রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

সচেতনতা

সচেতনতাস্বাস্থ্য

জিরার যত গুণ

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

জিরা শরীরের জন্য বেশ ভালো। শরীরে অনেক দিনের জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। ফলে নিয়মিত জিরা পানি বা চা পানে বিপাকক্রিয়া ভালো থাকে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

জিরা পানি পেটে গ্যাস জমা কমিয়ে বদ হজম থেকে মুক্তি দেয়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা জ্বাল দেয়ার পর এর রং বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। ঠা-া হওয়ার পর দিনে ৩-৪ বার পান করলে এই মিশ্রণটি হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

Benefits of Drinking Jeera Water (Cumin) During Pregnancy

ঘুমের সমস্যা দূর করে

ঘুমের সমস্যায় জিরাপানি খুব উপকারি। ঘুমানোর আগে নিয়মিত জিরা পানি খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

আস্তো জিরা দুই চা চামচ নিয়ে রাতভর এক গ্লাস ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানিটি ছেঁকে নিয়ে এরমধ্যে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই মিশ্রণটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

ভুড়ি কমাবে

জিরা চা পেটের মেদ কমানোর জন্য বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে তরকারিতে জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে সাথে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে পেটে মেদ জমবে না।

Health Benefits of Jeera Water: Improved Digestion, Weight Loss, etc. | How  to Make Cumin Water Concoctions to Drink

বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে

পেট পরিস্কার রাখতে জিরা পানি অতুলনীয়। অল্প পরিমাণের জিরা ভেজে গুঁড়ো করে নিয়ে ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাসম্ভাবনাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

বর্তমানে ব্যস্তময় পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। কারণ মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। অথচ বেশির ভাগ রোগীই জানে না সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই মানসিক রোগের লক্ষণ জানা, চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া ও প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ভারসাম্য থাকবে।
রোদসীর এবারের আড্ডায় মুখোমুখি হয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম

রোদসী : মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি সম্পর্কে বলুন

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, সার্কিট ও চ্যানেল আছে। এগুলোর ভেতর বিভিন্ন সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া বংশগত, সামাজিক ও পারিবারিক কারণেও মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। রক্তপাত হয়। রক্তনালি চিকন হয়ে ব্লক হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সে অংশটা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্ট্রোক, প্যারালাইসিস এমনকি কেউ কেউ অন্ধও হয়ে যায়। এটা হয় মূলত মানসিক স্বাস্থ্যের কাঠামো অনেক দুর্বল অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ যারা মানসিকভাবে অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যায়, চাপ নিতে পারে না, বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, সহজে কোনো কথা ভুলতে না পারা এসব বিষয়ে মনের ওপর চাপ তৈরি হয়েই মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো হয়।

রোদসী : মানসিক অবসাদ বোঝার উপায় কী?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : জীবনে আনন্দ পাওয়ার কারণে আমরা বেঁেচ থাকি। কিন্তু এই আনন্দ যখন চলে যেতে শুরু করে, তখন কোন কাজ, কথা বা কোন স্থানে আনন্দ পাওয়া যায় তখন ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। নেতিবাচক নানা চিন্তা আসতে থাকে। অতীত উজ্জ্বল থাকলেও সব ব্যর্থ মনে হয়। বর্তমানে সব ঠিক থাকলেও মনে হতে থাকে কিছুই ভালো লাগছে না। ভবিষ্যতেও কোনো আশার আলো দেখে না। এত কষ্ট, এত দুঃখ অথচ বেঁচে কেন আছে এমন প্রশ্ন আসতে থাকা এসব লক্ষণে স্পষ্ট হয় সে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত।

রোদসী : অবসাদগ্রস্ত রোগীদের ভাবনাগুলো কেমন হয়?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত থাকলে শারীরিক জটিলতাসহ আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ মানসিক অবসাদের গুরুতর অবস্থায় যখন কেউ পৌঁছায়, তখন তার মনে হতে থাকে বেঁচে থাকা অর্থহীন। মৃত্যু মানেই মুক্তি। সব অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমন অনেক রোগীর স্বজনেরা জানায় মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তারা খুবই প্রফুল্ল থাকে। দেখে মনে হয় সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে! এই রোগীদের বেঁচে থাকার সামর্থ্য থাকে না, আবার চেষ্টাও থাকে না। এটা হলো গুরুতর মানসিক অবসাদ। আর এক ধরনের মানসিক অবসাদ রয়েছে, যা বেশির ভাগ মানুষেরাই আক্রান্ত। তাদের ভাবনাগুলো বেশির ভাগ আর্থিক ও পারিবারিক দায়িত্বের বিষয় নিয়ে থাকে। এটি এতটা গভীর না হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

রোদসী : মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার ওষুধের কোনো চিকিৎসা রয়েছে কি?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : অবশ্যই মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো মানের চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাগুলো নিলে শতভাগ সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু প্রচারের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের থেরাপিও দিতে হয়। তবে দুটো থেরাপি দিতে হবে সিবিটি বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি আরেকটি হলো ইন্টার পার্সোনাল থেরাপি বা আইপিটি। ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

রোদসী : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকা কতটা?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। কারণ, গুরুতর মানসিক অবস্থার বাইরে যারা সাধারণভাবে অবসাদগ্রস্ত, তাদের যে সময়টা ভালো লাগছে না সেই মুহূর্তেই এটি চিহ্নিত করতে হবে যে কেন ভালো লাগছে না। নিজের পাশাপাশি নিকটজনের ভূমিকা বেশি। তাদের প্রিয়জনদের মনের খোঁজ রাখতে হবে। কারণ, এক দিনেই কেউ রোগী হয়ে যায় না। তাদের ডাক্তারের কাছে না নিলেও চলে। তাই পরিবারের বা প্রিয়জনদের যারা আবেগের দিক থেকে দুর্বল, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। হতাশার গর্তে পড়তে দেওয়া যাবে না। ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল দিতে হবে। পরিবারে অভিভাবকেরা সন্তানের লালন-পালনের সঠিক কারণ না জানা ভয়াবহ ক্ষতি হয়। শুধু আর্থিকভাবে সহায়তা দিলেই হবে না, তার মানসিক অবস্থা জেনে সঠিক জীবনের দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

রোদসী : শিক্ষাব্যবস্থায় মানসিক বিষয় থাকাটা কতটা জরুরি?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই এই বিষয়ে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য জরুরি কিছু টিপস প্রায়োগিক ভাষায় লেখার মাধ্যমে কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। আমাদের মনোবিদদের সংগঠন এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে যাচ্ছি।

রোদসী : সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

গ্যাস্ট্রিক হবে দূর

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভোগা লোকের সংখ্যা কম নয়। পেটে গ্যাস হলে পড়তে হয় অস্বস্তিতে। এর সমাধান রয়েছে প্রকৃতিতেই। প্রাকৃতিক কিছু খাবারেই দূর হবে এই সমস্যা।

গ্যাস হওয়ার কারণ

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ হলো পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে এসিড জমা হওয়া। ফলে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধের মতো বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। আর গ্যাস জমা হয় মূলত পানি কম খেলে, অতিঝালযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার বা খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকলে, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে, দুশ্চিন্তা করলে এমনকি শরীরচর্চা না করলেও পেটে গ্যাস তৈরি হয়।

পেটের গ্যাসের প্রাকৃতিক সমাধান

প্রকৃতিতেই এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর হবে নিমিষেই।
আদা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। তাই পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খেলে নিমিষেই দূর হবে।

মৌরি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে গ্যাস দূর হয়।

দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকায় দই খেলে হজম ভালো হয়। তাই খাবারের পর দই খাওয়ার প্রচলন আছে। কারণ খাবার ভালোভাবে হজম হলে গ্যাস কমে।

শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

Why cucumbers are a great healthy snack - Health - The Jakarta Post

আনারসে ব্রোমেলাইন নামের কার্যকর পাচক রস থাকায় পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। আনারসে আছে ৮৫ শতাংশ পানি আছে।

One Major Side Effect of Eating Pineapple, Says Dietitian

হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যুক্ত করলে তা প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।

দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। তাই এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে খেলে গ্যাস দূর হয়।
গোটাকয়েক লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবুতে থাকলে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হওয়ার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।

যা করা অনুচিত

পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

খাবার খেয়েই ঘুম নয়

অনেকেই খাবার খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে পড়ে। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে না। খাবার হজম না হলেই গ্যাস তৈরি হয়।

ডাল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা

পেটে গ্যাস হয় এমন কোন খাবার যেমন ডাল জাতীয় খাবার অর্থাৎ মসুরের ডাল,বুট,ছোলা,সয়াবিন এগুলো খাবার পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার। আর এগুলো সহজে হজম না হওয়ায় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।

তেল জাতীয় খাবার পরিত্যাগ

অতিরিক্ত তেল ও মসলায্ক্তু খাবার অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরণের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাস্বাস্থ্য

মাদকাসক্তের ঝুঁকিতে নারী ও শিশু : ইকবাল মাসুদ

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

নারীদের মাদক গ্রহণপ্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। মাদক গ্রহণের ফলে স্নায়ুতন্ত্রেরই ক্ষতি হয় না, কমে আসে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে মাদকাসক্ত নারী ও তার শিশু। রোদসীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর থাকছে রোদসীর পাঠকদের জন্য।

রোদসী : কারা বেশি আসক্ত হয়?

ইকবাল মাসুদ : আমাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন কোনো স্টাডি নেই। অবজারভেশন থেকে বলা যেতে পারে, ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের মাদকসেবন প্রবণতা অনেক বেশি। শুরু করার সময়টা হচ্ছে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে। কেউ ৪০ বছর বয়সে মাদক সেবন বা গ্রহণ শুরু করে না। আমাদের দেশের মেয়েরা আগের থেকে অনেক বেশি মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। আগে দেখা যেত বিশেষ শ্রেণির নারীরা হেরোইন সেবন করছে, বিশেষ বিশেষ গোত্র বা পেশার মানুষেরা মাদক সেবন করত, এখন ইয়াবা আসার পর থেকে এ চিত্র আর নেই, সর্বস্তরের নারীদের মাদক গ্রহণ প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে।

রোদসী : নারীরা সাধারণত কী ধরনের মাদক গ্রহণ করে?

ইকবাল মাসুদ : সিগারেট, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, পেথেডিন এবং ড্যান্ডি গ্রহণের প্রবণতা দেখা যায়। মাদকাসক্ত নারীদের মধ্যে শুরুর দিকে অনেকে মাদক হিসেবে ঘুমের ওষুধ সেবন করে থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে সিগারেট, মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, পেথেডিন এমনকি ড্যান্ডি গ্রহণ করতেও দেখা যায়।

 

রোদসী : নারীদের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ কী?

ইকবাল মাসুদ : সায়েন্টিফিক কারণ আছে দুইটা। একটা হলো বংশগত কারণ আরেকটা হলো পরিবেশগত কারণ। বংশগত কারণ নিয়ে অনেক গবেষক বলছেন যারা মাদক নির্ভরশীল, তাদের মধ্যে শতকরা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ জিনগতভাবে আসক্ত। এ ছাড়া পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে। পরিবেশগত কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক কলহ, বন্ধুবান্ধবের উৎসাহ, মিসকনসেপশনও রয়েছে। কেউ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়েকে বলছে তুমি এনজয় করতে পারো, স্লিম হতে পারো, রাত জেগে পড়াশোনা করতে পারো এভাবে একজন আরেকজনকে মাদকনির্ভর করে তুলতে পারে। বড় সমস্যার মধ্যে আরেকটি হচ্ছে প্যারেন্টিংয়ের সমস্যা। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়েদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার একটা প্রধান কারণ পরিবার বা বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক না থাকা বা বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশামতো সময় না পাওয়া। বিশ্বায়নের এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছেলেমেয়েদের মাদকাসক্তির হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর যে ছেলেমেয়েদের অভিভাবকদের প্যারেন্টিং স্কিল দুর্বল, তাদের মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কিছু ক্ষেত্রে যে পরিবারগুলো অশান্তি নিয়ে কাজ করে, সেখানে শিশুরা ঠিকমতো বড় হয়ে উঠছে না। এসব পরিবারের কন্যাশিশুদেরও মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

 

রোদসী : মাদক গ্রহণকারী কী ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়?

ইকবাল মাসুদ: মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে মাদকাসক্ত নারী ও তার শিশু। যেহেতু নারীর শারীরিক ঝুঁকি পুরুষের চেয়ে বেশি, আবার বাংলাদেশে মেয়েদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও খুব দুর্বল থাকে, এ জন্য নারী মাদকাসক্ত অনেকে অপুষ্টিতে ভোগে। মাদক সেবন করলে প্রধানত দুই ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলার কারণে মানসিক সমস্য তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এটা মনে করার কারণ নেই যে আসক্ত ব্যক্তি একা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ আসক্ত ব্যক্তির যখন টাকার দরকার হয়, তখন সে পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করে। ফলে দেখা যায় যে আসক্ত ব্যক্তির দুই-তিন ভাইবোন আছে; তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। পরিবার থেকে যখন মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়, তখন সেই ব্যক্তি কাছের বন্ধুবান্ধব বা প্রতিবেশীদের শরণাপন্ন হয়। এভাবে ব্যক্তি সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই সুযোগটা অনেকে নেয়। নারী মাদকাসক্তদের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা যায় যে নেশাগ্রস্ত করে দিতে পারলে তাদের মিস ইউজ করতে পারে। একটা মেয়েকে যদি ইয়াবা বা নেশাজাতীয় কোনো কিছুর জোগান দেওয়া যায়, তাকে একরকম বন্দী করে ফেলা যায়। একসময় দেখা যায় সে সেক্স সেল করতে বাধ্য হয়! ওয়েলআপ বা ধনী পরিবারের অনেক ছেলেমেয়েরা ডিজে করে, অনেক পার্টি করে এসব পার্টির সঙ্গে কিছু মেয়েকে ইনটেনশনালি যুক্ত করে তারা উপভোগ করে। নেশাগ্রস্ত একটি মেয়েকে তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে মেয়েদের মাদকদ্রব্যের জোগান নিশ্চিত করে।

রোদসী : প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব?

ইকবাল মাসুদ : একটি ছেলে মাদক গ্রহণের পরও সমাজে যেভাবে মিশে যেতে পারে, একটি মেয়ে সেভাবে পারে না। তাকে সেভাবে কেউ সাহায্য করে না। লক্ষ করা গেছে, যেসব মেয়ে মাদক গ্রহণ করে, তারা অর্থ সংগ্রহ করতে অনেক সময় বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে মাদক গ্রহণের জন্য মেয়েদের অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ করতেও দেখা যায়। পরিবারের সদস্য, কাছের বন্ধুবান্ধব, সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে মাদকাসক্তি একধরনের রোগ। যা পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়। আসক্ত ব্যক্তির একান্ত প্রচেষ্টা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে এটা প্রতিরোধ করা যায়। আসক্ত ব্যক্তির জন্য প্রয়োজন সুস্থ পারিবারিক-সামাজিক পরিবেশ।

রোদসী : ঢাকা আহছানিয়া মিশন, মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নারী মাদক নির্ভরশীলদের নিয়ে কাজ করছে, সে সম্পর্কে জানতে চাই।

ইকবাল মাসুদ : বাংলাদেশের শুধু ঢাকা শহরে নয়, দেশর বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকাসক্ত নারীরা ঢাকা আহছানিয়া মিশন, মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করছে। বেশির ভাগই স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তবে সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কম হলে অনেকে আবার মাদক নির্ভরশীল হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ, সমাজ এবং রাষ্ট্র। মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসায় পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ, সহযোগিতা এবং ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা মাদক নির্ভরশীলদের সমন্বিত চিকিৎসা করে থাকি।

 

ইকবাল মাসুদ

পরিচালক, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাহেঁসেল

বাসনপত্রের সঠিক যত্ন

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য বাসনপত্রের সঠিক যতেœর প্রয়োজন। তা না হলে জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা দায়। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি ভালো মানের কাচ ও স্টিলের বাসনপত্র ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত নিতে হবে সঠিক যতœ।

সুবিন্যস্ত রাখতে হবে

কাচ, কাঠ, স্টিল, সিরামিক কিংবা মাটি যে উপাদানের বাসনই হোক না কেন সুবিন্যস্ত ভাবে বাসন রাখার একটি সেল্ফ তৈরি করতে হবে। প্রতিটি ছোটখাটো বাসনও নির্দিষ্ট তাক বা ড্রয়ারে রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর প্রতিদিনের ব্যবহারের যেসব বাসন যেমন, লাঞ্চ বা ডিনারের সেট এগুলো ডাইনিং টেবিলের পাশের দেয়ালে আলাদা তাক করে রাখা যেতে পাওে কিংবা টেবিলে সাজিয়ে রাখা যায়।

ভালো মানের ডিটারজেন্ট ব্যবহার

বাসনপত্র ভালোমানের ডিটারজেন্ট দিয়ে মেজে নিতে হবে। তাহলে জীবাণু ধ্বংস হবে। এরপর বাসন ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে কাত করে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

Do You Need Soap to Get Your Dishes Clean? | HowStuffWorks

ভালোভাবে মুছে সংরক্ষণ করা

যদি প্রতিদিনের ব্যবহৃত খাবার বাসন না হয় অর্থাৎ পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য রেখে দিলে অবশ্যই পানি ঝরার পর নরম সুতি কাপড় বা পেপার টাওয়েলে ভালোভাবে মুছে তুলে রাখতে হবে। কারণ বাসন ভেজা থাকলে ধুলোবালি লেগে ময়লা হবার চান্স বেশি আবার জীবাণুরও সংক্রমণ ঘটে।

How to Wash Dishes

কাঠের বাসনের যত্ন

সুপ্রাচীনকাল থেকেই কাঠের তৈরি বাসনের ব্যবহার ছিল। বর্তমানে কাঠের বাসনের ব্যবহার কমেছে পরিস্কারের ঝামেলার কারণে। তবুও এখনো শৌখিন মানুষেরা কাঠের বাসনপত্রের ব্যবহার করে থাকে। তাই কাঠের বাসন ব্যবহার করতে হলে চাই সঠিক যতœ। কারণ কাঠের বাসনপত্রে রান্নার দাগ লেগে গেলে সহজেই উঠতে চায় না। এক্ষেত্রে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে এর মধ্যে কাঠের বাসনগুলি ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর লেবুর পানি থেকে তুলে নিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে রোদে শুকোতে দিলেই বাসনের দাগ, গন্ধ সব দূর হয়ে যাবে। এরপরও যদি দাগ একদমই না উঠানো যায় তাহলে শিরিষ কাগজই শেষ ভরসা। একবার ঘষলেই দাগ উঠে যাবে। তবে বারবার শিরিষ কাগজ ব্যবহাওে বাসন পাতলা হয়ে যেতে পারে।

Wooden Dinner Plate & Side Plate | Handmade Wooden Plates | Dinnerware  Tagged "Wooden Side Plates" - woodgeekstore

সতর্কতা

বাসন সুবিন্যস্ত রাখতে সেল্ফ বানাতে হলে কাঠের সেল্ফ না বানানোই ভালো। কারণ বেশিরভাগ সেল্ফ রান্নাঘরে রাখা হয়। তাই আগুনের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি। তাই ঝুঁকি এড়াতে স্টিলের সেল্ফ অনেকটা নিরাপদ।

মাটি, কাচ বা সিরামিকের বাসনের ক্ষেত্রে কোন অংশ যদি ভেঙে যায় তাহলে ব্যবহার করা অনুচিত। এতে বাসনের উপাদান খাবারের সাথে পেটে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। এছাড়া হাতে বা নখে আঘাত লাগারও ঝুঁকি থাকে।
কখনোই সিংকে এঁটো বাসন জমিয়ে রাখা ঠিক না। এতে জীবাণুর সংক্রমন বাড়ার পাশাপাশি ইঁদুর, তেলাপোকার আনাগোনা শুরু হয়।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
রূপ ও ফ্যাশনসচেতনতা

শুকনো ঠোঁটের শুশ্রূষা

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২

হিম হাওয়ায় ঠোঁট ফাটে। শুকনো ঠোঁটের কারণে সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে। দীর্ঘদিন ঠোঁট ফাটা থাকলে স্থায়ী দাগ বসে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের যতœ নিতে হবে নিয়মিত।

ঠোঁট ফাটার কারণ

ঠোঁটের কোনো অয়েল গ্ল্যান্ড থাকে না। ফলে শীতে বাতাসের আর্দ্রতা ক্রমশ কমতে থাকায় ঠোঁট ফেটে যাওয়া বা খসখসে ভাব চলে আসে। আবার ভিটামিনের অভাব বা শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হলেও ঠোঁট শুকিয়ে যায়।

শুকনো ঠোঁটের ঘরোয়া সমাধান

শীতে ঠোঁট ভালো রাখার জন্য প্রসাধনীর প্রলেপের প্রয়োজন নেই। ঘরে থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়েই শীতে ঠোঁটের যতœ নেয়া যাবে।
পেঁপে প্রাকৃতিক এনজাইম আর হাইড্রক্সি অ্যাসিড সব মৃত কোষ তুলে দেয়। তাই পেঁপে কুরিয়ে ঠোঁটে মাস্কের মতো লাগিয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

ঠোঁটের কোমলতায় ১ চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া, এক চা চামচ মধু, মসুর ডাল বাটা এক চা চামচ, এক চিমটি হলুদের গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিণের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে মিনিট পাঁচেক রেখে পানির ঝাপটা দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিলে ঠোঁট উজ্জ্বল দেখায় আর দিনভর থাকে কোমল।
শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় ঠোঁট আর্দ্র রাখে। ফলে পাতলা করে কেটে ঠোঁটে মিনিটখানে ঘষে নিলে মরা কোষ উঠে যায় আর শুষ্কতা দূর করে।

মধুও ঠোঁটে দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখে। তাই দিনের যেকোন সময় ঠোঁটে মধু ম্যাসেজ করে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিলে শুষ্কতা কমে। নিয়মিত মধুর ব্যবহারে আর্দ্র থাকায় ঠোঁট নরম করে তোলে।

536,356 Honey Stock Photos, Pictures & Royalty-Free Images - iStock

সুঅভ্যাস গড়ে তোলা

ঠোঁটে সাবান ও ফেসওয়াশ লাগলে আরও খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই এমনভাবে মুখ ধোয়া উচিত যেন ঠোঁটে না লাগে।
মানসম্পন্ন লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করায় ভিটামিনসমৃদ্ধ ও তেল আছে এমন লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো।
ঘুমানোর আগে প্রতিরাতে ঠোঁটে জলপাই তেল বা দুধের সর মাখিয়ে নিতে হবে। কারণ জলপাই তেলে ভিটামিনসহ নানা রকম খনিজ উপাদান থাকে আর দুধের সর ত্বকের ময়লা দূর করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে দেয়। তাই রাতভর ঠোঁটে রাখলে কালো ভাব দূর হয় আর ঠোঁট থাকে কোমল।


ঠোঁটে তেলগ্রন্থি না থাকায় কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁটে নারকেল তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ দিতে হবে।
ঠোঁট জিভ দিয়ে ভেজানো যাবে না। ঠোঁটে থাকা মরা কোষ চিমটি দিয়ে উঠানো অনুচিত।
অনেকে ঠোঁট কামড়ে মরা কোষ তুলতে চায়। ফলে রক্ত ঝরে। ঠোঁটের ক্ষতি হয়। এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

শীতে পানি কম খাওয়ার কারণে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। তাই নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ঠোঁট ফাটার ভয় থাকে না।

লেখা: রোদসী ডেস্ক
ছবি:সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাস্বাস্থ্য

দিন শুরু হোক সুঅভ্যাসে

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২

সুন্দর অভ্যাসে দিন শুরু হলে শরীর থাকে সুস্থ। বদ অভ্যাসে বাসা বাঁধে রোগ ব্যাধি। তাই উল্টো পথে না হেঁটে সু–অভ্যাসের চর্চায় হোক দিনের শুরু। সারাদিন শরীর থাকবে সতেজ আর মন থাকবে ফুরফুরে।

ঘুম ভাঙলে তাড়াহুড়ো নয়

ঘুমানো মানে শরীরের সচেতন মনকে বিশ্রাম দেয়া। সকালে ঘুম ভাঙলে তাড়াহুড়ো করা একেবারেই অনুচিত। বরং আড়মোড়া ভেঙে ধীরে ধীরে বিছানা ত্যাগ করতে হবে। তারপর প্রাকৃতিক কাজকর্ম সেরে নিয়ে ভালোভাবে ব্রাশ করে মুখ ধুতে হবে। স্থির হয়ে বসে সারাদিনের কাজ নিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক এগুতে হবে। কারণ ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো শরীর রিলাক্স হতে ঘন্টাখানেক সময়ের প্রয়োজন।

 

খালি পেটে পানি পান

সকালে খালি পেটে স্বাভাবিক পানি পানে তৃষ্ণা পেটানোর পাশাপাশি ক্যালোরিও পোড়াতেও সাহায্য করে। তাই সকালে দুই গ্লাস পানি পান করা উচিত। আর ওজন কমাতে চাইলে সারা দিনে পানি পান করা উচিত অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার। নিয়ম মেনে এভাবে পানি পানে দিনের শুরু হলে পানির ঘাটতি থাকবে না। আর দিনভর শরীর থাকবে সতেজ।

শরীরে লাগুক রোদের উষ্ণতা

সকালের রোদকে প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি বলা হয়। এই সকালের রোদ শরীরের ফ্যাটও কমিয়ে দেয়। কারণ সকালের রোদ শরীরের মেটাবলিজমের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই গায়ে সকালের রোদের উষ্ণতা নিতে হবে। ছাদ বা উঠোন কিংবা সকালের রোদ আসে এমন জানালায় রোদ পোহাতে হবে।

হালকা শরীরচর্চা করা

সকাল শুরু করতে হবে হালকা শরীরচর্চা দিয়ে। তাহলে পুরো শরীর জড়তা কাটিয়ে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে। কারণ এতে এন্ডরফিরন নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায় মন ভালো থাকে। হজমও ভালো হয়। চাইলে সকালে বাড়ির আঙিনায় হেঁটেও নেয়া যায়। সকালে হাঁটার ফলে হৃৎপিন্ড বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে নিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে পাঠিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। হাঁটার সময় রক্তের ইনসুলিন ও গ্লুকোজ ক্ষয় হওয়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। সকালে নিয়মিত হাঁটলে রক্তের লোহিত কণিকাগুলো থেকে চর্বি ঝরে যায়। ফলে ওজন কমে। এছাড়া হাঁটলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এতে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে গিয়ে শরীরের দূষিত পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে বের করে দেওয়ায় ত্বক উজ্জ্বল হয়।

নাশতা খেয়ে বের হওয়া

সকালে ঘর থেকেই নাশতা খেয়ে বের হওয়া ভালো। কারণ ঘরে তৈরি খাবারে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। আর বাইরের খাবারে পুষ্টিগুণ ঠিক পরিমাণে না পাবার সম্ভাবনাই বেশি। এছাড়া বাইরে সকালের নাশতায় পুরনো তেল ব্যবহার করা হয়। ফলে শরীরে দ্রুত ফ্যাট জমে। আর বাইরে খাবার খাওয়ার তাড়া থাকলে সব কাজ এলোমেলো হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে। আর খাবার ঘর থেকে খেয়ে বেরুলে সবকাজ শৃঙ্খলভাবে এগুতে থাকে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্যান্যগ্রুমিংজীবনযাত্রাসচেতনতাস্বাস্থ্য

যে অভ্যাসে ভুঁড়ি বাড়ে

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২

পেটের মেদ বাড়া দৃষ্টিকটু তো বটেই! স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। একবার ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই বিপদ। তা কমানো মুশকিল হয়ে যায়। পেটের এই মেদ বাড়ার পেছনে রয়েছে অভ্যাসের প্রভাব। নিত্যদিনের সুঅভ্যাসই ঝরাতে পারে পেটের বাড়তি মেদ।

ট্রান্স ফ্যাট পরিত্যাগ করা

শরীরের জন্য সঠিক ফ্যাট খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলোর মধ্যে একটি হলো ট্রান্স ফ্যাট। এটি পেটের চর্বিই নয়, পুরো শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যেমন কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ অনেক রোগের বাসা বাঁধতে পারে এই ট্রান্স ফ্যাটের কারণে। বেকারি এবং প্যাকেটজাত পণ্যে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকায় এই খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে হবে। খেতে হবে প্রচুর ফাইবার এবং দানাদার শস্য জাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার।

Fibre Vegetables And Fruits, HD Png Download , Transparent Png Image -  PNGitem

 

অলসতা কমাতে হবে

আরাম প্রিয়দের ভুঁড়ি বাড়বেই। তবে মেদ ঝরাতে হলে অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। মেদ কমাতে সকালে উঠেই হালকা ব্যায়াম করে নিলে শরীরের ফ্যাট বার্ন করার পাশাপাশি দিনের শুরুটা হয় চমৎকার। তারপর সারাদিনে কম দুরত্বের রাস্তা হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে আর বিকেলে শরীরচর্চায় মনোযোগী হতে হবে। এমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে অলসতাও কাটে আর কমে পেটের বাড়তি মেদ।

Is exercise in a hot room good for you? | The Star

চিনিযুক্ত খাবার পরিহার

চিনিযুক্ত খাবাওে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। কারণ চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট শরীরচর্চায় বার্ন করা কঠিন হওয়ায় চর্বি হিসেবে জমা হয়ে মেদ বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনির বদলে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করতে হবে।

You Should Never Drink Soda Before Exercising. Here's Why

অ্যালকোহল গ্রহণ বন্ধ করা

 

ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্য দায়ী হতে পারে অ্যালকোহল। কারণ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলো শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করলেও থাকেনা কোন পুষ্টি। ফলে পেটে জমে বাড়তি মেদ আর বাড়ায় ওজন। তাই অ্যালকোহলের বদলে পানি পানের অভ্যাস করা জরুরী। পানি শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। তবে হঠাৎ অ্যালকোহল ত্যাগ করা কঠিন। ধীরে ধীরে অ্যালকোহল গ্রহণ কমিয়ে দিতে হবে। তারপর নির্মেদ ও ঝরঝরে শরীর পেতে একেবারে অ্যালকোহল গ্রহণ করা বন্ধ করে দিতে হবে ।

পেটে বাড়তি মেদ জমতে দেয়া যাবে না কোনভাবেই। স্বাস্থ্য ও ওজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে খাদ্যাভ্যাস। তাই পরিমিত খাদ্যভাস, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আর সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হওয়ার বিকল্প নেই।

Say no to drinking alcohol and stay healthy – Mysuru Today

লেখা :  রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্যান্যদেহ ও মনসচেতনতাস্বাস্থ্য

শুকনো ফলে পুষ্টি বেশি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে শুকনো ফলের জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল রসালো ফলের তুলনায় সহজে বহনযোগ্য, দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় ও সহজে পচে যায় না। এটি ড্রাই ফ্রুটস নামেও পরিচিত। তাই পুষ্টি এবং স্বাদের ভিন্নতা পেতে খাদ্য তালিকায় থাকুক পুষ্টিগুণে ভরপুর শুকনো ফল।

শুকনো ফলের ধরণ

টসটসে রসালো ফলের মধ্যে থাকা জলীয় অংশকে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার ফলে পরিণত হয় শুকনো ফল। রস শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এর ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য পুষ্টি ও ক্যালোরিতে ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই শুকনো ফল বেশি ক্যালোরি সমৃদ্ধ। তবে শুকানোর পরও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, থায়ামাইন ইত্যাদি পুষ্টির মান অক্ষুণ্ণ থাকে। এ ছাড়া শুকনো ফলে চর্বি, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম বা লবণ থাকে না বললেই চলে। তবে এতে চিনি বা শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই বাড়তি শক্তি ও ক্যালরি জোগাতে ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফলের জুড়ি মেলা ভার। ক্যালরি ছাড়াও শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটসে আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, রিবোফ্লাবিন, থায়ামিন, এসেনশিয়াল ফ্যাট, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পলিফেনল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে।

 

শুকনো ফলের যত গুণ

কিশমিশ, শুকনো খেজুর ও এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এবং রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া কিশমিশে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও অনেক। রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এগুলো। রক্তনালিকে সুস্থ রাখে।
শুকনো ফলে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার থাকে। বিশেষ করে এপ্রিকট ও ফিগ বা শুকনো ডুমুর পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতার জন্য ভালো। আবার এর মধ্যে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
শুকনো  ফল হৃদরোগ, স্থূলত্ব এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক। গর্ভাবস্থায় আয়রনের অভাব পূরণ হয়।
শুকনো ক্রানবেরি প্রস্রাবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর আমসত্ত্বতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের সুরক্ষা দেয়।
শুকনো ফল কোলেস্টেরল দ্রুত কমে যায়। যেমন আমন্ড অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। আখরোট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটও রয়েছে। এছাড়াও পেস্তা খেলে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কম হয়।
প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে উষ্ণতা বাড়ে, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

ঘরেই প্রস্তুত করা যায়

শুকনো ফলের বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করলে। তবে সব ফলই শুকনো ফলে পরিণত করা যাবে না। যেসব ফলে জলীয় উপাদান আছে এমন ফল বাছাই করতে হবে। সহজে ঘরেই শুকানো যায় এমন কয়েকটি সাধারণ ফলের যেমন আপেল, কলা, খেজুর, ডুমুর, বাদাম, আনারস, বেরি, আম, ইত্যাদির শুকনো ফল প্রস্তুত করা যায়।

তিনটি ধাপে প্রস্তত করা যাবে। প্রথমে ফলের পাতা ও ডাঁটা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে সুতি নরম কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এরপর ফলের বীজসহ অবাঞ্ছিত উপাদান বের করে নিয়ে ছোট ফলগুলোকে ছিদ্র করতে হবে আর বড় ফলগুলো গোল করে কেটে নিতে হবে। এবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। সবশেষে কাচের বৈয়াম বা বায়ুরোধী পাত্রে নিয়ে ঠান্ডা তবে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

চাইলে বাজার থেকেও বিদেশি শুকনো ফল যেমন: এপ্রিকট, ক্রানবেরি, ফিগ ইত্যাদি কেনা যেতে পারে। তবে বাজার থেকে কেনা শুকনো ফল প্রস্তুত করতে চিনি ও ক্যালোরির পরিমান বেশি দেয়া হতে পারে। আবার মেশানো থাকতে পারে কৃত্রিম রং ও স্বাদ। এছাড়াও কিশমিশ, খোরমা, শুকনো খেজুর, আমসি, আমসত্ত্ব ইত্যাদি আমাদের দেশে জনপ্রিয় শুকনো ফল।

বাহারি উপায়ে খাওয়া যায়

দিনে অল্প ক্ষুধায় নানা উপায়ে শুকনো ফল খাওয়া যায়। সেমাই, জর্দা, পায়েসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আবার সকালের খাবার স্বাদু করতে ফাইবার সমৃদ্ধ শুকনো ফল যেমন কিশমিশ, বেরি ফল এবং ব্লাক বেরি স্বাদহীন ওটমিলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

 

রাতের ভারি খাবার শেষে ডেজার্ট না খেয়ে শুকনো ফল রাখা যেতেই পারে। চাইলে স্ন্যাকস হিসেবেও শুকনো ফল যেমন বিভিন্ন ধরনের বাদামের সঙ্গে কিশমিশ শুকনো নারকেল মিলিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া বাজারেও বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল মিক্সড হিসেবে কিনতে পাওয়া যায়। শুকনো ফল যেন একই পদের না খেয়ে শুকনো ফলের মিশ্রণ থাকলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে ক্যালরি বেশি থাকায় পরিমাণে কম খাওয়াই ভালো। দিনে এক মুঠো বা সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে।

ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কর্মক্ষেত্রজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতা

সারা দিন অফিসে থেকেও পাওয়া যাবে ভিটামিন ডি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস ঠেকাটে ভিটামিনে ডি এর ভূমিকা অনেক। এক দল গবেষক বলছেন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হতেই পারে কোভিডের তীব্র সংক্রমণের কারণ। আমাদের শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হওয়ার প্রধান কারণ হল সূর্যের রষ্মি শরীরে না লাগানো। কারণ সূর্যের আলোই ভিটামিন ডি-র প্রধান উৎস। দিনের বেশির ভাগ সময়টা আমরা অফিসেই কাটিয়ে দিই। আর অফিসের চার দেওয়াল ভেদ করে গায়ে রোদ লাগানো তো আর সম্ভব নয়।

তবে চিন্তার কিছুই নেই। কিছু সাধারণ উপায় মেনে চললেই শরীরে ভিটামিন ডি-র জোগান ঠিক রাখা যাবে।

১। অফিসে যাওয়ার আগেই তো সেরে ফেলা যায় শরীরচর্চা। আর তা করতে পারলেই অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে বাড়িতে নয়, বাইরে বেরিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাতঃভ্রমণও করতে পারো। শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব মিটবে।

২। অফিসে গিয়ে একটানা বসে কাজ কখনই করবে না। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝে উঠতে হবে। দুপুরের দিকে একটু অফিসের বাইরে বেরিয়ে হেঁটে আসা যেতে পারে। একা নয়, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই বাইরে বেরিয়ে দুপুরের খাবারটা খেয়ে আসা যায়।

৩। অনেকেই বাইরের খাবার খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে অফিসেই দুপুরের খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়া যায় রোদ পোহাতে। এর মাধ্যমেই অনেক সমস্যার হবে সমাধান।

৪। বাসে করে অফিস গেলে অফিসের একদম সামনে নামবে না। একটু আগে নেমে বাকিটা পথ হেঁটে আসেত পারো। হাঁটাও হবে আর শরীরের ভিটামিন ডি-র ঘাটতিও কমবে।

লেখা :রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook