রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা

রোদসী

  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

সম্ভাবনা

নারীসম্ভাবনা

যশোরের ফারহানার নতুন উদ্যোগ

মুন্না হোসেন, যশোর: বাগান করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ফারহানা ইয়াসমিন। এবার তার নতুন উদ্যোগ। বাড়ির ছাদ ও ফাঁকা আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি-ফল চাষের জন্য উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা। ইতোমধ্যে ২০ জন নারীর সাড়াও পেয়েছেন।

ফারহানা যশোর শহরের বকচরের বাসিন্দা। বাড়ির ছাদে দেশি বিদেশি ফল, ফুল, ঔষধি ও শোভাবর্ধণকারী গাছ লাগিয়ে এ বছরের মার্চেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার নেন। এতে উৎসাহ আরও বেড়ে গেল। শুরু করলেন বিষমুক্ত সবজি ও ফল চাষ। একা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় ভেবে, অন্য নারীদেরও আহ্বান জানান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্ত হয় আরও ২০ নারী উদ্যোক্তা ও ১০ জন সহযোগী।  ছোট্ট এই দলের নাম বকচর মহিলা সিআইজি (কমন ইন্টারেস্ট) গ্রুপ। তহবিলের জন্য দলের সদস্যরা মাসে ২শ থেকে ৫শ টাকা চাঁদা জমা করছেন। সঞ্চয়কৃত তহবিল দিয়ে বছর শেষে তারা বিষমুক্ত ফল ও সবজি উৎপাদন করতে চান।

উদ্যোক্তারা বলছে, কারও বাড়ির ছাদ ও আঙিনা খালি পড়ে থাকবে না। ফারহানার  পথ অনুসরণ করে টবে ও বাড়ির পরিত্যক্ত জমিতে গাছ লাগিয়ে তারাও সফল হতে চান। বকচরের গৃহবধূ জাকিয়া সুলতানা লিপি, লায়লা ইসলাম, আকলিমা মিলি নিজেদের বাড়িতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

ফারহানা তার ছাদ বাগানের সফলতা গল্প নবীন নারী উদ্যোক্তাদের কাছে তুলে ধরছেন। প্রতিমাসের শেষ শুক্রবার তার বাড়িতে এ নিয়ে আলোচনা সভা বসে। সেখানে নিজেদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

ফারহানা ইয়াসমিন জানান, এ মহৎ কাজে তাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করেছেন চ্যানেল আই-এর  শাঈখ সিরাজসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডিদাস কুন্ডু, হটিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক বিনয় কুমার সাহা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ তার কাজে নিয়মিত পরামর্শ দেন।

এস,এস,সি পাস ফারহানার বড় মেয়ে আফসানা ইয়াসমিন বৃষ্টি যশোর সরকারি এম, এম, কলেজের ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন বন্যা যশোর পলিটেকনিক কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। স্বামী আকরাম হোসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায় জড়িত। পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে সাড়ে ৯শ’ বর্গফুট ছাদে কমলা, বেদানা, মাল্টা, বেল, কাঁঠালসহ দেশি বিদেশি নানা প্রকার ফল, ফুল, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রায় চারশ’ গাছ লাগিয়েছেন।

ফারহানা গৃহস্থলির কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও বাগান করে সফলতা অর্জন ও জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন। তার নতুন উদ্যোগেও তিনি সকলের সহাযোগিতা চান। নবগঠিত বকচর মহিলা সিআইজি গ্রুপের সভাপতি তিনি নিজেই। সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন নাসরিন আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিন।

রোদসী/এসঅাইএস।

সবুজ মাঠে রঙিন স্বপ্ন

আকলিমার স্বপ্নের খামার

 

 

০ মন্তব্য করো
1 Facebook Twitter Google + Pinterest
নারীসম্ভাবনা

আকলিমার স্বপ্নের খামার

আতিকুর রহমান নগরী, সিলেট: আকলিমা খাতুন গৃহবধূ থেকে হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। গড়ে তুলেছেন কোয়েল পাখির খামার। তার পরিবারে এসেছে সফলতা। আকলিমার সফলতার গল্প এখন গোয়াইনঘাটের আনাচে-কানাচে ঘুরপাক খাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখে এলাম আকলিমার খামার।

সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৭নং নন্দিরগাও ইউনিয়নের সালুটিকরের অঝোপাড়াগা আঙ্গারজুর গ্রাম। গ্রামটির চারদিকেই বিস্তৃত ফসলের মাঠ। সেই নিভৃত পল্লীর আঙ্গারজুরের রক্ষণশীল পরিবারের গৃহবধূ আকলিমা বেগম।

জানা যায়, আকলিমা বেগমের স্বামী হাফিজ হেলাল উদ্দিন। পেশায় তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার ইসলামেরগাও (পূর্ব) জামে মসজিদের ঈমাম। হাফিজ হেলালের একার রোজগারে ‍কোন রকমে টেনেটুনে চলছিল পাঁচ সদস্যের সংসার।

দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী আকলিমা গড়ে তোলেন কোয়েল পাখির খামার। খামারের নাম রাখেন ’ফাতেমা কোয়েল খামার’।

ঘরের দুটি রুম ব্যবহার করে খামারের কাজ শুরু করেন আকলিমা। প্রথমে হারিকেন পদ্ধতিতে তাদের খমারে বাচ্চা ফুটানো শুরু হয়। ১০০টি ডিম দিয়ে তাদের স্বপ্নের সেই খামারের যাত্রা শুরু হয়েছিল।  ১০০ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছিল ৬৫টি। সেই থেকে আর তাদের পেছনে তাকাতে হয়নি।

আকলিমা বেগমের হাতেগড়া ‘ফাতেমা কোয়েল খামারে’ বর্তমানে ডিম দেয় এমন পাখি আছে ১৫০টি। আর তা থেকে প্রতিদিন ন্যূনতম ৯০টি এবং সপ্তাহে ডিম আসে ৭০০-৮০০টি। ঘরের মিস্রিবে হারিকেন পদ্ধতিতে এসব উৎপাদিত ডিম থেকে মাসে ৪ কিস্তিতে ১৭ দিন করে তাপ দিলে ৪০০-৫০০টি বাচ্চা ফুটে। ডিম থেকে ফুটানো বাচ্চাগুলো ৮-১০ দিন তাপ দেয়ার পর তা বিক্রির উপযুক্ত হয়।

প্রতি মাসে অন্তত ২০০০টি কোয়েল পাখি বিক্রি করা সম্ভব হয়। এই উৎপাদিত কোয়েল পাখি বাড়িতেই প্রতি পিস ২৫ টাকা (পাইকারি দরে) বিক্রি করেন আকলিমা বেগম। মাসে তিনি ১০,০০০-১২,০০০ টাকা বাড়তি আয় করতে পারেন।

এই প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলপচারিতায় আকলিমা বেগম জানান,  ঘরের যাবতীয় কাজ করার পাশাপাশি এ খামারে সময় ব্যয় করেন। স্বামীকে সহযোগিতা করার জন্য কোয়েল খামার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

আকলিমা বলেন ‘কোন প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রথমে বিপাকে পড়ি। পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি আয়ত্তে চলে আসে।’

সরকারিভাবে আর্থিক ঋণ বা সহযোগিতা পেলে আরও ভালো একজন খামারী এমনকি স্থানীয় বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা পালন করতে পারবেন আকলিমা।

আকলিমা বেগমের স্বামী ইমাম হাফিজ হেলাল উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিষ্ঠিত ফাতেমা কোয়েল খামারটি এখন ভালোই চলছে। খামারটি আমার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছে। খামারটি আমার পরিবারের প্রতি মাসে বাড়তি আয় রোজগারের পথ তৈরি করেছে। সরকারের কোন দপ্তর থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে খামারটি আরও সম্প্রসারিত করতে পারবো।’

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন ‘এই ধরণের উদ্যোক্তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সমাজ থেকে বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা পালন করে থাকেন।’

ফাতেমা কোয়েল খামারের সফলতা কামনা করে তিনি জানান, এই নারী উদ্যোক্তার খামারের ঋণসহ পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা বিবেচনা করা হবে।

রোদসী/এসআইএস।

গুগলের নতুন অ্যাপ ‘ট্যুরিং বার্ড’

রোদসীতে চাকরির সুযোগ

০ মন্তব্য করো
1 Facebook Twitter Google + Pinterest

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ভ্যাকেশন ম্যানেজমেন্ট

তুমিই রোদসী

  • রোদসীর আড্ডায় আমেনা সুলতানা বকুল







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০১৮
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
টাওয়ার হ্যামলেট, ৯ম তলা, ১৬ কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৯৮২০০১১, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

Facebook