রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

স্বাস্থ্য

জীবনবিশেষ রচনাভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

সুস্বাস্থ্য রমজানে

করেছে Suraiya Naznin এপ্রিল ২৬, ২০২২

নাজমুল হুদা খান

রমজানে শরীরের রক্তকণিকাসহ বিবিধ ধাতব পদার্থে পরিবর্তন ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে শরীরের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। রোজার সময় রক্তের সুগার, চর্বি, রেচনক্রিয়ায় নিঃসৃত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্রোলাইটসমূহেও প্রভাবিত করে। এ ছাড়া শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ, মস্তিষ্ক ও হার্টের বিভিন্ন অসুখও নিয়ন্ত্রণে রাখে-

 

 

রমজান সংযম, সহিষ্ণুতা, আত্মত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস। এ মাসে মুসলিম সম্প্রদায় আল্লাহর নির্দেশনা পালন, নৈকট্য লাভ ও আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য মাসব্যাপী রোজা পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আত্মা ও মানসিক পরিশুদ্ধতা লাভ, ত্যাগের মহিমায় গড়ে ওঠার প্রত্যয়ী অনুশীলন যেমন সাধিত হয়; ঠিক তেমনি মানবদেহের বিভিন্ন তন্ত্রে বহুবিধ ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয় বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে। রোজার সময় শরীরের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমে অভিযোজন ঘটে। শরীরের তরল অংশের ভারসাম্য রক্ষার্থে রেচনতন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র এবং খাদ্য, পরিপাকতন্ত্র প্রভৃতিসহ সংশ্লিষ্ট হরমোন, এনজাইমসমূহে পরিবর্তন সাধিত হয়, যা মানবদেহকে পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। রমজানে শরীরের রক্তকণিকাসহ বিবিধ ধাতব পদার্থে পরিবর্তন ঘটে, যা পরে শরীরের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। রোজার সময় রক্তের সুগার, চর্বি, রেচনক্রিয়ায় নিঃসৃত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইলেকট্রোলাইটসসমূহেও প্রভাবিত করে। এ ছাড়া শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ, মস্তিষ্ক ও হার্টের বিভিন্ন অসুখও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে যেসব শারীরিক অসুস্থতা রোজা রাখার কারণে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসব ক্ষেত্রে রোজা না রাখার বিধান রয়েছে।

 


আমাদের দেশে রমজানের শুরুতেই নানা রকম খাবারদাবারের ধুম পড়ে যায়। রোজার সময়ের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল এবং চিরায়ত খাদ্যাভ্যাস আমাদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা খাদ্য পরিস্থিতি, বাজার, এমনকি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়।
রোজার সময় ১২-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়াদাওয়া থেকে নিবৃত থাকতে হয় সত্যি; তবে ইফতার, রাতের খাবার, সেহিরসহ তিনবেলাই খাবার আমরা গ্রহণ করে থাকি। সুতরাং শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রেখে খাবার ও মেনু নির্বাচন করলে একদিকে দৈহিক ও মানসিক কষ্ট ছাড়াই যেমন রোজা রাখা যায়, তেমনি পুরো মাসই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

ইফতার : সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে একসঙ্গে অনেক খাবার গ্রহণের প্রবণতা থাকে আমাদের। ইফতারিতে আমাদের মূলত নজর থাকে মুখরোচক খাবার : পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, শিঙাড়া, সমুচা, মোগলাই, ফুচকা, চটপটিসহ নানা ধরনের ভাজাপোড়া, টক ও ঝাল খাবারের দিকে; যা সহজেই পেটফাঁপা, বদহজম, বমি বমি ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। তাই ইফতারের সময় খেজুর, নানা ধরনের দেশীয় ফল, নাশপাতি, আঙুর, সফেদা, ডালিম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত। এ ছাড়া কাঁচা ছোলা, দই, চিড়া, গুড়, মধু ইত্যাদিও থাকতে পারে ইফতারের মেনুতে। শরীরের সহজাত পানির ঘাটতি পূরণেও বাজারে নানা রকম পানীয় সহজলভ্য। এদের বেশির ভাগই নানা ধরনের রং, ঘ্রাণজাত সামগ্রীর মিশ্রণে তৈরি; যা শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরিতে প্রভাব বিস্তার করে। তাই পানির ঘাটতি পূরণে সাধারণ পানি, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, ডাবের পানি, তরমুজ, বাঙ্গি, মাল্টা, আনারস, খেজুর, আনারের জুস ইত্যাদি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। মোটকথা আমাদের মনে রাখতে হবে, ইফতারের খাবার হতে হবে নরম, সহজে হজমযোগ্য, পুষ্টিকর, অতিরিক্ত তেল ও নানা ধরনের মসলাবর্জিত।

 

রমজানে রাতের খাবার : ইফতারের পর এশা ও তারাবিহর পরপরই আমাদের রাতের খাবার গ্রহণের প্রস্তুিত শুরু। খাবারের বিরতিটা স্বল্প হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষুধা না-ও পেতে পারে। তাই রাতের খাবারটা হালকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। খাবারের পর থেকে সেহ্রির সময়ের ব্যবধানটিও খুব একটা বেশি নয় এবং বেশির ভাগ সময়টা ঘুমেই কেটে যায়। তাই রাতের খাবারে অল্প পরিমাণ ভাত, ভর্তা, শাকসবজি, মাছ ও পাতলা ডালই হতে পারে উৎকৃষ্ট মেনু। মাছের পরিবর্তে মাংসও থাকতে পারে। ভাতের পরিবর্তে রুটি বা খিচুড়িও খাওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, রাতের খাবার পরিমাণে বেশি হলে বদহজম, পেট ফেঁপে থাকা, অ্যাসিডিটি ও ঘুমের ব্যাঘাত ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেহরি : সারা দিন অর্থাৎ ১২ থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে এই ভেবে আমাদের সেহরি কিছুটা সেহরি খাওয়ার প্রবণতা থাকে; আবার অনেকে সেহরিতে কিছু খান না; কেউ কেউ হালকা পানীয়, ডিম বা ফল খেয়ে সেহরি সেরে ফেলেন। এসব ক্ষেত্রে অনেকের ঘুম থেকে ওঠার বিষয়টিই কাজ করে থাকে। সেহরি অতিরিক্ত কিংবা কিছু না খাওয়া দুটিই সঠিক পন্থা নয়। সেহরিতে সুস্বাস্থ্য, পুষ্টিকর এবং পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। সেহরিতে মেনুতে ভাত, সবজি, সালাদ, ডিম বা মুরগির মাংস ইত্যাদির সঙ্গে এক গ্লাস দুধ কিংবা খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এ সময়ও ঝাল, তৈল চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। তা না হলে সারা দিন বদহজম, পেট ফেঁপে থাকাজাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোজায় বর্জনীয় : রোজার ইফতারের তালিকায় আমাদের ঘরে ঘরে ভাজা পোড়া, ফাস্ট ফুড, হালিম, ফুচকা, চটপটিসহ নানা ধরনের ঝাল, অতিরিক্ত তেল ও মসলাজাতীয় খাবার থাকে। রোজা রাখার ফলে আমাদের শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন প্রক্রিয়া বিশেষভাবে খাদ্য ও পরিপাকতন্ত্র এবং রেচনতন্ত্রের কার্যক্রমে যে পরিশুদ্ধতার সুযোগ থাকে এসব খাবারে তা ব্যাহত হয় এবং রোজাকে কষ্টকর করে তোলে। রোজায় চিনি, চিনিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, চা কিংবা কফি না খাওয়া শরীরের পক্ষে ইতিবাচক। কারণ, চিনিজাতীয় খাবার কোষে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়; কফি শরীর থেকে আরও পানি শুষে নেয়। ফলে রেচনতন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যতা বিনষ্ট করে।

শরীরকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা ইবাদতেরই একটা অংশ। আত্মসংযমের এই রমজান মাসে শরীরকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর, উপাদেয়, সহজে হজমযোগ্য খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় পান করার বিষয়ে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।

 

লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খান, এমফিল, এমপিএইচ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
সহকারী পরিচালক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
কুর্মিটোলা, ঢাকা।

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
বিশেষ রচনাসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ওজন কমাতে যে রঙের চাল বেশি উপকারী

করেছে Suraiya Naznin মার্চ ১৪, ২০২২

রোদসী ডেস্ক: বাড়তি ওজন সব মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। অনেকে ওজন কমানোর কথা শুনলে ভাবে, বয়স হয়েছে এখন ওজন কমিয়ে কী বা হবে? না, এটা একেবারেই সত্য নয়। শরীরের বাড়তি মেদ অনেক ভয়াবহ রোগের উৎপত্তিস্থল। কিন্তু ওজন কমাতে হবে কি উপায়ে? ভাত কি বাদ দেয়া যাবে? অনেকে মনে চালের রং নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে, তা নিয়েই লেখা-

 


অনেকের ধারণা কার্বোহাইড্রেট খেলেই বুঝি বেড়ে যাবে ওজন। বিকল্প হিসাবে বেছে নেন ব্রাউন রাইস। কিংবা লাল রঙের ঢেঁকি ছাটা চাল।

পুষ্টিবিদদের মতে, বাদামি চালের পুষ্টিগুণ লাল চালের থেকে বেশি। বাদামি চালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অন্যতম উৎস। অ্যান্থোসায়ানিনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে চালের গুণমান নির্ধারিত হয়।

 


অন্য দিকে লাল চালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। হাড়ের গঠন দৃঢ় ও মজবুত করতে সাহায্য করে ম্যাঙ্গানিজ। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। শরীরে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাল চাল বেশ উপকারী।

তাই লাল হোক বা বাদামি, ওজন কমাতে দুই-ই সমান উপকারী। লাল চালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন। এই উপাদানগুলি বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
বিশেষ রচনাসচেতনতাস্বাস্থ্য

আপেল সিডার ভিনিগারেও হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি

করেছে Suraiya Naznin মার্চ ১৩, ২০২২

রোদসী ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় আপেল সিডার খেলে এর অম্ল গুণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকে আপেল সিডার ভিনিগার-এর উপরেই ভরসা রাখেন। কিন্তু ভিনিগার অম্ল হওয়ার কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পালন করা জরুরি।

 

দিনে ১৫ মিলিলিটার বা বড় চামচের এক চামচের বেশি আপেল সিডার খাবেন না, খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় আপেল সিডার খেলে এর অম্ল গুণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। এ ছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন, তা অবশ্যই জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই পানীয়তে অন্য কিছু ভুলেও মেলাবেন না।

বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যেতে পারে। সকালে এই পানীয় খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হবে। তবে সকালে খালি পেটে এটি খেলে এর গন্ধে অনেকের বমি বমি ভাব হয়। সে ক্ষেত্রে জলখাবারের পরে এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবিটিসের সমস্যায় এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আপেল সিডার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। গলা ব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ গরম জলে আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে রাতের বেলা ভুলেও এটি খাবেন না।

ওজন ঝরার ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এই পানীয় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ভাল হয়। শরীরের মেদ দ্রুত ঝরাতে এই উপায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে আপেল সিডার ভিনিগার খুবই উপকারী।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
স্বাস্থ্যহেঁসেল

প্রাকৃতিক খাবারে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory মার্চ ৩, ২০২২

মুখরোচক লাগলেই আমরা হুটহাট খাবার খেয়ে ফেলি। কিন্তু একটিবার ভাবি না ওই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কি না। এখন মহামারির এই সময়ে অনেকগুলো সচেতনতার মধ্যে প্রধান সচেতনতা হলো সঠিক খাবার খাওয়া। তবে এ-ও বিবেচনায় আনতে হবে কোন কোন খাবারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। সে বিষয়ে পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদÑ ফারজানা রহমান কান্তা

প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর খাবারগুলো-

রসুন :

রসুন যে শুধু খাবারের স্বাদই বৃদ্ধি করে তা নয়, বরং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর ফলে সর্দি-কাশির হাত থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়। ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ানাশক গুণ থাকে রসুনে।

জেনে নিন রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা কি

আদা :

ভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় এ উপাদান। আদা আক্ষরিক অর্থেই একটি সুপারফুড। আদা ইনফ্লেমেশন কমায় ও ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি বমিভাব কমাতেও সাহায্য করে।

10 Benefits Of Ginger - Health Benefits Of Ginger

চিয়া বীজ :

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চিয়া বীজ। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সব বীজের তুলনায় চিয়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাওয়া যায়।

গ্রিন টি ও মাচা টি :

মাচা টি আসলে গ্রিন টির গুঁড়া। আবার কফির বিকল্পও বটে। ভিটামিন, মিনারেল, ট্রেস এলিমেন্ট, মুক্ত র‌্যাডিক্যালসমৃদ্ধ। গ্রিন টি ও মাচা টি সর্দি, কাশির সঙ্গে লড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

The association between green tea consumption and SARS-CoV-2 infection  among Japanese

ভিটামিন সি :

শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি মানবদেহের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

Foods High in Vitamin C: 15 Great Sources

আমলকী:

কয়েক শতাব্দীজুড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপাদান হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমলকী। এতে আছে ভিটামিন সির প্রাচুর্য, যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই শ্বেত রক্তকণিকা অসংখ্য জীবাণুর সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি আমলকী জোগায় শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

কমলা :

Navel Oranges and Ruby Red Grapefruit - Hale Groves, shipping fresh Florida  citr

এতেও আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জোর বাড়ায়। কোষকে সংক্রামক ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ইমিউন সেল’ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি।

পেয়ারা:

ভিটামিন সি তো আছেই, পাশাপাশি সর্বোচ্চ পুষ্টিকর ফলের তালিকায় প্রথম সারির সদস্য পেয়ারা। কমলায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তার থেকে চার গুণ বেশি থাকে পেয়ারায়।

হলুদ :

‘কারকিউমিন’ হলো হলুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর অস্ত্র। কারকিউমিন প্রদাহনাশক গুণসম্পন্ন। ভাইরাসের আক্রমণে শরীরে যে ক্ষতি হয়, তা আসলে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টিকারী ‘মলিকিউল’-এর কারণে হয়। আর সেই মলিকিউল ধ্বংস করাই হলো ‘কারকিউমিন’-এর কাজ। এ ছাড়া ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির গতিও কমায় এ উপাদান।

 

তুলসী :

ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ধ্বংস করতে তুলসী একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ। খালি পেটে দুই থেকে তিনটি সতেজ তুলসী পাতা খেতে পারলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।

What Is Tulsi Good For?

গোলমরিচ :

ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ উপাদানসমৃদ্ধ এ গোলমরিচ। আরও রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে প্রাকৃতিকভাবে তা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

প্রোটিন :

প্রোটিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বাড়ায়, রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এ মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখতে উন্নত মানের প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল থেকে পাওয়া যাবে প্রোটিন।

6 foods to make a part of your daily high-protein diet - Times of India

ভিটামিন বি১২ :

শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার ও ডিমে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি রয়েছে সামুদ্রিক মাছে, শাকসবজি, ডিমে। এ ছাড়া দিনের কিছুটা সময় রোদে কাটানো উচিত।

The Verdict on Getting Enough Vitamin D Through Food — Eat This Not That

জিঙ্ক :

শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। বাদাম, শিম, দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।

 

ফারজানা রহমান কান্তা

ফারজানা রহমান কান্তা
ডায়েট ও ওবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট
প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড
রিলিফ মেডিকেল অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

হাই হিলে যত ক্ষতি

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২

ফাশন সচেতন নারীদের হাই হিল বেশ পছন্দ। শরীরের গড়ন চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলে এই উঁচু জুতো। নিমিষেই স্টাইলিশ লুক এনে দেয় হাই হিল। পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকই হোক বাঙালির প্রিয় শাড়ীই হোক হাই হিলে আবেদনময়ী দেখায়। তবে নিয়মিত হাই হিল পরাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।

হাই হিল পরলে যা হয়

ফ্যাশনেবল আর ট্রেন্ডি দেখাতে হাই হিলের জুড়ি না থাকলেও এর কারণে শরীরের নানা ধরণের ক্ষতি হতে পারে।

High Heels Girls Profile Picture for facebook - Best Social Media Profiles
বেঁকে যেতে পারে মেরুদ-
প্রতিনিয়ত হাই হিল পরলে মেরুদ-ের আকৃতি পাল্টে বেঁকে যেতে পারে এমন একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত হাই হিল পরলে মেরুদ- ও নিতম্বের মাঝের জায়গাতে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় মেরুদ-, শ্রোণি ও পায়ের পেশিতে ব্যথা শুরু হয় এবং একসময় তা স্থায়ী হয়ে যায়।

রক্তনালী সংকোচন
হাই হিলের ধরণ সাধারণত একটু আঁটসাঁট ও চোখা আকৃতির হয়। আর এর কারণেই এটি দেখতে ফ্যাশনেবল মনে হয়। কিন্তু এটি দীর্ঘক্ষণ পায়ে থাকলে রক্তনালীগুলোতে রক্তপ্রবাহ অনেকাংশে কমে যায়। এর ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। অনেকক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির ফলে রক্তনালী ছিঁড়েও যেতে পারে!

হাঁটু ও পায়ের ভীষণ ক্ষতি হয়

নিয়মিত হাই হিল পরলে হাঁটুতে চাপ পড়ে। এক গবেষণায় জানা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার উঁচু হিলের জুতোতেই হাঁটুতে অন্তত ২৩ শতাংশ চাপ বেড়ে যায়। এতে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা হাড় ক্ষয় রোগ হতে পারে। কারণ উচ্চতা বাড়ার জন্য হাঁটার স্বাভাবিক গতি প্রকৃতিও বদলে যায়। ফলে পা একদম সোজা থাকে। তাই হাঁটুতে প্রচুর চাপ পড়ে এবং জয়েন্ট পেইন শুরু হয়। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব অর্থোপেডিক সার্জন এর তথ্যমতে, এই জয়েন্ট পেইনই ধীরে ধীরে আর্থাইটিসে রূপ নেয়। হাই হিল পরলে হাঁটার সময় এটি পেলভিসকে প্রভাবিত করে ফলে কোমরের উপর প্রচুর চাপ পরে। যা পরবর্তীতে ব্যাকপেইনে রূপ নেয়। অনেক সময় এই ব্যাক পেইন আবার অস্টিপোরোসিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও হাই হিলের আকৃতি ও গঠন আলাদা হওয়ায় কয়েকদিন পরলেই পায়ের তলা অথবা গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে । গোড়ালির কাছের মাংসপেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে শরীরে অস্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যহীনতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

Understanding the dangers of high heels - NZ Herald

হাড়ের বড় ক্ষতি হয়
নিয়মিত হাই হিল পরার কারণে পায়ের হাড় নাজুক হয়ে যাওয়ায় চিড় ধরতে পারে, এমনকি কখনো কখনো তা ভেঙেও যেতে পারে।

ফোসকা পড়া
হাই হিল পরলে পায়ের চামড়ার সাথে হিলের ঘর্ষণ ও আঁটসাঁট হওয়ার ফলে কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই পায়ে ফোসকা পড়ে যেতে পারে। যেটি খুবই অস্বস্তিকর ও অনাকঙ্খিত।

পরামর্শ

International Dance Shoes | Heels | Take a look at our range of heels for  Ballroom & Latin Dance Shoes Online

হিলের উচ্চতা ২ ইঞ্চির মধ্যে রাখতে হবে। অল্প কয়েক ঘন্টার জন্য হিল জুতা পরতে হবে।
বেশি সরু হিল এড়িয়ে চলা ভালো। একটু চওড়া হিলের জুতা পড়লে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
জুতার ভেতর নরম ইনসোল ব্যবহার করুন, এতে হাঁটুতে চাপ কম পড়বে।
কাজের ফাঁকে বা বসে থাকার সময় জুতা খুলে রাখা ভালো। এসময় পায়ের হালকা ব্যায়াম করে নেয়াও ভালো।

সতর্কতা

Plantar Fasciitis: আপনার গোড়ালির ব্যথার কারণ 'প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস' নয়  তো? জেনে নিন
দীর্ঘদিন হাই হিল পরার অভ্যাসের কারণে প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস এবং একিলিস টেন্ডনাইটিস রোগ হয়। এছাড়াও মর্টন’স নিউরোমা নামের একটি স্নায়বিক রোগও হতে পারে! তাই হাই হিলের কারণে পায়ের ব্যথা স্থায়ী হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখানো জরুরী।

 

লেখা : রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

হঠাৎ প্রশোর কমে গলেে যা খতেে হবে

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২২

শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবকি থাকা খুবই জরুর।ি তাই হঠাৎ রক্তচাপ অত্যধকি বড়েে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া স্বাস্থ্যরে জন্য অত্যন্ত ক্ষতকির।

Signs and Symptoms of Low Blood Pressure - ActiveBeat

প্রশোর কমে গলেে যা হয়

র্দীঘক্ষণ না খয়েে থাকাসহ নানা কারণে কমে যতেে পারে প্রশোর। এর ফলে দখো দয়ে বশে কছিু লক্ষণ যমেন- মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দখো এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতোও সমস্যা হতে পার। তাই হঠাৎই প্রশোর কমে গলেে ভয় না পয়েে বরং কীভাবে এর সমাধানরে উপায় জানা উচতি।

যা করণীয়

হঠাৎই প্রশোর কমে গলেে সমাধানরে সঠকি সদ্ধিান্ত নতিে হবে । তাহলইে সমস্যা থকেে উতরানো হবে সহজ। শরীর থাকবে সুস্থ।

প্রশোর কমে যাওয়ার লক্ষণ পলেইে দ্রুত লবণ পানি খয়েে নতিে হব। কারণ লবণ দ্রুত ব্লাড প্রশোর বাড়াতে পার।

How much salt does it really take to harm your heart?

প্রশোর লো হলে ডাবরে পানি থাকলে খয়েে নতিে হব। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রশোর স্বাভাবকি করবে মুর্হূতইে।

Benefits Of Coconut Water: Why Coconut Water Is A Great Hangover Cure |  VOGUE | Vogue India

রোজা বা উপবাস রাখলে এ সমস্যা বশেি দখো দয়ে। এমন ক্ষত্রেে লক্ষণ দখোমাত্র দ্রুত খাবার খয়েে নতিে হব।

সাধারণত ডায়রয়িা ও বমি হলে এ সমস্যা দখো দয়ে। এমন অবস্থাতওে ওআরএস খুবই র্কাযকরী।

এক টুকরো চকলটেও ব্লাড প্রশোর নয়িন্ত্রণে রাখতে পার।ে কারণ এর মধ্যে ফ্ল্যাভানয়ডে নামক এক ধরনরে উপাদান থাক। যা মুর্হূতইে বাড়াতে পারে প্রশোর।

Chocolate Wallpaper HD for Android - APK Download

তবে প্রশোর কমে যাওয়ার র্দীঘদনি ধরে ভুগলে অবশ্যই চকিৎিসকরে পরার্মশ নতিে হব।
সূত্র: হলেথলাইন

লেখা :রোদসী ডস্কে

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

জিরার যত গুণ

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

জিরা শরীরের জন্য বেশ ভালো। শরীরে অনেক দিনের জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। ফলে নিয়মিত জিরা পানি বা চা পানে বিপাকক্রিয়া ভালো থাকে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

জিরা পানি পেটে গ্যাস জমা কমিয়ে বদ হজম থেকে মুক্তি দেয়। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা জ্বাল দেয়ার পর এর রং বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। ঠা-া হওয়ার পর দিনে ৩-৪ বার পান করলে এই মিশ্রণটি হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

Benefits of Drinking Jeera Water (Cumin) During Pregnancy

ঘুমের সমস্যা দূর করে

ঘুমের সমস্যায় জিরাপানি খুব উপকারি। ঘুমানোর আগে নিয়মিত জিরা পানি খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

আস্তো জিরা দুই চা চামচ নিয়ে রাতভর এক গ্লাস ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানিটি ছেঁকে নিয়ে এরমধ্যে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই মিশ্রণটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

ভুড়ি কমাবে

জিরা চা পেটের মেদ কমানোর জন্য বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে তরকারিতে জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে সাথে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে পেটে মেদ জমবে না।

Health Benefits of Jeera Water: Improved Digestion, Weight Loss, etc. | How  to Make Cumin Water Concoctions to Drink

বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে

পেট পরিস্কার রাখতে জিরা পানি অতুলনীয়। অল্প পরিমাণের জিরা ভেজে গুঁড়ো করে নিয়ে ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকে।

লেখা : রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
দেহ ও মনসচেতনতাসম্ভাবনাসুস্থ মনস্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি

করেছে Tania Akter ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

বর্তমানে ব্যস্তময় পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। কারণ মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। অথচ বেশির ভাগ রোগীই জানে না সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই মানসিক রোগের লক্ষণ জানা, চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া ও প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ভারসাম্য থাকবে।
রোদসীর এবারের আড্ডায় মুখোমুখি হয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম

রোদসী : মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি সম্পর্কে বলুন

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, সার্কিট ও চ্যানেল আছে। এগুলোর ভেতর বিভিন্ন সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া বংশগত, সামাজিক ও পারিবারিক কারণেও মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে যায়। রক্তপাত হয়। রক্তনালি চিকন হয়ে ব্লক হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে সে অংশটা নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্ট্রোক, প্যারালাইসিস এমনকি কেউ কেউ অন্ধও হয়ে যায়। এটা হয় মূলত মানসিক স্বাস্থ্যের কাঠামো অনেক দুর্বল অবস্থায় থাকলে অর্থাৎ যারা মানসিকভাবে অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যায়, চাপ নিতে পারে না, বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, সহজে কোনো কথা ভুলতে না পারা এসব বিষয়ে মনের ওপর চাপ তৈরি হয়েই মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলো হয়।

রোদসী : মানসিক অবসাদ বোঝার উপায় কী?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : জীবনে আনন্দ পাওয়ার কারণে আমরা বেঁেচ থাকি। কিন্তু এই আনন্দ যখন চলে যেতে শুরু করে, তখন কোন কাজ, কথা বা কোন স্থানে আনন্দ পাওয়া যায় তখন ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। নেতিবাচক নানা চিন্তা আসতে থাকে। অতীত উজ্জ্বল থাকলেও সব ব্যর্থ মনে হয়। বর্তমানে সব ঠিক থাকলেও মনে হতে থাকে কিছুই ভালো লাগছে না। ভবিষ্যতেও কোনো আশার আলো দেখে না। এত কষ্ট, এত দুঃখ অথচ বেঁচে কেন আছে এমন প্রশ্ন আসতে থাকা এসব লক্ষণে স্পষ্ট হয় সে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত।

রোদসী : অবসাদগ্রস্ত রোগীদের ভাবনাগুলো কেমন হয়?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত থাকলে শারীরিক জটিলতাসহ আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ মানসিক অবসাদের গুরুতর অবস্থায় যখন কেউ পৌঁছায়, তখন তার মনে হতে থাকে বেঁচে থাকা অর্থহীন। মৃত্যু মানেই মুক্তি। সব অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমন অনেক রোগীর স্বজনেরা জানায় মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তারা খুবই প্রফুল্ল থাকে। দেখে মনে হয় সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই নিজেকে হত্যা করে ফেলে! এই রোগীদের বেঁচে থাকার সামর্থ্য থাকে না, আবার চেষ্টাও থাকে না। এটা হলো গুরুতর মানসিক অবসাদ। আর এক ধরনের মানসিক অবসাদ রয়েছে, যা বেশির ভাগ মানুষেরাই আক্রান্ত। তাদের ভাবনাগুলো বেশির ভাগ আর্থিক ও পারিবারিক দায়িত্বের বিষয় নিয়ে থাকে। এটি এতটা গভীর না হলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

রোদসী : মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার ওষুধের কোনো চিকিৎসা রয়েছে কি?

ডা. মো. তাজুল ইসলাম : অবশ্যই মানসিক রোগীদের গুরুতর অবস্থা থেকে বের হওয়ার চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো মানের চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাগুলো নিলে শতভাগ সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু প্রচারের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের থেরাপিও দিতে হয়। তবে দুটো থেরাপি দিতে হবে সিবিটি বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি আরেকটি হলো ইন্টার পার্সোনাল থেরাপি বা আইপিটি। ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি মনোবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

রোদসী : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকা কতটা?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। কারণ, গুরুতর মানসিক অবস্থার বাইরে যারা সাধারণভাবে অবসাদগ্রস্ত, তাদের যে সময়টা ভালো লাগছে না সেই মুহূর্তেই এটি চিহ্নিত করতে হবে যে কেন ভালো লাগছে না। নিজের পাশাপাশি নিকটজনের ভূমিকা বেশি। তাদের প্রিয়জনদের মনের খোঁজ রাখতে হবে। কারণ, এক দিনেই কেউ রোগী হয়ে যায় না। তাদের ডাক্তারের কাছে না নিলেও চলে। তাই পরিবারের বা প্রিয়জনদের যারা আবেগের দিক থেকে দুর্বল, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। হতাশার গর্তে পড়তে দেওয়া যাবে না। ঘুরে দাঁড়ানোর মনোবল দিতে হবে। পরিবারে অভিভাবকেরা সন্তানের লালন-পালনের সঠিক কারণ না জানা ভয়াবহ ক্ষতি হয়। শুধু আর্থিকভাবে সহায়তা দিলেই হবে না, তার মানসিক অবস্থা জেনে সঠিক জীবনের দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

রোদসী : শিক্ষাব্যবস্থায় মানসিক বিষয় থাকাটা কতটা জরুরি?
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া জরুরি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই এই বিষয়ে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য জরুরি কিছু টিপস প্রায়োগিক ভাষায় লেখার মাধ্যমে কারিকুলামে যুক্ত করতে হবে। আমাদের মনোবিদদের সংগঠন এ বিষয়ে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে যাচ্ছি।

রোদসী : সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ডা. মো. তাজুল ইসলাম : এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
সচেতনতাস্বাস্থ্য

গ্যাস্ট্রিক হবে দূর

করেছে Rubayea Binte Masud Bashory ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২

পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভোগা লোকের সংখ্যা কম নয়। পেটে গ্যাস হলে পড়তে হয় অস্বস্তিতে। এর সমাধান রয়েছে প্রকৃতিতেই। প্রাকৃতিক কিছু খাবারেই দূর হবে এই সমস্যা।

গ্যাস হওয়ার কারণ

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ হলো পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে এসিড জমা হওয়া। ফলে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধের মতো বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। আর গ্যাস জমা হয় মূলত পানি কম খেলে, অতিঝালযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার বা খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকলে, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে, দুশ্চিন্তা করলে এমনকি শরীরচর্চা না করলেও পেটে গ্যাস তৈরি হয়।

পেটের গ্যাসের প্রাকৃতিক সমাধান

প্রকৃতিতেই এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর হবে নিমিষেই।
আদা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। তাই পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খেলে নিমিষেই দূর হবে।

মৌরি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলে গ্যাস দূর হয়।

দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকায় দই খেলে হজম ভালো হয়। তাই খাবারের পর দই খাওয়ার প্রচলন আছে। কারণ খাবার ভালোভাবে হজম হলে গ্যাস কমে।

শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

Why cucumbers are a great healthy snack - Health - The Jakarta Post

আনারসে ব্রোমেলাইন নামের কার্যকর পাচক রস থাকায় পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। আনারসে আছে ৮৫ শতাংশ পানি আছে।

One Major Side Effect of Eating Pineapple, Says Dietitian

হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যুক্ত করলে তা প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।

দারুচিনি হজমের জন্য খুবই ভালো। তাই এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে খেলে গ্যাস দূর হয়।
গোটাকয়েক লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবুতে থাকলে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হওয়ার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।

যা করা অনুচিত

পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

খাবার খেয়েই ঘুম নয়

অনেকেই খাবার খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে পড়ে। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে পারে না। খাবার হজম না হলেই গ্যাস তৈরি হয়।

ডাল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা

পেটে গ্যাস হয় এমন কোন খাবার যেমন ডাল জাতীয় খাবার অর্থাৎ মসুরের ডাল,বুট,ছোলা,সয়াবিন এগুলো খাবার পরিত্যাগ করা উচিত। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সুগার ও ফাইবার। আর এগুলো সহজে হজম না হওয়ায় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে।

তেল জাতীয় খাবার পরিত্যাগ

অতিরিক্ত তেল ও মসলায্ক্তু খাবার অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো ধরণের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্য

ঘরে ঘরে সিজনাল ফ্লু

করেছে Suraiya Naznin ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২

ডা. লুনা পারভীন

সব বাবা-মায়ের একই অভিযোগ, বাচ্চার জ্বর কেন কমছে না, কাশি কেন কমছে না, বাচ্চা কিছু খাচ্ছে না, ওজন কমে যাচ্ছে। ফ্লু এবং কোভিড-১৯-এর উপসর্গ একই রকম হওয়ায় ফ্লুর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কও দেখা যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। করোনাভাইরাসের মতো এই রোগেও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং এর উপসর্গও সর্দি-জ্বরের উপসর্গের মতোই।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৯ ভাগ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়, যাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হয়ে থাকে।

সিজনাল ভাইরাস জ্বর বা ফ্লু-

কী কী হয়?

ক্স টানা জ্বর ৩ থেকে ৫ দিন থাকবে
ক্স সহজে কমবে না
ক্স ওষুধ দিলে সাময়িক কমে আবার বেড়ে যাবে
ক্স বেশি জ্বরে বমি হতে পারে।
ক্স কাশি সহজে কমবে না
ক্স নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া বা নাক বন্ধ থাকা
ক্স বুকে ঘরঘর শব্দ হওয়া বা কাশতে কাশতে বমি করা
ক্স খেতে না পারা বা ওজন কমে যাওয়া।

কী কী করবে?

ঘরোয়া চিকিৎসায়

ক্স বাচ্চার গা মুছে দেবে, ঘাম জমতে দেবে না, গোসল দেবে।
ক্স ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যেন থাকে, ঘর ভ্যাপসা গরম হয়ে যেন না থাকে।
ক্স প্রচুর পানি, তরল, স্যুপ জাউ শরবত ডাবের পানি খাওয়াবে।
ক্স নাক পরিষ্কার রাখবে এবং নাকের ড্রপ দিয়ে নাক খোলা রাখার চেষ্টা করবে
ক্স আদা লেবু চা, মধু, মসলা চা, তুলসী পাতার রস বয়স অনুযায়ী খাওয়াবে।
ক্স একটু বড় বাচ্চাদের বালিশে হেলান দিয়ে বসিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে বলবে যেন শ্বাসকষ্ট কমে
ক্স বাচ্চার আশপাশে কেউ ধূমপান করবে না। চুলার ধোঁয়া, কয়েলের ধোঁয়া, ধুলাবালি, গোসলের পানি ঘাটা বন্ধ করতে হবে।
ক্স হঠাৎ করে গরম থেকে ঠান্ডা বা ঠান্ডা এসি থেকে বাইরের গরমে যাওয়া যাবে না। হুট করে আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা খাবার খাওয়াবে না।
ক্স যা খাচ্ছে তাই বমি করা, পেটব্যথা, তীব্র মাথা ও চোখব্যথা, দাঁতের মাড়ি, হাত-পায়ের তালু লাল হয়ে যাওয়া, পায়খানা, পেশাব বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া ডেঙ্গুর লক্ষণ। এমন হলে নিকট হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

ওষুধপত্র
ক্স অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ক্স জ্বর ১০০ বা এর বেশি হলে জ্বরের সিরাপ ছয় ঘণ্টা পরপর খাওয়াবে। ১০২ বা বেশি হলে, পায়খানার রাস্তায় সাপোজিটরি দেবে, একটা দেওয়ার ৮ ঘণ্টার আগে আরেকটা দিতে পারবে না তবে ৪ ঘণ্টা পর সিরাপ খাওয়াতে পারবে।
ক্স নাকের ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার রাখবে।
ক্স বেশি শ্বাসকষ্ট বা কাশি হলে নেবুলাইজ করবে।
ক্স মুখে খেতে না পারলে, প্রস্রাব কমে গেলে, নিশ্বাস ঘনঘন নিলে, শ্বাসকষ্ট হলে, খিঁচুনি হলে নিকট হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

 

ডা. লুনা পারভীন
শিশু বিশেষজ্ঞ, বহির্বিভাগ
ঢাকা শিশু হাসপাতাল

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

তুমিই রোদসী

  • স্বপ্ন দেখি নারী দিবসের দরকারই হবে না







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook