রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

নারী

অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটানারীবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশনরোদসীর পছন্দ

শাড়ি পরার ভিন্ন ধরণ

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

শাড়ি নারীর এমন এক ভূষণ যা গায়ে জড়াতেই এক অন্যরকম লুক সংযোজন করে। যে কোন উপলক্ষেই নারীর পছন্দের তালিকায় থাকে শাড়ি। কালের বিবর্তনে বদলেছে  শাড়ির পাড়-আঁচল, বুনন এবং পরিধান কৌশল। শাড়ি এখন আর নিছক ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সীমাবদ্ধ নেই, এর নিখুঁত এবং অনন্য চেহারা পেতে এর সাথে চলে নানা এক্সপেরিমেন্টের; যা এই ক্লাসিক পোশাকের চেহারাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। আজ আমরা এই শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইল সম্পর্কে জানবো।

শাড়ির ভিন্ন ভিন্ন পরার কৌশল

কোমরের চারপাশে শাড়ি জড়ানোর সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে প্যাঁচিয়ে পড়া যেতে পারে, যদিও ক্ষেত্রবিশেষ কিছু শৈলীর জন্য নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বা আকারের শাড়ি প্রয়োজন। শাড়ির ইতিহাসবিদ এবং স্বীকৃত বস্ত্রশিল্প পণ্ডিত রতা কাপুর চিশতি তার ‘শাড়িসঃ ট্র্যাডিশন অ্যান্ড বিয়ন্ড’ গ্রন্থে শাড়ি পরিধানের ১০৮টি পদ্ধতি নথিভুক্ত করেছেন। বর্তমানে ট্রেন্ডি কিছু শাড়ি পরার বিভিন্ন স্টাইলের ঝলক দেখানো হল-

বেল্ট স্টাইল

বেল্টের শাড়ি আজকাল বেশ জনপ্রিয়। সাধারণভাবেই শাড়িটি পরতে হবে এবং সাথে একটি বেল্ট যোগ করতে হবে, যা আঁচলকে নিয়ে কোমরে জড়িয়ে থাকবে। যদি আরেকটু ঐতিহ্যবাহী চেহারা পেতে চাও তবে কোমরে কোমরবান্ধও ব্যবহার করতে পারো। এই ধরনের স্টাইল শিফন, সিল্ক কিংবা শাটিন শাড়ির সাথে অনায়াসে করা যাবে। শাড়ি সুন্দরভাবে সেট হয়ে থাকার পাশাপাশি স্টাইলিশও দেখাবে।

ধুতি স্টাইল

এর স্বতন্ত্র চেহারার জন্য এটিও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নিচের দিকে ধুতি-স্টাইলের বুননের জন্য এটি ঐতিহ্যবাহী শাড়ি থেকে আলাদা। ভালো ড্র্যাপিংয়ের উদ্দেশ্যে এই স্টাইলে শাড়ির নিচে পেটিকোটের পরিবর্তে একটি লেগিংস পরতে হবে। শাড়ি কোমরে না পেঁচিয়ে পায়ের মাঝে ভরে ধুতির মতো করে পরতে হবে। প্রয়োজনে এর সাথে বেল্টও যোগ করা যেতে পারে।

মারমেইড স্টাইল

ড্র্যাপিংয়ের এই স্টাইলটি প্লিটের নিচের অংশে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘুরেফিরে মারমেইডের লেজের মতো দেখায়। ড্রেপটি দেখতে অনেক কঠিন মনে হলেও এটির জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি অতিরিক্ত টাক এবং প্লিট প্রয়োজন।

নেক স্টাইল

এই স্টাইলে শাড়ির আঁচল স্কার্ফের মতো করে গলায় পেঁচাতে হবে। এই ধরন করতে হলে নরমালি  আঁচলের জন্য যতটুকু কাপড় রাখা হয় তার থেকে দৈর্ঘ্য আরও লম্বা রাখতে হবে। প্রথমে শাড়ি যেমনভাবে পরে সেভাবে পরার পর আঁচল মাথার পেছন থেকে ঘুরিয়ে গলায় আটকাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই পেঁচানো যাতে খুব বেশি টাইট না হয়ে যায়।

প্যান্ট স্টাইল

এই স্টাইলটি সহজ, কার্যকরী এবং সুপার চিক। এর চটকদার চেহারা ছাড়াও, এটি অবিশ্বাস্যভাবে আরামদায়ক। এর জন্য ভেতরে প্যান্ট পরে নিতে হবে। তার উপর কুঁচির প্লিট বানিয়ে আটকাতে হবে এবং বাকি অংশ ঘুরিয়ে আঁচলে আটকাতে হবে। সুপার কম্ফি এই লুক ওয়াস্টার্ন একটা ভাইব দিবে।

লেহেঙ্গা স্টাইল

যখন একটি শাড়ি দিয়েই আস্ত লেহেঙ্গা স্টাইল করা যায় তাহলে আর দামি লেহেঙ্গা কিনবে কেন? এর দূর্দান্ত লুক আনার জন্য শাড়ির সাথে স্কার্ট বা লেহেঙ্গা স্টাইল পেটিকোট পরতে পারো। এতে শাড়ির পরার ধরনে আরও ফ্লাফি দেখাবে। আঁচলের অংশটুকু সুন্দর ভাবে কাঁধে সেট করে, কুঁচির প্লিট সামনে না দিয়ে পেছনের দিকে আটকে দিতে হবে। শেষ অংশটি কোমরে আটকে দিলেই হয়ে যাবে লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ি।

সামনে আঁচল দিয়ে স্টাইল

এটি সবচেয়ে সিম্পল একটি স্টাইল। এতে শাড়ির আঁচলটি বাম কাঁধে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, পিছন থেকে ঘুরিয়ে ডান কাঁধে নিয়ে যেতে হবে। গুজরাটি শৈলীতেও এইভাবে শাড়ি পরা হয় এবং আঁচলের প্লীটগুলো সামনে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

প্রি-স্টিচড গাউন স্টাইল

এই স্টাইলটি ফলো করতে চাইলে, তার জন্য আকর্ষনীয় ব্লাউজ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সিকুইন, নেট, জ্যাকেট-স্টাইল বা পেপ্লাম বডিসের মতো অলঙ্করণগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইজীবনজীবনযাত্রাদেহ ও মননারীসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

পিসিওএসঃ ব্যায়ামেই মিলবে মুক্তি?

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ১৭, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

নারীদের কাছে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে আতঙ্কিত যে বিষয় তা হল পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। অনিয়মিত ঋতুচক্র, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, চুল পড়া এমনকি বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যার সূত্রপাত হয় এই পিসিওএস এর কারণে। আতঙ্কিত না হয়ে এর ব্যাপারে জানা এবং সচেতন হওয়া সকলের জন্য জরুরী।

বর্তমানে যাকে পিসিওএস বলা হয় সেই রোগের প্রাচীনতম বর্ননা পাওয়া যায় ১৭২১ সালে ইটালিতে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। পিসিওএস আসলে একটি হরমোনজনিত ব্যাধি। পলি কথার অর্থ অনেক। সুতরাং পলিসিস্টিক মানে হল অনেকগুলো সিস্ট। পিসিওএসের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল জরায়ু থেকে ডিম নির্গত না হওয়া। তার পরিবর্তে যা ঘটে তা হল ডিমের চারপাশে তরল জমে সেগুলো সিস্টে পরিণত হয়। আর এই সিস্ট ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হতে বাধা সৃষ্টি করে এবং এভাবে একসময় ডিম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এন্ডোক্রিন গ্রন্থির রোগ হল পিসিওএস। এই বয়সের প্রায় ২% থেকে ২০% মহিলা এই অসুখে আক্রান্ত।

পিসিওএস এর সাধারণ লক্ষণ

-মাসিকের অনিয়ম

-অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি

-স্থূলতা

-অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন বা ডিম্বস্ফোটন ব্যর্থতার কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা

-মাথার চুল পড়া ও পাতলা হয়ে যাওয়া

-ব্রণ

পিসিওএস এর কারণ

অতিস্থূলতা, যথেষ্ট ব্যায়াম না করা, পারিবারিক ইতিহাসে আগে কারো হয়েছে এমন হলে তার সাথে এর যোগসাজশ আছে বলে ধারনা করা হয়। কিছু প্রমাণ থেকে জানা গেছে এটি একটি জেনেটিক রোগ। এই প্রমাণ গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, পারিবারিক ইতিহাসে বেশি দেখতে পাওয়ার ক্ষেত্রে, এন্ডোক্রিন ও বিপাকীয় লক্ষণে পিসিওএস এর উত্তরাধিকারিতা থেকে। মোট কথা, এর অজানা কারনের জন্য পিসিওএস একটি হেটারোজেনাস ডিসঅর্ডার।

ব্যায়ামেই মিলবে মুক্তি?

অস্বীকার করার কিছু নেই যে, ব্যায়াম অসংখ্য সুবিধা দেয় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করে। কিন্তু এর সুবিধাগুলো কি পিসিওএস এর ক্ষেত্রে একই কাজে দেয়? যেহেতু একাধিক কারণে পিসিওএস এর জটিলতা তৈরি হয় তাই একক কোন চিকিৎসা নেই এটি ভাল করার তবে পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জটিলতা নিরসন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। সিন্ড্রোমে আক্রান্ত প্রায় ৫০-৬০% মহিলা সাধারণ জনসংখ্যার ৩০% মহিলাদের তুলনায় অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল। জীবনধারায় পরিবর্তন, যেমন ডায়েট কন্ট্রোল, ব্যায়াম এবং ওজন নিয়ন্ত্রনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পিসিওএস দূর করা সম্ভব। ওজন হ্রাস একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কৌশল কারণ এটি কার্যত পিসিওএস এর প্রতিটি প্যারামিটারকে উন্নত করে। যদিও এই সময় ওজন কমানোকে কঠিন করে তোলে। রোগী যদি নিজের ওজন পাঁচ শতাংশ কমাতে পারে, তাহলে তাদের পিরিয়ড নিয়মিত হতে শুরু করবে। আর ওজন দশ শতাংশ কমাতে পারলে ডিম্বাশয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। এখন থেকেই যদি খুব বেশি সক্রিয় না হয়ে থাকো তবে নিয়মিত ব্যায়াম করার এই সমস্ত আলোচনা অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হতে পারে। তাই ডায়েটের পাশাপাশি যেকোন ধরনের ব্যায়াম শুরু করতে হবে, এমনকি দ্রুত দশ মিনিটের হাঁটাও সামগ্রিক সুস্থতার অনুভূতি উন্নত করতে পারে। এছাড়াও যোগব্যায়াম পিসিওএস এ আক্রান্ত মহিলাদের প্রচুর সুবিধা প্রদান করে। যোগব্যায়াম উদ্বেগ, ডিম্বস্ফোটন, হরমোন এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলোকে উন্নত করতে পারে।

তবে সব কিছুর সাথে সাথে এটাও মনে রাখতে হবে যে, পিসিওএস এ ওজন কমানো অনেক সময়ের ব্যাপার।এর অগ্রগতি অনেক ধীর গতিতে ঘটে বলে ধৈর্যহারা হলে চলবেনা। প্রত্যেকের শরীরের ধরন আলাদা তাই অন্য কারো ওজন কমানোর যাত্রার সাথে নিজের তুলনা করা এড়িয়ে চলতে হবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরনারীরূপ ও ফ্যাশনরোদসীর পছন্দ

মুখের গড়ন অনুযায়ী হেয়ার কাট

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ১৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

সাজগোছের মাধ্যমে যেমন পুরো চেহারা পাল্টে যেতে পারে, তেমনি চুলের কাটিং এর মাধ্যমেও পুরো লুক চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। চুল নিয়ে অবশ্য আমাদের মাঝে চুলচেরা বিশ্লেষণের শেষ নেই। বিভিন্ন ধরনের চুলের কাটিং নিয়েও চলে নিরীক্ষা। কিন্তু সব কাটিং যে সবার সাথে মানানসই হবে তা কিন্তু নয়। এই ক্ষেত্রে মুখের গড়ন অনেকটা নির্ভর করে। তাই মুখের শেপের সাথে কোন কাটিং মানানসই হবে তার একটা ধারনা দেয়া হয়েছে এখানে।

নতুন, ট্রেন্ডি কোন হেয়ার কাটের জন্য চুলের উপর কাঁচি চালানোর আগে, মুখের আকৃতি বিবেচনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। দেখা গেলো সবচেয়ে সুন্দর নতুন একটি কাট তুমি বেছে নিয়েছো, কিন্তু যদি এটি তোমার মুখের শেপের সাথে কাজ না করে, তবে এর চেয়ে দুঃস্বপ্নের মত আর কিছুই হবেনা। মুখের আকৃতি আয়তক্ষেত্র, ডিম্বাকৃতি, বর্গাকার, বৃত্ত, ত্রিভূজ, হার্ট বা ডায়মন্ড যে কোন আকৃতির হোক না কেন, সঠিক হেয়ার কাটটি যখন চেহারার ফিচারের সাথে দক্ষতার সাথে মিলে যাবে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো আমার মুখের গড়ন কি তা কিভাবে সনাক্ত করবো? এটি খুবই সহজ। প্রথমে সমস্ত চুল বেঁধে নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে। নিজের একটি ছবি তোলার চেষ্টা করো। তারপর মুখের বাইরের চারপাশে ট্রেস করে দেখো কোন আকৃতিটি সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিকল্পভাবে, তোমার মুখ পরিমাপ করার চেষ্টা করতে পারো। ভ্রু, গালের হাড়, চোয়ালের প্রস্থ এবং কপাল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখের দৈর্ঘ্যের উপর ফোকাস করে এর অনুপাত বের করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তোমার মুখের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ একই হয় তবে তা সম্ভবত বর্গাকার বা গোলাকার। আবার যদি মুখ কপাল থেকে চোয়াল পর্যন্ত চওড়া হয়ে যায়, তাহলে তা একটি ত্রিভূজ আকৃতি। এভাবেই মুখের গড়ন বের করতে পারলে তার সাথে মানানসই কোন হেয়ার কাট যাবে তা সহজেই খুঁজে নেয়া সম্ভব।

ওভাল বা ডিম্বাকৃতি ফেস শেপ

যাদের মুখের আকৃতি ওভাল শেপের তারা নিজেদের লাকি ভাবতেই পারো। ওভালকে সবচেয়ে আদর্শ মুখের আকার হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারন বেশিরভাগ চুলের স্টাইল ডিম্বাকৃতির মুখের সাথেই যায়। লং অথবা শর্ট যেকোন হেয়ার স্টাইল করা যেতে পারে। এই মুখের অধিকারীরা যদি শর্ট হেয়ার পছন্দ করে, তবে বব হেয়ার কাট বেশ আকর্ষনীয় দেখাবে। আর যদি লম্বা চুল পছন্দ করে, তবে ভলিউম লেয়ার, স্ট্রেইট ভলিউম লেয়ার এবং ওয়েভি বা কার্ল করে পাশে ঝুলিয়ে দেয়া যেতে পারে। যেহেতু মোটামোটি সব কাটই এতে যায়, সেজন্য তোমার চুলের কাটিঙয়ের জন্য হেয়ার এক্সপার্টদের গাইড নিতে পারো।

রাউন্ড বা গোলাকার ফেস শেপ

গোলাকার মুখের আকারগুলো সাধারণত একই দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের পাশাপাশি বিশিষ্ট, গোলাকার গালগুলোকে ফোকাস করে। এজন্য গোলাকারতা ভেঙ্গে মুখের আকৃতি লম্বা করতে লম্বা লেয়ারযুক্ত কাট এবং চপি পিক্সি কাট সবচেয়ে ভালো দেখায়। লেয়ার কাট বেছে নিলে, চোয়ালের চারপাশ থেকে শুরু হওয়া লম্বা লেয়ারের স্তর করলে ভালো দেখাবে। এই গড়নের অধিকারীরা কি এড়িয়ে যাবে? ছোট লেয়ার সহ বব এই ধরনের কাটিং না করাই ভালো।

আয়তক্ষেত্রাকার ফেস শেপ

এই ধরনের ফেস যাদের তাদের শার্প চোয়াল এবং কপালের চেহারা আরও লম্বা না করে সফট করার জন্য কাজ করা উচিৎ। উদাহরণস্বরূপ, একটি সফট লেয়ার কাট চিকবোনসকে আরও উন্নত করতে পারে। যাইহোক, লং হেয়ার কাট এক্ষেত্রে বাদ দিতে হবে, যা শুধুমাত্র তোমার চেহারাকে আরও লম্বাই দেখাবে। আর যদি লং লেন্থ বেছে নিতেই হয় তবে ব্লোআউট, ওয়েভ বা কার্ল দিয়ে স্টাইল করার চেষ্টা করো।

স্কয়ার বা বর্গাকার ফেস শেপ

বর্গাকার মুখের আকৃতির অধিকারীর মূল লক্ষ্য হল মুখ লম্বা করা। কপাল উন্মুক্ত করে এমন চুল কাটা এড়িয়ে যেতে হবে। শর্ট যে কোন ধরনের কাটে এই মুখ আর বেশি চওড়া দেখায়। লেয়ার কাট দেয়া যেতে পারে তবে তা অবশ্যই হতে হবে লং লেয়ার। ব্লান্ট কাট এবং ব্যাঙস লেয়ারও বেশ ভালো মানাবে।

ডায়মন্ড ফেস শেপ

ডায়মন্ড হলো একটি কৌণিক মুখের আকৃতি যা মুখের প্রশস্ত বিন্দুতে গালের হাড় সহ একটি সরু কপাল এবং চোয়ালের রেখা বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এদের ক্ষেত্রে সঠিক হেয়ার কাট নির্বাচন করা বেশ কঠিন। খুব লম্বা বা খুব শর্ট ধরনের কাট একদমই মানায় না। এক্ষেত্রে কিছুটা মাঝারি ধরনের কাট নির্বাচন করলে ভালো। কাঁধ পর্যন্ত সাধারন ব্যাঙস কাট দেয়াই ভালো। হুইস্পি ব্যাঙস ও ব্লান্ট কাটও বেশ মানাবে।

হার্ট ফেস শেপ

মুখের আকৃতি যদি হার্ট শেপের হয়, তবে চোখ এবং গালের হাড়ের দিকে ফোকাস করো। ব্যাংস হল কপালের প্রস্থকে ক্যামোফ্লেজ করার একটি দূর্দান্ত উপায় এবং তা আপনার পছন্দের যেকোন দৈর্ঘ্যের সাথে করা যেতে পারে। এছাড়াও, পিক্সি কাট, কাঁধ পর্যন্ত চুলে লেয়ার কাট ও কান পর্যন্ত বব কাট চুলে বেশ মানায়।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরনারীরূপ ও ফ্যাশনরোদসীর পছন্দ

চোখ বড় দেখাতে

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ৯, ২০২২

শায়লা জাহান

 

মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ অন্যতম। কত কত উপমা আছে এই চোখ নিয়ে। ডাগর চোখ, হরিণী চোখ, পটোলচেরা- চোখ সুন্দর হলে আর কী ই বা দরকার? তবে যেমনই চোখের আকার হোক না কেন, চোখের আসল সৌন্দর্য কিন্তু বাড়ায় চোখের পাতা বা আইল্যাশ। আর এই ল্যাশ ঘন ও সুন্দর করা নিয়ে আজ রয়েছে কিছু টিপস।

সৌন্দর্যের সবচেয়ে লোভনীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হল লম্বা, ফ্ল্যাটারিং, গাঢ় চোখের পাতা। যদিও কিছু সংখ্যক মানুষ জমকালো ল্যাশ নিয়েই জন্মগ্রহন করে, আর বাকিদের এর ওয়ে খুঁজে বের করতে হয়। যদিও অকেশনালি ল্যাশে আমরা মাসকারা ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু মাসকারা হল দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার একটি দ্রুত সমাধান মাত্র। ল্যাশ ঘন, দীর্ঘ এবং স্বাস্থ্যকর করার বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় রয়েছে।

ঘন ল্যাশের জন্য চোখের পাতা যত্নের পদক্ষেপ

সঠিক যত্ন দীর্ঘ ও ঘন ল্যাশ পেতে সাহায্য করে। পাতার যত্ন নিতে নিচের এই টিপসগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।

-সবসময় মেকআপ ও ময়লা ধুয়ে ফেলতে হবে। একটি মৃদু মেকআপ রিমুভার ও কটন বলের সাহায্যে চোখের মেকআপ ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে তেল ভিত্তিক ক্লিনজার ব্যবহার করলে, এটি ল্যাশগুলোকে হাইড্রেটিং এবং ময়েশ্চারাইজ করার পাশাপাশি মেকআপ ও ময়লা সহজেই তুলে ফেলে। ময়লা ভালোভাবে না তুললে এগুলো জমে চোখের সংক্রমণ হতে পারে এবং এতে ল্যাশ ঝরে পড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে।

-একটি স্পুলি বা পরিষ্কার মাসকারা ব্রাশ দিয়ে হালকা হাতে উপরের দিকে স্ট্রোক দিয়ে ল্যাশ ব্রাশ করো। যদিও ব্যাপারটি ফানি মনে হলেও এর কিন্তু অনেক সুবিধা আছে। ল্যাশ ব্রাশ করার মাধ্যমে এর চুলকে জটমুক্ত করে, যা চোখের ল্যাশ সোজা হতে দেয়। আর এছাড়াও এতে কোন ময়লা আটকে থাকলে তাও দূর হয়।

-স্বাস্থ্যকর খাবার চোখের পাতার স্বাস্থ্যেও অবদান রাখতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যেমন মাছ, শাকসবজি এবং অ্যাভোকাডো- যা চোখের পাপড়িকে পুরু এবং শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়।

-মাসকারার মোটা কোট এবং ভারী ল্যাশ এক্সটেনশন চুলের ফলিকলগুলোতে চাপ বাড়ায়, এতে ল্যাশের ক্ষতি হয়। ঘনঘন যদি মেকআপ করার অভ্যাস থাকে তবে এতে কিছুটা বিরতি দেয়া উচিৎ। চুলকানি, জ্বালাপোড়া চোখ এবং শুকনো চোখ হলে তবে চোখকে কিছুদিন মেকআপ থেকে দূরে রাখতে হবে। এছাড়াও, ঘন ঘন আইল্যাশ কার্লার এবং ফলস ল্যাশ ব্যবহারে চোখের পাতা দুররল হয়ে যায় এবং ঝরে পড়ে যায়।

ল্যাশ ঘন করার ঘরোয়া উপায়

আইল্যাশের যত্নের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপাদান আছে যা ব্যবহারে এটি ঘন ও দীর্ঘ হতে পারে। যেমন-

তেল

ভিটামিন ই, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এমনকি পেট্রোলিয়াম জেলির মতো তেল চোখের পাতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যে কোন তেল নিয়ে এতে মাসকারার ব্রাশ ডুবিয়ে তা চোখের পাতায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, চোখের ভেতর যাতে তেল না ঢুকে যায়। এই তেল চোখের ফলিকলকে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

ল্যাশ বৃদ্ধিতে এটি একটি চমৎকার উপায়। চিনি ছাড়া এক কাপ গ্রিন টি প্রস্তুত করে তাতে একটা তুলার বল ডুবিয়ে, সেই উষ্ণ তরলটি সোয়াইপ করে দিতে হবে। গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর ল্যাশ বজায় রাখতে সহায়ক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ন এবং ক্যাফেইন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড নতুন বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে।

এলোভেরা

শুষ্ক, ভঙ্গুর ল্যাশ হাইড্রেট ও শক্তিশালী করার আরেকটি ডিআইওয়াই পদ্ধতি হলো অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা। প্রশান্তিদায়ক এবং ময়েশ্চারাইজিং উভয়ই , অ্যালোভেরা কোলাজেনকে বাড়িয়ে তোলে, যা ল্যাশকে পুষ্ট করে। অ্যালোভেরা জেলে এলার্জি থাকলে এর পরিবর্তে পেট্রোলিয়াম জেলি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

গ্রোথ সিরাম প্রয়োগ

পেপটাইড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এমন পুষ্টি দিয়ে তৈরি, ল্যাশ সিরামগুলো বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, যার ফলে স্বাস্থ্যকর, লম্বা চোখের পাতা হয়। আইল্যাশ গ্রোথ সিরাম প্রয়োগ করতে, ল্যাশ লাইন জুড়ে সিরামটি সোয়াইপ করো। তবে ব্যবহারের আগে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা চোখের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।

সাপ্লিমেন্টস গ্রহন

কোলাজেন এবং বায়োটিন উভয়ই চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। ল্যাশ পাতলা ও দূর্বল হলে, কোলাজেন বা বায়োটিন সম্পুরক গ্রহনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে তোমার রুটিনে নতুন সম্পুরক যোগ করার আগে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মননারীসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

মেনোপজে ওজন বৃদ্ধি কমানোর উপায়

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ২৬, ২০২২

শায়লা জাহান

 

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি হরমোনের অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর এই কারনে মাঝবয়সে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায়। আজ আমরা এমন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো যা অনুসরণ করে সুস্থ ও ফিট থাকা যাবে।

নারী দেহে মাসিক বা ঋতুস্রাব যেমন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তেমনি মেনোপজের ব্যাপারটিও একই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সাধারনত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর, ঋতুচক্রের যে সাইকেল রয়েছে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একেই মেনোপজ বলে। যাকে বাংলায় বলে রজোনিবৃত্তি। নারীদেহে ডিম্বাশয় একটি গুরুত্বপূর্ন গ্রন্থি। এখানে থেকে নিঃসৃত হরমোন মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রন করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর হরমোনের পরিমান কমে যেতে শুরু করে। একসময় এতটাই কমে যায় যা আর মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা। যার ফলাফল মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই অবস্থা এক নাগাড়ে ১২ মাস টানা চললে তখন তাকে মেনোপজ বলে। এই সময়ে মেজাজ পরিবর্তন, ক্লান্তি, অত্যধিক গরম লাগা, খুদে কমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়। পাশাপাশি ওজনও বেড়ে যায়। মেনোপজের সময় ওজন বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। শরীরের কেন্দ্রীয় অংশে অর্থাৎ পেট, কোমর ও উরুতে জমে থাকা চর্বি হতে পারে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারন।

মেনোপজের আগে, চলাকালীন এবং পরে, শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করে এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হতে শুরু হয়ে যায়। তাই এই বয়সে এসে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া দেহের ওজন কমানো কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়। এর জন্য যা করনীয়-

নিয়মিত শরীরচর্চা করা

সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম চর্চার কোন বিকল্প নেই। আর মেনোপজের পর ওজন কমানোর জন্য এই ব্যায়াম আরো বেশি দরকার। প্রথম থেকেই খুব হার্ড ব্যায়ামের দিকে না যেয়ে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা বিনোদনমূলক ব্যায়াম করা যেতে পারে। যেমন খুব সকালে শান্ত পরিবেশে হাঁটতে বের হওয়া, সাঁতার কাটা, সুবিধা থাকলে সাইকেল চালানো। জরুরী না যে ভারী ব্যায়াম করে সুস্থ থাকতে হবে। বরং প্রথম দিকে যতটুকু পারা যায় তাই দিয়ে শুরু করা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনুশীলনের মাঝে কিছুটা সামঞ্জস্য করতে হবে। তবে এতে উৎসাহ হারিয়ে ফেললে হবেনা। বরং নিজেকে এর জন্য উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে। ধীরে ধীরে নিজের লাইফ স্টাইলের সাথে অনুশীলনের রুটিন এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত কিছু সময়ে কঠোর ও মাঝারি ব্যায়াম করা যায়।

বসে থাকার চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম

এই ফর্মূলাটি অতি সহজঃ শরীর যত বেশি গতিতে থাকবে, তত বেশি ক্যালোরি পোড়াবে। সারাদিন যতটা সম্ভব দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করলে ভাল। এটি কেবল ক্যালোরি পোড়ায়, বাড়াবে না। উপরন্তু এতে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘক্ষন বসে থাকা পেটের চর্বি এবং সেই সাথে লিভারের চারপাশে জমে থাকা চর্বিগুলোর সাথে যুক্ত, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হার্টের ঝুঁকি বাড়ায়। দাঁড়িয়ে থাকার মানে এই নয় যে সারাদিন একস্থানে অনড় হয়ে থাকা। ঘরের মধ্যেই কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। কাছে কোথাও যেতে হলে গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে পায়ে হেঁটে যাওয়া যেতে পারে।

কার্বোহাইড্রেট গ্রহনের প্রতি খেয়াল রাখা

ওজন নিয়ন্ত্রনের বড় হাতিয়ার হচ্ছে খাবারের দিকে মনোযোগী হওয়া। সমস্ত পুষ্টি সমানভাবে তৈরি হয়না। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাস্তা এবং রুটির মতো প্রক্রিয়াজাত বা পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার পেটের অতিরিক্ত চর্বির জন্য একটি গুরুত্বপুর্ন কারন। শর্করা মধ্যবয়সী নারীদের জন্য শত্রু। কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে চিনিতে পরিনত হয়। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার পরিমিত পরিমানে আহার করা উত্তম।

শরীরচর্চায় বৈচিত্র্যতা আনয়ন

মাঝবয়সে এসে নিয়মিত শরীরচর্চা করা অসম্ভব না হলেও উদ্যমের অভাবে এই অভ্যাস ধরে রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। আর প্রতিদিন একই ব্যায়াম করতে একঘেয়েমিও পেয়ে বসে। এর থেকে মুক্তির পথ হল শরীরচর্চায় নতুন নতুন বৈচিত্র্য নিয়ে আসা। যেমন ইয়োগা, মেডিটেশন বা অনেক সময় মিউজিক ছেড়ে জুম্বা ড্যান্সও করা যেতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুম এবং শরীর ভালো থাকে একই সূত্রে গাঁথা। এই সময় ঘুম না হওয়া একটি কমন সমস্যা। যার দরুন পুর সময় শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকে । কোন কাজেই উদ্যম পাওয়া যায়না। তাই যদি রাত জাগার অভ্যাস থাকে তবে তা অতিসত্বর পরিহার করতে হবে। ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে রাখতে হবে। তার আগেই রাতে খাবার সেরে সব কাজ শেষ করে রাখতে হবে। সকল ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস হাতের কাছ থেকে সরিয়ে ভালভাবে ঘুমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

যৌথভাবে ব্যায়াম করা

নিজেকে একটিভ ও প্রানচাঞ্চল্য রাখতে শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই তা তো আগেই জেনেছি আমরা। এই ক্ষেত্রে মোটিভেশনের খুবই প্রয়োজন হয়। আর এই জন্য ব্যায়ামের পার্টনার থাকলে তো কথাই নেই। এককভাবে ব্যায়াম করার চাইতে অনেকে মিলে এই প্র্যাকটিস করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

তবে যে পদ্ধতিগুলোই অনুসরণ করা হোক না কেন এটা মনে রাখতে হবে যে সবকিছুই নির্ভর করে নিজ ইচ্ছাশক্তির উপর। নিজে যত বেশি প্রচেষ্টা করা হবে, সফলতা তত বেশি তাড়াতাড়ি নিজের কাছে ধরা দিবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরচলন বলনটালিউডনারীবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

শাড়িতে অনন্য হলি-সুন্দরীরা

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১৯, ২০২২

শায়লা জাহান

শাড়ি নারীর এমন এক ভূষন যা গায়ে জড়ালেই এক অন্য রকম লুক এনে দেয়। লম্বা এবং সেলাইবিহীন এই কাপড়ের সৌন্দর্যতা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের গণ্ডীতে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবির দৃশ্য হোক বা কোন প্রোগ্রামে অথবা কোন রেড কার্পেটে এমন অনেক হলিউড সুন্দরীদের এই শাড়ি পরে মুগ্ধতা ছড়াতে দেখানো গেছে।

শাড়ির উৎপত্তির ইতিহাস খুব একটা স্পষ্ট নয়। নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত চর্যাপদে সরাসরি শাড়ির উল্লেখ না থাকলেও অনুরূপ পোশাকের আভাস পাওয়া যায়। পরবর্তীতে চৌদ্দ শতকের কল্পকাহিনী, গল্প-গাঁধা ও গীতিকবিতায় শাড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। আবহমান বাংলার ইতিহাসে শাড়ির স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কালের বিবর্তনে বদলেছে শাড়ির পাড়-আঁচল, বুনন এবং পরিধান কৌশল। কিন্তু এর আবেদনময়ী গ্ল্যামারাস চেহারা ধরে রাখার ক্ষমতার একটুও ভাটা পড়েনি। এশিয়ান পোশাকের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য শাড়ি একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। এমন কিছু হলিউড সেলিব্রেটিরা আছেন যারা শাড়ি পরে নতুন অবতারে সবাইকে মাত করেছেন-

সেলেনা গোমেজ

বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় সিংগারদের মধ্যে সেলেনা গোমেজ অন্যতম। আমেরিকান এই সঙ্গীতশিল্পী যে কিনা তার আল্ট্রা ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন সেন্সের জন্য জনপ্রিয়, তাকে ২০১৪ সালে নেপালে ইউনিসেফের দাতব্য অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দেশি অবতারে দেখা গিয়েছিল। গায়ে জড়িয়েছিলেন কমলা  রঙয়ের সিল্কের শাড়ি এবং কপালে ছিল ছোট টিপ।

পামেলা অ্যান্ডারসন

বিগ ব্রাদারের ভারতীয় সংস্করণ বিগ বসে পামেলা অ্যান্ডারসন শাড়ি পরে আকস্মিক অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। মুম্বাই ভিত্তিক ফ্যাশন ডিজাইনার অ্যাশলে রেবেলার ডিজাইনে করা সুন্দর প্রিস্টিন সাদা শাড়িতে তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। শুধু তার উপস্থিতি দিয়েই নয়, সাদা শুভ্র শাড়িতে নিজেকে যেভাবে প্রেজেন্ট করেছেন এতে শো এর টিআরপি বহুগুনে বেড়ে যায়।

অ্যান হ্যাথাওয়ে

অ্যান হ্যাথাওয়ে যিনি ওয়ান ডে, দ্য প্রিন্সেস ডায়েরিজ, দ্য ডেভিল ওয়ার্স প্রাডা, লেস মিজেরাবলস  এর মতো চলচ্চিত্রগুলোর জন্য পরিচিত। তাকে তার ২০০৮ সালের ছবি র‍্যাচেল গেটিং ম্যারিডের জন্য একটি ভারতীয় বিয়েতে শাড়ি পরতে দেখা যায়। সেই সাধারন শাড়ীতে তাকে অনিন্দ্য সুন্দর লেগেছিল।

কিম কার্দেশিয়ান

২০১৮ সালে ভোগ ইন্ডিয়া’র শ্যুটের জন্য কার্দেশিয়ানকে বিখ্যাত ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির গ্লিটারি লাল শাড়ীতে দেখা গেছে। চকচকে এই শাড়ীতে তাকে অনেক গ্ল্যামারাস লেগেছিল কারন তিনি শাড়িটি অত্যন্ত নিখুঁত ও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ক্যারি করেছিলেন।

প্যারিস হিলটন

প্যারিস হিলটন, যিনি তার ফ্যাশন সেন্স, সোশাল লাইফ এবং গানের প্রতি ভালোবাসার জন্য পরিচিত। তিনি যখন তার ব্র্যান্ডের লাক্সারি আইটেমগুলোর প্রচারনার জন্য ভারতে এসেছিলেন , তখন বিশিষ্ট ডিজাইনার তরুন তাহিলিয়ানি’র পার্ল দিয়ে এমবসড করা একটি জমকালো নেট শাড়ীতে নিজেকে সাজিয়েছিলেন।

ম্যাডোনা

বিদ্রোহী কিন্তু সত্যিকারের মানুষ হিসেবে খ্যাত গায়িকা ম্যাডোনা তার কর্মজীবনের শীর্ষে আধ্যাত্মবাদ গ্রহন করেছিলেন এবং তার জীবনের অনেক পথ পরিত্যাগ করেছিলেন। ম্যাডোনা নীল শাড়ি পরিধান করে, অক্সিডাইজড চুড়ি, নেকপিস পরে সারাবিশ্বে ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের প্রচার করেছেন।

ভিক্টোরিয়া বেকহাম

বব কাট চুলের জন্য পরিচিত এবং ফ্যাশন জগতে ডিভা হিসেবে রাজত্ব করা ভিক্টোরিয়া বেকহাম জরি এবং জারদৌসি কাজ করা লাল শড়িতে স্ট্যানিং দেখাচ্ছে। লম্বা হাল্কা কার্লি চুল এবং লো কাট স্কয়ার নেকের ব্লাউজে তার লুক সম্পুর্ন হয়।

জুলিয়া রবার্টস

অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসকে চেনে না এমন কেউ নেই। প্রিটি ওম্যান, জুলিয়া রবার্টস যখন ভারতে ছিলেন, ছবিতে অনস্ক্রিন অভিনেতার বিয়েতে কাউন্সিলর হিসেবে ভূমিকায় ছিলেন, সেসময় তাকে গুজরাতি স্টাইলের সিল্ক বর্ডারযুক্ত বোটল গ্রীন শাড়ীতে দেখা গিয়েছিল।

ওপরাহ উইনফ্রে

ওপরাহ যে কেবল একজন জনপ্রিয় সঞ্চালক তা কিন্তু নয়, হারপো ইনকর্পোরেটেডের সিইও তিনি। ভারত, বচ্চন পরিবার এবং মুম্বাই পরিদর্শনকালে তাকে শাড়ীতে ২বার দেখা গেছে। শাড়ির সঙ্গে তার প্রথম আলাপের পেছনে রয়েছে বলি অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। কমলা লাল সিল্কের কাঞ্চিভরম শাড়ীতে বচ্চনদের সাথে ডিনারে এবং আরেকবার এক ভিভিআইপি উদ্বোধনে দেখা গিয়েছিল।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরচলন বলননারীরূপ ও ফ্যাশন

ট্রেন্ডি নেইল আর্ট

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১৬, ২০২২

শায়লা জাহান

সারা বিশ্বে নেইল আর্ট এখন চমৎকার এক ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব বয়সের নারীদের মধ্যে এটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। নেইল আর্টকে বলা হয়, ‘ভ্যাকেশন ফর প্লেইন নেইলস’। পুরো বিশ্বে এমন কিছু মোস্ট পপুলার নেইল ট্রেন্ড নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

নেইল আর্ট হল নখ আঁকতে, সাজাতে এবং অলংকৃত করার এক সৃজনশীল উপায়। এই আর্টওয়ার্ক সাধারনত ম্যানিকিউর বা প্যাডিকিউর পরে আঙুলের নখ এবং পায়ের নখে করা যেতে পারে। সুন্দর নখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য এবং একই সময়ে অন-ট্রেন্ড থাকার জন্য , এই নেইল আর্টের প্রতি সবারই নজর কাড়ছে। এখানে এই বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু নেইল স্টাইলের ব্যাপারে দেখানো হল-

মার্বেল নেইলস

এই বছরের জনপ্রিয় নখ শৈলীর ক্ষেত্রে মার্বেল নেইলস জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে। নেইল আর্টিস্টরা নখে সাদা বেস কোটের পরিবর্তে কালো মার্বেল নেইল আর্ট তৈরি করছে যা আরো সফিস্টিকেটেড লুক সংযোজন করেছে। তবে এখন শুধু কালো- সাদার মিশেল নয়, রঙিন মার্বেল নেইলস ও এতে যুক্ত হয়েছে।

মিনিমাল নেইলস

মিনিমাল নেইলস বা ন্যুড নেইলসেরও ট্রেন্ড সবসময় দেখা গেছে। জেনিফার লোপেজ, সেলেনা গোমেজ বা বেলা হাদিদের মত সেলিব্রেটিরা এটি পরেছেন। এই সিম্পল কিন্তু এলিগেন্ট স্টাইলটি যেকোন প্রোগ্রামে সহজেই ক্যারি করা যায়।

ভেলভেট নেইলস

এটি হল এমন এক ধরনের পলিশের প্রভাব যা নখকে একটি অনন্য, মাত্রিক এবং উজ্জ্বল এক লুক দেয়। এতে শিমারী পলিশ প্রয়োগ করে তার উপর টপ কোট দিয়ে তা আবদ্ধ করে রাখা হয়।

ক্ল্যাসিক রেড নেইলস

২০২২ সালের রেড নেইলস আবার শীর্ষে। কেন? কারন, তাদের আন্ডারটোনে রোমান্টিক, আই ক্যাচি এবং বিশেষ অকেশনে, বিশেষ পোশাকের সাথে উপযোগী। সাথে আরো গ্ল্যাম আপ যুক্ত করতে চাইলে এতে কিছু গ্লিটারি ভাবও দেয়া যেতে পারে।

গোল্ড ফয়েল নেইল স্টাইল

গোল্ড থিম নেইল স্টাইল এখন সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। দেখতে এলিগেন্ট এবং সব ঋতুর সাথেই মানানসই।

প্যাস্টেল নেইল কালার

প্যাস্টেল নখের চেয়ে উষ্ণ ঋতু উপভোগ করার আর কি ভালো উপায় আছে? এখানে রঙের বিশাল সমাহার ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। সেগুলোকে একত্রে বা ভিন্ন ভিন্ন নখে ভিন্ন ভিন্ন কালার ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছ

পিঙ্ক নেইলস

এটি যতটা সহজ, ততটাই জটিল। এটি প্রয়োগে একটি সাহসী, উজ্জ্বল চেহারা দেয়। এই রঙ্গটি সবধরনের নেইল স্টাইলেই সাথেই মানানসই- ছোট, বড়, স্টিলেটো, কফিন, ম্যাট বা গ্লিটারী।

ভেরি পেরি নেইলস

২০২২ –এর এই ট্রেন্ডি কালার নিয়ে সবাই খুবই এক্সাইটেড। কারন এই ল্যাভেন্ডার টোন বসন্ত এবং গ্রীষ্মের জন্য উপযুক্ত। এই ভেরি পেরি কালার প্রতিটি পোশাকের সাথে এক্সট্রা গ্ল্যাম যোগ করবে এবং নিজেকে অনেক উজ্জ্বল দেখাবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
চলন বলনজীবনজীবনযাত্রানারী

মাতৃত্বকালীন ফটোশুট

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহান

নিজের জীবনের কোন মুহুর্তকে স্মরনীয় করে রাখতে আমরা তা ক্যামেরা বন্দী করে রাখি। জন্মদিন বা বিয়ে অথবা হোক কোন গ্যাদারিং পার্টি সবকিছুই আমরা ক্যাপচার করে রাখি। তেমনি মাতৃত্ব চলাকালীন সময়কে স্মৃতির পাতায় তা ধরে রাখার জন্য করা হয় মাতৃত্বকালীন ফটোশুট।

গর্ভাবস্থা একটি সুন্দর জিনিস। নিজের ভেতর আরেকটি প্রাণের সঞ্চার; যার কোন তুলনা হয়না। পার করে দেয়া এই দীর্ঘ জার্নির কিছুটা সময়কে মুঠোবন্দী করে রাখার বিষয়টি এখন অনেক জনপ্রিয়। দেশের বাহিরে বেবি বাম্প দেখিয়ে এই ধরনের ছবি তোলার চল অনেক আগে থেকেই প্রচলন থাকলেও আমাদের দেশেও বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপারটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বেবি বাম্পের সৌন্দর্যকে ক্যাপচার করে এবং মা ও শিশুর একতা ফুটে উঠে এসব সেশনগুলোতে। তারকা থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ সবাই এই যাত্রা ধরে রাখছেন নিজেদের স্মৃতির পাতায়।

টিপস

একটি পারফেক্ট ম্যাটারনিটি শুট করতে কি লাগে? ইতিবাচক মনোভাব, ভালো ফটোগ্রাফার, কিছু পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত আলোকব্যবস্থা। এগুলোর সংমিশ্রন এবং সাথে নিজেকে রাখতে হবে হাসিখুশি এবং প্রানবন্ত। তবেই সবকিছুর মিশেলে পাওয়া যাবে নিজের আকাঙ্ক্ষিত ফটোশুট।

কখন পরিকল্পনা করতে হবে

বেশিরভাগ ফটোগ্রাফার গর্ভাবস্থার ২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে ফটো সেশনের পরামর্শ দেন। এটি সপ্তম মাসের প্রথম দিকে, কিন্তু অষ্টম মাসের শেষের দিকে নয়। তৃতীয় ত্রৈমাসিকের চারপাশের এই সময়টি সেরা সময়সীমা। এই সময়টিতে গর্ভবতীরা মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ফতো তোলার সময় দাঁড়ানো বা পোজ করা তাদের জন্য কম ঝক্কির হয়।

প্রপস

এই ধরনের ফটোশুট সাধারনত বাইরের পরিবেশেই করা হয়ে থাকে। বহিরাঙ্গন সেশনের ক্ষেত্রে আলোকব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। সূর্যোদয়ের কয়েক ঘন্টার পর এবং সুর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা আগে, দিনের সেরা সময়ে শুটিং করা ভালো। এতে ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড পাওয়া যাবে। আর যদি স্টুডিও বা বাসায় করতে হয়, তাহলে কোন ধরনের আলো এবং ডিজাইন ফোকাসে আসবে তা নির্ধারন করতে হবে। এছাড়াও আর সন্তান থাকলে তাদের সাথে কয়েকটি শটে পজ দেয়া যেতে পারে। বেশিরভাগই মায়ের পেটে হাত এবং চোখ ফোকাস করতে পছন্দ করেন।

পোশাক

গর্ভাবস্থায় ফটোশুটের প্ল্যানিং যখন করা হবে তখন পোশাকের চিন্তা সবার আগে মাথায় আনতে হবে। এমন পোশাক নির্বাচন করতে হবে যাতে নিজেকে সুন্দর ও আরামবোধ অনুভব হয়। এই জন্য বেছে নিতে পারো-

ম্যাক্সি (লম্বা জামা)

-সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি আরামবোধ করায়

-ডিজাইনের ক্ষেত্রে লেইস, এক রঙয়ের বা ফ্লোরাল প্রিন্ট বাছাই করা যেতে পারে

-জামার উপর বেল্ট পরা যেতে পারে

শাড়ি

-শাড়ির ক্ষেত্রে পাতলা পাড় এবং কম ডিজাইনের বেছে নিতে হবে

-ত্বকের রঙয়ের সাথে মানানসই হালকা বা প্রানবন্ত রঙ  নিলে ভালো হবে

-মাথায় খোঁপা করে হালকা ফুল গুঁজে দিলে স্নিগ্ধ দেখাবে

এছাড়াও স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মিলিয়ে পোশাক পরা যেতে পারে।

একটি দূর্দান্ত মাতৃত্বকালীন শ্যুট নিশ্চিত করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপায় হল সমস্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন গর্ভবতী যিনি তার আরামদায়কতা নিশ্চিত করা। এই আরামদায়কতা নির্ভর করে পোশাক, দৃশ্যাবলী এবং ফটোগ্রাফারের উপর। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেই তবেই বিশেষ কিছু মুহুর্ত স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনজীবনযাত্রানারীসচেতনতা

ফেসবুক ব্ল্যাকআউট

করেছে Shaila Hasan সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহান

ফেসবুক ব্ল্যাকআউট এই টার্মটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত আবার অনেকের কাছেই বিষয়টি অজানা। এটি মূলত এক ধরনের প্রতীকী প্রতিবাদের ভাষা। সকল ধরনের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিরব এক আন্দোলন।

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি  কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের এক বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ডাকাতির পর পরিবারের প্রতিবন্ধী তরুনীকে ধর্ষণ। স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যেয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুনীর দলবদ্ধ ধর্ষণ। বখাটে যুবকদের অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক নির্যাতন। না এটাই শেষ নয়। এখানে সংঘটিত হওয়া বিগত বছরগুলোতে নারী নির্যাতনের অল্প কিছু দৃশ্যপটের  আলোকপাত  করা হয়েছে মাত্র। দেশজুড়ে চলমান এই ধর্ষণকান্ডের বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ হলেও সিলেট ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নিপীড়নের ঘটনায় রাজপথে নেমে পড়েছিল দেশের সচেতন মানুষ। চলেছিল ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন। আর তারই পথ ধরে প্রতীকী প্রতিবাদ  হিসেবে ফেসবুকে ফিরে এসেছিল কালো প্রোফাইলের ছবিটি।

প্রোফাইল পিকচার এবং কাভার পিকচার কালো করে দেয়াটা সহিংসতার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি প্রচারনার অংশ বলা হয়েছে। থাকেন। নারী ছাড়া বিশ্ব কেমন তা বোঝাতেই ফেসবুকে এই ব্ল্যাকআউট আন্দোলন। মূলত এটা পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ। যদিও ফেসবুকের এই ব্ল্যাকআউট বিষয়টি একেবারেই নতুন কিছু নয়।এর নির্দিষ্ট উৎস অজানা, তবে অনেকেই ২০১৭ সালে জুলাইয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া  একটি চেইন লেটারের  মাধ্যমে একে সনাক্ত করেছে। যেখানে নারীদের “প্রোফাইলহীন পৃথিবী” প্রতীক হিসেবে তাদের প্রোফাইল ছবিগুলো কালো স্কয়ারে পরিবর্তিত করতে উৎসাহিত করে। পরবর্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত প্রার্থী ব্রেট কাভনোউকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই প্রচারটি পুনরায় উত্থিত হয়েছিল।

প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রবণতাটি খুব দ্রুতই সবাই গ্রহন করেছে। কিন্তু এই ব্যাপারে অনেক মতভেদও  রয়েছে। কারো মতে এই কালো নীরব ছবি একটি তীক্ষ্ণ বার্তা বহন করে। যা কোন কিছু না বলেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়ার একটি উপায়। আবার অনেকেই  প্রোফাইলে এই কালো ছবি দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে কম দৃশ্যমান, নীরব বা ছোট করে তুলতে চাইছিল না। তাদের মতে, ছবি কালো করে নিজেদের আড়াল করার পরিবর্তে নারীদের উচিৎ নিজেকে শক্তিশালী করা, নিজেদের ব্যাপারে আওয়াজ তোলা।

সামাজিক মিডিয়ার এই ব্ল্যাকআউট ধারনাটি শুধুমাত্র নারীদের সহিংসতার ক্ষেত্রে নয় বরং যে কোনও সমস্যা  সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে , যা পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায়। ২০১৬ সালে  যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটনকে অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে ডোনাল্ড   ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তাদের প্রোফাইল ও কাভার ছবি সরিয়ে কালো করেছিলেন। পাশের দেশ ভারতে মোদী সরকার কর্তৃক ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোট বাতিলের প্রতিবাদে তৃনমূল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল সামাজিক সাইটে নিজেদের প্রোফাইল পিকচার কালো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সবশেষে, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার প্রতিবাদে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্ল্যাকআউটে পরিনত হয়েছিল।

ফেসবুক ব্ল্যাকআউট বা নারী ব্ল্যাকআউটের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মত থাকলেও সবারই প্রতিবাদের লক্ষ্য এক। নচিকেতার মত বলতে হয় ” প্রতিবাদ প্রতিরোধে নামাই জীবন, লক্ষ্যে  পৌঁছে তবে থামাই জীবন।”

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়জীবনযাত্রানারীপ্যারেন্টিংবিশেষ রচনাসংগ্রাম

কাজে ফেরা মাতৃত্বের পর

করেছে Suraiya Naznin মে ৩০, ২০২২

রেহনুমা তারান্নুম

অনেকেরই ম্যাটারনিটি লিভ থেকে ফিরে মনে হয় ‘একেবারে নতুন করে শুরু করছি!’ আবার বাড়িতে ছোট্ট শিশুটিকে রেখে এলে তার জন্যও মন কেমন করে। আসে ইমোশনাল ব্যাঘাত। তবে সমস্যা যা-ই হোক না কেন, স্ট্রেসড হবে না। কারণ, মাতৃত্ব কেবল নিজের জন্য নয়, উন্নত জাতির জন্যও!

মা হওয়ার পরে একটা লম্বা সময় কাজের জগৎ থেকে দূরে থাকলে অভ্যাসটা চলে যায়, এমনটাই মনে করেন বেশির ভাগ মানুষ। অবশ্য বিষয়টা যে খুব ভুল, তা-ও নয়! মা হওয়ার ঝক্কি তো কম নয়। তাই তিন মাস বা তারও বেশি পাওয়া ছুটিটা শুয়ে-বসে উপভোগ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। ফলে ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফিরলে যে রিফ্রেশড ব্যাপারটা আসে, এ ক্ষেত্রে তা একেবারেই অসম্ভব। রোজকার ডেডলাইনের চাপ, অফিস মিটিং, এদিক-ওদিক ছোটাছুটি এসব কিছুই এত দিন অনুপস্থিত ছিল।

 


তাই অনেকেরই ম্যাটারনিটি লিভ থেকে ফিরে মনে হয় ‘একেবারে নতুন করে শুরু করছি!’ আবার বাড়িতে ছোট্ট শিশুটিকে একলা ফেলে রেখে এলে তার জন্যও মন কেমন করে। ফলে মন দিয়ে কাজ করবে, সেখানেও কিছুটা ইমোশনাল ব্যাঘাত। তবে সমস্যা যা-ই হোক না কেন, স্ট্রেসড হবে না। পুরোনো অভ্যাসে ফিরতে একটু সময় লাগুক না! তা নিয়ে ভেবে মাথা খারাপ করার কিছু নেই।

বস ও সহকর্মীদের সঙ্গে একবার গোড়াতেই কথা বলে নাও। আগামী তিন-চার মাসে কী প্রজেক্ট আসতে পারে, ও তাতে তুমি কীভাবে কন্ট্রিবিউট করবে, সে ব্যাপারে মোটামুটি জেনে গেলে সুবিধা হয়। প্রথমেই খুব বড় প্রজেক্টে হাত দেবে না। ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে পারো। কয়েক দিন পর ছন্দ ফিরে পেলে আবার পুরোদমে কাজ করবে। প্রথম প্রথম অফিসের কাজ খুব হেকটিক মনে হলে অফিসের বাইরে নিজেকে প্যাম্পার করো।

 

ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া, নিজেকে উপহার দেওয়া ইত্যাদি অফিস স্ট্রেস অনেকটা কমিয়ে দেবে। টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব জরুরি। সন্তানকে বাড়িতে কারও নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে রেখে আসো। বারবার যদি বাড়িতে ফোন করতে হয়, বা সন্তান ঠিকমতো খাচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে টেনশন করতে হয়, তাহলে কাজে ব্যাঘাত ঘটবেই। তুমি চাকরি করছ বলেই যে সন্তানের দেখভাল ঠিকমতো করতে পারছ না, এ রকম ধারণা মনের মধ্যে রাখবে না। বেবিসিটার রাখার আগে তার স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। এ ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করতে পারলে, অফিসে পুরোপুরি মন দিতে পারবে। কাজের ফাঁকে এক-আধবার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে নাও। তবে সন্তান পালনের অজুহাতে কাজে ফাঁকি দেওয়া বা দেদার অফিস ছুটি নেওয়া মোটেও কাজের কথা নয়। কাজের জগৎটা প্রফেশনাল জায়গা। সংসারের সঙ্গে অফিসের সঠিক ভারসাম্যটাই জরুরি।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook