রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

সাফল্য

নারীবিনোদনবিশেষ রচনাশিল্প-সংস্কৃতিসাফল্য

লালনকন্যা মীমের স্বপ্ন

করেছে Suraiya Naznin এপ্রিল ১৬, ২০২৩

অচিন্ত্য চয়ন

 

বর্তমান প্রজন্মের কণ্ঠে বাংলা গানের জয়ের নিশানার সুর বাজছে যে সুরে মুগ্ধ হবে শ্রোতারা, টিকে থাকবে বাংলা গান। বর্তমান সময়ে কিছু তরুণ ফোক গানে ভালো করছে। স্বপ্ন দেখছে ফোক গান নিয়ে। প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কণ্ঠযোদ্ধাদের মধ্যে লালনকন্যা শাহরিন সুলতানা মীম অন্যতম।

 

মীম একদিন বাদ্যযন্ত্রহীন বন্ধুদের টেবিল থাপড়ানো তালে খালি গলায় গেয়েছিলেন, ‘এক চক্ষেতে হাসন কান্দে; আরেক চক্ষে লালন/ গুরু তোমার বিরহে জ্বলে আমার বুকের আগুন।’ বাদ্যযন্ত্রহীন খালি গলার এ গানটিতেই ভাইরাল হয়েছিলেন মীম। এই ভাইরাল পরিবর্তন করে দেয় জীবনের মোড়। গান ভালো বাসতেন, গান হৃদয়ের গভীরে লালন করতেন কিন্তু বড় কোনো স্বপ্ন তার ছিল না। স্বপ্ন না থাকলেও তার মেধা ছিল, কণ্ঠে ছিল শ্রোতাকে পাগল করার মতো জাদু। এখন এই স্মৃতি মীমকে বহুদূরে যাওয়ার সাহস জোগায়। এই সাদাকালো স্মৃতি রঙিন হওয়ার স্বপ্ন বহন করে।

 

দৃশ্যটি এমনই ছিল ক্যাম্পাসের ছোট ভাই ফাহিমের আবদারে ক্যাফেটেরিয়ায় বসে গান শুরু করেন মীম। প্রাণবন্ত আড্ডার পাশ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করে হুমায়ের। হুমায়েরের ফোনবন্দী হয় তার গান। সাদা-কালো ‘ইফেক্ট’ দিয়ে ছেড়ে দেয় ফেসবুকে। সেখান থেকে ইউটিউবে। তারপর গানটা শেয়ার শুরু। তার কণ্ঠ স্পর্শ করে শ্রোতাদের মন, গানের হৃদয়। অতঃপর ভাইরাল। পরদিন থেকে মীম হয়ে যান ‘লালনকন্যা’। ভাইরাল হওয়ার পর মীমের ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়তে থাকে। সেই থেকে শাহরিন সুলতানা মীম গানের হৃদয় হৃদয় রেখে হাঁটছেন দূরে, বহুদূরে যাওয়ার প্রত্যয়ে। ফোক গান করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মীমের।

 

জীবন চলে জীবনের গতিতে। যে গতি নির্মাণ করে তার সৃজনশীল সৃষ্টি। এসবের অন্তরালে থাকে যুদ্ধের গল্প। যুদ্ধ জীবনের ঘনিষ্ঠ ছায়া। এই ছায়ায় প্রস্ফুটিত হয় কর্মফল। যে ফলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে মানুষের হৃদয়ে থেকে হৃদয়ে। মীমেরও এমন গল্প আছে। গান নিয়ে বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাইলে মীম শুরুর গল্প বলেন, ‘আব্বুর কাছে ঘুমানোর সময় ছোটবেলা থেকেই গান শুনতাম। আম্মুও গুনগুন করে ছড়াগান শেখাতেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নাম দিতাম প্রতিবার, পুরস্কারও পেতাম দ্বিতীয় বা তৃতীয়। ক্লাস থ্রিতে যখন পাঁচমিশালি গানে কিরণ রায়ের “গাছের মূল কাটিয়া” গানটি গাইলাম, অনেক প্রশংসাও পেলাম। কিš‘ প্রথম হতে পারলাম না। খুবই কষ্ট পাই আমি। তারপর জেদ পেয়ে বসল। জেদ থেকেই একদম হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করি। এরপর থেকে স্কুলে সব সময় গানে প্রথমই হয়েছি।’ পরাজিত হলেও জয়ের নিশানা দেখা মেলে। তবে থেমে থাকা যাবে না। ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার’ কথাটিও প্রমাণ করে দিল মীমের চেষ্টা। জয়-পরাজয় নিয়ে মীম কখনো ভাবেননি। সব সময় ভাবনায় ছিল ভালো করা। থেমে থাকেনি মীমের পথচলা। আস্তে আস্তে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে শুরু করেন। বাবার উৎসাহ ও গানের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার ওঝা, তপন নট্ট, জয় প্রকাশ বিশ্বাস, সুমন দাসের অনুপ্রেরণায় থানা, জেলা এবং বিভাগ পর্যায় উতরেও গেছে তার কণ্ঠের জাদু। এই ধারাবাহিকতায় চ্যানেলের রিয়েলিটি শোগুলোতে প্রতিযোগিতায় নাম লেখান।

 

২০১৪ সালে ব্র্যাকের আয়োজনে চ্যানেল আইয়ের তারায় তারায় দীপশিখা প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় হন। স্টেজ শো তার প্রিয় জায়গা। তারায় তারায় দীপশিখা থেকে ফিরে স্টেজ শোতে মনোযোগী হন। তার এই পরিশ্রম বিফলে যায়নি। বরিশাল বেতারে লালনগীতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে বৃত্তের বাইরে নামক অনুষ্ঠানে ছিলেন নিয়মিত। বিভিন্ন কারণে কিছু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ বিষয়ে মীম বলেন, ‘বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়াশোনার চাপ বেড়ে যায়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও কমে যায়। একবার একটা প্রতিযোগিতায় বরিশাল থেকে ফার্স্ট হই কিন্তু ঢাকায় আর যাওয়া হয় না আমার আম্মার অপারেশনের জন্য। আরও বিভিন্ন রাগ, ক্ষোভ, অভিমান থেকে। বড় হয়ে বুঝলাম অভিমান পুষিয়ে রেখে নিজের ক্ষতি করতে নেই। দিন শেষে গানটা নিজের জন্যই গাওয়া শুরু করি।’

 

 


তার অজান্তে করা একটা ভিডিও, ‘এক চক্ষেতে হাসন কান্দে; আরেক চক্ষে লালন/ গুরু তোমার বিরহে জ্বলে আমার বুকের আগুন’ গানটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়। সেই গানের ভিডিওতে ক্যাপশন ছিল ‘লালনকন্যা’। সেই থেকে এ নামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয় মীমকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীম বলেন, ‘যদিও ছোটবেলা থেকেই আমার গানের জন্য “লালনকন্যা” নামটি আমি খুব শুনেছি। খুব ছোটবেলায় এ নামে আমাকে ডাকত আমার একজন নানা রশিদ উদ্দীন তালুকদার। ২০১৮ সালে সাইমুন হোসেন আমাকে বাকেরগঞ্জে গানের জন্য একটি অ্যাওয়ার্ড দেন, যাতে “লালনকন্যা” ঘোষণা করেন। সেই শব্দ এখনো কানে বাজে। এমন মধুর স্মৃতি ভুলবার নয়।’

 

মানুষের জীবনে অনেকবার সকাল আসার দরকার নেই। আলোকিত একটি সকাল হাজার সকাল এনে দেয়। মীমের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। তার অজান্তে একটি সকাল এসেছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। গানটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রথম কী কাজ করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমার বন্ধুবান্ধবীরা আমার নিজস্ব একটা পেজ খুলতে বলে, যা আমি করিনি। ইতিমধ্যে আমার জি-সিরিজ থেকে ডাক আসেন সেখানে কাজ করার সুযোগ পাই। এরপর তো করোনাই চলে এল। পরে ঢাকায় চলে আসি। আমার ছোট ভাই ফাহিম আমাকে একদিন একটা পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে দেয়। পেজের নাম দিলাম “লালনকন্যা মীম” কারণ, এ নামেই মানুষ আমাকে বেশি খোঁজে। পেজের জন্য কিছু মানুষ আমার গান ভালোবাসে, আমি অজান্তে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে যাই।’

 

 

মানুষ ভালোবাসে সৃষ্টিশীল মানুষকে। মানুষের ভালোবাসায় মীম বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তিনি এই স্বপ্নের পরিধি আরও প্রসারিত করতে যুক্ত হন আরটিভির তুমুল জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন সিজন-২’তে। মীমের মেধা-মনন দিয়ে ফাইনালিস্টে স্থান দখল করেন। পেছনের সবকিছু পুঁজি করেই তার এই গানযুদ্ধ। মীমের গানজীবনে আরটিভি আরেক অধ্যায়, যা তাকে একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। চাওয়া ছিল তার মা-বাবার। আরটিভি নিয়েও তার স্মৃতিবিজড়িত আবেগের শেষ নেই। তিনি আরটিভিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ছোট ভাই ফাহিম আমার পেজের অ্যাডমিন। ফাহিম আরটিভির জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন’-এ একটি গান পাঠায়, যে গান থেকে আমি স্টুডিও রাউন্ডের জন্য সিলেকশন পাই। পরের জার্নি বেশ উপভোগ করেছি। অনেক কিছু অর্জন করেছি। সবকিছুর জন্য আরটিভি ও আমার শ্রোতাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’

‘মানুষ স্বপ্নের সমান বড়’বাক্যটি গুণীজন এমনি এমনি বলেননি। মানুষ সব সময় স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখেই বাঁচে। লালনকন্যা মীমও একজন স্বপ্নবান তরুণ কণ্ঠযোদ্ধা। তিনি সবকিছুর জন্য শুকরিয়া আদায় করে বলছেন, ‘বাংলার গায়েন সিজন-২-এর টপ ফাইনালিস্টে থাকতে পারাটা আমার জন্য স্বপ্নের মতো।’ কিন্তু শ্রোতার রিভিউ অন্য রকম ছিল। গ্র্যান্ডফিনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে তার ফেসবুক ও পেজে অনেক শ্রোতা মন্তব্য করেন। মীমকে প্রথম তিনজনের মধ্যে দেখার প্রত্যাশা ছিল সবার। ভক্তদের প্রত্যাশা বেশি থাকলেও তাদের প্রত্যাশা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ, গানের বিচারক দিন শেষে শ্রোতা। মীম বলেন, ‘প্রিয় শিল্পীর নিকট প্রত্যাশা, একটু বেশিই থাকতে পারে। আমি হয়তো পূরণ করতে পারিনি। ভালো গাইতে পারিনি। তবে সব প্রতিযোগিতায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকে। এতে আমি হতাশ না। শ্রোতারা আমার পাশে থাকলে ভালো কিছু করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। শ্রোতাদের প্রতি শ্রদ্ধা সব সময়। এভাবে পথ চলতে চাই, চাই আরও আরও অধ্যায় আসুক আমার। গান নিয়ে কাজ করতে চাই। মানুষ আমার গান ভালোবেসে যেভাবে পাশে আছেন, তাদের জন্যই আমি আজকের মীম। তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে চাই সব সময়।’

 

 

একজন শিল্পীর দায় শিল্পের কাছে। শিল্পকে ফাঁকি দিয়ে শিল্পী হওয়া যায় না এই বিষয়টি মীমও অনুধাবন করেন। গানকে ভালোবাসতে বাসতে একজন কণ্ঠশিল্পীর শ্রোতার প্রতি দায় বেড়ে যায়। এই দায় ও শ্রোতাদের ভালোবাসা নিয়েই মীমের পথচলা। এই লালনকন্যার মুখে কোনো হতাশার গল্প নেই। তার মুখে হতাশার গল্প মানায় না। তার জীবনে প্রত্যাশা, অর্জন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সহজ করে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, জীবনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েই মানুষের জীবন। আমি ব্যর্থতার হিসাব কষতে বসি না, জীবন আমাকে যা দিয়েছে, আমি শুধু তার হিসাব রাখি আর তাতে আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছা বেড়ে যায়, জীবনের প্রতি অভিযোগ কমে যায়, জীবনটা সুন্দর মনে হয়।’ মীম খুবই আশাবাদী, ইতিবাচক মানুষ। তার দৃষ্টিতে জীবনে ব্যর্থতা বলতে কিছু নেই। সবকিছুই অর্জন। জীবনে ব্যর্থ হলেও অনেক কিছু শেখা যায় এমন দর্শন মীমের। ফোক গানে মীম নিজেকে খুঁজে পান। মন ভালো-খারাপে ফোক গান তার বড় সঙ্গী, ফোক গানে প্রশান্তি পান। ফোক গান নিয়ে একটি স্বপ্ন বুকে লালন করছেন লালনকন্যা। ফোক গানের সুর-কথা যেন না হারিয়ে যায়, সে জন্য কাজ করবেন মীম। তিনি ফোক গানের শিল্পীদের নিয়ে বছরে একবার মেলার আয়োজন করার স্বপ্ন দেখছেন। প্রচলিত-অপ্রচলিত ফোক গান নিয়ে কাজ করতে চান। তার এই স্বপ্ন নিঃসন্দেহে ফোক তথা বাংলা গান ও সংস্কৃতির জন্য ভালো। বাংলার গায়েন সিজন-২-এর পরে মীমের প্রথম ঈদ। এবারের ঈদ নিয়েও তার আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করাটাই তার মুখ্য স্বপ্ন।

 

 

একজন শিল্পীর স্বতন্ত্র পরিচয় মৌলিক গান। এমন পরিচয় বহন করতে চান না এমন শিল্পী খুঁজে পাওয়া যাবে না। মৌলিক গান নিয়ে কোনো চিন্তা আছে কি না, জানতে চাইলে মীম বলেন, ‘একজন শিল্পীর পরিচয় তার মৌলিক গান। ইচ্ছা আছে এ বছরে মৌলিক গান নিয়ে কাজ করার। নিজের ভালো দিকগুলোকে ধারণ করে খারাপ দিকগুলো শুধরানোর চেষ্টাও থাকবে। সর্বোপরি নিজেকে ভালো মানুষ এবং নিজের সৎ ইচ্ছাগুলোর পূর্ণতা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করব।’ মানুষ গান নিয়ে ভেসে বেড়ায় জীবনের ভেলায়। জীবনযুদ্ধের বক্ররেখায় গানের যুদ্ধটাও যুক্ত করে পথ চলেন একটু প্রশান্তির জন্য গানকে সঙ্গে রাখতে হয়। এই গানের ছায়ায় মন রেখে যারা যুদ্ধ করেন, তারাই সুরের মানুষ, গানের মানুষ, হোক ছোট কিংবা বড়। একজন শাহরিন সুলতানা মীমও গানের হৃদয়ে হৃদয় রেখে হাঁটছেন। ঈদেও গানের বাইরে থাকছেন না মীম। ঈদের আনন্দের সঙ্গে যুক্ত করেছেন গান। বাংলার গায়েন শেষ করার পর এক বছরের জন্য যুক্ত হয়েছেন আরটিভিতে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদে তারা আয়োজন করেছে গানের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘স্টুডিও বাংলার গায়েন’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালনকন্যা বলেন, ‘আরজু আহমেদের প্রযোজনায়, ইমন সাহা স্যারের মিউজিক কম্পোজিশনে আরটিভির ঈদ অনুষ্ঠান স্টুডিও বাংলার গায়েনের শুটিং শেষ করেছি বেশ আগেই। আশা রাখি, এ অনুষ্ঠান দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’

 

মানুষ বলতেই স্মৃতির পাহাড় বহন করে চলে। একমাত্র মানুষই বেশি স্মৃতিকাতর। আনন্দ-বেদনার কত স্মৃতি মানুষকে তাড়া করে বেড়ায়। মীমকেও তাড়া করে বিভিন্ন স্মৃতি। একটি স্মৃতির কথা জানতে চাইলে মীম বলেন, ‘যেহেতু ঈদ বিশেষ আয়োজন, তাই ঈদের স্মৃতিচারণাই করি। মজার বিষয় হলো, আমি বাবার সাথে ঈদগাহে যেতাম, ঘাড়ে করে নিয়ে যেতেন আব্বু। বাবা নামাজ পড়তেন, আমি বসে থাকতাম। তারপর তো শুরু হতো ঘোরাঘুরি। আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল শিশুপার্ক। আমি এখনো সময় করতে পারলে শিশুপার্কে যাই। আমার ভালো লাগে। শিশুদের ছোটাছুটিতে নিজেকে খুঁজে পাই।’

 

 

জীবনের বড় অংশ বা বড় সিদ্ধান্ত বিয়ে। বিয়ে মানেই দুটি মানুষের একসঙ্গে জীবন কাটানোর সমাজ স্বীকৃত অঙ্গীকার। সবার জীবনেই বিয়ে জরুরি। সাধারণ মানুষের মতোই তারকাদের জীবনেও বেজে ওঠে বিয়ের সানাই। ভক্ত-অনুরাগীরা বরাবরই তারকাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে দারুণ আগ্রহী। তারা জানতে চান প্রিয় তারকার প্রিয় মানুষটির সম্পর্কে। গানযোদ্ধার চিন্তা অন্যান্য তারকার মতো নয়। তাই গানের মানুষের বিয়েটা ভিন্ন রকম হয়। মীমের কাছে প্রেম-বিয়ে নিয়ে জানতে চাইলে খুবই কৌশলী উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘প্রেম-বিয়ে নিয়ে কোনো খবরই নাই। মূলকথা প্রেমের বয়স নাই, আর বিয়ে তো করাই লাগবে, তবে পায়ের নিচে নিজের একটা ভিত্তি হোক, পরিচয় হোক।’

 

মানুষের নিজের ভিত্তি ও পরিচয় দরকার। সব মানুষের ভালো পরিচয় ভালো নিরাপত্তা। মানুষকে যেমন বিশ্বাস করে পথ চলতে হয়, তেমনি ‘গান’ বিষয়টাও বিশ্বাসের। জীবনের উত্থান-পতনেও গান তাকে ছাড়েনি। তিনি গানের মাঝে নিজের সুখ ও বিশ্বাস খুঁজে পান। তার স্বপ্ন শুধুই গান নিয়ে। লোকগান আমাদের জীবনের কথা বলে তাই লোকগানকে ছড়িয়ে দিতে চান সর্বত্র। কাজের প্রতি বিশ্বাস রেখে অগ্রসর হতে হয় নীরবে। তবেই জয়ের নিশানা হাতের মুঠোয় আসবে। সার্বিকভাবে সংগীতে যে শব্দগুলো একজন শিল্পী কণ্ঠে উচ্চারণ করে সেগুলো বিশ্বাস না করলে অন্য কাউকে স্পর্শ করবে না। একজন প্রকৃত শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য বিশ্বাসটা জরুরি। একটা গানকে ধারণ করতে গেলে ভেতরটা শূন্য করতে হয়। বিশ্বাস ছাড়া কিচ্ছু হয় না। তাই শিল্পীর কখনো বিশ্বাস হারাতে নেই। অর্জন নয়, একজন প্রকৃত শিল্পীকে কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি বুকে লালন করে লালনকন্যা মীম এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা মীমের গানপাগল ভক্তদের।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কর্মক্ষেত্রসম্ভাবনাসাফল্য

‘ঘরের কাজগুলো ভাগাভাগি হওয়া দরকার’

করেছে Suraiya Naznin মার্চ ১৬, ২০২৩

কর্মজীবি নারীর প্রধান সমস্যা হলো অফিস সামলেও তাকে ঘরের কাজ করতে হয়। ঘরের কাজগুলো ভাগাভাগি হলেই নারীরা আরো অনেক বেশি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবে বলে আমি মনে করি এভাবেই বলছিলেন নেক্সাস টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নির্মাতা জাকিয়া সুলতানা– তিনি নারী দিবসে রোদসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুরাইয়া নাজনীন

ক্যারিয়ার শুরু করার সেই সময়ের গল্প যেমন ছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে মাস্টার্স করে ২০০৬ সালে বৈশাখী টিভিতে সহকারী প্রযোজক হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয়। সম্মান ও সফলতার সাথে এখন পর্যন্ত কাজ করে যা”িছ। প্রযোজনার পাশাপাশি সরাসরি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা হয়।

জীবনের প্রতিবন্ধকতা ছিল কী? থাকলে তা কেমন আর কিভাবে সেগুলো অতিক্রম করা হয়েছে?

আমাদের সমাজে নারীর যে অবস্থান সেই জায়গা থেকে বলতে গেলে আমি খানিকটা প্রিভিলেজড। আমার পরিবারে নারী হিসাবে আলাদাভাবে ট্রিট করেনি কেউ কখনও আর বিয়ের পরও আমি ততটাই সুবিধা পেয়েছি যতটা বিয়ের আগে পেতাম। তবে নারী হিসেবে সামাজিক ঘেরাটপগুলো আমাদের মগজে প্রথিত থাকে বলে কিছুক্ষেত্রে আমরা পিছিয়েই থাকি। সন্তান জন্মের পর আমার কর্মবিরতি ছিল। বাচ্চাকে টেক কেয়ারের জন্য নির্ভরযোগ্য অবস্থা না থাকায় কর্মবিরতি নিতে হয়। যদিও আমি সেসময়টাকে আমার উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাই।

নারী হিসেবে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ঘরে ও বাইরে?

কর্মজীবি নারীদের প্রধান সমস্যা হলো অফিস সামলেও তাকে ঘরের কাজ করতে হয়। ঘরের কাজগুলো ভাগাভাগি হলেই নারীরা আরো অনেক বেশি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবে বলে আমি মনে করি। আর অন্যদিকে অফিসে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তাকে পুরুষ সহকর্মীর চাইতে বেশি কাজ করতে হয় নারীদের। আবার নারীরা অফিসে ভালো করলে বাহবার বদলে পুরুষ সহকর্মীরা তার মনোবল ভেঙে দিতে চেষ্টা করে নানাভাবে। আমাদের দেশে এখনও কখনও কখনও পুরুষের চাইতে কম বেতন দেয়া হয়। নারী-পুরুষের বৈষম্যের কারণে বেসরকারি সংস্থায় সমান যোগ্যতা থাকার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর বেতন পুরুষের বেতনের চেয়ে কম। আবার এক অফিসে নারী ও পুরুষ কর্মকর্তা একই পদমর্যাদার হলেও অধস্তনেরা পুরুষ কর্মকর্তাকে যতটা মানেন, নারীর ক্ষেত্রে ততটা না। রাস্তাঘাটে যানবাহন সমস্যা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে নারীর জন্য এখনও আমাদের সমাজব্যবস্থা সহনশীল অবস্থায় পৌঁছায়নি। তাই পরিবেশ ও মানসিকতার বদল হওয়া জরুরী।

নারীর আত্মনির্ভরশীলতার সঙ্গা কি?

আমাদের দেশের নারীরা নিজের মতের গুরুত্ব না দিয়ে বাবা-ভাই-স্বামীর হাত ধরে জীবন পার করে দেয়। কিন্তু সময় বদলেছে। নারীর আত্মনির্ভরশীলতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আত্মনির্ভরশীলতা মানে নিজের ওপর নির্ভরশীলতা। একজন নারী যখন অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজেই নিজের অবস্থান তৈরি করেন, তার চাহিদা মেটান, তার পছন্দমত স্বা”ছন্দ্যে চলতে পারেন সেটাই আত্মনির্ভরশীলতা।

 

নারী আত্মনির্ভরশীল হতে হলে কি কি থাকা দরকার বলে মনে হয়?

আত্মনির্ভরশীলতা হলো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। প্রথমত নারীশিক্ষা জরুরী এরপর তাকে স্বাবলম্বী হতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী অনেক বেশি আত্মনির্ভরশীল। একজন মানুষ তার নিজস্ব শক্তি ও আত্মনির্ভরশীলতা থেকেই নিজের স্বাধীনতা অনুভব করে। শুধুই সংসার ও পরিবার প্রতিপালনে নারী কখনোই সুখী হতে পারে না, কারণ চাকরিটা তাঁর কাছে যতটা না আর্থিক প্রয়োজনের, তারচেয়ে বেশি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বিকাশের পরিচিতির। তাই নারীর আত্মনির্ভরশীল হওয়া জরুরী। আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে যেকোনো অসুবিধাকে জয় করা যায়।

নারীর আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পেছনে সমাজ ও পরিবারের কি কি করনীয় আছে?

আমাদের পরিবার থেকে কন্যা সন্তানদের এভাবেই গড়ে তোলা হয় যে, বিয়ের পর নারীদের প্রধান এবং একমাত্র অবলম্বন স্বামী। স্বামীই তাদের সর্বস্ব, স্বামীই দেবতা। কিš‘ বর্তমান নারীরা ঘরের বাইরেও নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। দেশ ও দেশের বাইরেও তাদের সমান বিচরণ। তবু মান্ধাতা আমলের প্রথা থেকে তারা মানসিকভাবে এখনও বের হতে পারেনি। আসলে নারীদেরকে এই অবস্থা থেকে বের হতে দেওয়া হয় না। তাই নারীরা পরিবারের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে; তাদের নির্ভরশীল করে তোলা হয়। শিশুকাল থেকেই একজন ছেলে সন্তানকে যতটা বহির্মুখী করে গড়ে তোলা হয়, কন্যাসন্তানকে ততটা অন্তর্মুখী। এভাবে নারীরা শৈশব থেকে এত বেশি ঘরমুখো হয় যে, তাদের নির্ভরশীলতাও মজ্জাগত হয়ে পড়ে। তাই নারীরা বাবার বাড়িতে যেমন জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ বাবা-ভায়ের দেখানো পথে চলে, তেমনি জীবন পরিচালনা করতে আরও একটু বাড়তি সংযোজন ঘটে স্বামীর পরিবারে এসে। হুট করে বিপ্লব ঘটিয়ে নিজের অধিকার বা আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা নারীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। যুগ যুগ ধরে যে নিয়মের বেড়াজাল তৈরি হয়েছে পরিবার ও সমাজে তার বদল ঘটতে হবে সমাজ থেকেই। সমান মর্যাদায় গড়ে তুলতে হবে কন্যা ও পুত্র সন্তানকে। শিক্ষার সমান পরিবেশ দিতে হবে। তাহলেই পরিবর্তন আসবে হয়তো।

চাকরি কিংবা ব্যবসা যাই হোক পরিবারের সাপোর্ট কতটুকু দরকার?

পুরোটাই দরকার। পরিবারের বাইরে গিয়ে কাজ করা ভীষণ কষ্টসাধ্য। পরিবারের সবার সহযোগিতা পেলে তার জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যায়। আর নারীরা কাজ করার ফলে অর্থনৈতিক সুফল তো সবাই ভোগ করবে তাই সহযোগিতাটা খুব প্রয়োজন।

চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীদের ভূমিকা ও টিকে থাকার লড়াই সম্পর্কে জানতে চাই

শুরুতেই বলেছি, আমি অন্য অনেকের চাইতে বেশ সাপোর্ট পেয়েছি তাই আমার চ্যালেঞ্জ খানিকটা কমই ছিল । পরিবারে মানুষের বাইরের কথা যদি বলি তাহলে বলবো আমি যে বিষয়ে পড়ালেখা করেছি তখন শুনতে হতো নাটক বিষয়ে পড়ে কী করবো, ক্যারিয়ার কী হবে ইত্যাদি। আমি যে সময়ে জবে জয়েন করি তখন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ভরপুর সময়। রেজাল্ট বের হবার আগেই চাকরী পেয়ে যাই তাই বেকার থাকতে হয়নি। মিডিয়ার কাজটা অন্যান্য অফিস জবের মত না। আমি একজন অনুষ্ঠান নির্মাতা। আউটডোরে শুটিং থাকে, সরাসরি অনুষ্ঠান থাকে ফলে সেই সময়গুলো মেইনটেইন করতে হয়। একটু তো পরিশ্রম হয় কিš‘ আমি বলবো সৃষ্ঠির একটা আনন্দ শেষমেশ পাওয়া যায়।

একজন গনমাধ্যমকর্মী হিসেবে অন্য নারীর অনুপ্রেরণার জায়গা নিশ্চয়ই?

গনমাধ্যমে কাজ করার ফলে এর কন্টেন্ট নির্মাণ করতে নিজেকে হতে হয় বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী। গবেষণা থেকে শুরু করে পান্ডুলিপি তৈরি, উপস্থাপন সম্পাদনা, পরিচালনা। আবার একটি টিম পরিচালনা করার দক্ষতা ও সকলের সাথে মানিয়ে চলার একটা যোগ্যতা তৈরি হয়। নানা ধরনের মানুষের সাথে মেশার সুযোগ যেমন রয়েছে তেমনি নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অগ্রগণ্য ব্যক্তিবর্গের জীবনযাপন সবকিছুর সাথে একাত্মতার ফলে গনমাধ্যমে কাজ করা মানুষটি একজন শুদ্ধ ও রুচিশীল মনন লাভের সুযোগ পায়। একজন শুদ্ধ, সুচিন্তার মানুষই পারেন সমাজে পরিবর্তন আনতে। নারী উন্নয়নে নারীর আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিতে আমরা নির্মান করছি নারীদের মন খুলে কথা বলার একটি প্ল্যাটফর্ম লেডিস ক্লাব। এখানে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার নারীদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। গৃহিনী থেকে শুরু করে সবাই এসে কথা বলার সুযোগ পায় ফলে তাদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। তুমিই প্রথম অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের প্রথম নারীদের জীবনযাপন, প্রতিবন্ধকতা, সফলতা তুলে ধরা হয় যা অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার। অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসাবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই ভালো মানের অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রতি মনোযোগ থাকে। নির্মাতা হিসাবে নারীরা খুব কম কাজ করেন। সৃজনশীল এই পেশায় সৃষ্টির আনন্দ রয়েছে।

নারীকে স্বাবলম্বি হতে চাকরী না ব্যবসা? কোনটা বেশি সহজ করে

আমাদের দেশে নারী শিক্ষা বৃদ্ধির সাথে সাথে নারী চাকরিজীবীর হার বেড়েছে। তবে প্রথম শ্রেণির চাকরিজীবীদের মধ্যে নারী এখনো অনেক কম। এর কারণ উচ্চশিক্ষার অভাব। এছাড়া নারী দীর্ঘসময় চাকরিতে টিকে থাকে না। বিবাহিত নারীর চাকরিজীবনে অনেক প্রতিবন্ধকতারকতার মধ্যে পড়তে হয়। অনেককেই সন্তান জন্ম বা প্রতিপালনের জন্য স্বামীর জোরাজুরিতে চাকরি ছাড়তে হয়। বদলির কারণেও অনেক নারী হয় চাকরি ছাড়েন, না হয় দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন। অনেকে চাকরির অনুমতি পান এ শর্তে যে তাঁর বেতনের পুরোটাই স্বামীর হাতে তুলে দিতে হবে। এত সব হতাশা নিয়ে চাকরি করতে গিয়ে নারীদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় আর দিনের বেশির ভাগ সময় অসš‘ষ্টির মধ্যে কাটিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসু¯’ হয়ে পড়েন তারা। এমনকি আমাদের দেশে এখনো কোনো কোনো অফিসে নারীর জন্য আলাদা প্রক্ষালন কক্ষের সুবিধা নেই। সন্তান পালন বা নানাবিধ কারণে কর্মক্ষেত্রে নারী ঝরে পড়ে। সংসার সামলানো একটা বড় দায়িত্ব হলেও এর অর্থনৈতিক কোন মুল্যায়ন নেই তাই ব্যবসা একটা ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক নারী উদ্যেক্তাদের জন্য লোনের সুযোগ দিচ্ছে। ব্যবসা হতে পারে নারীর আত্ম কর্মসংস্থানের ভালো একটা ক্ষেত্র। এতে বাড়ির সংস্পর্শে থেকেই ঘর বাহির দুইই সামলানো যাবে।

এবার নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষের সমতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি’ এ বিষয়ে কিছু বলুন

ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ভিত্তিক নানা কর্মকান্ডে নারীরা পিছিয়ে নেই। করোনাকালীন সময়ে ই কর্মাসে নারীর অগ্রগতি চোখে পরার মতো। তারা যেমন আত্মনির্ভরশীল হয়েছে তেমনি পরিবারের পাশে থেকে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরো বেশি জোরদার করেছে নারী। সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সফল করতে হলে নারী পুরুষ সবাইকে সমানভাবে কাজ করতে হবে; ডিজিটাল যুগের সাথে সমানভাবে দক্ষ হতে হবে নারী পুরুষ সকলকে।

সমাজের কথিত দৃষ্টিভঙ্গি আছে নারী মানেই না পারার দলে’ তাই কী?

নারী মানেই এক শক্তির আধার। একজন নারী প্রকৃতিগতভাবেই ধারণ করার শক্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যে জন্ম দিতে পারে তার পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা। আর প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। তাহলেই দেশের অগ্রগতি দ্রুত সম্ভব। নারীদেরকেও দৃঢ় মনোহল রাখতে হবে। আমি নারী আমি সব পারি নিজের প্রতি এই বিশ্বাস রাখতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনবাংলাদেশ ও বিশ্বসাফল্যহেঁসেল

দুর্ঘটনাক্রমে তৈরি হওয়া মুখরোচক খাবার

করেছে Shaila Hasan ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩

শায়লা জাহান:

একটা কথার সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত- “ ভুল করে যদি দারুণ কিছু হয়, তবে ভূলই ভালো’। আর এই কথাটিই আমাদের আজকের লেখার জন্য একেবারেই প্রাসঙ্গিক। কীভাবে? আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছো কি, আমাদের প্রিয় যে খাবারগুলো রয়েছে তা কিভাবে এসেছে? প্রতিভাধর শেফরা সবসময় নতুন নতুন রেসিপি উদ্ভাবনে সচেষ্ট থাকে এবং তার স্বাদ আস্বাদনে আমাদের জন্য সুযোগ করে দেয়। তবে তুমি জেনে আশ্চর্য হবে যে, এমন কিছু জনপ্রিয় খাবার আছে যেগুলো নিয়মতান্ত্রিক ভাবে না হয়ে দূর্ঘটনার মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়েছিল। আর এমনই কিছু খাবারের তালিকা আসো দেখে নিই।

চকলেট চিপ কুকিজ

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া এই চকলেট চিপ কুকিজ দুর্ঘটনাক্রমেই তৈরি হয়েছিলো। ম্যাসাচুসেটসের হুইটম্যানের টোল হাউস ইনের মালিক রুথ ওয়েকফিল্ড ঘটনাক্রমে ১৯৩০-এর দশকে আইকনিক চকলেট চিপ কুকিজ তৈরি করেছিলেন। কীভাবে করলো? গল্পটি বলে যে, তিনি একটি চকলেট ডেজার্ট তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি তার কুকির ব্যাটারে ভাঙ্গা চকলেট বারের টুকরো যুক্ত করেছিলেন। ভেবেছিলেন যে তারা চুলায় গলে যাবে। তার আইডিয়াটি ভুল ছিলো কিন্তু বিনিময়ে বিশ্ব পেলো এক দূর্দান্ত ও জনপ্রিয় কুকি।

 

আইসক্রিম

এটি কীভাবে এসেছিল, তা নিয়ে কয়েকটি ভিন্ন গল্প রয়েছে, তবে সবচেয়ে সাধারণভাবে গৃহীত একটি হল যে এক চীনা বাবুর্চি একটি ঠাণ্ডা মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করে দূর্ঘটনাক্রমে চিনির মিশ্রণের সাথে বরফ মিশ্রিত করেছিলেন,  এর মাধ্যমে  তিনি একটি সুস্বাদু খাবার তৈরি করেছিলেন যা আমরা আজও উপভোগ করি।

পটেটো চিপস

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ন্যাক খাবারগুলোর মধ্যে একটি ১৮৫৩ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিলো। নিউইয়র্কের মুন’স লেক হাউসের একজন শেফ জর্জ ক্রাম রাতে কাজ করছিলেন, সেই রাতে একজন অতিথি ফ্রাইয়ের প্লেট পরে প্লেট ফেরত পাঠাচ্ছিলেন। তার অভিযোগ ছিলো যে, আইটেমগুলো যথেষ্ট ক্রিসপি ছিলোনা। তার পছন্দ আনাতে ক্রাম অবশেষে আলুগুলোকে পাতলা করে কেটে গরম তেলে ভেজে, উপরে লবণ দিয়ে টস করে প্রেরণ করেন। পরে বাকিটা তো ইতিহাস। সেই সময়ে এগুলোকে সারাতোগা চিপস বলা হত। যা আমরা বর্তমানে আলুর চিপস বলে ডাকি।

কোক

কোমল পানীয় হিসেবে যা এখন কোকাকোলা নামে পরিচিত, জন পেম্বারটন প্রথম দিকে এটি কোন ড্রিংকস হিসেবে বানাতে চাননি। তার লক্ষ্য ছিল একটি মেডিকেল টনিক তৈরি করা যা মাথাব্যথা থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা পর্যন্ত সব ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারে। পেম্বারটন মূলত এটিতে অ্যালকোহল দিয়ে একটি টনিক তৈরি করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তা মিষ্টি স্বাদযুক্ত অ-অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়তে পরিণত হয়েছিলো।

দই

বেশিরভাগই একমত আছে যে, এটি খ্রিষ্টপুর্ব ৬শতকের প্রথম দিকে তুরস্কে তৈরি করা হয়েছিলো। এবং কীভাবে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিলো? ইতিহাস বলে যে মধ্য এশিয় পশুবালকেরা তাদের অতিরিক্ত ছাগলের দুধ পশুর পেট থেকে তৈরি পাত্রে সংরক্ষণ করত, যা দুপুরের খাবার প্যাক করার একটি সহজ উপায়। কিছু পশুপালক অবাক হয়ে গেল যখন তারা পাত্রে দুধ দেখতে পেল যেটা ঘন হয়ে গেছে এবং টার্ট হয়েছে। কেন? যখন দুধ পেটের ব্যাগে ছিলো, ভাল ব্যাকটেরিয়া প্রস্ফূটিত হয়েছিল, এইভাবে দইয়ের আকস্মিক আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত হয়েছিল।

পপসিকল

জানলে অবাক হবে এই পপসিকল মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি ছেলে তৈরি করেছিলো। ১৯০৫ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে, ফ্র্যাঙ্ক এপারসন নামে একটি ছেলে এক কাপ চিনিযুক্ত সোডা পাউডার মিশিয়ে লাঠি দিয়ে রেখে দেয়। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে যে সোডা কাঠির চারপাশে জমে গেছে। সে এর স্বাদ গ্রহণ করে এবং এটিকে এপসিকল বলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে ১৯২৪ এর দিকে তিনি হিমায়িত ট্রিটটির পেটেন্ট করেন এবং তার নাম পরিবর্তন করে দেন পপসিকল।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আইনআমরা গড়িজীবনযাত্রাবাতিঘরবাংলাদেশ ও বিশ্ববিশেষ রচনাসাফল্য

স্বীকৃতি পেল মায়ের একক অভিভাবকত্ব

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২৫, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

“কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী, পুরুষের তরবারি

প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, বিজয়লক্ষ্মী নারী”।

প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সভ্যতার উন্মেষ। নারীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, তাদের অবদান সব কিছু নিয়েই সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য রচনার। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? সমাজের মানদণ্ডে প্রাপ্য স্বীকৃতির ক্ষেত্রে নারীরা কী আসলেই মূল্যায়িত না এগুলো সবই ফাঁকা বুলি সেটাই মূখ্য বিষয়।

নারীর পরিচয় কি? বাবা, ভাই, স্বামী বা ছেলে ছাড়া কি আসলেই তার আর কোন পরিচয় নেই? ভূললে চলবেনা এই নারীর মাঝেই বাস করে এক স্নেহময়ী মায়ের জাত, একটি জাতির ভবিষ্যৎ সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালনের মাধ্যমে তাঁকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সফলতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে মায়ের অবদান কোন অংশে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। শুধু তাই নয় দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক এমন অনেক পিতার অবর্তমানেও নিজের সমস্ত সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানের একক অভিভাবক হিসেবে যোগ্যতার সাথে মায়ের ভূমিকা পালনের অনেক নিদর্শনও রয়েছে। মায়ের অভিভাবকত্বের এই যাত্রা শুরু হয় মূলত সন্তানকে গর্ভ ধারণের পর থেকেই। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের পিতা-মাতার উভয়ের সম-মর্যাদা থাকলেও কিন্তু এতো কিছুর পরেও শিক্ষা ও চাকরি জীবনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাবার পরিচয়ই যেন মূখ্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা হয় উপেক্ষিত। কিন্তু আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকের নামের জায়গায় বাবার নাম ছাড়াও আইনগতভাবে শুধুমাত্র মায়ের নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার ( ২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ যুগান্তকারী রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার লিপি ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিত দাশগুপ্ত।

ঐতিহাসিক এই রায়ের পথ কিন্তু এতো সুগম ছিলোনা। এর পেছনের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের যেতে হবে পনের বছর পিছনে। ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০০৭ সালে এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে “বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের পড়ালেখা” শীর্ষক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে। প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরমে তথ্য পূরণের ক্ষেত্রে বাবার নাম পূরণ করতে পারেনি ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুনী। এর ফলশ্রুতিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সে তরুনীকে প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনরুপ স্বীকৃতি না দিয়ে দায়িত্বহীন বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুনী তার মায়ের একক ছত্রচ্ছায়ায় বড় হয়ে উঠে। পরবর্তিতে এই ঘটনার পর্যাপ্ত অনুসন্ধান করে মায়ের অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার দাবীতে, শুধু মায়ের নাম ব্যবহার করলে পরীক্ষার ফরম অপূর্ণ বিবেচিত হবে কেন; তা জানতে চেয়ে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট রিট দায়ের করে। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত তখন রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা-মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয়, তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপরাগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদিন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ জুন মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আবেদন আকারে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে হাইকোর্ট রায় ঘোষনার জন্য এইদিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেন।

কালজয়ী এই রায়ের ফলে এখন থেকে বাবার নামের পাশাপাশি আরও দুটি অপশন যুক্ত হলো। এতে করে কেউ চাইলে বাবার পরিচয় ব্যবহার না করেও ফরম পূরনের সময় মা কিংবা আইনগতভাবে বৈধ অভিভাবকের নাম লিখতে পারবেন। এ যেন মায়ের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা লাভে এক বড় ধরনের সাফল্য সংযোজিত হলো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িগ্রুমিংজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

নতুন বছরের রেজ্যুলেশন করেছো কি?

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ১, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাসি-কান্না সবকিছুর মিশেলে আরেকটি বছর চলে গেলো। এসেছে নতুন বছর। আজ হলো ৩৬৫ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ফাঁকা পৃষ্ঠার শুরুর দিন। নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প পূরণে নিজেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছো কি? নতুন বছরের তোমার সেট করা রেজ্যুলেশন পূরনের জন্য কিছু টিপস নিয়ে আজকের আয়োজন।

নিউ ইয়ার রেজ্যুলেশন হল এমন একটি ঐতিহ্য যা পশ্চিমা বিশ্বে খুবই কমন। তবে এখন এই ধারণা বিশ্বব্যাপী সমান তালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্যালেন্ডার বছরের শুরুতে একজন ব্যক্তি তার মধ্যে ভাল অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার, একটি অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ পরিবর্তন করার, একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন বা অন্যথায় উন্নতি করার সংকল্প করে। নতুন বছরের রেজ্যুলেশনগুলো দীর্ঘকাল ধরে আমাদের জীবনে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে স্টক করার এমন এক উপায়, যা আমাদের পিছনের বছরটিকে থামাতে এবং প্রতিফলিত করার পাশাপাশি সামনের বছরের জন্য পরিকল্পনা করতে দেয়। এটি শরীর, মন এবং আত্মার উন্নতি ও নতুন বছরের জন্য তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলো সংগঠিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। কী থাকে এই রেজ্যুলেশনে? স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়াকে লক্ষ্য রেখে নতুন ডায়েট বা ওয়ার্কআউটের পরিকিল্পনা করা, তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টিভঙ্গি সেট করা, অথবা হতে পারে নতুন কোন বিষয়ে নিজেকে পারদর্শী করার চেষ্টা করা। লক্ষ্য যাই থাকুক না কেন নিজেকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করার জন্য রেজ্যুলেশনগুলো করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে,সমস্ত রেজ্যুলেশনের অর্ধেকেরও বেশি ব্যর্থ হয়ে যায় তা পূর্ণতা দেয়ার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে, জীবনকে উন্নত করার জন্য সঠিক রেজ্যুলেশনটি কীভাবে সনাক্ত করা যায় এবং কীভাবে এটিতে পৌঁছানো যায় যে সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হলঃ

-প্রথমেই যা তোমাকে ঠিক করতে হবে তা হলো তুমি কী চাও এবং তা কেন চাও? অর্থাৎ তোমার রেজ্যুলেশনটি হতে হবে একেবারে স্পেসিফিক। আমি ওজন কমাতে চাই, অস্পষ্টভাবে এটা বলার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তুমি একটি লক্ষ্য রাখতে চাওঃ কতটা ওজন কমাতে চাও এবং কতো সময়ের ব্যবধানে? এভাবে নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখা চাই।

-আমরা প্রায়ই এমন পরিকল্পনা সেট করি যেগুলোকে আমরা পরিচালনাযোগ্য মনে করি কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব এবং এটি অবাস্তব রেজ্যুলেশন যা তোমাকে বিভ্রান্ত করবে। খুব দ্রুত একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা তোমাকে হতাশ করে দিতে পারে অথবা তোমার জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শুরুতেই একেবারে অনেক পরিবর্তন করার চেষ্টা না করাই ভালো। নিজেকে উৎসাহ দিতে এবং ছোট জয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করো।

-প্রাসঙ্গিকতা থাকতে হবে। এটি কি এমন একটি লক্ষ্য যা সত্যিই তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তুমি কি সঠিক কারণে এটি তৈরি করেছো? যদি তুমি সেই মুহূর্তে আত্ম-ঘৃণা বা অনুশোচনা বা তীব্র আবেগের অনুভূতি থেকে এটি করো তবে এটি সাধারণোত দীর্ঘস্থায়ী হয়না। কিন্তু তুমি যদি এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করো যেখানে তোমার জন্য কী ভালো তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছো, নিজের জীবনের কাঠামো পরিবর্তন করছো তবেই তা হবে পূরনের জন্য যথার্থ।

-রেজ্যুলেশন পুরণের লক্ষ্যে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করো। তোমার লক্ষ্য যদি থাকে চাকরি পরিবর্তন করার, তাহলে সেই রেজ্যুলেশনে পৌঁছানোর জন্য এই বছর ভিনভাবে কি করতে চাও? আরও নির্দিষ্টভাবে, এখন তোমার কোন অভ্যাস আছে যা তোমাকে সেই লক্ষ্যে থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে? হতে পারে তোমার প্রতি রাতে টিভি দেখতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোল করার সময় ২-৩ ঘন্টা নিমিষেই হারিয়ে যাচ্ছে। তোমার বর্তমান রুটিন পুনরায় মূল্যায়ন করো এবং সময়কে কিভাবে ব্যয় করবে পেশাদার দক্ষতা শিখতে, কাজের তালিকা চেক করতে বা পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে তা ঠিক করে নাও।

-নিজেকে সর্বদা অনুপ্রাণিত রাখতে হবে। কাঙ্ক্ষিত রেজ্যুলেশনে পৌঁছাতে অনুপ্রাণিত থাকার জন্য, তোমাকে অনুপ্রাণিত করে এমন খাবার, কার্যকলাপ, বিষয়বস্তু, মিউজিকে নিজেকে নিমজ্জিত রাখো। তোমার অদি এবার লক্ষ্য থাকে নতুন কোন ভাষা রপ্ত করার, তবে প্রিয় মানুষদের নিয়ে সেই ভাষার ফিল্ম বা মিউজিক উপভোগ করতে পারো। যদি নতুন কোন দক্ষতা কোর্স করার সিদ্ধান্ত নাও তবে সেই ব্যাপারে ইউটিউবে ভিডিও দেখো, সফল ব্যক্তিদের কথা শুনো যা তোমাকে অনুপ্রাণিত ও উত্তেজিত রাখবে। মোট কথা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টার সাথে সাথে নিজেকেও ইন্সপায়ার্ড করতে হবে।

-সর্বোপরি, নিজের প্রতি সদয় হও। যদি তুমি তোমার প্রত্যাশার কম হও তবে নিজেকে সহানুভূতি দেখাও। নিজের সাথে নিজে কথা বলো। তুমি যদি নিজের প্রত্যাশা পূরন না করার জন্য নিজেকে নিচু করে ফেলো বা খারাপ বোধ করো তবে হতাশা আর আত্মগ্লানি বাড়বে বৈ কমবে না। তাই নিজের প্রতি সদয় হও, নিজের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করো। মনে রাখবে রেজ্যুলেশনগুলো হল আমাদের সেরা হয়ে ওঠার সুচনা বিন্দু, এটি চূড়ান্ত গন্তব্য নয়।

তাই চলো আমরা এগিয়ে যাই এবং আমাদের লক্ষ্য নির্ধরণ করে, সেগুলোর দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে নতুন বছর শুরু করি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আমরা গড়িতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসম্ভাবনাসাফল্য

আলোয় ভুবন ভরা

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘুচিয়ে অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। গতকাল উদ্বোধন (২৮ ডিসেম্বর) হয়ে গেলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলের। সাথে সংযুক্ত হয়েছিলেন ছয় নারী চালক। এ স্বপ্নযাত্রায় চালকের আসনে আসীন হয়ে মরিয়ম আফিজা দেশের ইতিহাসের গর্বিত অংশ হিসেবে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়ে মরিয়ম আফিজার পরিচালনায় মেট্রোরেল উড়ে গিয়েছে আগারগাঁওয়ের দিকে। কে এই মরিয়ম আফিজা? লক্ষীপুরের মেয়ে আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে গতানুগতিক ধারায়  ক্যারিয়ারকে পরিচালিত না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানায় নিজেকে নিয়ে গেছেন। অনেকটা নিজ আগ্রহ বশতই এই পদে আবেদন করে গত বছরের ২ নভেম্বর পান ট্রেন অপারেটর হিসেবে নিয়োগ। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের পর দেশের এই মেট্রোযুগে প্রবেশে নিজেকে শরীক করতে পেরেছেন।

শুধু মরিয়ম আফিজাই নন, এমন অনেকেই আছেন যারা সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ভেঙে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উবার চালক লিউজার কথা। আমাদের দেশে নারী উবার চালক?  তার উপর আবার রাতে-বিরেতে বের হওয়া? অত চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কিন্তু সমাজের সব বাধা-বিপত্তিকে পাশে ঠেলে তিনি সামনেই এগিয়ে গিয়েছেন। গল্পটি আবার হতে পারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তারের। কোন মেয়ে বডি বিল্ডিং করছে এমন দৃশ্য তো ভাবাই যায়না। কিন্তু সকল কটুবাক্যকে হটিয়ে আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। এই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বুকে দেশের পতাকা উড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি।

এবছরই সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপে নারী ফুটবল দল দেখিয়ে দিয়েছে তাদের ক্ষমতা। নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন বাংলার এই বাঘিনীদের দল। এই শিরোপা জেতা তাদের জন্য অতটা সুগম ছিলোনা। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই ফাইনাল খেলার সুযগ থাকলেও জয়ের স্বাদ নিতে ব্যর্থ হয় তারা। পরবর্তীতে ২০২২ সালে এসে সেই আকাঙ্ক্ষিত জয় আনতে সক্ষম হয়।

নারীদের এমন শত শত সাফল্যগাঁথা গল্পও রয়েছে। যার পদে পদে থাকে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সব কিছু জয় করে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে। যে কোন সেক্টরেই হোক না কেন, সহযোগিতা, অনুকুল পরিবেশ এবং ইতিবাচক মনোভাব থাকলে নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে। নারীর অধিকার মানে অন্যদের দাবিয়ে রেখে তাদেরকে উপরে তোলা নয়, বরং তাদেরকেও দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মনসচেতনতাসাফল্যসুস্থ মন

জীবনে বদলে দিতে পারে যে অভ্যাস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

অভ্যাস এবং রুটিন থাকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য দিক। তুমি একটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাও, আরও উৎপাদনশীল হতে চাও বা আরও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে চাও; অভ্যাসগুলো হল সেই ছোট ছোট পরিবর্তনের সমন্বয় যা সময়ের পালাক্রমে উল্লেখযোগ্য ফলাফল যোগ করতে পারে।

‘সফল ব্যক্তিরা কেবল শীর্ষে চলে যান না। সেখানে পৌঁছানোর জন্য জিনিসগুলো ঘটানোর জন্য প্রতিদিন ফোকাসড অ্যাকশন, ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা এবং প্রচুর শক্তি প্রয়োজন’। আমেরিকান লেখক এবং উদ্যোক্তা জ্যাক ক্যানফিল্ড এর উক্তি দ্বারা বোঝা যায় একটি সুখী এবং আরও উৎপাদনশীল জীবনের জন্য কতিপয় অভ্যাস গড়ে তোলা কত প্রয়োজনীয়। আমরা যা কিছু ভাবি, বলি এবং করি তা বছরের পর বছর ধরে আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকা অভ্যাসের ফল। তারা আমাদের জীবনের সাথে এতটাই অবিচ্ছেদ্য যে একটি গবেষণায় নির্ধারণ করা হয়েছে যে আমরা প্রতিদিন যা কিছু করি তার প্রায় ৪৫ শতাংশ আমাদের অভ্যাস দ্বারা চালিত হয়। তোমার মনোভাবই তোমার উচ্চতা নির্ধারণ করে। তাই পুরাতন অভ্যাসগুলো তোমাকে আটকে রাখতে দেবেনা এবং কিছু সহজ তবে প্রয়োজনীয় অভ্যাসগুলো তৈরি করা শুরু করে দাও।

ভোরে জেগে উঠো

ভোরবেলা হলো শান্তিপূর্ণ প্রতিফলন এবং পর্যাপ্ত উৎপাদনশীলতার একটি সময়; যেখানে পৃথিবী স্থির এবং ঘুমিয়ে আছে, যা তোমাকে তোমার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলোতে ফোকাস করার অনেক সময় দেয়। হয়তো তুমি দৌড়ের জন্য যেতে চাও অথবা স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশ উপভোগ করতে পছন্দ করো। একটি অর্থপূর্ণ সকালে এই ধরনের কার্যক্রম তোমাকে সুপারচার্জ বোধ করায়। এই অভ্যাস ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গের মতো নেতারা প্রতিদিন অনুশীলন করে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা একটি দৈনন্দিন রুটিনে সেট করবে যা তোমাকে আরও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করতে পারে।

যা আছে তাতে ফোকাস করো

আমরা আমাদের সমস্যায় ডুবে অনেক সময় ব্যয় করি। কিন্তু সমস্যাগুলোও জীবনের একটি অংশ। তুমি যদি তোমার সমস্যাগুলো থেকে তোমার ফোকাসকে সরিয়ে নিতে চাও তবে তোমার যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ হতে হবে। কৃতজ্ঞতা স্বাস্থ্য, সুখ এবং সাফল্যের নিশ্চিত পথ। এটি আমাদের যা নেই তার চেয়ে আমাদের যা আছে তার দিকে আমাদের মনোযোগ সরিয়ে দেয়।

দিন নির্ধারণ করো

তোমার দিন নির্ধারণ করা অভ্যাসের এই তালিকায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন যা তোমার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। বিভ্রান্ত হওয়া এবং ফোকাস হারানো এড়াতে তুমি দিনের জন্য কী করছো তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, দিনের সময় নির্ধারণ করা তোমার অগ্রাধিকার সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে যাতে তুমি তোমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী তা সম্পন্ন করতে পারো।

প্রাণ খুলে হাসো

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সত্যিকারের হাসি হাসে তারা জীবনে সুখী হয়। এটি তোমাকে সময়ের সাথে সাথে মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার একটি সেরা অভ্যাস। আমাদের দেহের ফিজিওলজি আমাদের মনের মনস্তত্ত্বকে নির্দেশ করে। যখন আমাদের মাঝে হতাশা ও অসুখের অনুভূতি প্রকাশ হয়, তখন আমাদের মন সেই ইঙ্গিতগুলো গ্রহণ করে এবং তাদের সাথে চলে। যাইহোক, একবার আমরা সচেতনভাবে নিজেদেরকে সামঞ্জস্য করে আমাদের বাহ্যিক চেহারা পরিবর্তন করি, দেখবে আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিও তা অনুসরণ করে নিবে।

৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ

প্যারোটের নীতি বা ৮০/২০ নিয়ম মানে যে কোন পরিস্থিতিতে, ২০% কাজগুলো ৮০% ফলাফল দেয়। সুতরাং, তুমি সেই কাজগুলোতে তোমার বেশিরভাগ সময় এবং শক্তি বিনিয়োগ করে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারো যা সবচেয়ে বড় প্রভাব তৈরি করবে। একবার তুমি সেই কাজগুলো শেষ করে ফেললে, তোমার করণিয় তালিকায় থাকা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলোতে ফোকাস করতে পারবে।

পড়, পড় এবং পড়

বই পড়া জ্ঞান অর্জন এবং সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করার একটি দূর্দান্ত উপায়। এটি মনোযোগকে উন্নত করে এবং ধ্যানের মতই মনে শান্ত প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, ঘুমানোর আগে পড়া ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

ইতিবাচক মানুষের মাঝে থাকা

কার সাথে সময় কাটাচ্ছো তা সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা উচিৎ। এমন সম্পর্কগুলো ছেড়ে দাও যা তোমাকে উপরে তোলার পরিবর্তে নীচে নিয়ে আসে। এমন লোকদের সাথে মিশো যারা সুখ ভাগ করে নিতে জানে। যেহেতু সুখ সংক্রামক, এটি তোমার জীবনে ইতিবাচকতা তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি।

প্রতিদিন ব্যায়াম করো

জীবনের সর্বোত্তম অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি হল প্রতিদিন ব্যায়াম করা। এটি ভারি ভারোত্তোলন বা ম্যারাথন দৌড়ানো নয়। রক্তের অক্সিজেন এবং শরীরে এন্ডোরফিন বাড়াতে হালকা কার্যকলাপের সাথে যুক্ত। তুমি যখন এই অভ্যাসটি শুরু করবে তখন কেবল শারীরিকভাবে ভাল বোধ করবেনা, আরও অনুপ্রাণিত বোধ করবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ হবে। ব্যায়াম ডোপামিনিন, অক্সিটোসিন এবং সেরোটোনিনকে সিস্টেমে ছেড়ে দেয়, যা কোন ঔষধের ব্যবহার ছাড়াই ভালো প্রভাব বিস্তার করে।

ভয় মোকাবেলা করো

আমরা অনেক সময় ভয়ে ডুবে থাকি। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই চিন্তিত এবং নার্ভাস থাকি যে বর্তমান মুহূর্ত উপভোগ করতে ভুলে যাই। জিনিসগুলোকে ভয় করা আমাদের মনে এতটাই গেঁথে গেছে যে এটি আমাদের অগ্রগতিকে বাধা দেয়। ভয় ভেঙে ফেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি যা তুমি বিকাশ করতে পারো।

নিজের জন্য সময় বের করা

এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের অধিকাংশই জীবনে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয় তা হল কিছুটা নিজস্ব সময় উপভোগ করা। প্রতিদিন এমন একটা ছোট কাজ করো যা করতে তুমি পছন্দ করো। এই কাজ করার মাধ্যমে, তোমার মনে শান্তি স্থাপন হবে যা তোমার মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্ম-সম্মানের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। হেডফোনের মাধ্যমে নিজের পছন্দের মিউজিক শুনো না কেন, পার্কের মধ্যে হাঁটাহাঁটি, প্রিয় রাস্তা ধরে ড্রাইভ অথবা প্রিয় কোন সিনেমা দেখা- যাই করোনা কেন, নিশ্চিত হও যে সর্বদা নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে পারছো।

এই অভ্যাসগুলো বিকাশের জন্য দৃঢ় সংকল্প, ধৈর্য এবং অবিরাম প্রচেষ্টা প্রয়োজন। হতে পারে এটি মাত্র কয়েক সপ্তাহ বা এক বছরেরও বেশি সময় নিতে পারে। তবে হাল ছেড়োনা, জয় হবেই।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আমরা গড়িকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাসম্ভাবনাসাফল্য

সফল ব্যক্তিদের অনুকরণীয় অভ্যাস

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ৫, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

কিসে সফলতা আসে? সবার হয় আমি কেন জীবনের উত্থান-পতনে মুখ থুবড়ে পড়ি? সফলতার চাবিকাঠি কি? এমন এমন হাজারো প্রশ্ন আমাদের মাথায় সবসময় উঁকি মেরে থাকে। যখন একজন সাকসেসফুল ব্যক্তিকে দেখি তখন এইসব চিন্তা আমাদের মাঝে আরও বেশি হানা দেয়। কারণ আমরা যখন একজন সফল ব্যক্তিকে দেখি, তখন কেবল তার সর্বজনীন গৌরব দেখতে পাই কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর জন্য তাদের ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকারের চিত্র দেখতে পাইনা। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা, যারা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করেছেন কেউই সেখানে অতি সহজে বা দূর্ঘটনাক্রমে আসেননি। ভাগ্য ছাড়াও, সফল হতে হলে যেমন দরকার কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের তেমনি দরকার ভালো কিছুর অভ্যাস গড়ে তোলার। এই অভ্যাসগুলো কি এবং কিভাবে তা তোমার জীবনে কাজে লাগাতে হয় তা শেখা জরুরী। এমন কিছু অভ্যাসের ব্যাপারে আসো জেনে নিই।

অর্গানাইজেশন

যারা জীবনে সফল তাদের প্রায়শই উল্লেখ করা অভ্যাসগুলোর মধ্যে এটি হল একটি। অর্গানাইজেশনের মানে হল পরিকল্পনার পাশাপাশি অগ্রাধিকার ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা। এর মাধ্যমে সময় পরিকল্পনার সাথে পরিকল্পিত কার্যাবলীর সবকিছুই একটি ট্র্যাকের মধ্যে থাকে। এটি এক ধরনের টু-ডু লিস্ট করে রাখার মতো ব্যবস্থা। সংগঠিত আচরণের উদাহরণ হলোঃ

-কোন কাজ শুরু করার আগে নির্দেশাবলী বুঝা গেছে তা নিশ্চিতকরণ।

-দিন/কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স বা উপাদান প্রস্তুত আছে তার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা

-একটি পরিকল্পনা ও সে ব্যাপারে সংগঠিত চিন্তা আছে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা

সাফল্যের বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ করেছেন যে মস্তিষ্ক হল একটি লক্ষ্য নির্ধারণকারী অর্গানিজম। সফল ব্যক্তিরা জানেন যে, তারা যদি তাদের অবচেতন মনকে একটি লক্ষ্য দেন তবে তা অর্জনের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করবে। তারা উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করে যা বাস্তবসম্মত এবং পরিমাপযোগ্য উভয়ই, এবং তারা সেই লক্ষ্য পূরনের দিকে কাজ করার চেষ্টা করে।

 অধ্যবসায়

কঠিন চেষ্টা করা এবং হাল ছেড়ে না দেওয়া- খুবই কঠিন একটি কাজ। সফলতা পাওয়ার কোন শটকার্ট ওয়ে নেই। একমাত্র অধ্যবসায় পারে এই লক্ষ্যে পৌছুতে সাহায্য করতে। সাফল্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সময় মনে রাখতে হবে যে, যাই হোক না কেন অধ্যবসায় করে যেতে হবে। এর অনেকটাই নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং জীবন সম্পর্কে নিজ উপলব্ধির উপর নির্ভর করে। অধ্যবসায় এবং সাফল্য হলো একটি ম্যারাথনের মতো। সেই ম্যারাথনে তোমাকে দৌড়াতে হবে তবে সফলতা ধরা দিবে।

উপলব্ধি

কিছুই ভালো বা খারাপ নয়- জিনিসগুলো কেবল তুমি যেভাবে উপলব্ধি করো। রায়ান হলিডে তার  ‘দ্য অবস্ট্যাকল ইজ দ্য ওয়ে’ বইয়ে উপলব্ধির ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন ‘একটি হরিণের মস্তিষ্ক একে দৌড়াতে বলে কারণ জিনিসগুলো খারাপ। এটি সরাসরি একটা ট্র্যাকের মধ্যে চলে’। তোমার উপলব্ধি হলো কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করার এবং এটিকে খারাপ বা ভাল হিসেবে দেখছো কিনা এবং কীভাবে এটি পরিচালনা করবে তা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। তোমার মনোভাব এবং উপলব্ধি তোমাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তের দিকে নিয়ে যাবে।

অ্যাকশন গ্রহণ

সফল ব্যক্তিরা জানেন যে, নিজে যা জানে তার জন্য পৃথিবী মূল্য দেয়না; যা করে দেখানো হয় তাই মূল্য প্রদান করে। সংগঠিত করা, পরিকল্পনা করা এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু কর্ম ছাড়া একটি পরিকল্পনা সম্ভাবনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ইতিবাচক মনোভাব

অনেক সফল মানুষের মতে, একটি ইতিবাচক মনোভাব শুধুমাত্র সফল হওয়ার ফলাফল নয়- এটি সাফল্যের মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি। জোয়েল ব্রাউন অতি সফল ব্যক্তিদের জীবনে কৃতজ্ঞতা এবং ইতিবাচক মনোভাবকে অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন।

নেটওয়ার্কিং

সফল ব্যক্তিরা নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে অন্যদের সাথে আইডিয়া শেয়ারের মূল্য জানেন। একজন সফল ব্যক্তি অন্য সফল ব্যক্তিদের মাঝে নিজেকে ভিড়িয়ে রাখতে পছন্দ করে।

ভোরে উঠার অভ্যাস

আমরা ছোট বেলায় আর্লি রাইজিং এর রাইমস পড়েছি। যেখানে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার ব্যাপারে বলা হয়েছে। সফল ব্যক্তিদের মাঝেও এই অভ্যাস বিদ্যমান। তাদের মতে, সফল হওয়ার জন্য যে যত বেশি সময় দিতে পারে, সাফল্যের সম্ভাবনা তার তত বেশি। এই আর্লি রাইজারদের মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম রয়েছে। যেমন, ভার্জিন গ্রুপের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, ডিজনির সিইও রবার্ট ইগার এবং সাবেক ইয়াহু সিইও মারিসা মায়ার।

ভূল থেকে শিক্ষা নেয়া

পৃথিবীতে কেউই ভূলের উর্দ্ধে নয়। সাধারন মানুষের পাশাপাশি সফল ব্যক্তিদেরও ভূল করার চান্স থাকে। কিন্তু তারা এতে আশাহত না হয়ে বরং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নেয় এবং ভবিষ্যতে চলার পথে তার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে সজাগ থাকে।

নিজের উপর আত্মবিশ্বাস

সর্বোপরি বিলিভ ইউরসেলফ। তুমি যদি তোমার স্বপ্নের জীবন সফল করার পথে এগুতে চাও তাহলে তোমাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, তুমি এটা ঘটাতে সক্ষম। নিজেকে বিশ্বাস করা মানে নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখা। যখন নিজের উপর বিশ্বাস করো, তা তখন আত্ম-সন্দেহ কাটিয়ে উঠতে এবং নতুন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আমরা গড়িএই সংখ্যায়খেলাধুলাসাফল্য

বাংলার বাঘিনী’দের জয়

করেছে Shaila Hasan সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২

শায়লা জাহান

হিমালয়কন্যা খ্যাত নেপালে ইতিহাস গড়েছেন বাংলার নারী ফুটবলাররা। সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল।

নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম, রণক্ষেত্র তৈরি।  বৃষ্টিস্নাত কর্দমাক্ত মাঠে একপাশে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল অন্যদিকে রয়েছে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বি স্বাগতিক নেপাল দল। বাংলাদেশের সময় বিকেল সোয়া ৫টায় শুরু হয়ে যায় সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের শিরোপা লড়াই। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও স্টেডিয়াম থেকে ধেয়ে আসা নেপালের সমর্থকদের হর্ষধনি কে উপেক্ষা করে ১৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার করেন প্রথম গোল। পরবর্তীতে ৪১ মিনিটে নেপালি দর্শকদের আবার স্তব্ধ করে দেন কৃষ্ণা। তাঁর দুর্দান্ত শটে গোলকিপার আনজিলার মাথার ওপর দিয়ে বল চলে যায় সোজা নেটের জালে। ফলাফল ২-০। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যান সাবিনা খাতুনরা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন আনতে মরিয়া হয়ে উঠে নেপাল দল। যার ধারাবাহিকতায় ৭০ মিনিটের মাথায় আনিতা বাসনেতের এক শটে বল উড়ে যায় বাংলাদেশের জালে। ম্যাচ পরিনত হয় ২-১ এ। এরপর চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। তবে খুব বেশি আর অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭৭ মিনিটেই কৃষ্ণা রানী সরকারের সেই কাঙ্ক্ষিত গোল দিয়ে জয়ের ট্রফি ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

                                                                   

 

 

 

সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা অতটা সহজ ছিলোনা বাংলাদেশ দলের জন্য। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ বারের মধ্যে ৫বার শিরোপা জিতেছে ভারত। ২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত সাফের আয়োজনে ৬-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শিরোপা জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সাল। ফাইনালে উঠার পথে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারায় মালদ্বীপ ও পাকিস্তানকে। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ভুটানের সাথে। ৮-০ এক বিশাল ব্যবধানে ভুটানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারানো নেপালের বিপক্ষে জয়ী হওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো বটে, কিন্তু বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ দল দক্ষতা ও গোল কিপার রুপনা চাকমা’র সুনিপুণ রিসিভিং, টাইমিং  তাদের জয় আনতে সক্ষম হয়েছে। টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও।

                                                               

২০০৩ সালে ছেলেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর এটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্জন। আজ বুধবার (সেপ্টেম্বর, ২১)  দেশের আপামর ক্রীড়াপ্রেমীরা এই বীর ফুটবলারদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নিয়েছেন।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সাফল্য

করেছে tarek সেপ্টেম্বর ১, ২০২২

নারী প্রাধান্য পারিবারিক ম্যাগাজিন রোদসী। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রোদসীর প্রিন্ট কপি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও আছে অনলাইন সংস্করণ। বাংলাদেশের স্বনামধন্য অ্যাডভাটাইজিং এজেন্সি প্রচিত’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাথে প্রকাশ পায় রোদসী।

নারী জীবনের বলা-না বলা কথা ‍তুলে আনতেই রোদসীর যাত্রা শুরু। বিগত ৯ বছর ধরে আমাদের সে চেষ্টা অবিরত। এবার আয়োজন করতে যাচ্ছি ভিন্ন কিছুর। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি ‘রোদসী সূর্যকন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’।

নারী জীবনকে সমাজের অনেকেই মনে পরনির্ভর। কিন্তু কেউ কেউ আছেন সমাজের শত বাধা অতিক্রম করে আলো ছড়ান চারপাশে। হয়ে ওঠেন সূর্যকন্যা।

আমরা এমন কয়েকজন গুণীকে সম্মাননা জানাতে চাই। আমরা চাই ভালো কাজ সংক্রমিত হোক সমাজে। এই সূর্যকন্যারা হয়ে উঠুক সমাজের উদাহরণ।

তোমার কাজ যদি রাষ্ট্র-সমাজ এমনকি পরিবারেও এমন ব্যাঞ্জনা দিয়ে থাকে যা সমাজের জন্য উদাহরণ হতে পারে তাহলে তুমিই আমাদের সূর্যকন্যা। তোমাকেই খুঁজছে টিম রোদসী। আমরা চাই তোমার দেখানো পথেই আলো ছড়ুক আরো বিস্তৃত হয়ে।

নিচের তথ্যগুলো পূরণ করে পাঠিয়ে দাও আমাদের কাছে। আমরা জানতে চাই তোমার কথা। জানাতে চাই তোমার কথা।

আগামী ২২ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে বনানী ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৭জন নারীর হাতে তুলে দেয়া হবে ‘রোদসী সূর্যকন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’।

১. শিক্ষা ২. স্বাস্থ্য ৩. ফ্রিল্যান্সিং ৪. উদ্যোক্তা ৫. কৃষি ৬. সংগঠন এবং ৭. সাংবাদিকতা এই সাত ক্যাটাগরিতে আমরা মনোনয়ন নিয়ে আমাদের জ্যাজ প্যানেল তোমাদের কাজের মূল্যায়ন করবেন। এর মধ্যে বাছাইকৃতদের সাথে টিম রোদসী যোগাযোগ করবে।

ফরম জমা দেবার শেষ তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
রোদসীর অফিস ঠিকানা:
৯১/১, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যানবাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩
প্রয়োজনে: ০১৭৩০৩০৬২৪১

পুরন করো এই ফর্মটিঃ রোদসী সূর্যকন্যা অ্যাওয়ার্ড-২০২২

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook