রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

বিয়ের সাজ

অনুসঙ্গআয়নাঘরএই সংখ্যায়জীবনজীবনযাত্রারূপ ও ফ্যাশন

সাজ হবে চোখধাঁধানো

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ২১, ২০২১

সুরাইয়া নাজনীন: কনের সাজ হওয়া উচিত চোখধাঁধানো। কারণ, বিয়েবাড়ির প্রধান আকর্ষণ থাকে কনে, বরও কম যায় না। নতুন বউ দেখতে আসে আগ্রহী হয়ে থাকে। তাই কনেসাজ হতে হবে নজরকাড়া খেয়াল রখতে হবে, কনের নিজস্ব সৌন্দর্য যেন অতিরিক্ত সাজের কারণে হারিয়ে না যায়। স্বাভাবিক লুক বজায় রেখে একটা হালকা মিষ্টি ধাঁচের সাজ হলে মন্দ হবে না। এ প্রসঙ্গে রাহিমা সুলতানা বলেন, একালের মেয়েরা অতিরিক্ত মেকআপটা এমনিই পছন্দ করে না। তাই এখন এমন সাজ বেশ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

স্যালনে হলুদ, বিয়ে, বউভাত আর পানচিনি প্রতিটির ব্রাইডাল মেকআপ পৃথকভাবে বা প্যাকেজ হিসেবে করা যায়। প্রথমে পানচিনি (বাগদান), তারপর গায়েহলুদ, আক্দ, তারপর বিয়ে-বউভাতের পুরোনো ধরন কিছুটা বদলেছে। এখন অনেক সময় বিয়ে-বউভাত আলাদা না হয়ে দুই পক্ষ থেকে একটাই বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হচ্ছে। এর সঙ্গে পানচিনি ও আকদের অনুষ্ঠান একটু ঘটা করেই হোক কিংবা ঘরোয়া ধাঁচের, মেয়েরা সবটাতেই বিউটি স্যালনের সাজাটাই পছন্দ করছে। সে ক্ষেত্রে হলুদ, আক্দ বা বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় বিউটি স্যালনে তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য যে মেকআপ প্যাকেজ আছে, তা নেওয়া যেতে পারে। তার সঙ্গে পারলারে বিশেষভাবে পানচিনির যে কনেসাজ (এনগেজমেন্ট মেকআপ) আছে, তা করতে পারো। তবে ঘরোয়া পানচিনি, এমনকি আকদ এই ব্রাইডাল সাজ না চাইলে অনেকেই শুধু পার্টি মেকআপ করছে। সে ক্ষেত্রে পারলারে বলতে হবে যে পার্টিসাজ চাও। ব্রাইডালের চেয়ে পার্টি মেকআপের খরচটা হবে কম।

ছবি: রেড

পছন্দ অনুযায়ী প্রতিটি অনুষ্ঠান আলাদা বিউটি স্যালনে সাজতেই পারো। তবে এক জায়গাই সাজলে প্যাকেজে সাশ্রয় তো বটেই, তার সঙ্গে কনের চেহারার বৈশিষ্ট্যের বেশ বোঝাপড়া হয়ে যায়। কনের মুখমণ্ডলের গঠন-গড়ন বুঝেশুনে একেক অনুষ্ঠানে তাকে একেক রকম মানানসই সাজ ও চুলের স্টাইল দেওয়া যায়। এমনকি বিয়ে-পূর্ব পরামর্শকালে তাকে গায়েহলুদে কেমন ফুলের গয়নায় ভালো লাগবে, সে পরামর্শও দেওয়া সম্ভব।

বিয়ে বা বউভাতের শাড়ি নিয়ে আলাদাভাবে বলার কোনো অবকাশ নেই। দুই অনুষ্ঠানে শাড়ির কাজ একই রকম হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে রঙের বিষয়টিকে। বিয়ের শাড়ি লাল, জাম রং বা রানি রং হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বউভাতে লাল রংটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বরং সাদা, সাদা-গোলাপি, অফ হোয়াইট হালকা বেগুনি ধরনের রংগুলোতে কনেকে অনেক বেশি স্নিগ্ধ দেখাবে বউভাতের দিন।

একটি বিয়েতে সাধারণত তিনটি অনুষ্ঠান থাকে গায়েহলুদ, বিয়ে ও বউভাত এবং থাকে কনের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি। আমাদের চেষ্টা করতে হবে কীভাবে এ তিনটি অনুষ্ঠান আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তোলা যায়। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিয়ে মেকআপ ও পরিচর্যা করো।

হলুদের সাজ

হলুদের মেকআপ সাধারণত একটু সফ্ট লুক রাখা হয়। হলুদে হলুদ শাড়ি, লাল টিপ, আলপনা, আলতা, ফুলের গয়না ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আজকাল অনেক সুন্দর হলুদের গয়না পাওয়া যায়, সেগুলো শুধু ড্রাই ফ্লাওয়ার দিয়ে তৈরি করা হয় এবং শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সেগুলো পরলে ভালো লাগে। হলুদের মেকআপে ফেসের কালার, টোন এবং সেইপ ঠিক রেখে মেকআপ করলে প্রোপার লুক চলে আসবে। যাদের কপাল ছোট, তারা উল্টো চুল আঁচড়ালে ভালো লাগবে। যাদের কপাল বড় তাদের মাঝে সিঁথি করে চুল আঁচড়ালে ভালো লাগবে। হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য এখন খোঁপা ও বেণি দুটিই ভালো লাগবে।

ছবি: ছায়াছবি

বিয়ের সাজ

বিয়ের মেকআপ অবশ্যই ফেসের ধরন অনুযায়ী হতে হবে। ফেসের ধরন অনুযায়ী মেকআপ সিলেক্ট করা খুব জরুরি। বিয়ের মেকআপের আগে ফেসিয়াল, অয়েল ম্যাসাজ, ময়েশ্চারাইজার এবং মেকআপ প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। বিয়ের দিন সাধারণত একটু ব্রাইট সাজ ভালো লাগে। শাড়ির কালারের সঙ্গে চোখের শ্যাড মিলিয়ে লাগালে ভালো লাগবে। বিয়ের মেকআপ একটু শাইনি হতে হয়। কারণ, কনেকে সবাই অনেক দূর থেকে দেখবে। চোখের জন্য চোখের গড়ন অনুযায়ী ডাইমেনশান ক্রিয়েট করতে হয়। ব্রাইডাল মেকআপের জন্য আলাদা একটা স্পেস থাকা উচিত।

বউভাতের সাজ

বিয়ের পর বউভাতের আগে যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে একটি বডি সার্ভিস এবং ফেসিয়াল নিলে ভালো হবে। বিয়ে যদি ট্রাডিশনাল সাজে হয়ে থাকে, তাহলে বউভাতের সাজটা মডার্ন লুকে ভালো লাগবে। এ জন্য লাল রঙের পরিবর্তে অন্যান্য কালার পরলেও ভালো লাগে। চুলে হাফ স্পাইরালের সঙ্গে খোঁপা করলে ভালো লাগে খোঁপায় থাকা চাই ফুল সাজের সঙ্গে মিল রেখে।

বিয়ের পরে ত্বকের যত্ন

বিয়ের দিন, হলুদ ও বউভাতের অনুষ্ঠানে অনেক ভারী মেকআপ করা হয় টানা কয়েক দিন ধরে। তাই সবার আগে মেকআপ খুব ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে এবং ত্বক পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার আগেই লোশন ও আই মেকআপ রিমোভার দিয়ে তোমার মুখ ও চোখের মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। তোমার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, মেকআপ তোলার জন্য মুখ ধোয়ার আগে কোনো তেলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করো, যাতে তোমার মেকআপ ক্রিমের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়।

ছবি: ছায়াছবি

তবে যাদের ত্বক খুব সেনসেটিভ, তাদের জন্য গন্ধযুক্ত যে কোনো প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলতে হবে। বাজারে অনেক মেকআপ রিমোভার লোশন পাওয়া যায়। তবে যেকোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও এ কাজ যথেষ্ট কার্যকরভাবে করা যায়।

মেকআপ না তুলে ঘুমাতে যাবে না। যদি মেকআপ না তুলে ঘুমাতে যাও, তাহলে লোমের গোড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে, মাসকারা চোখের পাপড়ি ফেলে দিতে পারে বা ভেঙে ফেলতে পারে। কোনো ভালো পারলারে গিয়ে ফেসিয়াল করাতে পারো।

বরের সাজ : বউভাতের দিন ছেলের সাজে থাকবে অবশ্যই স্যুট। স্যুটের রং হতে পারে মেয়ের শাড়ির রঙের সঙ্গে মানানসই। অথবা টাই পরতে পারো কনের শাড়ির রঙের সঙ্গে মিল রেখে। তবে ছেলের পুরো পোশাক হতে হবে গর্জিয়াস। যেন কনের সাজের পাশে ছেলের সাজকে হালকা না লাগে।

 

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আয়নাঘরচলন বলনজীবনযাত্রাবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

অপরূপ সাজে কনে

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ২, ২০২১

বিয়ের সাজের পরিকল্পনা একটু সময় নিয়েই করতে হয়। এখানে অনেক বিষয় জড়িত থাকে। নানা ধাপে চলে বিয়ের সাজের আনুষ্ঠানিকতা। কোনোটি কম গুরুত্ব বহন করে না। ফ্যাশন বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। বিয়ের ফ্যাশনে থাকে বাড়তি আমেজ যা বর-কনেকে ভাবিয়ে তোলে বিয়ে শেষ হওয়া অবধি। এবার মহামারির জন্য বিয়ের আয়োজন হয়তো কিছুটা অন্য রকম হচ্ছে, তবে এবার ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিয়ের ফ্যাশন নিয়ে ততটা নিরীক্ষা করার সুযোগ পাননি। গত বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে। বিয়ের সাজসজ্জা ও যত্ন আত্তি নিয়ে এবারের আয়োজন :
বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় থেকেই কনেকে নিজের যতœ-আত্তির বিষয়ে সচেতন হতে হয়। তাই যতেœর বিষয়ে কনের আইডিয়া থাকতে হবে, না থাকলে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ত্বক ভালো রাখার প্রথম ধাপ। নিজের স্কিনের সঙ্গে ভালো যায়, এমন ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। মাঝেমধ্যে অয়েল ম্যাসাজ করে নেবে ত্বকে। কনেদের জন্য অয়েল ক্লিঞ্জিং বেশ ভালো কাজে দেবে। স্কিন সফট এবং টাইট রাখার জন্য অয়েল ক্লিঞ্জিং মাস্ট। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল এগুলো দিয়ে তো করা যাবেই, তা ছাড়া আর একটা বেস্ট অপশন হলো কোকোনাট মিল্ক। বাটিতে কোকোনাট মিল্ক নিয়ে ফ্রিজে ২০ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দাও। এরপর একটি কটন প্যাডের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নাও। এবার দুই হাতের মধ্যমা এবং রিং ফিঙ্গার দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে নাও ২-৩ মিনিট, এরপর ধুয়ে ফেলো।

কনের জন্য প্যাক

কিছুদিন আগে থেকেই প্যাক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বকের  গ্লো ঠিক থাকবে।

  • ২ টেবিল চামচ বাটিতে চন্দন পাউডার, ১  টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক, হাফ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নাও। পুরো মুখ, গলা এবং চাইলে হাতে-পায়েও লাগিয়ে নিতে পারো মাস্কটি। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নাও।
  •  বাটিতে ২ টেবিল চামচ বেসন, কোয়ার্টার টেবিল চামচ হলুদগুঁড়া, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নাও। এই মাস্ক টি পুরো মুখ এবং গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলো। এই মাস্কটি রাতের বেলায় ব্যবহার করবে। অবশ্যই মাস্ক লাগানোর পরে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাবে।
  •  বিয়ের এক মাস আগে নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই করার কথা মাথায় না আনাই ভালো। কোন প্রোডাক্ট স্কিনে কী রিয়েক্ট করে, তা তা বলা যায় না। এ জন্য আগের ব্যবহারকৃত বিশ্বস্ত প্রোডাক্টগুলোই চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিয়ের আগে স্কিনে যদি পিম্পল, র‌্যাশ, ব্রেকআউট থাকে, তবে সবচেয়ে ভালো হয় স্কিন ডক্টরের শরণাপন্ন হওয়া। এটাও বিয়ের দুই-তিন মাস আগে করা উচিত।
  •  বিয়ের আগে যতবারই দিনের বেলায় বাইরে যাবে, সানস্ক্রিন মাস্ট। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে মুখ, গলা এবং সান এক্সপোজড এরিয়াগুলোতে এসপিএফ ৪০+ সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবে।


গায়েহলুদের মায়াবী সাজ
এখনকার বিয়েগুলোতে গায়েহলুদের আয়োজনটাই মনমাতানো। খুব ঘটা করে গায়েহলুদের আয়োজন করা হয়। এখন গায়েহলুদেও শাড়ির রঙের ক্ষেত্রে হলুদই থাকতে হবে, সে ধারণাও বদলেছে। গায়েহলুদে শাড়ির রঙের ব্যাকরণ তৈরি করে ফ্যাশন ডিজাইনাররা। এখন শুধু হলুদ নয়, একরঙা লাল, কাঁচা মেহেদির রং, সবুজও থাকতে পারে। আর শাড়ি সব সময় হলুদ হতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তুমি চাইলে ভিন্ন রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে পারো। ফেব্রিক হতে পারে মসলিন, সিল্ক, কটন, জামদানি। শাড়িতে খুব জমকালো কাজ না থাকলেই ভালো। হলুদে বরপক্ষের ও কনেপক্ষের আত্মীয়রাও একই ধরনের শাড়ি পরে। তবে শুধু শাড়িই যে পরতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তুমি যদি কমফোর্ট ফিল করো, তাহলে পরে নিতে পারো লেহেঙ্গা অথবা লং কামিজ।

আর সঙ্গে মানানসই গয়না ও সাজ শুধু হলুদকে বেজ করে তুমি শাড়িতে নানা রঙের পাড় বসিয়ে দিতে পারো। তাহলে তোমার শাড়ি ও সাজে আসবে ভিন্নতা। আবার শাড়ি, গয়না সব যদি একই রঙের ম্যাচ করে পরে থাকো, তাহলেও কিন্তু দেখতে অনেক ভালো লাগবে। বøাউজের নকশায় থাকছে বাহারি রঙের ছোঁয়া। কাটছাঁটেও আসছে ভিন্নতা। থাকছে অনুষঙ্গের প্রাধান্য। হলুদের সাজে ফুলের গয়নার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রুপালি অথবা সোনালি গয়না পরার চল। শুধু বাঁধা চুলেই নয়, হলুদের দিন খোলা চুলেও সাজছে কনেরা। হলুদের চলতি ধারার সাজে এমনই নানা পরিবর্তন কনের সাজে তুলে ধরছে বিশেষত্ব।

হলুদে নান্দনিক গয়না
গায়েহলুদে কাঁচা ফুলের গয়নাই বেশি মানানসই। এ ছাড়া শুকনো ফুলের সঙ্গেও পুঁতি-জরির কাজ, স্টোন দিয়ে তৈরি কৃত্রিম ফুলের মালা কিনতে পাওয়া যায়, যা শাড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে অর্ডার দিয়ে বানিয়েও নেওয়া যায়। যেমন গয়নাই পরা হোক না কেন, ফুলের আকার ছোট হলেই ভালো। সাজের ভিন্নতা আনতে চাইলে রুপা বা পুঁথির গয়নাও পরতে পারো। হাতে থাকতে পারে ফুলের গয়না। হাতভর্তি কাচের চুড়ি তো আলাদা বৈশিষ্ট্য তৈরি করবে।

হলুদের স্নিগ্ধ মেকআপ
গায়েহলুদের জন্য হালকা মেকআপই ভালো। হলুদের অনুষ্ঠানে একটা ঘরোয়া ভাব থাকে। গায়েহলুদে যদি হলুদ রঙের শাড়ি বেছে নেওয়া হয়, তবে মেকআপ হবে গোল্ডেন, ব্রাউন, ব্রোঞ্জ শেডের। মেকআপ হালকা হলেই ভালো দেখায়, চোখের সাজেও গোল্ডেন, ব্রোঞ্জ, ব্রাউন আইশ্যাডো ব্যবহার করো। সঙ্গে গাঢ় করে আইলাইনার। মাসকারা ও আইলাশের ব্যবহার চোখ দুটোকে করে দেয় অনেক বেশি আকর্ষণীয়। গালে ব্রাউন বøাশঅন, শেড আর ঠোঁটে ন্যাচারাল লিপস্টিক। লিপ গøস না ব্যবহার করে এমন লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত, যা বেশিক্ষণ পর্যন্ত থাকে।মেহেদি
হলুদে নকশার জন্য টিউব মেহেদি ব্যবহার করতে পারো। বর্তমানে মেহেদির ডিজাইনের ক্ষেত্রে অ্যারাবিয়ান ডিজাইন চলছে বেশি। অ্যারাবিয়ান ডিজাইনের ক্ষেত্রে কালো মেহেদি এবং সাধারণ মেহেদি দুটোই ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে বর্ডারে কালো মেহেদির ব্যবহার হয় এবং ভেতরের সূ² ডিজাইনটি হয় সাধারণ মেহেদির দ্বারা। এ ছাড়া হলুদের অনুষ্ঠানে যদি মেহেদি পরতে চাও, তাহলে ডিজাইনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবহার করতে পারো ফেব্রিক্স, স্টোন ও চুমকি।

বিয়ের স্বপ্নিল সাজ
প্রতিটি মেয়েরই নানা স্বপ্ন থাকে তার বিয়ের দিনটিকে ঘিরে। বিয়ের বেশ অনেক দিন আগে থেকেই নানা জল্পনাকল্পনা চলতে থাকে, বিশেষ করে সাজ কেমন হবে, তা নিয়ে। ব্রাইডাল মেকআপ একটু বেশি অন্য রকমের হয়। বিয়ের সাজের সবচেয়ে বড় ভুল যেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কনের মুখে মেকআপের পরত চড়িয়ে-চড়িয়ে সাদা করে দেওয়া! আসলে আমাদের গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই করে মেকআপের শেডগুলো বাছলে তা দেখতে ভালো লাগে। বেশির ভাগ বাঙালি কনের বিয়ের মেকআপ হয় একটু লালচে বা গোলাপি ঘেঁষা, নিজের স্কিন টোন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য মেকআপের শেড বেছে নাও এবং খুব ভালো করে বেøন্ড করে বিয়ের মেকআপ করে নাও। এখনকার বিয়ের সাজের প্রধান অংশ ধরা হয় চোখের মেকআপ। হালকা গোলাপি বা বাদামি শেডের গিøটার দেওয়া আইশ্যাডো খুব ভালো করে বেøন্ড করো চোখের ওপরের অংশে। চাইলে রঙিন আইলাইনার বা গ্লিটার দেওয়া আইলাইনার লাগাতে পারো, তা না হলে কালো জেল আইলাইনার লাগাও। বাঙালি কনে আর লাল বেনারসি, এ যেন একে অপরের পরিপূরক।

নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে মানানসই শেড বেছে বেস মেকআপ করে নাও এবং তারপর সোনালি আইশ্যাডো লাগাও চোখে। তবে শুধু সোনালি আইশ্যাডো নয়, সঙ্গে অন্যান্য মানানসই শেড মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে চোখের মেকআপ করবে। ঠোঁটে লাগাও লাল রঙের ম্যাট লিপস্টিক। বিয়ের মেকআপ অবশ্যই ফেসের ধরন অনুযায়ী হতে হবে। ফেসের ধরন অনুযায়ী মেকআপ সিলেক্ট করা খুব জরুরি। বিয়ের মেকআপের আগে ফেসিয়াল, অয়েল ম্যাসাজ, ময়েশ্চারাইজার এবং মেকআপ প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। বিয়ের দিন সাধারণত একটু ব্রাইট সাজ ভালো লাগে। শাড়ির কালারের সঙ্গে চোখের শেড মিলিয়ে লাগালে ভালো লাগবে। বিয়ের মেকআপ একটু শাইনি হতে হয়, কারণ কনেকে সবাই অনেক দূর থেকে দেখবে। চোখের জন্য চোখের গড়ন অনুযায়ী ডাইমেনশন ক্রিয়েট করতে হয়। ব্রাইডাল মেকআপের জন্য আলাদা একটা স্পেস থাকা উচিত।

বউভাতে গর্জিয়াস
বিয়ের পর বউভাতের আগে যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে একটি ফেসিয়াল নিলে ভালো হবে। বিয়ে যদি ট্র্যাডিশনাল সাজে হয়ে থাকে, তাহলে বউভাতের সাজটা মডার্ন লুকে ভালো লাগবে। এ জন্য লাল রঙের পরিবর্তে অন্যান্য কালার পরলেও ভালো লাগে। চুলে হাফ স্পাইরালের সঙ্গে খোঁপা করলে ভালো লাগে। খোঁপায় থাকা চাই ফুল, তা পোশাক ও সাজের সঙ্গে মিল রেখে। বউভাতে তুমি নুড মেকআপ করাতেই পারো। নুড মেকআপ মানেই ‘নো মেকআপ’ নয়। লাল টুকটুকে বেনারসি না পরে যদি অন্য কোনো হালকা রং পরো, সে ক্ষেত্রে এই মেকআপটি খুব ভালো লাগবে। তবে মেকআপের সরঞ্জামের সবকিছুই নুড শেডের হলেও কিন্তু আইভ্র আঁকবে মোটা করে, তাতে মুখের ফিচারগুলো বেশ হাইলাইটেড হবে। গত কয়েক বছরের ব্রাইডাল মেকআপ প্যালেটে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে প্যাস্টেল রঙের।

যেমন মভ, ল্যাভেন্ডার, আইভরি, স্যামন পিংক, পিচ, পিচ-পিংক, মিন্ট গ্রিনের মতো রং। সঙ্গে মেকআপও হচ্ছে ন্যুড। মেকআপ আর্টিস্টের নিপুণ হাতে কনের চোখে দেখা যাচ্ছে পিঙ্ক স্মোকি, অরেঞ্জ স্মোকি, প্লাম স্মোকি, পার্পল স্মোকি, ডার্ক পিঙ্ক স্মোকি আইজ। এইচডি মেকআপ পদ্ধতিতে তোমার মুখের সেরা ফিচার্সগুলো হাইলাইট করে মুখের খুঁত ঢেকে ফেলা হয় এমনভাবে, যাতে ছবিতে ও ভিডিওতে তোমাকে ফ্ললেস লাগে। হালকা বা ন্যাচারাল লুক রাখতেও এই মেকআপ কার্যকরী।

লেখা: নুসিয়্যাত মায়োমি

ছবি : রোদসী ও সংগৃহিত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আয়নাঘরকেনাকাটাতুমিই রোদসীনারীরূপ ও ফ্যাশন

কনের সাজ

করেছে Sabiha Zaman জানুয়ারী ১৫, ২০২০

বিয়েবাড়ির মূল আকর্ষণ বিয়ের কনে। আর কনের মূল আকর্ষণ হলো তার সাজে। এখনো বিয়েবাড়িতে গেলে প্রথম যে কথাটা শোনা যায় কনেকে তো বেশ লাগছে! কোথা থেকে সেজেছে! কখনো কখনো এর উল্টোটাও ঘটে বটে! বলা হয়ে থাকে কনের গায়ের রঙে নাকি আভা ছড়িয়ে পড়ে তার বিয়ে হিড়িক পড়লে। তার ওপর যদি একেবারে তার মনের মতো করে সাজানো যায়, তবে তো কথাই নেই!

বর্তমান সময়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বেড়ে যাওয়ায় কনের সাজসজ্জায়ও দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন বাহার। একসময় গায়েহলুদের দিন সকালে কনেকে সারা গায়ে হলুদ মেখে যে গোসল দেওয়া হতো আর এখন সেটা নিয়ে আলাদা একটা অনুষ্ঠান করা হয় যাকে বলা হয় ব্রাইডাল শাওয়ার। আর তার জন্য আছে কনের বিশেষ সাজসজ্জা। কনে আর তার বান্ধবীরা হালকা মোলায়েম বা রেশম কাপড়ের গাউন পরে থাকে। আর কনের মাথায় পরিয়ে দেয় রানির মতো মুকুট।

এরপর থেকে শুরু হয় বিয়ের মূল অনুষ্ঠানগুলোর পরিক্রমা। এখন গায়ে হলুদের শাড়ি হিসেবে কনে লাল, সবুজ, বেগুনি, হলুদ, কমলা, লাল ইত্যাদি রঙের সমাহারে নিজেকে সাজায়। আর এই শাড়ি সাধারণত কনে এক প্যাঁচে কিংবা সামনে আঁচল দিয়ে পড়ে থাকে আর মাথায় থাকে হালকা ঘোমটা। কখনো কখনো শাড়ির বদলে রংবেরঙের লেহেঙ্গাও কনের পোশাক হিসেবে দেখা যায়। গায়ে হলুদে কনের সাজের অলংকার মূলত ফুলের তৈরি মালা, চুড়ি আর কানের দুল।

গায়ে হলুদের সাজ কনে তার পছন্দসই কোনো পারলার থেকেই নিয়ে থাকে। সেখানে আলাদাভাবে অনুষ্ঠানের নাম উল্লেখ করলে তারা সে অনুযায়ী মেকআপ দিয়ে থাকে। গায়ে হলুদে কনে কখনো কখনো চুলে টারসেল লাগিয়ে বড় বেণি করে থাকে। আর বেণির কোণে কোণে থাকে ফুল দিয়ে বাঁধা জারবেরা, গাঁদা কিংবা রজনীগন্ধা।

চোখের কাজল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত কনের সম্পূর্ণ সাজই হয়ে থাকে গায়ে হলুদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, কোথাও একটু কম নয়, কোথাও একটু বেশি নয়।

সবকিছুর পরে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান যখন আসে তখন দেখা যায় আসল সাজ। কনে সাধারণত সিঁদুর লাল রঙের শাড়ি পরে থাকে। কনে সাধারণত খুব যত্ন করে একটা খোঁপা করে কিংবা কখনো হালকা ছেড়ে একটা খোঁপা করে যেটা তার মুখের সঙ্গে মানানসই। নানা রকমের গোল্ড কিংবা গোল্ড প্লেটেড অলংকারে নিজেকে সাজায় কনে। গায়ে হলুদে পড়া হাতের রাখিটা বিয়েতে পরতে ভোলে না বর-কনে দুজনেই। হাতের মেহেদির ওপর নতুন গ্লিটার, চোখের আই ল্যাশ, গালের ব্লাশঅন, লাল বেনারসির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঠোঁটের লাল লিপস্টিক সবকিছু মিলিয়ে কনেকে লাগে একটা লাল টুকটুক পরি! সাধারণত পারলারগুলো বিয়ের কনের সাজে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বরাদ্দ করে থাকে।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় বউভাতের মধ্য দিয়ে। বউভাতে কনের সাজ বিয়ের চেয়ে একটু হালকা হয়ে থাকে কারণ খুব ভারী অলংকার সেদিন কনে পরে না। বউভাতের শাড়ির রং থাকে নীল, বেগুনি, সবুজ, গোলাপি, ফিরোজা ইত্যাদি।

এ অনুষ্ঠানের সাজে সেই বিয়ের সাজের ভাবগম্ভীরতাটা অতটা না থাকলেও সাজে কমতি কোনো অংশে থাকে না। বিয়ের সাজ নিয়ে কনে কখনোই কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। কনের বিয়ের সাজে হেরফের মানে তো বিয়ের অনুষ্ঠানই ফিকে হয়ে যাওয়া!

লেখা: সানজিদা আলভী

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • ঘরেই বানিয়ে নাও মেকআপ সেটিং স্প্রে

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook