রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

করোনা

সচেতনতাস্বাস্থ্য

করোনাকালীন স্বাস্থ্যসচেতনতা

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ১৩, ২০২১

২০১৯-এর শেষ প্রান্তে চীনের উহান প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হয়ে করোনা বিশ্বব্যাপী জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২১০টি দেশে প্রায় ১২ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে প্রায় ২৭ লাখ ৫৬ হাজার জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আমেরিকা, ব্রাজিল ও ভারত শীর্ষ তিনে। অবস্থানে ৩৪ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশেও এর প্রভাবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এবং প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজার ৭৬৩ জন (২৫ মার্চ ২০২১)।
ওপরের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে দিন দিন করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যেও দেশের আইসিইউ এবং কোভিড হাসপাতালগুলোতে ছিল রোগীদের উপচে পড়া ভিড়।
তবে আশার কথা হচ্ছে, নভেল করোনা বা কোভিড-১৯ রোগটি কিছু সাধারণ দৈনন্দিন জীবন শিষ্টাচার মেনে চললে খুব সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই শিষ্টাচারগুলো ভালো করে মেনে চলার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ এমনকি আমাদের প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান করোনা নিয়ন্ত্রণে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে।


প্রথমেই আমাদের জানা দরকার কোভিড-১৯ কী এবং কীভাবে হয়। কোভিড-১৯ হলো শ্বাসযন্ত্রের একটি ছোঁয়াচে রোগ, যার জন্য দায়ী একটি আবরণীবদ্ধ আর এন এ ভাইরাস। এটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মতো এবং নতুন আবিষ্কৃত বলে নাম করা হয় নভেল করোনা এবং রোগের নাম দেওয়া হয় করোনাভাইরাস ডিজিজ-১৯ বা কোভিড-১৯। রোগটি মূলত ছড়ায় বায়ু ফোঁটা বা এয়ার ড্রপলেটের মাধ্যমে। ফলে আমাদের এই মাধ্যমটি যদি রোধ করা যায়, তাহলে রোগটিও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এয়ার ড্রপলেট ছড়ায় রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। এই ড্রপলেট পানির কল, চেয়ার, টেবিল, দরজার হাতল, কমোড, কোনো সিট, সুইচ, বাসন বা অন্য কিছু যা কেউ ধরতে পারে বা সংস্পর্শে আসতে পারে এমন কিছুতে লেগে থাকে এবং পরে অন্য সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। লক্ষণ প্রকাশ হতে সাধারণত ২-১৪ দিন সময় লাগে। ২০২০ সালের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে ষাটোর্ধ্ব বা অন্য রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, হাঁপানি আছে এমন ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকলেও ২০২১ সালে তরুণেরাও মোটেও নিরাপদ নয়।
করোনার লক্ষণের মধ্যে প্রথমেই আসে জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, হাঁচি। এরপর শারীরিক দুর্বলতা বাড়তে থাকে। সঙ্গে যোগ হতে পারে ঘ্রাণ না পাওয়া, স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং শেষ পর্যন্ত নিউমোনিয়া।

 

আমাদের দৈনন্দিন জীবন শিষ্টাচার এর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, কমপক্ষে ৩ ফুট সঙ্গে মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস করে ফেলতে হবে। ঘরের বাইরে গেলে, বাইরের কিছু ধরলে, বাসায় নতুন কিছু আনলে, হাঁচি- কাশি দিলে, নাক ঝাড়লে, নাক-মুখ ধরার আগে প্রতিবার হাত ধুতে হবে ৭০% অ্যালকোহল বা সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে কিছু ভুলে গেলে বা কী করতে হবে মনে এলেই হাত ধুতে হবে। মাস্ক পরার অভ্যাস আমাদের জন্য একটু কষ্টকর, বিশেষত এই গরমে কিন্তু মাস্কের চেয়ে বড় পিপিই নেই। ঘরের বাইরে গেলে বা বাইরের কেউ ঘরে এলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। অনেক সময় নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরে না কিন্তু এটি না করলে মাস্ক পরার আসল উদ্দেশ্যটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে এখন যদিও অনেক শৈথিল্য আছে, কিন্তু ব্যক্তিগত সাবধানতার জন্য যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত।
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই রুমাল, টিস্যু ব্যবহার করতে হবে এবং ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। সম্ভব না হলে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচি-কাশি দিতে হবে এবং এরপর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময়ের জন্য করমর্দন করা থেকে বিরত থাকা, খুব প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়া বা কিছু ধরে নাক-মুখ-চোখ না ধরার মাধ্যমে আমরা অনেকাংশে করোনা প্রতিরোধ করতে পারি।ব্যক্তিগত বদভ্যাস পরিহার করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে সারা দিন ঘরে বসে থাকা পীড়াদায়ক। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা, খেলাধুলা, গল্প করা, বই পড়া, ব্যায়াম করা, ছবি আঁকা, গান করা, রান্না করা, বাগান করা ও ব্যক্তিগত চরিত্র উন্নয়ন করার মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করা সম্ভব।

ডা। শ্রাবণী দাস, আর এম ও, আজগর আলী হাসপাতাল, ঢাকা।

সকল প্রতিরোধব্যবস্থা নেওয়ার পরও আমদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আক্রান্ত হলেও ভয় না পেয়ে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। বর্তমানে রোগীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল সুবিধা সেভাবে বাড়ছে না। তাই মৃদু লক্ষণ হলে বাসায় স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে থাকা সর্বোত্তম। সামাজিক শিষ্টাচার আর প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না গেলে এবং মানসিকভাবে নিজেকে উজ্জীবিত রাখলে কোভিড-১৯-এর এই সময়টা আমরা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারব। সবার জন্য শুভকামনা থাকল।

লেখা : ডা। শ্রাবণী দাস, আর এম ও, আজগর আলী হাসপাতাল, ঢাকা।
ছবি: সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
স্বাস্থ্য

করোনায় ফুসফুসের ব্যায়াম

করেছে Sabiha Zaman এপ্রিল ১, ২০২১

গত বছরের মার্চে করোনার শনাক্ত করা হয় বাংলাদেশে। এর পর সময়ের ব্যবধানে বেড়ে গিয়েছে রোগীর সংখ্যা। কিছুতা সংক্রমণ কমে আসলেও  প্রায় দুই সাপ্তাহ ধরে বেড়েই যাচ্ছে রোগীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সবচাইতে বেশি প্রভাব পরে ফুসফুসে আর তখনই শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। আইসিইউতে রোগীদের রাখা হয় মূলত তাদের ফুসফুসের শক্তি বাড়ানোর জন্য, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারে।

অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের নিয়মিত ফুসফুসের ব্যায়ামগুলো করা উচিত এতে ফুসফুস শক্তিশালী হবে।  বিশেষজ্ঞরা সুস্থ হয়ে উঠতে চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যায়াম করার ওপরে জোর দিচ্ছেন। নিয়মিত ফুসফুসের ব্যায়াম করার ফলে ফুসফুস অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে যার ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। কিছু ফুসফুসের ব্যায়াম দেওয়া হলো।

 ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ

ফুসফুসের শক্তিশালী করার জন্য খুব ভালো ব্যায়াম হচ্ছে  ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ।  এর জন্য প্রথমে পিঠ সোজা করে বসো। প্রথমে মুখ দিয়ে শ্বাস নেও। বুক ভরে শ্বাস নাও যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখো, এরপরে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ো। গভীর ভাবে একদম ভেতর থেকে শ্বাস নেও।  এতে ফুসফুসের ফুসফুসের কোষগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে যার ফলে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি হয় না।  চেষ্টা করুক কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার। প্রথম দিন একটু কষ্ট হলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।

শ্বাস নেয়ার সময় হাত তুলো

অনেক চিকিৎসক বলেন যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের উচিত শ্বাস নেওয়ার সময় হাত উচু করা  এবং শ্বাস চারার সময়ে হাত নামিয়ে ফেলা। এই ব্যায়ামটি খুব উপকারী করোনা আক্রান্তদের জন্য।

এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে পুরো শরীর সক্রিয় হয়ে যায়। দিনে কয়েকবার এভাবে ব্যায়ামটি করলে অনেক উপকার পাবেন।

উপুড় হয়ে ঘুমাও

অনেক সময় দেখা যায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয়। যার কারণ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার।  এ সময়ে  উপুর হয়ে শুয়ে থাকো অথবা পাশ ফিরে শুয়ে থাকো। এজন্য উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বা পাশ ফিরে শুয়ে থাকলে শরীরের অক্সিজেনের সরবরাহ বেড়ে যায়। চেষ্টা করো  মাথার নিচে বালিশ না নিয়ে শুতে।

বাষ্প গ্রহণ

আমরা অনেকেই আক্রান্ত না হয়েও যখন  করোনার অনেক প্রকব বাসায় গরম পানি ভাপ নিয়েছি।  যদি করোনায় আক্রান্ত হও তবে নিয়মিত গরম পানির ভাব বা বাস্প নেও। এটাক ফুসফুসের জন্য অনেক বেশি উপকারী। গভীর ভাবে শ্বাস নিয়ে বাস্প গ্রহণ করে ব্যায়াম করো। এতে করে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা।

নাক বন্ধ করে শ্বাস

তোমার ফুসফুসকে চাঙ্গা রাখতে মাহে মাঝে নাক বন্দ করে শ্বাস নেও। এর জন্য প্রথমে হাত দিয়ে  নাকের বাম পাশ বন্ধ করো আর ডান পাশ দিয়ে লম্বা শাস নেও। অন্তত ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে ররেখে ছেড়ে দাও। এটা খুব সহজ আর কার্যকরী ব্যায়াম। এভাবেই ডান পাশের নাক বন্দ করে বাপ পাশ দিয়ে শ্বাস নেও।

যেসব ক্ষেত্রে ব্যায়াম করবে না।

অনেক সময় দেখা যায় যে  রোগির অবস্থা অনেক বেশি খারাপ এবং একা শ্বাস নিতে পারছে না সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। যদি আগে থেকেই ফুসফুসে দির্ঘমেয়াদি রোগ থাকে সেক্ষেতে ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনেক সময়ে দেখা যায় যে, অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী ব্যায়াম করার ফলে অসুস্থ বোধ করে। এমন সমস্যা দেখা দিলে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

যদু ব্যায়াম করার পর বা ব্যায়াম করার সময়ে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায় তবে ব্যায়াম করবে না। কারণ এটা সত্যি বিপদজনক।

তুমি যদি করোনা আক্রান্ত নাও হও আর ফুসফুসের শক্তি বাড়াতে চাও তবে এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করতে পারো। শরীর ফিট রাখার জন্য যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন ফুসফুসকে সজীব রাখতেও বায়্যাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তথ্য সুত্র : বিবিসি

গ্রন্থনা : সাবিহা জামান

ছবি : সংগৃহীত

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়বিশেষ রচনাসচেতনতাসমস্যা

করোনায় বাড়ছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২১

করোনা মহামারির কারণে বাল্যবিবাহ মারাত্মকভাবে বাড়ছে। শুধু গেল বছরই জোর করে পাঁচ লাখ মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিশু অধিকার সুরক্ষা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী বহু পরিবারকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে মেয়েদের মা-বাবারা মনে করছে, মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া ছাড়া এ মুহূর্তে তাদের আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই। এ ক্ষেত্রে নাবালিকার হবু স্বামীর বয়স নিয়ে তারা ভাবছে না। এ কথা বলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক ইঙ্গার অ্যাশিং। বর্তমান পরিস্থিতি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক দশকের সংগ্রামের অগ্রগতিকে রোধ করে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি তৈরি করছে বলেও মনে করেন তিনি।


লন্ডনে সেভ দ্য চিলড্রেনের লিঙ্গসমতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ গাগ্রিয়েলে সাজাব বলেন, দুঃখজনক বিষয় যে মহামারি লিঙ্গবৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। করোনায় স্কুল বন্ধ, মা-বাবারা চাকরি হারাচ্ছে, লকডাউনে বাড়ছে সহিংসতা আর ধর্ষণ। এসব কারণে কন্যার নিরাপত্তার কথা ভেবে মা-বাবারা তাদের নাবালক মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। বিয়ে হলে মেয়ে অন্তত ক্ষুধা আর বঞ্চনা থেকে রক্ষা পাবে বলে তাদের ধারণা।

এদিকে করোনার কারণে ২০২০ সালে কমপক্ষে আরও পাঁচ লাখ মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেনের গ্লোবাল গার্ল হুড প্রতিবেদনে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহের শিকার হতে পারে আরও অতিরিক্ত ২৫ লাখ মেয়ে। গত ২৫ বছরের মধ্যে এবারই বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি। ২০২৫ সালে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়ে মোট ৬ কোটি ১০ লাখ হতে পারে বলে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে।

এ বছর আগের তুলনায় আরও ১০ লাখ বেশি কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায়। আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের কী অবস্থা?
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তারের এ সময় বাল্যবিবাহের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্রামীণ পরিবারগুলোতে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা এ সময়টায় দেশে ফিরেছেন। সমাজবাস্তবতায় প্রবাসে কাজ করা ছেলের ‘পাত্র’ হিসেবে চাহিদা বেশি। আর এ অবরুদ্ধ অবস্থায় বিয়ে দিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন অভিভাবকেরা। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি এখন কম হচ্ছে। সেই সুযোগও কাজে লাগাচ্ছে কেউ কেউ। সমাজের দরিদ্র অনেক অভিভাবকই এ সময় মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন, এ সময়টায় মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। তাই খুব বেশি মানুষকে আপ্যায়ন করতে হচ্ছে না। এতে তাদের খরচও কমে যাচ্ছে।

বিভিন্ন গবেষণা বলছে, লকডাউনে ঘরের মধ্যে পরিচিত মানুষের মাধ্যমে মেয়েশিশুরা যৌন হয়রানির শিকার বেশি হচ্ছে। এ দিকটাও বাল্যবিবাহ দেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার কথা সরকারি স্তরে কিন্তু স্বীকার করা হচ্ছে না। সরকারি ভাষ্য, হয়তো বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, কিন্তু বেড়ে যে গেছে এর অকাট্য প্রমাণ নেই। যদিও মাঠপর্যায়ের গবেষণায় বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট।

বাল্যবিবাহ বাড়ছে
আন্তর্জাতিক সংগঠন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল কুড়িগ্রাম জেলার বাল্যবিবাহের বিষয়টি নজরদারি করে। সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে, গেল বছরের ফেব্রæয়ারি ও মার্চ মাসে জেলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা ছিল ৮ শতাংশ। এপ্রিলে এসে এটি ১ শতাংশ বেড়ে যায়। মে মাসে মোট বিয়ের ১১ শতাংশ বাল্যবিবাহ হয়। এই চার মাসে ধীরে ধীরে নিবন্ধিত বিয়ের সংখ্যা কমছে, বাড়ছে অনিবন্ধিত বিয়ে। আবার এ সময়ে বাল্যবিবাহ ঠেকানোর ঘটনা কমে যাচ্ছে। ফেব্রæয়ারিতে যেখানে ১৪টি বিয়ে ঠেকানো হয়েছিল, মে মাসে সেখানে ঠেকানোর সংখ্যা মাত্র দুই।

২০১৭ সাল থেকে বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এ কাজ করছে প্ল্যান। প্রকল্পের আওতায় ৭৬টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ যুব ফোরাম গঠন করা হয়েছে। তরুণেরা সংগঠিত হয়ে একাধিক বিয়ে ঠেকিয়েছে। প্রকল্পে ইমাম ও ঘটকদের প্রশিক্ষণ এবং যেসব বাবা বিয়ে না দিয়ে মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন, তাদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যুব ফোরামসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। তবে প্রকল্প ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী বললেন, সামাজিক শক্তিগুলোর সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ কমছিল। কিন্তু করোনার কারণে এই সামাজিক শক্তিগুলোর সক্ষমতা কমতে শুরু করে। যুব ফোরামের সদস্যরাও কাক্সিক্ষত মাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে পারছে না। আবার করোনা নিয়ে বাস্তবিকভাবে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় পুলিশ বা প্রশাসনও সহযোগিতা করতে পারছে না। সব মিলে একধরনের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছেন অভিভাবকেরা।

ব্র্যাকের গবেষণায় বলা হয়েছে, ৮৫ শতাংশ বাল্যবিবাহ হয়েছে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে। ৭১ শতাংশ হয়েছে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। বাইরে থেকে আসা ছেলে হাতের কাছে পাওয়া ৬২ শতাংশ বিয়ের কারণ ছিল।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্প বাল্যবিবাহ সব ধরনের নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টি তদারক করছে। বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন এর প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন। বাল্যবিবাহ যে বাড়ছে না, সে প্রমাণ দিতে তিনি তিনটি তথ্যের উৎস তুলে ধরেন। আবুল হোসেন জানান, প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকেরা বাল্যবিবাহ নজরদারি করছেন।

একেবারে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে এই নজরদারি চলে। এসব ক্ষেত্র থেকে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে না যে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সরকারের হেল্পলাইন নম্বরে (১০৯) আসা কলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বটে, কিন্তু সেখানে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েছে তা দেখা যায়নি। সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ। একজন যে আরেকজনের বাড়িতে যাবে, সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে। মানুষের মধ্যে ভীতি আছে আবার তারা আনুষ্ঠানিকতাও করতে পারছে না। তাই বিয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তা বলা শক্ত।

কেন বাড়ছে বাল্যবিবাহ

বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগ নারী ও কিশোরীদের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। ব্র্যাক ১১টি জেলায় তাদের কর্ম এলাকায় ৫৫৭ জন নারী-পুরুষের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে এ সমীক্ষা করে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৭৫ শতাংশই নারী। ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের তৎকালীন পরিচালক আন্না মিনজের নেতৃত্বে এ জরিপ চলে। দেখা যায়, জরিপ এলাকায় বাল্যবিবাহ আগের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিবাহ দিয়ে দিয়েছে বা চিন্তা করছে এমন মা-বাবার ভাবনা হলো এই করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে। এতে অর্থনৈতিক সংকট আরও দীর্ঘায়িত হবে, তাই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকলে দিয়ে দেওয়াই ভালো। বেশির ভাগ বাবা-মা এলাকায় বিদেশ থেকে আসা ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে ইচ্ছুক। আর এ সময় তা পেয়েও যাচ্ছে। আর বাল্যবিবাহ দিলেও এ সময় প্রশাসন তাতে বাধা দিতে পারবে না বলেও মনে করছে তারা।

ব্র্যাকের গবেষণায় বলা হয়েছে, ৮৫ শতাংশ বাল্যবিবাহ হয়েছে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে। ৭১ শতাংশ হয়েছে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। বাইরে থেকে আসা ছেলে হাতের কাছে পাওয়া ৬২ শতাংশ বিয়ের কারণ ছিল। করোনা ঠেকাতে ব্যস্ত প্রশাসনের বিয়ে ঠেকানোর কড়াকড়িতে যে শৈথিল্য আছে, তা ব্র্যাকের গবেষণায় স্পষ্ট।

বিষয়টির দিকে আবুল হোসেনের বক্তব্য হলো, ‘এখন স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রশাসন করোনাকে প্রাধান্য দিয়েছে। বাকি কার্যক্রমগুলো হয়তো প্রাধান্যের তালিকায় নিচের দিকে চলে গেছে। হয়তো নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহের সম্ভাবনাটা বেড়ে গেছে। কিন্তু বেড়েছে সেটা বলা কঠিন।’

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হেল্পলাইনে আসা অভিযোগের বরাত দিয়ে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক (কর্মসূচি) নিনা গোস্বামী বলেন, ‘জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে। আর আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ বেড়ে যাচ্ছে।’

 

আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন, বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ২১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।

অথচ বাংলাদেশসহ বিশ্বনেতারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ নির্মূলের অঙ্গীকার করেছিলেন।

লেখা: রোদসী ডেস্ক
তথ্যসূত্র : এনএস/এসিবি, ইপিডি, কেএনএ, সেভ দ্য চিলড্রেন

ছবি: ইউনিসেফ ও সংগৃহীত

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ফটো ফিচার

ছবিতে করোনার লকডাউনে বিশ্বব্যাপী ঈদুল ফিতর

করেছে Wazedur Rahman জুন ১, ২০২০

করোনার কারণে লকডাউনে বিশ্ব স্থবির হয়ে আছে, তাও মাস তিনেকের বেশী তো হবেই। মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান পবিত্র মক্কা শরীফও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মুসলিম দেশে মসজিদগুলোতে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র গুটিকয়েক মুসল্লিকে নিয়েই নামাজ আদায় করার অনুরোধ করা হয় সরকার প্রধানের তরফ থেকে। এর মধ্যেই চলে আসে মুসলমানদের কাছে বছরের সেরা আর পবিত্রতম মাস রমজান। তাই রমজানের আগেই জানিয়ে দেয়া হয় তারাবীহসহ সকল নামাজে লোক সমাগম না করতে। 

এমনকি একমাসের সিয়াম সাধনা শেষে ঈদের নামাজেও দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। ঈদগাহ মাঠ বাদ দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদেই স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাত আদায় করেন। যেহেতু লকডাউনে কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল প্রশাসন সেহেতু এবারের ঈদটা বিশ্বব্যাপী খানিকটা ভিন্নরকম হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর রোদসীর পাঠকদের জন্য আজকের আয়োজনে থাকছে করোনার লকডাউনে বিশ্ববাসীর ঈদুল ফিতর উদযাপনের সচিত্র প্রতিবেদন।  

Mohammad Ponir Hossain/Reuters 

ঢাকা, বাংলাদেশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের নামাজ জামাতে আদায়ের একটি দৃশ্য।

Ajit Solanki/AP

আহমেদাবাদ, ভারত। ঈদের দিন গৃহহীন আর দুস্থ মানুষদের মধ্যে ঈদের খুশি বাটতে ক্ষীর বিলাচ্ছে এক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

GETTY IMAGES

চেচনিয়া, রাশিয়া। ঈদের জামাত শুরুর আগে একজন স্বেচ্ছাসেবীকে দেখা যাচ্ছে মুসল্লিদের মধ্যে হাত গ্লাভস বিতরণ করতে।  

GETTY IMAGES 

তিরানা, আলবেনিয়া। তিরানার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করার দৃশ্য।

Bakr ALKASEM/AFP

ইদলিব, সিরিয়া। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের মারেত মিসরিন শহরের কাছে একটি ক্যাম্পে বাস্তুহারা শিশুরা, রমজানের শেষে ঈদের ছুটিটা নিজেদের মতো করে খেলাধুলা করে উদযাপন করছে।  

VASSIL DONEV/EPA 

সোফিয়া, বুলগেরিয়া। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্ব মেনে সোফিয়ার লোকোমোটিভ স্টেডিয়ামে ঈদের নামাজের জন্য অপেক্ষায়রত মুসল্লিদের একাংশ।

VAHID SALEMI/AP PHOTO 

তেহরান, ইরান। তেহরানের এক মসজিদে নামাজ শেষে দোয়ায়রত সকল মুসল্লিদের মুখেই ফেসমাস্ক আর সামাজিক দূরত্ব মানার রীতি দেখা যায়।

 VISAR KRYEZIU/AP PHOTO

প্রিস্টিনা, কসোভো। প্রিস্টিনা জাতীয় জামে মসজিদে ঈদের দিনে ইমামের কাছ থেকে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তেলাওয়াত শোনার একটি দৃশ্য।

MUHAMMAD SAJJAD/AP PHOTO 

পেশোয়ার, পাকিস্তান। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খোলা ময়দানেই আদায় করা হয় ঈদের জামাত, তারই একটি দৃশ্য।

MOHAMMAD ISMAIL/REUTERS

কাবুল, আফগানিস্তান। কাবুলের এক মসজিদের বাইরে বাচ্চাদের খেলাধুলা আর আনন্দ উদযাপনের একাংশ। 

SAEED KHAN/AFP

সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। সিডনির লাকেম্বা মসজিদ থেকে লোক সমাগম করে ঈদের জামাতে নিষেধাজ্ঞা করা হলেও, অনলাইনের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে ঈদের জামাত এবং খুতবার আয়োজন করা হয়; যাতে করে মুসল্লিরা নিজেদের ঘরে বসেই নামাজ আদায় করতে পারে এই লকডাউনে।  

MADAREE TOHLALA/AFP

নারাথিওয়াট, থাইল্যান্ড। ফেসমাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইয়াকানিয়াহ মসজিদের মাঠে নামাজের জন্য অপেক্ষায়রত মুসল্লিদের একাংশ।  

MOHAMMAD PONIR HOSSAIN/REUTERS

মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ। ঈদের ছুটিতে অভিবাসী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছে; যার জন্য এই করোনার সময়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফেরীতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

THIERRY GOUEGNON/REUTERS

আবিদজান, আইভরি কোস্ট। আবিদজানের অন্তর্গত আদজামির মুসল্লিরা এভাবেই মসজিদের বাইরে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করে। 

MOHAMED ABD EL GHANY/REUTERS

কায়রো, মিশর। লকডাউনে মসজিদগুলোতে জামাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে কায়রোর বেশীরভাগ বাসার ছাদেই উক্ত ভবনের বাসিন্দারা নামাজের ব্যবস্থা করে। তেমনি একটি বাসার ছাদে ঈদুল ফিতর আদায় করার দৃশ্য।  

DANISH ISMAIL/REUTERS

কাশ্মির, ভারত। শ্রীনগরের এক মসজিদের বাগানে সামাজিক দূরত্ব মেনে এভাবেই ঈদের জামাত আদায় করা হয়।

ZIK MAULANA/AP PHOTO 

আচেহ, ইন্দোনেশিয়া। লোকসুমাওয়াত মসজিদে ঈদের জামাতের একাংশ।

KHALIL HAMRA/AP PHOTO 

গাজা, ফিলিস্তিন। গাজার এক মসজিদের বাইরের উঠানে ঈদের নামাজের জন্য অপেক্ষায়রত মুসল্লিদের একাংশ।

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ
ফিচার ইমেজ: GETTY IMAGES 
সূত্র: আল জাজিরা এবং বিবিসি।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ফটো ফিচার

এক নজরে করোনায় বিশ্ব পরিস্থিতি চিত্র 

করেছে Sabiha Zaman মে ২০, ২০২০

ব্যারেল প্রতি তেলের দাম, সিরিয়া যুদ্ধ, আইএস, শরণার্থী সমস্যা সব কিছুকে পিছে ফেলে সারা বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসের  কাছে পরাজিত। ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগি পাওয়া যায় চীনে। বিশ্বে প্রথম চীনেই হানা দেয় এই ভাইসায়। বর্তমানে করোনায়  আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। আর এ ভাইসারে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।  এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক তৈরি হয়নি।  দিন রাত পরিশ্রম করছেন চিকিৎসকরা আক্রান্তদের সুস্থ করতে। 

করোনার ভয়াবহতা আর বিস্তার রোধে সারা বিশ্ব আজ স্থবির। থেমে গেছে  মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। তাই জনমানব শূন্য রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, অফিস। সবকিছু যেন করোনার থাবায় থেমে গেছে। মানুষ আজ গৃহবন্দী। দমবন্ধ লকডাউনে কেমন চলছে বিশ্ব এ নিয়েই আজকের ফটো ফিচার।  

MAHMUD HOSSAIN OPU/AL JAZEERA

ঢাকা,বাংলাদেশ। চলমান লকডাউনে জনশূন্য রাজপথ।

Gustavo Garello/AP

বুয়েনস আইরেস,আর্জেন্টিনা। খালি স্টেডিয়ামে পেশাদার ফুটবল ম্যাচ খেলছে আলিয়ানাজা লিমা এবং রেসিং ক্লাব।

Emilio Morenatti/AP

স্পেন,বার্সেলোনা। ৭ বছর বয়সী গালা তার ৬ বছর বয়সী বন্ধুর সাথে কথা বলছে নিজেদের বাসার ছাদ থেকে।

Patrícia de Melo Moreira/AFP/Getty Images

লিসবন,পর্তুগাল। সামাজিক দূরত্বকে সম্মান জানিয়ে মে দিবসের একটি বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ।

Bandar Aldandani/AFP/Getty Images

মক্কা,সৌদি আরব। লকডাউন চলাকালে ৬ মার্চ মুসলিমদের প্রবিত্র স্থান কাবার চিত্র।   

Francois Mori/AP

আইফেল টাওয়ার,প্যারিস।আইফেল টাওয়ারের পাশের খালি ট্রোকাডেরো প্লাজায় টহল দিচ্ছেন পুলিশ। 

Siful Islam

মিরপুর,ঢাকা। করোনায় চলমান লকডাউনের মাঝেই নিয়ম না মেনে ত্রাণ নিতে মানুষের ঢল।

Mladen Antonov/AFP/Getty Images

পাতায়া,থাইল্যান্ড। জনশূন্য পাতায়ায় সিয়াম থিম পার্ক। 

Khalid al-Mousily/Reuters

বাগদাদ,ইরাক। বাগদাদে লকডাউনের কারণে একজন ইমাম খালি মসজিদে একা নামাজ আদায় করছেন।  

Aly Song / Reuters

সাংহাই,চায়না। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সাংহাই রেলস্টেশনে মাস্ক আর প্লাস্টিকের ব্যাগে নিজেদের ঢেকে আছেন যাত্রীরা।

MAHMUD HOSSAIN OPU/AL JAZEERA

ঢাকা,বাংলাদেশ। যথাযত ধর্মীয় নিয়ম মেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির কবর দিচ্ছেন পিপিই পরিহিত স্বেচ্ছাসেবীরা।  

Anushree Fadnavis/Reuters

নয়াদিল্লি,ভারত। রাস্তায় কোন যানবহন না থাকায় রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছে একটি বানর ফাঁকা রাস্তা পার হচ্ছে। 

Jeenah Moon/Reuters

নিউ ইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র। স্থির দাড়িয়ে নিউ ইয়র্কের জনমানবহীন পাতাল রেল।

Nardus Engelbrecht/AP

কেপটাউন,দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন কেপটাউনের সি পয়েন্ট প্রমিনেডে পার্কে দুলছে শূন্য দোলনাগুলো।

Amanda Perobelli/Reuters

সাওপাওলো,ব্রাজিল। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত দেহ কবরের জন্য প্রস্তুত ভিলা ফর্মোসা কবরস্থান।  

Yen Duong/Reuters

হো চি মিন,ভিয়েতনাম। দেশব্যাপী লকডাউনের পর ১১ মে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর ক্লাসের প্রথম দিন এভাবেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাপমাত্রা যাচাই করা হয় ।

Eric Gaillard/ Reuters

নাইস,ফ্রান্স। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রামওয়ের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা।

Marco  Longari/AFP/Getty Images

দক্ষিণ আফ্রিকা,জোহানেসবার্গ। স্বেচ্ছাসেবীদের ফুড ব্যাংকের অপেক্ষায় নারী। 

Mohammad Ponir Hossain/ Reuters

ঢাকা,বাংলাদেশ। করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

Hannah Mckay/Reuters

ব্রিটেন,যুক্তরাজ্য। করোনা ভাইরাসের সময় জন্ম নেওয়া নবজাতকে মায়ের কোলে তুলে দিচ্ছেন চিকিৎসক।

Orestis Panagiotou/Pool via Reuters

এথেন্সে,গ্রীস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লকডাউন ব্যবস্থা সহজ করার প্রথম দিনে মাস্ক আর সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করছে গ্রিসের হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।  

Eddie Keogh/Reuters

আইলসবারি,ব্রিটেন। রংধনু আঁকার পর জ্যাক ওয়েলার তার বাড়ির জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। সে তার আঁকা ছবির মাধ্যমে সবাইকে ঘরে নিরাপদে থাকার আহবান জানাচ্ছে। 

লেখা : সাবিহা জামান শশী

ছবি : ইন্টারনেট

২ মন্তব্য
0 FacebookTwitterPinterestEmail
ফটো ফিচার

ছবিতে করোনার লকডাউনে বিশ্বব্যাপী রমজান পরিস্থিতি

করেছে Wazedur Rahman মে ১৭, ২০২০

বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। লকডাউনে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। থেমে গেছে সকল কলকারাখানা আর গাড়ির চাকা। মানুষ এখন গৃহবন্দী অবস্থায়। এমনকি বছরের পবিত্রতম এই রমজান মাসেও ঘরবন্দী অবস্থায়ই দিন কাটাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। কেমন চলছে পুরো বিশ্ব এই রমজানে? ছবিতে পুরো বিশ্বজুড়ে করোনার লকডাউনে বিশ্বব্যাপী রমজান পরিস্থিতির ছবি দেখে আসি – 

REUTERS/Mike Segar

নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র। নিউ জার্সির প্যাটারসনের প্যাসাসিক কাউন্টির ইসলামিক সেন্টারের ভিতরে রমজানের এক মধ্যদুপুরে এক রোজাদার ব্যক্তি সেজদায়রত শূন্য মসজিদে। 

REUTERS/Khalil Ashawi

আলেপ্পো, সিরিয়া। আতারিব শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের একদল স্বেচ্ছাসেবী ইফতার আয়োজনের ব্যবস্থা করে দেয়; তাদের খাবার গ্রহণের একাংশ। 

Saudi Press Agency/Handout via REUTERS

মক্কা, সৌদি আরব। মক্কার কাবা শরীফের সামনে একজন সৌদি রক্ষীবাহিনীর কর্মকর্তা পাহারায়রত। করোনাভাইরাসের কারণে রমজানে মক্কা বন্ধ করে রেখেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

REUTERS/Parwiz

জালালাবাদ, আফগানিস্তান। জালালাবাদের এক মসজিদে আফগান ছেলেরা কোরআন পড়ছে তাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। 

REUTERS/Omar Sobhani

কাবুল, আফগানিস্তান। কাবুলের এক মসজিদে বসে কোরআন তেলাওয়াত করছেন একজন মুসল্লী।

WANA (West Asia News Agency)/Ali Khara via REUTERS

তেহরান, ইরান। রমজানের দিনগুলোতে গরীব লোকেদের ইফতারের আয়োজন সাজিয়ে দিতে সাহায্য করছে এক বাচ্চা। 

REUTERS/Wolfgang Rattay

উপার্তাল, জার্মানি। এক বাংলাদেশি প্রবাসী তার দুই সন্তান এবং নিজের জন্য মসজিদ থেকে বাসা ডেলিভারির আওতায় থাকা ইফতারের প্যাকেজ গ্রহণ করছেন। 

REUTERS/Akhtar Soomro

করাচি, পাকিস্তান। করাচির এক সড়কে ডিভাইডারে বসে দিনমজুর এক ব্যক্তি রোজা ভাঙছে। 

REUTERS/Muhammad Hamed

রুশিফা, জর্ডান। রাশিফা শহরে মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক এক দুস্থ পরিবারকে ইফতার প্যাকেট দেয়ার একটি মুহূর্ত। 

REUTERS/Mohammad Ponir Hossain

ঢাকা, বাংলাদেশ। ঢাকার তারা মসজিদে এক মুসল্লী বসে কোরআন তেলাওয়াত করছে। 

REUTERS/Dinuka Liyanawatte

কলম্বো, শ্রীলংকা। নিজের বাড়ির ছাদে বসে এক ছেলে ইফতারের অপেক্ষায় বসে থাকার আগের মুহূর্ত। 

REUTERS/Dinuka Liyanawatte

কলম্বো, শ্রীলংকা। কলম্বোতে একটি পরিবার নিজেদের বাড়ির ছাদে ইফতার সম্পন্ন করছে। 

REUTERS/Anushree Fadnavis

দিল্লী, ইন্ডিয়া। পুরনো সরকারী কোয়ার্টের বাসিন্দাদের ইফতার আয়োজনের একটি দৃশ্য। 

REUTERS/Mohamed Abd El Ghany

কায়রো, মিশর। কায়রোতে পরিবারের সঙ্গে জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করার পর ছেলেটি কোরআন তেলাওয়াত করছে। 

REUTERS/Jorge Silva

ব্যাংকক, থাইল্যান্ড। ব্যাংককের এক মসজিদে রমজানের প্রথম দিনে এক ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে এসেছেন ফেসমাস্ক পরে। 

Antara Foto/Wahdi Septiawan/via REUTERS

জাম্বি, ইন্দোনেশিয়া। জাম্বির এক জনশূন্য মসজিদে এক মুসল্লীর নামাজ আদায়ের দৃশ্য।  

Aamir Qureshi /AFP via Getty Images

ইসলামাবাদ, পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এক মসজিদে স্থাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায়ের দৃশ্য। 

Aamir Qureshi /AFP via Getty Images

ইস্তাম্বুল, তুরষ্ক। রমজান শুরুর আগেই লকডাউন ঘোষণা করা হলেও রমজানের প্রথম দিনে মসজিদে এরকম গুটিকতেক ধর্মপ্রাণ লোকের দেখা মিলে। 

Jaafar Ashtiyeh/AFP/Getty

নাবলুস, ফিলিস্তিন। নাবলুসের আল নাসির মসজিদের কাছেই থাকা এক বাড়ির বাসিন্দা কোরআন তেলাওয়াত করছে নিজের বারান্দায় বসে।

Anadolu Agency/Getty Images

অ্যাথেন্স, গ্রীস। গ্রীসের এক পরিবার গৃহবন্দী অবস্থায় জামাতে নামাজ আদায় করছে। 

Rehman Asad/Barcroft Media/Getty Images

ঢাকা, বাংলাদেশ। ঢাকার বাইতুল মুকাররম জাতীয় জামে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায়ের দৃশ্য। 

Anas Alkharboutli/picture alliance/Getty Images

আতারিব, সিরিয়া। ধ্বংস প্রায় এক ভবনের সামনে বসে সিরিয়ানদের ইফতারের দৃশ্য। 

Prakash Mathema/AFP via Getty Images

কাঠমুন্ডু, নেপাল। এক মুসল্লী নেপালের এক জামে মসজিদ নামজ আদায় শেষে দোয়ায়রত। 

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook