রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

সাফল্য

.তুমিই রোদসীনারীপ্রধান রচনাসম্ভাবনাসাফল্য

স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না

করেছে Suraiya Naznin মার্চ ১০, ২০২২

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে। চরের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান নানান বিষয়ে কাজ করলেও তার মূল আগ্রহ নারীর জীবন নিয়ে। কারণ তিনি মনে করেন, নারীর উন্নয়ন না হলে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্ব নারী দিবসে রোদসীর বিশেষ সংখ্যায় কথা হলো ফ্রেন্ডশিপ-এর ফাউন্ডার ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রুনা খানের সঙ্গে। কথা বলেছেন সোলাইমান হোসেন-

 

রুনা খান

 

শুরুতেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি সাতক্ষীরার ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের আন্তর্জাতিক রিবা অ্যাওয়ার্ড লাভ করার জন্য। শুরুতেই আমরা আপনার ছোটবেলার গল্প শুনতে চাচ্ছি। কীভাবে কেটেছে আপনার ছেলেবেলা?

রুনা খান : বাংলাদেশের একটি কয়েকশ বছরের পুরোনো পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি। আসলে একটা নির্দিষ্ট গ-ির মধ্যে আমরা বড় হয়েছি। আমাদের আশপাশে গরিব কী তা আমরা জানতাম না। ঢাকা শহরে গাড়িতে যখন বসতাম, তখন গরিব আসতÑওটাই আমাদের জন্য গরিব দেখা ছিল। এর একটাই কারণ- আসলে একটা গ-ির মধ্যে আমরা সবাই বড় হয়েছি। পারিবারিকভাবেই আমার বিয়ে হয়ে যায় এবং এখন আমার তিনটি সন্তান আছে। তবে আমি যতই নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বড় হই না কেন, কখনো কাজ থামাইনি।

 

অনেকেরই তো অনেক রকম চিন্তা থাকে। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আপনার ছোটবেলায় এমন কোনো ইচ্ছা ছিল কি?

রুনা খান : আমি আইনজীবী হতে চেয়েছিলাম। আমি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান সবখানেই পড়াশোনা করেছি। কিন্তু একটা জিনিস সারা জীবন মনে হতো, তা হলো দেশের জন্য কিছু করব। কিন্তু কী করব এমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে এটা আমার মাথায় সব সময় ছিল যে, এই দেশ ছেড়ে আমি কখনোই চলে যেতে পারব না। আমি যখনই চিন্তা করি আমি কখনো ধানখেত দেখতে পারব না, কখনো কৃষক দেখতে পারব না, আমার তখন মন খারাপ হয়ে যায়। আমি যখন নৌকা নিয়ে এদিক-সেদিক যেতাম, তখন দেখতাম সবচেয়ে গরিব লোক এখানে থাকে। তখন মনে হলে এসব মানুষকে নিয়ে কিছু একটা করা যেতে পারে। সেভাবেই শুরু।

চরের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে তো আপনারা কাজ করছেন। এর মধ্যে নারীর জীবন নিয়ে আপনার আলাদা কোনো ভাবনা আছে কি?

রুনা খান : আমি নারী, কেমন করে নারীদের জন্য ভাবব না? ভাবনা অবশ্যই আছে। নারীদের জন্য সব সময় ভাবি। নারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের সন্তান। এ কারণেই নারী এবং শিশু আমার কাজের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু একটা সংসার সুন্দর হয় নারী-পুরুষ আর সন্তান নিয়ে। তাই আমি শুধু নারীকে নিয়ে কাজ করি, এটা কখনো মনে করি না। কারণ, উন্নতি সবাইকে নিয়েই হবে। যে কারণেই আমাদের কোনো কাজ শুধু নারীর জন্য নয়। তারপরও আমাদের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা হলেন নারী।

নারীকে নিয়ে অনেক কাজই তো করেছেন, কিন্তু এমন কোনো কাজ কি আছে, যেটা ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে তৃপ্তি দিয়েছে?

রুনা খান : চরে একটা মেয়ের যখন ফিস্টুলা কিংবা পোলাস্ট নিউট্রেস হয়, ১৯ কিংবা ২০ বছরের একটা মেয়েকে যখন দেখি এসব কারণে তার স্বামী তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে, তখন খুব খারাপ লাগে। পরিবার থেকে আলাদা করে দিয়ে আলাদা ঘরে রেখে দেয়। অথচ সাধারণ আধা ঘণ্টার একটা অপারেশন করিয়ে তাকে আবার পরিবারে ফেরত পাঠানো যায়। এমনি করে যখন আমি লাইফ চেঞ্জ দেখতে পারি, তখন এমন কাজের শান্তি অন্য রকম হয়।

আপনার দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনার কি কখনো মনে হয়েছে নারীর কোন জায়গাটা উন্নত হলে পুরো সমাজ উন্নত হবে?

রুনা খান : আমি মনে করি, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। সেই শ্রদ্ধাবোধ যেমন তার স্বামীর, সেই সঙ্গে তার পরিবারের। নারী যখন তার সঠিক শ্রদ্ধাবোধ এবং মূল্যায়নটা পাবে, তখনই কেবল নারী সব করতে পারবে। একটা নারী একই সঙ্গে বাড়ির কাজ, বাড়ির বাইরের কাজ করে সন্তান জন্ম দেওয়া, টাকা আয় করা থেকে শুরু করে সব রকম কাজের সঙ্গেই যুক্ত।

আসলে একটা সমাজ কিংবা পরিবার কিন্তু নারীকেন্দ্রিক। আমরা যতই অস্বীকার করার চেষ্টা করি না কেন, আসলে একজন নারীকে কেন্দ্র করেই কিন্তু পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র সবই চলে। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

রুনা খান : আসলে এ বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই। একজন নারীকে কেন্দ্র করেই তার সন্তান-সংসার এবং সমাজ। নারীকে কেন্দ্র করেই সংসারের আয়, এমনকি কিভাবে সংসারের জন্য সুন্দরভাবে ব্যয় করতে হয় সেই ব্যাপারে নারীর জানাশোনা অসামান্য। নারীরা যেভাবে সংসার চালাতে পারেন, ছেলেরা সেই আন্দাজে চালাতে পারেন না।

আসলে নারীর যে সঞ্চয়ক্ষমতা, সেটা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা। আমাদের দাদি-নানি কিংবা মায়েদের দেখেছি ভাতের চাল থেকে একমুঠ হয়তো রেখে দিত সঞ্চয় করার উদ্দেশ্যে। এই চাল আবার কোনো বিপদের দিনে সংসারের কাজেই লাগাত। এগুলো তো নারীর অন্য রকম ক্ষমতা।

রুনা খান : হ্যাঁ, এটা নারীদের একটা অসামান্য একটা ক্ষমতা। আর এ কারণেই আমাদের একটা ফিন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম আছে, যেটার নাম দিয়েছি মুষ্টি। কারণ, এটাই কিন্তু মেয়েদের সক্ষমতার জানান দেয়। এটাই নারীর বিশেষত্ব। কোনো একদিন দেখা দেখা গেলো ওই পরিবারের ঘরে চাল নেই, সেদিন এ চালই তাদের মুখে ভাত তুলে দেয়। চিন্তার এই জায়গার কারণেই তারা শ্রদ্ধার যোগ্য। মেয়ের ক্ষমতা এবং ছেলের ক্ষমতা কিন্তু আলাদা। আমি বলছি না মেয়েদের শক্তি ছেলেদের মতো হতে হবে। বা একটা মেয়ে, ছেলেদের মতোই কাজ করবে।

মেয়ে আসলে তার বৈশিষ্ট্য নিয়েই মেয়ে এবং এটাই তার সৌন্দর্য

রুনা খান : একদম তাই। মেয়ে তার নারীত্ব নিয়েই সুন্দর। একটা মেয়ের মনুষ্যত্ববোধ আর নমনীয়তাকে যে ছেলে দুর্বলতা ভাবে, সে আসলে বিরাট ভুল করে। এগুলো নারীর দুর্বলতা নয়। এটাই কিন্তু নারীর সাহস, এটাই নারীর ক্ষমতা।

সামনে বিশ্ব নারী দিবস। আপনি যে নারীদের নিয়ে কাজ করছেন, তাদের কাছে নারী দিবস এবং অন্য আর দশটা দিন একই। প্রতিবছর নারী দিবস আসে কিন্তু এই নারী দিবস কি কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারে? এই নারী দিবসটা আপনি কীভাবে দেখেন?

রুনা খান : যখন কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, তখন একটা একক জিনিস দিয়ে তা হয় না। আমি যদি বলি সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজই আমার সমাজ বদলে দেবে কিংবা মাইক্রোফিন্যান্সই আমার সমাজ বদলে দেবে, তা কিন্তু কখনো সম্ভব নয়। কোনো একটা কিছু দিয়ে কখনো দুনিয়া পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। দুনিয়ায় বিভিন্ন রকম মানুষ, তাই বিভিন্ন রকম জিনিস লাগে এই দুনিয়াকে পরিবর্তন করতে। আমরা নারী দিবস পালন করি, এটা আসলে একটা কম্পোনেন্ট। এটা নারীকে অনুভূতি দেয় যে, তুমি স্পেশাল। তাই আমি মনে করি নারী দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার স্বপ্ন হলো হয়তো কোনো একদিন নারী দিবসের আর দরকারই হবে না। হয়তো নারী-পুরুষ মিলে একটা দিবস পালন করবে, যেটার নাম হবে হিউম্যান ডে।

 

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, বিশেষ করে নারীদের নিয়ে?

রুনা খান : আমরা বিভিন্ন বিষয়ে অনেক উন্নতি করেছি। আমাদের মতো অর্থনীতির সক্ষমতার দেশের তুলনায় এদেশের নারীদের আমরা অনেক ওপরে নিয়ে গেছি। আপনি যদি আশপাশের কোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু দারিদ্র্য আমাদের অনেক কিছু বাধাগ্রস্ত করছে। এসব কিছুর মধ্য থেকেও আমি চেষ্টা করছি চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে।

এবার চরের তিনটি মেয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে চান্স পেয়েছে। যাদের বাসায় একটা মাত্র কুঁড়েঘর। যেখানে কোনো রকমে তারা পরিবার নিয়ে বাস করে। অথচ এই মেয়েগুলো এখন পুরো দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে মিশতে পারছে। আমার স্বপ্ন হলো প্রতিটি চর থেকে যেন অন্তত একটি করে মেয়েকে এমন ভাবে তৈরি করতে পারি, যারা তাদের পুরো কমিউনিটির আদর্শ হবে।

এখন তো ডিজিটালাইজেশনের যুগ। আপনি যে নারীদের নিয়ে কাজ করছেন, তাদের প্রযুক্তিগতভাবে উন্নয়নের জন্য কিছু করছেন কি?

রুনা খান : হ্যাঁ, এগুলো আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে করি। আমাদের স্কুলগুলো সব ডিজিটালাইজড। তা ছাড়া বাচ্ছাদের আমরা কম্পিউটারে দক্ষ হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিই।

আপনারা এখন পর্যন্ত কতগুলো স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন?

রুনা খান : আমাদের প্রাইমারি স্কুল ৪৮টির মতো। হাইস্কুল আছে ২২টির মতো। এ ছাড়া অ্যাডাল্ট এডুকেশন সেন্টার আছে ৪৮টি। আর আমাদের রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ৪০০ স্কুল আছে।

এর বাইরে আপনারা আর কী কী বিষয়ে কাজ করছেন?

রুনা খান : আমরা প্রথমেই চেষ্টা করি মানুষের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। যেখানে মানুষ দাঁড়াতে পারে। সেই প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করতে কী কী দরকার? প্রথমেই লাগে স্বাস্থ্য। আমরা স্বাস্থ্য খাতে খুব বেশি কাজ করি। প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোককে আমরা সরাসরি সেবা দিই। শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। এরপর আমরা ইনকাম জেনারেশন করাই। যারা কৃষিকাজ করতে পারে, তারা সেটা করে। যারা হাঁস-মুরগি পুষতে পারে, তারা সেটা করে। কেউ বাগান করে। মাছ চাষ করে। এমন অনেক কাজ।

 

আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫১ শতাংশ নারী কর্মী কাজ করেন। এটা কি কোনো বিশেষ চিন্তা থেকে করা?

রুনা খান : এটা আসলে বিভিন্ন আমাদের অফিসের বিভিন্ন দপ্তরে ভেদে কমবেশি আছে। তবে চেষ্টা থাকে নারী-পুরুষের সমন্বয়টা ঠিক রাখতে। বিশেষ কোনো চিন্তা থেকে নয়।

 

বাংলাদেশের নারীদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?

রুনা খান : আমি বলব বাংলাদেশের লোকজন যেন নারীদের আরও একটু সম্মান করে। আমি সব পুরুষকে অনুরোধ করব আপনি আপনার স্ত্রী-সন্তান-মাকে সম্মান করুন। আপনি যদি সম্মান না করেন, তাহলে আপনি জানেনই না আপনার কি ক্ষতি হচ্ছে। অর্ধেক সম্ভাবনা আপনি হারাচ্ছেন যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে সম্মান না করেন।

এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রুনা খান : আপনাকেও ধন্যবাদ।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
শিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতিসাফল্য

এবার একুশে পদক পেলেন যারা

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২২ সালের একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক অনুষ্ঠানে বিজয়ী ব্যক্তিদের পদক প্রদান করেন।

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

এবার দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক প্রদান করেছে সরকার। সরকার ৩ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২২’ প্রদানের জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে।

এ বছর ভাষা আন্দোলন বিভাগে ২ জন, মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন, শিল্পকলা (শিল্প, সংগীত ও নৃত্য) বিভাগে ৭ জন , সমাজসেবা বিভাগে ২ জন, ভাষা ও সাহিত্যে ২ জন, গবেষণায় ৪ জন, সাংবাদিকতায় ১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১ জন এবং শিক্ষায় ১ জন পুরস্কার পেয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর) পুরস্কার পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।

সাংবাদিকতায় পেয়েছেন এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন। শিক্ষায় পেয়েছেন অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাস।

নৃত্যে পেয়েছেন জিনাত বরকতুল্লাহ। সংগীতে নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান। অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।

সমাজসেবা বিভাগে পেয়েছেন এস এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো। ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ।

গবেষণা বিভাগে পেয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক (টিম লিডার), ডা. শাহানাজ সুলতানা (টিম) ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (টিম)।

 

একুশে পদকের নীতিমালা অনুযায়ী, এককালীন ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয় নির্বাচিত প্রত্যেক বিজয়ীকে।

 

জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ও একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতির বিকাশসহ আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখছেন, তাঁদের সবার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার প্রতিবছর গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করে থাকে।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ঘুরে বেড়াইদেশসম্ভাবনাসাফল্য

ভ্রমণ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১

জীবনে আনন্দের মানে একেকজনের কাছে একেক রকম। তবে ভ্রমণে আনন্দ পান না, এমন মানুষ বিরল। অসুস্থ মানুষও ভ্রমণ করলে সুস্থ হয়ে যায়। এমন ধারণা থেকে ফেসবুকে কিছু আয়োজন রেখেছে ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা। তারা নানাভাবে ভ্রমণপ্রেমীদের আনন্দ দেয়। কথা হলো এমন কয়েকজনের সঙ্গে। লিখেছেন সুরাইয়া নাজনীন

বাউন্ডুলে ট্রাভেল ক্লাব
ফেসবুক গ্রুপ ‘বাউন্ডুলে ট্রাভেল ক্লাব’-এর অ্যাডমিন ইমরান হোসেন বাঁধন। কথা হলো তার সঙ্গে ট্যুরের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে। কীভাবে যাত্রা শুরু?
বাউন্ডুলে ট্রাভেল ক্লাবের শুরুটা হয়েছিল ক্রিকেটের মাধ্যমে। আমি প্রতি মাসের অন্তত ১৫-২০ দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন জেলায় দলবেঁধে খেলতে যেতাম। এতে আমার মনে হলো খেলার সঙ্গে ঘোরাঘুরির অভ্যাসও তৈরি হচ্ছে। এলাকার বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে অনেকেই ফোন দিয়ে বাসের ভাড়া, হোটেল খরচ, রুট প্ল্যান ইত্যাদি জানতে চাইত। আমি ফ্রিতেই এসব সার্ভিস দিয়েছি অনেক দিন। একসময় হোটেল ম্যানেজার, বাস কাউন্টারের লোক এদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। এরা প্রায়ই আমাকে ফ্রিতে বাসের টিকেট দিত। হোটেলে একটা এক্সট্রা ডিসকাউন্ট আমার জন্য থাকত। এভাবেই হঠাৎ করে মনে হলো এই কাজটা সার্ভিস হিসেবে খেলার পাশাপাশি নেওয়া যায়। আর এভাবেই ‘বাউন্ডুলে ট্রাভেল ক্লাব’-এর জন্ম।

ইমরান হোসেন বাঁধন

আপনারা একসঙ্গে কতজন ট্যুরের আয়োজন করেন?
আমাদের প্রথম দিকে লিমিট ছিল। নতুন অবস্থায় আমরা ১০-১২ জনের বেশি নিয়ে যেতাম না। আস্তে আস্তে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাজের চাপ বাড়ে। এখন আমরা প্রতি ১৫ থেকে ২০ জনের জন্য একটা গাইড হিসাব করে ১০০-১৫০ জনের পর্যন্ত ট্যুর পরিচালনা করে থাকি।
কত দিনের জন্য হতে পারে অর্থাৎ সময়সীমার কোনো ব্যাপার আছে কি?
আমাদের নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। আমরা কাস্টমার প্রায়োরিটির ওপর ভ্রমণ পরিকল্পনা করে থাকি। ডে ট্যুর থেকে শুরু করে বিদেশে আমরা ১৫-১৭ দিনের ট্রিপ নিয়েও কাজ করেছি। প্রথম দিকে গ্রুপ মেম্বার বা ক্লায়েন্ট ছিল বেশির ভাগই বন্ধুবান্ধব। আস্তে আস্তে এখন মেম্বার বা ক্লায়েন্ট যা-ই বলেন পরিচিত লোকের চেয়ে অপরিচিত লোকই বেশি। ভ্রমণের পর বাড়ি ফেরার পথে সবাই আবার বন্ধু বা ফ্যামিলি হয়ে যায়।


করোনা ট্যুরের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে, আপনার কী মনে হয়?
পর্যটনের একদম উঠতি বয়স যখন ছিল, ঠিক তখনই করোনার থাবা আসে। টানা দেড় বছর পর এখন একটু স্বাভাবিকতার মুখ দেখছি। এই ক্ষতি পোষাতে আরও সময় লাগবে।

নারীদের জন্য কি আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়?
আমাদের কাছে নারী-পুরুষ সবাই সম্মানী ব্যক্তি। আমরা চেষ্টা করি আপনি যেহেতু ফ্যামিলি রেখে বাইরে ঘুরতে এসেছেন, অতএব বাইরে এসে যাতে আপনাকে ফ্যামিলিকে মিস করতে না হয়। আমরা সেই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি সব সময়।

রূপসী বাংলা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম
ফেসবুক গ্রুপ রূপসী বাংলা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের অ্যাডমিন মোহাম্মদ ফারুক। তিনিও কথা বলেন রোদসীর সঙ্গে

মোহাম্মদ ফারুক

যেভাবে তাদের যাত্রা শুরু
প্রথমে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজনে টুকটাক ঘোরাঘুরি করতাম। একটা সময় পরিচিত মুখের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে লাগল। তখন উপলব্ধি করলাম আমাদের দেশের পর্যটনটা আসলে অনেক সম্ভাবনাময়ী কিন্তু এই সেক্টর সম্পর্কে দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। মানে তারা জানেই না যে আমাদের দেশে এমন এমন কিছু স্পট আছে, যেগুলো বাইরের কোনো দেশের থেকে কোনো অংশে কম সুন্দর নয়। বরং অনেক দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের থেকে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর এবং ঘোরার মতো। তখন একটা ইচ্ছা বা টার্গেট সেট করলাম যে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলোকে লোকচক্ষুর সামনে আনব। তাদের দেখাব যে আমাদের দেশও কম সুন্দর নয়। মূলত এই উদ্দেশ্যেই ২০১৬ সালের আমার গ্রুপ রূপসী বাংলার পথচলা শুরু। আমরা আমাদের ইভেন্টে ১০ জন, আবার কোনো ইভেন্টে ৩৬ জন। আবার করপোরেট ইভেন্টগুলোতে আরও বেশি হয়। মাঝেমধ্যে কমও হয়।

ট্রিপের সময়সীমা কেমন থাকে
কিছু কিছু ট্রিপ থাকে ডে টাইপ। দিনে গিয়ে দিনে ঘুরে আসি। কিছু থাকে এক রাত বা দুই রাতের। যেহেতু আমাদের শুক্র-শনি সাপ্তাহিক বন্ধের দিন, সেহেতু এক রাত স্টে করার ইভেন্ট বেশি হয়। কারণ, এতে রোববার ঢাকায় ব্যাক করে ক্লায়েন্টরা অফিস করতে পারে। আবার সেন্ট মার্টিন বা বান্দরবান দুই রাতের ইভেন্ট বেশি হয়। সত্যি বলতে স্পট প্লাস ক্লায়েন্টের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে ট্যুরের স্থায়িত্বকাল।

ক্লায়েন্টরা কি আপনাদের পরিচিতই বেশি থাকে?
প্রথমেই বলেছি যে দিন দিন আমাদের কাছে পরিচিত মুখের সংখ্যা বাড়ছে। মানে আমাদের থেকে যে বা যারা সার্ভিস নিয়েছে বা নিচ্ছে, তারাই তাদের পরিচিতদের আমাদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে সাজেস্ট করে। তাই আমাদের মেম্বার পেতে অতটা কষ্ট হয় না। তা ছাড়া মোটামুটি এখন দেশের মানুষ তাদের দেশের পর্যটন সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত। একটু ছুটি বা ব্রেক পেলেই প্রকৃতির কাছে ছুটে যেতে চায়।
আমরা মূলত বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা বিমান সব ধরনের ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে থাকি। ক্লায়েন্টের ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে যাতায়াতব্যবস্থাটা। আমরা চেষ্টা করি ক্লায়েন্টকে খুশি রেখে পূর্ণ সার্ভিস প্রদান করতে। আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত সফলভাবে কোয়ালিটিফুল সার্ভিস প্রোভাইড করতে সক্ষম।
করোনা মহামারি এখন একটু স্বাভাবিক হওয়ার পরে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আমাদের কার্যক্রম আবারও শুরু করেছি। ইনশা আল্লাহ্ ক্লায়েন্টদের নিরাপত্তার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ইভেন্ট পরিচালনা করছি। অর্ধেক মেম্বার নিয়ে ইভেন্ট আয়োজন, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ হচ্ছে প্রত্যেক ইভেন্টে। নিজেদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু করা সম্ভব সবটুকু আমরা করছি।

আর নারীদের জন্য আমাদের আলাদা নারী হোস্ট থাকে। তাদের যাওয়া-আসার বাসে সিট থাকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী। খাবার থেকে শুরু করে থাকার জায়গা বা স্পট সুন্দরভাবে ঘোরানোর জন্য দক্ষ ফিমেল গাইড প্রদান করে থাকি। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি।
আমাদের দেশের নারীরা আগে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারত না কিন্তু এখন দিন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা নারীদের আমাদের সঙ্গে ভ্রমণের জন্য সাদরে আমন্ত্রণ জানাই।

ছবি: বাউন্ডুলে ট্রাভেল ক্লাব ও  রূপসী বাংলা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ঘুরে বেড়াইদেশভ্রমণ ফাইলসম্ভাবনাসাফল্য

‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ডেস্টিনেশন হতে পারে’

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

প্রতিবছরই আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে পর্যটনশিল্প। পর্যটকেরা পালা করে ঘুরে বেড়ায় দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। দিন দিন বেড়েই চলেছে ট্রাভেলের প্রতি মানুষের বাড়তি আকর্ষণ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাই কাজ করছে সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্প নিয়ে। ট্রাভেল বাংলাদেশ এমনই একটি প্রতিষ্ঠান, যেটি বাংলাদেশের ট্রাভেল ও ট্যুরিজমের নানান তথ্য দিয়ে আমাদের পর্যটন খাতে ভূমিকা রাখছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করে থাকছে রোদসীর বিশেষ আয়োজন। পর্যটন শিল্পের নানান দিক নিয়ে ট্রাভেল বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও আহসান রনি কথা বলেন রোদসীর সঙ্গে। লিখেছেন সাবিহা জামান

ট্রাভেল বাংলাদেশ কীভাবে কাজ শুরু কওে, এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহসান রনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসতাম। যত বড় হতে থাকি, ভ্রমণের প্রতি ভালোলাগা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হই এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আয়োজনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়। বিভিন্ন দেশে গিয়ে ওই দেশসমূহে ভ্রমণ নিয়ে দারুণ দারুণ সব উদ্যোগ দেখি এবং বাংলাদেশের ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতার সাথে তুলনা করতে গিয়ে দেখি বাংলাদেশে ভ্রমণ নিয়ে অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। তথ্য থেকে শুরু করে ইনোভেটিভ ট্যুর, এ দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা, খাবার, স্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, প্রকৃতি, অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ে নানা এক্সপেরিয়েন্সের সুযোগ দিতেই ট্রাভেল বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম শুরু করি। শুরুতে শুধুমাত্র তথ্য নিয়ে কাজ করতে থাকি। দেশের ৬৪ জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, দর্শনীয় স্থান, খাবার, থাকার স্থানবিষয়ক তথ্য নিয়ে ট্রাভেল বাংলাদেশের ওয়েবসাইট শুরু করি এবং সময়ের সাথে এটি হয়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণবিষয়ক তথ্যবহুল ওয়েবসাইট।’

আহসানর রনি আরও বলেন, ‘শুরুতে তথ্য সংগ্রহ, রিসার্চসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ট্রাভেল বাংলাদেশ থেমে থাকেনি। ক্রমে ক্রমে নতুন নতুন ইনোভেশন নিয়ে কাজ হয়েছে এবং পচুর মানুষ ও প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে আমাদের উদ্যোগটি দিনে দিনে বড় হয়েছে। ট্রাভেল বাংলাদেশের বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ওয়েবসাইট, ভিডিও, ট্যুর মার্কেট, এক্সপেরিয়েন্স, ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর জন্য প্রমোশনাল সেবা; সবগুলোই ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভ্রমণবিষয়ক নানা সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। ট্রাভেল বাংলাদেশকে আমরা একটি সমস্যার সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। করোনার কারণে পুরো ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে; আমরাও হয়েছি। কিন্তু আমরা এই সমস্যার কীভাবে সমাধান সম্ভব এবং সমস্যার সমাধানে কী কী করা সম্ভব, তার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি।’

ট্যুর আয়োজন করার বিষয় নিয়েও কথা বলেন ট্রাভেল বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও আহসান রনি। তিনি জানান, ‘আমরা সরাসরি ট্যুরের আয়োজন করি না। আমাদের ট্যুর মার্কেট নামে একটি পার্ট আছে, সেখানে বাংলাদেশের সেরা সেরা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সাথে আমাদের পার্টনারশিপ আছে। দেশের সেরা ট্যুর কোম্পানিগুলোর ট্যুরগুলো আমাদের মাধ্যমে বুক করা যায়। এটি ট্যুর প্যাকেজের একটি ই-কমার্স সাইট বলতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের “এক্সপেরিয়েন্স” নামে একটি সেবা আছে। এই সেবার আওতায় আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসব, খাবারবিষয়ক নানা অভিজ্ঞতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে উপভোগ করার সুযোগ। এগুলোকে একধরনের ট্যুরও বলা যেতে পারে। তবে গতানুগতিক ট্যুরের চেয়ে আমরা এই আয়োজনে অভিজ্ঞতা অর্জনকেই প্রাধান্য দিই।’
নারীদের জন্য তাদের আয়োজনের বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে রনি বলেন, ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ নারীদের আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। আমাদের ওয়েবসাইটে নানান তথ্য রয়েছে, যেখানে নারীদের ভ্রমণ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। ভ্রমণের সময় নারীদের নিরাপত্তাকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি।’

করোনাকালীন বিভিন্ন সমস্যা ও বর্তমান অবস্থা নিয়েও রোদসীর সঙ্গে কথা বলেন রনি। রনি বলেন, ‘করোনাকালে সারা পৃথিবীর প্রতিটি ট্রাভেল কোম্পানিই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিও এর ব্যতিক্রম নয় এবং ট্রাভেলবিষয়ক কোম্পানি হিসেবে আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। তবে ট্রাভেল বাংলাদেশের ইনোভেশন প্রক্রিয়া করোনার সময়ে থেমে থাকেনি। আমরা আমাদের কার্যক্রম দারুণভাবে পরিচালনা করে গিয়েছি। আমাদের ট্যুর মার্কেট দারুণভাবে যাত্রা শুরু করেছে, বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা এক্সপেরিয়েন্স বিষয়টিকে নিয়ে এসেছি এবং নতুন নতুন এক্সপেরিয়েন্স লঞ্চ করেছি। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে আবার যেহেতু ভ্রমণ শুরু হয়েছে, আমরাও চেষ্টা করছি আমাদের সব সার্ভিস আবার ফিরিয়ে আনতে। বিশেষ করে বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানি যেহেতু করোনা-পরবর্তী এই সময়ে তাদের প্ল্যাটফর্মটিকে আরও বেশি মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়, তাই আমরা তাদের জন্য বিশেষ প্রমোশনাল প্যাকেজ চালু করেছি এবং আমরা দারুণ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি সেপ্টেম্বর থেকে আমরা আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারব।’
বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প নিয়ে নিজের প্রত্যাশার বিষয়ে বলতে গিয়ে রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প নিয়ে অনেক অনেক নতুন উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টর নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রত্যাশা অনেক।

বাংলাদেশের যে যে প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যগত সম্পদ আছে, সেগুলোকে যদি আমরা যথাযথ ব্যবহার করতে পারি এবং আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে পারি, তাহলে শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। পর্যটন সেক্টর নিয়ে অনেক তরুণ এগিয়ে আসছে, ফলে সামনের দিনগুলোতে দারুণ আরও অনেক উদ্যোগ আমরা দেখতে পাব, তা বলাই যেতে পারে। সরকার থেকেও পর্যটন সেক্টরে দারুণ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগগুলোকে সরকার যদি আরও বেশি সহায়তা প্রদান করে এবং আন্তর্জাতিক নানা পর্যটন প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশেও ইনভেস্টমেন্টের সুযোগকে আরও সহজ করে দেয়, তাহলে বাংলাদেশের পর্যটন সেক্টরটি আন্তর্জাতিক মানের একটি পর্যটন ডেস্টিনেশন হতে পারে। তবে শুরুতে যদি এ দেশের পর্যটন সেক্টরকে সরকারি সহায়তায় বা বেসরকারি উদ্যোগে আরও বেশি প্রফেশনাল করা সম্ভব হয়, তাহলে পর্যটন সেক্টর আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়ঘুরে বেড়াইতুমিই রোদসীপ্রধান রচনাবাংলাদেশ ও বিশ্ববিশেষ রচনাসাফল্য

পর্যটনশিল্প এবং আজিজা সেলিম আলোর গল্প

করেছে Sabiha Zaman সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

এখন লকডাউন তো দুদিন পর আবার ঠিকঠাক। তবু অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ায় যেন মহা আতঙ্ক। কিন্তু আর কত! হাঁসফাঁস অবস্থা ছোট-বড় সবারই। ভ্রমণ কী জিনিস, তা যেন সবাই জীবনের সিলেবাস থেকে হারিয়ে ফেলেছে! লকডাউনে সবকিছু খুলে দিলেও পর্যটন খাত সেভাবে আলো দেখেনি। তো এখন কী অবস্থা পর্যটন খাতের? পর্যটনশিল্পের আইকন বেগম আজিজা সেলিম আলো বললেন সেই প্রসঙ্গ নিয়ে। কথা বলে লিখেছেন সুরাইয়া নাজনীন

পর্যটনশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি
করোনাকালীন অন্যান্য খাতের অবস্থা মোটামুটি ভালো হলেও পর্যটন খাত একেবারেই থেমে গেছে। করোনার ভয়ে সরকারি পদক্ষেপগুলো নেওয়া যাচ্ছে না। তবে এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছে, তাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, তা-ও ভেবে দেখা দরকার, বললেন আজিজা সেলিম আলো। দুই বছরে প্রায় তিন কোটি রেমিট্যান্স হারিয়েছি। হোটেল, গাইড, ট্রান্সপোর্ট সবকিছু মিলে সর্বনিম্ন তিন কোটি টাকার মতো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে এখনো হাল ছাড়িনি। পর্যটন খাত আমার একটি ভালোবাসার জায়গা। দেখেছি অনেকেই পেশা বদলেছে, তবে না বদলে উপায় নেই। জীবন তো আর থেমে থাকবে না। কিন্তু আমি, আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করিনি। প্রত্যাশা রেখেছি নিশ্চয়ই ভালো সময় আসবে। প্রকৃতি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আর আমরা মানুষকে প্রকৃতির কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দিই।

আজিজা সেলিম আলো

নতুন করে বিশ্ব দেখা
কেটে যাক অমানিশার কালো মেঘ। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিক আবার পৃথিবী, সেই প্রত্যাশা যেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষের। ঘরে থাকতে থাকতে একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ। এই তো এখন বুঝি খুলে দিল সবে! তাই সবাই জীবনের নতুন পরিকল্পনা করছেন। কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কী কী করবেন, পরিবারের সদস্যরা, বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে ভ্রমণ পরিকল্পনার জোয়ারে ভাসছেন। পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য এখন থেকে আমাদের আরও বেশি নিরীক্ষা করা জরুরি। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ প্রচুর ইনবাউন্ড ট্যুর করে। দুদিন ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে। তাই প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায়ও আমাদের সবার সচেতন হওয়া দরকার।

যেভাবে পর্যটনশিল্পের শুরু
১৯৯৬ সাল। তখন আমি শিক্ষার্থী আর আমার হাজব্যান্ড সরকারি কর্মকর্তা। তিনি সব সময় আমাকে অসম্ভব সাপোর্ট দিয়েছেন, যা আজকে রূপ নিয়েছে আমার গ্রিন চ্যানেল। গ্রিন চ্যানেলের মাধ্যমে আমি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরি। দেশ ও দেশের বাইরেও বিভিন্ন ট্যুর অপারেট করি। এমভি মাহিরা এবং এমভি জেরিন নামে আমার দুটি নিজস্ব জাহাজ রয়েছে, যার মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন ট্যুর পরিচালনা করা হয়। ২০১২ সালে ‘দ্য রোর টাইগার অব সুন্দরবন’ মুভিটিতে এমভি মাহিরা জাহাজটি ব্যবহার করা হয়েছে, যেটিতে শাহরুখ খান উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। এমনকি রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি করা হয়, যাতে গ্রিন চ্যানেল অনেক কাজ করেছে। আমরা দেশের বাইরে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করি, যেখানে বাংলাদেশকে তুলে ধরি। বাংলাদেশ ট্যুর অ্যাসোসিয়েশনের অনেক সদস্যই গ্রিন চ্যানেল থেকে তৈরি হওয়া।

লড়াই যখন টিকে থাকার
তেমনটা লড়াই করতে হয়নি আসলে। তবে ২০০৭ সালের দিকে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হই। কিন্তু ২০০৮ সালের দিকে সেটা কাটিয়ে উঠতে সফল হই। করোনাকালে তো সারা বিশ্বেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যগুলো আগের মতো অবস্থানে নেই। এই করোনাকালে পর্যটন সেক্টরে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি প্রতিনিয়ত। আমি মূলত এখন আমার দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে বেশি কাজ করছি, যাতে করে মানুষ আরও বেশি আগ্রহী হয় নিজের দেশ ঘুরে বেড়াতে। কারণ, অনেকেই আছে, যারা নিজের দেশের বিভিন্ন স্থান দেখেনি। এখন যেহেতু দেশের বাইরের ট্যুরগুলো বন্ধ রয়েছে, তাই দেশের অভ্যন্তরীণ ট্যুরে বেশি জোর দিচ্ছি।

তরুণদের জন্য
অনেক তরুণই এখন এই পেশায় আসছে। আমি তরুণদের উদ্দেশে বলতে চাই, যদি পর্যটন নিয়ে কাজ করতে চাও, তবে দেশসেবার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজে আসো। এখানে কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো তুলে ধরতে আমরা সবাই কাজ করতে পারি। আমার সঙ্গে অনেক তরুণ কাজ করে, আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

নারীর জন্য
নারীদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে লড়াই করতে হয় টিকে থাকার জন্য। আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে। আর এর শুরু হওয়া উচিত ঘর থেকেই। যখন পরিবার সচেতন নারীর অধিকার ও নারীর প্রাপ্য অধিকার নিয়ে, তখন সমাজে পরিবর্তন আসবেই। অনেক সময় দেখা যায়, পাবলিক পরিবহনগুলোয় নারীর জন্য আসন থাকলেও সেখানে নারীদের বসার সুযোগ থাকে না। এতে করে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় একজন নারীকে। নারীর আসনে যেন কোনো পুরুষ না বসতে পারে, এ বিষয়টিতে আরও জোর দেওয়া দরকার। যাতায়াতে নারীর হয়রানি দূর করতে হবে। কারণ, এখন অনেক নারীই কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যাতায়াত করে।

আজিজা সেলিম আলো

লড়াইয়ের আরেক নাম করোনা
আমরা কখনোই আগে এমন মহামারি মোকাবিলা করিনি। এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য একেবারেই নতুন। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও এই সমস্যা মোকাবিলা করছে বছরের পর বছর। আমি চেষ্টা করেছি আমার প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছে, তাদের পাশে থাকতে। তবে আমি করোনা শুরুর তিন মাস চট্টগ্রামে ছিলাম। সেখানে ১০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি। এই করোনায় অনেক কর্মজীবী নারী চাকরি হারিয়েছে। আবার অনেক নারী পরিবারের প্রয়োজনে প্রথম কাজে যুক্ত হয়েছে। নারীরা কেউ বসে ছিল না। তারা তাদের নিজের হাতের কাজ বা রান্না দিয়েই নিজের মতো করে কাজ করেছে। ঘরে বসেই ব্যবসা করে অনেক নারী এ সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্য আর মেধা ও ইচ্ছা দিয়েই নারীরা নতুন পথের সূচনা করেছে। তবে সব মিলিয়ে এখন টিকে থাকাটাই বড় ব্যাপার। ২০২১ সালের করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ উঠেছে। যার জন্য আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়েছি। আমার জানামতে, অনেক ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের প্রতিষ্ঠান একেবারেই সিলগালা করে দিয়েছে। কেউ কেউ এখনো বেকার হয়ে আছে। ন্যূনতম ছোট ব্যবসা দাঁড় করানোর পুঁজি নেই। জীবনে খেয়ে-পরে বাঁচার নিশ্চয়তাটুকু নেই কারও কারও। তাই এই পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সরকারি সহযোগিতা পেলে সামনের দিকে আগানোর সাহসটুকু পেতাম।

রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্টট

হালের জমানায় প্রাকৃতিক রিসোর্ট
রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্টটি করা হচ্ছে তাদের কথা ভেবে, যারা প্রকৃতিকে সব সময় খুঁজে ফেরে কিন্তু সময়ের অভাবে প্রকৃতির সান্নিধ্য পায় না। আমরা রাজধানীর খুব কাছেই রিসোর্টটি করছি। অনেক দূর কাজ এগিয়ে গেছে। কাজ সব শেষ না হতেই এর মধ্যে আমরা সাড়া পাচ্ছি। চাহিদা তৈরি হয়েছে প্রকৃতির কাছাকাছি আসার। ২৪ একর জমির ওপর রিসোর্টটি করা হচ্ছে। ফাইভ স্টার মানের করে তৈরি হচ্ছে রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্ট। কাপল কটেজ, ফ্যামিলি কটেজ, করপোরেট সুবিধা, কিডস সুবিধা, গেমিং জোন, সুইমিং পুল, কনফারেন্স রুমসহ দুর্দান্ত সব আয়োজন রেখেছে রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্ট। যাবে কনসার্ট করাও। এমন কোনো ফলগাছ নেই, এখানে থাকবে না। প্রকৃতির নিবিড় ছায়াঘেরা পরিবেশ। আমরা করোনাকালীন একটু হলেও বুঝতে পেরেছি অক্সিজেন ছাড়া আমাদের কী হাল হতে পারে! তাই আমি আমার নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি আমি অক্সিজেন তৈরি করব। সেই প্রত্যয় নিয়ে আমি আমার রিসোর্টটি তৈরি করছি।

রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্টটি

জীবনের অর্জন
স্বপ্নের পথে হাঁটতে হাঁটতে জীবনে কিছুটা অর্জনের দেখা মিলেছে। বর্তমানে গ্রিন চ্যানেলের সিইও হিসেবে কাজ করছি। ইস্টউড লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবেও আছি। বাংলাবেস্ট লিমিটেডের এমডি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছি। তা ছাড়া গ্রিন কেয়ার অ্যাগ্রোর ডিরেক্টর হিসেবেও সঙ্গে আছি। এফবিসিসির জেনারেল মেম্বার হিসেবে আছি। রেইন ফরেস্ট ইকো রিসোর্টের সিইও হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। বিডি ইনবাউন্ডের মেম্বার হিসেবেও আছি। টোয়াবের সিনিয়র মেম্বার হিসেবে রয়েছি। গ্রিন প্রোপার্টির প্রোপ্রাইটার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। সবকিছুর সঙ্গে আছি কাজের ভালোবাসা ভালোলাগা থেকে। ওই যে আগেই বলেছি প্রকৃতির মুগ্ধতায় মানুষকে আরেকটু বাঁচিয়ে রাখে। মানুষকে প্রকৃতির বন্ধু বানাতে আমার অবিরাম ছুটে চলা।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনতুমিই রোদসীনারীবাংলাদেশ ও বিশ্বসাফল্য

প্রথম নারী গভর্নর পাচ্ছে নিউইয়র্ক

করেছে Sabiha Zaman আগস্ট ১১, ২০২১

সাবিহা জামান:  তাদের যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ব জয় করছেন হাজারো বাধা পেরিয়ে। তাদের এ উৎসবের সাক্ষ্য হয়ে থাকছে গোটা বিশ্ব। এবার নতুন করে নাড়ীর  ইতিহাসে নাম লেখাচ্ছে নিউইয়র্ক। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রথম কোন নারী গভর্নর  হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। আগামী ২৪ আগস্ট লে. গভর্নর ক্যাথি হোচুল নিউইয়র্কের ৫৭তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিবেন। 

তিনি ১৯৫৮ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রান্তিক নগরী বাফেলোতে জম্ম নেন ক্যাথি।  তার পরিবারের সদস্যরা রাজনীতির আথে যুক্ত ছিলো না। নিজের কাজের জায়গা আর মানুষের পাশে দারানো ক্যাথি নিজেকে স্বাধীন ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি সাচ্ছন্দ্য  বোধ করেন। তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সদস্য।  ২০১৪ সালে ক্যাথিকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে রানিং মেট করে গভর্নর নির্বাচনে জয় লাভ করেন অ্যান্ড্রু কুমো। কুমো-ক্যাথি জুটি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। সে হিসাবে ২০১৫ সাল থেকে অঙ্গরাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্যাথি।  

কুমোর পদত্যাগের ঘোষণার পর ক্যাথি ১০ আগস্ট টুইটারে জানান, নিউইয়র্কের স্বার্থে গভর্নর কুমো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজটিই করেছেন। তিনি আরো বলেন তিনি নিউইয়র্কের ৫৭তম গভর্নরের দায়িত্ব পালনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

এভাবেই এগিয়ে যাক নারী তার নিজের যোগ্যতায়। রোদসী বিশ্বাস করে সুযোগ পেলে নারী থেমে থাকবে না বিশ্ব জয়ে এগিয়ে যাবে সমান তালে।

ছবি: সংগৃহীত।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
কর্মক্ষেত্রনারীসম্ভাবনাসাফল্য

প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতাই আমাদের মূলমন্ত্র: ইনা

করেছে Suraiya Naznin জুলাই ১৫, ২০২১

নতুন উদ্যোক্তা গঠন, সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের কল্যাণসহ সমাজের উন্নয়নমূলক সংস্থা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুক গ্রুপ ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাব । এই গ্রুপের ট্যাগ লাইন হলো, ‘প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা আমাদের মূলমন্ত্র।’ ঘরে বসে ফেসবুক প্লাটফর্মে কিভাবে ব্যবসা করছে এবং নারীরা নিজেদের কিভাবে গড়ে তুলছে সেসব বিষয় নিয়ে কথা হলো ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইসরাত জাহান ইনার সঙ্গে, কথা বলে লিখেছেন সুরাইয়া নাজনীন

স্বনির্ভরতার প্রত্যয়ে গঠিত হয়েছে ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাব। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উপজেলা পর্যায় থেকে। নতুন উদ্যোক্তা গঠন, সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের কল্যাণসহ সমাজের উন্নয়নমূলক সংস্থা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এই গ্রুপ। এই গ্রুপের ট্যাগ লাইন হলো, ‘প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা আমাদের মূলমন্ত্র।’

ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইসরাত জাহান ইনা বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট জগৎটাও পৌঁছে গেছে অনেক শীর্ষে। কেনাকাটা, বিভিন্ন সেবা থেকে শুরু করে অনলাইনে ব্যবসা করা যাচ্ছে বিভিন্ন সেক্টরে। বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন খুব অল্প সময়েই। আবার অনেকেই অনলাইন ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ে যাচ্ছেন শুধু প্রতিযোগিতার জন্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এমন কিছু নেই যা অনলাইনে পাওয়া যায় না। ঘরে বসে অর্ডার করে ঘরে বসেই ডেলিভারি সেবা পাচ্ছে। লাইভের মাধ্যমে প্রতিটি পণ্য দেখেশুনে বুঝে নেওয়ার সুবিধাসহ এখন অনেকেই পছন্দ না হলে রিটার্ন কিংবা এক্সচেঞ্জ সেবাটিও।’

 

ইসরাত জাহান ইনা

 

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে অনলাইন বিজনেসে আমার যাত্রা শুরু, তখন ঢাকায় থাকতাম বাবার বাড়ি। বাবা মারা যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে স্থায়ীভাবে যশোরের ঝিকরগাছায় থাকা শুরু করি। তেমন কোনো পরিচিতি ছিল না এলাকায়। ছেলে স্কুলে ভর্তি করানোর পর অনেক জায়গায় আসা-যাওয়া শুরু হয়। অনেকের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় হয়। আবার ব্যবসা শুরুর চিন্তা করি। কিন্তু বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো লোকবল না থাকা। কে কিনবে, কেমন পণ্য চলবে ঢাকার সঙ্গে মিল পাচ্ছিলাম না। তখন দেখি ঝিকরগাছায় বেশ কিছু মেয়ে আছে খুব ট্যালেন্টেড। এরা নিজেরা ঘরে বসে ইউটিউব দেখে কাজ শিখছে। এদের মধ্য অনেকের পেজ ছিল কিন্তু পরিচিতি ছিল না। হঠাৎ একদিন মনে হলো দেখি একটা গ্রুপ খুলে, যে ঝিকরগাছায় কয়জন মেয়ে আছে যারা অনলাইনে বিজনেস করে, অনেকে আবার অনলাইনে কিনতে আগ্রহী। মাত্র ১৯ জন সদস্য নিয়ে শুরু করলাম ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাব। মাত্র এক মাসেই ৫০০ জন সদস্য হয়ে গেলাম। মাত্র এক মাসেই ব্যাপক সাড়া পেলাম সমগ্র ঝিকরগাছা থেকে। দুই মাসের মাথায় আমাদের সেল হওয়া শুরু করল। আর সেই থেকে এখন অব্দি আলহামদুলিল্লাহ ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাব থেকে সাতজন লাখপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। আমি চেয়েছিলাম বেশ কিছু মেয়ে মিলে একত্র হয়ে কিছু করতে। এ অঞ্চলের মেয়েরা উড়তে চায়। উড়াল দেওয়ার জন্য তারা ডানা মেলে প্র¯‘তও ছিল। শুধু ছিল না একটা মুক্ত স্বাধীন আকাশ।

অনেক অনেক মেয়ে দূরদূরান্ত থেকে এসে শুধু একটি কথা বলে আপু আপনি আমাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন, যা আজ আমাদের একটা পরিচয় দিয়েছে। যশোরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে সারা বাংলাদেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাবের রেজিস্ট্রার সেলাররা। সহযোগিতা আমাদের গ্রুপের মূলমন্ত্র। তাই আমরা শুধু সেল করি না, সেলার ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তুলি নতুন বিজনেস ওমেন। তাদের শুধু বিজনেস শেখানো নয়, আত্মবিশ্বাসী করে তুলছি আমরা।’

 

ঝিকরগাছা লেডিস ক্লাবের পক্ষ থেকে বাচ্চাদের মধ্য ঈদ সামগ্রী বিতরনের সময়

‘আমি মনে করি, এই পরিচিতি আমাদের সাফল্যের প্রথম প্রাপ্তি। ঝিকরগাছা ছোট্ট একটা উপজেলা হলেও এখানকার জনগণ খুব আধুনিক আর স্বাধীনচেতা। ঘরে ঘরে ডিশলাইন আর ওয়াইফাই লাইনের ব্যবস্থা থাকায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এরা এদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত করে ফেলেছে। চিন্তাধারায় পরিবর্তন এনেছে। কিছু কিছু মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলেও চিন্তার জায়গাটা অনেক বিস্তার পেয়েছে। মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়া একদিন যেখানে নিষিদ্ধ ছিল, আজ সেখানকার মেয়েরা ব্যবসা করছে, চাকরি করছে, বেকিং করছে, এমনকি ডেলিভারি ম্যানের কাজও করছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ দেশ যখন এগিয়ে, আমরা উপজেলার মেয়েরাও থেমে নেই। সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছি যাব। আমরা সব সময়ই একটা কথা বলি। আমরা নারী, আমরা সব পারি, আমরা পারব।’

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.প্রযুক্তিসম্ভাবনাসাফল্য

ই-ক্যাবের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব

করেছে Suraiya Naznin জুলাই ১৫, ২০২১

দেশের ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি এ সেক্টরের ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, সেগুলো সমাধানে কাজ করছেন তারা। উদ্যোক্তাদের দক্ষ করে তুলতে নানা বিষয়ে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্লগ সাইটের মাধ্যমেও উদ্যোক্তাদের তারা বিভিন্ন সহায়তাও দিচ্ছেন। ফলে প্রসারিত হচ্ছে ই-কমার্স, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র।
বাংলাদেশে ই-কমার্স শুরু হয়েছে নব্বই দশকের শেষ ভাগে। প্রথম দিকে ধীরগতি থাকলেও গত পাঁচ বছরে এটি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে মানুষ দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল। ফলে এই সময়ে এর চাহিদা আরও অনেক বেড়েছে।

ই-ক্যাবের কার্যক্রম নিয়ে ই-ক্যাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, জাতীয় বাজেটে ৯ দফা প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ক্যাবের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল এনবিআর সভাকক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যানকে গত ৪ মার্চ ই-ক্যাবের দাবিসমূহের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে। ট্রেড লাইসেন্স অ্যাক্ট ২০১৬ সংশোধন করে ই-কমার্স সংযুক্ত করেছে। ই-কমার্স ট্রেড লাইসেন্স ন্যূনতম ফিস ধার্য করা ও অফিস ঠিকানার বাধ্যবাধকতা রহিত করাসহ সার্বিক শর্ত সহজীকরণ করছে।
এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অতি শিগগির ট্রেড লাইসেন্স অ্যাক্ট ২০১৬ সংশোধন করে সহজ শর্তে ই-কমার্স সংযুক্তির ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১’ প্রণয়ন করছেন।

সাহাব উদ্দিন শিপন

এ বিষয়ে ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে খসড়া এসওপির কপি প্রেরণ করেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের মতামত দিয়েছে, সেগুলো সংযোজন করা হয়েছে এবং অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ইতিমধ্যে ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। শিগগিরই এ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন হবে। এটা বাস্তবায়ন হলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। তাতে ব্যর্থ হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্য ফেরত দিতে হবে।

ই-ক্যাবের ভূমিকা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এমনকি আইসিটি নীতিমালায় ই-ক্যাবের বাস্তবায়নযোগ্য কাজের একটা বড় অংশ ই-ক্যাব বাস্তবায়ন করেছে। এবং কিছু বিষয় সংশোধনের জন্য প্রস্তাব পেশ করেছে। বাকিগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।

ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়সীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে এবং যৌক্তিকতা তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভা আয়োজন করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট কথা বলছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় ঊঝঈজঙড সেবা উন্নয়নে কাজ করছে। ঊঝঈজঙড হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্টে প্রদত্ত ক্রেতার টাকা সরাসরি বিক্রেতার কাছে না গিয়ে ঊঝঈজঙড তে জমা থাকে।

যখন ক্রেতা সাত দিনের মধ্যে কোনো অভিযোগ না করে কেবল তখনি বিক্রেতা বা মার্কেটপ্লেস বা অনলাইন শপ টাকা পায়। এতে করে প্রতারণার সুযোগ থাকে না বা পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া, ভুল পণ্য দেওয়া এগুলোর সুযোগ থাকে না। তাই এটা বাস্তবায়ন হলে অনলাইন ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সভা আহ্বান করে। তাতে ই-ক্যাবের প্রস্তাব অনুসারে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ঊঝঈজঙড সেবা চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ই-কমার্স খাতে সুষম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে ই-ক্যাব। এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে প্রাথমিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনকে এ বিষয়ে নীতি পলিসি তৈরিতে সাহায্য করছে ই-ক্যাব। এটা বাস্তবায়িত হলে অস্বাভাবিক অফার দেওয়ার পথ থাকবে না।

সাহাব উদ্দিন শিপন আরও বলেন, গ্রামীণ ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য লজিস্টিক ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে ই-ক্যাব। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ই-কমার্স অকুপেশন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করছে। ই-কমার্স সেক্টরের কর্মী ও পেশাজীবীদের বিভিন্ন পেশা এখনো সরকার স্বীকৃত হয়নি। তাদের পেশার মান ঠিক করা ও স্বীকৃতির জন্য জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেও কাছে প্রস্তাবনা পেশ করেছে ই-ক্যাব। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিবেচনাধীন।

তা ছাড়া চলতি বছর ২০২১ সালে সীমিত চলাচল ঘোষণার শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি ডিভিশনের অনুমতির মাধ্যমে স্টিকার দিয়ে সদস্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, দেশের সমস্ত ই-কমার্স সাপ্লাই প্রক্রিয়া একটি অভিন্ন চেইনের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা করা হ”েছ। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মধ্যে নিয়ে আসতে চায় ই-ক্যাব। ই-কমার্স-সংক্রান্ত সব সেবাকে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্রসবর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য সব ই-কমার্স পণ্য অভিন্ন চেইনের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণের পথ সুগম করার পরিকল্পনা আছে।

গ্রন্থণা সুরাইয়া নাজনীন

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
তুমিই রোদসীনারীসংগ্রামসম্ভাবনাসাফল্য

‘সর্বদা সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে চাই’

করেছে Suraiya Naznin জুলাই ১৩, ২০২১

নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একটি অলাভজনক সংস্থা ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডাব্লিউইও)। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন। উদ্যোক্তা হয়ে যেমন দরকার ফেসবুক গ্রুপের মতো নানা প্ল্যাটফর্ম, তেমনি দরকার উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমও। যেটা নানা রকম দরকারি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছে এই সংগঠন।

সম্মাননা প্রদানের সময় নাজমা মাসুদের সঙ্গে তাঁর জীবনসঙ্গী মাসুদ হাসান

উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট নাজমা মাসুদ বলেন, যখন নেট দুনিয়া এত সাড়া ফেলেনি, তখন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি উদ্যোক্তা হব। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। পরে দেখলাম নারীদের অনেক বাধা চলার পথে। কিন্তু তাদের মেধা আছে, আছে ইচ্ছা, আগ্রহও। তখন আমি ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’ তৈরির উদ্যোগ নিই। নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কারিগরি শিক্ষা এবং মানসিক শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব হয়, হচ্ছে। দেশ-বিদেশে নানা রকম মেলার আয়োজন করা হয় উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন থেকে। আমি সব সময় সর্বদা সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে চাই।

 

নাজমা মাসুদ

নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’। এবার বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে ১৩ মার্চ পূর্বাচল ক্লাবে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ডব্লিউইও’। সমাজের নানা স্তরে চ্যালেঞ্জিং পেশায় কাজ করা নারীদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ‘উইমেন্স এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন’। এতে নারীদের সম্মান অনেকাংশে বেড়ে যায়। সম্মাননা পুরস্কার শুধু একটি বস্তুই নয়, এটা সামনে চলার পথের জাগরণের ক্যানভাসও।

লেখা: সুরাইয়া নাজনীন

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়প্রযুক্তিসাফল্য

‘সফলতা আনার মুলমন্ত্র দক্ষতা অর্জন’

করেছে Sabiha Zaman জুলাই ১২, ২০২১

বর্তমান সময়ে দক্ষতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কর্মক্ষেত্রে সফলতা আনার মুলমন্ত্র হচ্ছে  দক্ষতা। দেশের মানুষদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে এমনি একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে‘কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ’। প্রতিষ্ঠানটির কো-ফাউন্ডার এবং চেয়ারম্যান জনাব আজিজ
আহমদ। কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ, ভারত,মালেশিয়ার মত ১১ টির বেশি দেশে করেছে। সারা বিশ্বই এখন প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়েচলছে। ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের সুযোগ। তাই নিজেকে দক্ষকরে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। কিভাবে
সম্ভব? এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে‘কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ’ এর সঙ্গে।লিখেছেন সাবিহা জামান-

কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর যাত্রা নিয়ে কথাবলেন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের ক্যান্ট্রি ডিরেক্টর ‘আতাউল গনি ওসমানী’। তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরুটা হয়েছিলো অনেকটা গল্পের মতো। আমাদের চেয়ারম্যান জনাব আজিজআহমদ, উনার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের
আনোয়ারায় কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে একজন বাংলাদেশী আমেরিকান হিসেবে প্রায় ৩২ বছর বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা শেষ করে প্রথমজীবনে সুনামের সাথে চাকরি করে বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন কাজ করলেও দেশের সঙ্গে সংযোগটা রাখেন সবসময়।

প্রায় ১০ বছর আগে একবার বাংলাদেশে আসার পর সরকারি দপ্তরে একজন অফিস সহকারী উনার জন্য চা নিয়ে আসলে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারেন ছেলেটি স্নাতক পাস করেছে এবং ঐ দপ্তরের সর্বনিম্ন শিক্ষিত মানুষটিও এইচএসসি করেছে। এ ঘটনার পর উনি বুঝতে পারেন আমাদের দেশে চাকরির সাথে শিক্ষার এবং দক্ষতার অনেক ব্যাবধান রয়েছে। এরপর নিজ দেশের মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে ভাবতে থাকেন। কোডার্সট্রাস্ট এর আরেকজন একজন কো-ফাউন্ডার ফার্দিনান কেয়ারউল্ফ ছিলেন ড্যানিশ আর্মির ক্যাপ্টেন। উনিও শিক্ষা নিয়ে কিছু করার কথা ভাবছিলেন। ২০১৩ সালে আজিজ আহমদ আর ফার্দিনান যখন কোপেনহেগেনে যান তখন তাদের দেখা হয় ভার্জিন গ্রুপের মালিক স্যার রিচার্ড ব্রানসন এবং স্কাইপের কো-ফাউন্ডার মর্টেন লুন্ডের সঙ্গে। তখন স্কিল নিয়ে কাজ করার বিষয়ে কথা বলেন।

সেই আলাপের ফলশ্রুতিতে ২০১৪ থেকেই কোডার্সট্রাস্টের কাজের প্রস্তুতি শুরু। আজিজ স্যারের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে প্রথম কোডার্সট্রাস্ট যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ থেকেই।’ আমাদের প্রথম আর চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট ছিলো ইউএনডিপির সাথে। ‘লার্ন এন্ড আর্ন’ থিম নিয়ে আমরা প্রজেক্টটা শুরু করি। কড়াইল বস্তির ৪০ জন ছেলে মেয়েকে নিয়ে। আমরা তাদের বেসিক কম্পিউটার আর ইংরেজি শিক্ষা দিলাম। যাতে করে তারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। আমরা খুব ভালো সাড়া পেলেও একটা গ্যাপ ছিলো কারণ ওরা শিখলেও কম্পিউটার না থাকার অভাবে ওরা স্কিল কাজে লাগাতে পারছিলো না। আমরা তাদের অনেক বেশি সাহস দিতাম। আকলিমা নামের একটি মেয়ে তার বাবাকে বুঝিয়ে একটা কম্পিউটার কিনে ফেলল এবং ২০ ডলারের একটা কাজও পেয়ে গেল। এতে সবার ভিতর অনেক আগ্রহ বেড়ে গেলো কম্পিউটার কেনার। কিছু দিন পর আকলিমা ৫০০ ডালারের একটা কাজ পায়। শামিম নামের একটি ছেলে সেও দুর্দান্ত সফল হয়।

‘কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ’ প্রথম প্রজেক্টের সফলটার পর আর আমরা থেমে থাকিনি। বর্তমানে ২০টির বেশি কোর্স রয়েছে। সেসব কোর্সকেই গুরুত্ব দেয়া হয় যেগুলোর মার্কেটে ডিমান্ড আছে। কোর্স শেষ হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। কাজ পাওয়ার পর কোন জায়গায় আটকে গেলে এখানকার মেন্টররা তাকে সাহায্য করে। এখানে মেন্টরের স্কিল ডেভেলপ করারো সযোগ
দেয়া হয় যাতে তারা শিক্ষার্থীদের ভালো ভাবে শিখাতে পারে। এপর্যন্ত বাংলাদেশ এবং গ্লোবালি সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীদের কোর্স করানো হয়েছে। এদের বেশির ভাগই সফল বলা চলে। যারা নতুন তারাও যেমন শিখছে যাদের স্কিল রয়েছে তাদের স্কিল উন্নত করার সুযোগও রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর অবস্থা নিয়ে কথা বলেন আতাউলগনি  ওসমানী, তিনি বলেন করোনায় যাতে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারে তাই আমরা অনলাইনে কোর্স করানো শুরু করি এবং ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপী স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা যেন অনলাইন এ তাদের ক্লাস নিতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা ১০ হাজার শিক্ষকদের ট্রেনিং দিয়েছি বিনামূল্যে।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আমাদের ট্রেনিং প্রজেক্টির উদ্বোধন করেন। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে আমরা একটি পাইলট প্রজেক্ট করেছি। ১০০ জন বিদেশ ফেরত যারা দেশে এসে কোন কাজ পাচ্ছিলেন না, তাদের নিয়ে আমরা একটি ট্রেনিং করিয়েছি। দেশকে এগিয়ে নিতে নারীদের ভূমিকা ব্যাপক। কিন্তু নারীরা নানা বাধার সম্মুখীন হন সবসময়। প্রায় সব নারীরাই কাজ করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। অনেক সময় পরিবার রাজি থাকে না, আবার অনেক সময় সন্তানের কথা ভেবে নারীরা কাজ ছেড়ে দেন। একথা ভেবে আমরা শুধুমাত্র নারীদের জন্য একটি বিশেষ প্রোগ্রাম শুরু করি ১ হাজার নারীকে নিয়ে। এটা ছিল ডাচ একটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে। এছাড়াও যেকোন কোর্সে আমরা মেয়েদের জন্য বাড়তি সুবিধা রাখি, অনেক সময় ফ্রি কোর্স করার সুযোগ দেই। কারণ আমি মনে করি, নারীদের জন্য সেরা কাজ হছে ফ্রিল্যান্সিং কারণ, সে নিজের মতো করে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ পান। আমরা মেন্টর নেওয়ার ক্ষেত্রেও চাই বেশি নারীরা আমাদের সাথে যুক্ত হোক। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়েও কথা বলেন, আতাউল গনি ওসমানী। বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অনেক কাজ করছে। নিচ্ছেন নানান উদ্যোগ। কিন্তু এ জন্য পর্যাপ্ত মনিটরিং প্রয়োজন আর নিরবিচ্ছিন্ন এবং সহজলভ্য ইন্টারনেট সুবিধা। এখনো আমাদের দেশের সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন যাইনি। অনেক ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার ইন্টারনেট সমস্যার কারণে কাজ করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, তাই এদিকে নজর দিতে হবে।
যাতে করে ফ্রিল্যান্সাররা কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সমস্যায় না পড়ে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook