রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

সুস্থ মন

দেহ ও মনপাঠকের রান্নাভালো থাকার ভালো খাবারসুস্থ মনস্বাস্থ্যহেঁসেল

ওটস দিয়ে ঝটপট সকালের নাস্তা

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ৯, ২০২২

শায়লা জাহান

 

কথায় আছে, সকালের খাবার খাও রাজার মতো, দুপুরের খাবার যুবরাজের মতো আর রাতের খাবার হবে প্রজার মতো। পুষ্টিবিজ্ঞানী এ্যাডেল ডেভিসের এই উক্তিটি বেশ বিখ্যাত। সারারাত খালি পেট থাকার পরে, সকালের নাস্তার গুরুত্ব কতটুকু তা বোঝাতে এই কথাটি বলা হয়। কিন্তু আমাদের কর্মব্যস্ততার জীবনে রাজার মতো খাওয়া তো দূরের কথা সামান্য ব্রেড-জ্যাম খেয়েই উদরপূর্তি করতে হয়। তাই ঝটপট হয়ে যায় এমন কিছু নাস্তার আইটেম নিয়ে আজকের আয়োজন।

অফিস হোক কিংবা বাসায়, সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় এনার্জি জোগাতে সকালের নাস্তা শরীরের জন্য খুবই দরকারি। তাই এটি কোনভাবেই স্কিপ করা ঠিক নয়। আর সেই নাস্তা যদি হয় পুষ্টিতে পরিপূর্ন, তাহলে তো আর কথাই নেই। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা একটি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ হিসেবে ওটমিলের সুপারিশ করে। বিভিন্ন ওয়েতে মুখোরোচক খাবার বানানো যায় এই ওটস দিয়ে। এর এত সুস্বাদু বহুমুখিতা ছাড়াও, কেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সকালে ওটমিল খাওয়ার পরামর্শ দেয়? কিভাবে এক বাটি ওটস দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য প্রভাবিত করে? এই বিষয়ে বিজ্ঞান যা বলে-

-ওটস ফাইবারের একটি দূর্দান্ত উৎস। যেহেতু ফাইবার হজমকে ধীর করে দেয়, তাই রোগ নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ কেন্দ্র অনুসারে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত বোধ অনুভূত হয়না।

-ওটসে একটি বিশেষ ধরনের দ্রবনীয় ফাইবার থাকে যাকে বিটা-গ্লুকোন বলে। এই বিটা-গ্লুকোন অন্ত্রে জেলের মত সামঞ্জস্য তৈরি করে এবং পরিপাকতন্ত্রে জিনিসগুলোকে সচল রাখতে ও নিয়মিত করতে সহায়তা করে।

-এক বাটি ওটস দিয়ে সকাল শুরু করা হার্টের স্বাস্থ্যের একাধিক উপায়ে উপকার করতে পারে। ফাইবার সামগ্রীর কারনে, ওটমিল খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে এবং এমনকি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

-এর ইতিবাচক সুবিধাগুলোর পাশাপাশি, গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ওজন-হ্রাস এবং ওজন-ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

ঝটপট নাস্তার আইডিয়া

ওটস স্মুথি

সবচেয়ে সহজ এবং পুষ্টিকর কিছু চাইলে ওটস স্মুথি হবে পারফেক্ট চয়েস। ঝটপট হয়ে যায় এবং খেতেও অনেক মজা। কলা, সামান্য পিনাট বাটার এবং দারুচিনির মতো সহজ উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায় এই স্মুথি। এর কোজি ফ্লেবার এবং ক্রিমি টেক্সচার মুখে টেস্ট দেয়ার পাশাপাশি সারাদিনের জন্য জ্বালানী দেয়। এখানে শুধু কলা নয় যেকোন ফল যেমন স্ট্রবেরি, আপেল, পেঁপে ইত্যাদি দিয়েও করা যাবে।

ওটস অমলেট

ওটস অমলেট রেসিপি একটি স্বাস্থ্যকর এবং একটি ভরাট খাবার যা ওটমিল ও ডিম দিয়ে তৈরি। স্বাদের পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিক ফ্রেন্ডলি। নরমাল অমলেটের মতো এটা শুধু ডিম এবং ওটস দিয়ে করা যায় আবার খাবারটি আরেকটু রিচ করতে চাইলে পছন্দ মতো এতে ভেগিজ যেমন গাজর, ক্যাপসিকাম যোদ করা যেতে পারে।

ওটস খিচুড়ি

বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে মজাদার এই খিচুড়ি তৈরি করা যেতে পারে। কালারফুল এই খিচুড়ি করতে চাইলে এতে গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো, মটরশুঁটি, ব্রকোলি এড করা যেতে পারে। চোখ জুড়ানোর পাশাপাশি এটা খেয়ে মনও ভরবে।

ওভারনাইট ওটস

এতে রান্না করার কোন ঝামেলা নেই। যা করতে হবে তা হল এতে যেসব উপাদান লাগবে তা আগের দিন রাতেই একসাথে করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এতে লাগবে ওটস, দুধ, পছন্দমত ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সারারাত ফ্রিজে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে সেট হয়ে যাওয়া পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ওভারনাইট ওটসে শুধুমাত্র মধু ও ফ্রেশ ফল কেটে দিয়ে খেলেই হবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.দেহ ও মনসুস্থ মনস্বাস্থ্য

প্রাণশক্তি বাড়বে যে ওয়ার্কআউটে

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ৮, ২০২২

শায়লা জাহান

 

শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়ম করে ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করা একটি ভালো অভ্যেস। এতে  শরীর তরতাজা ও ফিট তো থাকে বটেই, সারাদিনের বিস্তর দৌড়ঝাঁপ সামলাতে এনার্জির জোগানও দেয়। সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘ জীবন পেতে কিছু কমন কিন্তু অনেক উপকারী এমন কিছু ব্যায়ামের কথা জানবো।

দীর্ঘ জীবন পেতে কে না চায়। ফিটনেস হচ্ছে এর মূল প্রাণশক্তি। সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তুমি যদি একটি সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে চাও তবে তোমাকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অভ্যাসগুলো অনুসরণ করতে হবে। যার মধ্যে প্রধানত স্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং ব্যায়াম করা জড়িত। বর্তমানে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়েছে। তার উপর ব্যস্ত সময়সূচীর কারনে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাসকে উপেক্ষা করার প্রবণতা চলে এসেছে। বিশিষ্ট ফিটনেস বিশেষজ্ঞ কমল কৌরের মতে, ‘’ব্যায়াম সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যদি একটি স্বাস্থ্যকর জীবন চাও তবে কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এমনকি এটা তোমাকে আরও বেশিদিন বাঁচতে সাহায্য করতে পারে’’। কৌর এমন কিছু সাধারন কিন্তু অধিক কার্যকরী কিছু ওয়ার্কআউটের কথা বলেছেন।

হাঁটা

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এপিডেমিওলজি, প্রিভেনশন, লাইফস্টাইল এবং কার্ডিওমেটাবলিক হেলথ কনফারেন্স ২০২১- এ উপস্থাপিত গবেষনার ফলাফল অনুসারে হার্টের স্বাস্থ্যসহ ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য হাঁটা সবচেয়ে নিরাপদ এবং সহজ কৌশলগুলোর মধ্যে একটি। ফলস্বরুপ, এটি অবশ্যই তোমাকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘ হাঁটার সময় না থাকলে, বাসায় দৈনন্দিন কাজ করার সময় হাঁটতে পারো। হাঁটা হার্টের উপকার করে, অন্যান্য অসুখের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

 

সাঁতার

দীর্ঘজীবী হতে চাইলে সাঁতার কাটা আবশ্যক। এতে পুরো শরীর সক্রিয় হয়, যা একে আরও নমনীয় এবং শক্তিশালী করে তোলে। এটি তোমার পেশী শক্তি এবং কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বাড়ায়। আসলে, যদি তুমি তোমার ওজন কমাতে চাও তবে সাঁতার ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। সামগ্রিকভাবে, সাঁতার একটি সমগ্র শরীরের ওয়ার্কআউট। এটি বার্ধক্য কমিয়ে দেয়, ফুসফুস এবং হার্টকে শক্তিশালী করে এবং আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনাকে কমিয়ে দিতে পারে।

অ্যারোবিক্স

তুমি কি জানো অ্যারোবিক ওজন কমানোর চেয়ে বেশি সুবিধা দেয়? এই ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ শক্তি প্রশিক্ষনের সাথে স্ট্রেচিং কে একত্রিত করে। এটির সুবিধার একটি বড় পরিসর রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি হল জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করা এবং হার্টের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করা। নিউরোলজির একটি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে  জীবনযাত্রার মান বাড়াতে পারে।

দৌড়ানো

ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে কোন পরিমান দৌড়ানো হৃদরোগ এবং সমস্ত ক্যান্সার থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। কৌরের মতে, দৌড়ানো রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে, শক্তিশালী হাড় তৈরি করতে সাহায্য করে, পেশীমজবুত করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে, দীর্ঘায়ু বাড়ায়।

সাইকেল চালানো

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সাইকেলে করে কাজ বা স্কুলে যায় তারা দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করেন। তুমি যদি দীর্ঘ জীবন উপভোগ করতে চাও তবে কেবল সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। এটি শরীরের চর্বি কমাতে, ওজন কমাতে, এবং সামগ্রিকভাবে ফিটনেসের স্তর বাড়াতে একটি দূর্দান্ত উপায়। সাইকেল চালানো কোভিড-১৯ এর মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেমের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করতে পারে।

জীবনের মান উন্নত করা ছাড়াও, এই ব্যায়ামগুলো মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি কমাতে সর্বোত্তম। তাই আজই এগুলোকে তোমার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হিসেবে যোগ করে নাও।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসুস্থ মন

মস্তিষ্ক ভালো রাখার সেরা খাবার

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১৭, ২০২২

শায়লা জাহান

সুস্থ দেহ,সুস্থ মন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেহঘড়ি চলাচল কমে যায়। প্রাকৃতিক নিয়মেই মস্তিষ্কেরও ক্ষয় হতে থাকে। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, একটিভ থাকতে আজ এমন কিছু খাবার নিয়ে বলবো যেগুলো এর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারে।

সারাদিন আমাদের কত কিছু চিন্তা করতে হয়।  কি অফিস বা ব্যবসার কথাই হোক অথবা ঘরোয়া কোন ব্যাপার। আর এই চিন্তা করার জন্য কতটা শক্তির প্রয়োজন হয় তা আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি? বাস্তবে, মস্তিষ্কের কাজ ভালোভাবে করার জন্য প্রচুর জ্বালানীর প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, গড়ে আমরা প্রতিদিন যে ক্যালোরি পোড়াই তার প্রায় ২০% মস্তিষ্কের জন্য দায়ী। আর এই জন্য আমাদের এমন কিছু খাবার গ্রহন করতে হবে যা ব্রেনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তেমন কিছু খাবার হল-

সবুজ শাকসবজি   

সবুজ শাকসবজি শরীরের জন্য বিশেষ করে মস্তিষ্কের জন্য ভাল। এই সবজিগুলো বিটা-ক্যারোটিন, ফলিক অ্যাসিড, লুটেইন এবং ভিটামিন কে- এর মত মস্তিষ্ক উদ্দীপক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।

বাদাম

বাদাম প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বির ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত। এগুলোও মস্তিষ্কের দূর্দান্ত খাবার। প্রতিটা বাদামের অনন্য উপকারিতা আছে। পেস্তা, অ্যালমন্ড এসব কিছুই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। কিন্তু যদি কার্যক্ষমতাকে বুস্ট করাতে চাও তবে ওয়ালনাট বা আখরোট বেছে নেয়া যেতে পারে। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ন। এক গবেষণায় দেখে গেছে যে প্রাপ্তবয়স্করা যারা প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ গ্রাম বাদাম খান তাদের জ্ঞানীয় স্কোর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল যারা কম খেয়েছে তাদের তুলনায়।

চা এবং কফি

গবেষকরা ক্যাফেইনের মস্তিষ্কের তথ্য-প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা বাড়াতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। কফিতে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও গ্রিন টি এল-থেনাইন সমৃদ্ধ। এই শক্তিশালী অ্যামিনো অ্যাসিড স্ট্রেস এবং উদ্বেগ পরিচালনা করতে সাহায্য করে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপুর্ন।

টমেটো

টমেটোর লাইকোপিন-এ সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের জন্য সেরা খাবার। এই শক্তিশালী ক্যারোটিনয়েড আলঝাইমার এবং পারকিনসন মত ব্যাধি বন্ধ করতে দেখানো হয়েছে। একটি তাজা ,মাঝারি টমেটোতে প্রায় ৩.২ মিলিগ্রাম লাইকোপিন থাকে এবং প্রতিদিন ৯ থেকে ২১ মিলিগ্রাম লাইকপিন সবচেয়ে উপকারী হতে পারে।

গোটা শস্য

গোটা শস্য যেমন গম, ওটমিল, বার্লি এবং বাদামী চাল একটি সুষম খাদ্যের অপরিহার্য অংশ এবং এরা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে পরিচিত। অনেক শস্য ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, একটি গুরুত্বপুর্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‍্যাডিক্যালের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে এবং স্নায়বিক ক্ষতি প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ৩ সার্ভিংস বা কমপক্ষে ৪৮ গ্রাম এই শস্য গ্রহন করা উচিৎ।

ব্রকলি

শাকসবজিই একমাত্র সবুজ শাকসবজি নয় যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য সারা খাবারের তালিকা তৈরি করে। ব্রকলি এবং অন্যান্য ক্রুসিফেরাস সবজিও গুরুত্বপুর্ণ। এই সবজিতে উচ্চমাত্রায় গ্লুকোসিনোলেট থাকে। পানির সাথে মিলিত হলে এই যৌগগুলো আইসোথিওসায়ানেত তৈরি করে, শক্তিশালী বিপাকে যা নিউরোপ্রাটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে পরিচিত।

ডার্ক চকলেট

মস্তিষ্কের জন্য যদি ভাল খাবার খুঁজো তাহলে ডার্ক চকলেটের কথা মাথায় নাও আসতে পারে। কিন্তু ডার্ক চকলেট এই তালিকার অন্যান্য খাবারের অনেক উপকারিতা একত্র করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাফিনে পূর্ন। সপ্তাহে কয়েকবার ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। সর্বাধিক সুবিধা পেতে এবং চিনি থেকে ক্যালোরি সীমিত করতে এটি কমপক্ষে ৭০% ডার্ক তা নিশ্চিত করতে হবে।

তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছ খাওয়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। স্যামন, সার্ডিন, টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিৎ।

বীজ

এগুলো ছোট হতে পারে, কিন্তু পুষ্টির দিক দিয়ে বাদামের মতই কাজ করে। সূর্যমুখী বীজ, বিশেষ করে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। কুমড়োর বীজে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও তামা, আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মত গুরুত্বপুর্ন খনিজ পদার্থ।

ডিম

ডিমে বি৬, বি১২, বি৯ (ফলিক অ্যাসিড) সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন বি ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনগুলো মস্তিষ্কের সংকোচন রোধ করতে এবং বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক পতন রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কান পেতে রইজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসুস্থ মন

আসক্তিময় আবেগ

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ৯, ২০২২

শায়লা জাহান

এডিকশান বা আসক্তি কথাটি বলতেই আমরা বুঝি এমন একটি শব্দ যা মাদক বা অ্যালকোহলের নির্ভরতার সাথে যুক্ত। এটি খাওয়া, জুয়া এমনকি যৌনতার সাথেও যুক্ত হতে পারে। কিন্তু আরো এক ধরনের আসক্তি আছে যা একেবারেই অভ্যন্তরীণ; আর তা হল মানসিক আসক্তি। আমাদের জীবনে আবেগের উত্থান-পতন ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এই আবেগের ঢেউ এমনভাবে উপস্থাপিত হয় যা জীবনে বিপদরুপে ধরা দেয়।

আবেগ কি? একে কোন সংজ্ঞায়নে আবদ্ধ করা কঠিন। আবেগকে অনেকে অনুভূতির সমার্থক হিসেবে ধরে নেয়। যদিও অনুভূতির শারিরীক ও মানসিক দু দিকই আছে। আবেগ মূলত মানসিক। মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞায়, আবেগ মানব মস্তিষ্কের একধরনের সংকেত পদ্ধতি। রাগ,ভয়, হিংসা,আনন্দ  এসব দিয়ে মনের বিশেষ অবস্থাকে বুঝানোই হল আবেগ। এটি মানব জীবনের এক প্রয়োজনীয় দিক। আবেগ কাজের পিছনে শক্তি যোগায়, আচরনের ধরন ও প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন করে। কিন্তু এই আবেগ যখন আসক্তিতে রূপ নেয় তখনই এর চিত্র ভিন্ন হয়ে যায়। এই ধরনের মানসিক আসক্তি মাদক বা অ্যালকোহলের আসক্তির চেয়ে আলাদা। যাদের মধ্যে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় তাদের মনে হতে পারে যেন তারা তাদের অনুভূতির করুণায় বেঁচে থাকে এবং তখনই কিছু আচরনগত  প্রতিক্রিয়া দেখা যায়-

-অবিবেচনাপুর্ন সিদ্ধান্ত

-অনুপযুক্ত আচরন

-ত্রুটিপূর্ন স্ব-ব্যবস্থাপনা বা পরিকল্পনা

-সম্পর্কের ভঙ্গুরতা

-স্ট্রেস কমানোর জন্য ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের উপর নির্ভরতা

সমাধানের উপায়ঃ

মানসিক আসক্তি ভাঙ্গার উপায় হল নিজ আবেগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রন তৈরি করা। মানসিক স্থিতিস্থাপকতা অর্জন এবং মানসিক আসক্তি ভাঙ্গার কিছু পদ্ধতি আছে-

-প্রথমত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখ, ইচ্ছার প্রাধান্য দাও। এতে বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার মাত্রা কমে আসবে।

-নিজ সংবেদনশীল অভ্যাস গুলো সনাক্ত করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সময়ে নিজেকে পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং সবকিছুর উপর নিজের রিয়্যাকশনের প্যাটার্ন গুলো দেখতে হবে। একবার যদি এই আবেগপ্রবনতার কারনগুলো চিনতে পারা যায়, তবে খুব সহজেই তা নিয়ন্ত্রন করে  সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

-লক্ষ্য থাকতে হবে পরিবর্তিত আচরন মোকাবেলার জন্য নিজেকে তৈরি করা। যখনই কোন পরিস্থিতি তোমাকে পরাভূত করতে শুরু করে, উত্তেজিত না হয়ে নিজেকে শান্ত করার জন্য সময় দাও। চেষ্টা করতে হবে শরীর ও পেশীকে শিথিল রাখার জন্য। শরীর রিলাক্স হলে অনুভুতিতেও কিছুটা লাগাম আসবে।

-মাথায় নেগেটিভিটি না রেখে ইতিবাচক কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এটা হতে পারে টিভি দেখা, পছন্দের গান শোনা, ব্যায়াম বা ক্রসওয়ার্ড পাজল খেলা।

-সবচাইতে বড় ব্যাপার হল ক্ষতিকর মানুষগুলোর সংস্পর্শ থেকে সরে আসতে হবে। দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল ভালো। এতে মানসিকভাবে নিজে সুস্থ থাকা যাবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাসম্ভাবনাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

বর্তমানে ব্যস্তময় পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। কারণ মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। অথচ বেশির ভাগ রোগীই জানে না সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই মানসিক রোগের লক্ষণ জানা, চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া ও প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ভারসাম্য থাকবে।
রোদসীর এবারের আড্ডায় মুখোমুখি হয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম

রোদসী : মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি সম্পর্কে বলুন

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, সার্কিট ও চ্যানেল আছে। এগুলোর ভেতর বিভিন্ন সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া বংশগত, সামাজিক ও পারিবারিক কারণেও মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। রক্তপাত হয়। রক্তনালি চিকন হয়ে ব্লক হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সে অংশটা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্ট্রোক, প্যারালাইসিস এমনকি কেউ কেউ অন্ধও হয়ে যায়। এটা হয় মূলত মানসিক স্বাস্থ্যের কাঠামো অনেক দুর্বল অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ যারা মানসিকভাবে অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যায়, চাপ নিতে পারে না, বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, সহজে কোনো কথা ভুলতে না পারা এসব বিষয়ে মনের ওপর চাপ তৈরি হয়েই মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো হয়।

রোদসী : মানসিক অবসাদ বোঝার উপায় কী?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : জীবনে আনন্দ পাওয়ার কারণে আমরা বেঁেচ থাকি। কিন্তু এই আনন্দ যখন চলে যেতে শুরু করে, তখন কোন কাজ, কথা বা কোন স্থানে আনন্দ পাওয়া যায় তখন ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। নেতিবাচক নানা চিন্তা আসতে থাকে। অতীত উজ্জ্বল থাকলেও সব ব্যর্থ মনে হয়। বর্তমানে সব ঠিক থাকলেও মনে হতে থাকে কিছুই ভালো লাগছে না। ভবিষ্যতেও কোনো আশার আলো দেখে না। এত কষ্ট, এত দুঃখ অথচ বেঁচে কেন আছে এমন প্রশ্ন আসতে থাকা এসব লক্ষণে স্পষ্ট হয় সে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত।

রোদসী : অবসাদগ্রস্ত রোগীদের ভাবনাগুলো কেমন হয়?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত থাকলে শারীরিক জটিলতাসহ আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ মানসিক অবসাদের গুরুতর অবস্থায় যখন কেউ পৌঁছায়, তখন তার মনে হতে থাকে বেঁচে থাকা অর্থহীন। মৃত্যু মানেই মুক্তি। সব অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমন অনেক রোগীর স্বজনেরা জানায় মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তারা খুবই প্রফুল্ল থাকে। দেখে মনে হয় সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে! এই রোগীদের বেঁচে থাকার সামর্থ্য থাকে না, আবার চেষ্টাও থাকে না। এটা হলো গুরুতর মানসিক অবসাদ। আর এক ধরনের মানসিক অবসাদ রয়েছে, যা বেশির ভাগ মানুষেরাই আক্রান্ত। তাদের ভাবনাগুলো বেশির ভাগ আর্থিক ও পারিবারিক দায়িত্বের বিষয় নিয়ে থাকে। এটি এতটা গভীর না হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

রোদসী : মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার ওষুধের কোনো চিকিৎসা রয়েছে কি?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : অবশ্যই মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো মানের চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাগুলো নিলে শতভাগ সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু প্রচারের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের থেরাপিও দিতে হয়। তবে দুটো থেরাপি দিতে হবে সিবিটি বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি আরেকটি হলো ইন্টার পার্সোনাল থেরাপি বা আইপিটি। ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

রোদসী : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকা কতটা?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। কারণ, গুরুতর মানসিক অবস্থার বাইরে যারা সাধারণভাবে অবসাদগ্রস্ত, তাদের যে সময়টা ভালো লাগছে না সেই মুহূর্তেই এটি চিহ্নিত করতে হবে যে কেন ভালো লাগছে না। নিজের পাশাপাশি নিকটজনের ভূমিকা বেশি। তাদের প্রিয়জনদের মনের খোঁজ রাখতে হবে। কারণ, এক দিনেই কেউ রোগী হয়ে যায় না। তাদের ডাক্তারের কাছে না নিলেও চলে। তাই পরিবারের বা প্রিয়জনদের যারা আবেগের দিক থেকে দুর্বল, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। হতাশার গর্তে পড়তে দেওয়া যাবে না। ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল দিতে হবে। পরিবারে অভিভাবকেরা সন্তানের লালন-পালনের সঠিক কারণ না জানা ভয়াবহ ক্ষতি হয়। শুধু আর্থিকভাবে সহায়তা দিলেই হবে না, তার মানসিক অবস্থা জেনে সঠিক জীবনের দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

রোদসী : শিক্ষাব্যবস্থায় মানসিক বিষয় থাকাটা কতটা জরুরি?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই এই বিষয়ে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য জরুরি কিছু টিপস প্রায়োগিক ভাষায় লেখার মাধ্যমে কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। আমাদের মনোবিদদের সংগঠন এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে যাচ্ছি।

রোদসী : সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীদেহ ও মনবিনোদনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মধুমিতার ফিটনেস রহস্য

করেছে Suraiya Naznin ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

রোদসী ডেস্ক-

পর্দায় তিনি পাখি নামে পরিচিত। তবে বাস্তবেও তিনি পাখির মতোই। তাকে নিয়ে সবার খুব আগ্রহ। ফিটনেস কিভাবে ধরে রাখেন তিনি। তবে কী খাওয়া-দাওয়া একেবারেই করেন না? আজ বলবো মধুমিতার ফিটনেস চার্ট নিয়ে-

 


মধুমিতার অভিনয়ে মুগ্ধ অনেকেই। কী খেয়ে সারা ক্ষণ এত প্রাণবন্ত থাকেন তাদের প্রিয় নায়িকা, তা নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই মধুমিতার অনুরাগীদের মধ্যে।

মধুমিতার রোজকার খাদ্যাভ্যাসের তালিকা-

সকাল

শ্যুটিং না থাকলে মধুমিতা খানিক বেলায় উঠতেই পছন্দ করেন। ঘুম থেকে ওঠার পর গ্রিন টি-র কাপে চুমুক দেন। সঙ্গে থাকে তাঁর পছন্দের বিস্কুট।

প্রাতরাশ

বিশেষ ভারী কোনও খাবার মধুমিতার সকালের খাবারে থাকে না। দু’টি ডিম সেদ্ধ এবং মৌসুমী দু’-একটি ফলই তার খাবারে বরাদ্দ।

দুপুরের খাবারে

বাড়িতে থাকলে মধুমিতার দুপুরের খাবারে থাকে অল্প পরিমাণ ভাত, বেশ খানিকটা সব্জি আর মাছ। শ্যুটিংয়ে থাকলে মধুমিতা দুপুরে খান বেকড চিকেন, কখনও বা বেকড ফিশ। মাঝে মাঝে ছাতুর শরবতও খেয়ে থাকেন তিনি।

সন্ধ্যের খাবারে

মধুমিতা একেবারেই খাদ্যরসিক নন। ছোট থেকেই খাবারের প্রতি তার ভীষণ অনীহা। তবে ফুচকা খেতে ভীষণ ভালবাসেন। সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন ফুচকা খেতে। ফুচকা ছাড়াও আরও একটি খাবার মধুমিতার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তা হল ‘ডায়নামাইট চিকেন’। মধুমিতার কাছে আসলে ওটা ‘চিলি চিকেন’। কারণ ওটাতে চিকেন আর লঙ্কা ছাড়া আর কিছুই থাকে না।

নৈশভোজে

ঘড়ির কাঁটা ৮টায় পৌঁছনোর আগেই মধুমিতা তাঁর রাতের খাওয়া সেরে নেন। নৈশভোজে বিশেষ কোনও বিধিনিষেধ তাঁর নেই। ভাত, রুটি হোক বা বাড়িতে তৈরি বিরিয়ানি, রাত ৮টার আগে কিছু একটা খেয়ে নেন তিনি।

 

শরীরচর্চা

নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটাতে পছন্দ করেন না তিনি। জিমের বদলে ঘাম ঝরাতে বাবার সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলতেই বেশি পছন্দ করেন মধুমিতা। অভিনয়ের প্রয়োজনে মার্শাল আর্টেরও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মধুমিতার মতে, ওজন কমানোর জন্য যে সব সময়ে ব্যায়াম, যোগ অথবা জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং কেউ যদি নাচ করতে বা সাঁতার কাটতে ভালবাসেন, সেটাই নিয়ম করে করা উচিত।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাদেহ ও মনসুস্থ মন

মনখারাপ কেটে যাবে দশ মিনিটেই

করেছে Suraiya Naznin ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২২

রোদসী ডেস্ক:

দশ মিনিট দৌড়ে নিলেই ভাল হয়ে যেতে পারে মন। এটা গবেষণা করেছেন জাপানের একদল গবেষক।

প্রখ্যাত বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জাপানের একদল গবেষক জানালেন, মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রিত হয়, দশ মিনিট একটানা দৌড়ালে সেই অংশে এমন কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে যাতে ভাল হয় মেজাজ। গবেষকরা এই পরীক্ষায় ব্যবহার করেছেন রক্তের নমুনা ও ইনফ্রারেড স্পেক্ট্রোস্কোপি।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাসচেতনতাসুস্থ মন

প্রেগনেন্সির সময়ে যৌনমিলন কি নিরাপদ?

করেছে Suraiya Naznin জানুয়ারী ১৬, ২০২২

রোদসী ডেস্ক

প্রতিটি নারীর জীবনে প্রেগনেন্সির সময়টা খুবই সংবেদনশীল। এই সময় অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কি করবো আর কিই বা করবো না। নানা রকম প্রশ্নের দ্বীধায় কাটে অনেকটা সময়। তবে যেকোন কিছুই এসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। তবে যারা বাবা হচ্ছেন তাদেরও কারও কারও জানা থাকে না এসময় যৌনমিলন আসলেই সম্ভব কিনা। ছোট ছোট জানার ভুলের কারণে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে দেখা নেয়া যাক গাইনোকোলজিস্টের মতামত-

 

আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনিকলজিস্টস-এর মতে,

প্রেগনেন্সির সময়ে যৌনমিলন এমনিতে নিরাপদ, যদি না এর কোনও বিপরীত প্রতিক্রিয়া সেই যুগলের উপর দেখা যায়। একজন প্রেগনেন্ট নারীর ইন্টারকোর্স এড়িয়ে চলা উচিত যদি তার আগে প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি হয়ে থাকে। যদি তার সার্ভিক্সে কোনও সমস্যা থাকে বা এর আগে অ্যাবরশন হয়ে গিয়ে থাকে, ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং বা স্পটিংয়ের সমস্যায় ভোগেন—তাহলেও ইন্টারকোর্স এড়িয়ে চলতে হবে।

অনেকেরই প্লাসেন্টা প্রাভিয়া বলে একটি অসুখ হয়। এতে প্লাসেন্টা জরায়ুর মুখ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড লিক করতে থাকে। তবে এই সমস্যাগুলোর কোনওটাই যদি না থাকে, তাহলে প্রেগনেন্সির সময়েও যৌনমিলন করা সম্ভব হবে। ডেলিভারির দু’সপ্তাহ আগে পর্যন্ত পার্টনারের সঙ্গে মিলিত হতে পারো। তবে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে অবশ্যই। আর কিছু বিষয়ে সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। হবু মায়ের তলপেটে যেন কোনওভাবেই চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

 

সন্তান জন্মের তিন সপ্তাহ পরে আবার ইন্টারকোর্স শুরু করা যেতে পারে। তবে যদি সিজ়ারিয়ান সার্জারি হয় বা এপিসিয়োটোমি (পেরিনিয়াম কেটে আবার স্টিচ করা) হয়, তাহলে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ওই বিশেষ জায়গায় যাতে চাপ না পড়ে, তার জন্য কয়েটাল পজ়িশন একটু বদলাতে হতে পারে। মনে রাখতে হবে, স্ত্রীর স্বাচ্ছন্দ্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতস্থান পুরো শুকিয়ে গেলে তারপরেই ইন্টারকোর্স করা ভাল। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো শুধুমাত্র স্ত্রীর নয় স্বামীরও নজর দিতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
খেলাধুলাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মনভ্রমণ ফাইলসুস্থ মন

খেলাচ্ছলেই ব্যায়াম

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১২, ২০২২

রেহনুমা তারান্নুম

 

মুটিয়ে যাওয়ার পর একটা সময় সবাই ভাবে, না! এখন থেকে ব্যায়াম করতেই হবে। কিন্তু সেই সময়টি যেন আর হয়ে ওঠে না। অনেকে মনে করে, ব্যায়ামের এত প্রস্তুতি, থাক কদিন যাক। তবে ব্যায়াম যদি হয় খেলাচ্ছলে। তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না ! সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই শরীর আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার। বিগত ১২ মাসের লাভ-ক্ষতির অঙ্ক করতে বসে যদি দেখো বেশ কিছুটা মেদ শরীরে জমেছে, তবে মোটেই মেজাজ থাকবে না আর। তা ছাড়া অতিমারির জন্য অনেকটা সময় বাড়িতে থেকে কাজ করতে হয়েছে।

 

বাইরে নিয়মিত গেলে যে শারীরিক পরিশ্রমটা হয় সেটাও হয়নি। খাবারেও হয়েছে বড়সড় অনিয়ম। ফলে ছিপছিপে শরীরে ক্যালরি বেড়ে যদি নিজেকে বেঢপ মনে করো, তবে হাতের কাছেই আছে সমস্যার সমাধানও। সহজ, চেনা কিছু শারীরিক কসরতে, প্রায় খেলাচ্ছলেই দেহ আবার ফিরে পাবে আগের মতো যথাযথ আকার, কমবে ক্যালরি, উপরন্তু বাড়বে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।

 

সাইক্লিং

সাইকেল চালানো তোমার হাঁটুকে শক্তিশালী করার জন্য দুর্দান্ত একটি ব্যায়াম। বিশেষ করে তোমার যদি দৌড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটুতে ব্যথা হয় বা অতিরিক্ত মেদের ফলে হাঁটুতে চাপ পড়ে, তবে সাইকেল চালালে পেতে পারো প্রভূত উপকার। বহু জিমেও তাই এই ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে শরীরচর্চা করানো হয় এখন। ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের অনেকটা সাহায্য করতে পারে। ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের অনেকটা সাহায্য করতে পারে।

 

জগিং

রোজ নিয়ম করে কিছুক্ষণ জগিং করলে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পাবে না। এতে খুব দ্রুত সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন হয় আর ক্যালরিও ঝরে যায়। প্রত্যেক দিন সময় না পেলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নিয়ম করে খানিকক্ষণ জগিং করতে হবে। সঙ্গে অবশ্য ভাজাভুজি বাদ রেখে সুষম খাদ্য খাওয়াও জরুরি।

 

সাঁতার

আমরা একটু সচেতন হয়ে খেয়াল করলে দেখব যে যারা নিয়মিত সাঁতার কাটে, তাদের শরীরে মেদের আধিক্য প্রায় নেই। জলে ভেসে থাকতে গেলে ওজনদার আকৃতি নিয়ে কিন্তু মুশকিলই হয়। তা ছাড়া সাঁতারের সময় শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের ব্যায়াম বিশেষজ্ঞদের মতো এমনটাই। শীতকালে ঠান্ডার ভয়ে পানিতে নামতে না চাইলে এমন সুইমিংপুলের সন্ধান করতে পারো, যেখানে পুলের পানিতে থাকে নাতিশীতোষ্ণ।

 

দড়ি লাফানো

দড়ি লাফানো বা আরেকটু চেনা ভাষায় বললে লাফদড়ি খেলার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু অনেকেই জানি না যে ক্যালরি বর্জন করতে ছোটবেলার এই খেলা আমাদের কতখানি কাজে লাগতে পারে। ঘণ্টায় ৬০০ থেকে প্রায় ৯০০ ক্যালরি শরীর থেকে বাদ দিয়ে দিতে সক্ষম এই কসরতটি। তা ছাড়া এটি হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে, যা হাড়ের ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি

সবচেয়ে সহজ যে উপায়ে ওজন কমতে পারে তা হলো সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা। অনেকে একে শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে ধরতে চায় না। কিন্তু যারা কোনো না কোনো বহুতলে থাকে কিংবা চাকরিসূত্রে যাতায়াত করে, তারা খুব ভালো জানে লিফট না চললে সিঁড়ি ব্যবহার করার সময়ে কতখানি ধকল যায়। মেদ কমার পাশাপাশি এভাবে পায়ের পেশি শক্ত হয়, আঙুলের যন্ত্রণা কমে, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম হয় এবং কোমরের পেশিতে রক্ত সঞ্চালন হয় যথাযথভাবে।

ছবি: সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়গ্রুমিংদেহ ও মনসচেতনতাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মন এবং মেডিটেশন

করেছে Sabiha Zaman অক্টোবর ২৭, ২০২১

রেহনুমা তারান্নুম

জীবন সুন্দর। তবে অনেকে অল্পতেই হতাশায় পড়ে। ভাবতে থাকে এই জীবন রেখে কী হবে? আমি তো কিছুই পেলাম না! কী হবে? হাবিজাবি এই সব দুশ্চিন্তায় প্রচণ্ড খারাপ সময় কাটাতে থাকে। কিন্তু একটিবার ভেবে দেখো তো! যে জীবনে সব পেয়েছে, সে-ও কি শতভাগ সুখী? হয়তো নয়! কারণ সুখ আপেক্ষিক। তুমি চাইলেই আনন্দ বইয়ে দিতে পারো নিজের জীবনে। কীভাবে? সময় দাও নিজেকে। বারবার প্রশ্ন করো। তুমি আসলে কী চাও। তবে মনকে সুস্থ রাখতে, ভালো রাখতে মেডিটেশন কিন্তু খুব ভালো উপায়। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলেন-

জীবন গতিশীল। সুখ-দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না নিয়েই আমাদের জীবন। হঠাৎ যখন প্রচণ্ড আনন্দ, হতাশা যখন ধেয়ে আসে, তখন দৈনন্দিন জীবনের গতি থমকে যায়। তবে সারা দিনের এই ক্লান্তি, হতাশা, মলিনতাকে পেছনে ফেলে পৌঁছে যেতে পারো সুস্থ-শান্ত পরিবেশে। শুধু সঠিক ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুমই যথেষ্ট নয়। যদি নিয়ম করে রোজ সকালে বা সন্ধ্যায় সামান্য সময় দিতে পারো নিজের মনের সঠিক বিশ্রামের জন্য, তবে সাফল্য-সুখ-শান্তি ও সুস্বাস্থ্য থাকবে সমপরিমাণে।
কেউ যদি নিয়মিত মেডিটেশন করে, তাহলে সে সুস্থ সফল সুখী জীবনের অধিকারী হবেই এবং সে অনেকগুলো সমস্যা থেকেও দূরে সরে আসবে। যেমন ঘুম, দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন, উদ্যোগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এ ছাড়া নানা ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থেকেও রেহাই পাবে।


করোনার সময় মানুষ নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা, একাকিত্বে মানুষ বেশি ভুগছে। অনেকে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। বলা যায়, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ওষুধ তৈরি হয়নি, যা দিয়ে মানসিক শক্তি বাড়ানো যায়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে মেডিটেশনের বিকল্প নেই। এমনকি মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের জিনও পরিবর্তিত হয়, যার ফলে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেকোনো ধরনের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা বাড়ানো যায়। সুতরাং বলা যায়, মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর যাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি থাকে, যা এই করোনার সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

মেডিটেশনের আগে

* সুতির আরামদায়ক যেকোনো পোশাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী।
*পরিষ্কার পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে করতে পারো মেডিটেশন।
*ট্রাউজার বা ট্রাক স্যুটও চলবে।
*যেকোনো ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পারো।
*শরীরে যেকোনো অলংকার না রাখাই ভালো।

যেভাবে করতে হবে মেডিটেশন

মেডিটেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সহজ হলো ব্রিদিং মেডিটেশন। দিনে যদি দুই থেকে তিনবার ১০-১৫ মিনিট সময় বের করতে পারো, তাহলেই ব্রিদিং মেডিটেশন করা সম্ভব। সাধারণত মেডিটেশন করতে হয় পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।

দুই হাত থাকবে দুধারে, ধ্যানমুদ্রায়। কোমর, কাঁধ, মাথা একটি সরলরেখায় থাকবে। শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ। এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষণ অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করো। দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে। বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে। একটি শান্ত জায়গা খুঁজে নাও, যেখানে তুমি আরামে বসতে পারবে। দুই পা একটির ওপর আরেকটি তুলে ক্রুশ করে বসো। তবে পিঠ ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে তুমি যেকোনো পজিশনে বসতে পারো। পিঠ সোজা করে না বসলে ঘুম পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। দুচোখ আধো বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করো। স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নাও। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে না। বোঝার চেষ্টা করো কীভাবে হাওয়া নাকের ভেতর দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে যাচ্ছে। কীভাবে ফুসফুসে হাওয়া ভরছে আর তোমার বুক ওঠা-নামা করছে। একইভাবে যখন শ্বাস ছাড়ছ, সেই ব্যাপারটাও অনুভব করার চেষ্টা করো। কীভাবে হাওয়া তোমার নাকের ভেতর দিয়ে আবার তোমার শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝাও মেডিটেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া ছাড়া আর কোনো কিছুর ওপরই মনোযোগ দেবে না।

 

মনে রাখতে হবে

সারা দিনের কাজের চাপের কারণে তোমার মনে হতেই পারে যে মেডিটেশন তোমাকে আরও ব্যস্ত করে তুলেছে। তবে বাস্তব চিত্রটা একটু অন্য রকম। মেডিটেশন আসলে ভাবনার প্রতি আমাদের সচেতনতা বাড়ায়। মেডিটেশন করার সময় যতবার মন অন্যদিকে যাবে, ততবার শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করবে। যত দিন যাবে, দেখবে যে তোমার মনঃসংযোগ বাড়বে এবং তুমি আরও বেশি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবে।

সুস্থ সফল সুখী জীবনের জন্য মেডিটেশন

মনকে শান্ত ও সুস্থ রাখতে মেডিটেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর চর্চা সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ খুবই কম জানে। ফলে মানুষের মধ্যে আগ্রহও কম। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করে। মেডিটেশন হচ্ছে মনের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিটেশনের তিনটি প্রধান সুফল উল্লেখ করেছে। এক. হার্টরেট স্বাভাবিক থাকা, দুই. মেন্টাল স্ট্রেস কমে যায় এবং তিন. উচ্চ রক্তচাপ কমে ও হার্ট নিয়ন্ত্রিত থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হৃদ্্রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা এর দুই বা তিন মাস আগে কোনো না কোনো সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক বিষয়ে মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, মানসিকভাবে ভালো থাকলে হৃদ্্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

সুস্থতা জীবন উপভোগ করতে সহায়তা করবে। চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে। তাই নিজেকে সুস্থ এবং প্রাণোচ্ছল রাখতে নিয়মিত ইয়োগা এবং মেডিটেশন শুরু করতে হবে। চিন্তা করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তবে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ নিমেষেই কেড়ে নেয় মনের সুখ-শান্তি। যা জন্ম দেয় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগ। তাই ভালো থাকতে দুশ্চিন্তামুক্ত ও মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। না, কাজটি খুব কঠিন নয়। নিয়মিত ইয়োগা, মেডিটেশন, ব্যায়ামের মতো কিছু সু-অভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিক চাপমুক্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারো। হেমন্তের শীতের আমেজে চাঙা থাকতেও জাদুর মতো কাজ করবে ইয়োগা ও বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম।
হিম হিম শীতে শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখতে, কর্মচাঞ্চল্য ধরে রাখতে, রোগবালাই দূরে রাখতে এবং মনকে ফুরফুরে রাখতে টনিকের মতো কাজ করে ব্যায়াম। সঙ্গে শীতটাকেও করে তোলে উপভোগ্য। তাই বলে শুধু যে ব্যায়ামাগারে গিয়েই ব্যায়াম করতে হবে তা কিন্তু নয়, হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটাÑ এগুলো সবই শরীরচর্চার মধ্যে পড়ে। তাই সময় এবং সুযোগমতো করতে পারো এর যেকোনোটি।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখো। আর এ সময়টা ব্যয় করো একদমই নিজের মতো করে। এ সময় গান শুনে, বই পড়ে, সিনেমা দেখে কিংবা ভালো লাগার যেকোনো কিছু করে সময় কাটাতে পারো। এ ছাড়া সম্ভব হলে প্রতিদিন খোলা আকাশের নিচে সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটাও।
একটানা কাজ না করে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নাও। আর লম্বা কাজের পর আয়েশ করে কিছুটা সময় বিশ্রাম নাও এবং প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাও।

ছবি: ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook