রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
ট্যাগ:

বিয়ে

এই সংখ্যায়চলন বলনজীবনবিশেষ রচনা

বর-কনের মানসিক প্রস্তুতি

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ২২, ২০২১

সায়মা রহমান তুলি: বিয়ে এমন এক বন্ধন, যা চিরস্থায়ী করতে চায় সবাই। দুজন মানুষের আত্মিক সম্পর্ক জুড়ে দিতে আয়োজনের কোনো কমতি থাকে না। কিন্তু এত সব হই-হুল্লোড়ে অবহেলায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে বর-কনের মানসিক স্বাস্থ্য। জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিয়ে। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ভুল হলে বিশাল মাশুল গুনতে হয় পরিবার-পরিজনসহ সবাইকে। বর্তমানে নারী-পুরুষ সবাই খুব সচেতন। তারপরও ভুল হচ্ছে এবং বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঠিক কোন বয়সে বিয়ে করতে চাও, তা পরিকল্পনা করা জরুরি। বিয়ের ব্যাপারেও অদৃষ্টবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনেকের জীবনকে কঠিন করে তোলে। ক্যারিয়ার ও নিজে জীবনে কী চাচ্ছ যে মানুষটা থেকে তুমি কি প্রত্যাশা করে সেই সব বিষয় খেয়াল রেখে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজের পছন্দ বিয়ের সুবিধা পাত্র-পাত্রী আগে থেকে নিজেদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব থাকার কারণে বোঝাপড়াটা সহজ। অন্যদিকে পারিবারিক বিয়েতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কম সময় পাওয়া যায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই সহজ হতে সময় লাগে। বিয়ের পাকা কথা হয়ে যাওয়ার পর হবু বর-কনের বেশ কয়েকবার কথা বলা, দেখাশোনা, একসঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটা, কোথাও খেতে যাওয়া একে অপরের ভালো লাগা-মন্দ লাগা জানাটা খুব জরুরি। দুজনকেই মনে রাখতে হবে টিভি সিরিয়াল, সিনেমা ও বাস্তবতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। সবকিছু কল্পনা বা নিজের মতো করে হবে না সব সময়।

স্যাক্রিফাইস করার মানসিকতা থাকতে হবে দুজনের। শেয়ার করতে হবে একে অপরের সঙ্গে। যথাসম্ভব নেগেটিভ শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে অপরের প্রশংসা দিয়ে শুরু করলে ভালো। যে বিষয়গুলো ভালো লাগছে না, তা বদলাতে অনুরোধ করা যেতে পারে। যেমন স্ত্রীর যদি মনে হয় স্বামীর ধূমপান করা ভালো লাগছে না, তাহলে রিঅ্যাক্ট না করে জানাতে হবে যেহেতু বিষয়টি সবার জন্যই ক্ষতিকর তাই চেষ্টা করতে হবে বাদ দিতে। বিয়ের আগে দুজনকে সব বিষয়েই পরিষ্কার থাকা জরুরি।

বিয়ের পর
একে অপরের স্বাধীনতায় যেন বাধা না হয়। কোনো শর্ত থাকলে তা আগেই জানাতে হবে। কোনো মিথ্যার আশ্রয় কিংবা ভুল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করা অপরাধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েরা বিয়ের আগে প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে, যা কারও চোখেই পড়ে না। নতুন সংসার নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা সব মিলিয়ে একটা ভীতি কাজ করে। অনেক মেয়ের বারবার মুড সুইং করে। ছেলেরা যে দুশ্চিন্তা করে না তা কিন্তু নয়। দায়িত্ববোধ কিংবা স্ত্রীর আগমনে সংসারের অন্যদের আচরণ কেমন হবে, তা নিয়ে ছেলেরাও ভাবে। সম্পর্কেও আগে যতটুকু প্রয়োজন জেনে নিলে আস্থা তৈরি হয়। কখনো আবেগের বশে বা কোনো রকম চাপে বিয়ে না করাই ভালো। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করা নিজেরই ক্ষতি। বিয়ে মানে একে অপরকে দয়া করে সম্পর্ক করাও নয়। উভয়ই একে অপরের পরিপূরক। যখন তুমি বুঝবে তুমি বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নও, তখন পাত্র-পাত্রী দেখে সময় নষ্ট করবে না। অনেকের বিয়েভীতি আছে। নতুন জেনারেশনের অনেকে বিয়েতে বিশ্বাসী  নয়, এটা তাদের চয়েস। এসব ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে হবে তুমি কি চাইছ। স্বাভাবিক ভীতি হলে কাউন্সিলরের পরামর্শ নিতে পারো। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলো তার সঙ্গে আলাপ করে দুজনই কাউসেলিংয়ের সেবা নিতে পারো।

বিগ বাজেটে রাজকীয় আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে উভয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া সময়ের দাবি। বিয়ের আগে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে। পেইন্টিং, ভালোবাসা বা সম্পর্ক নিয়ে লেখা বই, ফুল, ক্যান্ডেল, মনের ভাব প্রকাশ করে চিরকুট ছোট উপহারে সম্পর্ক বেড়ে ওঠে। জীবনসঙ্গীকে আশ^স্ত করা জরুরি সারা জীবন সঙ্গে থাকতে চায় বলেই বিয়ে করছ। একে অপরের শক্তি সুখের কারণ হবে। বিশেষ রূপচর্চা করো। নিয়মিত ঘুমাও, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করো, প্রচুর পানি খাও, মেডিটেশন করো, ভালোবাসার গান শোনো। হাসিখুশি থাকো আর উত্তেজিত হওয়া থেকে বিরত থাকো। পজিটিভ থাকতে হবে সব সময়। সম্পর্কটা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং নতুন প্রাণের আবির্ভাবের আকাক্সক্ষা পৃথিবীকে সুন্দর করার মতো দারুণ দারুণ সব অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর।

লেখক: গবেষক, সংস্কৃতিকর্মী

ছবি: ছায়াছবি

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গএই সংখ্যায়চলন বলনজীবনভ্রমণ ফাইলরোদসীর পছন্দ

ওয়েডিং ডেস্টিনেশন

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ২০, ২০২১

গোলাম কিবরিয়া:  বিয়ে মানেই প্রতিটি মানুষের কাছে বিশেষ কিছু। তাই এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সবারই চেষ্টা থাকে বিশেষ কিছু করার। যুগে যুগে মানুষের জীবনাচারে যেমন বৈচিত্র্য আসে, তেমনি পরিবর্তন আসে সামাজিক বিভিন্ন আয়োজনের ট্রেন্ডেও। আবার পুরোনো অনেক ট্রেন্ড নতুন রঙে নতুন ঢঙে হাজির হয়। বিয়ের আয়োজনের পালেও তাই লেগেছে নতুন হাওয়া। বিয়ের নতুন ট্রেন্ড ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। যদিও এ ট্রেন্ড একেবারেই নতুন নয়। এ যেন পুরোনোকে নতুন রঙে হাওয়া দেওয়া।
আদি যুগ থেকেই বিয়ের আয়োজন মানেই ছিল খোলা আকাশের নিচে আশপাশে রঙিন কাগজ টানিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বিয়ের আয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তন এলেও নতুন করে ভিন্ন রূপে এ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হতে চলেছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু দূরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে প্রিয়জনদের নিয়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং আয়োজন স্মরণীয় করে তোলে মুহূর্তগুলো। ধীরে ধীরে মানুষের কাছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই যাচ্ছে।
বিভিন্ন সেলিব্রিটি প্রায়ই নিজেদের বিয়ের জন্য ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করছে। কারণ, খোলা আকাশের নিচে খোলামেলা একটা ভেন্যু যতটা সুন্দর করে সাজানো যায়, বদ্ধ ছাদের নিচে ততটা সুন্দর করে সাজানো যায় না। ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ইউরোপ-আমেরিকায় অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। নিজেদের চেনা শহরের বাইরে গিয়ে সমুদ্র, পাহাড় বা জঙ্গলঘেরা প্রকৃতির মধ্যে আয়োজন হচ্ছে বিয়ে। এ ছাড়া কোনো ঐতিহাসিক স্থান বা রিসোর্ট ভাড়া নিয়েও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার চল এবার দেশের মধ্যে বেড়েছে।
নিজের মনমতো সবকিছু করা যায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে। সবকিছুই অনেক ইউনিক আর গর্জিয়াস করা যায়। তাই তোমার স্বপ্নের বিয়ের আয়োজনটাকে সবার থেকে একটু আলাদা রাখতে, সবকিছুতে কিছুটা ভিন্নতা আনতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করতেই পারো।
প্রিয় পাঠক, এখন ভাবছ সবই তো বুঝলাম কিন্তু ডেস্টিনেশন ওয়েডিংটা করব কোথায়?

পছন্দের তালিকায় রিসোর্ট
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রাখতে পারো শহরের কাছাকাছি পছন্দের কোনো রিসোর্টে। প্রতিনিয়তই একের পর এক গড়ে উঠছে নান্দনিক রিসোর্ট। অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এসব রিসোর্টে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে অতিথিদের শান্তি খুঁজে দেওয়াই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বিয়ের দিন সকালে অথবা আগের দিন নিমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রাখা গাড়ি চলে যাবে রিসোর্টে। সেখানে বিয়ের সব আয়োজনের দায়িত্ব কোনো দক্ষ ওয়েডিং প্ল্যানারকে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারো। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট আছে, যেখানে অনায়াসে মনমতো বিয়ের আয়োজন করা যেতে পারে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকার আশপাশে ও ঢাকার বাইরে এমন কিছু নান্দনিক রিসোর্ট হলো :
ছুটি রিসোর্ট জয়দেবপুর, পদ্মা রিসোর্ট মুন্সিগঞ্জ, মাওয়া রিসোর্ট মুন্সিগঞ্জ, যমুনা রিসোর্ট টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা রিসোর্ট টাঙ্গাইল, সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট নারায়ণগঞ্জ, হেরিটেজ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা নরসিংদী, সাইরু হিল রিসোর্ট, অরুনিমা রিসোর্ট নড়াইল, ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা গাজীপুর, জল জঙ্গলের কাব্য পূবাইল, আরশিনগর হলিডে রিসোর্ট, মেঘবাড়ি হলিডে রিসোর্ট বান্দরবান, সাহেববাড়ি রিসোর্ট গাজীপুর, সীগাল রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট গাজীপুর, গ্রীন ভিউ রিসোর্ট মৈনারটেক, পাকশী রিসোর্ট পাবনাসহ রয়েছে অসংখ্য রিসোর্ট। রিসোর্ট ছাড়াও বড় তারকা হোটেল ও বাংলোবাড়ি ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ভেন্যু হতে পারে।

পাহাড় নয়তো সমুদ্রে
কী ভাবছ? বিয়ে করতে পাহাড় বা সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে হবে! নাহ পাঠক, এমন কিছুই নয়। বিয়ে আয়োজনকে আরেকটু ভিন্ন রূপ দিতে তুমিও চাইলে ঢাকার বাইরে পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক স্থান কিংবা সমুদ্রের কাছাকাছি কোনো স্থানকে বেছে নিতে পারো। কক্সবাজার কিংবা সেন্ট মার্টিনে অসংখ্য নান্দনিক সাজে সজ্জিত রিসোর্ট কটেজ রয়েছে। নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচে মানুষের আনাগোনা কম থাকে। পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় ফাঁকা জায়গাজুড়ে সাজাতে পারো বিয়ের আসর। তালিকায় আরও রাখতে পারো কুয়াকাটা সৈকত ও কক্সবাজারে শামলাপুর সৈকত। চাইলেই অতিথিদের নিয়ে মনমতো আয়োজন সেরে নিতে পারো, সেখানে অবস্থিত রিসোর্ট বা কটেজে। বান্দরবানের নীলগিরি, নীলাচল ও রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে পারে পাহাড়ঘেরা সবুজের মধ্যে তোমার ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। ভাবো তো একবার, তোমার বিয়ের আয়োজন হচ্ছে পাহাড়ঘেরা কোনো পরিবেশে নয়তো সমুদ্রের পাশে। এ যেন স্বপ্নের জগতেই হারিয়ে যাওয়া।

ঘন অরণ্যে
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ জীবন শুরু হবে সবুজে ঘেরা ঘন অরণ্যে। পাখির কলরবের মাঝে জঙ্গল সেজে উঠবে তোমার বিয়ের জন্য। নওগাঁর আলতাদীঘি, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে বিয়ের। দিনের বেলা সুন্দরবনের লঞ্চেও হতে পারে বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে বনের পশুপাখিকে বিরক্ত না করেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা শ্রেয়।


ভিলেজ ওয়েডিং
চাইলে নিজ গ্রামের বাড়িতেও বেশ ধুমধাম করে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের আয়োজন করা যেতে পারে। বছরের পর বছর পড়ে থাকা ফাঁকা বাড়িটা আলোকসজ্জা আর আতশবাজিতে মেতে উঠবে। গ্রামের শেওলাধরা পুকুরঘাটে গায়েহলুদের ছোট্ট আসর বসবে। অনেকের নিজ গ্রামের বাড়িতে তেমন জায়গা না-ও থাকতে পারে। তবে তাতেও চিন্তা নেই। জয়রামপুর কৃষি পর্যটন গ্রাম, চারিপাড়া পর্যটন গ্রামসহ ইকো ট্যুরিজমের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক পর্যটন গ্রাম গড়ে উঠেছে। সেসব গ্রামে হতে পারে তোমার ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। খোলামেলা উঠানে শীতলপাটিতে বসে সূচনা হবে নতুন এক অধ্যায়। ছবির মতো সুন্দর এ মুহূর্তগুলো বাকি জীবন স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে।

থাকো নির্ভার
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিকল্পনা খুব সহজ কথা নয়। অনুষ্ঠান অনুযায়ী ভেন্যু, খাবারের মেন্যু ঠিক করা, বর-কনের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের পোশাক কেনা, নিমন্ত্রণপত্র ছাপানো, স্টেজ সাজানো, তত্ত্ব গোছানো, ছবি ভিডিও আরও কত-কী! যারা একটু সুন্দরভাবে এসব করতে চাও অথচ নিজেদের অত সময় নেই, তারা ভেন্যু ঠিক করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আর ওয়েডিং প্ল্যানারের সাহায্য নিতে পারো। এ ছাড়া ভ্রমণ, রিসোর্ট বুকিং, টিকেটিংয়ে সহায়তা নিতে পারো ট্যুর অপারেটর অথবা অনলাইন ট্রাভেল গ্রুপগুলোর কাছ থেকে।

বাজেট নিয়ে ভাবনা?
বাড়ি তৈরি, গাড়ি ক্রয়, ব্যবসার জন্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক ধরনের ঋণ দেয় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো। তবে এসব ছাড়াও এখন বিয়ে করার জন্য ঋণ দিচ্ছে অনেক ব্যাংক। এ ধরনের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংকগুরো বিয়ের জন্য লোন সুবিধা দিয়ে থাকে।
শুরু হয়ে গেছে বিয়ের মৌসুম। তাই জীবনসঙ্গীকে নিয়ে আর দেরি না করে পছন্দসই ওয়েডিং ডেস্টিনেশন খুঁজে নাও। নতুন পথচলা হোক আনন্দের, শুভকামনা।

ছবি: সজীব মিয়া ও নুসরাত জাহান রিজভি 

 

 

০ মন্তব্য করো
1 FacebookTwitterPinterestEmail
অনুসঙ্গআয়নাঘরএই সংখ্যায়গ্রুমিংজীবনবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

বিয়ের গয়নার চলতি ট্রেন্ড

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

বিয়ের সাজে পোশাকের পর আসে গয়নার কথা। গয়না ছাড়া বিয়ের সাজ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। আকদ হোক বা বড় আয়োজনের বিয়ে, গয়নায় বউয়ের সাজের পূর্ণতা আসে। একটা সময় ছিল যখন বিয়ের গয়না মানেই ছিল ভারী গয়না। কিন্তু এখন আর সে যুগ নেই। বেশির ভাগ কনেই বিয়েতে হালকা গয়না পরতে চায়। হালকা নকশার ট্রেন্ডি গয়নায় বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে ফ্যাশনসচেতন কনেদের কাছে। বিয়ের গয়নার চলতি ট্রেন্ড নিয়ে রোদসীর আজকের আয়োজন। লিখেছেন সাবিহা জামান-

বর্তমানে বিয়ের গয়নার ট্রেন্ড নিয়ে কথা বলেন অনলাইন শপ ‘তন্দ্রাবিলাশ’-এর অনিয়া অনি। তিনি বলেন, বিয়েতে এখন শুধু সোনার গয়নাই পরে না বউয়েরা। এখন অনেকেই পাকিস্তানি কনেদের মতো সাজে। মুলতানি আর কুন্দন গয়না বর্তমান ট্রেন্ডে খুব চলছে। অনি আরও বলেন, ‘আগে একটা সময় ছিল যখন আমরা বিয়ের শপিং করতে শপেই যেতাম। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর ধরে অনলাইন শপ থেকেও এখন কনেরা বিয়ের শপিং করছেন। এর অন্যতম কারণ অনলাইন শপগুলোতে ট্রেন্ড মাথায় রেখে আনকমন গয়না আনে।’

সোনার গয়না
আসলে বিয়েতে সোনার গয়নার আবেদন সব সময় রয়েছে। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি বিয়েতে সোনার গয়না ছাড়া যেন পূর্ণতা পায় না। তবে আগের মতো এখন আর ভারী সোনার গয়নার যুগ নেই। বাজেট আর নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে সবাই হালকা ওজনের গয়নাই বেছে নেয়। আজকাল শুধু সোনা দিয়েই বিয়ের গয়না তৈরি হয় না। সোনার সঙ্গে মুক্তা, কুন্দন, পাথরের মিশেলে চমৎকার গয়নার সাজে কনেরা সাজছে। সলিড গোল্ডের পাশাপাশি পুঁতি, মুক্তা, স্টোন ও কুন্দনের মিশেলে তৈরি হচ্ছে বিয়ের গয়না। চলতি ট্রেন্ডে রুবি ও মিনাকারির কাজের সঙ্গে জারকান স্টোনের গয়নায় সাজছে বিয়ের কনে। কনেদের পছন্দের তালিকায় রোজ গোল্ড বা গোলাপি সোনা দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
বিয়ের গয়নার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ কনেই ২২ ও ২৪ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করছেন। রেডিমেড কিংবা পছন্দ অনুযায়ী বানিয়ে নিতে পারো তোমার বিয়ের সোনার গয়না।

মডেল: তাসনিয়া ফারিন। জুয়েলারি: তন্দ্রাবিলাশ

রুপা
বিয়েতে কেবল যে স্বর্ণ বা হীরার অলংকার পরতে হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। এই একবিংশ শতাব্দীতে আমরা কোনো নিয়ম বা প্রথায় আবদ্ধ না থেকে নিজের যেটা ভালো লাগে সে গয়নায় বিয়েতে সাজতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এখন বিয়েতে অনেকেই রুপার গয়নায় রুপালি সাজে সাজছে। বিশেষ করে হলুদের দিন রুপার গয়নার প্রচলন দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া রুপার ওপরে গোল্ড প্লেটের গয়না বেশ জনপ্রিয়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনে রুপার গয়না গড়িয়ে নিচ্ছেন কনেরা।

হীরার গয়না
প্রায় সব মেয়েই চায় হীরার কোনো গয়না তার থাকুক। এখন অনেকেই বিয়েতে সোনা আর হীরার মিশেলে গয়না বেছে নিচ্ছে। অনেকে আবার প্লাটিনামের সঙ্গে হীরার জুড়ি মিলিয়ে বিয়েতে পরছে। হীরা মূলত আভিজাত্যের প্রতীক আর বিয়ের দিন কনের সাজে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে হীরার গয়নার জুড়ি মেলা ভার। হীরার গয়না বলতে কিন্তু আমরা প্রায় সব সময় একটি ভুল করে থাকি। আমরা ধরেই নিই হীরা কেবল উচ্চবিত্তের নাগালে। কিন্তু এখন মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেও হীরা পাওয়া যায়। বিয়ের মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন সময় হীরার ওপরে বিভিন্ন ছাড় দিয়ে থাকে জুয়েলারি শপগুলো।

আমাদের দেশে দুই ধরনের হীরা পাওয়া যায়, যার একটি বোম্বে কাট আর অন্যটি বেলজিয়াম কাট। বোম্বে কাটের দাম কম থাকায় এর সস্তা চাহিদাও বেশি। হীরার গয়না ক্যারেট হিসাব করে হয়। যে হীরা যত বেশি ক্যারেট, এর দামও বেশি। হীরা কেনার সময় হলমার্কের লোগো দেখে কিনতে হবে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ডায়মন্ড গ্যালারি, ভেনাস ডায়াগোল্ড, অলংকার নিকেতন, নিউ জড়োয়া হাউসÑ এসব জুয়েলারি শপে বিয়ে আসলেই ভিড় পড়ে যায়।

ছবি: রেড

পাকিস্তানি আর ভারতীয় গয়নার চলন

হুহু করে বেড়েই চলেছে বিয়েতে পাকিস্তানি আর ভারতীয় গয়নার চল। অনেক কনেই বিয়ের বিশেষ দিনে সাজছে পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় গয়না দিয়ে। বিয়ের জন্য কুন্দন আর জয়পুরি গয়না এখন অনেক কনেই রাখছে পছন্দের তালিকায়। আর এ দুই গয়নাই আসে ভারত থেকে। কুন্দনের গয়নার জন্য ভারত জনপ্রিয়। ভারী গয়না যাদের পছন্দ, তারা অনেকেই ঝুঁকছে কুন্দনের গয়নার দিকে। আর যারা হালকার ভেতরে গয়না চায়, তারা জয়পুরি গয়নাগুলো পছন্দ করে।

পাকিস্তানি গয়নার কদর দিন দিন বাড়ছে। এখন অনেক কনেই পাকিস্তানি পোশাক আর গয়নায় ভিন্নভাবে সাজতে চায়। পাকিস্তানি কাটাই আর মুলতানি গয়নাগুলো ব্রাইডাল সেট হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে। কাটাই গয়না পুরোটাই হাতে কাজ করা হয়। তাই দেখতে বেশ লাগে। তবে আমাদের দেশের কাটাই থেকে পাকিস্তানি কাটাই বেশ আলাদা। তাই কনেরা বিয়েতে পাকিস্তানি কাটাই রাখে পছন্দের শীর্ষে। আর এ কাটাইগুলো ওজনে হালকা আর গোল্ড পলিশ করা থাকে বলে সোনার মতোই মনে হয়। মুলতানি গয়নাগুলোও অনেক জনপ্রিয় এখন। বিয়েতে ইউনিক লুক দিতে মুলতানি জুয়েলারির তুলনা নেই।

 

‘তন্দ্রাবিলাশ’-এর অনিয়া অনি

 

 

 

 

 

 

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
এই সংখ্যায়চলন বলনজীবনজীবনযাত্রাপ্রধান রচনাবিশেষ রচনা

“ভালো পাত্রী” চাই!

করেছে Sabiha Zaman ডিসেম্বর ১৫, ২০২১

রোদেলা নীলা:  চব্বিশতম বিসিএস সরকারি কর্মকর্তা বন্ধুর বাসার ড্রয়িংরুমে যখন কিশোরী একটি মেয়ে চায়ের ট্রে হাতে পাশে বসে বলেছিল, আসসালামু আলাইকুম আপা, নিন চা নিন। তখন চমকে গিয়ে মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কোন ক্লাসে পড়ো? মেয়েটি যেন লাজুক লতার চেয়েও তিন গুণ লজ্জায় নিজের মুখ ঢেকেছিল শাড়ির আঁচলে। আমার উচ্চশিক্ষিত বন্ধু হই হই করে উঠেছিল, ওর আর পড়ার দরকার কী; এসএসসি পাস করেছে; অনেক হয়েছে। আমার দিকে কাপ এগিয়ে দিয়ে বন্ধু হেসে বলল, নে চা নে, তোর ভাবি দারুণ চা বানায়। আমি মোটামুটি ৮ রিখটার স্কেলে ধাক্কা খেলাম, এই যে পাশে নরম-শরম মেয়েটা বসে আছে, সে আমার চল্লিশোর্ধ্ব বন্ধুর বউ; তাকে আমি বন্ধুর ছোট বোন ভেবে বিরাট একটা ভুল করেছিলাম। অসম বয়সী বিয়ে করা যাবে না এমন কোনো আইন নেই, কিন্তু জেনারেশন গ্যাপ বলে যে একটা শব্দ আছে, সেটা তো বৈবাহিক সম্পর্কে দারুণ দরকারী সেটা অনেকেই ভুলে যায়।

আমার মতো বোকা হয়তো জীবনে কমবেশি অনেকেই হয়েছে, একবার পার্কে হাঁটতে গিয়ে একজন বয়স্ক লোকের ঘাড় জড়িয়ে কিশোরী মেয়েকে দেখে বলেই ফেলেছিলাম, আপনার নাতনি কিন্তু দেখতে বেশ, পেছন থেকে আমার স্বামী থামিয়ে দিয়েছিল আরে, চোখের মাথা খেয়েছ নাকি, ওটা বুড়ার বউ। সত্যি আমি আজকাল চোখের মাথা খেয়ে বসে আছি; আমি জানি বিয়ে করতে হয় দুজন নর-নারীর বয়সের ভারসাম্য এবং মানসিক মিল কতটা হবে তার ওপর নির্ভর করে। বিয়ে করে ফেলাটাই কেবল উদ্দেশ্য থাকার কথা নয়, কলহকে জয় করে ঠিকঠাক সংসার করা আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

বিয়ে নিয়ে বিখ্যাত মানুষের দুটো উক্তি
বিয়ের সময় বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে ভুলো না, অন্তরের সৌন্দর্যের সন্ধান নাও আর বি ল্যান্ডাস

সুখী সেই ব্যক্তি, যিনি তার স্ত্রীর মধ্যে একজন সত্যিকারের বন্ধু খুঁজে পান
ফ্রাঞ্জ শুবার্ট

এই একবিংশ শতাব্দীতে তো অসম বয়সী জোড়া আশা করাই যায় না, যেখানে ঘরে বসে আজকাল মনের মতো সঙ্গী খোঁজা খুব সহজ। অনলাইনের বদৌলতে দেশে বসে শিক্ষিত ছেলেরা উন্নত বিশ্ব থেকে মনের মতো পাত্রী নিয়ে আসছে। বিয়ের জন্য পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন পড়লে মনে হয় না ভেতরের সৌন্দর্যকে পাত্রপক্ষ প্রাধান্য দিচ্ছে, সারাক্ষণ সুন্দরী মেয়ে খোঁজার যে প্রবণতা দেখা যায়, তাতে ভালো মনের মেয়েরা হারিয়ে যাচ্ছে।

ছবি-রেড, মেকওভার বাই আফরোজা সোমা

যদি নিজের চাওয়াটা হয় এমন নিচু মনের, তাহলে বিজ্ঞাপনের পয়সা দিয়ে কেবল ঘরের আসবাবের মতো একটি বউ পাওয়া সম্ভব, উপযুক্ত সঙ্গী নয়। দেখা যাক, অধিকাংশ বিজ্ঞাপনদাতা কী চান-

পাত্রী চাই অ্যাঞ্জেলিনা

পত্রিকার পাতা ওলটালে বেশ চটকদার বিজ্ঞাপন এখনো আমাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়। এসব পাত্রের পরিবারেরা আসলে ছেলের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজেন নাকি ঘরের শোভাবর্ধনের জন্য জিনিস খোঁজেন, সে প্রশ্ন আমার মনে সব সময়।

নমুনা ১-
ঢাকায় নিজস্ব বাড়ি-গাড়ি, বিদেশে পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক, ২৬ বছর, ৫’৯” ‘সুদর্শন’ পাত্রের জন্য ‘ঢাকায় বসবাসকারী’ পর্দানশীন ৫’৩” ঊর্ধ্ব উচ্চতার ‘প্রকৃত’ সুন্দরী পাত্রী চাই। কী মনে হচ্ছে? বিয়ের পাত্রীর খোঁজ, নাকি দোকানে গিয়ে সর্বোচ্চ দামে ভালো ‘পণ্য’টা কেনার প্রচেষ্টা? ‘প্রকৃত সুন্দরী’টা কী বস্তু?

নমুনা ২-
বিদেশি হাউজিং কোম্পানির সিইও, এমবিএ, ঢাকায় বসবাসরত সুদর্শন পাত্রের জন্য আর্কিটেক্ট/ইঞ্জিনিয়ারিং/এমবিএ অধ্যয়নরতা ঢাকায় সেটেল্ড, ‘লম্বা, সুন্দরী’ পাত্রী আবশ্যক।

বাঙালি ছেলেরা বউ খুঁজতে গেলে সব সময় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি খোঁজে, সমস্যা হলো নিজে যে তারা ব্র্যাড পিট না সেটা মনে রাখে না। আবার এই অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে ঘরে নিয়ে বোরখা পরিয়ে রাখে; বড়ই বিচিত্র এদের মন।

পাত্রী হবে পর্দানশীল

ইদানীং মাথা প্যাঁচানো হিজাবি পাত্রীর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সত্তর দশকে বাংলাদেশে শহরের মেয়েরা যতটা মুক্তমনের সাধারণ জীবন যাপন করত; আজ আর তেমন দেখা যায় না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অফিস পাড়াতেও হিজাবি মেয়ের সংখ্যা অনেক। হিজাব মানে কেবল বোরখা পরে পর্দা করা নয় কিন্তু; বেশ আকর্ষণীয় কাপড়ে নিজের অবয়ব ঢেকে রাখা; আর এই পোশাকের প্রতি একটা বাড়তি আগ্রহ লক্ষ করা যায় যুবক-যুবতীদের। বিজ্ঞাপনের অনেকটা জুড়ে থাকে পাত্রীকে পর্দানশীল হতে হবে, নামাজি হতে হবে, বিষয়টা এমন যে পর্দানশীল বা নামাজি হলেই যেন পাত্রের সঙ্গে সে মৃত্যু অব্দি সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। একজন খোলামেলা উন্নত-মিশুক মনের মেয়ের চেয়ে পর্দানশীল অনেক ক্ষেত্রে সংকীর্ণমনা মেয়েটির চাহিদা বাজারে এখন অনেক বেশি। দূর থেকে বোরখা পরা একটা মেয়েকে দেখে আমাদের মধ্যে যে ধরনের শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে, সেই একই মেয়ে যদি সাধারণ পোশাকে বের হয়, সেই অনুভূতি মানুষের মধ্যে কাজ করে না।

সুন্দরী পাত্রী আবশ্যক

এই একটি বিশেষণ একজন নারীর যোগ্যতা সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়; সুন্দরী আবার তার পাশে লেখা থাকে শিক্ষিতা, তার মানে ডাবল যোগ্যতা। পড়তে পড়তে মাথার চুল ফেলে দিলেও মেয়েটিকে সুন্দরী হতেই হবে নয়তো বাজারে যোগ্য বর পাওয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় কম শিক্ষিত মেয়েরাই এগিয়ে থাকে, তাদের পড়ালেখা কম, মাথাভর্তি গোছা গোছা চুল, চোখের নিচে কালি পড়েনি এবং চোখে মোটা চশমাও দিতে হচ্ছে না। অতএব মেয়ে তো মহা সুন্দরী, এর মগজে বুদ্ধি যতই কম থাকুক; ঠিকঠাক আত্মীয়স্বজনের সামনে বসিয়ে রাখা যাবে। আর অনেক শিক্ষিত পুরুষদের ধারণা বউ কম শিক্ষিত হলে ভালো; বুঝবে কম, প্রশ্ন করবে কম, তাই বৈবাহিক জীবনে ঝামেলাও কম।

বড়লোকের কন্যা চাই

পাত্রী খোঁজার সময় এই যোগ্যতাটা অনেক সময় প্রকাশ্যে খুব বেশি আনা হয় না; কিন্তু ভেতরে ভেতরে ছেলেরা বউ সার্চ করার সময় দেখে নেয় মেয়েটির বাবার ঢাকায় নিজস্ব বাড়ি আছে কি না। কারণ, চাকরি করে ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়ে বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর মতো আর্থিক সংগতি অনেকেরই হয় না। তাই নিজের বাড়ি কোনো এক অজপাড়াগাঁয়ে হলেও বউটির বাড়ি যদি ঢাকায় হয় তবে তো সুখ আর সুখ, বাসা ভাড়ার বাড়তি টাকাটা আর খরচ করতে হলো না। তাই তো ঢাকায় নিজস্ব (পিতার) বাড়ি পাত্রীদের একটা আলাদা যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয় সমাজে।

 

ছবি-রেড, মেকওভার বাই আফরোজা সোমা

এই এত্তো এত্তো যোগ্যতার ভিড়ে মনের মতো একটি সঙ্গী খোঁজা ব্যাপারটা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। জীবনচলার পথে দরকার একজন সহনশীল, ধৈর্যশীল, ভালো মনের স্ত্রী সেটা কোনোভাবেই কোনো বিজ্ঞাপনে আজ অব্দি আসেনি কিংবা এসে থাকলেও তেমন করে পাত্রের পরিবারকে টানতে পারেনি। বিয়ে তো আর এক-দুই দিনের ব্যাপার নয়, সারা জীবন একই ছাদের নিচে থেকে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়। তাই নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যে প্রাধান্য না দিয়ে ভেতরের গুণটাকে যাচাই করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমান পাত্রের কাজ। তবে এখন সময় এসেছে পাত্রীকেও জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের। তাই পাত্রী বাছাই না করে একজন ভালো মানুষ বাছাই করতে হবে জীবনের জন্য, অনেকে গায়ের রংটাও অনেক বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকে কিন্তু রং দিয়ে কিবা যায় আসে। মানুষটার মনটাই যদি কালো হয়। জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে কিছু ইতিবাচক চিন্তা করতেই পারি-

জাতের মেয়ে কালো ভালো

কালোর প্রতি আমাদের অবহেলা চিরদিনের; ফরসা মেয়ে দেখলেই আমাদের আগ্রহ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তার পরিবারের কে কী করে, তারা কোথা থেকে উঠে এসেছে এ বিষয়গুলো কোনোভাবেই প্রাধান্য পায় না। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে দুই পরিবারের সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানা একটি প্রাচীন প্রথা এবং আমি বিশ্বাস করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি রীতি। মেয়েটি হিন্দুর ঘরে জন্মেছে নাকি মুসলিম ঘরে জন্মেছে, সেটা জানার চেয়ে বেশি দরকার মেয়েটি কী শিক্ষায় বড় হয়েছে। অনেক দরিদ্র পরিবারের কন্যাসন্তান বেশ আদবকায়দা শিখে বড় হয়, তার ছোটবেলার শিক্ষা তাকে আলোকিত করে পরিণত বয়সে। একটি নম্রভদ্র ব্যবহারের মেয়ে যদি অসুন্দরীও হয়, তার কাছ থেকে তার ভবিষ্যৎ সন্তানেরা সুস্থ ব্যবহার শিখবে আর অবশ্যই দাম্পত্যজীবনে এমন মেয়ে একটি ছেলেকে শান্তি দিতে সক্ষম হবে।

শিক্ষিত নারী শিক্ষিত জাতি

নেপোলিয়ানের সেই বিখ্যাত বাণীটি আজ বলতে ইচ্ছা করছে ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ বিয়ে করার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য যদি হয় সন্তানের বাবা হতে চাওয়া, অবশ্যই সে ক্ষেত্রে একজন শিক্ষিত মেয়েকেই ঘরে আনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মেয়েটি যেমন বাইরে কাজ করে পয়সা উপার্জন করবে, তেমনভাবে সন্তানদের সুন্দরভাবে লেখাপড়া করাতে পারবে। অনেক শিক্ষিত ছেলে ভাবে; মেয়েরা বাইরে কাজ করলে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কিন্তু এটা কি একবার ভেবে দেখেছেন; পরিবারের কর্তাব্যক্তিটির যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তিনি পঙ্গু হয়ে গেলেন বা মারা গেলেন, তাহলে তার অবর্তমানে তার সংসারের দায়িত্ব কে নেবে? তাই শিক্ষিত স্ত্রী হচ্ছে পরিবারের একটি সম্পদ, যিনি ইচ্ছা করলেই যেকোনো অফিসে কাজ পেয়ে যেতে পারবেন, যে কোনো সময় এবং সংসারের দায়িত্ব নিতে পারবেন।

ধৈর্যশীল এবং সহনশীলতা অন্যতম গুণ

শুধু পাত্রীদের ক্ষেত্রে নয়, সংসার সুখী করার জন্য পাত্র-পাত্রী দুজনকেই যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীল হওয়াটা দরকার। জীবনে ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই থাকবে, আর এই সবকিছুকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়াই একজন সহনশীল মানুষের কাজ। বিয়ের বাজারে কেউ যদি এমন বিজ্ঞাপন দেয় যে একজন ধৈর্যশীলা পাত্রী আবশ্যক, তাহলে হয়তো পাত্রীর লম্বা লাইন কিছু হলেও খাটো হবে, তাতে ক্ষতি নেই, দাম্পত্যজীবনকে সফল করতে চাইলে লিস্টটা শর্ট করে নিয়ে মনটা ব্রড করা ভালো।

স্ত্রী নয় বন্ধু খুঁজুন

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি করাটা খুব জরুরি, সে জন্য কাছাকাছি বয়স হলে দুজনের মধ্যে শেয়ারিংয়ের জায়গাটা আরও ব্যাপক হয়। নিজেকে লিডারের জায়গায় বসিয়ে ওয়াইফকে ডোমিনেট করার মধ্যে সাময়িক তৃপ্তি লাভ করলেও দীর্ঘ সময়ে সে সম্পর্কটা তেতো হয়ে যায়। মানুষমাত্রই স্বাধীন চিন্তার, সবাই নিজ নিজ জায়গায় স্বতন্ত্র থাকতেই বেশি পছন্দ করে, তাই তো জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যেন সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায় এবং সেটা বোঝার মতো পরিপক্ব ম্যাচিউরিটি যেন তার থাকে এমন একজন পাত্রীর সন্ধান করাই শ্রেয়।’Happy is the man who finds a true friend, and far happier is he who finds that true friend in his wife.’—Franz Schubert

মানুষ যখন বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন কেউই চায় না এত পয়সা খরচ করে লোক জানিয়ে ধুমধাম করে সেই বিয়েটা ভেঙে যাক। সবাই চায় সংসারী হতে; প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করতে। বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি, তাই দুই পরিবারের মধ্যে চুক্তিটা পাকাপোক্ত না হলে সম্পর্কটা শক্ত করা মুশকিল। চাওয়াটা যদি হয় এতটাই প্রশস্ত তাহলে চাওয়ার পন্থাটা যেন না হয় সংকীর্ণ; পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন দেবার ব্যাপারে নিজেদের অন্ধকার মনের পরিচয় দিলে কখনোই একজন উপযুক্ত পাত্রী পাওয়া যাবে না। মানুষের জন্য মানুষ দরকার, জাহির করে পণ্য কেনা বন্ধ করতে হবে। এমন বস্তাপচা বিশেষণ; সুন্দরী পর্দানশীল পাত্রী না খুঁজে ধৈর্যশীল ভালো মনের পাত্রী খোঁজা হোক একবিংশ শতাব্দীর পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন।
‘প্রকৃত’ সুন্দরী নয়, একজন ‘প্রকৃত’ ভালো নারী পারে তার সংসারে যত ঝড়ই নেমে আসুক না কেন কান্ডারি হয়ে সেটাকে প্রতিহত করতে। একটি আদর্শ পরিবার গড়তে এমন কান্ডারি আমাদের দরকার।

ছেলেরাও কম যায় না 

বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষের কনে খোঁজার ব্যাপারে যেমন হাজার খানেক শর্ত থাকে , তেমন করে পাত্রী পক্ষও কিন্তু বিরাট ফিরিস্তি নিয়ে বসেন ।পাত্র অবশ্যই লম্বা হতে হবে ,ঢাকায় বাড়ি থাকতে হবে , পাত্রের পেট মোটা থাকা যাবে না অথবা মাথায় টাক যেন না থাকে ; এ ক্ষেত্রে কন্যাটি যতোই বেটে হোক । এই এতো এতো চাহিদার ভিড়ে পাত্রের মানুষ হিসেবে যে যোগ্যতা টুকু থাকতে পারে তা একেবারেই ম্লান হয়ে যায় । ব্যাপার যেন এমন বিয়ের পর মেয়েটি সংসার করবে একজন সুদর্শন নায়ক গোছের কারো সাথে প্রাসাদ সমতূল্য বাড়িতে ।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন ,দেখতে যতো সুশ্রি হোক ,মানুষ হিসেবে পাত্র যদি সৎ না হন পরিশ্রমী না হন তবেতো সংসার টিকিয়ে রাখাই মুশকিল । মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে কী আর আজীবন একী ছাদের নিচে থাকা সম্ভব ! এর বাইরেও পাত্রী পক্ষের চাহিদা বাড়তে থাকে যৌথ পরিবারে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না । আচ্ছা ,যে ছেলের বাবা মা তাকে এতো দূর লেখা পড়া করিয়ে বড় করলো তার ওপর কী সেই ছেলের বাবা মা’র অধিকার নেই ? নাকি সন্তান হিসেবে কোন দায়িত্ব নেই তার ? ছেলে কী মেয়ে ,সব সন্তানই সব বাবা মায়ের কাছে প্রিয়; কেও নিশ্চই চাইবে না তার নিজের সন্তানকে আলাদা করে রাখতে । বিয়ের পরে মেয়েরা স্বামীর বাড়ি যাবে এটা একটা প্রথা ,তাই বলে কোথাও লেখা থাকে না সেখানে মেয়ের বাবা বা মা থাকতে পারবে না । বরং বড় পরিবারে নতুন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার মনটা আরো বেশী ব্যাপক হবে । তাইতো দুই পরিবার পাশাপাশি অবস্থান করতে পারলে ভালো ; যদি সম্ভব হয় ।
এখন সময় এসেছে পুরনো মিথ ভেঙ্গে নতুন করে পরিবার গঠন করবার ,নতুন ভাবে চিন্তা করলে সমাজ থেকে বিয়ে নিয়ে ভীতি অন্তত কমে আসবে ।

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.এই সংখ্যায়কান পেতে রইগ্রুমিংজীবনযাত্রাদেহ ও মন

বিয়ের প্রস্তুতি

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২১

বিয়ের মতো বিশেষ মুহূর্তে বর-কনের দিকেই সবার নজর থাকে। আর তাই এ সময়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর দেখাতে চাই বিয়ের আগে থেকেই বিশেষ পরিচর্যা।

বর্তমান বিয়েগুলোতে এর আয়োজনের অধিকাংশ চাপই এসে পড়ে বর-কনের ওপর। বিয়ের শপিং, অনুষ্ঠান আয়োজন, প্ল্যানিং ছাড়াও নতুন জীবনে প্রবেশের ভয়ভীতিসহ নানা চিন্তা এসে মাথায় ভর করে। তাই সব মিলিয়ে উভয়ের চোখেমুখেই থাকে ক্লান্তির ছাপ। মুখ ও শরীরের ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই সবকিছুর মধ্যেই নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ত্বকের যত্নের পাশাপাশি বিয়ের অন্তত এক মাস আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে ভালো কোনো বিউটি স্যালনে গিয়ে ঠিক করে নিতে হবে গ্রুম শিডিউল।

বিয়ের আগে প্রস্তুতি হিসেবে ঘরে বসেই নিয়মিত কিছু যত্ন নেওয়া যেতে পারে :

ত্বকের যত্ন 

  •  ত্বক সতেজ ও সুন্দর রাখতে হলে আর্দ্রতা রক্ষা করতে হয়। বিয়ের আগে শরীর এবং ত্বকের সুস্থতায় প্রতিদিন যত বেশি সম্ভব পানি পান করো ও ফল খাও।
  • ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধুতে হবে। এরপর মুখ শুকিয়ে এলে আবার টোনার দিয়ে মুখ মুছে নাও। এরপর তোমার ত্বকের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিও।
  •  ত্বকের মরা কোষ ঝরানোর জন্য ২ টেবিল চামচ ওটমিল ও অ্যালোভেরার জেল, ২ চা-চামচ চিনি এবং ১ চা-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিলিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে তিন মিনিট পর ভেজা ও নরম হাতে ম্যাসাজ করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নাও। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার মরা চামড়ার কোষ ঝরানো যেতে পারে।


চুলের যত্ন
প্রতিদিন একটি করে ডিম মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে পারো। অথবা তিনটি অ্যালোভেরার পাতা থেকে ভালো করে জেল বের করে নিয়ে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নাও। সপ্তাহে একবার করে তিন মাস এভাবে পরিচর্যা করতে থাকো।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নারকেলের দুধ, পাতিলেবুর রস ও নিমপাতা বাটা মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখো। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলো। শেষে দুধ ও মধুর মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নাও।
চুলের রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল লাগিয়ে এ প্যাকটি ব্যবহার করো। এক চামচ নারকেল তেল, এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক চামচ ভিনেগার, এক চামচ শ্যাম্পু, একটা পাকা কলা ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখো ৪০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলো।

পেডিকিওর-মেনিকিওর
হাত-পায়ের নখগুলো পছন্দমতো শেপে কেটে নখে ক্রিম লাগিয়ে নাও। একটি পাত্রে গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত-পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখো। তারপর তোয়ালে দিয়ে হাত ও পা মুছে নাও।

আরও কিছু টুকিটাকি

  • নিজেকে রিল্যাক্স রাখতে ভালো কোনো স্পা থেকে বডি ম্যাসাজ বা অ্যারোমা থেরাপি নিয়ে নিতে পারো।
  • মনের চাপ কমাতে বিয়ের আগে থেকে বিভিন্ন রকম এক্সারসাইজ করতে পারো।
  • বিয়ের আগের দিন হাতে মেহেদি লাগাও। বিয়ের সাজের দিন পারলারে যাওয়ার আগে ফুল কিনে রাখো।
  • শাড়ি, গহনা, জুতাসহ সব জিনিস সঙ্গে নিয়ে নাও।

মানসিক প্রস্তুতি
বিয়ের পর অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। তাই বিয়ের আগে থেকে বাস্তবতার দিকেও নজর দিতে হবে। মা কিংবা কাছের অভিজ্ঞ কেউ কনেকে ইতিবাচকভাবে জীবনের বাস্তবতা বুঝিয়ে বলতে পারো। ছেলেমেয়ে দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। তা হলে দাম্পত্যজীবনে অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। নিজের, পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। নিজেদের সব দিক বিয়ের আগে পারস্পরিকভাবে আলোচনা করলে বোঝাপড়ার শুরুটা ভালো হবে। প্রতিটি পরিবারের আলাদা নিয়মকানুন, আচার-ব্যবহার থাকে। সেসব আগে থেকে জেনে নিতে পারলে পরে নতুন সদস্যের বুঝতে সহজ হয়। এসব ক্ষেত্রে শুধু মেয়েরাই মানিয়ে চলবে তা নয়, ছেলের পরিবারকেও  এ বিষয়ে বড় ভ‚মিকা পালন করতে হবে।

শাশুড়ি নিয়ে অনেক মেয়ের মনে চিন্তা থাকে। বিয়ের আগে সুযোগ থাকলে মেয়ের সঙ্গে ছেলের পরিবার কথা বলে নিতে পারে। তবে শুরুতেই মেয়েকে নেতিবাচক কোনো বিষয় বলা উচিত নয়। বিয়ের আগে এবং পরে আমাদের জীবনে বেশ বড় পরিবর্তন হয়। তাই এ সময়টি পরিবারের সবার সঙ্গে উপভোগ করো। সব মিলিয়ে বিয়ের আগের সময়টাতে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করো।

লেখা: রোদসী ডেস্ক

ছবি: ওমর ফারুক টিটু

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
আয়নাঘরচলন বলনজীবনযাত্রাবসন ভূষণরূপ ও ফ্যাশন

অপরূপ সাজে কনে

করেছে Sabiha Zaman ফেব্রুয়ারী ২, ২০২১

বিয়ের সাজের পরিকল্পনা একটু সময় নিয়েই করতে হয়। এখানে অনেক বিষয় জড়িত থাকে। নানা ধাপে চলে বিয়ের সাজের আনুষ্ঠানিকতা। কোনোটি কম গুরুত্ব বহন করে না। ফ্যাশন বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। বিয়ের ফ্যাশনে থাকে বাড়তি আমেজ যা বর-কনেকে ভাবিয়ে তোলে বিয়ে শেষ হওয়া অবধি। এবার মহামারির জন্য বিয়ের আয়োজন হয়তো কিছুটা অন্য রকম হচ্ছে, তবে এবার ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিয়ের ফ্যাশন নিয়ে ততটা নিরীক্ষা করার সুযোগ পাননি। গত বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে। বিয়ের সাজসজ্জা ও যত্ন আত্তি নিয়ে এবারের আয়োজন :
বিয়ে ঠিক হওয়ার সময় থেকেই কনেকে নিজের যতœ-আত্তির বিষয়ে সচেতন হতে হয়। তাই যতেœর বিষয়ে কনের আইডিয়া থাকতে হবে, না থাকলে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ত্বক ভালো রাখার প্রথম ধাপ। নিজের স্কিনের সঙ্গে ভালো যায়, এমন ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। মাঝেমধ্যে অয়েল ম্যাসাজ করে নেবে ত্বকে। কনেদের জন্য অয়েল ক্লিঞ্জিং বেশ ভালো কাজে দেবে। স্কিন সফট এবং টাইট রাখার জন্য অয়েল ক্লিঞ্জিং মাস্ট। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ভিটামিন ই অয়েল এগুলো দিয়ে তো করা যাবেই, তা ছাড়া আর একটা বেস্ট অপশন হলো কোকোনাট মিল্ক। বাটিতে কোকোনাট মিল্ক নিয়ে ফ্রিজে ২০ মিনিটের জন্য ঠান্ডা হতে দাও। এরপর একটি কটন প্যাডের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নাও। এবার দুই হাতের মধ্যমা এবং রিং ফিঙ্গার দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে নাও ২-৩ মিনিট, এরপর ধুয়ে ফেলো।

কনের জন্য প্যাক

কিছুদিন আগে থেকেই প্যাক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বকের  গ্লো ঠিক থাকবে।

  • ২ টেবিল চামচ বাটিতে চন্দন পাউডার, ১  টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক, হাফ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নাও। পুরো মুখ, গলা এবং চাইলে হাতে-পায়েও লাগিয়ে নিতে পারো মাস্কটি। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নাও।
  •  বাটিতে ২ টেবিল চামচ বেসন, কোয়ার্টার টেবিল চামচ হলুদগুঁড়া, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নাও। এই মাস্ক টি পুরো মুখ এবং গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলো। এই মাস্কটি রাতের বেলায় ব্যবহার করবে। অবশ্যই মাস্ক লাগানোর পরে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাবে।
  •  বিয়ের এক মাস আগে নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই করার কথা মাথায় না আনাই ভালো। কোন প্রোডাক্ট স্কিনে কী রিয়েক্ট করে, তা তা বলা যায় না। এ জন্য আগের ব্যবহারকৃত বিশ্বস্ত প্রোডাক্টগুলোই চালিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিয়ের আগে স্কিনে যদি পিম্পল, র‌্যাশ, ব্রেকআউট থাকে, তবে সবচেয়ে ভালো হয় স্কিন ডক্টরের শরণাপন্ন হওয়া। এটাও বিয়ের দুই-তিন মাস আগে করা উচিত।
  •  বিয়ের আগে যতবারই দিনের বেলায় বাইরে যাবে, সানস্ক্রিন মাস্ট। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে মুখ, গলা এবং সান এক্সপোজড এরিয়াগুলোতে এসপিএফ ৪০+ সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবে।


গায়েহলুদের মায়াবী সাজ
এখনকার বিয়েগুলোতে গায়েহলুদের আয়োজনটাই মনমাতানো। খুব ঘটা করে গায়েহলুদের আয়োজন করা হয়। এখন গায়েহলুদেও শাড়ির রঙের ক্ষেত্রে হলুদই থাকতে হবে, সে ধারণাও বদলেছে। গায়েহলুদে শাড়ির রঙের ব্যাকরণ তৈরি করে ফ্যাশন ডিজাইনাররা। এখন শুধু হলুদ নয়, একরঙা লাল, কাঁচা মেহেদির রং, সবুজও থাকতে পারে। আর শাড়ি সব সময় হলুদ হতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তুমি চাইলে ভিন্ন রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে পারো। ফেব্রিক হতে পারে মসলিন, সিল্ক, কটন, জামদানি। শাড়িতে খুব জমকালো কাজ না থাকলেই ভালো। হলুদে বরপক্ষের ও কনেপক্ষের আত্মীয়রাও একই ধরনের শাড়ি পরে। তবে শুধু শাড়িই যে পরতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তুমি যদি কমফোর্ট ফিল করো, তাহলে পরে নিতে পারো লেহেঙ্গা অথবা লং কামিজ।

আর সঙ্গে মানানসই গয়না ও সাজ শুধু হলুদকে বেজ করে তুমি শাড়িতে নানা রঙের পাড় বসিয়ে দিতে পারো। তাহলে তোমার শাড়ি ও সাজে আসবে ভিন্নতা। আবার শাড়ি, গয়না সব যদি একই রঙের ম্যাচ করে পরে থাকো, তাহলেও কিন্তু দেখতে অনেক ভালো লাগবে। বøাউজের নকশায় থাকছে বাহারি রঙের ছোঁয়া। কাটছাঁটেও আসছে ভিন্নতা। থাকছে অনুষঙ্গের প্রাধান্য। হলুদের সাজে ফুলের গয়নার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রুপালি অথবা সোনালি গয়না পরার চল। শুধু বাঁধা চুলেই নয়, হলুদের দিন খোলা চুলেও সাজছে কনেরা। হলুদের চলতি ধারার সাজে এমনই নানা পরিবর্তন কনের সাজে তুলে ধরছে বিশেষত্ব।

হলুদে নান্দনিক গয়না
গায়েহলুদে কাঁচা ফুলের গয়নাই বেশি মানানসই। এ ছাড়া শুকনো ফুলের সঙ্গেও পুঁতি-জরির কাজ, স্টোন দিয়ে তৈরি কৃত্রিম ফুলের মালা কিনতে পাওয়া যায়, যা শাড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে অর্ডার দিয়ে বানিয়েও নেওয়া যায়। যেমন গয়নাই পরা হোক না কেন, ফুলের আকার ছোট হলেই ভালো। সাজের ভিন্নতা আনতে চাইলে রুপা বা পুঁথির গয়নাও পরতে পারো। হাতে থাকতে পারে ফুলের গয়না। হাতভর্তি কাচের চুড়ি তো আলাদা বৈশিষ্ট্য তৈরি করবে।

হলুদের স্নিগ্ধ মেকআপ
গায়েহলুদের জন্য হালকা মেকআপই ভালো। হলুদের অনুষ্ঠানে একটা ঘরোয়া ভাব থাকে। গায়েহলুদে যদি হলুদ রঙের শাড়ি বেছে নেওয়া হয়, তবে মেকআপ হবে গোল্ডেন, ব্রাউন, ব্রোঞ্জ শেডের। মেকআপ হালকা হলেই ভালো দেখায়, চোখের সাজেও গোল্ডেন, ব্রোঞ্জ, ব্রাউন আইশ্যাডো ব্যবহার করো। সঙ্গে গাঢ় করে আইলাইনার। মাসকারা ও আইলাশের ব্যবহার চোখ দুটোকে করে দেয় অনেক বেশি আকর্ষণীয়। গালে ব্রাউন বøাশঅন, শেড আর ঠোঁটে ন্যাচারাল লিপস্টিক। লিপ গøস না ব্যবহার করে এমন লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত, যা বেশিক্ষণ পর্যন্ত থাকে।মেহেদি
হলুদে নকশার জন্য টিউব মেহেদি ব্যবহার করতে পারো। বর্তমানে মেহেদির ডিজাইনের ক্ষেত্রে অ্যারাবিয়ান ডিজাইন চলছে বেশি। অ্যারাবিয়ান ডিজাইনের ক্ষেত্রে কালো মেহেদি এবং সাধারণ মেহেদি দুটোই ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে বর্ডারে কালো মেহেদির ব্যবহার হয় এবং ভেতরের সূ² ডিজাইনটি হয় সাধারণ মেহেদির দ্বারা। এ ছাড়া হলুদের অনুষ্ঠানে যদি মেহেদি পরতে চাও, তাহলে ডিজাইনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবহার করতে পারো ফেব্রিক্স, স্টোন ও চুমকি।

বিয়ের স্বপ্নিল সাজ
প্রতিটি মেয়েরই নানা স্বপ্ন থাকে তার বিয়ের দিনটিকে ঘিরে। বিয়ের বেশ অনেক দিন আগে থেকেই নানা জল্পনাকল্পনা চলতে থাকে, বিশেষ করে সাজ কেমন হবে, তা নিয়ে। ব্রাইডাল মেকআপ একটু বেশি অন্য রকমের হয়। বিয়ের সাজের সবচেয়ে বড় ভুল যেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কনের মুখে মেকআপের পরত চড়িয়ে-চড়িয়ে সাদা করে দেওয়া! আসলে আমাদের গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই করে মেকআপের শেডগুলো বাছলে তা দেখতে ভালো লাগে। বেশির ভাগ বাঙালি কনের বিয়ের মেকআপ হয় একটু লালচে বা গোলাপি ঘেঁষা, নিজের স্কিন টোন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য মেকআপের শেড বেছে নাও এবং খুব ভালো করে বেøন্ড করে বিয়ের মেকআপ করে নাও। এখনকার বিয়ের সাজের প্রধান অংশ ধরা হয় চোখের মেকআপ। হালকা গোলাপি বা বাদামি শেডের গিøটার দেওয়া আইশ্যাডো খুব ভালো করে বেøন্ড করো চোখের ওপরের অংশে। চাইলে রঙিন আইলাইনার বা গ্লিটার দেওয়া আইলাইনার লাগাতে পারো, তা না হলে কালো জেল আইলাইনার লাগাও। বাঙালি কনে আর লাল বেনারসি, এ যেন একে অপরের পরিপূরক।

নিজের স্কিনটোনের সঙ্গে মানানসই শেড বেছে বেস মেকআপ করে নাও এবং তারপর সোনালি আইশ্যাডো লাগাও চোখে। তবে শুধু সোনালি আইশ্যাডো নয়, সঙ্গে অন্যান্য মানানসই শেড মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে চোখের মেকআপ করবে। ঠোঁটে লাগাও লাল রঙের ম্যাট লিপস্টিক। বিয়ের মেকআপ অবশ্যই ফেসের ধরন অনুযায়ী হতে হবে। ফেসের ধরন অনুযায়ী মেকআপ সিলেক্ট করা খুব জরুরি। বিয়ের মেকআপের আগে ফেসিয়াল, অয়েল ম্যাসাজ, ময়েশ্চারাইজার এবং মেকআপ প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। বিয়ের দিন সাধারণত একটু ব্রাইট সাজ ভালো লাগে। শাড়ির কালারের সঙ্গে চোখের শেড মিলিয়ে লাগালে ভালো লাগবে। বিয়ের মেকআপ একটু শাইনি হতে হয়, কারণ কনেকে সবাই অনেক দূর থেকে দেখবে। চোখের জন্য চোখের গড়ন অনুযায়ী ডাইমেনশন ক্রিয়েট করতে হয়। ব্রাইডাল মেকআপের জন্য আলাদা একটা স্পেস থাকা উচিত।

বউভাতে গর্জিয়াস
বিয়ের পর বউভাতের আগে যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে একটি ফেসিয়াল নিলে ভালো হবে। বিয়ে যদি ট্র্যাডিশনাল সাজে হয়ে থাকে, তাহলে বউভাতের সাজটা মডার্ন লুকে ভালো লাগবে। এ জন্য লাল রঙের পরিবর্তে অন্যান্য কালার পরলেও ভালো লাগে। চুলে হাফ স্পাইরালের সঙ্গে খোঁপা করলে ভালো লাগে। খোঁপায় থাকা চাই ফুল, তা পোশাক ও সাজের সঙ্গে মিল রেখে। বউভাতে তুমি নুড মেকআপ করাতেই পারো। নুড মেকআপ মানেই ‘নো মেকআপ’ নয়। লাল টুকটুকে বেনারসি না পরে যদি অন্য কোনো হালকা রং পরো, সে ক্ষেত্রে এই মেকআপটি খুব ভালো লাগবে। তবে মেকআপের সরঞ্জামের সবকিছুই নুড শেডের হলেও কিন্তু আইভ্র আঁকবে মোটা করে, তাতে মুখের ফিচারগুলো বেশ হাইলাইটেড হবে। গত কয়েক বছরের ব্রাইডাল মেকআপ প্যালেটে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে প্যাস্টেল রঙের।

যেমন মভ, ল্যাভেন্ডার, আইভরি, স্যামন পিংক, পিচ, পিচ-পিংক, মিন্ট গ্রিনের মতো রং। সঙ্গে মেকআপও হচ্ছে ন্যুড। মেকআপ আর্টিস্টের নিপুণ হাতে কনের চোখে দেখা যাচ্ছে পিঙ্ক স্মোকি, অরেঞ্জ স্মোকি, প্লাম স্মোকি, পার্পল স্মোকি, ডার্ক পিঙ্ক স্মোকি আইজ। এইচডি মেকআপ পদ্ধতিতে তোমার মুখের সেরা ফিচার্সগুলো হাইলাইট করে মুখের খুঁত ঢেকে ফেলা হয় এমনভাবে, যাতে ছবিতে ও ভিডিওতে তোমাকে ফ্ললেস লাগে। হালকা বা ন্যাচারাল লুক রাখতেও এই মেকআপ কার্যকরী।

লেখা: নুসিয়্যাত মায়োমি

ছবি : রোদসী ও সংগৃহিত

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.আয়নাঘরকেনাকাটাতুমিই রোদসীনারীরূপ ও ফ্যাশন

কনের সাজ

করেছে Sabiha Zaman জানুয়ারী ১৫, ২০২০

বিয়েবাড়ির মূল আকর্ষণ বিয়ের কনে। আর কনের মূল আকর্ষণ হলো তার সাজে। এখনো বিয়েবাড়িতে গেলে প্রথম যে কথাটা শোনা যায় কনেকে তো বেশ লাগছে! কোথা থেকে সেজেছে! কখনো কখনো এর উল্টোটাও ঘটে বটে! বলা হয়ে থাকে কনের গায়ের রঙে নাকি আভা ছড়িয়ে পড়ে তার বিয়ে হিড়িক পড়লে। তার ওপর যদি একেবারে তার মনের মতো করে সাজানো যায়, তবে তো কথাই নেই!

বর্তমান সময়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বেড়ে যাওয়ায় কনের সাজসজ্জায়ও দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন বাহার। একসময় গায়েহলুদের দিন সকালে কনেকে সারা গায়ে হলুদ মেখে যে গোসল দেওয়া হতো আর এখন সেটা নিয়ে আলাদা একটা অনুষ্ঠান করা হয় যাকে বলা হয় ব্রাইডাল শাওয়ার। আর তার জন্য আছে কনের বিশেষ সাজসজ্জা। কনে আর তার বান্ধবীরা হালকা মোলায়েম বা রেশম কাপড়ের গাউন পরে থাকে। আর কনের মাথায় পরিয়ে দেয় রানির মতো মুকুট।

এরপর থেকে শুরু হয় বিয়ের মূল অনুষ্ঠানগুলোর পরিক্রমা। এখন গায়ে হলুদের শাড়ি হিসেবে কনে লাল, সবুজ, বেগুনি, হলুদ, কমলা, লাল ইত্যাদি রঙের সমাহারে নিজেকে সাজায়। আর এই শাড়ি সাধারণত কনে এক প্যাঁচে কিংবা সামনে আঁচল দিয়ে পড়ে থাকে আর মাথায় থাকে হালকা ঘোমটা। কখনো কখনো শাড়ির বদলে রংবেরঙের লেহেঙ্গাও কনের পোশাক হিসেবে দেখা যায়। গায়ে হলুদে কনের সাজের অলংকার মূলত ফুলের তৈরি মালা, চুড়ি আর কানের দুল।

গায়ে হলুদের সাজ কনে তার পছন্দসই কোনো পারলার থেকেই নিয়ে থাকে। সেখানে আলাদাভাবে অনুষ্ঠানের নাম উল্লেখ করলে তারা সে অনুযায়ী মেকআপ দিয়ে থাকে। গায়ে হলুদে কনে কখনো কখনো চুলে টারসেল লাগিয়ে বড় বেণি করে থাকে। আর বেণির কোণে কোণে থাকে ফুল দিয়ে বাঁধা জারবেরা, গাঁদা কিংবা রজনীগন্ধা।

চোখের কাজল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত কনের সম্পূর্ণ সাজই হয়ে থাকে গায়ে হলুদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, কোথাও একটু কম নয়, কোথাও একটু বেশি নয়।

সবকিছুর পরে বিয়ের মূল অনুষ্ঠান যখন আসে তখন দেখা যায় আসল সাজ। কনে সাধারণত সিঁদুর লাল রঙের শাড়ি পরে থাকে। কনে সাধারণত খুব যত্ন করে একটা খোঁপা করে কিংবা কখনো হালকা ছেড়ে একটা খোঁপা করে যেটা তার মুখের সঙ্গে মানানসই। নানা রকমের গোল্ড কিংবা গোল্ড প্লেটেড অলংকারে নিজেকে সাজায় কনে। গায়ে হলুদে পড়া হাতের রাখিটা বিয়েতে পরতে ভোলে না বর-কনে দুজনেই। হাতের মেহেদির ওপর নতুন গ্লিটার, চোখের আই ল্যাশ, গালের ব্লাশঅন, লাল বেনারসির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঠোঁটের লাল লিপস্টিক সবকিছু মিলিয়ে কনেকে লাগে একটা লাল টুকটুক পরি! সাধারণত পারলারগুলো বিয়ের কনের সাজে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বরাদ্দ করে থাকে।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় বউভাতের মধ্য দিয়ে। বউভাতে কনের সাজ বিয়ের চেয়ে একটু হালকা হয়ে থাকে কারণ খুব ভারী অলংকার সেদিন কনে পরে না। বউভাতের শাড়ির রং থাকে নীল, বেগুনি, সবুজ, গোলাপি, ফিরোজা ইত্যাদি।

এ অনুষ্ঠানের সাজে সেই বিয়ের সাজের ভাবগম্ভীরতাটা অতটা না থাকলেও সাজে কমতি কোনো অংশে থাকে না। বিয়ের সাজ নিয়ে কনে কখনোই কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। কনের বিয়ের সাজে হেরফের মানে তো বিয়ের অনুষ্ঠানই ফিকে হয়ে যাওয়া!

লেখা: সানজিদা আলভী

 

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
শিল্প ও সাহিত্য

হুমায়ূন আহমেদের বিয়ের স্মৃতি

করেছে Wazedur Rahman জানুয়ারী ৮, ২০২০

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন গুলতেকিন খানকে। ১৯৭৩ সালের ২৮ এপ্রিল তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন পার করে ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদ পরলোকগমন করেন। এখন শীতকাল। চলছে বিয়ের মৌসুম। রোদসীর পাঠকদের জন্য থাকল হুমায়ূন আহমেদ এবং গুলতেকিন খানের বিয়ের সেই স্মৃতি।

গুলতেকিনের সঙ্গে বিয়ে হয় এমন ঝোঁকের মাথায় তখন আমি হতদরিদ্র। লেকচারার হিসেবে ইউনিভার্সিটি থেকে সব মিলিয়ে সাত/আটশো টাকা পাই। দুই ভাইবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবর রোডের এক বাসায় থাকি। সে বাসা সরকারি বাসা। এভিকেশন নোটিশ হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিজে এসে বলে গেছেন বাড়ি ছেড়ে দিতে। পনেরো দিনের নোটিশ। বাড়ি না ছাড়লে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেয়া হবে। টাকা পয়সার দিক দিয়ে একেবারে নিঃস্ব। মাসের শেষের দিকে বেশির ভাগ সময়ই বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে আসার পয়সাও থাকে না। হেঁটে হেঁটে আমি ক্লাসে যাই। ক্লাস শেষ করে ক্লান্ত হয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরি। নিতান্ত পাগল না হলে এমন অবস্থায় কেউ বিয়ের চিন্তা করে না।

আমার মনে হলো গুলতেকিন নামের এই বালিকাটিকে পাশে না পেলে আমার চলবে না। গুলতেকিনের মা-বাবা আমার কাছে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। বড় মেয়েরই বিয়ে হয়নি। ক্লাস টেনে পড়া মেয়ের বিয়ে হবে কি করে? কি করা যায় কিছুই ভেবে পাই না। একদিন গুলতেকিন ডিপার্টমেন্টে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।

হুমায়ূন আহমেদ এবং গুলতেকিন খানের দুর্লভ ছবি।

আমি বললাম, ‘চল এক কাজ করি- আমরা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।’

সে চোখ বড় বড় করে বলল, ‘কেন? কোর্টে গিয়ে বিয়ে করব কেন?’

‘খুব মজা হবে। নতুন ধরনের হবে। ব্যাপারটা খুব নাটকীয় না? তোমাকে ভাবার জন্য তিন মিনিট সময় দিলাম। তুমি ভেবে দেখ, তারপর বল।’

সে ভাবার জন্য তিন মিনিটের মতো দীর্ঘ সময় নিল না। এক মিনিট পরেই বলল, ‘চলুন যাই। কিন্তু আমি তো শাড়ি পরে আসিনি। সালোয়ার-কামিজ পরে কি বিয়ে করা যায়?’

কোর্টে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হল না। কনের বয়স চৌদ্দ। এই বয়সে বিয়ে হয় না। আমি কোন উপায় না দেখে তার ফুপু খালেদা হাবীবকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখলাম। আমার সাহিত্যপ্রতিভার পুরোটাই ঢেলে দিলাম চিঠিতে। চিঠি পড়ে তিনি বিস্মিত এবং খুব সম্ভব মুগ্ধ। কারণ তিনি গুলতেকিনের পরিবারের সবাইকে ডেকে দৃঢ় গলায় বললেন, ‘এই ছেলের সঙ্গেই গুলতেকিনের বিয়ে দিতে হবে। অন্য কোথাও নয়। ভবিষ্যৎ-এ যা হওয়ার হবে।’ আর আমার চিঠির জবাবে তিনি লিখলেন, ‘আপনার অদ্ভুত চিঠি পেয়েছি। এত বানান ভুল কেন?’

তারা ক্লাস টেনে পড়া মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বিয়ে হবে। এই খবরে আমার এবং মার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। হাতে একটা পয়সা নেই। যে কোন মুহূর্তে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। এই অবস্থায় বিয়ে। কে জানে নতুন বউ নিয়ে বাসায় এসে দেখা যাবে পুলিশ দিয়ে সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। নতুন বউ নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে।

হুমায়ূন আহমেদের পুরো পরিবার।

মা তাঁর সর্বশেষ সম্বল বাবার দেয়া হাতের এক জোড়া বালা, যা তিনি চরম দুঃসময়েও যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছিলেন, বিক্রি করে বিয়ের বাজার করলেন। জিনিসপত্রগুলি খুব সস্তা ধরনের কিন্তু তাতে মিশে গেল আমার বাবা এবং মার ভালোবাসা। আমি জানতাম ভালোবাসার এই কল্যাণময় স্পর্শেই আমার অনিশ্চয়তা, হতাশা কেটে যাবে।

বউ নিয়ে বাসায় ফিরে বড় ধরনের চমক পেলাম। আমার শোবার ঘরটি অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে আমার ছোট বোন। আমাদের কোন ফ্যান ছিল না। কিন্তু আজ মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। বিছানায় কি সুন্দর ভেলভেটের চাদর। খাটের পাশে সুন্দর দুটি বেতের চেয়ার। বেতের চেয়ারের পাশে ছোট্ট একটা টেবিলে একগাদা রক্ত গোলাপ। গোলাপের পাশে একটা চিঠিও পেলাম। মেজো বোন শিখুর লেখা চিঠি –

‘দাদা ভাই,

 

তুমি যে সব গান পছন্দ করতে তার সব ক’টি টেপ করা আছে। কথা বলতে বলতে তোমরা যদি ক্লান্ত হয়ে পড় তাহলে ইচ্ছা করলে গান শুনতে পার। দরজার কাছে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার রেখে দিয়েছি।’

ক্যাসেট প্লেয়ার চালু করতেই সুচিত্রা মিত্রের কিন্নর কণ্ঠ ভেসে এল –

ভালোবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন, তবে কেন মিছে এ ভালোবাসা?

গভীর আবেগে আমার চোখে জল এসে গেল। আমি সেই জল গোপন করবার জন্য জানালা দিয়ে তাকিয়ে বললাম, ‘কেমন লাগছে গুলতেকিন?’

সে নিচু গলায় বলল, ‘বুঝতে পারছি না। কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে।’

‘ঘুম পাচ্ছে?’

‘না।’

সারা রাত আমরা গান শুনে কাটিয়ে দিলাম দু’জনের কেউই কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গান শোনা ছাড়া উপায় কি?  পরদিন ভোরবেলা খুব দুঃখজনক ব্যাপার ঘটল। যাদের বাসা থেকে সিলিং ফ্যান ধার করে আনা হয়েছিল তারা ফ্যান খুলে নিয়ে গেল। গুলতেকিন বিস্মিত হয়ে বলল, ‘ওরা আমাদের ফ্যান খুলে নিচ্ছে কেন?’

আমি মাথা নিচু করে রইলাম। জবাব দিতে পারলাম না। বিছানার চমৎকার চাদর, বেতের চেয়ার, ক্যাসেট প্লেয়ার সবই তারা নিয়ে গেল। এমনকি টেবিলে রাখা সুন্দর ফুলদানিও অদৃশ্য। গুলতেকিন হতভম্ব। সে বলল, ‘এসব কি হচ্ছে বলুন তো? ওরা আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে কেন? আমরা বুঝি রাতে গান শুনব না?’

গুলতেকিনের প্রশ্নের জবাব দেবার মতো মানসিক অবস্থা তখন আমার নেই। আমার জন্য আরও বড় সমস্যা অপেক্ষা করছে। বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে আছে। আজ আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবে। এই কারণেই সবাই তড়িঘড়ি করে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।

মা পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে লজ্জায় কাঁপছি। আমার ছোট বোন এসে বলল, ‘দাদাভাই, তুমি ভাবিকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে চলে যাও। এই নোংরা ব্যাপারটা ভাবির সামনে না হওয়াই ভালো।’

হুমায়ূন আহমেদ, গুলতেকিন এবং তাদের পুত্র সন্তান নুহাশ।

আমি গুলতেকিনকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। বৈশাখ মাসের ঘন নীল আকাশ, পেঁজা তূলার স্তূপীকৃত মেঘ, চনমনে রোদ। আমরা রিকশা করে যাচ্ছি। হুড ফেলে দিয়েছি। আমার মনের গোপন ইচ্ছা – পৃথিবীর সবাই দেখুক, এই রূপবতী বালিকাটিকে আমি পাশে পেয়েছি। গভীর আনন্দে আমার হৃদয় পূর্ণ। বাসায় এখন কি হচ্ছে তা এখন আমার মাথায় নেই। ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়েও ভাবছি না।

বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না। ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার। আমরা বাস করি বর্তমানে – অতীতেও নয়, ভবিষ্যতেও নয়।

 

সূত্র: হুমায়ূন আহমেদের অনন্ত অম্বরে
ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
জীবনজীবনযাত্রা

বয়সে কী বাধে!

করেছে Sabiha Zaman জানুয়ারী ৮, ২০২০

স্বামীর বয়স স্ত্রীর চেয়ে অনেকটাই বেশি। এটা কি দুজনের বোঝাপড়ায় খামতি তৈরি করতে পারে? বয়সে ছোট স্ত্রীর সাধ-আহ্লাদের সঙ্গে কি স্বামী তাল মেলাতে পারে? স্বামী তো স্ত্রীর বেশ আগেই বুড়িয়ে যাবে, তখন কী হবে? বয়সের ব্যবধান থেকে স্বামী-স্ত্রীর মানসিক-শারীরিক ব্যবধানও কি বাড়তে থাকে ?

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান বেশি হলে বিয়ের আগে বা পরে এমন প্রশ্ন নিজেদের মনে যেমন আসে, তেমনি চারপাশের মানুষের মনেও আসে। স্বামীকে আপনে-আজ্ঞে বা আমাদের উনি বলে সম্বোধন করার যুগ থেকেই তো আমরা এমন অনেক দম্পতিকে দেখছি। তবে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে দাম্পত্যে বয়স কোনো বড় কথা নয়। বয়সের ব্যবধান অনেক, কিন্তু দাম্পত্যজীবন সুখের এমন উদাহরণ কম নেই। ডা. রত্না ও ডা. জামিলের বিবাহিত জীবন ২৫ বছর পূর্ণ হতে চলল। দুজনের বয়সের পার্থক্য আট বছর।

অভিজ্ঞতার আলোকে রত্না জানান, সুখী দাম্পত্যজীবনের পেছনে বয়সের ফারাক কোনো বাধা নয়; মনের মিল আর পারস্পরিক বোঝাপড়াই আসল। বিয়ের পর স্নাতক ও পরবর্তী সময়ে চাকরি, বিশেষায়িত ডিগ্রি এবং ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পেছনে স্বামীর সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা তার সঙ্গেই ছিল। এ ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধান কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। রত্না বলেন, আধুনিকতা বা উদারতাএসব গুণ বয়স দিয়ে বিচার করা যায় না। যেকোনো বয়সের মানুষই এই গুণের অধিকারী হতে পারে। আর পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ, আস্থা ও ভালোবাসা এসব হলো সুখী দাম্পত্যজীবনের আসল রহস্য।

সামিয়ার বিয়ে হয়েছিল স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের পরীক্ষার পরই। স্বামী তার চেয়ে পাক্কা ১২ বছরের বড়। সামিয়া মনে করেন, তাদের বোঝাপড়ায় কোনো সমস্যা হয়নি। কেননা, তার স্বামী জড়িত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। ফলে দিলখোলা মানুষ। আবার সামিয়া নিজেও পেশাজীবী নারী। দুজনেরই ব্যস্ত জীবন। কিন্তু অফিস শেষে দুজনে বাসায় ফিরে একান্তে কিছুটা সময় ঠিকই পার করতেন। ছুটিছাটায় বাইরে যেতেন।

এই দুই উদাহরণের উল্টোটাও ঘটে। কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বামী হয়তো নিজের কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে বয়সে বেশ ছোট স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বটাই বেশি পালন করছেন, পরস্পরকে বোঝার জন্য সময় দিচ্ছে না। তারপর সন্তান লালন-পালন ইত্যাদি। ধীরে ধীরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। সন্তানও একসময় বড় হয়, তবে তখন স্বামী বার্ধক্যের পথে। তার উদ্যম ততটা নেই, যতটা তখনো স্ত্রীর মধ্যে বিদ্যমান। ঘটনা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তখন কেউ কাউকে আর সহ্যই করতে পারেন না। দুজনই বলতে থাকেন, ‘তোমার কাছ থেকে আমি তো কিছুই পাইনি।’ সামাজিকতা মেনে হয়তো অনেকেই এক ছাদের নিচে ভালোবাসাহীন সম্পর্ক টেনে বেড়ান, আবার কেউ কেউ সম্পর্কটার ইতি টানেন।

একটা সময়ে মূলত পাত্রের যোগ্যতা বা অবস্থান বিচার করেই মেয়ের বিয়ে ঠিক করতেন মা-বাবারা। পাত্রের বয়স কত, তা বিবেচনাতেই আনা হতো না। সে কারণে আজ থেকে ২০-৩০ বছর বা তারও আগে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আট, নয়, কখনো ১০ বা ১৫ ছাড়িয়ে যেত। এরপর বিয়ের ব্যাপারে মেয়েদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ও মতামত ধীরে ধীরে জোরালো হতে থাকে। মেয়েরা সমবয়সী বা কিছুটা বড় ছেলেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই করতে চাইলেন বেশি।

বয়সের ব্যবধান তিন বা পাঁচ বছর ছাড়িয়ে গেলে অভিভাবকদেরও ভ্রু কোঁচকাত। তাদের আশঙ্কা ও সন্দেহ, বয়সের ব্যবধান বেশি হলে পদে পদে মতের অমিল হতে পারে, দেখা দিতে পারে প্রজন্মের ব্যবধান বা জেনারেশন গ্যাপ। দুই প্রজন্মের দুজন মানুষ পরস্পরকে বুঝতে পারবে না, কষ্ট হবে মানিয়ে নিতে। সমবয়সীদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো হয়, এমন ধারণা পোষণ করতে শুরু করলেন অনেকে।

ইদানীং অনেক মেয়েকেই দেখা যায় একটু বেশি বয়সী কাউকে স্বামী হিসেবে নির্বাচন করতে দ্বিধা করছে না। এর কারণটা হয়তো বৈষয়িক। এমন মনে করেন বেসরকারি কলেজের একজন অধ্যাপক রেহনুমা খানম। তার নিজের দুটি মেয়ে রয়েছে। বড়টির সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে সাত বছরের বড় এক প্রকৌশলীর সঙ্গে। রেহনুমা বলেন, ‘যেহেতু আমার মেয়ের কোনো নিজস্ব পছন্দ ছিল না, তাই আমরা যখন ওর জন্য পাত্র খুঁজতে শুরু করলাম। স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব দিলাম পাত্রের যোগ্যতা ও প্রতিষ্ঠার ওপর।

আর আজকালকার যুগে একটা ভালো চাকরি পেতে ও মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে পৌঁছাতে একটা ছেলের খানিকটা বয়স হয়েই যায়। তারপরও বয়সের ব্য বধানের কথা ভেবে আমরা খানিকটা দমেই গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়ে যখন কোনো আপত্তি করেনি, তখন আমরাও নিশ্চিন্ত হলাম।’ রেহনুমার নিজের বিয়ে হয়েছিল সহপাঠীর সঙ্গে, দাম্পত্যজীবন খুবই নির্বিঘ্ন ও সুখের হলেও সমবয়সের বিয়ের কারণে যথেষ্ট সংগ্রাম ও চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে তাদের।

প্রকৃতপক্ষে, পরস্পরকে বোঝার ও জানার মনোভাব যত ইতিবাচক হবে, তত বেশি সহজ মানিয়ে নেওয়াটা এমন মত জাতীয় বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আখতার জাহানের। তিনি মনে করেন, বয়স বেশি হলেই যে কেউ সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়বেন, এমন তো কোনো কথা নেই। সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বয়স ও অবস্থান বা বয়সের ব্যবধান কখনো কখনো বিবেচ্য হতে পারে বৈকি কিন্তু একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়।

পারস্পরিক সমঝোতা, বিশ্বাস আর বোঝাপড়াতেই একটি দাম্পত্য সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং মজবুত হয়। এখানে বয়সে বেশ বড় স্বামীকে স্ত্রী আস্থা আর ভালোবাসার জায়গায় রাখতে চান না। স্বামীর আচরণে যদি প্যারেন্টিং ফুটে ওঠে, তবে সে সম্পর্ক কি সুখের হবে? আর স্ত্রীও যদি প্রতি পদক্ষেপে অপরিপক্বতা দেখান, তবে সেটাও কি ভালো? বরং দুজনে যত খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসবেন, বয়সের ব্যবধান ততই তুচ্ছ হয়ে উঠবে। দুজন যদি দুজনার হয়ে ওঠেন, নিজেদের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ ঠিকঠাক থাকে, তাহলে দেখা যায়, বয়সের ব্যবধান কোনো ব্যাপারই না। বয়স তখন  অসম হলেও পারস্পরিক বোঝাপড়াটা হয়ে যায় সম।

লেখা : আশরাফুল ইসলাম

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
.

গহনায় গর্জিয়াস

করেছে Rodoshee Magazine ডিসেম্বর ২, ২০১৮

বিয়ের সাজের পরিপূর্ণতা পায় মানানসই গহনায়। কনের উজ্জ্বলতার প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে সময়োপযোগী গহনা। আগের বিয়েগুলোতে সোনার গহনাই ছিল মুখ্য। কিন্তু এখন আর তা নেই! ফ্যাশনের ধারাবদলের বিষয়টি বিয়ের মতো বড় আয়োজনেও দেখা যায়। একটা বিয়েতে নানান ধারাবাহিকতা থাকে, সেই সঙ্গে গহনা পরার ধরনও বদলে যায়। বিয়ের গহনার এপিঠ-ওপিঠ নিয়ে কথা বলেছেন রেড-এর কর্ণধার ও রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। লিখেছেন সুরাইয়া নাজনীন।

প্রথমে চলে আসে গায়ে হলুদের বিষয়টি। আর এই অনুষ্ঠান বাঙালিরা খুব আয়োজন করে পালন করে। কনেরও থাকে আবেগী পরিকল্পনা। তবে গায়ে হলুদের গহনা খুব ন্যাচারাল হওয়া উচিত, বললেন আফরোজা পারভীন। তিনি আরও বলেন, ‘কাঁচা ফুলের গহনাই বেশি মানানসই। এ ছাড়া শুকনো ফুলের সঙ্গেও পুঁতি-জরির কাজ, স্টোন দিয়ে তৈরি কৃত্রিম ফুলের মালা কিনতে পাওয়া যায়। এসব গহনা শাড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে অর্ডার দেওয়া যায়। তবে হলুদের গহনা তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে ফুলের আকার যেন ছোট হয়। বেশি বড় বড় ফুল হলে দৃষ্টিকটু লাগতে পারে। চুলে করতে পারো খোঁপা, খোঁপায় তাজা ফুলের মালা। মালার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে রজনীগন্ধা, জারবেরা, অর্কিড। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করেও ফুলের রং চুজ করা যেতে পারে। এ ছাড়া খোঁপার পরিবর্তে লম্বা বিনুনি করেও ফুলের মালা পরা যায়।’
একটা সময় ছিল যখন গায়ে হলুদের গহনা মানেই হচ্ছে গাঁদা ফুলের মালা। সঙ্গে হয়তো একটি-দুটি গোলাপ ফুল দেওয়া হতো একটু ভিন্নতা আনার জন্য। কিন্তু এখন গায়ে হলুদের গহনায় এসেছে অনেক ধরনের ডিজাইন ও ভিন্নতা। যা দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এখন অনেকেই তাদের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মতো করে গহনা তৈরি করে নেয়। সেটা হতে পারে তাজা ফুল দিয়ে। অথবা আর্টিফিশিয়াল ফুল, পুঁথি, ক্রিস্টাল অথবা এন্টিক লহরের গহনা দিয়ে। আবার তুমি চাইলে হলুদের দিনেও ফুল বা পুঁথির গহনার বদলে গোল্ড, সিলভার বা ম্যাটালের গহনাও পরতে পারো। এতে তোমার হলুদের সাজেও আসবে ভিন্নতা। কিন্তু রূপবিশেষজ্ঞরা এখনো তাজা ফুলের গহনাকেই প্রাধান্য দেন।

এখনকার বিয়েতে গা-ভর্তি সোনার গহনা তেমন কেউ পরে না, বেছে নেয় হালকা নকশার ট্রেন্ডি গহনা। সেই জায়গা দখল করেছে রুপা, গোল্ড প্লেটেড, পাথরের গহনা, মুক্তা এমনকি হীরাও। তবে সোনার গহনার আবেদন কমেছে? না। এখনো বাঙালি বধূ মানেই সোনার গহনায় মোড়া। তবে আগের মতো শুধু হলুদ আর সাদা সোনার গহনার বাইরে এখন গোলাপি সোনা বা রোজ গোল্ড বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিয়েতে সোনার গহনা নিয়ে আফরোজা বলেন, আগে যেমন ভারী সোনার ব্যবহার হতো, কিন্তু এখন তা বদলে এসেছে কিছুটা হালকা ডিজাইনের সোনার সঙ্গে পাথর, পুঁতি, কুন্দন বা মুক্তার মিশেলে তৈরি গহনা। সেই গহনাতে শাড়ির কালারের সঙ্গে মিলিয়ে স্টোন বা পুঁতি বসিয়ে নিতে পারো। এখনকার ট্রেন্ড সেটাই। এ ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গোল্ডের গহনায় মিনা করিয়ে নিতে পারো। ব্যবহার করতে পারো রুবি, পান্না, টোপাজের মতো দামি পাথর। রোজ গোল্ডের সঙ্গে মুক্তা সুন্দর মানাবে।’
বিয়ের এমন কিছু গহনা থাকে যেগুলো বিয়ের দিন খুব জরুরি কিন্তু পরে সেগুলোর আবেদন নষ্ট হয়ে যায়। সেসব গহনার ক্ষেত্রে স্বর্ণ ব্যবহার করা বোকামি। তাই এ ক্ষেত্রে গোল্ড প্লেটেড গহনাই ভালো। যেমন নথ, টিকলি, টায়রা, ঝাপ্টা বা নূপুর। এসব গহনা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে রং দিতে পারো। ডায়মন্ডের গহনা এখনো অনেকের সাধ্যের বাইরে। তবু বিয়ের খরচ তো আসে জীবনে একবারই। তাই সামর্থ্যরে মধ্যেই করা যেতে পারে শ্রেষ্ঠটি। সে ক্ষেত্রে গহনার নির্দিষ্ট অংশে ডায়মন্ডের ব্যবহারে সাজানো যেতে পারে পছন্দের ডিজাইন। বাকি অংশে আসতে পারে অন্যান্য অপেক্ষাকৃত কম দামি এবং সুদৃশ্য ম্যাটেরিয়ালের ব্যবহার। আধুনিক গহনায় বিশদে দেখা মেলে মুক্তা, রুপা বা অন্য ম্যাটেরিয়ালের পুঁতির কাজ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিজাইনের পুঁতিকেই সাজানো যেতে পারে সোনার বর্ডার দিয়ে বললেন আফরোজা।

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টি স্মৃতি হয়ে থাকুক সব সময়, ঐতিহ্য এবং স্টাইলের সঙ্গে। কনের গহনার ডিজাইন তাই হওয়া চাই ঐতিহ্যবাহী মোটিফের মধ্যে ট্রেন্ডি স্টাইলের। গহনায় থাকতে হবে বিয়ের লুক, হতে হবে ফ্যাশনেবল। ট্রেন্ডি ডিজাইনের বিয়ের অলংকারে সরাসরি সোনার ঢালাই কাজ অথবা ডায়মন্ড দিয়ে ভর্তি চকচকা কাজ কমই দেখা যায়। সময়ের ডিজাইন পরিপূর্ণ হয়েছে পাঁচমিশালি ম্যাটেরিয়ালের ভিন্ন ভিন্ন মোটিফে। নেকলেসের মোটিফে দেখা যায় ঐতিহ্য এবং আধুনিকতা দুইয়ের মিশ্রণ। কানের দুল, টায়রার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে ডিজাইনের আকারে। একটু বড় আকার নিয়ে করা হচ্ছে মোটিফের নকশা। আংটি, বালার ডিজাইনের নকশার ব্যাপকতা কমই দেখা যায় এখন। নূপুর, টিকলিতেও দেখা যায় ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। আধুনিক বিয়ের গহনার ডিজাইনে সবচেয়ে পরিবর্তনের নাম রঙ। আগের দিনের মতো একরঙা সোনালিই হতে হবে বিয়ের গহনা, এমন রীতিনীতি দেখা যায় না এখন। কনে সাজে দেখা মেলে এখন কয়েক রঙের সমাহারে করা স্টাইলিশ ডিজাইনের রকমারি অলংকার।

বিয়ের পর গহনার যত্ন-আত্তি : সোনার গহনা সামান্য আঘাতে বেঁকে যায়। তাই এ দিকটি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। স্বর্ণ অনেক দিন পুরোনো হয়ে গেলে এর উজ্জ্বলতা কমে যায়। উজ্জ্বলতা বাড়াতে একটি পাত্রে পানির মধ্যে একটু ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে তার মধ্যে সোনার গহনা একটু টুথপেস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে, টুথব্রাশ দিয়ে সাবধানে হালকাভাবে ঘষে নাও। দেখবে তোমার স্বর্ণের গহনা আবার নতুনভাবে উজ্জ্বলতা ফিরে পেয়েছে। আর মুক্তার গহনা ব্যবহার শেষে নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তবে খুব বেশি ময়লা হলে পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তার গহনা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা উচিত নয়। রুপার গহনা সুন্দর রাখতে বেশি কষ্টের প্রয়োজন হয় না। এ জন্য প্রথমে গহনাটি ভালোভাবে মুছে তার ওপর ট্যালকম পাউডার লাগাও। এরপর শুকনা সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নাও। সঠিকভাবে যত্ন নিলে তোমার রুপার গহনা ভালো থাকবে দীর্ঘদিন। গোল্ড প্লেটের গহনা ব্যবহার শেষে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে যত্ন করে রাখতে হবে। গোল্ড প্লেটের গহনা ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে কালো হয়ে গেলে স্বর্ণের দোকানে নিয়ে গেলে আবার রং করিয়ে নেওয়া যায়। রং করার পর নতুনের মতো দেখাবে।

রোদসী/আরএস

০ মন্তব্য করো
0 FacebookTwitterPinterestEmail
নতুন লেখা
আগের লেখা

পোর্টফোলিও

প্রকাশিত সংখ্যা

রোদসীর পছন্দ

  • বয়স সবে উনিশ-কুড়ি

তুমিই রোদসী

  • আলোয় ভুবন ভরা







rodoshee logo

© স্বত্ব রোদসী ২০১৪ - ২০২১
সম্পাদক ও প্রকাশক:   সাবিনা ইয়াসমীন
৯১/এ, প্রথম ও দ্বিতীয়তলা, ব্লক-এফ, রোড-৩, চেয়ারম্যান বাড়ি, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮০-২-৫৫০৪১০৪৬-৪৮, ই-মেইল: info@rodoshee.com

রোদসী

রোদসী

ক্যাটাগরি

আর্কাইভ

@2014-2018 -রোদসী. All Right Reserved.

রোদসী
  • হোম
  • লাইফস্টাইল
  • রূপ ও ফ্যাশন
  • রোমান্স
  • কালচার
  • নারী
    • সাফল্য
    • সম্ভাবনা
    • সংগ্রাম
    • সমস্যা
Facebook