চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। মাসব্যাপী এই মেলার ইতিমধ্যেই অর্ধেকটা শেষ হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। লেখকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অটোগ্রাফ কিংবা ফটোগ্রাফ দিতে। পাঠকরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রন্থ। আর আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য বই প্রকাশের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রকাশকরা।
এবারের মেলায় ফিকশন-ননফিকশন সহ অসংখ্য বই প্রকাশ করেছে সকল প্রকাশকরা। তবে প্রবীণ লেখকদের উপর নির্ভর না হয়ে পাশাপাশি তরুণ লেখকদের প্রতিও বেশ ভালো সুনজর দিয়েছে প্রকাশনী সংস্থাগুলো। তাই এবারের মেলা যেন তরুণ লেখকদের মিলনমেলা। অনেকেই ইতিমধ্যে বই কিনে ফেলেছে অনেকেই আবার এখনো অপেক্ষায় আছে। এই অপেক্ষার পালাটা খানিকটা কমিয়ে আনতে রোদসী ম্যাগাজিন পাঠকদের সুবিধার্থে বইয়ের প্রচার করবে। আজ থাকছে আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল খ্যাত নিয়াজ মেহেদীর নতুন উপন্যাসের কথা।বললে বিশ্বাস করবেন না, ঢাকা শহরের যে এলাকায় আমার বাসা, সেখানে আড্ডা দেওয়া নিষেধ। কথার কথা নয়, একেবারে নিয়ম করে নির্দেশ দেওয়া আছে। রাস্তায় গোটা গোটা কালো অক্ষরে সতর্ক করা আছে, ‘অত্র এলাকায় আড্ডা দেওয়া নিষেধ। অমান্যকারীদের জুতা পেটা করা হইবে।’
কথায় কাজ না হওয়াই স্বাভাবিক। এদেশের প্রায় প্রতিটা দেয়ালেই তো লেখা থাকে, ‘এখানে প্রস্রাব করবেন না।’ সেকথা কী কেউ আদৌ গ্রাহ্য করে? সেজন্য পোস্টারে জলছাপ দিয়ে এক পাটি স্যান্ডেলের ছবি দেওয়া আছে। মোড়ের দোকানদারের কাছে শুনেছি, এই শাস্তি আসলেই দেওয়া হয়। একদল লোকই নাকি আছে যাদের কাজ শাস্তি তামিল করা। এ কারণে এলাকায় চায়ের দোকান আছে কিন্তু বসার কোনো বেঞ্চ নেই। ভাতের হোটেল আছে কিন্তু সেখানেও বড় বড় পোস্টার সাঁটা হুঁশিয়ারি আছে। খেলাধুলার মাঠ আছে কিন্তু একদণ্ড সেখানে দাঁড়িয়ে গল্প করার জো নেই।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমেই সাহিত্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছিল লেখকের। আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল, গল্পগ্রন্থ – বিস্ময়ের রাত পাঠক সানন্দে গ্রহণ করলে লেখকের লেখার স্পৃহাটা যেন আরও দূর্বার গতি পায়। আর তারই ধারাবাহিকতায় মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত আড্ডা দেওয়া নিষেধ।
আড্ডা দেওয়া নিষেধ
প্রকাশনীঃ মাওলা ব্রাদার্স
প্যাভিলিয়ন নং- ২৯
প্রচ্ছদঃ পার্থপ্রতিম দাস