রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
বিভাগ

.

.অন্দরের ডায়েরিকান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাপ্যারেন্টিংসচেতনতাসমস্যা

সম্পর্কে ছন্দপতন, অতঃপর…

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ২২, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

‘অবশেষে রাজা, রানী আর তাদের রাজকন্যা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো’। রুপকথার কাহিনীগুলোতে প্রায় সব গল্পেরই পরিসমাপ্তি ঘটে একটি সুখী পরিবারের বুনন ঘটিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা কখনোই রুপকথার কাহিনী নয়। এখানে সবার জীবনের গল্পেরও হ্যাপি এন্ডিংয়ের নিশ্চয়তা থাকেনা। মাঝে মাঝে সম্পর্কের দোলাচালে ঘটে ছন্দপতনের। কখনো ভেবে দেখেছো কী, জীবনের এই টানাপোড়েন ঘরের ছোট্ট সদস্যের উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলে? 

 

ছোট্ট আরীবা, যে কিনা ছিল স্কুলে সবচেয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট; হঠাৎ করেই মাসখানেক তার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ক্লাসে অমনোযোগী, চুপচাপ একদম। একা থাকতেই যেন পছন্দ করে সে। তাকে ঘিরে ডিভোর্স, ব্রোকেন ফ্যামেলি এমন খটমটে শব্দ শুনতে পায় সে। কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও আরো যেন বিষন্নতা ঘিরে ধরে তাকে। এটি একটি কল্পকাহিনী হলেও এমন ঘটনা আমাদের আশেপাশে অহরহ দেখা যাচ্ছে। বিবাহবিচ্ছেদ যেকোন পরিবারের জন্য একটি কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে পারে। একটি পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া মানে তার সাথে সম্পর্কিত অনেকগুলো স্বপ্নের মৃত্যু। সম্পর্কের হঠাৎ এই পরিবর্তন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর যেমন প্রভাব ফেলে তেমনি ঘরে যে বাচ্চারা আছে তাদের উপরও সমান প্রভাব ফেলে। কিন্তু কখনও কখনও, পিতামাতারা তাদের সন্তানদের উপর এই বিচ্ছেদের পরবর্তী প্রভাবগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেনা। দম্পতিদের জন্য তাদের সন্তানদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আত্মদর্শন এবং আলোচনা করা অপরিহার্য। সন্তানদের উপর কেমন প্রভাব পড়ে, আসো আমরা জেনে নিই।

খারাপ একাডেমিক পারফরম্যান্স

সম্পর্কের টানাপোড়েনের দরুন পরিবারের পরিবর্তনশীল গতিশীলতা তাদের বিভ্রান্ত করে তোলে। আর এই বিভ্রান্তিতা তাদের দৈনন্দিন ফোকাসে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলাফল পরে একাডেমিক পারফরম্যান্সে। শিশুরা যত বেশি বিভ্রান্ত হয়, তাদের স্কুলের কাজে মনোযোগ দিতে না পারার সম্ভাবনা তত বেশি।

আবেগীয় অনুভূতি

বিবাহবিচ্ছেদ একটি পরিবারের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবেগকে সামনে আনতে পারে এবং এর সাথে জড়িত শিশুরাও আলাদা নয়। উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, উদ্বেগ, ক্রোধ এমন আরও অনেক কিছুই এই পরিবর্তন থেকে আসতে পারে। ছোট বাচ্চাদের বয়স্কদের তুলনায় এটির প্রবণতা হয় বেশি কারণ তারা বাবা- মা উভয়ের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। একটি উদ্বিগ্ন শিশু তার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা বোধ করবে এবং সকলধরনের ক্রিয়াকলাপে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে যা একসময়ে তার কাছে খুবই লোভনীয় বলে মনে হতো।

বিষন্নতা

পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট যন্ত্রণা এবং হৃদয়বিদারক অনুভূতি একটি শিশুকে বিষন্নতায় ফেলে দিতে পারে। বিষন্নতা একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং বিবাহবিচ্ছেদের সাক্ষী শিশুদের মধ্যে বিষন্নতা এবং সামাজিক প্রত্যাহারের ঘটনা বেশি থাকে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে শিশুদের মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ একটি অবদানকারী কারণ হতে পারে।

অপরাধবোধের অনুভূতি

আমেরিকান একাডেমি অফ চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রি অনুসারে, অনেক শিশু তাদের পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদের পিছনে নিজেকে কারণ বলে মনে করে অপরাধবোধে ভোগে। এই অপরাধবোধ হতাশা, চাপ বাড়ায়; এতে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং দুঃস্বপ্নের মতো বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন

ছোট বাচ্চারা ঘন ঘন মুড সুইং এ ভুগতে পারে এবং এমনকি খিটখিটেও হতে পারে পরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সময়। তাদের রাগ অনুভূত কারণগুলোর বিস্তৃত পরিসরে পরিচালিত হতে পারে। বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়াকারী শিশুরা তাদের পিতামাতা, নিজেদের, তাদের বন্ধুবান্ধব এবং অন্যদের প্রতি রাগ প্রদর্শন করতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে তারা প্রত্যাহার মোডে চলে যায়। যেখানে তারা কারও সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেবে এবং অন্যের সাথে মেশার পরিবর্তে একা সময় কাটাতে পছন্দ করবে।

ধ্বংসাত্মক আচরণের ভূমিকা

শিশুরা যখন বিবাহবিচ্ছেদের মতো এই ট্রমার মধ্য দিয়ে যায়, তখন অমিমাংসিত দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তালাকপ্রাপ্ত পিতামাতার সাথে কিশোর-কিশোরীরা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তালাকপ্রাপ্ত বাবা-মায়ের কিশোর-কিশোরীরা আগে অ্যালকোহল পান করে এবং তাদের সমবয়সীদের তুলনায় বেশি অ্যালকোহল, গাঁজা, তামাক এবং মাদক সেবনের রিপোর্ট করে।

সন্তানের মানসিক চাপ কমানোর উপায়

বিবাহবিচ্ছেদের মতো এমন বিরুপ পরিস্থিতির সাথে শিশুরা কীভাবে সামঞ্জস্য করে তার জন্য পিতামাতারা একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এখানে কিছু কৌশল রয়েছে যা শিশুদের উপর মানসিক চাপ কমাতে পারেঃ

-বাবা-মায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বাচ্চাদের সহজেই ট্রমাটাইজড করে দেয়। প্রকাশ্য শত্রুতা, একে অপরের উপর চিৎকার করা, হুমকি দেয়া শিশুদের আচরণের সমস্যার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্তানের কথা মাথায় রেখেই এগুলো পরিহার করা উচিৎ।

-বাবা-মায়ের দ্বন্দ্বের মাঝখানে বাচ্চাদের রাখা এড়িয়ে চলতে হবে। তাদের দুজনের মাঝে একজনকে বেছে নেয়া বা এমন কোনো কথা না বলা যাতে সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাই সন্তানকে এত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ফেলার আগে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।

-বিবাহবিচ্ছেদ এমন এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা কোন সুফলতা বয়ে আনেনা। কিন্তু বিচ্ছেদের পরেও সন্তানের কথা চিন্তা করেই একটি সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা যেতে পারে। ইতিবাচক যোগাযোগ, পিতামাতা উভয়ের উষ্ণতা বাচ্চাদের উচ্চ আত্মসম্মান এবং একাডেমিক পারফরম্যান্স বিকাশে সহায়তা করে।

-পরিত্যাগের ভয় এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা অনেক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সন্তানকে ভালোবাসা, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বোধ করতে সাহায্য করা তার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কমাতে পারে।

-নিজের স্ট্রেস লেভেল কমানো তা সন্তানকে সাহায্য করার জন্য সহায়ক হতে পারে। সেজন্য স্ব-যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আর দরকার হলে পেশাদারের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

-ছবি সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.

হঠাৎ পায়ের রগে টান?

করেছে Shaila Hasan জানুয়ারী ৮, ২০২৩

শায়লা জাহানঃ

রাতে ঘুমাচ্ছো। হঠাৎ পায়ের ব্যথায় জেগে উঠা। পা টানা যাচ্ছেনা, আঙ্গুল যেন বেঁকিয়ে যাচ্ছে। ব্যথার পাশাপাশি ঘুমের দফারফা। অথবা, খানিকটা বিছানায় গড়িয়ে নিচ্ছো। মাঝে একটু হাত পা ছড়িয়ে নিলে, আর হঠাৎই পড়লো পায়ের পেশীতে প্রবল টান। বর্ণিত এই ঘটনাগুলোর মুখোমুখি যদি তুমি হয়ে থাকো, তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। তুমি শুধু একা নও। এই ধরনের পায়ের ক্র্যাম্প সাধারণ। তবে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে। 

পায়ের ক্র্যাম্প- যা নাইট ক্র্যাম্প বা চার্লি হর্স নামেও পরিচিত, একটি তীক্ষ্ম পেশী সংকোচনের দ্বারা চিহ্নিত যা কয়েক সেকেন্ড থেকে মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই বেদনাদায়ক খিঁচুনি যা সাধারণত পায়ের কালফ মাসলে ঘটে থাকে। শুধুমাত্র রাতেই যে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ এই ব্যথার আবির্ভাব ঘটে তা কিন্তু নয়। দৌড়ানো, সাইকেল চালানোর মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় দিনেও এটি আঘাত করতে পারে। ফিটনেস তোমার পায়ের পেশীতে চাপ দিতে পারে। কিছু পায়ের পেশীর ক্র্যাম্প সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত যে কোন জায়গায় স্থায়ী হতে পারে। যদিও আমরা সকলেই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই রগে টান পড়া অনুভব করেছি, কিন্তু ২০১৭ সালে একটি গবেষণায় দেখায় এই ধরনের ক্র্যাম্প ৫০ বছর বয়সের পর সংঘটিত হওয়া আরও সাধারণ বলে মনে করা হয়।

কেন হয়?

এই ব্যাপারে তুমি প্রচুর ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাবে, তবে বাস্তব সত্য হলো যে এই ক্র্যাম্প কেন হয় তার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। নিচের এক বা একাধিক কারণ এই হঠাৎ রগে টান পড়ার সাথে সম্বন্ধযুক্ত।

-কিছু গবেষক তত্ত্ব দিয়েছেন যে, আমাদের আধুনিক জীবনধারা এর জন্য দায়ী। আমাদের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটার এবং স্ক্রিনের সামনে ব্যয় করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে পেশী এবং টেন্ডনের দৈর্ঘ্য এবং অস্থিরতা হ্রাস করে যাতে ক্র্যাম্পিং হতে পারে।

-শোয়ার পজিশনও এর সাথে জড়িত। আমরা অনেক সময় বিছানায় জুবুথুবু হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। যেখানে পা প্রায়শই প্লান্টার ফ্লেক্সিয়ন অবস্থানে থাকে- যার অর্থ হলো পায়ের কালফ মাসলকে ছোট করে আঙ্গুলগুলো তোমার থেকে দূরে অবস্থান করে। যখন পা দীর্ঘ সময়ের জন্য এই অবস্থানে থাকে, তখনই এই ধরনের টান পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

-কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ডিহাইড্রেশন নিশাচর রগে টান পড়াকে উৎসাহিত করে। তরল ভারসাম্য ক্রাম্পের বিকাশের উপর প্রভাব ফেলে। ডিহাইড্রেশন রক্তে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতাকে উন্নীত করতে পারে, যা একটি ক্র্যাম্প ট্রিগার হতে পারে।

-হার্ড ব্যায়াম দীর্ঘকাল ধরে এই ধরনের ব্যথার সাথে যুক্ত। কঙ্কালের পেশী ওভারলোড এবং ক্লান্তি অতিরিক্ত কাজ করা পেশী ফাইবারগুলোতে স্থানীয়ভাবে পেশী ক্র্যাম্পিংকে প্ররোচিত করতে পারে। এটি উচ্চ প্রশিক্ষিত পেশাদার ক্রীড়াবিদদের মধ্যেও ঘটে।

-ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের ভারসাম্যহীনতা ক্র্যাম্পিংয়ে ভূমিকা পালন করে। এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলোর প্রতিটি রক্ত এবং পেশীতে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

-একটানা দাঁড়িয়ে থাকাও এটি হওয়ার অন্যতম কারণ। যখন তুমি অনেক সময় ব্যয় করে টানা দাঁড়িয়ে থাকো, তখন শরীরের নিচের অংশে রক্ত এবং পানি জমা হয়। এটি তরল ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সেই সাথে পেশী এবং টেন্ডন ছোট হয়ে যেতে পারে- যা সবগুলোই ক্র্যাম্পিং এর দিকে নির্দেশ দেয়।

-গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি এবং সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে এই ঘন ঘন রগে টান পড়তে পারে। আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এটা সম্ভবত মায়ের রক্তনালী এবং স্নায়ুর উপর ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের চাপের কারণে এই ক্র্যাম্পিং হয়।

-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিস, বিষন্নতা সবই পায়ের ক্র্যাম্পিং এর সাথে যুক্ত। এই অবস্থাগুলোর মধ্যে কিছু- যেমন ডায়াবেটিস এবং স্নায়বিক রোগ, স্নায়ুকে ব্যাহত করতে পারে বা এমনকি মেরে ফেলতে পারে যা ক্র্যাম্পিং হতে পারে।

-বার্ধক্যও এক্ষেত্রে একটি বড় ফ্যাক্টর। এই সময় আমাদের মোটর নিউরন হারাতে শুরু করে। এই জন্য ৫০ এর পর থেকেই রগে টান পড়ার ঘটনা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

বহু বছর ধরে, কুইনাইন জাতীয় পিলগুলো পায়ের ক্র্যাম্পের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো কিছু বিপদজনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। যেহেতু নিশাচর এই রগে টান পড়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই, তাই কোন নিশ্চিত নিরাময়ও নেই। তবে এক্ষেত্রে কিছু জিনিস বিবেচনা করা জরুরী। যেমনঃ

-রাতের বেলা হঠাৎ রগে টান পড়লে তা উপশম করার সর্বত্তম পদ্ধতি হলো নড়াচড়া করা, চারপাশে হাঁটা বা পা নাড়ানো। এছাড়াও গোড়ালিকে উপরে এবং নীচে পাম্প করা বা পেশী ঘষার মতো জিনিসগুলোও সাহায্য করতে পারে।

-সহজ জীবনধারা পরিবর্তন করে এটি প্রতিরোধ বা উপশম করতে সক্ষম হতে পারো। প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য, যেহেতু এই ধরনের রগে টান পড়া প্রায়ই ডিহাইড্রেশনের কারণেও হয়ে থাকে। শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং শুষ্ক ত্বক এই সমস্ত লক্ষণ জানান দেয় যে তুমি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করছো না। পস্রাবের রঙ খেয়াল করো। তা যদি ফ্যাকাশে হলুদ বা পরিষ্কার হয় তবে তুমি যথেষ্ট পানি করছো তা বুঝায় কিন্তু তার বর্ণ যদি গাঢ় হলুদ হয় তবে পানি পান করা মাস্ট।

-নির্দিষ্ট ভিটামিন এবং খনিজগুলো পেশীর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা গেছে ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা রাতের সময় পায়ের ক্র্যাম্পের ফ্রিকোয়েন্সি, বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০ মিগ্রা ম্যাগনেসিয়াম পাওয়ার পরামর্শ দেন। বাদাম, মসুর ডাল, গোটা শস্য, শাকসবজী এর ভালো উৎস।

-যদি এই রগে টান পড়ার পেছনে কঠোর ব্যায়ামের ফলাফল বলে মনে হয় তবে স্ব-যত্নের জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখো। প্রচুর তরল পান করো এবং দীর্ঘ দৌড়ের জন্য বাইরে যাওয়ার আগে একটি সুষম খাবার গ্রহণ করো। অনেক ক্রীড়াবিদ ফিনিশ লাইনে পৌঁছে গেলে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিজীবনযাত্রাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্য

দেরীতে খেলে, বাড়ে ওজন?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে রাত বেড়েই যাচ্ছে। দিনের শেষে স্ট্রেস কম করার সময় বিছানায় বসে হালকা পাতলা কিছু খাওয়ার শখ চেপেছে। কিন্তু মাথার ভেতর থেকে কেউ বলে চলেছে যে রাতে দেরী করে খাওয়া তোমার জন্য খারাপ। এটি একটি সাধারণ বিশ্বাস যে রাতে দেরী করে খেলে ওজন বাড়বে। প্রশ্ন হলো, রাতে খাওয়ার ফলে কি সত্যিই ওজন বাড়বে? ব্যাপারটি কি আদৌ সত্যি নাকি মিথ? আসো উত্তর খুঁজে নিই।

দেরী করে খেলে, ওজন বাড়ে- এই পৌরাণিক কাহিনীটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। এবং এই ব্যাপারে অনেকেই বলে এসেছে যে তাদের গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাসই তাদের ওজন বাড়ানোর পেছনে দায়ী। বলা হয়ে থাকে যে, রাতে আমাদের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এর ফলস্বরুপ আমরা রাতে যা খাই তা দিনের বেলায় খাওয়া ক্যালোরির চেয়ে সহজে চর্বিতে পরিণত হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের শরীর দিনের বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা খাবার ভিন্নভাবে প্রক্রিয়া করেনা। মূলত আমরা সারাদিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করি এবং দিনে কতটা ব্যায়াম করি তাই আমাদের ওজনকে প্রভাবিত করে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে ওজন কম বা বেশি হওয়ার যদি কোন সম্ভাবনা না থাকে, তবে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী? এর সহজ উত্তর হলো অভ্যাস। অনেকেরই বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে এবং রাতে স্ন্যাকস হিসেবে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নেয়, যার সবই আমাদের অভ্যাস এবং এটিই ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই লেট নাইট খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাজে অভ্যাসের মধ্যে রয়েছেঃ

-সকলেরই প্রতিদিনকার চলার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণের চাহিদা রয়েছে। তুমি যদি দিনের বেলায় তোমার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পুরোটাই পূর্ণ করে ফেলো এবং তারপরে লেট-নাইট স্ন্যাকসের দিকে হাত বাড়াও, তবে তোমার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয়ে যাবে। যা ওজন বৃদ্ধিতে দায়ী।

-আমাদের বেশিরভাগেরই দিনের বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করার প্রবণতা থাকে। সারাদিনকার খাদ্য তালিকায় আমরা তাই যোগ করি যা আমাদের শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এই লেট-নাইট স্ন্যাকসের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্ডি, চিপস বা আইসক্রিমের মতো খাবারগুলো গ্রহণ করার টেন্ডেসি থাকে। এইগুলোর পরিবর্তে সঠিক কিছু নির্বাচন করতে আমরা সবসময়ই ব্যর্থ হই।

-আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো খাওয়ার সময় টিভি বা মোবাইল সামনে নিয়ে বসা। দিনের শেষে, টিভির সামনে বসে আরাম করা বা মোবাইল টেপা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন টিভির সামনে খাবার খাও, তখন তা তোমার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।

রাতে খাওয়ার টিপস

যদিও এটা বিতর্কিত বিষয়, কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর আগে ছোট কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন। তুমি যখন খারাপ অভ্যাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, তখন এটি তোমাকে ঘুমাতে সাহায্য করার একটি ভালো উপায় হতে পারে। স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে রাতে কীভাবে খাবে তার কিছু টিপস দেয়া হলোঃ

পরিকল্পনা করা

পরিকল্পনা ছাড়া প্রতি রাতে স্ন্যাকস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনানুযায়ী ক্যালোরি  অতিক্রম করতে না চাইলে এবং লেট নাইট স্ন্যাকস নিতে চাইলে প্রতিদিনের ক্যালোরি গণনায় পর্যাপ্ত ক্যালোরি সংরক্ষণ করার চেষ্টা করো। দিনের বেলায় সেই হিসেবে খাবার গ্রহণ করো।

ডেজার্ট এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

এই লেট নাইট খাবারের ক্রেভিংস সবার মধ্যেই কম বেশি থাকে। কিন্তু তুমি যদি এই সময় নিজেকে কোন মিষ্টি খাবার বা চিপসের মাধ্যমে পূর্ণ করো, তবে সেই সেই ক্রেভিংস আরো বাড়বে। এই ক্যালোরিতে ভরপুর খাবারগুলো অতিরিক্ত খাওয়া আরও সহজ করে তোলে।

কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার

বিছানায় যাবার আগে যদি কিছু নিতেই হয় তবে নিশ্চিত করো যে তাতে জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে যা তোমাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে বলা যায় যে, রাতে তাড়াতাড়ি না খেলেও ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেয়া উত্তম। সেই খাবার অবশ্যই হতে হবে পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনাও যেমন থাকবেনা তেমনি দেহ ও মনও থাকবে সুস্থ।

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারসচেতনতাস্বাস্থ্যহেঁসেল

ভাজা তেলের পুনরায় ব্যবহার

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বাঙ্গালি মাত্রই ভোজনবিলাসী। নিত্যনতুন রান্না করতে এবং তার টেস্ট আস্বাদন করতে এদের জুড়ি নেই। আর যখনই রান্নার বিষয় আসে, তখন তেল এর ব্যবহারের প্রসঙ্গ আসবেই। রান্নার একটি অপরিহার্য অংশ তেল কারণ এটি স্বাদ বাড়াতে বা খাবারকে একটি নির্দিষ্ট টেক্সচার দিতে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছি কি একই তেল বারবার ব্যবহার করলে তার কী হয় এবং তা আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে? আসো এই প্রসঙ্গে জেনে নিই।

আমরা যারা ভোজন রসিক আছি তাদের কাছে মচমচে এবং খাস্তা ভাজা ভাজা খাবারের আবেদন অন্যরকম। কি চিকেন ফ্রাই বা পাকোড়া অথবা পুরি, মুখরোচক এই খাবারগুলো পছন্দ না এমন মানুষ হাতে গোনা। কিন্তু এত এত ভাজা খাবারের একটি বড় অসুবিধা হল এটিতে ভোজ্য তেলের অপচয় হতে পারে। তাই আমরা মাঝে মাঝে রান্নার জন্য এটিকে পুনরায় ব্যবহার করতে প্রলুব্ধ হই। কিন্তু দেখা গেছে যে একই তেল বারবার ব্যবহারে সাধারণ সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর পরিণতি ঘটাতে পারে। এই ধরনের তেল রিইউজের ফলে স্বাস্থ্যের কি ধরনের ঝুঁকি করতে পারে তা জেনে নিই।

ফ্রি র‍্যাডিকেলস

ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো শরীরের সুস্থ কোষগুলোর সাথে নিজেদেরকে সংযুক্ত করে এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। একই তেল বারবার পুনঃব্যবহারের ফলে ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি হয়। ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রদাহ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তেল পুনঃব্যবহারের ফলে এথোরোস্ক্লেরোসিস হতে পারে যা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, যা ধমনীতে বাধা সৃষ্টি করে।

ত্বকের সমস্যা

অবশিষ্ট তেল দ্বারা উৎপাদিত ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলো ত্বককেও প্রভাবিত করে কারণ এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে গতি দেয়।

এইচএনই

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ক্যানোলা, ভুট্টা, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের মতো তেলগুলোকে পুনরায় গরম করা হলে ৪-হাইড্রক্সি-ট্রান্স-২-নোনেনাল (এইচএনই) নামক একটি বিষ তৈরি হয়। জরিপটি ইঙ্গিত করে যে রান্নার তেল থেকে এইচএনই যুক্ত খাবারের ব্যবহার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক, পারকিনসন রোগ, আলঝেইমার রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে যুক্ত। একবার শরীরে শোষিত হলে, এইচএনই মৌলিক সেলুলার প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে ডিএনএ, আরএনএ এবং প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে।

খাদ্যে বিষক্রিয়া

অনেক সময় ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের আগে সঠিকভাবে ছেঁকে ফেলা হয়না এবং ফলস্বরুপ এতে অবশিষ্ট খাদ্য কণা থাকে। যদি একই তেল ফ্রিজে রাখা না হয়, তবে এটি সিওস্ট্রিডিয়াম বাউটলিনাম ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে যা ফলস্বরুপ বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে যা জীবন হুমকি খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

ব্যবহৃত তেল সংরক্ষণের নিয়ম

এখন প্রশ্ন হল ভাজা তেল পুনরায় ব্যবহার করা যাবে কিনা? এর জবাবে বলা যায় হ্যাঁ, ভাজা তেল রিইউজ করা যাবে। তবে তা পুনঃব্যবহারের আগে তোমাকে কিছু রুলস ফলো করতে হবে।

-রান্না শুরু করার আগে তোমাকে ভালোমানের তেল নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি তেলের একটি নির্দিষ্ট স্মোকিং পয়েন্ট আছে। যেহেতু ভাজা উচ্চ তাপমাত্রায় ঘটে, তাই উচ্চ স্মোকিং পয়েন্ট সহ তেল ব্যবহার করো যা সহজে ভেঙে যাবেনা। এর মধ্যে রয়েছে ক্যানোলা, চিনাবাদাম বা উদ্ভিজ্জ তেল। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল না ব্যবহার করাই ভালো।

-তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইয়ের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। সাবধানে তাপমাত্রা বজায় রাখা খাবারকে খুব বেশি তেলে চিপচিপে রাখা বা বাইরে থেকে ব্লিজড হওয়া এবং ভেতরে কাঁচা থাকা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেনা। আর তেল অতিরিক্ত গরম গরম হলে তা ভেঙে যেতে শুরু করবে। কীভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করবে? একটি থার্মমিটার কিনো যা উচ্চ তাপ পরিচালনা করতে পারে। এবং এর সাহায্যে তাপমাত্রা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে রেখে কাজ করতে পারবে।

-তেলে কোন কিছু ভাজা শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট তেলগুলো ঠান্ডা হতে দাও। যখন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন অন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে উপরের তেলটুকু সরিয়ে নাও। লক্ষ্য রাখতে হবে যে তাতে আগে ভাজার কোন খাবারের উচ্ছিষ্ট যাতে না আসে।

-যে পাত্রে এক্সট্রা তেলগুলো সনগ্রক্ষণ করতে চাও তার উপরে একটি সূক্ষ্ম জাল ছাঁকনি বা চিজক্লথ রাখো এবং তেল ছেঁকে নাও।

-সংরক্ষিত তেলটি একটি শীতল, শুকনো জায়গায় রেখে দাও।

এখন যেহেতু আমরা জানি তেল পুনরায় গরম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার জন্য ভাজা, রান্না ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান তেলের সঠিক অনুমান করাই উত্তম।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিগ্রুমিংজীবনজীবনযাত্রাসমস্যাস্বাস্থ্য

ভুলে যাওয়া রোধের উপায়

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

আধুনিকতার এই যুগে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সবকিছুরই বদল হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে আমাদের লাইফ স্টাইল। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও বেড়ে যাচ্ছে স্ট্রেস, মানসিক অস্থিরতা। যার প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। ছোট খাট জিনিস ভুলে যাওয়া খুবই নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার। কিন্তু এর পরিমান যখন বেড়ে যায় তখনই হয় বিপত্তি। ভুলে যাওয়া রোধ করতে এবং ব্রেনকে কর্মক্ষম রাখতে কি করণীয় আসো জেনে নিই।

হতে পারে তুমি একটি রুমে চলে গেছো এবং ভূলে গেছো কেন সেখানে গিয়েছিলে?  এবং অন্তত কয়েকবার তোমার চাবি বা চশমা এক জায়গায় রেখে পুরো ঘর খুঁজে তোলপাড় করে রেখেছ। দোকান থেকে অনেক কিছু কিনে আনলে কিন্তু দেখলে যেটাই বেশি প্রয়োজনীয় তাই ভূলে গেলে। কি পরিচিত লাগছে ঘটনাগুলো? এই ধরনের কাহিনীগুলো প্রায় সবারই জীবনে কমবেশি ঘটে থাকে। অনেকেই এই স্মৃতি ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত থাকে। তারা ভয় পায় যে আলঝেইমারের রোগের মতো গুরুতর অবস্থার দিকে যাচ্ছে কিনা। মাঝে মাঝে ভূলে যাওয়া জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, যা আমরা বড় হওয়ার সাথে সাথে আরো সাধারণ হয়ে উঠে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি অ্যালার্মিং কোন বিষয় হয়ে উঠেনা। আমাদের বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্ক সহ সারা শরীরে পরিবর্তন ঘটে। ফলস্বরুপ, লক্ষ্য করলে দেখবে যেকোন নতুন কিছু শিখতে আগের চেয়েও তোমার বেশি সময় লাগছে। সৌভাগ্যবশত স্নায়ুবিজ্ঞানীগণ আশ্বস্ত করেছে যে এইগুলো স্বাভাবিক এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস এবং অনুশীলনগুলো প্র্যাকটিসের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা যায়।

-যদি তুমি সবসময়ই কিছুনা কিছু ভুলে যাও, তবে এটি কমিয়ে আনার দুর্দান্ত উপায় হলো জিনিস যত্রতত্র না রেখে যথাস্থানে রাখা। হোক সেটা চাবি, মানিব্যাগ কিংবা রিমোট- এগুলো একই জায়গায় রাখা এবং বিশেষত এমন একটি জায়গায় রাখা যা তুমি নিয়মিত দেখ।

-টু ডু লিস্ট করে রাখা। প্রতিদিনকার কি কাজ করতে হবে তার প্রায়োরিটি অনুযায়ী লিস্ট করে রাখলে কাজ সম্পাদনে সুবিধা হবে।

-খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। সবুজ শাক, ইলিশ মাছ এসবে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই অনেকেই এসব খেয়ে বুদ্ধি তথা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপদেশ দেন।

-সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকলে একাগ্রতা বাড়ে। ফলে মনযোগী হতে সুবিধা হয়।

-ক্রসওয়ার্ড পাজল সলভ করো। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সাইকিয়াট্রিস এবং নিউরলজির অধ্যাপক দেবানন্দ এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক মুরালি ডোরাইস্বামি বলেন, তারা ৭৮ সপ্তাহ ধরে ১০৭ ভলেন্টিয়ারের উপর স্টাডি করে দেখেছ যে, যাদের নিয়মিত ক্রসওয়ার্ড পাজল করতে বলা হয়েছিল তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস বা অভাব পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে যাদের ভিডিও গেম খেলে একই পরিমাণ সময় ব্যয় করতে বলা হয়েছিল।

-আনন্দের জন্য পড়া শুরু করো। সাম্প্রতিক এক গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা নির্ধারণ করেছে যে এমন জ্ঞানীয় অভ্যাস আছে যা গেম খেলা এবং ক্রসওয়ার্ড পাজল ডুয়িংকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তারা দেখেছে যে আনন্দের সহকারে পড়া বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করে।

-পর্যাপ্ত ঘুমানো। কীভাবে ওজন কমানো যায় থেকে শুরু করে কীভাবে মেজাজ উন্নত করা যায় সব কিছুর পরামর্শ দেওয়া নিবন্ধগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। এ থেকে বুঝা যায় ঘুম শরীর ও মন উন্নত করতে কতটা জরুরী। ঘুমের অভাব কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করে তা বিচার করার বিষয়গত ক্ষমতা আমরা হারিয়ে ফেলি- তাই আমরা জানি না আমাদের স্মৃতি কতটা খারাপ হয়। তাই এর একমাত্র উপায়? ঘুমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এই ধরনের টুকিটাকি ভূলে যাওয়া আমাদের জীবনের ব্যস্ততা, স্ট্রেসের পরিমানের উপর নির্ভর করে। একটি হেলদি লাইফ স্টাইল ফলো করা, সুষম খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা করা ইত্যাদির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে পরিস্থিতি যদি মনে হয় আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াই উত্তম।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অনুসঙ্গঅন্দরের ডায়েরিআয়নাঘরদেহ ও মনরূপ ও ফ্যাশনসচেতনতাসমস্যাস্বাস্থ্য

শীতে ত্বকে চুলকানি? সমাধান নাও এখনই

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ২০, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠেছে? শুষ্কতার পাশাপাশি চুলকানি ত্বকের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে? আমরা জানি, ত্বকের চুলকানি, র‍্যাশের সাথে মোকাবিলা করা কতটা হতাশাজনক হতে পারে- বিশেষত এই শীতকালে! তবে জেনে নাও এই পরিস্থিতিতে তুমি একা নও, আমাদের বয়স যাই হোক না কেন, আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই ফ্লেকি, চুলকানি ত্বকের সম্মুখীন হয়। এক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি শুষ্ক ত্বককে প্যাম্পার এবং প্রতিরোধ করতে? আসো এই ব্যাপারে জেনে নিই।

শীতকালীন চুলকানি, যা প্রুরিটাস হিমেলিস নামেও পরিচিত, এটি এক ধরনের ডার্মাটাইটিস যা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। এটি শরীরের যেকোন অংশে হতে পারে। শীতের এই সময়টাতে বাতাসে শুষ্কভাব বেড়ে যায়। এই শুষ্ক বাতাস ত্বকের উপর থেকে কেড়ে নিচ্ছে আর্দ্রতা। এর ফলে ত্বকও হচ্ছে শুষ্ক। এই শুষ্ক ত্বক ফেটে গিয়ে চুলকানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি চুলকাতে চুলকাতে রক্ত পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারে। এই শীতকালীন চুলকানির চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। প্রায়শই এগুলোর সংমিশ্রণ চুলকানি ত্বক থেকে  মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

উষ্ণ পানিতে গোসল করা

শীতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায় অনেক গরম পানি ব্যবহার না করে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করলে ভালো হবে। এই সময় ক্ষারীয় সাবান যতটুকু সম্ভব পরিহার করলেই ভালো। শরীরের যে অংশে সত্যিই প্রয়োজন সেগুলোতে শুধু ব্যবহার করো। এছাড়া এর স্থলে হালকা ক্লিনজার বা সাবান মুক্ত পণ্য ব্যবহার করো যা তোমার শরীর থেকে প্রয়োজনীয় তেল অপসারণ করবেনা।

ময়েশ্চারাইজার, ময়েশ্চারাইজার এবং ময়েশ্চারাইজার

শুষ্ক ত্বকের রক্ষায় ময়েশ্চারাইজারের কোন বিকল্প নেই। গোসলের পরে শরীর ভেজা থাকা অবস্থায় এবং তোমার ত্বক শুষ্ক বা চুলকানি অনুভব করার পরে লোশন, ক্রিম বা তেল  প্রয়োগ করো। একটি ঘন, সুগন্ধ মুক্ত ক্রিম ব্যবহার করো এবং তোমার সাথে সর্বদা একটি ছোট টিউব রাখো। এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল চলতে পারে। এক্ষেত্রে চুলকানি দমনকারী ক্রিম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলো, কারণ এতে এমন ক্যামিকেল রয়েছে যা শীতের চুলকানিকে আরো খারাপ করতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান

শীতের দিনে আমাদের দেহ থেকে ঘাম কম নির্গত হওয়ার দরুন আমরা তেমন তৃষ্ণা বোধ করিনা। এতে করে আমাদের মাঝে পানি পানেও তেমন দেখা যায়না। কিন্তু শীতের দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি  ও অন্যান্য তরল পান করা অত্যন্ত জরুরী। পানির অভাবজনিত রুক্ষতা কিন্তু কোন ময়েশ্চারাইজারেই দূর হবেনা। তাছাড়া শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বের করে দিতেও পানি তোমার প্রধান সহায় হতে পারে।

বিজ্ঞতার সাথে পোশাক নির্বাচন

সিল্ক এবং সুতির মতো হালকা ওজনের পোশাক পরুন এবং ফ্ল্যানেল ও উলের মতো ত্বক জ্বালাদায়ক কাপড় থেকে দূরে থাকো। বিরক্তিকর সংস্পর্শ কমাতে সুগন্ধ মুক্ত লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করো।

সূর্যের আলো শরীরে লাগানো

সকালের রোদ অন্তত আধ ঘন্টার জন্য রোদ লাগানো জরুরী। ভিটামিন ডি স্তরে কোন ঘাটতি না  থাকলে ত্বক ভালো থাকবে।

অতিরিক্ত সমাধান

-ঘরোয়া প্রতিকার এড়িয়ে চলো যাতে অ্যালকোহল বা উইচ হ্যাজেল অন্তর্ভূক্ত থাকে

-শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করো

-ওমেগা ৩ এভং ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খাও

কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে

যদিও ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা কখনই খারাপ ধারনা নয়, তবে কখনও কখনও তোমার লক্ষণগুলো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুতর কিনা তা বলা কঠিন। উপরের টিপস ফলো করার পরেও যদি ত্বকে এখনও চুলকানি, ফ্ল্যাকি দেখা দেয়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া এটাই হাই টাইম। বেদনাদায়ক, চুলকানি ত্বকের বোঝা কেউই ইচ্ছা করে বহন করতে রাজি নয়। তাই চুলকানি থেকে পরিত্রান পেতে টিপস গুলো ফলো করো আর যন্ত্রনামুক্ত শীত উপভোগ করো।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অনুসঙ্গআয়নাঘরকেনাকাটানারীবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশনরোদসীর পছন্দ

হাই হিল  জুতা হোক আরো আরামদায়ক

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৯, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

বলা হয়, ‘গুড শুজ টেক ইউ গুড প্লেসেস’। যদি তোমার চুল সঠিকভাবে করা হয় এবং ভালো জুতা পরে থাকো তবে তুমি যে কোথাও যাওয়ার জন্যই প্রস্তুত। চলাচল এবং সারাদিনের জন্য কম্ফোর্টেবল থাকতে সু বা স্লিপার হলো আদর্শ। কিন্তু আজকাল ফ্যাশন সচেতন নারীদের কাছে ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সমাদৃত পাচ্ছে হাই হিলের জুতা। যদিও অধিকাংশ হাই হিল অস্বস্তিকর। এমনকি হোক সেটা তোমার বেস্ট, সবচেয়ে বিলাসবহুল জোড়া; কয়েক ঘন্টা হাঁটার পরে এটি পায়ে ব্যথার সৃষ্টি করবেই। অবশ্যই বিউটি ইজ পেইন এবং আমরা ফ্যাশনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করি কিন্তু প্রতিদিন হাই হিল পরলে তোমার পায়ের কিছু গুরুতর সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও  বড় কোন ইভেন্ট হোক, কিংবা যেকোন প্রোগ্রাম; আমাদের সাজ পোশাকের সাথে একজোড়া হাই হিল চাইই চাই। এই হাই হিল জুতাই কিভাবে আরো আরামদায়কভাবে আমরা পড়তে পারি সে ব্যাপারে কিছু টিপস শেয়ার করছি।

সঠিক আকারের জুতা নির্বাচন

তুমি যদি তোমার হিলগুলোকে আরো আরামদায়ক করার উপায় খুঁজো, তবে প্রথম পদক্ষেপ হবে সঠিক আকারের জুতা নির্বাচন করা। সঠিক মাপের জুতা পরা তোমার পা কে খুশি রাখার চাবিকাঠি। পায়ের আঙুলের সামনে তোমার হিলের এক চতুর্থাংশ থেকে দেড় ইঞ্চি জায়গা থাকা উচিৎ। আমাদের অনেকের একটি পা অন্যটির চেয়ে সামান্য বড়, তাই জুতা বড় পায়ের সাথে মানাসই করা গুরুত্বপূর্ন। জুতা ট্রায়াল দেয়ার সময় যদি দেখো যে, তোমার পায়ের আঙুলগুলো কয়েক মিনিট পরে কুঁচকে যাচ্ছে, তাহলে অর্ধেক সাইজ উপরে যেতে দ্বিধা করোনা।

উচ্চতা কমানো

তুমি যদি হাই হিল লাভার হয়ে থাকো, তবে জেনে রেখো ৫ ইঞ্চি উচ্চতার জুতা তোমার পায়ের সাথে সর্বনাশ খেলতে চলছে। জুতার হাইট ৩ ইঞ্চির উপরে যায়, তা তোমার হাঁটার বায়োমেকানিক্স এবং ভারসাম্য পরিবর্তন করে দিবে। যদি তোমার শখের প্রিয় হিল জোড়া ৩ ইঞ্চির উপরে হয়, চিন্তার কোন কারণ নেই। জুতা মেরামতের দোকানগুলো থেকে জুতার প্রকারের উপর নির্ভর করে হিলের উচ্চতা কমিয়ে নিতে পারো।

প্ল্যাটফর্ম জুতা নির্বাচন

কীভাবে হিল আরো আরামদায়ক করা যায় তার আরেকটি পদক্ষেপ হলো প্ল্যাটফর্ম জুতার নির্বাচন। জুতার আকৃতি আরামের স্তরকে কতটা প্রভাবিত করে তার পারফেক্ট উদাহরণ হল এই জুতা কারণ, তারা একই উচ্চতা অফার করে। এতে তোমার হিল ও তোমার পায়ের বলের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দেয় এবং পায়ের আঙুলগুলোকে সমতল্ভাবে শুয়ে থাকতে দেয়, যার দরুণ হিল পরার সাথে যুক্ত অনেক ব্যথার উপশম করে।

হাঁটার দিকে মনোনিবেশ করা

এটা অদ্ভুতুড়ে শোনালেও, হিল পরে হাঁটা সত্যিই একটি বিজ্ঞান। পায়ের সাথে মানাসই জুতা কিনলেই হলোনা, তা পরে তুমি কিভাবে হাঁটছো সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সর্বাধিক আরাম এবং ব্যথা কমানোর জন্য হিল পরে হাঁটার জন্য এখানে ৩টি পদক্ষেপ রয়েছেঃ

-হিল-টু-টো এই ধারাবাহিকতায় স্টেপ ফেলতে হবে। সঠিকভাবে হিল পরে হাঁটার গতি হলো তোমার গোড়ালিকে প্রথমে নিচে রাখা এবং তারপরে পায়ের আঙুলগুলো নিচে রাখার জন্য এগিয়ে যাওয়া। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, হাই হিল পরে হাঁটার গতি ফ্ল্যাট পরা থেকে আলাদা। ফ্ল্যাট পরিধান করে হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানোর ভয় থাকেনা।

-হিল দিয়ে হাঁটার একটি কৌশল হল ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয়া। কেন? কারণ হিল পরা তোমার চলার পথকে ছোট করে। এই ছোট পদক্ষেপের মাদ্যমে, তুমি তোমার ভারসাম্যের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে। এর অর্থ হল নিচে পড়ে যাওয়া, ছিটকে পড়া এবং পায়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।

-হিল পরে হাঁটার ভঙ্গির মাঝেও পরিবর্তন আসে। ঝুঁকে হাঁটা নয় বরং কাঁধ সোজা রেখে মাথা উঁচু করে রাখো। হাঁটার সময় শুধু একটি স্ট্রিং কল্পনা করো যা তোমার মেরুদন্ডের গোড়া থেকে মাথার ডগা পর্যন্ত সংযুক্ত রয়েছে। সেই স্ট্রিংটি সোজা রেখে হাঁটো, দেখবে কিছুক্ষণের মাঝেই তুমি পেশাদারের মতো হাঁটছ।

জেল অথবা প্যাডের ব্যবহার

পায়ের ব্যথার উপশম করতে জুতায় স্টিকি জেল বা প্যাডিং যুক্ত করা আরেকটি ভালো পদক্ষেপ। তবে মনে রাখবে যে, যেকোন জুতার সাথে প্যাড যুক্ত করলে তা জুতাটিকে আরো শক্ত করে তুলবে। তাই তখনও তুমি জুতা পরে আরাম পাচ্ছো তার নিশ্চয়তা করতে হবে। তোমার জুতাগুলো যদি সাইজে একটু বড় হয়ে থাকে তবেই কেবল প্যাডটি পুরো ঢোকাতে হবে, অন্যথায় এটি পায়ের জায়গায় ক্র্যাম্প করবে।

পায়ের আঙ্গুলে টেপ ব্যবহার

ব্যথা উপশম কমানোর নিমিত্তে জুতা পরার আগে পায়ের আঙ্গুলে টেপ পরা যেতে পারে। এটা কিছুটা অদ্ভূত শোনালেও, ২০১৭ সালে পডিয়াট্রিস্ট জোয়ান ওলোফ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে এই হ্যাক কাজ করে। মেটাটারসাল বা পায়ের পাঁচটি লম্বা হাড়, যেখানে পায়ের বলের সাথে শেষ হয়; হিল জুতা ফ্ল্যাট জুতার তুলনায় হাড়ের প্রান্তে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, অনেকে এমন অনেক ব্যথা অনুভব করে যা ছোট ছোট ইন্টারমেটাটারসেল স্নায়ু থেকে পায়ের হাড়ের মধ্যে চলে যায়। এবং আমরা যখন হিল পরি তখন এই স্নায়ুগুলো ডিস্টার্ব হয় এবং প্রসারিত হয়ে যায়। এটি একটি বার্সা স্নায়ুকে ঘিরে ফেলে এবং প্রদাহজনক টিস্যু দিয়ে পূর্ণ করে, যার ফলে ব্যথা হয়। সবচেয়ে সাধারণ স্নায়ু যা বিরক্ত হয় তা হল তৃতীয় এবং চতুর্থ পায়ের আঙুল। এই কারণে জুতা পরিধানের আগে তৃতীয় এবং চতুর্থ আঙ্গুলে টেপ দিয়ে রাখলে তা স্নায়ু এবং স্ফীত টিস্যু থেকে কিছুটা চাপ সরাতে পারে।

নতুন জুতা ট্রায়াল দিয়ে রাখা

আসন্ন কোন ইভেন্টের জন্য একদম নতুন এক জোড়া হিল কিনে থাকলে, তা আগে থেকেই ব্যবহার করে রাখতে হবে। সম্ভব না হলে কমপক্ষে এক ঘণ্টা তা পরে চারপাশে হাঁটতে পার। এতে করে কোন সম্ভাব্য ব্যথার পয়েন্ট গুলো সনাক্ত করতে সহায়তা করবে এবং জুতাগুলো পায়ের আকারের সাথে এডজাস্ট হয়ে উঠবে। এছাড়াও আগে থেকেই পায়ে দিয়ে রাখলে জুতার চারপাশের এরিয়া কিছুটা প্রসারিত হবে।

তাদের কম পরিধান

এই টিপসটি সবচেয়ে সহজ এবং যুক্তিযুক্ত। তুমি যখন কোন প্রোগ্রামে যাচ্ছো এবং সেখানে পরার জন্য পারফেক্ট জুতা ম্যাচ করে নিয়েছো, মূল ইভেন্টে না পোঁছানো পর্যন্ত সেগুলো পরবেনা। পায়ের বিরতি দিতে এবং পরবর্তীতে আরামদায়কভাবে চলাচলের জন্য এই কাজটি করতে পারো।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.চলন বলনজীবনযাত্রাবাংলাদেশ ও বিশ্ব

কেক স্ম্যাশ- কেন বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে?

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

বাচ্চার প্রথম জন্মদিনে তার জন্য আয়োজন করা অনুষ্ঠানে কেকের স্ম্যাশ করা ছবি দেখেছো কি? অথবা নবদম্পতি একে অপরের হাতে হাত রেখে কেক কেটে তা পরে স্ম্যাশ করার চিত্র তো অবশ্যই দেখেছো। আমাদের দেশে যদিও এই ট্রেন্ড তেমন চালু নেই কিন্তু ইন্টারনেটের এই যুগে বাইরের দেশে চালু হওয়া এই ট্রেন্ড তো অহরহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ভেবে দেখেছো কি গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়া এই ঐতিহ্য কোথা থেকে এসেছে এবং এর উৎপত্তিই বা কোথায়? আসো এই ব্যাপারে জেনে নিই।

সাধারণত স্ম্যাশ করা কেকটি হল একটি ছোট কেক, যা মূল কেকের একটি অনুলিপি মাত্র। এর ব্যাপ্তি প্রায় ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পরিসীমা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত এক স্তরের কেক এবং প্রধান কেকের চেয়ে কম সজ্জিত হয়ে থাকে কারণ এটি শুধুমাত্র স্ম্যাশ করার খাতিরেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিগত ছয় থেকে আট বছরে, কেক স্ম্যাশ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি জন্মদিন উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই ঐতিহ্যের উৎপত্তি কোথায়? এই ব্যাপারে দুই ধরনের তত্ত্ব আছেঃ

প্রথম তত্ত্বটি হল যে এটি মেক্সিকান ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। তারা এটি উদযাপন করে যাকে বলা হয় মর্ডিডা। মর্ডিডা হল একটি ঐতিহ্য যখন প্রথম জন্মদিনের ছেলে বা মেয়ের মুখ কেকের দিকে ঢেলে দেয়া হয় কেক কাটার জন্য। চারপাশে সবাই গান গায়, মর্ডিডা! মর্ডিডা! মর্ডিডা! স্প্যানিশ ভাষায় এর অর্থ কামড়। কেকের মধ্যে উদযাপনকারীর মুখ ঢেলে দেওয়ার কাজটি মূলত বাচ্চার মা বা বাবাই করে থাকেন। সাধারণত মোমবাতি নিভিয়ে ফেলার পরে বাচ্চার পিছনে থেকে এসে এই কাজটি করে সবাই তখন চিয়ার্স করে এবং প্রচুর ছবি তোলা হয়।

দ্বিতীয় তত্ত্বটি বিয়ের দিনে বর এবং কনের ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এই ঐতিহ্য একে অপরের মুখে কেক ভাঙার বা একে অপ্রকে ভদ্রভাবে খাওয়ানোর বিকল্প সরবরাহ করে। যদি বিয়েতে দম্পতি সুন্দর ভাবে কেক কাটে এবং কোন ধরনের কেক ছুঁড়াছুঁড়ি না হয়, এটিকে একটি পরিবারকে একসাথে ভাগ করে নেওয়ার পারস্পরিক ইচ্ছা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। যদি তারা একে অপরের মুখে ছুঁড়ে ফেলে, তবে এর অর্থ নেওয়া হয় যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষটি প্রভবশালী এবং মহিলাটি তার বশীভূত। এমনও গুজব রয়েছে যে যদি বিয়েতে কেক ছুঁড়ে দেওয়া হয় তবে এই দম্পতির শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাবে। যাইহোক, কেক ভাংগা এখনও একটি খুব জনপ্রিয় বিনোদন, অনেকেই এটিকে মজাদার মনে করে।

এই কেক স্ম্যাশ করার এই ধরণ, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। প্রথম জন্মদিনের কেক স্ম্যাশ এখন ফটোগ্রাফারদের কাছে একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে নেতিবাচক কিছুনা দেখে শুধুমাত্র কিছুটা সময় মজার করার জন্যই বিশ্বব্যাপী এই রীতি পালন করে আসছে।

-ছবি সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.ঘরকন্যাদেহ ও মনভালো থাকার ভালো খাবারস্বাস্থ্যহেঁসেল

কোনটি ভালো- সানফ্লাওয়ার অয়েল বনাম অলিভ অয়েল

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

শরীরকে সুস্থ ও কর্মচাঞ্চল্য রাখতে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ জরুরী। দৈনন্দিন খাবারে তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কিছুই শ্যালো ফ্রাই হোক কিংবা রান্না, তেল তো চাইই চাই। সচেতনতার এই যুগে আজকাল অনেকেই অন্যান্য যেকোন তেল থেকে অলিভ অয়েল অথবা সূর্যমুখী তেল বেশি পছন্দ করছে। এই দুটি তেলই হল মূলত স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ তেল এবং উভয় তেলেরই নিজস্ব স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সূর্যমুখী তেল বনাম জলপাই তেল- রান্নার জন্য কোনটি বেশি ভালো হবে? অনেকেই কেনার সময় এই দুটি আইটেমের তুলনা করে, দুটির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। যদিও এদের মধ্যে অনেক মিল আছে, তবে তাদের কিছু মূল পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে। এছাড়াও, এই তেলগুলো কী পরিমাণে ব্যবহার করা ভালো এবং কোন প্রতিকূল প্রভাব থাকলে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব ব্যাপার নিয়েই আজ আমরা জানবো।

সূর্যমুখী তেল বনাম অলিভ অয়েল

যখন রান্নার জন্য তেল কেনার কথা বিবেচনা করা হয় তখন কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজনঃ তেলটি কী স্বাস্থ্যের উপকারিতা করে? এর ফ্লেভার কেমন (যদি থাকে)? তেলের স্মোক পয়েন্ট ইত্যাদি। এই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রেখে আসো আমরা এই দুটি তেলের তুলনা করে দেখি কোনটি আমদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ফ্যাট

উভয় তেলই উদ্ভিদ-ভিত্তিক এবং প্রতি টেবিল চামচে প্রায় ১২০ ক্যালোরি থাকে। উভয়ই পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ভালো  কোলেস্টেরল প্রমোট করার সময় খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

-সূর্যমুখী তেলে প্রায় ৬৫% লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যেখানে অলিভ অয়েলে থাকে মাত্র ১০%। এটিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্নায়বিক ফাংশন উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়।

-অলিভ অয়েলে আছে ওলিক অ্যাসিড। এটি হল একটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের অনকোজিনকে দমন করতে পরিচিত। সুতরাং, পরের বার যখন তোমার সালাদে অলিভ অয়েল যোগ করবে মনে রাখবে যে এটি তোমাকে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখছে। প্রমান আছে যে, ওলিক অ্যাসিড কোষকে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে রক্ষা করতে পারে এবং ক্যান্সার কোষের মৃত্যুকে উন্নীত করতে পারে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর মাত্রায় গ্রহণ করা উচিৎ কারণ এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেলের গঠন হ্রাস করে, যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশ ঘটাতে পারে। ভিটামিন ই রক্তনালী সংক্রান্ত জটিলতা যেমন ধমনীতে বাধা, বুকের ব্যথা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

-সূর্যমুখী তেল ভিটামিন ই এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি পাওয়া গেছে যে, এই তেলে পাওয়া ভিটামিন ই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং কোলন কযান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।

-এতেও ভিটামিন ই এর একটি ভালো অনুপাতও রয়েছে। ক্যানোলা, কর্ন বা সয়াবিনের মতো অন্যান্য তেলে পাওয়া ভিটামিন ই গামা-টোকোফেরল আকারে পাওয়া যায়, যা ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অলিভ অয়েল এবং সূর্যমুখী তেল উভয়ই আলফা-টোকোফেরল আকারে ভিটামিন ই ধারণ করে যার তেমন কোন বিরুপ প্রভাব নেই।

ভিটামিন কে

ভিটামিন কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন পুষ্টি যা রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় কাজ করে এবং অত্যধিক রক্তপাত বন্ধ করে। এটি হাড়কে শক্তিশাল করে এবং বয়স্ক মহিলাদের অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারে। সূর্যমুখীর তেল থেকেও অলিভ অয়েলে বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। প্রতি টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে ৮ মাইক্রোগ্রামের বেশি ভিটামিন কে রয়েছে যেখানে সূর্যমুখী তেলে থাকে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম।

ফ্লেভার

অলিভ অয়েল এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের বিভিন্ন স্বাদের প্রোফাইল রয়েছে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল সবচেয়ে কম প্রসেস করা অলিভ অয়েল। জলপাই তেলের গন্ধ নির্ভর করে যে ধরনের জলপাই একটি বেস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেলের একটি হালকা, সামান্য বাদামের স্বাদ রয়েছে যা এটি যে উদ্ভিদ থেকে এসেছে তার স্মরণ করিয়ে দেয়। এই তেল অলিভ অয়েলের চেয়ে স্বাদে বেশি নিরপেক্ষ এবং এমন রেসিপি যেখানে তুমি তেলের স্বাদ নিতে চাওনা তার জন্য উপযুক্ত। অন্যদিকে, তুমি যদি সেই ক্ল্যাসিক, তাজা স্বাদ পেতে চাও তবে অবশ্যই অলিভ অয়েল হবে বেস্ট চয়েস।

স্মোক পয়েন্ট

যদিও অলিভ অয়েলকে কখনও কখনও নিম্ন স্মোক পয়েন্ট হিসেবে বর্ননা করা হয়, উচ্চ মানের এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পায় ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। যেহেতু বেশিরভাগ ডিপ ফ্রাইং ৩৫০ এবং ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে ঘটে, এটি সাধারণত বাসায় ডিপ ফ্রাই এবং অন্যান্য উচ্চ তাপে রান্নার পরিস্থিতির জন্য যথেষ্ট। সেই হিসেবে সূর্যমুখী তেল কিছুটা উচ্চ স্মোক পয়েন্ট অফার করে, প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে বেশিরভাগ বাসার রান্নার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে এত বেশি তাপের প্রয়োজন হয়না।

কোনটি নির্বাচন করা উচিৎ?

সূর্যমুখী ও অলিভ অয়েল উভয়েরই কিছু মিল রয়েছে, তবে স্বতন্ত্র কিছু পার্থক্যও রয়েছে যা তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপযুক্ত করে তোলে। অলিভ অয়েল স্বাদ এবং গন্ধে জয়লাভ করে এবং এটি ভাজা সহ বিভিন্ন রান্নার অ্যাপ্লিকেশনের জন্য হাতে রাখা একটি বহুমুখী তেল। অন্যদিকে, সূর্যমুখী তেলের হালকা স্বাদ এবং উচ্চ স্মোক পয়েন্ট এটিকে একটি ভালো পছন্দ করে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে যে, বর্ধিত সময়ের জন্য উচ্চ তাপের সংস্পর্শে সূর্যমুখী তেল উচ্চ মাত্রার বিষাক্ত অ্যালডিহাইড ধোঁয়া নির্গত করে। ভিটামিন কে কন্টেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মিনারেলের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যমুখী তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই এটা বলাই যেতে পারে যে ডেইলি ব্যবহারের জন্য অলিভ অয়েল আদর্শ।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.অন্দরের ডায়েরিদেহ ও মনসুস্থ মন

ভোরে ওঠার উপকারিতা

করেছে Shaila Hasan ডিসেম্বর ১২, ২০২২

শায়লা জাহানঃ

 

বলা হয় ‘স্লিপ ইজ দ্যা বেস্ট মেডিটেশন।‘ দেহ ও মনের সুস্থতার জন্য ঘুম কতটা জরুরী তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ছোট থেকেই আমরা জেনে আসছি তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়া কিভাবে একজন মানুষকে স্বাস্থ্যকর, সম্পদশালী এবং জ্ঞানী বানায়। যদিও মানুষের মধ্যে ঘুমের সময়সূচী আলাদা, কিছু স্বাভাবিকভাবেই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পছন্দ করে তো অন্যরা দেরি করে ঘুমাতে পছন্দ করে। দৈনন্দিন পরিভাষায়, দেরি করে জেগে থাকার প্রবণতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রায়শই নাইট আউল বা রাত্রি পেঁচা বলা হয় এবং তাড়াতাড়ি জাগে তাদের বলা হয় আর্লি বার্ড। এই আর্লি বার্ড যারা তাদের বেনেফিট হলো একটি নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, নির্মল আকাশ এবং সারাদিনের জন্য রিচার্জ করার জন্য প্রচুর সময় হাতে পাওয়া। ‘বিলিওনিয়ার’স রুটিন’ অনুসরণ করার বিভিন্ন ট্রেন্ডের মধ্যে একটি হল ভোরে ঘুম থেকে উঠা। ভোরে উঠার বিনেফিট টাই বা কী, তার কারণ নিয়েই আমরা এসেছি।

নিজের জন্য সময়

যখন তুমি তোমার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আগে ঘুম থেকে উঠো, তখন কেবল যে সকালের কফি বা চায়ের স্বাদ নিতে পারবে তা কিন্তু নয়, বরং অনেক কাজও করতে পারবে। এই কর্মব্যস্তময় জীবলে নিজের একান্ত যে শখ রয়েছে তার জন্য সময় নেই? খুবই সহজ সমাধান, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পরো। যোগব্যায়ামকে রুটিনে অন্তর্ভূক্ত করতে চাও? তড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠো। বিজ্ঞানীরা ঘুমের জড়তার অস্তিত্বও প্রমাণ করেছেন। ঘুম থেকে উঠার পর দুই-চার ঘন্টার সময় আমাদের মস্তিষ্ক পূর্ণ ক্ষমতায় তার ক্রিয়াকলাপ করতে পারেনা। ঘুম থেকে উঠার এই অভ্যাস একবার রপ্ত করলে, তোমার ভেতরকার সতেজতা এবং কাজের প্রতি স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।

রাতে ভালো ঘুম

যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠে তারাও রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে। যেহেতু ভোরে উঠার কারণে রাতে ক্লান্তি বোধ করে, এতে অহেতুক রাত জাগার পরিবর্তে তাড়াতাড়ি নিজেকে বিছানায় যাওয়ার ঝোঁক বাড়তে পারে। এটি তোমাকে ঘুমের সমস্ত চার-ছয়টি চক্র সম্পূর্ণ করতে দেয় যাতে তুমি পরের দিন পুনরুজ্জীবিত বোধ করতে পারো।

সতেজ ত্বক

এটি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে ত্বককে সতেজ ও সুন্দর দেখাতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের অভাব বা অনুপযুক্ত ঘুমের চক্রের কারণে ফাইন লাইন, বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল এবং ব্রণ হতে পারে। ঘুমানোর সময় ত্বকের কোষগুলো পুনরুত্থিত হয়, ইউভি ক্ষতি ঠিক করে এবং কোলাজেন ও রক্ত প্রবাহ বাড়ায়।

উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য

গবেষণা দেখায় যে, যারা দেরীতে ঘুমাতে ও জেগে উঠার প্রবণতা বেশি তাদের ভেতরে উদ্বেগ এবং বিষন্নতা, যারা আগে ঘুমায় এবং জেগে উঠে তাদের তুলনায় বেশি। ভোরে যারা উঠে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলো ভালো দেখায়। তারা আশাবাদী, সন্তুষ্ট এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিবাচক বোধ করে। যাইহোক, একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে যারা দেরীতে ঘুমাতে পছন্দ করে তারা তাদের ঘুমের সময় সামঞ্জস্য করে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হতে পারে।

সকালের ব্যায়ামের সময়

যেকোন প্রকারের শরীরচর্চা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই উপকারী। হোক সেটা হার্ড কোন এক্সাইরসাইজ কিংবা শুধুমাত্র হাঁটা, নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা ভালো মানের ঘুমেরও নিশ্চয়তা দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের ঘুমের সমস্যা হয় তাদের ঘুমের মান উন্নত করতে সন্ধ্যার ব্যায়ামের তুলনায় সকালের ব্যায়াম অনেক কাজে দেয়।

সুষম খাদ্য নিশ্চয়তা

সকালের নাস্তা হল দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন খাবার। এটি তোমাকে সারাদিনে চলার জন্য জীবনীশক্তি বাড়ায়। সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে একটি সুষম ও সুস্বাদু প্রাতঃরাশ গ্রহণের নিশ্চয়তা করা যায়। দেখা গেছে যারা সকালের নাস্তা খায় তারা সকালে বেশি সতর্ক বোধ করে এবং যারা এই খাবার এড়িয়ে যায় তাদের তুলনায় তাদের মেজাজ ভালো থাকে।

ভোরে ঘুম থেকে উঠার টিপস

রাত্রি পেঁচা যারা তাদের জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং ভোরে উঠা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু কিছু টিপস ফলও করলে তারা সফলভাবে নিজেদের রুটিন রুপান্তর করতে পারে-

-হঠাৎ করেই সম্পূর্ণ নতুন ঘুমের সময়সূচী শুরু করার পরিবর্তে, ধীরে ধীরে পরিবর্তন শুরু করো। ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থে উঠার সময় ১৫ মিনিট করে সময় আগপিছ করে নাও। আস্তে আস্তে যখন এতে অভ্যস্থ হয়ে উঠবে তখন আবার সময়সূচী পরিবর্তন করো যতক্ষন পর্যন্ত না কাঙ্ক্ষিত সময়ে পৌঁছাও।

-মানসিক ভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। এই নিমিত্তে অ্যালার্ম সেট করে তা হতের কাছে না রেখে দূরে রাখতে হবে।

-আগেই বলেছি সকালের ব্যায়াম ভালো ঘুমের নিশ্চয়তা দেয়। তাই নিয়মিত ভোরে উঠে ব্যায়াম করার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে।

-সকালের ব্যায়ামের মত তাড়াতাড়ি খাবার গ্রহণ করাও জরুরী। সকালের প্রাতঃরাশ খাওয়ার পাশাপাশি দুপুরের খাবার এনং রাতের খাবার সবসময় একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং ঘুমানোর আগে আগে কোন কিছু খাওয়া পরিহার করতে হবে।

-ক্যাফেইন একজন ব্যক্তির ঘুমের ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। আগে ঘুমানো এবং জেগে যদি উঠতে চাও, তবে দিনের পরে কফি, চা এবং ক্যাফিনের অন্যান্য উৎস এড়াতে হবে।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • শীতের সাজকথন

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook