রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

পুরুষতন্ত্র

এই সংখ্যায়রোমান্সরোমান্স রসায়ন

সেক্স কোনো প্রতিযোগিতা নয়! পার্ট- ১

করেছে Rodoshee Magazine আগস্ট ১৪, ২০১৮

সঙ্গীকে ঘায়েল করার অসুস্থ চিন্তা পেয়ে বসে অনেক সময়ই। প্রতিযোগী নয়, হতে হবে সহযোগী। ব্যস এটুকুই। জমে উঠতে পারে জমজমাট রোমান্স।
উপভোগ আর ভোগের মাঝে বিষম পার্থক্য। দাম্পত্য জীবন, পরিধি আবেগ, সেক্স কমপ্লেক্সিটি এসব ছন্দপতন নিয়েই পথচলা। কোথাও কিছুটা খাপছাড়া। কিছু বলতে না পারা অভিব্যক্তি। অনিয়মের নিয়মে চলছে জীবন। প্রেম তো শরীরেই আসবে। বেখাপ্পা যৌনজীবনে পৌঁছানোর আগেই ভালোবাসাগুলো অদৃশ্য হচ্ছে।

১. রাকেশের বিয়ের চারটা বছর হয়ে গেল। রাকেশের স্ত্রীর নাম তনু। তনুর ইতিমধ্যে তিনবার মিসক্যারেজ হয়ে গেছে। তনুর ভেতরে অদৃশ্য একটা ভয় কাজ করে। তবে কি ও কোনো দিন মা হতে পারবে না! সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসে নিমেষেই। এগুলো ভাবতেই পারে না তনু। ইদানীং রাত এলে ভয় লাগে ওর। আর ভালো লাগা কাজ করে না। রাকেশের স্পর্শ ওর কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কেমন যেন পশুর মতো আচরণ করে রাকেশ ওর সঙ্গে। সারা গায়ে ব্যথা আর জমাটবাঁধা রক্ত। মনের দাগ লুকোতে পারলেও শরীরের দাগ লুকোতে পারে না। মাঝে মাঝে ভাবে এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। রাকেশের কাছে এটা হয়তো উন্মাদনা। তনুর কাছে শুধুই পাশবিকতা। তনু যখন চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে তখন রাকেশের মাঝে একটা পুরুষত্ব নাড়া দিয়ে ওঠে।
তনু অনেকবার রাকেশকে বোঝাতে চেয়েছে মিসক্যারেজের কারণ। রাকেশ কোনো পাত্তাই দেয়নি। রাকেশের কাছে ব্যাপারটা একেবারেই অন্য রকম। সন্তানের বাবা হতে না পারার জন্য কোনো হতাশা কাজ করে না। রাকেশের কাছে যেন হারজিতের খেলা শুধুমাত্র। তনুকে কাঁদিয়ে প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়া। অসহায় কান্নার মাঝে অদ্ভুত আনন্দ কাজ করে।

প্রতিযোগিতা নয়
সময়গুলো ছিল অপেক্ষার। হয়েছে আক্ষেপের। সঙ্গীর ভালোবাসায় থাকবে সম্মান। থাকবে প্রাপ্তির ভালো লাগা। ভালোবাসায় শরীরের প্রেম যেন থাকে। সেই প্রেমে তুমি খুঁজে নেবে হৃৎপিন্ডের শব্দ। একটা রাত শরীরী ভালোবাসা থেকে দূরে থাকো। হাতটা ধরে বসে থাকো তার ঘুমানোর অপেক্ষায়। এক গোছা ফুল, কাজল কিংবা চুলের ফিতা নিয়ে সামনে দাঁড়াও। শুধু সেক্সে সীমাবদ্ধ না রেখে দাম্পত্য জীবনে প্রেমের খেয়া ভাসিয়ে দাও। জড়িয়ে ধরে বলে দাও, ভালোবাসি তোমাকে। সঙ্গীর কাছে থেকে বেশি কিছু চাওয়ার থাকে না। ছোট কিছু মুহূর্ত, কিছুটা শেয়ারিং হতে পারে সুখের নীড়। দুজনের সহযোগী মনোভাব আর মনোমালিন্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত উভয়ের।
লক্ষ করলে দেখা যায়, পুরুষের ভীষণ রকমের প্রভাব থাকে সেক্স চলাকালে। এখানে পুরুষের একটা আধিপত্য বিরাজ করে। সঙ্গীর ভালো লাগা, মন্দ লাগাকে প্রায়োরিটি দেওয়া হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেক্স শব্দটি কেবল পুরুষের উপভোগ্য বলে মনে করা হয়। পুরুষের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসাটাও জরুরি এখানে। একপাক্ষিক সেক্স মিসক্যারেজের কারণ হতে পারে। সেটা প্রমাণিতও বটে। এখানে সঙ্গীর মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রাখতে হবে। সেক্সে যেন উভয়ের সম্মতি থাকে। একদিন তোমার সঙ্গী যদি চায় গল্প করে কাটিয়ে দিতে তবে সেটা শোনো। মোটকথা তার কথার মূল্যায়ন করা। দুজনের শ্রদ্ধার জায়গাটা দেখিয়ে দেওয়া। সময়গুলোকে মধুর করে তোলা। দাম্পত্য তবেই মধুময়।

রোদসী/ ডি আর।

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়সম্পাদকীয়

নারীত্ব নারীর জন্মগত পরিচয়

করেছে Rodoshee Magazine এপ্রিল ১৭, ২০১৮

নারীকে দেখা হয় পুরুষের পরিপ্রেক্ষিতে। কুমারী হলে পিতৃপরিচয়, বিবাহিত হলে স্বামীর পরিচয়ে, প্রাচীন সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধের সমাজে নারীর পরিচয়ে পুরুষের পটভূমিকা অত্যন্ত জরুরি এবং আবশ্যক। অথচ জৈবিক কারণে নারী ও পুরুষের সামাজিক অবস্থান এবং ভূমিকা আলাদা হতে বাধ্য।
নারীত্ব নারীর জন্মগত পরিচয়। এই পরিচয় নারীকে আজন্ম বহন করে চলতে হয়। নারীত্ব নারীর শারীরিক ও মানসিক গুণ, যা পুরুষের সঙ্গে তার পার্থক্য গড়ে তোলে। জৈবিক যে কারণটি নারীকে পুরুষের থেকে নিকোটিতে নামিয়ে রাখে, সেটি হলো তার ধারণক্ষমতা। নারী সন্তান ধারণ করে। এই একটি মাত্র প্রাকৃতিক ঘটনাই পুরুষকে কোথাও কোথাও বাড়তি সুবিধা দেয়, যা নারী পায় না। নারীর এই শরীরকেন্দ্রিক ব্যাপারটিকে পুরুষ কাজে লাগায়। নারীর শরীরকে কাজে লাগিয়ে সে কিছুু বাড়তি সুবিধা আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে নারীর ওপর।
এযাবৎকাল সবকিছুই পুরুষের স্বার্থে, সমাজ-ক্ষমতা সবকিছুই পুরুষের হাতে, পুরুষের প্রয়োজনে হয়ে এসেছে, নারীর জন্য শুধুই থেকেছে গৃহকোণ। পুরুষতন্ত্র কখনো নারীকে বুঝতে দেয়নি পরিবার এবং সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ের ভূমিকা সমান। উনিশ শতকে সংসারে নারীর অবস্থানের চিত্রটি ছিল এ রকম। একবিংশ শতকের প্রথমার্ধে পৌঁছেও পুরুষশাসিত সমাজের কতজন পুরুষ সাফল্যের শীর্ষে ওঠা নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান আর স্বীকৃতি দিতে পারে? নানাভাবে নারীর সাফল্যকে তুচ্ছ, খাটো করার চেষ্টা করে থাকে পুরুষ। সাফল্যের কথা যদি বাদও দিই, মেয়েদের যে একটা আলাদা আইডেন্টিটি আছে, ধারণক্ষমতা আছে তা কি কেউ মনে রেখেছে? তার যে একটা নিজস্ব আকাঙ্ক্ষার জগৎ আছে, তারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে, নারী জীবনের এই সহজ, সাধারণ সত্যকে পুরুষ অবজ্ঞা আর তাচ্ছিল্যই করে এসেছে চিরকাল।
স্বাধীন, স্বনির্ভর কোনো নারী আজও যদি তার মুক্তবুদ্ধির নির্দেশ অনুযায়ী বাঁচতে চান তবে তার বিরুদ্ধে কুৎসা, কলঙ্ক ছড়াতে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আজও কি পিছিয়ে থাকে? নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কো-পাইলট পৃথুলা রশীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে পুরুষতান্ত্রিক বিষ ওগরানো হয়েছে তাতে আমার মনে হয়েছে আমরা আজও বর্বর যুগেই আছি! অথচ কদিন আগেই আমরা পালন করলাম আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আমরা বলতে চাইলাম, ‘প্রগতিকে দাও গতি’। ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর হয়ে গেল না?
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • গিফট র‍্যাপিংয়ের সাধারণ কিছু ভুল

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook