রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

নারী

এই সংখ্যায়স্বাস্থ্য

পিরিয়ডের ব্যথা কি নিত্যসঙ্গী?

করেছে Sabiha Zaman অক্টোবর ২৭, ২০২১

পিরিয়ডের সময় নারীদের খুব কমন একটি সমস্যা হচ্ছে ব্যথা। মূলত পেট, পিঠ ও কোমর দিয়েই এ ব্যথা রাজত্ব করে বেড়ায়। পিরিয়ডের ব্যথায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় নারীদের। অনেকেই এ সময় ব্যথানাশক ওষুধ নিয়ে থাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন ও টেম্প্যাস ডটকম পিরিয়ডের ব্যথার সমাধান আর এ সময় করণীয় বিষয় নিয়ে কিছু কার্যকর টিপস দিয়েছে। সেগুলো নিয়েই আজকের আয়োজন। লিখেছেন সাবিহা জামান

গরম ভাপ

পিরিয়ডের সময় আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ব্যথায় কাতর থাকি। এ সময় গরম ভাপ খুব কাজে আসে। আমাদের প্রায় সবার বাসাতেই হট ওয়াটার ব্যাগ থাকে। ব্যাগে গরম পানি ভরে তলপেটে চেপে রাখলে ধীরে ধীরে ব্যথা কমে আসবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানির তাপমাত্রা যেন সহনীয় হয়। গরম ভাপ ইউট্রাসের পেশিগুলো শিথিল করে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এ কারণেই পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে গরম ভাপ খুব কাজে দেয়।

ব্যায়াম

আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান কিন্তু একটি শরীরচর্চা করলেই পাওয়া যায়। পিরিয়ডের ব্যথায় যখন তুমি কাবু, তখন কিছু ব্যায়াম তোমাকে বেশ আরাম দেবে। যোগব্যায়াম ও কার্ডিও ব্যায়াম পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

ম্যাসাজ

শরীর ব্যথা হলে আমরা অনেকেই ম্যাসাজ করি, যা অনেকটাই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এবার থেকে পিরিয়ডের সময় যখন ব্যথা করবে, পেটে ও পিঠে ম্যাসাজ করবে, দেখবে বেশ ভালো বোধ করবে।

ওষুধ

আমরা অনেকেই পিরিয়ডের ব্যথা উপশমে ওষুধ নিতে চাই না। কারণ, আমরা ধারণা করি, এতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যেটি একটি ভুল ধারণা। অতিরিক্ত ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করলে কোনো ক্ষতি নেই বরং তীব্র ব্যথা থেকে রেহাই মেলে। তবে ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। নিজ থেকে কোনো ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকো।

খাদ্যতালিকায় যুক্ত করো

আদা

শুধু ঠান্ডা-কাশি হলেই আমরা আদা খাই। কিন্তু ব্যথা কমাতেও আদা যথেষ্ট উপকারী। পিরিয়ড চলাকালে ব্যথা কমাতে আদা-চা পান করলে ভালো ফল পাবে। তাই এ সময়ে আদা ও ক্যামোমাইল দিয়ে চা খেতে পারো। আদা প্রোস্টাগান্ডিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যামোমাইল ব্যথা উপশমে সহায়ক।

মৌরি

মৌরি ‘অ্যান্টিসপাসমডিক’ এবং ‘অ্যান্টিইনফ্লামাটরি’ উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই পিরিয়ডের সময় ব্যথা বাড়লেই মৌরি খেতে পারো। পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো করে অথবা অল্প পরিমাণ নিয়ে চিবিয়ে দুভাবেই খেতে পারো মৌরি দানা।

দারুচিনি

পিরিয়ডের সময় জমাট বাঁধা রক্তপাত হয়ে থাকে। এর কারণে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দারুচিনি খেতে পারো। কারণ দারুচিনিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা ব্যথা উপশমে কাজে দেয়। দারুচিনি দিয়ে চা অথবা গরম পানিতে আধা চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়া গুলে সারা দিন অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পরপর পান করো, দেখবে বেশ ভালো লাগছে।

পানি

শুধু ব্যথাই পিরিয়ডের সমস্যা নয়। এ সময়ে সারা দিন বেশ ক্লান্তি লাগে আর গা ম্যাজম্যাজ করতে থাকে। তাই অন্য সব দিনের তুলনায় পিরিয়ডের সময় বেশি পানি পান করতে হবে। এতে তোমার ক্লান্তিভাব যেমন কাটবে, সঙ্গে পানিশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। আমাদের অনেকেরই পিরিয়ডের সময়ে মুখে ব্রণ হয়। তুমি যদি নিয়মিত পানি পান করো, তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

এড়িয়ে চলো

পিরিয়ড চলাকালে কিছু খাবার তোমার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কারণ, এসব খাবার পিরিয়ডের সময় খেলে নানান জটিলতা দেখা দেবে শরীরে। এদের মধ্যে রয়েছে লবণ, চিনি, কফি, অতিরিক্ত চা, রেড মিট, অ্যালকোহল, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার। অনেক সময় দেখা যায় মাথাব্যথা, অবসাদ, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, ক্লান্তি এ সমস্যাগুলো দেখা দেয় পিরিয়ড চলাকালে। যার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই এ খাবারগুলো দায়ী।

ছবি : সংগৃহীত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনজীবনযাত্রানারীবিশেষ রচনা

ডিভোর্স, নারী কি একাই দায়ী?

করেছে Sabiha Zaman আগস্ট ২২, ২০২১

প্রথমেই প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক, আমাদের সমাজব্যবস্থা কি নারীর অনুকূলে? সংখ্যাগরিষ্ঠের উত্তর হবে, না। কারণ আমরা নারীকে ফেলে দিই একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে। কখনো কখনো বদলে যাওয়া পরিস্থিতি থেকে সামাজিক সমস্যা হলে আমরা নারীকে একপেশে দোষ দিয়ে থাকি। বর্তমানে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে। এতে কি নারীর দায় একার? কিন্তু দোষটি পড়ছে সেই নারীসমাজের ওপর!
গ্রন্থনা সুরাইয়া নাজনীন

পারিবারিক নানা অসংগতির কারণে ডিভোর্স হওয়ার পরও নারীকে বলা হয় তুমি আরও চেষ্টা করতে পারতে সংসারটা টেকানোর। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম বলেন, এর পজিটিভ-নেগেটিভ দুটি দিকই আছে। মূলত তিনটি গ্রুপ, যারা বিবাহিত জীবনে ‘সাফার’ করছে, যারা ডিভোর্স নিয়ে নিয়েছে তাদের কথা আগে বলা যাক। আমাদের সমাজ তো নারীবান্ধব সমাজ হয়ে ওঠেনি। ডিভোর্সের পর সমাজ থেকে একটা মেয়েকে বলা হয়, ‘তোমার উচিত ছিল আরও একটু মানিয়ে চলা। বিবাহিত জীবনে এমন তো হতেই পারে।’ আসলে মেয়েটাকে অনেক বেশি দোষারোপ করা হয়। অথচ সে হয়তো আর পারছিল না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরই সে হয়তো এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। আবার অনেক সময় ছেলেমেয়ে বড় থাকলে তারাও বলে, ‘মা তুমি এর মধ্যে কেন আছ? তুমি পৃথক হয়ে যাচ্ছ না কেন?’ ছোটবেলায় ওরা কিন্তু চায় না মা-বাবা আলাদা থাকুক। তবে ওরা যখন বুঝতে শেখে, তখন ওরা বলে, দেখো তোমরা প্রতিদিন ঝগড়া করছ, আমাদের দেখতে ভালো লাগছে না। মাকে তারা বলে, ‘তোমার ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তা আমরা সহ্য করতে পারছি না। তুমি কেন পৃথকভাবে থাকছ না?’ এর বড় একটি কারণ অর্থনৈতিক। কারণ, মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয়। অভিভাবকেরাই মেয়েকে ওভাবে ‘সাপোর্ট’ দিচ্ছে না। আর সমাজ তো বলতেই থাকে, ‘তুমি মানিয়ে নাও।’ ডিভোর্সের পরও বলা হয়, ‘তোমার আরও চেষ্টা করা উচিত ছিল।’ এসব ধারণা বদলালে কিংবা নারীর প্রাপ্য সম্মানটুকু দিলে সমাজের চিত্র পাল্টাবে।

কারণ বলতে গেলে যেগুলো আসবে-

শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন :
এখানে নারী ও পুরুষ দুজনই ভূমিকা পালন করে থাকে। ছেলেরা মেয়েদের দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত না হলেও আজকাল নারীদের দ্বারা অনেক পুরুষই মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। অপরদিকে নারীরা পুরুষদের দ্বারা সব সময়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। অনেকেই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

স্বনির্ভরশীলতা
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নারীশিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়ন। এখন আর কোনো নারীকে, বিশেষত কোনো পুরুষের ওপর নির্ভর করে বাঁচতে হয় না। মোটকথা এখনকার নারীরা বেশ স্বনির্ভর। কোনো কারণে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হলেই নারীরা এখন খুব সহজ ও সাহসিকতায় স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারে।
যৌতুক :
যৌতুক আমাদের দেশের সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাধি। এ প্রবণতা শিক্ষিত আর অশিক্ষিত বা গ্রাম-শহর নয়, দেশজুড়েই এই যৌতুকের প্রকোপ বাড়ছে। যৌতুক আদায়ের মাধ্যম হিসেবে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সব স্বামীর পরিবার থেকে লাঞ্ছিত, নির্যাতিত হয়ে ধৈর্য হারিয়ে অবশেষে ডিভোর্সের পথ বেছে নেয়। অনেকেই তো আত্মহননও করে থাকে এই জঘন্যতম সামাজিক ব্যাধির কারণে।

শারীরিক দুর্বলতা
বিয়ের পরে সঙ্গীর শারীরিক দুর্বলতা প্রকাশ পেলে সেখান থেকেই সমস্যা দেখা দেয়। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে অন্য একটা সমস্যাও থাকে। একেবারে অপরিচিত একজন মানুষের সঙ্গে কিছু প্রাথমিক অস্বস্তি থাকা একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিষয়টিই অনেক সময়ে দম্পতিদের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করে দেয়।

প্রত্যাশা পূরণের অভাব
প্রত্যেক ছেলে বা মেয়ের মনেই আদর্শ স্ত্রী বা স্বামী সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি থাকে বিয়ের আগে থেকেই। বিয়ের পর সেই ধারণার সঙ্গে বাস্তবের স্ত্রী বা স্বামীটির মিল পাওয়া যায় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সেখান থেকেই তৈরি হয় প্রত্যাশা, অপূর্ণ থাকার একটি হতাশা।

পরিবারের সদস্যদের অনধিকার চর্চা
স্বামী ও স্ত্রী দুজনেরই পরিবারের সদস্যদের নাক গলানো যেকোনো নবদম্পতির কাছে একটা বড় সমস্যা। বাড়ির বড়রা যদি কথায় কথায় পরামর্শ, উপদেশ বা আদেশ দিয়ে নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীকে নিজেদের ইচ্ছেমতো চালনা করতে চায়, তাহলে খুব মুশকিল। তাদের এই অবাঞ্ছিত নাক গলানো স্বভাবের ফলে সমস্যা তৈরি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও।

ধৈর্যের অভাব
বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিয়ের পর স্বামীর অথবা স্ত্রীর কোনো একটি বিশেষ অভ্যাস বা জীবনযাপনের কোনো একটি দিক অন্যজনের বিরক্তির কারণ হচ্ছে। স্বামী হয়তো অফিসে বেরোনোর আগে ভেজা তোয়ালেটা রেখে যাচ্ছে বিছানার ওপর, সেটা স্ত্রীর পছন্দ নয়। আবার স্ত্রী হয়তো প্রতিদিন বাথরুমের সুইচটা অফ করতে ভুলে যাচ্ছে, সেটা পছন্দ নয় স্বামীর। সেই নিয়েই বেধে যাচ্ছে ঝগড়া।

ক্যারিয়ার নিয়ে সমস্যা : বিয়ের পর ক্যারিয়ার আর পারিবারিক দায়িত্বের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই দ্বন্দ্ব বেধে যায়। বিয়ের পর স্বামী আশা করে, স্ত্রী চাকরি ছেড়ে পরিবারকে সময় দেবে। স্ত্রী-ও আশা করে স্বামীর কাছে তার অফিসের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে সে। সেই আশা পূরণ না হলেই দেখা দেয় সমস্যা।

আমাদের সমাজ নারীবান্ধব নয়, সমাজ থেকে ভুক্তভোগী নারীকে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয় না। মেয়েটি যখন তার আত্মীয়স্বজনের কাছে যায়, তখন তার দিকে অন্যভাবে তাকানো হয়। অনেক সময় তাকে বিব্রতকর প্রশ্নও করা হয়, যেটা করা একেবারেই উচিত নয়। হয়তো আত্মীয়স্বজন জানে যে মেয়েটি আর স্বামীর সঙ্গে নেই। তারপরও তারা স্বামীকে নিয়ে প্রশ্ন করে। মানে জেনেশুনে মেয়েটিকে অপ্রস্তুত করার জন্য প্রশ্ন করা হয়। বাচ্চারা যখন স্কুলে যায়, তখনো তারা অনেক কিছু শোনে। যেমন ‘তোমার বাবা কেন নিতে আসছেন না?’ বাচ্চারা বাসায় এসে মাকে এসব বলে, তখন মেয়েটা কিন্তু কষ্ট পায়। এ জায়গাটাতেই আমাদের সমাজের পরিবর্তনটা দরকার।

আইনে যা আছে
নারীকেও বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়েছে! মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯ অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি কারণে স্ত্রী আদালতের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। কারণগুলো হলো ১. যদি চার বছর ধরে স্বামীর ঠিকানা অজ্ঞাত থাকে ২. যদি দুই বছর ধরে স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণের সংস্থান করতে ব্যর্থ হয় ৩. স্বামীর যদি সাত বছরের কারাদণ্ড হয় ৪. যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া স্বামী যদি তার বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় ৫. স্বামী পুরুষত্বহীন হলে ৬. স্বামীর মস্তিষ্ক বিকৃত হলে ৭. বিবাহ অস্বীকার করলে ৮. স্বামী যদি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে ৯. অনুমতি ছাড়া স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করলে।

সমাধানের দ্বারপ্রান্তে
নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, আত্মনির্ভরশীলতা, সক্ষমতা, শিক্ষিত হওয়ার মানসিকতা এসব যে একেবারেই প্রভাবিত করছে না সাংসারিক জীবনকে, তা কিন্তু নয়। ব্যাপারগুলো ভূমিকা রাখছে অবশ্যই। কিন্তু তাই বলে কি নারীর অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিতে হবে? অবশ্যই নয়। বরং পাল্টাতে হবে জংধরা কিছু সামাজিক কুসংস্কার, আধুনিক করতে হবে দৃষ্টিভঙ্গি। বিচ্ছেদ হলেই নারীর দিকে আঙুল তোলা হয়। অথচ বিচ্ছেদের দায়ভার উভয়ের। মূলত, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ এমন কিছু কথা দিয়ে সংসার বাঁচানোর সব দায় আবহমানকাল থেকেই বর্তানো হয়েছে। সব সহনশীলতা দেখানোর গুরুদায়িত্ব নারীর। অথচ সহনশীল হতে হবে উভয় পক্ষকে। শ্রদ্ধা করতে হবে একে অপরের স্বপ্নগুলোকে। অনেকেই উন্নত দেশের উদাহরণ টেনে বলে সেখানে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে বলে ডিভোর্স হচ্ছে। এটাকে নেতিবাচক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরতে চায় অনেকে। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে সেসব দেশে, যেখানে নারীরা অধিকারবঞ্চিত। সেখানে হয়তো ডিভোর্সের খবর শোনা যায় না, কিন্তু সেখানে নারীরা অবরুদ্ধ। শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার মতো জোর তাদের নেই বলেই তারা মেনে নিচ্ছে। এক পক্ষের এই মেনে নেওয়াটা কোনো সমাধান নয়। বরং উভয় পক্ষের বোঝাপড়াটাই সমাধান। অনেকেই বলে, কর্মজীবী নারীদের ডিভোর্স বেশি হয়। একটা মেয়ে কর্মজীবী হলে তার পরিবারের অভ্যন্তরীণ দায়িত্বগুলো উভয়ের ভাগ করে নেওয়া জরুরি।
এখন অনেক সুশিক্ষিত পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে আসছে পরিবর্তন। দায়িত্বগুলো ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতাও বাড়ছে। এগুলো ইতিবাচক। অনেকে আবার রয়ে গেছে সেকেলে, যারা স্ত্রীর কর্মক্ষেত্রে যাওয়া প্রয়োজনীয় মনে করে না। অনেকেই ভাবে আমার পর্যাপ্ত টাকা আছে, স্ত্রী কেন কর্মক্ষেত্রে যাবে। আবার স্ত্রীরা চাকরি ছাড়তে রাজি হয় না। শুরু হয় মনোমালিন্য। এসব ব্যাপারে বিয়ের আগেই আলাপ করে নেওয়া জরুরি। যেসব মেয়ে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস, বিয়ের আগে ভবিষ্যৎ লাইফ পার্টনারের মানসিকতা যাচাই করে নেওয়া উচিত যে সে তোমার সাপোর্ট হবে কি না। বর তোমাকে কো-অপারেট না করলে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস হওয়াটা অনেক কঠিন।


আবার যেসব ছেলে স্ত্রীকে কর্মজীবী দেখতে চায় না, তারাও বিয়ের আগে ভবিষ্যৎ লাইফ পার্টনারকে তা জানানো উচিত। উভয়ে জীবনের লক্ষ্য, দর্শন শেয়ার করা জরুরি। পরের বিচ্ছেদের চেয়ে আগে মুক্ত আলোচনা ভালো। মতের মিল হলেই সংসারজীবনে পা রাখা জরুরি। প্রয়োজনে অপেক্ষা করো নিজের মানসিকতার সঙ্গে খাপ খাচ্ছে এমন একজন খুঁজে পেতে। মা-বাবা হুট করে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেবে না সন্তানকে। সংসারটা তাকেই করতে হবে, তার মতকে গুরুত্ব দাও। সংসার ভাঙলে শুধু দুটো মানুষ নয়, দুর্ভোগ পোহাতে হয় পুরো পরিবারকে। তাই সাবধান হও। সংসার টিকিয়ে রাখার একমাত্র দায়িত্ব নারীর নয়। নিজের সিদ্ধান্তগুলো নিজে নেওয়ার যোগ্য হচ্ছে নারীরা, স্ত্রীর মতকে সম্মান দেওয়াও তাই জরুরি। পার্টনারের জীবনে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, ডমিনেট করার মানসিকতা বর্জন করতে হবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের। একে অন্যকে বোঝো, মূল্য দাও। অভিভাবকসুলভ না হয়ে বন্ধুসুলভ হও। একে অন্যের সাপোর্ট হও।
পোশাকর্মী থেকে উচ্চশিক্ষিত নারীÑ সর্বস্তরে অনেক সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সমাজে। তাদের প্রয়োজন পরিবারের উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতা। সেটা না পেয়ে অনেক নারী আপসহীন হয়ে বেছে নিচ্ছে বিচ্ছেদ। তাই আগেই জেনে নাও জীবনসঙ্গী যাকে বানাবে, সে তোমার ক্যারিয়ারকে মূল্যায়ন করার মতো আধুনিক ও উদার কিনা।

পরিসংখ্যান ঘাঁটলে
পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে এবং সেই হার ক্রমবর্ধমান। ২০০৫ সালে ঢাকায় যখন একটি সিটি করপোরেশন ছিল, তখন বিবাহবিচ্ছেদ হয় প্রায় পাঁচ হাজার। আর ২০১৪ সালে শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেই এ সংখ্যা ৫ হাজার ৪১৮টি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে এই এলাকায় ১৭ হাজার ৩৮৮টি তালাক কার্যকর হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন মিলে তা কমপক্ষে ৩৫ হাজার। আর এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেও দেখা যায় যে তালাকের আবেদনকারীদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগই নারী। তবে করোনার এই সময়ে ঢাকায় তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে গেছে। ২০২০-এর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ মাসে ঢাকায় বিবাহবিচ্ছেদ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে দৈনিক ৩৯টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে, অর্থাৎ প্রতি ৩৭ মিনিটে একটি তালাক হয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার পেছনে করোনার কারণে তৈরি হওয়া মানসিক, আর্থিকসহ নানামুখী চাপের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন এবং যোগাযোগ কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রীদের ক্ষেত্রে তালাকের ঘটনা বেশি ঘটছে। দুই সিটির মেয়রের কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন থেকে অক্টোবর মাসে তালাক হয়েছে ৫ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে ২ হাজার ৭০৬টি আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২৬৪টি তালাক হয়েছে। এই সময়ে প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ১৯৪টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে। আর ২০১৯ সালে প্রতি মাসে গড়ে তালাক হয়েছিল ৯২০টি। চলতি বছরের ৫ মাসে তালাক বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, তালাকের আবেদন বেশি হচ্ছে স্ত্রীর পক্ষ থেকে। উত্তর ও দক্ষিণে তালাকের আবেদনের প্রায় ৭০ শতাংশই স্ত্রীর পক্ষ থেকে আসছে। দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগে মেয়ের তালাক হলে সমাজে নানা আলোচনা হতো, পরিবার মেয়েকে আশ্রয় দিতে চাইত না। এখন সামাজিক সচেতনতা বাড়ায় মেয়েকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পরিবারও মেয়েকে সমর্থন দিচ্ছে।


চলতি বছর ঢাকার দুই সিটির তথ্য বলছে, ৭৫ শতাংশ ডিভোর্সই দিচ্ছে নারী। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে ৪ হাজার ৫৬৫টি বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১ হাজার ১৪১টি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪২। এই হিসাবে চলতি বছর প্রতি মাসে বেড়েছে ৯৯টি বিচ্ছেদ। গত বছরও নারীদের তরফে ডিভোর্স বেশি দেওয়া হয়েছে ৭০ শতাংশ। বিচ্ছেদের প্রবণতা শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ১৭ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েছে। মহামারিকালে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন।

তথ্য সহায়তা : ডয়চে ভেলেসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যম

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: পঞ্চদশ (শেষ) পর্ব

করেছে Wazedur Rahman এপ্রিল ২, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে  পঞ্চদশ (শেষ) পর্ব।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষস্থানীয় দুটি প্রতিষ্ঠান- ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এর প্রধান হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা দুইজন নারীকে বেছে নিয়েছেন।

৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে পুরুষ প্রধানের আধিক্য কাটিয়ে জার্মানির উরসুলা কন ডের লেইনকে ইউরোপীয় কমিশনের নেতৃত্ব দেয়া হয় এবং ফ্রান্সের ক্রিস্টিন লেগার্ড প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।

পাঠকদের স্বার্থে প্রেস কনফারেন্সের ভিডিওটি দেয়া হলো –

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: চতুর্দশ পর্ব

করেছে Wazedur Rahman এপ্রিল ২, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে  চতুর্দশ পর্ব।

বোতসোয়ানা, ব্রাজিল এবং ইকুয়েডর সকল রাষ্ট্রই এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুরক্ষা দানের জন্য আইনী সংস্কার করেছে ২০১৯ সালে।

ব্যাপক প্রচার অভিযানের পর বোতসোয়ানা সমকামিতাকে বৈধতা ঘোষণা দিয়েছে। বিচারকরা সমকামিতার সম্পর্কের অপরাধকে মানবাধিকার ও আত্মমর্যাদার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।

ব্রাজিলে সমকামিতাভীতি এবং লিঙ্গ পরিবর্তনে ভীতিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

জুনে ব্রাজিলের উচ্চ আদালতে এই রায় হয় যে, কেউ যদি এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কাউকে বৈষম্য বা ঘৃণা করে তবে অপরাধী। এবং এই জন্য তাকে পাঁচ বছরের জেলের সাজাও ভোগ করতে হবে।

ইকুয়েডরের সর্বোচ্চ আদালত জুনে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দিয়েছে। সমকামী দম্পতির বিবাহ রোধ করা বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

ইকুয়েডর হচ্ছে লাতিন আমেরিকার কয়েকটি মুষ্টিমেয় দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা সমাকামিতাকে বৈধতা ঘোষণা করেছে। 

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করে দেয়া হলো –

 চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: ত্রয়োদশ পর্ব

করেছে Wazedur Rahman এপ্রিল ১, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে ত্রয়োদশ পর্ব।

জুন মাসে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা এবং হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নতুন নিয়মপত্র এবং সুপারিশনামা পেশ করে।

সহিংসতা এবং হয়রানিমূলক নিয়মপত্র ও সহিংসতা এবং হয়রানিমূলক সুপারিশনামা এটাই ইঙ্গিত করে যে, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘিত করে এবং সমতার সুযোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –


চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: দ্বাদশ পর্ব

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ৩১, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে দ্বাদশ পর্ব।

ফিনল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন শেষে ৩৪ বছর বয়সী নারী সান্না ম্যারিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ডের খাতায় নিজের নাম লেখান।

ডিসেম্বরে তিনি পাঁচটি রাজনৈতিক দলের জোটের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বাধীন সবাইই ছিলেন নারী সদস্য।

ফিনল্যান্ডের ইতিহাসের ম্যারিন হচ্ছে তৃতীয় এবং প্রথম সর্বকনিষ্ঠা নারী প্রধানমন্ত্রী।

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –


চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: একাদশ পর্ব

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ৩০, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে একাদশ পর্ব।

মিশর, তানজানিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া বাল্যবিবাহ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং মেয়েদের সুরক্ষা, তাদের ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষাব্যবস্থার উপর কঠোর নিয়মকানুন এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

আফ্রিকান সামিটে সর্বপ্রথম এই কথা উত্থাপিত হয় যেখানে আল-আজহারের উপ প্রধান ইমাম বাল্যবিবাহের উপর একটি ফতোয়া তৈরি করেন এবং জারি করেন।

পরবর্তীতে জাতিসংঘের আফ্রিকার আঞ্চলিক শুভেচ্ছাদূত জাহা ডুকুরেহ এর মতো তরুণ সক্রিয় কর্মীর নেতৃত্বে তা পূর্ণতা লাভ করে।

২০১৬ সালে তানজানিয়ার উচ্চ আদালত বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞার উপর রুল জারি করেছিল।

সাথে ১৫ বছরের নীচের মেয়েদের বিবাহ সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ এবং মেয়েদের বিয়ের বয়সসীমা ১৮ বছরে উত্তীর্ণ করার নির্দেশ বহাল রেখেছিল।

একইভাবে সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সংসদ মেয়েদের বিবাহের বয়স ১৬ থেকে ১৯ এ উত্তীর্ণ করে।

একইসাথে সাংবিধানিক আদালত থেকে এই রায়ও দেয়া হয় যে, নারী ও পুরুষের বিবাহের জন্য ভিন্ন আইনী বয়স বৈষম্যমূলক। পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –


চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: দশম পর্ব

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ২৯, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে দশম পর্ব।

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের কথা। আলা সালাহ নামক নারী সাদা জামা পরে একটা গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

যা পুরো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমের কল্যাণে। সুদানের রাষ্ট্রপতি গ্রেফতারের কিছুদিন পূর্বেই এই আইকনিক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল এবং ছবিটাও তোলা হয়েছিল।

নারী এবং যুবসমাজ ছিল এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছে তারা।

২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে সালাহ জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোকে আহবান জানায়, সরকার বদলের এই পদ্ধতিতে নারীদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করতে।

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –

 চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত  

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: নবম পর্ব

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ২৪, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী।

দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে নবম পর্ব।

বিমানের দিক থেকে বিশ্বজুড়ে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে যা নারীদের জন্য প্রথমবারের মতো এবং ঐতিহাসিকও বটে।

ভারতে ২৪ বছর বয়সী সাব ল্যাফটেন্যান্ট শিভাঙ্গি ইন্ডিয়ান নেভিতে প্রথম নারী পাইলট হিসেবে নিজের নাম লেখান। পাইলট হবার স্বপ্নে বিভোর শিভাঙ্গির স্বপ্ন পূরণ হয় এর মাধ্যমে। পরে ডিসেম্বর ২০১৯ এ নাভাল উইংসে আরও দুজন নারী পাইলট যুক্ত হন।

বাণিজ্যিক বিমানচালনার ক্ষেত্রে, ক্যাপ্টেন ওয়েন্ডি রেক্সন এবং তার মেয়ে ফার্স্ট অফিসার কেলি রেক্সন প্রথমবারের মতো মাতা-কন্যার যৌথ বিমান চালনায় নিজেদের নাম লেখান। নিউ ইয়র্কের একটা ফ্লাইটে তারা দুজন ককপিটটাকে ভাগ করে নিয়েছিলেন।

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –

 চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অন্দরের ডায়েরিতুমিই রোদসীনারীরোদসীর পছন্দসাফল্য

সমুজ্জ্বল নারী: অষ্টম পর্ব

করেছে Wazedur Rahman মার্চ ২৩, ২০২০

২০১৯ সালের পর্দা উঠে তিন মাস ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। অর্জনের খাতায় ২০১৯ বেশ ভালোই ছিল বলা যায় নারীদের জন্য। প্রথমবারের মতো মহাকাশের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের ছবি প্রকাশ করল নাসা তাও এক নারীর অবদানে। সুদানের মতো যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকা একটা দেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথা চিন্তা করেছেন এক নারী। দিন বদলে গেছে নারী এখন আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। আর তাই রোদসী পাঠকদের জন্য নিয়ে এলো সমুজ্জ্বল নারী শিরোনামে ২০১৯ সালের নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর ঐতিহাসিক এমন ১৫টি ঘটনার কথা যা পুরো বিশ্বকে অবাক করেছে।পনেরটি পর্বে সাজানো এই সিরিজের আজকে থাকছে অষ্টম পর্ব।

নিজেদেরকে লা মানাডা (নেকড়ের দল) বলে অভিহিত করা একদল পুরুষ ২০১৬ সালে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে সেই নারী ন্যায়বিচার পায়। আর পুরো দলটাকে আদালত কর্তৃক শাস্তি দেয়া হয়।

নিম্ন আদালতের বিচারে এটাই রায় দেয়া হয় যে সেই পাঁচজন ব্যক্তি যৌন নির্যাতনের জন্য একাই দায়ী নয়; কেননা এতে আসামীর নিজেরও ইচ্ছা ছিল। কিন্তু হামলার কয়েক মাস পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের উল্লাসের ছবিগুলো প্রকাশ পেলে আদালত পুনরায় আবার রায় দিতে বাধ্য হয়।

২০১৯ সালে স্প্যানিশ সুপ্রিম কোর্ট সেই পাঁচজন পুরুষদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং কারাগারের সাজার মেয়াদও কঠোর এবং বাড়িয়ে দেয়া হয়। এই রায়ের মাধ্যমে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করার প্রথা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।

পাঠকদের স্বার্থে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো –

চলবে…!!

লেখা: ওয়াজেদুর রহমান ওয়াজেদ 
ছবি: সংগ্রহীত 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • সঠিক হুইস্ক বাছাই করবো কীভাবে?

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook