রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

মনের মত ঘর

অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাজীবনযাত্রামনের মত ঘররোদসীর পছন্দ

ঘর সাজুক ফাগুনের ছোঁয়ায়  

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩

নির্জীব ও নিষ্প্রাণ প্রকৃতি অবশেষে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেছে। রুক্ষ পরিবেশে প্রাণ দোলানো মাতাল করা বাতাস আর কোকিলের কুহুতানে প্রাণের সঞ্চার নিয়ে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটেছে। রঙ, রস ও রূপে ভরা ফাল্গুনের সৌন্দর্য শুধু ব্যক্তির মনেই নয়, ছড়িয়ে পড়ুক ঘরের অন্দর সজ্জায়ও। আইডিয়া শেয়ার করেছেন শায়লা জাহান। 

বাঙ্গালি স্বভাবতই উৎসব প্রিয় জাতি। আর তা যদি হয় ফাল্গুনকে বরণ করার প্রস্তুতি, তাহলে তো কথাই নেই। ঘরের একঘেয়েমি সাজসজ্জায় নাভিশ্বাস উঠে গেছে? শীতের ছায়াময় দিনগুলো এবং হাইবারনেশনকে পিছনে ফেলে, বসন্তের সাজসজ্জার ধারণাগুলোকে ফোকাসে এনে ঘরকে আরও জীবন্ত আর আকর্ষনীয় করার উপযুক্ত সময় এখনই। প্রতিটি ঘরে শ্বাস নিতে দেয়া থেকে শুরু করে সাজ-সজ্জার পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘরকে সতেজ করার নিমিত্তে কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হলো।

দ্বার খোল

প্রথম এবং সর্বাগ্রে, ঘরকে সতেজ করার সর্বোত্তম উপায় হল ঘরে তাজা বাতাসকে আমন্ত্রণ জানানো। এই দ্বার খোলার মানে হলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের পথ উন্মুক্ত করে দেয়া। এই সঞ্চালনের মাধ্যমে স্থবির, জীবাণুযুক্ত, পুনর্ব্যবহৃত বায়ু বের হয়ে যায়। বাতাসে এখনও হালকা ঠাণ্ডা ভাব থাকলেও, কিছুটা সময় বাতাস চলাচলে ঘরের প্রতিটি কোণ সতেজ ও ফ্রেশ ভাব আসবেই।

ডিক্লাটার

ঘরকে পরিষ্কার বা সাজসজ্জা করার আগে, শীতকালীন আইটেমগুলোকে তাদের নিজ নিজ জায়গায় সরিয়ে দিতে ভুলবেনা। শীতের কাপড় থেকে শুরু করে শীতকালীন প্রসাধনী সবকিছুরই পুনর্বিন্যাস করতে হবে। ডিক্লাটার বা সংগঠিত করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করো যে, এটি রাখার মতো আইটেম কিনা, যদি না হয় তবে তুলে রাখো।

নানান রঙের খেলা

বসন্ত মানেই রঙের খেলা। বসন্ত হল আউটডোরে পুনর্জন্ম এবং পুনর্নবীকরণের সময়, তাই এটি অভ্যন্তরেও অনুকরণ করার চেষ্টা করো। ঘর আপডেট করার সাথে সাথে রঙগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাথরুমের তোয়ালে থেকে শুরু করে ছোট কর্নার রাগ থেকে সাজসজ্জা এবং আনুষঙ্গিক সবকিছুর জন্য উজ্জ্বল, প্রফুল্ল রঙ নির্বাচন করো। গোলাপী, ফ্যাকাশে নীল, লিলাক এবং নরম সবুজের মতো প্যাস্টেল টোনগুলো বসন্তের সাথে যুক্ত। এগুলো একটি প্রাণবন্ত পপ নজর কেড়ে নিতে পারে এবং স্থানটিকে আরও জীবন্ত করে তুলতে পারে। ঘরের পর্দার ক্ষেত্রে রঙ নিয়ে খেলতে পারো। ঘরের অন্যান্য সবকিছু লাইট বা অনুজ্জ্বল রেখে কিছুটা বোল্ড কালারের পর্দা বেছে নিতে পারো। আর পার্থক্য? নিজেই পরখ করে নাও।

নরম গৃহসজ্জা সামগ্রীর পরিবর্তন

একটি দ্রুত, সহজ এবং সস্তা উপায়ে তোমার একটি ঘরকে বসন্তের জন্য সতেজ এবং রঙিন বোধ করতে পারো, তা হল তোমার স্থানকে নতুন নরম আসবাবপত্র যেমন- বালিশ, কুশন, রাগ দিয়ে স্টাইল করা।হোক সেটা তোমার সোফা কিংবা বিছানার, শুধুমাত্র কুশন বা থ্রো বালিশের কভার গুলো পরিবর্তন করে দাও, দেখবে পুরো লুকটাই চেঞ্জ হয়ে যাবে। বসন্তের ভাইভ আনার জন্য শীতকালীন থ্রো বালিশগুলোকে অদলবদল করে দাও। এর পরিবর্তে নিয়ে আসো ফ্লোরাল প্রিন্ট, সবুজ, হলুদ, পিঙ্কের মতো উজ্জ্বল কালারগুলো। টেক্সটাইল অদলবদল কড়া একটি ঘরকে একেবারে নতুন মনে করার একটি দূর্দান্ত উপায় হতে পারে এটি।

তাজা ফুলের যোগ

যেকোন ঘর আপডেট করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল তাজা ফুল যোগ করা। তোমার যদি ইতিমধ্যে একটি বাগান থাকে, তবে এই টিপসটি তোমার জন্য খুবই সহজলভ্য হবে। তাজা কাটা ফুল ব্যবহার করা বসন্তের জন্য সাজানোর একটি সুন্দর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের উপায়। ড্যাফোডিল এবং টিউলিপের গুচ্ছ থেকে শুরু করে গোলাপ, রজনীগন্ধা ফুল সহজেই যেকোন স্থান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারো। শোভা বর্ধনের পাশাপাশি একটি মিষ্টি সুরভেও ভরে উঠবে তোমার ঘরটি।

ওয়ালপেপারের ব্যবহার

বসন্তের সাজসজ্জার রিফ্রেশের জন্য, ওয়ালপেপারের আইডিয়াগুলো তাৎক্ষণিক প্যাটার্ণ এবং রঙ যোগ করে দিতে সক্ষম। প্রথম বিকল্প হিসেবে ফ্লোরাল রুমের সাজসজ্জার দিকে যাওয়া যেতে পারে। প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত ওয়ালপেপার হল বসন্তের জন্য বায়োফিলিক চেহারা অর্জনের একটি দূর্দান্ত উপায়। ঋতুর জন্য উপযুক্ত একটি বোটানিক্যাল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে প্যাস্টেল গোলাপী এবং পিপারমিন্ট সবুজের সূক্ষ্ম শেড সহ ওয়ালপেপার বেছে নিতে পারো।

ঘন রাগের বিদায়

শীতের ঠান্ডায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে ঘন রাগের ব্যবহার প্রতিটি ঘরেই করা হয়। তবে এখন তাদের বিদায় জানানোর পালা। এর পরিবর্তে নিয়ে আসো পাতলা টেক্সচার এবং কালারফুল রাগ। এই আলংকারিক অনুষঙ্গ ঘরের আরও চমক বাড়াবে।

সবুজাভাব আনয়ন

ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে ইনডোর প্ল্যান্টসের কোন তুলনা হয়না। শীতের রুক্ষ বাতাস এবং বিবর্ণ আলো গাছপালাকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই নিস্তেজ হাউসপ্ল্যান্টের স্থানে নতুন সবুজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করো। তবে কেনার আগে, সঠিক আলোর রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী গাছপালা বেছে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে নাও যাতে তা পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

হালকা কাপড়ের ব্যবহার

বসন্তের জন্য স্থান আপডেট করার আরেকটি সহজ উপায় হল টেক্সটাইলগুলোকে হালকা ওজনের কাপড়ের সাথে অদলবদল করা। ভারী উল বা পশমের কম্বলের পরিবর্তে কটন বা লিনেনের মতো হালকা কাপড়ের তৈরি প্রতিস্থাপন করতে পারো। সাদা এবং ফ্যাকাশে গোলাপী লেয়ারিং তোমার প্লেসকে নিরপেক্ষ রেখে রঙের পপ যোগ করার উপায় করে দিতে পারে।

আসবাবপত্র পুনরায় সাজানো

ঘরকে সতেজ দেখার আরেকটি উপায় হল আসবাবপত্রের পুনর্বিন্যাস করা। তুমি যদি বেডরুমের একই লেআউটে ক্লান্ত হয়ে পড়ো, তবে বিছানাটি একটি ভিন্ন দেয়ালের বিপরীতে রাখো। বসার ঘরের সোফা, আর্মচেয়ার এবং কর্নার টেবিল একটি নতুন অবস্থানে স্থানান্তর করো।

মৃদু বাতাস এবং প্রস্ফুটিত কুঁড়ির ঘ্রাণ উপভোগ করো। প্রতিটি ঋতুর সাথে বাড়ির সজ্জাকে পরিবর্তন করতে ভূলবেনা। প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে অভ্যন্তরীন পরিবর্তন ঘরকে করে তুলবে আরও আরামদায়ক ও আকর্ষনীয়।

-ছবি সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যামনের মত ঘর

মনের রঙে সাজানো ঘর

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩

রঙের জাদুতে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত মনও ফুরফুরে হয়ে ওঠে। তাছাড়া নতুন বর-কনের ঘর বলে কথা। সুন্দর দাম্পত্যের জন্য ঘরের সাজ বেশ ভূমিকা রাখে, এমন মত বিশেষজ্ঞদেরও। তাই বুঝেশুনে রং নির্বাচন জরুরি। লিখেছেন সুরাইয়া নাজনীন।

‘হর ঘর কুছ ক্যাহতা হ্যায়’ বিজ্ঞাপনের এই লাইনটা নিশ্চয়ই মনে পড়ে। কেমনভাবে নানা রঙে সেজে উঠত সাদা বাড়িটা। কোনো দেয়ালে সমুদ্রের নীল, তো কোনো ঘরে ইট লাল রঙের ক্যালাইডোস্কোপে আস্তে আস্তে প্রাণবন্ত হয়ে উঠত বাড়ি। আর সত্যিই তো, রঙের মায়া তো এমনই। নিমেষে বদলে দিতে পারে পুরো বাড়ির চেহারা। আর শুধুই কি বাড়ি, এই রঙের জাদু এমনই যে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত মনও ফুরফুরে হয়ে ওঠে। অনেকেই হয়তো জানে না, একেক রঙের আবার একেক রকম মানে আছে। লাল মানে যেমন প্যাশন, প্রেম, ভালোবাসা; হলুদ মানে আবার হাসিখুশি মনমেজাজের ছবি। তাহলেই বোঝো, ঘরে কেমন রং করাচ্ছ, তার ওপর কিন্তু আমাদের ভালো থাকাও অনেকটা নির্ভর করে।

আগেকার দিনে বাড়ির রং নিয়ে মাথা ঘামানো বা চর্চার করার বিশেষ জায়গা ছিল না। চুনকাম করা দেয়াল বা বড়জোর হালকা হলুদ কিংবা সাদা রং বলতে এইটুকুই। টালির ছাদ থাকলে লালের অল্প ছোঁয়া। শেওলা সবুজ রংও বেশ লাগে দেয়ালে। আর সাদারং তো আরও সুন্দর।কিন্তু সাদার একটা আলাদা মাধুর্য আছে। সাদা মানেই তো প্রশস্তি। সারাদিনের পরিশ্রমের পর, ক্লান্তি কাটাতে এর থেকে ভালো আবহ কি আর কিছু হতে পারে? নবদম্পতির মনে একরাশ প্রশান্তি দিতেও সাদা রঙের জুড়ি নেই। আবার সাদা দেয়ালে রঙিন ক্যানভাস বা ওয়াল হ্যাঙ্গিং যেন আলাদাই মাত্রা পায়। আর রঙিন পর্দা, বেডকভার, ম্যাট সাদা বেসে যেন বেশি সুন্দর লাগে। আর ডেকর নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগও প্রচুর। ফলে সাদা কিন্তু একেবারেই ফেলনা নয়। তবে হ্যাঁ, মেইনটেন করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার।

বাড়ির রং নিয়ে এখন অবশ্য এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ প্রচুর। আর হবেই তো, বাড়ির দেয়াল তো এখন শৌখিনতার পরিচায়ক। আর তাই তো কোথাও দেখা যায় পান্না সবুজ, তো কোথাও সূর্যাস্তের কমলা। শেড কার্ডজুড়ে হাজার একটা রঙের অপশন। এর সঙ্গে টেক্সচার্ড দেয়াল তো আছেই। আসলে ঘরের রং থেকেই তো ঘরের চরিত্র নির্ধারণ করা যায়। তবে এখানেও মানতে হবে অন্দরসাজের ব্যাকরণ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই পারো, কিন্তু তাহলে মাথায় রাখতে হবে বাড়ির আয়তন, আসবাবের টেক্সচার, মাটির চরিত্র। তার সঙ্গে রুচি তো আছেই। আসলে ঠিক রং প্যাটার্ন এবং টেক্সচারই কিন্তু অন্দরসাজের মূল কথা।

বাড়ি রং করানোর সময় একই কালার ফ্যামিলির রং ব্যবহার করা যেতে পারে। কমপ্লিমেন্টারি রঙের মাধ্যমেও বিস্তার করতে পারো রঙিন মায়াজাল। আবার লাল, নীল, হলুদের মতো রং একসঙ্গে ব্যবহার করে সৃষ্টি করতে পারো ম্যাজিকাল ট্রায়ার্ড। তবে এ ক্ষেত্রে কিন্তু পরিমিতিবোধ থাকাটা খুব দরকার। রঙের সঠিক ব্যবহারে ইলিউশনও তৈরি করা যায়। রঙের কারসাজি এমনই যে ছোট ঘর বড় দেখায়, আবার যে ঘরে তেমন আলো-বাতাস ঢোকে না, তাই মনে হয় খোলামেলা। এই যেমন ছোট ঘরে আইসি ব্লু বা ক্রিম খুব ভালো। আসলে উজ্জ্বল এবং নরম টোন সব সময়ই ঘর বড় দেখাতে সাহায্য করে। রঙের সঙ্গে আসবাবের কিন্তু একটা আত্মিক যোগাযোগ আছে। যতক্ষণ না এরা একে অপরকে কমপ্লিমেন্ট করছে, জানবে অন্দরসাজ একেবারেই অসম্পূর্ণ। আসবাবের রং হালকা হলে, দেয়ালেও হালকা রং করাও। এতে আসবাবের আয়তন ছোট দেখায়। আর ঘরে একটা খোলামেলা আমেজ তৈরি হয়। ঘরের মোল্ডিং সবসময় দেয়ালের থেকে এক শেড হালকা রাখবে। ঘর বড় হলে একটু গাঢ় রং করানোই যায়। তবে ভালো হয় যদি একটা দেয়ালে গাঢ় রং করিয়ে বাকিগুলো নিউট্রাল রাখতে পারো। তাহলে কালার ব্যালান্সটা ঠিক থাকে। আবার ঘরে যদি প্রচুর আলো ঢোকে, তাহলেও সি গ্রিন, টারকোয়াজ, গাঢ় নীল, গাঢ় গোলাপির মতো রং করাতে পারো। এখানেই শেষ নয়। এর সঙ্গে প্যাটার্ন পেন্টিং বা টেক্সচারড ওয়ালও করাতে পারো। নানা রকম স্ট্রোকস আর নানা রঙের সংমিশ্রণে টেক্সচার্ডও কিন্তু সত্যি ম্যাজিক্যাল। পুরো ঘরের ডেফিনেশনটাই বদলে যায়। একটু খরচসাপেক্ষ ঠিকই, কিন্তু বাড়ির জন্য এইটুকু তো করাই যায়। আফটার অল, যেখানে থাকো, যা তোমারই ব্যক্তিত্বের এক্সটেনশন, সেই বাড়ি একটু সুন্দর দেখাতে একটু অ্যাফোর্ট তো দিতেই হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাচলন বলনজীবনজীবনযাত্রামনের মত ঘর

ঘর পরিষ্কার রাখার সহজ কিছু টিপস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

মানুষ অভ্যাসের দাস। তোমার অভ্যাস নির্ধারণ করে ঘর পরিষ্কার কিংবা অগোছালো কিনা। এটি পরিষ্কার করার জন্য প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। ছোট ছোট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই তোমার ঘর থাকবে পরিষ্কার ও সুসংগঠিত।

বলা হয়, যখন তোমার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে তখন তুমি খুশি অনুপ্রাণিত এবং সুস্থ বোধ করো। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে একটি পরিপাটি ও গোছানো ঘর মুহুর্তেই আমাদের মন প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। যদিও ঘর পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখা একটি খুব বড় কাজ। একটি সুশৃঙ্খল বাড়ির গভীর পরিচ্ছন্নতার পেছনে অজস্র সময় এবং শ্রম জড়িত থাকতে পারে,  কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করাটা উপভোগ করেনা এবং প্রতিদিন তা নিয়মানুযায়ী পুনরাবৃত্তি করাও চাট্টিখানি কথা নয়। তাহলে এখন উপায়? এক্ষেত্রে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো। নিশ্চিত থাকো, যত বেশি এগুলো তুমি অনুসরণ করবে, এটি তত সহজ হবে।

চলো শুরু করি!

তোমার বিছানা গোছাও

অনেকের কাছেই বিছানা গুছানো সময়ের অপচয় মনে হয়, যেহেতু আবার সেই বিছানায় ফিরে আসবে। কিন্তু এটি সত্যিই একটি বড় পার্থক্য করে যে ঘরটি কতটা পরিপাটি দেখায় মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয়ের মাধ্যমে। এছাড়াও, সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছানো একটি সফল এবং সংগঠিত জীবনের সাথে সরাসরি জড়িত। তোমার দিনটি নিখুঁতভাবে শুরু করতে, বিছানা তৈরি করা থেকে শুরু করো। প্রতিবার দিনের বেলায় সুন্দরভাবে তৈরি বিছানা দেখতে এবং রাতে সেই পরিপাটি বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিতে অনেক ভালো লাগবে। এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, যারা তাদের বিছানা তৈরি করে তাদের নিয়মিত রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার সম্ভাবনা ১৯% বেশি। প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলাও, যা তোমার ঘরকে পরিষ্কার এবং ফ্রেশ লুক দিবে।

কখনোই খালি হাতে রুম ছাড়বেনা

ঘরের রুমগুলোতে যে মেসি বা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় তার পরিত্রাণের জন্য এটি হল সর্বোত্তম উপায়। এই অভ্যাসের বড় সুবিধা হলো এটি কোনও অতিরিক্ত সময় নেয় না। ভেবে দেখো, আমরা অনেক সময় এমন অনেক জিনিস অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে পেয়ে থাকি; যেখানে এটি অন্তর্ভূক্ত নয়। সিঁড়িতে জুতা, বাথরুমে খেলনা, নোংরা রান্নাঘরের তোয়ালে যা ওয়াশিং মেশিনে যেতে হবে। সুতরাং কখনই একটি ঘর খালি হাতে না ছাড়ার অভ্যাসের অর্থ হল তুমি যখনই যেই রুমেই যাওনা কেন সেখানকার জিনিসপত্র তার সঠিক গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। সবকিছুই যথাস্থানে থাকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঘর সহজেই পরিপাটি থাকবে।

প্রতিদিন থালাবাসন ধোয়া

রাতে সিঙ্কে থালাবাসন জমিয়ে রাখা অস্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয়, নিয়মিতভাবে থালা বাসন ধোয়া রান্নাঘরকে সব সময় পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই সারারাত সিঙ্কের কাছে এঁটো থালা বাসনের লোড না রেখে সন্ধ্যায় বা রাতেই সব পরিষ্কার করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এইসব কাজ ভাগ করে দিলে সহজেই সবকিছুর সমাধা হয়ে যায়।

১ মিনিটের নিয়ম

এই অভ্যাসের অর্থ হলো মূলত যে কোনও কিছু যা এক মিনিটেরও কম সময়ে করা যায়, সে সব কাজ করা দিয়ে শুরু করতে পারো। এই কাজ সম্পাদন অতি দ্রুত হয়ে যায়, তাই এতে বিরক্তবোধের সৃষ্টি হবেনা।

প্রতিদিনকার লন্ড্রি সামলানো

প্রতিদিনই আমাদের টুকটাক কাপড় ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এটি একটি অনিবার্য কাজ। কাপড় ধোয়ার এই কাজটি যদি ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করে ফেলা যায় তবে উইকেন্ডে এটি কোন একচেটিয়া স্তূপের সৃষ্টি করবেনা।

রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা

কুটা-বাছা, রান্না করা এসব কাজে রান্নাঘরে অনেক এলোমেলো অবস্থার সৃষ্টি হয়। রান্নার সময় মশলার কৌটা, ঢাকনা, চামুচ এগুলো ব্যবহারের পর যত্রতত্র না রেখে কাউন্টার টপে রেখে দিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি প্লেট, বাটি সব ধুয়ে ফেলতে হবে। ময়লা আবর্জনা পরে ফেলে দিব বলে না জমিয়ে রেখে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলতে হবে। সবকিছুর শেষে চুলার আশপাশ, সিঙ্ক সব ধুয়ে মুছে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস অপসারণ

আমাদের প্রায় সবার কাছেই এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। এটি কেবল পরিবেশের জন্নইখারাপ নয়, আমাদের মঙ্গলের জন্যও দূর্দান্ত নয়। কারণ এই সমস্ত জিনিসগুলো সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলতা এবং অব্যবস্থাপনার দিকে পরিচালিত করে। অতএব, ক্রমাগত ডিক্লাটার করার অভ্যাস হল তোমার ঘরকে পরিষ্কার ও সংগঠিত রাখার আরেকটি শক্তিশালী অভ্যাস। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে পারোঃ

-এটি কি ব্যবহার করবে?

-তোমার এটির প্রয়োজন আছে?

-তুমি কি এটি পছন্দ করো?

যদি উত্তর হ্যাঁ না পাও তবে সেক্ষেত্রে তা অপসারণ করো।

উপভোগ্য করে তোলো

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজটি আমাদের কাছে অনেক ক্লান্তিকর মনে হয়। তাই পরিষ্কার করা যতটা সম্ভব আনন্দদায়ক করা আমাদের ভাল পরিষ্কারের অভ্যাস বজায় রাখতে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করে। এটি করার একটি উপায় হল যাকে কাপলিং বা পেয়ারিং বলা হয়। অর্থাৎ, তুমি এমন কিছুর সাথে একটি উপভোগ্য কাজ জুটাও যা তুমি নিজে করার চেষ্টা করেছো। ক্লিনিং এর যখন কাজটি করবে তখন পাশাপাশি তোমার প্রিয় কোন মিউজিক ছেড়ে দিতে পারো। অথবা টিভিতে তোমার প্রিয় কোন শো দেখতে দেখতে কাজ করতে পারো। দেখবে সব নিমিষেই কমপ্লিট হয়ে যাবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকেনাকাটাঘরকন্যামনের মত ঘর

অন্দরসজ্জায় কার্পেট

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৪, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

একটি ঘরের অভ্যন্তরকে নান্দনিকভাবে আকর্ষনীয় করার জন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সজ্জা উপাদানের সঠিক ব্যবহার। কার্পেট সেই উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। খুব শৈল্পিকতার সাথে এগুলো তৈরি হয় বলে দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় পায়ে এক উষ্ণতার পরশ এনে দেয়। কার্পেট ব্যবহারের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর মাধ্যমে তুমি খুব সহজেই ছোট যেকোন রুমকে আরও বড় দেখাতে পারো। হোক সেটা ওয়াল-টু-ওয়াল ব্রডলুম অথবা ছোট এরিয়া রাগ বা ছোট কার্পেট, সঠিকটি তোমার রুমকে আরও বড় বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। আর এই সংক্রান্ত কিছু টিপস দিয়ে আজকের লেখা সাজানো হয়েছে।

-বড় এরিয়ার কার্পেট যেকোন রুমেই সংযোজন করলে মেঝেতে একধরনের ধারাবাহিকতা প্রদান করে যা স্থানটিকে আরও বড় বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এই ওয়াল-টু-ওয়াল কার্পেট রোলাকৃতি করে আসে এবং এই রোলগুলো প্রায়শই ১২ ফুট প্রস্থে আসে। রুমের মেঝের জন্য সঠিকটি বেছে নেয়ার জন্য মেঝের পরিমাপ ভালোভাবে নিয়ে সেই অনুযায়ী কার্পেট বেছে নাও।

-ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করার জন্য একটি এরিয়া রাগ ব্যবহার করার মূল চাবিকাঠি হল সঠিক আকার ব্যবহার করা। এরিয়া রাগ বা ছোট কার্পেট দ্বারা পছন্দনীয় জায়গাগুলোতে ফোকাস করার সর্বোত্তম উপায়। তারা চোখে পড়ার মতো প্রচুর ভিজ্যুয়াল ফোকাল পয়েন্ট সরবরাহ করে। রাগ গুলোর সাহায্যে মেঝেতে অনেকগুলো ক্যারেক্টার যুক্ত করা যায়, যার ফলে স্থানটিকে আরও প্রশস্ত বলে মনে হয়।

-হালকা রঙ একটি ঘরকে গাঢ় রঙের চেয়ে উজ্জ্বল দেখায় এবং প্রশস্ত বোধ করায়। এর মানে এই নয় যে সব জায়গায় সাদা বা অফ-হোয়াইট কার্পেট বসাতে হবে। পুরো স্থান জুড়ে তোমার প্রিয় রঙের হালকা টোন ব্যবহার করা স্থানটিকে দৃশ্যত প্রসারিত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, হালকা রঙগুলো গাঢ় রঙের চেয়ে বেশি সূর্যালোক বা কৃত্রিম আলো প্রতিফলিত করে। তাই স্থানের বর্ধিত আলো আরও খোলা অনুভূতিতে অবদান রাখে।

-মেঝে আচ্ছাদন ঘরের সাজসজ্জার একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান এবং তা ঘরের সামগ্রিক অনুভূতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তুমি যদি তোমার যে কোন আকারের কার্পেটে প্যাটার্ন রাখতে চাও, তবে নিশ্চিত করো যে প্যাটার্নের আকারটি ঘরের আকারের সাথে যথাযথভাবে মাপানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোট কক্ষ যেখানে প্রচুর আসবাবপত্র নেই, সেখানে বড় প্যাটার্ন সম্বলিত কার্পেট দেয়া যেতে পারে। আবার যখন আসবাবপত্রে আবদ্ধ একটি বড় এলাকা থাকে সেখানে ছোট প্যাটার্নের প্রয়োজন হতে পারে।

-আর্কিটেক্ট এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা একটি ঘরকে বড় দেখাতে প্রায়ই একটি কৌশল অবলম্বন করে, আর তা হল ডেকোরে স্ট্রাইপ লাগানো সজ্জা উপকরণের ব্যবহার। তুমি যদি তোমার ঘরকে আরও বড় এবং সজ্জাটিকে আরও ক্লিন দেখাতে চাও তবে এটিতে স্ট্রাইপযুক্ত কার্পেট যোগ করতে পারো।

-বৃত্তাকার রাগ বা ছোট কার্পেট একটি ঘরকে বড় দেখানোর আরেকটি আকর্ষনীয় উপায়। এটি ঘরে আরেকটি আয়তক্ষেত্র যোগ করবেনা এবং সুন্দরভাবে তোমার আসবাবের মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি করবে। সাধারণত, অড-শেপড পাটি একটি ঘরের সজ্জায় নতুন চরিত্র চিত্রায়ণে একটি দূর্দান্ত উপায়।

কার্পেটের যত্ন

শুধুমাত্র সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কার্পেট পাতলেই হয়না, তার যত্নও নিতে হয়। এতে সহজেই কিন্তু ধুলাবালি জমে যায়। তাই প্রতিদিন কার্পেট ব্রাশ করা প্রয়োজন। সপ্তাহে একদিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ভালোভাবে এটা পরিষ্কার করা উচিৎ। মাঝে মাঝে সম্ভব হলে তা কড়া রোদে দেয়া ভালো। ওয়াশ করার প্রয়োজন মনে হলে তা লন্ড্রিতে পরিষ্কারের জন্য দেয়া যেতে পারে।

বাড়ির যেকোন ঘরের চেহারা নিমিষে পাল্টে দিতে কার্পেটের জুড়ি মেলা ভার। তাহলে আর দেরি কিসের? ঘরের মাপের সাথে মানানসই কার্পেট বাছাই করো আর মনের মত করে ঘর সাজিয়ে নাও।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যামনের মত ঘর

ঘরের বেডরুম সাজুক বোহেমিয়ান ছোঁয়ায়

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

সারাদিনের কর্মব্যস্ততার শেষে বিছানায় শরীর এলিয়ে দেয়ার মত স্বর্গীয় সুখ আর কিছুতে কি আছে? বেডরুম শুধু ঘুমের জায়গা নয়, তারও বেশি কিছু। শারীরিক ক্লান্তি ও ধকল কাটিয়ে নিজেকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার রিচার্জের স্থান এটি। বলা হয় যে, বেডরুম হলো বাড়ির একটি স্থান যা সত্যিকারের একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ত্বকে প্রতিফলিত করে। যদি তুমি নান্দনিক আধুনিক বোহেমিয়ান বেডরুমের সাজসজ্জার কথা ভাবছো তবে লিখাটি কিছুটা সাহায্য করতে পারে।

বোহো শব্দটি বোহেমিয়ান শব্দটির সংক্ষিপ্ত রুপ। এটি একটি স্বাচ্ছন্দ্য, চিন্তামুক্ত নান্দনিক এবং জীবনধারাকে বুঝায়। সহজ ভাষায় এটি হল প্রচলিত ও গতানুগতিক লাইফস্টাইলের বিপরীতে হাঁটা। বোহেমিয়ান স্টাইলে শো করার চাইতেও নিজের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ফোকাসে আনে বেশি। একটি বৈচিত্র্যময়, বৈশ্বিক চেহারা তৈরি করতে, একটি বোহেমিয়ান-স্টাইলের বেডরুমে একাধিক প্যাটার্ণ, রঙ এবং টেক্সচার মিশ্রিত করে।

বোহো স্টাইল হলোঃ

-প্রচুর গাছপালা সহ প্রাকৃতিক উপাদান

-টেক্সচার্ড প্যাটার্ণের মিশ্রণ

-বিশ্বব্যাপী অনুপ্রাণিত

-শান্ত এবং আরামদায়ক

-ইউনিক

বোহো স্টাইল নয়ঃ

-ম্যাচিং ডেকোর

-শুধু সাদামাটা রঙের প্রয়োগ

-প্রাণহীন

-মিনিমালিস্টিক

যেহেতু বোহেমিয়ান মানসিকতার সাথে ডিজাইন করার জন্য সব পদ্ধতিই যে তোমার রুমের সাথে খাপ খাবে তা কিন্তু নয়। নিজ ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাত্রার শৈলীর সাথে খাপ খায় এমন ধারনা নিয়ে সাজানো যেতে পারে।

শুধু বেসিক

বোহো লুকে যেমন গাঢ় রঙয়ের কনসেপ্ট আছে তেমনি শুধুমাত্র বেসিক বা মিনিমালিস্ট ভাবে রুম সাজানোরও অপশন আছে। ডিজাইনটি প্রাণবন্ত রঙের উপর নির্ভর না করে লেয়ারিং প্যাটার্ন, প্রাকৃতিক টেক্সচার এবং মিশ্রণ শৈলীতে ফোকাস করে। একটি সাধারণ গৃহসজ্জার বিছানা সুন্দর কেন্দ্রবিন্দু তৈরি করে যখন ভিনসেন্ট নাইটস্ট্যান্ড, একটি অ্যাকসেন্ট চেয়ার এবং কিছু মিনিমাম ও হালকা কাঠের জিনিসপত্রের সমন্বয়ে সাজানো যেতে পারে। এতে সিম্পল লুকের পাশাপাশি একটা কোজি ভাবও আনে।

ট্রপিক্যাল ভাইব

-ট্রপিক্যাল ভাইব আনতে পাতা, গাছ, ফুল আছে এমন ওয়ালপেপার লাগানো যেতে পারে

-পিলো কভার হিসেবে এই ধরনের ট্রপিক্যাল নকশাগুলো যোগ করা যায়

-এই ধরনের বিভিন্ন ওয়াল আর্ট ফ্রেমে বন্দী করে যোগ করতে পারো

উজ্জ্বল এবং রঙিন

আগেই বলেছি বোহো মানেই যে শুধু মিনিমালিস্ট তা কিন্তু নয়। এখানেও কিন্তু কালার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। তুমি যদি ম্যাক্সিমালিস্ট হয়ে থাকো তবে অবশ্যই ব্রাইট এবং কালারফুল বেডরুম আইডিয়া তোমাকে অনুপ্রাণিত করবে। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত এই প্রাণবন্ত রঙের উপস্থিতি এক ইউনিক লুক দিবে।

ফেয়ারি লাইটের ব্যবহার

ঝিকিমিকি আলোর দ্যুতি পছন্দ করো? এক্ষেত্রে বেডরুম সাজসজ্জার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেয়ারি লাইট ব্যবহার করতে পারো। এটি আলোকিত করার পাশাপাশি একটি স্বপ্নময় বোহো ভাইব এড করে। লাইটগুলো সিলিং থেকে হ্যাংগিং করে রাখা যায় আবার রুমের যেখানে হাইলাইট করার প্রয়োজন যেমন বইয়ের তাক,টেবিল, আয়না বা যেখানে চাও সেখানে রাখতে পারো।

প্রাকৃতিক ছোঁয়া

কিছুটা সবুজের ছোঁয়া যেকোন স্থানে একটি বোহো ভাইব যোগ করে। প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে রুমে যোগ করা যেতে পারে বিভিন্ন প্ল্যান্টসের। বোহো শয়নকক্ষে বিভিন্ন রঙ, টেক্সচার এবং প্যাটার্ন যোগ করার সময় গাছপালা একটি লোভনীয় অনুভূতি আনতে সাহায্য করে। বড় সাইজের গাছ রুমের কর্নারে রাখা যেতে পারে। আর ছোটখাট গাছ হ্যাংগিং প্ল্যান্টারের সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে।

কালারফুল রাগ

বিভিন্ন কালারফুল রাগ বা কার্পেট হল একটি বোহো বেডরুমের প্রধান আকর্ষন। বোহো চটকদার, মধ্য-শতাব্দীর আধুনিক এবং গ্লযাম সবকিছুর সম্মিলিত উপাদান। একটি বোহো শয়নকক্ষে স্তরবিশিষ্ট কালারফুল রাগের ব্যবহার আকর্ষনীয় লুক দেয়।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যামনের মত ঘরস্বাস্থ্যহেঁসেল

ঝকঝকে থাকুক হেঁসেল

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২৪, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

সকালে নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের খাবারের প্রিপারেশন, তৈরি করা সবকিছুই হয়ে থাকে রান্নাঘরেই। দিনের বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় গৃহিণীদের এই রান্নাঘরেই কেটে যায় অনেকখানি সময়। যেখানে এত এত মজাদার খাবার তৈরি, সেটারও চাই কিছু যত্নের, কিছু ভালোবাসার। আর এই যত্ন, এই ভালোবাসার নিদর্শন হলো রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা। এখন মনে হতে পারে, রান্নাঘর তো পরিষ্কার করা হয়ই। এক্ষেত্রে পরিষ্কার বলতে এর খুঁটিনাটি পরিষ্কার করাকে বুঝায়। আর এই বিষয়ে কিছু টিপস জানতে পড়তে থাকো এই লেখাটি।

-পরিষ্কারের জন্য প্রথমেই যে স্টেপ ফলো করতে হবে তা হলো রান্নাঘরের অন্তর্ভূক্ত নয় এমন জিনিস সব একত্রে জড়ো করে সরিয়ে নেয়া। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত স্টাফ থাকলে জায়গাটি আরও মেসি হয়ে থাকবে। পরিষ্কার শেষে যেসব জিনিস রান্নাঘরে নিত্য প্রয়োজন হয় তা সেখানেই রাখতে হবে, আর যেসব জিনিস অকেশনালি প্রয়োজন হয় তা কিচেন ড্রয়ারে বা কাউন্টার টপে রাখতে হবে।

-রান্নাঘরের গুরুত্বপুর্ণ জায়গা হচ্ছে সিঙ্ক। কুটাবাছা, তা ধোয়া,থালাবাসন পরিষ্কার করা সবকিছুই হয়ে থাকে এই সিঙ্কে। যখনই কোন কিছু ধোয়া সম্পন্ন হয়ে যায় সাথে সাথেই সিঙ্কটিকেও পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর এক সপ্তাহ পর পর লেবুর রস ও কিছুটা বেকিং সোডা দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে সিঙ্ককে ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। যে কোন দাগ দূর করতে এই মিশ্রণ অনেক কার্যকর।

-স্টেইনলেস স্টিলের সিঙ্ককে পোলিশ করতে আরেকটি চমৎকার ওয়ে আছে। সিঙ্কটি প্রথমে ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর কিছুটা ময়দা নিয়ে পুরো এরিয়াতে ছিটিয়ে দাও এবং বাফিং করো। ধাতুটি কতটা চকচকে হয় তা দেখে অবাক হয়ে যাবে।

-অনেক সময় সিঙ্কের ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা ধীর গতিতে হতে দেখা যায়। এই থেকে প্রতিকার পেতে চাইলে ড্রেনেজ লাইনের পাইপে কিছুটা ডিশ সোপ দিয়ে গরম পানি চালনা করে দিতে হবে। গ্রীস কাটার জন্য ডিশ সোপ তৈরি করা হয়। সাধারণত সেই গ্রীস বাসার থালা-বাসন, রান্নার পাত্রে থাকে যা পরবর্তীতে ড্রেন বা পাইপেও জমা হতে থাকে।

-পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরেকটি কমন যে সমস্যায় আমরা পরে থাকি তা হল রান্নাঘরে সিঙ্কের কল বা এমনকি ঝরনার মাথাও সময়ে সময়ে ক্লগ বা আটকে থাকে। এইক্ষেত্রে কোন প্লাস্টিকের ব্যাগে ভিনেগার নিয়ে তাতে শুধুমাত্র কলটি ভিজিয়ে রাখো এবং তারপর কিছু সময় পর পানি চালিয়ে দাও। এটা নিজ থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

-রান্নাঘরের প্রধান বস্তুটি হলো চুলা, যা প্রতিনিয়তই ব্যবহৃত হচ্ছে। রান্নার সময় তেল ছিটকে পরা, তরকারির ঝোল পরা খুবই কমন ব্যাপার। তাই প্রতিদিন এর পরিষ্কার করা জরুরী। রান্না শেষেই চুলা অফ করে যেকোন ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। প্রতিদিন যদি করা যায় তবে চুলাও যেমন পরিষ্কার থাকবে তেমনি পরিশ্রমও কম হবে।

-চুলা পরিষ্কার করতে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো বেকিং সোডা। চুলা হালকা গরম থাকা অবস্থায় বেকিং সোডা এবং পানি মিশিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দাও। জেদী দাগ দূর করতে এটি চমৎকার কাজে দেয়। এতে জীবাণু নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাজে গন্ধও দূর হবে।

-চুলা পরিষ্কারের পাশাপাশি এর বার্নার পরিষ্কার করা জরুরী। ভাতের মাড়, দুধ উথলে পরে বার্নারের ছিদ্রগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সাদা ভিনেগার ও পানির মিশ্রণ অথবা বেকিং সোডা দিয়ে বার্নারগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরে টুথব্রাশের সাহায্যে তা ঘষে সহজেই পরিষ্কার করে ফেলা যাবে। মাসে অন্তত একবার হলেও এই বার্নারগুলো খুলে পরিষ্কার করতে হবে।

-রান্নাঘরের কিচেন চিমনি, হুড, এগজস্ট ফ্যানের সাহায্যে রান্নার মশলা ও তেল বাষ্প হয়ে বাইরে চলে যায়। এতে রান্নাঘর তেল চিটচিটে ভাব কম হয়। সময়ে সময়ে এগুলোও পরিষ্কার করতে হবে। কঠিন ময়লা বসার আগেই যেকোন লিকুইড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। আর যদি ময়লা বেশি পরে যায় তবে এক্ষেত্রে বেকিং সোডা হবে আদর্শ।

– কাঁচা সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংশ সব কিছুর কুটাবাছা, পরিষ্কার করা হয় রান্নাঘরেই। তাই এখানে নোংরা ও দূর্গন্ধ ছাড়াবার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। এক্ষেত্রে রান্নাঘরে ব্যবহৃত ময়লার ঝুড়িটি অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত হতে হবে। এতে গন্ধ ছড়াতে যেমন পারবেনা তেমনি মশা মাছির উপদ্রব থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। ঝুড়ির নিচে এক্সট্রা পলিথিন ব্যবহার করলে ময়লা ফেলার সময় অসাবধানতাবশত তা ঝুড়ির নিচে পরে থাকার চান্স থাকবেনা। এবং যতদ্রুত সম্ভব ময়লা রান্নাঘর থেকে বাইরে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝে মাঝে এই ঝুড়ি ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।

-কিচেন ড্রয়ার বা কাউন্টার টপ থাকলে কাজের জিনিসপত্র ছিটিয়ে না থেকে তা সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখা যায়। কিন্তু তাই বলে যা পাওয়া যায় সবই এতে চেপে চেপে না রেখে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস সুন্দর করে অর্গানাইজ করে রাখতে হবে। এতে কাজে যেমন সুবিধা হবে, তেমনি নোংরাও কম হবে। মাঝে মাঝে এগুলো খুলে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

-রান্নার কাজে ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি যেমন, ব্লেন্ডার, মাইক্রোওভেন ব্যবহার হয়। এগুলোর ব্যবহারের পাশাপাশি যত্ন নিলে তা অনেকদিন টিকে থাকে। ব্লেন্ডার ব্যবহারের পর পরই এর ভেতর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে না হয় এতে গন্ধ রয়ে যাবে। কটু গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহারের পর ব্লেন্ডারে সামান্য লিকুইড সাবান দিয়ে আবার ১০ সেকেন্ডের জন্য এটা চালিয়ে দিতে হবে। এর পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই নিমিষেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মাইক্রোওভেন অনেকদিন কাজ করার পর ভেতরের দিকে এক ধরনের গুমট গন্ধ হয়ে থাকে। প্রত্যেকবার কাজের শেষে একটি যেকোন গ্লাস ক্লিনার দিয়ে কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।এছাড়াও একটি পাত্রে কিছু পানি এবং ছোট ছোট টুকরো করা লেবু নিয়ে তা ওভেনে ঢুকিয়ে চালু করে দিতে হবে। তরলটি ফুটে উঠলে বন্ধ করে দিতে হবে। দরজা না খুলে এভাবে রেখে দিতে হবে ৫ মিনিট। এতে ভেতরে ময়লা দূর হওয়ার পাশাপাশি সুন্দর একটা গন্ধ বের হবে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গঅন্দরের ডায়েরিঘরকন্যামনের মত ঘররোদসীর পছন্দ

ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু ভুল

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

কথায় বলে, “হোম ইজ হোয়ার ইউর হার্ট ইজ।“ বাসা ছোট হোক কিংবা বড় সকলেই তা মনের মত করে সাজাতে চায়। পর্যাপ্ত ধারনা না থাকায় দেখা যায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে কমন কিছু মিসটেকের কারনে পুরো শ্রমটাই পন্ড হয়ে যায়। এই ধরনের কিছু কমন মিসটেক নিয়েই আজকের আয়োজন।

মনের মত করে একটি ঘর সাজানো সহজ মনে হলেও ব্যাপারটি আসলে ততটা সহজ নয়। সঠিক আসবাবপত্র নির্বাচন, নিখুঁত রঙ, স্থানভিত্তিক সর্বোত্তম আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা, সঠিক লাইটিঙের ব্যবস্থা এবং এসব কিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা রীতিমত সংগ্রামের মত অবস্থা। আর সবকিছুর মধ্যে যদি কিছুটা পারফেকশনের ভাব না আসে তবে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।   বেশিরভাগ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের মতে, ঘর ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই কিছু কিছু ব্যাপারে সাধারণ কিছু ভূল করে থাকে। এগুলো চিহ্নিত করে তা সামঞ্জস্য করে নিলে ঘরকে আরও নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা যাবে। তাদের মতে এই কমন মিসটেকগুলো হল-

ভুল আলো নির্বাচন করা

ঘর ডেকোরেশনে সঠিক আলো বা লাইটিঙের ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তোমার ঘর বা রুমটি দেখা যায় সব দিক দিয়েই পারফেক্ট, কিন্তু যখনই তুমি সেখানে কোন হার্শ আলো অথবা একদমই ডিম আলো যোগ করো; এটি তৎক্ষণাৎ সব ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। সঠিক আলোক ব্যবস্থা শুধুমাত্র দেখতে সহজ করেনা- এটি একটি স্থানকে আরও গতিশীল অনুভব করতে সহায়তা করে। তাই স্থান ভেদে ওয়ার্ম এবং উজ্জ্বল আলো ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্ষেত্রেবিশেষে লেয়ার লাইটিংও একটা ডিফারেন্ট লুক দেয়। এজন্য পাশাপাশি ফ্লোর ল্যাম্প বা টেবিল ল্যাম্পও যোগ করা যেতে পারে।

রঙ নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের ভয়

রঙের সংযোজন একটি ঘরের অনুভূতিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারে। ঘরকে রঙ করার ক্ষেত্রে আমাদের বেশিরভাগই পছন্দ থাকে সাদা বা হালকা ধাঁচের রঙের দিকে। কিন্তু কিছু কিছু উজ্জ্বল রঙ আছে, যার ব্যবহারে জিনিসগুলোকে উজ্জ্বল করে এবং একটি স্থানকে আরও ভাল দেখায়। কিন্তু অনেকেই এই কালার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পায়। প্রতিটি রুমকে যে বোল্ড হতে হবে তা কিন্তু নয়, কিন্তু সমস্ত সাদা বা সমস্ত বেইজ স্পেস সাদারণত অনুপ্রাণিত করেনা। রঙের একটি সুবিবেচিত এবং রুচিশীল ব্যবহার- এমনকি তা যদি হয় শুধুমাত্র ফোকাল প্রাচীরেও, তবে রুমটি হবে আরও প্রাণবন্ত।

ফার্নিচার এরেঞ্জমেন্ট

রুম ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটি প্রবৃত্তি থাকে সকল ফার্নিচার স্বয়ক্রিয়ভাবে দেয়ালের বিপরীতে ধাক্কা দিয়ে রাখা। যদিও কখনও কখনও এটি কাজ করে, বিশেষ করে ঘরটি যদি খুবই ছোট হয়। তবে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ক্ষেত্রে একেও ভুল হিসেবে গন্য করা হয় যা বেশিরভাগ লোকেরা বুঝতে পারেনা। একটি বড় বা লম্বা রুমে সকল বসার সিট একসাথে জড়োবদ্ধ না করে আলাদা আলাদা বসার জায়গা করলে ভালো দেখায়।

মাত্রাতিরিক্ত জিনিস যোগ করা

প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাজসজ্জার আনুষঙ্গিক (বড় এবং ছোট উভয়ই) যুক্ত করা সহজেই একটি ঘরকে বিশৃঙ্খল এবং অগোছালো দেখাতে পারে। যেখানে যা দরকার, যতটুকু দরকার তা প্রথমে বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী সংযোজন করতে হবে। এতে দেখতেও ভালো লাগবে, চোখেরও আরাম লাগবে।

স্থান পরিমাপ না করা

প্রায় প্রতিটি ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা সম্মত হন যে অনেকেই বিভিন্ন আসবাবপত্র যোগ করা আগে ঘরের অনুপাত এবং আকার বিবেচনা করেনা। কোন কিছু কেনার আগে রুমের পরিমাপ করা জরুরী। সঠিক পরিমাপের অভাবে কক্ষগুলোকে সঙ্কুচিত ও জনাকীর্ণ দেখায়। পর্যাপ্ত পরিমানে হাঁটাচলার জন্য স্পেস ছেড়ে রুমের সাথে মানানসই সঠিক আসবাব নির্বাচন করা জরুরী।

পর্দার ঝুল কম দেয়া

বেশিরভাগ মানুষই পর্দাগুলো সঠিক উচ্চতায় দেয়না, কিন্তু এটি একটি ভুল যা সহজেই একটি জানালা বা দরজার সম্পূর্ন চেহারা পরিবর্তন করিয়ে দেয়। সঠিক উচ্চতায় পর্দা না রাখলে তা জানালাকে ছোট করে এবং সিলিংকে নিচু মনে করে। এর সমাধান হল এর রডটিকে প্রায় সিলিং পর্যন্ত তোলা। একে উপরে ঝুলিয়ে রাখলে ঘরকে আরও বড় দেখায়। এটি জানালাগুলোকে লম্বা করে তুলবে এবং জাদুকরীভাবে সিলিংকে আরও উঁচু মনে করবে।

ভুল গালিচা নির্বাচন

রুমের মাঝে ব্যবহৃত রাগ বা গালিচা যদি ছোট হয় তবে তা সম্পুর্ণ ঘরের নকশাতে প্রভাব ফেলবে এবং ঘরকেও ছোট দেখাবে। যদি রুমের জন্য ছোট গালিচা ইতোমধ্যে কেনা হয়ে যায়, তবে চিন্তা নেই। এই পরিস্থিতিতে তা সেট করার জন্য নিচে আরেকটি বড় গালিচা যোগ করে দিতে পারো। এতে ব্যাপারটি আরও ইউনিক দেখাবে।

ছোটখাটো ব্যপারগুলো উপেক্ষা

রুমকে আরও দূর্দান্ত ও পারফেক্ট দেখাতে ছোটখাটো সকল ব্যপারগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। দরজার হ্যান্ডেল তেকে শুরু করে ছোট ছোট হার্ডওয়্যার, কেসিং স্কেল এমনকি সুইচ এবং আউটলেটগুলোর বিষয়গুলো উপেক্ষা করা যাবেনা। এই কলের ক্ষেত্রে একটু ভালো মানের এবং সুন্দর পণ্য বিবেচনা করলে তা রুমকে আরো আকর্ষনীয়  করে তুলবে এবং তা অতিথিদের নজরও কাড়বে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকেনাকাটাঘরকন্যামনের মত ঘর

ঘরজুড়ে পর্দা

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ৭, ২০২২

শায়লা জাহান

 

পর্দার আইডিয়া পরিবর্তন করা মানে সেই স্থানটির ভাইব পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। বিভিন্ন পর্দার ফেব্রিকস, স্টাইলস এবং ঝুলানোর ধরন সেই রুমের সম্পূর্ন লুকটাই চেঞ্জ করে দেয়। ঘরের এক এক রুমের জন্য এক এক প্যাটার্নের পর্দা ডিমান্ড করে। এক্ষেত্রে কিছু বিবেচ্য বিষয় মাথায় থাকলে পর্দা নির্বচন সহজ হয়ে যায়।   

ঘর সজানোর চিন্তা যখন মাথায় আসে তখন এই রিলেটেড আমরা কত কিছুই না করি। পর্দাই এককভাবে ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে বা বাড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র প্রাইভেসি রক্ষা বা প্রয়োজনে আলো থেকে দূরে রাখা পর্দার কাজ নয়, এটি গৃহসজ্জার একটি প্রভাবশালী উপাদান। ঘরের পর্দাও আসবাবের মতো অনেক কথা বলে। অনেক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের মতে, জানালা এবং পর্দা যেকোন স্পেসের মুডকে সংজ্ঞায়িত করে। তাই সেগুলো বেছে নেওয়া একটি বড় সিদ্ধান্ত। ওপেন স্পেস বলতে ঘরের সেই একক বড় রুমকে বোঝায় যা প্রায়শই বসার ঘর, খাবার ঘর এবং কিচেনের জায়গাগুলিকে একত্রিত করে। প্রতিটি এই ধরনের ওপেন স্পেসের লেআউট একই নয় তবে এই ডিজাইনের সর্বাধিক ব্যবহার করার জন্য সঠিক ধরনের উইন্ডো পর্দা নির্বাচন করা কঠিন। তোমার জীবনধারা, আসবাবপত্র, নান্দনিক পছন্দ এবং কার্যকরী প্রয়োজনের মতো এই ধরনের বিন্যাসের জন্য পর্দা কেনার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় মনে রাখা উচিৎ।

কৌশলগতভাবে আলোর ব্যবহার

উন্মুক্ত এই ধরনের স্থানগুলোতে, স্থানটিকে উজ্জ্বল, এয়ারি এবং আরও প্রশস্ত রাখার নিমিত্তে আগত আলো ব্যবহার করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিৎ। হালকা ওজনের কাপড়ে মানানসই পর্দা বেছে নাও যা অবাধ আলো বাতাস চলাচলে সহায়ক হবে। যদি পর্দা টানা থাকা অবস্থায় ঘরকে উজ্জ্বল এবং বায়বীয় রাখতে ইনকামিং লাইট ফিল্টার করতে চাও, তাহলে লিনেন এবং লেসের মতো নিছক বা ট্রান্সলুসেন্ট কাপড় বেছে নাও।

ফোকাস করা

এই ধরনের স্পেস ডিজাইনে পৃথক এলাকাগুলোর মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ চেহারা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ন। প্রথমে জায়গাটির লেআউটটি একটি বড় আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্র বা এটি অনিয়মিত কিনা তা পরীক্ষা করো। পর্দার রঙ, প্যাটার্ন, টেক্সচার, ফেব্রিক নির্বাচন করার সময় স্থানের রঙের স্কিম এবং সাজসজ্জার শৈলীটি নোট করো। যদি আয়তক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র বা একটি অনিয়মিত বিন্যাসের জন্য সমন্বিত পৃথক অঞ্চল তৈরি করতে চাও, তাহলে এমন পর্দা বেছে নাও যা আশেপাশের আসবাবপত্র ও গৃহসজ্জার সামগ্রীর সাথে পরিপূরক বা মেলে।

আরামের নিশ্চয়তা

যেহেতু এই ধরনের খোলা মেঝে লেআউটে একটি একক বড় এলাকা আছে, খুব বেশি সরাসরি সূর্যালোক বা খারাপভাবে উত্তাপযুক্ত জানালা স্থানের তাপমাত্রাকে অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে। ঠান্ডা শীতের মাসগুলোতে বাড়ির ভেতর আরামদায়ক ও উত্তাপ রাখতে, তাপীয় রেখাযুক্ত পর্দা ব্যবহার করলে ভালো হয়। রেখাযুক্ত পর্দাগুলো গ্রীষ্মের মাসগুলিতেও উপযুক্ত যখন তোমাকে সূর্যকে অবরুদ্ধ করতে হবে এবং অন্দর উপাদান যেমন মেঝে, গৃহসজ্জার সামগ্রী, আসবাবপত্র ইত্যাদিকে ইউভি ক্ষতি এবং বিবর্ণতা থেকে রক্ষা করতে হবে।

ফোকাল পয়েন্ট সুন্দরকরণ

বড় বা ছোট জানালা, একটি খোলা মেঝে পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু। স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করার জন্য পর্দাগুলো সাবধানে বেছে নিতে হবে। টেক্সচার এনং প্যাটার্ণ এমনভাবে চুজ করতে হবে যা ঘরের সাজসজ্জার নান্দনিক আবেদন বাড়ায়।

অভ্যন্তরীণ লেআউট বিবেচনা

ঘরের এই ওপেন স্পেসটি কি অনিয়মিত আকারের? এক্ষেত্রে বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের পর্দা বেছে নিতে পারো। তবে যে ধরনের পর্দা হোক না কেন সেগুলোর মধ্যে যেন একটি সু-সমন্বিত ও সুবিন্যস্ততা থাকে। ওপেন কিচেন থাকলে তাতে কিছু পুঁতি বা শেলের ঝুলন্ত পর্দা এড করা যেতে পারে তাতে এক অন্য লুক সৃষ্টি করবে।

নিজস্ব লাইফস্টাইল বিবেচনা

খোলা মেঝে পরিকল্পনার জন্য পর্দা নির্বাচন করার সময় সর্বদা কার্যকারিতা বিবেচনা করা উচিৎ। উদাহরণস্বরূপ, কম সিলিং সহ একটি রান্নাঘরের জন্য পর্দা বাছাই করার সময় রঙ্গীন কালার এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। কারন এটি এলাকাটিকে ছোট এবং আরও ঘনবসিপূর্ন দেখাতে পারে। রোলার ব্লাইন্ডের মতো শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি ব্লাইন্ডগুলো একটি ভালো চয়েস হবে কারন এগুলো পরিষ্কার করা সহজ এবং ফ্যাব্রিকের তুলনায় আগুনের ঝুঁকি কম।

লেন্থ এবং লাইনিং বিবেচনা

পর্দার রেল বা ঝুলন্ত প্যানেলটি যখন জানালার একটু উপরে ঝুলিয়ে রাখা হয়, তখন এটি স্থান এবং উচ্চতার অনুভূতি দেয়। অতএব, পর্দা পরিমাপ করার সময়, সর্বদা পর্দাটি যেখানে ঝুলাতে চাও সেটার পরিমাপ নাও। ট্র্যাডিশনাল লুকের জন্য জানালা থেকে ২-৩ ইঞ্চি নিচে মাপ নাও আর আধুনিক, ড্রামাটিক লুক চাইলে প্রায় ৬ ইঞ্চি পরিমাপ করো। প্রস্থ অনুযায়ী, সূর্যালোক আটকাতে উভয় পাশে কয়েক ইঞ্চি অতিরিক্ত রাখতে হবে। বড় দরজা বা জানালার জন্য ভারী কাপড় নিতে হবে যাতে বাতাসে বেশি ওঠানামা না করে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিগার্ডেনিংঘরকন্যামনের মত ঘর

মনের প্রশান্তি দিবে ভার্টিকেল গার্ডেন

করেছে Shaila Hasan নভেম্বর ২, ২০২২

শায়লা জাহান

 

তুমি কি জানো যে খুব সহজেই ব্যালকনিতে একটি ভার্টিকেল বা উলম্ব বাগান তৈরি করতে পারো? এমন একটি বাগান করার জন্য অনেক বড় বারান্দা বা স্থানের প্রয়োজন হয়না। জীবনে যদি আরও সবুজ যোগ করার প্রয়োজন হয়, তবেই ছোট ব্যালকনি থেকেই শুরু করতে পারো। আর এইসব কিছু নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন।  

গাছ আমরা কে না ভালোবাসি। সবুজে ঘেরা চারপাশ, যা চোখের শান্তির পাশাপাশি মনকেও এক প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এই শহরে এভাবে মনের মত করে বাগান করা অনেকেরই হয়ে উঠেনা। তাই সময় এবং স্থান সংকুলানের কথা চিন্তা করে ভার্টিকেল গার্ডেন হতে পারে বেস্ট চয়েস। ছোট্ট ব্যালকুনি বা বারান্দায় সূর্যের আলো বাতাসের সুযোগ থাকলে তৈরি করে নিতে পারো এই সবুজ প্রাকৃতিক দৃষ্টি নন্দন দেওয়াল। নূন্যতম পরিমান প্রচেষ্টার বিপরীতে সর্বাধিক রিটার্ন পাওয়া যায় এই ধরনের বাগানে। একদম সিম্পল থেকে শুরু করে জটিল পর্যায়ের এই ক্রিয়েটিভ কাজ এক সুন্দর ও মনোরম সবুজে পরিবেষ্টিত লুক দিবে।

এই ভার্টিকেল বাগানে কি গ্রো করা যায় তা গবেষণা করার আগে বিবেচনা করা প্রথম জিনিসটি হল তোমার বারান্দায় এই ধরনের বাগানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আছে কিনা। স্থান বা আকার নির্বিশেষে সবুজের বৃদ্ধির জন্য কিছু জিনিস বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন-

-গাছের কতটা সূর্যালোক লাগবে তা নির্ভর করে এর ধরন এবং প্রজাতির উপর। কিছু গাছ সরাসরি সূর্যালোক পছন্দ করে, যেখানে অন্যরা ছায়ায় বৃদ্ধি পায়। তোমার বারান্দায় কেমন সূর্যের তাপ আসে এবং গাছপালা পূর্ব বা পশ্চিমমূখী হওয়া প্রয়োজন কিনা তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ন।

-বৃষ্টি, অত্যাধিক হাওয়া, রোদ-এই উপাদানগুলোর উপস্থিতি বারান্দায় কেমন এবং এগুলো মোকাবেলায় গাছগুলো সক্ষম কিনা, তাও মাথায় রাখতে হবে। কারন অনেক সময় যদি দেখো বারান্দায় প্রচুর বাতাস আছে, তাহলে গাছও বাতাসের দ্বারা প্রভাবিত হবে। কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যেগুলো চরম ঠান্ডা বা গরমে বাঁচতে পারেনা। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি হলে সেক্ষেত্রে গাছগুলোকে কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে নতুবা ভিতরে নিয়ে যেতে হতে পারে।

-যেহেতু এই ধরনের বাগানে গাছগুলোকে সরাসরি মাটিতে রোপন করা হয়না, তাই মূলের আকারের পাশাপাশি গাছের আকারের উপরও গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। কিছু গাছপালা বেশ বড় হতে পারে এবং বড় পাত্রের প্রয়োজন হতে পারে। যদি এমন হয় তবে সেই গাছগুলো এই রকম উলম্ব বাগানের জন্য পারফেক্ট নয়।

-এই ধরনের বাগানের জন্য যে স্থানটি নির্বাচন করা হবে তার আকারের উপর নির্ভর করে এটি বর্ধিত করতে হবে। এর স্থাপন এবং বাগানটি লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সেভাবে জায়গা রাখতে হবে।

বারান্দায় ভার্টিকেল বাগান স্থাপন করার জন্য কী দরকার?

উপরে উল্লেখিত বিবেচিত বিষয়গুলো যদি সব হয়ে যায় তাহলে বলা যায় তমার বারান্দাটি একম ভার্টিকেল গার্ডেনের জন্য উপযুক্ত স্থান। এখন এটি স্থাপনের জন্য যা যা দরকার-

-তোমার বারান্দার এমন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে প্রচুর উলম্ব জায়গা রয়েছে, যাতে গাছপালা গুলো সঙ্কুচিত হওয়ার চান্স না থাকে। এছাড়াও গাছের বৃদ্ধির জন্য জায়গাটিতে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের চলাচল ঘটে।

-উলম্ব বাগান স্থাপন করার আগে, গাছপালাগুলো যেখানে উন্মুক্ত হবে সেখানকার পরিবেশ বিবেচনা করো। বৃষ্টি কি বারান্দায় আসে? কত ঘন ঘন বৃষ্টি হয়? জলবায়ু কতটা গরম বা ঠান্ডা? এইসব প্রশ্নের উত্তরের উপর নির্ভর করবে বাগানটি কোথায় স্থাপন করবে। ছোট জায়গায় যেহেতু গাছে পানি দেয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম রাখা হয়না। তাই বৃষ্টির সময় খেয়াল রাখতে হবে পানি দেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা বা গাছগুলোতে পানি জমে আছে কিনা। আবার যদি সরাসরি একটানা রোদের তাপ পায় তা থেকে বাঁচতে শামিয়ানা টানানো হতে পারে।

-এই বাগানে গাছপালাগুলো যেহেতু লম্বালম্বিভাবে স্থাপন করা হয়, তাই অতিরিক্ত ওজন এড়ানোর জন্য এতে মাটির পরিমান অনেক কম থাকে। এখানে সাধারনত ব্যবহৃত হয় কোকপিট, জৈব সার এবং অল্প পরিমানে মাটি। মাটির পরিমান কম থাকার দরুন গাছে ক্ষতিকর পোকামাকড় তৈরি হওয়ার চান্স কম থাকে।

-মাটির কম ব্যবহারে পোকামাকড় কম হলেও বারান্দার অবস্থানের উপরও কিন্তু কীটপতঙ্গ হওয়া নির্ভর করে। তুমি যদি নিচতলায় থাকো তবে কীটপতঙ্গ সহজেই ব্যালকনিতে প্রবেশ করতে পারবে। আবার যদি উঁচু জায়গায় থাকো সেক্ষেত্রে  কিছুটা কম হবে। এইজন্য বাগ প্রতিরোধক মজুদ করে রাখতে হবে।

গাছ নির্বাচন

এই ভার্টিকেল গার্ডেনে এডিবল এবং নন-এডিবল দুত ধরনেরই গাছ লাগানো যেতে পারে। উলম্বভাবে শাকসবজি বাড়ানো যায়। ডাল এবং মটরশুঁটি খুব সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। টমেটো রোপন করা যেতে পারে। কিছু প্রজাতির স্কোয়াশ আছে যা উলম্বভাবে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও অন্যান্য শাকসবজি যেমন, লেটুস, ব্রকোলি, লালশাক, পালংশাক, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি দিয়েও এই বাগান সাজানো যায়। আর নন-এডিবল যেমন, মানিপ্ল্যান্ট, ফার্ণ, স্পাইডার প্ল্যান্ট, ড্রাসিনা, রিও ইত্যাদি  গাছ দিয়েও মনের মত করে সাজানো যেতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যামনের মত ঘর

ঘর সাজুক বোহেমিয়ান ঢংগে

করেছে Shaila Hasan অক্টোবর ১৭, ২০২২

শায়লা জাহান

ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে ঘেরা ঘরকে মনের মত করে সাজাতে আমাদের কত প্রানান্তকর চেষ্টা। একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন লুক দিতে অনেক কিছুরই এক্সপেরিমেন্ট চলে। সিম্পল কিন্তু সফিস্টিকেটেড লুক দিতে দিনের পর দিন বোহেমিয়ান স্টাইল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  

ইন্টেরিয়র ডিজাইনে বোহেমিয়ান স্টাইল ১৯ শতকে ফ্রান্সের প্যারিসে শুরু হয়েছিল। এটি শিল্পী, লেখক অভিনয়শিল্পী এবং যাযাবরদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল ,যারা বিশ্বাস করত যে সৃজনশীলতা অর্থের চেয়ে বেশি মূল্যবান। চেক প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমাঞ্চলের একটা জায়গা বোহেমিয়া। যে অঞ্চলের মানুষেরা নিজেদের নিয়মে জীবন যাপন করে, গতানুগতিক নিয়মের বেড়াজালে নিজেদের আবদ্ধ রাখেনা। তাদের জীবনযাত্রার সাথে আমরা যে অর্থে বোহেমিয়ান শব্দটি ব্যবহার করি তার কোন মিল না থাকলেও, ঘরের সাজসজ্জায় প্রচলিত নিয়ম না মেনে পুরোপুরি মুক্ত, খেয়ালখুশি ধারনা গ্রহন করার কারনেই এর নাম এমন দেয়া হয়েছে। এখানে নির্দিষ্ট কোন প্যাটার্ন, টেক্সচার বা রঙয়ের ব্যবহার হয়নি। নেই আধুনিক বা মিনিমালিস্টের মত কঠিন কোন নিয়ম। এর নান্দনিকতার মূল হল ব্যক্তিগত এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। এখন এমন কিছু আইটেমের কথা বলব যা এই বোহেমিয়ান সজ্জার সাথে উপযুক্ত-

-একটি চমৎকার বেতের ডিম্বাকৃতির চেয়ার ঘরে এক কোজি লুক এনে দেয়। বই পড়া বা অলস সময় কাটানোর জন্য এটা খুবই আরামদায়ক। চেয়ারের চারপাশে স্ট্রিং লাইট লাগিয়ে দিলে আরো কুল ও স্ট্যারি-নাইট ইফেক্ট যোগ করবে

-মসৃণ, নন-স্লিপি এবং সিম্পল প্যাটার্নের বাথরুম রাগ যা ধোয়াযোগ্য, টেকসই। এটি শুধু বাথরুমেই নয় রান্নাঘর ও প্রবেশপথেও সুন্দর দেখাবে।

-চামড়ার হাতল সহ সুন্দর ঝুলন্ত ঝুড়ি যা মাল্টিটাস্কিং সজ্জা হিসেবে চমৎকার। এগুলো কাগজপত্র রাখতে, অর্গানাইজার হিসেবে অথবা ছোট গাছের প্ল্যান্টার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

-বোহেমিয়ান সজ্জায় ম্যাক্রমের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সোফা, বিছানা বা হলে খালি জায়গায় ম্যাক্রমের ওয়াল হ্যাংগিং নতুন লুক সংযোজন করে।

-বোহেমিয়ান সজ্জায় ঘরের ভেতর গাছের আধিক্য বেশ দেখতে পাওয়া যায়। আর এই প্ল্যান্টসগুলো ডেকোরের জন্য সুন্দর সুন্দর বেতের প্ল্যান্টার ব্যবহার করা হয়। আর এই প্ল্যান্টার সহযোগে গাছগুলো আরো গর্জিয়াস লুক দেয়।

-ঘরের সৌন্দর্য না নষ্ট করে বড় গাছ ছাড়া অন্যান্য গাছের কাটিংগুলো ছোট ছোট জার দিয়ে তৈরি ঝুলন্ত প্রোপাগ্যাশন প্রাচীরে সাজানো যায়। যা এক এস্থেটিক লুক দেয়।

-ঘরকে একটি আধুনিক অথচ বোহেমিয়ান লুক এনে দেয় ফক্স পাম্পাস গ্রাস। এই চমৎকার ডালপালাগুলো ঘরের যে কোন স্থানকে উন্নত করার একটি সহজ উপায়। শুধু মাত্র লম্বা যে কোন ফুলদানি রেখে দিলেই কেল্লাফতে। এটি আপন সৌন্দর্যে শোভিত হবে।

-চকচকে ক্রিস্টালের ঝাড়বাতির পরিবর্তে হাতে বোনা বেতের হাংগিং ল্যাম্প যা নিখুঁত বোহেমিয়ান ঝাড়বাতির ইফেক্ট তৈরি করবে। এটি ডাইনিং টেবিল বা শোবার ঘরে এড করা যেতে পারে।

-সুন্দর ম্যাক্রেম ঝুলন্ত ঝুড়ি, যা ফল স্টোরেজ করতে, বিউটি প্রোডাক্টস বা গাছপালা সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

-বাথরুম,বেডরুম বা রান্নাঘরের সাজসজ্জার জন্য একটি ম্যাক্রেম ঝুলন্ত শেলফ । এই সুন্দর শেলফটি প্রমান করে যে ঘরের প্রতিটি ইঞ্চিতে একটি বোহো থিম থাকতে পারে যদি তুমি চাও।

-কাউচ, বিছানা বা চেয়ারে কিছু কালার যোগ করতে চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে মখমলের কুশন কভার। বোহো স্টাইলে কোন ধরাবাঁধা রঙ বা প্যাটার্ন মানা হয়না। তাই ভিন্ন ভিন্ন কালারফুল কুশন কভার একটি দৃষ্টিনন্দন রুপ দেবে।

-ম্যাক্রমের ব্যবহার বোহো সজ্জায় যে কেমন ব্যবহার হয়  তা তো আমরা জানি। একটি মজবুত ম্যাক্রেম হ্যামক সুইং চেয়ার যা ঘরের ভেতর বা বাহিরে উভয়ই ঝুলানো যেতে পারে। প্রিয় বই পড়তে পড়তে দোল খাওয়ার জন্য এর চাইতে ভালো অপশন আর কিছু হতে পারে বলে মনে হয়না।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook