রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা

রোদসী

  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

রোমান্স রসায়ন

কর্মক্ষেত্ররোমান্স রসায়ন

প্রেম বনাম অফিস

এক গবেষণায় দেখা গেছে, সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম করার হার গড়ে ১৬ শতাংশ। ধরো ওই ১৬ শতাংশের তুমি একজন। আর তুমি জানো ‘যুদ্ধে ও প্রেমে সবই সঠিক’। আসলেই কি তাই? লিখেছেন স্বরলিপি।

প্রেমে পড়লে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে হৃদকম্পন বেড়ে যায়। বিশেষ আকর্ষণ বোধ হয় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি। ক্রিয়াশীল হয় ডোপামিন বা ‘সুখের হরমোন’। এই হরমোন প্রেমের প্রতি নেশা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আবেগ সংবরণ কষ্টকর হয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষ ছাড়া অন্যকিছু ভাবনা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রেমে পড়ার অন্তত তিন-চার মাস লেগে যায় মনে স্থিতি পেতে।
প্রেমতো বোধের, প্রেম সুখের; তাই বলে সবখানে প্রেমের লাগাম ছেড়ে রাখলে তো চলবে না। বিশেষ করে অফিসে।
অফিসে প্রেম, তবে…

বোল্ডস্কাই-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে অফিসে প্রেম প্রসঙ্গে ভালো গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় চা বা কফি পানের সুযোগ পাওয়া যায়, কফি খাওয়ার ছলে হতে পারে দেখা। এই সুযোগে মুখোমুখি বা পাশাপাশি বসে কফি খাওয়া আর অল্পস্বল্প কথাপর্ব শেষ করে নিতে পারো। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে রোমান্স যেন কর্মক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ না হয়।

  •  শুধু প্রেমের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করা বড় ভুল। এতে কর্মস্পৃহা কমে যায়। ভুলেও এ ধরনের চেষ্টা করা ঠিক নয়।

  •  অফিসে তোমার প্রথম পরিচয় তুমি একজন কর্মজীবী।

  •  ইনবক্সে অনবরত চ্যাট করার নেই কোনো মানে বরং অফিস টাইমের পরে একজন আর একজনকে সময় দিতে পারো। সে ক্ষেত্রে যদিও একটু নাটকীয় আচরণ দরকার হয়ে পড়ে, তবু ভালো। অফিস টাইমের পরে দেখা হোক, কথা হোক। এই সময়ে অফিশিয়াল বিষয় আলোচনায় না নেওয়াই ভালো। খুব কাছে পেয়েও যার সঙ্গে কথা বলার এতটুকু ফুরসত জোটেনি বরং তার কথা শুনতে চাও। তার কথা বুঝতে চাও।

  • অফিসের প্রেম ভালোবাসাকে গোপন রাখার পক্ষে মত দেন অনেকে। এক জরিপে দেখা দেখে, ৭১ শতাংশ চাকরিজীবী অফিসে তাদের প্রেমের সম্পর্কটা গোপন রেখেছেন।

  • প্রেমের সম্পর্ক বলে কথা, গোপন করতে চাইলেই কি গোপন করা যায়। আবার ৭২ শতাংশ ডেটিংয়ে গিয়ে অন্য কোনো সহকর্মীর কাছে হাতেনাতে ধরাও খেয়েছেন!

অফিসে রোমান্সের বিষয়টি সহকর্মীরা ভালো চোখে দেখেন না। সুতরাং রোমান্সের বহর রয়ে সয়ে দেখাও। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীরাও তোমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে।
অফিসে প্রেমের উল্টো পাঠ

  • প্রেম যখন হয়েই যায়, কেউ না কেউ জেনে যায়। অফিসে যেন নিজের ব্যক্তিত্ব ঠিক থাকে। সেজন্য খেয়াল রাখো অফিসের নীতিমালা। তাছাড়া কোন কোন প্রেমের সম্পর্ক বিয়ের সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায় আবার কোন সম্পর্ক মোড় নেয় বিচ্ছেদের দিকে। প্রেমের পরিণতি যখন ব্রেকআপের দিকে যায়, তখন একজন আর একজনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার পায়তারাও শুরু হয়। এতে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়। পরিস্থিতি যাইহোক নিজেকে অফিস পরিবেশের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর অফিসের সম্পর্ক এক করে ফেললে চলবে না।

ভালোবাসা যেন ফায়দা লুফে নেওয়ার কারণ না হয়। হঠাৎ এমন কথা আসার কারণ হলো- ক্যারিয়ারবিল্ডারডটইন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৮ শতাংশ কর্মজীবী তাদের থেকে পদমর্যাদায় উপর দিকের কারও সাথেই প্রেম করতে অধিক আগ্রহী থাকে।

ভালোবাসার কারণ হোক হৃদয়ে হৃদয়ে বোঝাপড়ার।

এতো গেলে প্রেমের পাঠ। এবার, যারা বিয়ে করে একই কর্মস্থলে নিয়োজিত তাদের কথায় আসা যাক।

 একই অফিসে স্বামী-স্ত্রী
অফিসে পেশাদারিত্বই প্রথম। সেক্ষেত্রে একই অফিসে স্বামী-স্ত্রী চাকরি করলে প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা। দূরত্ব বজায় রেখা চলা ভালো। ভারতের দাম্পত্যবিষয়ক পরামর্শদাতা ড. সঞ্জয় মুখার্জির পরামর্শ হলো, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে একই অফিসে চাকরি করবেন, এমন চিন্তা মাথায় না রাখাই ভালো। এক অফিসে কাজ করলে দুজনের মধ্যে প্রতিযোগী মনোভাব তৈরি হয়। ফলে বিবাহিত জীবনের সুখ-শান্তি নষ্ট হতে পারে।

বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

প্রতিযোগী মনোভাব দূর করতে হবে
কোন একজনকে বস প্রশংসা করলে অন্য আরেকজন হিংসা করবে না। বা যে কোন একজনের পদন্নতি আর একজন নিজের দূর্বলতা হিসেবেও দেখবে না। এতে মানসিক দূরত্ব তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে, স্বামী-স্ত্রীর যে কোন একজনের পদোন্নতি মানে তো দুজনেরই সফলতা; সংসারের জন্য শুভবার্তা।

কর্মক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একজন আর একজনের সঙ্গে সংযত আচরণ করতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাও থাকতে হবে।

মডেল : মুহাইমিন ও রাফিয়া

ছবি : আরাফাত সৈকত লালন

০ মন্তব্য করো
1 Facebook Twitter Google + Pinterest
এই সংখ্যায়রোমান্স রসায়ন

মধুর মধুচদ্রিমা

সামনেই বিয়ে, অথচ ভেবে পাচ্ছো না ঠিক কোথায় গেলে এক্কেবারে তাক লাগিয়ে দেওয়া যাবে পছন্দের মানুষটিকে। বহু জায়গার খোঁজ নিয়েও ঠিকঠাক পছন্দের জায়গা কিছুতেই ঠিক করে উঠতে পারছ না। চিন্তা কিছুটা দূর করতে পারো এই জায়গাগুলো সম্পর্কে জেনে। তুলনামূলক কম বাজেটে পাশের দেশ থেকেই হতে পারে স্বপ্নের হানিমুন।

খজ্জিয়ার, হিমাচল প্রদেশ
সুইজারল্যান্ড দেখার শখ থেকে থাকলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই পারো এই জায়গায় গিয়ে। হিমাচল প্রদেশের চাম্বার খজ্জিয়ার এলাকাটি সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্যের থেকে কিছু কম নয়। ডালহৌসি থেকে ২৪ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই স্বপ্ন সুন্দর জায়গায়। খজ্জিয়ার পিকের আশপাশে ঘুরে কালাটপ অভয়ারণ্য সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে দেখে নিতে পারো।

আলাপ্পুঝা, কেরালা
কেরালার ব্যাক ওয়াটারে হাউসবোটে যদি ঘনিষ্ঠতাকে রোমান্টিসিজমে ভরিয়ে দিতে চাও, তো যেতেই পারো কেরালা। কেরালার আলাপ্পুঝা বা আলেপ্পির অসামান্য অভিজ্ঞতায় তোমার মন ভরে যাবে। সবুজ প্রকৃতির মধ্যে আয়ুর্বেদিক ম্যাসাজে, এই সফর জীবনের অন্যতম সেরা সফর হবে।

শিলং, মেঘালয়
উত্তর-পূর্বের মনোরম প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় একান্ত ঘনিষ্ঠতাকে আরও উসকে দেবে মেঘালয়ের শিলং। ভারতের স্কটল্যান্ড শিলংয়ে উমাইম লেক, চেরাপুঞ্জি হানিমুনের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে। এখানের উমেগাত নদীতে নৌবিহারের মজাই আলাদা। নদীর স্বচ্ছ পানি তোমার মন ভরিয়ে দেবে। এই এলাকার একদিকে খাসি পর্বত, অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এলাকার নৈসর্গিক দৃশ্যে মন চাঙা হবে।

তাওয়াং, অরুণাচল প্রদেশ
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং হলো হানিমুন গন্তব্যের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এখানের নউরাং জলপ্রপাত থেকে সঙ্গা সের লেকে একসঙ্গে স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত কাটাতে পারো।

হাফলং, আসাম
আসামের হাফলং দম্পতিদের জন্য অত্যন্ত ভালো হানিমুন ডেস্টিনেশন। বিশেষ করে পাহাড় পছন্দ থাকলে এই জায়গাটি ঘুরে আসতেই পারো। এখানের হাফলং লেক ও স্থানীয় সংস্কৃতির খাবার তোমার মন ভরাতে বাধ্য। কর্ণাটক কফি রাজ্যের সবুজ পাহাড় আর নীরবতায় ঠাসা কুর্গ হানিমুন কাপলদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। কুর্গ যাওয়ার পথে বান্দিপোর জঙ্গলে থেকেও যেতে পারো, যা নিঃসন্দেহে একটি অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। এখানের বারাপোল নদীতে রয়েছে রিভার র‌্যাফটিংয়েরও সুযোগ।

গোকর্ণ, কর্ণাটক
তোমার সঙ্গীটির যদি সমুদ্র পছন্দ হয়, তাহলে যেতেই পারো কর্ণাটকের গোকর্ণে। এখানের কুদল বিচ তোমার মন মাতাবে। আর রাতের আকাশের সৌন্দর্যে যদি সেই বিশেষ মানুষটিকে নিয়ে হারিয়ে যেতে চাও, তাহলে রয়েছে ওম বিচ। এ ছাড়া বহু আকর্ষণীয় স্পট রয়েছে এই গোকর্ণে।

তারাকারলি, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের তারাকারলিও আরব সাগরের কোলের একটি অপূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল। এখানের সিন্ধুদুর্গের শোভা যে কোনো দম্পতির মন ছুঁয়ে যাবে। কোলাহল থেকে দূরে একান্ত ঘনিষ্ঠতায় থাকতে হলে এই জায়গার জুড়ি নেই।

লেখা : রোদসী ডেস্ক
ছবি : ইন্টারনেট
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
এই সংখ্যায়রোমান্স রসায়ন

ওয়েডিং ডেস্টিনেশন 

শহুরে কোলাহল থেকে দূরে ছিমছাম পরিবেশ। এর মধ্যেই বিয়ের সানাই। আলোর ঝলকানি। প্রিয় মানুষের হাত ধরে জীবনের নতুন ইনিংস ওপেন করতে এর চেয়ে মোক্ষম আর কী হতে পারে?

গেল বছরের ঘটনা, বহুল আলোচিত তারকা জুটি বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা আর ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে বিয়ে করলেন ইতালিতে। অতিথি সমাগম তেমন না বাড়িয়ে কিছু নিকটাত্মীয় ও বন্ধুকে নিয়ে ইতালির মিলান শহরে সেরেছেন তাদের বিয়ে। পুরো আয়োজন হয় সেখানেই।
এদিকে অনেক জল ঘোলা করে অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন রণবীর সিং এবং দীপিকা পাড়–কোন। এ বছর ১৪-১৫ নভেম্বর বিয়ে হলো তাদের। বিরাট আর আনুশকার মতোই এই জুটিও বিয়ে সেরেছেন ইতালিতে। ইতালিতে সাত পাকে ঘুরে রিসেপশন পার্টি হবে বেঙ্গালুরুতে।

শুধু তারকা জুটি নয়, নতুনত্বের সন্ধানে সামর্থ্যবান অনেকের আগ্রহ এখন ওয়েডিং ডেস্টিনেশনে। নিজের কাছে তো বটেই, আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছেও বিয়ের দিনটি বিশেষভাবে আলাদা ও স্মরণীয় করে রাখতে ওয়েডিং ডেস্টিনেশন  এখন সেরা অপশন। সহজ করে বললে নিজের পরিচিত গ-ির বাইরে বিয়ে করাটাই ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। পরিবার আর কাছের কিছু মানুষ নিয়ে শহুরে কোলাহল থেকে বাইরে গিয়ে দেশ কিংবা বিদেশের প্রাকৃতিক কোনো পরিবেশে বিয়ে করাটা ওয়েডিং ডেস্টিনেশন  হিসেবে স্বীকৃত। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জগদ্বিখ্যাত সেরা দশটি ওয়েডিং ডেস্টিনেশনের তালিকা প্রকাশ করেছে। ‘রোদসী’র পাঠকের জন্য থাকল সেটিরই উপস্থাপনা।

টাস্কানি, ইতালি
সূক্ষ্ম শিল্প, চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যের জন্য ইতালির টাস্কানি শিল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ সংগ্রহশালা। যতটা বেশি জানবে তুমি, টাস্কানিকে ততটাই অসাধারণ মনে হবে। ক্যাস্টেলো ডি ভিঞ্চিগিলিয়াটা। ফ্লোরেন্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েডিং ভেন্যু হিসেবে পরিচিত এই দুর্গ। এক পায়ে পাথুরে পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এই দুর্গটি ফ্লোরেন্স শহর থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। বছরের উষ্ণতম দিনগুলোতে এই দুর্গের ঢালাও আঙিনা ও খোলা ছাদ যেন নিশ্চল প্রহরী।

মুশা কে, বাহামা
নীল সমুদ্রের মাঝখানে এক টুকরো ভূখ-। স্বর্গের আঙিনা দেখতে হলে নাকি এখানে আসতে হয়! অভিজাত এই গন্তব্য নিয়ে যাবে দুই মাইল জোড়া গোলাপি বালুর সৈকতে। পাথুরে খিলান দরজা খুলে বসে আছে নীল সমুদ্রের মাঝে তোমাকে স্বাগত জানাতে। একটি নয়, গোটা পাঁচটি বিলাসবহুল বাড়ির উঠোনজুড়ে নিয়ে আছে নিজস্ব সৈকত। নীল ঢেউ আছড়ে পড়া দেখতে হলেও বরাদ্দ রাখতে পারো একটি কুটির। এর থেকে মোক্ষম ওয়েডিং ডেস্টিনেশন আর কী হতে পারে?

প্যারিস, ফ্রান্স
ভালোবাসার শহর নাকি প্যারিস? আসলেই কি তাই? লোককথা বলে রোমাঞ্চের সমার্থক নাকি প্যারিস। ইতিহাসে প্রেমের যত গান, কবিতা, কল্পকথা তার কেন্দ্র এই নগরীতে। সুপ্রশস্ত রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে পারো সকাল কিংবা সন্ধ্যায়। মাথা হেলে তোমাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে আছে ফাইভ স্টার হোটেল আর মোটেলগুলো। শুধু তাই নয়, রীতিমতো বিয়ের রলাভনীয় সব প্যাকেজ নিয়ে।

আলহামরা প্রাসাদ, স্পেন
উঠোনজোড়া বাগিচা, দূর থেকে ভেসে আসা ঝরনাধারার ঝংকার আর প্রাসাদের এক পাশে গা এলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিগন্তজোড়া বরফের পাহাড়। কী, স্বপ্ন মনে হয়? স্পেনের আলহামরা প্রাসাদ এমনই এক স্বপ্নলোকের মাঝে তোমাকে অভিবাদন জানাচ্ছে। বিয়ের জন্য এই প্রাসাদে রাখা আছে রাজকীয় সব ব্যবস্থা। যেখানে আলহামরা প্রাসাদ, সেখানে রাজকীয় ঢঙের কোনো খামতি থাকারও কথা নয়।

নুসা দুয়া, বালি
বালিকে বলা হয় ঈশ্বরের ভূমি। আর সেটা কেনই-বা নয়? সোনালি বালুর সৈকত, নীলাভ স্বচ্ছ পানি, উপাসনালয়, ভাসমান কাচের চ্যাপল, ডাইভিং স্পট, বাগিচা রিসোর্ট কি নেই বালিতে! নুস দুয়া বালির দক্ষিণের একটি এলাকা। গের্গার পাথর মন্দির নুস দুয়ার অন্যতম আকর্ষণ। সমুদ্রের গা ঘেঁষে বনভূমি। তার মাঝে ফিসিং ক্যাম্প। এই বিস্তর নিয়ে বালি যেন বিয়ের সামগ্রিক আয়োজনের পসরা সাজিয়ে রেখেছে।

বুদির কালো গির্জা, আইসল্যান্ড
হাতে গুনে মোট তিনটি কালো গির্জা গোটা আইসল্যান্ডে। কিন্তু এই কালো গির্জা শুভবিবাহের মূল আকর্ষণ এখানে। ধূসর আকাশ, কালচে পাহাড় আর তেপান্তরের মাঠ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে এই বুদির কালো গির্জা। শুধু আকর্ষণ নয়, ইতিহাস ও বলা চলে একে। মধ্যযুগের এই গির্জা পরবর্তী সময়ে দুবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে দম্পতিরা আসে বিয়ের বন্দোবস্ত নিয়ে। শুধু বিয়ে নয়, প্রিম্যারেজ শ্যুটের জন্যও বিখ্যাত এই বুদির কালো গির্জা।

উলুরু, অস্ট্রেলিয়া
উলুরু স্থানীয়ভাবে ‘আইরিশ রক’ নামে পরিচিত। ১৮৭৩ সালে স্যার হেনরি আইজার্সের নামে এটির নামকরণ করা হয়। আইরিশ এই লাল পাথুরে রিসোর্ট অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছে নাটকীয় এক পরিম-ল। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধরা দেয় সহ¯্র লালের আবির। রাতের বেলা তারা খসে পড়া দেখতে হলেও তোমাকে এখানে আসতে হবে। এখানকার অতিরিক্ত উষ্ণতা এড়াতে সূর্যোদয়ের পরে বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই উষ্ণতা সত্ত্বেও এখানে বিয়ের জন্য আসা কেবল উলুরুর অসাধারণ সৌন্দর্য পরিগ্রহ করার জন্য।

হাফ মুন রিসোর্ট, জ্যামাইকা
হাফ মুন রিসোর্ট নামটাই ইঙ্গিত দিয়ে দেয় বেশ খানিকটা। বিশ্বখ্যাত জ্যামাইকার এই ওয়েডিং ডেস্টিনেশন ক্যারিবিয়ান সাগরের প্রান্তে যেন এক রাজকীয় প্যাভিলিয়ন। জ্যামাইকার এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা। ২৬ হাজার বর্গফুটের এক জমকালো কনভেনশন সেন্টারে তোমার কল্পনার সব আয়োজন করে রাখা হয়েছে।

মাচু পিচু
পেরুর মাচু পিচু। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে উপত্যকা। তার প্রায় আট হাজার ফুট উচ্চতায় মাচু পিচুর অবস্থান। বিয়ে এবং হানিমুনের জন্য মাচু পিচুতে রাখা আছে এক থেকে তিন দিনের সুব্যবস্থা। ১৫ শতকের নির্মিত এই অ্যাডভেঞ্চার ওয়েডিং প্লেসে লাইভ সং, হিস্টরিক্যাল থিম ও স্থানীয় পাহাড়ি ফুলের ব্যবহার অনবদ্য সমন্বয়। মাচু পিচুর আরেকটি নাম আছে জানো তো? ‘ইকাসের লস্ট সিটি’ এর আরেকটি নাম। হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপত্য নিদর্শন আজও নতুন দম্পতিদের জন্য এক অনন্য আর্কষণ।

ক্লাইডেন হাউস
ইংল্যান্ডের পেনসিলভানিয়া স্টেটে অবস্থিত ক্লাইডেন হাউস। অতীত ঐতিহ্যর সঙ্গে এক পুনর্নির্মাণ ঘটানোর প্রয়াস এই হোটেলের। সর্বোচ্চ ২৫০ জন গেস্টের আতিথেয়তা দিয়ে থাকে ক্লাইডেন হাউস। যেখানে বিশ্বের পুরস্কারপ্রাপ্ত সব শেফ লোভনীয় সব ফুড সার্ভিস দিয়ে থাকে। বিলাসী এই মোটেলে ৪৭টি বসন্ত কুটির, সুবিশাল ডাইনিং, বিস্তর লাইব্রেরি, সফেদ ঘোড়ার গাড়ি, কোল ঘেঁষে বয়ে চলা শান্ত নদী, নৌকা ভ্রমণ মিলিয়ে যেন একটা কম্বো প্যাক।

শহরের কাছাকাছি পছন্দের কোনো রিসোর্টেও ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আসর বসানো যায়। সেখানে বিয়ের সব আয়োজনের দায়িত্ব কোনো দক্ষ ওয়েডিং প্ল্যানারকে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারো। বিয়ের দিন সকালে অথবা আগের দিন নিমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে গাড়ি বর-কনে যাবে রিসোর্টে। সারা দিন হৈচৈ, খাওয়াদাওয়া ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে সবাই ঘরে ফিরবে। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট আছে, যেখানে অনায়াসে মনমতো বিয়ের আসর বসানো যেতে পারে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। রিসোর্ট ছাড়াও বড় বড় তারকা হোটেল ও বাংলোবাড়ি ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ভেন্যু হতে পারে।

রোদসী ডেস্ক

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
এই সংখ্যায়রোমান্স রসায়ন

সঙ্গী নির্বাচনে টিপস

এবার বুঝি বিয়ের পাট চুকিয়েই ফেলতে হবে। বিয়েটা অ্যারেঞ্জ হলে প্রশ্ন উঠে দুজনের পরিচয়পর্ব কিংবা কিছুটা জেনে-বুঝে নেওয়ার বাসনা। মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন আর সংকোচ কাজ করবে। কীভাবে যাবে তার সামনে? কিংবা কোথায় গিয়ে একটু মুখোমুখি বসে কথা বলতে পারবে? এমনই খুঁটিনাটি সমস্যার কিছু সহজ সমাধান থাকছে তোমাদের জন্য।

সঙ্গী নির্বাচন করতে গিয়ে বাধে যত বিপত্তি। মানসিক দ্বন্দ্ব, অজানা ভয়, মিশ্রিত একটা অনুভূতি কাজ করে। পান থেকে চুন খসলেই বুঝি সব ভেস্তে গেল। এখানে কোনো হিসাবনিকাশ নেই। তবু সারাটা জীবনের লেনদেন এক ছাদের নিচে ভাগাভাগি করে নেওয়া।

১. রেস্টুরেন্ট হতে পারে তোমার সঙ্গীর সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য পারফেক্ট একটা প্লেস। অবশ্যই খেয়াল রাখবে রেস্টুরেন্ট যেন নিরিবিলি হয়। পাশাপাশি পোশাক পরিধানেও সচেতন হবে। খুব ক্যাটক্যাটে রঙের কিংবা ভারী জমকালো ধাঁচের পোশাক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবে। হালকা রঙের কমফোর্টেবল পোশাক সিলেকশন করাটাই শ্রেয়। মোটকথা, পোশাকে মনোযোগ দিতে গিয়ে মানুষটার প্রতি খেয়াল রাখতে ভুলবে না।

২. অজানা এই মানুষই হতে পারে তোমার সারা জীবনের সঙ্গী। তাই নিজের ইমপ্রেশন ঠিক রাখা চাই। ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য বেস্ট ইমপ্রেশন, এটা মাথায় রেখেই এগোবে। হাতে একটা ফুল কিংবা পছন্দের কোনো বই তার জন্য নিতে ভুলবে না।

৩. ফরমালি জেনে নিতে পারো তোমার সঙ্গীর অতীতের কোনো স্মৃতি কিংবা ব্যক্তিগত রিলেশনশিপ প্রসঙ্গে। সে বলতে আগ্রহী কি না সেটাও বুঝে নাও তার কথার ধরন দেখে। তাকে বিব্রত করে এমন কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করাই উচিত। বিয়েটা সে নিজে থেকেই করতে ইচ্ছুক নাকি পরিবারের চাপে করছে, সেটি জানাও গুরুত্বপূর্ণ।

৪. তার ব্যক্তিগত পছন্দ/ অপছন্দের কথা জেনে নাও। প্রয়োজনে তুমি নিজে থেকে তোমার ভালোলাগা মন্দলাগা শেয়ার করো। তাহলে সেও বেশ পজিটিভভাবে নেবে তোমাকে। নিজেকে নিয়ে তার থাকতে পারে কোনো ফিউচার প্ল্যান। সেই পরিকল্পনা মিলিয়ে নাও তোমার সঙ্গে। তোমার পরিকল্পনার সঙ্গে অসংগতি থাকলে অবশ্যই বুঝে এগোবে।

৫. নিজের ব্যক্তিগত কোনো বিষয় কখনো গোপন করবে না। সে তোমার পরিবারের একজন হতে যাচ্ছে। তাই পারিবারিক বিষয়াদি যেটা বলা প্রয়োজন মনে করো, সেটা বলতে আপত্তি করো না। একটা সময় পরে সে জানতে পারলে তখন নিজেদের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।

৬. সবারই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। থাকে কোনো অতীত। সব বিষয় না পারলেও কিছু বিষয় শেয়ার করা যায়। কিংবা জেনে নেওয়া যায় সঙ্গীর কষ্টের কোনো স্মৃতি। তাই এই সময়ে সঙ্গীর কাছে থেকে জেনে নাও তার অতীত স্মৃতি। অবশ্যই কোনো জোরাজুরিতে নয়। নিজের কথা জানাও এবং সঙ্গীর স্মৃতিও জেনে নাও।

৭. রেস্টুরেন্টে গেলে অবশ্যই ফুড অর্ডার করার আগে জেনে নাও তার পছন্দের আইটেম। সে কী খেতে পছন্দ করে, সেটা জেনে নিয়ে খাবার অর্ডার করবে। এখানে সহজে তুমি জানতে পারলে তার পছন্দের ফুড মেন্যু। বিয়ের পরে তাই এটা নিয়ে তোমাকে আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

৮. প্রথম সাক্ষাতে ফোন নম্বর চাওয়াটা অনেক সময় একটু বিব্রতকর হয়ে পড়ে। তোমার সঙ্গী কর্মজীবী হলে তার ভিজিটিং কার্ড নিয়ে রাখো। ফোন দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবে যেন পিক আওয়ার হয়। প্রথম পরিচয়ের পরই রাতে ফোন দেওয়াটা অন্যভাবে নিতে পারে তোমার সঙ্গী। মোটকথা ফরমাল থাকবে।

কোথায় দেখা করতে পারো?

শহরতলিতে দেখা করা বলতেই কোনো রেস্টুরেন্টে বসা বোঝায়। অনেক ক্ষেত্রে রেস্টুরেন্ট অনেক বেশি লোক হয়ে যায়। ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য কোলাহলমুক্ত জায়গার খোঁজ করতে বাধে যত বিড়ম্বনা। কেমন জায়গা দেখা করার জন্য উপযুক্ত হতে পারে তারই কিছু আইডিয়া তোমার জন্য।

একসঙ্গে কোনো মুভি দেখে ফেলতে পারো। সময়টাও দারুণ কাটবে। জাতীয় জাদুঘর কিংবা ঐতিহাসিক দর্শনীয় কোনো স্থানে যেতে পারো। ঢাকার আশেপাশে কোনো রিসোর্টে ঘুরে আসতে পারো। এক দিনের ডে ট্রিপে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া। গল্প আর পরিচয়ে কিছুটা কাছাকাছি আসা। দুজনেই কর্মজীবী হলে আশপাশে কোনো গ্রন্থাগারে একটা প্ল্যান করতে পারো। নিরিবিলি পরিবেশে বই নিয়ে গল্প জুড়ে দিতে পারো। দুটো ফ্যামিলি চেনাজানা হলে দু-এক দিনের জন্য ঢাকার বাইরে থেকে ঘুরেও আসতে পারো। দুজনে আরও ভালোভাবে নিজেদের জেনে নিতে পারো। সেই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে উঠবে।

লেখা : ডানা রহমান

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
এই সংখ্যায়রোমান্স রসায়ন

সঙ্গী নির্বাচন

জীবনের দীর্ঘ পথ যার হাতে হাত রেখে চলতে চাও, কে সে? যাকে তুমি অনায়াসে বলতে পারো ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’। তুমি যা চাও, যাকে চাও সে তো নিজেরই জন্য। তুমি যা চাও, তুমি যা ডিজার্ভ করো; দুটি বিষয়ই সঠিক সঙ্গী নির্বাচনের জন্য জানা জরুরি। লিখেছেন স্বরলিপি।

নিজেকে আগে জানো

কে তুমি? তুমি আসলে কী ডিজার্ভ করো, জানো। নিজের আগ্রহ, পছন্দ-অপছন্দ, কিসে অগ্রাধিকার এসব খুঁজে বের করো। তোমার অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতির সত্যতা জানানোর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নাও।
নিজেকে কতগুলো প্রশ্ন করে নেওয়া দরকার
 সংসার পরিচালনায় দায়িত্ব কীভাবে বণ্টন করা হবে?
 কোথায় বসবাস করব?
 সম্পর্ক একচেটিয়া নাকি উভয়ের সমান অংশীদারত্ব থাকবে?
 কোন স্তরের জীবনযাপন করব?
 সারা জীবনে আমি কী অর্জন করতে চাই?
 কয়টি সন্তান গ্রহণ করব?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেকে দিয়ে রাখো। তবে কেমন মানসিকতার সঙ্গী তোমার জন্য প্রয়োজন, কে তোমার খুব ভালো সহযোগী হয়ে উঠবে, জানতে পারবে সহজে।

‘জার্নাল ইভলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান’-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকর্ষণীয় শারীরিক কাঠামোর প্রতি নারীদের প্রাধান্য বেশি। আর পুরুষেরা প্রাধান্য দেয়, আকর্ষণীয় মুখ। পুরুষের উচ্চাকাক্সক্ষা নারীরা ইতিবাচক মনে করে। নারী-পুরুষ উভয়ই গুরুত্ব দিয়ে একে অন্যের ভেতর উদারতা ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজ করে থাকে।

কে হবে তোমার জন্য পারফেক্ট

তুমি যা চাও সব মিলবে না, আগে এ কথা মানো। রূপ-গুণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যা চাও দেখো তার সঙ্গে মেলে কি না। ধরা যাক, মেয়েটি জিনস পরে, মেয়েটি তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে হ্যান্ডশেক করে, আড্ডায় গলা ছেড়ে গান গায়, মেয়েটি চাকরি করতে চায়, আর সে প্রতিদিন রান্না করতে হবে এ কথা মানতেই পারে না।
এবার ভাবো, যে মেয়েটি কেবল ঘরকন্নার কাজ করে সে সকাল সকাল স্বামীর শার্ট-প্যান্ট আয়রন করে রাখে। নাশতা না খেয়ে ঘরের বাইরে যেতে দেয় না, গৃহকর্মীর হাতে রান্নার ভার ছাড়ে না। ভাবো, তার কথাও।
একজন তোমাকে পরিবারে সরাসরি অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে পারবে। সব ভার তোমার একা কাঁধে তুলে নিতে হবে না। আর শেষ কথা হলো, সে যখন যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করছে, বিয়ের পরই তুমি তাকে চাকরিটি ছাড়তে চাপ দিতে পারো না।
আর এর জন্য প্রস্তুত আছো কি না? সকাল সকাল তোমার নাশতা রেডি না-ও থাকতে পারে, কেননা মেয়েটিও তোমার মতোই সকাল সকাল কাজে বের হবে। সে ক্ষেত্রে নিজে নাশতা রেডি করা লাগতে পারে অথবা বাইরে থেকে খেয়ে নিতে হতে পারে। অনেকেই পরিবার থেকেই শিখে নেয়, কাজ আসলে আলাদা করে নারী-পুরুষের জন্য হয় না। কেউ শিখে নেয় সময়ের কাছ থেকে। তুমি যদি মনে করো ঘরের সব কাজ একা নারীর নয়, তবে মানিয়ে নিতে পারো।
অথবা দ্বিতীয় অপশনে যাওয়াই ভালো।

শিপন (ছদ্মনাম) একজন শিক্ষক। তিনি বললেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়পড়–য়া পাত্রীকে বলেছিলাম, দেখো তুমি বাইরের দায়িত্ব নিয়ে ঘরের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেবে নাকি নিজে করবে। স্ত্রী হওয়ার পর সে ঘরের দায়িত্ব পালন করছে। আমি নিজে চাকরি করি, অফিস শুরু আর শেষের সময়ে আমাকে চিন্তা করতে হয় না আমার স্ত্রী নিরাপদে অফিসে পৌঁছাল কি না। ভাবতে হয় না, নিরাপদে সে বাসায় পৌঁছাতে পারবে কি না।’ কিছু সিদ্ধান্ত হয় এমনও।

ঢোলের অন্য পিঠে বাড়ি দেওয়া যাক

কী চাও ঠিক করার আগে কী দিতে পারো, কোথায় তোমার শক্তি, কিসে তুমি অপ্রতিরোধ্য, তোমার আত্মবিশ্বাসের উৎস এসব জানো।
নিজে যা চাও তা প্রকাশ করো অবলীলায়। ভয়ের কী আছে, প্রশ্ন যখন জীবনের সঙ্গে জড়িত। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা মিশেলে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত রাখতে সঙ্গী যা নিশ্চিত করতে পারে তুমি তার অধিক চেয়ে নিজেকে অসম্মানিত করতে পারো না। গাড়ি চাই, বাড়ি চাই, ভাবি সংস্কৃতিতে জেতা চাই, রেস্টুরেন্টে খাওয়া চাই, চাই-চাই-চাই এই যদি হয় মানসিকতা, সম্পর্কের সৌন্দর্য টেকাতে সঙ্গীর নাভিশ্বাস উঠবে।

নিজের পছন্দ জানাও

তবে তুমি যা চাও তার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবে। কেননা, সব জানার পর সঙ্গী যখন তোমার সঙ্গ উপভোগ করবে, তার ভেতরেই দেখা দেবে সবুজ সংকেত। এবার দীর্ঘ পথ পেরোনোর প্রতিশ্রুতি আসতেই পারে!

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
.রোমান্স রসায়ন

একটু আলিঙ্গন

হঠাৎ সারপ্রাইজ পার্টি বা প্রিয় এক্সেসরিজ দিয়ে সঙ্গীর মন পাওয়ার চেষ্টাও বৃথা যেতে পারে। কিন্তু একটু আলিঙ্গন-ফলাফল হতে পারে একেবারে আলাদা।
হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য উপহার দিয়ে সঙ্গীর মন জোগাতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।  মাঝে মাঝে আলতো স্পর্শ কিংবা আলিঙ্গন হতে পারে বড় উপহার। সঙ্গীর জন্য  তোমার অনুভূতির সবকিছুই না বলা সামান্য এক আলিঙ্গনে বলা হয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া, সম্পর্কের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকলে নিমেষেই তা উধাও হয়ে যেতে পারে। দুজন-দুজনের যখন এত কাছাকাছি, তখন কি আর ভালোবাসা বাড়বে না?

এক গবেষণায় দেখা গেছে,  দাম্পত্য জীবনে মাসে অন্তত তিনবার মত-পার্থক্য বা বিতর্ক হতে পারে। আর একটু আলিঙ্গন হতে পারে এই বিতর্ক শেষে মূল ছন্দে ফেরার দাওয়ায়।

রোদসী/আরএস

আরও লেখা :

চুম্বনের ৭ উপকারিতা

সেক্স স্যাটিসফ্যাকশন

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
রোমান্স রসায়ন

চুম্বনের ৭ উপকারিতা

ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেককিছুই করি। জিমে যাওয়া, ডায়েট করা ছাড়াও কেউ কেউ দৌড়ে, হেঁটে ওজন কমানোর চেষ্টা করে। ‘আজকাল’- এর এক প্রতিবেদনে ওজন কমানোর অন্য এক উপায়ের কথা জানানো হয়েছে, তা হলো চুমু।

‌ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ অনেকখানি কমে একটি চুম্বনে।  কারণ, শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘‌হ্যাপি হরমোন’‌ নিঃসরণ করে থাকে।  ‘হ্যাপি হরমোন অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।

আরও উপকারিতা আছে :

  • চুমুর খাওয়ার সময় মুখের প্রায় ৩০টি পেশির নড়াচড়া করে। ফলে মুখমণ্ডলের রক্তচলাচল বাড়ে। এতে ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়।

  • চুম্বন দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

  • শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে স্নায়ু স্বাভাবিক থাকে।

  • ২ মিনিট একটানা চুম্বন করলে কমপক্ষে ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।

  • চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায়  রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।‌‌‌

  • অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

 

রোদসী/আরএস

আরও লেখা :

গ্রেট ম্যাসেজ বিফোর সেক্স

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
.রোমান্সরোমান্স রসায়ন

দৈহিক মিলনের পর কেন কান্না আসে?

দৈহিক মিলনের পরে শরীরের ব্যথা কমে যায়। ভালো ঘুম হয়। নিয়মিত দৈহিক মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। তবে দৈহিক মিলনের পরে অস্বাভাবিকভাবে আবেগের পরিবর্তন হয়। এই সময় নিজেকে শূন্য আর দুঃখিত বলে মনে হয়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে কেঁদে ফেলার ঘটনাটি বেশি ঘটে।

যে কারণে কান্না আসে

নিউইয়র্ক সিটি-ভিত্তিক সেক্স থেরাপিস্ট ইয়ান কার্নার পিসিডিকে-এর মতে ‘দৈহিক মিলনের  সময় সাধারণত প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব হয়। উত্তেজনা কমে আসার পরে দুঃখ অনুভব হওয়া যৌক্তিক।’

কার্নার  মনে করেন, যৌন মিলন বিশেষ করে নারীদের উত্তেজক হরমোন অক্সিটোকিন মুক্ত করতে পারে, যা সঙ্গীর সঙ্গে সংযুক্তি এবং সংযোগকে সহজতর করে।

এই সময় সঙ্গীকে একান্ত নিজের মনে হয়। নিজেকে উজাড় করে দেবার মতো ঘটনা ঘটে, নির্ভরশীলতা, আস্থা, আর নৈকট্য দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠে। অধিক ঘনিষ্ঠতা বোধ হবার পর নিজেকে সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেবার ফলেও দুঃখ অনুভব হতে পারে।

অনেক সময় কান্নার কারণ হলো, সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক না থাকা।

রোদসী/আরএস

আরও ফিচার

গ্রেট ম্যাসেজ বিফোর সেক্স

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
রোমান্সরোমান্স রসায়ন

গ্রেট ম্যাসেজ বিফোর সেক্স

যৌন সম্পর্ক পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য পাঁচ ধাপে প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেবার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করার জন্য অন্তত ৪৫মিনিট সময় ব্যয় করতে বলা হয়েছে।

মেজাজ ঠিক করে নাও

ঘরটা মৃদু আলোয় আলোকিত করে নিতে হবে। অল্প আলো রোমান্টিক মুড তৈরি করে দেবে। রোমান্টিক গান শুনতে পারো, তবে খেয়াল করে ভলিউমটা কমিয়ে নেবে। সেক্স করার আগে গোসল করে নেওয়া ভালো। পুরো শরীরে তেল ম্যাসেজ করে গোসল করে নিলে মেজাজটা ফুরফুরে হয়ে যাবে।

ধীর গতির হও

আত্মবিশ্বাস পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে পরিপূর্ণ সেক্স করা সম্ভব। নর্থ লন্ডন স্কুল অব স্পোর্টস ম্যাসেজের পরিচালক সুসান ফিন্ড্লে বলেছেন,

‘‘সঙ্গীর শরীরের উপর অধিক ভর না দিয়ে হাতের পেশীর উপর বেশি ভর দেওয়া উচিত। এতে সঙ্গী ক্লান্তিহীন থাকবে আর পুরো সময়টা উপভোগ্য করে তুলতে সহায়তা দেবে’’।

ম্যাসেজ গুরুত্বপূর্ণ

সঙ্গীর পা, পায়ের আঙ্গুল, হাঁটুতে ম্যাসেজ করে দেবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গীর হাত পায়ের প্রতি জয়েন্ট ম্যাসেজ করে দেবার জন্য অন্তত ২ থেকে৩ মিনিট ব্যয় করতে হবে।

আলতো স্পর্শ করা প্রয়োজন

ঘড়ির গতি অথবা পিঁপড়ার মতো আস্তে আস্তে সঙ্গীর পুরো শরীর স্পর্শ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কাঁধ, ঘাড় আর মেরুদন্ডের দুইপাশে স্পর্শ করতে বলা হয়।

উষ্ণ চাপ প্রয়োগ

সেক্স-টাইম পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য হাতের তালু দিয়ে সঙ্গী পুরো শরীরে উষ্ণ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

রোদসী/আরএস

অন্যান্য ফিচার

সেক্স স্যাটিসফ্যাকশন

 

০ মন্তব্য করো
0 Facebook Twitter Google + Pinterest
রোমান্স রসায়ন

পাঁচ ধরণের প্রেমিকা থেকে দূরে থাকো!

“প্রেম একবার এসেছিল জীবনে” জনপ্রিয় এই গানের কথাগুলো অনেক ক্ষেত্রেই ভুল। প্রেম তোমার জীবনে আসবে একের অধিক বার। তাই হুট করে প্রেমে পড়ে যাবার আগে জেনে-বুঝে নাও তোমার প্রেমিকাকে। বিশেষ করে এই পাঁচ ধরণের প্রেমিকা থেকে সব সময় দূরে থাকবে-

১। তোমার প্রেমিকা একেবারে ডোন্ট কেয়ার স্বভাবের নাকি! তোমার কোন কথা পাত্তাই দেয় না। তোমার পছন্দ কিংবা নিষেধ কানেও নেয় না। তাহলে এখনি সাবধান! না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

২। অতিরিক্ত যত্নবান টাইপ। প্রথমদিকে তোমার ভালো লাগবে কিন্তু পরে মনে হবে রীতিমতো অত্যাচার। তোমার চলাফেরা থেকে শুরু করে খাওয়া, ঘুম এমনকি রাস্তায় হোঁচট খেলে কিনা সেটাও জানতে চাইছে। এমন প্রেমিকার হাতে পড়লে জীবন জাহান্নাম হতে বাকি।

৩। একেবারেই উদাসীন। কেয়ার সবারই প্রিয়। কিন্তু একেবারেই কেয়ারলেস সহনীয় নয়। তুমি পড়ে গিয়ে হাত ভাঙ্গলে নাকি এক্সাম খারাপ দিলে তাতে এদের যায় আসে না। এমন প্রেমিকা থেকে দূরে থাকো।

৪। অতিরিক্ত বাস্তববাদী। এই ধরণের  প্রেমিকা তোমাকে উঠতে বসতে যুক্তি শোনাবে। এটা এভাবে নয় ওভাবে করো বলে সারাক্ষণ জ্ঞাণ বাক্য শোনাবে। মোটকথা তাদের খুশি মত তারা তোমাকে উঠাবে আর বসাবে। সুতরাং এদের থেকে একশো হাত দূরে থাকো।

৫। তোমার প্রেমিকা তোমার কথায় ওঠে আর বসে? যখন যা বলো শোনে? এমন প্রেমিকা থেকে দূরে থাকো। এর থেকে একটা পুতু লের সাথে প্রেম করা শ্রেয়। তোমার জরুরী কোন মূহুর্তে এরা কোন বুদ্ধি দিয়ে তোমাকে সাহায্য করতে পারবে না। তোমার সমস্যা কমানোর থেকে আরো  বাড়াবে এরা।

নিখুঁত প্রেমিকা পাওয়াটা অসম্ভব বটে। তাই তোমার ভালোবাসায় যেকোন প্রেমিকাই সেরা প্রেমিকা হয়ে উঠতে পারে।

রোদসী/ডি আর।

০ মন্তব্য করো
1 Facebook Twitter Google + Pinterest
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্ট

তুমিই রোদসী

  • রোদসীর আড্ডায় আমেনা সুলতানা বকুল







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০১৮
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
টাওয়ার হ্যামলেট, ৯ম তলা, ১৬ কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৯৮২০০১১, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

Facebook