভালো থাকবে। তুমি ব্রেকফাস্টে বা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝামাঝি সময়ে ফল খেতে পারো। তোমার শরীর ভালো থাকবে। যেহেতুতুমি লাঞ্চ বাদ দিতে পারবে না, তাই কিছু করার নেই। ফলের রসও খেতে পারো।

সালাদ

ডিনারে ভাত বা রুটির বদলে চিকেন সালাদ কিংবা স্প্রাউটস সালাদ খেতে পারো।

পানি

পরের দিনও তোমাকে ফল ও জলের ওপরেই থাকতে হবে। এবং রাতে উল্টোপাল্টা খাওয়া তো হবেই। তাই আগের দিন শরীর ডিটক্স করা প্রয়োজন। সেই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। যাতে বিয়ের দিন কোনোভাবেই ডিহাইড্রেশন হয়ে শরীর খারাপ না হয়ে যায়।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘরকন্যাপাঠকের রান্নাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

বিয়ের খাবারে নতুনত্ব

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩

এখন সবকিছু আধুনিকতার জোয়ারে ভাসছে। তেমনি বিয়ের খাবারে যোগ হয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। বিয়ের খাবারের রেসিপি দিয়েছেন ফাহা হোসাইন

বিফ সাতেই

উপকরণ

গরুর মাংস কিমা ১ কাপ, চিনাবাদাম পেস্ট ১ টেবল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, রসুনের পেস্ট ১/২ চা-চামচ, চিলি ফ্ল্যাক্স ১ চা-চামচ, মধু ১ টেবল চামচ, তেল ২/৩ টেবল চামচ।

প্রণালি

প্রথমে গরুর মাংস কিমাগুলো চিনাবাদামের পেস্ট, সয়া সস, লেবুর রস,রসুনের পেস্ট, চিলি ফ্ল্যাক্স, মধুর পেস্ট দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখো চার-পাঁচ ঘণ্টা। এরপর ভিজিয়ে রাখা শাশলিকের কাঠিতে গোলানো কাবাবের মতো আকার করে গ্রিল প্যান গরম করে তাতে এপিঠ-ওপিঠ করে সতে করে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করো।

চিকেন চিজ বার্ন স্টিক

উপকরণ

চিকেন ১/২ কেজি(কিউব করে কাটা), চিজ ১ কাপ (কিউব করে কাটা), ক্যাপসিকাম ১ কাপ (কিউব করে কাটা), পেঁয়াজ ১ কাপ (কিউব করে কাটা), বারবিকিউ সস ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি

সবগুলো উপকরণ মাখিয়ে ২/৩ ঘণ্টা ফ্রিজে ম্যারিনেট করে রাখো। স্টিকগুলো ৫/৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখো। বারবিকিউ ফ্রেমে আগুন জ্বালিয়ে স্টিকে গেঁথে স্টিকগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসে নিলেই হয়ে গেল, চিকেন চিজ বার্ন স্টিক।

চিকেন আফগানি পোলাও

উপকরণ

বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, মুরগির মাংস ১ কেজি, আলু ১/২ কেজি, আলুবোখারা ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ চা-চামচ, জাফরান ১ চিমটি, তরল দুধ ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, কাঁচামরিচ ফালি ৭/৮টা, তেজপাতা ৩টা, দারুচিনি ২ ইঞ্চি, এলাচি ৩/৪টা, শুকনা মরিচ ৫/৬টা, লবণ ১ চা-চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, তেল ৪ টেবিল চামচ, গরম পানি ৭০০ গ্রাম।

প্রণালি

প্রথমে মুরগির টুকরাগুলোকে লবণ এবং মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখো। অন্যদিকে তরল দুধ গরম করে তাতে জাফরান ভিজতে দাও। এবার প্যানে তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে তাতে মুরগিগুলো এপিঠ-ওপিঠ করে ভালোমতো ভেজে নাও, এবার এতে আদা,রসুনবাটা দিয়ে হালকা কষিয়ে বাকি সব উপকরণ যেমন আলু, আলুবোখারা, কিশমিশ, জাফরান ভেজানো দুধ, পেঁয়াজকুচি, গরমমসলা, গরম পানি একে একে দিয়ে দিতে হবে, প্রথমবার বলক এলে জ্বাল কমিয়ে দমে বসিয়ে রাখো, ভাত ঝরঝরে হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করো।

তাওয়া চিকেন

উপকরণ

মুরগির মাংস ৮-১০ টুকরা, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, আদা-রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, ঝাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, কাবাব মসলা ১/২ চা-চামচ, টক দই ১/২ কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, শর্ষের তেল ১ কাপ।

প্রণালি

প্রথমে মুরগির মাংসের টুকরাগুলোর গায়ে ছুরি দিয়ে দাগ কেটে নাও,যাতে মসলা ঢোকে। এবার এতে একে একে সব মসলা আর তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার একটা ভারি গ্রিল প্যানে তেল গরম করে মসলা মাখানো মাংসগুলো এপিঠ-ওপিঠ বাদামি করে ভেজে পছন্দের পোলাও এর সঙ্গে পরিবেশন করো।

পেস্তা কুলফি

উপকরণ

ফুল ফ্যাট তরল দুধ ২ কেজি, চিনি ২০০ গ্রাম

পেস্তাবাদাম ৫০ গ্রাম।

প্রণালি:

ফুল ফ্যাট দুধ জ্বাল দিতে হবে অনেকক্ষণ। ঘন ঘন কাঠের চামচ দিয়ে নাড়তে হবে, যতক্ষণ না দুই কেজি দুধ জ্বাল হয়ে আধা কেজি হয়ে যাবে। দুধের সর পড়ে পড়ে যখন দুধ ঘন হয়ে যাবে, তখন চিনি মিশিয়ে আর কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে তাতে পেস্তা কুচি দিয়ে ঠান্ডা করো। বাজারে কুলফি মোল্ড পাওয়া যায় দুধের মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে এলে কুলফির মোল্ডে কুলফির পেস্ট ঢেলে তার মুখ আটকে আট ঘণ্টার জন্য ঠান্ডা হতে দাও। এরপর সার্ভিং ডিশে কুলফির ঠান্ডা মোল্ড হাতের তালুতে ঘষে মোল্ড ঝাঁকানি দিলেই কুলফি বেরিয়ে আসবে। এবার ওপরে পছন্দমতো বাদাম দিয়ে পরিবেশন করো।

ঝাল লাবান

উপকরণ:

টকদই ১/২ কেজি, গোলমরিচের গুঁড়া ১/৪ চা-চামচ, বিট লবণ ১/৩ চা-চামচ, রসুন ৩ কোয়া, চিনি ২ টেবিল চামচ, বরফ ১০-১২ টুকরা।

প্রণালি:

প্রথমে সব উপকরণ যেমন দই, গোলমরিচের গুঁড়া,বিট লবণ, রসুন, চিনি এবং বরফের টুকরা ব্লেন্ডারে নিয়ে অনেক সময় ধরে ব্লেন্ড করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাভালো থাকার ভালো খাবারহেঁসেল

শীতকালীন সবজী সংরক্ষণ পদ্ধতি

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৯, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

ঋতুর পালাচক্রে শীতের আবহ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। আর কিছুদিন পরেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। শীতের কনকনে ঠাণ্ডা একদিকে জনজীবনে প্রভাব ফেললেও এই মরশুমে পাওয়া খেজুরের রস, টাটকা শাক-সব্জীর কোন তুলনাই হয়না। উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কলা-কৌশলের জন্য সারা বছরই কিছু সবজীর যোগান থাকলেও দামের দিক থেকে এগুলো অনেক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে থাকে। তাই এখনই সময় শীতকালীন সবজী সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। এই ব্যাপারে কিছু টিপস আসো জেনে নিই।

গাজর

সারা বছর রঙিন শাক-সব্জী খাওয়া শরীর ও আত্মার জন্য খুবই পুষ্টিকর। গাজর সবচেয়ে বহুমুখী অভিযোজিত সবজী। এগুলো স্যুপ, ফ্রাইড রাইস, সালাদ এবং ডেজার্টের একটি মূল উপাদান এবং তুমি এগুলো নাস্তা হিসেবে কাঁচা খেতে পারো। ভিটামিন এ-তে ভরপুর এই আইটেম যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারো তবে এর আয়ুষ্কাল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। এটি দ্রুত ভিজে ও নিস্তেজ হয়ে যায়। এর কিছু সহজ স্টোরেজ কৌশল রয়েছে যা তোমাকে গাজরের দীর্ঘায়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং সম্ভাব্য খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনতে পারে।

-সমস্ত গাজর ফ্রিজে একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিৎ, হোক সেটা আস্ত, খোসা ছাড়ানো বা কাটা যাই হোক না কেন।

-আস্তভাবে গাজর রাখতে চাইলে তা কোনভাবে পানিতে ধোয়া যাবেনা, যদিনা তা ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকে। কারণ পানির সংস্পর্শে আসলে তা নষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এরপর এর মাথার কাছে সবুজ পাতা থাকলে তা ছেঁটে দিতে হবে। তা না হলে এটি মূল গাজর থেকে আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। সবশেষে পেপার টাওয়ালে মুড়ে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে দিতে হবে। ফ্রিজে রাখা এমন ফল থেকে দূরে রাখো যা ইথিলিন গ্যাস তৈরী করে।

-খোসা ছাড়ানো গাজরের প্রতিরক্ষামূলক বাইরের স্তর সরে গেলে তা শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই অবস্থায় যদি সংরক্ষণ করতে চাও তবে তা প্রতিরোধের জন্য তোমাকে আর্দ্রতা সরবরাহ করতে হবে। এইজন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে গাজর ধুয়ে তা পাত্রে পানি সহকারে রাখতে হবে। এমনভাবে পানি যোগ করতে হবে যাতে গাজরগুলো সম্পূর্নরুপে পানি দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। এইভাবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা যাবে। তবে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে পর্যায়ক্রমে ৪-৫ দিন পর পর পানি পরিবর্তন করলে ভালো হয়।

টমেটো

টমেটোও সারা বছর পাওয়া গেলেও এই সময়ে এর স্বাদ থাকে অতুলনীয়। তরকারি রান্না থেকে শুরু করে, নাস্তা, সালাদ, সস তৈরিতে একে ছাড়া তো ভাবাই যায়না। ভিটামিন সি-তে ভরপুর একে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। অনেকেই টমেটোকে আস্তভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে। এতে কিন্তু পরবর্তীতে তা ব্যবহারের জন্য বের করে আনলে কাটতে সমস্যা হয়।

-প্রথমেই টমেটোগুলোকে আস্ত ভালোভাবে ধুয়ে, পুরো পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এর পর তা পছন্দ মত টুকরো করে কেটে থালায় এমনভাবে বিছিয়ে দিতে হবে যাতে একটার গায়ের সাথে অন্যটা না লেগে যায়। এভাবে ফ্রিজে ভালোভাবে ফ্রোজেন করে পরবর্তীতে তা কোন পাত্রে বা পলিথিনে রেখে দেয়া যাবে।

-এছাড়াও টমেটো পেস্ট করে তা প্রয়োজনমত ছোট ছোট কিউব আকারে রেখে বরফ করে সংরক্ষণ করা যায়। চাইলে টমেটো পাতলা স্লাইস করে কেটে কড়া রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়া করেও বায়ুরোধী পাত্রে অনেকদিন জমিয়ে রাখা যায়।

বাঁধাকপি

শীতের সবজীর কথা বললেই বাঁধাকপির প্রসঙ্গ আসবেই। এতে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফাইবার তো আছেই, সাথে আছে ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, কে সহ নানা উপাদান। বাঁধাকপি হিমায়িত করতে প্রথমে একে ব্লাঞ্চ করে নিতে হবে। এইজন্য প্রথমেই একে ভালোভাবে ধুয়ে কেটে নিতে হবে। কাটা টুকরোগুলোকে ফুটন্ত পানিতে প্রায় ৯০ সেকেন্ডের জন্য ব্লাঞ্চ করে নাও। তারপর তা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে পুরোপুরি শুকিয়ে নাও। এভাবে ডিপ ফ্রিজে অনেকদিন রেখে দিতে পারবে।

ফুলকপি, ব্রকলি

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য ব্রকলি ও ফুলকপি দুটোই বেশি জরুরী। এ দুটোই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ। নিয়মিত এগুলো খেলে বিপাক বৃদ্ধি পায়। সংরক্ষণের জন্য এগুলো টুকরো করে পানিতে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি ঝরিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে ঢুকিয়ে রাখলেই হবে।

শিম

তরকারি ও ভাজি হিসেবে খাওয়া এই সবজী। শিমের বিচি চাইলে অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। বিচি জিপার ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা যায়। আবার এগুলো রোদে ভালো করে শুকিয়ে বক্সে ভরে দীর্ঘদিন রাখতে পারবে।

ধনেপাতা

ফ্রেশ ফ্রেশ ধনেপাতার যোগে তরকারীর স্বাদ বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। ধনেপাতা বেছে তা পেপার টাওয়ালে জড়িয়ে বক্সে রাখা যায়। আবার চাইলে তা ধুয়ে কুচি করে রোদে ছড়িয়ে দিলে শুকিয়ে যাবে। তারপর তা গুঁড়ো করেও অনেকদিন রেখে দেয়া যাবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনবিদেশভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

বয়স? সে তো শুধুই একটি সংখ্যা!

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

বর্তমানে পুরো দুনিয়ায় কোরিয়ান ড্রামা, মুভি, মিউজিক এবং টিভি শো’র ক্রেজ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেখে মানুষ বিস্মিত হয়। অনন্য সাংস্কৃতিক দিক ছাড়াও তারা নিখুঁত ত্বক এবং ফিট শরীরের জন্য সুপরিচিত। কোরিয়ান মহিলাদের বিশেষ করে একটি দর্শনীয়ভাবে ফিট ব্যক্তিত্ব রয়েছে যা সারা বিশ্বের সকলকে কৌতুহলী এবং বিস্ময়কর করে তুলেছে। কখনও মনে জেগেছে কি, তাদের দেখতে এমন কী করে হয়? কিইবা তাদের রহস্য? আসো একসাথে আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিই।

এশিয়ান সংস্কৃতিতে খাবারের অনেক কদর রয়েছে। এমনই একটি এশিয়ান দেশ যেখানে মানুষ খেতে খুবই ভালোবাসে তা হল কোরিয়া। শুনতে অদ্ভূত শোনালেও এটাই বাস্তব সত্য। ফুলকোর্স ভারী খাবার খাওয়া সত্ত্বেও, তাদের শরীর ফিট এবং স্লিম থাকে যা অনেকের জন্য স্বপ্ন। কোরিয়ান খাবার এবং জীবনধারা ওজন বজায় রাখতে এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের খাবার এবং ডায়েট সম্পর্কে খুব নির্দিষ্ট এবং কঠোর। যে খাবার গ্রহণ করে তাতে ভারসাম্যতা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা কার্বোহাইড্রেট থেকে ফ্যাট থেকে প্রোটিন পর্যন্ত গ্রহণ করে। তারা ওজন বাড়ায় না কারণ সবকিছুই সুষম অনুপাতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের ব্যাপারে কিছু জেনে নিইঃ

শাকসবজি প্রাধান খাদ্য

অ্যাপেটাইজার, মেইন কোর্স, স্ন্যাকস অথবা যে কোন ঐতিহ্যগত কোরিয়ান খাবার উপভোগ করতে যাও না কেন, প্রথমেই টেবিলে বিস্তৃত পরিসরে শাকসবজির উপস্থিতি দেখতে পাবে। কোরিয়ান লোকেরা তাদের শাকসবজি পছন্দ করে, যা তাদের স্লিম এবং ফিট থাকার পিছনে অন্যতম প্রাধান কারণ। প্রদত্ত যে বেশিরভাগ শাকসবজি আঁশযুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালোরি যা ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। শাকসবজিতে থাকা ফাইবার তৃপ্তি বোধ করতে সাহায্য করে ও অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

ফার্মেন্টেড বা গাঁজানো খাবারের অন্তর্ভুক্তি

তাদের সমস্ত খাবারের সাথে একটি সাইট ডিশ থাকে, যা সাধারণত গাঁজন করা খাবারের একটি সিরিজ। কিমচি, সেই গাঁজনযুক্ত মশলাদার বাঁধাকপি যা বিশ্বব্যাপী ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জাতীয় খাবারগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত এবং তা হজমেরও উন্নতি করে। এটি রোগক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও কাজ করে। অনেক ধরনের কিমচি রয়েছে এবং সবকিছুই বাঁধাকপি থেকে তৈরি হয়না। মূলা, শসা সহ প্রায় যেকোন সবজি দিয়েই হয়ে উঠতে পারে কিমচি।

সামুদ্রিক খাবার

কোরিয়াকে তিন দিকে সাগর ঘিরে রেখেছে। সামুদ্রিক খাবার কোরিয়ার অন্যতম প্রধান খাবার। তাদের দুর্দান্ত চুল, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল সামুদ্রিক খাবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা। গ্রিলড ম্যাকেরেল, স্কুইড, অক্টোপাস তাদের অনেক প্রিয় আইটেম। চর্বিযুক্ত মাছ ব্যতীত, যা স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত; সামুদ্রিক শৈবাল একটি সাধারণ কোরিয়ান খাদ্য আইটেম যা তারা স্যুপ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতে অন্তর্ভুক্ত করে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য দূর্দান্ত এবং তোমাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্নতা অনুভব করে।

ঘরে তৈরি খাবারের প্রাধান্য

কোরিয়ান মহিলাদের ফিট শরীরের পিছনে মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তাদের খাবারের পছন্দগুলো। তুমি যখন ওজন কমাতে মনোস্থির করো সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ফাস্টফুড- এগুলো শুধুমাত্র ওজন বাড়াতে দায়ী নয়, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। কোরিয়ানরা বাইরের পরিবর্তে ঘরের খাবারের প্রতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের শরীরের জন্য ভাল খাবার সম্পর্কে তারা সচেতন এবং সেই অনুযায়ী তারা সেভাবে খাবার নির্বাচন করে থাকে।

চিনি কম, উপকারিতা বেশি

কোরিয়ান খাবার বেশিরভাগই মশলাদার এবং টক। তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ভারী মিষ্টি অন্তর্ভূক্ত করেনা, তাদের মিষ্টান্নগুলো ফলের রস, এক বাটি তাজা ফল বা মিষ্টি ভাতের পানীয়ের মতো হালকা। এগুলো শরীরের ওজন বাড়ায় না। বিখ্যাত কোরিয়ান ডেজার্টগুলোর মধ্যে পাটবিংসু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। এটি চাঁচা বরফ দিয়ে তৈরি এবং এতে কোন কৃত্রিম রঙ নেই। এটি স্বাস্থ্যকর করতে তারা এতে প্রচুর ফল ব্যবহার করে।

সোডা কে না

তারা কোক এবং সোডা তেমন খায়না, তার পরিবর্তে প্রচুর চা খায়। বার্লি চা, যাতে অনেক কিছুই আছে। এটির স্বাদ অদ্ভুত তবে এটি একটি চিনিহীন চা। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি ঘুমের অভ্যাস উন্নত করতে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনেও কাজ করে।

হাঁটা, হাঁটা এবং হাঁটা

বেশিরভাগ কোরিয়ানরা হাঁটা পছন্দ করে। তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পাবলিক পরিবহণের পরিবর্তে তাদের পা ব্যবহার করতে পছন্দ করে। একটি সক্রিয় জীবনধারা নেতৃত্ব দেওয়া বেশিরভাগ কোরিয়ান মহিলাদের সুস্থ রাখে এবং তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাদের জন্য দিনে ১০,০০০ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করা কোন বড় ব্যাপার নয়। আমরা সবাই জানি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন এটি আমাদের শরীরের ওজন এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আসে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

সালাদ তাজা রাখার উপায়

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা। দেহ ফিট রাখার পাশাপাশি ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখতে এর উপকারিতা অনস্বীকার্য। পুষ্টিকর, মসৃণ এবং তাজা সবজীর সমারোহে এক বাটি সালাদ নিজেদের পাতে পেতে কেনা চায়? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দেখা যায় যে, সালাদ তৈরীর জন্য সবজীর প্রয়োজন দেখা দেয় সেগুলোর সতেজতা অনেকক্ষণ ব্যাপী থাকেনা। কখনও খেয়াল করে দেখেছো কি কীভাবে প্রো শেফরা তাদের সবজী সতেজ রাখতে পারে? সালাদ তথা শাকসবজি সংরক্ষণ করার কিছু টিপস শেয়ার করা হলো যাতে তারা বেশি সময় ধরে ফ্রেশ থাকতে পারে।

-তুমি যদি প্রথমেই গোড়ায় হালকা পচন ধরা সবজীর কোন বান্ডিল নির্বাচন করে নাও তবে শুরুতেই তোমার সবকিছু পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে। তাই যখনই এমন কিছু কেনাকেটা করতে যাবে, তা হোক কোন লেটুস অথবা মিক্সড সালাদ ব্যাগ; ভালোভাবে পরীক্ষা করে বেস্টটি নির্বাচন করে নাও।

-সবুজ শাকসবজি আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আর্দ্রতার সৃষ্টি করে, ফলশ্রুতিতে এটি দ্রুত সতেজতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে তোমার সবজীর ব্যাগের সাথে কাগজের টাওয়ালে জড়িয়ে রাখা প্রাথমিকভাবে একটি অপরিহার্য সালাদ সংরক্ষণের কৌশল হিসেবে সম্মত। এই সহজ পদক্ষেপটি আর্দ্রতা দূর করতে এবং নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।

-সালাদ তৈরীতে লেটুস অনেক ব্যবহৃত হয়। লেটুসের আয়ু বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি হল প্রথমে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করা এবং তারপরে শুকিয়ে রাখা। তাই যখনই এগুলো কিনে আনা হয় তা প্যাকেজিং থেকে সরিয়ে সালাদ স্পিনারের মধ্যে ঘুরিয়ে নাও। অথবা কিচেন টাওয়াল দিয়ে চেপে চেপে এর গায়ের অতিরিক্ত আর্দ্রতা মুছে শুকিয়ে রাখতে হবে। তারপর তা বায়ুরোধী প্লাস্টিকের স্টোরেজ কন্টেইনারে সংরক্ষণ করতে হবে।

-ফল এবং শাকসবজি ফ্রিজের নির্দেশিত নীচের ড্রয়ারে রাখো কারণ এগুলো আসলে গ্যাস এবং আর্দ্রতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা নষ্ট হওয়াকে ত্বরান্বিত করে। ধ্বংসাত্মক ইথিলিনকে পালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য উচ্চ আর্দ্রতা নির্বাচন করো।

-খাবার পরিবেশনের আগেই যদি সালাদ ড্রেসিং করে তৈরি করে রেখে দাও তবে তা এর জীবনকালকে ছোট করবে নিশ্চিত। এক্ষেত্রে, পরিবেশন করার আগে পর্যন্ত ড্রেসিং আলাদা করে রেখে দাও। আরেকটি বিকল্প হলো, মেসন জারে ড্রেসিংটি একেবারে নীচে স্তরে রাখা, মাঝখানে টপিংস এবং উপরে সবুজ শাক্সবজী রেখে বাটিতে ঢেলে রাখতে পারো এবং পরিবেশনের ঠিক আগে শুধু মিশিয়ে নিলেই হবে।

-বিভিন্ন সালাদের উপকরণগুলোর জীবনকাল বিভিন্ন থাকে। কোনটি দীর্ঘস্থায়ী, কোনটি নয় তা জানতে হবে। বেশিরভাগ সবজি যেমন গাজর, মরিচ, পেঁয়াজ, মূলা, শসা এবং টমেটো এগুলো সংরক্ষণ করা সহজ এবং এগুলোর যোগে অনেকক্ষণ তাজা থাকতে পারে। অন্যদিকে, অ্যাভোকাডো, আপেল এবং অন্যান্য ফল যা কেটে ফেলার পর অতি দ্রুত বাদামী হয়ে যায়; তা সালাদে এড করতে চাইলে অনেক আগে না কেটে সাথে সাথে যোগ করা ভালো।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

দেরীতে খেলে, বাড়ে ওজন?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে রাত বেড়েই যাচ্ছে। দিনের শেষে স্ট্রেস কম করার সময় বিছানায় বসে হালকা পাতলা কিছু খাওয়ার শখ চেপেছে। কিন্তু মাথার ভেতর থেকে কেউ বলে চলেছে যে রাতে দেরী করে খাওয়া তোমার জন্য খারাপ। এটি একটি সাধারণ বিশ্বাস যে রাতে দেরী করে খেলে ওজন বাড়বে। প্রশ্ন হলো, রাতে খাওয়ার ফলে কি সত্যিই ওজন বাড়বে? ব্যাপারটি কি আদৌ সত্যি নাকি মিথ? আসো উত্তর খুঁজে নিই।

দেরী করে খেলে, ওজন বাড়ে- এই পৌরাণিক কাহিনীটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। এবং এই ব্যাপারে অনেকেই বলে এসেছে যে তাদের গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাসই তাদের ওজন বাড়ানোর পেছনে দায়ী। বলা হয়ে থাকে যে, রাতে আমাদের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এর ফলস্বরুপ আমরা রাতে যা খাই তা দিনের বেলায় খাওয়া ক্যালোরির চেয়ে সহজে চর্বিতে পরিণত হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের শরীর দিনের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা খাবার ভিন্নভাবে প্রক্রিয়া করেনা। মূলত আমরা সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করি এবং দিনে কতটা ব্যায়াম করি তাই আমাদের ওজনকে প্রভাবিত করে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে ওজন কম বা বেশি হওয়ার যদি কোন সম্ভাবনা না থাকে, তবে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী? এর সহজ উত্তর হলো অভ্যাস। অনেকেরই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে এবং রাতে স্ন্যাকস হিসেবে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নেয়, যার সবই আমাদের অভ্যাস এবং এটিই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেট নাইট খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাজে অভ্যাসের মধ্যে রয়েছেঃ

-সকলেরই প্রতিদিনকার চলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণের চাহিদা রয়েছে। তুমি যদি দিনের বেলায় তোমার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পুরোটাই পূর্ণ করে ফেলো এবং তারপরে লেট-নাইট স্ন্যাকসের দিকে হাত বাড়াও, তবে তোমার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয়ে যাবে। যা ওজন বৃদ্ধিতে দায়ী।

-আমাদের বেশিরভাগেরই দিনের বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করার প্রবণতা থাকে। সারাদিনকার খাদ্য তালিকায় আমরা তাই যোগ করি যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এই লেট-নাইট স্ন্যাকসের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্ডি, চিপস বা আইসক্রিমের মতো খাবারগুলো গ্রহণ করার টেন্ডেসি থাকে। এইগুলোর পরিবর্তে সঠিক কিছু নির্বাচন করতে আমরা সবসময়ই ব্যর্থ হই।

-আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল সামনে নিয়ে বসা। দিনের শেষে, টিভির সামনে বসে আরাম করা বা মোবাইল টেপা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন টিভির সামনে খাবার খাও, তখন তা তোমার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।

রাতে খাওয়ার টিপস

যদিও এটা বিতর্কিত বিষয়, কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর আগে ছোট কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন। তুমি যখন খারাপ অভ্যাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, তখন এটি তোমাকে ঘুমাতে সাহায্য করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে রাতে কীভাবে খাবে তার কিছু টিপস দেয়া হলোঃ

পরিকল্পনা করা

পরিকল্পনা ছাড়া প্রতি রাতে স্ন্যাকস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনানুযায়ী ক্যালোরি  অতিক্রম করতে না চাইলে এবং লেট নাইট স্ন্যাকস নিতে চাইলে প্রতিদিনের ক্যালোরি গণনায় পর্যাপ্ত ক্যালোরি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করো। দিনের বেলায় সেই হিসেবে খাবার গ্রহণ করো।

ডেজার্ট এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

এই লেট নাইট খাবারের ক্রেভিংস সবার মধ্যেই কম বেশি থাকে। কিন্তু তুমি যদি এই সময় নিজেকে কোন মিষ্টি খাবার বা চিপসের মাধ্যমে পূর্ণ করো, তবে সেই সেই ক্রেভিংস আরো বাড়বে। এই ক্যালোরিতে ভরপুর খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়া আরও সহজ করে তোলে।

কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার

বিছানায় যাবার আগে যদি কিছু নিতেই হয় তবে নিশ্চিত করো যে তাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে যা তোমাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, রাতে তাড়াতাড়ি না খেলেও ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেয়া উত্তম। সেই খাবার অবশ্যই হতে হবে পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনাও যেমন থাকবেনা তেমনি দেহ ও মনও থাকবে সুস্থ।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ডিম ফ্রিজে রাখছো কী?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনের খাওয়া দাওয়ার এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডিম। কি সকালের নাস্তায় হোক, কিংবা দুপুরের খাবার; ডিম হল সবচেয়ে বহুমুখী কিন্তু ঝামেলা মুক্ত খাবার। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছো কি ডিম সংরক্ষণের সঠিক উপায় কী? হয়তো মনে আসতেই পারে এই আবার নতুন কি? ডিম কিনো আর ফ্রিজে রেখে দাও। কিন্তু কিছু দেশে এটা বিশ্বাস করা হয় যে ডিম কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ঠিক না কারণ এটি ডিমের স্বাদকে প্রভাবিত করতে পারে, যেখানে অন্যান্য জায়গায় বলা হয় ডিমের শেলফ লাইফ বাড়ানোর সঠিক উপায় হল তাদের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা। আসলেই কোনটি দরকার? ডিমের সতেজতা ধরে রাখার সঠিক উপায় সম্পর্কে আসো জেনে নিই।

অনেকেই সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় প্যান্ট্রিতে ডিম সংরক্ষণ করে, অন্যরা ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করে। এমতাবস্থায় আমি কি করবো? এর উত্তরটি খুবই সহজ। কারণ তুমি কোথায় থাকবে, তাপমাত্রা এবং কীভাবে ডিম প্রস্তুত বা পরিষ্কার করবে তার উপর সম্পূর্ণরুপে নির্ভর করে কীভাবে ডিম সংরক্ষণ করবে। পরিষ্কার করার পাশাপাশি অঞ্চলের তাপমাত্রা ডিম সংরক্ষণে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে এবং এই সহজ পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে সংরক্ষণ করার আগে ডিম পরীক্ষা করতে পার।

বছরের পর বছর ধরে এটা বিতর্কের বিষয় ছিল যে সংরক্ষণ করার সর্বোত্তম উপায় কী কারণ এটি খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত। ডিম সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ডিমের খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হল সালমোনেলা নামে পরিচিত একটি ব্যাক্টেরিয়া। সালমোনেলা হল এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা অনেক উষ্ণ রক্তের প্রানীর অন্ত্রে বাস করে। পশুর অন্ত্রের ট্র্যাক্টের মধ্যে থাকা অবস্থায় এটি সম্পূর্ণ নিরাপাদ কিন্তু এটি খাদ্য সরবরাহে প্রবেশ করলে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। সালমোনেলা প্রাদুর্ভাবের উৎস হলো আলফালফা স্প্রাউট, পিনাট বাটার, মুরগির মাংস এবং ডিম। ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭% সালমোনেলা প্রাদুর্ভাবের জন্য ডিম দায়ী ছিল। এইজন্য আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশ ফ্রিজে ডিম রাখাকে নিরাপদ মনে করে। এতে করে এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়না, শুধুমাত্র বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও ডিম ফ্রিজে থাকলে ডিমের খোসা ভেদ করে ব্যাকটেরিয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করা জটিল হয়ে পড়ে। তবে ডিম জীবাণুমুক্ত করা থাকলেই এই হিমায়িত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা উচিৎ।

কিছু দেশে ডিম পরিষ্কার করা হয়, ফ্রিজে রাখা হয় এবং পরে পাঠানো হয়। আদর্শভাবে যখন ডিম ফ্রিজে রাখা হয় তখন তাদের সতেজতা ধরে রাখতে ফ্রিজ্র রাখা অপরিহার্য। ফ্রিজে ডিম বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে ব্যাকটেরিয়া দূষণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সুতরাং ডিম কোথায় রাখলে ভালো হবে তা মূলত নির্ভর করে ডিম সংগ্রহের এবং কীভাবে সেগুলোকে সংরক্ষন করা হয়েছে তার উপর। তবে প্রোপার স্যানিটাইজেশনের পরে সেগুলোকে যদি ফ্রিজে রাখা না হয় তবে সেগুলোকে সাধারণ ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখতে পারো।

অন্যান্য অসুবিধা

ফ্রিজে রাখা এর কিছু সুবিধা থাকলেও এর অসুবিধাও রয়েছে।। যেমনঃ

ডিম ফ্রিজের স্বাদ শুষে নিতে পারে

ডিম তোমার ফ্রিজের অন্যান্য খাবার থেকে গন্ধ শোষণ করতে পারে। যেমন তাজা কাটা পেঁয়াজ। তাদের কার্টনে ডিম সংরক্ষণ করা এবং বায়ুরোধী পাত্রে তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার সিল করা এই ঘতনাতি প্রতিরোধ করতে পারে।

ফ্রিজের দরজায় সংরক্ষণ করা উচিৎ নয়

অনেকেই তাদের ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখেন। তুমি যখনই তোমার ফ্রিজ খোলো তখন এটি তাদের তাপমাত্রার ওঠানামা করতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং ডিমের প্রতিরক্ষামূলক ঝিল্লিকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতএব ফ্রিজে রাখলেও তা পেছনে একটি শেলফে রাখা ভাল।

ঠাণ্ডা ডিম বেক করার জন্য সেরা নয়

শেষ অবধি কিছু শেফ দাবি করেন যে ঘরের তাপমাত্রা ডিম বেক করার জন্য সেরা। যেমন কেউ কেউ ব্যবহার করার আগে রেফ্রিজারেটেড ডিমগুলোকে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দেয়ার পরামর্শ দেয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, ডিম ফ্রিজে রাখা প্রয়োজনীয় কিনা তা নির্ভর করে তোমার অবস্থানের উপর, যেহেতু সালমোনেলার চিকিৎসা দেশ অনুসারে পরিবর্তিত হয়। তুমি যদি ফ্রিজে ডিম রাখতে চাও তবে একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঢাকনা বন্ধ করে কোন তাকে রাখো। এভবে রাখলে সঠিক তাপমাত্রায় প্নেকদিন সংরক্ষণ করা যাবে। আর যদি তা হয় রান্না করা ডিম, তবে তা ভূলেও কখনও তিন থেকে চারদিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেনা। এতে ডিমের গুন নষ্ট হয়ে যায় । এতে এর থেকে কোন উপকার তো আশা করা যাবেনা উলটো পেটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ভাজা তেলের পুনরায় ব্যবহার

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বাঙ্গালি মাত্রই ভোজনবিলাসী। নিত্যনতুন রান্না করতে এবং তার টেস্ট আস্বাদন করতে এদের জুড়ি নেই। আর যখনই রান্নার বিষয় আসে, তখন তেল এর ব্যবহারের প্রসঙ্গ আসবেই। রান্নার একটি অপরিহার্য অংশ তেল কারণ এটি স্বাদ বাড়াতে বা খাবারকে একটি নির্দিষ্ট টেক্সচার দিতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছি কি একই তেল বারবার ব্যবহার করলে তার কী হয় এবং তা আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে? আসো এই প্রসঙ্গে জেনে নিই।

আমরা যারা ভোজন রসিক আছি তাদের কাছে মচমচে এবং খাস্তা ভাজা ভাজা খাবারের আবেদন অন্যরকম। কি চিকেন ফ্রাই বা পাকোড়া অথবা পুরি, মুখরোচক এই খাবারগুলো পছন্দ না এমন মানুষ হাতে গোনা। কিন্তু এত এত ভাজা খাবারের একটি বড় অসুবিধা হল এটিতে ভোজ্য তেলের অপচয় হতে পারে। তাই আমরা মাঝে মাঝে রান্নার জন্য এটিকে পুনরায় ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ হই। কিন্তু দেখা গেছে যে একই তেল বারবার ব্যবহারে সাধারণ সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর পরিণতি ঘটাতে পারে। এই ধরনের তেল রিইউজের ফলে স্বাস্থ্যের কি ধরনের ঝুঁকি করতে পারে তা জেনে নিই।

ফ্রি র‍্যাডিকেলস

ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো শরীরের সুস্থ কোষগুলোর সাথে নিজেদেরকে সংযুক্ত করে এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। একই তেল বারবার পুনঃব্যবহারের ফলে ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি হয়। ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রদাহ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তেল পুনঃব্যবহারের ফলে এথোরোস্ক্লেরোসিস হতে পারে যা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যা ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে।

ত্বকের সমস্যা

অবশিষ্ট তেল দ্বারা উৎপাদিত ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো ত্বককেও প্রভাবিত করে কারণ এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে গতি দেয়।

এইচএনই

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ক্যানোলা, ভুট্টা, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের মতো তেলগুলোকে পুনরায় গরম করা হলে ৪-হাইড্রক্সি-ট্রান্স-২-নোনেনাল (এইচএনই) নামক একটি বিষ তৈরি হয়। জরিপটি ইঙ্গিত করে যে রান্নার তেল থেকে এইচএনই যুক্ত খাবারের ব্যবহার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক, পারকিনসন রোগ, আলঝেইমার রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। একবার শরীরে শোষিত হলে, এইচএনই মৌলিক সেলুলার প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে ডিএনএ, আরএনএ এবং প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে।

খাদ্যে বিষক্রিয়া

অনেক সময় ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের আগে সঠিকভাবে ছেঁকে ফেলা হয়না এবং ফলস্বরুপ এতে অবশিষ্ট খাদ্য কণা থাকে। যদি একই তেল ফ্রিজে রাখা না হয়, তবে এটি সিওস্ট্রিডিয়াম বাউটলিনাম ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে যা ফলস্বরুপ বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে যা জীবন হুমকি খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের নিয়ম

এখন প্রশ্ন হল ভাজা তেল পুনরায় ব্যবহার করা যাবে কিনা? এর জবাবে বলা যায় হ্যাঁ, ভাজা তেল রিইউজ করা যাবে। তবে তা পুনঃব্যবহারের আগে তোমাকে কিছু রুলস ফলো করতে হবে।

-রান্না শুরু করার আগে তোমাকে ভালোমানের তেল নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি তেলের একটি নির্দিষ্ট স্মোকিং পয়েন্ট আছে। যেহেতু ভাজা উচ্চ তাপমাত্রায় ঘটে, তাই উচ্চ স্মোকিং পয়েন্ট সহ তেল ব্যবহার করো যা সহজে ভেঙে যাবেনা। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানোলা, চিনাবাদাম বা উদ্ভিজ্জ তেল। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল না ব্যবহার করাই ভালো।

-তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইয়ের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। সাবধানে তাপমাত্রা বজায় রাখা খাবারকে খুব বেশি তেলে চিপচিপে রাখা বা বাইরে থেকে ব্লিজড হওয়া এবং ভেতরে কাঁচা থাকা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেনা। আর তেল অতিরিক্ত গরম গরম হলে তা ভেঙে যেতে শুরু করবে। কীভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করবে? একটি থার্মমিটার কিনো যা উচ্চ তাপ পরিচালনা করতে পারে। এবং এর সাহায্যে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে রেখে কাজ করতে পারবে।

-তেলে কোন কিছু ভাজা শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট তেলগুলো ঠান্ডা হতে দাও। যখন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন অন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে উপরের তেলটুকু সরিয়ে নাও। লক্ষ্য রাখতে হবে যে তাতে আগে ভাজার কোন খাবারের উচ্ছিষ্ট যাতে না আসে।

-যে পাত্রে এক্সট্রা তেলগুলো সনগ্রক্ষণ করতে চাও তার উপরে একটি সূক্ষ্ম জাল ছাঁকনি বা চিজক্লথ রাখো এবং তেল ছেঁকে নাও।

-সংরক্ষিত তেলটি একটি শীতল, শুকনো জায়গায় রেখে দাও।

এখন যেহেতু আমরা জানি তেল পুনরায় গরম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার জন্য ভাজা, রান্না ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান তেলের সঠিক অনুমান করাই উত্তম।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.ঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

কোনটি ভালো- সানফ্লাওয়ার অয়েল বনাম অলিভ অয়েল

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

শরীরকে সুস্থ ও কর্মচাঞ্চল্য রাখতে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ জরুরী। দৈনন্দিন খাবারে তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কিছুই শ্যালো ফ্রাই হোক কিংবা রান্না, তেল তো চাইই চাই। সচেতনতার এই যুগে আজকাল অনেকেই অন্যান্য যেকোন তেল থেকে অলিভ অয়েল অথবা সূর্যমুখী তেল বেশি পছন্দ করছে। এই দুটি তেলই হল মূলত স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ তেল এবং উভয় তেলেরই নিজস্ব স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সূর্যমুখী তেল বনাম জলপাই তেল- রান্নার জন্য কোনটি বেশি ভালো হবে? অনেকেই কেনার সময় এই দুটি আইটেমের তুলনা করে, দুটির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। যদিও এদের মধ্যে অনেক মিল আছে, তবে তাদের কিছু মূল পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে। এছাড়াও, এই তেলগুলো কী পরিমাণে ব্যবহার করা ভালো এবং কোন প্রতিকূল প্রভাব থাকলে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব ব্যাপার নিয়েই আজ আমরা জানবো।

সূর্যমুখী তেল বনাম অলিভ অয়েল

যখন রান্নার জন্য তেল কেনার কথা বিবেচনা করা হয় তখন কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজনঃ তেলটি কী স্বাস্থ্যের উপকারিতা করে? এর ফ্লেভার কেমন (যদি থাকে)? তেলের স্মোক পয়েন্ট ইত্যাদি। এই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রেখে আসো আমরা এই দুটি তেলের তুলনা করে দেখি কোনটি আমদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ফ্যাট

উভয় তেলই উদ্ভিদ-ভিত্তিক এবং প্রতি টেবিল চামচে প্রায় ১২০ ক্যালোরি থাকে। উভয়ই পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো  কোলেস্টেরল প্রমোট করার সময় খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

-সূর্যমুখী তেলে প্রায় ৬৫% লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যেখানে অলিভ অয়েলে থাকে মাত্র ১০%। এটিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্নায়বিক ফাংশন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়।

-অলিভ অয়েলে আছে ওলিক অ্যাসিড। এটি হল একটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের অনকোজিনকে দমন করতে পরিচিত। সুতরাং, পরের বার যখন তোমার সালাদে অলিভ অয়েল যোগ করবে মনে রাখবে যে এটি তোমাকে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখছে। প্রমান আছে যে, ওলিক অ্যাসিড কোষকে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে রক্ষা করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যুকে উন্নীত করতে পারে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় গ্রহণ করা উচিৎ কারণ এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলের গঠন হ্রাস করে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশ ঘটাতে পারে। ভিটামিন ই রক্তনালী সংক্রান্ত জটিলতা যেমন ধমনীতে বাধা, বুকের ব্যথা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

-সূর্যমুখী তেল ভিটামিন ই এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি পাওয়া গেছে যে, এই তেলে পাওয়া ভিটামিন ই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং কোলন কযান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।

-এতেও ভিটামিন ই এর একটি ভালো অনুপাতও রয়েছে। ক্যানোলা, কর্ন বা সয়াবিনের মতো অন্যান্য তেলে পাওয়া ভিটামিন ই গামা-টোকোফেরল আকারে পাওয়া যায়, যা ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অলিভ অয়েল এবং সূর্যমুখী তেল উভয়ই আলফা-টোকোফেরল আকারে ভিটামিন ই ধারণ করে যার তেমন কোন বিরুপ প্রভাব নেই।

ভিটামিন কে

ভিটামিন কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পুষ্টি যা রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় কাজ করে এবং অত্যধিক রক্তপাত বন্ধ করে। এটি হাড়কে শক্তিশাল করে এবং বয়স্ক মহিলাদের অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারে। সূর্যমুখীর তেল থেকেও অলিভ অয়েলে বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। প্রতি টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে ৮ মাইক্রোগ্রামের বেশি ভিটামিন কে রয়েছে যেখানে সূর্যমুখী তেলে থাকে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম।

ফ্লেভার

অলিভ অয়েল এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের বিভিন্ন স্বাদের প্রোফাইল রয়েছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল সবচেয়ে কম প্রসেস করা অলিভ অয়েল। জলপাই তেলের গন্ধ নির্ভর করে যে ধরনের জলপাই একটি বেস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেলের একটি হালকা, সামান্য বাদামের স্বাদ রয়েছে যা এটি যে উদ্ভিদ থেকে এসেছে তার স্মরণ করিয়ে দেয়। এই তেল অলিভ অয়েলের চেয়ে স্বাদে বেশি নিরপেক্ষ এবং এমন রেসিপি যেখানে তুমি তেলের স্বাদ নিতে চাওনা তার জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে, তুমি যদি সেই ক্ল্যাসিক, তাজা স্বাদ পেতে চাও তবে অবশ্যই অলিভ অয়েল হবে বেস্ট চয়েস।

স্মোক পয়েন্ট

যদিও অলিভ অয়েলকে কখনও কখনও নিম্ন স্মোক পয়েন্ট হিসেবে বর্ননা করা হয়, উচ্চ মানের এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পায় ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। যেহেতু বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইং ৩৫০ এবং ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে ঘটে, এটি সাধারণত বাসায় ডিপ ফ্রাই এবং অন্যান্য উচ্চ তাপে রান্নার পরিস্থিতির জন্য যথেষ্ট। সেই হিসেবে সূর্যমুখী তেল কিছুটা উচ্চ স্মোক পয়েন্ট অফার করে, প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে বেশিরভাগ বাসার রান্নার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে এত বেশি তাপের প্রয়োজন হয়না।

কোনটি নির্বাচন করা উচিৎ?

সূর্যমুখী ও অলিভ অয়েল উভয়েরই কিছু মিল রয়েছে, তবে স্বতন্ত্র কিছু পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত করে তোলে। অলিভ অয়েল স্বাদ এবং গন্ধে জয়লাভ করে এবং এটি ভাজা সহ বিভিন্ন রান্নার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য হাতে রাখা একটি বহুমুখী তেল। অন্যদিকে, সূর্যমুখী তেলের হালকা স্বাদ এবং উচ্চ স্মোক পয়েন্ট এটিকে একটি ভালো পছন্দ করে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে যে, বর্ধিত সময়ের জন্য উচ্চ তাপের সংস্পর্শে সূর্যমুখী তেল উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত অ্যালডিহাইড ধোঁয়া নির্গত করে। ভিটামিন কে কন্টেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মিনারেলের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যমুখী তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই এটা বলাই যেতে পারে যে ডেইলি ব্যবহারের জন্য অলিভ অয়েল আদর্শ।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook