রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

মনের মত ঘর

অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রামনের মত ঘর

সৌন্দর্য বাড়ায় সিলিং সজ্জা

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২

রুবাইয়া রুবি

অন্দরের শোভা বাড়িয়ে দেয় দৃষ্টিনন্দন সিলিং। বাহারি নকশা, আলো আর রঙের ছটায় সাজানো সিলিং অন্দরের অন্তরে এনে দেয় ভিন্নমাত্রা। তাই মূল সিলিং কিংবা ফলস সিলিং যা-ই হোক, পছন্দসই থিমে সাজিয়ে নেওয়া যায়। অন্দরকে আকর্ষণীয় ও অভিজাত লুক এনে দেবে সঠিক সিলিং সজ্জা।

 

রুমভেদে বাজেট নির্ধারণ
প্রতিটি বাড়িতেই একাধিক রুম থাকে। তাই প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে কোন রুমে কোন ধরনের সিলিং দিয়ে সাজানো হবে। ঘরে রুম যদি বেশি থাকে, তাহলে বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে প্রথমেই। তা না হলে পছন্দসই থিম ও বাজেটের দ্বন্দ্বে আগ্রহ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই রুম নির্বাচন করে রুমের সংখ্যার সঙ্গে জুতসই সিলিংয়ের পরিকল্পনা করা সহজ হবে।

রং ও নকশায় মেলবন্ধন
রুমভেদে সিলিংয়ের রং ও নকশার ক্ষেত্রে তারতম্য হয়ে থাকে। কারণ, একেক রুমের উচ্চতা একেক রকম। রঙের নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। ছোট ফ্ল্যাটের রুমগুলো বড় দেখানোর জন্য কিংবা কম উচ্চতার ক্ষেত্রে রুমগুলোর ক্ষেত্রে পার্থক্য নিয়ে আসতে রং ও নকশার ব্যবহার খুব গুরুত্ব রাখে। তবে প্রথমে দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সিলিংয়ের রং সামঞ্জস্য নিয়ে আসতে হবে। ভিন্ন ধাঁচের নকশার সঙ্গে আলোর ব্যবহারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই লাইটের সংযোজনে রঙের প্রভাব আগে মিলিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

  • সবুজে সাজানো অন্দর
  • হবু মায়ের উপযোগী ঘর
  • মেঝের সাজে ম্যাট
  • যত্নে থাকুক আসবাব

আলো-ছায়ার খেলা
সিলিংয়ে আলোর ব্যবহারে পুরো ঘর বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আলোকসজ্জায় অভিজাত লুক এনে দেবে। আলোর ধরনে আছে ভিন্নতা। কোনোটা সিলিংয়ের দিকটায় কিছুটা ছায়া দিয়ে মেঝে আলোকিত রাখে আবার কোনোটা সিলিং আলোকিত রাখলেও আবছায়ায় ঘেরা থাকো পুরো ঘর। এ ছাড়া চাইলে ঘরে রাখা শখের কোনো পেইন্টিং বা কর্নার শোপিস কিংবা শুধু আয়নাকে আলোময় রাখতে সিলিংয়ে স্পটলাইট ব্যবহার করা যায়। তাই কোন ঘরে কেমন রং ও নকশার সঙ্গে কেমন আলো দরকার, তা পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।

রুমভেদে সিলিং সজ্জা
ঘরে প্রতিটি রুমের যেমন ভিন্নতা আছে, তেমনি সিলিংয়েরও রয়েছে রকমভেদ। জিপসাম সিলিং, উডেন সিলিং, প্যারিস প্লাস্টার সিলিং, মেটাল সিলিং, সিন্থেটিক ফাইবার সিলিং ইত্যাদি। তাই রুম অনুযায়ী সিলিংয়ের পছন্দসই নির্বাচন ঘরে এনে দেবে অন্য রকম আবহ। রঙের ক্ষেত্রে শোবার ঘরে নরম আলো দরকার। সে জন্য প্রয়োজন হালকা রং যেমন আকাশি, গোলাপি, সাদা কিংবা নীলাভ। নকশাও বাছাই করতে হবে ছিমছাম। যাতে সিলিংজুড়ে স্নিগ্ধতা বিরাজ করে। জ্যামিতিক নকশার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হলেও শোবার ঘরে গোলাকৃতির নকশার উডেন সিলিং এবং এর সঙ্গে নরম আলোর ব্যবহার ঘুম ঘুম চোখে এনে দেবে প্রশান্তির ছোঁয়া। আর বসার রুমটা বেশ জাঁকজমকভাবে সাজাতে হবে। অতিথি ঘরে ঢুকেই যেন জমকালো একটা ভাব পায়। সে জন্য সিলিংয়ের নকশায় নানা ধাঁচের কাচের সংযোজন করা যেতে পারে। আর এর সঙ্গে মানানসই আলোকচ্ছটা থাকলেই আকর্ষণীয় দেখাবে। ঘর তাপ ও শব্দ নিরোধক করতে চাইলে ফলস সিলিংয়ে মিনারেল বোর্ড ব্যবহার করা ভালো। খাবার রুমের সিলিংয়ের নকশা ও রঙের ক্ষেত্রে সাদামাটা রাখাই ভালো। এ ক্ষেত্রে জিপসাম বোর্ড ব্যবহার করা যায়। যদিও এটি তাপ বা শব্দ নিরোধক নয়। তবে জিপসাম বোর্ডে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা যায়। ফলে খাবার সময় গরমে আরাম দেবে।

 

শিশুদের রুমের সিলিং সাজে আনা যায় নানা রকম ভিন্নতা। প্রজাপতি, সূর্য, ফুল বা পিয়ানো আকৃতির সিলিং তৈরি করে মানানসই রঙে রাঙিয়ে ইচ্ছেমতো আলো ব্যবহার করা যায়। বাথরুমে সাধারণত কম জায়গা থাকে। ভেজাও থাকে। তবু গোসলকে উপভোগ্য করে তুলতে সঠিক সিলিং ও আলোর ব্যবহার করতে হবে। তাই এখানে ফলস সিলিংয়ে কাচ ব্যবহার করা যায়। আর নকশার ভাঁজে ভাঁজে আলোর ব্যবস্থা করলে পানির সঙ্গে আলোর খেলায় এক অদ্ভুত ভালোলাগার পরিবেশ তৈরি হবে। রান্নাঘরে  ড্রপ সিলিং না করা ভালো অর্থাৎ যেটি মূল সিলিংয়ের পুরোটা জুড়ে থাকে। এটি বাণিজ্যিক ভবনগুলোতেই বেশি মানায়। এ ছাড়া সিলিংয়ের ভাঁজে ভাঁজে নকশাদার কাচের ব্যবহারে আভিজাত্যের ছোঁয়া এনে দেয়। আর ফলস সিলিং বিভিন্ন ধরনের লাইট ব্যবহারে ঘরে যেমন চমৎকার আবহ নিয়ে আসবে, তেমনি বেশ নান্দনিক দেখায়।

সিলিংয়ে সতর্কতা

ফলস সিলিং মূলত ব্যক্তিগত পছন্দের আলোকে সব ঘরেই করা যায়। তবে কিচেনে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, এতে কাঠ এবং বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি থাকে। তাই আগুনের সংস্পর্শে এলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

ফলস সিলিং মূল সিলিং থেকে বড়জোর দেড় ফুট নিচে নামাতে পারবে, এর বেশি নয়। কারণ, বর্তমানে ফ্ল্যাটগুলোর ফ্লোর থেকে সিলিংয়ের উচ্চতা সাধারণত সাড়ে ৯ থেকে ১০ ফুট। ছোট ঘর হলে আরও ওপরে করা ভালো।

নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
ভালো মানের রং ব্যবহার করতে হবে।
দুর্ঘটনা এড়াতে দক্ষ শ্রমিক দিয়ে ফলস সিলিং করাতে হবে।
মেরামতের প্রয়োজন হলে অবহেলায় না রেখে দ্রুত সেরে নিতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিমনের মত ঘর

মেঝেতে ওম

করেছে Tania Akter জানুয়ারী ১২, ২০২২

সুরাইয়া নাজনীন

শীতের সাজ হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। ঘরে থাকবে গাঢ় আর উজ্জ্বল রঙের সমারোহ। এ সময়ে হালকা বা অম্লান রঙের বদলে লাল, নীল, হলুদ, কমলার মতো গাঢ় রং ছড়িয়ে দেওয়া যায় ঘরের চার দেয়ালে। এর ফলে শীতের হিমেল হাওয়া খুব একটা জড়সড় করতে পারবে না, তেমনিভাবে মেঝেতেও ওম দেওয়া যায় রঙিন আবেশে, রঙিন কার্পেটে।

 

 

শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডা কিংবা হালকা হিমেল বাতাস দুটিই কিন্তু ঋতুবৈচিত্র্যের আমেজে ভরপুর। তবে ঘরের ভেতরেও আনুষঙ্গিক বাড়তি কিছু সতর্কতা খুব প্রয়োজন এই শীতল মৌসুমে। আমরা বরাবরই গ্রীষ্মকালে ঘরের সাজে হালকা রঙের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু শীতের সাজ হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। ঘরে থাকবে গাঢ় আর উজ্জ্বল রঙের সমারোহ। এ সময় হালকা বা অম্লান রঙের বদলে লাল, নীল, হলুদ, কমলার মতো গাঢ় রং ছড়িয়ে দিতে পারো তোমার ঘরের চার দেয়ালে। এর ফলে শীতের হিমেল হাওয়া খুব একটা জড়সড় করতে পারবে না তোমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে।

আবার গাঢ় এবং উজ্জ্বল রঙে ঘরের প্রতিটি কোণ থাকবে বেশ উষ্ণ এবং আরামদায়ক। তবে যাদের অন্দর আগে থেকেই সাদা রঙে রাঙানো, তাদের চিন্তার কিছু নেই। দেয়ালের সাদা রং পরিবর্তন বা নতুন করে কিছু করতে না চাইলে ব্যবহার করতে পারো ওয়ালপেপার। বর্তমানে বাজারে নানান ধরনের ডিজাইন আর নকশায় ওয়ালপেপার পাওয়া যাচ্ছে। সঠিকভাবে দেয়ালের জন্য ওয়ালপেপার নির্বাচন করে তোলা যায় ঘরের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য।

 

 

মেঝের হিম হিম ঠান্ডা থেকে রক্ষায় খুব প্রয়োজন এ সময় কার্পেট বা শতরঞ্জি। শোবার ঘরে খাটের পাশেও রাখতে পারো ভারী কার্পেট বা শতরঞ্জি। শিশুদের ঘরে মেঝেজুড়েই ব্যবহার করতে পারো শতরঞ্জি। আবার খাটের পাশে, পড়ার টেবিলের পাশে বা দরজায় আলাদা শতরঞ্জি ব্যবহার করতে পারো। ঘরের আসবাবের আকৃতি এবং রং অনুসারে কার্পেট বা শতরঞ্জির ব্যবহার যেন আকর্ষণীয় হয়ে ফুটে ওঠে।

 

 

 

তবে শীতকালের ঠান্ডা বাতাসের পাশাপাশি সবচেয়ে উটকো ঝামেলা হলো মশার আধিপত্য। ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন মশার উপদ্রব বেড়ে যায় বহুগুণে। আর এই সব মশা বিভিন্ন রোগের জীবাণু বয়ে নিয়ে বেড়ায় পাশাপাশি মশার কামড়ে অনেকের অ্যালার্জির মতো সমস্যা হয়। বাজারে মশার প্রতিষেধক অনেক স্প্রে আর ওষুধ রয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক এক সহজ উপায়েও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আর তা হলো ধোঁয়া। ঘরে ধোঁয়া থাকলে অনেকের সমস্যা হয় বা চোখ জ্বালাপোড়া করে। তবে ধূপের গন্ধ বা ধোঁয়া কিন্তু অনেক বেশি সহনশীল। নানান ধরনের সুগন্ধিসহ মশা মারার স্প্রেও ব্যবহার করে নিতে পারো।

 

আর অন্দরে নির্মল উষ্ণ পরিবেশের পাশাপাশি সবচেয়ে দরকারি কাজ হলো পরিচ্ছন্নতা। যতটুকু সাধ্যের মধ্যে থাকবে অন্দর পরিষ্কার রাখতে হবে। দৈনন্দিন পরিচর্যা আর প্রকৃতির নির্মল আলো-বাতাস আমাদের এমনিতেই অন্দরের আভিজাত্য বাড়িয়ে তুলবে। আর ঠান্ডা হাওয়ায় ভরপুর শীত ঋতুর এই আমেজকে উপভোগ্য করে তোলার মাঝেই রয়েছে আনন্দ।

 

 

 

 

 

 

কোথায় কেমন কার্পেট

ড্রয়িংরুমে যখন কার্পেট পাতবে, কার্পেটটা যেন এমনভাবে পাতা থাকে, যাতে সোফায় বসে পা কার্পেটের ওপরে থাকে। ফলে ঘরজুড়ে কার্পেট না পাতলেও চলবে। বেডরুমে কার্পেট পাতার জায়গা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবু খাট থেকে নামার পর যেখানে পা রাখবে, সেখানকার মেঝেতে ছোট একটা কার্পেট পেতে রাখতে হবে, যাতে মেঝের ঠান্ডা সরাসরি পায়ে না লাগে। তবে কার্পেট ব্যবহারে কিছু কথা মনে রাখবে। বাথরুমে বা রান্নাঘরের আশপাশে, অর্থাৎ ভিজে পায়ে বেরিয়েই পা দিতে হয়, এমন জায়গায় কার্পেট রাখবে না একেবারেই। কারণ কার্পেট ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

 

 

 

 

 

নিয়ম মেনে কার্পেট ব্যবহার

শুধু ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে নয়, সৌন্দর্যের বিষয়টিও মাথায় রেখে অন্দরে কার্পেট ব্যবহার করা শ্রেয়। আবার কার্পেটের পাশাপাশি নকশিকাঁথা বা শতরঞ্জিও ব্যবহার করা যেতে পারে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ঘরেও কার্পেট ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে বাহারি রঙের কার্পেটগুলো ওরা খুব পছন্দ করে। শোবার ঘরে বিছানার চাদর ও পর্দার রঙের সঙ্গে মিল রেখে কার্পেট ব্যবহার করা যেতে পারে। আর খাবার ঘরে কিছুটা কালচে রঙের কার্পেট ব্যবহার করা ভালো। একইভাবে ঘরের পুরোটাজুড়ে (ওয়াল টু ওয়াল) কার্পেট বাড়িতে না পাতাই ভালো। কারণ ফিক্সড কার্পেট হলে বারবার সরিয়ে ধুলা পরিষ্কার করা বেশ কঠিন। ভ্যাকিউম ক্লিনারটা নিয়মিত ব্যবহার করবে কার্পেটের ভেতরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে। কার্পেটে ধুলা জমা একটা সমস্যা। বাড়ির কারও যদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে, তাহলে কার্পেটের ধুলায় সমস্যা হতে পারে। আর শীতের সময় তো এ ধরনের সমস্যা একটু বেশিই হয়। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে কার্পেটের ব্যবহার না করাই ভালো।

 

 

 

রকমফের

বসার ঘরে দিতে পারো চৌকোনা কার্পেট, শোবার ঘরে দেওয়া যেতে পারে ডিম্বাকার অথবা গোলাকার কার্পেট। আর রং হবে রুচি অনুযায়ী। তবে ঝঞ্ঝাট কমাতে ব্যবহার করা যায় কফি, চকোলেট, মেরুন, সবুজ, ব্রাউন অথবা জলপাই কালারের কার্পেট। কারণ এই রংগুলো ঘরের যেকোনো রঙের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ঘরের জন্য মোটা কার্পেট ব্যবহার না করাই উত্তম। কারণ, সেগুলো পরিষ্কার করতে বেশ বেগ পেতে হয়।

 

 

 

কার্পেটের যত্ন

কার্পেট সম্ভব হলে বছরে তিনবার পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেটের দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য ড্রাইওয়াশ করাটাই উত্তম। কার্পেট কিছু সময় রোদে দিতে পারো, ফলে রোগজীবাণু ধ্বংস হবে। তবে বেশি সময় রোদে রাখা ঠিক নয়। তাতে কার্পেটের রং এবং স্থায়িত্ব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। তবে কার্পেট পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে উত্তম পন্থা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা। এটা দিয়ে পরিষ্কার ভালো হয় এবং কার্পেটের স্থায়িত্বও বাড়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রামনের মত ঘর

ঘর সাজুক আলোয় আলোয়

করেছে Suraiya Naznin জানুয়ারী ১২, ২০২২

সুরাইয়া নাজনীন

আলোহীন জীবনের কথা আমরা ভাবতেও পারি না। আলোর সঠিক এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার আমাদের বাড়িকে নান্দনিক করে তোলে। বাড়ির প্রতিটি ঘরে আলোর ব্যবহারে চাই ভিন্নতা। তবেই আমাদের বাড়ির আলোর সাজ হয়ে উঠতে পারে অন্যের কাছে অনুকরণীয়।

বসার ঘর : অতিথি আপ্যায়নে সব সময়ই বসার ঘরটি পরিপাটি করে রাখতে হয়। আমাদের বসার ঘরের আলোকসজ্জাকে অবশ্যই হতে হবে আধুনিক ও সুন্দর। স্ট্যান্ডিং লাইট হলে সোফার ডান বা বাম পাশে লাইট রাখা যেতে পারে। ঝোলানো সুন্দর বাতি হলে তা মাঝে ঝুলিয়ে তার দুই বা চারপাশে সোফা রাখতে হবে। যদি কোনাকুনি করে বাতি রাখা হয়, তবে বসার ঘরটিকে দেখতে বড় দেখাবে। টিভি দেখার সময় অবশ্যই লাইট কমিয়ে নিতে হবে। অতি উজ্জ্বল আলোতে টিভি দেখলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

শোবার ঘর : আমাদের দিনের শুরুটা এবং শেষটা হয় বেডরুমে। তাই এই রুমের সাজসজ্জা ও লাইটিং হবে আরামদায়ক, রোমান্টিক ও আধুনিক। বেডরুমের আকৃতি ও আসবাবপত্র বুঝে লাইটিং করুন। আসবাবপত্রে যাতে আলো বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেডরুমে উঁচু লাইট ব্যবহার না করাই ভালো। আলো যাতে চোখে সরাসরি না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখা ভালো। অনেক বেশি লাইটিং ঘুম বা আরামে বাধা হতে পারে।

শিশুর ঘর : বাসার ছোট্ট শিশুটির রুমটি হবে তার বয়স অনুযায়ী। সাধারণত আলো ঝলমলে রঙিন পরিবেশ বা”চারা পছন্দ করে। কার্টুনের মলাট দেওয়া নানা আকৃতির লাইট বাচ্চারা পছন্দ করবে। তবে খেয়াল রাখবে যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যায়। বা”চার রুমের রং অনুযায়ী লাইট নির্বাচন করো। তার পড়ালেখার টেবিলের ওপর অবশ্যই একটি লাইট দেবে।

 

খাবার ঘর : খাবার ঘরের সিলিংয়ে উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করতে হবে। এতে ঘরটি বড় ও খোলামেলা লাগবে। খাবার ঘরের আকৃতি বুঝে বাতির সংখ্যা ঠিক করতে হবে। খাবার ঘরটি যদি ডিজাইন করতে চাও, তাহলে সিলিং ও লাইটের রঙে সামঞ্জস্য রাখতে পারো।

রান্নাঘর : রান্নাঘর একটি বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে সবার জন্য রান্না করা হয়। তাই রান্নাঘরের বাতির পরিমাণ হবে বুঝেশুনে। রান্নাঘরটি যদি ১০০ বর্গফুটের হয়, তাহলে সেখানে লাইটের সংখ্যা হবে ২টি, আর ২৫০ বর্গফুটের হলে হবে ৪টি। সবজি কাটার স্থানটি উজ্জ্বল হবে যাতে কাটাকুটিতে দেখার কোনো সমস্যা না হয়। চুলার ওপর অবশ্যই একটি বাতি রাখবে, যাতে রান্না করতে সুবিধা হয়।

বাথরুম : বাথরুমে পর্যাপ্ত আলো হওয়াটা জরুরি। বেসিনের আয়নার ওপর লাইট প্লেসমেন্ট করো। টাইলসের রং হতে হবে হালকা। যেমন হালকা সবুজ বা হলুদ টাইলস হলে তাতে সাদা লাইট দিলে বাথরুমটি যতই ছোট হোক, তাকে বড় আর খোলামেলা লাগবে। প্রয়োজন আর রুচির সমন্বয় করে বাড়িটিকে আলোকিত করে তুলতে পারো।

করিডরে
করিডরের ক্যাবিনেটে একটি ঝুলন্ত বাতি লাগানো যেতে পারে। তাহলে ঘরের সৌন্দর্য আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বারান্দায় বসার ব্যবস্থা থাকলে একটি বাতি লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। দেশীয় মোটিফের গোলাকার বা বলের মতো বাতি লাগানো যেতে পারে।

 

সাশ্রয়ী, দীর্ঘমেয়াদি এবং অল্প ওয়াটে তুলনামূলক বেশি আলো পাওয়া যায় বলে এখন ঘরে এলইডি লাইটের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। এটি ঘরের তাপমাত্রা বাড়ায় না, তাই গরমের দিনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। উষ্ণ ও শীতল দুই ধরনের এলইডি লাইটই পাওয়া যায়। সে কারণে গ্রীষ্ম ও শীত সারা বছরই এলইডি লাইট ব্যবহার করা যায়। ঘরভেদে আলোর প্রকৃতি আলাদা হওয়া ভালো। যেমন খাবারের ঘরে চাই উষ্ণ আলো, আবার শোবার ঘরে শীতল আলো মানানসই। মানবদেহের কর্মক্ষমতা ও প্রাণশক্তির ওপরও আলোর প্রভাব রয়েছে। নীলচে বা সাদাটে আলোয় মানুষের মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয় ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সে কারণেই পড়ার ঘরের জন্য সাদা বা শীতল আলো ভালো এবং ঘুমানোর জন্য হলদে বা উষ্ণ আলো সহায়ক।

 

কৌশলী হতে হয়
আমাদের ঘরে আলোর ব্যবহার একটা ঘরকে আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। ঘরে আলোর ব্যবহারে বেশ কৌশলী হতে হয়। বর্তমান সময়ে যেহেতু ফ্ল্যাট একটু ছোট হয়ে থাকে, তাই ঝাড়বাতির ব্যবহার কমে আসছে। ছিমছাম নকশা ও পরিষ্কার করার সুবিধার জন্য অনেকেই বর্তমানে ঝুলন্ত বাতি বেশি পছন্দ করছে। তাই শুধু বসার ঘর বা খাবার ঘরেই নয় প্যাসেজ, রান্নাঘর সব জায়গাতেই এই ঝুলন্ত বাতির ব্যবহার বেশি দেখা যা”েছ। আলো ও ছায়ার ওপর নির্ভর করে কিছু জায়গাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে সাজানো যেতে পারে। ঝুলন্ত বাতি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘরে কিছুটা নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রামনের মত ঘরসচেতনতা

ঘরের দায়িত্ব আছে স্বামীদেরও

করেছে Suraiya Naznin জুলাই ২৬, ২০২১

রোদসী ডেস্ক:
স্বামীরা যদি ‘সাপোর্টিভ হাজ়ব্যান্ড’ হন, তাহলে অনেকেই ভাবেন তাঁরা বড্ড বেশি স্ত্রী-ন্যাওটা! স্বামীরা যদি সংসারের কাজ ভাগ করে নেন বা স্ত্রীর পাশে দাঁড়ান, তাহলে তিনি মোটেও ‘জরু কা গুলাম’ নন। বরং, এটাই তো হওয়া উচিত।

ছুটির দিনে মাঝেমধ্যে রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন স্বামী। অন্যভস্ত হাতেই বানানোর চেষ্টা করেন মাছের কালিয়া বা খিচুড়ি। অফিস থেকে ফিরতে তোমার দেরি হলে তিনি মাঝেমধ্যেই বাড়ির ‘গৃহকর্ত্রী’ হয়ে ওঠেন! হ্যাঁ, বলছি তোমার স্বামীর কথা। ছেলেরা ‘বাইরে’ কাজ করবে আর মেয়েরা ‘ঘরে’, এ ধারণা আগেই আমরা অনেকটা ভাঙতে পেরেছি। কিন্তু স্বামী যদি বাড়ির কাজে পুরোদমে সাহায্য করেন, তাহলে এখনও তাঁকে বক্রোক্তি শুনতে হয়।

 

নারীরা সংসার আর অফিস একসঙ্গে সামলালেও যেমন অনেকাংশে তাঁদের প্রাপ্য প্রশংসা পান না, তেমনই স্বামীরা যদি ‘সাপোর্টিভ হাজ়ব্যান্ড’ হন, তাহলে অনেকেই ভাবেন তাঁরা বড্ড বেশি স্ত্রী-ন্যাওটা! স্বামীরা যদি সংসারের কাজ ভাগ করে নেন বা স্ত্রীর পাশে দাঁড়ান, তাহলে তিনি মোটেও ‘জরু কা গুলাম’ নন। বরং, এটাই তো হওয়া উচিত। ভাবুন তো, একজন হোমমেকার পরিবারের সকলের জন্য রান্না করা থেকে শুরু করে বাড়ির যাবতীয় কাজ করেন, আবার বাচ্চাদের পড়াশোনা-হোমওয়র্কের দায়িত্বও তাঁর।

একা কাঁধে এত দায়িত্ব নেওয়া কী মুখের কথা! আবার যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা তো সংসার-সন্তান-চাকরি সামলে নিজেদের জন্য সময়ই পান না! এরপরেও কি সংসারিক দায়িত্বের যৌথতার প্রয়োজন নেই? যদিও এখন সময় বদলাচ্ছে অনেকটাই। বর্তমান প্রজন্মের নারীরা যেমন বিয়ের আগে ‘সাপোর্টিভ’ হাজ়ব্যান্ড চাইছেন, ছেলেরাও তেমনই বাড়ির কাজে হাত লাগাতে প্রস্তুত। ভালবাসা বা পারস্পরিক শ্রদ্ধার জায়গাটা ততক্ষণ নড়বড়ে, যতক্ষণ না দু’জনেই সমান-সমান অধিকার পাচ্ছেন। আর এই ‘ইকুয়ালিটি’-ই বেশিরভাগ সফল বিয়ের জরুরি ভিত তৈরি করে দেয়। আপনি কতটা কাজ করলেন বা স্বামী কতটা অলসভাবে দিনযাপন করলেন, সেই তর্কে গিয়ে কী লাভ!

 

দাম্পত্য সম্পর্ক তো আর কোনও প্রতিযোগিতা নয়। বরং, একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাই দাম্পত্যের মূল সুর। স্ত্রীর বিজ়নেস ট্রিপ আছে, আপনিই না হয় বাচ্চার ন্যাপি চেঞ্জ করলেন। আবার স্বামীর অফিসে জরুরি মিটিং আছে বলে আপনিই না হয় দ্রত ব্রেকফাস্ট বানিয়ে দিলেন। এরকম পারস্পরিক সহযোগিতাই প্রয়োজন। হ্যাঁ, সবাই সব কাজে দক্ষ হবেন এমনটা নয়। আপনি যত ভাল রান্না করতে পারেন, আপনার সঙ্গী হয়তো অতটা ভাল পারেন না। কিন্তু তিনি যে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন, এটাই তো কুর্নিশযোগ্য।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনযাত্রাবিশেষ রচনামনের মত ঘরস্বাস্থ্য

করোনায় ঘরের পরিচ্ছন্নতা

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ৪, ২০২১

আমাদের জীবন চলাচলের পরিবর্তন এসেছে এই মহামারী করোনা ভাইরাসে। পুরো বিশ্ব যেন এই রোগের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমাদের দেশেও হুট করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। তাই ৫ এপ্রিল থেকে আসছে ৭ দিনের লকডাউন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে ঘরে থাকলেও আমরা কতটা নিরাপদ থাকছি ঘরে এটা দেখতে হবে। তোমার ঘর রাখতে হবে জীবাণুমুক্ত। কিভাবে তোমার ঘর নিরাপদ রাখবে তা নিয়েই আজকের লেখা। তবে চলে জেনে নেই।

তোমার ঘর জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য পরিবারের সবাই হাত ধোয়ার ব্যাপারে সচেতন কিনা এটা দেখছো তো? ঘর পরিষ্কার রাখতে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাবান বা হ্যান্ডওশাস দিয়ে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিবার খাবার খাওয়া, রান্না করার আগে ভালো ভাবে হাত ধুতে হবে। বাথরুম ব্যবহার করার পরে ও বাইরে থেকে আসার পরেই হাত ধুতে হবে। যদি বাসায় ছোট সদস্য থাকে তবে তাকে খাওয়ানোর আগে যিতি খাওয়াবেন তাকে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিতে হবে।

আমরা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সাথে সব সময় স্যানেটাইজার রাখতে হবে। আমরা বাইরে গেলে অনেকেই গান শোনার জন্য নিয়মিত মোবাইল ফোন, ইয়ারফোন ব্যাবহার করছি  কিন্তু ইয়ারফোন বা মোবাইল পরিষ্কার না করেই রেখে দেই এতে করে আপনি হাত পরিষ্কার পরলেও যখন ঐ ফোন বা  ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। তাই ঘরের ঘরে বাইরে ফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার পর টিস্যু পেপার আর স্যানেটিজার দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন আপনার ফোন আর ইয়ারফোনটি। এতে করে ঘরের জীবাণু মুক্ত থাকবেন আপনি সাথে আপনার ঘর। বাসায় এসে পরিষ্কার করুন যা বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন যেমন মোবাইলফোন, ব্যাগ, ইয়ারফোন, ঘড়ি ও চশমা এতে স্যাভলন বা স্যানেটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার ঘরের মেঝে পরিষ্কার রাখাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাসায় যদি শিশু থাকে তাবে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। ঘরের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন ডিটারজেন্ট পাউডার। যদি আপনি সহজে পানির সাথে ডিটারজেন্ট দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করেন সেক্ষেত্রে ভিজা অবস্থায় মেঝে অনেক পিচ্ছিল থাকবে তাই সেসময়ে ফ্লোর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন অপেক্ষা করুন কখন মেঝে শুকিয়ে যাওয়ার।  এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন জীবাণুনাশক ফ্লোর ক্লিনার  পাওয়া যায় সেগুলো পানির সাথে মিশিয়ে মেঝে রাখতে পারো জীবাণুমুক্ত। অনেকেই আবার স্যাভলন দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করেন।

এক গ্যালন পানিতে ৫ চামচ ব্লিচ দিয়েও পরিষ্কার রাখতে পারো তোমার ঘরের মেঝে। বাসায় যদি মাদুর বা কার্পেট ব্যবহার করো সেক্ষেত্রে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার রাখতে করো।  ঘরের প্রতিটি কোনা রাখতে হবে পরিষ্কার।

আমাদের ঘরের অন্যতম একটি অংশ নিয়ে থাকে আসবাবপত্র। তাই জীবাণুমুক্ত রাখুব ঘরের আসবাবপত্র। ভার্নিশ করা কাঠের আসবাব পত্র পরিষ্কার করার জন্য ভুলেও স্যানেটাইজার ব্যবহার করবেন না এতে ভার্নিশ উঠে যেতে পারে। টয়লেটের ফ্ল্যাশ, পানির কলের হাতল, দরজার নব, টিভি বা এসির রিমোট, কম্পিউটারের মাউসে সবচাইতে বেশি হাত পরে তাই এগুলো জীবাণুমুক্ত রাখার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। রিমোট আর মাউস পরিষ্কার করার জন্য পাতলা কাপড়ে বা টিস্যুতে স্যানেটাইজার বা স্যাভলন লাগিয়ে মুঝে ফেলতে পারো।

বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আমরা ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করছি। সার্জিকাল মাস্ক একবার ব্যবহার করার পরে ফেলে দিতে হয়। আমরা হাঁচি বা কাশির সময়ে টিস্যু ব্যবহার করি। কিন্তু ব্যবহার করা মাস্ক বা টিস্যু পেপার ফেলার জন্য বাসায় রাখুব ঢাকনাযুক্ত বিন। বাইরে থেকে  আসার পরে কাপড় রোদে রেখে দিন কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে কাপড় ধুয়ে ফেলুন আর যদি পরে ব্যবহার করা জামা কাপড় ধুতে যান সেক্ষেত্রে ঢাকনা দেওয়া ময়লার কাপড়ের ঝুড়িতে জামা কাপড় রাখুন।

আমাদের ঘর জীবাণুমুক্ত রাখাটা খুব বেশি জরুরী এই সময়ে। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে তাহলে করোনা থাকে দূরে থাকা সম্ভব। এই মহামারী মকাবেলায় পরিষ্কারের বিকল্প নেই।

লেখা: সাবিহা জামান

ছবি : সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘরকন্যামনের মত ঘর

ঘরে আলোর ব্যবস্থা

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২১

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে শান্তির নীড় নিজের ঘর। তাই আমাদের সবার কাছেই নিজের ঘর খুব প্রিয়। নিজের ঘ্রেই শুধুমাত্র নিজের মত করে নিজের মনের মত করে গুছিয়ে রাখা যায়। কোথাও বেড়াতে গেলে আমাদের ভালো লাগে  কিন্তু একটা সময় পরে ঠিক নিজের ঘরকে আমরা মিস করি। তাইতো নিজের ঘর সবচাইতে সুন্দর ভাবে আমরা সাজাতে চাই।

একটা ঘরের সৌন্দর্য্য তুলে ধরার জন্য সবচাইততে বেশি দরকার  আলোর। যদি ঘরে পর্যাপ্ত আলো না থাকে তবে আপনি যেভাবেই ঘর সাজান আসল সৌন্দর্য্য ফুটে উঠবে না। তোমাকে এমন কিছু আইডিয়া দিবো যাতে তোমার ঘ্রকে আরো আলোকিত করতে পারবে।

আয়না দিয়ে সাজুক ঘর

আয়না দিয়ে যেমন নিজেকে দেখতে পারো আয়না ব্যবহার করে কিন্তু তোমার ঘরের আলো ম্যানেজ করতে পারো। যদি তোমার ঘরে আলোর সল্পতা থাকে তবে কিছু আয়না দিয়ে সাজিয়ে নেও তোমার রুমগুলো। এতে করে যেমন দেখতে আলাদা লাগবে তার সাথে আলোর সল্পতা দূর হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরণের আয়না পাওয়া যায় যেগুলো অনেক গুলোই কারুকাজ করা আবার কিছু বাহারি হাতের কাজ করা আয়নাও পাবে। যেমনটা দরকার আর সাথে মানানসই আয়নায় নিজের ঘর সাজাতে পারো। চেষ্টা করবে বাইরের আলো আসে এমন বারান্দা অথবা জানালার উল্টো দিকে আয়না রাখতে। এতে করে আলো রিফ্লেকশন হবে আর ঘরে আলো বেড়ে যাবে। পুরো একটি দেওয়াল আয়না বসাতে পারেন এতে ঘর দেখতে বড় লাগবে।

উজ্জ্বল জিনিসপত্রের ব্যবহার

তোমার কি উজ্জ্বল জিনিসপত্র ভালো লাগে? যদি তোমার ভালো লাগে তবে এই ভালো লাগা কাজে লাগিয়ে তোমার ঘর আরো আলোকিত করে তুলতে পারো। উজ্জ্বল জিনিসপত্র ঘরের আলো বাড়ানোর পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বাড়ায়। ফুলদানি, শোপিস, সিলফার ফটো ফ্রেম, আয়না দেওয়া আসবাব ব্যবহার করতে পারো।

আসবাবপত্রের রং বুঝে নির্বাচন

আপনার ঘরের আসবাব পত্র কিন্তু ঘরের লুকটাই পাল্টে দিতে পারে। যখন ঘর সাজাবে আসবাবপত্রের রংনির্বাচনে সচেতন থাকবে এতে ঘর দেখতে অনেক ভালো লাগবে। হালকা রং দেখলে ঘর বড় লাগে আর আলো অনেক বেশি লাগে। ঘর রং করার জন্য হালকা রং দেওয়াই ভালো। বেশি গাঢ় রং এমন আসবাব ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

বড় জানালা

ভাড়াবাড়িতে নিজের মত করে ঘরের ইন্টেরিয়র করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু যদি নিজের বাড়ি হয় তাহলে তোমার ঘর তোমার ক্যানভাস। নিজের পছন্দ আর সুবিধা মত সাজাতে পারবে তুমি। যদি ঘরের আয়তন কম থাকে আর আলো বাতাস বেশি দরকার হয় তবে বড় জানালা কিন্তু একটি সমাধান। তোমার ঘরের জানালাগুলোর আয়তন বাড়িয়ে নেও এতে ঘরে যথেষ্ট পরিমাণ আলো আসবে।

জানালার গ্লাস কি রং দিবো

একটা সময় ছিলো যখন বাসা-বাড়ির দরজা জানালাই কাঠ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তন এসেছে। এখন মানুস জানালার পাশাপাশি অনেক সময় ঘরের ভেতরের দরজায় গ্লাস ব্যবহার করে। যখন জানালার গ্লাস নির্বাচন করবে গাঢ় রং না দিয়ে হালকা রং গ্লাস নির্বাচন করো। কালো অথবা মারকারি গ্লাস নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকো কারণ এগুলোয় বাইরের আলো ঘরে ভালো ভাবে প্রবেশ করতে পারে না।লাইট আর ঝাড়বাতি দিয়ে আলোর যোগাযোগ

এখন ঘর সাজাতে একটা ট্রেন্ড হচ্ছে লাইট। বিভিন্ন ঘরের বিভিন্ন বাহারের লাইট পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনলাইন পেজেও এসব লাইট পাওয়া যায়। ঘর সাজাতে এগুলোর ব্যবহার করো। এতে যেমন ঘর আলোকিত হবে ঠিক তেমনি ঘর দেখতেও ভালো লাগবে। ঝাড়বাতি ব্যবহার করে কিন্তু  ঘর আরো বেশি ক্লাসি লাগে। বিভিন্ন আঁকারের ঝাড়বাতি দিয়ে সাজাও ঘর সৌন্দর্য্য আর আভিজাত্যের সাথে আলোকিত কর ঘর ঝাড়বাতি দিয়ে।

লেখা : সাবিহা জামান শশি

ছবি :  সংগৃহীত

 

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ঘরকন্যাজীবনমনের মত ঘর

পর্দায় প্রেম!

করেছে Sabiha Zaman মে ১২, ২০২০

অন্তঃপুরের আসবাব, রং ও গৃহিণীর রুচি সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্দা নির্বাচন করলে সম্পূর্ণ হয় ঘরের সজ্জা। আজ সেই রহস্যেরই পর্দাফাঁস লিখেছেন আশা বিশ্বাস
শুরু সেই মিসর সাম্রাজ্যে। তার পরে পাঁচ হাজার বছর ধরে নানা চেহারায় অন্দর সাজিয়ে চলেছে পর্দা। ঘরের আবরুও রক্ষা করে, আবার অন্দরমহলের সৌন্দর্যও বাড়ায়। আলো-তাপ আটকায়, ধুলো-ময়লা থেকে ঘরকে বাঁচায়। বাড়ির ভেতরে কতটা হাওয়া-বাতাস খেলবে, সে-ও পর্দা লাগানোর কৌশলের ওপরে নির্ভর করে। তা এত দায়িত্ব যখন পর্দার গর্দানে, তখন বাছাইপর্বে বিশেষ কয়েকটা কথা মাথায় রাখতে হবে বইকি। সেই ফর্দে চোখ বুলিয়ে নাও।

 

পর্দার কাপড়, কাপড়ের রং
লিলেন, সিল্ক, ভেলভেট, মিক্সড সিল্ক, ভয়েল এই কয় ধরনের পর্দা বেশি মেলে। সুতির পর্দার চাহিদা বেশি। কারণ, নানাভাবে কুচি দিয়ে বা আরবি কায়দায় প্লিট করে ইচ্ছেমত ড্রেপ করা যায়। জামদানি বা মসলিনের পর্দা খুবই শৌখিন। তবে ঘরে হাতির দাঁতের পালঙ্ক, গাছের গুঁড়ির টেবিল-জাতীয় আসবাব না থাকলে এ ধরনের জমিদারি পর্দা মানাবে না। সে ক্ষেত্রে হ্যান্ডলুম পর্দা ঝুলিয়ে শখ মেটাও।
দেয়ালের রঙের সঙ্গে কনট্রাস্ট হয় এমন পর্দা নেবে, নাকি ঘরের রঙেরই কয়েক শেড হালকা বা গাঢ় রং বেছে গোটা লুকটা অ্যাকসেনচুয়েট করবে, তা ঠিক করতে নিজের শিল্পবোধের ওপরেই ভরসা রাখতে হবে।

দোকানে পর্দা অর্ডার দিলে তারা জানালা-দরজার মাপ নেওয়ার সময়েও ক্যাটালগ দেখিয়ে রং সম্পর্কে পরামর্শ দেন। ঘরে ওয়ালপেপার থাকলে বা নানা রঙের দেয়াল হলে একরঙা পর্দা লাগাও। ডাবল বা ট্রিপল লেয়ারড কার্টেনসও ব্যবহার করতে পারো। ছিমছাম ঘর ছাড়া প্রিন্টেড বা ফুলকাটা পর্দা একেবারেই ভালো দেখায় না।

 

কোন ঘরে কোন পর্দা
জানালা, দরজার আকার-আয়তন, ঘরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ রং এমন হাজারো বিষয় পর্দা লাগানোর আগে মনে রাখতে হয়। কিš‘ অন্দরসজ্জার শিল্পীরা সবচেয়ে গুরুত্ব দেন ঘরের প্রকৃতি অনুযায়ী পর্দা নির্বাচনের ওপরে। কারণ, মেঝের টাইলস, দেয়ালসজ্জা, আলোর ব্যবহার, আসবাব কী রকম ঘর অনুযায়ী সবকিছুরই রদবদল হয়। তাই শোবার ঘরের আবরণ আর বসার ঘরের আভরণ এক হবে না। এখন খাবার ঘর রান্নাঘরের পাশেই থাকে। তাই ডাইনিংয়ের কার্টেন বাছার সময়ে এঁটো হাত, খাবারের ধোয়া, চিমনির হাওয়া এই ঘরোয়া বিষয়গুলো খেয়াল রাখো। ওখানে শেওলা বা ধূসর রঙের পর্দা বাছা বুদ্ধির পরিচয় হবে।

ড্রয়িংরুমেই সবচেয়ে নজরকাড়া পর্দাটা লাগাও। ডাবল রড লাগিয়ে জানালার দিকে হেভি সিল্কের পর্দা লাগাও। এতে রোদ্দুর আড়াল হবে। আর তার ওপরে ডিজাইন করা ভয়েলের ট্রান্সপারেন্ট পর্দা লাগাও। ওই পর্দা মাঝখানে আলগোছে বেঁধে রাখলে বৈঠকখানা তারিফ কুড়োবেই। পরপর বিভিন্ন স্তরে তিনটি পর্দাও ঝোলাতে পারো।


যেখানে আড়াল দরকার নেই, সেখানে লেস বা নেটের পর্দা লাগাও। যেমন দরজা। বেডরুমের জানালায় ভেনিশিয়ান অথবা ডুপ্লে ব্লাইন্ডস (দুই রকম কাপড় জেব্রা ক্রসের মতো জুড়ে তৈরি, জানালায় এঁটে থাকে) ব্যবহার করতে পারো। অথবা ডাবল রডে লেয়ারড পর্দা লাগাও। এ ক্ষেত্রে কায়দাটা হবে ড্রয়িংরুমের ঠিক উল্টো। একটা পাতলা দুধসাদা শিয়ার (স্বচ্ছ) লাগাও জানালার কাচের ওপরে। ভেতরে থাক গর্জাস ভেলভেটের পর্দা। আঁধার চাইলে দুটোই পুরো টেনে দেবে। নরম আলো চাইলে ভেলভেটের পর্দা প্লিট করে দুপাশে সরিয়ে শুধু শিয়ারটা মেলে রাখো।

যত্নে রাখো, সাবধানে টাঙাও
পেলমেট বা ভ্যালেন্স (ঝালর) তৈরি করে পর্দা লাগানোর ফ্যাশন তো রয়েছেই। সামনে-পেছনে দুই বা তিনটি পর্দা ব্যবহার করতে চাইলে পেলমেটই প্রয়োজন হবে। ইদানীং শুধু রডেই পর্দা ঝোলানোর চল বেশি। হুক, রিং, লুপ (গিঁট), গবলেট (ওল্টানো গ্লাসের মতো) নানা কায়দায় পর্দা টাঙাতে পারো। সবচেয়ে সহজ ভেলকো স্টাইল। জানালা যেমনই হোক, মেঝেতে অল্প লোটানো লম্বা পর্দায় তাকে ভালো দেখাবেই। কিন্তু সেই মেঝে রোজ চকচকে রাখা চাই। ঘর ছোট হলে লম্বা পর্দা লাগাবে না। অন্তত দুসেট পর্দা তৈরি রাখো। অতিথি সমাগমের জন্য গ্ল্যামারাস এক সেট থাকুক। একপ্রস্থ লন্ড্রিতে গেলে অন্য সেটে চট করে ঘরের চেহারাও পাল্টে ফেলতে পারবে।
অনেক সময়েই পর্দা কিনতে পকেটে চাপ পড়ে।

 

নিজে কাপড় কিনে ইন্টারনেট থেকে ডিজাইন বেছে ভালো দর্জিকে বুঝিয়ে দাও, কী চাইছ। সাশ্রয় হবে। বিপণি থেকে কিনো বা দর্জিকে দিয়ে বানাও, মোদ্দা বিষয় একটাই। পর্দা যেন ঘরকে জমকালো করে। যাতে দিনের শেষে ঘরে ঢুকলে, আশার সুর ফিরে
আসে ক্লান্তি ছাপিয়ে-পর্দে মে রহনে দো…!

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়প্রধান রচনামনের মত ঘররোমান্সরোমান্স রসায়নসুস্থ মন

ভালোবাসা আর ভালো বাসা দুটোই বেশ দুর্লভ!

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২০

ভালোবাসা আর ভালো বাসা দুটোই বেশ দুর্লভ! অন্তত আজকের এই দুনিয়ায় কথাটা একশ ভাগ খাঁটি। ভালোবাসা বলতে যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর হোয়াটসঅ্যাপের ইমোজিতে বন্দী এক সম্পর্কের নাম; ঠিক তেমনি অভিজাত এলাকার খুপরিঘরে কোনোমতে ঠাঁই নেওয়াটাই ভালো বাসার শিরোনাম। হ্যাঁ, আজকের যুগে ভালোবাসা আর ভালো বাসা তাই দুর্লভ একটা ব্যাপারই বটে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অজানা আতঙ্কে প্রাচীন যুগের মানুষ প্রথম গুহার অভ্যন্তরে নিজেদের আশ্রয়স্থল বানিয়েছিল। কিংবা হয়তো অন্ধকারে অশুভর উপদ্রব থেকে নিজেকে আর নিজের পরিবারকে বাঁচাতে গড়েছিল গুহা বা জঙ্গলের মধ্যে বাসা। এরপর আগুন জ্বালানোর মধ্য দিয়ে সভ্যতার উন্নতি হয় ধীরে ধীরে। গুহা বা জঙ্গল ছেড়ে সুউচ্চ অট্টালিকা কিংবা দৃষ্টিনন্দন আর আভিজাত্যময় বাড়ি বানানোর পেছনে সময়, শ্রম আর অর্থ সবই ব্যয় করতে রাজি হয় মানুষ। এভাবেই কালের প্রেক্ষাপটে বদলে যায় বাসার সংজ্ঞা।

আবার ভালোবাসার সংজ্ঞাটাও কিন্তু একইভাবে সময়ের আবর্তে বদলে গেছে। নবী ইউসুফ আর জুলেখা, শিরি-ফরহাদ, লাইলী-মজনু কিংবা আধুনিক কালের রোমিও-জুলিয়েটের উপাখ্যান যা-ই বলা হোক না কেন, বদলে গেছে অনেক রীতি আর কৌশল। সবচেয়ে বড় কথা, এখনকার সময়ে অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে সামাজিকতা কিংবা পারিপার্শ্বিকতা। কিন্তু ইন্টারনেটের এই যুগে এসে যেখানে ভালোবাসা বিশ্বব্যাপী নিজের বিস্তার লাভ করার কথা ছিল, সেখানে ইন্টারনেটের সংকোচনের মতোই যেন কুঞ্চিত হয়ে এল ভালোবাসারও পরিধি।

প্রিয়জনের সঙ্গে থাকা অবস্থায়ও এখন চোখ থাকে মোবাইল ফোনে। আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়বদ্ধতায়ও মা-বাবার সঙ্গে অনেক সময় কথাবার্তার সুযোগ হয় না। এ ছাড়া বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সবার সঙ্গেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ সেরে নেওয়ায় কমছে বন্ধনের স্থায়িত্ব।

অথচ প্রবাদ আছে, মানুষ নাকি ভালোবাসার কাঙাল।

যদি এখন কেউ জিজ্ঞেস করো আমায় কেন বললাম এ কথা? তাহলে হয়তো আমার বিশাল পরিসরের উত্তর শোনার ধৈর্য তোমাকে রাখতে হবে। কেননা, ভালোবাসা মানেই যে প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক এমনটা কিন্তু নয়; বরং পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানসন্ততির, ভাই-বোন, বন্ধুবান্ধব এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্কগুলোও এখানে যুক্ত। আবার একইভাবে বৃহৎ পরিসরের একটা খোলামেলা বাসায়ই যে কেবল ভালো বাসার সংজ্ঞা, এমনটা ভাবাও নেহাত বোকামি।

ভালো বাসার মধ্যে ভালো পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতার একটা ব্যাপার থাকে; থাকে নির্ভরশীলতা আর আস্থার ব্যাপারগুলো। সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুসম্পর্ক থেকে শুরু করে সুনাগরিকতার ব্যাপারটা যুক্ত থাকে এই ভালো বাসা ব্যাপারটিতে। ভালোবাসা কিংবা ভালো বাসা দুর্লভ কেন, সেটা জানতে হলে বুঝতে হবে ভালোবাসা আর ভালো বাসার জন্য কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আর আবশ্যক।

ভালো বাসার মধ্যে ভালো পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতার একটা ব্যাপার থাকে; থাকে নির্ভরশীলতা আর আস্থার ব্যাপারগুলো।

ভালোবাসা আর ভালো বাসা

ভালোবাসা মানেই যে শুধু মনের মানুষ তা কিন্তু নয়; প্রথমেই এই ধারণা থেকে মুক্তি দিতে হবে নিজের মস্তিষ্ককে। মনের মানুষ বলতে যে আমি প্রিয়জন কিংবা সঙ্গী বুঝিয়েছি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভালোবাসার সংজ্ঞাটা এক বাক্যে দেওয়া সম্ভব হলেও এর ব্যাপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত বলাটা একপ্রকারের অসম্ভবই বটে।

কেননা, ভালোবাসা হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার, যা ঠিক যতটা মানবিক, ততটাই জাগতিক আর ঐশ্বরিক। ভালোবাসাটা অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতি যেমন হতে পারে, তেমনি প্রকৃতির প্রতিও হতে পারে; অবলা জীবদের প্রতিও হতে পারে। আবার একইভাবে বাড়িঘর নামক এক জড়বস্তুর ওপরও ভালোবাসাটা আটকে যেতে পারে।

তাত্ত্বিকভাবে বলতে গেলে, ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা; আর ভালোবাসা থেকে মায়া। তবে শুধু ভালোবাসি বললেই যে ভালোবাসা হয়ে যায়, এমনটা কিন্তু নয়! এর জন্য চাই মনের গভীর অনুভূতি। তাহলে এটা স্পষ্ট যে ভালোবাসা কেবল দুটি মনের বন্ধনই নয়, বরং পরিবর্তিত দুটি মনের বাঁধন। যুক্তিতর্কের বিচারে অনেকেই ভালোবাসা নামক এই অবোধ্য শব্দটিকে বুঝতে না পেরে হেসে উড়িয়ে দেয়। তাদের জন্য আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, পাঁচ মিনিটের মতো সময় লাগে বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা ৪ মিনিট বা ৪ মিনিট ৩০-৪০ সেকেন্ড মধ্যেই ঘটে থাকে। এই আকৃষ্টতার ক্ষেত্রে মানবমস্তিষ্ক কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। অঙ্গভঙ্গি কিংবা বাহ্যিক রূপ ৫৫ শতাংশ, কণ্ঠস্বর থেকে শুরু করে মার্জিত কথা বলার ভঙ্গিমায় থাকে ৩৮ শতাংশ এবং এরপর মূল বক্তব্যের ওপর নির্ভর করে শেষ ৭ শতাংশ।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় ভালোবাসাবিষয়ক গবেষণার ফল হিসেবে জানিয়েছে, প্রেমের মূলত তিনটি স্তর আছে। প্রতিটি স্তরেই আলাদা রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে থাকে মস্তিষ্কে এবং স্তরভেদে রাসায়নিক পদার্থ আর হরমোন নিঃসৃত হয়।

প্রথম স্তর ইচ্ছে বা আকাঙ্ক্ষা

বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ভালো লাগলে সেই ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষা তৈরি হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টেরন আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন নামক এক হরমোন নিঃসৃত হয়।

দ্বিতীয় স্তর আকর্ষণ

কারও সঙ্গে দীর্ঘদিন মেশার ফলে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে কাউকে ভালোবাসার ফলে তার প্রতি একধরনের আকর্ষণবোধ তৈরি হয়। এই স্তরে তিনটি নিউরোট্রান্সমিটার জড়িত : এড্রিনালিন, ডোপামিন এবং সেরোটানিন। নিউরোট্রান্সমিটার আসলে একধরনের এন্ড্রোজেন রাসায়নিক। এটি এক স্নায়ুকোষ থেকে অন্য স্নায়ুকোষে সংকেত পাঠায়।

তৃতীয় স্তর সংযুক্তি

এই স্তরে এসেও দুটি আলাদা হরমোনের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় : অক্সিটোসিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন। দীর্ঘকাল একসঙ্গে থাকার পর পরস্পরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। ফলে ঘর বাঁধতে রাজি হয় দুজনই।

শুধু ভালোবাসি বললেই যে ভালোবাসা হয়ে যায়, এমনটা কিন্তু নয়! এর জন্য চাই মনের গভীর অনুভূতি।

ওই আলোচনাটিকে শুধু মনের মানুষের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখাটা মোটেও সমীচীন হবে না। কেননা, মা-বাবার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কটা যেমন নাড়ির বা অস্তিত্বগত, ঠিক তেমনি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কটা আবার আত্মিক। এখন অনেক পরিবারই আছে, যাদের সব সদস্যই দিন শেষে রাতে এসে কিছু সময়ের জন্য মিলিত হয় জীবনযাপনের তাগিদে। নাহ্্, এটা শুধু যে দিন আনে দিন খায় মানুষের চিত্র; এমনটা কিন্তু নয়।

বরং নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারেও একই চিত্র বিরাজমান। এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে তাদের ভালোবাসার বন্ধন কি ঠুনকো? নাহ্! মোটেই নয়! যদিনা তারা রাতের একটা নির্দিষ্ট প্রহর সবাই একসঙ্গে কাটায়। সারা দিনের ক্লান্তিও যেন হার মানে তাদের সেই ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে।

তবে এই যে পরিবারের সবার একত্র হওয়া, এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার পাশাপাশি ভালো বাসাটাও জরুরি। কেননা, একটু খোলামেলা পরিবেশ, একটু প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা, যথেষ্ট আলো-বাতাসের উপস্থিতির সঙ্গে হাঁটাচলা কিংবা নড়াচড়ার জন্যও চাই পর্যাপ্ত জায়গা। শুধু কি তাই? এর পাশাপাশি দরকার ঘরের দেয়ালের রং থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, জানালার পর্দা, বারান্দায় টবের গাছ ইত্যাদির কথাও চলে আসে।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সারা দিনের ক্লান্তি শেষে সাজানো-গোছানো একটা ঘর মনে বইয়ে দিতে পারে প্রশান্তির বাতাস। আর একটা ঘিঞ্জি ঘর করতে পারে বিরক্তির উদ্রেক, মনের অশান্তি এবং সাংসারিক কলহের সূত্রপাত। আর সাংসারিক কলহ কিন্তু আবার ঘুরেফিরে সেই ভালোবাসার ওপরই আঘাত হানে।
তাহলে এখন কী বলবে? যে লাউ সেই কদু? হ্যাঁ, যেই ভালোবাসা সেই ভালো বাসাও বলা যায়। তাহলে চলো ভালো বাসা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

তবে এই যে পরিবারের সবার একত্র হওয়া, এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার পাশাপাশি ভালো বাসাটাও জরুরি।

সকালের প্রথম সূর্য কিরণ আর স্নিগ্ধ পরিবেশ করতে পারে একটা শুভদিনের সূচনা। কেননা, ভোরের সেই কোমল আলোয় মন হয়ে ওঠে প্রশান্তিময়। আর একই কথা যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে যাই, তাহলে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানীদের গবেষণার সাহায্য নিতে হয়। তাদের মতে, যাদের ঘরে দিনের আলো বেশি সময় ধরে স্থায়িত্ব হয়, তাদের শরীর আর মন দুটোই সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকলে গুমোট পরিবেশে মনমেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং ভালো বাসার এই প্রাদুর্ভাবটা ভালোবাসার সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে।

চাই সাজানো-গোছানো ছিমছাম বাসা! বাংলায় একটা বাক্য আছে না, ‘সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ’। ঠিক তেমনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ীই ঘরটাকে সাজাও। লোকদেখানো ব্যাপারটাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে দেখা গেল তোমার ঘরের তুলনায় আসবাব বড় হয়ে গেছে কিংবা বেমানান লাগছে; তখন কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি। তাই সাধ্যের পাশাপাশি নান্দনিকতার ব্যাপারটাকেও প্রাধান্য দিতে হবে। দরকারে সময় নিয়ে ঘরের আসবাব বাছাই করো; কেননা ঘরের আসবাবের ওপরই অতিথিদের ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব বিরাজ করে। আবার, একই সঙ্গে এত নান্দনিক উপস্থাপনায় ঘর সাজিয়ে অগোছালো রেখে দিলে কিন্তু বিশেষ কোনো লাভ হবে না। যে তো সেই হয়ে যাবে ব্যাপারটা। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর গোছানো ভাবটা সদা কাম্য।

আচ্ছা বলো তো, প্রকৃতির রং সবুজ কেন? আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা এর কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা চালিয়েছেন। আর তাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে সতেজ সবুজ রং মানুষের অনুভূতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সৃজনশীলতা ও কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে উদ্যমী করে তোলে। যার জন্য শত স্ট্রেস কিংবা মন খারাপের সময়গুলোতেও সবুজ মাঠ অথবা প্রান্তরের দিকে তাকালে কিংবা সবুজের মাঝে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর মনে একধরনের প্রশান্তি অনুভূত হয়।

সতেজ সবুজ রং মানুষের অনুভূতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

আরেক গবেষণালব্ধ জ্ঞানে এ-ও জানা গেছে, সবুজের মাঝে গেলে ৯০ মিনিটের মধ্যেই মানুষের সব মানসিক চাপ কমে আসে ধীরে ধীরে।
তাহলে এবার চিন্তা করে দেখো তো, যদি সারা দিনের ক্লান্তি আর জ্যামের বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে একপশলা সবুজ দেখতে পাও, তাহলে কি তোমার মন খানিকটা হলেও শান্ত হবে না? অবশ্যই হবে। সে জন্য ঘরে প্রবেশের করিডরগুলো সবুজ রঙে সাজলে নিজের পাশাপাশি অতিথিদের কাছেও ব্যাপারটা ইতিবাচক বলেই গণ্য হবে। কিন্তু অনেকেই ভাড়া বাসায় থাকে। ফলে চাইলেও সবুজ রং করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না অনেক সময়ই।

তবে কি জানো তো, সবুজ মানেই প্রকৃতি। তাই চাইলেই একগাদা প্রকৃতি ঘরের দুয়ারে কিংবা অভ্যন্তরে রেখেও এই প্রক্রিয়া চালু রাখা সম্ভব। এতে করে সিমেন্টের জঞ্জালে থেকেও থাকা যাবে প্রকৃতির আরও কাছে। নান্দনিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ভেসে আসবে ফুলের সুবাস। একই সঙ্গে বাড়বে ধৈর্য। আবার একই সঙ্গে বারান্দা কিংবা ছাদে গড়ে তোলা সম্ভব ছোটখাটো কৃষিবাগান। মনে রেখো, মানুষ যতই যান্ত্রিক হোক না কেন আদতে সে প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির কাছেই ফিরতে হবে তাকে। তাই প্রকৃতির প্রতি সূক্ষ্ম টানটা মানুষের আদি আর উৎসের প্রবৃত্তি।

তবে ভালো অনুভূতি জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে সবুজের পরেই নীল আর হলুদ রঙের জুড়ি মেলা ভার। যদিও সাহিত্যের বিচারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের এটা জ্ঞাত যে নীল হচ্ছে বেদনার রং। তবে একই সঙ্গে কবি-সাহিত্যিকেরা কিন্তু এটাও বলে যে নীল হচ্ছে প্রশান্তির এক রং। নীল রং মনকে করে প্রশান্ত। যেমনটা সমুদ্রের বিশাল নীলের কাছে নিজেকে তুচ্ছ মনে হয়। তাই হালকা নীল বা আকাশি নীল রঙের বিছানার চাদর, পর্দা মনকে রাখতে পারে প্রফুল্ল। আর হ্যাঁ, সাদা হচ্ছে শুভ্রতা আর পবিত্রতার প্রতীক। তাই সাদা রং ব্যবহার করাটাও অনিবার্য। তবে কি, সাদায় দাগ পড়লে বিরক্তির মাত্রা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাই সাদা রং ব্যবহারে চাই অতিরিক্ত সতর্কতা।

মানুষ যতই যান্ত্রিক হোক না কেন আদতে সে প্রকৃতিরই সন্তান।

আবার অনেকে হলুদ রঙের কথাও ভাবতে পারে তারুণ্যের প্রতীক ভেবে। কিন্তু হলুদ আদতে বাসাবাড়ির সবকিছুর জন্য প্রযোজ্য নয়। যেমন তোয়ালে, ফুলদানি, টব বা শোপিস হলে মানানসই বলা যায়। একই সঙ্গে লালকে ভালোবাসার রং বলা হলেও লাল রং বাড়িঘরের ক্ষেত্রে অনেক কটকটে লাগে। ঠিক যেমনটা কালো এবং অন্যান্য কটকটে রঙের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ওপরের আলোচনায় ব্যাপারগুলো আসলে ভালো বাসার জন্য জরুরি বা আবশ্যকই বলা চলে। পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম আর আলো ঝলমলে বাসা মনকে রাখে প্রফুল্ল আর সতেজ। বাসার আকৃতিটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না, যদি সুন্দর, নান্দনিক, ঝকঝকে, আরামদায়ক, গোছানো, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের উপস্থিতি থাকে। এমন মনোরম পরিবেশের ভালো বাসায় ভালোবাসার অভাব হওয়ার কথা নয়; হোক না সেটা স্বামী-স্ত্রী বা মা-বাবা অথবা ভাই-বোন কিংবা পরিবার-পরিজনের সম্পর্ক।

ভালোবাসায় ভালো বাসার প্রভাব কতটুকু?

ভালোবাসা মানেই একটা সম্পর্কের সূচনা। আর এই সম্পর্কের আদতে কোনো নাম নেই। যদিও প্রচলিত ভাষায় তা ভালোবাসা বলেই খ্যাত তবে এই শব্দটা নিজের শব্দের মাঝেই বিশাল আর পরিপূর্ণ। সম্পর্ক এমন একটা ব্যাপার যে এই নামের সঙ্গে যেটাই জুড়ে দেওয়া হোক না কেন, সেটাকেই সে পূর্ণতা দেবে। তবে যে কোনো ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রেই গভীরতা, আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সম্মান এবং একে অপরকে বোঝার ক্ষমতা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

ধরো, তোমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জব করো। তো সারা দিনের ক্লান্তি শেষে বাড়ি ফিরে যদি দেখো ঘরবাড়ি অগাছালো; তাহলে কি মেজাজ ঠিক রাখা সম্ভব? নাহ্্ একদমই নয়। আবার, ধরো দিন শেষে তোমার একটু একা সময় কাটাতে ইচ্ছা করছে কিন্তু বাসাটা এতটা কনজাস্টেড যে এক মুহূর্তের জন্যও খানিকটা একা সময় কাটানোর ফুরসত নেই। তাতে করে এই বিরক্তিভাবটা মনকে প্রবোধ দিবে আর রাগের উৎপত্তিটাও এখান থেকেই ঘটবে।

ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রেই গভীরতা, আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সম্মান এবং একে অপরকে বোঝার ক্ষমতা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

আবার এই অগোছালো বাসার কারণে সৃষ্ট বিরক্তির ভারটা গিয়ে পড়তে পারে সন্তানসন্ততির ওপর রাগে পরিণত হয়ে। হ্যাঁ, এটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। অথচ খোলামেলা, আলো ঝলমলে এক বাস্তুসংস্থান কিন্তু রাগান্বিত একটা মনকে মুহূর্তেই শীতল করে তুলতে পারে। আর এটা যে মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণার ফল, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তাই ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট রাখতে চাই ভালো বাসা।

আবার অনেকে বাসাবাড়িতেই পোষা প্রাণীর অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে চায়। জীবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এমনটা করে থাকে অনেকে। এর মধ্যে বিড়াল, কুকুর, কবুতর, টিয়া পাখি, ময়না, খরগোশ বা অ্যাকুরিয়ামে হরেক প্রজাতির মাছ উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে যে বাসায় পোষা প্রাণী থাকলে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থাকে কম। কেননা, তুমি যখনই একটু দুশ্চিন্তায় ডুবে যেতে শুরু করবে তখনই হয়তো তোমার পোষা প্রাণীটা উষ্ণতার খোঁজে তোমার কোলে আশ্রয় নেবে। এতে করে তোমার মস্তিষ্ক আর শরীর ব্যস্ত হয়ে পড়বে পোষা প্রাণীটিকে নিয়ে আর দুশ্চিন্তা নিমেষেই বিদায় নেবে। তবে পোষা প্রাণী যেটাই হোক না কেন, চাই বাড়তি যত্ন আর সতর্কতা। ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে শুরু করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটাও তোমাকে করতেই হবে।

তুমি যখনই একটু দুশ্চিন্তায় ডুবে যেতে শুরু করবে তখনই হয়তো তোমার পোষা প্রাণীটা উষ্ণতার খোঁজে তোমার কোলে আশ্রয় নেবে।

আগের আলোচনা শেষে নিশ্চয়ই তুমি আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবে যে ভালোবাসার পরিপূর্ণতায় ভালো বাসাটাও আবশ্যক। যে ধরনের সম্পর্কই হোক না কেন, সম্পর্কে যেমন একে অপরকে বোঝার কিংবা বোঝানোর ক্ষমতা থাকা লাগে, তেমনি ভালো বাসার ক্ষেত্রেও ঘরের মাপজোখ বুঝে সে অনুযায়ী ঘরকে সাজিয়ে তোলার মানসিকতাও থাকা লাগবে। তাহলে হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারবে, ভালোবাসা আর ভালো বাসা এতটা দুর্লভ নয় বরং চাইলেই এটাকে সহজলভ্য করে তোলা সম্ভব।

 

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবিসূত্র: ওমর ফারুক টিটু , রোদসী এবং সংগ্রহীত  

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গ্রুমিংঘরকন্যামনের মত ঘর

 রান্নাঘরের সাফাই-মন্ত্র

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২০

রান্নার সময় তেল-ঝোল ছিটকে সহজেই হেঁশেল ময়লা হয়ে যায়। চিন্তা নেই। ওই তেলচিটে ভাব সাফ করাও শক্ত নয়যত তরিবতসহকারে রাঁধবে, রসুইখানাটি ততই কালিঝুলি মাখবে। মুরগিতে জম্পেশ করে দই-হলুদ মাখালে কফোঁটা মসলাবাটা স্ল্যাবে গড়াবেই। কড়ায় ইলিশ ছাড়লে তেল ছিটকে টাইলসে পড়বে। তার জন্য ‘রান্নাঘর নোংরা চিটচিটে হলো’ বলে দুঃখ করতে নেই। তবে এ-ও ঠিক যে পাকশালাটি তকতকে না রাখলে রান্না করতে মন চায় না। তাই রান্নার শেষে কিচেনের বেসিন, দেয়াল থেকে তেল মুছে ফেলে রান্নাঘর সাফসুতরো করে ফেলো।

 

  • নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ধোঁয়া, তরকারির ঝোল, ভাতের মাড় সব কিচেনে জমতে থাকবে। ওই দাগ জমে শক্ত হয়ে গেলে তা ওঠানো মুশকিল। রান্নার গ্যাস ও তার আশপাশের অংশ রান্না শেষে অবশ্যই মুছবে। অল্প গরম পানিতে বাসন মাজার তরলটি গুলে নিয়ে মপ দিয়ে ওভেন ও রান্নার জায়গাটি যত্ন করে পরিষ্কার করো। রান্নার সময় পাশে পরিষ্কার কাপড় রাখো। কিছু ছিটকে দেয়ালে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নাও। তখন ফ্রিজ বা মসলাদানি খোলার দরকারেও ওই কাপড় ব্যবহার করবে। এতে দাগ লাগবে না। ওয়াইপ-স্পঞ্জে এক ফোঁটা ডিশওয়াশার মিশিয়ে ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডারের বাইরের অংশ, সিঙ্ক রোজ পরিষ্কার করতে পারলে ভালো। সময়ের অভাবে সপ্তাহে অন্তত দু-তিনবার সাফ করো। এ কাজে বেশি দিন ফাঁকি দিলে ওই কালচে বাষ্প মেশানো তেলতেলে আঠালো ভাবটা স্থায়ি হয়ে যাবে। তখন সাধের অ্যাপ্লায়েন্সগুলোর মূর্তি ফেরাতে তোমারই হাড়মাঁস কালি হবে।
  • ওভেন পরিষ্কার করতে একটি বাটিতে পানির মধ্যে ভিনেগার বা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তা ওভেনে গরম করো। দুই মিনিট পরে বের করে নাও। সেই বাষ্পই ওভেনের চারপাশে লেগে যাবে। পরে কাপড় দিয়ে মুছে নাও।
  • ব্লেন্ডারের তরল রাখার পাত্রটি খুলে পাতিলেবু, পানি ও এক ফোঁটা ডিশওয়াশ দিয়ে আবার চালাও। সবশেষে পরিষ্কার পানি ভরে চালিয়ে, পানি ফেলে মুছে নাও।
  • রান্নাঘর খোলামেলা হলে, ভেতরে জিনিসপত্র কম রাখলে চিটে কম হয়। ফ্রিজ, ওভেন, মসলার তাক সুদৃশ্য ঢাকনায় মুড়ে রাখাই ভালো। ছোট ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ হয়তো মেলে না। সে ক্ষেত্রে মসলার কৌটো বা অন্য তৈজসপত্র ওভেনের থেকে নিচুতে ক্যাবিনেটে ভরে রাখবে। কাবার্ডের পাল্লাও বন্ধ রাখো। এতে ওগুলো রান্নার তাপ ও ঝুল থেকে রেহাই পাবে। কারণ, রান্না করার সময় ধোঁয়া ওপরের দিকে ওঠে। ওই ধোঁয়াই দেয়াল, তাক আর মেঝেও নোংরা চিটচিটে করে দেয়। এসব সাফাইয়ের জন্য বাজারে প্রচুর লিকুইড ক্লিনার মেলে। এতে স্ক্রাবার ভিজিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুবার (রোজ না পারলে) পুরো জায়গাটা ধুয়েমুছে শুকিয়ে নিলে পাকশালা জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকবে। মাসে একবার ঝুল ঝেড়ে নাও। মসলার কৌটো নিয়মিত পরিষ্কার করবে।

 

  • ক্লিনিং প্রডাক্টের ব্যবহারবিধি পড়ে নাও। যে ক্লিনার দিয়ে সিরামিক স্ল্যাব বা দেয়ালের টাইলস পরিষ্কার করবে, কাঠের তাক তা দিয়ে মোছা চলবে না। সামান্য আয়াসে বাড়িতেই কিচেন ডি-গ্রিজার তৈরি করে নিতে পারো। হালকা দাগের জন্য গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পরিষ্কার করবে। কড়া তেলচিটে ছোপ হলে একটু ঘন ক্লিনার লাগবে। যেমন লেমন বেসড ক্রিম ক্লিনার। এক কাপ পানিতে ১/৪ ভাগ ভিনেগার মিশিয়ে ময়লা অংশে দ্রবণটি ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখো। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই কড়া দাগ উধাও। কাঠের আসবাব হোয়াইট স্পিরিটে মুছবে। সাবধানতার জন্য এক ফোঁটা ক্লিনার দিয়ে অল্প দেয়াল বা ক্যাবিনেট মুছে আগে পরখ করে নাও এতে প্যান্ট বা পালিশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না।

 

  • রান্নাঘরে কিচেন চিমনি, হুড, এগজস্ট ফ্যান থাকলে ধোঁয়া, তেল বাষ্প হয়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে। এতে রান্নাঘর ধোপদুরস্ত থাকবে। তবে এই প্রডাক্টগুলোরও নিয়মিত সাফাই জরুরি। পেশাদারকে ডেকে বছরে দুবার চিমনি সার্ভিসিং করাও। অটোক্লিন চিমনি হলেও, সপ্তাহে এক দিন তেলের পাইপটি খুলে ধুয়ে নাও। চিমনির চারপাশ রোজ ভেজা কাপড়ে মুছে দেবে। জানালার তাক, গ্রিল, এগজস্ট ফ্যানের খাঁজে খুব ময়লা জমে। প্রশিক্ষিত লোক ডেকে তা সাফ করাতে পারলে ভালো। নিজে করতে হলে একটা ছুরি দিয়ে গ্রিলের কোণ, ফ্যান ব্লেডের ফাঁকে আঁকড়ে থাকা ময়লা প্রথমে চেঁছে নাও। পরে বাসন মাজার সাবান কাপড়ে নিয়ে তা দিয়ে পরিষ্কার করে নিলেও চলবে।

এত ঝাড়পোঁছের পরে নিজের হাত দুটিকেও ধুয়েমুছে মোলায়েম করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে ভুলবে না যেন! গৃহিণী ও তার হেঁশেল- দুই-ই থাকুক শ্রীময়ী।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.গ্রুমিংঘরকন্যামনের মত ঘর

বাড়িতে ফাইন ডাইনিং

করেছে Sabiha Zaman জানুয়ারী ২১, ২০২০

বাড়ির সুচারু পরিবেশনে তোমার অতিথিও পেতে পারে রেস্তোরাঁসুলভ মেজাজ। প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি। কীভাবে নেবে সে প্রস্তুতি  দেখে নাও।

বাঙালির সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার যোগাযোগ চিরন্তন। আর সেখানে যদি বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ব্যাপার হয়, তাহলে আড়ম্বর দ্বিগুণ। আলমারি থেকে বেরোবে পাঁজা পাঁজা বাসন, হেঁশেলে কড়াই-খুন্তি, শিল-নোড়ার আওয়াজে সেদিন ঘুম ভাঙবে সকাল সকাল। তবেই না বোঝা যাবে বাড়িতে অতিথি আসছে! পাতের পাশে পঞ্চব্যঞ্জনে খাবার সাজিয়ে না দিলে শান্তি নেই মা-কাকিমাদের।

দিন বদলেছে। খাবারের মেন্যুও বদলেছে। কাঁসার বাসনের জায়গায় এসেছে চিনামাটির বাসন, পাথরের গ্লাসের পরিবর্তে কাচের, মাটিতে পিঁড়ির বদলে ডাইনিং টেবিল…আরও কত-কী! এবার আর এক ধাপ এগোনোর পালা। এখন অনেকেই অতিথিদের নিমন্ত্রণ করে ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁয় ভূরিভোজের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বাড়িতেই যদি সেই অ্যাম্বিয়েন্স তৈরি করা যায়! চেষ্টা করে দেখা যাক…

 

ফাইন ডাইনিং কী?

শিকড় খুঁজতে চলে যেতে হবে ফরাসি বিপ্লবের সময়ে। রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গেই খাওয়াদাওয়ার জগতেও এল বিপ্লব। সে সময় অনেক সম্ভ্রান্ত বাড়ির হেঁশেল থেকে বেরিয়ে এসে কিছু শেফ আ লা কার্টে মেন্যু ও গুরমেট (gourmet) ফুড নিয়ে প্রাইভেট ডাইনিংয়ের ব্যবহার করেন। সেখানে ডাইনিং টেবিলের সাজ থেকে শুরু করে খাবারের মেন্যু ও প্রেজেন্টেশন…সবেতেই থাকত  ’আ টাচ অব ক্লাস’। জন্ম হয় ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁর। ক্রমে তা  শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে বিভিন্ন দেশে। ফ্রান্সেই এর গোড়াপত্তন। বারোটি কোর্স সার্ভ করা হতো ফ্রান্সে। ফলে পুরো ডিনার শেষ হতে সময় লাগত প্রায় দুই-আড়াই ঘণ্টা। গেস্টের রিলাক্সেশনের জন্য মধ্যে ‘সরবে’ থাকত প্যালেট ক্লেনজার হিসেবে। ‘ফাইন ডাইনিং’ কথার মধ্যেই এর অর্থ প্রচ্ছন্ন। রেসিপি থেকে শুরু করে পরিবেশনের মান ধরে রাখাই আসল। ক্রোকারি, কাটলারি, অ্যাম্বিয়েন্স…সবকিছু হবে খুব ভালো মানের ও সুন্দর করে গোছানো।

  • এর অনেক এটিকেটও থাকে। এ ধরনের রেস্তোরাঁয় একজন অতিথির জন্য ২০টি ডিনারওয়্যার পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
  • টেবিলে প্লেট ও কাটলারি অ্যারেঞ্জমেন্টও হয় নিয়ম মেনে। গ্লাস রাখা হয় ডিনার প্লেটের ডান দিকে। পানির গ্লাস এবং অন্যান্য পানীয়ের গ্লাসও রাখা হয় কোনাকুনি বা চৌকোভাবে।
  • সাধারণত ফাইভ কোর্সে পুরো ডিনার সার্ভ করা হয়। তার মধ্যে থাকে অ্যাপেটাইজার, স্যুপ, স্যালাড, অন্ত্রে এবং ডেজার্ট।
  • গেস্টের বাঁ দিক থেকেই সব সময় সার্ভ করা হয়।
  • এটিকেট অনুযায়ী একসঙ্গে অনেকে খেতে বসলে, একটি কোর্স চলাকালে একজনের খাওয়া শেষ হয়ে গেলেও তাকে অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের জন্য।
  • গ্লাস এবং কাটলারি ধরার সময়ে মনে রাখতে হবে, তার পেছনের দিকটা ধরাই দস্তর। বিশেষত ওয়াইন গ্লাসের স্টেম ধরার নিয়ম।

বাড়ির চৌহদ্দিতে ফাইন ডাইনিং

বাড়িতে অতিথি এলে তাদের জন্যও আয়োজন করতে পারো ফাইন ডাইনিংয়ের। তবে সে ক্ষেত্রে এত এটিকেট বা নিয়ম মেনে চলা তো সম্ভব নয়। বাঙালি বাড়ির খাবারের তালিকা অনুযায়ী আমরা কীভাবে তা ফাইন ডাইনিংয়ে পরিণত করতে পারি, সেটাই এবার জানার পালা।

  • টেবিল সাজানো দিয়ে শুরু করতে হবে। কাঠের কাজ করা বা মার্বেলের টেবিলে কভার না পাতলেও চলবে। টেবিলে খুঁত থাকলে ওপরে সুন্দর নকশা করা একটা টেবিল ক্লথ পেতে দিতে পারো। তার ওপরে পাততে পারো সুন্দর টেবিল ম্যাট।
  • এবার আসা যাক বাসনপত্রে। ভালো ক্রোকারি আর কাটলারিই কিন্তু বাজিমাত করবে ফাইন ডাইনিংয়ে। ভালো কাচের, সিরামিকের বা চিনামাটির ক্রোকারি সেট বাছো। সঙ্গে রাখো রুপোর কাটলারি। এতেই কিন্তু টেবিলের ভোল বদলে যাবে অনেকটা। আর একটা জিনিস অবশ্যই মনে করে রাখবে কাপড়ের ন্যাপকিন। বাঙালি বাড়ির টেবিলে যা সচরাচর রাখা হয় না। যেহেতু হাত দিয়েই খাওয়া হয়, তাই হাত ধুয়ে নেওয়ার চলই রয়েছে। সেটা ফাইন ডাইনিংয়ে বদলে যাবে।
  • প্লেট সাজানোর কায়দাও রপ্ত করতে হবে। পাশ্চাত্য কায়দায় টেবিল সাজাতে অবশ্য বিভিন্ন রকম প্লেট থেকে শুরু করে কাঁটা এবং চামচ কোথায় রাখা হবে, তা নির্দিষ্ট। পানির গ্লাস, ওয়াইন গ্লাস কোথায় থাকবে সবকিছুর ভাগ থাকে। যেহেতু বিদেশি খাবার কোর্সে ভাগ করে পরিবেশন করা হয়, তাই প্লেটের ভাগটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ।
  • কিন্তু বাঙালি বাড়িতে সাধারণত ভাতের সঙ্গেই সবকিছু মেখে খাওয়া হয়। তাই থালার পাশে বাটিতে সার্ভ করা হয়। সেখানে বরং বাঙালি খাবারকেই কয়েকটি কোর্সে ভাগ করে সার্ভ করা যায়। যেমন প্রথমে একটি প্লেটে লুচি, তরকারি, বেগুন ভাজা সার্ভ করা যেতে পারে। তার পরে অল্প ভাত আর শুক্তো বা ছানার ডালনা কিংবা এঁচোড়ের কোপ্তা। এবার মাছের কোনো পদ। তারপরে পোলাও আর মাংস। আর শেষ পাতে পায়েস বা কোনো মিষ্টি রাখা যেতে পারে। এভাবে পুরো খাবারটা ভাগ করে নিলেই ফাইভ কোর্স ভাগ হয়ে যাবে।
  • মনে রাখতে হবে, ফাইন ডাইনিংয়ে খাবারের পদও কিন্তু স্পেশাল। বাঙালি সাবেক রেসিপি বা ফিউশন রেসিপির শরণাপন্ন হতে পারো সে ক্ষেত্রে।
  • বড় আলো না জ্বেলে অ্যাম্বিয়েন্স লাইট জ্বালাতে পারো।
  • ছড়ানো কাচের পাত্রে পানি দিয়ে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারো। পানি থাকুক কফোঁটা অ্যারোমা অয়েল। একটি পাথরের বাটিতে জুঁইয়ের মালাও রাখা যেতে পারে।

বাড়িতে অতিথির আনাগোনা তো লেগেই থাকে। একটু যত্ন নিলেই কাছের মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন এলাহি করা যায়।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook