রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

গার্ডেনিং

গার্ডেনিং

ছাদে যখন শখের বাগান

করেছে Sabiha Zaman মার্চ ১৮, ২০২০

বেশ কিছুদিন আগে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাজধানীর একটি পুর-নোটিশে ঘোষণা করা হয়েছিল যে বাড়ির ছাদের বাগানকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে সরকার। আর যারা ছাদে বাগান করবে, প্রতিটি বাড়িপিছু বছরের ট্যাক্সের একটা নির্দিষ্ট শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে সবুজায়নে ছাদে বাগান করার গুরুত্ব ঠিক কতটা, সেটা বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, এখন যেভাবে চারপাশে দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে প্রতিটি ছাদে লাগানো সবুজ সেই দূষণের মাত্রাও যে কিছুটা কমাবে, তাতে আর সন্দেহ কী!

শহরজুড়ে ছাদে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে। শহরে বাড়ির সামনের মাটি প্রায় পাওয়া যায় না বললেই চলে। তার ওপর ফ্ল্যাটগুলোতে গাছ লাগানোর আর উপায়ও নেই। এ অবস্থায় ফ্ল্যাটের বারান্দায় কিচেন গার্ডেন কিংবা ছাদের বাগানই ভরসা। আর আজকাল একটু লক্ষ করে দেখবে, বড় বড় রেসিডেন্সিয়াল প্রজেক্টগুলোতে ছাদে বাগান করার ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে। এতে আকৃষ্ট হয় সাধারণ মানুষ। গাছ, পাখি, পানি, নদী- এসব সাধারণ দুচোখে বড্ড প্রিয়। আর তাই আমাদের এই শহরেও কিন্তু ছাদের বাগান বাড়ছে ক্রমে।

ছাদে বাগান করা যদিও খুব একটা সহজ কাজ নয়। বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আগে ছাদটিকে গাছ লাগানো কিংবা বাগান করার মতো উপযোগী করে নেওয়াটা দরকার। ছাদে বাগান করার সময় সবচেয়ে আগে রুফ ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেওয়াও জরুরি। একে ”ছাদের চিকিৎসা” বলা যেতে পারে।

ছাদের মধ্যে বেশ কয়েকভাবে বাগান করা যায়। ছোট টবগুলোয় একটু সমস্যা হয়, কারণ গাছ খুব একটা বাড়ে না। তাই সিমেন্টের বড় টব কিনে বা বানিয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়াও বড় প্লাস্টিকের ড্রামেও লাগানো যায় গাছ। তবে যেখানেই গাছ লাগাও না কেন, এগুলোর মধ্যে একেবারে নিচে কয়েকটা ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। এবার কিছু পাথরের টুকরো টবের একেবারে নিচে দিতে হবে। তারপর এক ধাপ মাটি। মাটির উপরে সার। জৈব সার হলেই সবচেয়ে ভালো। তারপর আবার মাটি। এভাবেই টব প্রস্তুত করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হলো কী কী গাছ পুঁতবে ছাদের গাছের টবে? খুব নরম প্রকৃতির গাছ না পোঁতাই ভালো। কারণ, ছাদের রোদে লড়াই করতে হবে গাছগুলোকে। সে ক্ষেত্রে বড় গাছের বনসাই, কলমের ফল কিংবা ফুলের গাছ লাগানোই সবচেয়ে ভালো। নানা ধরনের গাছ ছাদে লাগাতে দেখেছি, এমনকি কলাগাছ, আমগাছ, নারকেলগাছও ছাদের টবে লাগাতে দেখেছি। সুতরাং ছাদে ঠিকঠাক গাছ লাগানোর জায়গাটা প্রস্তুত হলেই মন ভালো করা সব ধরনের গাছই লাগিয়ে দিতে পারো ছাদে।

ছাদের ওপরে ছোট পিলার করে মেঝে ঢালাই করে, চারপাশে ফুট দেড়-দুইয়ের মতো পাঁচিল দিয়ে তার মধ্যে সার মেশানো মাটি ফেলা হলো। এই মাটির মধ্যে কোরিয়ান ঘাস বিছিয়ে দেওয়া হলো কার্পেটের মতো। নিয়মিত পানি আর যত্নে খুব সুন্দর হয়ে উঠবে এই ছাদের উদ্যান। চারপাশে নানা বড় বড় টবে গাছ থাকল। ছোট ছোট গার্ডেন চেয়ার রাখতে পারো, আবার ঘাসের কার্পেটের ওপরেও আরাম করে বসতে পারো। ছাদের পাঁচিল ঘেঁষে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। গরমের দিনের সন্ধে বা রাতে, আর শীতের দুপুর কিংবা বিকেলবেলা অসাধারণ অনুভূতিতে কেটে যাবে সময়।

লেখা : রোকেয়া ইসলাম

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
গার্ডেনিং

বনসাইবিলাস

করেছে Wazedur Rahman জানুয়ারী ২৬, ২০২০

তোমার বাড়ি সেজে উঠুক বট, অশ্বত্থ, পাকুড়, কমলালেবু গাছের সমারোহে। না, বাগানবাড়ির কথা বলছি না। তোমার কয়েক শ স্কয়ার ফুটের ছোট ফ্ল্যাটেই জায়গা হবে এসব মহিরুহের। সবুজ ও আভিজাত্যের ছোঁয়ায় ঘর হবে তপোবন। কোথাও বটের ঝুড়ি নেমে আসবে। কোথাও ফলভারে নুয়ে পড়বে কমলালেবুর গাছ। কখনো-বা পাতা নয়, শুধু লাল ফুলে ভরে থাকবে কৃষ্ণচূড়া।

শুনতে অলীক লাগলেও এটা সম্ভব। সম্ভব, বনসাই পদ্ধতিতে করা গাছের মাধ্যমে। সহজভাবে আমরা বনসাই বলতে বুঝি বড় গাছের মিনিয়েচার বা ক্ষুদ্র সংস্করণ। বনসাই তৈরি থেকে পরিচর্যার সাতপাঁচ থাকল তোমার সবুজ প্রিয় মনটার জন্য। ঠিকঠাক যত্ন নিলে বনসাই করাটা কঠিন কিছু নয়। আর জানোই তো, বাড়িতে একটি নান্দনিক বনসাইয়ের কদর কতটা।

আসলে বনসাই শব্দটি জাপানি। ‘বন’ মানে টব বা ছোট পাত্র, ‘সাই’-এর অর্থ মাটিতে পুঁতে দেওয়া গাছ। ২৬৫ থেকে ৪২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চীনের জিন সাম্রাজ্যের সময়ের লেখালেখিতে প্রথম বনসাই পদ্ধতির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে কিন্তু বনসাই শব্দটা ছিল না, ছিল ‘পেনজাই’ শব্দটি।

শোনা যায়, জাপানে চীনা ছাং রাজবংশের শাসনকালে জাপানিরা চীনাদের কাছ থেকে বনসাই সংস্কৃতি আত্মস্থ করেছিলেন। প্রথম এক জাপানি জেন সন্ন্যাসী তার লেখায় ‘বনছেকি’ শব্দটা ব্যবহার করেন। ধরে নেওয়া হয়, সেখান থেকেই এসেছে বনসাই।

প্রথম প্রথম জাপানিরা এই বামনাকৃতি গাছ দিয়ে ঘরবাড়ি সাজাত। পরে বনসাই দিয়ে বড় বড় বাগান তৈরি শুরু হয়। আজও জাপানে প্রাচীন বনসাইগুলো ওই দেশের জাতীয় সম্পদ। ক্রমে বনসাই-চর্চা চীন, জাপান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে। আর এখন তো গোটা বিশ্বেই। আমাদের দুই বাংলায় বনসাই চর্চা বেশ জনপ্রিয়।

বনসাইয়ের প্রথম পাঠ

যে কোনো ভালো নার্সারি থেকে পছন্দসই বনসাই কিনতে পারো। কিন্তু সময় ও ধৈর্য থাকলে নিজে হাতেও তৈরি করে ফেলতে পারো বনসাই। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় বট, অশ্বত্থ, বকুল, শিমুল, পাকুড়, তেঁতুল, শিরীষ, পলাশ, ছাতিম, জাম, নিম, পেয়ারা, ডালিম, কমলালেবু, অর্জুন, করমচা, কৃষ্ণচূড়া, দেবদারু, নিম, কনকচাঁপা, পাথরকুচি, বোগেনভিলিয়া, চীনা বাঁশ ইত্যাদি গাছের বনসাই ভালো হয়।

বনসাইয়ের জন্য আদর্শ কলমের চারা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টব ও মাটি। এর জন্য প্রয়োজন ছোট, চওড়া, কম গভীর, বৃত্তাকার, আয়তাকার, বর্গাকার কিংবা ত্রিভুজাকার টব। খেয়াল রাখবে, মাটি বা সিরামিকের টব যেন দেখতে সুন্দর হয়। কারণ, বনসাই করার প্রধান উদ্দেশ্য তাকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা। তাই প্লাস্টিকের টব নৈব নৈব চ।

বনসাইয়ের জন্য পলি বা দোআঁশ মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নাও। জৈব সারের মধ্যে সমপরিমাণ ইটগুঁড়া, হাড়গুঁড়া, কাঠের ছাই, খড়িমাটি মিশিয়ে সার তৈরি করতে হবে। অনেকে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। কিন্তু এই সার বনসাইয়ের দীর্ঘ জীবনের পক্ষে ভালো নয়। মাটি ও সারের অনুপাতে সারের পরিমাণ বেশি থাকবে। মাটি তৈরি হয়ে গেলে টবের ছিদ্রে এক টুকরো তারের জালি রেখে তার ওপরে কাঁকর বিছিয়ে তার পরে মাটি ও সারের মিশ্রণটি দিতে হবে।

বড় হওয়ার সময়

চারাগাছ তরতর করে বাড়তে থাকবে। ঠিক তখনই কাণ্ড, শিকড় ও শাখার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখবে, বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মানে নষ্ট করা নয়। তাই প্রয়োজনে দক্ষ মালির সাহায্য নিতে পারো। বনসাইয়ের গাছ বেঁটে ও ঝোপের মতো ঝাঁকড়া হবে। তার জন্য বাড়ন্ত গাছের কুঁড়ি বা পত্রমুকুল ভেঙে দিতে হবে। বেশি ছোট করতে চাইলে ঘন ঘন পাতা ও কাণ্ড ছাঁটতে হবে। বাড়ন্ত ডগা কেটে ফেললে গাছের শাখার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ‘বুশ’ তৈরি হবে। কৃত্রিম উপায়ে তামার তার বেঁধে বনসাই গাছের শাখাকে সুন্দর, সুঠাম ভঙ্গিমায় সহজেই আনা যায়।

জল আলোর অনুপাত

রোজ নয়, মাটি শুকনো হলে পানি দাও, দুপুরের পরে। খেয়াল রাখবে, টবে যাতে পানি জমে না যায়। বনসাই গাছ অতিরিক্ত রোদে না রেখে ছায়ায় রাখতে হবে। দক্ষিণের জানালা বনসাইয়ের পক্ষে আদর্শ। ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত ডাল ও পাতা মুছতে হবে। দু-এক বছর অন্তর টব ও মাটি বদলালে বনসাই গাছ দীর্ঘজীবী হয়। মনে রাখতে হবে, বনসাই করলেই শুধু হবে না। নিয়মিত ধৈর্য ধরে তার যত্ন-আত্তিও করতে হবে।

 

লেখা : আইরিন রহমান 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook