রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০

উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – স্পাই স্টোরিজ: এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনি

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে ননফিকশন অথচ ফিকশনের চাইতেও বেশি আকর্ষণীয় এক বইয়ের কথা।

কাল্পনিক গোয়েন্দাকাহিনি তো আমরা প্রতিনিয়তই পড়ি। কিন্তু জটিল এই পৃথিবীতে সত্যিকারের গোয়েন্দাকাহিনির সংখ্যাই এতো বেশি, সেগুলো পড়তে গেলেই এক জীবন ফুরিয়ে যাবে।

তাছাড়া ফিকশনের তুলনায় নন-ফিকশন স্পাই স্টোরি পড়ার মধ্যে বাড়তি একটা লাভও আছে। গল্পের পাশাপাশি ইতিহাসের একটা অংশও জানা যায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল সমীকরণ সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।

আর সেজন্যই নিজস্ব পছন্দমোতাবেক বইয়ের বিষয়বস্তু হিসেবে ট্রু স্পাই স্টোরিজগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। ছয় জন সত্যিকার গুপ্তচরের কাহিনি বাছাই করা হয়েছে, যাদের জীবনের গল্প কাল্পনিক গোয়েন্দা উপন্যাসকেও হার মানায়। 

চারটা কাহিনি নেয়া হয়েছে চারটা বিখ্যাত নন-ফিকশন থ্রিলার বই থেকে। আর বাকি দুটো কাহিনি বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, আর্টিকেল এবং লিকড ডকুমেন্ট থেকে তথ্য নিয়ে। 

সংক্ষেপে বলতে গেলে ‘স্পাই স্টোরিজ’-এ একই বইয়ের ভেতর থাকছে এসপিওনাজ জগতের ছয়টি শ্বাসরুদ্ধকর সত্য কাহিনি, যেগুলোতে মূল বইগুলোর থ্রিলিং অংশের আমেজ বেশ ভালোভাবেই উঠে এসেছে, কিন্তু বইগুলোর বাহুল্য অংশগুলো থাকছে না।

কাহিনিগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছি বিখ্যাত স্পাইদেরকে এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত, কিন্তু একইসাথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্পাইদেরকে অগ্রাধিকার দিতে। সেই সাথে চেষ্টা করেছি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, পেশাদার স্পাইদের গল্প না বলে এমন স্পাইদের গল্প বলতে, যারা গুপ্তচরবৃত্তির মতো ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে ঘটনাচক্রে– কেউ আদর্শের খাতিরে, কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য, আর কেউ নিছক অ্যাডভেঞ্চারের নেশায়। আশা করছি বইটি পাঠকদের তৃপ্ত করতে পারবে। 

জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হলেও বাবার চাকরি সুবাদে মাত্র দু’বছর বয়সে পাড়ি জমান গাদ্দাফি শাসিত লিবিয়ায়। বেড়ে ওঠা আর একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা সেখানে থেকেই। পেশাগত জীবনে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলেও সবসময়ই পছন্দ করেছেন নিজে নতুন কিছু জেনে অন্যদের তা জানাতে। তাই নিজেকে একাডেমিক বিষয়াদির মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে, বরং তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ইতিহাস, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, তথ্যপ্রযুক্তির মতো নানাবিধ ক্ষেত্র জুড়ে। ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ দেখেছেন খুব কাছ থেকে,  হয়েছেন এর ভয়াবহতার শিকারও। এসব বিষয় তার মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। ফলশ্রুতিতে তার লেখালেখিতে প্রায় সময়ই উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও ইতিহাসের কথা। 

নিয়মিত লেখালেখি করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাউন্টে, অনলাইন মিডিয়া রোর বাংলায়, এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রপত্রিকাগুলোতে। ‘প্রেসিডেন্ট মুরসি’ শিরোনামের এক সংকলন বইয়ে স্থান পেয়েছে তার দুটি লেখা। সামনের দিনগুলোতে ইতিহাস ও রাজনীতির চমকপ্রদ সব বিষয় নিয়েই লেখালেখির ইচ্ছে গুণী এই তরুণ লেখকের, ইচ্ছে নিজের অর্জিত জ্ঞান সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার। 

বই: স্পাই স্টোরিজ – এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনি ।। লেখক: মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা ।। প্রকাশক: স্বরে ‘অ’
পরিবেশক: ঐতিহ্য (১৪ নম্বর প্যাভিলিয়ন) ।। পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১১২ ।। মলাট মূল্য: ২৭০ টাকা

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – তাম্রপ্রভার মেয়েরা: অ্যানি ক্যামেরনের কালজয়ী আখ্যান

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে অ্যানি ক্যামেরনের কালজয়ী আখ্যানের কথা।

১৯৮১ সালে প্রকাশিত লেখিকা অ্যানি ক্যামেরনের কালজয়ী আখ্যান ‘ডটারস অভ কপার উইম্যান’ রচিত হয়েছে ক্রম বিলুপ্তপ্রায় নুটকা জনগোষ্ঠী এবং তাদের মিথকে কেন্দ্র করে। যে মিথের শুরু হয়েছে সৃষ্টির প্রথম নারীর হাত ধরে। নিঃসঙ্গ সেই নারীর কান্না থেকে নাক দিয়ে যে সর্দি বেরিয়ে আসে, তাই ঝিনুকের খোলায় বড় হয়ে উৎপত্তি হয় দ্বীপের প্রথম পুরুষের। তাদের সঙ্গমেই জন্মায় তাম্রপ্রভা নারীর প্রথম কন্যা সন্তান- মোওয়িটা। তাদের থেকেই আরও আরও নারী পুরুষ জন্ম নিয়ে এই দ্বীপপুঞ্জে পত্তন ঘটে এক নতুন মাতৃ-তান্ত্রিক নারী-প্রধান সভ্যতার। এই উপকথার দ্বীপ-সমাজ একদিকে যেমন মাতৃ-তান্ত্রিক, সমাজে নারীর ভূমিকা এবং স্বাধীনতাকে যেমন গুরুত্ব দেয়, তেমনি এই সমাজ সমবায় সমাজ।

তাদের নিজস্ব সংস্কার ছিল, প্রথা ছিল, ছিল নিজস্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান। তারা সমুদ্রের স্রোত চিনত, নৌকায় দূর দূরান্তে যাওয়ার জন্যে দিক, দূরত্ব ও অবস্থান নির্ণয়ের নিজস্ব পদ্ধতি ছিল, ছিল নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ এই সমাজে নারীদেহ এবং সোনার লোভে বহিরাগত নাবিকেরা ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়েছে; তাদের সভ্য করার তাগিদে দেওয়া হয়েছে মিশনারি শিক্ষা, প্রোথিত করা হয়েছে নব-প্রজন্মের মনে যাবতীয় ভেদাভেদ। এই ভাবে প্রাচীন এক সমাজ-সভ্যতা সময়ের সাথে পরিণত হয়েছে এক উপকথায়, এক কল্পকথায়।

গল্পের ছলে মা নেকড়ের কথা, প্রেমিক ভল্লুকের কথা, তিমি শিকারির কথা কিংবা নূহ (আঃ) এর কিস্তি বা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার অনুরূপ গল্প বলা হলেও প্রতিটি গল্পেই মিশে আছে প্রখর ধীশক্তি এবং অন্তর্নিহিত গূঢ় অর্থ; মিশে আছে ভালোবাসা আর একটি সম্প্রদায়ের উদ্দীপনা। যে ধীশক্তি এবং প্রজ্ঞার উল্লেখ করা হয়েছে তাকে নির্দিষ্ট কোনও সময়ের গণ্ডিতে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। গল্পগুলো আমাদের বার বার মনে করিয়ে দেবে যে ইতিহাস লেখা হয় বিজয়ীর হাতে, পরাজিতের হাতে লেখা হয় না বলেই পরাজিতের শত শত বছর ধরে লালন করে আসা বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এক নিমিষেই ধূলিসাৎ করে দেয়া সম্ভব।

শত শত বছর ধরে স্মৃতিধরদের মাধ্যমে প্রবহমাণ সেই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর ধর্ম বিশ্বাসের অশ্রুত গল্পগুলোই লেখিকা বলে গিয়েছেন। বলেছেন সেই সকল নারীদের কথা যারা ছিল সকল ক্ষমতার কেন্দ্রে; ছিল মানসিক ভাবে দৃঢ়, শারীরিক ভাবে শক্তিশালী, জাতিগত ভাবে তেজস্বী এবং সর্বোপরি সকলের কাছে সম্মানিত। যে নারীদের প্রজ্ঞা আমাদের সাহায্য করবে জীবনকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে। এই বই তাই শুধুমাত্র মিথ, গল্প বা কল্পকাহিনী নয়; তার চাইতেও বেশি কিছু।

লেখিকা অ্যানি ক্যামেরনের বহুবছর ধরে ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নারীদের কাছ থেকে এই উপকথার কাহিনীমালা শুনে এসেছেন – যে কাহিনী অনেক প্রজন্ম ধরে অপার গোপনীয়তায় এবং শ্রুতির মাধ্যমে বাহিত হয়ে আসছে। হারিয়ে যাওয়া সেই পৌরাণিক সমাজের যোগসূত্র এখনও বহন করে চলেছেন যারা, তাদের কাছে অনুমতি পাওয়ার পরেই অ্যানি ক্যামেরন ১৯৮১ সালে এই বই প্রকাশ করেন। কানাডার হার্বার পাবলিশিং থেকে বাংলায় অনুবাদের কপিরাইট কিনে নিয়ে বইয়ের জাহাজ প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।

বই: তামাপ্রভার মেয়েরা ।। মূল লেখক: অ্যানি ক্যামেরন ।। অনুবাদ: মোশাররফ হোসাইন ।। প্রচ্ছদ: রুবেল শাহ (মঈন চৌধুরীর পেইন্টিং অবলম্বনে)
অলংকরণ: অপরূপ দে ।। প্রকাশক – বইয়ের জাহাজ ।। পরিবেশক – চৈতন্য প্রকাশনী (২৫০-২৫১ নং স্টল)।। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ১৭৫ ।। মুদ্রিত মূল্য – ৩২০ টাকা

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – শকুনের চোখ (থ্রিলার উপন্যাস)

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে থ্রিলার এক বইয়ের কথা।

আঁধারের জগতে আঁধারি লোক
আমিও আছি নিয়ে শকুনের চোখ!
ভুলে যাও কান্না ভুলে যাও শোক
তুমিও থাকো নিয়ে শকুনের চোখ!
রক্তের ঋণ হবে রক্তেই শোধ
আমিও নিয়ে আছি শকুনের চোখ!
বুকের ভিতর আছে তীব্র ক্ষোভ
প্রতিবাদে হবো তাই শকুনের চোখ!
দেশের কুখ্যাত সব অপরাধীর চোখে ঘুম নেই আজ। কেন? কেননা একের-পর-এক খুন হচ্ছে তারা। শুধু তাই নয়, যারা অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও রয়ে গিয়েছে আইনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, তাদেরও রক্ষে নেই।  প্রতিটা লাশের পাশে মিলছে অদ্ভুত এক চিরকুট, সেই সঙ্গে আছে অপরাধীদের অপরাধের প্রমাণসহ তার বিবরণ!
অফিসার কুশল রহমান, ডিবি পুলিসের চৌকস অফিসার। তার সঙ্গে জোড়া বাঁধল ধানমণ্ডি থানার ওসি শওকত আহমেদ। শুরু হলো তদন্ত। খুনি যে-ই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতেই হবে।  শুরু হলো ইঁদুর-বিড়াল…উহু, শকুন-ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কেননা খুনি যে নিজের পরিচয় দিচ্ছে ‘শকুনের চোখ’ বলে!
সূত্র-প্রমাণ-সাক্ষ্যের ঘোরপ্যাঁচে এক পা এগোলে, পিছিয়ে যেতে হচ্ছে দশ পা। খেলার ঘুঁটিগুলো যেন নিজের মতো করে সাজিয়েছে শকুনের চোখ। ডিবি-পুলিস আর কী চাল দেবে, তার আগেই তৈরি করে রাখছে পাল্টা চাল।
কার জয় হবে শেষ পর্যন্ত? পুলিসের? নাকি শকুনের চোখের?
মাসুম আহমেদ আদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বইপোকাদের আড্ডাখানা গ্রুপটির নাম শোনে নি এমন বইপোকা এখনকার যুগে খুঁজে পাওয়া মুশকিলই বটে। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গ্রুপটির এডমিনের দায়িত্বে আছেন যে কজন তার মধ্যে আদি অন্যতম। আর সে সুবাদে নামটাও বেশ পরিচিতই। বই পড়তে ভালোবাসেন। আর পড়া সেই বই নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করতেই ভালোবাসেন। আর সেখান থেকেই লেখালেখির ভূত ঘাড়ে চাপা। অনুবাদ করে সিদ্ধহস্ত হয়ে তবেই মৌলিকে নিজের নাম লেখিয়েছেন তিনি। শকুনের চোখ ছাড়াও এবারের বইমেলায় অতিমাত্রায় প্রাকৃত শিরোনামে তার একটি গল্পগ্রন্থও প্রকাশ হয়েছে।
বই: শকুনের চোখ ।। লেখক: মাসুম আহমেদ আদি ।। প্রকাশনী: চিরকুট ।। প্রচ্ছদ: জান্নাতুল ফেরদৌস লুনা
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০/- ।। বইমেলা পরিবেশক: পেন্ডুলাম পাবলিশার্স
লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 
০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – আছে এবং নাই (সমকালীন সাহিত্য)

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা।

তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে কিযী তাহনিনের গল্পগ্রন্থের কথা।

আছে’ আর ‘নাই’ দুজন।  তারা মানুষ।  তারা চরিত্র।  তারা নিজ দোষ গুণে ভরপুর দুই স্বত্বা। ক্যাম্পাসের টুকরো সবুজ চত্বর। কৃষ্ণচূড়া গাছের আড়ালের, এ পাশ ওপাশ। সেখানে দেখা হয় ‘আছে’ ‘নাই’ এর। পরিচয় হয়। তাদের কৌতূহল পরিমিত। তারা দুজন দুজনকে চেনে অল্প অল্প করে, অনেক। তাই তারা দুজন, দুজনের কাছে আকর্ষণীয়।

‘আছে’ আর ‘নাই’ গল্প করে যায়, যখন তাদের দেখা হয়। আকাশ দেখার গল্প, বসন্তের হাওয়াই মিঠাই গল্প, সময়কে পড়তে না-পারার গল্প, পোস্ট উৎসব সিনড্রোমের এলোমেলো কথোপকথন। একসময় মনে হতে থাকে, যে ‘আছে’ আর ‘নাই’ বুঝি শুধু গল্প করেই যায়। কিন্তু বেঁচে থাকার সমীকরণ যে তার ধারা  মতন চলে। সেই ধারায় স্রোত আসে, জীবনের প্রবল স্রোত। ‘আছে’ ‘নাই’ হারিয়ে ফেলে, দুজন দুজনকে।

জীবন কি আসলে সমুদ্রের মতন? যা নিয়ে যায়, তা কি ফিরিয়ে দেয়? হারিয়ে যাওয়া ‘আছে’ আর ‘নাই’ খুঁজে কি আবার দুজন দুজনকে? নিজেদের?

কিযী তাহনিন। মা গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. জোবায়দা আখতার এবং বাবা বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খ.ম. হারুন। খুব ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীল চর্চার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ইত্তেফাকের শিশুপাতায় কবিতা লেখার মধ্যে দিয়ে লেখালেখির শুরু।

তার লেখা গল্প এবং কলাম প্রকাশিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সাহিত্যপাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটি থেকে এনভায়রনমেন্ট এন্ড সাস্টেনিবিলিটি বিষয়ে আরেকটি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অবস্থিত জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংস্থায় কর্মরত আছেন। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড কিযী তাহনিনের কর্মজীবন, এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তার প্রচেষ্টা ও সফল ভূমিকা নিয়ে ‘স্টোরি অফ মাই লাইফ’ নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়। ২০১৯ সালে কিযী তাহনিনের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ইচ্ছের মানচিত্র’ প্রকাশিত হয়েছে পাঠক সমাবেশ থেকে। 

বই: আছে এবং নাই ।। লেখক: কিযী তাহনিন ।। প্রকাশনী: পাঠক সমাবেশ ।।
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭০ ।। মূদ্রিত মূল্য: ২৯০/- টাকা ।।

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – ঘানি (সমকালীন উপন্যাস)

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে সমকালীন সাহিত্য নিয়ে রচিত এক বইয়ের কথা।

নামটি দেখে অনেকেই মনে করছে, গল্পটা তেল ভাঙানো ঘানি কেন্দ্রিক কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ঘটনা আসলে তা নয়। গল্পের মধ্যে কোনো তেল ভাঙানোর ঘাানি নেই। যে ঘানি আছে, তা জীবন ভাঙানোর ঘানি।

জীবনকে ভেঙে চূড়ে নিংড়ে রস বের করে নেওয়ার ঘানি জীবনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে একদল মানুষের জীবনকে টেনে নেওয়ার গল্প ঘানি। ঘানি লড়াইয়ের, ভাতের লড়াই, পেটের লড়াই, সম্ভ্রমের লড়াই, লড়াই অন্তঃপুরে জন্মলওয়া ভালোবাসাটা টিকিয়ে রাখার।

বয়ে চলা এক দুঃসহ জীবন। যে জীবনের পরতে পরতে অসহনীয় দুঃখকষ্ট। দারিদ্র্যের কষাঘাত যার প্রতি পদে পদে। যে গল্পের চরিত্ররা উঠে আসে সমাজের কঠিন বাস্তবতার বুকের ভেতর থেকে। নিদারুণ দুর্ভোগ আর সাংসারিক টানাপোড়েন আটকে ফেলতে চায় বারবার, তবু জীবন চলে জীবনের নিয়মে।

আটকে আটকে চলে, খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে। আলগোছে ফুল ফোটে হৃদয়ে কারো কারো। এক প্রাণ ব্যাকুল হয় আরেক প্রাণের তরে। প্রণয় আসে, আসে ভাঙন। এরিমধ্যে রংপুরের একনিভৃত পল্লী গ্রামের জীবনস্রোতে এসে লাগে যুদ্ধের ঢেউ। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ! দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামীণ জীবনে যোগ হয় নতুন উপদ্রব।

কেউ হারায় আশ্রয়, কেউ হারায় প্রাণের স্বজন। কেউ আবার হয়ে ওঠে প্রতিবাদী। যুদ্ধের সীমানা পেরিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের সামনে এসে দাঁড়ায় মহাকালের এক উদ্ধত পরিহাস, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ!

ক্ষুধায় তৃষ্ণায় যেন মড়ক লাগে চারিদিকে। দিকে দিকে কেবল নাই নাই হাহাকার। এরই ভেতর কিছু মানুষের টিকে থাকবার লড়াই/ দুবেলা দু মুঠো ভাতের লড়াই। ক্ষুধার তাড়না মেটাতে চোখের লজ্জা আর থাকেনা। যুবতীব উঝি’রা সামান্য কিছু চালডালের বিনিময়ে কাঁকড়া বিছের হাতে তুলে দেয় অমূল্য সম্ভ্রম। মানের চেয়ে পেটের টান বড় হয়ে দাঁড়ায় সামনে। জীবন অসহ্য হয়ে ওঠে। তবুও হাল ছাড়বার উপায় নেই। প্রবল ক্ষুধার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে এগিয়ে চলে আটপৌড়ে জীবন। ঘানি হয়ে ওঠে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকা কিছু মানুষের যাপিত সময়ের জীবন্তদর্পণ।

রবিউল করিম মৃদুল। পেশাগত জীবনের শুরুটা সাংবাদিকতায় হলেও বর্তমানে অধ্যপনার সাথে যুক্ত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই মঞ্চাভিনয়, নাট্য রচনা ও নাট্য নির্দেশনার মতো কাজ করে কুড়িয়েছেন প্রশংসা। লেখালেখি করেও পাঠককূলের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নিষিদ্ধ গোলাব, ফুলন, এখানে আকাশনীলের মতো উপন্যাস আর গল্পগ্রন্থের স্রষ্টা তিনি।

বই: ঘানি ।। লেখক: রবিউল করিম মৃদুল ।। প্রকাশনী: শুদ্ধ প্রকাশ
প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু ।। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৬০ ।। মূদ্রিত মূল্য: ৫৫০ টাকা

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – গোলাপের নাম: বিশ্ব সাহিত্যের কালজয়ী রচনা

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী এক রচনার কথা।


মধ্যযুগের অন্তিম পর্ব। ১৩২৭ খৃষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ইতালির একটি সম্পন্ন বেনেডিক্টীয় মঠে মধ্যবয়স্ক ফ্রান্সিসকান সন্ন্যাসী বাস্কারভিলের উইলিয়াম তাঁর সঙ্গী বেনেডিক্টীয় শিক্ষানবিশ আসোকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, যীশুখৃষ্টের দারিদ্র্য বিষয়ক একটি বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য।

তাঁরা মঠে পৌঁছে দেখেন সেখানে এক সন্ন্যাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। উইলিয়ামের ওপর এই মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পড়ে। দেখতে দেখতে, সাত দিনের মধ্যে, বীভৎস এবং আশ্চর্যজনকভাবে খুন হয় ছয়জন সন্ন্যাসী।

উইলিয়াম যেভাবে এসব হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন তা একদিকে যেমন অত্যন্ত আকর্ষণীয়, অন্যদিকে অনুপম চিন্তা-উদ্রেককারী।

কিন্তু উপন্যাসটি নেহাত একটি গোয়েন্দা কাহিনী নয়; হুডানিট-এর কাঠামোতে লেখক বাইবেলের বিশ্লেষণ, মধ্যযুগীয় দর্শন, সাহিত্য, নন্দনতত্ত্ব এবং সাহিত্যতত্ত্বের সঙ্গে প্রতীকতত্ত্ব তথা সেমিওটিক্সের সমন্বয় ঘটিয়ে গ্রন্থটিকে এক অসামান্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। 

যে-কারণে একটি রহস্য কাহিনী হওয়ার পরেও এটি বার বার পড়া যায়, এবং প্রতিবারই পাঠক নতুন চিন্তার খোরাক পান, উপলব্ধি করেন যে চল্লিশ বছর আগে লেখা বইটি আমাদের এই সময়েও খুবই প্রাসঙ্গিক। এবং বেশ জোরের সঙ্গেই বলা যায় এই প্রাসঙ্গিকতা সহজে ক্ষুন্ন হবার নয়।

ইতালীয় ভাষায় লেখা, উমবের্তো একোর ইতিহাস আশ্রিত এই বিপুলায়তন রহস্যকাহিনী’ Il nome della rosa(১৯৮০), সেটার উইলিয়াম উইভারকৃত ইংরেজি অনুবাদ The Name of the Rose (১৯৮৩), এবং উপন্যাসটিকে ভিত্তি করে জাঁ-জাক আনু পরিচালিত, প্রখ্যাত অভিনেতা শন কনারি অভিনীত, ও ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি লেখককে অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে বিপুল খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

Il nome della rosa  তথা গোলাপের নাম ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর নানান ভাষায় অনুবাদসহ পাঁচ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।  

জি. এইচ. হাবীব বা গোলাম হোসেন হাবীব। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। বিগত ১৬ বছর আগে শুরু করা গোলাপের নাম বইয়ের কাজ সম্পন্ন করা এই গুণী অনুবাদকের ঝুলিতে অনূদিত বইয়ের সংখ্যা নেহায়েতই কম। তবে বাছাইকৃত যেসব বই অনুবাদ করেছেন সেসব যে বাংলা সাহিত্যের অনুবাদের জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে আছে- নোবেলজয়ী গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উপন্যাস নি:সঙ্গতার একশো বছর, নরওয়েজিয়ান লেখক ইয়স্তেন গার্ডারের দর্শনবিষয়ক উপন্যাস সোফির জগত, আইজ্যাক আসিমভের সায়েন্স ফিকশন ফাউন্ডেশন, স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের গোয়েন্দা উপন্যাস দ্য সাইন অব ফোর এবং ইতালো কালভিনোর অদৃশ্য নগরী উল্লেখযোগ্য।

বই: গোলাপের নাম ।। মূল: উমবের্তো একো ।। ইংরেজি অনুবাদ: উইলিয়াম উইভার ।। বাংলা অনুবাদ: জি. এইচ. হাবীব
প্রচ্ছদ: সোমনাথ ঘোষ ।। অলংকরণ: নীল প্যাকার ।। প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনা ।। মূদ্রিত মূল্য: ১৩৩৪/- টাকা

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক  

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – তিমিরযাত্রা: মোজাফফর হোসেন

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে মোজাফফর হোসেন এর তিমিরযাত্রা বইয়ের কথা।

একটা ঘরে অন্ধকারে বসে থাকেন বাবা। একা। কারো সঙ্গে কথা বলেন না। অন্য ঘরে এক ধর্ষকামী পুরুষের যৌনদাসত্ব স্বীকার করে নেন মা। মাঝের ঘরে বেড়ে ওঠে এক কিশোর। উপন্যাসের নায়ক। বড়ো হয়ে সে নিজের যৌন পরিচয় নির্ণয় করতে একের পর এক নারীর সামনে দাঁড় করায় নিজেকে। একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী সন্তান পরিচয়ে থাকলেও তাদের আলাদা একটা পরিচয় আছে। জগৎ আছে। তাদের সেই পরিচয় এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণ পাঠক জানবেন কিছু বিস্মৃত মানুষের বয়ানে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা, মানবিক অবক্ষয় ও ব্যক্তিগত হতাশার চালচিত্র নিয়ে এই উপন্যাস। বাংলাদেশের ডিসপোটিয়ান উপন্যাস তিমিরযাত্রা। মোজাফফর হোসেনের নির্মেদ গদ্য, প্রাঞ্জল ভাষা, জাদুবাস্তবতা-পরাবাস্তবতা, আকর্ষণীয় নির্মাণশৈলী- সব মিলিয়ে পাঠক একটি রহস্যমণ্ডিত কাহিনির ভেতর আবিষ্কার করবেন।

বই: তিমিরযাত্রা ।। লেখক: মোজাফফর হোসেন ।। প্রকাশনী: পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স
প্রচ্ছদ: জি জি ।। মলাট মূল্য: ২৭০/- টাকা

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – সিক্স ইজি পিসেস: রিচার্ড ফাইনম্যান

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে।

বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করাই বিজ্ঞানের বইয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। হয়তো বিশেষ জ্ঞান অর্জন করা যায় বিধায় একেই বিজ্ঞান বলে। চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রতিবারের মতো এবারও থাকছে নতুন নতুন লেখক আর নতুন চিন্তাধারার নতুন পাণ্ডুলিপি। আর সেই নতুন আর প্রবীণ লেখক/অনুবাদকদের সমন্বয়েই এসেছে এক ঝাঁক বিজ্ঞানের গল্প – যার মধ্যে গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী উল্লেখযোগ্য। আজ থাকছে বিজ্ঞানের এক বিশেষের বইয়ের কথা।


নোবেলজয়ী পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যানের সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ ‘দ্য ফাইনম্যান লেকচারস অন ফিজিক্স’। পুরো লেকচার সিরিজটি ৩ খন্ডের। যার প্রথম খন্ডেই আছে ৫২টি অধ্যায়! ঢাউস এই সংকলনের সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নন-টেকনিক্যাল ছয়টি অধ্যায় মিলে প্রকাশিত হয়েছিল ‘সিক্স ইজি পিসেস’। তারই অনুবাদ এই বই।

বিজ্ঞানের এক শাখার সঙ্গে অন্য শাখার সম্পর্ক, এসব শাখার মূল উদ্দেশ্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রশ্নগুলোর জবাব আমরা খুঁজে চলেছি ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বইটির প্রথম তিন অধ্যায়ে। পরের তিন অধ্যায়ে শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি, মহাকর্ষ ও কোয়ান্টাম বলবিদ্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মূল ধারণা জায়গা পেয়েছে।

আনুষ্ঠানিক গণিতের বেড়াজালে না ঢুকেই ফাইনম্যান এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুব সাধারণ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। সমীকরণের জটিল মারপ্যাঁচে না গিয়ে, শুধু যুক্তি দিয়েই যে পদার্থবিদ্যার তত্ত্বগুলো ব্যাখ্যা করা যায়, সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সে। ভাবা যায়! এই বই আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বিশ শতকের সবচেয়ে মেধাবী এক শিক্ষকের ক্লাসরুমে। পরিচয় করিয়ে দেবে তাঁর বিজ্ঞান-দর্শনের সঙ্গে।

 

উচ্ছ্বাস তৌসিফ- অনুবাদক হিসেবে যাত্রাটা খুব বেশি দিনের নয়। তবে ব্লগ ও ম্যাগাজিনে মূলত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করেন মোটামুটি বেশ কিছুটা সময় পার হয়েছে। বিজ্ঞানচিন্তা এবং রোর বাংলায় নিয়মিত লিখছেন বর্তমানে। ২০১৯ সালের বইমেলায় নীল ডিগ্র‍্যাস টাইসনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ফর পিপল ইন আ হারি বইটিঝটপট জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালের বইমেলায় রিচার্ড ফাইনম্যানের সিক্স ইজি পিসেস-এর পাশাপাশি স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস দ্য বডি  এবং দ্য ব্রিদিং মেথড ও ডোলানস ক্যাডিলাক উপন্যাসিকা দুটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।  

বই: সিক্স ইজি পিসেস ।। মূল: রিচার্ড ফাইনম্যান ।। ভাষান্তর: উচ্ছ্বাস তৌসিফ
প্রকাশনী : প্রথমা ।। পৃষ্ঠা : ২০০ ।।  মুদ্রিত মূল্য : ৪০০ টাকা 

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – সাচিকো: নাগাসাকির বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক মেয়ের গল্প

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে ইতিহাস ভিত্তিক দারুণ এক নন-ফিকশন বইয়ের কথা।

ইতিহাস জরুরি, কিন্তু কাঠখোট্টা ইতিহাস সাধারণ পাঠককে সবসময় টানে না। গল্প-উপন্যাস আনন্দদায়ক, কিন্তু বড় সমালোচনা হচ্ছে শিক্ষণীয় সারবস্তু কম। একই সাথে জরুরি ও আনন্দদায়ক এই দুইয়ের সম্মিলন কঠিন। খুবকঠিন। সেই কঠিন কাজের ফলাফল ‘সাচিকো’।

নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় আরও অনেকের সাথে আক্রান্ত হয় সাচিকোর পরিবারও। একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য।  

নির্মম সেই বাস্তব ঘটনাই সাচিকোর নিজের বর্ণনায় এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে করে পারমাণবিক বোমা হামলায় আক্রান্তদের কী ভয়াবহ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তা পাঠকেরা বুঝতে পারেন।  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাগাসাকির ছোট্ট মেয়ে ‘সাচিকো’ পারমাণবিক বোমার আঘাত সয়ে অসংখ্য পরিচিতজনকে হারিয়েও কীভাবে টিকেছিলো- সেই সত্য ঘটনা অবলম্বনের মাস্টারপিস। বাংলায় অনুবাদ করে পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছেন মুহাইমিনুল ইসলাম।

বই নির্বাচনের রুচিবোধ এবং অনুবাদের যে মুন্সিয়ানা লেখক এইবইতে দেখিয়েছেন, তা চলমান থাকবে এই প্রার্থনা পাঠককে করতেই হবে।

মুহাইমিনুল ইসলাম অন্তিক। প্রকৌশলবিদ্যার শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও প্রথার বাইরে এসে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন।  বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যতিক্রমধর্মী মিডিয়া রোর বাংলার ডেপুটি এডিটর ইন চিফ হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এছাড়া, কো-ফাউন্ডার ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আছেন ওয়াইএসআইবাংলা লিমিটেডে।

লেখালেখি জীবনের শুরুটা বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘জিরো টু ইনফিনিটি’ তে কন্ট্রিবিউটার হিসেবে হলেও পরবর্তীতে সহ-সম্পাদক পদ পান। সেই সময় থেকেই চলতে থাকে বাংলা এবং ইংলিশ জাতীয় দৈনিকগুলোতে লেখালেখির কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েই ‘ক্রিপ্টোলজি: গোপন সংকেতের রহস্য ভেদ’ (১ম খন্ড) গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

ইতিহাস, ধর্ম, বিজ্ঞান, মুক্তিযুদ্ধ এবং গোপন সংকেত নিয়ে পড়াশোনা করা এবং পাঠকদেরকে ভিন্ন ধর্মী কিছু বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই মূলত তার নেশা।

বই: সাচিকো অ্যা নাগাসাকি বম্ব সারভাইভার্স স্টোরি ।। মূল লেখক: কারেন স্টেলশন ।। অনুবাদক: মুহাইমিনুল ইসলাম
প্রকাশনী: স্বরে আ ।। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬০ ।। মূদ্রিত মূল্য: ২৪০/- টাকা

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
উপন্যাসগল্পশিল্প ও সাহিত্যশিল্প-সংস্কৃতি

বইমেলার বই – সিয়ান অথবা নাবিল (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি)

করেছে Wazedur Rahman ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২০

চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলা প্রায় শেষের দিকে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।

এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে বৈজ্ঞানিক এক কল্পকাহিনীর বইয়ের কথা।

ঘুম ভেঙে সিয়ান দেখে অচেনা এক সাদা-নীল ঘরে শুয়ে আছে- হাসপাতাল হবে হয়ত। স্প্রিং-এর প্রান্তে চাকা লাগানো পায়ে গড়িয়ে দুজন নার্স আসে, কৃত্রিম মানুষ তারা- নিকি আর জিনিথ। সিয়ান জেগে ওঠে সেই সময়ে যখন মানবিক কাজের জন্য মানুষের উপরে নির্ভর করা যায় না। যখন বিচিত্র ভাষার জায়গা নিয়েছে গ্লোবাল ভাষা আর বন্ধুত্ব-ভালোবাসা হয়ে গেছে বিস্মৃত অভ্যাস। অথচ সিয়ানের স্মৃতিতে তখন প্রকট অন্য এক মানুষের অস্তিত্ব, যার নাম নাবিল। তার আছে অন্য এক পৃথিবী, যা শত শত বছর আগের। অসম্ভব জেনেও সিয়ান ফিরে যেতে চায় সেখানে। আপন করে পেতে চায় প্রিয় মানুষদের যারা কে জানে কোন কালে কোথায় মিশে গেছে।

শত বাধা-বিপত্তিতেও সিয়ান দমে না। যন্ত্রের সহায়তায় যন্ত্রকেই ফাঁকি দিতে চায়। ভিতরে জিইয়ে রাখা নাবিলের স্মৃতিময় রাস্তায় হাঁটে, নিজের মা আর বন্ধু তৃণাকে খোঁজে। কিন্তু তাই বলে কি শত শত বছর পিছনে যাওয়া যায়! অথচ অদম্য সিয়ান ঠিকই পৌঁছে যায় সেখানে। তারপর অচেনা এক মানুষের চোখের ভিতর দিয়ে বন্ধু তৃণাকে দেখতে চায়- দেখতে পায় কি?

আফসানা বেগম জাহাঙ্গীরনগর থেকে পড়াশুনা শেষ করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখানেই পিএইচডি গবেষণারত অবস্থায় আছেন বর্তমানে। উপন্যাস, ছোটোগল্প, কিশোর উপন্যাস, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি এবং অনুবাদ করে লেখক হিসেবে সিদ্ধহস্ত হয়েছেন ইতিমধ্যেই। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে- প্রতিচ্ছায়া, বেদনার আমরা সন্তান, আমি অথবা আমার ছায়া ও দিনগত কপটতা। অনুবাদ করেছেন উইলিয়াম ফকনার, হুলিও কোর্তাসার, অ্যালিস মানরো, নাদিন গোর্ডিমার, আইজ্যাক আসিমভ, ফিদেল ক্যাস্ত্রো, হারুকি মুরাকামিসহ আরো কিছু লেখকের কালজয়ী রচনা।

২০১৪ সালে দশটি প্রতিবিম্বের পাশে (ছোটোগল্প) বইয়ের জন্য পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার।

বই: সিয়ান অথবা নাবিল (সায়েন্স ফিকশন / বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি) ।।  লেখক: আফসানা বেগম
প্রকাশক: অবসর প্রকাশনা সংস্থা ।। পৃষ্ঠা: ৭৮ ।। মূল্য: ১৫০/- টাকা মাত্র

 

লেখা ও ছবি: রোদসী ডেস্ক

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook